Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Alamgir Hossan

Pages: 1 ... 35 36 [37] 38
541
Business Administration / Human resource management
« on: March 13, 2016, 04:03:27 PM »
Human resource management (HRM, or simply HR) is a function in organizations designed to maximize employee performance in service of an employer's strategic objectives. HR is primarily concerned with the management of people within organizations, focusing on policies and on systems.

542
Business Administration / Green Management Program
« on: March 13, 2016, 04:02:34 PM »
The Green Management graduate certificate program provides students with an advantage in a very competitive business environment. Indicators are that leaders of forward-thinking, progressive, successful and global organizations are looking to reduce their social and environmental impacts, contribute to the development of innovative solutions, and gain market advantage in the new, emerging sustainable economy. Graduates of this program will be well placed to address those needs.

In the program, students will learn the project and change-management skills needed to help an organization implement environmental sustainability into its bottom line. As part of their learning experiences, students will develop and implement a sustainability action plan that will lead to greater value creation, improved productivity and enhanced corporate responsibility for the organization.

543
Business Administration / Green Management
« on: March 13, 2016, 04:01:05 PM »
Green Management is an initiative aiming at continuously improving the foundation of environmental management, such as the development of personnel responsible for environmental activities, environmental management systems, and environmental communication as well as conservation of biodiversity.

544
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ থেকে প্রায় ৯৫০ মিলিয়ন বা ৯৫ কোটি ডলার চুরির চেষ্টা হয়েছিল। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফটের সংকেতলিপি (কোড) থেকে অর্থ স্থানান্তরের ৩৫টি ‘পরামর্শ বা অ্যাডভাইস’ পাঠানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে। সেখান থেকে কার্যকর হয়েছিল মোট ৫টি পরামর্শ।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে রিজার্ভের মোট ১০১ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশের বাইরে থেকে ‘হ্যাকড’ করে শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় গেছে ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ডলার আর ফিলিপাইনে গেছে ৮১ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত ৫ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ‘হ্যাকড’ করে বিপুল অর্থ চুরি করার ঘটনায় নিজেদের কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্থ চুরির এ ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি পরিচালক রাকেশ আস্তানা গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, মাঝপথে থাকা তদন্তে এখন পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, তাতে বাইরে থেকেই ‘হ্যাকড’ করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তবে সুইফট কর্তৃপক্ষও গতকাল এক বার্তায় বলেছে, ‘তাদের নেটওয়ার্ক অপব্যবহার হয়েছে, এমন কোনো লক্ষণ এখনো পাওয়া যায়নি।’
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বেলজিয়ামভিত্তিক আন্তব্যাংক আর্থিক লেনদেনের নেটওয়ার্ক সুইফটের (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) এক বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘সুইফট কর্তৃপক্ষও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে বার্তা বিনিময় হয়েছে, সেটি ছিল বিশ্বাসযোগ্য (অথেনটিক)। এখন পর্যন্ত আমাদের নেটওয়ার্ক অপব্যবহার হয়েছে, এ রকম কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।’
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ডলার এরই মধ্যে উদ্ধার করা গেছে। আর ফিলিপাইনের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই এসব অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। ‘অর্থ পরিশোধের লেনদেন ব্যবস্থার সাইবার নিরাপত্তা’ নিয়ে দেশের তফসিলি সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান, নির্বাহী পরিচালক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রাকেশ আস্তানা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কা থেকে উদ্ধার করা দুই কোটি ডলার গিয়েছিল সে দেশের একটি ব্যাংকে নতুন খোলা এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) হিসাবে। কনসালট্যান্সি বা পরামর্শক ফি হিসেবে ওই অর্থ স্থানান্তরের ‘পরামর্শ’ গিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকেতলিপি থেকে। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন শক্তিশালী হওয়ায় নতুন একটি হিসাবে বড় অঙ্কের অর্থের লেনদেনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সন্দেহের চোখে দেখে। তখন ওই ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিষয়টি শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে আনা হলে সেই অর্থ আটকে দেওয়া হয়। তাতে ওই টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, ফিলিপাইনেও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্যাংক থেকে অর্থ স্থানান্তর হয়ে জমা হয়। পরে সেখান থেকে অন্য হিসাবে সেসব অর্থ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফিলিপাইনের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের দুর্বলতা এবং ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা জড়িত থাকায় বড় অঙ্কের বৈদেশিক লেনদেন সত্ত্বেও তা অনায়াসে এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে চলে যায়। ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, চুরি করা অর্থের বড় অংশই কয়েকটি ক্যাসিনোর হাত ঘুরে ফিলিপাইন থেকে বেরিয়ে হংকংয়ে চলে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের বেশ সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও এ দুই ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মতবিনিময়ের কথা রয়েছে। তবে সুইফটের কাছ থেকে যথাযথ সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে সুইফটের নিয়ন্ত্রণ হয় ভারত থেকে। অর্থ চুরির ঘটনার পরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে ভারতে সুইফটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের কর্মকর্তাদের দ্রুত এ দেশে আসার আহ্বান জানানো হয়। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে অন অ্যারাইভেল ভিসার ব্যবস্থার কথা জানানো হয়। কিন্তু তাতেও প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য: ৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত এক বিবৃতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে আলোচিত এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এরপর গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এ সময় রাকেশ আস্তানা বলেন, ‘আমরা এখন তদন্তের মাঝপথে আছি। এ ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব লোক, নাকি বাইরের লোক জড়িত ইত্যাদি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব নমুনা (সাইন) পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বাইরে থেকে (এক্সটারনাল) এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তদন্ত মাঝপথে থাকায় এর বেশি কিছু আর বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘ফিলিপাইনে যে অর্থ গেছে, তার পুরোটাই অচিরেই ফেরত পাব, এ আশা রাখছি। কারণ, দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। এ ছাড়া ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ফিলিপাইনের আদালতও অর্থ উদ্ধারে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।’
আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সুইফট কোড হ্যাকড করা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘আমরা এখনো এটিকে “হ্যাকড” মনে করছি।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার পাসপোর্ট জব্দের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা বা খবর আমাদের জানা নেই।’
ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে যেসব অ্যাডভাইস গেছে, সেগুলো কার্যকরের ক্ষেত্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক যথাযথ প্রক্রিয়া বা ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে কি না, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।

545


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৮ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। ১৫৪ রানের টার্গেটে ১৪৫ রান করে ডাচরা।

ধর্মশালায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ছাড়া আর কেউই ভালো করতে পারেননি। পুরো বিশ ওভার টিকে ছিলেন তামিম। ৫৮ বলে তাঁর অপরাজিত ৮৩ রানের পরেও ১৫৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। জবাবে জয়ের খুব কাছাকাছি চলে যায় নেদারল্যান্ডস। তবে, শেষমেষ ৮ রানের জয় তুলে নিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ২টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও আল-আমিন। ম্যাচসেরা হন তামিম ইকবাল।


546
গাস হিডিংকের দলকে ২-১ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠলো পিএসজি। প্রথম পর্বে নিজেদের মাঠেও একই ব্যবধানে জিতেছিল তারা।

চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বুধবার রাতে ম্যাচের প্রায় পুরো পুরোটা সময় জুড়েই চেলসির রক্ষণকে ব্যস্ত রাখলেন আনহেল দি মারিয়া ও জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। শেষ পর্যন্ত দি মারিয়া গোল না পেলেও দুটি গোলেই অবদান ছিল তার। ইব্রাহিমোভিচ অবশ্য একটি গোল করেন, অন্যটি আদ্রিওন রাবিওত। চেলসির একমাত্র গোলদাতা দিয়েগো কস্তা।

প্রতিপক্ষকে ফেভারিট মেনে মাঠে নামলেও প্রিয় সমর্থকদের সামনে শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল চেলসি। তবে দ্বিতীয় মিনিটে দিয়েগো কস্তার সে প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ব্যর্থ করে দেন পিএসজি গোলরক্ষক কেভিন ট্রাপ।

তিন মিনিট বাদে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যেতে পারতো অতিথিরা, কিন্তু দি মারিয়ার শট চেলসি গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও শেষমুহূর্তে ডিফেন্ডার ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচের বাধা এড়াতে পারেনি।

এর পরের ১০ মিনিট চেলসির রক্ষণে একটানা চাপ ধরে রাখে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। তারই ধারাবাহিকতায় ষষ্ঠদশ মিনিটে মহামূল্যবান ‘অ্যাওয়ে গোল’ পেয়ে যায় পিএসজি। দি মারিয়া ও ইব্রাহিমোভিচের দারুণ নৈপুণ্যে ছয় গজ বক্সে বল পেয়ে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি মিডফিল্ডার রাবিওত।

এই গোলে এ ম্যাচে তো বটেই, দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় পিএসজি।

তবে কোচ হিডিংকের অধীনে বদলে যাওয়া চেলসিও এত সহজে হার মানেনি। ১০ মিনিট বাদেই গোছানো এক আক্রমণে সমতায় ফেরে তারা। পেদ্রোর বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডার চিয়াগো সিলভাকে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন কস্তা।

ক্লাবের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ১৫ ম্যাচে কস্তার এটা একাদশ গোল। এই সময়ে সতীর্থদের দিয়ে ছয়টি গোল করিয়েছেনও ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া স্পেনের এই স্ট্রাইকার।

চেলসি লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগালেও ইউরোপের নতুন পরাশক্তি হয়ে ওঠা পিএসজির সঙ্গে পেরে ওঠেনি। ৬৭তম মিনিটে ইব্রাহিমোভিচের গোলে তারা ফের এগিয়ে গেলে লন্ডনের ক্লাবটির আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়।

আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার দি মারিয়ার ক্রসে ভলি করে জয়সূচক গোলটি করেন সুইডেনের এই ফরোয়ার্ড।

দিনের অন্য ম্যাচে রাশিয়ার ক্লাব জেনিতকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠেছে বেনফিকা। প্রথম পর্বে ১-০ গোলে জেতা পর্তুগালের ক্লাবটির দুই লেগ মিলিয়ে জয়ের ব্যবধান ৩-১।

547

তানজানিয়ার সরকারি চাকরিজীবীদের কাজের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও চ্যাট অ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে, পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গসিপিং’-এর কারণে চাকরিচ্যুতও করা হতে পারে।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বাড়ার এই সময়ে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কীভাবে প্রয়োগ করা হবে তা পরিষ্কার নয়।

ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মাকামি এমবারাওয়া জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাঞ্জানিয়ার উন্নয়নে হস্তক্ষেপ (বাধাগ্রস্ত) করছে।

নিজের মন্ত্রণালয়ে দেওয়া এক বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের চর্চা দক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং তার মন্ত্রণালয় অন্যান্য সরকারি চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে ইতিবাচক উদাহরণ সৃষ্টি করবে।

548


টি-টোয়েন্টিতে এখন নিজের সহজাত ঘরানার বাইরে এসে ভিন্ন ধরনের ব্যাটিং করছেন তামিম ইকবাল। বিপিএল-পিএসএলের পর এবার জাতীয় দলেও সাফল্য পেলেন এভাবে ব্যাটিং করে। অসাধারণ এক ইনিংসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নাযক তামিমই।
তামিমের ইনিংসটির প্রসঙ্গ উঠতেই পিটার বোরেনের ঠোটের কোণে খেলে গেল এক চিলতে হাসি। যেভাবে তিনি চিনতেন, সেই তামিম এবার নিজেকে মেলে ধরেছেন ভিন্ন চেহারায়! ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক বললেন, “তামিম ২০ ওভার খেললে তো অন্তত সেঞ্চুরি হওয়ার কথা!”

বোরেনের ধারণায় ভ্রান্তি নেই। ক্রিকেট বিশ্ব তামিমকে যেভাবে চেনে, তাতে ২০ ওভার খেললে বেশিরভাগ দিন সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে আরও কিছু দূর যাওয়ার কথা। কিন্তু সেভাবে খেলে সেঞ্চুরি তো বহু দূর, বলার মত রানও করতে পারছিলেন না তামিম।

কোচের পরামর্শে তাই বদলে ফেলেছেন নিজেকে। ধুমধাড়াক্কার টি-টোয়েন্টিতে তামিম আঁকড়ে নিয়েছেন ব্যাটিংয়ের মৌলিকত্বকে - শুরুতে সময় নেওয়া, উইকেট বোঝা, ইনিংসটা গড়ে তোলা, বাজে বলকে প্রাপ্য সাজা দেওয়া আর সময়-সুযোগমত হাত খোলা। গত বিপিএল থেকেই মূলত টি-টোয়েন্টিতে এভাবে ব্যাটিং করছেন তামিম। প্রথম পরীক্ষাতেও সফল হয়েছেন। পরে একইভাবে খেলে মাতিয়ে এসেছেন পাকিস্তান সুপার লিগ। এবার সেই ফর্ম বয়ে আনলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও। যেটা তামিম চাইছিলেন খুব করে!

৫৮ বলে অপরাজিত ৮৩ রান করার পথে শট খেলছেন বাংলাদেশের জয়ের নায়ক তামিম ইকবাল। ছবি: বিসিবি ওয়েবসাইট

৫৮ বলে অপরাজিত ৮৩ রান করার পথে শট খেলছেন বাংলাদেশের জয়ের নায়ক তামিম ইকবাল। ছবি: বিসিবি ওয়েবসাইট
বুধবার পরিস্থিতি-পারিপার্শ্বিকতা ঠিক এরকম একটি ইনিংসই দাবি করছিল তামিমের কাছ থেকে। এই মাঠে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ। দলের ভাবনায় উইকেট ছিল গতিময় আর বাউন্সি, বাস্তবতা উপহার ছিল মন্থরতা। আরেক পাশ থেকে উইকেট পড়ছিল টপাটপ। পরিস্থিতি বলছিল, সময় নিয়ে লম্বা ইনিংস খেলার কথা। তামিমের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং দর্শনও এখন সেটিই। তামিম মেলে ধরলেন শান্ত-সুস্থির, পরিণত ও সুন্দর ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী।

কয়েকটি ভাগে আলাদা করা যায় তামিমের ৮৩ রানের ইনিংসটিকে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে, তিন বল আগেই সৌম্য সরকারকে হারানোর পরও তেড়েফুড়ে একটা শট খেলেছিলেন তামিম। বিপদ হয়নি, তবে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করে করণীয়টা বুঝে গেছেন। এরপর তামিম খেলেছেন আরও নিয়ন্ত্রিত, আঁটসাঁট ক্রিকেট। প্রথম চার মেরেছেন ৫ ওভার পেরিয়ে যাওয়ার পর! শট খেলেছেন নিশ্চিত হয়ে।

549


এবারো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল শহর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে সিঙ্গাপুরের রাজধানী সিঙ্গাপুর। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সমীক্ষায় এ তথ্য জানা গেছে। ইআইইউ ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের একটি গবেষণা ইউনিট।

ব্যয়বহুল শহরেরে তালিকায় জুরিখ দ্বিতীয়, হংকং তৃতীয়, জেনেভা চতুর্থ, প্যারিস পঞ্চম, লন্ডন ষষ্ঠ ও নিউইয়র্ক সপ্তম অবস্থানে রয়েছে।ইআইইউর মতে, বিশ্বের সবচেয়ে কম ব্যয় হয় জাম্বিয়ার রাজধানী লুসাকাতে। মোট ১৩৩টি শহরের ভোগ্যপণ্যের দাম এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে অন্য দেশগুলোর মুদ্রার বিনিময় মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা করেছে ইআইইউ।

 

550
৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১৯৬ জনকে নন–ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। বিধি অনুযায়ী এই বিসিএসে ক্যাডার পদে নিয়োগ পাননি, এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে তাঁদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থায় নিয়োগ পাবেন।
আজ বুধবার পিএসসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সবচেয়ে বেশি ৩৭ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন সমাজসেবা কর্মকর্তা বা সমপর্যায়ের পদের জন্য। ২৭ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সহকারী পরিচালক পদে। ১৫ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক পদে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে ১৩ জনকে। বাকিদের অন্যান্য সংস্থায় বিভিন্ন পদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

551
জান্নাত সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’র চল্লিশ কথা
১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর উম্মতের মধ্য মধ্য থেকে ৭০ হাজার ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে।- [আহমদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- আবু ওমামা (রা.)]
২) যারা রাতে আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পার্শ্বদেশকে দূরে রেখেছিল, এমন অল্প সংখ্যক লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অবশিষ্ট সকল মানুষ হতে হিসেব নেয়ার নির্দেশ করা হবে। [বায়হাকি- আসমা (রা.)]
৩) জান্নাতে জান্নাতবাসীরা প্রতি জুমাবারে বাজারে মিলিত হবে এবং জান্নাতে জান্নাতবাসীদের রূপ-সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। [মুসলিম- আনাস রা.)]
৪) জান্নাতের স্তর হবে ১০০টি এবং জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর জান্নাতুল ফেরদাউস। যখন তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাত চাইবে তখন জান্নাতুল ফেরদাউস চাইবে। [তিরমিজী ওবাই ইবনে সামেত (রা.)]
৫) জান্নাত সমস্ত পৃথিবী থেকে উত্তম। (মুয়াত্তা- আবু হুরাইরা (রা.)
৬) জান্নাতবাসীনী কোন নারী (হুর) যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত হয়ে যাবে এবং আসমান জমীনের মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার উরনাও গোটা দুনিয়া ও তার সম্পদরাশি থেকে উত্তম। [বুখারী- আনাস (রা.)]
৭) জান্নাতে একটি চাবুক রাখার পরিমাণ জায়গা গোটা দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম। [মুয়াত্তা- আবু হুরাইরা (রা.)]
৮) জান্নাতের একটি গাছের নিচের ছায়ায় কোন সাওয়ারী যদি ১০০ বছরও সাওয়ার করে তবুও তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। [বুখারী, মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]
৯) জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরী ৬০ মাইল লম্বা একটি তাঁবু থাকবে। জান্নাতের পাত্র ও সামগ্রী হবে সোনা ও রুপার। [বুখারী, মুসলিম আবু মুসা (রা.)]
১০) পূর্ণিমা চাঁদের মতো রূপ ধারণ করে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (ক) তাদের অন্তরে কোন্দল ও হিংসা বিদ্বেষ থাকবে না। (খ) তারা কখনো রোগাক্রান্ত হবে না। (গ) তাদের পেশাব পায়খানা হবে না। (ঘ) তারা থুথু ফেলবে না। (ঙ) তাদের নাক দিয়ে ময়লা ঝরবে না। (চ) তাদের চিরুনী হবে সোনার চিরুনী। (ছ) তাদের ধুনীর জ্বালানী হবে আগরের। (জ) তাদের গায়ের গন্ধ হবে কস্তুরির মতো সুগন্ধি। (ঝ) তাদের স্বভাব হবে এক ব্যক্তির ন্যায়। (ঞ) তাদের শাররীক গঠন হবে (আদী পিতা) আদম (আ:) এর ন্যয়। [বুখারী, মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]
১১) জান্নাতীদের খাবারগুলো ঢেকুর এবং মিশকঘ্রাণযুক্ত ঘর্ম দ্বারা নি:শেষ হয়ে যাবে। [বুখারী, মুসলিমযাবির (রা.)]
১২) জান্নাতীরা সুখে শান্তিতে স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবে থাকবে। হতাসা দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থাকবে না। পোশাক পরিচ্ছেদ ময়লা হবে না, পুরাতন হবে না। তাদের যৌবনও নিঃশেষ হবে না। [মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]
১৩) জান্নাতবাসীরা সব সময় জীবিত থাকবে। কখনো মৃত্যুবরণ করবে না। সব সময় যুবক থাকবে বৃদ্ধ হবে না। [মুসলিম আবু সাঈদ (রা.)]
১৪) জান্নাতে (এমন) এক দল প্রবেশ করবে, যাদের অন্তর হবে পাখিদের অন্তরের মতো। [মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]
১৫) জান্নাতবাসীদের প্রতি আল্লাহ বলবেন, আমি তোমাদের উপর সন্তুষ্টি দান করেছি, তোমাদের উপর আর কখনো অসন্তুষ্ট হবো না। [বুখারী, মুসলিমআবু সাঈদ (রা.)]
১৬) জান্নাতের নহরে পরিণত হবে- সায়হান, জায়হান, ফোরাত ও নীল নদী। [মুসলিম – আবু হুরায়রা (রা.)]
১৭) জান্নাতে বান্দার আশা আকাঙ্খার দ্বিগুণ দেয়া হবে। [মুসলিম – আবু হুরায়রা (রা.)]
১৮) জান্নাতের দরওয়াজা ৪০ বছরের দুরত্বে সমান, এমন এক দিন আসবে যে তাও ভরপুর হয়ে যাবে। [মুসলিম-উতবা ইবনে খাজওয়ান (রা.)]
১৯) জান্নাতের ইট স্বর্ণ ও রোপ্য দ্বারা তৈরী। কঙ্কর হলো মনি মুক্তা, আর মসল্লা হলো সুগন্ধীময় কস্তুরী। [তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)]
২০) জান্নাতের সকল গাছের কা- হবে সোনার। [তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)]
২১) জান্নাতের ১০০ টি স্তর আছে, দু’স্তরের মধ্যে ব্যবধান শত বছরের। [(তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)]
২২) জান্নাতের ১০০ স্তরের যে কো এক স্তরে সারা বিশ্বের সকল লোক একত্রিত হলেও তা যথেষ্ট হবে। [তিরমিজী আবু সাঈদ (রা.)]
২৩) জান্নাতের উচ্চ বিছানা (সুরুরুম মারফুআ) আসমান জমীনর মধ্যবর্তী ব্যবধানের পরিমাণ- ৫০০ শত বছরের পথ। [তিরমিজী আবু সাঈদ (রা.)]
২৪) জান্নাত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১০০ পুরুষের শক্তি দান করা হবে। [(তিরমিজ – আবু হুরায়রা (রা.)]
২৫) জান্নাতবাসীগণ কেশবিহীন দাড়িবিহীন হবে। তাদের চোক সুরমায়িত হবে। [তিরমিজ – আবু হুরায়রা (রা.)]
২৬) জান্নাতবাসীগণ ৩০ বা ৩৩ বছর বয়সীর মতো জান্নাতে প্রবেশ করবে। [তিরমিজী, ময়াজ ইবনে জাবাল (রা.)]
২৭) জান্নাতে অবস্থিত কাওসার এর পানি দুধ অপেক্ষা অধিক সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি হবে। [তিরমিজীআসান (রা.)]
২৮) জান্নাতবাসী উট ও ঘোড়া চাইলে দুটোই পাবে এবং তা ইচ্ছেমতো দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাতে তুমি সে সব জিনিস পাবে যা কিছু তোমার মন চাইবে এবং তোমার নয়ন জুড়াবে। [তিরমিজী-আবু বুরাইদা (রা.)]
২৯) জান্নাতবাসীদের ১২০ কাতার হবে। তার মধ্যে ৮০ কাতার হবে এ উম্মতের। অবশিষ্ট ৪০ কাতার হবে অন্যান্য উম্মতের। [তিরমিজী- বুরাইদা (রা.)]
৩০) জান্নাতে একটি বাজার আছে সেখানে ক্রয়-বিক্রয় নেই। সেখানে নারী-পুরুষের আকৃতিসমূহ থাকবে। সুতরাং যখনই কেউ কোন আকৃতিকে পছন্দ করবে তখন সে সেই আকৃেিত রূপান্তরিত হবে। [(তিরমিজী- আলী (রা.)]
৩১) জান্নাতবাসীদের উপর এক খণ্ড মেঘ আচ্ছন্ন করে ফেলবে। তাদের উপর এমন সুগন্ধি বর্ষণ করবে যে, অনুরূপ সুগন্ধি তারা আর কখনো পায়নি। জান্নাতের বাজারে একজন আরেকজনের সাথে সাক্ষাত করবে এবং তার পোশাক পরিচ্ছদ দেখে আশ্চার্যান্নিত হবে। কিন্তু তার কথা শেষ হতে না হতেই সে অনুভব করবে যে, তার পোশাক তার চেয়ে আরো উত্তম হয়ে গেছে। এটা এ জন্য যে, জান্নাতে দুশ্চিন্তার কোন স্থান নেই। তাদের স্ত্রীদের কাছে ফিরে আসলে তারা বলবে তুমি আগের চেয়ে সুন্দর হয়ে ফিরে এসেছ। [তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- সাইধ ইবনে মুসায়েব (রা.)]
৩২) নিম্নমানের জান্নাতবাসীর জন্যে ৮০ হাজার খাদেম ও ৭২ জন স্ত্রী হবে। ছোট্ট বয়সী বা বৃদ্ধ বয়সী লোক মারা গেলে জান্নাতে প্রবেশের সময় ৩০ বছর বয়সী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ বয়স কখনো বৃদ্ধি হবে না। জান্নাতবাসীগণ যখন সন্তান কামনা করবে, তখন গর্ভ, প্রসব ও তার বয়স চাহিদা অনুযায়ী মুহূর্তের মধ্যে সংঘটিত হয়ে যাবে। [তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ- আবু সাঈদ (রা.)]
৩৩) জান্নাতে হুরদের সমবেত সংগীত শুনা যাবে। এমন সুরে যা আগে কখনো শুনা যায় নি। তারা বলবে-
আমরা চিরদিন থাকবো, কখনো ধ্বংস হবো না।
আমরা সুখে আনন্দে থাকবো, কখনো দুঃখ দুশ্চিন্তা হবে না।
আমরা সব সময় সন্তুষ্ট থাকবো, কখনো নাখোশ হবো না।
সুতরাং তাকে ধন্যবাদ যার জন্যে আমরা এবং আমাদের জন্য যিনি। [তিরমিজী- আলী (রা.]
৩৪) জান্নাতে রয়েছে, ১. পানির সমূদ্র ২. মধুর সমুদ্র ৩. দুধের সমুদ্র ৪. শরাবের সমুদ্র। তার পর তা থেকে আরো বহু নদী প্রবাহিত হবে।- [তিরমিজী- হাকিম ইবনে মুয়াবিয়া (রা.)]
৩৫) জান্নাতে একজন কৃষি কাজ করতে চাইবে। তার পর সে বীজ বপণ করবে এবং চোখের পলকে অংকুরিত হবে, পোক্ত হবে এবং ফসল কাটা হবে। এমন কি পাহাড় পরিমাণ স্তুপ হয়ে যাবে। আল্লাহ বলবেন, হে আদম সন্তান! নিয়ে যাও, কোন কিছুতেই তোমার তৃপ্তি হয়না। [বুখারী – আবু হুরায়রা (রা.)]
৩৬) জান্নাতে এক ব্যক্তি ৭০টি তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসবে। এ শুধু তারই স্থান নির্ধারিত থাকবে। একজন মহিলা এসে সালাম দিয়ে বলবে, “আমি অতিরিক্তের অন্তর্ভুক্ত” তার পরনে রং বেরং এর ৭০ খানা শাড়ী পরিহিত থাকবে এবং তার ভিতর দিয়েই তার পায়ের নলার মজা দেখা যাবে। তার মাথার মুকুটের আলো পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থান রৌশনী করে দিবে। [আহমদ- আবু সাঈদ (রা.)]
৩৭) জান্নাতবাসীগণ নিদ্রা যাবে না। নিদ্রাতো মৃত্যুর সহোদর আর জান্নাতবাসী মরবে না। [বায়হাকী- যাবের (রা.)]
৩৮) আল্লাহ তায়ালা হিজাব বা পর্দা তোলে ফেলবেন, তখন জান্নাতবাসীরা আল্লাহর দিদার বা দর্শন লাভ করবে। আল্লাহর দর্শন লাভ ও তার দিকে তাকিয়ে থাকার চেয়ে অধিকতর প্রিয় কোন বস্তুই এযাবত তাদেরকে প্রদান করা হয়নি। [মুসলিম- সুহায়ব (রা.)]
৩৯) বারা বিন আযেব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন: কবরে মুমিন বান্দার কাছে দু‘জন ফেরেশতা আসে তাকে উঠিয়ে বসাবেন। তার পর তাকে জিজ্ঞেস করবেন: তোমার রব কে? সে উত্তর দেয় আমার রব ‘আল্লাহ’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তোমার দ্বীন কি? সে উত্তর দেয়, আমার দ্বীন ‘ইসলাম’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তোমাদের মাঝে যিনি প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি কে? সে উত্তর দেয়, তারা উত্তর দেয়, তিনি হলেন ‘আল্লাহর রাসূল’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এসব কিভাবে জানলে? সে উত্তর দেয়, আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি, তাঁর উপর ঈমান এনেছি ও তাঁকে সমর্থন করেছি। তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেন- আমার বান্দা সত্য বলেছে, আমার বান্দার জন্য জান্নাতের একটি বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাাতের পোশাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য জান্নাতের একটি দরজা খুলে দাও। তখন তা খুলে দেওয়া হয়। রাসূল (সা.) বলেন: ফলে তার দিকে জান্নাতের স্নিগ্ধ বাতাস এবং সুগন্ধি আসতে থাকে। তার জন্য কবরের স্থানকে দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়। (আহমদ আবু দাউদ)
৪০) যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে, তাকে (সমাজে কুরআনের বিধান) প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে, কুরআনে বর্ণিত হালালসমূহকে হালাল জেনে মেনেছে, হারামগুলোকে হারাম মনে করেছে। আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের জাহান্নামযোগ্য ১০ জনে বিষয়ে সুপারিশ করতে পারবেন। (তিরমিযী হযরত আলী হতে)


552
অভিযোগটা পুরোনো। কিন্তু মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নতুন করে। অভিযোগ উঠেছিলো কাতার ও রাশিয়ার ফুটবল কর্তৃপক্ষ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ভোটারদের টাকা দিয়েছিলো। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সম্প্রতি ফিফার উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ফিফার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ফিফার কাছে এখনো এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ আসেনি। যদি আসে এবং যদি তদন্তে তা সত্য প্রমাণিত হয়, তবে বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার হারাতে পারে কাতার ও রাশিয়া।

উল্লেখ্য অভিযোগে আঙুল উঠছে সেপ ব্ল্যাটারের দিকেও। অভিযোগ উঠেছে, কাতার এবং রাশিয়াকে বিশ্বকাপের আয়োজনের ভার দেওয়ায় সহযোগিতা করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে হয়ে গেছে।

কদিন ধরেই ফিফার সদর দপ্তর নানা ঘটনা ও দুর্ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ঘটনা ছিলো সেপ ব্ল্যাটারের আরো একবার সভাপতি নির্বাচিত হওয়া এবং মাত্র চার দিনের মাথায় তার পদত্যাগ করা।

553
বাংলাদেশে ইতিহাসচর্চা হয় চুটিয়ে। মানববন্ধনে ইতিহাস, গোলটেবিলে ইতিহাস, পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন উপলক্ষে ফিতা কাটার সময় ইতিহাস, ফজলি বা ল্যাংড়া আমের ফলনের প্রসঙ্গ উঠলেও ইতিহাস। তবে সে ইতিহাস বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, একাত্তরের ইতিহাস। বাংলার বাজেটেরও রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। এ ভূখণ্ডের মানুষের স্বাধীনতার ইতিহাসের মতোই বাংলার বাজেটের ইতিহাসেরও সূচনা ইংরেজ শাসনামলে। বাহাদুর শাহ জাফরের সময় এভাবে বাজেট ঘোষিত হতো না।
লাখো বাঙালিকে ফাঁসির মঞ্চে উঠিয়ে, আন্দামানে দ্বীপান্তরে পাঠিয়ে, কারাগারের নির্জন কক্ষে তিলে তিলে হত্যা করে, ইংরেজ প্রভুরা ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট সকালে বিদায় নেয়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ দেশের প্রথম বাজেট মুসলিম লীগ সরকার উপস্থাপন করে ১৯৪৮ সালের মার্চে। সেকালে অর্থবছর এপ্রিল থেকে শুরু হতো। ষড়ঋতুর কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে অর্থবছর ১ বৈশাখ বা ১৪ এপ্রিল থেকেই শুরু হওয়া যুক্তিযুক্ত।
পূর্ব বাংলার পলিমাটি অতি উর্বর। কৃষকেরা পরিশ্রমী। পূর্ব বাংলার ধান-পাট বিক্রি করা টাকায় হিন্দু ও মুসলমান জমিদার-ব্যবসায়ীরা কলকাতায় প্রকাণ্ড সব বাড়ি বানিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন কলকাতা মহানগর। বাংলার জনগণের অধিকাংশই কৃষক ও কৃষিশ্রমিক। তাঁদের শরীরের ওপরটা উদোম এবং কোমর থেকে নিচের দিকে নেংটি। তাঁরা ভেবেছিলেন, ইংরেজরা চলে গেলে, দেশটা স্বশাসিত হলে, তাঁদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। কিন্তু বাংলার মাটি উর্বর হলেও বাঙালির আড়াই ইঞ্চি কপালটা বড়ই অনুর্বর। বারবার সে হোঁচট খায় এবং তার কপাল ভাঙে। নানা বিপর্যয় সত্ত্বেও এ দেশের মানুষের অনেক উন্নতি হয়েছে। এতটাই উন্নতি হয়েছে, যা ১৯৪৮-এ বা ১৯৭২-এ অনেকে ভাবতেও পারেননি।
অতি সুরম্য ভবনে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরাসহ প্রায় সব সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও গিয়েছিলেন বাজেট বক্তৃতা শুনতে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর আমন্ত্রণে আমিও দর্শক গ্যালারিতে বসে অর্থমন্ত্রীর বাজেট উপস্থাপনা উপভোগ করেছি। ওখানে বসে সেদিন মনে পড়ে স্বাধীনতার পর ’৭২-এ অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বাজেট ঘোষণার স্মৃতি।
১৯৭৩-এ ছিল নির্বাচিত সরকারের প্রথম বাজেট। এখনকার তুলনায় সংক্ষিপ্ত বাজেট বক্তৃতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ক্যানটিনে ঢুকলেন। আমরা সবাই তাঁদের পিছে পিছে। বঙ্গবন্ধু হাস্যরস করছিলেন। তিনি ফয়েজ আহমদ ও বার্তা সংস্থা এনার গোলাম রসুল মল্লিককে দেখিয়ে অর্থমন্ত্রীকে বললেন, ‘তাজউদ্দীন, তুমি যত ভালো বাজেটই দাও না কেন, ওরা মন্দ বলবেই। যদি কিছু প্রশংসা চাও তো ওদের বেশি বেশি বিরিয়ানি-টিরিয়ানি খাওয়াও।’ চা-নাশতা খাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু সব সাংবাদিকের সঙ্গেই হাস্যরস করলেন। ছোট ঘর। সাংসদদের ও সংবাদমাধ্যমের লোকজনের মধ্যে একটি অন্তরঙ্গ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল।
আমরা সবকিছুর মহিমা খুইয়েছি। অবশ্য যেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধই মূল্যহীন, সেখানে অন্যান্য বিষয় কী গুরুত্ব বহন করবে! একটি আধুনিক রাষ্ট্রে বাজেট অধিবেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেখানে জনপ্রতিনিধিদের কণ্ঠে বাজেট বিতর্কে জাতির আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ পায়। একটি প্রশ্নে আমার বালুকণা পরিমাণ সন্দেহ নেই। তা হলো বর্তমান মহাজোট সরকার যেসব উন্নয়নমূলক ভালো কাজ করেছে, ২০৪১ সালে
যাঁরা দেশ শাসন করবেন, তাঁরা তা স্বীকার করবেন না। তার কারণ হলো সাধারণ বাঙালি অতটা না হলেও বিদ্বান বাঙালিরা কারও কোনো কাজের স্বীকৃতি দেন না।
যমুনা সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ তিন দলের নেতারাই ষোলো আনা নেওয়ার জন্য কামড়াকামড়ি করেছেন,
তা আমরা দেখেছি। কারণ, সবাই একাত্তরের ওপাশে যাওয়াকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেছেন। যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব কে কোন জনসভায় প্রথম উচ্চারণ করেন, সে প্রসঙ্গে আমি যাব না। কারণ, তা খবরের কাগজে লেখা আছে। ষাটের দশকের মধ্যভাগে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বাজেট অধিবেশনে যমুনা সেতু নির্মাণের প্রশ্নে আলোচনা হয়। আবদুল আলিম ‘যমুনা নদীর ওপর ফুলছড়ি ঘাট ও উত্তরবঙ্গের বাহাদুরাবাদ ঘাটের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী সেতু নির্মাণের একটি প্রস্তাব’ উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি নিয়ে ‘সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা...তুমুল বিতর্ক’ করেন।
বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সদস্যরাও ছিলেন।
‘প্রস্তাবে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে প্রদেশের বাকি অংশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে সরকারের প্রতি উক্ত সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। প্রস্তাবটি গ্রহণ করে প্রাদেশিক সড়ক ও পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুলতান আহমদ পরিষদকে জানান যে কেন্দ্রীয় সরকার এই সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সব রকম সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে এটি একটি বিরাট প্রকল্প এবং এতে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।’ আড়াই শ কোটি টাকায় প্রমত্ত যমুনার ওপর সেতু! অকল্পনীয়। এখন তো অনেক যুবনেতার একটি মাত্র অ্যাকাউন্টেই আড়াই শ কোটি টাকা আছে।
সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী সেদিন জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার জাপান, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ‘কতিপয় বিদেশি রাষ্ট্রের’ সঙ্গে ‘এই পরিকল্পনায় সহায়তার জন্য রিপোর্ট প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা প্রদানের জন্য অনুরোধ’ করেছে। ১৫ জুন ১৯৬৭, অর্থমন্ত্রী এম এন হুদা পরিষদে জানান, যমুনা সেতু প্রকল্পের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা
করা হচ্ছে। সরকার কাজ দ্রুত শেষ করতে আগ্রহী। পরিকল্পনাটি তৃতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। পরদিন সড়ক নির্মাণ দপ্তরের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি (পদটি এখন নেই) আলতাফ হোসেন পরিষদকে জানান, যমুনা সেতু প্রকল্পে জাপান ও রাশিয়াকে যুক্ত করা হয়েছে।
একদিন পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে যখন গাড়ি ও রেলগাড়ি চলবে, সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী মুহিত ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথা ভুলে গেলে হবে অকৃতজ্ঞতা। এখন যমুনা সেতুর দুই পাশে যখন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যায়, তখন নিহত ব্যক্তিদের আত্মা আবদুল আলিম, সুলতান আহমদ, ড. এম এন হুদাকে শুধু নয়, আইয়ুব খানকেও অভিশাপ দেয়।
লুই কানের নকশা করা ভবনে বসে বাজেট বক্তৃতা উপভোগের সময় আমার মনে এল, এ দেশের প্রথম বাজেট কবে কোন ঘরে ঘোষিত হয়েছিল। এবং স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বাজেটই-বা কোন কক্ষে ঘোষিত হয়। সেই ঘর দুটির সঙ্গে এই অধিবেশনকক্ষের পার্থক্য কতটা?
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর চির-অবহেলিত পূর্ব বাংলা প্রদেশে কোনো পরিষদ ভবন ছিল না। এমনকি প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকাতে কোনো বড় হলঘরও ছিল না। প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন বসত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সেই হলঘরে, যেটি ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ধসে পড়ে। নিহত হন বহু ছাত্র। ওই ঘরেই দেশের প্রথম বাজেট অধিবেশন বসে মার্চ ১৯৪৮-এ। মাওলানা ভাসানী ছিলেন ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের টিকিটে টাঙ্গাইল থেকে নির্বাচিত সদস্য। সরকারি দলের হলেও তিনি বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেন। সেদিন তিনি দুটি ঐতিহাসিক কাজ করেছিলেন, যা বাংলাদেশের পরবর্তী ২৩ বছরের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রিত করেছে। বাজেট পরিবেশিত হয়েছিল ইংরেজিতে। মাওলানা রেগে যান। তিনি দাবি করেন, পরিষদে সব আলোচনা বাংলায় করতে হবে। ১৭ মার্চ আলোচনাকালে ভাসানী বলেন: ‘এটা বাংলা ভাষাভাষীদের দেশ, এই অ্যাসেমব্লির যিনি সদর (স্পিকার), তিনিও নিশ্চয়ই বাংলাতেই বলবেন।’ প্রত্যুত্তরে স্পিকার বলেন, ‘যিনি যে ভাষা জানেন, তিনি সেই
ভাষায় বলবেন।’ মাওলানা বলেন, ‘তা হবে না, আপনি রুলিং দেন বাংলায় বলতে।’ ১৯ মার্চ বক্তৃতায় ভাসানী বলেন, ‘...আমরা কি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের গোলাম? ব্রিটিশ গভর্নমেন্টের
গোলামি করি নাই, ন্যায়সংগত অধিকারের জন্য চিরকাল লড়াই করেছি, আজও করব। আমরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে পাট উৎপাদন করব আর...ট্যাক্স নিয়ে যাবে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট। এই সব ট্যাক্স শতকরা ৭৫ ভাগ প্রদেশের জন্য রেখে বাকি অংশ সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টকে দেওয়া হোক।’ সেদিনই ছিল ভাসানীর জীবনের শেষ সংসদে যোগদান। চক্রান্ত করে সরকার তাঁর সদস্যপদ বাতিল করে।
১৯৪৯ সালে দ্বিতীয় বাজেটও জগন্নাথ হলেই ঘোষিত হয়। সেখানে একটি বিষেয় তুমুল বিতর্ক হয়। তা হলো নোয়াখালীতে গান্ধী ক্যাম্পের কার্যক্রম ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা। মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন বাজেট পেশ করেছিলেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন। পুলিশের খাতে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ চাইলে বিরোধী কংগ্রেস দলের সদস্যরা আপত্তি করেন। তাঁদের মধ্যে মণীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য, গোবিন্দলাল, ভোলানাথ বিশ্বাস, অমূল্য অধিকারী, হারাণচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ বলেন, যে পুলিশ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, তাদের জন্য এত টাকা কেন?
বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত সরকারের বাজেট ১৯৭৩-এ ঘোষিত হয় পুরোনো সংসদকক্ষে, এখন যা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বাজেট ও বাজেট নিয়ে আলোচনায় দেশবাসীর অনেক কিছু শেখার­ থাকে, ব্লেডের দাম বাড়ল কি না, তা নিয়ে হাহাকার বাজেট আলোচনা নয়।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মান নিম্নগামী। উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা কিছু ফটোকপি মুখস্থ করে সার্টিফিকেট পাচ্ছে। জীবন গড়ে তুলতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে যুবসমাজকে শিখতে হবে জীবন থেকে। আজ যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৫, তারাই ১৫ বছর পরে দেশ চালাবে।
কেউ এমপি হবে, কেউ পদস্থ আমলা, কেউ বিচারক, কেউ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ। তারা কী শিখছে? অর্থমন্ত্রীদের বাজেট ঘোষণা ও তার প্রতিক্রিয়া ৪৩ বছর যাবৎ যা হচ্ছে, তাতে যুবসমাজের শেখার কিছু নেই। যা শিখছে তা ফালতু কথা বলা।
আমি শতভাগ নিশ্চিত, বিএনপি নেতারা বাজেট না পড়েই দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাষায় সমালোচনা করছেন। অথচ তাঁদের দলেও বহু ভালো অর্থনীতিবিদ আছেন। বাম দলের নেতারা অগ্রাধিকার দেন বাজেটের চেয়ে বিপ্লবকে। জাতির চৈতন্য ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ডিসকোর্সের অবকাশ কম। একটি জাতিকে চারদিক থেকে প্রথার মধ্যে বন্দী করে ফেলা হয়েছে। সৃষ্টিশীলতা নেই। যুক্তিশীলতা নেই। যাদের মধ্যে তা আছে, তা বিকাশের পথ রুদ্ধ করে ফেলা হচ্ছে। বাজেটের অঙ্কটা কত বড়, তাতেই সবাই মুগ্ধ। বেশি টাকার চেয়ে প্রয়োজন বেশি মানুষের কল্যাণ ও কর্মসংস্থান। জাতির উজ্জ্বল ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা। তা নিয়ে বিতর্ক–বাজে কথা নয়।

554
Business Administration / Management
« on: June 05, 2015, 12:27:31 AM »
Compensation management is a general policy, implemented in conjunction with specialized software, designed to help an organization maximize the returns on available talent.

555
Business Administration / Human Resource Management
« on: June 05, 2015, 12:26:34 AM »
    Recruitment. A great deal of attention and resources is required to attract, hire and retain an experienced, committed and well-motivated workforce. ...
    Training and Development. ...
    Professional Development. ...
    Benefits and Compensation. ...
    Ensuring Legal Compliance.

Pages: 1 ... 35 36 [37] 38