Daffodil International University

Faculties and Departments => Business & Entrepreneurship => Topic started by: 710001508 on January 19, 2017, 10:25:56 AM

Title: শেয়ারবাজারে তেজিভাব, সতর্ক থাকার পরামর্শ
Post by: 710001508 on January 19, 2017, 10:25:56 AM
বার শেয়ারবাজারমুখী হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ঝিমিয়ে পড়া ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে আবারও বিনিয়োগকারীদের সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। তাতে বাজারে লেনদেন ও সূচক প্রতিদিনই বাড়ছে।
চলতি ২০১৭ সালের ১৪ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় সাড়ে চার শ পয়েন্ট বেড়েছে। আর লেনদেন বেড়েছে হাজার কোটি টাকার বেশি। বাজারের এই টানা উত্থানে কিছুটা শঙ্কিত বিশ্লেষক ও বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সার্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ বেলা তিনটায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজারের সাম্প্রতিক উত্থানকে খুব বেশি স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত বলে আমার মনে হচ্ছে না। একদিকে ব্যাংকে আমানতের সুদ হার কম, তাই কিছু মানুষ বাড়তি মুনাফার আশায় শেয়ারবাজারে ঝুঁকছেন। আর পুরোনো খেলোয়াড়েরা সেটিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের মতো খেলাধুলা চালাচ্ছেন। তাই এ অবস্থায় নতুন করে যাঁরা বাজারে ঝুঁকছেন, তাঁদের অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, এটা বাজারের স্বাভাবিক শক্তি নয়।’

গত কয়েক দিনে রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশার একাধিক ব্রোকারেজ হাউস ঘুরে ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১০ সালের ধসের পর যেসব বিনিয়োগকারী বাজারবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন, তাঁদের অনেকে আবার বাজারমুখী হতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি কিছু নতুন বিনিয়োগকারীর হাত ধরেও বাজারে প্রতিদিন টাকা ঢুকছে বলে ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীরা জানান।

মূলত গত নভেম্বর থেকে বাজারে ধারাবাহিক উত্থানপর্বের শুরু, যা অব্যাহত রয়েছে নতুন বছরেও। এতে ডিএসইর প্রধান সূচকটি পাঁচ হাজারের পর সাড়ে পাঁচ হাজারের মনস্তাত্ত্বিক সীমাও অতিক্রম করেছে। লেনদেন ফিরে গেছে ২০১০ সালের অবস্থানে। তবে গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই বাজারে মুখে মুখে প্রচারণা ছিল যে ২০১৭ সালে বাজার ভালো হবে। বছরের শুরুতে সেই প্রচারণা সত্যি হতে দেখা যাচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে রাজধানীতে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী পুঁজিবাজার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খাইরুল হোসেন বলেছিলেন, শেয়ারবাজারের সূচক নিয়ে সরকারসহ কারও ভয় ও উদ্বেগের কিছু নেই। বাজারের নিজস্ব শক্তি বা গতিতে সূচক যদি ১০ হাজারও হয়, তাতে বাধা দেওয়ারও কিছু নেই। বিএসইসির চেয়ারম্যানের ওই বক্তব্যের পর বাজারে আরও গতি সঞ্চার হয়।

বাজারের বর্তমান অবস্থাকে এখনো স্বাভাবিকই মনে করছেন ডিএসইর পরিচালক ও শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল রিজভী। তিনি বলেন, বাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। তবে ঊর্ধ্বমুখী বাজারে লাভের প্রলোভনে পড়ে ঋণ বা ধারদেনা করে কারও বিনিয়োগে আসা উচিত নয়। শাকিল রিজভী জানান, ২০১০ সালের ধসের পর যেসব বিনিয়োগকারী বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের একটি বড় অংশই আবার সক্রিয় হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিনই কিছু নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে আসছেন।

লেনদেনে শীর্ষে থাকা একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে নতুন করে টাকা আসছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিদিনই বাজারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। আবার পুরোনো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরাও সক্রিয় হয়েছেন।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম—এ দুই স্টক এক্সচেঞ্জ মিলিয়ে লেনদেনের শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউস লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ। গত ডিসেম্বরে এ প্রতিষ্ঠানটি এককভাবে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেছে। যেখানে বিক্রির চেয়ে কেনার পরিমাণই বেশি ছিল। এ ছাড়া লেনদেনে শীর্ষে ছিল ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা আইসিবি সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ। ডিসেম্বরে প্রতিটি ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনে বিক্রির চেয়ে কেনার পরিমাণ ছিল বেশি, যার প্রতিফলনও পড়েছে বাজারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ পাঁচ ব্রোকারেজ হাউসের মধ্যে দুটির শীর্ষ দুই কর্মকর্তা জানান, নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বাজারে আবার পুঁজি বিনিয়োগ করছেন। ফলে বাজারে অর্থপ্রবাহ বেড়েছে।

লেনদেন ও সূচকের টানা বৃদ্ধিতে শঙ্কা তৈরি হয়েছে কারও কারও মনে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, হঠাৎ করে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি, যার প্রভাবে হঠাৎ করে তেজি হয়ে উঠবে শেয়ারবাজার।

তবে বাজার-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাংকে আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ায় এবং বিনিয়োগ কম হওয়ায় অনেকে শেয়ারবাজারে টাকা খাটাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে মন্দাবস্থার কারণে অনেক শেয়ারের দাম অবমূল্যায়িত অবস্থায় চলে এসেছিল। তাতে দেশি-বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী পুঁজি লগ্নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা একটি স্বাভাবিক ও টেকসই বাজার দেখতে চাই। কেউ যাতে অতি উৎসাহী বাজারকে অতি তেজি করে না তোলেন, তার জন্য সবাইকে আইনকানুন ও বিধিবিধান যথাযথভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বাজারের বর্তমান উত্থানকে স্বাভাবিক মনে করেন কি না জানতে চাইলে সাইফুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজারে একধরনের মন্দাভাব ছিল। শেয়ারের দামও অনেক নিচে নেমে আসে। ব্যাংকে আমানতের সুদ হারও কমে গেছে। তাতে করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আসার একটা সুযোগ ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ নভেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে আমানতের গড় সুদ হার ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার মেয়াদান্তে সর্বনিম্ন ১১ দশমিক শূন্য ৪ থেকে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত।

এ অবস্থায় ৮ জানুয়ারি বিএসইসির ‘দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, গুজবে বিনিয়োগ করলে তার দায় নিতে হবে নিজেকে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যেখানে-সেখানে একটা বিনিয়োগ করে তারপর সব হারিয়ে...তারপর আসে কি, সব দোষ সরকারের, সব দোষ অর্থমন্ত্রীর, এটা যেন না হয়।’

একই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মেয়াদ পূর্তির আর দুই বছর বাকি। এ সময়ে পুঁজিবাজার আরও শক্ত ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে—এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

পরবর্তী সময়ে ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দিয়ে জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়ন মেলায়’ ২৯ জেলায় পুঁজিবাজারের উপস্থিতি ছিল। এসব জেলায় তিন দিনের মেলায় পুঁজিবাজারের অগ্রগতির প্রচারণা চালানো হয়।

বাজারের এ উত্থানে সতর্ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। গত সোমবার স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ বাজার-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে ১১ ধরনের কারসাজির বিষয়ে বাজার-সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়। কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দামের উত্থান-পতন ঘটাতে এসব কারসাজির আশ্রয় নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিএসইসি। বৈঠকে বিএসইসি বলেছে, সংস্থাটির প্রতিদিনকার বাজার তদারকির ক্ষেত্রে নিজস্ব তদারকি ব্যবস্থা বা সার্ভিল্যান্স সিস্টেমে এসব কারসাজির সংকেত নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়।

১১ ধরনের কারসাজির মধ্যে অটো ক্লায়েন্ট বা স্বয়ংক্রিয় গ্রাহক কারসাজি সম্পর্কে বিএসইসি বলছে, এ ধরনের কারসাজিতে একই ব্যক্তিকে ক্রেতা ও বিক্রেতা হিসেবে পাওয়া যায়। একাধিক বিও (বেনিফিশারি ওনার্স) হিসাব খুলে নিজের মধ্যেই লেনদেন করে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে থাকে। এ ধরনের কারসাজির লেনদেনে সুবিধাভোগী মালিকানার কোনো পরিবর্তন হয় না। শর্টসেল কারসাজির মাধ্যমে বিও হিসাবে শেয়ার না থাকার পরও শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়া হয়।

ফ্রন্ট রানিং ক্লায়েন্ট বা সামনে চলমান গ্রাহক কারসাজির ধরন সম্পর্কে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, যখন কোনো বিনিয়োগকারী বড় ধরনের শেয়ার ক্রয়ের উদ্যোগ নেন, তা আগে জানতে পেরে অপর ব্যক্তি আগে থেকেই কম দামে ওই শেয়ার নিজের হিসাবে কিনে নেন। ধরা যাক, রহিম (ছদ্মনাম) নামে এক বিনিয়োগকারী ‘ক’ কোম্পানির ১০ কোটি শেয়ার কেনার উদ্যোগ নিয়েছেন। এ খবর আগেভাগে জেনে গেছেন অপর বিনিয়োগকারী সোহেল (ছদ্মনাম)। আর তখন সোহেল রহিমের ক্রয় আদেশ আসার আগেই বাজার থেকে কম দামে ‘ক’ কোম্পানির শেয়ার কিনে নেন। পরবর্তী সময়ে রহিমের কাছে বেশি দামে ওই শেয়ার বিক্রি করে দেন।

স্পুফিং বা প্রতারণা কারসাজি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ ব্যবস্থায় শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে লেনদেন যন্ত্রে বিপরীতমুখী কিছু আদেশ দিয়ে দামকে প্রভাবিত করা হয়। ধরা যাক, একজন কারসাজিকারক একটি কোম্পানির বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনার উদ্যোগ নিয়েছেন। তখন তাঁর চেষ্টা থাকে যত কম দামে ওই শেয়ার কেনা যায়। সে ক্ষেত্রে লেনদেন যন্ত্রে ক্রয় আদেশের বিপরীতে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রির ভুয়া আদেশ দেওয়া হয়। বিপুল শেয়ারের বিক্রয় আদেশ দেখে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ভীত হয়ে দ্রুত হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দেন। এতে দাম পড়ে যায় আর তখন শেয়ার কেনার আসল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করেন কারসাজিকারক।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাজারের সূচক ও লেনদেন বেশ ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ অবস্থায় বাজারে কারসাজি বা অনিয়মের ঘটনা বেড়ে যেতে পারে সন্দেহে বিএসইসি বাজার-সংশ্লিষ্টদের এসব কারসাজির বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগতির ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল বুধবার দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ডিএসইএক্স সূচকটি চালু হওয়ার পর গত মঙ্গলবার এটি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫৭৫ পয়েন্টে উঠেছিল। পাশাপাশি ঢাকার বাজারের লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে আবারও ২০১০ সালের অবস্থায় ফিরে গেছে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকার বাজারে ২ হাজার ৭১১ কোটি টাকার সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল। সেই হিসাবে প্রায় অর্ধযুগ পর ডিএসইতে আবারও সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে লেনদেন সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠার পর বাজারে ধস নেমেছিল।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সাল শেষে ঢাকার বাজারে প্রতিদিনকার গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪৯৯, ৪২১ ও ৪৯৪ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের গত ১৪ কার্যদিবসে প্রতিদিনের এ গড় লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়।

২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বেশ কিছু কারসাজির ঘটনা তুলে ধরা হয়। কারসাজির দায়ে অনেককেই অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিএসইসি ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুটি মামলা করে। তবে এসব মামলার বিচারকাজ উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে।

অন্যদিকে, ’৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের হওয়া ১৫ মামলার মধ্যে বেক্সিমকো ও শাইনপুকুরসহ সালমান এফ রহমানদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুটি মামলার কার্যক্রম হাইকোর্ট বাতিল (কোয়াশড) করেছেন। অপর মামলাগুলোর মধ্যে একটি মাত্র মামলার রায় হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিদেশে থাকায় শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। বাকি মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রমের ওপর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে।
Source: Prothom Alo, 19.01.2017