Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Sahadat

Pages: 1 [2] 3 4 ... 21
16
লেবুর খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, পেকটিন, ফাইবার এবং মিনারেলস। লেবুর রসের এসব উপাদান শরীরের নিরাময় এবং আরোগ্যে কাজ করে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই জানিয়েছে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ

হার্টের জন্য

লেবুর খোসা খাওয়া হার্টের জন্য ভালো। লেবুর খোসা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। এর মধ্যে পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা

লেবুর খোসায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডা, ফ্লু এবং গলার ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে

লেবুর খোসার মধ্যে উপস্থিত ফাইবার বা আঁশ অন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে এবং বাউয়েল মুভমেন্ট ভালো করে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফোলাভাব রোধেও সহায়তা করে।

ওজন কমায়

লেবুর খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে যে পেকটিন রয়েছে তা অন্ত্রের শর্করা শোষণ করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।   

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্যও লেবুর খোসা বেশ ভালো। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিপাকে সাহায্য করে।

হাড়ের স্বাস্থ্য

আশ্চর্য হলেও সত্যি লেবুর খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।

গেরোর ব্যথা

শরীরের দৈনিক ভিটামিন সি-এর চাহিদার ৩০ শতাংশ লেবু পূরণ করতে পারে। ভিটামিন সি-এর আছে নিরাময় ক্ষমতা। এটি প্রোটিনের বাঁধনে সাহায্য করে, যা টেনডনস, লিগামেন্ট এবং ত্বকের জন্য ভালো। তাই লেবু এবং লেবুর খোসা খেতে পারেন।   

স্বাস্থ্যকর ত্বক

লেবুর খোসা কালো দাগ, বলি রেখা, বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক ভালো রাখতে এটা খেতেও পারেন এবং সরাসরি ত্বকে লাগাতেও পারেন।

17
সাধারণত কালোজিরা নামে পরিচিত হলেও কালোজিরার আরো কিছু নাম আছে, যেমন- কালো কেওড়া, রোমান করিয়েন্ডার বা রোমান ধনে, নিজেলা, ফিনেল ফ্লাওয়ার, হাব্বাটুসউডা  ও কালঞ্জি ইত্যাদি। কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম nigella sativa। যে নামেই ডাকা হোকনা কেন এই কালো বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কালোজিরা। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই না কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্যও অনেক উপকারি। প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কালোজিরা থাকে যা খাবারকে সুবাসিত করে। আসুন আমরা আজ আশ্চর্য বীজ কালোজিরার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।     

১। চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে
কালোজিরার তেল চুলের কোষ ও ফলিকলকে চাঙ্গা করে ও শক্তিশালী করে যার ফলে নতুন চুল সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কালোজিরার তেল চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া কমায়।

২। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে
ত্বকের গঠনের উন্নতি ও ত্বকের প্রভা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা অত্যাবশ্যকীয়। এতে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস ইত্যাদি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুন্দর করে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
- মধু ও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে আধাঘন্টা বা একঘন্টা রাখে ধুয়ে ফেলুন,  এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
- যদি আপনার ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। নিয়মিত লাগালে ব্রণ দূর হবে।
- শুষ্ক ত্বকের জন্য কালোজিরার গুঁড়া ও কালোজিরার তেলের সাথে তিলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এক সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

৩। ব্লাড প্রেশার কমায়
এক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, কালোজিরা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে এবং রক্তচাপ কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে পারে।

৪। শ্বাসপ্রশ্বাস এর সমস্যা কমায়
আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে যে সর্দি, কাশি ও জ্বর হয় সেসবের যন্ত্রণাকর উপসর্গের তীব্রতা কমাতে পারে কালোজিরা। 

৫। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
Medical Science Monitor journal এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায় যে, নিয়মিত কালোজিরা খেলে মৃগীরোগ আছে এমন শিশুদের হৃদপিণ্ডের অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। কালোজিরায় খিঁচুনি বন্ধ করার উপাদান থাকে।

৬। টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিরাময় করে
গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, প্রতিদিন ২ গ্রাম কালোজিরা খেলে রক্তের সুগার লেভেল কমায়,  ইনসুলিনের বাধা দূর করে এবং অগ্নাশয়ে বিটা কোষের কাজ বৃদ্ধি করে। 

৭। পারকিনসন্স রোগের প্রতিকারে
কালোজিরায় থাইমোকুইনিন থাকে যা পারকিনসন্স ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের দেহে উৎপন্ন টক্সিনের প্রভাব থেকে নিউরনের সুরক্ষায় কাজ করে।   
এছাড়াও হাইপারটেনশন, স্ট্রোক, স্থূলতা, অ্যাজমা, ক্যান্সার, গলাব্যাথা ইত্যাদির নিরাময়ে কাজ করে কালোজিরা। নিয়মিত কালোজিরা খেলে অপারেশনের দাগ দূর করে, ব্রেইন টনিক হিসেবে কাজ করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের অভ্যন্তরের ও বাহিরের অংশের জন্য উপকারি। সুতরাং সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত কালোজিরা খান।

18
মুখের ব্রণ শুধু টিনএজারদের হয়না, ২০ থেকে ৩০ বছরের মহিলাদের ২০ শতাংশেরই এই সমস্যাটি হয়। স্ট্রেস, হরমোনের পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি নানা কারণে ব্রণের সমস্যা হতে পারে। Charlottetown P.E.I এর রেজিস্টার্ড হোলিস্টিক নিউট্রিশনিস্ট রেচেল উড Haffington Post Canadaকে বলেন, “ব্রণের গঠনে শরীরের ভেতরের হরমোনের পরিবর্তন সর্বাধিক প্রভাব ফেলে। মানুষের হাই স্ট্রেস লাইফ স্টাইল ব্রণের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, অতএব শান্ত ও রিলাক্স থাকার চেষ্টা করুন”। তিনি আরো বলেন, “শারীরিক ও মানসিক দুই ধরণের স্ট্রেসের কারণেই স্ট্রেস হরমোন করটিসল নিঃসৃত হয়ে ত্বকের পরিবর্তন ঘটায়। আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। যে সমস্ত খাবার খেলে রক্তের সুগার লেভেল বেড়ে যায় সেগুলো অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরির জন্য শরীরকে চাপ দেয় যার ফলে করটিসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়”। Union Square Laser Dermatologyএর প্রতিষ্ঠাতা ডারমাটোলজিস্ট ডাক্তার এ্যানি চ্যাপাস বলেন, “স্ট্রেসের কারণে ব্রণ হয়না, বরং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, ঘুমের রুটিন অথবা মুখ না ধোয়ার কারণে ব্রণ হয়”। ২০১০ সালের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, খাদ্য প্রকৃতপক্ষে ব্রণের বিকাশে প্রভাব বিস্তার করে। এই আর্টিকেল এ আমরা জানবো কোন খাবার গুলো খেলে ব্রণকে প্রতিরোধ করা যায়।

১। মাছ
মাছে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড থাকে যা ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ কমাতে পারে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন- চর্বিযুক্ত মাছ, আখরোট ইত্যাদি বেশি খেলে প্রদাহ কমে ব্রণের বিকাশকে কমাতে সাহায্য করবে।

২। গ্রিন টি
গ্রিন টিতে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট EGCG  থাকে, যা ব্রণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই দিনে কয়েকবার গ্রিন টি পান করুন এবং ঠান্ডা টি ব্যাগ বা ঠান্ডা গ্রিন টিতে একটুকরো কাপড় ভিজিয়ে মুখে ব্রণের উপরে ১০-১৫ মিনিট রাখুন।

৩। বিটা ক্যারোটিন
গাজর, মিষ্টি আলু, কমলা, মরিচ ইত্যাদিতে বিটা ক্যারোটিন থাকে যা শরীরে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। এই পুষ্টি উপাদানটি শরীরে সেলেনিয়াম এর শোষণ বৃদ্ধি করে যা ত্বকের জন্য উপকারি। দিনে ১/২ কাপ লাল বা হলুদ বর্ণের সবজি খান। 

৪। ফল ও শাকসবজি
বিজ্ঞানীরা পাপুয়া নিউগিনি ও প্যারাগুয়ের টিনএজারদের নিয়ে গবেষণার সময় তাদের মধ্যে ব্রণের সমস্যা আছে এমন কাউকেই খুঁজে পাননি। তাদের খাদ্যাভ্যাস লক্ষ্য করে দেখা যায় যে, তাঁরা অনেক বেশি ফল ও সবুজ শাকসবজি খেয়ে থাকে এবং চিনি ও ময়দার তৈরি খাবার কম খায়। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন ফল ও শাকসবজি খান। দৈনিক ৮টি মাঝারি আকারের ফল ও ১ কাপ কাঁচা বা ১/২ কাপ রান্না করা শাকসবজি খেতে পারেন।

৫। বাদাম
জিংক ও সেলেনিয়াম এর অভাবে ব্রণ হতে পারে। বাদামে  সেলেনিয়াম, ভিটামিন ই, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে যা সতেজ ত্বকের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।

এছাড়াও বাদামি চাল, রসুন, ব্রোকলি, লাল আঙ্গুর, অ্যাভকাডো, টমেটো, তরমুজ, ডিম ইত্যাদি খেলে ত্বকের জন্য ভালো এবং ব্রণের জন্যও উপকারি। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, হাই গ্লিসামিক ফুড(চিপস, কেক, কুকিস, সিরিয়াল ইত্যাদি), চিনি ও গরুর দুধ খাওয়া বাদ দিতে হবে।

20
জীবনে চলার পথে বিভিন্ন কারণে, বিভিন্ন সময়ে নেতিবাচক চিন্তা আমাদের মনে হানা দেয়। কোনো কাজে ব্যর্থ হবেন বা যা চাইছেন সেটি পাবেন না- এগুলো আসলে নেতিবাচক চিন্তা। সব সময় যদি এই চিন্তাগুলোই মাথায় আসে, তাহলে সাফল্য জীবনে কখনোই ধরা দিতে পারবে না। মানুষ আসলে চেষ্টা আর একাগ্রতা দিয়েই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়।

নেতিবাচক চিন্তাগুলো ধীরে ধীরে আপনার আত্মবিশ্বাসকে ভেঙে দেবে। এই বিষয়টি খুব ক্ষতি হতে পারে জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে। এই চিন্তা অযথাই আপনার ভেতর এক ধরনের ভয় তৈরি করবে। আর অন্য কাউকে অবিশ্বাস করার চেয়ে নিজের প্রতি বিশ্বাস হারানো অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।

তবে কখনো কখনো নেতিবাচক চিন্তা আসবে,  এটাও স্বাভাবিক। সমস্যা তখনই, যখন এটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তাই নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে মন থেকে সরানো জরুরি। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে নেতিবাচক চিন্তা দূর করার কিছু পরামর্শ।   

চিন্তাগুলোকে জানুন
কোন বিষয় নিয়ে আপনার মনের ভেতর কী ধরনের নেতিবাচক চিন্তা হচ্ছে, সেটি বোঝার চেষ্টা করুন। ভালো হয় একটি নোটে বিষয়টি লিখে ফেললে। চিন্তাটি আপনার কাজকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, সেটিও লিখুন। এই পদ্ধতি আপনার চিন্তাগুলোকে নির্দিষ্ট করতে সাহায্য করবে এবং নেতিবাচক চিন্তার বিরুদ্ধে কীভাবে ইতিবাচক চিন্তা আনবেন, সেটিতেও সাহায্য করবে। 

নিজেকে মিথ্যা বলছেন
আসলে নেতিবাচক চিন্তা মানে নিজেকে মিথ্যা বলা। কীভাবে? দেখুন, ভবিষ্যৎ কী তা তো আর আমরা জানি না। আর অতীত তো ফেলে রেখে এসেছি। মূলত আমরা বাঁচি বর্তমানে। তাই যদি বর্তমান সময়ে ভবিষ্যতের কোনো নেতিবাদী চিন্তা মাথায় কাজ করে, তাহলে তো সমস্যা! কেননা সত্যিই কী হতে যাচ্ছে, আপনি জানেন না। ভবিষ্যতের ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণও নেই। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভাবুন যা হবে ভালোই হবে। আর যেটা আপনি চান, সেটাই হবে।   

নিজেকে বিশ্বাস করুন
নিজেকে বিশ্বাস করুন। আপনার সর্বোচ্চ ভালোটা করার এবং পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। প্রকৃতির ওপর এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন।

জয় করার শক্তি আপনার আছে
একটু ভেবে দেখুন, অতীতে হয়তো অনেক কঠিন মুহূর্তই আপনি পার করে এসেছেন এবং সেগুলো জয়ও করেছেন। তাই বর্তমানেও কোনো সমস্যায় পড়লে ভাবুন, ব্যর্থতাগুলোকে জয় করার শক্তি আপনার আছে। যদিও সময়টাকে পার করতে আপনার কষ্ট হচ্ছে, তবুও ভালো কিছুই আসবে সামনে।

ভাবনা বন্ধ করুন
যদি নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে সরাতে না পারেন, তাহলে যে বিষয়টি নেতিবাচক চিন্তা আনছে- সেটি ভাবা একেবারেই বন্ধ করে দিন। অন্য কোনো কাজ করতে শুরু করুন। কিছুক্ষণ পর ধীরে ধীরেই ইতিবাচক চিন্তাগুলোও মনে আসতে থাকবে। 

জোর করুন
নেতিবাচক চিন্তা বারবার আসতে থাকে। একে সরানো কঠিন। তাই মস্তিস্কে জোর দিন ইতিবাচক বিষয়ে চিন্তার জন্য। এ জন্য মনোযোগকে অন্যদিকে প্রবাহিত করুন। ভাবুন অনেক ভালো কিছু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে; ভালো হবেই।

পাশাপাশি একটি ছোট কাগজে ইতিবাচক কথা লিখুন এবং এটি আপনার সাথে রাখুন। যখনই নেতিবাচক চিন্তা মাথায় আসবে সেটি দেখুন। এটি নেতিবাচক চিন্তাকে দূর করতে সাহায্য করবে

21
কিছু কিছু রোগ নিঃসন্দেহে নারীদেরকেই আক্রান্ত করে বেশি। যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং অস্টিওপোরোসিস। কিন্তু এমন কিছু রোগ আছে, যেগুলো নারীদেরকেই বেশ আক্রান্ত করে এবং এ ব্যাপারটা সাধারণ মানুষের জানা নেই বললেই চলে। কার্পাল টানেল থেকে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত নারীদের মাঝে বেশি হতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিৎ।

এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদকের কথা বলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে কর্মরত ডাক্তার লুৎফুন্নাহার নিবিড়ের সাথে। তিনি জানান, আমাদের দেশে মেয়েদের মাঝে সবচাইতে বেশি দেখা যায় UTI অর্থাৎ ইউরিন ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের প্রকোপ। ওভারি সংক্রান্ত রোগ তো শুধু মেয়েদেরই হয়। ব্রেস্ট ক্যান্সারটাও মেয়েদের বেশি হয়। অন্যান্য রোগের মাঝে দেখা যায় অ্যাজমা, সায়াটিকা, মাইগ্রেইন, গলব্লাডার স্টোন, ইনফ্লামেটরি ডিজিজ এগুলো মেয়েদের বেশি হয়। এছাড়া হৃদরোগের ক্ষেত্রে ভাল্ভ সংক্রান্ত জটিলতাগুলো মেয়েদের বেশি হয়।

Huffington Post থেকে দেখা যায়, নিউ ইয়র্কের ডাক্তার নিয়েসা গোল্ডবার্গের সাথে কথা বলে তারা জানতে পারে এমনই কিছু রোগের কথা যা নারীদের মাঝে বেশি হয়। জেনে নিন এগুলোর ব্যাপারে।

১) থাইরয়েডের রোগ
ডক্টর গোল্ডবার্গ জানান, পুরুষের তুলনায় নারীদের থাইরয়েডের রোগ হবার ঝুঁকি সাতগুণ বেশি। হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারথাইরয়েডিজম ধরণের সমস্যাগুলো এবং এদের সাথে দেখা যাওয়া বিভিন্ন উপসর্গ দেখতে অন্য রোগের মতো মনে হতে পারে। তবে এসব রোগ শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা এখন অনেকটা পরিচিত হয়ে পড়েছে আমাদের দেশেও।

২) হাইপারটেনশন
নারীর মৃত্যুর বড় একটি কারণ হলো হৃদরোগ এবং প্রতি ৫ জনে মাত্র একজন নারী বুঝতে পারেন যে তিনি আক্রান্ত। নারীদের বয়স ৫৫ পার হবার পর এই ঝুঁকিটা বাড়ে। সঠিক খাদ্যভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কম রাখা যেতে পারে।

৩) স্ট্রোক
৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত নারীদের চাইতে পুরুষের বেশি স্ট্রোক হতে দেখা যায়। কিন্তু ৭৫ বছর বয়সের পর, বিশেষ করে ৮৫ এর পর নারীদের স্ট্রোক থেকে মৃত্যু বেশি হতে দেখা যায়।

৪) আলঝেইমার্স ডিজিজ
পুরুষের তুলনায় নারীদের এই রোগ হবার ঝুঁকি অনেক বেশি। যাদের আয়ু বেহসি তাদের আলঝেইমার্স বেহসি হতে দেখা যায় বটে। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা আলঝেইমার্স ঝুঁকি কম রাখতে সাহায্য করে।

৫) মাইগ্রেইন
পুরুষের তুলনায় তিনগুণ নারী এই রোগে আক্রান্ত হন। প্রিয়.কমকে ডাক্তার লুৎফুন্নাহার জানান, মূলত নারীদের পিরিয়ডের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের মাইগ্রেইন বেশি হতে দেখা যায়। মেনোপজের পর এটি কমে যেতে দেখা যায়।

৬) অটোইমিউন/ইনফ্লামেটরি ডিজিজ
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, লুপাস- এ ধরণের প্রায় ১০০টি রোগকে একসাথে বলা হয় অটোইমিউন ডিজিজ। এই রোগে আক্রান্ত মানুষদের ৭৫ শতাংশ হলেন নারী। এগুলো নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বাড়াতে পারে।

৭) গলব্লাডার স্টোন
বিশেষ করে গর্ভবতী নারী এবং বয়স ৪০ পার করা স্থুল শরীরের নারীদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। একে এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস বজায় রাখা উচিৎ। খাবারে রাখা উচিৎ অনেকটা ফাইবার এবং কমানো উচিৎ অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়া।

এছাড়া আরও কিছু রোগ যা নারীদের বেশি হয়-
১। অ্যাজমা
২। কার্পাল টানেল সিনড্রোম
৩। ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম
৪। ডিপ্রেশন
৫। ফাইব্রোমায়াগ্লিয়া
৬। আইবিএস
৭। ইনসমনিয়া
৮। অস্টিপোরোসিস
৯। রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম
১০। ইউটিআই

22
প্রতি বছর একজন ব্যক্তি গড়ে কমপক্ষে এক হাজার প্লাস্টিকের টুকরো খেয়ে থাকেন। প্রতিদিন খাবারকে সুস্বাদু করতে ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে আমরা যে লবণ ব্যবহার করি তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ক্ষতিকারক এসব প্লাস্টিক। সম্প্রতি এমন অবাক করা তথ্যই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

লবণের প্রধান উৎস সমুদ্র। আর প্রতি বছর কমপক্ষে ৫০ লাখ টন প্লাস্টিকবর্জ্য সমুদ্রে ফেলে মানুষ। এসব প্লাস্টিকই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হয়ে মিশে যায় লবণের সাথে। প্রতি কেজি লবণে কয়েক হাজার অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা থাকে বলে জানতে পেরেছেন চীনে লবণ উৎপাদনবিষয়ক গবেষণায় নিয়োজিত একদল বিজ্ঞানী।

প্রধান দুটি উপায়ে ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের টুকরোগুলো আসে বোতল, শপিং ব্যাগ ও শিল্প বর্জ্যসহ প্রচুর প্লাস্টিক সমুদ্রে ফেলার কারণে এবং মেকাপ জাতীয় প্রসাধনী ও টুথপেস্টে ব্যবহৃত ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা। প্লাস্টিকের এ কণাগুলো আকারে সর্বোচ্চ ৫ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়, তবে এদের বেশি ভাগই এত ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না। আর এ কারণেই এগুলো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

তা ছাড়া এই ক্ষুদ্র টুকরোগুলো সহজেই প্লাঙ্কটনসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক উদ্ভিদ শোষণ করে নেয়, ফলে শেলফিসের মতো অভিজাত সামুদ্রিক উপাদানে তৈরি খাবারের মাধ্যমে তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে প্লাস্টিক কণাগুলো।

অনেক ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় দেখা গেছে, অতিক্ষুদ্র আকারের এ প্লাস্টিকের টুকরোগুলো সহজেই মানুষের শরীরের কোষে প্রবেশ করে টিস্যুকে নষ্ট করে দিতে পারে। এ ছাড়া এগুলো শরীরে ডিডিটি কীটনাশক ও পলিকোরিনেটেড বাইফিনাইলের মতো বিভিন্ন বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থের সমাবেশ ঘটাতে পারে।

বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাংহাইয়ের ইস্ট চায়না নরমাল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ১৫টি ব্র্যান্ডের সামুদ্রিক লবণকে পরীক্ষা করে দেখেছেন। আমেরিকান কেমেস্ট্রি সোসাইটির গবেষণা জার্নাল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মতে, প্রতি কেজি সামুদ্রিক লবণে ৫৫০ থেকে ৬৮১টি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক টুকরো থাকে। এ ছাড়া শিলা ও খনিজ লবণেও প্রতি কেজিতে ২০৪টি প্লাস্টিক টুকরো থাকে। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের জন্য কোনো ব্যক্তি যখন খাদ্যে লবণ ব্যবহার করেন তখন তিনি প্রতিদিন গড়ে তিনটি কিংবা বছরে গড়ে এক হাজার প্লাস্টিক টুকরো গ্রহণ করেন।

23
যারা ভোজন রসিক বা বেশি খেতে পছন্দ করেন তারা সবসময় যে নিজের ইচ্ছাতেই বেশি খান তা নয়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, একাকীত্ব, একঘেয়েমি ইত্যাদি কারণে আমাদের অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়। যাইহোক, অতিরিক্ত খাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে সুস্থ থাকতে হলে অতিরিক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমরা কেন মাত্রাতিরিক্ত খাই এবং তা থেকে বাঁচারই বা উপায় কী?

১. বন্ধু: আপনি অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর ডায়েট চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে যখন কোনো রেস্টুরেন্টে যাচ্ছেন তখন ভাজা খাবার না খেয়ে পারছেন না। তবে মনে রাখা দরকার, আপনি স্বাস্থ্যকর ডায়েট পালন করছেন ওজন কমানো বা শারীরিকভাবে ফিট থাকার জন্য। স্বাস্থ্যকর ডায়েট আপনাকে সুস্থ রাখবে, আপনার বন্ধুদের নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের সিদ্ধান্তে অটল থাকুন। দেখবেন একসময় আপনার বন্ধুরাও আপনাকে অনুসরণ করছেন।

২. খাবারের পাত্র: খাবারের পাত্রের আকারের ওপরও বেশি খাওয়া বা কম খাওয়া নির্ভর করে। বড় কিংবা নান্দনিক প্লেট রেস্টুরেন্টে ভাল দেখায় কিন্তু প্রতিদিন খাবার গ্রহণের জন্য মাঝারি বা ছোট প্লেটে খাবার গ্রহণ করা উচিত। তাহলে দেখবেন খাবার গ্রহণের পরিমাণও কমবে।

৩. বার্ন আউট: প্রায়ই দুর্বলতা বা ক্ষুধা মেটানোর জন্য আমরা ভুল পদক্ষেপ নেই। প্রতিরাতে কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। তাছাড়া, আপনি কখন বেশি ক্লান্ত হন সেই সময়টা মনে রাখুন। তখন জাঙ্ক খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন।

৩. দ্রুত খাবার গ্রহণ: অনেকেই আছে ১০ মিনিটের কম সময়ে খাবার খাওয়া শেষ করে ফেলেন। অন্তত ২০ মিনিটের আগে খাবার খাওয়া শেষ করে ফেললে অতিরিক্ত খাওয়ার ঝুঁকি থাকে। খাবার ধীরে খান এবং ভাল করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৪. একঘেয়েমি: অনেকেই আছেন টিভি দেখতে বসে, অফিসে মন খারাপ হলে বা একা একা থাকলে একঘেয়েমিতা কাটানোর জন্য চিপস বা অন্য কিছু খেতে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, লাখ লাখ মানুষ অতিরিক্ত খাওয়ার এটা অন্যতম কারণ। এমন পরিস্থিতি হলে মূল সমস্যাটি চিহ্নিত করুন। কোনো কাজে ব্যস্ত থাকুন যেন আপনাকে অতিরিক্ত খেতে না হয়।

৫. পানিশূন্যতা: আপনার যদি পানি কম পানের অভ্যাস থাকে তাহলে অন্য কিছু আপনি খাবেনই। চেষ্টা করুন সারাদিনই বেশি বেশি পানি পান করতে। বিশেষ করে প্রতিবার খাবার গ্রহণের আগে কমপক্ষে এক গ্লাস পানি পান করুন। ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমানোর আগে পানি পান করুন।

24
অনেক ক্ষেত্রে এমন হয়, সমস্যাটা যে সত্যিই হার্টের, সেটি বুঝতে বুঝতেই অনেক সময় চলে যায়। আসলে হার্টের সমস্যা মানেই যে সব সময় বুকে ব্যথা হবে তা কিন্তু নয়। একদম বুকের মাঝখানে চাপ ধরা ব্যথা যেমন হয়, তেমনই ব্যথা হতে পারে ঘাড়, পেট বা হাতেও। বুকে ব্যথার ক্ষেত্রে মনে হতে পারে কেউ একটা বেল্ট শক্ত করে বেঁধে দিয়েছে। ব্যথাটা ঘাড় বা পিঠের দিকে যেতে পারে। বাঁ-হাতেও ব্যথা হতে পারে। এ ধরনের ব্যথাকে বলে অ্যানজাইনাল পেন। সঙ্গে যদি প্রচণ্ড ঘাম হয় বা শ্বাসকষ্ট হতে থাকে, তবে তো কথাই নেই। বুঝে নিতে হবে, ব্যাপারটা হার্ট অ্যাটাকের দিকে গড়াচ্ছে। অনেকের মুখ ফ্যাকাশে বা কালচে হয়ে যেতে পারে। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। অনেক সময় বুকে ব্যথা না হয়ে ওপর পেটে ব্যথা হতে পারে। যদি দেখেন ওপর পেটে ব্যথা হচ্ছে, অস্বস্তি, হাঁসফাঁস অবস্থা। বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার পর অস্বস্তি বাড়ছে, গ্যাসের ওষুধ খেয়েও পেটের অস্বস্তি কমছে না, একটু স্বস্তি দিয়ে আবার ফিরে আসছে, পাশাপাশি পালসটা খুব দ্রুত চলছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তবে ফেলে রাখবেন না। আবার অনেকের বুকে-পেটে-পিঠে কোনও ব্যথা নেই। ব্যথা হয় দাঁতে। যদি দেখেন বার বার দাঁতে ব্যথা হচ্ছে, খেলে পরেই ব্যথাটা বাড়ছে, অথচ দাঁতের ডাক্তার কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না, তবে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। দাঁতে মনে হলেও ব্যথাটা হয়তো হচ্ছে চোয়ালে।
বুঝবেন কী করে

অনেক ক্ষেত্রে এমন হয়, সমস্যাটা যে সত্যিই হার্টের, সেটি বুঝতে বুঝতেই অনেক সময় চলে যায়। আসলে হার্টের সমস্যা মানেই যে সব সময় বুকে ব্যথা হবে তা কিন্তু নয়। একদম বুকের মাঝখানে চাপ ধরা ব্যথা যেমন হয়, তেমনই ব্যথা হতে পারে ঘাড়, পেট বা হাতেও। বুকে ব্যথার ক্ষেত্রে মনে হতে পারে কেউ একটা বেল্ট শক্ত করে বেঁধে দিয়েছে। ব্যথাটা ঘাড় বা পিঠের দিকে যেতে পারে। বাঁ-হাতেও ব্যথা হতে পারে। এ ধরনের ব্যথাকে বলে অ্যানজাইনাল পেন। সঙ্গে যদি প্রচণ্ড ঘাম হয় বা শ্বাসকষ্ট হতে থাকে, তবে তো কথাই নেই। বুঝে নিতে হবে, ব্যাপারটা হার্ট অ্যাটাকের দিকে গড়াচ্ছে। অনেকের মুখ ফ্যাকাশে বা কালচে হয়ে যেতে পারে। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। অনেক সময় বুকে ব্যথা না হয়ে ওপর পেটে ব্যথা হতে পারে। যদি দেখেন ওপর পেটে ব্যথা হচ্ছে, অস্বস্তি, হাঁসফাঁস অবস্থা। বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার পর অস্বস্তি বাড়ছে, গ্যাসের ওষুধ খেয়েও পেটের অস্বস্তি কমছে না, একটু স্বস্তি দিয়ে আবার ফিরে আসছে, পাশাপাশি পালসটা খুব দ্রুত চলছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তবে ফেলে রাখবেন না। আবার অনেকের বুকে-পেটে-পিঠে কোনও ব্যথা নেই। ব্যথা হয় দাঁতে। যদি দেখেন বার বার দাঁতে ব্যথা হচ্ছে, খেলে পরেই ব্যথাটা বাড়ছে, অথচ দাঁতের ডাক্তার কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না, তবে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। দাঁতে মনে হলেও ব্যথাটা হয়তো হচ্ছে চোয়ালে।

এ ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়ে গ্যাস-অম্বলের ওষুধ খেয়ে ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। ফল মারাত্মক হতে পারে। এ সব ক্ষেত্রে সবার আগে মাথায় রাখতে হবে সময়ের কথা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে হবে। অন্তত ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে ঢুকতেই হবে।
কী করবেন

প্রথমত সেই অবস্থায় রোগীর একটা ইসিজি করা দরকার। তাতে গোলমাল কিছু পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে কাছাকাছি কোনও হাসপাতালে যেতে হবে। তবে ইসিজি করতে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। যদি দেখেন, হাতের কাছে ইসিজি করার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে একটা অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে ঝটপট রোগীকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। চারটে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট জলে গুলে আর চারটে ক্লোপিড্রোজেল ট্যাবলেট গিলে খেয়ে নেবেন। এতে হার্ট অ্যাটাক থেকে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। এর পর একটা সরবিট্রেট জিভের তলায় দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন।
কোন হাসপাতালে যাবেন

অনেক সময় কাছাকাছি কোন হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাবেন, তা ঠিক করতে করতেই বাড়ির লোক দিশাহারা হয়ে পড়েন। বেশ কয়েক জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে অনেকটা সময় চলে যায়। অথচ এ সব ক্ষেত্রে সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সমস্যা থাকুক বা না থাকুক, জেনে রাখুন কাছাকাছি কোন হাসপাতালে ক্যাথল্যাব ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। তাতে দরকারের সময় হাতড়াতে হবে না। আর যাওয়ার আগে সেই হাসপাতালকে জানিয়ে দিন এ রকম রোগী নিয়ে আসছেন। সে রকম কিছু ঠিক করা না থাকলে যে কোনও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন।
ক্যাথ ল্যাব কেন

দুম করে রক্তনালীর ভেতরের কোনও জায়গায় ব্লক তৈরি হয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। সে ক্ষেত্রে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি (বেলুন) করে ব্লক খুলে স্টেন্ট বসিয়ে দেওয়া হয়। তাই হার্ট অ্যাটাক হলে বাড়িতে ডাক্তার না ডেকে কাছের কোনও হাসপাতালে তিন ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছতে হবে, যেখানে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবার ব্যবস্থা আছে।

হার্টের সমস্যা হলে একটা কথাই বলার, কবে বুকে চাপ ধরা ব্যথা দেখা যাবে, সে অপেক্ষায় থাকবেন না। আগের তুলনায় স্বাভাবিক জীবনযাপনে অসুবিধে শুরু হলেই সতর্ক হবেন। আর ৪০ বছর বয়স হলেই নিয়ম করে বছরে একটা হেল্থ চেক-আপ করাবেন। বাড়িতে কারও হার্টের সমস্যা থাকলে বা কোলেস্টেরল, প্রেসার, সুগার ধরা পড়লে ৩৫-এর পর থেকেই এটা করতে হবে। ইসিজি, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম আর ট্রেডমিল টেস্ট করতে হবে। আর আয়েসি শহুরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হলে একটা কার্ডিয়াক সিটি স্ক্যান করতে পারলে ভাল হয়। যদি দেখেন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে কষ্ট হচ্ছে, একটুতেই হাঁপিয়ে পড়ছেন, তবে প্রয়োজন বুঝে নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হবে। নিয়মিত চেক আপ-এ থাকতে হবে।
জেনে রাখুন

• ডায়াবেটিস রোগীরা অ্যানজাইনাল পেন টের পান না। ডায়াবেটিস থাকলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপিয়ে ওঠা এ ধরনের সমস্যা টের পাওয়া যায়। যদি দেখেন আগে বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ড আরামসে চলে যেতেন, এখন সেই রাস্তাই যেতে দু’বার থামতে হচ্ছে, তবে ব্যাপারটা ফেলে রাখবেন না।
• অনেকের চলতে ফিরতে সমস্যা হয়, স্বাভাবিক কাজকর্মে অসুবিধে হয়, এমনকী, এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গেলেই হয়তো হাঁপিয়ে ওঠেন। সিঁড়ি ভাঙতে গেলে কষ্ট হয়, সব মিলিয়ে রোজকার জীবনে সমস্যা হয়। হার্টের ধমনীতে ব্লক তৈরি হলে এ ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। সমস্যা একটা ধমনীতে হলে ওষুধ দিয়ে কাজ হয়। কিন্তু তিনটে ধমনীতে ব্লক তৈরি হলে আর তার সঙ্গে যদি হার্টের পাম্প করার ক্ষমতাও কমে যায়, সে ক্ষেত্রে বাইপাস করতে হয়। তার আগে অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয় কোথায় কোথায় ব্লক রয়েছে।
• অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টিতে যে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে দেড় থেকে দু’লাখ টাকা খরচ হয়। দিনে দুটো সিগারেট কম খেয়ে সেই টাকা জমিয়ে একটা হেল্থ ইন্সিওরেন্স করে রাখুন। দরকারের সময় কাজে দেবে।
• তিনটি আর্টারিতে ব্লক তৈরি হলে বাইপাস করাই ভাল। কারণ স্টেন্ট-কে ঠিক রাখতে একটা ওষুধ নিয়মিত খেয়ে যেতে হয়। ভবিষ্যতে কোনও অপারেশন করতে হলে, এমনকী দাঁত তোলার দরকার হলেও সেই ওষুধটা বন্ধ রাখতে হয়। এক দিনের জন্য ওষুধ বন্ধ রাখলে স্টেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া আমাদের দেশের মানুষদের ব্লকগুলোও অন্য রকম হয়। তার জন্য বাইপাস ভাল।
• এখানকার মানুষদের চেহারা তুলনামূলক ভাবে ছোট। পাশাপাশি, প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার জন্য একটা জায়গায় ব্লক হয় না। সারা আর্টারি জুড়ে ব্লক হয়। সে জন্য ওষুধ দিয়ে সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে ভাল। ওষুধ কাজ না করলে বাইপাস। এক মাত্র হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হলে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করতে হবে।
• অপারেশনের পর কড়া হাতে জীবনধারা পরিবর্তন করে ফেলতে হবে। রেড মিট খাবেন না। মাঝে মাঝে ছোট মুরগি গ্রিল বা বেক করে খেতে পারে। যাতে করে তেলটা কম ঢোকে। দুধ বা দুধের তৈরি কোনও জিনিস খেতে পারবেন না। সঙ্গে নিয়ম বেঁধে ওষুধ খাবেন। এ রকম মেনে চললে আর্টারিতে ব্লক আর ঘুরে আসবে না।

25
ওজন কমানো অনেক যন্ত্রণাদায়ক কাজগুলোর মধ্যে একটি। ওজন একবার অনেক বেশী বেড়ে গেলে তা পুনরায় আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য কাজ। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় এবং অনেক কিছু ত্যাগ করে নিয়ে তবেই ওজন কমানো সম্ভব হয়।

অনেকেই এই ঝামেলার কাজ করতে বিরক্ত বোধ করেন যার ফলে ওজনটা আর কমানো হয়ে উঠে না। তখন আবার শুরু হয় ওজন সংক্রান্ত নানা শারীরিক সমস্যা। সুতরাং ওজনটা কমানোই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে কিছু কৌশল রয়েছে যার মাধ্যমে ঝামেলামুক্ত ভাবে ওজন কমিয়ে নিতে পারেন খুব সহজেই।

খুব বেশী কষ্টও করতে হবে না। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ওজন কমানোর ঝামেলামুক্ত কিছু সহজ কৌশল।

১) যোগ করুন, বাদ দেবেন না
ওজন কমাতে চাইলে অনেকেই একবেলা বা দুই বেলার খাবার বাদ দেয়ার চেষ্টা করেন। এই কাজটি কখনোই করবেন না। কারণ এতে বরং আপনি বেশীই খেয়ে ফেলবেন। বরং বেলার সংখ্যা বাড়ান। ৩ বেলার জায়গায় অল্প করে ৫-৬ বেলা খান। একটু খেয়ে ক্ষুধা কমিয়ে ফেলুন। দেখবেন ওজন কমতে শুরু করেছে।

২) ব্যায়ামের কথা ভুলে যান
এটি আসলে আমাদের মানসিক একটি সমস্যা। যখন আমরা ব্যায়ামের কথা ভাবি তখনই রাজ্যের অলসতা দেহে ভর করে এবং ফলাফলে ব্যায়াম করা আর হয়ে উঠে না। এর চাইতে এক কাজ করুন, ব্যায়ামের চিন্তা বাদ দিন। তার পরিবর্তে ঘরে কাজ করা শুরু করে দিন। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো ওজন কম্বে এবং ঘরও গোছানো থাকবে।

৩) পছন্দের খাবারগুলো থেকে ফ্যাট কমিয়ে নিন
যখন আমরা দেখি যে পছন্দের খাবারে ফ্যাট বেশী এবং আমরা তা খেতে পারবো না তখন ওই নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতিই আগ্রহ বেড়ে চলে। এর চাইতে বরং পছন্দের খাবার থেকে অল্প করে ফ্যাটটাই ভাদ দিয়ে দিন। যেমন অতিরিক্ত তেল না দিয়ে বেকড স্ন্যাকস খান, মেয়োনেজ বা চীজ বাদ দিন খাবার থেকে ইত্যাদি।

৪) প্রচুর পানি পান করুন
খাবার বাদ দিতে এবং ব্যায়াম করতে ঝামেলা? তাহলে সেগুলো না করে পানি পান করা বাড়িয়ে দিন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস করুন। এতে আপনার খাবার চাহিদা অনেক কমে যাবে এবং সেই সাথে দেহের সার্বিক উন্নতি হবে।

৫) খাবার ভাগ করে নিন
আমাদের আরেকটি মানসিক সমস্যা বেশী খাবার দেখলে বেশী খেয়ে ফেলা। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে নিজের খাবার ভাগ করে খানিকটা অন্যকে দিয়ে দিন। আপনার খাওয়া কমে যাবে এবং অন্যেরও পেট ভরবে।

৬) মন শক্ত করুন
ঝামেলা না করতে চাইলে মনটা শক্ত করে ফেলুন। ব্যায়াম করতে না পারলে বা পছন্দের খাবার বাদ না দিতে পারলে মন শক্ত করে ফেলুন। মনকে বোঝান আপনাকে ওজন কমাতে হবে। আর এরজন্ন শারীরিক পরিশ্রম ও ফ্যাট কমানোর প্রয়োজন রয়েছে। দেখবেন অনেকটাই পারছেন।

৭) সময় পেলেই হাঁটুন
আধুনিক যুগে ব্যস্ত মানুষেরা একেবারেই হাঁটতে চান না। পাচ মিনিটের পথে জ্যামে আধাঘণ্টা বসে থাকলেও নেমে হাঁটতে চান না। এই কাজটি করবেন না। সময় সুযোগ পেলেই হেঁটে আসুন। ওজন কমাতে একেবারেই ঝামেলা পোহাতে হবে না।

সূত্র: হেলথ ডাইজেস্ট

26
খুব বেশি খারাপ অবস্থায় না পড়লে আমরা ডাক্তারের মুখাপেক্ষী একদমই হতে চাই না। এমনিই সেরে যাবে, এরকম একটু আধটু হতেই পারে, এসব কোন রোগের পর্যায়েই পড়ে না... এ ধরনের কথাগুলো বলে আমরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপসর্গ এড়িয়ে যাই। অথচ জানেন কি, ছোট ছোট এই শারীরিক উপসর্গগুলোই একটা সময় বড় রোগের কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে! আর নারীদের মাঝে সবসময়ই রোগ চাপিয়ে রাখার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। আর নয় অবহেলা। কিছু উপসর্গ দেখা দিলে আজই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যে উপসর্গগুলো উপেক্ষা করবেন না সেগুলো নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

স্বাস্থ্য সমস্যা ১- দাঁতে ব্যাথা
প্রিয় আইসক্রিম খেতে গেলে কিংবা পছন্দের ঠান্ডা পানীয় পান করার সময় দাঁত শিরশির করে উঠে অনেকের। প্রচন্ড দাঁতে ব্যাথা শুরু হয় তখন। অন্যান্য সময়ের তুলনায় যদি দাঁত বেশি সেনসিটিভ মনে হয় তাহলে আপনার উচিত হবে ক্যাভিটি পরীক্ষা করা। যন্ত্রনাদায়ক দাঁতে ব্যাথার মানে কিন্তু আপনার দাঁতের নার্ভ বা স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যের এই উপসর্গটি উপেক্ষা করা মোটেও উচিত নয়। নতুনা ধীরে ধীরে ব্যাকটেরিয়া আপনার পুরো মুখে ছড়িয়ে পড়তে পারে যা থেকে বড় ধরনের রোগের জন্ম হতে পারে। তাই সময় থাকতেই দাঁতে ব্যাথা সমস্যার সমাধানের জন্য ডেন্টিস্ট এর কাছে যান।

স্বাস্থ্য সমস্যা ২- পেটের অভ্যন্তরীণ ব্যাথা
অনেক সময় আমাদের এমন পেট ব্যাথা হয় যেন খুব অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেছি। অথচ হয়ত পরিমানে তেমন বেশি খাবার খাইনি। অনেকের প্রায় প্রতিদিনই এই ধরণের পেট ব্যাথা হয়। বিশেষ করে নারীদের মাসিক ঋতুস্রাবের পুর্বে এই ব্যথা যেন আরো বেড়ে যায়। আপনার যদি সবসময়ই এমন পেট ব্যাথা লেগে থাকে তবে মোটেও হেলা করবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের কাছে যান। এটা ভালো হয় যে ডাক্তার পরীক্ষার মাধ্যমে দেখবে আপনার পেটের অভ্যন্তরীন কোন বড় সমস্যা আছে নাকি গ্যাসজনিত কারনেই এত পেট ব্যাথা হয়।

স্বাস্থ্য সমস্যা ৩- হঠাৎ করা মাথাব্যাথা
কোন কারন ছাড়াই কি আপনার হুট করে মাথা ব্যাথা শুরু হয়? এতটাই মাথা ব্যাথা যে কোন কাজে ঠিকমত মন ও দিতে পারছেন না? তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যান। কারন হুট করে মাথাব্যাথা করাটা কিন্তু আপনাকে হৃদজনিত বড় রোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বেশি খারাপ কিছু ঘটার আগেই তাই ডাক্তার পরামর্শ মেনে চিকিৎসা করে ফেলুন।

স্বাস্থ্য সমস্যা ৪- বুকে জ্বালা পোড়া করা
ঝাল জাতীয় খাবার খেলে অনেকের বুকে জ্বালা পোড়া শুরু হয়। কিংবা হঠাত বুকে প্রচন্ড চাপ অনুভব করেন। ঠিক যেন মনে হয় বুকের উপর ভারী একটা পাথর রাখা আছে। এই উপসর্গ কিন্তু আপনাকে হার্ট অ্যাটাকের আগাম বার্তা দিচ্ছে। তাই অবহেলা না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন যতটা জলদি সম্ভব।

স্বাস্থ্য সমস্যা ৫- নারীদের শরীরে অতিরিক্ত লোম থাকা
নারী পুরুষ উভয়ের দেহেই লোম থাকে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু নারীদের দেহে অতিরিক্ত লোম থাকাটা মোটেই কাম্য নয়। বিশেষ করে মুখে, বুকে, পেটে কিংবা স্তনের বোটার চারদিকে লোম থাকা মানে আপনার হরমোনে সমস্যা রয়েছে। এর মানে আপনার Polycystic Ovary Syndrome (PCOS) এর উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাই গাইনী ডাক্তারের কাছে যান এবং এই ব্যাপারে আলোচনা করুন। বেশি দেরী করলে হয়ত এই সমস্যাই আপনাকে বন্ধ্যা করে দিতে পারে।

স্বাস্থ্য সমস্যা ৬- অস্বাভাবিক হারে ওজন কমে যাওয়াঃ
আপনি যদি ডায়েট করে থাকেন এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমানে দেহের ওজন কমে তাহলে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু দেহের ওজন অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়া মোটেও ভালো লক্ষন নয়। এর মানে হচ্ছে আপনার দেহে বড় কোন গোলমাল হতে চলেছে। তাই চুপ করে না থেকে ডাক্তারের কাছে যান। সময় থাকতেই সমস্যার সমাধান করে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ছোট ছোট জলের বিন্দু মিলেই যেমন বড় সমুদ্র হয়ে যায় ঠিক তেমনি ছোট ছোট স্বাস্থ্য উপসর্গগুলোই এক সময় বড় রোগের কারন হয়ে দাঁড়ায়। ছোট খাটো এই উপসর্গগুলোকে উপেক্ষা করা তাই মোটেও উচিত নয়।

রেফারেন্সঃ Realbuzz.com

27
আজকাল প্রায়ই মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ, বিষণ্ণতা, স্ট্রেস ইত্তাদিতে ভোগেন? কিছুই ভালো লাগে না আর জীবনটাও কেমন ফিকে লাগে? জেনে রাখুন, আপনার শরীরের দূষণটাই এর জন্য দায়ী! ভেজাল খাবার থেকে শুরু করে পরিবেশন দূষণ, সব মিলিয়ে প্রতিদিনই হরেক রকম দূষিত পদার্থ প্রবেশ করছে আপনার শরীরে।

কিন্তু সেগুলো বের হয়ে যাচ্ছে কি? না, বের হচ্ছে না বরং জমছে প্রতিনিয়ত। আর সেগুলোর কারণেই দিন দিন একটু একটু করে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন আপনি। কী করবেন? জেনে রাখুন গোসল করার এমন একটু জাদুকরী উপায়, যা আপনার শরীর থেকে এই দূষিত পদার্থ দূর কবে এবং আপনাকে রাখবে সুস্থ সবল। বিশেষ ৫টি অসুস্থতা ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক অসুখও দূরে রাখবে এই পদ্ধতি। চলুন, জেনে নিই।


যা যা লাগবে

১ মুঠো ইপসাম সল্ট
১/২ কাপ বেকিং সোডা
১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল

স্ট্রেস দূর করে রিল্যাক্স অনুভব করতে Lavender এসেনশিয়াল অয়েল, ক্লান্তি দূর করতে Grapefruit এসেনশিয়াল অয়েল, শারীরিক ও মানসিক অবসার দূর করতে Peppermint এসেনশিয়াল অয়েল, বিষণ্ণতা দূর করতে Cedarwood এসেনশিয়াল অয়েল, মাথা ব্যথা দূর করতে Chamomile & Rosemary এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করবেন। এই তেল বড় কসমেটিকসের দোকানে পাবেন। ঢাকায় আলমাসশ বিদেশী পণ্য পাওয়া যায় এমন দোকানে খোঁজ করবেন। বড় সুপার মার্কেটেও করতে পারেন।
 

যেভাবে গোসল করবেন

    -বাথটাবে উষ্ণ পানি দিয়ে এর মাঝে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিন।
    -তারপর এই পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বসে থাকুন। আরাম করুন।
    -যাদের বাথটাব নেই, তাঁরা ১৫/২০ মিনিট সময় নিয়ে খুব আস্তে আস্তে শরীরে পানি ঢালুন। মাথায় দেবেন না। পাদুটো এই পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।এতাও দূষিত উপাদান বের করতে সাহায্য করে।
    -তারপর সাধারণ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে সাধারণভাবে গোসল সেরে নিন।
    -সপ্তাহে ২/১ বার এভাবে গোসল করুন।
    -অবশ্যই মনে রাখবেন যে এই সময়ে প্রচুর পানি খেতে হবে। গোসল শুরু করার আগে, বাথটাবে বসে থাকা অবস্থায় ও গোসলের পর কমপক্ষে ৩ গ্লাস পানি পান করবেন। এতে শরীর সহজে দূষণমুক্ত হবে।

28
মানুষ আজকাল এতো বেশিই ব্যস্ত থাকে যে নিজের দেহের দিকে খেয়াল করার কোন সময়ই নেই। তারপর হঠাৎ করেই একদিন চোখ পড়ে যে দেহ অনেক ভারী হয়ে গিয়েছে এবং ওজন বেড়েছে দ্বিগুণ। ওজন কমানোর জন্য জিমে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে হয় বাইরে। কিন্তু সুস্থ থাকতে ওজন তো অবশ্যই কমাতে হবে। তাছাড়া সুস্থ দেহ, মনের জন্য ব্যায়াম খুব জরুরি। ব্যায়াম আমাদের দেহকে তো সুস্থ রাখেই, দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেহ ঘামের মাধ্যমে। তাই ঘরেই যেন আপনি নিয়ম করে ব্যায়াম করতে পারেন জেনে রাখুন কিছু সহজ ব্যায়ামের পদ্ধতি।

১। যখন বাড়িতে থাকবেন তখন সারাদিন কোন না কোন কাজ করুন, যা আপনার দেহকে ক্লান্ত করে তুলবে। ঘর মুছতে পারেন, সিঁড়ি দিয়ে কয়েকবার ওঠানামা করতে পারেন, দড়ি লাফ খেলতে পারেন। এতে করে শরীর ঘামবে এবং মাংস পেশি সতেজ হবে।

২। বাহিরে গিয়ে জগিং করা সম্ভব না হলে ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটতে পারেন কিংবা জগিংও করতে পারেন ধীরে ধীরে। তাছাড়া ঘরেই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং করা যায়। এই উপায়েও প্রচুর ক্যালরি খরচ হয়।

৩। পেটের মেদ কমাতে সোজা হয়ে ফ্লোরে শুয়ে পরুন। দু’হাত ভাঁজ করে ঘাড়ে নিচে রাখুন। তারপর মাথা তুলে আবার শুয়ে পরুন। একই ভাবে ১৫ থেকে ২০ বার করুন। পেটের মেদ কমাতে এই ব্যায়ামটি খুব উপকারী।

৪। কোমর ও পিঠের মেদ কমাতে , সোজা হয়ে দাঁড়ান দুহাত ঘাড়ের পিছনে রেখে একবার ডান পাশে ঝুকে আবার সোজা হয়ে দাঁড়ান এইভাবে ১০ বার করুন তারপর আবার বাম পাশে একই ভাবে ১০ বার করুন।

৫। কিছু সহজ ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ দেহের জন্য খুব উপকারী। ইন্টারনেটে খুজলেই পেয়ে যাবেন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করার অনেক ভিডিও। কয়েকদিন ভিডিওগুলো দেখে এক্সারসাইজ করার পর আপনি নিজেই শিখে যাবেন কীভাবে কোন এক্সারসাইজ করতে হয়।

29
স্বাস্থ্য রক্ষায় বা ওজন কমাতেই অনেকেই সকাল সকাল পাকা লেবুর রসের সাথে হালকা গরম পানি মিশিয়ে পান করে থাকেন। সকাল সকাল লেবু পানি পান করা যে ভালো, এটা অনেকেই জানেন।

কিন্তু জানেন কি, আসলে কেন ভালো? যদি নিয়মিত রোজ সকালে এক কাপ লেবু পানি পান করেন, আপনাদের দেহ পাবে ২০টি জাদুকরী উপকারিতা। চলুন, জেনে নিই বিস্তারিত।

১) লেমন, অর্থাৎ পাকা লেবুতে থাকে ইলেকট্রোলাইটস ( যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি)। সকাল সকাল লেবু পানি আপনাকে হাইড্রেট করে, শরীরে যোগান দেয় এইসব প্রয়োজনীয় উপাদানের।

২) হাড় জয়েনট ও মাসল পেইন কমায় দ্রুত।

৩) লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড। সকাল সকাল উষ্ণ পানির সাথে পান করলে সেটা আপনার হজমতন্ত্রকে উন্নত করে সমস্যা রাখে দূরে।

৪) অন্য যে কোন খাবারের চাইতে লেবু পানির ব্যবহারে লিভার অনেক বেশী দেহের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি করতে পারে।

৫) লেবু পানি টক্সিক উপাদান দূর করে লিভারকে পরিষ্কার রাখে।

৬) পেট পরিষ্কার ও ভালো টয়লেট হতে সহায়তা করে।

৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৮) আপনার নার্ভাস সিস্টেমে দারুণ কাজ করে। সকাল সকাল লেবুর পটাশিয়াম আপনার বিষণ্ণতা ও উৎকণ্ঠা দূর করতে সহায়ক।

৯) লেবু পানি শরীরের রক্তবাহী ধমনী ও শিরাগুলোকে পরিষ্কার রাখে।

১০) উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

১১) শরীরের পি এইচ লেভেল উন্নত করে। পি এইচ লেভেল যত উন্নত, শরীর রোগের সাথে লড়াই করতে তত সক্ষম।

১২) ইউরিক এসিড সমস্যা দূর করতে সহায়ক।

১৩) আপনার ত্বককে কর তোলে সুন্দর ও পরিষ্কার।

১৪) বুক জ্বলা পড়া দূর করে। যাদের এই সমস্যা আছে রোজ আধা কাপ পানির মাঝে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

১৫) কিডনী ও প্যানক্রিয়াসের পাথর দূর করতে অসাধারণ কার্যকর।

১৬) ওজন দ্রুত কমাতে সহায়তা করে। লেবুতে থাকে পেকটিন ফাইবার যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে।

১৭) গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই ভালো লেবু পানি। এটা শুধু নারীর শরীরই ভালো রাখে না। বরং গর্ভের শিশুর অনেক বেশী উপকার করে। লেবুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক ও দেহের কোষ গঠনে সহায়তা করে। মাকেও গরভকালে রোগ বালাই থেকে দূরে থাকে।

১৮) দাঁতের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। দাঁত ব্যথা কমায়।

১৯) ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

২০) মেটাবলিজম বা হজমশক্তি বাড়ায়। এতে ওজন কমাতেও প্রভাব পড়ে।

 


কীভাবে পান করবেন?

সকালে খালি পেতে এক গ্লাস লেমন বা পাকা লেবুর রস মেশানো উষ্ণ পানি পান করুন। চাইলে সাথে যোগ করতে পারেন মধু। বড় লেবু হলে ১/২টি ও ছোট হলে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন।

30
কোলেস্টেরল একটি পিচ্ছিল মোম ধরনের পদার্থ। এটি শরীরে নার্ভ প্রতিরক্ষা, কোষ এবং কিছু হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। লিভার বা যকৃত এই কোলেস্টেরলের প্রস্তুতকর্তা। তবে খাবার থেকেও সরাসরি এই কোলেস্টেরল আসতে পারে। যেমন- ডিম, মাংস, অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার। কিছু কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যের জন্য দরকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমানে থাকা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি রক্তে বেশি থাকলে হৃদরোগসহ হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকলে আপনার রক্তনালীতে এটা জমে উঠতে পারে। যে আর্টারি বা রক্তনালী আপনার হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরে রক্ত পৌছে দেয় তাতে কোলেস্টেরল জমে যায়। রক্তনালীতে জমে যাওয়া কোলেস্টেরল শুরুতে নরম থাকলেও সময়ের সঙ্গে তা শক্ত হয়ে যায় এবং আপনার আর্টারিগুলোকে সরু করে দিতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে আপনার আর্টারি একেবারে বন্ধ বা ছিড়ে যেতে পারে।

যে সমস্ত আর্টারী হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত প্রবাহ করে তাদের কোনটা বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সূচনা হতে পারে। আর যে সমস্ত আর্টারী আপনার মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ করে তাদের কোনো একটা বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোকের সূচনা হতে পারে। তাই শরীরের দূষিত টক্সিন এবং রক্তে বাজে কোলেস্টেরল দূর করতে চাইলে রক্তনালি পরিষ্কার থাকা জরুরি। রক্ত পরিষ্কারের জন্য ওষুধ সেবনের আগে কিছু প্রাকৃতিক দাওয়াই সেবন করা যেতে পারে। রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টরল দূর করতে মাত্র একটি প্রাকৃতিক ওষুধই যথেষ্ট। গবেষকদের মতে, এটি দেহের বাজে কোলেস্টেরল কমায়, জটিল রোগ অ্যাথেরোসক্লেরোসিস রোধে সাহায্য করে এবং রক্তনালির দেয়ালের দৃঢ়তা আনতে সাহায্য করে। রাশিয়ায় প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে এই মিশ্রণটি শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কার্যকরী এই ওষুধ তৈরি করতে যা যা লাগবে-

চারটি লেবু, চারটি সাদা রসুনের কোয়া, তিন লিটার ফুটানো ঠাণ্ডা পানি।

যেভাবে করবেন

বীজ ফেলে খোসাসহ লেবু এবং রসুন পরিষ্কার করে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর মিশ্রণটি তিন লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন। তিনদিন পর ফ্রিজ থেকে বের করুন।

এবার, মিশ্রণটি প্রথমে এক থেকে দুই চা চামচ করে তিন বেলা খাওয়ার আগে খেতে পারেন। কোনো অসুবিধা না হলে ধীরে ধীরে এর পরিমাণ বাড়াতে পারেন। মাত্র ৪০ দিন এই মিশ্রণ সেবনে আপনার শরীর থেকে দূর হবে ঘাতক কোলেস্টেরল।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 21