Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - khyrul

Pages: [1] 2 3 ... 7
3
Common Forum / The Purpose of the Physics Laboratory
« on: October 18, 2018, 11:42:06 AM »
Physics is an experimental science. The theoretical concepts and relationships introduced in the lecture part of the course describe the general nature and behavior of real phenomena. They were, appropriately, discovered by (or inducted from) careful observation and thoughtful analysis of actual experiments. Genuine understanding entails being able to relate the abstract ideas to the particular facts to which they correspond.

The premise of the scientific method is that (observation of) nature is the ultimate judge of the truth of any physical theory. Indeed, experiments designed to prove certain ideas have often ended up showing them to be wrong. Consequently, all physical concepts must be verified experimentally if they are to be accepted as representing laws of nature.

Accordingly, the introductory physics laboratories have the following purposes and goals:

1. To provide an experimental foundation for the theoretical concepts introduced in the lectures. It is important that students have an opportunity to verify some of the ideas for themselves.

2. To familiarize students with experimental apparatus, the scientific method, and methods of data analysis so that they will have some idea of the inductive process by which the ideas were originated. To teach how to make careful experimental observations and how to think about and draw conclusions from such data.

3. To introduce the methods used for estimating and dealing with experimental uncertainties, including simple ideas in probability theory and the distinctions between random (statistical) and systematic "errors." This is essential in understanding what valid conclusions can be deduced from experimental data and that, properly obtained, these conclusions are valid, notwithstanding the uncertainty of the data.

4. To learn how to write a technical report which communicates scientific information in a clear and concise manner.

5. To introduce new concepts and techniques which have a wide application in experimental science, but have not been introduced in the standard courses. These may require that the student consult additional textbooks.

The laboratory is not a contest whose object is to get the "right answer." The purpose is to learn how to gain knowledge by looking at reality, not an attempt to make reality conform to preconceptions. The important thing is to learn how to be observant, to really see what happens, and to deal with this information with the strictest integrity. And to understand, or learn to understand, the meaning of what happens.

Even if you get results totally at variance with theory (as may happen due to a mistake, or a systematic uncertainty) you will get a high grade if you report it honestly and demonstrate that you understand what you did and how your results occurred. (If you have trouble interpreting your results, contact your TA for help.) On the other hand, if you get the perfect agreement with theory by faking your data you will fail.

Practical ability to do experiments and analyze data is usually acquired through practice and experience. Practice is very important in learning any new discipline; such as, for example, a new language. A good lecture may be very helpful but not fully useful without actual practice. In experimental science, the practice involves solving many problems (i.e. homework) and performing a variety of experiments (i.e. labs). Practice is essential to being able to make the connection between theory and experience.


(http://teacher.nsrl.rochester.edu/phy_labs/purpose/purpose.html)

5
প্রয়োজনে অনেক সময় আমাদের দাঁড়িয়ে পানি পান করতে হয়। আবার অনেকের মধ্যে দাঁড়িয়ে পানি করার অভ্যাসও দেখা যায়। বসার সুযোগ থাকার পরও তারা দিব্যি দাঁড়িয়ে পানি পান করে।

ইসলামি শরিয়তের শিষ্টাচার হলো, মানুষ পানি পান করবে বসে এবং ডান হাতে। পান করবে তিন নিঃশ্বাসে ধীরে ধীরে।

স্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়ে পানি পান করা মাকরু তানজিহ। আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসূল সা. বলেছেন ‘কারও দাঁড়িয়ে পানি পান করা উচিৎ নয়। যদি কেউ ভুলে যায় তাকে অবশ্যই বমি করতে হবে।’ [সহি মুসলিম, হাদিস ৫০২২]

কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে পানি করাতে কোন সমস্যা নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে যেমন নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তেমনি তিনি নিজেই এবং সাহাবাগণ থেকে দাঁড়িয়ে পানি পানের বিবরণও এসেছে।

যা প্রমাণ করে, স্বভাবিকভাবে দাঁড়িয়ে পানি পান করা নিষেধ। কিন্তু কোন বিশেষ প্রয়োজনে তা বৈধ আছে। যেমন বসার যায়গা নেই ইত্যাদি।

আমর বিন শুয়াইব তিনি তার পিতা, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাঁড়িয়ে ও বসে পান করতে দেখেছি। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস ১৮৮৩]

কাবশাতুল আনছারিয়্যা রা. থেকে বর্ণিত।একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট প্রবেশ করলেন। তার নিকট একটি ঝুলন্ত পানির পাত্র ছিল। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে দাঁড়িয়েই পান করলেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৪২৩]


(http://ourislam24.com/2017/03/12/%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%BE/)

8
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
রমজান শুরু হয়ে গেছে, প্রত্যেক মুসলমানের দরজায় কড়া নাড়ছে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সঠিকভাবে রোজা রাখার তৌফিক দিন এবং আমাদের রোজা এবং আমলসমূহ কবুল করুন।
 

রোজা ফরজ হওয়ার দলিল:
 

পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার। [২:১৮৩]
 

أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। [২:১৮৪]

বিশ্লেষণ:
আলোচ্য আয়াতদ্বয়ে এই উম্মতের ঈমানদারগণকে উদ্দেশ্য করে আল্লহতায়ালা রোজা রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। রোজা হলো একমাত্র আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য পানাহার ও যৌনাচার হতে বিরত থাকা। এর দ্বারা আত্নার পরিশুদ্ধি ও স্বভাবের পরিমার্জনা অর্জিত হয়।আল্লাহতায়ালা এই নির্দেশের সাথে সাথে আরো বলেন-তোমাদের পুর্ববতী উম্মতগণের ওপর ও রোজা ফরজ করা হয়েছিলো।তারা তা পালন করতে যত্নবান ছিলো। আল্লাহতায়ালা অন্য আয়াতে বলেন-

 আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য পথ ও পদ্ধতি নির্ধারন করে দিয়েছি।যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন অবশ্যই সকলকে একই উম্মত করে দিতেন।কিন্তু তোমাদেরকে যা কিছু তিনি দিয়েছেন তা দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্য। অতএব তোমরা ভালো কাজে প্রতিযোগিতার সাথে অগ্রসর হও।

হাদীস থেকে ব্যাখ্যা:
''গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে।''এ নির্দেশ আসার পর সাহাবীগনের কেউ কেউ সাওম পালনে সক্ষম হওয়ার পরও তাদের কেউ কেউ সাওম ত্যাগ করে একদিনের পরিবর্তে মিসকিনকে খাওয়াতো।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ''আর সাওম পালন করাই তোমাদের জন্য উত্তম'' এ আয়াতটি নাযিল হয় যা পূর্বের হুকুমকে রহিত করে এবং সবাইকে সাওম পালনেরই নির্দেশ দেয়া হয়। [রেফারেন্সঃ বুখারী, হাদিস নং: ১২৮১]

রোজা কি?
রোজা শব্দটি ফার্সি শব্দ আমরা আরবী শব্দ থেকে বলছি সিয়াম অর্থ হচ্ছে রোজা। সিয়াম শব্দটি এসেছে সাওম থেকে যার অর্থ বিরত থাকা। পারিভাষিক অর্থে সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত সমস্তপ্রকার খাদ্যদ্রব্য, পানিয়দ্রব্য থেকে বিরত থাকা ।

রোজা কার জন্য ফরজ?

রোজা কাদের উপরে ফরজ সে বিষয়ে আলোচনা করছি। রোজা ৮ শ্রেণী মানুষের ওপর ফরজ।

১. মুসলমান হওয়া।

মুসলিম ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। রোজা কোন অমুসলিমের জন্য ফরজ নয়।

২. বালেগ হওয়া।

নাবালগের ওপর রোজা ফরজ নয়, অর্থাৎ ১২ বৎসর বয়সের কম বয়স হলে রোজা ফরজ হবেনা।

৩. সুস্থব্যক্তি হওয়া।

শারীরিক ভাবে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা রাখার নিয়ম নাই। তবে সাধারন অসুখ বিসুখ হলে যদি সে রোজা রাখার উপযোগী হয় তবে সে রোজা রাখতে পারবে।

৪.সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী হওয়া।

পাগলের ওপর রোজা ফরজ নয়।

৫.স্বাধীন হওয়া।

পরাধীন নয় এমন ব্যক্তি হওয়া।

৬.সজ্ঞান হওয়া।

অর্থাৎ যিনি রোজা রাখবেন তিনি নিজ জ্ঞানে বা স্বেচ্ছায় আল্লাহর হুকুম পালন করবেন।
৭.মুকিম হওয়া।
অর্থাৎ স্তায়ীবাসিন্দা হওয়া। মুসাফিরের ওপর রোজা ফরজের ব্যপারে একটু ভিন্নতা আছে। যেমন কষ্টসাধ্য ভ্রমন হলে পরবর্তীতে রোজা আদায়ের বিধান আছে। আমি মনে করি বর্তমানে সফর অনেক আরামের সাথে করা যায় তাই সফর অবস্থায় একমাত্র কাহিল হয়ে না পড়লে রোজা রাখা উচিৎ।

৮.তাহীরা

অর্থাৎ পবিত্রতা
হায়েজ-নেফাস মুক্ত হতে হবে।


আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের রোজাসমুহকে কবুল করুন।আমীন


(সূত্র:http://shodalap.org/zubayer-ahmed/13587/)

9
রমজান মাসে ধর্মীয় বিধি বিধানের পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য স্বাস্থ্য ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সে কারণেই পুষ্টিবিদরা বলছেন দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর সেহরি ও ইফতারে খাদ্য দ্রব্য বাছাইও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। জীবনাচরণেও কিছুটা পরিবর্তন এসে থাকে এই সময়ে, পরিবর্তন আসে নিয়মিত কাজের ধরণেও।

রোজায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ স্বাস্থ্য ঠিক রেখে কিভাবে রোজা করবেন বা রোজার সময় কোন ধরনের খাদ্য দ্রব্য বেশি নেয়া উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক গোলাম মাওলা বিবিসিকে বলেন অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম থেকে যেমন বিরত থাকতে হবে তেমনি সহজে হজম হয় এমন খাবার খেতে হবে।তবে তার মতে কোনোভাবেই বেশি খাওয়া যাবেনা।

পুষ্টিবিদ অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলছেন রোজার জন্য আলাদা ডায়েটের প্রয়োজন নেই। তবে পানি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে তবে এর মধ্য বিশুদ্ধ পানি ও ফলের রসই বেশি কাজে লাগে।
তিনি বলেন, "ইফতার কোথা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ঘরে তৈরি খাবারই সবচেয়ে নিরাপদ। বেশী তেলে ভাজা বাজারের ইফতার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে"।

গোলাম মাওলা ও নাজমা শাহীন দুজনই মনে করেন তৈলাক্ত খাবার, ভাজা পোড়া বর্জন করাই ভালো। বরং ফল ও খেজুর শরীরে পুষ্টি ও শক্তি যোগাবে।

১. ভাজাপোড়া খাবার নয়

অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন মাছ ডাল ভাত আদর্শ খাবার। ভোররাতে গরুর মাংস এড়িয়ে মুরগী খেলে ভালো হবে। তবে প্রয়োজন শাক সবজি ও ডাল শরীরের জন্য ভালো হবে। অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলছেন ব্যক্তিকেই আগে বুঝতে হবে কোনটি তার শরীরের জন্য ভালো হচ্ছেনা। যেটি ক্ষতিকর মনে হবে সেটিকে এড়াতে হবে।

২. খাদ্য তালিকায় কী থাকবে?
পানি, ফল, চিড়া, রুটি, ভাত, সবজি, ডাল, ডিম, হালকা খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। গোলাম মাওলা বলছেন মানসম্পন্ন হালিম শরীরের জন্য উপকারী হবে। এটি শক্তি বাড়ায়।

৩. সতর্ক হয়ে খেতে হবে

বিরিয়ানি, তেহারির মতো খাবারকে ভারী খাবার হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন মাঝে মধ্যে ইফতারির পর হালকা কম তেলযুক্ত তেহারি খাওয়া মন্দ না।

৪. নিয়মিত খাবারকে গুরুত্ব দিতে হবে

পুষ্টিবিদ নাজমা শাহীন বলছেন, সাধারণত একজন মানুষ নিয়মিত যেসব খাবার খান রোজার সময়েই সেগুলোই তার জন্য যথেষ্ট। তবে সারাদিন রোজা পালন শেষে পানি খেতে হবে পর্যাপ্ত। আর বেশি গরম পড়লে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৫. শারীরিক পরিশ্রম কমানো ও শান্ত থাকা

রোজার সময় অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম সমস্যার কারণ হতে পারে। গোলাম মাওলা বলছেন একেবারে অলস থাকাও যেমন ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত পরিশ্রমও ক্ষতিকর হবে। তাই এসব বিষয়ে সাবধান হতে হবে।

৬. সহজে যাতে হজম হয়

অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলছেন রোজা পালনকারী ব্যক্তিকে বুঝতে হবে কোন খাবার গুলো তার সহজে হজম হয়। এসব খাবারকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব খাবার হজমে সমস্যা করে সেগুলো না খাওয়াই ভালো। কারণ রোজার সময় শরীরের এনজাইম যা হজর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় সেটি বন্ধ থাকে।

৭. একবারে বেশি খাবার থেকে বিরত থাকা

অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন সারাদিন রোজা পালনের পর একবারে অনেক খাবার খেলে সেটি ক্ষতিকর হতে পারে। তাই কোনভাবেই অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা। বরং ফল ও সবজি দিয়ে পরিমাণ মতো ইফতার করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

৮. খাবার কিভাবে খাবেন?

গোলাম মাওলা ও নাজমা শাহীন দুজনই বলছেন ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। ইফতারির শুরুতেই পানি শরীরের জন্য উপকারী। পাশাপাশি খেজুর শক্তি যোগাতে ভূমিকা রাখে।

৯. স্যুপ হতে পারে দারুণ খাবার

রোজার সময় সারাদিন পর স্যুপ শরীরকে সতেজ করতে পারে এবং খাবার হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতেও এটি কাজে লাগে। অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলেন শাক সবজি তবে বাধা কপি বাদ দিয়ে ফুলকপির স্যুপ বা লেটুস পাতার স্যুপ অনেক উপকারী। লেটুস পাতায় কোন গ্যাস হয়না। আর গাজর খেলে সেটি হালুয়া বানিয়ে অল্প খাওয়া যেতে পারে।

১০.খাবার ও জীবনাচরণ ঠিক রাখা

অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলছেন শুধু খাবারই নয়, বরং এর পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। আর কঠিন শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ইফতারের পর বা সেহেরীর পর ধূমপান থেকেও বিরত থাকা উচিত।

১১. যারা ঔষধ সেবন করেন তারা রোজা করবেন কিভাবে?

রমজানে সাধারণত কিছু সমস্যা হয় যার মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, ক্লান্তি কিংবা অ্যাসিটিডি। আর যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। অধ্যাপক গোলাম মাওলা ও অধ্যাপক নাজমা শাহীন দুজনই এসব বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মিস্টার মাওলা বলেন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রোজা রেখেও ঔষধ সেবন করা সম্ভব। কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইফতার থেকে সেহরির সময়ে ঔষধ সেবন করা যায়।

ব্যায়াম করবেন কখন?

অনেকেই নিয়মিত শরীর চর্চা করেন। কিন্তু রোজার সময়ে অন্য সময়ের মতো ব্যায়াম করা সম্ভব হয়না। অধ্যাপক গোলাম মাওলার পরামর্শ হলো কোন ভাবেই রোজা করে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা ঠিক হবেনা। তবে শরীর সায় দিলে হালকা শরীর চর্চা কেউ চাইলে সন্ধ্যার পর করতে পারে, যদিও শরীরের ওপর চাপ পড়ে এমন কিছু করা যাবেনা।

তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হেলথ ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ ইউনুস বলছেন যারা রোজা করবেন তাদের জন্য নামাজ বিশেষ করে ইফতারির পর রাতে তারাবির নামাজ নিয়মিত আদায় করাটাই বড় ব্যায়াম হতে পারে। এছাড়া ইফতারি বা রাতের খাবারের পর হাঁটাচলাও ব্যায়াম হিসেবে ভালো হবে।

ব্যায়াম প্রশিক্ষকের অভিমত

ঢাকার একটি সুপরিচিত হোটেলের ব্যায়ামাগারের প্রধান প্রশিক্ষক মিন্টু আকরাম বলছেন রোজার সময় অর্থাৎ রোজা পালন করে ভারী উপকরণ ব্যবহার করে ব্যায়াম উচিত হবেনা।
"ভারী উপকরণ ব্যবহার সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ব্যায়ামের সময়ও কমিয়ে আনতে হবে"।মিস্টার আকরামের মতে যারা নিয়মিত শরীর চর্চা করেন তাদের জন্য এটি নিয়মিত করা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রোজা পালন করলে সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে।রোজা করলে ইফতারির পর অন্তত আধাঘণ্টা বিরতি দিয়ে হালকা ওয়ার্ম আপ বা সকালে কিছুটা ওয়ার্ম আপ করা যেতে পারে ফিটনেস ধরে রাখার স্বার্থে।তবে ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও নিজ নিজ প্রশিক্ষকের পরামর্শ মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন এই প্রশিক্ষক।


(সূত্র:(www.bbc.com/bengali/news-44149896)

11
চন্দ্রাবতী ষোড়শ শতাব্দীর কবি এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি মহিলা কবি৷ এই বিদূষী নারী অন্যান্য কাব্য ছাড়াও পিতার আদেশে বাংলা ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে, মৈমনসিংহ গীতিকার এক কবি নয়ানচাঁদ ঘোষ চন্দ্রাবতী চরিতকথা রচনা করেন।

জন্ম ও পরিবার:

তাঁর পিতা মনসা মঙ্গল কাব্যের অন্যতম রচয়িতা বংশীদাস ভট্টাচার্য এবং মাতার নাম সুলোচনা/অঞ্জনা৷ তাঁর জন্ম ষোড়শ শতাব্দীতে। নিবাস অধুনা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার পাতুয়ার/পাটোয়ারী গ্রামে৷ জীবনকাল ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ। স্বরচিত রামায়ণের ভূমিকায় চন্দ্রাবতী আত্মপরিচয় দিয়েছেন:

"ধারাস্রোতে ফুলেশ্বরী নদী বহি যায়।
বসতি যাদবানন্দ করেন তথায়।।
ভট্টাচার্য্য বংশে জন্ম অঞ্জনা ঘরণী।
বাঁশের পাল্লায় তাল-পাতার ছাউনী।।
... ... ... ..... .... ...... ...... ... .... ...
বাড়াতে দারিদ্র-জ্বালা কষ্টের কাহিনী।
তার ঘরে জন্ম নিলা চন্দ্রা অভাগিনী।।
সদাই মনসা-পদ পূজি ভক্তিভরে।
চাল-কড়ি কিছু পাই মনসার বরে।।
... ... ... ... ... ... .... ... .... .... ....
শিব-শিবা বন্দি গাই ফুলেশ্বরী নদী।
যার জলে তৃষ্ণা দূর করি নিরবধি।।
বিধিমতে প্রণাম করি সকলের পায়।
পিতার আদেশে চন্দ্রা রামায়ণ গায়।।"

সাহিত্যকর্ম:

মৈমনসিংহ গীতিকায় তাঁর নিজের রচিত 'মলুয়া' গীতিকাব্যে এবং তাঁর জীবনী অবলম্বনে পরবর্তী সময়কার কবি নয়ানচাঁদ ঘোষ রচিত 'চন্দ্রাবতী' পালায় তাঁর কথা পাওয়া যায়৷ তাঁর জীবনের ট্র্যাজেডি নিয়ে রচিত লোকগাঁথা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অবিভক্ত ময়মনসিংহ জেলার মানুষের মুখে মুখে ফিরে এসেছে৷ তাঁর রচিত রামায়ণ কিছুকাল আগেও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মেয়েরা বিবাহোপলক্ষে গান করত। চন্দ্রাবতী নিজের কাব্য ছাড়াও পিতা বংশীদাসের মনসামঙ্গল কাব্যের অনেকাংশ রচনা করেছিলেন।
চন্দ্রাবতীর রচিত কাব্যগুলি হল;

মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা (মনসার ভাসান, রচনাকাল: ১৫৭৫ শকাব্দ),রামায়ণ।

ড. দীনেশচন্দ্র সেন ১৯৩২ সালে চন্দ্রাবতীর রামায়ণ প্রকাশ করেন। লৌকিক মানবিক ও কিছু মৌলিক উপাদান সংযোগের ফলে এই রামায়ণ কাব্যটি বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। দীনেশচন্দ্রের মতে, মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর মেঘনাদবধ কাব্যের সীতা-সরমার কথোপকথনের অংশটি 'চন্দ্রাবতীর রামায়ণ' থেকে গ্রহণ করেছিলেন।

চন্দ্রাবতীর লোকগাঁথা:

বাল্যকালে চন্দ্রাবতীর বন্ধু ও খেলার সাথী ছিলেন জয়চন্দ্র চক্রবর্তী নামের এক অনাথ বালক৷ ফুলেশ্বরী নদীর এপারে পাডুড়িয়া পল্লীতে চন্দ্রাবতীর বাস আর জয়চন্দ্রের নিবাস ওপারের সুন্ধা গ্রামে৷ জয়চন্দ্র তাঁর মাতুলগৃহে পালিত৷ দ্বিজ বংশীদাসের অনেক রচনায় এই দুজনার রচিত ছোট ছোট অনেক পদ রয়েছে৷ পুষ্পবনে শিবপূজার ফুল তোলার সময় চন্দ্রার সঙ্গে জয়চন্দ্রের পরিচয় ও সখ্যতা ঘটে। ক্র্রমশ কৈশোর উত্তীর্ণ হলে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন বলে স্থির করেন। বিবাহের দিনও স্থির হয়৷ শাস্ত্রবিৎ পণ্ডিত জয়চন্দ্র ইতোমধ্যে অন্য এক রমনীর প্রেমে পড়ে যান৷ স্থানীয় মুসলমান শাসনকর্তা বা কাজীর মেয়ে আসমানীর অসামান্য রূপে মুগ্ধ হয়ে ব্রাহ্মণ জয়চন্দ্র আসমানীকে একাধিক প্রেমপত্র লেখেন৷ এই ত্রিকোণ প্রেমের ফলাফল হয় মারাত্মক৷

জয়চন্দ্রের সাথে চন্দ্রাবতীর প্রেমের কথা জেনেও আসমানী তার পিতাকে জানান তিনি জয়চন্দ্রকে বিবাহ করতে চান৷ কাজী জয়চন্দ্রকে বলপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে আসমানীর সঙ্গে তার বিবাহ দেন৷ ঘটনাটি ঘটে যেদিন জয়চন্দ্র ও চন্দ্রাবতীর বিবাহের দিন স্থির হয়েছিল সেই দিন৷ সেদিন সন্ধ্যাবেলা চন্দ্রাবতী বিবাহের সাজে পিত্রালয়ে বসে ছিলেন৷ তখনই সংবাদ পেলেন জয়চন্দ্র ধর্মান্তরিত হয়ে অন্যত্র বিবাহ করেছেন৷ ঘটনার আকস্মিকতায় চন্দ্রা হতভম্ব হয়ে পড়েন–

"না কাঁদে না হাসে চন্দ্রা নাহি কহে বাণী।
আছিল সুন্দরী কন্যা হইল পাষাণী।।
মনেতে ঢাকিয়া রাখে মনের আগুনে।
জানিতে না দেয় কন্যা জ্বলি মরে মনে।।"

এরপর শুরু হয় চন্দ্রাবতীর বিরহ-বিধুর জীবন৷ শোকবিহ্বলতা কাটাতে তিনি পিতার কাছে অনুমতি নেন যে সারা জীবন অবিবাহিত থেকে তিনি শিবের সাধনায় আত্মনিবেদন করবেন ৷ তাঁর পিতা তাঁর জন্য ফুলেশ্বরী নদীর তীরে একটি শিব মন্দির নির্মাণ করিয়ে দেন৷ সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ শাস্ত্রজ্ঞানী চন্দ্রাবতীর কৈশোরকাল থেকেই ছিল ৷ তিনি বাকী জীবন বীতস্পৃহভাবে শান্তমনে শিবের উপাসনা ও সাহিত্যচর্চা করে কাটাবেন বলে স্থির করেন৷ ইতোমধ্যে বেশ কিছুকাল পরে জয়চন্দ্র বুঝতে পারেন যে, আসমানীর প্রতি তার টানটা ছিল মোহ মাত্র ৷ মনের থেকে তিনি চন্দ্রাবতীকেই প্রকৃত ভালবাসেন৷ অনুতপ্ত জয়চন্দ্র স্থির করেন যে চন্দ্রাবতীকে তাঁর মনের কথা জানাবেন৷ তিনি চন্দ্রাবতীকে একটি পত্র লিখে পাঠান,

"শুন রে প্রাণের চন্দ্রা তোমারে জানাই।
মনের আগুনে দেহ পুড়্যা হৈছে ছাই।।
..................... .........................
শিশু কালের সঙ্গী তুমি যৌবন কালের মালা।
তোমারে দেখিতে মন হৈয়াছে উতলা।
..................... .........................
ভাল নাহি বাস কন্যা এ পাপিষ্ঠ জনে।
জন্মের মতন হইলাম বিদায় ধরিয়া চরণে।।
একবার দেখিয়া তোমা ছাড়িব সংসার।
কপালে লিখেছে বিধি মরণ আমার।।"

পত্র পড়ে চন্দ্রাবতীর সংকল্পিত ব্রহ্মচর্য, অবিচলিত সংযম ও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল। অশ্রুসিক্ত বদনে তিনি পিতার কাছে বিধান চাইলেন। কন্যার মানসিক শিথিলতা মেটাতে বংশীদাস তাকে সান্ত্বনা দিলেন,

"তুমি যা লইয়াছ মাগো সেই কাজ কর।
অন্য চিন্তা মনে স্থান নাহি দিও আর।।"

জয়চন্দ্রকে পত্রদ্বারা নিষেধ করে চন্দ্রাবতী যোগাসনে বসে মনের সমস্ত অর্গল রুদ্ধ করলেন, তাঁর চোখের জল শুকিয়ে গেল। শিব-ধ্যানে আত্মহারা হয়ে তিনি সমস্ত জাগতিক জ্ঞান লুপ্ত হলেন।

এক সন্ধ্যায় জয়চন্দ্র ও চন্দ্রাবতীর বিচ্ছেদ হয়েছিল; অপর সন্ধ্যায় সেই বিচ্ছেদ মুছে গিয়ে মিলন হবে দুজনার — এই আশায় জয়চন্দ্র রওনা দিলেন পাতুয়ার/পাটোয়ারী গ্রামে৷ জয়চন্দ্র যখন গন্তব্যস্থলে পৌঁছলেন তখন সূর্য্যাস্ত হয়ে গেছে, তখন দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণ৷ শিব মন্দিরের ভেতর দ্বার রুদ্ধ করে সন্ধ্যারতি ও তপজপে নিজেকে নিবদ্ধ করেছেন চন্দ্রাবতী৷ জয়চন্দ্র মন্দিরের দ্বারে এসে কয়েকবার ডাকলেন চন্দ্রাবতীকে৷ কিন্তু দ্বার রুদ্ধ থাকায় এবং একাগ্রমনে ধ্যানে নিমগ্ন থাকায় সেই শব্দ প্রবেশ করল না চন্দ্রাবতীর কানে৷ ব্যর্থ প্রেমিক জয়চন্দ্র তখন লালবর্ণের সন্ধ্যামালতী ফুল দিয়ে মন্দিরের দ্বারে চারছত্রের একটি পদে চন্দ্রাবতী ও ধরাধামকে চিরবিদায় জানিয়ে সেখান থেকে প্রস্থান করেন৷

"শৈশব কালের সঙ্গী তুমি যৌবন কালের সাথী।
অপরাধ ক্ষমা কর তুমি চন্দ্রাবতী।।
পাপিষ্ঠ জানিয়া মোরে না হইলে সম্মত।
বিদায় মাগী চন্দ্রাবতী জনমের মত।।"

অনেক পরে মন্দির থেকে বেরিয়ে চন্দ্রাবতী বুঝতে পারেন যে দেবালয় কলুষিত হয়েছে৷ দ্বার পরিষ্কার করার জন্য তিনি কলসী কাঁখে জল আনতে যান পার্শ্ববর্তী ফুলেশ্বরী (স্থানীয় নাম ফুলিয়া) নদীতে৷ ঘাটে পৌঁছেই চন্দ্রাবতী বুঝলেন সব শেষ৷ ফুলেশ্বরীর জলে নিজেকে নিমগ্ন করে প্রাণত্যাগ করেছেন জয়চন্দ্র৷ প্রাণহীন দেহ ভাসছে ফুলেশ্বরীর জলে৷ এই অবস্থায় নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না চন্দ্রাবতী৷ তিনিও অচিরে প্রেমিকের সাথে পরলোকে চিরমিলনের কামনায় ফুলেশ্বরীর জলে ডুবে প্রাণত্যাগ করেন।

"একেলা জলের ঘাটে সঙ্গে নাই কেহ।
জলের উপরে ভাসে জয়চন্দ্রের দেহ।।
দেখিতে সুন্দর কুমার চাঁদের সমান।
ঢেউ-এর উপরে ভাসে পৌর্ণ মাসী চাঁদ।।
আঁখিতে পলক নাই! মুখে নাই বাণী।
পারেতে দাঁড়াইয়া দেখে উন্মত্তা কামিনী।।"

জয়চন্দ্রের গ্রাম সুন্ধা খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ তবে ইতিহাসের স্মৃতি বিজড়িত পাতুয়ার/পাটোয়ারী গ্রাম আজও আছে৷ কিশোরগঞ্জ শহর থেকে উত্তর-পূর্ব্ব দিকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে৷ আর আছে ফুলেশ্বরী নদীর ধারে চন্দ্রাবতীর পূজিত শিব মন্দির৷



(সংগৃহীত)

12
Common Forum / " The Purpose of the Physics Laboratory "
« on: April 09, 2018, 10:53:59 AM »

Physics is an experimental science. The theoretical concepts and relationships introduced in the lecture part of the course describe the general nature and behavior of real phenomena. They were, appropriately, discovered by (or inducted from) careful observation and thoughtful analysis of actual experiments. Genuine understanding entails being able to relate the abstract ideas to the particular facts to which they correspond.

The premise of the scientific method is that (observation of) nature is the ultimate judge of the truth of any physical theory. Indeed, experiments designed to prove certain ideas have often ended up showing them to be wrong. Consequently, all physical concepts must be verified experimentally if they are to be accepted as representing laws of nature.

Accordingly, the introductory physics laboratories have the following purposes and goals:

1. To provide an experimental foundation for the theoretical concepts introduced in the lectures. It is important that students have an opportunity to verify some of the ideas for themselves.

2. To familiarize students with experimental apparatus, the scientific method, and methods of data analysis so that they will have some idea of the inductive process by which the ideas were originated. To teach how to make careful experimental observations and how to think about and draw conclusions from such data.

3. To introduce the methods used for estimating and dealing with experimental uncertainties, including simple ideas in probability theory and the distinctions between random (statistical) and systematic "errors." This is essential in understanding what valid conclusions can be deduced from experimental data and that, properly obtained, these conclusions are valid, notwithstanding the uncertainty of the data.

4. To learn how to write a technical report which communicates scientific information in a clear and concise manner.

5. To introduce new concepts and techniques which have a wide application in experimental science, but have not been introduced in the standard courses. These may require that the student consult additional textbooks.

The laboratory is not a contest whose object is to get the "right answer." The purpose is to learn how to gain knowledge by looking at reality, not an attempt to make reality conform to preconceptions. The important thing is to learn how to be observant, to really see what happens, and to deal with this information with the strictest integrity. And to understand, or learn to understand, the meaning of what happens.

Even if you get results totally at variance with theory (as may happen due to a mistake, or a systematic uncertainty) you will get a high grade if you report it honestly and demonstrate that you understand what you did and how your results occurred. (If you have trouble interpreting your results, contact your TA for help.) On the other hand, if you get perfect agreement with theory by faking your data you will fail.

Practical ability to do experiments and analyze data is usually acquired through practice and experience. Practice is very important in learning any new discipline; such as, for example, a new language. A good lecture may be very helpful but not fully useful without actual practice. In experimental science, practice involves solving many problems (i.e. homework) and performing a variety of experiments (i.e. labs). Practice is essential to being able to make the connection between theory and experience.
 

(Collected)

13
মানুষের সমাজবদ্ধতার সাথে ভাষার উদ্ভব জড়িত, কারণ পরস্পরের কাছে মনের ভাব ব্যক্ত করার জন্যই ভাষার আবশ্যিকতা। সংস্কৃতির সাথে রয়েছে ভাষার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। আঞ্চলিক ভাষা বিকশিত হয় কোন নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক অঞ্চলকে কেন্দ্র করে। ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক অঞ্চল স্বতন্ত্র হয়েছে একদিকে যমুনা নদী অন্যদিকে হাওর অঞ্চল; একদিকে পাহাড় বেষ্টিত ভারতের সীমান্ত অঞ্চল অন্যদিকে ভাওয়াল গাজীপুরের বনাঞ্চল-মেঘনা-ধলেশ্বরী-শীতলক্ষার রক্ষণশীল বিচ্ছিন্নতা; এই বেষ্টনীর মধ্যকার যোগাযোগ-ঘনিষ্ঠতার ঐক্য নিয়েই গড়ে উঠেছে ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক অঞ্চল। যে অঞ্চলের সীমানায় এসেছে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু অংশ। কিছু কিছু অমিল থাকার পরও এই সাংস্কৃতিক অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা, প্রবাদ প্রবচনওলোকগাঁথায় বেশকিছু মিল পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ মেলামেশায় জাতি যেমন সংকর হয়ে ওঠে মানুষে মানুষে মেলামেশায় ভাষাও তেমনি সংকর হয়ে ওঠে এবং এভাবেই উপভাষার চরিত্র কখনও বিপন্ন হয়ে যায়। ময়মনসিংহে সাংস্কৃতিক অঞ্চলটি সে অর্থে অনেকটাই নিরাপদ এবং এই নিরাপত্তাই এ অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষাকে দিয়েছে স্বাতন্ত্র্য।

জেলার আঞ্চলিক/স্থানীয় ভাষালগে লগে বাঘা বাগদি আয়া কইল “ফটিকদা, মা ডাকতাছে”। ফটিক কইল “যাইতাম না”। বাঘা তারে জোড় কইরা কোল তুইল্যা লয়্যা গেল, ফটিক কিছু না পাইরা রাগের চোটে আত-পাও লাড়াইতাছিল। ফটিকরে দেইকখাই তার মা আগুনের মূর্তির লাহান হইয়া গেল, কইল “আবার তুই মাখনরে মারছস” ফটিক কইল “না মারছিনা”। “হিরেবারমিছা কথা কস”। “কুনো সমুই মারছিনা। মাখনরে জিগাও”।

প্রচলিত বুলি, বচন, কৌতুক, জোকস, প্রবাদবাক্য:

ধারায় নারা বাইরায়, চৌদ্দ পুরুষ তার পেন্দে দৌড়ায়
[পূর্বপুরুষদের কাজ/অভ্যাস এর প্রভাব পরবর্তীদের মধ্যে ও র্দীঘদিন বহাল থাকে।]

এক পয়সার ঋণের লাইগ্যা চান্দেরে খাইল
[চন্দ্র্রগ্রহনের বেলায় প্রযোজ্য, বলা হতো যে, সূর্য এক পয়সা ঋনের জন্য চন্দ্রকে গ্রাস করছে।]

শিলে পাডায় ঘষাঘষি, মইচের জীবন শেষ
নাইড়্যা মাথায় টিনটিন, এক পয়সার তেলের টিন
[ছোট ছেলের মেয়ের মাথা ন্যাড়া করলে, তার বন্ধুরা তাকে খ্যাপানো জন্য বলে থাকে]

আইলসার ডাহুর [অত্যন্ত অলস], বলদ [বোকা অর্থে], লুহুনদরা [অলস], বাপের বেডা [সাহসী], চোপা করা [মুখে মুখে তর্ক করা] ইত্যাদি।

লোক সংস্কৃতি, লোক উৎসব, লোকসংগীত, লোকগাঁথা:

লোক সংস্কৃতি,লোক উৎসব, লোকসংগীত, লোকগাঁথার দিক দিয়ে ময়মনসিংহ হলো তীর্থস্থান। ময়মনসিংহে একটি সংস্কৃতি ঐতিহ্য রয়েছে যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন সংগৃহীত ও সম্পাদিত মৈমনসিংহ গীতিকা ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনুদিত হয়ে বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদা পেয়েছে।
এই গীতিকায় মহুয়া, চন্দ্রাবতী, দেওয়ানা মদিনা ইত্যাদি পালার কথা কে না শুনেছে। এছাড়াও রয়েছে মলুয়া, কমলা, দেওয়ান ভাবনা, দস্যু কেনারামের পালা, রূপবতী, কঙ্ক ও লীলা, কাজলরেখা ইত্যাদি পালা। কয়েকটি উদ্ধৃতি দেয়া হলো :
জেঠ মাসের ছোট রাইত ঘুমের আরি না মিটে।কদমতলায় শুইয়া বিনোদ দিনের দুপুর কাটে॥এছাড়াও রয়েছে ইরাধরের বাড়ীৎ সাধু ধান না কিনিয়া।
আলাল দুলালে কিম্মত দিল দাম ধরিয়া॥
তাছাড়া যাত্রাগান, গ্রামীণ কাহিনীর উপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত নাটক ও যাত্রা ময়মনসিংহের ঐতিহ্য। ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত লোকসঙ্গীতগুলোর অন্যতম হলো বাউলগান, ভাটিয়ালী, কিস্সাপালা, কবিগান, কীর্তন, ঘাটুগান, জারিগান, সারিগান, মুর্শিদী, ঢপযাত্রা, বিয়ের গান, মেয়েলীগান, বিচ্ছেদী গান, বারমাসী, পুঁথিগান, পালকির গান, ধানকাটার গান, ধানভানার গান, হাইট্টারা গান, গাইনের গীত, বৃষ্টির গান, ধোয়া গান, শিবগৌরীর নৃত্য গীত, গাজীর গান, পটগান, আদিবাসীদের গান ইত্যাদি ।

প্রধান প্রধান উৎসব
নবান্ন:ময়মনসিংহ জেলাতে সুদূর অতীত হতে নতুন ধান উঠা উপলক্ষ্যে নবান্ন উৎসব প্রতি ঘরে ঘরে পালিত হয়ে আসছে। অগ্রহায়ন মাসে নতুন ফসল ঘরে উঠানোর পর ঐতিহ্যবাহী খাদ্য পরিবেশনের নামই হলো নবান্ন। নবান্নে পিঠা পার্বণের সাথে সাথে পুরনো কিচ্ছা, কাহিনী, গীত, জারি এই সবকে উপজীব্য করে চলে রাত্রীকালীন গানের আসর।
পিঠা উৎসব:অগ্রহায়ন পৌষের শীতে নবান্নের পিঠা-মিষ্টি উৎসবের সময় ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এক উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে।নানা ধরনের পিঠার মধ্যে রয়েছে তেলের পিঠা, মেরা পিঠা, পাটি সাপটা, মসলা পিঠা, পুলি পিঠা, গুলগুল্যা পিঠা, দই পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধ কলা পিঠা, চিতল পিঠা, খেজুর রসের পিঠা, নকসী পিঠা ইত্যাদি।

নববর্ষ ও মেলা:
ময়মনসিংহ জেলার গ্রামাঞ্চলে এখনও শহরের মতো বর্ষবরণের প্রচলন শুরু না হলেও অতিপ্রাচীনকাল হতেএখানে বিরল অথচ লোকজ ঐতিহ্যের দাবী নিয়ে দীপশিখা জ্বালিয়ে বাংলা বর্ষ বিদায়ের এক নীরব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হতো। মেলা উপলক্ষে মহিলারা বাপের বাড়ীতে নাইয়র আসত এবং মেলায় এসে ছোট বাচ্চারা খেলনা, বাঁশি, কিনতো। মেলায় বিভিন্ন রকম সার্কাস, দোলনা খেলা চলতো।

যাত্রা গান:
সাধারনত শীতকালে প্রাচীন লোককাহিনীর উপর ভিত্তি করে যাত্রার আয়োজন করা হয়। এই সব যাত্রা এবং যাত্রাগান কখনো কখনো রাতব্যাপী হয়ে থাকে। যেসব কাহিনী/বিষয়ের উপর ভিত্তি করে যাত্রা হয় তমধ্যে মহুয়া, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং স্থানীয় ভাবে রচিত বিভিন্ন কাহিনী/উপাখ্যান অন্যতম।
পালা গান:বর্তমানে পালাগানের আয়োজন হয় না বললেই চলে। তবে পূর্বে বিভিন্ন স্থানে পালাগানের আয়োজন করা হতো।

নৌকা বাইচ:
বর্ষাকালে নদী বা বড় বড় খালগুলি যখন পানিতে পরিপূর্ণ থাকে তখন বিভিন্ন স্থানে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতার আকারে আয়োজিত এসব নৌকা বাইচ অনুষ্ঠান স্থানীয় প্রশাসন এর সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়।

বিয়ে/জম্মদিন/বিবাহ বার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা সংক্রান্ত :
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতোই সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই ময়মনসিংহ জেলায় বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে জম্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী পালনের প্রচলন আগে তেমন না থাকলেও ইদানিং মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের মাঝে তা ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। বিয়েতে বরের পক্ষ থেকে বরযাত্রী যায় কনের বাড়ীতে। কনের বাড়ীতে বরযাত্রীদের গায়ে রং ছিটিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ বহুদিনের, এই নিয়ে ঝামেলাও কম হয় না। বরপক্ষের আনা জিনিস পত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি, সমালোচনা, রসাত্মক আলোচনা চলে কনে পক্ষের লোকজনের মধ্যে। খাওয়া-দাওয়া ও বিয়ে শেষে কনেকে বরের বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়, সেখানে মহিলারা অপেক্ষা করেন ধান, দূর্বা, চিনি ইত্যাদি নিয়ে কনেকে সাদরে গ্রহণ করার জন্য। পরের দিন বৌভাত অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত দুই-তিন দিন পর বর ও কনে মেয়ের বাড়ীতে বেড়াতে যায়, যাকে ‘ফিরানী’ বলা হয়। কয়েক দিন সেখানে থেকে পুণরায় বর নিজের বাড়ীতে ফিরে আসেন।

প্রচলিত খেলাধুলা, খেলাধুলার বিবর্তন:

পূর্বে এ অঞ্চলে প্রধান আমোদ প্রমোদ ছিল ঘুড়ি উড়ানো, নাচগান, লীলা ও তাস খেলা, নৌকাবিহার, পাশা খেলা, বানর লম্ফ, মোরগ লড়াই, দাড়িয়াবান্দা, কাবাডি, ক্যারম, গোল্লাছুট, দাবা, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, বৌচি ইত্যাদি। গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্দা, কাবাডি, মোরগ লড়াই ইত্যাদি খেলার স্থান ক্রমে দখল করে নিয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলা। প্রযুক্তির উন্নতির দরুন টেলিভিশনের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ফুটবল ক্রিকেট খেলা গ্রাম ও শহরে সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই আজ বেশিরভাগ মাঠই দাড়িয়াবান্দা, হা-ডু-ডু, বৌচি, গোল্লাছুট ইত্যাদির পরিবর্তে ক্রিকেট বা ফুটবল দখল করে নিয়েছে। তবে গ্রামে এখন ও বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে গোল্লাছুট, বৌচি ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে।
খাদ্যভ্যাস, মিষ্টি-মিঠাই-পিঠা, স্থানীয় বিশেষ খাবারজেলার গ্রামীণ উৎসব ও মেলায় নানা ধরনের ও বৈচিত্রে ভরপুর সৌখিন খাদ্যবস্তু পরিবেশন করতে দেখা যায়। এসবের মধ্যে রয়েছে মিষ্টি, নিমকি, খাস্তা, মুড়ির মোয়া, চিঁড়ার মোয়া, খৈ এর মোয়া, তিলের খাজা, কদমা, গজা, কটকটি, হাওয়াই মিঠাই ইত্যাদি। সকাল-এ ভাত/খিচুরী/রুটি, দুপুরে ও রাতে ভাত খাওয়ার প্রচলন দেখা যায়। তবে ‘জাউ’ এঅঞ্চলের একটি জনপ্রিয় খাবার বিশেষ করে অস্বচ্ছল বা গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে। মিষ্টির মধ্যে রয়েছে, মুক্তাগাছায় মন্ডা, মালাইকারী, কালোজাম, রসমালাই, ছানার পোলাও এবং গুড়ের সন্দেশ ইত্যাদি।

জাতিগত/আঞ্চলিক/ভৌগোলিক বিশেষ অনুষ্ঠানমালাএ জেলায় বসবাসরত গারো, হাজং, কোচসহ অন্যান্য আদিবাসীরা তাদেরনিজস্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা পালন করে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতন এ জেলার আদিবাসীরাও বৈশাখী মেলা, ঈদ উৎসব, দূর্গাপূজাসহ অন্যান্য উৎসব জাকজমকের সাথে উদযাপন করে থাকেন। এসব অনুষ্ঠানের মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, নির্মল ভ্রাতৃত্ববোধ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একে অন্যকে জানার স্পৃহা ও আগ্রহভরা অংশগ্রহণ।

সামাজিক রীতিনীতি/সংস্কার/কুসংস্কার/প্রচলিত ধ্যানধারণা:

অতিথিপরায়ণতা এ অঞ্চলের একটি উল্লেখযোগ্য রীতি। ধনী গরীব নির্বিশেষে আপ্যায়ন বা মেহমানদারীর রীতিটি সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় উৎসবসমূহে আত্মীয়দের বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়া, নতুন কাপড় পরিধান করা, ভাল খাবার তৈরী করা ও অপরকে দাওয়াত করে খাওয়ানো, ঘনিষ্ঠদের নতুন কাপড় উপহার দেয়া ইত্যাদি রীতি অন্যান্য অঞ্চলের মতো এখানেও প্রচলিত। মুসলিম মহিলাদের মধ্যে পর্দা পালনের রেওয়াজ বিদ্যমান, অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অধিকহারে। আদিবাসী ব্যতীত সব পরিবারই পুরুষ শাসিত। প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিশেষ করে গ্রামে পুরুষেরা আয় রোজগার ব্যস্ত থাকেন আর মহিলারা ঘরের কাজকর্ম সামলান।

বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, যৌতুক, নারী নির্যাতন সংক্রান্তশহরাঞ্চলে এবং শিক্ষিতদের মধ্যে বাল্যবিবাহের প্রচলন নেই বললেই চলে। তবে দরিদ্র এবং গ্রামীণ পরিবারে এখন ও বাল্য বিবাহ ঘটতে দেখা যায়। সামাজিক ভাবে বহুবিবাহ প্রশংসনীয় নয়। যৌতুক সম্পূর্ণ নির্মূল হয়নি- একথা বলা যায় তবে তার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। কালের আবর্তে যৌতুকের পণ্যে পরিবর্তন এসেছে।সাইকেল, টিভি, রেডিও এর পরিবর্তে এখন জমি, চাকুরীর জন্য ঘুষের টাকা, বরের বিদেশ যেতে প্রয়োজনীয় টাকা দাবী করা হয় যা যৌতুকেরই বিবর্তন।


সূত্র:( Bangladesh.gov.bd-জেলা বাতায়ন)

15
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাল্য স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের কাজির শিমলায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছে নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র । নজরুল ইনস্টিটিউটের অধীন স্মৃতিকেন্দ্র ২০০৮ সালে উদ্বোধন করা হয়। স্মৃতিকেন্দ্র  রয়েছে জাতীয় কবির ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র, হসতলিপির প্রতিলিপি, ফটোগ্রাফা, কবির স্লেহধন্য ও সমকালীন  শিল্পীদের গাওয়া নজরুল সংগীতের অডিও সিডি, অডিও ও ভিসিডি ক্যাসেট। তাছাড়াও রয়েছে নজরুল রচনাবলী, রবীন্দ্র রচনাবলীসহ বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত লেখক-কবিদের রচনাবলীসহ জীবনী গ্রন্থমালা। এ ধরণের প্রায় ৭ হাজার গ্রন্থমালা দিয়ে সজ্জিত স্মৃতিকেন্দ্র পাঠকক্ষ। আরও রয়েছে ২০০ আসন বিশিষ্ট মিলনায়তন, দু’টি গেস্টরুম। মিলনায়তন ও সেমিনার কক্ষে নিয়মিত সৃজনশীল অনুষ্ঠানাদি ও সেমিনার (নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে) অনুষ্ঠিত হয়। সরকারী পর্যায়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতি বছর স্মৃতিকেন্দ্রে জাতীয় পর্যায়ে  নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়। তাছাড়াও ময়মনসিংহ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এ স্থানে প্রতিমাসে একটি করে সেমিনারের আয়োজন করে থাকে । উল্লেখ্য, নজরুল স্মৃতিকেন্দ্রকে ২০০৩ সালের জানুয়ারী মাস থেকে পর্যটনের আওতায় আনা হয়। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী অসংখ্য নজরুল অনুরাগঢ স্মৃতিকেন্দ্রঢি দেখতে আসেন ।

কিভাবে যাওয়া যায়: ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশাল ও সদরের সীমান্তে কাজীর শিমলা নামক স্থান হতে মাত্র ১.৫ কিঃমিঃ পশ্চিমে নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র, দারোগা বাড়ী, কাজীর শিমলা, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ অবস্থিত।


(সূত্র: নিজ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা ও ইন্টারনেট)

Pages: [1] 2 3 ... 7