Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Alamgir Hossan

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 38
76
সত্যিই বেড়ে উঠেছে বাংলাদেশ।  চাপের ভেতর থেকে ম্যাচ কীভাবে বের করে আনতে হয়, সেটাও করে দেখিয়েছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ।  তাদের আলোয় আলোকিত বাংলাদেশের বন্দনায় তাই গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।

একদিনেই ৭টি রেকর্ড ভাঙলেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ জুটি, এক পলকে দেখে নিন:

* ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ২০০ রানের জুটি।

* কার্ডিফের এ মাঠে যেকোনো দেশের পক্ষে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি।  এই রেকর্ডটা পছন্দ করবেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ।  তাঁরা যে ভেঙেছেন দ্রাবিড়-কোহলির ২০১১ সালে করা ১৭০ রানের জুটি।  ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই জুটিটা হয়েছিল তৃতীয় উইকেটে।

* ৩৮.২ ওভারে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ ভেঙেছেন পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।  আগে এই রেকর্ডে সাকিবের সঙ্গী ছিলেন মুশফিক।  ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৮ রান তুলেছিলেন দুজনে।

* চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যেকোনো দলের পক্ষে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি।  আগের রেকর্ডটি ছিল ১১ বছর আগে করা ব্রায়ান লারা-রুনাকো মর্টনের ১৩৭ রানের জুটি।

* চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যেকোনো উইকেটে ২০০ রানের জুটি এর আগে হয়েছেই মাত্র দুটি।  দুটিই ২০০৯-এর আসরে।  দ্বিতীয় উইকেটে পন্টিং-ওয়াটসনের অবিচ্ছিন্ন ২৫২ (প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ভেন্যু সেঞ্চুরিয়ন)।  একই মাঠে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পক্ষে চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ ইউসুফ-শোয়েব মালিকের ২০৬ রানের জুটি।

* ইংল্যান্ডের মাঠে যেকোনো দলের হয়ে পঞ্চম উইকেটে এটি সর্বোচ্চ জুটি।  ২০০০ সালে জিম্বাবুয়ের গ্রান্ট ফ্লাওয়ার ও মারে গুডউইন করেছিলেন ১৮৬ রান।

* ওয়ানডেতে রান তাড়া করে জেতার ম্যাচে যেকোনো দলের হয়ে পঞ্চম উইকেটের জুটির রেকর্ডটা ভাঙেনি ২ রানের জন্য।  রবি বোপারা ও এউইন মরগান ২০১৩ সালে ২২৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।

77
কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ রানেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবিশ্বাস্য ২২৪ রানের জুটি টাইগারদের ৫ উইকেটের জয় এনে দেয়।

ঐতিহাসিক এই জয়ের ফলে ৩ রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচ শুরুর আগে টাইগারদের রেটিং পয়েন্ট ছিল ৯২, অবস্থান ছিল সাত নম্বরে। অন্যদিকে এর আগে ভারতকে হারিয়ে ৯৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বর অবস্থানে ছিল শ্রীলংকা।
এক নজরে আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাংকিং-

১। দক্ষিণ আফ্রিকা- ১২০ রেটিং পয়েন্ট

২। অস্ট্রেলিয়া- ১১৮ রেটিং পয়েন্ট

৩। ভারত- ১১৬ রেটিং পয়েন্ট

৪। ইংল্যান্ড- ১১৩ রেটিং পয়েন্ট

৫। নিউজিল্যান্ড- ১১১ রেটিং পয়েন্ট

৬। বাংলাদেশ- ৯৫ রেটিং পয়েন্ট

৭। শ্রীলংকা- ৯৪

৮। পাকিস্তান- ৯০

৯। ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ৭৯

১০। আফগানিস্তান- ৫২

১১। জিম্বাবুয়ে- ৪৬

১২। আয়ারল্যান্ড- ৪১

78
পরিমিত ঘুম যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা দরকারী তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ঠিকমত ঘুম না হলে সারাদিন ক্লান্তিভাব, খিটখিটে মেজাজ, অযথা দুশ্চিন্তা এসব লেগেই থাকে। আমাদের নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা রোজকার পর্যাপ্ত ঘুমকে অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। আর সেই সাথে এখন এসেছে রমজান মাস। রোজার পরিবর্তিত লাইফস্টাইলে প্রায় সবাইকেই ঘুম নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। ইফতারে ভরপেট খেয়ে পরিবার, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবের সাথে একটু সময় কাটিয়ে ঘুমোতে দেরী হয়ে যায়, আবার রাতের টানা ঘুমের বদলে সেহরীতে ওঠা লাগে। সকালের ক্লাস বা অফিসে বা ঘরের কাজে যেন আর শরীর চলে না। ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে সারাদিন কাটে, অথচ রাতে ঘুমানোর সময় হলে চোখের পাতা থেকে ঘুম উধাও। এক অদ্ভুত দুষ্টচক্র। কি করা যায় এর সমাধানে?

রোজার সময় দিনের পরিবর্তে আমাদের খাদ্যগ্রহণ হয় রাতের বেলা। ফলে রাতে শরীরে কর্টিসোল ও ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ে। হরমোনঘটিত এসব পরিবর্তনের কারণে রাতের ঘুম, ক্ষুধাবোধ সবই প্রভাবিত হয়। তা থেকে আসে যে সারাদিনের ক্লান্তি একে কাটিয়ে উঠতে কিছু নিয়ম মেনে চলুন-

সেহরীর আগে তুলনামূলক লম্বা সময় ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অন্য সময় যখন ঘুমান তার থেকে একটু আগেই শুয়ে পড়ুন। ৪-৫ ঘন্টার টানা ঘুম আপনাকে অনেকটাই সতেজ রাখবে।

ঘুমানোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। শোবার ঘর অন্ধকার এবং আরামদায়ক রাখুন, আর শুতে যাবার এক ঘন্টা আগে থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এসব ইলেকট্রনিক গ্যাজেটকে বিদায় দিন। এগুলো থেকে যে আলো বেরোয় তা আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাবে।

ভালো ঘুমের জন্য চাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস। ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং তেলযুক্ত খাবার খেলে তা থেকে এসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা, বুক জ্বালা ইত্যাদি হতে পারে, যা ঘুমোতে দেবে না আপনাকে। আর ঝরঝরে দেহমনের জন্য  ঘুমের শুধু দৈর্ঘ্যটুকুই নয়, ঘুম কতটা গভীর হল তাও জরুরী। বেশী ক্যালরিবহুল খাবার শরীর হজম করতে সময় নেয়, ফলে ঘুম ভালো হয় না।

ইফতারের পর ক্যাফেইনযুক্ত খাদ্য-পানীয় ও ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকুন। মনে রাখবেন ক্যাফেইনের প্রভাব শরীরে প্রায় সাত ঘন্টার মত থেকে যায়, সুতরাং যতই আগে খান না কেন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবেই। রাতে শোবার আগে বরং এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খেয়ে নিন, এতে থাকে ট্রিপটোফ্যান যা প্রাকৃতিকভাবে ঘুম আনতে সাহায্য করে।

সেহরীর আগে পরে মিলিয়ে চেষ্টা করুন আপনার স্বাভাবিক ঘুমের সময়টুকু পুরো করতে। তবু যদি দিনের বেলা খুব ক্লান্ত লাগে, দুপুরে ২০ মিনিটের ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিন। ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে রাখুন যাতে এর বেশী না ঘুমান। কারণ এসময় গভীর ঘুমে চলে গেলে চাঙা হবার বদলে আরো দুর্বল বোধ করবেন। যারা অফিসে বা এমন অবস্থায় রয়েছেন যে ঘুমানো সম্ভব নয়, তারা অন্তত ১৫ মিনিট সব কাজকর্ম বন্ধ রেখে একটু রিলাক্স করে নিন।

সারাদিনের স্ট্রেস দূর করতে সন্ধ্যার পর হালকা ব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারেন। পরের দিনের কাজের প্ল্যান আগেই করে ফেলুন, ঘুমোবার আগে শুয়ে শুয়ে এসব নিয়ে ভাববেন না। আর যদি এরপরও ঘুম আসতে না চায়, বারবার ঘড়ি দেখে অস্থির হবেন না। বিছানা থেকে উঠে পড়ুন, কিছু একটা কাজে মন দিন বা বইয়ের পাতা উল্টান। শান্ত হোন, ঘুম আসবে ধীরে ধীরে।

রোজার শুরুতে ঘুম একটু উল্টোপাল্টা হলেও নিয়মমাফিক চললে আমাদের দেহঘড়ি আস্তে আস্তে নতুন রুটিনে নিজেকে অভ্যস্ত করে নেয়। তাই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস বর্জন করুন, নিজেকে একটি সুন্দর লাইফস্টাইল উপহার দিন।

79
মুসলিমরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’সিয়াম’। খ্রিস্টানরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’ফাস্টিং’। হিন্দু বা বৌদ্ধরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’উপবাস’।

বিপ্লবীরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’অনশন’। আর, মেডিক্যাল সাইন্সে রোজা রাখকে বলা হয় ’অটোফেজি’।তবে মুসলিমদের রোজা রাখার ধরনের সাথে অন্যদের কিছু পার্থক্য আছে।

খুব বেশি দিন হয়নি, মেডিক্যাল সাইন্স ’অটোফেজি’র সাথে পরিচিত হয়েছে। ২০১৬ সালে নোবেল কমিটি জাপানের ডাক্তার ’ওশিনরি ওসুমি’-কে অটোফেজি আবিষ্কারের জন্যে পুরষ্কার দেয়। এরপর থেকে আধুনিক মানুষেরা ব্যাপকভাবে রোজা রাখতে শুরু করে।



ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন । যেখানে রোজা রাখার জন্যে আধুনিক সচেতন নারী ও পুরুষেরা কেমন ব্যস্ত হয়ে পড়ছে, দেখুন!!! শত হলেও, মেডিক্যাল সাইন্স বলে কথা!!যাই হোক, Autophagy কি? এবার তা বলি।

Autophagy শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ। Auto অর্থ নিজে নিজে, এবং Phagy অর্থ খাওয়া। সুতরাং, অটোফেজি মানে নিজে নিজেকে খাওয়া।

না, মেডিক্যাল সাইন্স নিজের গোস্ত নিজেকে খেতে বলে না। শরীরের কোষগুলো বাহির থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই যখন নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে, তখন মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় তাকে অটোফেজি বলা হয়। আরেকটু সহজভাবে বলি।

আমাদের ঘরে যেমন ডাস্টবিন থাকে, অথবা আমাদের কম্পিউটারে যেমন রিসাইকেল বিন থাকে, তেমনি আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ডাস্টবিন আছে। সারা বছর শরীরের কোষগুলো খুব ব্যস্ত থাকার কারণে, ডাস্টবিন পরিষ্কার করার সময় পায় না। ফলে কোষগুলোতে অনেক আবর্জনা ও ময়লা জমে যায়।

শরীরের কোষগুলো যদি নিয়মিত তাদের ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে না পারে, তাহলে কোষগুলো একসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের উৎপন্ন করে। ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মত অনেক বড় বড় রোগের শুরু হয় এখান থেকেই।

মানুষ যখন খালি পেটে থাকে, তখন শরীরের কোষগুলো অনেকটা বেকার হয়ে পড়ে। কিন্তু তারা তো আর আমাদের মত অলস হয়ে বসে থাকে না, তাই প্রতিটি কোষ তার ভিতরের আবর্জনা ও ময়লাগুলো পরিষ্কার করতে শুরু করে।

কোষগুলোর আমাদের মত আবর্জনা ফেলার জায়গা নেই বলে তারা নিজের আবর্জনা নিজেই খেয়ে ফেলে। মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকে বলা হয় অটোফেজি।

জাস্ট এ জিনিসটা আবিষ্কার করেই জাপানের ওশিনরি ওসুমি ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কারটা নিয়ে গেল।

শুনেছি প্রোফেসর ওশিনরি নিজেও সপ্তাহে দুটি করে রোজা রাখেন। আমার আফসোস হলো তাদের জন্যে, যারা স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রোজা রাখেন না।

আমরা তো প্রতিবছর একমাস রোজা রেখে শরীরের অটোফেজি করে ফেলি। কিন্তু, আপনারা কিভাবে শরীরের অটোফেজি করবেন?

80
২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করেছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। প্রথম বছরে অনুষদ ছিল মাত্র দুটি, ছাত্র-ছাত্রী ছিল ৬৮ জন।

এখন ধানমণ্ডি, আশুলিয়া ও উত্তরায় তিনটি ক্যাম্পাস আছে। প্রধান ক্যাম্পাসটি ঢাকার মিরপুর রোডের ধানমণ্ডির শুক্রাবাদে। শিক্ষক আছেন ৬০০ জন। সাভারের আশুলিয়ায় ১৫০ একরেরও বেশি জায়গার ওপর স্থায়ী ক্যাম্পাস আছে। তাতে শিক্ষা, প্রশাসনসহ অনেক ভবন আছে। সব ছাত্র-ছাত্রীর জন্য আবাসিক সুবিধাও আছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দশম সেমিস্টারের ছাত্রী রেহনুমা ইসলাম বললেন, ‘যেন তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠি, সে জন্য দ্বিতীয় সেমিস্টারেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের একটি করে ল্যাপটপ ফ্রি দেয়, কম্পিউটারাইজড ক্লাসরুমে ক্লাস হয়। স্যাররা সব সময় লেখাপড়ায় উৎসাহিত করেন। কোনো কিছু না বুঝলে আবার বোঝান। ’
বেশ কয়েক দিন আগে পাস করে গেলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভুলতে পারেননি হাসান যোবায়ের। তিনি বললেন, ‘আমাদের সব নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকে। বেতন দেওয়া থেকে শুরু করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা, পরীক্ষার ফলাফল প্রদান—সবই অনলাইনে করা যায়। ‘ডিআইইউ স্মার্ট স্টুডেন্ট’ নামের অ্যানড্রয়েট অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নোটিশ, ক্লাস রুটিন চেক করতে পারে। পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারে, টিউশন ফিও জানা যায়। তবে এই অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হয়। ভর্তি হলেই সব ছাত্র-ছাত্রীকে একটি মেইল অ্যাড্রেস দেওয়া হয়। ‘স্টুডেন্ট পোর্টাল’ নামের সাইটে গিয়ে লগইন করতে হয়। এরপর ড্যাশবোর্ড থেকে কোর্স রেজিস্ট্রেশন, কোর্স ফি, রেজাল্ট চেক করা, নিজের প্রফাইল আপডেট, শিক্ষকদের ফিডব্যাক দেওয়াসহ লেখাপড়াসংক্রান্ত সব কাজ ঘরে বসেই করা যায়। গুগল ক্লাসরুমে নিয়মিত প্রজেক্ট জমাদানসহ আরো অনেক কাজই করা যায়। এখন শিক্ষার্থীদের স্মার্টকার্ড দেওয়া হচ্ছে। স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার পার্কিং, জিম, ক্যান্টিন, ফটোকপি, প্রিন্টিং সার্ভিস অনায়াসেই নিতে পারবে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া ট্র্যাকিং করা যাবে, লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট করা যাবে, ড্যাফোডিল ‘কিওসক’ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের টিকিটও কাটা যায়। আছে আরো অনেক সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, বেতন প্রদানসহ সব কাজই কম্পিউটারে করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার (আইএসপি) সেটআপ আছে। ফলে সব ছাত্র-ছাত্রী বিনা খরচে ক্যাম্পাসে ‘ওয়াই-ফাই’ ব্যবহার করতে পারে, ইন্টারনেটসেবা পায়। তাদের লেখাপড়ায় উৎসাহিত করতে প্রতি সেমিস্টারে ফলাফলের ওপর ১০ থেকে ৫০ শতাংশ শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। যারা ৩.৮০ সিজিপিএ পায়, তাদের ১০ শতাংশ, যারা ৪-এর ৪ সিজিপিএ পায় তাদের জন্য ৫০ শতাংশ বৃত্তি আছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের শতভাগ বৃত্তি আছে। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিনিময় কার্যক্রম আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ঊর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক আনোয়ার হাবিব কাজল বললেন, ‘এখানে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি) আছে। এটি তাদের পেশাগত পরামর্শ দেয়। কোথায় ইন্টার্নি করতে হবে সে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে। চাকরির সিভি তৈরি থেকে শুরু করে সব সহযোগিতা করে। ’ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের (এসএ) পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা ফাউন্ডেশন ডে-তে সমস্যা শুনে গ্রাম-মফস্বল থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশগত সমস্যার সমাধান করি, মানসিক সমস্যায় সাহায্য করি। পার্টটাইম চাকরি, টিউশনির ব্যবস্থা করি। তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে মিটিয়ে দিই। ’ এইচএসসিতে ‘গোল্ডেন জিপিএ’ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিনা খরচে পড়তে পারে। একই পরিবারের সদস্যরা ভর্তি হলে মোট খরচের ওপর ৪০ শতাংশ ছাড় পায়। প্রতি সেমিস্টারে গড়ে ৩.৯ বা তার চেয়ে বেশি নম্বর পেলে অ্যাওয়ার্ড আছে।

 

একনজরে ড্যাফোডিল

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দিতে চেষ্টা করে। সে জন্য আছে দুই শর বেশি শ্রেণিকক্ষ। এগুলোর পাঁচটি ডিজিটালাইজড। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট পাঁচটি অনুষদ আছে। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ আর্টস, পরিবেশবিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পড়ানো হয়। বাণিজ্য ও অর্থনীতি অনুষদে বিবিএ, এন্ট্রারপ্রেনারশিপ, রিয়েল এস্টেট ও এমবিএ পড়ানো হয়। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে এলএলবি, ইংরেজি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ আছে। প্রকৌশল অনুষদে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আছে। অ্যাপ্লাইড হেলথ সায়েন্সেস অনুষদে আছে—ফার্মাসি, নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাবলিক হেলথ। এই অনুষদের অধীনে লাইফ সায়েন্স, জেনেটিক অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি ও মেডিক্যাল আল্ট্রা সাউন্ড বিভাগ খোলার প্রস্তাবনা ইউজিসিতে জমা দেওয়া আছে। তারা অনুমতি দিলেই বিভাগগুলো চালু হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চারটি হল আছে—ছাত্রীদের জন্য বেগম রোকেয়া ছাত্রীনিবাস, উত্তরা ইন্টারন্যাশনাল গার্লস হোস্টেল, ছাত্রদের জন্য প্রফেসর আমিনুল ইসলাম ছাত্রাবাস, ইউনূস খান স্কলারস গার্ডেন আছে। হোস্টেলগুলোতে চার বেডের জন্য ছয় হাজার, দুই বেডের জন্য ছয় হাজার ৫০০ টাকা লাগে। দুই-তিন বছরের পুরনোরা পাঁচ হাজার টাকায় থাকতে পারে। উত্তরা ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলের বাসিন্দা তাহমিনা আক্তার জুঁই বলেন, ‘হোস্টেলে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তাকর্মী আছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন প্রতিটি ফ্লোর, সিঁড়িতে সিসি ক্যামেরা আছে। সন্ধ্যা ৬টার পর বাইরে বেরোনো যায় না। রাতে ঘুমানোর আগে খাতায় উপস্থিতি স্বাক্ষর দিতে হয়। বাড়ি গেলেও স্বাক্ষর করে যেতে হয়। ’

81
বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পাওয়ার যেন, বিরাট কোহলির ট্রেডমার্ক হাসিটা আরও চওড়া হল।  জানালেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচে এমন কিছু একটাই চেয়েছিলেন তিনি।

ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘অনুশীলন ম্যাচেই আমরা যা চেয়েছি, সেটা করতে পেরেছি।  ব্যাটসম্যানরা রান পেয়েছে, বোলাররাও অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে।  মাঠের উপরে যখন মেঘ ঢেকে গিয়েছিল, তখন ব্যাট করতে যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে।  হার্ডিক এবং কেদার নিজেদের কাজটা যথেষ্ট ভালোভাবে করেছে। ’

অনেকদিন পর জাতীয় দলে ফেরা দিনেশ কার্তিক করেন ৯৪ রান।  তাঁর প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ‘দিনেশ কার্তিক একজন অসম্ভব ভালো খেলোয়াড়।  আমরা ওকে আরও বেশি ম্যাচে খেলাতে চাই।  এই ম্যাচে আমাদের সমস্ত পরিকল্পনাই খেটে গেছে। ’

ম্যাচে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে ভারতের ৩২৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ ২২ রানের মধ্যে হারায় প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানকে।  দুই ভারতীয় পেসার ভূবনেশ্বর কুমার ও উমেশ যাদব তিনটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং একেবারেই গুড়িয়ে দেন।

মুশফিকুর রহিম (১৩), মেহেদী হাসান মিরাজ (২৪) ও সাঞ্জামুল ইসলাম (১৮) বিপর্যয়ের সময়ে হাল ধরার চেষ্টা করলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।  অল আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ করেছে মাত্র ৮৪ রান।

বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এই কেনিংটন ওভালেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।  আর ভারত আগামী রোববার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মোকাবেলা করবে।

82
আইপিএলের কারণে একটু দেরিতে যোগ দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড সফরে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সেই মিশনে সবচেয়ে খামতি বোধ হয় থেকে গেছে সাকিব আল হাসানকে নিয়েই। দুটি প্রস্তুতি আর চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। একটিও ফিফটি নেই, এক ম্যাচেও পাননি ৩ উইকেট। ১ জুন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে এক নম্বর অলরাউন্ডারের ব্যাটে-বলের ছন্দহীনতা বাংলাদেশকে চিন্তায় ফেলেছে। আজ ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েও সাকিব পারলেন না দলকে অনুপ্রাণিত করতে।


নতুন জার্সিতে ফিরে আসুক পুরোনো সাকিব। ছবি: টুইটার
সাকিবকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা যেন সব সময়ই হয়। সেটি তিনি এক নম্বর বলেই। ইদানীং আলোচনাটা একটু বেশি হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন সাকিব নিজেই। সর্বশেষ ৮ ওয়ানডে ইনিংসে ৩ ফিফটি। এই সময়ের মধ্যেই টেস্টে একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ দুটি সেঞ্চুরি ও দুটি ফিফটি। ফিফটির একটি আশির ঘরের ইনিংস। সাকিব কি ব্যাট হাতে সত্যিই অনুজ্জ্বল? নাকি নামটা সাকিব বলেই সমালোচনাটা একটু বেশিই হচ্ছে?
বোলিংয়ে অবশ্য সাকিবের পক্ষে বোলার অস্ত্র খুব কমই। সাকিবের বোলিংয়ের ধার যে কমেছে, এটা নিয়ে বিতর্ক করার সুযোগ কম। ওয়ানডেতে গত ১৩ ইনিংসে ৩ উইকেট পেয়েছেন একবার। ২ উইকেট তিনবার। ১ উইকেটও তিনবার। বাকি ছয়বার উইকেটের দেখাই পাননি!
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু মনে করেন, সাকিব যে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পেছনে ফেলে এসেছেন, এ বাস্তবতা মেনে নেওয়ার সময় এসে গেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি উপলক্ষে প্রথম আলোর বিশেষ ভিডিও আড্ডা ‘ছক্কা’য় এই ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেছেন, সাকিব এখনো মাঝেমধ্যে একটি-দুটি দুর্দান্ত ডেলিভারি দিচ্ছে। কিন্তু সাকিব নামটার জন্য তা যথেষ্ট নয়।
সাকিব পুরো ১০ ওভার বোলিং করবেন, এমনটা ভেবে রণকৌশল সাজানো হবে কি না, এখন এ নিয়েও ভাবার সময় এসেছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক। লিপু মনে করেন, সাকিব ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে দিয়ে এসেছেন। স্বাভাবিক নিয়মেই খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারে মধ্যগগন পার হয় এক সময়। লিপুর তাই মন্তব্য, ‌‘সত্যি বলতে কি, সাকিবের বিকল্প ভাবার সময় এসে গেছে।’
এমন নয়, এখনই সাকিবকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন তিনি। তবে তাঁর বিকল্প হিসেবে দলে কে দায়িত্ব নেবেন, সেটি ভাবার সময় অন্তত এসে গেছে বলে মনে করেন লিপু

83
বেশি বেশি আলু, টমেটো বা শসা খেলে বিপদে পড়তে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা তাই অতিরিক্ত আলু, টমেটো ও শসা খেতে নিষেধ করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ স্টিভেন গান্ড্রি বলেছেন, তিনি স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সঙ্গে লেকটিনস নামের একধরনের প্রোটিনের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। এই প্রোটিন সাধারণত শসা, টমেটো, দানাদার শস্য, সয়, মরিচ ও দুগ্ধজাত পণ্যে থাকে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত আলু, টমেটো ও শসা খেলে যে প্রোটিন শরীরে যুক্ত হয়, তাতে আলঝেইমারের মতো রোগ সৃষ্টি হয়।
গবেষকেরা বলেন, লেকটিনস পেটের জন্য খারাপ। এ ছাড়া অন্যান্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর মধ্যে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের গবেষক টম গ্রিনফিল্ডও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বিভিন্ন রক্তগ্রুপের মধ্যে লেকটিনসের প্রভাব পরীক্ষা করে দেখেছেন। তিনি বলেছেন, এ প্রোটিনটি মস্তিষ্কে সমস্যা তৈরিতে ভূমিকা রাখে। একেক মানুষের ক্ষেত্রে এ প্রভাব একেক রকম হতে পারে।

গবেষক গ্রিনফিল্ড বলেন, লেকটিনস মানুষের শরীর, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্তের স্তর পরিবর্তন করতে পারে। ইনসুলিন গ্রহণ বন্ধ করে রক্তনালির ওপর প্রভাব ফেলে, এমনকি মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।

ডেভিড জোকারস নামের আরেক গবেষক বলেছেন, শরীরে পুষ্টি গ্রহণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় লেকটিনস। এতে নানা সমস্যা তৈরি হয়।

84
আগামী জুলাই থেকে ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সরকার দ্বিগুণ কর কাটবে। ব্যাংক থেকে নিজের টাকা তুললেও দ্বিগুণ কর দিতে হবে। আবার ব্যাংক থেকে কেউ ঋণ নিতে গেলেও ঋণের সেই অর্থ থেকে দ্বিগুণ কর দিয়ে আসতে হবে সরকারকে। ‘আবগারি শুল্ক’ নামে এসব অর্থ কাটা হবে টাকা জমা দেওয়া ও তোলার সময়। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এমন বিধান রাখার প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন আবগারি শুল্কমুক্ত রাখা আছে। এনবিআরের প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী অর্থবছরেও (২০১৭-১৮) তা বহাল থাকছে। অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন করলে কোনো কর দিতে হবে না। ২০ হাজার এক টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জমা ও ঋণের ওপর চলতি বাজেটে ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক নিচ্ছে এনবিআর। আগামী বাজেটে তা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হচ্ছে। এক লাখ এক টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা ও ঋণের ওপর চলতি বাজেটে আবগারি শুল্ক ধরা আছে ৫০০ টাকা। আগামী অর্থবছরে তা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হচ্ছে। ১০ লাখ এক টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনের ওপর চলতি অর্থবছরে ১৫০০ টাকা নিচ্ছে সরকার। আগামী ১ জুলাই থেকে তিন হাজার টাকা নেওয়া হবে।

এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনে চলতি অর্থবছরে সাত হাজার ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। এনবিআর সূত্র মতে, আগামী অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা আরোপ করা হচ্ছে। একইভাবে পাঁচ কোটি এক টাকা থেকে আরো বেশি পরিমাণ অর্থ লেনদেনের ওপর বর্তমান আবগারি শুল্ক ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটের জন্য এনবিআরের চূড়ান্ত করা শুল্ক প্রস্তাবে এরই মধ্যে সই করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। এতে ২০ হাজার টাকার ওপরে লেনদেনের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ করার প্রস্তাব রয়েছে। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী দেশের বাইরে যাতায়াতের জন্য বিমানে উঠতে গেলেও দ্বিগুণ আবগারি শুল্ক দিতে হবে প্রত্যেক ফ্লাইটে। চলতি অর্থবছরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও কানেকটিং ফ্লাইটের প্রতি সিটে প্রত্যেকবারের ক্ষেত্রে এক হাজার ৫০০ টাকা ও এক হাজার টাকা করে আবগারি শুল্ক আরোপ করা আছে। নতুন অর্থবছরে এই শুল্ক বাড়িয়ে তিন হাজার ও দুই হাজার টাকা করা হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশ থেকে বিড়ি উধাও করে দেওয়ার যে কথা আগে বলেছিলেন, নতুন বাজেটে তা পুরোপুরি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। বিড়ির ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর পাশাপাশি বিড়ির সর্বনিম্ন যে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে, তাতে এক টাকার নিচে কেউ একটি বিড়িও কিনতে পারবে না। ফিল্টারবিহীন হাতে তৈরি বিড়ির ২৫টি প্যাকেট কিনলে প্রতিটি এক টাকার সামান্য কমে যাওয়া যাবে। আটটি ও ১২টির প্যাকেট কিনলে এবং ফিল্টারযুক্ত হাতে তৈরি বিড়ি কিনলে প্রতিটির জন্য এক টাকা করে খরচ করতে হবে ধূমপায়ীকে। কম দামের সিগারেটে দেশি কম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে। দেশীয় কম্পানির সর্বনিম্ন মূল্যের ১০ শালাকা সিগারেটের প্যাকেটের মূল্য হবে সর্বনিম্ন ২৭ টাকা, আন্তর্জাতিক কম্পানির ক্ষেত্রে এটি ৩৫ টাকা। তবে আন্তর্জাতিক কম্পানিগুলোর দামি সিগারেটের ওপর শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে না। একইভাবে অপরিবর্তিত থাকছে গুল ও জর্দার ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্কও।

এনবিআর সূত্র মতে, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও তিন চাকার অটোরিকশার মধ্যে কোনো কোনোটির ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। কমানোও হচ্ছে কোথাও কোথাও। মাইক্রোবাসের ওপর সম্পূরক শুল্ক কমানো হচ্ছে। এতে মাইক্রোবাসের দাম কমতে পারে। তবে ১০০০ সিসি এবং ২১০০ থেকে ২৭৫০ সিসির প্রাইভেট কারের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ছে, ফলে এগুলোর দাম বাড়বে। বাড়বে বিভিন্ন ধরনের অযান্ত্রিক বাইসাইকেল এবং ডেলিভারির কাজে ব্যবহূত ট্রাইসাইকেলের দামও। তবে উচ্চবিত্ত মানুষের ব্যবহার করা জিপ গাড়ির শুল্ক হারে কোনো পরিবর্তন আসছে না। ফলে এগুলোর দামও অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সম্পূরক শুল্ক কমছে বলে চার স্ট্রোকবিশিষ্ট সম্পূর্ণ তৈরি মোটরসাইকেল, চার স্ট্রোকবিশিষ্ট বিযুক্ত মোটরসাইকেলের আমদানি ব্যয়ও কমবে। ফলে এগুলোর দামও কমতে পারে।

নতুন ভ্যাট আইনে ভ্যাট ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে। ফলে আমদানি পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের যে উেস ভ্যাট দিতে হয় তা থেকে পাওয়ার আশা ছিল তাদের। তবে সে পথে হাঁটছে না এনবিআর। বরং বিভিন্ন পণ্য আমদানির ওপর বর্তমান ১.৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত থাকা উেস ভ্যাট নতুন অর্থবছরে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে এনবিআর। এতে আমদানিকারকদের খরচ বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। এআইটি হিসেবে আমদানিকারকদের কেবল বাড়তি অর্থই ব্যয় করতে হবে না, তা সমন্বয়ের জন্যই বাড়তি সময় অপেক্ষা করতে হবে। বিদ্যমান ভ্যাট আইনে উেস ভ্যাট সমন্বয় করার বিধান রয়েছে ওই অর্থবছরের মধ্যেই।

অর্থাৎ যে অর্থবছরে কোনো আমদানিকারকের কাছ থেকে উেস ভ্যাট নেওয়া হবে, ওই অর্থবছরেই তা সমন্বয় করতে হবে। ভ্যাট আইন সংশোধন করে সমন্বয়ের সময়সীমা ওই অর্থবছর ছাড়াও আরো দুই বছরের জন্য বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ সমন্বয় ছাড়াই আমদানিকারকের দেওয়া উেস ভ্যাট প্রায় তিন বছর থাকবে এনবিআরের কাছে।

85
ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা আগেই জিতে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছিল নিয়মরক্ষার। তবে, বাংলাদেশের জন্য ছিল এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডেরকে এই ম্যাচে হারাতে পারলে র‌্যাংকিংয়ে ছয় নম্বরে ওঠার পাশাপাশি ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলাও নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের।

মাশরাফি বিন মর্তুজারা সেই অর্জনটাই উপহার দিলো বাংলাদেশকে। ক্লনটার্ফে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। যদিও বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের সময়সীমা বেধে দেয়া আছে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

তবে, র‌্যাংকিংয়ে ৬ নম্বরে ওঠার পাশাপাশি সাত নম্বরে নেমে যাওয়া শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ব্যবধান ভগ্নাংশের হলেও আট নম্বরে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবধান ৫ এবং নয় নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ব্যবধান তৈরি হয়েছে ১৪ পয়েন্টের।

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয়তো পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে; কিন্তু ৯ নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট বাড়ার কোনোই সম্ভাবনা নেই আর। সুতরাং, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে র‌্যাংকিংয়ের সেরা আটটি দলের মধ্যে থাকতে পারলেই বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা নিশ্চিত।

আপাতত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়ে আর মাশরাফিদের র‌্যাংকিং নিয়ে ভাবতে হবে না। তিনটি বিশ্বকাপজয়ী দল পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থেকেই খেলতে নামবে টাইগাররা।

আয়ারল্যান্ডের কাছে যদি দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে যেতো তাহলে র‌্যাংকিংয়ে বড় ধরনের অধঃপতন ঘটে যেতো মাশরাফিদের। রেটিং পয়েন্ট একলাফে নেমে আসতো ৮৩-তে। তখন, পাকিস্তান উঠে যেতো বাংলাদেশের ওপরে, সাত নম্বরে। বাংলাদেশ নেমে যেতো আট নম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ব্যবধানটা হতো মাত্র চার পয়েন্টের।

আয়ারল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারানোর কারণে বড় অধঃপতনের শঙ্কাটা কেটে গিয়েছিল। বাংলাদেশ সাত নম্বরেই ছিল। শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে রেটিং পয়েন্ট এক লাফে ৯১ থেকে হয়ে গেলো ৯৩। ভগ্নাংশের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার উপরে উঠে গেলো বাংলাদেশ।

86
নিউজিল্যান্ড প্রথম ওভারেই বোলিংয়ে আনে ৩৭ বছর বয়সী অফ-স্পিনার জিতান প্যাটেলকে। প্রথম বলেই এগিয়ে এসে বলটা লং-অন দিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন তামিম ইকবাল। প্রথম বলেই ছক্কা। আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ধীরলয়ের ব্যাটিং। কাল প্রথম বলে ছক্কা মেরে আÍবিশ্বাসের জানান দেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। পরে সাব্বির রহমানকে নিয়ে ১৩৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন জয়ের পথে।

প্রথম বলে ছক্কা মেরে তামিম ছোট্ট একটি রেকর্ডের তালিকায় ঢুকে গেছেন। বিশ্বের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম বলে ছয় হাঁকিয়েছেন তিনি। একই ওভারে জিতানের প্রথম বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। শুরুতে সৌম্যকে হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপরই ঠাণ্ডা মাথায় নিজের ইনিংসটা টেনে নিয়ে গেছেন তামিম।

টেস্ট প্রথম বলেই ছক্কা মারার ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। সেই একমাত্র ঘটনায় বোলার ছিলেন বাংলাদেশের সোহাগ গাজী। ক্রিস গেইলের ছক্কার শিকার হয়েছিলেন সেই ম্যাচে অভিষিক্ত স্পিনার গাজী। তবে ওয়ানডেতে ১৯৯২ সালে ওয়াসিম আকরামকে প্রথম বলে সীমানা ছাড়া করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্ক গ্রেটব্যাচ ছয় বছর পর ১৯৯৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিলো ওয়ালেস ভারতের জাভাগাল শ্রীনাথের বলে ছক্কা হাকিয়েছিলেন।

ওই ঘটনাটাও অবশ্য বাংলাদেশে, প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তার আরও ছয় বছর পর অস্ট্রেলিয়ার জ্যাসন গিলেস্পির বলে ভারতের বীরেন্দর সেহওয়াগ গ্যালারিতে পাঠিয়েছিলেন বল। পরে ২০১৫ সালে প্রথম বলে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল জনসনের বলে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ছয় মারেন। তবে ম্যাচের প্রথম বলে এখনও কেউ ছক্কা মারতে পারেননি। সব ছক্কায় হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলে।

প্রথম বলে একটি রেকর্ড গড়া তামিম শেষ পর্যন্ত ৮০ বলে ওই এক ছক্কা ও ছয় চারে ৬৫ রান করে আউট হয়েছেন। এদিন হাফ সেঞ্চুরি করেছেন সাব্বির রহমানও। তিনিও ৮৩ বলে ৬৫ করে রানআউট হয়ে ফেরেন। তাদের দেখানো পথেই পরে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বহুল প্রতীক্ষিত জয় এনে দেন বাংলাদেশকে।

87
Business Administration / The science and Art of Management
« on: May 23, 2017, 04:58:32 PM »
I believe that management can be studied and refined to a science. You can study what other great managers do, you can read the latest "how to" book to polish your skills and learn how to manage or handle a particular situation. Leadership on the other hand is a very different matter. A friend of mine and I were talking the other day about Managers vs. Leaders and he made what I thought was quite a profound statement. "Managers take a situation and find a way to fix the problem; Leaders see the situation before it ever becomes a problem."
True Leadership is an art. One that cannot be taught or studied, but only learned Through mistakes as a "manager" and years of trial and error, you discover what your talents are and what you have to offer your team as well as your peers. You discover what your team needs from you to become successful and you find a way to take them there. A manager will use their tried and true methods with each new set of employees they encounter, but a Leader will never steer his people to greatness the same way twice.
I believe that management is absolutely an art. Almost one can learn how to be a manager but the art of it is to become a "Great Manager". So, i strongly believe that management is a pure art. And it brings this management as a science to an art form.
Management can be considered as both science as well as an art.
Management is Science because of several reasons like - it has universally accepted principles, it has cause and effect relationship etc, and at the same time it is art because it requires perfection through practice, practical knowledge, creativity, personal skills etc.
Management is both an art and a science. Management combines features of both science as well as art. It is considered as a science because it has an organized body of knowledge which contains certain universal truth. It is called an art because managing requires certain skills which are personal possessions of managers. Science provides the knowledge & art deals with the application of knowledge and skills.
A manager to be successful in his profession must acquire the knowledge of science & the art of applying it. Therefore management is a judicious blend of science as well as an art because it proves the principles and the way these principles are applied is a matter of art. Science teaches to ‘know’ and art teaches to ‘do’. E.g. A person cannot become a good singer unless he has knowledge about various ragas & he also applies his personal skill in the art of singing. Same way it is not sufficient for manager to first know the principles but he must also apply them in solving various managerial problems that is why, science and art are not mutually exclusive but they are complementary to each other (like tea and biscuit, bread and butter etc.).
The old saying that “Manager are Born” has been rejected in favor of “Managers are Made”. It has been aptly remarked that management is the oldest of art and youngest of science. To conclude, we can say that science is the root and art is the fruit.

88
Business Administration / Basic roles of Management
« on: May 23, 2017, 04:57:34 PM »
Mintzberg published his Ten Management Roles in his book, "Mintzberg on Management: Inside our Strange World of Organizations," in 1990.
The ten roles are:
1.   Figurehead.
2.   Leader.
3.   Liaison.
4.   Monitor.
5.   Disseminator.
6.   Spokesperson.
7.   Entrepreneur.
8.   Disturbance Handler.
9.   Resource Allocator.
10.   Negotiator.
The 10 roles are then divided up into three categories, as follows:
Category   Roles
Interpersonal   Figurehead
Leader
Liaison
Informational   Monitor
Disseminator
Spokesperson
Decisional   Entrepreneur
Disturbance Handler
Resource Allocator
Negotiator
Let's look at each of the ten managerial roles in greater detail.
Interpersonal Category
The managerial roles in this category involve providing information and ideas.
1.   Figurehead – As a manager, you have social, ceremonial and legal responsibilities. You're expected to be a source of inspiration. People look up to you as a person with authority, and as a figurehead.
2.   Leader – This is where you provide leadership for your team, your department or perhaps your entire organization; and it's where you manage the performance and responsibilities of everyone in the group.
3.   Liaison – Managers must communicate with internal and external contacts. You need to be able to network effectively on behalf of your organization.
Informational Category
The managerial roles in this category involve processing information.
4.   Monitor – In this role, you regularly seek out information related to your organization and industry, looking for relevant changes in the environment. You also monitor your team, in terms of both their productivity, and their well-being.
5.   Disseminator – This is where you communicate potentially useful information to your colleagues and your team.
6.   Spokesperson – Managers represent and speak for their organization. In this role you're responsible for transmitting information about your organization and its goals to the people outside it.
Decisional Category
The managerial roles in this category involve using information.
7.   Entrepreneur – As a manager, you create and control change within the organization. This means solving problems, generating new ideas, and implementing them.
8.   Disturbance Handler – When an organization or team hits an unexpected roadblock, it's the manager who must take charge. You also need to help mediate disputes within it.
9.   Resource Allocator – You'll also need to determine where organizational resources are best applied. This involves allocating funding, as well as assigning staff and other organizational resources.
10.   Negotiator – You may be needed to take part in, and direct, important negotiations within your team, department, or organization.

89
Business Administration / Conceptual Skills
« on: May 23, 2017, 04:56:59 PM »
Conceptual skills present knowledge or ability of a manager for more abstract thinking. That means he can easily see the whole through analysis and diagnosis of different states. In such a way they can predict the future of the business or department as a whole.
Why managers need these skills?
As a first, a company contains more business elements or functions as selling, marketing, finance, production… All these business elements have different goals even completely opposed goals. Think about marketing and production as a business function and their specific goals. You’ll see the essential difference. The conceptual skills will help managers to look outside their department’s goals. So, they will make decisions that will satisfy overall business goals.
Conceptual skills are vital for top managers, less important for mid-level managers, and not required for first-level managers. As we go from a bottom of the managerial hierarchy to the top, the importance of these skills will rise.

90
Business Administration / Technical Skills
« on: May 23, 2017, 04:56:34 PM »
As the name of these skills tells us, they give the manager’s knowledge and ability to use different techniques to achieve what they want to achieve. Technical skills are not related only for machines, production tools or other equipment, but also they are skills that will be required to increase sales, design different types of products and services, market the products and services…
For example, let’s take an individual who works in the sales department and have high developed sales skills obtained through education and experience in his department or the same departments in different organizations. Because of these skills that he possesses, this person can be a perfect solution to become sales manager. This is the best solution because he has great technical skills related to the sales department.
On the other hand, the person who becomes sales manager will start to build his next type of required skills. It is because if his task until now was only to work with the customers as sales representative, now he will need to work with employees in the sales department as addition to the work with customers.
Technical skills are most important for the first-level managers. What it comes to the top managers, these skills are not something with high significance level. As we go through a hierarchy from the bottom to higher levels, the technical skills lose their importance.

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 38