Daffodil International University

Science & Information Technology => Science Discussion Forum => Life Science => Topic started by: arefin on June 03, 2013, 11:43:06 AM

Title: Side effects of medicines
Post by: arefin on June 03, 2013, 11:43:06 AM
কেমন আছেন সবাই ?? আজ আপনাদের জন্য দারুন একটি পোস্ট নিয়ে আসলাম ভালো লাগলে শেয়ার করবেন
কাশি হলে কে আর টাকা খরচ করে ডাক্তার দেখাতে চায় যদি দোকান থেকে এক-আধটা কাশির সিরাপ খেয়ে উপশম ঘটে! কিন্তু আমরা কখনই ভাবি‍‌ না যে, কোনো ওষুধই নিজের ইচ্ছামতো কিনে খাওয়া উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা থাকে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে শতকরা ৫০ভাগ কাশির সিরাপে এমন কিছু উপাদান আছে যার দু’চামচ খেলে একজন সুস্থ সবল মানুষের স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। হৃদরোগের অন্যান্য উপসর্গ বা ঝুঁকি সেই ব্যক্তিটির মধ্যে আগে থেকে না থাকলেও!

 কা‍‌শির কারণ অনেক। কাশি উপশমের জন্য দু’ধরনের সিরাপ ব্যবহার করা হয়— কফ লিঙ্কটাস, যা শুকনো কাশি হয়ে থাকলে ব্যবহৃত হয় আর কফ এক্সপেকটোরেন্ট যা বুকের কফ নিঃসরণ বা বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

 বাজারে যে সমস্ত কা‍‌শির সিরাপ রয়েছে সেগুলির প্রতিটিতে একাধিক ওষুধ বা রাসায়নিক পদার্থ মেশানো থাকে যেমন— ক্লোরফেনিরামিন ম্যালিয়েট, ট্রাইপোলিডিন, ডাইফেনহাইড্রামিন, প্রোমেথাজিন এগুলি হাইড্রোজেন-ওয়ান রিসেপটার বিরোধী। মূলত, অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের ওষুধ কাশির উপশম না করিয়ে ফুসফুসের মধ্যে কফ জমিয়ে দিতে পারে, ফলে ক্ষতির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এই উপাদানগুলির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সাইড-এফেক্ট হলো মুখ শুকিয়ে যাওয়া, মাথাঘোরা, অস্বস্তি বা বিরক্তি।

কোডিন : অনেক কাশির সিরাপেই কোডিন ব্যবহৃত হয়। কোডিন আফিম জাতীয় ওষুধ হওয়ায় রোগী আস্তে আস্তে এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, নেশা ধরায়। এছাড়াও কোডিনের অন্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো— পায়খানা শক্ত হয়ে যাওয়া, ঝিমুনিভাব, শ্বাসযন্ত্রের কাজকে প্রতিহত করা ইত্যাদি।

নসক্যাপেন : এই উপাদানটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো মাথাব্যথা, বমিভাব বা বমি।

ডেক্সট্রোমেথরফেন : অনেক কাশির সিরাপেই আজকাল বহুমাত্রায় ব্যবহৃত হচ্ছে ডেক্সট্রোমেথরফেন। এই উপাদানের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো স্নায়ুকে দুর্বল করে দেয়, ঘুম ঘুম ভাব বা ঝিমুনি আসে।

 বাচ্চাদের অধিকাংশ কা‍‌শির সিরাপেই থাকে প্রোমেথাজিন। এগুলিরও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক। মুখ শুকি‍‌য়ে যাওয়া, ঝিমুনি, দৃষ্টি অস্বচ্ছ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি।

 ফিনাইল প্রোপানো:লামিন বা পি পি ‍‌এ : ডি’কোল্ড, ভিক্স অ্যাকশন-৫০০, অ্যাক্টিফেড, কোল্ডারিন, এসকোল্ড, অ্যালেক্স, টিক্সিলিঙ্ক, কসোম প্রভৃতি অনেক কা‍‌শির সিরাপেই রয়েছে ফিনাইল প্রোপানোলামিন নামক উপাদানটি। এই উপাদানটির একবারের মাত্রাতেও যে কোনো সুস্থ সবল ব্যক্তি হঠাৎ স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপ যাঁদের, সেই সব রোগীদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়, রক্তচাপ বাড়ায়। এছাড়া স্নায়ুও উত্তেজিত হয়। পি পি এ গ্রহণে মহিলাদের স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা পুরুষদের তুলনায় বেশি।

ব্যথার ওষুধে মারাত্মক ক্ষতি :
 গা-হাত-পা-মাথাব্যথা হোক কিংবা হোক তলপেট ব্যথা বা ঋতুস্রাবের ব্যথা, অনেকেই নিজেরা ডাক্তারি করে ওষুধের দোকান থেকে ব্যথার বড়ি ‍‌কিনে খান। অনেকেই নিজেদের অজান্তে এইসব ব্যথার বড়ির মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শিকার হন। কারো কারো জীবন সংশয়ও হতে দেখা যায়। সম্প্রতি রফিকক্সিব জাতীয় ব্যথার ট্যা বলেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার, যার মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছিল হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া। কিন্তু সেই সব খবর আমরা ক’জনই বা রাখি অথবা ক’জন ওষুধের দোকানদারই বা আপনার মঙ্গল চেয়ে দোকানে আর রাখেন না এসব ব্যথার ট্যা বলেট! কারণ এখনও অনেক দোকানেই মিলবে রফিকক্সিব জাতীয় বড়ি, সেটা দোকানদারের অজ্ঞতাও হতে পারে, আবার মুনাফার আশায়ও হতে পারে। সাধারণত ওষুধের দোকান থেকে যে সমস্ত ব্যথার ট্যানবলেট প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অনেকে কিনে খান সেগুলির উপাদানগুলি হলো— অ্যাস‍‌পিরিন, নিমুসুলাইড, ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম, আইবুপ্রফেন ইত্যাদি।

অ্যাস‍‌পিরিন : এটি হলো অ্যাসিটাইল স্যালিসাইক্লিক অ্যাসিড যার প্রদাহনাশকারী ও ব্যথা উপশমকারী ক্ষমতা আছে। মাথাব্যথা, গা-হাত-পা ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, স্ট্রোকের পর, স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

 আলার্জি থাকলে, পেপটিক আলসার থাকলে, লিভারের রোগ থাকলে, রক্তক্ষরণের রোগ থাকলে এবং গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শ্বাসযন্ত্রের রোগ থাকলে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হতে পারে, ১২ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ।

 অ্যাসপিরি‍‌নের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রচুর। যেমন বমিভাব, বমি, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, কান ভোঁ ভোঁ করা, ঝিমুনিভাব, পাকস্থলিতে রক্তক্ষরণ, পেপটিক আলসার ইত্যাদি। বাজারে এটি ডিসপ্রিন, কলসপ্রিন ইকোসপ্রিন নামেও পাওয়া যায়।

নিমুসুলাইড : এটি ব্যথা উপশমকারী, তাপমাত্রা হ্রাসকারী এবং প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, পিঠে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, মাসিকের ব্যথা, দাঁতে ব্যথায় এই ওষুধ কাজ করে। আগে বাচ্চাদের জ্বর হলে এর ব্যবহার হতো। ইদানীং এর মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে এর ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ওষুধের ভুল ব্যবহারে বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

 পেটব্যথা, বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব, ডায়েরিয়া, বমি, ঝিমুনি, মাথাব্যথা, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া, লিভারের ক্ষতি নিমুসুলাইডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে হতে পারে। কাজেই নিজে নিজের ডাক্তারি করে বা দোকানদারের কথা মতো নিমুসুলাইড জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিজের সর্বনাশ করবেন না। বাজারে নিমুসুলাইড নিমুজেন, নাইস, নিমুলিড, নিমজেসিক, নিমসেড প্রভৃতি নামে পাওয়া যায়।

ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম : এই উপাদানটিরও ব্যথা উপশমকারী এবং তাপমাত্রা হ্রাসকারী ক্রিয়া ছাড়াও প্রদাহনাশকারী ক্ষমতা রয়েছে। শরীরের যে কোনো ব্যথা, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, স্পন্ডিলোসিস, বাতের ব্যথা, পেশী বা হাড়ের ব্যথায় ডাক্তারবাবুরা সতর্কতার সঙ্গে এর ব্যবহার করেন। কারো গ্যাসট্রিক বা ডুওডেনাল আলসার থাকলে, হাঁপানি থাকলে, গর্ভাবস্থায় বা স্তনদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে বা অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে এর ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ। এছাড়া কখনও কালো পায়খানা, রক্তবমি হয়ে থাকলে, আলসারেটিভ কোলাইটিস বা ক্রোনস ডিজিজ থাকলে, হার্টের রোগ, কিডনির রোগ থাকলে কিংবা বয়স্কদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার একেবারেই উচিত নয়। পেটের ব্যথা, বমি, ডায়েরিয়া, দুর্বলতা, অনিদ্রা, চুলকানি, গায়ে জল জমা, অ্যাসিডিটি এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

 ডাক্তাররা এই ওষুধের সঙ্গে অ্যান্টাসিড দিয়ে থাকেন অতিরিক্ত অ্যাসিড ক্ষরণ প্রশমিত করার জন্য। বাজারে এটি ডাইক্লোমল, ডাইক্লোউইন, ডাইক্লোরান, ভোভেরান, আইনাক ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।

আইবুপ্রফেন : শরীরের নানা ধরনের ব্যথায় আর একটি ওষুধ অনেকেই কিনে খান যার উপাদান হলো আইবুপ্রফেন। বাজারে এটি ব্রুফেন, ফেবরিলিক্স, আইবুজেসিক ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। এই ওষুধটির মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারে আলসার, রক্তবমি বা কালো পায়খানা হতে পারে, পেটব্যথা, বমিভাব বা বমি হতে পারে, কারো কারো ক্ষেত্রে জনডিস বা হাতে-পায়ে জলও জমতে পারে। রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যেতে দেখা যায় এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে।

পেট খারাপের ওষুধে চোখ নষ্ট :
 আমাশা, পেট খারাপে এই এন্টারোকুইনল বা কুইনোফর্ম খাওয়া অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদিও প্রচারমাধ্যমের কারণে স্বাস্থ্য পত্রিকার দৌলতে অনেকেই এই ওষুধগুলির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কমবেশি অব‍‌হিত। তবু মনে হয় স্বাস্থ্য সচেতন লোকের সংখ্যা নেহাতই কম, বিশেষত ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা লোকের সংখ্যা।

 পেট খারাপের ওষুধের একটি উপাদান হলো হাইড্রক্সিকুইনোলন বা কুইনোডোক্লর। থাইরয়েডের রোগ, লিভারের রোগ থাকলে এই ধরনের ওষুধ একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। দীর্ঘদিন এবং নিয়মিত ব্যবহারের ফলে স্নায়ুদৌর্বল্য দেখা যায় এবং চোখের স্নায়ুর মারাত্মক ক্ষতি হয়ে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া বমিভাব, সবুজ পায়খানা, গা-চুলকানি এবং গলগণ্ড রোগ দেখা যায় এই ধরনের ওষুধের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারে।

অ্যান্টিবায়োটিকে রক্তাপ্লতা :
 অনেকেই জ্বর, কাশি, গায়ে ঘা বা কাটাছেঁড়ায় হুট-হাট অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খান দোকান থেকে। কোন অ্যান্টিবায়োটিক কতটা মাত্রায়, কতক্ষণ বাদে, কোন বয়সে খাওয়া উচিত তার খোঁজ কতটুকু রাখেন? যে কোনো অ্যান্টিবায়োটিকেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। রোগের ধরন, তীব্রতা দেখে ডাক্তারবাবুরা উপযুক্ত রোগীকে উপযুক্ত মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার প্রেসক্রিপশন দেন।

 পেনিসিলিন ব্যবহারে ব্যথা, বমি, চুলকানি, জ্বর, চামড়ার রোগ, শ্বাসকষ্ট, অ্যানাফাইলেক্সিস হয়ে শকে রোগী মৃত্যুমুখে পর্যন্ত পড়তে পারে। সালফার জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে বমি, বমিভাব, পেটব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, অ্যালার্জি, গা চুলকানি, জ্বর, গাঁটে ব্যথা, লিভার খারাপ, রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যাওয়া বা নবজাতকের জনডিস হতে পারে।

 ক্লোরামফেনিকল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে অস্থিমজ্জা খারাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রে মারাত্মক রক্তাল্পতা সৃষ্টি হতে পারে। বমিভাব, বমি, ডায়রিয়া হতে পারে, বাচ্চারা খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে, শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে, পেট ফুলে যায় অনেকের। শকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

 ট্রেট্রাসাইক্লিন ব্যবহারে লিভার, কিডনি, দাঁত ও হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া অনেক অ্যান্টিবায়োটিকেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যায় গা গোলানো ভাব, বমিভাব, পায়খানার চাপ বারে বারে, বুকে চাপ ধরা, পেটভার হওয়া, খিদের রুচি চলে যাওয়া, মুখে ঘা ইত্যাদি।

 বাজারে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অনেকেই সে সমস্ত অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খান বা ইঞ্জেকশন নেন সেগুলি হলো কেপেন, পেনটিড, পেনিডিওর এল এম, এক্স, প্যারাক্সিন, এন্টারোমাইসেটিন, সেপট্রান, ব্যাকট্রিন, টেরামাইসিন, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন প্রভৃতি।

স্টেরয়েডের কুফল :
 জীবনদায়ী এই ওষুধটির ভুলভাল ব্যবহারে অনেকেই নিজের জীবনে সর্বনাশ ডেকে আনছেন। প্রদাহ নিবারণকারী হিসেবে অ্যালার্জি, শক, হাঁপানি, ক্যানসার, চোখের রোগ, আর্থ্রাইটিসে দারুণ সুফল মেলে। অনেকে হাতুড়ে ডাক্তার বা ওষুধের দোকানের ফার্মাসিস্টের কথায় মোটা হবার জন্য বা সেক্স বাড়ানোর জন্য এর ব্যবহার করেন।

 দীর্ঘ ও অনিয়মিত ব্যবহারে খুব সহজেই নানা ধরনের কুফল শরীরে দেখা দিতে শুরু করে। শরীরে যেখানে সেখানে মেদ জমতে থাকে, হাত-পা ফুলে যায়, ত্বক ফেটে যায়, চামড়ায় ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়, মেয়েদের গোঁফদাড়ি জন্মায়। শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়, পেশী দুর্বল হয়ে যায়, খিঁচ ধরে, হাড়ের ক্ষয় হতে দেখা যায়, সহজে সংক্রমণ ঘটে, কোনো জায়গা কেটে গেলে ঘা শুকোতে দেরি হয়, অনিদ্রা, বদহজম, মেয়েদের মাসিকের গোলমাল হতে দেখা যায়। পেপটিক আলসার হয় অনেকের, চোখে ছানি পড়ে, গ্লুকোমা হয় অনেকের, কেউ কেউ মানসিক রোগের শিকারও হন।

সাইপ্রোহেপ্টাডিনে চরম সর্বনাশ :
 এটা এক ধরনের অ্যালার্জি বিরোধী অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখা গেছে খিদের বাড়তি অনুভূতি হয়। এই ওষুধ হাইপোথ্যালামাসে সেরোটনিনের কাজে বাধা দেয় ফলে বাড়ে খিদের ইচ্ছা। তবে এই ইচ্ছাটা সাময়িক, ওষুধ বন্ধ করলেই আবার চলে যায় খাওয়ার ইচ্ছা। অনেকেই দোকান থেকে খিদে বাড়ানোর ওষুধ হিসেবে সাইপ্রোহেপ্টাডিন কিনে খাচ্ছেন, বাজারে সাইপন, সাইপ্রো ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য এর ব্যবহার সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে। সাইপ্রোহেপ্টাডিনের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারে যে সমস্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেগুলি হলো ঘুম বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, ঝিমুনিভাব, হাত-পায়ের কাঁপুনি, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, জল পিপাসা, অবসাদ, রক্তে অ্যাগ্রানুলোসাইটোসিস হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে চরম সর্বনাশ ঘটতে পারে। ফলে নিজের চিকিৎসা নিজে কখনই করবেন না। দোকান থেকে যখন তখন মুড়ি-মুড়কির মতো ওষুধ কিনে খাবেন না। অসুখ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁর পরামর্শ মেনে ওষুধ খান।


Title: Re: Side effects of medicines
Post by: russellmitu on August 08, 2013, 02:33:42 PM
thanks...
Title: Re: Side effects of medicines
Post by: mustafiz on November 30, 2013, 01:51:59 PM
Thanks for the information.
Title: Re: Side effects of medicines
Post by: nayeemfaruqui on February 12, 2014, 12:14:18 PM
Good post..