Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - MD. ABDUR ROUF

Pages: 1 2 [3] 4 5 6
31
Managerial Accounting / Re: Cost Volume Profit (CVP) Analysis
« on: July 22, 2018, 05:10:57 PM »
Congrats

32
Elements of a product costs / Manufacturing costs:   
The cost elements of a product are direct materials, direct labor and factory overhead.
(a) Materials
Materials are the principal substances used in production that are transformed into finished goods by the addition of direct labor and factory overhead. Material costs may be divided into direct and indirect materials as follows:
(i) Direct materials
Direct materials are those materials, which can be identified with the production of a finished product, which can be easily traced to the product. For example-cloth in dress making, bricks in building a house.
 (ii) Indirect materials
Indirect materials are those, which are not directly related to the production or manufacture.

(b)Labor
Labor is the physical or mental effort expended in the production of a product.
(i)Direct labor
Direct labors are reserved for those labor costs that can be physically and conveniently traced to individual units of product. For example-cost of machine operators
(ii)Indirect labor
Indirect labors are those labor costs that can not be physically and conveniently traced to individual units of product. For example-night security guards

(c)Factory Overhead
Factory overhead includes all costs of manufacturing except direct materials and direct labors. Such as indirect material, indirect labor, heat & light, property tax, depreciation.

33
Managerial Accounting / Cost and expense
« on: July 14, 2018, 06:11:15 PM »
 
Cost: Cost is the total value of the sacrifice mode to acquire goods or services.
Expense: Expense is the value of the sacrifice mode for usesing goods or services, measured in monetary units by the reduction of asset.
Example- purchases a furniture Tk.20,000 for 10 years. Here, cost is Tk.20,000 total value of furniture and per year depreciation is expense Tk.2000.   

34
Financial Accounting / Accounting as a language of Business
« on: July 14, 2018, 06:08:27 PM »
Language is a media of communication process of transmitting information from one person to another person, one person to another business, one business to another person that may take several different forms-Oral, written or nonverbal.
   Accounting is an information system of identifying, recording and communicating the economic events of a business organization to interested users.
   So easily we can say that accounting as a language of Business.

35
Business Administration / Stakeholder theory
« on: April 22, 2018, 09:40:54 AM »
Stakeholder theory is that an organization can enhance the interest of its stockholders without damaging the interests of its wider stakeholders. Two types of stakeholders (a) internal Stakeholders: such as owners, manager employees, customers and (b)external Stakeholders such as supplies, customers, shareholders, creditors, government, society.

36
Business Administration / The legitimacy theory
« on: April 22, 2018, 09:40:21 AM »
The legitimacy theory is based on the notion of a social contract that exists between the organization and society. Companies operate under the rules and limits of the societies in which they operate. Thus, the companies will have to be sure that its activities are in agreement, or are perceived as being in agreement, with the norms and values of the society, to prevent the disruption of the contract.

37
Business Administration / Signaling theory
« on: April 22, 2018, 09:39:19 AM »
Signaling theory transmits signals to the market about the performance of company. If the good performance of the company, Signaling theory provides good signal to the market. On the other hand, if the bad performance of the company, Signaling theory provides bad signal to the market.

38
Business Administration / An agency theory
« on: April 22, 2018, 09:35:15 AM »
An agency theory is relationship as “a contract under which one or more persons (the principals) engage another person (the agent) to perform some service on their behalf which involves delegating some decision making authority to the agent”.

39
পত্রিকায় পড়লাম- দেশের দুই মেধাবী ছেলে ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে গিয়েছে এই বছর। তো, এই দুই ছেলের একজনের এইচএসসির জিপিএ হচ্ছে ৪.৫০, আরেকজনের হচ্ছে ৪.৫৭। আমি মোটামুটি নিশ্চিত কম মার্কসের কারনে এই দুইজনের কারো পক্ষেই হয়তো দেশের
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেয়াই সম্ভব হয়নি। অথচ এই দুই ছেলে'ই পৃথিবীর সব চাইতে নামকরা এবং ভালো বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একটি'তে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে চলে গেছে। আরো ব্যাপার আছে। আপনাদের নিশ্চয় জানা আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হবার জন্য চারটা ফার্স্ট ক্লাস থাকতেই হবে, এমন একটা
নিয়ম চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ কারো এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট যদি খারাপ থাকে, সেই ছাত্রই যদি এরপর অনার্স এবং মাস্টার্সে ফার্স্ট হয়ে বসে থাকে, কোন লাভ নেই! সে শিক্ষক হবার আবেদন'ই করতে পারবে না! শুধু তাই না, ধরুন আপনি অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ কিংবা হার্ভার্ড থেকে অনেক ভালো
রেজাল্ট নিয়ে পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলেন, কিন্তু দেখা গেলো আপনার এসএসসি কিংবা এইচএসসি'র কোন একটাতে প্রথম বিভাগ নেই; তাহলেও আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার জন্য আবেদন করতে পারবেন না! তাহলে কারা শিক্ষক হচ্ছে? কিছুদিন আগে পত্রিকার খবর'টা নিশ্চয়
আপনাদের সবার'ই জানা আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক অন্যের গবেষণা নিজেদের বলে চালিয়ে দিয়ে সেটা প্রকাশও করে ফেলছিলো! এটা অবশ্য'ই এক ধরনের চুরি! তাহলে তারা এমন চুরি কেন করছিলো? এর প্রথম কারন হচ্ছে, এরা এভাবে চুরি করতে করতেই শিক্ষক হয়ে গিয়েছেন! হয় শিক্ষকদের
বাজার করে দিয়ে, পেছনে পেছনে ঘুরে কিংবা রাজনীতি করে কিংবা অন্য অনেক উপায়ে। বলছি না, সবাই এই উপায়ে শিক্ষক হচ্ছে, তবে বেশিরভাগই এই উপায়ে শিক্ষক হচ্ছেন।
শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ক্ষেত্রেই ব্যাপার গুলো অনেকটা এই রকম! এরা কিন্তু সবাই ফার্স্ট ক্লাস পেয়েই শিক্ষক হচ্ছেন। আপনারা আবার ভেবে বসবেন না, এদের রেজাল্ট খারাপ! এদের সবার রেজাল্ট'ই ভালো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এরা ভালো রেজাল্ট কিভাবে করছে? আমি মোটামুটি নিশ্চিত সবার এই বিষয়ে কম বেশি জানা আছে। আরেকটা কারন অবশ্য আছে। আমার কি ধারনা জানেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেই শিক্ষক
গুলো অন্যের লেখা নিজের বলে চালিয়ে দিয়েছেন; এরা জানেই না কিভাবে গবেষণা রিপোর্ট লিখতে হয়। কারন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে একাডেমীক রাইটিং কিংবা কিভাবে সাইট করতে হয় বা একটা পেপার(সায়েন্টিফিক) কিভাবে লিখতে হয় সেটা শেখানো হয় না। তাই এরাও এইসবের কিছুই জানে না!
অথচ গিয়ে দেখুন পৃথিবীর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষেই এইসব শেখানো হয়! আর আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স, মাস্টার্স করা এবং শিক্ষক হয়ে যাওয়া বেশিরভাগ লোকজনই জানে না একটা একাডেমীক পেপার কিভাবে লিখতে হয়! তো এই হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ! এদের কাছ থেকে আসলে বেশি কিছু আশা করা নির্ঘাত বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক'রা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় - চারটা ফার্স্ট ক্লাস না
থাকলে শিক্ষক হওয়া যাবে না, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক'দের চিন্তা শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়! আমি আমার ইউরোপিয়ান এক সহকর্মীকে এই ব্যাপারটা
বলেছিলাম। সে আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলছিলো -স্কুলের রেজাল্ট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কি করবে? তোমাদের শিক্ষকরা এই ধরনের সিদ্ধান্ত কি করে নিলো? যেই ছেলেপেলেরা অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজে পড়াশুনা করতে চলে যেতে পারছে, সেখানে শিক্ষকও হয়ে যেতে পারছে; সেই ছেলেপেলেরা'ই নিজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদন পর্যন্ত করতে পারছে না স্রেফ কিছু নির্বোধ শিক্ষক এবং তাদের সিদ্ধান্তের জন্য।
একটা দেশের মেধার চর্চা'কে পুরোপুরি ডুবিয়ে দেয়ার দায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়'কে নিতেই হবে। কারন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেশের বাদ বাকী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো অনুসরণ করে।

40
স্টাফ রিপোর্টার | ২ অক্টোবর ২০১৬, রবিবার | সর্বশেষ আপডেট: ১০:২২
অবশেষে উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-১৬’ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। এই আইস পাস হলে উচ্চশিক্ষার সব নিয়ন্ত্রণ যাবে কাউন্সিলের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ও কার্যক্রম সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করবে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু তাই নয়, স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সনদ দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিংও প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া কোনো প্রকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৯ সদস্য নিয়ে গঠন করা হবে এ কাউন্সিল। ২৫ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য পদ দেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদে পাস করার জন্য আগামী সপ্তাহে পাঠানো হবে বলে শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। খসড়া আইন অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম, কারিকুলাম এবং কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ করবে কাউন্সিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন এবং গুণগতমানও নিশ্চিত করবে কাউন্সিল। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বা বিভাগ খোলার জন্য কাউন্সিলের কাছে আবেদন করতে হবে। কাউন্সিলের সদস্যরা সরজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেবে। পরে কাউন্সিল অনুমোদন দেবে। অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানকে একটি সনদ দেয়া হবে। সনদের যোগ্যতা নির্ধারণ করবে গঠিত কাউন্সিল। শর্ত ভঙ্গ করলে সনদ বাতিল করা হবে। কাউন্সিলকে সরকারের কাছে প্রত্যেক আর্থিক বছরের ৩০শে জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে, সনদের আবেদন প্রক্রিয়া, আবেদন মঞ্জুর ও নামঞ্জুর, অ্যাক্রেডিটেশন সনদের বৈধতা, সনদের উপর শর্তারোপ, অডিট ও অ্যাসেসমেন্ট এবং সনদ বাতিল আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের সনদ বাতিল করা হলে তারা রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিল একটি কমিটি গঠন করে বিবেচনা করবে। কাউন্সিল একটি রেজিস্টারে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক প্রোগ্রাম, প্রতিষ্ঠানের অ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করবে। রেজিস্টার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। রেজিস্টারের তথ্য কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। কাউন্সিলের আইন বিষয়ে বলা হয়েছে, অ্যাক্রেডিটেশন সনদ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞপ্তি বা তথ্য নির্দেশিকার প্রকাশ করতে পারবে না। কোনো সনদও দিতে পারবে না। কাউন্সিলের সদস্যরা কোনো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে কোনো তথ্য গোপন করতে পারবে না। ভুল তথ্য দিলে সনদ বাতিল করা হবে। কাউন্সিল গঠন সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে, গুণগত শিক্ষা সম্পর্কে অভিজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ২৫ বছর শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ এবং ১০ বছর অধ্যাপক হিসেবে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কমিশনের চেয়ারম্যান করা হবে। কমিশনের খণ্ডকালীন ৮ জন সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন পূর্ণকালীন সদস্য, অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সরকারের একজন প্রতিনিধি, এসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অথবা তার প্রতিনিধি, বিদেশি কোনো স্বীকৃত কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন সংস্থার একজন বিশেষজ্ঞ, পেশাজীবী সংস্থার একজন প্রতিনিধি, সরকার কর্তৃক ফেডারেশন অব চেম্বার্সের একজন বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা, সরকার কর্তৃক মনোনীত শিক্ষা প্রশাসনে অভিজ্ঞ একজন শিক্ষানুরাগী, সরকার কর্তৃক মনোনীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ একজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা সদস্য হতে পারবেন। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-১৬’ খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদনের জন্য আগামী মঙ্গলবার পাঠানো হবে। তিনি আরো বলেন, এর আগে মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের পর আইন পাসের জন্য সংসদে পাঠানো হয়েছিল। সংসদ সদস্যরা আইনের কিছু ধারায় সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠান। তাদের সুপারিশ আইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর পর আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং শেষে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে।

41
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন শিক্ষক নীতিমালা হচ্ছে
এক্সক্লুসিভ
স্টাফ রিপোর্টার | ১৬ এপ্রিল ২০১৭, রবিবার | সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩৬


উচ্চ শিক্ষার মান বাড়ানো ও সমুন্নত রাখতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। দেড় যুগ পর এটি চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। শিক্ষক রাজনীতি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদিচ্ছার কারণে এতো বছর আটকে থাকার পর শিগগিরই প্রজ্ঞাপনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। গত সপ্তাহে ইউজিসির অডিটোরিয়ামে এক বৈঠকে এটি প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভিসি পর্যায়ে আরেকটি বৈঠকে তা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর প্রজ্ঞাপন জারির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এর আগে অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এই নীতিমালা হলেও শিক্ষক নিয়োগের বাণিজ্য, দৌরাত্ম্য, পদোন্নতি জটিলতা, লেজুড়ভিত্তিক শিক্ষক রাজনীতির প্রভাব কমাসহ শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা আসবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের সমন্বিত কোনো নীতিমালা নেই। ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানও সমান নয় এবং ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বৈষম্য বিরাজমান। এ বৈষম্য দূর করতে ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নে নীতিমালা করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠায়। ইউজিসি সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে বৈঠকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মতামত নেয়া হয়েছে। এখন ভিসিদের ডাকা হবে। তাদের মতামত নেয়ার পর এ নীতিমালা চূড়ান্ত করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় তা কেবিনেটের অনুমোদনের জন্য পাঠাবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলে তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশে বর্তমানে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, এই অভিন্ন নীতিমালা করার ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার মান বজায় রাখতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের একই মানে উন্নীতকরণের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। এটা হলে চূড়ান্তভাবে শিক্ষার মানই উন্নত হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের মধ্যে  বৈষম্যও দূর হবে।
জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে প্রথম এই উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০০২ এবং ২০০৪ সালে অভিন্ন নিয়োগ নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত হয়। পরে ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও একবার এই উদ্যোগ নেয়া হয়। এর মাঝখানে  চার, পাঁচ বছর পর পর কখনো নতুন শিক্ষামন্ত্রী অথবা ইউজিসির নতুন চেয়ারম্যান উদ্যোগ নেন। কমিটি করেন নতুন নতুন প্রস্তাব আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৮ম পে-স্কেলে শিক্ষককের বেতন-ভাতা নিয়ে জটিলতার পর প্রধানমন্ত্রী তা সমাধান করতে অভিন্ন নীতিমালা করার কথা বলেন। এরপর ইউজিসি এটি দ্রুত করতে উদ্যোগ নেয়। অভিন্ন নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বছর। আবার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ১১ বছরেই অধ্যাপক হয়ে যায়। কোথাও প্রভাষক পদে যোগ দিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে প্রথম শ্রেণি বাধ্যতামূলক। আবার কোথাও যে কোনো একটিতে প্রথম শ্রেণি থাকলেই চলে। স্বায়ত্তশাসিত চারটি বড় ও পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় সবচাইতে বেশি সুবিধা ভোগ করে থাকে। এই অভিন্ন নীতিমালা হলে তা বন্ধ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় বেতন স্কেলে  বৈষম্যের প্রতিবাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের  বৈঠকে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে বৈষম্যের বিষয়টি সরকারের নজরে আসে। তখনই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে একটি মানসম্মত অভিন্ন নীতিমালা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। মন্ত্রণালয় ইউজিসিকে এ দায়িত্ব দেয়। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ আলী মোল্লাকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. শাহ নওয়াজ আলি, প্রফেসর ড. দিল আফরোজা খানম ও প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন এবং ইউজিসি সচিব ড. মোহাম্মদ খালেদ। এ কমিটির সদস্য সচিব ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক খন্দকার হামিদুর রহমান।
নীতিমালা কমিটি কয়েকটি সভায় বসে একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। প্রণীত এ খসড়ায় বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষকের পিএইচডি বা সমমানের উচ্চতর ডিগ্রি থাকবে, তারা প্রভাষক থেকে সহযোগী অধ্যাপক এবং স্বীকৃত জার্নালে ১৪টি প্রকাশনা থাকলে চাকরির ১৬ বছরে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। এমফিল বা পিএইচডি ডিগ্রি না থাকলে ১৮ বছরে একজন শিক্ষক অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। পদ থাকলে সরাসরি ১৬ বছরে নিয়োগ পাবেন অধ্যাপক হিসেবে। আর পদশূন্য না থাকলে পদোন্নয়নের মাধ্যমে ১৮ বছরে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। নতুন খসড়া নীতিমালায় বলা হয়, প্রভাষক পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে একজন শিক্ষককে কমপক্ষে তিন বছরের ক্লাসরুম শিক্ষকতা এবং স্বীকৃত জার্নালে কমপক্ষে দুটি গবেষণা প্রবন্ধ থাকতে হবে। একইভাবে, সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে একজন শিক্ষককে কমপক্ষে সাত বছরের ক্লাসরুম শিক্ষকতা এবং স্বীকৃত জার্নালে কমপক্ষে তিনটি গবেষণা প্রবন্ধ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে এমফিল বা পিএইচডি ডিগ্রি থাকলে সাত বছরে, আর না থাকলে চাকরির নয় বছরে একজন শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির যোগ্য হবেন। এরপর পরবর্তী পদোন্নতি অর্থাৎ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে একজন শিক্ষককে কমপক্ষে আরো আট বছর চাকরি করতে হবে।


42
নিজের পিএইচডি ডিগ্রি নেই। অথচ তিনি অন্যের পিএইচডি গবেষণার তত্ত্বাবধান করছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন এমন ১২ জন শিক্ষক। এর মধ্যে বাংলা বিভাগে ১ জন, ইংরেজি বিভাগে ৩ জন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগে ২ জন, অর্থনীতি বিভাগে ৩ জন, ভূগোল ও পরিবেশে ১ জন, গণিতে ২ জন। তারা কিভাবে পিএইচডি তত্ত্বাবধান করেন? এ প্রশ্নে জাবি’র ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা বিশ্বে প্রফেসররা পিএইচডি গবেষণার তত্ত্বাবধান করতে পারেন। শুধু প্রভাষক ও সহকারী প্রভাষকরা পারেন না।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকেই মিথ্যা ও ভুয়া থিসিসে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক। কিন্তু ধরা
পড়ে যাওয়ায় তার ডিগ্রি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই শিক্ষকের মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য দিয়ে জমা দেয়া গবেষণাপত্রে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছিল জাবি থেকে। ওই শিক্ষক তার থিসিসে ৮০টি দেশের ১২ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি লোকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। আর ওই সাক্ষাৎকার নিতে কয়েকজন সহকারী নিয়োগ করেছিলেন তিনি। তার দাবি, পিএইচডি একটি সংগঠিত গবেষণা প্রক্রিয়া। সেখানে সহকারী নিয়োগ করা যেতেই পারে। তবে, তদন্ত কমিটির কাছে ই-মেইলে যেসব সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তার পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। বছর দেড়েক আগের ঘটনা-একটি ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগে স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রো-ভিসিকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ। ইউজিসি এ ঘটনার তদন্ত করে। ২০১৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের একজন অধ্যাপক অনলাইনে একটি পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছিলেন অর্থনীতিতে তথা ব্যবসা প্রশাসন বিষয়ে। যদিও এ বিষয়ে তার অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি ছিল না। তিনি কেবল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা প্রশাসনের ক্লাস নেয়ার জন্য এই ডিগ্রি ব্যবহার করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নয়, রাজধানীর অলিগলিতে এখন পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া প্রতিষ্ঠান গজিয়ে উঠেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এখন পিএইচডি বাণিজ্য শুরু করেছে। এখন টাকা হলেই থিসিস ও পিএইচডি ডিগ্রি পাওয়া যায়। 
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, এক সময় পিএইচডিধারীদের দেখতে ভিড় জমাতো লোকজন। এখন তাকায়ও না। কারণ মান কমে যাওয়া। যত্রতত্র ডিগ্রি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা শুধু বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত মুনাফার উদ্দেশ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পিএইচডির তত্ত্বাবধায়ক হচ্ছেন। পরবর্তীতে তারা এদের কাছ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন এমন অভিযোগ আছে। এটি মোটেও সুখকর নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, পিএইচডি ডিগ্রির সংখ্যা শুনলে হাসি পায়। চাকরি থেকে ছুটি না নিয়েও নাকি গবেষণা করা যায়। যারা দিনে আধা ঘণ্টা সময় পায় তারা কিভাবে পিএইচডি ডিগ্রি গবেষণা করে তা হাস্যকর বিষয়। তিনি বলেন, দেশের প্রায় প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি দেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এটি বন্ধ হওয়া উচিত। 
জাহাঙ্গীরনগরে ৪ বছরে ৪৯৯ জনের ডিগ্রি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় পিএইচডি ডিগ্রির কারখানা। শীর্ষস্থানীয় আমলা, পুলিশ, সামরিক বাহিনীর অফিসারসহ সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেয়ার জন্য। হঠাৎ করে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় গত ২২শে ফেব্রুয়ারি ইউজিসির পক্ষ থেকে জাবি’র রেজিস্ট্রারের কাছে এমফিল, পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিকৃত গবেষকদের যোগ্যতা, ডিগ্রি প্রদান এবং একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে গবেষকদের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চায়। সেখানে কমিশন জাবি’র ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কমিশন বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক শর্ত শিথিল করে জাবিতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি করানো হচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে মোট ৪৯৯ জন ডিগ্রি নিয়েছেন। ডিগ্রি প্রাপ্তদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য, একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য, পুলিশের আইজি, অতিরিক্ত আইজিপি, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আমলা, ব্যাংকের কর্মকর্তা, ডাক্তার, ইউজিসির কর্মকর্তাসহ অনেকেই আছেন। তারা কেউ চাকরি থেকে ছুটি নেননি। অথচ ভর্তি নীতিমালায় পূর্ণকালীন চাকরিদাতাদের বর্তমান কর্মস্থলের নিয়োগকর্তার স্বাক্ষরিত ছুটির কাগজ দেয়া বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তারা একদিনের জন্য লাইব্রেরিতে যাননি। কিভাবে গবেষণা করেছেন তাও অজানা। তবে ডিগ্রি পেয়েছেন। সবাই নিজের নামের পাশে ‘ড.’ শব্দটি ব্যবহার করছেন দেদারছে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি) ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সকল নিয়মকানুন মেনেই পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে। তারা যেহেতু খণ্ডকালীন গবেষণা করছেন তাই তারা ছুটির পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র এনেছেন। একজন শিক্ষক তিন জনের বেশি গবেষকের তত্ত্বাবধান করতে পারেন না বলেও জানান তিনি। কিন্তু ইউজিসিকে দেয়া জাবি’র তথ্যে বলছে একজন শিক্ষক ১২ জনের বেশি গবেষককে তত্ত্বাবধান করছেন।
থিসিস মূল্যায়নে সিন্ডিকেট: গবেষকদের থিসিস দেশের বাইরের পরীক্ষকদের দিয়ে মূল্যায়নের নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় সেটি মানছে না। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো থিসিস দেশের বাইরে পাঠানো হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, দেশেই এখন পর্যাপ্ত থিসিস বহি পরীক্ষা করার মতো অভিজ্ঞ লোকজন আছে। তাছাড়া, দেশের বাইরে থিসিস পাঠানোর খরচ বেশি। এ জন্য দেশীয় পরীক্ষক দিয়ে থিসিস বহি পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এই সুযোগে তত্ত্ববধায়করা নিজের মধ্যে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে নেয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষকরা এরকম সিন্ডিকেট তৈরি করার অভিযোগ আছে। তারা আগেই সমঝোতার মাধ্যমে ঠিক করেন বহি পরীক্ষার জন্য কোন্‌ থিসিস কার কাছে যাবে।
জাবি’র রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে, লোক প্রশাসন বিভাগের একজন শিক্ষক একাই ১২ জন গবেষকের তত্ত্বাবধায়ন করেছেন। এই ১২ জনের মধ্যে বেশিরভাগ প্রভাবশালী ব্যক্তি। পুলিশের সাবেক আইজি, অতিরিক্ত আইজি, ইউজিসি’র কর্মকর্তা, আমলারা আছেন সেই তালিকায়। এই শিক্ষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে থিসিস বহি পরীক্ষা করান। তিনি নিজেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য। একই অভিযোগ, প্রত্নতত্ত্ব, বাংলা, সরকার ও রাজনীতি, ইতিহাস বিভাগের বিরুদ্ধে রয়েছে। এ ব্যাপারে জাবি’র ডেপুটি রেজিস্ট্রার বলেন, এটি সঠিক নয়। কারণ কার থিসিস বহি পরীক্ষার জন্য পরবর্তীতে কোথায় যাবে সেটি একাডেমিক কাউন্সিল নির্ধারণ করেন। ওই শিক্ষকের তেমন কিছু করার নেই।
টাকায় মিলছে থিসিস: নবীন গবেষকরা রাজধানীর নীলক্ষেতকে ইদানীং থিসিসের আঁতুরঘর হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি সকল ধরনের থিসিস এখানে পাওয়া যায়। এছাড়া, একজনের থিসিস অন্যজন হুবহু নকল করে জমা দেয়ার রেকর্ড আছে। গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের থিসিস হুবল নকল করে একজন শিক্ষক তার গবেষণা কাজে ব্যবহার করেন। পরে এটি ধরা খেলে ওই শিক্ষকের ডিগ্রি সাময়িক বাতিল করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষক ড. ফজলে খোদা সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেন, আমার পিএইচডি করতে ৫ বছর সময় লেগেছে। গবেষণা সময় দিতে গিয়ে আমি আমার পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি দুই দফা বাড়িয়েছি। কয়েক দফা থিসিস বাতিল হয়েছে। পুনরায় করতে হয়েছে। আর বাংলাদেশে নাকি অনলাইনের পিএইচডি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, পূর্ণকালীন চাকরিজীবীরা ছুটি না নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। তার মতে, পিএইচডি পর্যায়ে খণ্ডকালীন গবেষণা করা মুশকিল। এটা সম্ভব না। তারপরও বাংলাদেশে এগুলো হচ্ছে। বাংলাদেশে পিএইচডি মান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে মত তার।
টাকায় মিলছে পিএইচডি: কোনো গবেষণা ছাড়াই পাওয়া যাচ্ছে পিএইচডি। এটি অবশ্য বেসরকারি পর্যায়ে। রাজধানীতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই প্রোগ্রামে ভর্তি করান। এরকম একটি প্রতিষ্ঠান আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি। প্রতিষ্ঠান মাত্র সাড়ে ৩ লাখ টাকায় পিএইচডি ডিগ্রি দিয়ে থাকে। তাও কোন দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি নয়, আমেরিকান একটি ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি। শুনলে আশ্চর্য হওয়ার কথা। কিন্তু আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। খোদ রাজধানীর ঢাকায় বসে আমেরিকার পিএইচডি ডিগ্রি দিচ্ছেন ‘আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি না থাকলেও নামে-বেনামে ডিগ্রি দিচ্ছেন তারা। আমেরিকার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ স্ট্যাডি নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া এমফিল, পিএইচডি, অনার্স, মাস্টার্সসহ ৭ ধরনের ডিগ্রি বিক্রি করছে তারা। আর এসব ডিগ্রি ভাগিয়ে নিয়ে শিক্ষকতা পেশা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করছেন অনেকেই। দীর্ঘ দিন ধরে এই ভুয়া ডিগ্রি দিয়ে সরকার থেকে অতিরিক্ত সুবিধাও নিচ্ছেন তারা। তবে দুই দফা ইউজিসি এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে। প্রথম দফায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সেলিম ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হয়। জামিনে বের হয়ে পরবর্তীতে ঠিকানা বদলে ফের শুরু করেন এই ব্যবসা। গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশের ঝামেলার কারণে দুই মাস আগে তৃতীয় দফা তিনি তার প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা বদল করে আবার শুরু করেছেন সেই ব্যবসা। ইউজিসি তাকে আবার খুঁজছে।
ইউজিসি’র অতিরিক্ত পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) ফেরদৌস জামান মানবজমিনকে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মালিককে আমরা খুঁজছি। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন বাহিনীর কাছে তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, আমাদের নিজস্ব কৌশলে তাকে খোঁজা হচ্ছে। অভিযোগ আছে, এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের দপ্তর শাখার একজন এখান থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন। তিনি তার ডিগ্রি দেদারছে ব্যবহার করছেন। এছাড়া পুলিশ, র‌্যাব, আইনজীবী, ডাক্তার, আমলা বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা এখান থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এই প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন। একসময় তার নামের পাশে ড. ব্যবহার করলেও কিছু দিন ধরে তা আর করছেন না। ইউজিসির কর্মকর্তা বলছেন, এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ হতে ৬ হাজার লোককে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়েছে যার কোনো একাডেমিক মূল্য নেই।

44
Thanks for sharing.

45
Business Administration / Re: 10 FUN FACTS ABOUT ACCOUNTANTS
« on: March 21, 2017, 04:42:01 PM »
thanks

Pages: 1 2 [3] 4 5 6