Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: Akter Hossain on November 18, 2015, 10:10:42 AM

Title: যে ৫১ ওষুধ আর খাবেন না
Post by: Akter Hossain on November 18, 2015, 10:10:42 AM
বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এইস, নাপাসহ বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত ৫১টি ওষুধের নিবন্ধন বাতিল করেছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিবন্ধন বাতিলকৃত এসব ওষুধ উৎপাদন, বিপনন, মজুদ, বিক্রয়, ক্রয় এবং প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


পাশাপশি জনসাধারণকে এসব ওষুধ ব্যবহার না করার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম সভায় এসব ওষুধের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। সংশ্লিস্ট কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে এসব ওষুধ নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে বাজার থেকে প্রত্যাহার করে তার পরিমাণসহ অধিদপ্তরকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


নিষিদ্ধ ঘোষিত ওষুধসমূহ হলো- রেনাটার প্যারাডট ট্যাবলেট, পায়োগ্লিন ৩০ ট্যাবলেট, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এইস সফট ট্যাবলেট, টস-৩০ ট্যাবলেট, টস-৪৫ ট্যাবলেট, সেনসুলিন ২ ট্যাবলেট, বেক্সিমকো ফার্মার নাপা সফট ট্যাবলেট, পায়োগ্লিট ৩০ ট্যাবলেট, পায়োগ্লিট ৪৫ ট্যাবলেট, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের ফিভিমেট ট্যাবলেট, পায়োজেনা ৩০ ট্যাবলেট, রোমেরল ২ ট্যাবলেট, দ্য একমি ল্যাবরেটরিজের ফাস্ট-এম ট্যাবলেট, বায়োফার্মার এসিটা সফট ট্যাবলেট, অপসো স্যালাইনের জিসেট ট্যাবলেট, অপসোনিন ফার্মার রেনোমেট ট্যাবলেট, পাইলো ৩০ ট্যাবলেট, এসকেএফ’র টেমিপ্রো ট্যাবলেট, বায়োফার্মার প্রিগলেট ৩০ ট্যাবলেট, ইউনিমেড এন্ড ইউনিহেলথ’র একটোস ৩০ ট্যাবলেট, এরিস্টোফার্মার গ্লুকোজন ৩০ ট্যাবলেট, গ্লুকোরস ৪ ট্যাবলেট, এসিআই লিমিটিডের ডায়াট্যাগ ৪৫ ট্যাবলেট, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসের রসিগ্লিট ২ ট্যাবলেট, রসিগ্লিট ৪ ট্যাবলেট, এরিস্টোফার্মার গ্লুকোরস ২ ট্যাবলেট, ডেল্টা ফার্মার রসিট-৪ ট্যাবলেট, মিল্লাত ফার্মার পায়োট্যাব ৩০ ট্যাবলেট, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের পায়োডার ৩০ ট্যাবলেট, কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওগলি ৩০ ট্যাবলেট, ট্যাজন-৪ ট্যাবলেট, ডক্টরস কেমিক্যালের পায়োজন ৩০ ট্যাবলেট, অ্যালকো ফার্মার পায়োলিট ৩০ ট্যাবলেট।অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম সভায় বলা হয়, প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রাম এর সঙ্গে ডিএল মেথিওনিন ১০০ মিলিগ্রাম কম্বি^নেশন পদটিতে মেথিওনিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ঝুঁকির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য টেকনিক্যাল সাবকমিটির সভায় উপস্থাপিত হলে সদস্যরা বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করেন।
২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪০তম সভায় বিএনএফ-৬১ রেফারেন্সের ভিত্তিতে ওই ওষুধটি অনুমোদিত হলেও বর্তমানে বিএনএফ ৬৯-এ তা অন্তর্ভুক্ত নেই। এ ছাড়া এ পদটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এমএইচআর) কর্তৃক অনুমোদিত নয়। এ ছাড়া ওই কম্বিনেশন পদটিতে মেথিওনিনের উপস্থিতির কারণে পার্শ্বগ্রতিক্রিয়া হিসেবে হৃদরোগ, ক্যান্সার, হেপটিক এসেফালোপ্যাথি, ব্রেন ড্যামেজ, এসিডোসিসের ঝুঁকি থাকায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এটি প্রত্যাহার করে নেয় ব্রিটিশ উদ্ভাবক কোম্পানিটি। তা ছাড়া ১২ বছরের নিচের কোনো শিশুর জন্য মেথিওনিন সুপারিশকৃত না থাকায় এটি অবাধে ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে বিস্তারিত আলোচনা পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই ওষুধটি সর্বসম্মতক্রমে বাতিল করা হয়।ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন বলেন, সারা বিশ্বেই রোগ প্রতিরোধের কার্যকারিতার ওপর অনেক ওষুধ অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে ক্ষতিকর হিসেবে প্রমাণিত হলে তা বাতিলও করা হয়। যেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে ওষুধগুলো ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করে বাতিল করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশেও বাতিল করা হলো।