Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Nasima Siddika

Pages: [1]
1
শৈশবের জীবনযাপনের কারণেও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকতে পারে

বিশ্বে প্রতি আটজনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। উচ্চ রক্তচাপে হৃদ্‌রোগ ও কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকিও রয়েছে। চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে এ নিয়ে এক সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ এখন খুবই বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রচলিত কিছু ধারণার জন্য তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দ্য ইকোনমিস্টের খবরে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী নারীদের এক-পঞ্চমাংশ ও পুরুষদের এক-চতুর্থাংশ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে নারী ও পুরুষদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি থাকে। সাবসাহারা আফ্রিকার নারীরাও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে থাকেন। তবে পশ্চিমা ও এশিয়ার দেশগুলো এবং দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কম। ৩৬টি দেশে নারী ও পুরুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বেশি দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ দেশই আফ্রিকার।

শরীরচর্চার অভাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, বেশি লবণ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ, যথেষ্ট ফল ও সবজি না খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের কারণ।

সাম্প্রতিক কিছু জরিপে দেখা গেছে, শৈশব বা কৈশোরে খাবারের পুষ্টিমান, বায়ুদূষণ পরবর্তী জীবনে উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। আফ্রিকার নারী ও পুরুষেরা শৈশবে অপুষ্টির কারণে উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে পারে।

বিভিন্ন জরিপ বলছে, শৈশবে অপুষ্টি, জীবনযাপনের ধরন, বায়ুদূষণ পরবর্তী জীবনে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা শৈশবেই করতে হবে।

Link: http://www.prothomalo.com/life-style/article/1493301/%E0%A6%B6%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0

2
যখন মনে হবে পুরো পৃথিবী আপনার বিপরীতে, তখন যে কথাগুলো ভাববেন

 “সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা, আশা তার একমাত্র ভেলা” অর্থাৎ জীবন সংসারে প্রচন্ড ঝড়, ঝঞ্জা, দুঃখ, কষ্ট থাকলেও আশা মানুষকে বাঁচার অনুপ্রেরণা যোগায়। একমাত্র আশা মানুষকে সঞ্জীবনী শক্তিতে অটল রাখে। পৃথিবীতে সুখ ও দুঃখ উভয় আছে। দুঃখ সহ্য করতে করতে জীবনের সমস্ত মায়া ত্যাগ করে জীবননাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া বোকামি বৈ আর কিছু নয়। মনে রাখতে হবে দুঃখের পর্দা সরিয়ে একদিন আলো ধরা দিবে। শুধু ধৈর্য ধরতে হবে। তবুও কখনো কখনো যদি মনে হয় আপনি একা এবং পুরো পৃথিবী আপনার বিপরীতে তাহলে নিচের কথাগুলো ভাবুন। আপনার বেঁচে থাকার আকুলতা, আগ্রহ বাড়বে এবং হতাশা দূর হবে। আসুন জেনে নিই বিস্তারিত:

খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে ভাবনা বন্ধ করুন
খারাপ পরিস্থিতে আছেন বলে সারাক্ষণ তা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। বরং নিজেকে পূর্ণভাবে অন্যদিকে চালিত করুন। খারাপ সময়ের কথা মাথায় আনার দরকার নেই। বরং সুখের দিনগুলোর কথা চিন্তা করুন। প্রয়োজনে মেডিটেশন করুন। আপনার যদি ইয়োগা করতে ভালো লাগে কিংবা নাচ করতে ভালো লাগে তবে তাই করুন। সফলতার স্বপ্ন দেখতে থাকুন।

খারাপ সময় আপনার জন্য সুখবর বয়ে নিয়ে আসতে পারে
সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক আসা দুঃখ কষ্ট সাময়িক। অনেক সময় সৃষ্টিকর্তা তার বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য খারাপ পরিস্থিতিতে ফেলেন। যতই প্রতিকূলতা ও খারাপ পরিস্থিতি আসুক, আপনি সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করুন, ধৈর্য ধারণ করুন। রাতের আঁধার পেরিয়ে যেমন সকাল আসে তেমনি দুঃখ বিদায় নিয়েও একদিন সুখ ধরা দিবে।
দুঃখ, পরাজয়, ব্যার্থতা জীবনের অংশ
যেকোন খারাপ পরিস্থিতিতে পড়লে মনে রাখবেন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হল দুঃখ। জীবনে পরাজয়, গ্লানি, ব্যর্থতা থাকবেই। তাই একে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে সফলতার পথে এগিয়ে যেতে হবে। আর দু’চোখ ভরে স্বপ্ন দেখতে হবে।

সবকিছুরই শেষ আছে
পৃথিবীতে কোন কিছু চিরস্থায়ী নয়। সবকিছুরই যেমন শুরু আছে তেমনি শেষ আছে। পৃথিবীতে সুখ কিংবা দুঃখ কোনটাই চিরস্থায়ী নয়। তাই আপনার জীবনে যদি হঠাৎ করে দুঃখ নেমে আসে, জীবন এলোমেলো করার মতো প্রলয়ঙ্করী ঝড় আসে তাহলে ভেঙ্গে পড়বেন না। শুধু গভীরভাবে ভাবুন এই ঝড়, বিপদ একদিন শেষ হয়ে যাবে, একদিন আপনার কাছে সোনালী আলোকোজ্জ্বল দিন ধরা দিবে। সে পর্যন্ত আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। নিজেকে সাহসী রাখতে হবে। হতাশা, চিন্তায় ভেঙ্গে পড়লে হবে না। মনে রাখতে হবে সংগ্রামই জীবন আর জীবন মানেই সংগ্রাম।

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
জীবনে দুর্দশা, হতাশা নেমে আসলে প্রথমেই যে জিনিসের প্রয়োজন তা হলো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। নিজের চিন্তা ভাবনার বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। বিপদ, দুঃখ, দুর্দশাকে ভয় না পেয়ে সাহসের সাথে তা মোকাবেলা করার পন্থা খুঁজে বের করতে হবে। এই ব্যাপারে আপনার কাছের আত্মীয় ও বন্ধুদের সাহায্য নিতে পারেন। মনে রাখবেন পৃথিবীটা অনেক বড়। এই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও আপনার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।

আপনি জানেন না কাল কী হতে যাচ্ছে
জীবন সর্বদা অনিশ্চিত। তাই বলে থেমে থাকা চলবে না। আজ আপনাকে দুঃখের সাগর পাড়ি দিতে হচ্ছে বলে ভাববেন না কালও আপনাকে তাই করতে হবে। কাল আপনার জন্য নিশ্চয়ই কোন সুখবর অপেক্ষা করছে। জীবন মাঝে মাঝে মানুষকে সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করে। হতে পারে জীবন কাল আপনাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য অনেক ভালো গিফট প্রস্তুত করে রেখেছে। আপনি যদি আজ হতাশায় ডুবে গিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে কিভাবে আগামী কালের উপহার গ্রহণ করবেন? তাই যেকোন পরিস্থিতিতে নিজেকে অটুট রাখুন, মনোবল ধরে রাখুন।

ভালো কিছু আপনার জন্য অপেক্ষমান
আজ আপনার অর্থ নেই বলে ভাবছেন জীবনটা আসলেই বৃথা। ভাবছেন কেন আপনার এটা নেই, সেটা নেই। কেন আপনার ভালো বন্ধু নেই। কিন্তু জেনে রাখুন সততা ও পরিশ্রম যদি সঠিক থাকে তাহলে এক সময় আপনার অনেক টাকা হবে। কারণ প্রকৃতি কখনো কাউকে ফেরায় না। সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতিকে ধন ভান্ডারে সমৃদ্ধ করে দিয়েছেন আপনাকে দেবার জন্য। তাই আজ থেকে টাকা নেই বলে, দুঃখে আছেন বলে জীবনকে বৃথা ভাববেন না। কাজ করে যান, টাকা আসবে। আর টাকা থাকলে বন্ধু বান্ধবের অভাব হবে না।

যেকোনো পরিস্থিতে নির্ভীক থাকতে হবে
আপনি হয়তো কখনো ভাবেননি আপনাকে চরম প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। মানুষের ভাবনার বাইরেও অনেক কিছু ঘটে। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভয় না পেয়ে সাহসের সাথে লড়াই করে যেতে হবে। মনে রাখবেন দুঃখ, দুর্দশা আপনার জীবনে এসেছে আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য। তাই এখনই সময় নিজেকে তৈরি করুন। নিজের পায়ে দাঁড়ান। দুঃখ আছে বলেই সুখ এত আকর্ষণীয় ও সুন্দর।

প্রতিটি সমস্যার সমাধান আছে
পৃথিবীতে এমন কোন সমস্যা নেই যার সমাধান নেই। তাই প্রতিকূলতাকে তুচ্ছ না করে গ্রহণ করে নিন। সমস্ত প্রতিকূলতার ভীড়েও কিছু আনন্দের সংবাদ, আশার সংবাদ সঞ্চারিত হতে পারে।

আপনি একা নন
আপনার জীবনে যদি সীমাহীন দুঃখ নেমে আসে তাহলে ভাববেন আপনি একা নন। আপনার পাশে রয়েছে আপনার বন্ধুরা, আত্মীয়রা। আপনার পাশে সর্বদা আপনার বাবা মায়ের আশীর্বাদ রয়েছে। নিজেকে একক ও একা মনে না করে ভাবুন সবাই আপনার সাথে আছে। তাহলে বুকটা হালকা হবে।

বই থেরাপি হিসেবে কাজ করতে পারে
কষ্টের দিনগুলোতে বেশি বেশি বই পড়ুন। সফলতার বই পড়ুন। পৃথিবীতে যারা সফল ও স্বার্থক হয়েছেন তাঁদের বই পড়ুন। এইসব বই আপনাকে সফলতার পথ দেখাবে। আলোর পথ দেখাবে। হতাশাকে ভুলে আপনি সফলতার জন্য পুনরায় লড়াই করতে উজ্জীবিত হতে পারবেন।

Pages: [1]