Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - aklima.ph

Pages: 1 [2] 3 4
16
এক.

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিজ্ঞানের সবচেয়ে অবদান আমার কাছে মনে হয়, জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিকের ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড বা ডিএনএ আবিষ্কার। আর এর মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব পরিবর্তন শুরু হয়। মানুষের খাদ্য থেকে রোগবালাই সনাক্তকরণ ও তা প্রতিরোধে নিত্যনতুন ওষুধ তৈরিসহ অনেককিছুই সম্ভব হয় ওয়াটসন ও ক্রিকের বিজ্ঞানে দেয়া সেরা উপহারের বদৌলতে। অনুজীব বিজ্ঞান বা মলিকিউলার বায়োলজির মাদার হিসেবে বিজ্ঞানীরা ডিএনএ নিত্যদিনই প্রশস্ত করে চলছেন।

কয়েক দশক ধরে, মানুষ-পশু-পাখি-উদ্ভিদের জিনম রহস্য বা জেনিটিক ম্যাপ উম্মোচন করে এটাই প্রমাণ হয়েছে যে, ডিএনএ জীবের সকল ট্রেটইস বা বৈশিষ্ট্য ধারক। ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠির খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে বিশ্ব যখন হুমকির মুখে ঠিক তখনই বিজ্ঞানীদের মাথায় ডিএনএ প্রকৌশল বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে তা সমাধানের ব্যাপারটি মাথায় এলো। ১৯৭২ সালের গোড়ার দিকে হারব্রেট বয়ার ও স্ট্যানলি কোহেন জেনেটিক মডিফাইড অর্গানিজম বা জিএমও বিষয়ক ধারণা দিয়েছিলেন, যা থেকে আজ অবধি আমরা মাছ, মাংস, সবজি, শস্যের উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়িয়ে আমাদের চাহিদা মেটানোর লড়াই অব্যাহত রেখেছি।

জিএমও খাদ্যের উৎকর্ষতায় আমরা যে ডিএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছি, তার সবই সম্ভব হয়েছে ‘জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বা জিন প্রকৌশল বিদ্যার যুগান্তকারী আবিষ্কারের ফলে। আজ আমরা এই জিন প্রকৌশলকে কাজে লাগিয়ে রোগ-বালাই বিরুদ্ধে লড়াই করছি। নতুন একটি বিশ্বকে ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে উপহার দিয়ে চলেছি। এই যে আমরা ডায়াবেটিস রোগ হলে যে ইনসুলিন নিই, তা কিন্তু আমাদের হাতের নাগালে এনে দিয়েছে জিন প্রযুক্তি।

নব্বই দশকের পর থেকে আমরা ফলমূল বর্ধিতকরণ থেকে শুরু করে নিজেরাই তার স্বাদ কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। ১৯৯৮ সালের দিকে আমরা এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিন বাবা-মা-বাবা জিন একত্রিকরণ করে প্রথমবারের মানব সন্তান হতেও দেখেছি। যা এর আগে কখনো সম্ভব হয়নি। অ্যাকোয়ারিয়ামে যে রঙ্গিন মাছগুলো আমাদের মনের আনন্দ যোগান দিয়ে যাচ্ছে, তাও জিন প্রযুক্তিরই ফসল।

ডিএনএ যে চারটি নিউক্লিওটাইড বা রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি, এ চারটি উপাদানের নাড়াচাড়া করালেই তৈরি নতুন নতুন বৈশিষ্ট্যর প্রোটিন তৈরি হয়। আর জিন প্রকৌশলে আমরা যে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছি তাহলো মেগানিউক্লিয়েজ, জিংক ফিঙ্গার নিউক্লিয়েজ (জেএফএন) এবং ট্রান্সক্রিপশন আক্টিভেটর লাইক এফেক্টর নিউক্লিয়েজ বা ট্যালেন।
ব্যাকটেরিয়া নি:সৃত এনজাইম যাকে আমরা রেস্টিকশন এইনজাইম বলি, তা দিয়ে ডিএনএ কোনও নিদিষ্ট অংশ কেটে অন্য একটি অংশ সেখানে এনে জোড়া দেয়ার প্রযুক্তি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রযুক্তি সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও জটিলতার অভিযোগ গবেষকদের মুখে মুখে ছিল। তবে তা সমাধানের লড়াই বিজ্ঞানীদের অব্যাহত ছিল।

দুই.

আমরা এক সময় কল্পবিজ্ঞানের বা সায়েন্স ফিকশনের বিভিন্ন গল্পে পকেটে রাখা হচ্ছে কম্পিউটার। সায়েন্স ফিকশনের এসব ধারণা যেন বাস্তবে রূপান্তর শুরু করেছে। বর্তমানে বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় কম্পিউটারকে কয়েক মিলিমিটারের যন্ত্রে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এক সময় আমাদের মনের ভেতর ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্নগুলোর মধ্যে ছিল, ইস আমরা যদি আইনস্টাইন কিংবা নিউটনের মতো মেধাবী হতে পারতাম, কিংবা দুর্ঘটনায় হারিয়ে ফেলা চোখ কিংবা মানুষের কোনও অঙ্গ নিজেরাই তৈরি করতে পারতাম, রোগবালাই মুক্ত মানব জীবন উপহার পেতাম অথবা আমরা যদি চিরসবুজ বা এভারগ্রিন হতে পারতাম তাহলে কতই না খুশি হতাম?

আমাদের এই কল্প বিজ্ঞানের চিন্তাগুলোকে ঠিক বাস্তবিক রূপ দেয়ার সময়ের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন গবেষকরা। ২০১২ সালের আগেও আমরা যেমন এই বিষয়গুলোকে কেবল নিজেদের ভ্রান্তিবিলাস মনে করে দু:খ পেতাম, তার দিন মোটামুটি শেষ হয়েছে।

আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন, একবিংশ শতাব্দীর এই দিনে বিজ্ঞান আমাদের এমন একটি আর্শীবাদ এনে দিয়েছে যা দিয়ে আমরা ইচ্ছে করলে, মানবভ্রুণ সম্পাদনা বা নিজেদের চাহিদামত বুদ্ধিমত্তা, শক্তিশালী ও আকার-আকৃতির তৈরি করতে পারবো। তাতে যে বিন্দু পরিমাণ বাধা থাকবে না তা ইতোমধ্যে গবেষকদের আবিষ্কারই বলে দিয়েছে। (তথ্যসূত্র ১)

অনেকটা কম্পিউটার গেইমের মতো। নিজেদের প্রয়োজনে পছন্দমত কোন চরিত্র তৈরি করা যেমন কঠিন কিছু নয়, ঠিক তেমন নতুন আবিষ্কৃত জিন প্রকৌশল প্রযুক্তি দিয়েও বাস্তব রূপায়নে প্যানডোরার বাক্স খুলতে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতের মানুষ।

Clustered Regularly Interspaced Short Palindromic Repeats যাকে আমরা ক্রিসপার (CRISPR) বলি। যদিও এর সাথে একটি সহযোগী এনজাইম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাকে আমরা ক্যাস ৯ (Cas9)। দ্বৈতভাবে এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে ‘ক্রিসপার-ক্যাস ৯’। দেখতে যা কিনা জিংক ফিঙ্গার কিংবা ট্যানেলের মতো। এটি জিন প্রকৌশলের অনুরূপ একটি প্রযুক্তি। ২০১২ সালে বিজ্ঞানীদের সামনে এই প্রযুক্তি আসার পর এখন পর্যন্ত একবিংশ শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার বলে বিজ্ঞানীরা মত দিয়েছেন।

তিন.

পৃথিবীর শুরু থেকে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের এক ধরনের যুদ্ধ চলে আসছে। ব্যাকটেরিয়াফাজ নামের এক ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার জিনমে এক ধরনের ডিএনএ প্রবেশ করিয়ে ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেল। ব্যাকটেরিয়াফাজ বা ফাজ ভাইরাসের এই জিনটি প্রতিরোধক হিসেবে ব্যাকটেরিয়াও এক ধরনের অ্যান্টি ভাইরাস তৈরি করে। ব্যাকেটিরিয়ায় প্রবেশকৃত ভাইরাসের ডিএনএ প্রতিরূপী ডিএনএ সিকোয়েন্স যাকে ক্রিসপার বলা হচ্ছে, সেটি পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়ার বিশেষ ধরনের এনজাইম ক্যাস৯ সহায়তা নিয়ে ক্ষতিকর ভাইরাসের ডিএনএকে ভেঙ্গে দেয়, ফলে ভাইরাসের আক্রমণের বিপরীতে ব্যাকটেরিয়া নিজেদের অস্তিস্ত্ব টিকে রাখতে পারে। ক্যাস ৯ ব্যাকটেরিয়ার ভিতর অনেকটায় ডিএনএ সার্জন হিসেবে কাজ করে।

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের এই আদিম লড়াই থেকে বিজ্ঞানীরা জানতে পারে যে ব্যাকটেরিয়ার ক্রিসপার সিস্টেম প্রোগামেবল বা ক্রিসপার ডিএনএ সিকোয়েন্সকে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন করা সম্ভব হয়।

তবে অ্যাকাডেমিকভাবে ক্রিসপার-ক্যাস৯ বলতে বোঝানো হয়, কোন কাঙ্ক্ষিত সিকোয়েন্সকে যাকে আমরা গাইড আরএনএ বলছি। তা যখন কোন জিনোম (সমগ্র ডিএনএ) সিকোয়েন্সের সাথে মিলে যায়, তখন ক্যাস৯ এনজাইম, যাকে আমরা ধরে নিতে পারে এক জোড়া কাঁচি তা ওই ডিএনএকে কেটে দেয়।

ধরুন, আপনি একটি রোগের প্রোটিন কোন প্রাণীর দেহে সনাক্ত করতে চাচ্ছেন। আপনি যদি ওই প্রোটিনের জেনেটিক নকশা বা কোডন বা ডিএনএ সিকুয়েন্স বা ক্রিসপার জানেন, তাহলে ওই ডিএনএ সিকোয়েন্স ওই প্রাণীর দেহে প্রবেশ করানো হয়। পরবর্তীতে এই ক্রিসপার ওই প্রাণীর দেহে অনেকটা জিপিএস সিস্টেমের মতো কাজ করে। কাঙ্ক্ষিত ডিএনএ সিকোয়েন্স যখন ওই প্রাণীর দেহেরে জিনোম (সমগ্র ডিএনএ) সাথে মিলে যায়, তখন আমরা সেই জিনের বিষয় জানতে পারি।

১৯৮৭ সালে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়োশিজুমি ইশিনু ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্রিসপারের ডিএনএ সিকোয়েন্স আবিষ্কার করলেও তিনি তার সঠিক ব্যবহার জানতেন না । পরবর্তীতে বিভিন্ন বিজ্ঞানী এই বিষয়ে কাজ করলেও ক্রিসপার প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যার্লিফোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেনিফার ডোডানা এবং সুইডেনের ইউমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমানুয়েল শরপেনটির।

২০১২ সালে ১৭ অগাস্ট (অনলাইন ভার্সন ২৮ জুন) বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স’ এ ‘A Programmable Dual-RNA–Guided DNA Endonuclease in Adaptive Bacterial Immunity’ শীর্ষক এক গবেষণা নিবন্ধে ক্রিসপার-ক্যাস৯  শক্তিশালী এই প্রযুক্তির প্রথম ধারণা দেন। (সূত্র-৯)

তবে মজার বিষয় হলো, প্রায় ছয় মাস পর ‘সায়েন্স’ ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি ইমানুয়েল শরপেনটির সাবেক ছাত্র ব্রড ইনস্টিটিউটের ফেং জাং ক্রিসপার-ক্যাস/৯ ব্যবহার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। তবে এই প্রযুক্তির মেধাস্বত্ত্ব নিয়ে তৈরি হয়ে ঝামেলা। ডোডানা ও শরপেনটির ২০১২ সালের তাদের প্রকাশনার আগেই মে মাসে দিকে পেটেন্টের (মেধাসত্ত্ব) আবেদন করে।  (সূত্র-৪-৫-৭)

পরবর্তীতে ফিং জাং এবং প্রায় এক ডজন গবেষক পেটেন্টের জন্য আবেদন করলে তিনি ২০১৪ সালে ক্রিসপার-ক্যাস বিষয়ক পেটেন্ট অনুমতি পান। ফলে ক্রিসপাস-ক্যাস৯ মূল নায়ক ডোডানা ও শরপেনটির বেকায়দায় পড়ে যান।

পেটেন্ট বিষয়ক একটি মামলা যুক্তরাষ্ট্রের আদালত করে ক্যার্লিফোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। দুই পক্ষের তুমুল লড়াই শেষে চলতি বছরের ১৯ জুন ক্রিসপার-ক্যাস৯ মেধাসত্ত্বধিকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত জেনিফার ডোডানা ও ইমানুয়েল শরপেনটির নাম ঘোষণা করেন। (সূত্র: ৪)

ক্রিসপার-ক্যাস৯ বিজ্ঞানীদের কাছে এতটায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে গত ছয় বছরে প্রায় ১৪ হাজারের বেশি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে এ নিয়ে। যা এযাবতকালে বিজ্ঞানীদের নতুন কোনও গবেষণা কেন্দ্রিক সর্বোচ্চ প্রকাশনা।  তবে বিজ্ঞানী মহলে গত কয়েক বছর ধরে ক্রিসপার-ক্যাস৯ নোবেল পাওয়ার শোরগোল থাকলেও মূলত পেটেন্ট নিয়ে আদালতের রায় না আসায় তা দেয়া হয়নি বলেই মনে করা হয়।

তবে পেটেন্টের রায় পাওয়ার পর পুরো বিশ্বজুড়ে চলতি বছরে কেমিস্ট্রি কিংবা চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল পুরষ্কার ‘ক্রিসপার-ক্যাস৯’ ছিনিয়ে নিতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

চার.

ক্রিসপার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০১৩ সালে চীনের একদল গবেষক মানবদেহের অপ্রতিরোধ্য রোগ এইচআইভি বিরুদ্ধে ৪৮ শতাংশ সফল হয়। ২০১৬ সালে বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ক্রিসপার-ক্যাস৯ ক্লিনিক্যালি অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ডিএনএ’র মধ্যে মাত্র একটি নিউক্লিওটাইডের হেরফের হলেই জেনেটিক রোগ তৈরি হয়। প্রায় তিন হাজারের মতো জেনেটিক রোগ আমাদের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে সনাক্ত করেছেন।

 

ভ্রুণের জেনেটিক রোগের কারণে ইউরোপে ১৯ শতাংশ গর্ভপাত করা হয়। জেনেটিক ডিফেক্ট বা ত্রুটি সংশোধনের কোনও চিকিৎসা না থাকায় নিরাপদ পৃথিবী গড়তে ইউরোপের বাবা-মা এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেন বলে মনে করা হচ্ছে। হ্যানটিংটন, অ্যালঝেইমার, বর্ণাদ্ধতা, হেমোফিলিয়ার মতো জেনিটিক রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকায় আর্বিভুত হয়েছে ক্রিসপার-ক্যাস৯।

বার্ধক্যজনিত কারণে আমাদের এই পৃথিবীতে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যায়। আমাদের দেহের ক্রোমোজোমের টেলোমেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা বয়স্ক বা এজিং হয়ে পড়ি। ক্রিসপার-ক্রাস৯ সিস্টেম নিয়ে গবেষকরা ইতোমধ্যে টেলোমেয়ার মেরামত করে এজিং বা বয়স্ক হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে ফেলছে।

২০১৬ সালের এক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, যে ক্রিসপার-ক্যাস৯ কে কাজে লাগিয়ে এজিং থেরাপি তৈরি করা সম্ভব, যা চিরসবুজ থাকার নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। (সূত্র-২)

ক্যান্সারের মত দূরারোগ্যব্যধি প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও জিন থেরাপির গবেষণাও চোখে পড়ার মতো। ক্রিসপার-ক্যাস৯ যে বিজ্ঞানের জাদুর কাঠিতে পরিণত হয়েছে তাতে কারও দ্বিমত নেই। অ্যানিমিয়া থেকে শুরু করে স্তনক্যান্সার প্রতিরোধে ডিএনএ প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ এখনই দেখা যাচ্ছে।

 

২০১৭ সালে ‘নেচার’ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, হৃদপেশির অন্যতম জটিল রোগ হাইপারট্রপিক ক্যার্ডিওমায়োপ্যাথ প্রতিরোধে মানব ভ্রণে ডিএনএ সংশোধনের সুযোগ করে দিয়েছে ক্রিসপার-ক্যাস৯।

তাছাড়া অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল কিংবা তাতে এলার্জি অনুসঙ্গ কমানোর চেষ্টা গবেষকদের দীর্ঘদিনের। সেটাতে পানি এনে দিয়েছে ক্রিসপার-ক্যাস৯। দক্ষিণ কোরিয়ার একদল গবেষক ইতোমধ্যে তার সফলতাও পেয়েছেন। সুতরাং বলা যেতে পারে কৃষিতে যে জিএমও প্রযুক্তি এতোদিন ব্যবহার করা হতো, তার চেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিক ফলনশীল খাদ্যশস্য উদ্ভাবন করা সম্ভব হচ্ছে।

আমরা অনেকেই জানি বর্তমানে অনেক ব্যাকটেরিয়ার আন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। যার কারণে ড্রাগ রেজিস্টেন্স বিশ্বব্যাপী ভয়ানক সমস্যা তৈরি করছে। আশার কথা হলো ক্রিসপার সহায়তায় আরো বেশি শক্তিশালী আন্টিবায়োটিক ও আন্টিভাইরাল তৈরি করার লক্ষ্য গবেষকরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন।

ম্যালেরিয়া কিংবা ইবোলার মতো ঘাতকব্যাধি রুখতে ক্রিসপার-ক্যাস৯ কে কাজে লাগানো হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ক্রিসপারের এই যুগান্তকারী ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছে এই প্রযুক্তি আগামী বিশ্বকে অন্য রকম একটি বিশ্বের দ্বারপান্তে নিয়ে যাবে।

ধর্মীয় ও নৈতিকতার প্রশ্নে ‘মানব ভ্রণ’ ডিজাইন করার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী এখনো অনুমোদন মেলেনি। তবে চীন ও যুক্তরাজ্য মানুষের রোগের থেরাপি কিংবা জিনগত ক্রুটি সংশোধনের অনুমতি দিয়েছে। যা নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আমরা এরইমধ্যে জেনেছি যে,  চীনের একটি গবেষণাগার দুইবার মানব ভ্রণ দুই সপ্তাহের জন্য নিজেদের ইচ্ছেমত ডিজাইন করে গবেষণাগারে সফল হয়েছেন। তবে নৈতিকতার প্রশ্ন নিয়ে চীন একদম নিরব। (সূত্র-১-৮)

ক্রিসপার নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে অনেক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অধিকাংশ বিজ্ঞানী এই জিন প্রকৌশলকে মানব ইতিহাসের যুগান্তকারী আবিষ্কার মনে করলেও অনেকে বিপরীত মত দিয়েছেন।

ভবিষ্যত পৃথিবী যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই নিয়ন্ত্রিত হতে চলছে তাতে কারও কোন সন্দেহ নেই। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংকে কাজে লাগিয়ে সঙ্কর মানব অর্থাৎ শক্তি, বুদ্ধি, রোগ প্রতিরোধক্ষম করা যে সম্ভব তাতে কারও দ্বিধা নেই।

যদি মানুষের ভ্রুণকে গবেষণাগারে ডিএনএ বাছাই করে অসুর শক্তিধারী করে তোলা হয়, তাহলে এই শৃঙ্খল পৃথিবীতে ধর্ম ও ঐশ্বরিক বিশ্বাসে আঘাত হানবে, যা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভুল হতে পারে। পবিত্র ধর্মের প্রতি মানুষের বিশ্বাসবোধ আমাদেরকে চলার পাথেয় হলেও বিজ্ঞানের এইসব আবিষ্কার, ধর্মীয় সংঘাত তীব্রতর করে তুলতে পারে।

এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিউক্লিয়ার শক্তির চেয়ে ভয়ানক কিছু হতে পারে। যদি এর অপব্যবহার করা হয়, দেখা যাবে সংকর মানুষের, প্রকৃতির সৃষ্টি মানুষের মতো আবেগ অনুভূতি ও ভালোবাসা নাও থাকতে পারে। ফলে আমাদের শান্তির পৃথিবী হয়ে যেতে পারে অশান্তির প্রতীক।

এ কথা অকাট্য যে, যেভাবে পৃথিবীতে রোগ বালাই শক্তিশালী হয়ে উঠছে তার বিরুদ্ধে ক্রিসপার ক্যাস-৯ আলাউদ্দিনের জাদুর চেরাগ। আমরা যদি ক্যান্সার মতো মরণব্যাধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি, হৃদপিণ্ড অকেজোদের হৃদপিণ্ড ফিরিয়ে দিতে পারি তাহলে সেটা হবে আমাদের জন্য আর্শীবাদ।

বিজ্ঞানীরা মূলত সেই লক্ষে ক্রিসপার-ক্যাস৯ কে মানব উপকারে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠছে। আমরা বিশ্বাস করি, অদূর ভবিষত ক্ষুধা, রোগ-বালাইবিহীন নতুন পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখছি।

 

লেখক: নাদিম মাহমুদ, জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত

 

তথ্যসূত্র

১. http://science.sciencemag.org/content/337/6096/816.long

২. https://www.nature.com/articles/gim201628.pdf?origin=ppub

৩. https://www.nature.com/news/second-chinese-team-reports-gene-editing-in-human-embryos-1.19718

৪. http://news.berkeley.edu/crisprpatent/

৫. http://news.berkeley.edu/2018/06/19/doudna-charpentier-team-awarded-u-s-patent-for-crispr-cas9/

৬. http://science.sciencemag.org/content/361/6405/866

৭. http://www.sciencemag.org/news/2017/02/round-one-crispr-patent-legal-battle-goes-broad-institute

৮. https://www.quantamagazine.org/crispr-natural-history-in-bacteria-2015020

৯. w.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC213968/

17
Pharmacy / পেয়ারা নাকি আপেল?
« on: September 13, 2018, 12:05:47 PM »
পেয়ারা ও আপেল দুটো ফলই পুষ্টিগুণে ভরপুর। আপেল বিদেশি ফল। আবার পেয়ারাকে অনেকে দেশীয় আপেল বলে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী আপেল ও পেয়ারা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।

পেয়ারাপেয়ারাপেয়ারা

● পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। তাই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।

● পেয়ারায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।

● বহুমূত্র রোগীদের জন্য পেয়ারা বিশেষ উপকারী। দৃষ্টিশক্তি ও ক্যানসার প্রতিরোধেও এটি প্রয়োজনীয়।

● পেয়ারা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। তাই পেয়ারা মৌসুমে প্রতিদিন এই ফল খাওয়া উচিত।

● চোখের জন্য ভালো, পেটের জন্য উপকারী একটি ফল পেয়ারা।

● পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন এ। তাই পেয়ারা খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। রাতকানা রোগ থেকে বাঁচায়।

● উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেয়ারা বেশ কাজে দেয়।

● বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ চোখে ছানি, আর্থ্রাইটিস বা হাঁটুব্যথা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

আপেলআপেলআপেল

● শরীরে রোগ প্রতিরোধক বৃদ্ধি পায়।

● আপেলে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। এটি খেলে ভিটামিন এ এবং সি-জনিত রোগ প্রতিরোধ হয়।

● এতে রয়েছে শর্করা, ভিটামিন, খনিজ লবণ, আঁশ, পেকটিন ও ম্যালিক অ্যাসিড। এ উপকরণগুলো শরীর গঠনে সাহায্য করে।

● ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে আপেল।

● আপেল খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।

● যাঁরা মেদ কমিয়ে ওজন কমাতে চান, তাঁরা আপেল খেতে পারেন। আপেল খেলে মেদ জমে না।

● আপেলের রস দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। একই সঙ্গে এটি দাঁতের মাড়ির জন্য উপকারী। ফলে আপেল খেলে দাঁত ভালো থাকে।

● প্রতিদিন খেলে হজমক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এ ফল হজম-সহায়ক ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে পেটে।

● আপেলে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বোরন, যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে।

গ্রন্থনা: তারিকুর রহমান খান

18
In July, the American Red Cross declared an emergency blood shortage - it simply wasn't receiving enough donations to help all the patients that needed blood.

Now, researchers from the University of British Columbia may have found a way to address the problem, even if people aren't donating more: convert a less-usable blood type into one that anyone can receive.

They presented their research on Tuesday at a meeting of the American Chemical Society.

Blood types are different because of the sugars on the surface of the red blood cells the body creates. Type A has one type of sugar and Type B has another; Type AB has both sugars. Type O doesn't have any sugars.

If a person receives a blood transfusion of a blood type that's not their own, their immune system will attack and kill the donated blood cells.

For example, a person with Type A blood could never receive a Type B donation because their system would simply reject the new blood because the sugars aren't quite right.

Because Type O blood doesn't carry any sugars, anyone can receive it - it's the universally accepted blood type and, therefore, highly desirable.

In the past, researchers figured out that certain enzymes (molecules that cause chemical reactions) could remove the sugars from A, B, and AB blood cells, converting them into the more useful Type O.

However, as researcher Stephen Withers noted in a press release, they hadn't yet discovered an enzyme that was efficient, safe, and economical. Their search for that enzyme took them into the human gut.

Withers and his team already knew that the lining of the digestive tract contained the same sugars found on blood cells, and that bacterial enzymes within human feces stripped those sugars from the lining to power digestion.

Using this knowledge, the researchers were able to isolate an enzyme that strips the sugars from A and B blood types, transforming them into Type O 30 times more efficiently than any previously discovered enzyme.

For now the researchers are double-checking their findings. The next step would then be to test the enzyme in a clinical setting, which will help determine if the conversion process produces any unintended consequences.

All that extra testing could still take some time. But Withers is optimistic that his team's enzyme could be just the breakthrough we need to ensure anyone who needs a blood donation in the future will be able to receive one.

Source: https://www.sciencealert.com/a-weird-enzyme-in-our-gut-could-help-increase-our-blood-supply-red-cross-blood-donation?perpetual=yes&limitstart=1

19
Researchers have identified a brand new 'micro-organ' inside the immune system of mice and humans – the first discovery of its kind for decades – and it could put scientists on the path to developing more effective vaccines in the future.

Vaccines are based on centuries of research showing that once the body has encountered a specific type of infection, it's better able to defend against it next time. And this new research suggests this new micro-organ could be key to how our body 'remembers' immunity.

The researchers from the Garvan Institute of Medical Research in Australia spotted thin, flat structures on top of the immune system's lymph nodes in mice, which they've dubbed "subcapsular proliferative foci" (or SPFs for short).

These SPFs appear to work like biological headquarters for planning a counter-attack to infection.

lymph node spf 2Immune cells gathering at the SPF, with the purple band showing the SPF surface. (Imogen Moran/Tri Phan)

These SPFs only appear when the mice immune systems are fighting off infections that have been encountered before.

What's more, the researchers detected SPFs in human lymph nodes too, suggesting our bodies react in the same way.

"When you're fighting bacteria that can double in number every 20 to 30 minutes, every moment matters," says senior researcher Tri Phan. "To put it bluntly, if your immune system takes too long to assemble the tools to fight the infection, you die."

"This is why vaccines are so important. Vaccination trains the immune system, so that it can make antibodies very rapidly when an infection reappears. Until now we didn't know how and where this happened."

Traditional microscopy approaches analyse thin 2D slices of tissue, and the researchers think that's why SPFs haven't been spotted before – they themselves are very thin, and they only appear temporarily.

In this case the team made the equivalent of a 3D movie of the immune system in action, which revealed the collection of many different types of immune cell in these SPFs. The researchers describe them as a "one-stop shop" for fighting off remembered infections, and fighting them quickly.

Crucially, the collection of immune cells spotted by the researchers included Memory B type cells – cells which tell the immune system how to fight off a particular infection. Memory B cells then turn into plasma cells to produce antibodies and do the actual work of tackling the threat.

"It was exciting to see the memory B cells being activated and clustering in this new structure that had never been seen before," says one of the team, Imogen Moran.

"We could see them moving around, interacting with all these other immune cells and turning into plasma cells before our eyes."

According to the researchers, the positioning of the SPF structures on top of lymph nodes makes them perfectly positioned for fighting off infections – and fast.

They're strategically placed at points where bacteria would invade, and contain all the ingredients required to keep the infection at bay.

Now we know how the body does it, we might be able to improve vaccine techniques – vaccines currently focus on making memory B cells, but this study suggests the process could be made more efficient by also looking at how they transform into plasma cells through the inner workings of an SPF.

"So this is a structure that's been there all along, but no one's actually seen it yet, because they haven't had the right tools," says Phan.

"It's a remarkable reminder that there are still mysteries hidden within the body – even though we scientists have been looking at the body's tissues through the microscope for over 300 years."

Source:https://www.sciencealert.com/researchers-identify-new-lymph-node-structures-powering-immunity?perpetual=yes&limitstart=1

20
Inorganic Pharmacy / Topical Applications & Agents
« on: August 08, 2018, 10:28:27 AM »
Source:

21
Source:

22
Pharmaceutical Microbiology / Bacterial growth curve
« on: August 08, 2018, 10:14:53 AM »
Source:

23
Link:

24
কংক্রিটের জঞ্জালে শুধু সবুজের ছোঁয়া নয়, রোগ নিরাময় করতে পারে এরকম কিছু গাছ রাখুন ঘরে।

উদ্ভিদবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে এইসব ঔষধি গাছ নিয়ে বাগানবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে কয়েকটি গাছের গুণাগুণ জানানো হল।

অ্যালো ভেরা:  এটা বাতাস পরিশোধক এবং এর জেল রোদপোড়াভাব, ব্রণ, ত্বকের জ্বালা এবং শুষ্কতা দূর করার সহায়ক। অ্যালো ভেরা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্ষত ভালো করতে সাহায্য করে।

পুদিনা: সবচেয়ে নিরাপদ, প্রাকৃতিক জীবাণু ও ব্যাক্টেরিয়া রোধী গাছ। মাথাব্যথা, ত্বকের জ্বলুনি, পেট ফাঁপা, পেটের অস্বস্তি এবং হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, পুদিনার ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস রোধী উপাদানের জন্য এর তেল ত্বকের কোষ ক্ষয় পূরণ করতে সাহায্য করে। এটা ত্বকের যে কোনো ধরনের সমস্যা দূর করতে, ত্বক ঠাণ্ডা রাখতে ও খুশকি দূর করতে সহায়ক। তাছাড়া এই তেল চুলের বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। 

রোজমেরি: শত বছর ধরে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, পেশির ব্যথা দূর করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যাসিড।

ল্যাভেন্ডার: এটা অন্যতম নিরাময়ক গাছ যা সবার ঘরেই থাকা আবশ্যক। এটা চাপ দূর করতে, মন ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং এর সুগন্ধ আরামে ঘুমাতে, ত্বকের অস্বস্তি ও খুশকি দূর করতে, চুল পড়া কমাতে এবং পেটের সব ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

তুলসি: অনেকেই এটাকে পবিত্র গাছ মনে করেন। প্রাচীনকালে বিষাক্ত বৃশ্চিকের বিষ কমাতে এই পাতা ব্যবহার করা হত। প্রাচীন রোমে রোগ প্রতিকারক হিসেবে ব্যবহৃত হত এই গাছ।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে বলা হয়, তুলসি-পাতা নানান গুণাগুণের জন্য পরিচিত। এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো কাজ করে, ক্যান্সার দূর রাখতে সাহায্য করে, ব্যথানাশক, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে, যকৃত সুরক্ষিত রাখে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং চাপ দূর করতেও সাহায্য করে।

25
দিনের শুরু যদি হয় খালি পেটে তবে নিজের অজান্তেই ক্ষতি করছেন।

সময়ের অভাব, নাস্তা বানিয়ে দেওয়ার মানুষ নেই, সকালে খেতে পারি না কিংবা ওজন কমানো ইত্যাদি বিভিন্ন অজুহাতে দিনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার ‘সকালের নাস্তা’ বাদ দিয়ে থাকলে নানান শারীরিক জটিলতায় পড়তে পারেন।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ‘প্রাতরাশ’ বাদ দেওয়ার পরিণাম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হল।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি: সকালের নাস্তা না খাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুযায়ী, যেসব নারী সকালে নাস্তা করেন না, তাদের টাইপ টু ডায়বেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে ২০ শতাংশ। এর কারণ হল, সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার সঙ্গে শরীরের শর্করা সহ্যক্ষমতা কমে যাওয়া, প্রি-ডায়াবেটিস ও ডায়াবেটিস সম্পর্কযুক্ত।

ওজন বাড়ে: অনেকেই ওজন কমানোর জন্য একবেলা না খেয়ে থাকেন, আর বেশিরভাগ সময় সেই বেলাটা হয় সকাল। মজার বিষয় হল, এই সকালের নাস্তা বাদ দেওয়ার কারণেই তার ওজন কমে না, উল্টা বাড়ে। কারণ, সকালে না খেয়ে থাকার কারণে দুপুরবেলা ক্ষুধা বেশি লাগে। ফলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে। আর একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা সকালে নাস্তা খান, তারা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে পারেন।

বিপাকীয় জটিলতা: সকালের নাস্তা না খাওয়ার কারণে বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়। যে কোনো এক বেলার খাবার বাদ দিলে তা শরীরের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিরূপ প্র্রভাব ফেলে। বিপাক ক্রিয়ার গতি কমানোর মাধ্যমে ক্যালরির ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে। তাই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে তা শরীরের ক্যালরি পোড়ানোর ক্ষমতা কমাবে।

ক্ষুধার প্রভাব: দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকালে অল্পতেই রেগে যাওয়া, মেজাজ গরম থাকা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসকল পুরুষ নিয়মিত সকালে নাস্তা খান, তাদের মন-মেজাজ থাকে ফুরফুরে ও ইতিবাচক। আবার সকালের নাস্তা না করলে শরীরের শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। ফলাফল হতে পারে অকারণ বিরক্তি, অবসাদ কিংবা মাথাব্যথা।

মুখে দুর্গন্ধ: একবেলা না খেয়ে থাকা সামাজিক জীবনের জন্যেও ক্ষতিকর হতে পারে। সকালের নাস্তা না খাওয়া বা অনেক্ষণ না খেয়ে থাকলে মুখে বাজে গন্ধ হতে পারে। এর কারণ হল, খাওয়ার মাধ্যমে মুখে লালারস তৈরির প্রক্রিয়া উজ্জীবিত হয়, যা জিহ্বা থেকে ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করে। না খেয়ে থাকলে এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে থাকে।

26
WHO’s first release of surveillance data on antibiotic resistance reveals high levels of resistance to a number of serious bacterial infections in both high- and low-income countries.

WHO’s new Global Antimicrobial Surveillance System (GLASS) reveals widespread occurrence of antibiotic resistance among 500 000 people with suspected bacterial infections across 22 countries.

The most commonly reported resistant bacteria were Escherichia coli, Klebsiella pneumoniae, Staphylococcus aureus, and Streptococcus pneumoniae, followed by Salmonella spp. The system does not include data on resistance of Mycobacterium tuberculosis, which causes tuberculosis (TB), as WHO has been tracking it since 1994 and providing annual updates in the Global tuberculosis report.

Among patients with suspected bloodstream infection, the proportion that had bacteria resistant to at least one of the most commonly used antibiotics ranged tremendously between different countries – from zero to 82%. Resistance to penicillin – the medicine used for decades worldwide to treat pneumonia – ranged from zero to 51% among reporting countries. And between 8% to 65% of E. coli associated with urinary tract infections presented resistance to ciprofloxacin, an antibiotic commonly used to treat this condition.

“The report confirms the serious situation of antibiotic resistance worldwide,” says Dr Marc Sprenger, director of WHO’s Antimicrobial Resistance Secretariat.

“Some of the world’s most common – and potentially most dangerous – infections are proving drug-resistant,” adds Sprenger. “And most worrying of all, pathogens don’t respect national borders. That’s why WHO is encouraging all countries to set up good surveillance systems for detecting drug resistance that can provide data to this global system.”

To date, 52 countries (25 high-income, 20 middle-income and 7 low-income countries) are enrolled in WHO’s Global Antimicrobial Surveillance System. For the first report, 40 countries provided information about their national surveillance systems and 22 countries also provided data on levels of antibiotic resistance.

“The report is a vital first step towards improving our understanding of the extent of antimicrobial resistance. Surveillance is in its infancy, but it is vital to develop it if we are to anticipate and tackle one of the biggest threats to global public health,” says Dr Carmem Pessoa-Silva, who coordinates the new surveillance system at WHO.

Data presented in this first GLASS report vary widely in quality and completeness. Some countries face major challenges in building their national surveillance systems, including a lack of personnel, funds and infrastructure.

However, WHO is supporting more countries to set up national antimicrobial resistance surveillance systems that can produce reliable, meaningful data. GLASS is helping to standardize the way that countries collect data and enable a more complete picture about antimicrobial resistance patterns and trends.

Solid drug resistance surveillance programmes in TB, HIV and malaria have been functioning for many years and have helped estimate disease burden, plan diagnostic and treatment services, monitor the effectiveness of control interventions, and design effective treatment regimens to address and prevent future resistance. GLASS is expected to perform a similar function for common bacterial pathogens.

The rollout of GLASS is already making a difference in many countries. For example, Kenya has enhanced the development of its national antimicrobial resistance system; Tunisia started to aggregate data on antimicrobial resistance at national level; the Republic of Korea completely revised its national surveillance system to align with the GLASS methodology, providing data of very high quality and completeness; and countries such as Afghanistan or Cambodia that face major structural challenges have enrolled in the system and are using the GLASS framework as an opportunity for strengthening their AMR surveillance capacities. In general, national participation in GLASS is seen as a sign of growing political commitment to support global efforts to control antimicrobial resistance.
Source:http://www.who.int/news-room/detail/29-01-2018-high-levels-of-antibiotic-resistance-found-worldwide-new-data-shows

27
Anatomy & Physiology / Human Development in The Womb
« on: July 23, 2018, 03:43:07 PM »

28
Pharmacy / হিট স্ট্রোক
« on: July 22, 2018, 04:14:56 PM »
#হিট স্ট্রোক কী?
গরমের সময়ের একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিট স্ট্রোক। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিট স্ট্রোক বলে।
স্বাভাবিক অবস্থায় রক্ত দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কোনো কারণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ত্বকের রক্তনালি প্রসারিত হয় এবং অতিরিক্ত তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে দেয়। প্রয়োজনে ঘামের মাধ্যমেও শরীরের তাপ কমে যায়। কিন্তু প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্র পরিবেশে বেশি সময় অবস্থান বা পরিশ্রম করলে তাপ নিয়ন্ত্রণ আর সম্ভব হয় না। এতে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যায় এবং হিট স্ট্রোক দেখা দেয়।

হিট স্ট্রোক কাদের বেশি হয়?
প্রচণ্ড গরমে ও আর্দ্রতায় যে কারও হিট স্ট্রোক হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন—
* শিশু ও বৃদ্ধদের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম থাকায় হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ ছাড়া বয়স্ক ব্যক্তিরা যেহেতু প্রায়ই বিভিন্ন রোগে ভোগেন কিংবা নানা ওষুধ সেবন করেন, যা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
* যাঁরা দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদে কায়িক পরিশ্রম করেন, তাঁদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। যেমন কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক।
* শরীরে পানিস্বল্পতা হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
* কিছু কিছু ওষুধ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বিশেষ করে প্রস্রাব বাড়ানোর ওষুধ, বিষণ্নতার ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ ইত্যাদি।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো কী?
তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহে নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে হিট স্ট্রোকের আগে অপেক্ষাকৃত কম মারাত্মক হিট ক্র্যাম্প অথবা হিট এক্সহসশন হতে পারে। হিট ক্র্যাম্পে শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল লাগে এবং প্রচণ্ড পিপাসা পায়। এর পরের ধাপে হিট এক্সহসশনে দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব, অসংলগ্ন আচরণ ইত্যাদি দেখা দেয়। এই দুই ক্ষেত্রেই শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ঠিক থাকে এবং শরীর অত্যন্ত ঘামতে থাকে। এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। এর লক্ষণ গুলো হলো—
* শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত ১০৫ ডিগ্রিº ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়।
* ঘাম বন্ধ হয়ে যায়।
* ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যায়।
* নিশ্বাস দ্রুত হয়।
* নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত হয়।
* রক্তচাপ কমে যায়।
* খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক আচরণ, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্নতা ইত্যাদি।
* প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।
* রোগী শকেও চলে যায়। এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

প্রতিরোধের উপায় কী?
গরমের দিনে কিছু সতর্কতা মেনে চললে হিট স্ট্রোকের বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়। এগুলো হলো—
* হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। সুতি কাপড় হলে ভালো।
* যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন।
* বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করুন।
* বাইরে যাঁরা কাজকর্মে নিয়োজিত থাকেন, তাঁরা মাথায় ছাতা বা মাথা ঢাকার জন্য কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন।
* প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন। মনে রাখবেন, গরমে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ দুই-ই বের হয়ে যায়। তাই পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানীয় যেমন-খাবার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি ইত্যাদিও পান করতে হবে। পানি অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে।
* তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন-চা ও কফি যথাসম্ভব কম পান করা উচিত।
* রোদের মধ্যে শ্রমসাধ্য কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এসব কাজ সম্ভব হলে রাতে বা খুব সকালে করুন। যদি দিনে করতেই হয়, তবে কিছুক্ষণ পরপর বিশ্রাম নিতে হবে ও প্রচুর পানি ও স্যালাইন পান করতে হবে।

আক্রান্ত হলে কী করণীয়?
প্রাথমিকভাবে হিট স্ট্রোকের আগে যখন হিট ক্র্যাম্প বা হিট এক্সহসশন দেখা দেয়, তখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি নিজেই যা করতে পারেন তা হলো—
* দ্রুত শীতল কোনো স্থানে চলে যান। যদি সম্ভব হয়, ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিন।
* ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে ফেলুন। সম্ভব হলে গোসল করুন।
* প্রচুর পানি ও খাবার স্যালাইন পান করুন। চা বা কফি পান করবেন না।

কিন্তু যদি হিট স্ট্রোক হয়েই যায়, তবে রোগীকে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, ঘরে চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে রোগীর আশপাশে যাঁরা থাকবেন তাঁদের করণীয় হলো—
* রোগীকে দ্রুত শীতল স্থানে নিয়ে যান।
* তাঁর কাপড় খুলে দিন।
* শরীর পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে বাতাস করুন। এভাবে তাপমাত্রা কমাতে থাকুন।
* সম্ভব হলে কাঁধে, বগলে ও কুচকিতে বরফ দিন।
* রোগীর জ্ঞান থাকলে তাঁকে খাবার স্যালাইন দিন।
* দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
* সব সময় খেয়াল রাখবেন হিট স্ট্রোকে অজ্ঞান রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস এবং নাড়ি চলছে কি না। প্রয়োজন হলে কৃত্রিমভাবে নিশ্বাস ও নাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হতে পারে।
হিট স্ট্রোকে জীবন বিপদাপন্ন হতে পারে। তাই এই গরমে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে এর থেকে বেঁচে থাকা উচিত।

29
Inorganic Pharmacy / How do antacids works?
« on: July 19, 2018, 03:34:23 PM »

30
Inorganic Pharmacy / Preparation of antacid
« on: July 19, 2018, 03:28:44 PM »
Aluminium hydroxide gel preparation:


Pages: 1 [2] 3 4