Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - nmoon

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 16
46
আপনারা পানি দিয়ে গানের সুর তৈরি করা যায় তা কি আগে শুনেছেন ? চলুন দেখে নেওয়া যাক কি ভাবে পানি দিয়ে গানের সুর তৈরি করা যায়।

কি কি লাগবেঃ

৪-৫ টা পানির গ্লাস

একটা পেন্সিল

পরীক্ষাঃ

প্রথমে ৪-৫ টা পানির গ্লাসকে এক লাইনে সাজাবো

তারপর, প্রতিটা গ্লাস ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণের পানি নিয়ে পরিপূর্ণ করি। অর্থাৎ, প্রথম গ্লাসে অল্প পরিমাণ পানি, পরবর্তী গ্লাসে আগের চেয়ে একটু বেশী পরিমাণের পানি নিবো। এভাবে শেষ গ্লাসটিতে সবচেয়ে বেশী পরিমাণ পানি নিয়ে পরিপূর্ণ করবো।

এবার, একটা পেন্সিল দিয়ে যে গ্লাসটিতে সবচেয়ে কম পরিমাণ পানি নেওয়া হয়েছে ও যে গ্লাসটিতে বেশী পরিমাণ পানি নেওয়া হয়েছে তা আঘাত করে দেখি আচ্ছা, আপনি যে দুইটা গ্লাসে আঘাত করেছেন তা কি একই শব্দ উৎপন্ন করছে?
এবার, পেন্সিল দিয়ে বাকি গ্লাসগুলোতে আঘাত করুন। মজার বিষয় হচ্ছে, আপনি প্রতিটা গ্লাস থেকে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ শুনতে পারবেন। এবার একটা ক্রম(Sequence) বজায় রেখে গ্লাসে আঘাত করতে থাকুন, দেখবেন শব্দের ভিন্নতার কারণে একটা সুন্দর সুর আপনি শুনতে পারবেন।


ফলাফলঃ প্রতিটা গ্লাসের শব্দের ভিন্নতা গ্লাসের পানির পরিমাণের উপর নির্ভর করে। যে গ্লাসটিতে সবচেয়ে কম পরিমাণ পানি রয়েছে তার শব্দের তীক্ষ্ণতা সবচেয়ে বেশী ও যে গ্লাসে সবচেয়ে বেশী পরিমাণ পানি রয়েছে তার তীক্ষ্ণতা সবচেয়ে কম।

47
USDA এর একদল গবেষক ১০০ খাবারের উপর গবেষণা করে পেয়েছে যে, প্রতিদিন আপেল খেলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়| গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে, প্রতিদিন অন্তত একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর এল ডি এল কলেস্টরলের মাত্রা কমে আসে| সেই সাথে আরো পাওয়া গেছে যে, আপেল রক্তের চিনির মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন রকম ক্যান্সার ও স্বাস্থ ঝুঁকি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। আপেল অত্যান্ত পরিচিত একটি ফল, যা প্রায় সব ঋতুতেই সব দেশেই পাওয়া যায়|
১। দাঁত ভালো রাখে:
দাঁত দিয়ে আপেল কামড়ে খেলে দাঁতের গোঁড়া শক্ত হয় ও দাঁত পরিষ্কার হয়ে যায়। আপেলের রস দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে দাঁত ভালো থাকে।
২। অ্যালঝেইমার্স প্রতিরোধ:
নতুন গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রতিদিন আপেলের জুস খেলে অ্যালঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। আপেল Neurotransmitter acetylcholine এর একটি ভালো উৎস যা ডাইট ম্যামরির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৩। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে । আপেলের মধ্যে পেকটিন জাতীয় একটি উপাদান থাকে যা শরীরকে কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে। ফুসফুসের ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেলের ভূমিকা আছে।
৪। কোলেস্টেরল কমায়:
আপেলে কোন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই এবং যতটুকু আছে তাও মাত্রায় খুব কম। যেহেতু সবুজ আপেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার উপাদান আছে তা দেহের কোলেস্টেরল মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রতিদিন গড়ে ৩টি আপেল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ সহজ হয়।
৫। হার্ট ভালো রাখে:
আপেল কোলেস্টেরল কমায় কিন্তু স্কিনের যত্ন ন্যায়। আপেলে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদানসমূহ, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে, প্রতিদিন আপেল খেলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়|
৬। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে:
সবুজ আপেলের জৈব এসিড উপাদান আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখে। তাই যদি আপনার বার বার ক্ষুধা লেগে থাকার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সবুজ আপেল খেয়ে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেঃআপেলে পেকটিন নামের একটি উপাদান থাকে। পেকটিন ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৭। সহজেই হজম হয়
আপনি খুব ভারী কোন খাবার খেয়েছেন। চিন্তা করছেন হজম হবে কিনা ঠিকমত। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই ,আপনি একটি সবুজ আপেল খেয়ে নিন। কারণ সবুজ আপেলে আছে এনজাইম উপাদান যা খুব দ্রুত খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে।
আপেল আমাদের দেহের লিভারের যে কোন সমস্যা দূর করে ও পাশাপাশি খাদ্য নালী, পরিপাক নালী ও অন্যান্য নালীর সমস্যা দূর করে। সবুজ আপেল ডায়রিয়ার সমস্যা রোধ করে ও পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য ও বাতের সমস্যা দূর করে এবং বদ হজমের সমস্যাও দূর করে। তাই আপেল যে কোনো সময় খেতে পারেন পেট ভরে। -তথ্যসূত্র: বেস্টহেলথ।

48
উপকরণ:

টকদই ৩ কেজি, মিষ্টিদই ১ কেজি, মালাই দেড় কাপ, আমন্ড বাদাম (কাঠবাদাম) ৪ টেবিল-চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল-চামচ, সরিষা গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বিট লবণ ১ টেবিল-চামচ, পুদিনাপাতা বাটা ২ টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ২ চা-চামচ বা পরিমাণমতো, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া দেড় চা-চামচ, জিরা (টালা গুঁড়া) দেড় চামচ, ধনে (টালা গুঁড়া) দেড় চামচ, টকদই (টক বুঝে) আন্দাজমতো, পানি (দইয়ের ঘনত্ব বুঝে) আন্দাজমতো, বোরহানি বেশি পাতলা হবে না, তেঁতুলের মাড় (বোরহানির টক বুঝে) আন্দাজমতো।

প্রণালি:

দুই কাপ পানির সঙ্গে সব মসলা মিশিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। পাতলা কাপড় দিয়ে দই ছেঁকে নিতে হবে। সব উপকরণ একসঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে।

49
দূর্বাঘাসকে প্রকৃতির প্রিজারভেটিভ হিসেবে শনাক্ত করেছেন একদল বিজ্ঞানী। তারা এটিকে ইকো-ফ্রেন্ডলি ফুড প্রিজারভেটিভ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

এই গবেষণা দলের যৌথ ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের শাস্ত্র ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ন্যানোটেকনোলজি অ্যান্ড অ্যাডভান্স বায়োম্যাটেরিয়ালস এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিসার্স ইন ইন্ডিয়ান সিস্টেম অব মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা। ড. পি মিরা এবং ড. পি ভিন্দার তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা পরিচালিত হয়।

গবেষকদল জানান, তারা গরুর দুধের দই নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা। তারা দেখতে পেয়েছেন দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমানে প্রিজারভেটিভ রয়েছে। এরপর গবেষকদল দূর্বাঘাস নিয়ে গবেষণা করেছেন। দইয়ের মতো দূর্বাঘাসেও পিজারভেটিভ রয়েছে। যা খাবার অনেকদিন সংরক্ষণ করতে পারে।

গবেষকদল দূর্বাঘাসের পাশাপাশি লেমন গ্রাস ও ব্যাম্বু গ্রাস গবেষণার জন্য নিয়েছিলেন। কিন্তু দূর্বাঘাসের মতো আশানুরূপ ফল পাননি। দূর্বাঘাসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক এবং হাইড্রো প্রোবাইসিটি আছে। যা খাবার সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে।

প্রাচীন যুগে মানুষ খাবার সংরক্ষণ এবং ঔষধি গুণের জন্য নানা কাজে দূর্বাঘাস ব্যবহার করতো। দূর্বাঘাসের বৈজ্ঞানিক নাম Cynodon dactylon Pers। এটি Gramineas পরিবারভুক্ত।

50
বিশ্বের বেদনাদায়ক যে কোনও রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম ব্যাথা নিরাময়ক হিসেবে প্যারাসিটামল সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটা এখন জ্বরে আক্রান্ত ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ মতো সিরাপ হিসেবেও খেয়ে থাকে, কারন এটা শরীরের তাপমাত্রাকে কমিয়ে দেয়। তাই, ইহা সত্য হতে পারে, যেমনটা একটা বাতগ্রস্ত রোগ কাহিনী প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে যে, ইহা যদি উচ্চ মাত্রায় দীর্ঘ সময় সেবন করা হয় তাহলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া এবং স্ট্রোক এর ঝুকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

লেখক পর্যায়ক্রমে ১,৮৮৮ বিষয়ে গবেষনা এবং পর্যালোচনা করে পেয়েছেন যে ৮টি বিষয় তার অবস্থানে সঠিক আছে। তাদেরকে ঠিক এভাবে তুলনা করা যেতে পারে যেমনঃপ্রাপ্ত বয়স্ক অথবা বৃদ্ধ কোনও ব্যক্তি(০.৫গ্রাম-১গ্রাম থেকে ৪গ্রাম ১ দিনে)যে কিনা পরিমিত প্যারাসিটামল সেবন করে, তার সাথে যে কিনা কোনও ওষুধ সেবন করে না। আমেরিকাতে একটি মহিলা সেবিকাদের উপর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে তারা এক সপ্তাই ১৫ টি প্যারাসিটামল গ্রহন করেছিল এবং এর ফলে ৬৮% হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বেড়েছে। সুতরাং, আমাদের কি প্যারাসিটামল সেবন করার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত নয় কি?

বিভিন্ন দেশের এবং বিভিন্ন বিষয়ের দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল এবং ফলাফল ছারা গবেষনাগুলোকে বিভক্ত করা হয়েছিল। আপনি যদি সব বিষয় না জানতে পারেন, যে কি কারনে কি হচ্ছে? তাহলে এর ফলাফল বিবেচনা করা যাবে না সঠিকভাবে। কিছু মানুষ যারা সর্বদা প্যারাসিটামলের উপর সর্বদা নির্ভরশীল তাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগ এবং স্ট্রোক এর ঝুকি বাড়বে যেটা চিকিৎসার ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল। লেখক বলেছে এক্ষেত্রে আরও গবেষনার প্রয়োজন।

প্যরাসিটামল আজকাল ড্রাগ হিসেবে অতিমাত্রায় সেবনের জন্য ব্যবহিত হচ্ছে, যেটা কিনা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যা কিনা তোমার মৃত্যুর খুব ভালো কারন-ইহা প্রতি বছর ৯০ এবং ১৫০ লোকের লিভারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুর কারন ঘটায়। এই লিভারের কার্যক্রম প্যরাসিটামলের কারনে কমে আসে, কিন্তু স্বাভাবিক পথ অতিরিক্ত লোড হয়, আর অন্যদিকে অন্য পথে অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করতে বাধা দেয়।

তবে এক্ষেত্রে আই রাসায়নিক পদার্থ যদি শরীরে সঠিকভাবে প্রতিরোধ করা না যায়, তখন প্যরাসিটামলের উপাদানগুলো লিভারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোগ্রাম প্যরাসিটামল সেবন করলে লিভার নষ্ট হয়ে যায়। অতিমাত্রাই প্যরাসিটামল গ্রহন করলে নিদ্রাচ্ছন্ন ভাব অনুভুত হই না বরং ২৪ ঘণ্টায় খুব ভালো অনুভুত হয়।

সবশেষে বলা যায়, আমাদের যখন তখন জ্বর, যেকোনো ব্যাথা নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্যরাসিটামল খাওয়ার অভ্যাস এখন থেকে তাগ করতে হবে। সূত্র: গার্ডিয়ান।

51
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিক এর সমস্যা অনেক প্রকট রূপ ধারণ করেছেন। এর জন্য বিভিন্ন ধরণের ঔষধ আবিষ্কার করা হচ্ছে। বিভিন্ন খাদ্য তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। তবে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চললে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই, ডায়াবেটিককে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিচের খাবারগুলো খাওয়া শুরু করেন-

১. খেজুর:
খেজুর একটি কালো ও আঠালো ফল যার স্বাদ মিষ্টি। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারনে ডায়াবেটিকের রোগীরা স্বাচ্ছন্দ্যে এই খাদ্য খেতে পারেন। একটি সমীক্ষায় পাওয়া গেছে, আঙ্গুর, কমলা ও মরিচের তুলনায় এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেশী। তাই, নিশ্চিন্তে ডায়াবেটিক এর রোগীরা খেজুর খেতে পারেন।


২. দুধ:
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হল দুধ। রক্তের শর্করার জন্য সবচেয়ে ভালো দুধ। দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করলেও কোন সমস্যা নেই। তবে তার উপাদান ও উপকরনের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখুন। কুটির পনির ও কম চর্বিযুক্ত দই খেতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবে না। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় দুধ, পনির অথবা দই খেতে পারেন।

৩. শণের বীজ:
শণের বীজ এ ফাইবার ও আলফা লিনলেনিক এসিড রয়েছে। যা শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সরবরাহ করে। এছাড়া শণের বীজ রক্তের শর্করা কমায়, কোলেস্টেরল কমায়, হার্টের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায় ইত্যাদি। সকালে ওটমিল এর সাথে বা পনিরের সাথে শণের বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন।

৪. শিম:
শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এতে আপনি নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করবেন। আমরা আগেই জেনেছি, ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ফেলে ও কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়াও এতে ক্যালসিয়াম থাকার কারনে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলে। প্রতিদিন সালাদ এর সাথে বা স্যুপ এর সাথে শিম খেতে পারেন।

৫. ওটমিল:
ওটমিল রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু, ওটমিলকে মিষ্টিজাতীয় খাদ্যে রূপান্তর করে খাওয়া যাবে না। ওটমিল একটি ভালো কার্বোহাইড্রেড খাদ্য।

আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা যায়, এতে ভালো ফাইবার রয়েছে, যা হজম এর গতি ধীর করে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
শুধু ভালো কার্বোহাইড্রেড এর জন্যই নয়, এতে থাকা ফাইবার এর কারনে শরীরের ওজন হ্রাস পায়।

উপরের এই পাঁচটি খাদ্য আপনি যেকোনো সময়, যেকোনো পরিমাণে খেতে পারেন। তাই, এখন থেকে কম কম খাওয়ার চিন্তা ছেড়ে দিন।–সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।


52
৪) দেহের বিভিন্ন অংশে লাল ও সাদা রঙের ব্রণ ওঠা
মুখ, বাহু, উরু এবং দেহের পিঠের নিচের পেছনের অংশে লাল ও সাদাটে রঙের ব্রণ উঠলে আমরা তা নিয়ে একটুও ভাবি না। কারণ আমাদের কাছে ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা এবং যত্ন ও হরমোনের তারতম্যের কারণে ঘটা ব্যাপার। কিন্তু আসলে দেহের এইসকল স্থানে লালচে ও সাদাটে রঙের ব্রণ উঠা ভিটামিন এ ও ডি এবং এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবের লক্ষণ।

ভিটামিনের অভাব পূরণঃ একটানা অনেকক্ষণ এসি ঘরে থাকবেন না, সূর্যের আলোতে বের হন, প্রচুর পরিমাণে মাছ, শাকসবজি ও ডিম রাখুন খাদ্য তালিকায়।

৫) হাতে পায়ে ঝি ঝি ধরা এবং পায়ের পেছনের অংশে ব্যথা অনুভব
হাতে পায়ে ঝি ঝি ধরা, পায়ের পাতা, তালু এবং পায়ের পেছনের অংশে ব্যথা অনুভব করার সমস্যায় পড়েন কমবেশি অনেকেই। আমরা ধরেই নেই এসকল সমস্যার কারণ একটানা বসে থাকা ও নার্ভে চাপ পড়া। কিন্তু এই সমস্যাগুলোর মূলে রয়েছে ওয়াটার স্যলুবল বি ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব।

ভিটামিনের অভাব পূরণঃ সবুজ শাক, কাঠবাদাম, তাল, কমলা, কলা, চীনাবাদাম, ডাবের পানি, কিশমিশ, কাজু বাদাম ইত্যাদি রাখুন খাদ্যতালিকায়।

53
সঠিক পরিমাণে খাবার না খাওয়া এবং দেহের পরিমিত ভিটামিনের চাহিদা পূরণ না হওয়ার কারণে শরীরে দেখা দেয় ভিটামিনের অভাব। স্বাদের কথা ভেবে যখন আমরা আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে নানা ধরণের ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিই, যার প্রতিফল হিসেবে শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয় না এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যার কারণে আমরা ভুগি নানা ধরণের রোগে। লক্ষণ বোঝা গেলে একটু হলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব এই ভিটামিনের চাহিদা, কিন্তু যদি লক্ষণ টের না পাওয়া যায় তাহলে বাড়তেই থাকে সমস্যা। কিন্তু ভিটামিনের অভাব দেহে হলে অদ্ভুত ধরণের কিছু লক্ষণ দেখা যায় যার সাথে অনেকেই পরিচিত নন।

১) দেহের নানা অংশ অবশ হয়ে যাওয়া

দেহের নানা অংশে অবশবোধ হওয়া খুবই সাধারণ একটি লক্ষণ। অনেকসময় আমরা ভাবি একটানা একভাবে বসে থাকা কিংবা নার্ভের ওপর চাপ পড়ার কারণে এটি ঘটে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ভিটামিন বি৯, বি৬ এবং বি১২ এর অভাব দেহে হলে এই লক্ষণটি দেখা দেয়। এছাড়াও ভিটামিনের অভাবের কারণে বিষণ্ণতা, রক্তস্বল্পতা, দুর্বলতা এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায়।

ভিটামিনের অভাব পূরণঃ সামুদ্রিক মাছ, লাল চালের ভাত, বাদাম, ডিম, মুরগীর মাংস, কলা, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং সবুজ শাক রাখুন খাদ্যতালিকায়।

২) লালচে ও আঁশ ওঠা ধরণের র্যা শ এবং অতিরিক্ত চুল পড়া
আমরা ধারণা করি মুখের ত্বকে লালচে ও আঁশ ওঠা ধরণের র্যা শ এবং অতিরিক্ত চুল পড়া যত্নের অভাব এবং কোনো কসমেটিকের জিনিস ত্বকের সাথে মানানসই না হওয়ার লক্ষণ। কিন্তু এটি কোনো ধরণের কেমিক্যালের প্রভাব নয় বা যত্নের অভাব নয়। এটি ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন), ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর অভাবজনিত সমস্যার লক্ষণ।

ভিটামিনের অভাব পূরণঃ মাছ, ডিম, মাশরুম, ফুলকপি, বাদাম ও কলা রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।

৩) ঠোঁটের কিনারে ফেটে যাওয়া
ঠোঁট ফাটা এবং ঠোঁটের কিনার ফাটা একই জাতীয় সমস্যা বলে ভুল করে থাকি আমরা। আমরা মনে করে ঠোঁট ফাটার মতোই ঠোঁটের কিনার ফাটা শীতকালের সমস্যা অথবা একটু পানিশূন্যতার লক্ষণ। কিন্তু এই সামান্য ঠোঁটের কিনার ফেটে যাওয়া ভিটামিন বি৩, বি২ ও বি১২ এবং আয়রন, জিংক ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠনকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনের অভাবের লক্ষণ।

ভিটামিনের অভাব পূরণঃ সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মুরগীর মাংস, টমেটো, চীনাবাদাম, ডাল, দই, পনির, ঘি এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়।

54

চুল কি শুধু বয়সের কারণেই পাকে? না, চুল ধূসর বা সাদা হয়ে যাওয়ার অন্তরালে রয়েছে আরও অনেক কারণ । অনেককেই দেখবেন অল্প বয়সেই চুল ধূসর হয়ে গিয়েছে, আবার অনেকের বয়স হওয়া সত্ত্বেও চুলে পাক ধরেনি । এর পেছনে জিনগত কারণ তো আছেই, আবার আছে লাইফ স্টাইল ও খাবারের ভূমিকাও । আসুন জেনে নেওয়া যাক, এমন কিছু খাবারের কথা, যেগুলো চুল পাকার গতিতে করবে মন্থর, অকালে চুল পাকতে দেবে না এবং ধরে রাখবে আপনার যৌবন ।

১. বেরি জাতীয় ফল
নানান রকম বেরি জাতীয় ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেনট । দেশি হোক বা বিদেশি, খাদ্য তালিকায় রাখুন প্রতিদিন বেরি জাতীয় ফল । এই দুটি উপাদানই স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত জরুরী । এরা কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায় ও অতিরিক্ত ফ্রি র্যা ডিকালকে নিস্ক্রিয় করার মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ধীর করে তথা আপনার যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে ।

২. সবুজ শাকসবজি
সকলেই জানেন যে সবুজ শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ডায়েটারি ফাইবার । একই সাথে আছে ভিটামিন বি, যা মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । চুলের যে কোন সমস্যা প্রতিরোধ করে ভিটামিন বি । হ্যাঁ, চুল সাদা হয়ে যাওয়াকেও ।

৩. ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ
মাছে অবশ্যই উচ্চ মাত্রার প্রোটিন আছে যা আপনার হাড়, চুল, ত্বক সবকিছুর জন্যই জরুরী । এছাড়াও সামুদ্রিক মাছগুলোতে আছে উচ্চ মাত্রার ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ও সেলেনিয়াম, যা শরীরে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরিতে ভূমিকা রাখে । সাথে অ্যান্টি অক্সিডেনট তো আছেই ।

৪. চকলেট
চিনি বিহীন কিংবা স্বল্প চিনিযুক্ত চকলেটে আছে প্রচুর পরিমাণে কপার যা মেলানিন তৈরিতে সহায়ক । এই মেলানিনই আমাদের চুলের রঙ কালো করার ভূমিকা পালন করে । সারাদিনে একটুখানি চকলেট খেলে কোনও ক্ষতি নেই ।

৫. কাঠবাদাম
চকলেটের মত কাঠবাদামেও আছে প্রচুর কপার যা মেলানিনের পরিমাণ ঠিক রাখে । এছাড়া আছে প্রচুর ভিটামিন ই যা সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য খুবই জরুরি ।

55
কম কলেস্টেরল: মাশরুম খুব কম ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার । এতে কোলেষ্টরল নেই, চর্বির পরিমাণ অত্যন্ত কম (২-৮%) কিন্তু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড ও লিনোলোয়িক এসিড রয়েছে।

কার্বোহাইড্রেট: মাশরুমের পরিমিত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও যথেষ্ট আঁশ (৮-১০%) থাকে। এতে স্টার্চ নেই। শর্করার পরিমাণ কম বিধায় বহুমূত্র রোগীদের জন্য মাশরুম আদর্শ খাবার।

মিনারেলসের : মাশরুম মিনারেলসের ও একটি ভালো উৎস। এতে পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক ও কপারের একটি আদর্শ পরিমাণ। যা মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় অধিকাংশ ভিটামিন এবং সব মিনারেলসের জোগান দিতে পারে।

সেলেনিয়াম: এটি কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ এবং ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

পটাসিয়াম : মাশরুমে পটাসিয়াম, ইরিডেটিন, লোভাষ্টেটিন এবং এনটাডেনিন থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুকি কমায় এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ: ফসফরাস, দস্তা, এবং ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালোরি, এবং সোডিয়াম।

মাশরুম সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন এক ধরনের অভিজাত সবজি। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের মাশুরুম চাষ হচ্ছে। মাশরুম দ্বারা জ্যাম, জেলি, আচার, ইত্যাদি তৈরি করা যায় । রুপ চর্চাতেও মাশরুমেরব্যবহার আছে । মুখের কাল দাগ দূর করা, মুখের রঙ উজ্জল করা, ত্বকের তৈলাক্ত ভাব
দূর করা, চুল পড়া রোধ করা ইত্যাদিতে পাউডার মাশরুম অত্যন্ত উপকারি। -সূত্র: মাশরুম এপ্রেক্সিশন।

56
মূলত, বিজ্ঞানের একটি দীর্ঘ প্রচেষ্টার সমৃদ্ধ ছত্রাক হচ্ছে মাশরুম। বর্তমানে এটি পরিছন্ন পরিবেশে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষ করা সুস্বাদু, পষ্টিকর এবং ভেষজগুণে ভরপুর ক্লোরোফিলবিহীন উদ্ভিদ এবং এক প্রকার সবজি হিসেবেই অধিক পরিচিরত।

মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি খাবার। এর পৌষ্টিক মান এর কারনে খেতে পারেন যে কোনো ভাবে। আচার বা সালাদ করেও খেতে পারেন। মাশরুম কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যাতে আছে প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ। এতে শর্করা রোধক বেশ কিছু উপাদানও রয়েছে।

এবার মাশরুমের পুষ্টি গুন এর দিকে তাকান। কেনো মাশরুম খাওয়া উচিৎ এবং ইহা থেকে যে সকল পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তা নিচে দেওয়া হলঃ

প্রোটিন: এতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এ প্রোটিনে আছে মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সব এমাইনো এসিড। যার জন্য এ প্রোটিনটি প্রাণিজ প্রোটিনের মতো একটি সম্পূর্ণ প্রোটিন। কিন্তু প্রাণিজ প্রোটিনের মতো এতে কোলস্টেরল না থাকায় এবং ফ্যাট কম থাকায় সব বয়সের মানুষের জন্য এবং রোগীদের জন্যও আদর্শ খাবার

ফাইবার: ফাইবার: কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং পরিপাক সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নায়াসিন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন বি: প্রাণীর টিস্যুর নির্দিষ্ট ভিটামিন বি পাওয়া যা উদ্ভিদে পাওয়া যায় না, এটি নিরামিশীদের জন্য একটি ভাল সম্পূরক খাবার হতে পারে।

ভিটামিন ডি: ক্যালসিয়াম শোষণ এর জন্য অপরিহার্য।

কপার: শরীরের অক্সিজেন শোষণ করে এবং লোহিত কণিকা তৈরি করে। এটি এইচআইভি প্রতিরোধ করে।

57
৪) প্রতিদিন জিরা খাওয়ার ফলে হজমের নানা সমস্যার সমাধান হয়। জিরার এনজাইম হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

৫) জিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও দেহের টক্সিন দূর করতে জিরার জুড়ি নেই।

৬) জিরার আয়রন দেহের মেটাবোলিজম সিস্টেম উন্নত করে এবং দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক পরিচালনা নিশ্চিত করে।

৭) মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করতেও জিরা অনেক কার্যকরী। কারণে মাসিক চক্রকে জিরা স্টিমুলেট করে।

৮) জিরার অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক উপাদান ক্যান্সারের কোষ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সারের কোষ বাড়তে বাঁধা প্রদান করে।

৯) জিরা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে বিশেষ সহায়তা করে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

১০) জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ায়। এতে করে দূর হয় রক্তস্বল্পতার সমস্যা।-সূত্র: হেলথডাইজেস্ট।

58
রান্নায় স্বাদ বাড়ানোতে জিরার জুড়ি নেই। সাধারণ রান্নায় বুঝে শুনে কয়েক দানা জিরা দিয়ে দিলেই রান্নার স্বাদ হয়ে যায় দ্বিগুণ। যদিও সাধারণ অবস্থায় জিরার গন্ধ একটু কড়া ধরণের কিন্তু রান্নার পর খাবারের ঘ্রানে জিরা যোগ করে নতুন এক মাত্রা। তবে খাবারের স্বাদ গন্ধ বাড়ানোই কিন্তু জিরার কাজ নয়। রান্নায় জিরার ব্যবহার আমাদের নানা ধরণের মারাত্মক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কারণ খুব সাধারণ দেখতে এই জিরার রয়েছে অসাধারণ কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

১) জিরার মেডিক্যাল প্রোপার্টিস কিডনির পাথর প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং কিডনির সমস্যা জনিত নানা রোগের সমস্যা সমাধান করে।

২) যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন জিরা তাদের জন্য মহৌষধ। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১ কাপ জিরার চা পান করে নিন। পানিতে জিরা ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এর সাথে রাখুন কলা। ব্যস, দেখবেন খুব সহজেই ঘুম চলে আসবে।

৩) জিরার ভিটামিন সি ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, ফ্লু, অ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।

59
তেজপাতা সুগন্ধি মসলা। কাঁচা পাতার রং সবুজ আর শুকনো পাতার রং বাদামি। এটি শুধু মসলা হিসেবেই পরিচিত নয়, এর অনেক ঔষধি গুণও আছে।

উপকারিতা:

*পানিতে তেজপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের অ্যালার্জি সমস্যা কমবে।

*৭ গ্রাম তেজপাতা ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ২ কাপ করে নিন। এরপর ওই পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। গলাভাঙা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।

*প্রতিদিন রং চায়ের সঙ্গে তেজপাতা খেলে ত্বকের সতেজতা ঠিক থাকবে।

*চোখ ওঠা ও ফোড়া হলে তেজপাতা সিদ্ধ পানি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এ ছাড়া ফোড়ার ওপর তেজপাতা বেটে প্রলেপের মতো করে দিলে ব্যথা কমবে।

*তেজপাতা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। তাই তেজপাতার গুঁড়া, শসা, মধু, দই ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন।

*যাঁদের সময় কম তাঁরা তেজপাতার গুঁড়া গোলাপজলে মিশিয়েও তা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন।

*সাবানের পরিবর্তে তেজপাতা বাটা শরীরে মেখে গোসল করুন। এতে ময়লা পরিষ্কার হবে।

*তেজপাতা চূর্ণ দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ির ক্ষত দ্রুত চলে যাবে।

60
বয়সের কারণে যারা চোখে কম দেখতে পান তাদের জন্য দারুণ সুখবর এটি। বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের লেন্স আবিষ্কার করছেন যা দিয়ে দৃষ্টিক্ষণমতা অন্তত তিনগুণ বাড়ানো সম্ভব।

সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী এ বিশেষ ধরনের লেন্স নিয়ে কাজ করছেন। ১.৫৫ মিলিমিটার পুরুত্বের এ লেন্সটিতে থাকবে অনেকগুলো আয়না এবং ফিল্টারের তৈরী একটি প্রতিফলক দূরবীণ। আলো যখন চোখে প্রবেশ করবে তখন এ প্রতিফলক দূরবীনটি কোন বস্তু বা ব্যক্তিকে আরো স্পষ্ট দেখতে সাহায্য করবে। আশা করা হচ্ছে বিশেষ এ লেন্সটির সাহায্যে বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের তৃতীয় বৃহত্তম কারন 'বয়সের কারণে অন্ধত্ব' বা age-related macular degeneration (AMD) অনেকটাই নিরাময় করা সম্ভব হবে।

চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াই এএমডির মুল কারণ। যদিও এ রোগের প্রতিকার পাওয়ার জন্য এখন অল্প কিছু পদ্ধতি ও চিকিৎসা আছে। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের গবেষক এরিক ট্রিম্বলে মনে করেন, এএমডি এখনো সবচেয়ে বড় সমস্যা, যেখানে এ ধরনের কন্টাক্ট লেন্স এসব সমস্যার উত্তম প্রতিকার হতে পারে।

ট্রেম্বলি এই লেন্সটির অপটিক্যাল ডিজাইন করেছেন। এ লেন্সটিতে তিনি একটি বিশেষ টেলিস্কোপ বা দূরবীন সংযোজন করেছেন। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু এএমডি রোগীর চোখে এ লেন্সটি লাগানোর পরে পজিটিভ ফিডব্যাক পেয়েছেন তিনি। ট্রেম্বলি বলেন, এএমডি সমস্যা দূরীকরণের সহজ উপায় এ কন্টাক্ট লেন্স।

এ লেন্সটির মাধ্যমে একজন মানুষ তার আশপাশের মানুষজনকে স্পষ্ট করে দেখতে পারবেন। কিংবা পত্রিকার একটি বিশেষ শব্দকে আরো স্পষ্ট করে দেখতে চাইলে তাও করা যাবে অথবা গাড়ি চালানোর সময় দূরের কোন গাড়ির দিকে লক্ষ রাখা যাবে।

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 16