Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - protima.ns

Pages: 1 ... 14 15 [16] 17
226
ঈদের বাহারি খাবার-১০: খুব সহজে "পারফেক্ট" শামি কাবাব -
উপকরণ

বিফ বা খাসির মাংসের কিমা- ২৫০ গ্রাম
পানিতে ভেজানো বুটের ডাল ৪ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ চা চামচ
রসুন বাটা ১ চা চামচ
শুকনো মরিচ- ৪ টা
ডিম-২ টা
পুদিনা পাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ- ২টা
জিরা গুঁড়ো- আধ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো- আধ চা চামচ
তেল- পরিমান মতো
শামি কাবাব মসলা গুড়ো ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস ১ চা চামচ
পেঁয়াজ বেরেশতা ১/২ কাপ
লবণ স্বাদ মতো
পানি ২ কাপ
বিসকিটের গুঁড়ো পরিমান মতো
প্রণালি

    -প্রথমে হাঁড়িতে মাংসের কিমা, বুটের ডাল, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা, ধনে, এলাচ, শুকনো মরিচ,লবণ, লেবুর রস, শামি কাবাব মসলা ও সব শেষে ২ কাপ পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
    -পানি শুকিয়ে গিয়ে মাংস নরম হয়ে এলে আগুন থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন।
    -এবারে সিদ্ধ মাংস সহ পুরো মিশ্রণ চপার দিয়ে মিহি করে নিন।
    -এবারে ওই মিশ্রণে ডিমের লাল অংশ, ধনেপাতা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন।
    -মিশ্রণ অল্প পরিমানে নিয়ে হাতের চাপে কাবাব আকারে গড়ে নিন।
    -ফাইং প্যানে তেল দিয়ে গরম হতে দিন ,এখন ১ টি করে কাবাব নিয়ে ডিমের সাদা অংশে ডুবিয়ে বিসকুটের গুঁড়োয় মাখিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন। দু-পিঠই ভাল করে ভেজে নিতে হবে
    -ভাজা হয়ে গেলে কিচেন পেপারের ওপর রেখে কাবাব থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে পরিবেশন করুন।

-

227
Faculty Sections / চিকেন মানচুরিয়ান
« on: July 08, 2015, 03:00:51 PM »
চিকেন মানচুরিয়ান
 উপকরণ: মুরগির বুকের মাংস ৪০০ গ্রাম ( মিডিয়াম সাইজের টুকরো করা), তেল ২ টেবিল চামচ,রসুন ৫/৬ কোয়া (পাতলা করে কাটা),আদা ২ ইঞ্চি (পাতলা করে কাটা),পেঁয়াজ ১/২ টি (পাতলা করে কাটা),কাঁচামরিচ ২/৩টি (পাতলা করে কাটা),টমেটো সস ১/২ টেবিল চামচ,সয়া সস ২ টেবিল চামচ,গোলমরিচ ১ চা চামচ,ভিনেগার ১/২ চামচ (৪/৫ টেবিল চামচ পানিতে লাগানো),ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ,চিনি ১ টেবিল চামচ,ময়দা ২ টেবিল চামচ,কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ,ডিম ১ টি,লবণ পরিমাণমত।

প্রণালী : প্রথমেই একটি বড় বাটিতে ময়দা, কর্ন ফ্লাওয়ার, ডিম আর লবণ নিয়ে একটি স্মুথ batter তৈরী করুন এবং batter- টি ঢেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন, ১৫ মিনিট পরে মুরগির টুকরোগুলো batter-এর মধ্যে ডুবিয়ে কোট করে নিয়ে গরম ডুবো তেলে ক্রিসপি করে ভেজে তুলুন। এবারে, একটি পাত্রে তেল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচামরিচ একত্রে মেশান এবং অনেক আচে ৩ মিনিট নেড়ে-চেড়ে রান্না করুন। এবার টমেটো সস, সয়াসস , গোল মরিচ মেশান এবং আবার ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিট ভালো আচে রান্নাকরুন। এবারে চিনি, ভিনেগার, লবণ এবং ধনেপাতা কুচি ভালোভাবে মেশান, ২ মিনিট হাই পাওয়ারে রান্না করুন। ২/৩ মিনিট পর ভালোভাবে নেড়ে তৈরী গ্রেভির মধ্যে আগে থেকে ভেজে নেয়া মুরগির টুকরোগুলো ঢেলে দিন এবং মাত্র ১ মিনিটের মত নেড়ে-চেড়ে একটি সার্ভিং ডিশ-এ নিয়ে পরিবেশন করুন।

228
দশ মিনিটে তৈরি করুন টক দই
গুঁড়ো দুধ
► গরম পানি
► লেবুর রস

প্রনালীঃ

► উষ্ণ গরম পানিতে গুঁড়ো দুধ গুলে নিতে হবে। প্রতি কাপ পানির জন্য প্রয়োজন হবে ৩ চা চামচ গুঁড়ো দুধের। এবার এতে মেশাতে হবে লেবুর রস। প্রতি কাপ পানির জন্য ২ চা চামচ লেবুর রস নিন। এরপর মিশ্রণটি ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। দশ মিনিট পরেই তৈরি হবে জমাট বাঁধা টক দই! এভাবে মাত্র দশ মিনিটেই আপনি তৈরি করে ফেলতে পারবেন দই।

এই দই সাধারণ দইয়ের মতোই ব্যবহার করতে পারবেন রান্নায়, রায়তা বা লাচ্ছি তৈরিতে।

229
ব্লক হয়ে যাওয়া ধমনী খুলতে সহায়তা করবে এই জাদুকরী পানীয়টি!
“করোনারি আর্টারি ডিজিজ” যাকে আমরা সাধারণত হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়া হিসেবেই বুঝে থাকি, নিঃসন্দেহে অনেক মারাত্মক একটি সমস্যা। এই সমস্যার কারণে হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় যার ফলে বাইপাস সার্জারির প্রয়োজন হয়। এই রোগটি মূলত অতিরিক্ত কলেস্টোরল এবং ফ্যাটি প্লাকের কারণে হয়ে থাকে যা হৃদপিণ্ডের ধমনীকে ধীরে ধীরে ব্লক করে ফেলে। হৃদপিণ্ডের রক্ত প্রবাহী ধমনী চিকন হয়ে বা ব্লক হয়ে গেলে পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা শুরু হয়। এবং সেই সাথে মস্তিষ্কে রক্তের সাথে অক্সিজেন প্রবাহ কমে আসে। তাই ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে অবহেলা করা উচিত নয় একেবারেই। সতর্ক থাকতে হবে সবসময়। কিন্তু এই ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়া এবং ধমনীতে প্লাক জমে গেলে তা পরিষ্কার করার ব্যাপারটি বেশ সহজেই এড়িয়ে চলা যায়। এবং এর জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই একেবারেই। রান্নাঘরের মাত্র ১ টি জিনিসেই মারাত্মক এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন অনায়েসে। ভাবছেন কীভাবে? জেনে নিন গবেষণায় প্রমাণিত একটি খুব সাধারণ উপায়। ‘অথেরোস্ক্লেরোসিস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় বেদানার রস কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেমের এইধরনের সমস্যা যার কারণে হার্টঅ্যাটাক হয় বা বাইপাস সার্জারি করতে হয় তা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। মেডিক্যাল গবেষণায় দেখা যায় বেদানার রস ব্লক হয়ে যাওয়া ধমনী খুলতে সহায়তা করে। ২০০৪ সালে প্রকাশিত ‘ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ জার্নালে ৩ বছরের একটি গবেষণার ফলাফল হিসেবে পাওয়া যায়, ‘নিয়মিত বেদানার রস পানের ফলে ক্যারোটিড আর্টারি স্টেনোসিস অর্থাৎ মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী ধমনী সংকুচিত হয়ে আসার সমস্যা ১ বছরে প্রায় ২৯% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়’। বেদানার অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান, উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনলস এবং উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ক্ষমতা হৃদপিণ্ড এবং রক্ত সরবরাহকারীদ ধমনীর জন্য অনেক বেশি উপকারী একটি ফল। এছাড়াও বেদানার রসে রয়েছে ভিটামিন সি। কার্ডিওভ্যস্কুলার নানা সমস্যার মূলে রয়েছে ভিটামিন সি এর অভাব। তাই এই গরমে যতো ধরণের ক্ষতিকর পানীয় পান করবেন তার পরিবর্তে পান করুন বেদানার রস। বেদানার রসে রসে প্রাকৃতিক চিনি। যদি আপনি জুস তৈরি করতে চান তাহলে জেনে নিন রেসিপিটি- – প্রথমে বেদানার দানা খুলে নিন। এরপর তা একটি জিপলক প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে রাখুন। ব্যাগের বাতাস যতোটা সম্ভব বের করে দিন। – একটি রুটি বেলার বেলন দিয়ে প্ল্যাস্টিকের ব্যাগের উপর গড়িয়ে ভালো করে পিষে নিন দানাগুলো। – এরপর একটি ছাঁকনি দিয়ে রস ছেঁকে নিন। এতে চাইলে অল্প একটু পানি যোগ করে নিতে পারেন। – চাইলে লেবুর রস যোগ করে স্বাদ আরও বাড়িয়ে নিন এবং নিয়মিত পান করুন।

230
খুব অল্প সময়ে ইফতারে তৈরি করে নিন দারুণ সুস্বাদু ‘নুডলস পাকোড়া’
উপকরণঃ

– ১ কাপ বেসন
– ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো
– ১ কাপ সেদ্ধ নুডলস
– ১ কাপ পরিমাণে সবজি (আলু, গাজর, ক্যাপসিকাম, মাশরুম বা আপনার পছন্দের যে কোনো সবজি)
– ৩/৪ টি কাঁচা মরিচ কুচি
– ২ টি পেঁয়াজ কুচি
– ১ ইঞ্চি আদা কুচি
– ২ টেবিল চামচ টমেটো সস
– ২ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি
– লবণ স্বাদ বুঝে
– পানি পরিমাণমতো
– তেল ভাজার জন্য

পদ্ধতিঃ

– প্রথমে পানি দিয়ে বেসন ও চালের গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে ঘন থকথকে ব্যাটারের মতো তৈরি করে নিন। ভালো করে মিশিয়ে নেবেন যেনো বেসনে দলা না থাকে।
– এরপর একে এঁকে বাকি সব উপকরণ (তেল ছাড়া) বেসনের মিশ্রনে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে আরও খানিকটা পানি দিয়ে বড়া ভাজার মতো মিশ্রন তৈরি করে ফেলুন।
– এরপর চুলায় কড়াইয়ে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল গরম করে নিন। অল্প একটু মিশ্রন হাতে নিজে বড়ার মতো গোল চ্যাপ্টা আকার দেয়ার চেষ্টা করুন এবং তেলে দিয়ে লালচে করে মুচমুচে করে ভেজে তুলে নিন।
– একটি কিচেন টিস্যুতে রেখে তেল শুষে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ইফতারে।

231
চিকেন সালাদের” একটি ঝটপট রেসিপি।
যা লাগবে

হাড় ছাড়া মুরগির মাংস ১ কাপ
ময়দা ২ টেবিল চামচ
অনিওন পাউডার ১ চা চামচ ( বাটা পেয়াজ দিয়েও করতে পারেন )
গারলিক পাউডার ১ চা চামচ
পাপরিকা পাউডার ১ চা চামচ / লাল মরিচ গুঁড়ো হাফ চা চামচ
গোল মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ
অরিগানো হাফ চা চামচ ( সুপার শপে পাওয়া যাবে )
শুকনা মরিচ টালা গুঁড়ো অল্প
টমেটো কেচাপ ১ টেবিল চামচ
লবণ স্বাদমত
তেল ১ টেবিল চামচ



সালাদের জন্য আরও লাগবে
শসা টুকরা / কুচি , গাজর, টমেটো ,লেটুস কুচি এবং ভাঁজা মচমচে নুডুলস (যেকোন নুডুলস ডুব তেলে মচমচে করে ভেজে নিতে পারেন )আর ,লেবুর রস ,অল্প অলিভ ওয়েল

প্রণালি:

    -তেল ছাড়া মাংসের সব উপকরন মাংসের সাথে মিশিয়ে মেরিনেট করে রাখুন ১০ মিনিট। এক ঘণ্টা হলে আরও ভালো।
    -প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে তেল গরম হলে মেরিনেট করে রাখা মাংস দিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন। ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে নিন।
    -এখন সালাদের জন্য কেটে রাখা শসা , গাজর, টমেটো ,লেটুস কুচিতে অল্প লবণ,ভাজা মচমচে নুডুলস ,লেবুর রস আর অল্প অলিভ ওয়েল দিয়ে মেখে নিন। (লবণটা খেয়াল রাখতে হবে কারন রান্না করা মাংসতেও লবণ দেয়া আছে )
    -প্লেটে পরিবেশনের সময় আগে মাখানো সালাদ সাজিয়ে নিন। এর উপর রান্না করা মাংস ছড়িয়ে দিন।
    -চাইলে কিছু ভাজা বাদাম উপরে ছিটিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।


232
ভ্রমণে বমি এড়াতে কী করবেন
ভ্রমণের  সময় অনেকের বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার সমস্যা হয়। এটাকে বলা হয় মোশন সিকনেস বা গতির অসুস্থতা। গতির (ভ্রমণ) জন্য কানের ভেসটিবুলার অংশের সমস্যার ফলে এই অবস্থা হয়। এ ধরনের সমস্যা ভ্রমণকে কষ্টদায়ক করে তোলে।
 বমি প্রতিরোধে অনেকেই ভ্রমণের আগে ওষুধ খেয়ে নেন। তবে কিছু খাবারও রয়েছে যা খেলে বমি প্রতিরোধ করা সম্ভব। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এমন কিছু খাবারের নাম।
আদা
আদা বমি প্রতিরোধী খাদ্য হিসেবে বেশ পরিচিত; এটি হজমের জন্য উপকারী। যদি আপনার বমির সমস্যা হয় তাহলে ভ্রমণের আগে আদার চা খেয়ে নিতে পারেন। গর্ভাবস্থার বমি প্রতিরোধেও এটি কার্যকরী।
পুদিনা
পুদিনার চা বমি বন্ধে বেশ উপকারী।পুদিনা পাতা ভালোভাবে ধুয়ে একটু মধু মিশিয়ে চায়ের সাথে খেতে পারেন। আর পথে থাকলে কিছু পুদিনা পাতা চাবাতেও পারেন। এর গন্ধ বমি বমি ভাব ও বমিরোধে সাহায্য করবে।

দারুচিনি
দারুচিনি বমিনাশক উপাদান হিসেবে উপকারী। আপনি দারুচিনির চা খেতে পারেন। চাইলে স্বাদ বাড়াতে একটু মধুও যোগ করতে পারেন এর সাথে। গর্ভাবস্থার সকালের অসুস্থতা কাটাতে এবং বমি দূর করতে দারুচিনির চা খুব কার্যকরী।
পেঁয়াজের জুস
পেঁয়াজের জুস দ্রুত বমি ভাব থেকে মুক্তি দেয়। পেঁয়াজ এবং আদা থেঁতলে জুস করে একসঙ্গে খেতে পারেন। এটি ভালো কাজ করে।
লবঙ্গ
বমি বমি ভাব ও বমি থামানোর জন্য কিছু লবঙ্গ মুখে নিয়ে চাবাতে পারেন। এর স্বাদ বাড়াতে একটু মধু যোগ করতে পারেন। পাকস্থলি ভালো রাখতেও লবঙ্গ বেশ উপকারী।
এলাচ
এলাচ চাবানোও দ্রুত বমি রোধে বেশ উপকারী; এটি হজমের জন্য ভালো। আপনি এলাচ ও দারুচিনির চা খেতে পারেন।
গরম লেবুপানি
গরম লেবুর পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। মাথাব্যথা, বমি এবং বমিবমি ভাব দূর করতে এই পানি উপকারী।
জিরা
ভ্রমণের আগে জিরার গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি বমি দূর করতে সাহায্য করবে।
মৌরি
মৌরিও বমি বমি ভাব এবং বমি রোধে সাহায্য করে। দ্রুত বমি ভাব দূর করতে কিছু মৌরি চাবাতে পারেন। মৌরির চা পান করতে পারে ভ্রমণের আগে।

233
ডায়েট করতে চাইলে সেহেরীতে খেতে পারেন এই অসাধারণ স্বাদের খাবারটি! -
কেবল ডায়েট করা কেন, হজমের গণ্ডগোল দূরে রাখতেও এই খাবারটি আপনাকে ভীষণ সহায়তা করবে। ঈদের আগে অনেকেই একটু ওজন কমিয়ে স্লিম হতে চাইছেন। ইফতারে ডায়েট করা হয়ে ওঠে না, তাই ডায়েট করুন সেহেরিতেই। এই খাবারটি এক বাটি খেয়ে নিন। বাড়তি ক্যালোরি ও ফ্যাট ছাড়াই সারাদিন পুষ্টি পাবে শরীর। অন্যদিকে মসলাদার খাবার এড়িয়ে যেতে চাইলেও এই "চাইনিজ ভেজিটেবল কারি" হতে পারে আদর্শ খাবার। রেসিপি দিচ্ছেন আতিয়া আমজাদ।
উপকরণ

কাঁচা পেঁপে ১ কাপ (সব সব্জি পাতলা করে স্লাইস করা)
গাজর ১/২ কাপ
শশা ১/২ কাপ
সুইট কর্ন ১/২ কাপ
বরবটি ১/২ কাপ (১" করে পিস কাটা)
পিঁয়াজ ২ টি (৪ টুকরা করে খোল ছারিয়ে নেয়া)
রসুন কুচি ১ টে চামচ
কাঁচা মরিচ ৩/৪ টি মাঝ বরাবর কেটে নেয়া
সয়া সস ২ টে চামচ
গোল মরিচের গুরা ১/২ চা চামচ
ম্যাগি চিকেন কিউব ১ পিস
চিকেন ১/২ কাপ ছোট পিস
চিংড়ী খোসা ছারিয়ে পিস করা ১/২ কাপ
কর্ন ফ্লাওয়ার ২ চা চামচ
তেল ২ টে চামচ
পানি ৩ কাপ
লবণ ১/২ চা চমচ বা পরিমান মতো
প্রনালী

    - সব্জি গুলো আলাদা করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে আলাদা আলাদা করে রাখুন।
    - ২ কাপ পানি গরম করুন, বলক এলে বরবটি ছাড়া বাকি সব্জি গুলো ৩ মিনিট সিদ্ধ করে নিন ঢাকনা ছাড়া। হয়ে গেলে ছাঁকনি দিয়ে উঠিয়ে ফেলুন ও বরবটি দিন ও ১ মিনিট সিদ্ধ করে বরবটিও উঠিয়ে আলাদা করে রাখুন। সব্জি সিদ্ধ পানি দিয়েই রান্না হবে তাই পানিটা ফেলে দেবেন না।
    -প্যানে তেল গরম করে আগে রসুন কুচি ও একটু পর পিঁয়াজ দিন। ১ মিনিট পর চিকেন ও চিংড়ী দিয়ে ১ টে চামচ সয়া সস দিন। ২ মিনিট পর বরবটি ছারা বাকি সব্জি দিয়ে ১ মিনিট রান্না করুন।
    -এবার সব্জি সিদ্ধ পানি দিন , চিকেন কিউব দিয়ে মিশিয়ে নিন এবং লবণ চেখে দেখুন। এবার সয়া সস দিন ।
    -বরবটি দিন। বাকি ১ কাপ ঠান্ডা পানিতে কর্ন ফ্লাওয়ার গুলে সব্জিতে দিয়ে মিশিয়ে দিন ও বলক আসলেই চুলার জ্বাল বন্ধ করে দিন। এবার গোলমরিচ ছড়িয়ে মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
    -স্বাদ অনুযায়ী লবন দেবেন। কখনো সয়াসস বেশি লবনাক্ত হলে বাড়তি লবনের প্রয়োজন হয় না।


234
চাইনিজ চিকেন সিজলিং
 উপকরন:

হাড় ছাড়া মুরগির মাংস ৫০০ গ্রাম,
ভাঁজ খোলা পেঁয়াজ ১ কাপ,
মাখন ৩ টেবিল চামচ,
কাঁচা মরিচ ৩টি,
রসুন কুচি ৩ টেবিল চামচ,
আদা কুচি ২ টেবিল চামচ,
ময়দা ৪ টেবিল চামচ,
ডিমের সাদা অংশ ২টি,
সয়াবিন তেল আধা কাপ,
সিজলিং ডিশ ১টি,
টমেটো সস ২ টেবিল চামচ,
চিলি সস ৩ টেবিল চামচ,
লবণ পরিমাণমতো।

প্রনালীঃ

মুরগির মাংস আঙুলের মতো লম্বা করে কেটে নিন। মাংসের সঙ্গে লবণ, ডিমের সাদা অংশ ও ময়দা একসঙ্গে মেখে ডুবো তেলে ভেজে নিন।
কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে রসুন কুচি ভেজে পেঁয়াজ ও মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে লবণ, কাঁচা মরিচ, টমেটো সস ও চিলি সস দিয়ে নামিয়ে নিন।
সিজলিং ডিশ গ্যাসের চুলায় ৩০ মিনিট গরম করুন। চুলা থেকে নামিয়ে বাটার ব্রাশ করে মাংসের মিশ্রণ ঢেলে পরিবেশন করুন

235
 ঝটপট ক্রাম্ব কোটেড চিকেন ফ্রাই
রমজানের এই সময়ে এসে গৎবাঁধা বুট-পেঁয়াজু অনেকেরই আর ভালো লাগে না খেতে। স্বাদ বদলে ভিন্ন কিছু চাই? তাহলে চেখে দেখতে পারেন আতিয়া আমজাদের দারুণ একটি চিকেন ফ্রাই রেসিপি। খুব ঝটপট অল্প সময়ে সুস্বাদু এই চিকেন ফ্রাই ভালো লাগবে বাড়ির সকলের। ব্রেড বা চিপসের সাথে যেমন পরিবেশন করতে পারবেন, তেমনই ভালো লাগবে ফ্রাইড রাইস বা খিচুড়ির সাথেও।
উপকরণ

- স্কিন সহ চিকেনের পিস ৬ টি
- ঘন তরল দুধ ১/৪ কাপ
- লবণ ১/২ চা চামচ বা পরিমান মতো
- গোল মরিচের গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
- সয়া সস্ ১ চা চামচ
- কাঁচা মরিচ বাটা ১ চা চামচ
- ধনে পাতা ও পুদিনা পাতা বাটা ১ চা চামচ
- লেবুর রস ১ চা চামচ
- ডিম ২ টি
- ময়দা ১ কাপ
- ব্রেড ক্রাম্ব ১ কাপ
- বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ
- কর্ণ ফ্লাওয়ার ২ চা চামচ
- সয়াবিন তেল ১ কাপ
প্রনালি

    - চিকেনের পিসগুলো ধুয়ে কিচেন টাওয়েল দিয়ে ভালো করে মুছে নিন এবং দুধ, গোলমরিচের গুঁড়ো , সয়া সস ও লবণ মাখিয়ে অন্তত ১ ঘন্টা মেরিনেট করুন। এবার চাইলে চিকেন পিস গুলোকে ১০ মিনিট স্টিম বা ২/৩ মিনিট ফুটন্ত পানিতে বয়েল করে নিতে পারেন অথবা কাঁচা ও রাখতে পারেন।
    -এবার মেরিনেটেড চিকেনের সাথে লেবুর রস ও বাটা মসলা গুলো মাখিয়ে নিন।
    -তিনটি ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে ময়দা, ব্রেড ক্রাম্ব ও ফাটানো ডিম রাখুন। মায়দার পাত্রে বেকিং পাউডার ও কর্ণ ফ্লাওয়ার মিশিয়ে দিন ।
    -এবার চিকেনের পিস গুলোকে ক্রমান্বয়ে ময়দা,ডিম ও ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে কোট করে নিন।
    -ভালো হয় যদি এভাবে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রাখা যায়। অথবা সরাসরিও ভেজে নিতে পারেন।
    -তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে প্রতি পাশ ১০ মিনিট ভেজে নিন। চেক করে দেখুন প্রয়োজনে আরো ৫ মিনিট ভাজুন। কাঁচা চিকেন হলে একটু সময় নিয়ে অল্প আঁচে ভাজতে হবে।
    -কিচেন টাওয়েলে ফ্রাইড চিকেন গুলো রেখে বাড়তি তেল মুছে গরম গরম পরিবেশন করুন।


236
ইফতারিতে নতুন স্বাদের মুখরোচক খাবার ‘মাংস চপ’

– ব্রেডক্রাম্ব বা বিস্কিটের গুঁড়ো প্রয়োজন মতো
– তেল ভাজার জন্য
– লবণ স্বাদমতো

পদ্ধতিঃ

– প্রথমে মাংস ও আলু ভালো করে সেদ্ধ নিন। এরপর মাংস গ্রাইন্ড করে বা পাটায় ছেঁচে অথবা হামান দিস্তায় পিষে নিন এবং আলুর খোসা ছাড়িয়ে পিষে নিন।
– এরপর একটি বড় বাটিতে আলু ও মাংসের সাথে পাউরুটি বাদে সব উপকরণ একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। যদি মিশ্রণটি নরম হয়ে যায় তাহলে পাউরুটি ছিঁড়ে ছোট টুকরো করে মিশ্রণের নরমভাব কমাতে ব্যবহার করুন। যতোটা পাউরুটির প্রয়োজন ততোটা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন।
– এরপর হাতে অল্প অল্প করে মিশ্রণ নিয়ে গোল বল তৈরি করে চেপে চপের আকার দিন ও ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম্ব বা বিস্কিটের গুঁড়োতে গড়িয়ে নিন।
– একটি ফ্রাইংপ্যানে ডুবো তেল নয় আবার বেশি শুকনোও নয় এমন ভাবে তেল দিয়ে চপ সাজিয়ে দিয়ে ভাজতে থাকুন হালকা থেকে মাঝারি আঁচে। একপাশ হয়ে গেলে অপর পাশ উল্টে লালচে করে ভেজে নিন।
– একটি কিচেন টিস্যুতে ভেজে তুলে নিন চপগুলো। ব্যস, এবার ইফতারের প্লেটে পরিবেশন করুন নতুন স্বাদের মাংস চপ।

237
সাধারণ কাঁচা কলা দিয়েই তৈরি করুন অসাধারণ সুস্বাদু কাবাব! -
কাঁচা কলা বেশীরভাগ মানুষের কাছেই অখাদ্য স্বাদের একটি সবজি। পাকা কলা খেতে পছন্দ করলেও তরকারীতে দেয়া কাঁচা কলা তেমন কেউই পছন্দ করেন না। কিন্তু এই কাঁচা কলাকেও একটু ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করলে এর স্বাদ বাকি সব কিছুকেও হার মানাতে পারে। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে আজকে জেনে নিন সাধারণ কাঁচা কলা দিয়েই অসাধারণ স্বাদের কাবাব তৈরির খুব সহজ রেসিপিটি।
উপকরণঃ

- ৪/৫ টি কাঁচা কলা
- ২ টি মাঝারি আকারের আলু
- ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি বা বাটা
- ১/৪ কাপ ধনিয়াপাতা কুচি
- ১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- ১ চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামচ ঘি
- স্বাদমতো লবণ
- সামান্য টেস্টিং সল্ট
- ১ চা চামচ কাবাব মসলা
- ৬/৭ টি কাঁচা মরিচ কুচি
- ভাজার জন্য পরিমাণ মতো তেল
- ১/৪ কাপ ব্রেড ক্রাম
- পুঁদিনাপাতা কুচি (ইচ্ছা)
- ২ টি ডিম
পদ্ধতিঃ

    - প্রথমেই কলা ও আলু সিদ্ধ করে নিন। খোসা ছাড়িয়ে কলা ও আলু খুব ভালো করে পিষে একসাথে মাখিয়ে নিন। লক্ষ্য রাখবেন আলু ও কলায় যেন কোনো দলা ভাব না থাকে।
    - এবার এই মিশ্রণে পেঁয়াজ কুচি, ধনিয়াপাতা কুচি, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া, ঘি, লবণ, টেস্টিং সল্ট, কাঁচা মরিচ কুচি, কাবাব মসলা ও পুদিনা পাতা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন।
    - এবারে মাখানো মিশ্রন থেকে অল্প করে নিয়ে হাতের তালুতে গোল করে চ্যাপ্টা কাবাবের আকৃতি দিন। এভাবে কাবাব বানিয়ে ফেলুন সবটা মিশ্রন দিয়ে।
    - এরপর একটি বাটিতে ডিম নিয়ে খুব সামান্য একটু লবণ দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
    - একটি ফ্রাইংপ্যানে অল্প তেল গরম হতে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে কাবাবগুলো ডিমে চুবিয়ে ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন এবং তেলে দিয়ে দিন। একপাশ লালচে হয়ে ভাজা হয়ে গেলে উল্টে অপর পাশ ভাজুন এবং নামিয়ে ফেলুন।
    - ব্যস, এরপর কিচেন টিস্যুতে নামিয়ে বাড়তি তেল শুষে নিয়ে ইফতারের টেবিলে পরিবেশন করুন সুস্বাদু কাঁচা কলার কাবাব।


238
জেনে নিন ফ্ল্যাট স্যান্ডেল পরলে কি অজানা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে আপনি আছেন!
আমরা অনেক সময়েই শুনে থাকি হিল জুতো পরার কারণে পায়ের অনেক ক্ষতি হয়। পায়ের হাড়ে ব্যথা, হাঁটুর জয়েন্ট ক্ষয়ে যাওয়া সহ আরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় হিল জুতো পড়লে। আর এ কারণে অনেকেই ফ্ল্যাট স্যান্ডেল বা জুতো পরেন। কিন্তু ফ্ল্যাট জুতোও কি আপনার পায়ের জন্য ভালো? না, একেবারে ফ্ল্যাট স্যান্ডেল বা জুতোরও রয়েছে কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি যা হয়তো আপনি জানেন না। আজকে জেনে নিন সবসময় ফ্ল্যাট জুতো ও স্যান্ডেল পরার অজানা কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে।

১) ফ্ল্যাট জুতো পড়লে পা মাটি, পানি বা রাস্তার খুব কাছাকাছি থাকে। এতে করে খুব সহজেই পায়ের নখ এবং আঙুল ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারে। খুব সহজেই পায়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। সুতরাং একেবারে ফ্ল্যাট জুতো পড়ার ব্যাপারে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন। অন্তত বর্ষাকালের সময়টাতে।

২) ফ্ল্যাট জুতো পড়লে পায়ের পুরো পাতার উপরেই চাপ পড়ে। এতে চাপ কিছুটা কমলেও পায়ের পেছনের অংশের উপরেই চাপটা বেশি পড়ে থাকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হয় পেশী।

৩) দীর্ঘদিন ধরে পাতলা সোলের জুতো পড়ার ফলে পায়ের পাতার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। হ্যামার টো নামক সমস্যা অর্থাৎ পায়ের পাতা বাঁকা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা ফ্ল্যাট জুতো পড়ার কারণেই মূলত হয়ে থাকে।

৪) সারাদিন হাঁটাচলা করতে হলে অনেকিএ ফ্ল্যাট জুতো বেছে নেন। কিন্তু আমরা যখন সারাদিন হেঁটে বা দাঁড়িয়ে কাজ করে থাকি তখন হাঁটাহাঁটি করার ফলে আমাদের পায়ের পাতা পা পায়ের তলার সাথে এই ফ্ল্যাট জুতোর ঘর্ষণ বেশি হয় এবং পায়ের পাতার তালুতে জ্বলুনি ও ফোসকার সৃষ্টি হয় যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক।

৫) পায়ের পাতা ছড়িয়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয় ফ্ল্যাট জুতোর ব্যবহারে। আপনি যখন ফ্ল্যাট জুতো পড়েন তখন পা ফেলার সময় পুরো পায়ের পাতা সমান ভাবে পড়ে। এবং ব্যাল্যান্স ধরে রাখার জন্য পায়ের পাতা যতোটা সম্ভব ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ফ্ল্যাটজুতো ব্যবহারের কারণে পায়ের আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়।

তবে, তার অর্থ এই নয় যে আপনি সবসময় হিল জুতো পড়ে ঘুরবেন। একেবারে ফ্ল্যাট স্যান্ডেল বা জুতো না পড়ে সাধারণ দেড় থেকে দুই ইঞ্চির হিল জুতো পড়ুন। আর দীর্ঘক্ষণ ফ্ল্যাট না পড়ে জুতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পড়ার অভ্যাস করুন। পায়ের যত্নে একটু সতর্ক হোন।

239
আলুর চপের অন্যরকম স্বাদ ‘পুর ভরা আলুর চপ’:
 ইফতারের প্লেটে খুব সাধারণ খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম এই আলুর চপ। প্রায় প্রতিটি ঘরেই রোজার প্রায় প্রতিদিনই আলুর চপ তৈরি করা হয়। আজকে শিখে নিন নিত্য দিনের এই আলুর চপের একটু অন্যরকম একটি স্বাদ। খুব স্বল্প সময়ে প্রতিদিনের আলুর চপে নিয়ে আসুন দারুণ একটি টুইস্ট। শিখে নিন পুর ভরা আলুর চপের দারুণ রেসিপিটি।
উপকরণঃ

পুরের জন্য
- আধা কাপ মাংস কিমা (খাসি/গরু/মুরগি) কিমা না থাকলে মাংস ছোটো খণ্ড করে নিয়েও কাজ চালাতে পারেন
- ৩ টি পেঁয়াজ কুচি
- ৪/৫ টি কাঁচা মরিচ কুচি
- আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- আধা চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- আধা চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো
- আধা চা চামচ কাবাব মসলা
- ১ চা চামচ সয়াসস
- ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
- ২ চা চামচ ধনে পাতা কুচি
- ২ টেবিল চামচ তেল
- লবণ স্বাদমতো

আলুর চপের জন্য
- ২ কাপ সেদ্ধ আলু
- ২ টি পেঁয়াজ কুচি বা বাটা
- ৩-৪ টি মরিচ বাটা বা কুচি
- সামান্য সরিষার তেল
- লবণ স্বাদ বুঝে
- খুব সামান্য ময়দা (প্রয়োজন হলে)
- ১ টি ডিম ফেটানো
- ব্রেদক্রাম্ব
- তেল ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ

    - প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে গরম করে এতে পেয়াঁজ কুচি দিয়ে নরম না হওয়া পর্যন্ত নেড়ে নিন। এরপর এতে দিন আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, লবন, কাঁচা মরিচ কুচি। কিছুক্ষণ নেড়ে মসলা কষে এলে মাংস দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
    - এরপর সামান্য পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে ঢাকনা খুলে দিয়ে কিমার ভাজা ভাজা করে নিন। এভাবে ঝরঝরে মাংসের পুর তৈরি করে নিন।
    - সেদ্ধ আলু হাতে চটকে এতে পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ, ধনে পাতা কুচি ও সরিষার তেল দিয়ে মেখে ভর্তার মতো তৈরি করে নিন। যদি ভর্তা একটু বেশি নরম হয় তাহলে ময়দা দিয়ে ভালো করে মেখে নিন।
    - আলু ছোটো ছোটো অংশে ভাগ করে নিয়ে হাতের তালুতে রেখে বাটির মতো তৈরি করে ভেতরে পুর দিয়ে ঢেকে দিন। এরপর একটু চাপ দিয়ে চপের আকার দিন। এভাবে সব চপ তৈরি করে ফেলুন।
    - একটি প্যানে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল গরম করে নিন। ডিম সামান্য লবণ দিয়ে ফেটিয়ে নিন। এরপর একটি করে চপ ডিমে চুবিয়ে ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। এরপর ডুবো তেলে ছেড়ে লালচে করে ভেজে নিন। চাইলে অল্প তেলে হালকা করেও ভেজে নিতে পারেন।
    - চপ ভেজে একটি কিচেন টিস্যুতে রেখে বাড়তি তেল ঝড়িয়ে নিন। ব্যস, ইফতারে পরিবেশন করুন মজাদার পুর ভরা আলুর চপ।

-

240
শিখে নিন “দুধ” ও “চিনি” ছাড়াই অত্যন্ত মজাদার আইসক্রিম তৈরীর পদ্ধতি:
আইসক্রিম মানেই দুধ কিংবা ক্রিম, সাথে প্রচুর চিনি, তাই না? অন্তত এখন পর্যন্ত আমরা সেটাই বুঝি। কিন্তু অনেকেরই দুধে অ্যালারজি আছে। আবার অনেকেই ডায়াবেটিস বা বেশী ওজনের কারণে চিনি খান না। তবে কি তাঁরা আইসক্রিম খেতে পারবেন না? অবশ্যই পারবেন! চলুন, আজ জেনে নিই আমরা একটি ম্যাজিকাল আইসক্রিমের রেসিপি, যা তৈরি হবে কোন রকমের দুধ, ক্রিম বা চিনি ছাড়া। তবে হ্যাঁ, স্বাদে হবে সাধারণ আইসক্রিমের মতই অত্যন্ত মজাদার! কেউ বিশ্বাসই করবে না যে এই আইসক্রিমে কোন দুধ নেই! আপনারও বিশ্বাস না হলে পড়েই দেখুন রেসিপিটি।

উপকরণ

পাকা কলা (যেটুকু খাবেন সেটুকু)
পাকা পেঁপে, আম, রাসবেরী বা নরম যে কোন ফল (ইচ্ছা)
কিসমিস ও বাদাম (ইচ্ছা)
ভ্যানিলা এসেন্স সামান্য
লিকুইড চকলেট (ইচ্ছা)
চকলেট চিপস (ইচ্ছা)
হুইপড ক্রিম (ইচ্ছা)

প্রণালি

-কলাগুলোকে ছিলে টুকরো টুকরো করে নিন।
-তারপর একটি ট্রে-তে রেখে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ২/৩ ঘণ্টা জমাট হতে দিন।
-এবার এই কলা ব্লেন্ডারে বা ফুড প্রসেসরে দিয়ে দিন। সামান্য ভ্যানিলা এসেন্স দিন। অনেক ব্লেন্ডারে শুধু খাবার ব্লেনড হতে চায় না, সেক্ষেত্রে আম বা পেঁপের পাল্প বা রস দিতে পারেন সাথে। বা লিকুইড চকলেটও দিতে পারেন। এমনকি চাইলে দিতে পারেন রূহ আফজাও। হুইপড ক্রিম দিতে চাইলে সেটাও এখন যোগ করে দিন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য চাইলে সামান্য একটু দুধ বা হেভি ক্রিমও দিতে পারেন আপনার যা ইচ্ছা।
-এবার করুন ব্লেনড। একদম স্মুথ পেস্ট না হওয়া পর্যন্ত ব্লেনড করবেন।
-বাদাম ও কিসমিস মিশিয়ে দিন। তারপর এয়ার টাইট বক্সে ভরে জমতে দিন ফ্রিজে। খানিকটা জমে গেলেই তৈরি আপনার সুস্বাদু আইসক্রিম। সাধারণ আইসক্রিমের চাইতে কোন অংশে কম হবে না স্বাদে!

Pages: 1 ... 14 15 [16] 17