Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - chhanda

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 16
31
দুঃস্বপ্ন দেখার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। রাতে ঘুমুতে গেলে অনেকেই দুঃস্বপ্ন দেখার সমস্যায় পড়ে ঠিকমতো ঘুমুতে পারেন না। অনেকের এই দুঃস্বপ্নের তীব্রতা এতোটা ভয়াবহ হতে পারে যে মানসিক সমস্যা এবং নার্ভাস ব্রেকডাউনের শিকার হয়ে থাকেন। বিশেষ করে কম বয়েসি মানুষ যারা দুঃস্বপ্নের ভয়াবহতা সহ্য করতে পারেন না তাদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে দেখা যায়।

স্বপ্ন দেখা অনেকাংশেই আমরা নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। কিছু সময় আমাদের অবচেতন মন আমাদের দুঃস্বপ্ন দেখায়, বাকি বেশিরভাগ দুঃস্বপ্নই আমরা নিজেদের ভুলে দেখে থাকি। তাই দুঃস্বপ্নের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি থাকতে আমাদেরই কিছু কাজ করতে হবে।

মন থেকে সকল ভয় দূর করার চেষ্টা করুন
কোনো বিষয় নিয়ে ভয় পেলে এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে দুঃস্বপ্ন বেশি দেখা হয়। তাই যে বিষয়টি নিয়ে ভয় পাচ্ছেন তা মন থেকে দূর করার চেষ্টা করতে থাকুন। নিজে নিজে দূর করতে না পারলে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সহায়তায় এই ভয় দূর করার চেষ্টা করুন। দেখবেন দুঃস্বপ্ন দেখা কমে যাবে।

দুঃস্বপ্ন দেখার বিষয়টিকে অন্যরকম দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করুন
দুঃস্বপ্ন নিয়ে বেশি ভাবা এবং বেশি দুঃস্বপ্ন দেখার কারণে নার্ভাস ব্রেকডাউন হতে পারে। তাই সমস্যা ছোটো থাকতেই তা সমাধান করার ব্যবস্থা নিন। দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে গেলে কি দেখেছেন তা লিখে ফেলুন খাতায়। এবং তা মজার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার চেষ্টা করুন। এতে করে দুঃস্বপ্ন সম্পর্কে ভয়ের ধারণা পাল্টে যাবে আপনার মধ্যে।

ঘুমের সময় নির্দিষ্ট রাখুন
প্রতিদিন একই সময় ঘুমুতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন। কারণ ঘুম কম হলে কিংবা ঘুমের সময়ের হেরফের হলেও মানুষ দুঃস্বপ্ন দেখে থাকেন। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময়ই দুঃস্বপ্ন দেখা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

রাতের বেলা ভয়ের কিছু দেখা থেকে বিরত থাকুন
অনেকেরই রাতের বেলা জেগে মুভি বা নাটক দেখার অভ্যাস রয়েছে। এই জিনিসটি মানুষের স্বপ্নের ওপর সবচাইতে বেশি প্রভাব ফেলে থাকে। নাটক বা মুভি দেখার অভ্যাস বদলাতে না পারলে ভয়ের কোনো কিছু দেখার অভ্যাসটি পাল্টে ফেলুন। হাসি বা রোম্যান্টিক কোনো নাটক বা মুভি দেখুন রাতের বেলা।

ঘুমের অবস্থান বিষয়ে নজর দিন
উল্টোপাল্টা হয়ে ঘুমালে কিংবা বিছানা বাদে অন্য কোথাও ঘুমালে দুঃস্বপ্ন বেশি দেখা হয়। তাই এই ব্যাপারে নজর দিন। আরামদায়ক বিছানা ব্যবহার করুন ঘুমানোর জন্য। সঠিক ভাবে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। কারণ মাথা, ঘাড় ও হাত পায়ের অবস্থান উল্টোপাল্টা হলে অনেকে দুঃস্বপ্ন দেখে থাকেন।

32
প্রতিদিন নানান সমস্যায় আমাদের মনটা বিষণ্ণ হয়ে থাকে। অফিসের ঝামেলা, সাংসারিক ঝামেলা, নানান রকমের অশান্তিতে আমাদের জীবন হয়ে যায় অশান্তির। দিন শেষে তাই অস্থিরতা নিয়ে ঘুমাতে যেতে হয় কমবেশি সবারই। মানসিক এই চাপ কমানোর আছে কিছু অসাধারণ উপায়। জেনে নিন উপায়গুলো।

রূপকথার গল্প পড়ুন বা সিনেমা দেখুন
মানসিক চাপ কমানোর জন্য ছোটবেলার মতো রূপকথার গল্প পড়তে শুরু করুন। ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে আছে যখন রূপকথার মতো সুন্দর মনে হতো জীবনটাকে? রূপকথার গল্প পড়লে বা সিনেমা দেখলে আপনার কাছে জীবনটাকে অনেকটাই সহজ মনে হবে। জীবনের নেতিবাচক দিকগুলোর চাইতে ইতিবাচক দিকগুলো বেশি চোখে পড়বে আপনার।

খেলনা দিয়ে খেলুন
মানসিক চাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে খেলনা দিয়ে খেলুন। অথবা ভিডিও গেমস খেলতে পারেন। রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি অথবা হেলিকপ্টার কিনুন। কিংবা বারবি পুতুলের ঘর কিনে ফেলতে পারেন। কিংবা কম্পিউটার বা প্লে স্টেশন কিনে খেলুন। অবসরে এসব শিশুতোষ খেলাধুলা করলে আপনার মনটা অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। আনন্দে ভরে যাবে আপনার মন।

রিলাক্সিং মিউজিক শুনুন
ইউটিউবে কিংবা সাউন্ড ক্লাউডে নানান রকমের রিলাক্সিং মিউজিক পাওয়া যায়। আপনার পছন্দমতো এরকম কোনো মিউজিক ছেড়ে রুমের লাইট নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। এতে আপনার মনটা অনেকটাই শিথিল হবে। মানসিক অস্থিরতা কমে যাবে অনেকটাই।

মন ভরে খাওয়া দাওয়া করুন
নিজেকে মন ভরে খাওয়ান। নিজের পছন্দের খাবারগুলো খান। প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকলে ডায়েটিং করবেন না। ডায়েটিং না করে নিজের পছন্দের খাবারগুলো খেয়ে নিন। এতে আপনার মন ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ থেকেও মুক্তি পাবেন অনেকটাই।

নিজেকে উপহার দিন
নিজেকে মাঝে মাঝে উপহার দেয়ার অভ্যাস করুন। কেবল অন্যের খুশির কথা না ভেবে নিজের খুশিকেও প্রাধান্য নিন। আপনি যে জিনিসগুলো পছন্দ করেন সেগুলো নিজের জন্য কিনুন। নিজেকে নিজের পছন্দের স্থানে বেড়াতে নিয়ে যান। পছন্দের বই কিনে পড়ুন। সব মিলিয়ে নিজেই নিজের সবচাইতে ভালো বন্ধু হয়ে যান। এতে আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে। সেই সঙ্গে নিজের সঙ্গে নিজের কাটানো আনন্দময় সময়গুলো আপনার আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দিবে অনেকখানি।

33
না ঠাণ্ডা না গরম, ঋতু পরিবর্তনের এই বিরক্তিকর সময়ে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা লেগেই রয়েছে। সব চাইতে বেশি যে সমস্যার সম্মুখীন কমবেশি সকলেই হয়ে থাকেন তা হচ্ছে সর্দি কাশি। এবং ঝামেলা অনেক বেশি হয় যখন এই সর্দি কাশি বুকে বসে যায়। নানা ধরণের ঔষধেও এই যন্ত্রণাদায়ক সর্দি-কফের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না।

প্রাচীনকালে মানুষজনের এইধরনের বুকে বসে যাওয়া সর্দি-কফের চিকিৎসায় ঘরোয়া প্রাকৃতিক পদ্ধতিই ব্যবহার হতো। এবং বেশ দ্রুতই মুক্তি পাওয়া যেতো এই সমস্যা থেকে। তাই আজকে জেনে নিন ঘরে তৈরি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কফ সিরাপ তৈরির পদ্ধতি। সব চাইতে ভালো বিষয় হছে, বাজারে যেসকল কফ সিরাপ পাওয়া যায় তা খেলে যে ঘুম ঘুম ভাব আসে এই প্রাকৃতিক কফ সিরাপে এই ধরণের সমস্যা একেবারেই হয় না। এবং বেশ দ্রুত আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন বুকে জমে থাকা সর্দি থেকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক ঔষধ।

উপকরণঃ

– ১ টেবিল চামচ যষ্টিমধু
– ১ টেবিল চামচ তিল
– ১ স্লাইস লেবু
– ২৫০ মিলি লিটার পানি
– ২৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার (হালকা ভেজে তৈরী করতে পারেন এটি অথবা ১ কাপ ম্যাপেল সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন)

পদ্ধতিঃ

– পানি একটি প্যানে ঢেলে চুলায় গরম হতে দিন। এতে দিন ব্রাউন সুগার বা ম্যাপেল সিরাপ। পানির সাথে পুরোপুরি গলিয়ে মিশিয়ে নিন।
– এরপর চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে দিয়ে বাকি উপকরণ গুলো দিয়ে দিন। অল্প আঁচে ১৫ মিনিট চুলায় রেখে জ্বাল দিতে থাকুন মিশ্রণটিতে।
– ১৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে আলাদা করে নিন।
– প্রতিদিন ৩ বার ১ টেবিল চামচ করে এই সিরাপটি খান। যতোদিন পর্যন্ত বুকের সর্দি একেবারে দূর হয়ে যাচ্ছে এভাবে খেতে থাকুন। দেখবেন বেশ দ্রুতই সর্দি থেকে মুক্তি পাবেন।
– এই সিরাপটি ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন।

34
আজকাল চুল পড়ে যাওয়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা কার নেই? কমবেশি সকলেই এটা নিয়ে দিশাহারা। এত কিছু করেন, তবু যেন চুলগুলোকে রক্ষা করা যায় না। আর ফলাফল হচ্ছে অকালে চুল পড়ে টেকো হয়ে যাওয়া। আপনার সাধের চুলগুলোকে কীভাবে বাঁচাবেন? কীভাবে মাথায় নতুন চুল গজাবেন? সমাধান আছে হাতের নাগালেই। না, দামী দামী ওষুধ আর পার্লারের ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন নেই। আপনার মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করবে একটি সাধারণ ও অল্প মূল্যের তেল। শুধু চুল নয়, চোখের পাপড়ি আর ভ্রু ঘন করতেও এই তেল দারুণ কার্যকরী!

হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। আমরা বলছি ক্যাস্টর অয়েলের কথা। ক্যাস্টর অয়েল কোন অপরিচিত জিনিস নয়, বরং অনেকেই চেনেন। কিন্তু এটা জানেন না যে নতুন চুল গজাতে এই তেল দারুণ উপকারী। ক্যাস্টর অয়েলে আছে রিসিনোলেইক এসিড যা নতুন চুল, ভ্রু, চোখের পাপড়ি গজাতে অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়াও চুলের রুক্ষ্মতা দূর করে চুলকে মোলায়েম করে তুলতে সহায়তা করে এই তেল।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?
ক্যাস্টর অয়েল একটানা ব্যবহার করলে হবে না, করতে হবে নিয়ম মেনে। সপ্তাহে একদিন করে টানা ৮ সপ্তাহ ব্যবহার করুন এই তেল। ক্যাস্টর অয়েল মধুর মত ঘন, প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হতেই পারে।

ব্যবহার করার পদ্ধতি বেশ সোজা। ক্যাস্টর অয়েল নিন, এতে যোগ করতে পারেন একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরকার তরল। চুল লম্বা হলে একাধিক ক্যাপসুল দিন। এরপর এত তেল রাতে ঘুমাবার আগে ভালো করে মাথায় মাখুন। বিশেষ করে চুলের গোঁড়ার ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। সারারাত এই তেল চুলে থাকতে দিন। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। কোন বাড়তি কন্ডিশনার লাগবে না।

কোথায় পাবেন, কেমন দাম?
যে কোন ফার্মেসীতে ও সুপারশপে ক্যাস্টর অয়েল পাবেন আপনি। দেশি-বিদেশি দুই রকমই পাওয়া যায়। দেশি তেলগুলো দামে বেশ সস্তা। মোটামুটি ১০০ টাকার কমে আপনি এক বোতল পাবেন যা ব্যবহার করতে পারবেন ১ মাস! বিদেশিগুলোর দাম একটু বেশি। মানেও একটু ভালো।

তাহলে আর দেরি কেন, চুলের জন্য বাড়তি চর্চা শুরু করে যাক আজই। পাতলা হয়ে যাওয়া চুলগুলো আবার হয়ে উঠুক ঘন।
(যাদের বংশগত কারণে বা কোন অসুখের জন্য টাক পড়ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আসলে কোন চিকিৎসাই কাজে দেবে না। প্রয়োজন আগে অসুখের চিকিৎসা। যাদের চুল পড়ছে স্ট্রেস, যত্নের অভাব, ভুল প্রসাধন ইত্যাদি কারণে; তাঁদের ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েল খুব ভালো কাজে দেবে।)

35
সুন্দর ঝলমলে চুল পেতে কে না চান? কিন্তু এই সিল্কি সুন্দর চুলের স্বপ্ন অনেকের ক্ষেত্রেই রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। রুক্ষ্ম আর বিবর্ণ চুল নিয়ে বিষণ্ণতায় ভোগেন অনেকেই। নানা রকম দামী শ্যাম্পু আর এটা ওটা ব্যবহার করেও মেলে না কাঙ্ক্ষিত ফল। তবে কী করবেন? করতে হবে ছোট্ট একটি কাজ। দেয়া হলো তিনটি দারুণ উপায়। বেছে নিন নিজের পছন্দমত আর নিয়মিত করুন। বদলে যাবে চুলের চেহারা।

চায়ের লিকার থেরাপি
ঝলমলে চুলের জন্য দারুণ কাজ করে চায়ের লিকার। চুল যেমনি হোক না কেন তৈলাক্ত, শুষ্ক বা স্বাভাবিক- এই চায়ের লিকার মানিয়ে যাবে খুব সহজে।

এটা তৈরির জন্য দুই কাপ পানি নিন। তার মাঝে ৬ টেবিল চামচ ফ্রেশ চা পাতা দিন। এটাকে এখন অল্প আঁচে চুলায় ফুটতে দিন। ফুটে ফুটে লিকার ঘন হবে। এবং দুই কাপ পানি কমে এক কাপের কম হলে বুঝবেন যে রেডি। এখন এটাকে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণ মাখুন। ৫ মিনিট পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগারে চুলের চমক
শ্যাম্পু করে ফেলছেন? এবার ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। আধা কাপ ভিনেগার এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করা চুল। ৫ মিনিট পর আবার একটু স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকিয়ে নিলেই পাবেন ঝলমলে চুল।

বেকিং সোডায় উজ্জ্বল চুল
নিস্প্রান চুলকে ঝলমলে করে তুলতে বেকিং সোডার কোন বিকল্প নেই। এ কাপ হালকা গরম পানির মাঝে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করা ভেজা চুলে এই মিশ্রণ লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এবার চুলের চমক দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!

36
দেহের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া সবার জন্যই মাথা ব্যথার কারণ। একটু মুটিয়ে গেলেই আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কিভাবে কি করলে আমাদের ওজন কমবে সেই চিন্তায় আমাদের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। জিম করা থেকে শুরু করে ক্রাশ ডায়েটও আমরা করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার আছে যা প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে এবং নিয়মিত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলেই আপনি থাকবেন সবসময় ফিট। আজকে চলুন জেনে নিই সেই খাবার গুলো সম্পর্কে।

১। ওটসঃ ওটসের স্বাদ খুব ভালো না হলেও এটি আপনার ওজন কমাতে বেশ সহায়ক। এটি আপনার ক্ষুধা নিবারন করে। ওটসে আছে ফাইবার আমাদের দেহের কলেস্টোরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

২। ডিমঃ ডিম হল প্রচুর প্রোটিনের উৎস এবং এতে ক্যালোরিও থাকে অনেক কম পরিমানে। ডিম আমাদের দেহে সুস্থ পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় কলেস্টোরলের মাত্রা বাড়ায়।

৩। আপেলঃ আপেলে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি। মূল কথা হলো আপেলে আছে প্যাকটিন উপাদান যা আমাদের দেহকে চর্বির কোষ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

৪। কাঁচা মরিচঃ কাঁচা মরিচে আছে ক্যাপসেসিন যা আমাদের দেহ গঠনের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং খুব দ্রুত শরীর থেকে ক্যালরি দূর করে।

৫। রসুনঃ রসুনে আছে অ্যালিসিন উপাদান যা আমদের দেহের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে, দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে ও অপ্রয়োজনীয় কলেস্টোরল প্রতিরোধ।

৬। মধুঃ ওজন কমাতে মধুর উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিন সকালে গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে কিছুদিন খেয়েই দেখুন, এর উপকারিতা নিজেই বুঝতে পারবেন।

৭। গ্রিন টিঃ ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টিও খুব ভালো। কারণ গ্রিন টিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসুইচ যা আমাদের দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২ কাপ করে গ্রিন টি পান করুন ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য।

৮। গম পাতাঃ গম পাতার রস আমাদের দেহের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।

৯। টমেটো: টমেটো খুব দ্রুত আমাদের দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। টমেটো আমাদের ক্যান্সারের হাত থেকেও রক্ষা করে। তাই খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন টমেটো রাখুন।

১০। ডার্ক চকলেটঃ ডার্ক চকলেটে আছে ফ্ল্যাভানয়েড ও অ্যান্টিইনফ্লেমাটরি উপাদান যা রক্তের কলেস্টোরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তের সেরোটোনিন বৃদ্ধি করে ও চর্বি দূর করতে সাহায্য করে।

37
সাজ-পোশাকে সকলেই নিজেকে একটু স্টাইলিশ দেখাতে চান। আজকালকার যুগে আকর্ষণীয় দেখাবার জন্য খুব সুন্দর হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, একটু স্টাইলিশ লুকেই আপনি নিজেকে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেখাতে পারেন। কিন্তু স্টাইলিশ সাজ-পোশাক মানেই যে অনেক টাকা খরচ করে দামী কিছু কিনে নিজেকে সাজাতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সামান্য অর্থ খরচ করেই নিজেকে অনেক স্টাইলিশ দেখাবে পারবেন। ভাবছেন কীভাবে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সহজ কিছু ট্রিকস।

শুধুমাত্র ব্র্যান্ডের পোশাক পড়ার অভ্যাস ছেড়ে নিন
শুধুমাত্র দামী ব্র্যান্ডের পোশাকেই আপনি স্টাইলিশ লুক পাবেন, এই চিন্তা একেবারে ছেড়ে দিন। নিজের খরচ বাঁচাতে চাইলে সোজা চলে যান নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনীচক, হকার’স মার্কেট এলাকায়। বেশ কম দামে অনেক স্টাইলিশ পোশাক কিনতে পারবেন। এবং নিজের লুকটাকেও করতে পারবেন স্টাইলিশ।

সেল চলাকালীন সময়ে কাপড় কিনুন
আপনার যদি ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতি মনোযোগ বেশি থাকে, তাহলে হুটহাট জিনিস কিনে না ফেলে একটু অপেক্ষা করবেন। সেল সব বড় বড় ব্র্যান্ডের দোকানেই দিয়ে থাকে। সেলের জন্য অপেক্ষা করুন। সেল সিজন শুরু হলেই পোশাক কিনে ফেলুন।

পুরোনো পোশাক সব ফেলে দেবেন না
অনেকেই পুরোনো সব কিছুই ফেলে দেন। এই কাজটি করবেন না। পুরোনো অনেক কিছু দিয়েই বেশ ভালো কিছু তৈরি করে ফেলা যায়। যেমন, পুরনো ওড়না দিয়ে সুন্দর স্কার্ফ তৈরি করে ফেলতে পারেন, পুরোনো কাপড়ের কিছু অংশ নতুন কাপড়ে ডিজাইন করে নতুন করে ডিজাইন করে নিতে পারেন অনেক পোশাক। তাই বুঝে শুনে পুরোনো কাপড় ফেলুন।

ছোটোখাটো জিনিস সেলাই করা শিখে ফেলুন
অনেক সময় সামান্য একটু সেলাই খুলে যাওয়া, কিংবা চলার পথে একটু টান লেগে কোনা ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে পোশাক বাদ দিয়ে দিতে হয়। আবার পোশাক কিনে নিলে তা অলটার করানোর জন্য দর্জির কাছে দৌড়তে হয়। এতোসব ঝামেলা বাদ দিয়ে নিজেই শিখে ফেলুন ছোটোখাটো সেলাইয়ের টেকনিক। বেশ পয়সা বেঁচে যাবে।

38
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে আবহাওয়ার কারণেই চুলে খুশকির উপদ্রব অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে শীতকালে কমবেশি সকলেই খুশকির যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন। এর মূল কারণ হচ্ছে রুক্ষ আবহাওয়া এবং পরিবেশের ধুলোবালি যা মাথার ত্বকে খুশকির উপদ্রব বাড়ায়।
তবে খুশকির উপদ্রব দ্রুত দূর করার রয়েছে বেশ কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়। একটু সময় বের করে নিয়ে এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করলে মুক্তি পাবেন যন্ত্রণাদায়ক খুশকির হাত থেকে।

১) বেকিং সোডার ব্যবহার

মাথা ভালো করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এরপর বেকিং সোডা আঙুলের ডগায় লাগিয়ে পুরো মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর চুল পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু দেবেন না। পরের দিন শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলবেন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।

২) নারকেল তেল ও লেবুর রসের ব্যবহার

৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ২ টেবিল চামচ লেবুর রস একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নিন। ২০-২৫ মিনিট চুলে রেখে সাধারণভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে দ্রুত খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন।

৩) সাদা ভিনেগারের ব্যবহার

সাদা ভিনেগার পুরো চুলে ও মাথাত ত্বকে তেলের মতো করে লাগিয়ে নিন। একটু বেশি করে লাগিয়ে নেবেন মাথায়। একটি তোয়ালে দিয়ে পুরো মাথা পেঁচিয়ে সারারাত রাখুন। পরের দিন সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করে। সপ্তাহে ২ বার করুন, খুশকি দ্রুত দূর হবে।

৪) অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটের ব্যবহার

৩ টি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে নিন। ১ টেবিল চামচ ভিনেগারে এই ট্যাবলেট গুঁড়ো গুলিয়ে নিয়ে মাথার ত্বকে ঘষে লাগিয়ে নিন। দেড় ঘণ্টা মাথায় রেখে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন পানি দিয়ে। খুশকির সমস্যা দ্রুত গায়েব হয়ে যাবে।

৫) মারাত্মক খুশকির সমস্যার জন্য মেথির ব্যবহার

মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে বেটে নিন ভালো করে। ছেঁকে নেয়া পানি ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩-৪ ঘণ্টা রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভিজিয়ে রাখা পানি দিয়ে সব শেষে চুল ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে ২ বার করুন। অনেক বেশি খুশকির সমস্যা থাকলেও তা দূর হয়ে যাবে।

39
ডায়েট ও ব্যায়াম না করেই ওজন কমানো কীভাবে সম্ভব সেটাই ভাবছেন, তাই না? কিন্তু চাইলে অনেক কিছুই সম্ভব। আমরা অনেকেই অনেক কিছু করে থাকি ওজন কমানোর জন্য। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে কঠোর ডায়েট করে, ব্যায়াম করে কত কষ্টটাই না করতে হয় আমাদের। কিন্তু আমরা চাইলেই তিনবেলা পরিমাণ মত খেয়ে ও ব্যায়াম না করে শুধু মাত্র ২টি জাদুকরী পানীয় দিয়েই ওজন কমাতে পারি। চলুন আজ জেনে নিই কীভাবে শুধু মাত্র পানীয় দিয়েই ওজন কমানো সম্ভব।

প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন

আমাদের দেহে পানি উপকারিতা অনেক বেশি। প্রতিদিন ৭-৮ গ্লাস তরল খাবার (পানি হলে সবচাইতে ভালো) শুধু আমাদের সুস্থই রাখেনা, সাথে আমাদের দেহের ত্বক ভালো রাখে এবং ওজনও রাখে নিয়ন্ত্রণে। পানি আমাদের দেহের হজম ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং আপনি যখন কাজ করেন তখন ঘামের মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে ঘামের পাশাপাশি চর্বিও খরচ হয়। তাই বেশি করে পানি পান করুন। তাছাড়া প্রচুর পরিমানে পানি পান করলে তা আপনার বার বার ক্ষুধা লাগার সমস্যাও দূর করবে। অন্যদিকে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি হবে, ফলে শরীরে বাড়তি ফ্যাট জমবে না।

গ্রিন টি

পানি একমাত্র জিনিস নয় যা হজম ক্রিয়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতিদিন ৪ কাপ গ্রিন টি পানের ফলে প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত ৪০০ ক্যালরি পর্যন্ত ক্ষয় করা সম্ভব। এবং গ্রিন টি-তে আছে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন গ্রিন টি অবশ্যই পান করুন।

40
দামি প্রসাধনী ব্যবহার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন? এখনই সব ফেলে দিয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে আপনার ত্বকের পরিচর্যা করুন। আপনাকে এমন ১০টি খাবারের নাম বলে দেয়া হচ্ছে, যে খাবারগুলো আপনার ত্বকের মসৃণতা নিশ্চিত করবে আপনা থেকেই। বেঁচে যাবে প্রসাধনের পিছনে ব্যয় করা আপনার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।

১। লাল মরিচ
সারাদিনে আপনার যতো ভিটামিন ‘সি’ দরকার তার সবই আছে এই লাল মরিচে। এটা আপনি যেমন কাঁচাও খেতে পারেন, তেমনি খেতে পারেন রান্না করেও। লাল মরিচে আছে ভিটামিন ‘বি৬’। তার ওপর এতে আছে ক্যারটিনয়েড, যা আপনার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনকে বৃদ্ধি করবে।

লাল মরিচ আপনার মুখের ব্রণের সাথে যুদ্ধ করবে। চাইলে এক টুকরো মরিচ আপনার ফ্রিজেও রেখে দিতে পারেন। তাহলে হালকা নাস্তা বা ভারি খাবারের সময়ও খেয়ে নেয়া যাবে। সুতরাং মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করুন আর লাভ করুন মসৃণ ত্বক।

২। চকোলেট
নিখুঁত ত্বকের জন্য চকোলেট একটি উৎকৃষ্ট খাবার। চকোলেট ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যা আপনার ত্বকের সজীবতা আনতে সাহায্য করবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের রুক্ষতা কমায় এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে রাখে।

তাই এখন থেকে প্রতিদিন এক আউন্স করে চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৩। স্যামন মাছ
মানসিক চাপের সাথে যুদ্ধ করার জন্য স্যামন মাছ একটি কার্যকর খাবার। সারাদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘ডি’ সরবরাহ করে স্যামন মাছ। আর ভিটামিন ‘ডি’ হৃদযন্ত্র, হাড়, কোলন ও ব্রেনের জন্য উপকারী। কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও ভিটামিন ‘ডি’ সমানভাবে লড়াই করে। স্যামন মাছ আপনার চুলের জন্যও দারুণ উপকারী।

৪। নারিকেল তেল
নারিকেল তেল ক্যালোরিতে পরিপূর্ণ। এটা লরিক এসিডও বহন করে যা এন্টিব্যাক্টেরিয়াল। এটা আপনাকে ভাইরাস, বিভিন্ন ইনফেকশন এবং ব্রণের হাত থেকে বাঁচাবে। নারিকেল তেলে আছে ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ‘ই’। যা আপনার ত্বককে রাখে আদ্র, নরম এবং বলিমুক্ত।

নারিকেল তেল থাইরয়েডের জন্য সমানভাবে উপকারী। আর এটা তো প্রমাণিত যে এই তেল ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৫। সবুজ চা

সবুজ চা যদিও একটি পানীয় তবুও মনে রাখতে হবে এটি গাছ থেকেই আসে। প্রতিদিন এককাপ সবুজ চা আপনাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এমিনো এসিড সরবরাহ করবে। যা আপনাকে রিলাক্স মুডে থাকতে সাহায্য করবে। চা যখন গরম করা হয়, তখন এটি ক্যাটচিন নামের সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। যেটি ক্যন্সার এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

ভালো ফল পেতে দিনে ৩ কাপ সবুজ চা পান করুন।

৬। পালং শাক

পালং শাক খাবারের মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। এটি আপনাকে আয়রন, ক্লোরোফিল, ভিটামিন ‘ই’, ‘এ’, ‘সি’, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম সরবরাহ করবে। যা আপনার ত্বককে করবে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর। ডায়েট করতেও পালং শাক আপনার খাবারের মেন্যুতে যোগ করতে পারেন।

৭। বিভিন্ন প্রকার বীজ

সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়ার বীজ ও শন বীজ মসৃণ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়ার বীজ দুটোই ভিটামিন ‘ই’, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়ামে পরিপূর্ণ। সেলেনিয়াম আপনার ত্বককে বলি হতে রক্ষা করবে। ভিটামিন ‘ই’ ত্বককে দিবে আদ্রতা আর ম্যাগনেশিয়াম আপনাকে মানসিক চাপ হতে স্বস্তি দিবে।

সালাদের সাথে বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন যা খাবারে দিবে দারুণ স্বাদ।

৮। সেলারি (এক ধরণের শাক)

ত্বকের জন্য আরো একটি দরকারি খাবার হলো সেলারি। অনেকেই এটিকে খাবারের মধ্যে গণ্য করেন না। কিন্তু সেলারিতে আছে রক্ত সঞ্চালনের জাদুকরী ক্ষমতা। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। সাথে সাথে এটি মাইগ্রেনের ব্যথা এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও লড়াই চালিয়ে যায়।

সেলারিতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং পানি। যা আপনাকে ডায়রিয়া হতে রক্ষা করবে। আপনার প্রতিদিনের খাবারে যোগ করুন সেলারি। ভয় নেই, সেলারিতে খুব অল্পই ক্যালোরি আছে।

৯। পেঁপে
পেঁপে একটি দারুণ ফল। পেঁপেতে এতো পরিমাণ পুষ্টিমাণ রয়েছে যা লিখে শেষ করা যাবে না। খুব অল্প ক্যালোরি সমৃদ্ধ এই ফলটি কোনো কোলেস্টরেল নেই। তাই পেঁপেকে আপনার ডায়েট তালিকায়ও যোগ করে নিতে পারেন।

পেঁপেতে পাওয়া গেছে ভিটামিন ‘ই’, ‘সি’, এবং বেটা ক্যারোটেন। যা আপনার মুখের ব্রণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ভিটামিন ‘সি’ ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে।

১০। গাঁজর
গাঁজর শুধু আপনার চোখের জন্যই নয় বরং ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারি। ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ গাঁজর ত্বকের নিচের অতিরিক্ত কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে। সকালে নাস্তায় গাঁজর রাখার অন্যতম যুক্তি হলো গাজরের ভিটামিন ‘এ’ ত্বকের ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। সুতরাং প্রতিদিন হাফ কাপ গাঁজর আপনার ত্বককে এনে দিতে পারে উজ্জ্বল সজীবতা।

41
আজকাল অনেকেই ডিম খান না। কেউ ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে, কেউ আবার রক্তে চর্বির পরিমাণ কম রাখতে, কেউ আবার হৃদরোগকে ভয় পেয়ে। কিন্তু আসলেই কি ডিম এগুলো বাড়ায়? বরং চিকিৎসকেরা আজকাল বলেন উল্টো কথা। তারা বলেন, সকালে নাস্তায় একটি ডিম মাসে প্রায় ৩ পাউনড পর্যন্ত ওজন কমাতে পারে! আসুন, তাহলে জেনে নেয়া যাক ডিমের ১২টি উপকারিতা, যেগুলোর কারণে রোজ ডিম খাওয়া উচিত আপনার!

১)ছোট্টো একটা ডিম হাজারো ভিটামিনে ভরা। এর ভিটামিন বি ১২ আপনি যা খাচ্ছেন সেই খাবারকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।

২)এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। ডিমের কেরোটিনয়েড, ল্যুটেন ও জিয়েক্সেনথিন বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। এই একই উপাদান চোখের ছানি কমাতেও সাহায্য করে।

৩)কেবলমাত্র ডিমেই রয়েছে ভিটামিন ডি। যা পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৪)আছে ভিটামিন ই। এটি কোষ এবং ত্বকে উত্‍পন্ন ফ্রি র‍্যাডিক্যাল নষ্ট করে দেয়। এবং স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

৫)ডিমের সবচেয়ে বড়ো গুণ এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টে রোজ একটি ডিম মানে সারাদিন আপনার ক্ষুধা কম হবে, খাওয়া হবে কম। গবেষণায় দেখা যায় শরীর থেকে দিনে প্রায় ৪০০ ক্যালোরি কমাতে পারে সকালে একটি ডিম খাওয়া। তার মানে মাসে ওজন কমার পরিমাণ প্রায় তিন পাউন্ড। সমীক্ষা বলছে, ৬৫% বডি ওয়েট, ১৬% বডি ফ্যাট, ৩৪% কোমরে জমে থাকা মেদের পরিমাণ কমাতে পারে ডিম!

৬)ডিমে আছে আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস। মেনস্ট্রুয়েশনের জন্য অনেক সময় অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ডিমের মধ্যে থাকা আয়রন এই ঘাটতি মেটাতে পারে সহজেই। জিঙ্ক শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুত করে।

৭)প্রত্যেক নারীর শরীরে রোজ কমপক্ষে ৫০ গ্রাম প্রোটিনের দরকার। একটি ডিমে থাকে ৭০-৮৫ ক্যালোরি বা ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন। সুতরাং চাঙা থাকতে রোজ ডিম খেতেই পারেন।

৮)২০০৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমীক্ষায় দেখিয়েছে অ্যাডোলেশন পিরিয়ডে বা পরবর্তী কালে সপ্তাহে ৬টি করে ডিম নিয়মিত খেলে প্রায় ৪৪% ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব৷ সঙ্গে এটাও জানিয়েছে, ডিম হৃৎপিণ্ডে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কম থাকে।

৯)শরীর সুস্থ রাখার আরও একটি জরুরি উপাদান কোলাইন। কোলাইনের ঘাটতি ঘটলে অনেক সময় কার্ডিওভাসকুলার, লিভারের অসুখ বা নিউরোলজিক্যাল ডিজ-অর্ডার দেখা দিতে পারে। একটি ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন থাকে। যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম, স্নায়ু, যকৃত্‍ ও মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

১০)নতুন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায় না। দিনে দুটো ডিম শরীরের লিপিড প্রোফাইলে কোনও প্রভাব ফেলে না। বরং ডিম রক্তে লোহিতকণিকা তৈরি করে।

১১)প্রোটিন শরীর গঠন করে। আর প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে অ্যামিনো অ্যাসিড। একুশ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড এই কাজে প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমাদের শরীর অতি প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করতে পারে না। তার জন্য আমাদের প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নিতে হয়। খাবারের মধ্যে এই প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট হল ডিম। যা ঝটপট শরীরে প্রোটিন উত্‍পাদন করতে পারে।

১২)নখ ভেঙে যাচ্ছে চটপট? নাকি চুলের স্বাস্থ্য একেবারেই বেহাল? চোখ বন্ধ করে রোজ ডিম খেয়ে যান। ডিমের মধ্যে থাকা সালফার ম্যাজিকের মতো নখ আর চুলের মান উন্নত করবে।

42
যতো বয়স বাড়তে থাকে ততোই মানুষের মনে হতে থাকে নিজের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। বিশেষ করে বয়স যখন চল্লিশের কোঠা পার হয় তখন অনেকেই নিজেকে আয়নায় দেখে ভেবে থাকেন বছর দশেক আগেকার কথা। নিজের কল্পনায় নিজের ফেলে আসা দিনগুলোকে দেখতে থাকেন। কিন্তু কেমন হয় যদি চল্লিশের কোঠা পার হয়েও নিজের মধ্যে সেই ত্রিশের লুকটা ধরে রাখতে পারেন? অবশ্যই ভালো। ভাবছেন কীভাবে করবেন এই অসম্ভবকে সম্ভব? তাহলে মেনে চলুন এই ৫ টি ধাপ।

লো ফ্যাট ডায়েটের কথা ভুলে যান
নিজের শরীরটাকে ফিট রাখতে অনেকেই বেশ অল্প বয়স থেকেই সব কিছুতে লো ফ্যাট খুঁজে থাকেন। একেবারেই ফ্যাটের ধারে কাছে যেতে চান না। কিন্তু আপনি যদি চল্লিশের পরও নিজের চেহারায় ত্রিশের লুক ধরে রাখতে চান তবে এই লো ফ্যাট ডায়েটের কথা একেবারেই ভুলে যেতে হবে। কিছুটা ফ্যাট আমাদের দেহের ক্ষতি নয় বরং উপকারেই আসে। ফ্যাট আমাদের দেহের পাওয়ার হরমোনগুলোকে রেগুলেট করে। এবং আমাদের ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

একই গতিতে শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন
নিয়মিত ব্যায়াম দেহকে ফিট রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন বছরের পর বছরে গৎবাঁধা নিয়মে শারীরিক ব্যায়াম করেই যেতে থাকেন তাহলে তা কিন্তু আপনার দেহ ও ত্বকের ওপর বেশ বড় প্রভাব ফেলবে। মাঝে মাঝে দেহকে কিছুদিনের বিশ্রাম দেয়া এবং বয়সের সাথে সাথে ব্যায়ামের নিয়মাবলী পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আপনি যেমনটি ৩০ বছর বয়সে করেছেন তা আপনি ৪০ পেরিয়ে করতে পারবেন না। এতে দেহে চাপ পড়বে।

‘বয়স হয়ে গিয়েছে’ কথাটি বলবেন না
৪০ পার হতে না হতেই যদি আপনি নিজেকে একজন বয়স্ক মানুষ ভাবতে থাকেন তাহলে আপনার দেহ এবং ত্বকে এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। বয়স হয়েছে বলে আপনি ত্বকের যত্ন করবেন না, আগের মতো পরিশ্রম ও ব্যায়াম করবেন না। এই ধরণের কাজ থেকে দূরে থাকুন। সবকিছুর দোষ নিজের বয়সের কাঁধে চাপিয়ে দেবেন না। মনের ভেতর ইচ্ছেশক্তি জাগিয়ে তুলুন। দেহ ও ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে কাজ করুন।

পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করুন
দেহে পানিশূন্যতা বাসা বাধতে দেবেন না। পানি আপনার দেহ, ত্বক ও দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য বিশেষভাবে জরুরী। পানিশূন্যতার ফলে ত্বকের নিষ্প্রাণ ভাব চলে আসে, কিডনির ক্ষতি হয়, দেহে ভর করে দুর্বলতা এবং সেই সাথে মনে চলে আসে বার্ধক্য। নিয়মতি দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান দেহকে রাখে টক্সিনমুক্ত, সুস্থ ও সবল এবং ধরে রাখে তারুণ্য।

ব্যায়াম করা কমিয়ে ফেলুন
কথাটি শুনে হয়তো অনেকের কাছে অবাক লাগতে পারে, কিন্তু সত্যিকার অর্থেই অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে আমাদের দেহের ওপরে। শারীরিক ব্যায়াম আমাদের ফিট রাখে ঠিকই কিন্তু অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের কারণে দেহের মাংপেশি ও হাড়ের দুর্বলতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবং ত্বকের ওপরেও পড়ে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। তাই শারীরিক ব্যায়াম কম করে সঠিক নিয়মে করুন।

43


পেটে মেদ জমা কম-বেশি সবারি সমস্যা। এর কারণে আপনাকে দেখতে খারাপ লাগতে পারে, আপনার পছন্দের পোশাক আপনার জন্য টাইট হয়ে যেতে পারে এমনকি শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। মেদ কিভাবে কমাবেন তা নিয়ে তো অনেক লেখালেখি হয়। কিন্তু কেন এই মেদ আপনার পেটে জমে তা জানেন তো? শুধু বেশি খাবার খাওয়ার জন্যই কিন্তু পেটে মেদ জমে না। এমন অনেক বদঅভ্যাস আছে যার কারণে আপনার পেটে মেদ জমে। তাহলে জেনে নিন এই বদঅভ্যাস গুলো কী কী-
১) অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া

স্লিম পেট যান? তাহলে চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিন। বাদ না দিতে পারলে এসব খাওয়া কমিয়ে দিন। যেমন সপ্তাহে ২/৩ বার।
২) অপরিমিত ঘুম

রাতে অপরিমিত ঘুমালেও কিন্তু পেটে মেদ জমতে পারে। এজন্য প্রতি রাতে অন্তত টানা ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
৩) প্রতিদিন সোডা/ সফট ড্রিঙ্কস/ অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় পান করা

কোক, স্প্রাইট, মিরিন্ডা বা মাউন্টেন ডিউ ছাড়া আপনার দিন'ই চলে না? অথবা বিয়ার, ওয়াইন বা শ্যাম্পেইনের প্রতি রয়েছে আসক্তি? তাহলে স্লিম পেট পাওয়া কথা ভুলে যান। এসব না ছাড়লে পেটে মেদ জমতেই থাকবে।
৪) লো-ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া

লো-ফ্যাট  জাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরের আকার কন্ট্রোলে থাকবে ভেবে যদি সারাদিন এ জাতীয় খাবার'ই খেতে থাকেন তাহলেও কিন্তু পেটে মেদ জমবে। লো ফ্যাট জাতীয় খাদ্যে ফ্যাটের পরিমাণ কমানোর জন্য স্যুগারের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে, যা মেদ জমাতে ওস্তাদ। তাই সাবধান লো-ফাট জাতীয় খাবার থেকেও wink।
৫)পরিমিত পানি পান না করা

পরিমিত পানি পান না করলেও এই সমস্যায় পরতে পারেন। কেননা আপনি যত বেশি পানি খাবেন আপনার পেট তত কম খালি থাকবে তাই আপনি খেতেও পারবেন কম। তাই খাবার খাওয়ার আগে ১ গ্লাস পানি অবশ্যই খেয়ে নিবেন এবং দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করবেন।
৬)মানসিক চাপ/ চিন্তা/ কষ্টে থাকা অবস্থায় অনেক খেয়ে ফেলা

খাবার, বিশেষ করে সুস্বাদু খাবার কিন্তু মানসিক কষ্ট ও চাপ কমিয়ে দিতে পারে। এটি অনেকের ক্ষেত্রেই সত্যি। যাদের জন্য এটি সত্যি তারা কিন্তু কষ্টকে ভুলে যেতে বিরিয়ানি বা বড় এক বাটি আইসক্রিম হাতে নিয়ে খেতে বসবেন না। তাহলে পরে আয়নার সামনে দারিয়ে পেটে মেদ জমতে দেখে আরো মন খারাপ হতে পারে কিন্তু sealed।
৭) রাতে দেরি করে খাওয়া

রাতে খেতে আপনার যত বেশি দেরি হবে ততই মেদ জমার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই রাত ৯ টার আগে খেয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন ও রাতে হাল্কা খাবার খাবেন।
৮) খাওয়ার সময় বড় আকারের প্লেট বেছে নেয়া

আপনার প্লেটের আকার যত বড় হবে আপনি খাবেন'ও তত বেশি। ছোট আকারের প্লেট নিলে বারবার তাতে খাবার তুলতে আপনার কষ্ট হবে তাই ধীরে ধীরে আপনার খাওয়ার পরিমাণ'ও কমে যাবে। তাই খাওয়ার আগে ছোট প্লেট নিয়ে নিন।

এসবের সাথে সাথে আপনি যদি ব্যায়াম না করে থাকেন, অগোছালো হয়ে থাকেন, প্রোটিন জাতীয় খাবার কম খেয়ে থাকেন তাহলেও পেটে মেদ জমতে পারে। এই বদঅভ্যাস গুলোকে মুক্তি দিলে মেদ'ও আপনার পেটকে মুক্তি দেবে।

44
মেকআপের সময় আমরা গালের ওপর হালকা গোলাপি বা পীচ রঙের ব্লাশঅন ব্যবহার করে থাকি। এতে গালের ত্বক হালকা গোলাপি আভা চলে আসে যা মেকআপে পরিপূর্ণতা দেয়। এবং হালকা গোলাপি আভা দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।

কেমন হয় যদি মেকআপ ছাড়াই চেহারায় ফুটে ওঠে গোলাপি আভা? এবং তাও শতভাগ প্রাকৃতিক উপায়ে, অর্থ খরচ ছাড়া? হ্যাঁ, এটি সম্ভব। খুব সহজে ঘরে ত্বকের কিছু যত্নআত্তিতে গোলাপি আভা আনতে পারবেন। আপনার ত্বক হবে নিখুঁত ফর্সা ও উজ্জ্বল। যিনি একবার তাকাবেন, তাকিয়েই থাকবে। আর হ্যাঁ, মুখে বয়সের ছাপ থাকলে সেটাও দূরে হয়ে চেহারা হবে তরুণ। চলুন তবে আজ দেখে নেয়া যাক সেই প্রাকৃতিক উপায়গুলো।

কলার মাস্ক
একটি পাকা কলা খোসা ছাড়িয়ে একটি চামচ দিয়ে পিষে দিন। এই কলায় ২ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগান। পুরো ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারে ত্বকে দেখতে পাবেন গোলাপি আভা।

ময়েসচারাইজার ক্রিম সঠিকভাবে ম্যাসেজ করুন
কোনো ভালো ও নামই ব্র্যান্ডের ময়েসচারাইজার ক্রিম ভালো করে সঠিক পদ্ধতিতে মুখের ত্বকে ম্যাসেজ করুন প্রতি রাতে। ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মুখের ত্বকে ম্যাসেজ করুন ক্রিম। ত্বক ম্যাসেজের ফলে ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এতে করে ত্বকে আসে গোলাপি আভা।

ডিমের সাদা অংশ ও মধু
১ টি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ টেবিল চামচ মধু খুব ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণটি আঙুলের ডগায় নিয়ে মুখে ভালো করে ম্যাসেজ করে লাগান। ১০ মিনিট ত্বকে রেখে দিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে ১০ মিনিট পর ত্বক ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং ত্বকে আবে গোলাপি আভা।

লেবু ও শসার রস
১ টি তাজা লেবুর রস চিপে নিন। শসা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে একটি পাতলা কারণে ছেঁকে চিপে নিয়ে শসার রস বের করে নিন। এবার লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, শসার রস ২ টেবিল চামচ, ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে লাগাবেন। ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নেবেন।

মসুর ডাল
কাঁচা দুধে মসুর ডাল ৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এই ডাল ছেঁকে নিয়ে মিহি করে বেটে নিন। মধুর সাথে মিশিয়ে এই মিশ্রণটি মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে নিন। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বকে আসবে গোলাপি আভা।

45
চুলের নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। চুলের আগা ফেটে দু ভাগ হয়ে থাকে, চুলের ঝলমলে ভাব দূর হয়ে রুক্ষতা ভর করে, আবার চুল পরে যায় অনেক। এতে চুল হয়ে যায় বিশ্রী। কোনো ধরণের স্টাইলই মানায় না এই ধরণের চুলে। অনেক ক্ষেত্রে নামীদামী হেয়ার প্রোডাক্টেও কাজ হয় না। তখন আমরা সবাই বেশ বিপদে পড়ি। কিন্তু আমাদের ভুলের কারনেই হচ্ছে এই সমস্যা। এইসকল সমস্যার মূলে রয়েছে চুলের পুষ্টিহীনতা। সব সমস্যার জন্য আমাদের চুলকে দিতে হবে পুষ্টিকর কিছু খাবার।

ডিম
ভিটামিন বি এসেনশিয়াল এবং বায়োটিনে ভরপুর ডিম চুল বৃদ্ধির কাজে সহায়তা করে এবং মাথার ত্বক ভালো রাখে। চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন ডিম। এছাড়াও চুলে লাগাতে পারেন ডিমের হেয়ার মাস্ক। ২ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ৪ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে ফেটিয়ে ঘন একটি পেস্টের মত তৈরি করে চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। ব্যস চুলের অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

পালং শাক
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন এবং ফোলাইট। এই সবুজ শাকটি নিয়মিত খেলে আমাদের দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে এবং এতে চুলের ফলিকলে অক্সিজেন পৌছায়। এতে করে আমাদের চুল দ্রুত বাড়ে এবং মাথার ত্বক ঠিক থাকে।

ক্যাপসিকাম
লাল, হলুদ এবং সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন সি এর খুব ভালো উৎস। ভিটামিন সি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং চুলের ভঙ্গুরতা দূর করতে সাহায্য করে। চুলের সুস্থতায় সালাদ এবং রান্নায় ক্যাপসিকাপ রাখার অভ্যাস করুন।

ডাল
ডাল উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যা আমাদে দেহের কোষ বৃদ্ধিতে কাজ করে। এটি চুলের কোষ বৃদ্ধিতে অনেক সহায়তা করে। এতে চুল দ্রুত বাড়ে এবং চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায় ও রুক্ষতা দূর হয়। তাই খাদ্যতালিকায় ডাল রাখুন।

মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা চুল পরা রোধ করে। তাই মিষ্টি আলু খান চুল পরা রোধ করতে।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 16