Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sisyphus

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7
61
মোল্লা নাসিরউদ্দিন একবার বাজার থেকে খাসির গোশত কিনে আনলেন। স্ত্রীর হাতে দিয়ে বললেন,"অনেকদিন গোশত খাইনি। ভালো করে রাঁধো যেন খেয়ে মজা পাই।" মোল্লা'র স্ত্রীও অনেকদিন গোশত খায়নি। তাই রান্নার পর একটু একটু করে খেতে খেতে সবটা গোশতই খেয়ে ফেলল। মোল্লা খেতে বসলে তাঁর স্ত্রী মুখ কাঁচুমাচু করে বললেন, "আজ আর তোমার বরাতে গোশত নাই, সব গোশত বিড়ালে খেয়ে ফেলেছে।"

নাসিরউদ্দিন অবাক হয়ে বলল: পুরো এক সের গোশতই বিড়াল খেয়ে ফেলল?'

স্ত্রী বলল: তাহলে আমি বলছি কি!

স্ত্রীর কথা মোটেই বিশ্বাস করল না মোল্লা। তখনই বিড়ালটাকে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে দেখল র ওজন ঠিক এক সের। মোল্লা বলল,'এটাই যদি সেই বেড়াল হয়, তাহলে গোশত কোথায়?  আর এটা যদি গোশতের ওজন হয় তাহলে বেড়ালটা গেল কোথায়?'

62
নাসিরুদ্দিন হোজ্জা তখন কাজী। বিচার আচার করেন। একদিন বিচারে বসেছেন। বাদি মামলার আসামির সম্পর্কে যেসব অভিযোগ করছেন হোজ্জা তা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। বাদীর বলা শেষ হয়ে মাথা ঝাকিয়ে বললেন, হুমম, তোমার কথাই ঠিক।

এ কথা শুনে আসামি বলে উঠল, হুজুর, আমার কিছু কথা ছিল। হোজ্জা বললেন, ঠিকাছে, বলো তুমি কী বলতে চাও? আসামির বক্তব্যও মনোযোগ দিয়ে শোনার পর হোজ্জা বললেন,হুমম, তোমার কথাও ঠিক।

হোজ্জার স্ত্রী পর্দার আড়ালে এতক্ষণ সব কথা শুনছিলেন। বিরক্ত হয়ে স্বামীকে তিনি বললেন, দুইজনের কথাই ঠিক হয় কিভাবে? হয় আসামির কথা ঠিক না হয় বাদির কথা ঠিক।

হোজ্জা স্ত্রীর দিকে ফিরে হাসি দিয়ে বললেন, হুমম, তোমার কথাই ঠিক।

63
পরমানু মডেলের জনক নীলস বোর এমনিতেই ছিলেন খুব শান্ত শিষ্ট মানুষ । এটা তার ছেলে বেলার ঘটনা।স্কুলে ফাইনাল পরীক্ষা চলছে । তার মা তাকে নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। ছেলেটা পরীক্ষা কেমন দিচ্ছে তা কোন দিনই বলেনা। তাই পরীক্ষা থেকে ফিরে এলে মা প্রতিবারই প্রশ্ন করে “কেমন পরীক্ষা দিয়েছ নীলস বোর”। নীলস বোরের বিরক্তমুখে একই কথা “ভালই”। আর কিছুই সে বলত না। তো একদিন যথারীতি পরীক্ষা শেষে মা জিজ্ঞেস করলেন পরীক্ষার কথা। নীলস বোর সাথে সাথে তার পরীক্ষার খাতা বের করে বলল “প্রতিদিনই তুমি একই কথা জিজ্ঞেস করো,তাই আজ খাতা নিয়ে আসলাম, এবার দেখ আমি কেমন পরীক্ষা দেই !

64
টমাস আলভা অ্যাডিসনের গ্রামোফোন আবিষ্কার উপলক্ষে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এক তরুণী তাঁর বক্তৃতায় অ্যাডিসনকে অযথাই আক্রমন করে বসল, ‘কী এক ঘোড়ার ডিমের যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করতেই থাকে। আর তাই নিয়ে এত মাতামাতি! ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না…।’ তরুণী বলেই যাচ্ছে। থামার কোনো লক্ষণ নেই।
অ্যাডিসন চুপ করে শুনে গেলেন। বক্তৃতা দিতে উঠে তিনি বললেন, ‘ম্যাডাম, আপনি ভুল করছেন। আসলে সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করার যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ঈশ্বর। আমি যেটা আবিষ্কার করেছি সেটি ইচ্ছেমতো থামানো যায়।’

65
শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক নেপাল রায়কে রবীন্দ্রনাথ একবার লিখে পাঠালেন, ‘আজকাল আপনি কাজে অত্যন্ত ভুল করছেন। এটা খুবই গর্হিত অপরাধ। এজন্য কাল বিকেলে আমার এখানে এসে আপনাকে দণ্ড নিতে হবে।’ চিন্তিত, শঙ্কিত নেপালবাবু পরদিন শশব্যস্তে কবির কাছে উপস্থিত হলেন। আগের রাতে দুশ্চিন্তায় তিনি ঘুমাতে পারেননি। এখনো তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ উত্কণ্ঠার মধ্যেই বসিয়ে রেখেছেন কবিগুরু। অবশেষে পাশের ঘর থেকে একটি মোটা লাঠি হাতে আবির্ভূত হলেন কবি। নেপালবাবুর তখন ভয়ে কাণ্ডজ্ঞান লুপ্তপ্রায়। তিনি ভাবলেন, সত্যি বুঝি লাঠি তাঁর মাথায় পড়বে। কবি সেটি বাড়িয়ে ধরে বললেন, ‘এই নিন আপনার দণ্ড! সেদিন যে এখানে ফেলে গেছেন, তা একদম ভুলে গেছেন।’

66
এক জনসভায় চার্চিলের বক্তৃতা শুনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক মহিলা বিরক্ত হয়ে বলে ফেললেন-’যদি আপনি আমার স্বামী হতেন,তাহলে আমি আপনাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতাম।’ চার্চিল একথা শুনতে পেয়ে তার দিকে ফিরে হেসে বললেন- “ম্যাডাম ! সেক্ষেত্রে আপনি আমার স্ত্রী হলে আমি নিজেই বিষ খেয়ে মরে যেতাম!”

67
‘পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে’ সে সম্পর্কে একবার বক্তৃতা করছিলেন বারট্রান্ড রাসেল। বক্তৃতার মাঝখানে এক বৃদ্ধলোক দাঁড়িয়ে রাসেলের কথার প্রতিবাদ করে বললেন ‘ওহে তরুণ তুমি বেশ বুদ্ধিমান এতে কারো সন্দেহ নেই। তবে পৃথিবী যে চ্যাপ্টা আর তা কচ্ছপের পিঠে করে বয়ে বেড়াচ্ছে তা মনে করেছ আমরা জানিনা!’ রাসেল বৃদ্ধের কথা শুনে অবাক হলেন। প্রশ্ন করলেন ঠিক আছে। তাহলে আপনি এবার বলেন, ওই কচ্ছপটা কিসের ওপর দাঁড়ানো? বৃদ্ধ একটু ঘাবড়ে গিয়ে বললেন হু, আমি তোমাকে বলে দেই আর তুমি তা শিখে ফেল আর কী!

68
মহাত্মা গান্ধী ইংল্যান্ডের রাজার সঙ্গে চা খেয়েছিলেন খালিগায়ে শুধুমাত্র ধুতি পরে। চা খেয়ে ফিরে এলে তাকে ব্রিটিশ সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, রাজার সামনে বসে আপনার কী মনে হয়নি আপনার পোশাকের ঘাটতি ছিল? মহাত্মা গান্ধী উত্তর দিয়েছিলেন ‘আপনাদের রাজা একাইতো আমাদের দুজনকে ঢাকার মতো যথেষ্ট পোশাক পরেছিলেন’।

69
অনেক বছর আগের কথা। সে সময় আমেরিকান ট্রেনগুলো বেশ ধীরগতিতে চলত। লেট করত ঘণ্টার পর ঘা। সকাল ৮টার ট্রেন রাত ৮টায় আসবে কি না সে বিষয়ে সবাই থাকত সন্দিহান। এমনই এক সময়ে বিখ্যাত রম্যসাহিত্যিক মার্ক টোয়েন একবার কোথাও যাওয়ার জন্য ট্রেনে চেপে বসে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর কামরায় উঠল টিকিট চেকার। মার্ক টোয়েন গম্ভীর মুখে চেকারের দিকে একটা 'হাফ টিকিট' বাড়িয়ে দিলেন। বুড়ো মানুষের হাতে 'হাফ টিকিট' দেখে টিকিট চেকার অবাক! তাঁর প্রশ্ন, 'কী মশাই, আপনি হাফ টিকিট কেটেছেন কেন? গোঁফ-মাথার চুল সবই তো সাদা। আপনি কি জানেন না চৌদ্দ বছরের বেশি হলে তার বেলায় আর হাফ টিকিট চলে না?' মার্ক টোয়েনের সোজা জবাব, 'যখন ট্রেনে চড়েছিলাম, তখন তো বয়স চৌদ্দই ছিল। কে জানত, ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতে এত লেট করবে!'

70
মার্কিন ধনকুবের অ্যান্ড্র কার্নেগি ছিলেন তার সময়ের সবচেয়ে বড় ধনকুবের। তিনি ছিলেন বস্তির ছেলে। তার বয়স যখন বারো বছর তখন খেলার জন্য একবার তিনি পাবলিক পার্কে ঢুকতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার পোশাক এত মলিন ও নোংরা ছিল যে সেই পার্কের দারোয়ান তাকে পার্কে প্রবেশ করতে দেয়নি। সেদিন তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, একদিন তার টাকা হবে আর তিনি এই পার্কটি কিনে ফেলবেন। ধনকুবের হওয়ার পর কার্নেগি ওই পার্কটিই কিনেছিলেন এবং পার্কে নতুন একটি সাইনবোর্ডও লাগিয়ে ছিলেন। তাতে লেখা ছিল ‘আজ থেকে দিনে বা রাতে যে কোনো সময়ে যে কোনো মানুষ যে কোনো পোশাকে এই পার্কে প্রবেশ করতে পারবে।’

71
একটা ছাগল হাঁটছিল, নিউটন এটাকে ধরে থামালেন আর তখন ১ম সুত্র আবিস্কার হলঃ "একটি বস্তু কে যতক্ষণ পর্যন্ত থামান না হয় তা চলতে থাকে।" ... এর পর নিউটন ছাগল টিকে (F) বল এ একটা লাথি দিলেন ছাগলটা বলে উঠলো "ম্যা" ( MA) আবিস্কার হল দ্বিতীয় সুত্র: F=MA.
এর পরই ছাগলটি নিউটন কে কষে একটা লাথি দিল আর নিউটন আবিস্কার করলেন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুত্র!...
আর তা হলঃ . . . . . . "সকল ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে !"

72
গোপাল একবার হয়েছিল। তো একদিন ভোরবেলায় এক লোক এসে ডাকতে লাগল, ‘গোপাল? গোপাল?’ গোপাল ভাঁড় কোনো উত্তর না দিয়ে শুয়েই রইল। এবার লোকটা চিৎকার করে ডাকতে লাগল, ‘মোড়ল সাহেব, মোড়ল সাহেব।’ এবারও গোপাল কোনো কথা না বলে মটকা মেরে শুয়ে রইল। গোপালের বউ ছুটে এসে বলল, ‘কী ব্যাপার, লোকটা মোড়ল সাহেব মোড়ল সাহেব বলে চেঁচিয়ে পড়া মাত করছে, তুমি কিছুই বলছ না!’ গোপাল কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, ‘আহা, ডাকুক না কিছুক্ষণ, পাড়ার লোকজন জানুক আমি মোড়ল হয়েছি।’

73
কি আজব কলে রসিক বানিয়েছে কোঠা।।
শূন্যভরে পোস্তা করে তার উপর ছাদ আঁটা।।
           অনন্ত কুঠরি থরে থর
           চারদিকে আয়না-মহল তার
হাওয়ার পথ নাই, রূপ দেখা যায় মণি-মাণিক্যের ছটা।।
           যেদিন যাবে রসিক চাঁদ সরে
           হাওয়ার প্রবেশ হবে সেই ঘরে
নিভাইলে রসের বাতি ভেসে যাবে সব ঘটা।।
           দেখিতে বাসনা যার হয়
           দিল-দরিয়ায় ডুবলে দেখা যায়
লালন বলে, কল ছুটিলে কার আর দেখবি কেটা।।

লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ২০৪
এখানে ধুয়ার পূরণবাচক চরণ নেই। “লালন-গীতিকা” থেকে চরণটি গৃহীত হয়েছে। এ গ্রন্থে ভনিতার পদটি এভাবে লেখা হয়েছেঃ “লালন বলে, কল ছুটিলে দেখবি আয় মন রে কেটা।”-পৃ. ১২২-২৩

74
কয় দমেতে বাজে ঘড়ি করবে ঠিকানা।
কয় আজ দিন রজনী চলছে বল না।।
            দেহের খবর যে জন করে
            অনেক রূপ সে দেখতে পারে
            অনেক রূপ হাওয়ায় চলে রে
                        কি আজব কারখানা।।
            দেহ-তলায় ঘড়ি ঘোরে
            শব্দ হয় শব্দের ঘরে
            ও আর কলকাঠি মুকুলের দ্বারে
                        দমে আসল চেনা।।
            দমের সঙ্গে কর সম্মিলন
            অজান খবর জানবি রে মন
            বিনয় করে বলছে লালন
                        ঠিকের ঘরে ভুল না।।

লালন-গীতিকা, পৃ. ১০৬-০৭

75
হাওয়ার উপর চলে গাড়ি, হাওয়ার উপর চলে গাড়ি
লাগেনা পেট্রোল ডিজেল, মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো, চমৎকার গাড়ির মডেল
মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল
দুই চাকায় করেছে খাড়া, জায়গায় জায়গায় স্ক্রপ মারা
বাহাত্তর হাজার ইস্পাত দিয়া, এই সাইকেল গড়া (x2)
চিন্তা করে দেখনা একবার
চিন্তা করে দেখনা একবার, দুইশ ছয়টা হয় এক্সেল
মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো, চমৎকার গাড়ির মডেল
মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল
নতুন সাইকেল পুরান হইবে, কলকব্জায় জং যে ধরিবে
বেল বাতির ঐ ঠনঠন আওয়াজ, বন্ধ যে হইবে (x2)
এক কদম আগে না বাড়বে
এক কদম আগে না বাড়বে, হাজার বার মারলে পেটেল
মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো, চমৎকার গাড়ির মডেল
মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল
ফুরাইলে সাইকেলের বাতাস, সেদিন হবে সর্বনাশ
গিয়ার তোমার কাজ করবেনা, রাখিও বিশ্বাস (x2)
গুনী সরকার হয়ে লাশ
গুনী সরকার হয়ে লাশ, থাকবে ভব মেডিকেল
মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো, চমৎকার গাড়ির মডেল
মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7