Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Niger

Pages: [1]
1
                                                                     মনের টানে মনপুরা


নিগার সুলতানা
কো অর্ডিনেশন অফিসার
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি


মনপুরা, যেখানে রয়েছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি ।  ভোলা দ্বীপ থেকে প্রায়  ৮০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগর এলাকার উত্তরদিকে মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত নয়নাভিরাম দ্বীপের নামই হল মনপুরা । এই দ্বীপের আয়তন ৩৭৩ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। সুবিশাল নদী বিস্তীর্ণ বনভূমি বিশাল ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের বাগান মাছ ধরার নৌকা কিংবা ট্রলার মনপুরার এই সহজ সরল প্রকৃতি বলে দেয় আমার দেশ কতই না সুন্দর কত নিষ্পাপ । মনপুরাতে দেখার মত বেশ কিছু জায়গা আছে তার মধ্যে হাজিরহাট জেটিঘাট, নতুন ব্রিজ, ম্যানগ্রোভ বন , চারার বাগান, চৌধুরী প্রজেক্ট ,দখিন হাওয়া সি বিচ । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যতে ভরপুর এই দ্বীপটির অবস্থান একটু দুর্গম। কিন্তু প্রকৃতির এই ভিন্ন রূপ দেখতে এবং তাঁর স্বাদ নেবার জন্য প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক এ দ্বীপে ভ্রমণ করে ।                     
ঢাকা সদরঘাট থেকে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত মনপুরা গামী লঞ্চগুলো ছাড়ে তার মধ্যে তাসরিফ এবং ফারহান অন্যতম । আমরা গিয়েছিলাম ফারহান ৮ এ । ঢাকা সদরঘাট থেকে ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ছেড়ে যায় লঞ্চটি মনপুরার উদ্দেশ্যে, মনপুরাতে পৌঁছায় রাত তিনটে নাগাদ । এখান থেকে বাইকে করে আমরা চারজন চলে গেলাম আগে থেকে বুকিং দেওয়া হানিফ হোটেলে । পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে আমরা সকালের নাস্তা করে একটা অটো রিজার্ভ করে ফেললাম সারাদিনের জন্য প্রথমেই গেলাম মনপুরার প্রধান আকর্ষণ দখিন হওয়া সিবিচে। মনপুরা এসে সমুদ্র দেখার সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ফেললাম ।
দখিনা হাওয়া সী বিচের কিছু সুন্দর জিনিস চোখে পড়ার মতো যেমন সেখানে গাছের উপর ছোট্ট করে ট্রি হাউজ বানানো ঠিক কিছুটা কুঁড়েঘরের মত, আছে উঁচু উঁচু গাছের সাথে টাঙানো ,দোলনা সাগর পাড়ে বসার জন্য আছে কিছু আরাম চেয়ার, সব কিছু মিলিয়ে মনে হবে যেন প্রকৃতি তার সম্পূর্ণ সৌন্দর্য নিয়ে বসে আছে আমাদের অভিবাদন জানাতে । দখিন হওয়া সিবিচ থেকে ফেরার সময় আমাদের অটো ড্রাইভার আমাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুলভ মূল্য গাছের টাটকা ডাব খাওয়ার বন্দোবস্তু  করে দিয়েছিল আসলেই অসাধারণ ছিল । তারপর আমরা ফিরে আসি হোটেলে দুপুরের খাবার শেষে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে যাই লেন্ডিং স্টেশন । আগে এখানে ট্রলার এবং লঞ্চগুলো ভীড়তো । তীব্র স্রোতের ফলে ল্যান্ডিং স্টেশনটি এখন আর ব্যবহৃত হয় না, স্থানীয় ভাষায় এই লন্ডন স্টেশন কে বলে হাজিরহাট জেটিঘাট । আমাদের হোটেলটা এই ঘাট থেকে ৫ মিনিটের হাঁটা পথ । এখানের মূল আকর্ষণ এখান থেকে সূর্যাস্তটা খুব সুন্দর ভাবে দেখা যায় সাথে আছে মন জুড়ানো হিমেল হাওয়া আর নিস্তব্ধতা । এখানে দিনের শেষে মেঘনা নদীতে সূর্যটা অস্ত যায় যা ছিল এক অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য । প্রথম দিনটা এভাবেই শেষ হয়ে গেল আমাদের পরিকল্পনা ছিল পরদিনই দুপুর একটার লঞ্চটা তে করে ঢাকা চলে আসা কিন্তু এই দিন ঘটলো একটা আশ্চর্য ঘটনা । পরদিন সকালে আমরা গেলাম স্থানীয় বাজারে নদীর টাটকা মাছ কিনতে । মাছ কেনার পর রান্না করা হলো মনপুরার স্থানীয় মাতবরের বাড়িতে ।
মাদবরের পরিবারের আতিথিয়তায় আমরা এতটাই মুগ্ধ হলাম যে সেদিন ঢাকা আসার পরিকল্পনা বদলিয়ে পরদিন আসার সিদ্ধান্ত নিলাম । সকালে খাবার শেষ করে আমরা গেলাম মাদবরের ট্রলারে করে স্থানীয় কিছু চর এ সেখানকার মানুষের জীবন যাপন দেখতে । যেখানে ছিল বানর আর হরিণের অবাধ বিচরণ ভূমি । যেতে যেতে চর আর নদীর অপরূপ রূপ দেখে মন ভরে যাবে । আসলে চরের মধ্যে যে এতটা মায়া লুকিয়ে থাকে সেটা এখানে না আসলে বোঝানো সম্ভব না । চর ঘুরে এসে আমরা দেখলাম মাদবরের বাসায় আমাদের জন্য নদীর টাটকা মাছ আর হাঁসের মাংস রান্না করা হয়েছে । আমরা সবাই কলপাড়ে গোসল করে তাড়াতাড়ি খাবারটা সেরে নিলাম তারপর একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে গেলাম সেই জেঠি ঘাটে সঙ্গে মাদবরের ছোট্ট মেয়ে মুসকানও ছিল । সেদিন বেশ রাত পর্যন্ত আমরা সেই মেঘনা  নদীর পাড়ে বসেছিলাম । পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মাদবরদের পুকুরে মাছ ধরার ধুম সাথে পুকুরপাড়ের গাছ থেকে পাড়া টাটকা তেতুল মাখানো সে এক অন্যরকম অনুভূতি । সেই মাছ দিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করে আমরা চলে এলাম লঞ্চঘাটে, এবার যে ফিরতে হবে ঘরে, যদি কখনো আবারও সময় সুযোগ হয়ে ওঠে ফিরে যাব মুসকানদের মাতবর বাড়িতে………..


2
দেখে এলাম দেবতাখুম
নিগার সুলতানা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল  ইউনিভার্সিটি



গেল ২ ডিসেম্বরের বিকেলটা ছিল একটু ভিন্ন। একটু অন্যরকম। ঘড়িতে তখন বিকেল চারটা। হঠাৎ মনে পড়ল আমরা তো আজ রাত এগারোটার নাইটকোচে বান্দরবানের টিকিট কেটেছি! উদ্দেশ্য দেবতাখুম ঘুরে আসা। অথচ সব ভুলে অফিসে নাক গুজে বসে আছি। ধুর! কোনো মানে হয়? হাতের কাজটা দ্রুত শেষ করেই তাড়াহুডড়ো করে অফিসের গাড়িতে উঠে পড়লাম। বাসায় গিয়ে কিছু জামা কাপড় আর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিয়ে রওনা দিলাম শহীদ মিনারের দিকে। ওখান থেকেই তো বাসটা ছাড়বে।
নির্ধারিত সময়ের একটু আগেই শহীদ মিনারের সামনে পৌঁছলাম। তারপর রাত এগারোটার নাইটকোচে আমরা ঢাকা থেকে রওনা দিলাম বান্দরবানের উদ্দেশ্যে। ভোর ছয়টায় পৌঁছে গেলাম বান্দরবান শহরে। এত সুন্দর! এত আলোঝলমলে! কি পবিত্র একটা সকাল! ফুরফুরে মন নিয়ে আমরা চাঁন্দের গাড়িতে করে রোয়াংছড়ি উপজেলার দিকে রওনা দিলাম। চাঁন্দের গাড়ির বদলে সিএনজিও নেওয়া যেত, তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে চাঁন্দের গাড়িটাই বেশি ভালো লেগেছে।
বান্দরবান শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে রোয়াংছড়ি। পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে  সংঘর্ষ লেগেই থাকে। এজন্য সমস্ত এলাকা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রনাধীন। মোড়ে মোড়ে সেনা টহল। নিরাপত্তার খাতিরে স্থানীয় থানা থেকে একটি নির্ধারিত ফরম ফিলাপ করে দেবতাখুম যাওয়ার জন্য ন্যাশনাল আইডি কার্ডের দুই কপি ফটোকপি ও  সাথে পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হয়। দিলাম। কি আর করা! এরপর আমরা কচ্ছপতলির উদ্দেশে রওনা দিলাম। আশেপাশের উঁচু-নিচু পাহাড় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন কচ্ছপতলি পৌঁছে গেছি টেরই পাইনি। এরপর লিরাগাও আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে হয়।
দেবতাখুম ট্রেকিংয়ের পূর্বে এই আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে হবে। আমরা যে গাইডের অধীনে এসেছিলাম তিনি আমাদেরকে এসব ব্যাপারে প্রাণপনে সাহায্য করলেন। কচ্ছপতলি থেকে দেবতাখুমের ট্রেইলটি শুরু হয়েছে এখান থেকে। এখন আমরা যাচ্ছি শীলবান্ধা পাড়ার দিকে। শিলবান্ধা পাড়াতে যাওয়ার জন্য দুইটা ট্রেইল আছে। একটি হচ্ছে পাহাড়ের ট্রেইল আর একটি হচ্ছে ঝিরি ট্রেইল। আমরা যাচ্ছি ঝিরি ট্রেইল দিয়ে। ঝিরি পথ দিয়ে শিলবান্ধা পাড়া যেতে সময় লাগে এক ঘন্টা আর পাহাড়ি ট্রেইল দিয়ে গেলে শিলবান্ধা ঝর্ণা নামের একটি ঝর্ণা দেখতে পাওয়া যেত। বর্ষাকালে ঝিরিপথ দিয়ে যাওয়াটা নিরাপদ না। যারা ঢাকা থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে বান্দরবানের ট্র্যাকিংয়ের রুদ্ধশ্বাস অনুভূতি নিতে চান তাদের জন্য দেবতাখুম খুবই উৎকৃষ্ট একটি জায়গা ।
আমরা চলে এসেছি শিলবান্ধা পাড়া। এখানে ঝিরিতে অনেকগুলো শিল্ ছিল। সেজন্য এর নামকরণ করা হয় শিলবান্ধা পাড়া। এ পাড়াতে সব মিলিয়ে কুড়ি থেকে তিরিশটি পরিবার থাকে এবং দুই থেকে তিনটি দোকান ও একটি হোটেল আছে। দেবতাখুম ট্র্যাকিং শেষে এখানে এসে মধ্যাহ্নভোজ সারা যাবে। সেজন্য আগে থেকে অর্ডার দিয়ে রাখতে হবে। শিলবান্ধা পাড়া থেকে আমরা লাইফ জ্যাকেট এবং ভেলার বন্দোবস্ত করলাম। এরপর এখান থেকে ছোট্ট একটি নৌকাতে করে দেবতাখুমের মেইন পয়েন্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। এখান থেকে খুমের রাজ্যে প্রবেশ করার পর মনে হলো এ এক অসাধারণ অনুভূতি। ঠিক যেন কোনো এক অপূর্ব সৌন্দর্যভরা নগরী আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে তার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।  সে ডাকে সাড়া না দিয়ে কোনো উপায় নেই। প্রকৃতি তার রূপের ডালা সাজিয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে । এই খুমের গভীরতা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ফুট।
ভেলায় ভাসতে ভাসতে চোখে পড়ল পাথরের উপর হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূজার কিছু জিনিসপত্র। কি সুন্দর প্রত্যেকটা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আমরা একসাথে প্রকৃতির সাথে মিশে যাই। প্রায় বিশ মিনিট পর দেবতাখুমের মূল জায়গায় এসে পৌছালাম। দেবতাখুম আসার মূল সময় হলো ডিসেম্বর জানুয়ারি। এ সময় বৃষ্টিপাত হয় না তাই উপর থেকে কোনো পানি পড়ে না । প্রায় এক ঘন্টা খুমের পানিতে গা এলিয়ে অপলক দৃষ্টিতে স্নিগ্ধ প্রকৃতির রূপ দুচোখ ভরে গ্রহণ করলাম। ঠিক এই মুহূর্তটা যদি জীবনে আর কখনো না আসে তাই প্রতিটি পরতে পরতে থাকা সৌন্দর্য অবলোকন করে মনকে প্রশান্ত করলাম।
অনেক বেলা হয়ে গেল। এবার যে ফিরতে হবে! কিছুতেই ফিরতে ইচ্ছা করছিল না। এতক্ষণ ভেলা বয়ে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তাই হালকা কিছু খেয়ে নিলাম। তারপর আবারও ট্রেকিং শুরু। টানা এক ঘন্টা ট্রেকিং করে শিলবান্ধা পাড়া হয়ে পৌঁছে গেলাম কচ্ছপতলি।
খুব ভালো লাগার একটা মুহূর্ত বলতে ভুলে গেছি। সকালে যখন বান্দরবানে বাসটি থামল, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি, টাটকা খেজুরের রস নিয়ে বসে আছে একজন। রস খাওয়ার এই সুযোগটা কি হাতছাড়া করা যায়? দ্রুত বাস থেকেই নেমেই দৌড়। হিম শীতল রসে চুমুক দিয়েই মনে হলো, যেন অমৃত!
পার্বত্য জেলাগুলোর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অপূর্ব নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য। এইসব সৌন্দর্য ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

3
Education / শিশুদের কিডনি রোগ
« on: March 12, 2020, 12:36:03 PM »

                                                                            শিশুদের কিডনি রোগ

কিডনি আমাদের দেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যা দেহের ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ পেসাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা ১০ শতাংশ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। শিশুরাও কিডনি সমস্যায় ভোগে। শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসা বয়স্কদের কিডনি রোগের চিকিৎসা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ, তাদের অসুস্থতার ধরন বড়দের থেকে আলাদা। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, আমাদের দেশে হাসপাতালে আসা শিশুদের মধ্যে প্রতি ২০ জনে ১ জন কিডনি রোগে আক্রান্ত। শিশুদের কিডনি রোগের এক বড় অংশ-ই জন্মগত কিডনি রোগ। যা সঠিক চিকিৎসার অভাবে কিডনি ফেইলিউর হিসেবে দেখা দিতে পারে।


লক্ষণ সমূহ:


কিডনি আমাদের দেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যা দেহের ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ পেসাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা ১০ শতাংশ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। শিশুরাও কিডনি সমস্যায় ভোগে। শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসা বয়স্কদের কিডনি রোগের চিকিৎসা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ, তাদের অসুস্থতার ধরন বড়দের থেকে আলাদা। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, আমাদের দেশে হাসপাতালে আসা শিশুদের মধ্যে প্রতি ২০ জনে ১ জন কিডনি রোগে আক্রান্ত। শিশুদের কিডনি রোগের এক বড় অংশ-ই জন্মগত কিডনি রোগ। যা সঠিক চিকিৎসার অভাবে কিডনি ফেইলিউর হিসেবে দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ সমূহ:


ক) জন্মগত কিডনি রোগ:
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জন্মগত কিডনি রোগ, শিশু মায়ের গর্ভে থাকাকালীন আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। যেমন: কিডনি অথবা প্রস্রাবের নালি ফুলে যাওয়া, একটি বা উভয় কিডনিতে এক বা একাধিক সিস্ট থাকা। মায়ের গর্ভের পানি কম বা বেশি হওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া, নবজাতক ও শিশুদের, ঘন ঘন প্রস্রাব করা, ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব করা এবং ছেলেদের প্রস্রাব দূরে না যাওয়া, প্রস্রাব করা শেষ হওয়ার পর ও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হওয়া, পেটের নিচের অংশে ফোলা বা কোনো চাকা অনুভূত হওয়া এবং ঘন ঘন জ্বর হওয়া।

খ) জন্মের পরে পরবর্তীতে হওয়া কিডনি রোগ:
১) প্রস্রাব করার সময় ব্যথা হওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া অথবা ফেনা ফেনা প্রস্রাব হওয়া।
২) সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফুলে যাওয়া, পা ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল চাকা চাকা দাগ হওয়া।
৩) শারীরিক দুর্বল ভাব, ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া, বয়সের তুলনায় শিশুর বিকাশ কম অথবা কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ।
৪) স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি প্রস্রাব করা এবং ৫ বছর বয়সের পর ও বিছানায় প্রস্রাব করা।

কিডনি ফেইলিউর বা কিডনি বিকল হওয়া:

কিডনি ফেইলিউর সাধারণত ২ ধরনের, একিউট বা হঠাৎ কিডনি ফেইলিউর এবং ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি ফেইলিউর। নিম্নলিখিত কারণে শিশুদের একিউট বা হঠাৎ কিডনি ফেইলিউর হতে পারে:
১) অতিরিক্ত রক্তপাত, বড় অপারেশন, ডায়রিয়া বা দীর্ঘক্ষণ বমি।
২) রক্তের সংক্রমণ বা অন্যান্য কারণে কিডনিতে অক্সিজেন এবং রক্ত পৌঁছাতে না পারলে।
৩) কিছু ওষুধ আছে যা খেলে পরবর্তীতে কিডনি সমস্যা হতে পারে।
৪) হেমোলাইটিক ইউরেমিক সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুরা।

নিম্নলিখিত সমস্যার কারণে শিশুদের ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি ফেইলিউর হতে পারে:
১) বারবার মুত্রনালির সংক্রমণ বা দীর্ঘদিন মুত্রনালিতে বাধার ফলে প্রস্রাব পরিষ্কার না হলে।
২) প্রস্রাবে প্রোটিন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকলে।
৩) পূর্বে একিউট কিডনি ফেইলিউর হলে এবং তা সঠিক নিয়মে ফলোআপ না করালে।
৪) কেউ উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস এ ভুগলে এবং তার সঠিক চিকিৎসা না করালে।
৫) জিনগত কিডনি রোগ থাকলে।

রোগ নির্ণয়:

শিশুদের কিডনি রোগ শনাক্ত এবং যথাযথ চিকিৎসার জন্য একজন দক্ষ শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বা পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজিস্ট এর পরামর্শ প্রয়োজন। অভিজ্ঞ পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজিস্ট এর নির্দেশনা অনুযায়ী রক্ত, প্রস্রাব এবং আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।

চিকিৎসা:

কিডনি রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে তা কোন পর্যায়ে আছে বা কি কারণে হয়েছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে দ্রুত রোগ নির্ণয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জন্মগত কিডনি রোগের চিকিৎসায় কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হয়, তবে এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশুই বারবার প্রস্রাবের সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে তাই তাদের ক্ষেত্রে লম্বা সময় ধরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হয়।
ডায়রিয়া জনিত কারণে কিডনি সমস্যা হলে, প্রয়োজনমতো পানিশূন্যতা এবং রক্তের লবনের তারতম্য ঠিক করা হয়। ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে, ওষুধের সাহায্যে এবং জীবনযাত্রা পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণ করে বেশ উপকার পাওয়া যায়। তবে, শেষ পর্যায়ে ধরা পড়লে, ডায়ালাইসিস ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট এর প্রয়োজন হয়।

প্রতিকার:

শিশুকে পরিমিত পরিমাণ পানি খাওয়ান, বিশেষ করে ডায়রিয়া বা জ্বর হলে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ান। শিশুর যেন নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি হয়। বাচ্চার যদি কোনো কিডনি রোগ থাকে অথবা বংশে কারও কিডনি রোগ থাকলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। শিশুর খাদ্যতালিকায় প্যাকেটজাত খাবার ও পানীয় নিয়ন্ত্রণ করুন। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

ডা. মো. আব্দুল কাদের
অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট, শিশু কিডনি রোগ বিভাগ
স্কয়ার হসপিটাল লিমিটেড, ঢাকা।

4
                                                      দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহারে আপনার করণীয়


আজকাল প্রায় সব ধরনের পেশা ও লেখাপড়ার কাজে দীর্ঘ সময় কম্পিউটার ব্যবহার করতে হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কম্পিউটার ব্যবহার না করায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা।

কী কী শারীরিক সমস্যা দেখা যায়
■ দীর্ঘ সময় কম্পিউটার টেবিলে বসে থাকা এবং শরীরের দেহভঙ্গি ঠিক না থাকার কারণে মাংসপেশির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে ঘাড়ব্যথা, কোমরব্যথা, ঘাড়ের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, কাঁধ ও হাতব্যথা হতে পারে।

■ বারবার বা অতিরিক্ত কম্পিউটার অপারেটিংয়ের ফলে কনুই, কবজি, হাতব্যথাসহ ফুলে যাওয়া, সন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া, মাংসপেশি অবশ ও দুর্বল হতে পারে।

■ কম্পিউটারের মনিটর ও চোখের দূরত্বের অসামঞ্জস্যের জন্য মাথাব্যথা, চোখব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, পানি পড়া ইত্যাদি সমস্যাও তৈরি হতে পারে।

চেয়ার ও কম্পিউটার টেবিল কেমন হওয়া উচিত

■ যেকোনো অফিস সাজানোর আগে একজন এর্গোনোমিকস এক্সপার্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

■ বসার চেয়ারের ডিজাইন এমন হবে, যেখানে ঘাড় সোজা ও পিঠ বিশ্রামে থাকবে, কোমরে বা পেছনে সাপোর্ট থাকবে, বসার গদি আরামদায়ক হবে, চেয়ারের উচ্চতা ঠিক রাখার জন্য সুবিধাজনক স্ক্রু থাকবে, হাঁটু থেকে টেবিলের মধ্যে একটি ফাঁক থাকবে এবং পা মাটিতে বা ফ্লোরে লেগে থাকবে। মাউস ও কি-বোর্ড টেবিলের মাঝামাঝি থাকবে, যাতে কনুই ও হাত টেবিলের ওপর সাপোর্টে থাকে।

করণীয়
প্রতি ১ ঘণ্টা কাজের ফাঁকে ৫ মিনিট বিরতি নিন এবং একটু হাঁটাহাঁটি করুন। কিছু স্ট্রেচিং ব্যায়াম করুন। এতে মাংসপেশিতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে এবং মাংসপেশি ক্লান্ত হবে না। যেমন

ক) ডানে, বাঁয়ে, সামনে, পেছনে ঘাড়কে হেলিয়ে টান টান শক্ত করে ৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ছেড়ে দিন। এটি ৫-১০ বার করুন। এতে ঘাড়ব্যথা হবে না।

খ) দুই হাত সোজা করে শক্তভাবে মুঠ করুন। এভাবে ৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন ও ছাড়ুন। এটিও ৫-১০ বার করুন। এতে কবজি ও হাতের আঙুল ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

গ) সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত কোমরের পেছনে রেখে যতটুকু সম্ভব ধনুকের মতো বেঁকে যান এবং আবার সোজা হোন। এটি ৫-১০ বার করুন। এতে আপনার কোমরে মাংসপেশি স্ট্রেচিং হবে এবং সহজে আপনি কোমরব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

মেহেরুন নেসা, ফিজিওথেরাপি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আদ-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিক–উল হক হাসপাতাল, ঢাকা।

https://www.prothomalo.com/life-style/article/1626621/%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A7%9F

5

অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা শিশুদের একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। রক্তাল্পতার সবচেয়ে সাধারণ কারণ, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন না থাকা। জন্মের পর তিন মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর শরীরে যেটুকু হিমোগ্লোবিন থাকে, তা সে তার মায়ের কাছ থেকেই নিয়ে আসে। এরপর তার নিজের শরীরের অস্থিমজ্জায় রক্ত তৈরি হতে শুরু করে। রক্ত তৈরির একটি কাঁচামাল হলো আয়রন বা লৌহ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়তে থাকে বলে শিশুকে নিয়মিত আয়রনসমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে, নয়তো দেখা দেবে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা।

চার মাস বয়স থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি অল্প অল্প করে পরিপূরক খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হবে। প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাদ্য উৎস থেকে আয়রন পাওয়া যায়। মাছ, মাংস, ডিম, কলিজার মতো প্রাণিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত আয়রনকে হিম আয়রন বলে। আমাদের শরীর এ আয়রন ভালো শোষণ করতে পারে। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রাপ্ত আয়রনকে নন-হিম আয়রন বলে। শুকনা ফল, শুকনা এপ্রিকট, শুকনা ডুমুর, বাদাম, কিশমিশ, সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি, পালংশাকে এ উপাদান থাকে।
যেসব বাড়ন্ত শিশু অন্যান্য খাবারের চেয়ে দুধ বেশি পান করে, তাদের আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতার ঝুঁকি থাকে। দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পেতে দুধ খাওয়ার পরিমাণ ক্রমশ ২ কাপ বা ৫০০ মিলিলিটারে কমিয়ে আনতে হবে। সারা দিন দুধ খেয়ে পেট ভরিয়ে রাখলে চলবে না। ডিমের কুসুম লৌহসমৃদ্ধ খাবার। ছয় মাস বয়স হলেই শিশুকে অল্প অল্প করে ডিমের কুসুম খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বিলম্বের কারণ হতে পারে। ধীরে ধীরে শিশুকে মাছ, মাংস, তাজা শাকসবজি ও ফলমূল ইত্যাদি খাবারে অভ্যস্ত করে তুলুন। এ ছাড়া রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধের জন্য প্রতিদিনের খাবারে লৌহ, আমিষ, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন-১২ রাখতে হবে। কৃমি শিশুদের অ্যানিমিয়ার একটি অন্যতম কারণ। তাই দুই বছর বয়সের পর থেকে কৃমির ওষুধ নিয়মিত খাওয়াতে হবে। কৃমি রোধে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন।

লাজিনা ইসলাম চৌধুরী, পুষ্টিবিদ পিপলস হাসপাতাল, খিলগাঁও, ঢাকা

6
                                                          ঘরে শরীরচর্চা করার সুবিধা বেশি
  লাইফস্টাইল ডেস্ক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


Published: 24 Jun 2019 04:27 PM BdST Updated: 24 Jun 2019 04:27 PM BdST


ব্যায়ামাগারে অর্থ অপচয় না করে ঘরেই ব্যায়াম শুরু করা উচিত।
সুন্দর সুঠাম দেহ প্রতিটি মানুষেরই কাঙ্ক্ষিত। সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে যোগ দেওয়া হয় ব্যায়ামাগারে। তবে কয়েক মাস পরেই সময়ের অভাব, আলসেমি ইত্যাদি নানান অজুহাতে সিংহভাগ মানুষ রণে ভঙ্গ দেন। ফলে সুঠাম দেহ পাওয়া তো হয়ই না, বরং ব্যায়ামেগারে দেওয়া অর্থ অপচয় হয়।

তাই ঘরেই শরীরচর্চা শুরু করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আর গবেষণা বলছে, ঘরে শরীরচর্চা সময়, অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বাড়ায় শরীরচর্চার প্রতি শ্রদ্ধা ও আগ্রহ।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় এই গবেষণার আরও তথ্য।

‘দ্য জার্নাল অফ সাইকোলজি’তে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। ‘হোম-বেইজড হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেইনিং (হোম-এইচআইটি)’ নামক এক অনুশীলনে যোগ দেন এই গবেষণায় অংশগ্রহনকারী ৩২ জন স্থূলকায় মানুষ, যাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ছিল আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। আর গবেষক বিবেচনা করেন তাদের এতে কী উপকার হচ্ছে।

সময় কিংবা আর্থিক সামর্থের অভাব ইত্যাদি বাধার মুখে ঘরে ব্যায়াম করা একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে কি না সেটা জানাই ছিল গবেষকদের উদ্দেশ্য।

গবেষণার লেখক, যুক্তরাজ্যের ’লিভারপুল জন মুর্স ইউনিভার্সিটি’র স্যাম স্কট বলেন, “‘হোম-এইচআইটি’য়ের মতো একটি শরীরচর্চার অনুশীলন সময়, আর্থিক সমস্যা, ব্যায়ামগার ব্যবহারের সুযোগের অভাব ইত্যাদি বাধা দূর করে। আর এসব বাধার কারণে যাদের শরীরচর্চার আগ্রহ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাদের আগ্রহের মাত্রাও বাড়ায় এই অনুশীলন। ফলে অসংখ্য মানুষের সুস্বাস্থ্য রক্ষার উপায় হতে পারে এ ধরনের অভ্যাস।”

৩২ জন স্থূল ব্যক্তির ওপর করা ঘরে ব্যায়ামের এই অনুশীলনের ব্যপ্তি ছিল ১২ সপ্তাহ। পুরো সময়টায় কয়েক ধরনের স্বাস্থ্যগত অবস্থা পরিমাপক ব্যবহার করেন গবেষকরা যেমন, ‘বডি কম্পোজিসন’, হৃদরোগের ঝুঁকি, শর্করা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ইত্যাদি।

৩২ জনকে তিন ভাগে ভাগ করেন গবেষকরা। একদল পরীক্ষাগার ভিত্তিক এবং নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যান্ত্রিক সাইকেল চালিয়েছেন, একদল যুক্তরাজ্যে সরকারের পরামর্শ মাফিক ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করেছেন।

আর একদল ‘হোম-বেইজড এইচআইটি’ অনুশীলনের সাধারণ ‘বডি ওয়েট’ ব্যায়াম করেছেন।

এই বিশেষ অনুশীলন হল তাদের জন্য যাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা দূ্র্বল, নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়। আর এই ব্যায়ামের জন্য কোনো ব্যায়ামের উপকরণ প্রয়োজন হয় না।

দেখা যায়, স্থূলকায় মানুষের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের পরামর্শকৃত ১৫০ মিনিটের ব্যায়ামের অনুশীলন এবং নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষাগার ভিত্তিক ব্যায়ামের তুলনায় ‘হোম-বেইজড এইচআইটি’ বেশি কার্যকর।
https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1636593.bdnews

7
                                                                 হাঁটুন এবং ভালো থাকুন


চাকরিজীবী শামসুর রহমান। প্রতি রাতেই পরিকল্পনা করেন যে ঘুম থেকে উঠেই হাঁটতে বের হবেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে আর হাঁটতে যাওয়া হয় না। আবার অফিসে বসে শেষ বিকেলে হাঁটার নতুন পরিকল্পনা। এবার অফিস থেকে ফিরে বাড়ির পাশে পার্কে হাঁটার কল্পনা। কিন্তু সে পরিকল্পনাও ভেস্তে যায় শামসুর রহমানের। এভাবে দিন চলে যায়, রাত চলে যায়। শামসুর রহমানের আর হাঁটার পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ নেয় না। শুধু শামসুর রহমানই নন, ব্যস্ত এই নগরে অনেকই রয়েছেন এই তালিকায়। যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ফিউচার ফিটনেস জিমের প্রশিক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, হাঁটার জন্য সবার আগে দরকার মানসিক শক্তি। পরিকল্পনা করার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটার ইচ্ছেটা মানসিক শক্তি দিয়ে এটা বাস্তবতায় নিয়ে আসতে হবে।

স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল
বাংলা ব্যাকরণে বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ। যুগ যুগ এই প্রবাদ প্রচলিত। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মানুষের আয়োজনের কমতি থাকে না। নিজেকে সুস্থ ও ভালো রাখতে কত কিছুই না করে। কিন্তু অনেকেই সুখ খুঁজে পায় না এবং শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। ছোট্ট একটি ‘টনিক’ই আপনার স্বাস্থ্য ও শরীর ভালো রাখতে পারে। হাঁটুন। হাঁটলে শারীরিকভাবে ভালো থাকার পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকে। একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি চুল ভালো থাকে, হজমশক্তি বাড়ে। মানসিক ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি মনোবল বাড়ায়। নিয়মিত হেঁটেই নিজেকে সুস্থ রাখতে পারেন ষোলো আনা।

কখন এবং কত সময়
হাঁটা শুরু করার আগে বেশ কিছু প্রশ্ন মাথায় চলে আসে। কখন হাঁটবেন, কতক্ষণ হাঁটবেন, হাঁটার গতি কেমন হবে—নানান কিছু। আবু সুফিয়ান জানান, হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। এটিই সবচেয়ে নিরাপদ, খরচহীন এবং আরামদায়ক। একজন মানুষ নিয়মিত হাঁটলে সে সুস্থ থাকবেই। সময়–সুযোগ বুঝে যেকোনো সময়েই হাঁটতে পারেন। নাগরিক জীবনে সবাই কমবেশি ব্যস্ত থাকে। একেকজনের কাজের ধরন একেক রকম। তাই তাদের ব্যস্ততার সময়টাও আলাদা। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনি হাঁটার জন্য যখন সময় বের করতে পারবেন, তখনই হাঁটা উচিত। হাঁটার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো বিকেল। বিকেলবেলা প্রতিদিন সময় করে হাঁটতে পারেন তরুণ থেকে বয়স্ক যে কেউ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। তবে প্রতিদিন না হাঁটলে হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে ১৫০ মিনিট হাঁটলেও আপনি সুস্থ থাকবেন। মানে একজন মানুষের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটা জরুরি। যাঁদের শারীরিক অবস্থা ভালো, তাঁরা বেশি সময় ধরেও হাঁটতে পারেন। শারীরিক সক্ষমতার ওপর বেশি সময় হাঁটতে পারেন। কিন্তু কখনোই ৩০ মিনিটের কম হাঁটা উচিত নয়। কারও যদি একবারে ৩০ মিনিট হাঁটার সক্ষমতা না থাকে, তাহলে তিনবার—প্রতিবার ১০ মিনিট করে ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন। অথবা একবার ২০ মিনিট, অন্যবার ১০ মিনিট করে ৩০ মিনিট। যেভাবে হোক আপনার ৩০ মিনিট সময় পূরণ করতে হবে। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের হাঁটার বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কিছু সাবধানতা
সকালে ঘুম থেকে উঠলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিন্তু ঘুম থেকেই উঠেই তাড়াহুড়ো করে হাঁটতে যাওয়া ঠিক নয়। ঘুম থেকে উঠে কিছু সময় বিশ্রাম নিন। সেটা কমপক্ষে ৩০ মিনিট হওয়াই ভালো। এরপর আস্তেধীরে হাঁটতে বের হোন। আর সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারলে দিনটাও আপনার কাছে বেশ বড় মনে হবে। যাঁরা সন্ধ্যায় বা রাতে হাঁটেন, তাঁদের ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দু–তিন ঘণ্টা আগে হাঁটা উচিত।

আপনি সকালে হাঁটুন বা না হাঁটুন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন।


Source:https://www.prothomalo.com/life-style/article/1589238/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8

8
Enforcing fire safety requirements


Over the past few months, Bangladesh has been passing an anxious situation. Banani FR Tower and Gulshan DNCC Market fire incidents are the latest cementation to this misfortune. Before that, the nation witnessed in February a massive fire break-out in old Dhaka's Chawkbazar. The deaths keep piling up and what could be more tragic than this? It seems we are coping with death and grief despite the fact that we all as the human beings deserve protection for our right to life. Buildings are being constructed without following proper guidelines and maintaining minimum safety protocol. If the appropriate codes were followed, the level of loss would have been reduced the undermost.

Rule 17(1) of the Building Construction Rules 1996 requires establishment of the emergency exit gate in every floor connected to its lower floors. It further provides installation of fire extinguisher machine or any other alternative arrangement as much as necessary in a conspicuous place of the building along with fire alarms as an indication to leave the building.

Chapter 4 of the Bangladesh National Building Code 2006 controls the design, construction and arrangement of building components to provide a reasonably safe means of escape therefrom. Buildings shall be evacuated during any repair or alteration works unless the existing means of escape and fire protection system are continuously maintained or other exit and protection measures are taken to provide an equivalent degree of safety. All buildings constructed for human occupancy or storage shall be provided with adequate exit facilities to permit safe and quick unaided escape of the occupants in the event of fire or other emergency. Paragraph 3.3.5 provides that the owner of the building shall be responsible for the safety of all occupants. Usually used stairways or lifts cannot be regarded as emergency exit. This code also enunciates some exit requirements for different occupancies such as health care, educational, institutional, dwelling houses, industries, etc.

In recent cases, we have seen that fighting fire incident in high-rise buildings is of a matter of extreme difficulties for our fire fighters. Pressure on fire fighting equipment in tall building is supposed to be reduced by water supply zones with automatic fire pump or intermediate gravity tank. Unfortunately, in most of the cases, the fire fighters do not find existence of any of such.

Section 4 of the Fire Prevention and Extinction Act 2003 provides that if any person wants to use any building as warehouse or workshop, he shall have to take license from the Directorate General of Fire Service and Civil Defense. Contravention of this section will cause imprisonment for 3 years or fine and the building along with goods kept in it shall be forfeited. Section 7 depicts, notwithstanding anything contained in any other law, without approval of the Directorate General of Fire Service and Civil Defence regarding fire prevention or extinction, no structural design or layout of multi-storied commercial building shall be approved or amended. Section 18 connotes that contravention of section 7 shall be dealt with imprisonment for 6 months or fine. Section 8 (3) directs every owner of the building to take precautions and other measures necessary for public safety. The Fire Prevention and Extinction Act 2003 is supplemented by the Fire Prevention and Extinction Rules 2014 which enumerates that owner of the building shall have to apply for occupancy certificate of the building at the end of the construction (Rule 22). These enable the authority to inspect the building, to examine whether the owner met all the requirements of the building code for the public safety or not.

Source link: https://www.thedailystar.net/law-our-rights/news/enforcing-fire-safety-requirements-1723645

10
*      দেরি না করে কাছের ফায়ার স্টেশনে সংবাদ দিন। অথবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষে ফোন করুন। ফোন নম্বর: ০২-৯৫৫৫৫৫৫ অথবা ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯।

*      শুরুতেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করুন।

RFL Gas Stove*      বহনযোগ্য অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার করুন।

*      বৈদ্যুতিক লাইনে/ যন্ত্রপাতিতে আগুন ধরলে পানি ব্যবহার করবেন না। বহনযোগ্য কার্বন ডাই-অক্সাইড বা ড্রাই কেমিক্যাল পাউডার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করুন। না পেলে শুকনো বালু ব্যবহার করুন।

*      তেল–জাতীয় পদার্থ থেকে লাগা আগুনে পানি ব্যবহার বিপজ্জনক। বহনযোগ্য ফোম–টাইপ ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা শুকনো বালু অথবা ভেজা মোটা কাপড়/ চটের বস্তা দিয়ে চাপা দিন।

*      বাসায় বা অফিসে আগুন লাগলে মূল্যবান জিনিস সরানোর চেষ্টা করবেন না। আপনার ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচানোই এ সময় জরুরি। এক সেকেন্ড সময়ও মূল্যবান।

*      পরিস্থিতি যতটা শান্ত রাখা যায়, বিপদ থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তত বেশি বাড়ে।

*      গায়ে আগুন লেগে গেলে দৌড়াবেন না। গড়িয়ে গড়িয়ে যেদিকে যেতে চান সেদিকে যান। কাপড় দিয়ে নাক ঢাকুন, হাতের কাছে পানি থাকলে কাপড় ভিজিয়ে নিন।

*      সিঁড়িতে ধোঁয়া দেখতে পেলে ওপরে উঠবেন না, ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।

*      ধোঁয়া বাতাসের চেয়ে হালকা, তাই তা দ্রুত ওপরের দিকে ওঠে। ধোঁয়া শ্বাসের সঙ্গে ভেতরে ঢুকলেই বিপদ!

*      সিঁড়ি দিয়ে নামা বিপজ্জনক হলে বারান্দা বা জানালার কাছে চলে যান, এতে হাতে বেশি সময় পাওয়া যায়।

*      ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পথ পরিহার করুন। যেতে বাধ্য হলে উপুড় হয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন। ধোঁয়া ওপরে ওঠে বলে নিচের বাতাসে অক্সিজেন বেশি থাকে।

*      ধোঁয়ায় কিছু দেখা না গেলে ও একাধিক সদস্য থাকলে একজনের পেছনে আরেকজন হামাগুড়ি দেবেন, একে–অন্যের কাপড় বা পা ধরে এগোবেন।

*      বিপদে কিছুক্ষণ পরপর একে–অপরকে সাহস দিলে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

11
যথাযথভাবে নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করলে এবং পরে সচেতন থাকলে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকা যায়। ছবি: ভলিউমজিরো
চুড়িহাট্টা থেকে বনানী—ঢাকার দুই প্রান্ত আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলেপুড়ে ছারখার। মর্মান্তিক দুই দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে অনেক। সবার মনে আতঙ্ক। ঝুঁকিতে আছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের অনেক ভবন। আগুন লাগার আগে সতর্কতা এবং আগুন লাগলে করণীয় নিয়ে কথা বলেছেন চারজন বিশেষজ্ঞ।
জামিলুর রেজা চৌধুরী
জামিলুর রেজা চৌধুরী
সচেতন হলে ঝুঁকি কমে যায়
জামিলুর রেজা চৌধুরী
জাতীয় অধ্যাপক এবং উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক

সাম্প্রতিক সময়ের একাধিক অগ্নিকাণ্ডের পর আমরা পুরোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়নেই আটকে আছি। ২৬ বছর আগে ভবন নির্মাণের নীতিমালা প্রণীত হয়েছিল। এর মধ্যে পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। নতুন প্রযুক্তি এসেছে। ফলে পুরোনো সেই নীতিমালা হালনাগাদ করা হয়েছে। সেটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এটিই আসলে এখনকার প্রাথমিক পদক্ষেপ।

দেশে এখন যেভাবে ভবনগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে উপদেশ বা পরামর্শ কোনো কাজে আসবে না। উন্নত দেশগুলোতে অনেক নিয়মকানুন আছে। যেমন: আগুন লাগলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢাকতে হবে, দরজার নিচের অংশ বন্ধ করে দিতে হবে, যাতে ধোঁয়া না ঢোকে ইত্যাদি। কিন্তু এসব প্রয়োগ করার মতো পরিস্থিতি আমাদের অধিকাংশ ভবনে নেই। তাই ভবন যথাযথ নিয়মে নির্মাণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বনানীর এফ আর টাওয়ারে ইমার্জেন্সি এক্সিট (জরুরি অবস্থায় নামার জন্য সিঁড়ি) বন্ধ ছিল। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ভবন নির্মাণে নিয়ম মানা হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের অভাবও ছিল। তবে আমাদের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিদেশি ক্রেতাদের চাপে অনেকটাই নিয়ম মানছে। তাদের কর্মীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

RFL Gas Stoveফায়ার সার্ভিসকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তাদের জনবল এবং উন্নত যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা এখন জরুরি প্রয়োজন। এ ছাড়া ভবনের বাসিন্দাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাও জরুরি। এ ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস চাইলে সহযোগিতা করবে। আগুন লাগলে কী করতে হবে না হবে, সব তারা দেখিয়ে দেবে। নিজেরা সচেতন হলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

 

মো. ফয়েজ উল্লাহ
মো. ফয়েজ উল্লাহ
আইনের প্রয়োগটাই আসল
মো. ফয়েজ উল্লাহ
মুখ্য স্থপতি, ভলিউমজিরো

Pages: [1]