Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - tnasrin

Pages: 1 [2] 3 4 5
17
 
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট দীর্ঘ সময় ব্যবহারে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কখনো শারীরিক বা কখনো মানসিক সমস্যা তৈরি হয় এ থেকে। কিন্তু ফেসবুক বা কোনো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট কতক্ষণ ব্যবহার করা যুক্তিসংগত?

এত দিন নির্দিষ্ট করে কোনো সময়সীমার কথা বলেননি বিশেষজ্ঞরা। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফল বলছে, দৈনিক আধা ঘণ্টার মতো সময় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহারের জন্য সীমাবদ্ধ করে রাখা ভালো। এতে একাকিত্ব ও বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। গত সপ্তাহে জার্নাল অব সোশ্যাল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪৩ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ওই গবেষণা করা হয়। তাঁদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। একটি দল সামাজিক যোগাযোগের তিন ওয়েবসাইট ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটে প্রতিদিন ১০ মিনিট করে কাটায়। তিন সপ্তাহের ওই পরীক্ষায় আরেকটি দল ইচ্ছামতো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে।

গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট কম সময় ধরে ব্যবহার করেন, তাঁরা কম একাকিত্বে ভোগেন। তাঁদের বিষণ্নতা বোধ কম হয়। এ ছাড়া কোনো কিছু নজর এড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বা উদ্বেগ কমে। এ ধরনের স্বনজরদারির বিষয় থেকে সুবিধা আসতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

পিউ রিসার্চের গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট এখন মানুষের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৬৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। এর মধ্যে এক–তৃতীয়াংশ মানুষ প্রতিদিন ফেসবুকে ঢোকেন। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ ও যুবকের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারের হার বেশি। তাঁদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ স্ন্যাপচ্যাট, ৭১ শতাংশ ইনস্টাগ্রাম ও ৪৫ শতাংশ টুইটার ব্যবহার করেন।

গত মে মাসে ক্লেইনার পারকিনস যে তথ্য জানিয়েছিল, তা চমকে ওঠার মতো। তাদের তথ্য অনুযায়ী, মানুষ এখন ডিজিটাল মিডিয়াতে সময় কাটাচ্ছেন বেশি। গত বছর প্রাপ্তবয়স্করা দিনে গড়ে ৫ দশমিক ৯ ঘণ্টা ফোন, ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, ২০০৮ সালে যা ২ দশমিক ৭ ঘণ্টা মাত্র। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিলোইটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এখন দিনে গড়ে ৫২ বার ফোন চেক করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা, যা গত বছর ছিল ৪৭ বার।

প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এর প্রভাব নিয়ে এখন উদ্বেগ বাড়ছে। প্রযুক্তিতে আসক্তির বিষয়টি সেন্টার ফর হিউম্যান টেকনোলজির মতো প্রতিষ্ঠানের নজরে এসেছে। এ বছরের শুরুতে শিশুদের ওপর প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে ট্রুথ অ্যাবাউট টেক নামে একটি প্রচার কর্মসূচি শুরু করে সংস্থাটি। এর আগে শিশুদের নিয়ে কাজ করা অলাভজন সংস্থা ক্যাম্পেইন ফর আ কমার্শিয়াল-ফ্রি চাইল্ডহুডের পক্ষ থেকে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে মেসেঞ্জার ফর কিডস বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। তাদের দাবি, শিশুরা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারে প্রস্তুত নয়।

কয়েকটি গবেষণায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আসক্তির কারণে বিষণ্নতার উপসর্গের যোগসূত্র পাওয়া যায় বলে পেনসিলভানিয়ার গবেষকেরা দাবি করেন। তাঁরা বলেন, ফেসবুকে আসক্তিতে একাকিত্ব বাড়ে এবং কর্মস্পৃহা কমে। অতিরিক্ত ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে নিজের শরীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।

19
Very important tips... thanks for sharing

21
গরমে দিনভর রোজা রাখার পর ক্লান্তি কাটাতে ইফতারে চাই এমন কিছু, যা ঝটপট শরীর ঠান্ডা করতে পারে। রোজার পর তৃষ্ণা মেটাতে শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। বেলের শরবত দারুণ কাজে আসতে পারে। বাজারে এখন বেল পাবেন। বেল ‘উড অ্যাপল’ নামেও পরিচিত।

পুষ্টিবিদেরা বলেন, শরীরের পানিস্বল্পতা দূর করতে বেলের শরবতের তুলনা হয় না। আবার পুষ্টিগুণের দিক থেকেও এটি অনন্য। এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত সারা দিনের ক্লান্তি মুছে শরীরকে চাঙা করে তুলতে ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে অবসাদ ঘুচিয়ে দিতেও কিন্তু বেশ কার্যকর।

বেল আমাদের দেশের দারুণ জনপ্রিয় একটি ফল। বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার কয়েকটি দেশে বেল পাওয়া যায়। বেশি বেল পাওয়া যায় শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও লাওসে। আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও বেলের নানা গুণের কথা বলা হয়।

বেলের শক্ত খোলসের ভেতর থাকা নরম মজ্জা বা শাঁস সরাসরি খাওয়া যায় বা তা দিয়ে শরবত তৈরি করা যায়। বেলের শরবত খুব পুষ্টিকর। এটি নানা রোগের বিরুদ্ধে লড়ার পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখে এবং চুল পড়া ঠেকায়। বেল পেটের নানা রোগ সারাতে জাদুর মতো কাজ করে, কাঁচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশায় রোগের ওষুধ হিসেবও বিবেচিত। বেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়াম।

বেলের গুণাগুণ
* যাঁদের হজমে সমস্যা আছে, বেল তাঁদের জন্য বেশ উপকারী।
* কাঁচা বেল ডায়রিয়ার রোগীদের জন্য ভালো। এ জন্য ফালি ফালি করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। উষ্ণ গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে রোগীকে অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে।
* জন্ডিস, যক্ষ্মা, উচ্চ রক্তচাপের জন্যও বেল খুব উপকারী।

22
Very important tips..... try to follow....thanks.

23
ওজন কমাতে বা শরীরকে বিষমুক্ত করতে অনেকেই নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এর মধ্যে ‘ডেটক্স’ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। কোনো রকম ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে বিষমুক্ত করা যায় এ পদ্ধতিতে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফিট থাকতে বা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান সবাই। এ জন্য সবার ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। প্রতিদিন যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, তেমনি শরীরকে বিষমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে নানা রকম রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। শরীরকে বিষমুক্ত রাখতে নিয়মিত প্রচুর পানি পান করতে হবে। জি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। শরীরকে বিষমুক্ত করার সুফলগুলো জেনে নিন:

শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা
শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরিষ্কার থাকায় সেগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে।

ওজন কমায়
শরীর বিষমুক্ত হলে দ্রুত ওজন কমে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলাকে বিষমুক্ত খাবার পদ্ধতি বলা যেতে পারে।

ত্বকের জন্য ভালো
শরীর বিষমুক্ত মানে ত্বকের চেহারা বদলে যাওয়া। ত্বক আরও বেশি সতেজ হয়ে উঠবে। শরীরের ব্রণ বা খোসপাঁচড়া দূর হবে।

চুল
শরীর থেকে বিষ দূর হলে চুলের জন্য বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। যাদের চুল ঝরে, তাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের দিকে নজর দিতে হবে। বিষমুক্ত খাবার খেতে হবে।

শক্তি বাড়ে
শরীরকে বিষমুক্ত করা মানেই হচ্ছে আরও বেশি শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠা। এ উপকারগুলো পেতে ডেটক্স পানীয় জরুরি।

এবার কয়েকটি ডেটক্স ড্রিংক বা বিষমুক্ত করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন:

মধু-লেবুর মিশ্রণ: মধু, লেবু ও আদা একসঙ্গে করে জুস তৈরি করতে পারেন, যা ডেটক্স বা শরীরকে বিষমুক্ত করতে পারে। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

কমলার জুস: যাঁরা শরীর ঝরঝরে করতে চান, তাঁরা কমলালেবুর রসের মধ্যে সাধারণ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। বিশেষ করে যকৃতের জন্য এ জুস কাজে দেবে। এমনকি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

লেবুযুক্ত গ্রিন টি: গ্রিন টির গুণাগুণ সবার জানা। গ্রিন টি আমাদের শরীরকে সতেজ ও উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদ্‌রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের মেদ কোষে বেশি শর্করা ঢুকতে পারে না। ফলে এই চা আমাদের শরীরের ওজন ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ফল ও সবজির জুস: সুস্থ থাকতে, ওজন কমাতে অনেকেই ফল ও সবজির রস খান। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও প্রোটিন থাকে। জুস পুষ্টিগুণের কারণে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও হজমে সহায়ক হয় ফল ও সবজিমিশ্রিত জুস।

24
মজাদার কোনো ফ্রাই খাচ্ছেন? সঙ্গে এক চামচ টমেটো সস বা টাটকা টমেটোর খানিকটা সালাদ? তোফা! স্বাদটা তখন বেড়ে যায় বহুগুণ। একই সঙ্গে শরীরে কিছু ভিটামিন আর পুষ্টিও যোগ হয়। সবজি বা ঝালঝোলেও মুখরোচক সবজি টমেটোর কদর কম নয়। কিন্তু টমেটো খেতে হবে পরিমাণমতো। এর অন্যথা হলেই শরীর-স্বাস্থ্য একটু গড়বড় হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা তা-ই বলছেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর টমেটোর আছে নানা গুণ। টমেটো হচ্ছে একমাত্র সবজি, যাতে চার রকমের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ আছে বিপুল পরিমাণে। এই ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ ত্বক ও চোখের সুস্থতা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটিকে ফল হিসেবেও বিবেচনা করা যায়। বিশ্বজুড়ে টমেটোর নানা রকম ব্যবহার রয়েছে। এটি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার হতে দেখা যায়। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এটি মানুষকে রক্ষা করে বলে ধারণা করা হয়। খাবারে স্বাদ আনতেও অনেকে টমেটো ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন কি, টমেটোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

অতিরিক্ত টমেটো খেলে হজমে গন্ডগোল থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা, চুলকানির মতো শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। বেশি টমেটো খাওয়ার কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন:

অম্লের প্রবাহ: টমেটোতে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড বা অম্লের প্রবাহ তৈরি করতে পারে। তাই বেশি টমেটো খেলে বুক জ্বালা করতে পারে। এমনকি পেটে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বেশি হয়ে হজমে গন্ডগোল হয়। যাঁরা প্রায়ই পেটের সমস্যায় ভোগেন বা যাঁদের গ্যাস্ট্রোওফাজাল রিপ্লেক্স রোগ (জিইআরডি) আছে, তাঁদের অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।

অ্যালার্জি: টমেটোতে হিস্টামিন নামের একধরনের যৌগ আছে, যা থেকে ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ বা র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া নানা রকম অ্যালার্জি হতে পারে। যাঁদের টমেটো খেলে অ্যালার্জি হয়, তাঁরা টমেটোর ধারেকাছেও যাবেন না। কারণ, টমেটো মুখে দিলেই মুখের ভেতর চুলকানি, জিব ও গাল ফুলে যাওয়া, সর্দি ও গলা চুলকানোর মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

কিডনিতে পাথর: শুনতে আশ্চর্য লাগলেও অতিরিক্ত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। কারণ, টমেটোতে আছে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট। শরীরে এর মাত্রা বেড়ে গেলে তা শরীর থেকে সহজে দূর হয় না। এ উপাদান শরীরে জমে কিডনির পাথর তৈরি করতে শুরু করে।

গিঁটে বাত: অতিরিক্ত টমেটো খেলে গিঁটে বাত দেখা দিতে পারে। এমনকি অস্থিসন্ধিগুলো ফুলে উঠতে পারে। কারণ, এতে সোলানিন নামে বিশেষ অ্যালকালয়েড থাকে। এ যৌগ বিভিন্ন কোষে ক্যালসিয়াম তৈরির জন্য দায়ী। এ যৌগের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা প্রদাহ তৈরি শুরু করে।

লাইকোপিনোডার্মিয়া: টমেটোতে লাইকোপেন আছে, এটা সবার জানা। টমেটোর লাইকোপেন প্রোস্টেট ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার রোধে সাহায্য করে। এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৩১ শতাংশ কমাতে পারে। তবে অতিরিক্ত লাইকোপেন থেকে লাইকোপিনোডার্মিয়া নামের একধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তে লাইকোপেন বেড়ে গেলে ত্বকের রং বদলাতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরের জন্য লাইকোপেন ভালো হলেও দৈনিক ৭৫ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করা হলে তা লাইকোপিনোডার্মিয়ার দিকে চলে যেতে পারে।

ডায়রিয়া: টমেটোতে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এটি ডায়রিয়ার জন্য দায়ী। তবে যাঁরা টমেটো সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে ছাড়া টমেটো খেলে ডায়রিয়া কম দেখা যায়।

পরামর্শ: স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হলেও টমেটো পরিমিত খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

25
Thanks  for sharing....

26
গরমে কাঁচা আমের এক গ্লাস শরবত সারা শরীরে এনে দিতে পারে প্রশান্তি। বাজারে এখন কাঁচা আম পাবেন। পুষ্টিবিদেরা বলেন, কাঁচা আমের জুস শরীরের জন্য ভালো। কাঁচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় প্রচণ্ড গরমে তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা আমের জুসের কয়েকটি গুণের কথা জেনে নিন:

শরীরে লবণের ঘাটতি দূর করে
গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়ে যায়। কাঁচা আমের জুস শরীরের এই ঘাটতি দূর করে। যাঁরা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাঁদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম।

পেট ভালো রাখে
গরমে পেটের গোলমাল? এক গ্লাস আমের জুস দারুণ কাজে লাগতে পারে। খাদ্য হজমে সহায়তা করে কাঁচা আম। অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় কাঁচা আম।

শরীর ঠান্ডা থাকে
কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে৷ এ কারণে শরীরে ঘাম কম হয়। গরমে ক্লান্তিও দূর হয়৷ দুপুরে খাওয়ার পর এই গরমে কিছুটা ঝিমুনি ভাব দেখা দিতে পারে। কাঁচা আমে আছে প্রচুর শক্তি। দুপুরের খাওয়ার পরে কয়েক টুকরা কাঁচা আম খেলে ঝিমুনি দূর হয়।

হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য ভালো
কাঁচা আমকে হৃদ্‌যন্ত্রবান্ধব বলা যেতে পারে। এতে আছে নিয়াসিন নামের বিশেষ উপাদান। এটি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায় এবং বাজে কোলস্টেরল স্তরকে কমাতে সাহায্য করে। যকৃতের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক বন্ধু হতে পারে কাঁচা আম।

স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া রোধ করে
কাঁচা আম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘সি’ জোগাতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া কমায় কাঁচা আম। আমচুর স্কার্ভি নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর। নিশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধেও সহায়তা করে কাঁচা আম। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

27
মাটির নমুনা থেকে ম্যালাসিডিনস নামের প্রাকৃতিক যৌগের সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা, যা নতুন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে।

নিউইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই যৌগের সন্ধান পেয়েছেন। তাঁদের আশা, প্রাকৃতিক এই যৌগ ভবিষ্যতে কঠিন সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই যৌগ বিদ্যমান অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সুপারবাগ (ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু) এমআরএসএ-সহ (মেটিসিলিন-রেজিস্ট্যান্স স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস) অন্যান্য বেশ কয়েকটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।

নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদনটি সাময়িকী নেচার মাইক্রোবায়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই গবেষণা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন আশা জাগাল।

বিশ্বব্যাপী চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় হুমকি হলো ওষুধ-প্রতিরোধী জীবাণু (সুপারবাগ) বাহিত রোগ। এই রোগে প্রতিবছর প্রায় সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বর্তমান বিশ্বে এই সুপারবাগের বিরুদ্ধে নতুন চিকিৎসাপদ্ধতির আবিষ্কার জরুরি।

মাটিতে লাখ লাখ অণুজীব রয়েছে। তাই মাটিতে নতুন অ্যান্টিবায়োটিকসহ চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য বিপুল পরিমাণ যৌগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর নিউইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন ব্র্যাডির নেতৃত্বাধীন দল সেটাই খুঁজে পেতে ব্যস্ত থেকেছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সংগৃহীত এক হাজারের বেশি মাটির নমুনা বিশ্লেষণে দলটি জিন সিক্যুয়েন্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করে।

দলটি যখন অনেকগুলো নমুনাতে ম্যালাসিডিনস খুঁজে পায়, তখন তাদের কাছে মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার। তারা ইঁদুরের মধ্যে ওষুধ প্রতিরোধী সুপারবাগ এমআরএসএর সংক্রমণ ঘটায় এবং পরে ওই ইঁদুরের ওপর ম্যালাসিডিনস যৌগের পরীক্ষা চালায়। তারা দেখতে পায়, ইঁদুরটি ওই সুপারবাগের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছে।

মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহার করার আশায় গবেষকেরা এখন এই ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন। গবেষক ব্র্যাডি বলেন, ‘মানুষের চিকিৎসায় ম্যালাসিডিনসের মতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কবে নাগদা শুরু হতে পারে, তা বলা এখনই সম্ভব নয়। এটা নিতান্তই প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। প্রাথমিক এই আবিষ্কারের পর আমাদের আরও দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হবে।’

30
nice post

Pages: 1 [2] 3 4 5