Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Zahir_ETE

Pages: 1 ... 5 6 [7] 8
91
উন্নত প্রযুক্তির একধরনের কাগজ তৈরি করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা, যাকে মেশিনের সাহায্যে শনাক্ত করা যাবে। সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, এই কাগজগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন চিপ।

ব্যাংকনোট, আইনি দলিল বা প্রতিষ্ঠানের লেবেলসহ নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে এই কাগজ ব্যবহার করা যাবে। এ কাগজে তৈরি ব্যাংকনোট বা দলিলটি আসল না নকল, তা মেশিনের মাধ্যমে সহজেই শনাক্ত করা যাবে।

আরএফআইডি মেশিনে মূল কাগজ শনাক্ত করতে লেজার ব্যবহার করা হয়, যা কাগজের ইলেকট্রনিক চিপগুলোকে শনাক্ত করে। বাজারে বর্তমানে এ ধরনের কাগজ থাকলেও, তা অনেক পুরু। ফলে তা সাধারণ প্রিন্টারে প্রিন্ট করার উপযোগী নয়। নতুন প্রযুক্তিতে প্লাজমা ইচার ব্যবহার করে চিপগুলোকে আরও পাতলা করা হয়েছে।

অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে এই প্রযুক্তি সাশ্রয়ী বলে জানান প্রকল্পটির প্রধান অধ্যাপক ‌ভ্যাল মারিনোভ।

92
ইন্টারনেটের ব্যবহারের সময় অনেক ক্ষেত্রেই পাসওয়ার্ডের প্রসঙ্গ চলে আসে। অনলাইনে অনেক ব্যবহারকারীই পাসওয়ার্ড নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন। ইন্টারনেট ব্যবহারে পাসওয়ার্ডজনিত নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে বেশ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করা সম্ভব। লিখেছেন সাদ আব্দুল ওয়ালী।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে কমিউনিকেশনস-ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেশন এজেন্সি ‘অফকম’-এর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৬ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ১ হাজার ৮০০ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই একই ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন বিভিন্ন সাইটে। অন্যদিকে ২৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন, যা সহজেই আন্দাজ করা সম্ভব; যেমন জন্মদিন কিংবা নিজেদের শিশুর নামে। আবার ২৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর বেলায় পাসওয়ার্ডটি মনে রাখাই সমস্যা।

উপরের আলোচনাটি ছিল যুক্তরাজ্যের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের। আমাদের দেশেও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তুলনামূলক অবস্থা সুখকর নয়। ইন্টারনেট ব্যবহারে পাসওয়ার্ডজনিত নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে বেশ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করা সম্ভব।

১. ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা
একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করবেন না। যেমন আপনার ই-মেইল অ্যাকাউন্ট, অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, সামাজিক নেটওয়ার্ক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন ডেটিং অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিটি ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা অর্থাৎ ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার অনলাইন জীবনকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সক্ষম হবেন।

২. পাসওয়ার্ড টুকে রাখুন নোটবুকে
আপনার অনলাইন জীবন বহুমুখী এবং বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হতে পারে, থাকতে পারে অনেক ধরনের ইন্টারনেট অ্যাকাউন্ট। সবধরনের ইন্টারনেট অ্যাকাউন্টের জটিল পাসওয়ার্ড মনে রাখা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে একটি স্মার্ট নোটবুকে আপনার পাসওয়ার্ড টুকে রাখুন এবং এই নোটবুকটি গোপন স্থানে সংরক্ষিত রাখুন।

৩. সহজ পাসওয়ার্ড এড়িয়ে চলুন
আপনার অনলাইন জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে হলে পাসওয়ার্ডে ‘জটিলতার’ আশ্রয় নিতেই হবে! যেমন 123456, abc123, 123456789, 654321, 11111, 12345678, 1234 - এই জাতীয় সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এমন সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করে একটু জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে একটু দীর্ঘ নাম্বার, অক্ষর এবং প্রতীক কিওয়ার্ডের সংমিশ্রণে একটি যুতসই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাই শ্রেয়। যেমন Wzy6#@7uSk এই জাতীয় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের পাসওয়ার্ড চুরি করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন।

৪. অনুমানযোগ্য তারিখ, নাম্বার বা নাম ব্যবহার না করা
পাসওয়ার্ডে আপনার জন্ম তারিখ, মোবাইল ফোন নাম্বার, আপনজনের নাম এবং এ ধরনের পছন্দনীয় শব্দ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার না করা শ্রেয়।

৫. ভুলেও কোনো রেজিস্ট্রেশনের সময় পাসওয়ার্ড না দেওয়া
ইন্টারনেটে অনেক ধরনের রেজিস্ট্রেশনের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ জাতীয় প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশনের সময় কোনোভাবে ভুলেও আপনার বহুল ব্যবহৃত কোনো পাসওয়ার্ড দেবেন না। নতুন রেজিস্ট্রেশনের সময় নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাই ভালো।

৬. পাসওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত শব্দ ব্যবহার না করা
ইন্টারনেটে পাসওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত কিছু সাধারণ শব্দ ব্যবহার না করাই বুদ্ধিমানের পরিচয় বহন করে। যেমন hello, computer, superman, sexy কখনও এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করবেন না।

৭. অনলাইন লেনদেনে সতর্কতা
আজকাল অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। এখানে প্রতিটি লেনদেনের সময় ব্যবহারকারীকে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। অবশ্যই এক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কভাবে অনুপম ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য লেনদেনের সময় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

অনলাইনে অনেক ব্যবহারকারীই পাসওয়ার্ড নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন। উপরের বিষয়গুলোতে নজর রাখলে পাসওয়ার্ড নিয়ে ঝুঁকির আশংকা অনেকাংশেই কমে যাবে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনে ইন্টারনেটের ব্যবহার অপরিহার্য। আর ইন্টারনেটের ব্যবহারের সময় অনেক ক্ষেত্রেই পাসওয়ার্ডের প্রসঙ্গ চলে আসে; তাই পাসওয়ার্ড নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

93
এক হ্যাকার গ্রুপ প্রি-পেইড ডেবিট কার্ড ডেটাবেইস হ্যাক করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এটিএম বুথ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে দুই কোটি ৯০ লাখ ডলার। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট অরেঞ্জ নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা সম্প্রতি ঘটা হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হাজার হ্যাকার ভুয়া চৌম্বক কার্ড ব্যবহার করে অর্থ তুলে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনের আইনজীবী লরেটা লিঞ্চ হ্যাকিংয়ের এ ঘটনাকে একুশ শতকের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডাকাতি হিসেবে অভিহিত করেছেন।

হ্যাকাররা ব্যাংক ডেটাবেইস হ্যাক করে প্রি-পেইড ডেবিট কার্ডের অর্থ উত্তোলন সীমায় পরিবর্তন করে এবং অ্যাকসেস কোড বানিয়ে নেয়। তারপর সব ডেটা চৌম্বক কার্ডে নিয়ে নেয়। এতে করে সচল অ্যাকাউন্টের সব তথ্য তাদের চৌম্বক কার্ডে চলে আসে। পরবর্তীতে ওই কার্ডগুলো দিয়ে তারা টাকা হাতিয়ে নেয়।

94
ডিসপ্লে প্রযুক্তির ইতিহাসে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল জানিয়েছে, কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় ন্যানো প্রযুুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ন্যানোসিস আর থ্রিএমের বিজ্ঞানীরা এতোটাই এগিয়ে গেছেন যে, খুব শিগগিরই স্মার্টফোন, ট্যাবলেট আর টিভির ডিসপ্লে তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে এই প্রযুক্তি। ডিসপ্লেকে আরো রঙিন করে তোলে কোয়ান্টাম ডিসপ্লে, এতে বিদ্যুৎ খরচও কমে।
কোয়ান্টাম ডট হচ্ছে আলো বিচ্ছুরণকারী ন্যানোপার্টিকল। কোয়ান্টাম পার্টিকল আকারে এতোই ছোট যে, আকারে দুই থেকে ১০ ন্যানোমিটার আকৃতির হয় এগুলো। কোয়ান্টাম পার্টিকলের আকারও নিয়ন্ত্রণ করা যায় ইচ্ছেমতো; আর এর আকারের উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয় আলো বিচছুরণকারী তরঙ্গের। ফলে প্রচলিত পিক্সেলের তুলনায় অনেক বেশি রঙ সৃষ্টি করতে পারে কোয়ান্টাম পার্টিকল।

কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান দুটি দাবি করেছে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং টেলিভিশনের ডিসপ্লে তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে এই প্রযুক্তি। কম বিদ্যুৎ খরচ করে আরো রঙিন ছবির যোগান দেবে কোয়ান্টাম পার্টিকল।

২০১৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির নমুনা সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে ন্যানোসিস এবং থ্রিএম। আর নমুনাগুলো ব্যবহার করেই এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো।

95
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত স্মার্টফোন এখন অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেক ব্যবহারকারীর কাছেই এখনও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নানা বিষয় অজানা। অ্যান্ড্রয়েডচালিত আপনার ডিভাইসটি যাতে ঠিকঠাক চালানো যায়, সে জন্য টাইম ম্যাগাজিনের প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকল্যান্ড সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

হোমস্ক্রিন সাজাতে ব্যবহার করুন উইজেট
উইজেট ব্যবহার করে খুব সহজেই সাজাতে পারবেন স্মার্টফোনের হোমস্ক্রিনটি। হোমস্ক্রিন সাজাতে উইজেট ব্যবহারের জন্য মেইন অ্যাপ লঞ্চার থেকে অপশনটি সিলেক্ট করে নিন। উইজেট ব্যবহার করে আপনার পছন্দের জিনিসগুলোকে হোমস্ক্রিনে নিয়ে আসতে পারবেন। এতে করে আপনি সহজেই আপনার স্মার্টফোনটিকে ইচ্ছানুযায়ী সাজাতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় নাম্বার রাখুন উইজেটে
একটি হলেও প্রয়োজনীয় ব্যক্তির নাম্বার রাখুন উইজেটে। এতে আপনার প্রয়োজনের মূহূর্তে নাম্বারটি খুঁজতে অপশনে যেতে হবে না। হোমস্ক্রিন থেকেই সরাসরি ফোন করতে পারবেন আপনি। উইজেটে নাম্বার রাখার জন্য আপনার হোমস্ক্রিন থেকে চালু করুন উইজেট এবং ডিফল্ট থেকে শর্টকার্টে পরিণত করুন উইজেটটিকে। এরপর পার্সন সিলেক্ট করে যে নাম্বারটি রাখতে চান, তা সিলেক্ট করুন।

গুগল প্লের মাধ্যমে স্ট্রিম করুন মিউজিক কালেকশন
গান স্ট্রিম করে শুনতে ব্যবহার করুন গুগল প্লে। কারণ গুগল প্লে আপনাকে দেবে অসংখ্য গান শোনার এবং সেগুলোকে নিজের প্লে লিস্টে রাখার সুযোগ। এমনকি অফলাইনে থাকলেও পছন্দের গান শোনার সুযোগ রয়েছে গুগল প্লেতে।

চালু রাখুন অটোমেটিক আপডেট
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটির অ্যাপগুলোতে অটোমেটিক আপডেট চালু রাখুন। এতে করে আপনি অ্যাপগুলোর নিত্যনতুন সেবা সহজেই উপভোগ করতে পারবেন। অটোমেটিক আপডেট চালু করার জন্য ফোনে সেটিংস অপশনে ‘অটো আপডেট অ্যাপ’ নামে একটি বক্স পাবেন। এখান থেকে  চালু করে দিন অটো আপডেট।

ব্যবহার করুন পছন্দের কিবোর্ড
অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে নির্মাতারা কিবোর্ড দিয়ে দেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আপনার পছন্দ নাও হতে পারে সে কিবোর্ড। এক্ষেত্রে আপনি পছন্দের ও সুবিধাজনক ভার্চুয়াল কিবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন। অনলাইন থেকে কিনে নিন আপনার পছন্দসই কিবোর্ড। এ রকম বেশকিছু কিবোর্ড অ্যাপ রয়েছে। যেমন সুইফট কি, সোয়াইপ ইত্যাদি। কেনার আগে ফ্রি ট্রায়াল হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন এ রকম কিবোর্ড।

সেট করে নিন ‘গুগল নাও’
‘গুগল নাও’ এমন একটি অ্যাপ, যা প্রয়োজনীয় তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানিয়ে দেবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ধরা যাক আপনি একটি রেল স্টেশনে আছেন। যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিতে ‘গুগল নাও’ ইনস্টল করা থাকে, তাহলে এটি আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানিয়ে দিবে পরবর্তী ট্রেন আসার সময়। তবে এ জন্য ট্রেনের সময়সূচি অনলাইনে থাকতে হবে। এ ছাড়াও এটি আপনাকে বিভিন্ন ইভেন্টের ব্যাপারে মনে করিয়ে দেবে আগেই।

ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহার করুন গুগল ক্রোম
সাধারণত প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে গুগল ক্রোম দেওয়া থাকে। তারপরেও যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিতে অন্য কোনো ডিফল্ট ব্রাউজার দেওয়া থাকে তবে তা পরিবর্তন করে নিন। গুগল প্লে থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ব্রাউজারটি। গুগল ক্রোম ব্রাউজারটি সহজ এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন। কম্পিউটারে গুগল ক্রোম ব্যবহার করলে সেখান থেকে আপনার বুকমার্ক পেইজগুলো ক্রোমের মোবাইল অ্যাপটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ হয়ে

এসএমএস পড়তে পারেন কম্পিউটারে
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বেশকিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ব্যবহারকারীকে কম্পিউটারে টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস পড়ার সুযোগ দেয়। এমনকি সরাসরি কম্পিউটার থেকে উত্তরও দেয়া যায় মেসেজগুলোর। এ রকম অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি চাইলেও পড়তে পারেন ফোনে আসা মেসেজগুলো। এ রকম অ্যাপের ব্যাপারে টাইম ম্যাগাজিন ‘মাইটিটেক্সট’ অ্যাপটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। মাইটিটেক্সটের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন অ্যাপটি।

অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করুন ‘শেয়ার’
অ্যান্ড্রয়েড ফোনটির বিভিন্ন অ্যাপে রয়েছে শেয়ারের অপশন। শেয়ারের মাধ্যমে একটি অ্যাপ আরেকটি অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনার মেসেজ অপশনে লেখা টেক্সটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার পছন্দের সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট করে দেবে অ্যাপ। এতে করে সাইটটিতে না গিয়েও আপনি পোস্ট করতে পারবেন। শেয়ার অপশনটি চালু রাখার মাধ্যমে এভাবেই আপনি বাঁচাতে পারবেন মূল্যবান সময়।


ডাউনলোড করে নিন ম্যাপ
অফলাইনে ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড করুন ম্যাপ। এতে করে ইন্টারনেট সার্ভিস সমস্যা করলেও আপনাকে পোহাতে হবে না কোনো ঝামেলা। কোথাও যাবার সময় বা কোনো জায়গা খুঁজে বের করতে ইন্টারনেট সার্ভিস চালুও করতে হবে না। এ কাজটি করতে মোবাইলের ম্যাপ অপশনটিতে গিয়ে সিলেক্ট করে দিন ‘মেক অ্যাভেইলেবল ফর অফলাইন’। আর ম্যাপের যে অংশটি ডাউনলোড করতে চান, তা জুম করে ‘ডান’ অপশনটি সিলেক্ট করুন।

ছবি স্থানান্তরে পিসির সঙ্গে ফোন সংযুক্ত করুন
ছবি দ্রুত স্থানান্তরের জন্য পিসির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারেন অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি। দ্রুত ছবি স্থানান্তরের জন্য ফোনটিকে পিসির ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে সংযুক্ত করুন। তারপর ফাইল ব্রাউজারে ইন্টারনাল স্টোরেজ ফোল্ডারটিতে ক্লিক করুন। সেখানে পাবেন ‘ডিসিআইএম’ নামের ফোল্ডার, যেখানে পাবেন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সব ছবি। এখান থেকেই দ্রুত ছবি স্থানান্তর করতে পারবেন পিসিতে।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি ব্যাকআপ রাখুন
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিতে থাকা ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকআপ রাখতে পারেন চাইলেই। এ কাজটি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ‘গুগল প্লাস’। এ জন্য আপনাকে যা করতে হবে, তা হল গুগল প্লাস অ্যাপটি চালু করে সেটিংসে গিয়ে ‘ইন্সট্যান্ট ফটো আপলোড’ অপশনটি চালু করতে হবে। এরপর থেকে আপনার সব ছবির ব্যাকআপ রাখবে অ্যাপটি।

রিমোট ওয়াইপের জন্য ব্যবহার করুন অ্যাপ
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে রিমোট ওয়াইপ ফিচারটি নেই। তাই আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অন্য ব্যক্তির হাতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ঝামেলা থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করুন রিমোট ওয়াইপ সম্বলিত থার্ড পার্টি অ্যাপ। এ রকম অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সহজেই হারিয়ে যাওয়া ফোনের সব ডেটা মুছে ফেলতে পারবেন। টাইম ম্যাগাজিন রিমোট ওয়াইপ অ্যাপ হিসেবে ‘অ্যান্ড্রয়েড লস্ট’ অথবা ‘সিরবিরাস’ ডাউনলোডের পরামর্শ দিয়েছে। অ্যাপগুলো ট্রায়াল ভার্সন হিসেবেও ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।


96
সার্চ জায়ান্ট গুগল আগামী সপ্তাহে ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছে গুগল ম্যাপের নতুন ভার্সন। কিন্তু প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গুগল ম্যাপের এ নতুন ভার্সনটি আসলে গুগলের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গুগল প্লাসের কর্মকাণ্ড বাড়াতে সাহায্য করবে।

গুগল ম্যাপের নতুন ভার্সনটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা যেসব জায়গা পছন্দ করবে, রিভিউ দেবে এবং অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করবে, সেসব প্রদর্শিত হবে গুগলের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুগল প্লাসে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে। এ ছাড়াও গুগল প্লাসকে জনপ্রিয় করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি প্রায়ই গুগল ব্যবহারকারীদের বিভিন্নভাবে গুগল প্লাসে যোগদানের জন্য বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য কৌশল ব্যবহার করে।

গুগল প্লাসের সিনিয়র সহ-সভাপতি ভিক গানডোট্রা গুগল আই/ও সম্মেলনে এ বিষয়ে জানিয়েছেন, হয়তো কিছু ব্যক্তি গুগলকে ভুল বুঝছে। তারা বুঝতে পারছেন না, আমরা ঠিক কোন কাজটি করতে চাইছি।

97
স্মার্টফোন দিয়ে এখন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বাড়ির নিরাপত্তা। প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ‘অগাস্ট’ স্মার্ট-লক নামের একটি যন্ত্র বানিয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম এবিসিনিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘স্মার্ট-লক’ যন্ত্রটি এ বছরের শেষের দিকে বাজারে ছাড়তে পারে।

স্মার্ট-লক অ্যালুমিনিয়ামে তৈরি এমন একটি যন্ত্র, যা ব্যবহারকারীর বাড়ির মূল দরজায় সংযুক্ত থাকবে। এটি শুধু স্মার্টফোনের মাধ্যমে আনলক করা যাবে। যন্ত্রটি বাড়ির মালিকের স্মার্টফোনের সঙ্গে ব্লুটুথের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করবে। আর স্মার্টফোনটিতে থাকবে স্মার্ট-লক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন। অর্থাৎ স্মার্ট-লকের চাবি হিসেবে কাজ করবে স্মার্টফোন।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, স্মার্ট-লক স্বয়ংক্রিয়ভাবে আনলক হয়ে যাবে স্মার্টফোনের ব্লুটুথ সিগন্যাল পেলেই। এর ফলে স্মার্ট-লক আনলক করতে স্মার্টফোনটি বের করতে বা কোনো অপশনেও যেতে হবে না ব্যবহারকারীর।

এছাড়াও স্মার্ট-লক ব্যবহারকারী অ্যাপের মাধ্যমে অন্য কাউকে স্মার্ট-লকের ভার্চুয়াল চাবিটি দিতে পারবেন। এ প্রক্রিয়াটি অনেকটা ইমেইলের মতো কাজ করবে। স্মার্ট-লক কিনতে খরচ পড়বে ১৯৯ ডলার।

98
কানাডিয়ান স্মার্টফোন নির্মাতা রিসার্চ ইন মোশন (রিম) তাদের বিবিএম মেসেজিং সার্ভিসে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফ্রি ভয়েস সেবা চালুর কথা জানিয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

রিম ব্ল্যাকবেরি ১০ বাজারে ছাড়ার আগেই নতুন এ সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিলো। বুধবার নতুন সেবা চালুর কথা প্রকাশ করে ব্ল্যাকবেরি। উত্তর আমেরিকায় আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ব্ল্যাকবেরির বাজার তৈরি করতে রিম এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্ল্যাকবেরি ৬ ভার্সন থেকে পরবর্তী ভার্সনগুলোতে জনপ্রিয় বিবিএম মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে কল করার এ সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। বিশ্বজুড়ে ৬ কোটি বিবিএম ব্যবহারকারী রয়েছে। সার্ভিসটিতে ফ্রি ভয়েস কল সিস্টেম চালু করায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর চাহিদা বাড়তে পারে বলে জানায় রিম।
ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সীমিত আকারে এ সেবা পাওয়া যাবে। নতুন এ সার্ভিসে স্প্লিট স্ক্রিন অপশনের মাধ্যমে ভয়েস কলের পাশাপাশি টেক্সট মেসেজও আদান-প্রদান করা যাবে।  বর্তমানে ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম ৬-এর পরের ভার্সনের ইউজাররা বিনামূল্যে সার্ভিসটি আপডেট করতে পারবেন।

রিম জানায়, বিবিএম ভয়েস ফিচারটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য বেশ উপযোগী। এটি সাধারণ টেক্সট মেসেজের চেয়ে আলাদা। প্রতিটি টেক্সটের জন্য আলাদাভাবে চার্জ দেয়ার প্রয়োজন হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় ব্ল্যাকবেরির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও উত্তর আমেরিকায় ডিভাইসটির বাজার সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে জানায় রিম। এছাড়া জানুয়ারির ৩০ তারিখে ব্ল্যাকবেরি ১০ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবে।

99
Internet / BTRC warned over bandwidth cut
« on: May 31, 2013, 03:22:27 PM »
A parliamentary panel has warned Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC) against its earlier decision to reduce internet upload bandwidth.

At a meeting on Sunday, the Parliamentary Standing Committee on the Ministry of Posts and Telecommunications advised the telecom watchdog against a similar move in the future.

“The move to cut bandwidth is an obstacle to our transition to ‘digital Bangladesh,” Chairman Mohammad Abdus Sattar told reporters.

The telecom regulator on May 15 had asked the international internet gateway operators (IIG) to reduce upload bandwidth of the ISPs by 75 percent in an effort to prevent illegal VoIP. However, it took back the order on May 19.

A member of the parliamentary committee requesting anonymity told bdnews24.com, “BTRC backed their move saying that it meant to contain illegal VoIP. But the committee believes this argument is unacceptable.”

“They can find out how many VoIP calls are made if they check the call records. There is no need to decrease bandwidth for this,” the member added.

On May 21, the parliamentary oversight panel on information and communication ministry said it would recommend authorities increase internet bandwidth while maintaining that it was a correct decision to decrease upload speed.

The standing committee said speed was contained also as a security measure to prevent unscrupulous activities and spreading of misinformation on the internet.

The committee also discussed projects of the Ministry of Posts and Telecommunications to express their displeasure at the rate of their implementation.

100
IT Forum / Microsoft to unveil free Windows 8.1 update
« on: May 31, 2013, 03:18:47 PM »
Microsoft Corp's forthcoming update to its personal computer operating system will be called Windows 8.1 and will be available later this year free to existing Windows 8 customers, the marketing chief for the Windows unit said on Tuesday.

The world's largest software company has been touting the update, previously code-named 'Blue,' as a series of improvements to the Windows 8 software, launched in October, which has not been as popular as it had hoped.
Microsoft has sold 100 million Windows 8 licenses in the six months since launch, roughly in line with the previous version, but wants to combat sputtering interest in its flagship software with a substantial update to make it easier to use and compatible with smaller tablets.
"Windows 8.1 will be delivered as a free update to Windows 8 and to Windows RT and it will be easy to get right from the Windows start screen through the app store," said Tami Reller, head of finance and marketing at Microsoft's Windows unit.

A preview version of Windows 8.1 will be made available at the start of Microsoft's annual developer conference on June 26, Reller said, with the finished update released later this year.

101
* ড্রাইভার আপডেট রাখুন।
* তাপমাত্রা মনিটর করুন। বেশি গরম হয়ে গেলে পিসি অফ করে ঠা-া হতে দিন। ফ্যান কন্ট্রোল করতে সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
* না জেনে এবং অভিজ্ঞ কারও সাহায্য ছাড়া ওভারক্লকিংয়ের কথা চিন্তাও করবেন না।
* কিছুদিন পরপর মাদারবোর্ড থেকে কার্ড খুলে স্লট পরিষ্কার করুন।
* যথেষ্ট পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করুন।
* পারলে আমার মতো সবসময় কেসিং খুলে রাখুন যেনো দক্ষিণা হাওয়ায় গ্রাফিক্স কার্ড ভেসে যেতে পারে।

102
ICT / Establishment of Paypal
« on: May 29, 2013, 09:24:32 PM »
গত মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ই-কমার্স মেলার একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য স্বয়ংμিয় অর্থ লেনদেনের মাধ্যম বা পেমেন্ট গেটওয়ের উন্মেষ। পেমেন্ট গেটওয়ের বাজারে বিশ্বজুড়ে যে কোম্পানির আধিপত্য তার নাম প্যাপাল। আমাদের দেশে এখনও প্যাপাল চালু না হলেও শোনা যাচ্ছে চলতি বছরের মধ্যেই বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা প্যাপালের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এবার জানা যাক, এই পেমেন্ট গেটওয়ে জায়ান্টের শুরুর কথা। ঘটনার শুরুটা ১৯৯৮ সালের আগস্টে, যখন স্ট্যানফোর্ডে অতিথি বক্তা হিসেবে পিটার থিয়েল বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত বাজার তৈরির ওপর বক্তৃতা দেন। অনুষ্ঠান শেষে ম্যাক্স লেভচিন পিটার থিয়েলের সাথে দেখা করেন। এরই সূত্র ধরে কয়েক সপ্তাহ পর এরা দু’জনে ফিল্ডলিঙ্ক নামে একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করেন, যার মূল কাজ ছিল তৎকালীন বহুল প্রচলিত ‘প্যাম পাইলট’-এ অন্যান্য পিডিএ ডিভাইসে সাঙ্কেতিক
ভাষায় তথ্য সংরক্ষণ করা। এর ফলে পিডিএ ডিভাইসগুলো ডিজিটাল ওয়ালেটে রূপান্তরিত হয়। এই পদ্ধতিতে অর্থ চুরির ভয় না থাকায় জনপ্রিয়তা পেতে সময় লাগেনি। পিটার ও ম্যাক্স একই বছরের ডিসেম্বরে পিডিএ ডিভাইসগুলোর মাঝে অর্থ লেনদেনের জন্য কনফিডেন্স ও ইনফিনিটি শব্দ দুটিকে এক করে ‘ ক ন ি ফ ি ন ি ট ’ নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। কনফিনিটির একজন প্রকৌশলী ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে ‘প্যাপাল’ নামে ই-মেইলের মাধ্যমে অর্থ দেয়া- নেয়ার ব্যবস্থা চালু করেন। আজও প্যাপালের সেই লেনদেন ব্যবস্থা চালু আছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার জন্য সে সময় প্যাপাল বেশ কিছু সুবিধা চালু করেছিল। যেমন প্যাপালের জন্য নিবন্ধন করলেই ১০ মার্কিন ডলার ফ্রি দেয়া হতো। এছাড়া মানি মার্কেট ফান্ড ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, যেখানে প্যাপালের ব্যবহারকারীরা তাদের উদ্বৃত্ত অর্থের জন্য লভ্যাংশ পেতেন। প্যাপাল প্রতিষ্ঠার আগে ১৯৯৯ সালের মে মাসে ই-বে নামে অনলাইন নিলামকারী প্রতিষ্ঠান তাদের সব লেনদেনের জন্য ‘বিলপয়েন্ট’ নামে একটি অনলাইন অর্থ লেনদেনের ওয়েবসাইট কিনে নেয়। কিন্তু প্যাপালে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে এবং বেশিরভাগ ই-বে লেনদেনে প্যাপালের μমবর্ধমান ব্যবহার দেখা যায়। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যেখানে প্যাপাল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লাখ নিলামের লেনদেন করত, সেখানে বিলপয়েন্টে সে সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ হাজার। এখানে বলে রাখা ভালো, এতদিন পর্যন্ত প্যাপাল কোনো স্বতন্ত্র কোম্পানি ছিল না, কনফিনিটি ছিল মূল কোম্পানি এবং প্যাপাল ছিল সেই কোম্পানির একটা সেবা। ২০০০ সালের মার্চে এক্স ডটকম নামে একটি অনলাইন আর্থিক সুবিধাদানকারী কোম্পানির সাথে কনফিনিটি এক হয়ে মূল কোম্পানি ‘এক্স ডটকম’ নাম ধারণ করে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। একই সাথে তাল রেখে প্যাপাল ব্যবহারকারীও বাড়তে
থাকে। ২০০০ সালের আগস্টে যেখানে প্যাপালের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ, সেখানে কনফিনিটির মূল সেবা পিডিএ ডিভাইসগুলোর মাঝে আর্থিক লেনদেনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১০ হাজার। কনফিনিটির সেই সেবা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ২০০১ সালের জুনে এক্স ডটকম তাদের কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে প্যাপাল রাখে। পরে ই-বে ২০০২ সালের অক্টোবরে প্যাপাল কিনে নেয়। তারপর থেকে প্যাপাল ই-বের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

103
ICT / ওয়েবমেইলের উত্থান
« on: May 29, 2013, 09:21:33 PM »
ই-মেইল। বর্তমান দৈনন্দিন জীবনের খুব পরিচিত একটি শব্দ। চাইলেই যেকেউ যেকোনো সময় ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। শুরুর দিকে ব্যাপারটা কিন্তু এমন ছিল না। তখন একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস পাওয়া শুধু কষ্টসাধ্যই ছিল না, গুনতে হতো পকেটের অনেক টাকা। আইএসপিনির্ভর সেসব ই-মেইলের ইনবক্স সব জায়গা থেকে ব্যবহার করাও যেত না। কারণ তখনও ওয়েবমেইল সেবা চালু হয়নি। ই -মেইল ব্যবহার করতে হতো নির্দিষ্ট ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার দিয়ে। এই ক্লায়েন্ট সফটওয়্যারগুলো সাধারণত আইএসপি থেকে সরবরাহ করা হতো। অপরদিকে ওয়েবভিত্তিক ই-মেইল হলো আমরা বর্তমানে সাধারণত যে ই-মেইল সেবা ব্যবহার করি সেটি। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ই-মেইলে লগইন করে ই-মেইল সেবা ব্যবহার করার নাম ওয়েবমেইল। প্রথম উল্লেখযোগ্য, নির্ভরযোগ্য এবং বিনামূল্যে ওয়েবমেইল সেবা ছিল ১৯৯৬-এর হটমেইল। তবে এর আগে ১৯৯৪-৯৫ সালে চেষ্টা করা হয়েছিল। এর মাঝে ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শিত সোরেন ভাজরুমের ‘ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ মেইল’, ১৯৯৫ সালের ৩০ মার্চে প্রদর্শিত লুকা মানুনজার ‘ওয়েবমেইল’, ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে প্রদর্শিত রেমি ওয়েটজেলের ‘ওয়েবমেইল’ এবং ১৯৯৫ সালের ৮ আগস্ট প্রদর্শিত ম্যাট ম্যানকিনসের ‘ওয়েবেক্স’ উল্লেখযোগ্য। তবে ওয়েবমেইলকে জনপ্রিয় করতে হটমেইল ও রকেটমেইলের অবদান অনস্বীকার্য। এগুলোর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ ছিল এই ই-মেইল সেবা পাওয়া যেত বিনামূল্যে।

104
ব্রেন কমপিউটার ইন্টারফেস। সংক্ষেপে বিসিআই। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি জগতের গুরুত্বপূর্ণ এক প্রযুক্তি। এই বিসিআই প্রযুক্তি আরো নানা নামে পরিচিত। কেউ বলেন
মাইন্ড মেশিন ইন্টারফেস (এমএমআই), কেউ বলেন ডাইরেক্ট নিউরাল ইন্টারফেস (ডিএনআই) কিংবা ব্রেন মেশিন ইন্টারফেস (বিএমআই)। যে নামেই ডাকি, এই বিসিআই প্রযুক্তি হচ্ছে এমন এক প্রযুক্তি, যা সরাসরি সংযোগ গড়ে তোলে মানবমস্তিষ্ক ও একটি বাহ্যিক যন্ত্রের মধ্যে। এটি মানবমস্তিষ্ক ও যন্ত্রের মধ্যে সরাসরি সংযোগ গড়ে তোলার একটি উপায়।

105
নিঃসন্দেহে বলা যায়, লিনআক্সভিত্তিক মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়িড বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। বয়স খুব বেশিদিন না হলেও অ্যান্ড্রয়িডের রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ পটভূমি। সবার ধারণা গুগল অ্যান্ড্রয়িডের প্রবক্তা কোম্পানি। ব্যাপারটা কিছুটা ভিনড়ব। তথ্যপ্রযুক্তি জগতের বাঘা বাঘা কিছু উদ্যোক্তা ২০০৩ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যান্ড্রয়িড ইনকরপোরেটেড। ক্যালিফোর্নিয়ার পালো অলটোভিত্তিক এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাদের তালিকায় ছিলেন সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানি ড্যাঞ্জারের (পরে মাইμোসফট স্বত্ব কিনে নেয়) সহপ্রতিষ্ঠাতাএবং অ্যাপল, ওয়েবটিভি ও ফিলিপসের পূর্বতন কর্মী অ্যান্ডি রুবিন, ওয়াইল্ডফায়ার কমিউনিকেশনস ইনকরপোরেটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিচ মাইনার, টি-মোবাইলের আগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক সিয়ারস এবং ওয়েবটিভির ডিজাইন ও ইন্টারফেস উনড়বয়ন বিভাগের
প্রধান μিস হোয়াইট। অ্যান্ড্রয়িডের উনড়বয়ন কার্যμম গোপনে চলতে থাকে। শুধু এটুকু জানানো হয় যে তারা মোবাইলের জন্য সফটওয়্যার নির্মাণ করছে। রুবিন সে বছরে অর্থাভাবে পড়লে তার বন্ধু স্টিভ পার্লম্যান তাকে বিনাশর্তে ১০ হাজার মার্কিন ডলার দেন। অ্যান্ড্রয়িডের পরবর্তী ইতিহাসের প্রধান অংশ গুগল। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট
অ্যান্ড্রয়িড ইনকরপোরেটেড কিনে নিয়ে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি বিভাগে পরিণত করে গুগল। রুবিনসহ অন্যান কর্মকর্তা যেমন ছিলেন তেমনই থাকলেন, শুধু স্বত্ব হস্তান্তর করা হয় গুগলের কাছে। এরপরও অনেক দিন ধরে অ্যান্ড্রয়িডের খবর গোপন রাখা হয়। এদিকে মোবাইল প্রযুক্তি জগতে কানাঘুষা আর গুজবের ছড়াছড়ি শুরু হয়ে যায়। এমনকি
বিবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো পত্রিকাও তাদের মতামত জানাতে বাদ রাখল না। এদিকে মোবাইল ফোন নির্মাতা ও নেটওয়ার্কিং কোম্পানিগুলোর সাথে নিরবচ্ছিনড়বভাবে কাজ করে যায় গুগল। ২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর গুগলের নেতৃত্বে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানি, নেটওয়ার্ক কোম্পানি, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর সমন্বয়ে ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স গঠন করা হয়। তাদের সবার লক্ষ্য ছিল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতের জন্য একটি নির্দিষ্ট মান নির্ধারণ করা। একই দিনে লিনআক্স কার্নেলভিত্তিক মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়িড আত্মপ্রকাশ করে। ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা প্রথম অ্যান্ড্রয়িড
ডিভাইস ছিল এইচটিসি ড্রিম। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বহু উনড়বয়ন ও নতুন প্রযুক্তির সংযোজনের পর অ্যান্ড্রয়িডের সর্বশেষ সংস্করণ ৪.২ জেলি বিন এখন বাজারে। সম্প্রতি এক খবরে জানা যায়, গুগলের অন্য বিভাগে কাজ করার জন্য রুবিন অ্যান্ড্রয়িডের কাজ ছেড়ে দিয়েছেন, তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন গুগল μোম
প্রজেক্টের প্রধান সুন্দর পিচাই।

Pages: 1 ... 5 6 [7] 8