Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - yousuf miah

Pages: [1] 2 3 ... 12
1
Zakat / Who are the recipients of Zakat and Sadaqah Fitr?
« on: April 18, 2022, 08:51:05 AM »
জাকাত আদায় হবে তখনই যখন ওই সম্পদের ওপর জাকাত গ্রহীতার সম্পূর্ণ অধিকার বা সত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ যাকে জাকাতের টাকা বা বস্তু দেওয়া হবে তিনি তা পাওয়ার যোগ্য হলেই কেবল জাকাত আদায় হবে।


সেজন্য লা ওয়ারিশ মৃতদেহের দাফনও জাকাতের টাকায় করা যাবে না। কারণ মৃতের মালিক হওয়ার যোগ্যতা থাকে না। আবার মৃত ব্যক্তির ঋণও সরাসরি জাকাতের টাকায় আদায় করা যাবে না। কারণ মৃতের দুনিয়ার সঙ্গে সকল বন্ধন শেষ। যেহেতু তিনি কোনো কিছুর মালিক হতে পারবেন না সেহেতু ওই টাকা তিনি গ্রহণও করতে পারবেন না। তাই ঋণ পরিশোধ করার প্রশ্নই আসে না। তবে মৃতের ওয়ারিশ যদি থাকে ও তারা যদি জাকাত গ্রহণের যোগ্য হন এবং মৃতের ঋণ পরিশোধে অসমর্থ হন তবে তাদের জাকাতের টাকা দেওয়া যাবে এবং ওই টাকা থেকে ওয়ারিশ মৃতের ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন।

ঠিক তেমনি মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, এতিমখানাও জাকাতের টাকায় করা যাবে না। কারণ যাদের জন্য মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল ও এতিমখানা করা হবে, তারা কখনো এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা পান না।

চার ঈমামসহ উম্মাহর ফেকাহবিদদের অধিকাংশ এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন।

মূল কথা হলো, মালিক হওয়ার যোগ্য যিনি তাকে দিলেই জাকাত আদায় হবে।

আল্লাহ্‌র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম হযরত মুয়াযকে (রা.) ইয়ামেন পাঠানোর সময় জাকাত সম্পর্কে হেদায়েত দিয়েছিলেন যে জাকাতের অর্থ শুধু মুসলিম ধনী থেকে নেওয়া হবে ও মুসলিম দরিদ্রকে দেওয়া হবে। তাই জাকাতের অর্থ শুধু মুসলমান ফকির-মিসকিনদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে। জাকাত ছাড়া অন্যান্য ছদকা খয়রাত এমনকি সদকায়ে ফিতরও অমুসলিমদের দেওয়া জায়েজ। (হেদায়া)
 
শুধুমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের বংশধর তথা হাশেমি ও মুত্তালিব বংশীয় লোকদের জন্য জাকাত নিষিদ্ধ। এছাড়া যে কোনো মুসলমান স্বাধীন ব্যক্তি যার মধ্যে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আটটি গুণের একটি রয়েছে তিনি জাকাত পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

মহান আল্লাহ্‌ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, জাকাত হলো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্থ, জাকাত আদায়কারী (সদকা ভাণ্ডার পরিচালনাকারী) ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ (যাদের হৃদয় সদ্য সত্য গ্রহণ করেছে) প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস মুক্তির জন্য, ঋণ গ্রস্থদের জন্য, আল্লাহ্‌র পথে জেহাদকারীদের জন্য ও মুসাফিরদের জন্য, এই হলো আল্লাহ্‌র নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়। সূরা তওবা, আয়াত-৬০।

নিজের অভাবগ্রস্থ সন্তান ও তাদের বংশ এবং নিজের বাবা-মা ও তাদের বাবা-মা পূর্ব পুরুষ কাউকে ও জাকাত ফিতরা ইত্যাদি ফরজ এবং ওয়াজিব দান হতে দেওয়া হলে তা আদায় হবে না। তবে তাদের নফল এবাদতের উদ্দেশে দান করলে পূর্ণ নয় দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যাবে। এতে আত্মীয়ের হকও আদায় হবে।

এছাড়া স্বামী স্ত্রীকে নিজের জাকাত-ফিতরা দিলে তা আদায় হবে না। স্ত্রী স্বামীকে দিলে তা আদায় হবে কি না তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ঈমাম আবু হানিফা (র.) বলেন, স্ত্রী স্বামীকে জাকাত-ফিতরা দিতে পারে না; ঈমাম আবু ইয়ুসুফ (র.) ও মোহাম্মদ (র.) বলেন, দিতে পারে। (শামি ২-৮৭)

ফিতরা মূলত রোজার জাকাত। জাকাত যেমন ধন-সম্পদকে পবিত্র করে তেমনি ফিতরা ও রোজার মধ্যে যে সকল ত্রুটি থাকে তা দূর করে।

সদকায়ে ফিতর ফরজ না ওয়াজিব তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কিন্তু আদায়ের আবশ্যকতা যে অলঙ্ঘনীয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

সহিহ মুসলিম শরীফের ৩য় খণ্ডের ২১৪৯ নম্বর হাদিসে ইবন উমার (র.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম মুসলমান দাস-দাসি ও স্বাধীন নর-নারীর ওপর এক সা’ পরিমাণ খেজুর বা যব রমজান মাসে সদকায়ে ফিতর নির্ধারণ করেছেন।

উক্ত হাদিসের ব্যাপারে টিকায় বলা হয়েছে, নির্ধারণ করেছেন এর মূলে ফরজ শব্দ রয়েছে। এর অর্থ অবশ্য করণীয় ও পালনীয়। ঈমাম শাফেয়ী প্রথম অর্থ ও ঈমাম আবু হানিফা (র.) দ্বিতীয় অর্থ গ্রহণ করেছেন।

বিভিন্ন হাদিসের ভিত্তিতে ফিতরার শরয়ী হুকুম সম্পর্কে ঈমামদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। ঈমাম শাফেয়ী ও আহমেদের মতে ফিতরা ফরজ।

ঈমাম আবু হানিফার মতে ফিতরা ওয়াজিব। ঈমাম মালিক এবং কোনো কোনো ইরাকী ও কিছু সংখ্যক শাফেয়ীর মতে ফিতরা সুন্নতে মোয়াক্কাদা।

আলোচ্য হাদিস থেকে আরও প্রমাণিত হয় যে রমজান অতিবাহিত হলে ফিতরা ওয়াজিব হয়। তাই ঈমাম শাফেয়ী বলেছেন, রমজানের শেষদিনের সূর্যাস্তের পর ফিতরা ফরজ হয়। আবু হানিফা বলেছেন, ঈদুর ফিতরের দিন সূর্যোদয় থেকে ফিতরা ওয়াজিব হয়।

আতা (র.) ইবনে ছিরিনসহ (র.) বিশিষ্ট তাবেয়িরা বলেছেন, ছদকায়ে ফিতর আদায় করা ফরজ। হানাফি ফেকার কিতাবে ওয়াজিব লেখা হয়।

ওয়াজিব কার্যতঃ ফরজই বটে। উভয়ের মধ্যে শুধু সুক্ষ্ম মর্মগত সামান্য পার্থক্য রয়েছে। (বোখারি শরীফের ২য় খণ্ডের ছদকায়ে ফেতর অধ্যায়).

ফিতরা ফরজ না ওয়াজিব তা নিয়ে মতভেদ থাকলেও ফিতরা দিতে হবে কি না সে ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত নেই। তাই অবশ্য পালনীয় মনে করে ফিতরা দেওয়াই শ্রেয়।

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

2
Cold / Flu / Corona can be spread through mobile phones!
« on: March 14, 2020, 10:18:56 AM »
করোনাভাইরাস নামক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে বিশ্ববাসী। এটি কখন কাকে ঘায়েল করে, বলা মুশকিল। এদিকে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম জানিয়েছে, ফোনের স্ক্রিনে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। যা সক্রিয় থাকতে পারে চার দিন। এর থেকেই জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে আপনার শরীরের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস শুধু মানব শরীরে নয়, সুপ্ত অবস্থায় থেকে যেতে পারে মোবাইলের স্ক্রিনের মতো কঠিন পদার্থেও। কারণ, আপনার স্মার্টফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেটগুলো ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের হট বেড, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশন অনুযায়ী, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (SARS) করোনা ভাইরাস, মিডিল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (MERS) করোনা ভাইরাস অথবা এন্ডেমিক হিউম্যান (EH) করোনা ভাইরাস ৯ দিন পর্যন্ত কাঁচ, প্লাস্টিক বা ধাতব জাতীয় পদার্থের পৃষ্ঠে জীবন্ত থাকতে পারে। এর মানে হলো, যতই হাত পরিষ্কার রাখুন না কেন, আপনার ফোনটি যদি সঠিকভাবে পরিষ্কার না রাখেন তাহলে এই জীবাণু দ্বারা আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন।
জেনে নিন বিভিন্ন গ্যাজেট জীবাণুমুক্ত করার কিছু সহজ পদ্ধতি-

* আপনার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ যদি ওয়াটারপ্রুফ হয় তবে ফোন বা ল্যাপটপটি পরিষ্কার করতে সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

* যদি ওয়াটারপ্রুফ না হয় তবে জীবাণুমুক্ত করতে স্ক্রিনটি নরম ও স্যাঁতসেঁতে মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং কাপড়টি ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলে দিন।

* ফোন বা ল্যাপটপের উপরে যদি কোনো কভার থাকে তবে সেটিও স্যাঁতস্যাঁতে কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং কাপড়টি ফেলে দিন।

* ফোন জীবাণুমুক্ত করার জন্য দিনে দু’বার মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন।

* ফোন পরিষ্কার করার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তারপরে ফোন ব্যবহার করবেন।
খেয়াল রাখুন:

* স্মার্টফোনের স্ক্রিনটি অ্যালকোহল দিয়ে মুছবেন না, এতে স্ক্রিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

* অন্য কারোর ফোন বা ল্যাপটপ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন এবং আপনার জিনিস অন্যকে দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

* ফোনের গ্লাস যদি খুব অপরিষ্কার হয় তবে তা ব্যবহার করবেন না, দ্রুত পরিবর্তন করুন।

3
Body Fitness / Increases immunity permanently
« on: January 26, 2020, 09:51:49 AM »

 চিরতার স্বাদ তেতো হলেও এই ফলটির রয়েছে নানান গুণ। চিরতার ডালপালা ধুয়ে পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ওই পানি পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

চিরতা হৃৎপিণ্ড ও যকৃতের সবলকারক, চোখের জ্যোতিবর্ধক ও জ্বর রোগে বিশেষ উপকারী এই চিরতা।
চিরতার উপকারিতা ও গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল;

১। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
২। নিয়মিত তিতা খাবার খেলে অসুখ হওয়ার প্রবণতা কম থাকে। 
৩। চিরতা খেলে যেকোনো কাটা, ছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত শুকায়।
৪। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য চিরতা ভীষণ জরুরি পথ্য। চিরতার রস দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে দেয়।
৫। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ, অতি ওজনবিশিষ্ট ব্যক্তির জন্যও চিরতা দরকারি।
৬। টাইফয়েড জ্বর হওয়ার পর আবারও অনেকের প্যারাটাইফয়েড জ্বর হয়। তাই টাইফয়েড জ্বরের পরে চিরতার রস খেলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।
৭। চিরতার রস কৃমিনাশক।
৮। তারুণ্য ধরে রাখতেও চিরতার গুরুত্ব অপরিসীম।
৯। শরীরের ঝিমুনিভাব, জ্বরজ্বর লাগা দূর করে চিরতার রস।
১০। নিয়মিত তিতা বা চিরতার রস খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
১১। চিরতা রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে।
১২। যাদের ডায়াবেটিস নেই কিন্তু রক্তে চিনির পরিমাণ সবসময় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে, তাদের জন্য চিরতা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

বিডি প্রতিদিন

4
Cold / Flu / How damaging is the virus?
« on: January 26, 2020, 09:43:56 AM »
সম্প্রতি গোটা বিশ্বের ঘুম কেড়ে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। ইতোমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে চীনের ৮০০-এরও বেশি লোক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। গত বছর এই অজানা ভাইরাস সেদেশে প্রথম দেখা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

একেবারে শুরুতে মনে করা হয়েছিল, এই ভাইরাসটি সামুদ্রিক খাবার থেকে ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক প্রাণি থেকে মানব দেহে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন বলছে, একজন মানুষের শরীর থেকেও এই ভাইরাস অন্য মানুষের শরীর ছড়িয়ে পড়তে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি মারাত্মক এই ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
ভাইরাসের কারণে চীনের উহান শহরে জনজীবন থমকে গেছে৷ সেখানে ৪৫০ জন সামরিক চিকিৎসক পাঠানোর সংবাদ দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া৷

তবে এরইমধ্যে উহান থেকে এই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে অন্য শহরগুলোতে৷ সব মিলিয়ে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে৷

ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ১৮ টি শহরের সাড়ে পাঁচ কোটি বাসিন্দাকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ৷ সারা দেশে বিমানবন্দর, রেল ও বাস স্টেশনগুলোতে বসানো হচ্ছে স্ক্যানিং যন্ত্র৷

এ পর্যন্ত এক ডজনের বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে৷ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুক্রবার নেপালে প্রথম একজন রোগীর সন্ধান মিলেছে৷

শনিবার অস্ট্রেলিয়া এই জীবাণু আক্রান্ত চারজনের খবর নিশ্চিত করেছে৷ ভিক্টোরিয়া রাজ্যে সেসব রোগীকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ সেখানে আরো রোগীর সন্ধান মিলতে পারে বলে শংকা তাদের৷

মালয়েশিয়া জানিয়েছে, উহান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে আসা চীনের তিন আক্রান্ত রোগীকে তারা চিহ্নিত করেছে৷ তাদেরকে দেশটির সরকারি হাসপাতালের একটি আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে৷ সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ১৩০০-এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনা ভাইরাস কী?
করোনা ভাইরাস এমন এক ভাইরাল যা সাধারণ ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতোই প্রথমে আক্রমণ করে ফুসফুসে। মধ্য প্রাচ্য থেকে আসা এই ভাইরাস থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। আস্তে আস্তে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। যার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

লক্ষ্মণ কী?
এর প্রাথমিক লক্ষ্ণণ অতি সাধারণ। ঠাণ্ডা লাগার মতোই সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর হয় এই ভাইরাস সংক্রমণে।

কীভাবে ছড়ায়?
সহজেই একজনের থেকে আরেক জনের মধ্যে ছড়ায় এই ভাইরাস
- শারীরিক ঘনিষ্ঠতা এমনকি করমর্দন থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।
- রোগী বা তার জিনিস ধরার পর ভালো করে হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ, চোখ, নাকে হাত দিলে এই রোগ ছড়াতে পারে।
- হাঁচি-কাশি থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু বলছে, কিছু সাধারণ নিয়ম মানলেই এড়ানো যাবে এই সংক্রমণ-

রোগী কাছ থেকে আসার পর ভালো করে হাত ধুতে হবে। হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। ডিম, গোশত ভালো করে রান্না করুন। রোগীর থেকে দূরে থাকুন।

ওপরে বলা প্রাথমিক লক্ষ্মণের এক বা একাধিক দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

5
Hajj / The first day of the month of Zilhaj will take effect
« on: August 03, 2019, 10:57:53 AM »
আরবি (হিজরি) বছরের শেষ মাস জিলহজ। কুরআনে বর্ণিত হারাম মাসসমূহের একটি। এ মাসে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র হজ। এ মাসের ফজিলত বর্ণনায় নাজিল হয়েছে কুরআনের আয়াত। এ মাসের ইবাদত-বন্দেগি করতে বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন এমন ইবাদত রয়েছে যা পালন করা মোস্তাহাব। এ দিনগুলোতে নামাজ, রোজা, দান-সাদকাসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগি করার জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আর তাহলো-

>> নামাজ
জিহজের প্রথম ১০ দিন ফরজ নামাজগুলো অন্যান্য সময়ের মতোই যথা সময়ে আদায় করা। পাশাপাশি বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা। এমনিতেই বেশি বেশি নফল নামাজ বান্দাকে আল্লাহ অতি কাছে নিয়ে যায়। তাই জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনও বেশি বেশি নামাজ পড়া। হাদিসে এসেছে-
হজরত সাওবান রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘তুমি বেশি বেশি সেজদা কর। কারণ তুমি এমন কোনো সেজদা কর না, যার কারণে আল্লাহ তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন না এবং তোমার গোনাহ ক্ষমা করেন না। (মুসলিম)

>> রোজা
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে রোজা অন্যতম আমল। এ দিনগুলোতে রোজা পালনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জিলহজ মাসের আরাফার দিন রোজা পালন সম্পর্কে হাদিসের ঘোষণা এমন-
হজরত হুনাইদা বিন খালেদ রাদিয়াল্লাহু আনহু তার স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন, তার স্ত্রী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিলহজ মাসের নয় তারিখ, আশুরার দিন ও প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোজা পালন করতেন।’ (মুসনাদে আহমদ, নাসাঈ, আবু দাউদ)

>> তাসবিহ
জিলহজ মাসের এ ফজিলতপূর্ণ প্রথম দশকে তাকবির (اَللهُ اَكْبَر), তাহলিল (لَا اِلهَ اِلَّا الله) ও তাহমিদ (اَلْحَمْدُ لِلَّه) বেশি বেশি পড়া। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তোমরা বেশি বেশি তাকবির, তাহলিল, ও তাহমিদ পড়।

ইমাম বুখারি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, ‘হজরত ইবনে ওমর, আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু জিলহজের এ ১০ দিন তাকবির বলতে বলতে বাজারের জন্য বের হতেন। মানুষরাও তাদের দেখে দেখে তাকবির বলতো।

ইমাম বুখারি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেন, ‘ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু মিনায় তার তাবুতে তাকবির বলতেন, লোকেরা তা শুনতো অতঃপর মানুষরাও তার অনুসরণ করে তাকবির বলতো। এক সময় পুরো মিনা তাকবিরের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠতো।
সুতরং সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণে মুমিন মুসলমানের উচিত, জিলহজ মাসের প্রথম দিনগুলোতে বেশি বেশি নামাজ, রোজা, দান-সাদকা, তাসবিহ পাঠসহ যাবতীয় নফল ইবাদত ও ভালো কাজে অতিবাহিত করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন রোজা পালনসহ যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন

এমএমএস/জেআইএম

6
Cancer / Ovens can increase the risk of cancer
« on: April 04, 2019, 02:17:08 PM »


কম সময়ে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনই ভরসা। আধুনিক এই যন্ত্রটি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। নামমাত্র সময়ে ঠান্ডা খাবার গরম করার এর চেয়ে ভাল উপায় আর নেই। কিন্তু এই মাইক্রোওয়েভ ওভেনই যে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছে তা কি জানেন?

সম্প্রতি কয়েকটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করলে খাবারের খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণ ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়।

শুধু তাই নয়, মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা খাবারে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রায় ৯৭ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ওভেনে মাংস রান্না করলে বা গরম করলে তার মধ্যে ডি-নাইট্রোসোডিএনথানলেমিন নামের একটি ক্ষতিকর একটি যৌগ তৈরি হয়। যা সরাসরি কার্সিনোজেন বা ক্যান্সারের কারণ।

অর্থাৎ মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা খাবার খেলে যকৃৎ, পাকস্থলিতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।

কানাডার ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে দেখেছেন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন থেকে নির্গত রেডিয়েশনের কারণে আমাদের হৃদস্পন্দনের গতির অস্বাভাবিক তারতম্য ঘটে। তাঁদের মতে দুধ, ডিম, মাংস বা মাশরুমজাতীয় খাবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করে খাওয়া সবচেয়ে বিপজ্জনক! এই ক্ষতিকর দিকগুলোর কারণে ১৯৭৬ সালে রাশিয়ায় মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও পরে পশ্চিমের দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের প্রসারের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক পত্রিকা ‘জার্নাল অব এগ্রিকালচারকাল ফুড অ্যান্ড কেমিস্ট্রি’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করলে তার খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণ অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যায়। তাঁদের পরামর্শ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করা যায়, ততই মঙ্গল!

এনডিটিভি/এএ

7
Cold / Flu / Early warning to stay healthy
« on: April 04, 2019, 12:05:29 PM »
সারাদিন গরম, হঠাৎ আকাশ কালো করে দুপুরেই যেন সন্ধ্যা নামছে। চৈত্র মাসেই শুরু হয়েছে কালবৈশাখী। বৃষ্টির জন্য এখন আর বর্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। বছরের শুরুর দিকের এই বৃষ্টিতে ভিজে অনেকেরই জ্বর হচ্ছে।

 বাড়িতে কারো জ্বর হলে কী করতে হবে, জেনে নিন: 

•    বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে ঠাণ্ডা লেগে জ্বর হয়
•    এই জ্বর চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকে
•    দিনে অন্তত চারবার জ্বর মেপে চার্ট করে রাখুন
•    পুরো শরীর ভেজা তোয়ালে দিয়ে কয়েকবার আলতো করে মুছে দিন
•    জ্বরের সময় যতটা সম্ভব বিশ্রামে থাকতে হবে
•    হাঁচি দেয়ার সময় রুমাল বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে হবে
•    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল লেবু, কমলা, পেয়ারা, আনারস, আমড়া বেশি বেশি খেতে দিন
•    প্রচুর বিশুদ্ধ পানি ও ফলের শরবত পান করতে দিন
•    আদা, লবঙ্গ দিয়ে তৈরি চা পান করতে হবে
•    নাক বন্ধভাব এবং নাক দিয়ে পানি পড়লে গরম পানিতে লবণ ও লেবুর রস বা মেন্থল দিয়ে ভাপ নিন।

বৃষ্টিতে ভিজলে যত দ্রুত সম্ভব শুকনো কাপড় দিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে। তিন চার দিন পরও যদি জ্বর (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি) অনুভূত হয়, সঙ্গে মাথাব্যথা,  শরীরে ব্যথা, গলাব্যথা করে বা চোখ লাল থাকে, তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

বাইরে যাওয়ার সময় ব্যাগে একটি ছাতা রাখুন, রোদ-বৃষ্টি দু’টি থেকেই রক্ষা পাবেন।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

8
Islam & Science / The blessings that you will pray in the fire
« on: April 04, 2019, 11:59:48 AM »
অগ্নিকাণ্ড মানুষের বিপদের কারণ। সাধারণত অসতর্কতায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকে। আবার আল্লাহর অবাধ্যতার মাত্রা চরম হলেও আল্লাহর পক্ষ থেকে নানা ধরনের আজাব-গজব নাজিল হয়।

দুনিয়ার বিপদ-আপদ, আজাব-গজব থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহর স্মরণের বিকল্প নেই। তাই কোথাও আগুন লাগলে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা জরুরি।

আগুন দেখে হতাশ না হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তা নিভানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। অতঃপর আল্লাহর কাছে তা সহজে নির্মূলে দোয়া ও আমল করা জরুরি।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন তোমরা (উচ্চস্বরে- اَللهُ اَكْبَر) তাকবির দাও। কারণ (উচ্চস্বরে- اَللهُ اَكْبَر) তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে। (তাবরানি)

তাকবির হলো >
اَللهُ اَكْبَر - اَللهُ اَكْبَر
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।
অর্থ : আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান।

ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘আগুন যত ভয়ংকর হোক না কেন; তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে।

আজান দেয়া : আগুনের আক্রমণ যদি বেড়ে যায় তবে উচ্চ স্বরে আগুন নেভানোর নিয়তে আজান দিলেও আল্লাহর রহমতে আগুন নিভে যায়।

পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত পড়লে আগুনের কার্যক্ষমতা নিস্তেজ হয়ে যায় এবং আগুন নেভাতে সহজ হয়। যে দোয়ায় হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে আগুন স্পর্শ করেনি। আর তাহলো-

يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ
উচ্চারণ : ‘ইয়া নারু কুনি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।’
অর্থ : হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগুন নেভাতে উচ্চ স্বরে আল্লাহ তাআলার তাসবিহ ও আজান দেয়ার তাওফিক দিন। আল্লাহর আজাব-গজব থেকে বেচে থাকতে তার বিধান পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

9
মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ অডিও-ভিডিও কলের পাশাপাশি এবার গ্রুপ অডিও-ভিডিও কল সুবিধা চালু করেছে।

বছরের শেষ নাগাদ ফিচারটি চালুর কথা থাকলেও গতকাল থেকে ফিচারটি উন্মুক্ত করেছে মেসেজিং অ্যাপটি।

এর আগে মে মাসে নিজেদের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে হোয়াটসঅ্যাপে এ সুবিধা চালুর ঘোষণা দিয়েছিল ফেসবুক। এ জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যবহারকারীদের ওপর ফিচারটির কার্যকারিতা পরীক্ষাও করছিল তারা। নতুন এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রাথমিকভাবে একসঙ্গে চারজনের সঙ্গে ভিডিও কল করা যাবে। এ জন্য বাড়তি কোনো ঝামেলাও পোহাতে হবে না। গ্রুপ কল করার জন্য প্রথমে একজনকে ফোন দিতে হবে। এরপর অ্যাপটির ডান দিকের ওপরে থাকা ‘অ্যাড পার্টিসিপেন্ট’ বাটনে ক্লিক করে বন্ধুদের নাম নির্বাচন করলেই সবার সঙ্গে ভিডিও কল করা যাবে।

পর্যায়ক্রমে সব আইওএস এবং অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীই এ সুবিধা পাবে, জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এত দিন অ্যাপটি কাজে লাগিয়ে বার্তা বিনিময়ের পাশাপাশি একজনের সঙ্গে অডিও ও ভিডিও কল করা যেত।

বিডি-প্রতিদিন/

10
Body Fitness / Long term insomnia may be a serious illness!
« on: June 20, 2018, 10:33:17 AM »
রাতে কিছুতেই ঘুম আসছে না। এদিকে দিনের বেলায় ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব আর অস্বাভাবিক জড়তায় কিছুতেই কাজ করতে পারছেন না। এ রকম অবস্থা দিনের পর দিন চলতে থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কারণ অনিদ্রার সমস্যা শরীরের আরও অনেক অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। কম ঘুমালে শরীরের ঠিক কী কী সমস্যা হতে পারে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন-

১। ঘুম কম হলে অনেককেই হ্যালুসিনেশনের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।

২। ঘুম কম হলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও কমতে শুরু করে।

৩। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে হার্টের নানা রোগের সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।

৪। ঘুম কম হলে বাড়তে পারে মানসিক অবসাদও।

৫। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে হতে পারে মারাত্মক হজমের সমস্যা।

৬। দিনের পর দিন অনিদ্রার সমস্যা ডায়বেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

৭। দিনের পর দিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা অর্শরোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।

 

বিডি প্রতিদিন


11
Internet / Autoplay video ads are coming in messenger
« on: June 20, 2018, 10:29:11 AM »
মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের জন্য বিরক্তি সৃষ্টিকারী বিজ্ঞাপন আসতে যাচ্ছে। মেসেঞ্জারে ব্যক্তিগত বার্তা চালাচালি করার সময় স্বয়ংক্রিয় চালু হয় এমন ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখাবে ফেসবুক। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট রিকোডের এক খবরে বলা হয়েছে, ভিডিও বিজ্ঞাপন বিক্রি করার নতুন একটি জায়গা খুঁজে পেয়েছে ফেসবুক। মেসেঞ্জারের ভেতরে কারও কাছ থেকে পাওয়া বার্তার পরই এ বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। অর্থাৎ চ্যাট করার সময় বিজ্ঞাপন দেখতে হবে ব্যবহারকারীকে। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনমুক্ত চ্যাট করার দিন শেষ!

মেসেঞ্জারের ভেতর প্রথম বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হয় ১৮ মাস আগে। ওই সময় ‘স্ট্যাটিক’ বিজ্ঞাপন দেখানো হতো। অর্থাৎ তখন ভিডিও বিজ্ঞাপন চালু করেনি ফেসবুক। কিন্তু এখন ভিডিও বিজ্ঞাপন চালু করলে ফেসবুকের লাভ বেশি। কারণ, ভিডিও বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুক বেশি আয় করে এবং এতে খরচ বেশি।

এর আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ফেসবুকের ভেতর বিজ্ঞাপন দেখানোর আর কোনো জায়গা নেই তাদের। এরপর থেকে মেসেঞ্জার ও মার্কেটপ্লেসে বিজ্ঞাপন দেখাতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

মেসেঞ্জারের ভেতর অটোপ্লে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হলে ব্যবহারকারীদের কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে। এ বিষয়ে মেসেঞ্জারের বিজ্ঞাপন বিভাগের পরিচালক স্টেফানোস লুকাকোস বলেন, মানুষের বিরক্তির কারণ সম্পর্কে তাঁরা অবগত। ব্যবহারকারীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করবেন তাঁরা। মানুষ এসব বিজ্ঞাপন দেখতে অভ্যস্ত হন, নাকি মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেন, সেটা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

স্টেফানো বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রধান গুরুত্ব হচ্ছে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা। মেসেঞ্জারের ভেতর অটোপ্লে ভিডিও বিজ্ঞাপন কাজ করবে কি না আমরা এখনে জানি না। যখন সাধারণ বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে, তখন খুব বেশি পরিবর্তন চোখে পড়েনি। তবে ভিডিও একটু আলাদা হতে পারে। তবে খুব বেশি পার্থক্য হয়তো হবে না।’

অনলাইন ডেস্ক: প্রথম আলো

12
Pain / Most workers are suffering from waist-neck pain
« on: June 09, 2018, 10:13:44 AM »
কোমরে ও ঘাড়ের ব্যাথার অন্যতম প্রধান কারণ দীর্ঘসময় ধরে চেয়ারে বসে কাজ করা। নিরবিচ্ছিন্নভাবে এভাবে বসে কাজ করার দারুণ দেখা দিতে পারে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা।

বিশেষজ্ঞদের মতে যারা কোমরের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, তাদের অধিকাংশই কর্পোরেট অফিসে দীর্ঘক্ষণ ডেস্কে বসে কাজ করেন।

আট ঘণ্টার অধিক সময় ধরে বসে কাজ করার ফলে যেসব স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

হৃদরোগের সমস্যা: দীর্ঘসময় বসে কাজ করার ফলে উচ্চরক্তচাপে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।

ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা: পেশীর নড়াচড়া কম করার ফলে ইনসুলিন উৎপাদনে তারতম্য দেখা দেয় ফলে ডায়াবেটিসের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অলসতা বাড়িয়ে দেয়: পেশী শক্তিশালী ও সচল রাখার জন্য শরীরের নড়াচড়া অবশ্যক। দীর্ঘসময় বসে থাকার ফলে পেশীর কর্ম-উদ্দীপনা কমে গিয়ে অলসতা বাড়িয়ে দেয়।

স্ট্রেসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়: নড়াচড়া করার ফলে শ্বাসক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেন বেশি মাত্রায় পৌঁছায় ও এনডর্ফিন নামক হরমোন ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। যা স্ট্রেস কমায়। কম নড়াচড়ার ফলে এই হরমোন কম নিঃসরণের কারণে মানসিক স্ট্রেস বৃদ্ধি পায়।

পিঠে ও মেরুদণ্ডে ব্যাথা: দীর্ঘক্ষণ বসে থাকায় মেরুদণ্ডের স্থিতিশিল অবস্থানের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে ঘাড়ে, পিঠে ও মেরুদণ্ডের ব্যাথা হতে পারে।

কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ধরনের সমস্যা কাটিয়ে সুস্থ থাকা যায়।

যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম পেশীর স্ট্রেস দূর করে শরীর সচল রাখতে সাহয্য করে।

হাঁটা: দীর্ঘক্ষণ কাজের মাঝখানে কিছু সময়ের জন্য হাঁটাচলা করুন।

নড়াচড়া করা: বসে থাকা অবস্থায় মাঝে মধ্যে হাত-পা নড়াচড়া করুন। এতে পেশীর রক্ত চলাচল বাড়বে। আর সঠিক মাত্রায় রক্ত চলাচল করলে পেশীর অবস্থা ভালো থাকে।

সঠিকভাবে বসা: যখন বসবেন তখন মেরুদণ্ড সোজা করে বসার চেষ্টা করুন।

ঘাড়ের ব্যায়াম: সোজা হয়ে বসে মাথা একপাশের ঘাড়ের দিকে আস্তে আস্তে নামিয়ে দিন, এরপরে অন্যপাশে একই ভাবে করুন।



বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

13


হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন, ‘রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশ্ক আম্বরের চেয়েও প্রিয়।’ এ গন্ধ মানে মেসওয়াক না করার কারণে মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে প্রিয় নয়।

এ হাদিসের আলোকে অনেকেই ভুল করে থাকেন, আর তাহলো- যেহেতু রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়, তাই রোজা অবস্থায় মেসওয়াক করা যাবে না। মেসওয়াক করলে আল্লাহর কাছে প্রিয় গন্ধ দূর হয়ে যাবে। আর রোজাদার সে ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবে। আসলে বিষয়টি এমন নয়।

রবং মেসওয়াক করা সুন্নাত, এটা রোজা রাখা অবস্থায় সকাল, দুপুর, বিকালসহ সব নামাজের ওয়াক্তে আদায় করাই সুন্নাত। আর সব অবস্থায়ই রোজাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহর কাছে সর্বঅধিক প্রিয়। তাই বলে মেসওয়াক না করার ফলে রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে প্রিয় নয়। এ ব্যাপারে রোজাদারের সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

ব্রাশ-পেস্ট
রোজা অবস্থায় ব্রাশ-পেস্টের মাসআলা আলাদা। সাধারণত মানুষ ব্রাশের সঙ্গে পেস্ট ব্যবহার করে থাকে। যেমনটি মেসওয়াকের সঙ্গে ব্যবহার করা হয় না।

মনে রাখতে হবে
রোজা অবস্থায় পেস্ট, গুল, মাজন বা কয়লা ইত্যাদি দিয়ে দাঁত পরিস্কার করা নিষিদ্ধ। কারণ এগুলো গলার ভেতরে চলে গেলে রোজাই নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি ভেতরে চলে না-ও যায়, তবুও রোজা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

যদি কেউ শুধু পেস্ট ছাড়া শুধু ব্রাশ করতে চায়; তবে তা করতে পারবে। তবে উত্তম হলো মেসওয়াক করা। তাতে মেসওয়াক করার সুন্নাতও আদায় হবে আবার রোজা নষ্ট হওয়ার ক্ষতি থেকেও বেঁচে থাকা যাবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজা অবস্থায় ব্রাশ ও পেস্টের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি মেসওয়াক করে সুন্নাতের সাওয়াব লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

 ধর্ম ডেস্ক: jagobd

14
ICT / How many satellites of a country at a glance
« on: May 13, 2018, 09:56:22 AM »
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ সফল ভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

তবে বর্তমানে কক্ষপথে দু্ই হাজার দুইশোটির বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে। জানা যায়, ১৯৫৭ সালে প্রথম মহাকাশে স্পুটনিক-১ নামে স্যাটেলাইট প্রেরণ করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। এরপর অনেক দেশ তাদের অনুসরণ করে মহাকাশে স্যাটেলাইট প্রেরণ করেছে।

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও এর গতিবিধি নিয়ে কাজ করে এন২ওয়াইও.কম ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, সাবেক সোভিয়েত রাশিয়া ভূক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত স্যাটেলাইট সংখ্যা ১৫০৪টি, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬১৬টি, চীনের ২৯৮টি, জাপানের ১৭২টি, ভারতের ৮৮টি, ফ্রান্সের ৬৮টি, ব্রিটেনের ৪২টি, দক্ষিণ কোরিয়ার ২৪টি, স্পেনের ২৩টি, তুরস্কের ১৪টি, সৌদি আরবের ১৩টি, পাকিস্তানের ৩টি।

এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার অনেকগুলো স্যাটেলাইট বর্তমানে কক্ষপথে অবস্থান করছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। আর্থ স্টেশন থেকে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্যাটেলাইটটির কক্ষপথে যেতে সময় লাগবে ৮-১১ দিন। আর পুরোপুরি কাজের জন্য প্রস্তুত হবে ৩ মাসের মধ্যে।

অনলাইন ডেস্ক

15
Body Fitness / Food that increases the digestive power
« on: May 13, 2018, 09:48:48 AM »
হজমশক্তি কমে গেলে দেহে পুষ্টির অভাবে বাসা বাঁধা শুরু করে নানা ধরণের রোগ। এমনকি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ওজনও। তাই আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখা এবং হজমশক্তি ঠিক রাখার জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।

এমন কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করুন যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে দেহ সুস্থ রাখবে-

আদা হজমের শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা দেহের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। আদায় রয়েছে ‘জিনজারোলস’ যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পরিপাকক্রিয়া দ্রুত করে। সকালে এক কাপ আদা চা এবং রান্নায় আদার ব্যবহার কিংবা কাঁচা আদা খাওয়া পরিপাকযন্ত্র সুস্থ রাখে।

রসুন দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। রসুনের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান যেকোন ধরণের ঠাণ্ডা কাশি, ভাইরাল ইনফেকশন দূর করার সাথে সাথে আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও কাজ করে। রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা রসুন দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।

দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাংগানিজ যা দেহের ফ্যাটি এসিড হজম করতে সাহায্য করে। এবং এটি আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার আমাদের দেহের পরিপাকযন্ত্র এবং হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক কার্যকরী।

বিডি-প্রতিদিন/

Pages: [1] 2 3 ... 12