Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - maruppharm

Pages: 1 [2] 3 4 ... 82
16
পরিসংখ্যানের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারটা বছর দশেক আগেও অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু এখন তথ্যনির্ভর ‘ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিশ্লেষণ’ বেশ প্রচলিত। আর তথ্য অনুসন্ধানের ব্যাপারটাও এখন বেশ সহজ। ইন্টারনেটে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে গুগল সার্চ দিলেই প্রাসঙ্গিক সব তথ্য এসে হাজির হয়।
সকালে ফেসবুকে একবার চোখ বুলিয়ে দিনের হালচাল সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে নেওয়া যায়। আর সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতার কল্যাণে ইতিবাচক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারটা এখন আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিসেবা ও আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান অ্যাকসেনট্যুর পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ভবিষ্যৎ অনুমানমূলক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার ২০০৯ সালের তুলনায় বর্তমানে তিন গুণ বেড়েছে। তবে নিত্যদিনের জীবনযাত্রায় এসব প্রযুক্তির ব্যবহার যাচাই করে দেখলে ব্যাপারটা মোটেও আশ্চর্য মনে হবে না।
আমাজনের কথাই ধরা যাক। ইন্টারনেটের মাধ্যমে জিনিসপত্র কেনাকাটার এই ওয়েবসাইটের লিংকে কতবার ক্লিক পড়ল, কী কী পণ্যের খোঁজ করা হলো, কোন কোন পণ্য বিক্রি হলো—ইত্যাদি তথ্য বিশ্লেষণ করে আমাজন কর্তৃপক্ষ প্রায় নির্ভুলভাবে জেনে নিতে পারে একজন ক্রেতার ইচ্ছা-অনিচ্ছা এবং তৎপরতার যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য। সেই তথ্য অনুযায়ী গুদামে পণ্যের মজুত হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়। ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিশ্লেষণের ওপর আমাজনের আত্মবিশ্বাস এখন এতটাই বেশি যে তারা এ জন্য বড় অঙ্কের অর্থও ব্যয় করে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ফ্লিপ-ফ্লপ নামের একধরনের হালকা স্যান্ডেলের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আগে থেকে ইঙ্গিত পাওয়ার কারণে পণ্যটির স্থানীয় বিক্রয়কেন্দ্রগুলো ফরমাশ পাওয়ার আগেই স্যান্ডেলটির মজুত বাড়ায়। এতে করে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সরবরাহ করা সম্ভব হয়।
ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম ম্যাশেবলের প্রধান প্রতিনিধি এবং নির্বাহী সম্পাদক ল্যান্স উলানফ এক নিবন্ধে লিখেছেন, ভবিষ্যৎ অনুমাননির্ভর বিশ্লেষণী তথ্যের সাহায্য নিয়ে ক্রেতার জন্য আমাজন কম খরচে জিনিসপত্রের অধিকতর সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে।
আমেরিকান ফুটবল নামে পরিচিত রাগবি খেলার একজন তারকা খেলোয়াড় অ্যালেক্স স্মিথ যখন সান ফ্রান্সিসকো ফর্টি নাইনার্স ক্লাব ছেড়ে ক্যানসাস সিটি চিফসে যোগ দেন, তাঁর সাফল্যের (বছরে প্রতি খেলায় অর্জিত পয়েন্ট) হার প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়। বিশ্লেষণমূলক তথ্য বিবেচনায় নিয়ে তিনি দল বদল করেছিলেন বলেই তাঁর ওই সাফল্য নিশ্চিত হয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
স্বাস্থ্যসেবা খাতেও এ ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ কাজে লাগছে। এর মাধ্যমে রোগীকে আলাদাভাবে বিশেষ সেবা দিতে পারছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। যেমন তথ্য বিশ্লেষণে তাঁরা বুঝতে পারেন—কোন রোগী আবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন, কোন রোগীকে নতুন ধরনের সেবা দেওয়া জরুরি এবং বিশেষ সেবাকেন্দ্রে নেওয়া হলে কোন রোগী উপকৃত হতে পারেন। মেডালোজিক্স নামের একটি মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের তথ্য বিশ্লেষণের সহায়তায় রোগীদের দ্বিতীয় দফা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার বছরে প্রায় ৩৬ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। তা ছাড়া রোগীরা এখন নিজ নিজ স্বাস্থ্য তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে নিবিড় সেবা পাচ্ছেন, যাতে সেই পরিচর্যার মান ও ফলাফল আগের চেয়ে বেড়েছে। কমেছে অপ্রয়োজনীয় খরচও।
তাই সব ক্ষেত্রেই অধিকতর কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ভবিষ্যদ্বাণীমূলক তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবহার করা উচিত। সিদ্ধান্ত নেওয়ার এই ব্যাপারটাকে তিন পা-ওয়ালা একটি টুলের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। একটি পা হচ্ছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের নেপথ্যে বিদ্যমান শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার প্রতীক। দ্বিতীয়টি হলো, সিদ্ধান্ত গ্রহণের পুরো প্রক্রিয়ার সময়ের স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই দুটি বিষয় আগে থেকেই একজন মানুষের ওপর সম্মিলিত প্রভাব বিস্তার করে। বিশ্লেষণমূলক তথ্য হচ্ছে টুলের তৃতীয় পা—যা কাঠামোটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। ভান্ডারে বেশি তথ্য থাকা মানে সিদ্ধান্তটা অধিকতর শক্তিশালী হবে।
সূত্র: লাইভসায়েন্স।

17
শচীন টেন্ডুলকার-শেন ওয়ার্ন। মাঠে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাসটা কিংবদন্তিতুল্য। অস্ট্রেলিয়া-ভারতের দুই কিংবদন্তির ‘শত্রুতা’ যা ছিল তা ক্রিকেট মাঠেই। মাঠের বাইরে বরাবরই ভালো বন্ধু তাঁরা পরস্পরের। টেন্ডুলকার-ওয়ার্ন এবার একসঙ্গে মিলে নিলেন নতুন পরিকল্পনা। অবসরে যাওয়া তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবেন। প্রস্তুতিও এগিয়েছে অনেকটা। নামও ঠিক হয়ে গেছে—ক্রিকেট অল স্টারস লিগ। এখন চলছে খেলোয়াড় সংগ্রহের কাজ।
ওয়ার্ন ইঙ্গিতটা দিয়েছিলেন গত জানুয়ারিতেই। ‘টেন্ডুলকার ও আমি খুব শিগগির দারুণ একটা ঘোষণা দিতে যাচ্ছি’—টুইট করেছিলেন অস্ট্রেলীয় লেগ স্পিনার। তবে কাল নতুন এই ক্রিকেট লিগ আয়োজনের খবরটা দিয়েছে অস্ট্রেলীয় দৈনিক দি অস্ট্রেলিয়ান। যদিও টেন্ডুলকার-ওয়ার্নের সঙ্গে আর কারা যুক্ত এই আয়োজনে সেসবের কিছুই জানা যায়নি। যেসব ক্রিকেটারকে প্রস্তাবিত এই লিগে খেলার প্রস্তাব দেওয়া, জানা গেছে শুধু তাঁদের কয়েকজনের নাম। এঁদের মধ্যে আছেন ব্রায়ান লারা, রাহুল দ্রাবিড়, জ্যাক ক্যালিস, রিকি পন্টিং, অনিল কুম্বলে, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, মুত্তিয়া মুরালিধরন, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, গ্লেন ম্যাকগ্রা ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। নতুন এই লিগে খেলার জন্য ম্যাচপ্রতি ২৫ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হতে পারে খেলোয়াড়দের।
আয়োজকদের পরিকল্পনা সাড়ে তিন বছরের এক সময়সীমার মধ্যে বিশ্বজুড়ে সিরিজ আয়োজনের। আর আগামী সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস ও শিকাগোতে ম্যাচ আয়োজনের মধ্য দিয়েই পর্দা উঠতে পারে সাবেক তারকাদের এই লিগের। ভেন্যু হিসেবে নাম এসেছে কানাডা, সিঙ্গাপুর, হংকং ও আরব আমিরাতেরও। উদ্দেশ্য পরিষ্কার, ক্রিকেটবিমুখ এসব দেশের ক্রিকেটভক্তদের একটু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটের স্বাদ দেওয়া।
এসেল গ্রুপের মতো বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ নয়, আয়োজকদের ইচ্ছে আইসিসি, বিসিসিআই, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও ইসিবির মতো শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে পাশে রেখেই এগিয়ে যাওয়া। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও আইসিসি বলেছে, এ ব্যাপারে তারা এখনো কিছুই জানে না। তবে ব্রেট লির ম্যানেজার নিল ম্যাক্সওয়েল জানিয়েছেন তাঁরা প্রস্তাব পেয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত সিনিয়রদের এই টুর্নামেন্টটা হলে ক্রিকেট প্রবেশ করবে নতুন দিগন্তে। সিনিয়র ট্যুরটা অবশ্য অনেক দিন ধরেই টেনিস ও গলফের দিনপঞ্জিতে স্থান করে নিয়েছে। বয়স্ক খেলোয়াড়েরা আর্থিকভাবে তো লাভবান হনই, ভক্তরাও পেয়ে যান পুরোনো স্মৃতি রোমন্থনের সুযোগ। রয়টার্স, ক্রিকইনফো।

18
ইতালির রাজধানী রোমের কোল জুড়ে বয়ে গেছে তাইবার নদী। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এই নদীর তীরে এসে অবগাহন করেন অবারিত সৌন্দর্য। নদীর পাশেই পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি।
নিত্যদিনের মতো গত ১২ মে বিকেলটাও ছিল একই রকম। তাইবার নদীর কুলকুল স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নদীর তীরে পিলপিল করে বাড়ছিল সৌন্দর্যপিপাসু পর্যটকের সংখ্যা। এ সময় হঠাৎ​ আনুমানিক ৫৫ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি নারী ঝাঁপিয়ে পড়েন নদীর পানিতে। সাঁতার না জানা ওই নারী ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকেন নদীর গভীরে। এ দৃশ্য দেখে হাজার হাজার পথচারী পর্যটকেরা ভয়ে চিৎ​কার চেঁচামেচি শুরু করেন। কেউ কেউ ব্যস্ত হয়ে পড়েন মোবাইলে ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে। অবশ্য কয়েকজন পুলিশকে ও দুর্যোগে সাহায্যকারী সংস্থা ভিজিলে দেল ফুওকোকে ফোন করেন। কিন্তু কেউই সাহস করে এগিয়ে যাননি ওই নারীকে উদ্ধার করতে।
এ সময় ওখানেই উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি যুবক সবুজ খলিফা (৩২)। তিনি সাতপাঁচ না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েন নদী। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেন মৃতপ্রায় ওই নারীকে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। তাঁরা ওই নারী ও সবুজ খলিফা—দুজনকেই নিয়ে যায় হাসপাতালে। ইসরায়েলি নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পুলিশ সবুজকে নিয়ে যায় স্থানীয় থানায়।
জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ইতালিতে বৈধ ভাবে বসবাসের অনুমতি নেই সবুজ খলিফার। পুলিশ কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন রোমের পুলিশ প্রধান ও সরকারের উচ্চ মহলে। তাঁরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়া ইসরায়েলি নারীকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করায় সবুজকে ধন্যবাদ জানান। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এ জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পরে পুলিশ কর্তৃপক্ষ পুরস্কার হিসেবে সবুজের হাতে তুলে দেন এক বছরের জন্য ইতালিতে বৈধ ভাবে বসবাসের কাগজপত্র—পেরমেচ্ছ দ্য সোজর্ন উমানিতারি।টিভি জরিপে সৎ​ হিসেবে নির্বাচিত বেলাল
পুলিশের ধারণা ইসরায়েলি ওই নারী হয়তো আত্মহত্যার জন্য তাইবার নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন।
স্থানীয় একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, ইতালির সাধারণ নিয়মানুসারে সবুজ খলিফা যদি আগামী এক বছরের মধ্যে কোনো একটি চাকরি জোগাড় করতে পারেন তবে তার কাগজপত্র নবায়ন করা হবে এবং তিনি স্থায়ী ভাবে ইতালিতে বসবাসের সুযোগ পাবেন। এ খবরটি স্থানীয় পত্রিকায় ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। (খবরটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন: Salva una donna nel Tevere: permesso di soggiorno per l'immigrato eroe)।
উল্লেখ্য, গত বছর ইতালিতে বেলাল নামের আরেক বাংলাদেশি যুবক ইতালিয় একটি টেলিভিশনের জরিপে সেরা সৎ​ (Honest) মানুষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই খবর টিভিতে প্রকাশের পর তাঁকে নিজেদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিতে এগিয়ে আসেন ইতালিয় এক নারী।

19
বাংলাদেশের আম বিলেত যাচ্ছে। অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ল্যাংড়া ও আম্রপলি। এ মাসেই দুই দফায় ২ হাজার ১৬০ কেজি আম রপ্তানি হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের আমের ক্রেতা বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট। সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও) এতে সহায়তা করছে। ফল উৎপাদনে সহায়তাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হর্টেক্স ফাউন্ডেশন এতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। এই সম্মিলিত চেষ্টায় বিশ্ববাজারের ক্রেতাদের জন্য আম এখন থেকে নিয়মিতভাবে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হলো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে সাতক্ষীরার আম রপ্তানি শুরু হওয়ার পর প্রতি সপ্তাহে ৪ মণ করে অন্য জেলার আম যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি হবে। ইতিমধ্যে ওয়ালমার্টের কাছে দেশের সাত জেলার নয়টি উপজেলার ১৮০ জন আমচাষি নাম লিখিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে আম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানির ব্যাপারে বিশ্বের শীর্ষ পণ্য ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল প্রকিউরমেন্ট লজিস্টিকসের সঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হর্টেক্স ফাউন্ডেশন ও এফএওর একটি চুক্তিও সই হয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার বিভাগের পরিচালক এস এম কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকা ও বসতবাড়িতে আমগাছ লাগানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এতে দেশে আমের ফলন আরও চার লাখ টন বাড়বে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু দৈনিক আমের ভোগ ১০ গ্রাম। আমরা তা ১৫ গ্রামে পরিণত করতে চাই। আবার বিশ্বের আমবাজারে শক্তিশালী অবস্থানও গড়তে চাই।’
এফএও সূত্রে জানা গেছে, রপ্তানি হতে যাওয়া আম যে বাগানে চাষ হয়েছে, সেখানে উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এফএওর সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শনে ওই আমে কোনো ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়নি বলে ছাড়পত্র পেয়েছে। পরে ওই আম জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিটি স্তরেই আমগুলো নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হওয়ার পর ওয়ালমার্টে রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে।
এফএওর ২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম আম উৎপাদনকারী দেশ। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এত দিন বৈশ্বিক আম রপ্তানির বাজারে প্রবেশ করতে পারেনি। প্রবাসী ভোক্তাদের জন্য প্রতিবছর সামান্য রপ্তানি হতো, যা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাই বিক্রি করতেন। বাংলাদেশের আমে ফরমালিন ও অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক দেওয়া হয়, এমন প্রচারণার কারণে গত বছর প্রবাসী ক্রেতাদের বাজারেও আম রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, বাংলাদেশে গত বছর ৯ লাখ ৪৫ হাজার টন আম উৎপাদন হয়েছে। এ বছর ১০ লাখ টন ছাড়াবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। বিশ্বের আম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি হারে আমের ফলন বাড়ছে। ২০১২ সালে দেশে ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিল। এ বছর আম চাষ হয়েছে ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে।
এফএওর হিসাব অনুযায়ী, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ৮ লাখ ৯০ হাজার টন আম উৎপাদন করে বিশ্বের অষ্টম আম উৎপাদনকারী দেশ হয়েছিল। গত দু বছরের মধ্যে দেশে আমের উৎপাদন বেড়ে তা ১০ লাখ টন হয়েছে। আর উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম স্থানে চলে এসেছে। দেশে এখন প্রায় দেড় কোটি আমগাছ রয়েছে।
এফএওর হিসাবে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ আম উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এর পরেই রয়েছে চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান। আর আম রপ্তানিকারক দেশের শীর্ষে আছে মেক্সিকো। এরপর রয়েছে ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ব্রাজিল ও ভারত।

20
প্রস্তুতি ম্যাচের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে বাংলাদেশ দলের ভাবনায় এখন কেবল আফগানিস্তান। ১৮ ফেব্রুয়ারির ম্যাচ খেলতে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল গতকালই পৌঁছেছে ক্যানবেরায়। আজ ছুটির আমেজেই সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ দল। বিকেলে মাশরাফিরা গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনারের বাসভবনে।
কিছুক্ষণের জন্য হাইকমিশনারের বাসভবন যেন রূপ নিয়েছিল এক টুকরো বাংলাদেশে! অটোগ্রাফ দেওয়া, ছবি তোলা—দারুণ কিছু মুহূর্ত পার করেছেন মাশরাফি-সাকিবরা। একপর্যায়ে মাশরাফিকে স্মারক উপহার তুলে দেন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। একই সময় বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকেও হাইকমিশনারকে স্মারক উপহার তুলে দেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ। ফেরার আগে হাইকমিশনারের বাসভবনে স্থাপিত শহীদ মিনারে নীরব দাঁড়িয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলেন অধিনায়ক মাশরাফি। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নামবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। এর আগে ভাষার মাসে ভাষা শহীদদের কাছ থেকে নেওয়া প্রেরণা মাশরাফিদের জন্য বাড়তি জ্বালানি হয়ে আসবে নিশ্চয়ই।

21
It is very good news for the sinus patients.

22
Sports Zone / মেসির পরেই রোনালদো
« on: November 27, 2014, 01:54:47 PM »
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন লিওনেল মেসি। কাল মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অভিযাত্রায় আরও একধাপ এগোলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সুইস ক্লাব বাসেলের বিপক্ষে গোল করে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৭১তম গোলটি পেয়েছেন এই পর্তুগিজ। গোলটি তাঁকে নিয়ে গেছে রাউল গঞ্জালেসের সঙ্গে যৌথভাবে এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর গোলেই বাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষস্থানটি নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
বাসেলের বিপক্ষে জয়টি ছিল রিয়ালের টানা পঞ্চদশ জয়। আগের ১৪ ম্যাচে ৫৬ গোলের আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমে বাসেলের বিপক্ষে অবশ্য তেমন ‘খুনে’ চেহারায় দেখা যায়নি। তবে রোনালদোর কল্যাণে পূর্ণ পয়েন্টটা ঠিকই আদায় করে নিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির বাহিনী।
খেলার ৩৫ মিনিটে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এই গোলে রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমাকে বড়সড় একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন রোনালদো। বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে ক্ষিপ্রগতিতে বল নিয়ে ঢুকে প্রায় গোললাইনের কাছ থেকে বাড়ানো তাঁর পাসটিই গোলে পরিণত করেন রোনালদো। খেলার একেবারে শুরুতেই অবশ্য গোল পেয়ে যেতে পারতেন রোনালদো। তাঁর বাঁ পায়ের শট দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন বাসেলের গোলরক্ষক। ৭৭ মিনিটে তাঁর শট বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। এই অর্ধে বাসেলের দুটি প্রচেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। সূত্র: রয়টার্স।

23
শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ফিল হিউজ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের অকালপ্রয়াণে শোকাহত গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। এ খবরে মর্মাহত সাকিব আল হাসানও।
এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বিগ ব্যাশে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে একসঙ্গে খেলেছিলেন দুজন। হিউজ তখন সাকিবের অধিনায়কও ছিলেন। প্রিয় সতীর্থের এমন মৃত্যুতে শোকে বিমূঢ় সাকিব। নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘ক্রিকেট দুনিয়ার জন্য এটা বড় দুঃসংবাদ। মাথায় বল লাগার তিন দিন পর অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ব্যাটসম্যান ফিল হিউজ মারা গেল মাত্র ২৫ বছর বয়সে। হিউজের পরিবার-বন্ধুদের জন্য আমার প্রার্থনা রইল।’
এর আগে হিউজের সুস্থতার জন্য শুভকামনা জানিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, ‘হিউজের খবরটা শুনে মর্মাহত। আমার প্রার্থনা তার সঙ্গে আছে। আশা করি সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। সেরে ওঠো বন্ধু।’ আফসোস, সেরে উঠতে পারলেন না হিউজ, পারলেন না আগের মতো আবার মাঠে ফিরতে।

24
সেন্টার উইকেটে অনুশীলনে ভালোই চার-ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন। হঠাৎই তাসকিন আহমেদের একটা ইয়র্কার এসে আঘাত করল ডান পায়ের পাতার ওপর। হুমড়ি খেয়ে উইকেটের ওপর পড়ে গেলেন তামিম ইকবাল।
কাল এরপর আর অনুশীলনে ব্যাট করেননি বাঁহাতি ওপেনার। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, পায়ে ক্র্যাপ ব্যান্ডেজ বেঁধে হেঁটেছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তার মধ্যেই পায়ের কী অবস্থা জানতে চাইলে তামিম বলেছেন, ‘ব্যথা আছে। তবে এখনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। কাল (আজ) একটা কিছু বোঝা যাবে।’
ফিজিও বিভব সিংও একই কথা জানালেন, ‘তামিমের ডান পায়ের অ্যাঙ্কেলের সামনের দিকে চোট লেগেছে। জায়গাটা ফুলে গেছে ও ব্যথা আছে। আশা করছি আশঙ্কাজনক কিছু নয়। তবে ২৪ ঘণ্টা যাওয়ার আগে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাবে না। এর পর প্রয়োজন মনে হলে এক্স-রে করা হবে।’

25
শুরুটা আশা জাগানিয়াই ছিল।একটু একটু করে সে আশা পূরণ করে তিনি হয়ে উঠছিলেন ‘দ্য ফিনিশার’।কিন্তু ফর্ম হারিয়ে গত কিছুদিন সেই নাসির হোসেনই যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন! মিরপুরে কাল তারেক মাহমুদের সঙ্গে এসব নিয়েই কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান
l ক্যারিয়ারের শুরুটা বেশ ভালো ছিল। ২০১২ সালটাও কাটল দুর্দান্ত। কিন্তু সম্প্রতি ফর্মটা যেন পড়তির দিকে। কারণ কী মনে হয়?
নাসির হোসেন: যেভাবে শুরু করেছিলাম, সর্বশেষ কয়েকটা ম্যাচে সেভাবে খেলতে পারিনি। তা ছাড়া গত কিছুদিন আমরা বেশি খেলেছি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, বলা যায় না কে কখন রান করবে, কখন করবে না। হ্যাঁ, ওয়ানডেতেও আমি চার-পাঁচটা ম্যাচ খারাপ খেলেছি। ইনশা আল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি এটা কাটিয়ে উঠব।
l অভিষেক ম্যাচ থেকেই তো মনে হতো ব্যাটিংটা আপনার জন্য অনেক সহজ। তখনকার তুলনায় এখন তো সেটা আরও সহজ হওয়ার কথা...
 নাসির: তখনো আমি খেলা উপভোগ করেছি, এখনো করি। কিন্তু এখন হয়তো বা আমার কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। তবে যেহেতু আমি পেশাদার ক্রিকেটার, চাপ নিয়েই খেলতে হবে।
l চাপও কি পড়তি ফর্মের একটা কারণ?
নাসির: আপনি যখন ভালো খেলবেন, আপনার কাছে প্রত্যাশা থাকবেই। এটা স্বাভাবিক। আর আমার মনে হয় না কেউ চাপ ছাড়া খেলে। চাপ থেকে বের হয়ে আসতে পারাটাই চ্যালেঞ্জ।
l একটা পর্যায়ে আপনার নাম হয়ে যাচ্ছিল ‘দ্য ফিনিশার’। সে নামটা তো এখন হারিয়ে যেতে বসেছে...
নাসির: দুই-তিনটা ম্যাচ ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি, সে জন্যই মানুষ ফিনিশার নামটা দিয়েছে। এখন আবার তারাই অনেক ধরনের কথা বলছে। এটা স্বাভাবিক, এটা বলবেই। আমি তাদের দোষ দেব না। এটা আমারই দোষ, খারাপ খেললে মানুষ কথা বলবে। আমি চেষ্টা করছি এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে।
l দ্য ফিনিশার নামটা কি উপভোগ করতে শুরু করেছিলেন?
 নাসির: অবশ্যই। তবে সবাই যখন বলতে শুরু করল ‘ফিনিশার’, আমার ওপর একটা চাপও কাজ করেছে। আমাকে ম্যাচ জেতাতে হবে, দলের জন্য ভালো খেলতে হবে।
l শুরুর দিকে উইকেটে গিয়ে গান গাইতেন, শিষ বাজাতেন...এসব আপনার মুখেই শোনা। এখনো কি অতটা হালকা মেজাজে থাকেন?
 নাসির: এটা আমার ব্যক্তিগত একটা ব্যাপার ছিল...কিছু জিনিস করলে আমি ভালো খেলতাম। যখন আমি রান করেছি, তখন অন্যদেরও সে জিনিসগুলো ভালো লেগেছে। বলত—দেখো, ও কত রিল্যাক্সড থাকে! রান না করায় এগুলো এখন খারাপ হয়ে গেছে। অর্থ অন্য রকম হয়ে গেছে। এসব নিয়ে তাই আর কথা বলতে চাই না।
l মাঠে অত নির্ভার থাকতেন কী করে? কোনো টেনশন কাজ করত না?
নাসির: টেনশন আমার সব সময়ই কাজ করে। তবে আমি চিন্তা করি খুব কম। যেটা মন চায় সেটা করি, তাৎক্ষণিক কাজ করতে পছন্দ করি। বলতে পারেন চিন্তার গভীরতা কম।

l খেলা নিয়ে চিন্তাটা যদি আরও আগেই বাড়াতেন, খারাপ সময় হয়তো এত দ্রুত আসত না...

নাসির: আমি ছোট থেকে যেভাবে বড় হয়েছি, চেষ্টা করছি এখনো সেভাবে থাকার। খেলা নিয়ে চিন্তা অবশ্যই করি। কোচ, সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলি। তবে এটা ঠিক, আমিও কখনো ভাবিনি, এত তাড়াতাড়ি খারাপ সময় আসবে।

l এ’ দলের অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েও ফর্মে ফিরতে পারলেন না। জাতীয় দলের আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা নিশ্চয়ই বাড়তি চ্যালেঞ্জ হবে আপনার জন্য...

নাসির: প্রত্যেকটা ম্যাচই চ্যালেঞ্জ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ আমাদের জন্য খুব সহজ হবে না। ওখানকার উইকেট, কন্ডিশন সবই বাড়তি চ্যালেঞ্জ। ওখানে ৫০, ৬০ বা ৭০ রান করা মানে বাংলাদেশে ১০০ রান করা।

l এমন কি মনে হয় যে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে তারকা ক্রিকেটার হয়ে যাওয়াটাই সমস্যা হয়েছে? নিজেকে সেভাবে ধরে রাখতে পারেননি...

নাসির: নিজেকে এখনো আমি তারকা মনে করি না। খুব ভালো খেলোয়াড়ও মনে করি না। আমার একটাই কথা—আমি যদি ভালো খেলি, আমাকে মাথায় তোলার দরকার নেই। আমি যদি খারাপ খেলি আমাকে ফেলে দেওয়ারও দরকার নেই। ভালো খেললে আমাকে আপনারা যে চোখে দেখবেন, খারাপ খেললেও যেন সেভাবেই দেখেন।

l হঠাৎ করে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া, তারকাখ্যাতি পাওয়া এসব অনেক সময় মাথা ঘুরিয়ে দেয়। আপনি কীভাবে সামলাচ্ছেন এই ব্যাপারগুলো?

 নাসির: জাতীয় দলে আসার পর প্রথম প্রথম এসব খুব উপভোগ করতাম। এখনো করি, কিন্তু আগের মতো নয়। চাইলেই এখন পাবলিক প্লেসে যেতে পারি না, চাইলেই প্রকাশ্যে সবকিছু করতে পারি না। চেষ্টা করি সব সময় রিজার্ভ থাকতে। তবে মাঝে মাঝে হাসি লাগে—মানুষ আমার সঙ্গে ছবি তোলে কেন? আমার অটোগ্রাফ নেয় কেন? যারা অটোগ্রাফ নেয়, আমি তো তাদের মতোই মানুষ!

l ব্যক্তিগত জীবনে আপনি একটু চঞ্চল স্বভাবের। হাসি-ঠাট্টা বেশি করেন। এগুলো কোনোভাবে খেলায় প্রভাব ফেলছে না তো?

 নাসির: যেভাবে বড় হয়েছি, যেভাবে জাতীয় দলে ঢুকেছি বা ঢোকার পর যেভাবে খেলেছি, সেটা তো রাতারাতি বদলে ফেলা যায় না। আর বদলালেই যে ভালো খেলব, এমনও কথা নেই। তবে এটা ঠিক যে আগে এমন অনেক কিছুই করতাম, জাতীয় দলে খেলায় যেগুলো এখন করতে পারছি না।

26
Football / ফের চোট রোনালদোর
« on: August 05, 2014, 06:45:30 PM »
পায়ের চোটটা নতুন কিছু নয়। গেল মৌসুমের শেষ দিক থেকেই এই চোট নাকাল করে দিচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। লা লিগার শেষ দিকে বেশ কয়েকটি ম্যাচে তিনি মাঠে নামতে পারেননি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওই চোট নিয়ে খেলেই স্বাদ নিয়েছেন ‘লা ডেসিমা’র। কিন্তু সেই চোট তাঁকে স্বরূপে আবির্ভূত হতে দেয়নি দেশের হয়ে বিশ্বকাপে। নতুন মৌসুম শুরুর প্রাক্কালে সেই চোটই আবার অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিয়েছে তাঁকে। এই মৌসুমটা তাঁর কেমন যাবে, কে জানে!
এই তো দুদিন আগেই মিশিগানে নিজের পুরোনো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন রোনালদো। খেলার শেষ দিকে মাঠে নামলেও তাঁর নাকি ম্যাচ-ফিটনেস একেবারেই ছিল না। উল্টো সবার বারণ সত্ত্বেও মাঠে নেমে আসছে মৌসুমের শুরুর দিকে নিজের মাঠে নামাকেই সমস্যাসংকুল করে তুললেন তিনি।
কোচ কার্লো আনচেলত্তির বারণ ছিল। বারণ ছিল দলের ফিজিও-ট্রেনারদেরও। কিন্তু কে শোনে কার কথা। কিছুটা আবেগের বশবর্তী হয়েই মূলত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ফল চোট আরও কিছুটা বেড়ে যাওয়া।
এদিকে রোনালদোর এই গোয়ার্তুমিতে যারপরনাই বিরক্ত তাঁর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজমেন্ট। ১৯ ও ২২ আগস্ট অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপার কাপের লড়াইয়ে তাঁর খেলার ওপর বিধি আরোপ করা হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলেই কেবল তিনি ওই দুটো ম্যাচে খেলবেন, নচেত্ নয়।
দু-একটি ম্যাচ খেলার জন্য পুরো মৌসুমে ‘অকেজো’ রোনালদোকে দেখতে চায় না বার্নাব্যুর লোকেরা। এএফপি।

27
বিশ্বকাপ ও বিশ্বকাপ-পরবর্তী ছুটির পর আবারও ন্যু ক্যাম্পে তারার মেলা! আজ মঙ্গলবার দুপুরে অনুশীলনে ফিরেছেন দলের অন্যতম দুই ভরসা লিওনেল মেসি ও নেইমার। সঙ্গে ফিরেছেন দানি আলভেজ ও হাভিয়ের মাচেরোনাও।
কোচ লুইস এনরিকে অবশ্য অনুশীলন শুরু করেছেন ১৪ জুলাই। বিশ্বকাপ শেষে ধকল কাটিয়ে উঠতে বাড়তি কিছুদিন নিজেদের মতো সময় কাটিয়েছেন চার তারকা। এ কারণে বার্সার প্রাক-মৌসুমের ম্যাচগুলোয় অংশ নেননি মেসি, নেইমার, মাচেরোনা ও আলভেজ।
২৪ আগস্ট এলচের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লিগ-মিশন শুরু করবে বার্সা। তার আগে নেইমারকে কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মেরুদণ্ডে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। নেইমার পুরোপুরি সেরে উঠেছেন বলেই জানা গেছে। সূত্র: এফসিবার্সেলোনা ডট কম।

28
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন স্পেনের স্বর্ণালী প্রজন্মের অন্যতম প্রধান তারকা জাভি হার্নান্দেজ। আর এর সঙ্গে সঙ্গে স্প্যানিশ ফুটবলের একটি অধ্যায়েরই যেন সমাপ্তি ঘটে গেল।
২০০০ সালে অভিষেকের পর থেকেই জাভি ছিলেন স্প্যানিশ মাঝমাঠের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। বিশ্ব ফুটবলে স্প্যানিশ আধিপত্যের অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন এই মিডফিল্ডার। ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো ও ২০১০ সালে স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর এই ৩৪ বছর বয়সী ফুটবলার।
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ের মুহূর্তটা অবশ্য খুব সুখকর হয়নি জাভির। ব্রাজিল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের গ্লানি জাভির শেষ অধ্যায়টাকে ম্লানই করে দিয়েছে। হতাশাটা গোপনও করেননি তিনি। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানোর ঘোষণাটি দিয়ে তাঁর কণ্ঠেও একই প্রসঙ্গ, ‘গত মৌসুমটা খুবই হতাশা নিয়ে কেটেছে। বার্সেলোনার জন্য বা জাতীয় দলের জন্য নিজেকে আর প্রয়োজনীয় বলে মনে করতে পারছি না। গত মৌসুমটি হয়ে থাকবে আমার জীবনের সবচেয়ে হতাশাগ্রস্ত সময়।’
গত মৌসুমের ব্যর্থতা জাভিকে কীভাবে কুরে খাচ্ছে, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হতে পারে তাঁর বার্সেলোনাকেও বিদায় বলা। মাঝখানে ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার সব বন্দোবস্ত প্রায় পাকাই করে ফেলেছিলেন। নতুন গন্তব্যও ঠিক করেছিলেন মেজর লিগ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের লিগ শুরু হতে ঢের বাকি থাকায় আপাতত বার্সেলোনার জার্সি গায়ে জানুয়ারি পর্যন্ত থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জানুয়ারিতে মধ্য মৌসুম দলবদলের সময় মেজর লিগের ব্যাপারটা নতুন করে ভাববেন তিনি।
বার্সেলোনার হয়েও ইউরোপিয়ান ফুটবলের গত মৌসুমে বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেননি জাভি। এই হতাশা থেকেই হয়তো বিদায় বলেছিলেন বার্সেলোনাকেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোচ লুইস এনরিকের অনুরোধে আর একটি মৌসুম খেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রয়টার্স।

29
Xiaomi has arrived.
The upstart Chinese smartphone maker has knocked Samsung off its throne in China, shipping more units than its South Korea-based rival for the first time in the second quarter.

The performance is the latest indication that Xiaomi has evolved from niche player in China to a major force in its home market.
The company, founded just four years ago by Lei Jun, captured 14% of the Chinese market in the second quarter, according to research firm Canalys. That translates to 15 million smartphones, a 240% improvement over the same period last year.
"This is a phenomenal achievement for Xiaomi," said Canalys analyst Jingwen Wang, who praised Xiaomi's marketing and product lineup.
Related: China's red hot phone market is cooling
In a nod to the competitiveness of the smartphone business in China, Xiaomi has only a narrow lead over its rivals. Samsung, Lenovo, Yulong and Huawei all have more than 10% of the market. Samsung, in particular, is expected to rebound in the third quarter.
"[Xiaomi] does now need to deliver LTE products in China to address growing demand for 4G services if it is to retain its momentum," Wang said.
Xiaomi is still relatively unknown outside China, the destination for 97% of its shipments in the second quarter. But the company has been quietly stockpiling tech talent as it builds a business worth more than $10 billion.
Last year, the firm poached Google (GOOG) executive Hugo Barra to help fulfill its ambition to become a global player. Indonesia, Mexico, Russia, Thailand and Turkey have all been mentioned as expansion targets.
Related: China's Xiaomi poaches top Google exec
The privately-held company is known in China for its rabid fanbase and skillful marketing. Its phones -- which some critics deride as Apple knockoffs -- typically price at around $130, or just about the cost of parts and labor.
"Our business model is more similar to Amazon," Lei told CNN last year, referring to Amazon's (AMZN, Tech30) habit of selling hardware at cost.
"We sell all our products online and our gross profit rate is very low. Our price is one third of Apple's," he said. "We make our profits through content and services."
Xiaomi engineers are also encouraged to speak directly to consumers, gathering feedback they use to tinker with the company's software.
The turnaround is rapid, and Xiaomi updates its Android operating system every Friday, much to the delight of its obsessed fans.

30
Astronomy / 'El Gordo' is largest distant galaxy cluster ever seen
« on: August 05, 2014, 06:32:04 PM »
The largest distant galaxy cluster has been spotted by astronomers using a telescope in Chile.

Galaxy clusters are the largest stable structures in our Universe.

Seven billion light years away and with two million billion times the mass of our Sun, the cluster was nicknamed "El Gordo" - "the Fat One" in Spanish.

Astronomers reporting at the 219th American Astronomical Society meeting said El Gordo was currently undergoing a merger and growing even larger.

Alongside other clusters highlighted at the meeting, astronomers hope to better understand how they form, grow and collide with one another.

Galaxy clusters yield many cosmic superlatives; mergers such as the one that El Gordo appears to be undergoing are the most energetic events in the Universe, as vast amounts of matter - and the mysterious dark matter - crash into each other at breakneck speeds.

The growth of clusters and their mergers are driven by gravity; normal matter we see along with the dark matter imaged on a grand scale in Monday's announcement act to draw things together.

Meanwhile, the even more mysterious dark energy works to drive the expansion of the Universe - to draw things apart.

Mapping out the process of cluster growth will be critical to understand the interplay between these dark forces.

Background check
The cluster was discovered by the Atacama Cosmology Telescope high in the mountains of Chile.

Clusters like El Gordo release energetic particles that have an effect on the cosmic microwave background, the extremely faint glow left over from the Big Bang that permeates the Universe.

"El Gordo is at a distance that corresponds to a distance of about seven billion light years - we're looking at it at a time that the Universe was only half as old as it is now, when structure was forming at a different rate," explained Jack Hughes of Rutgers University in New Jersey, US.

"By looking at and understanding the properties of El Gordo, we're able to understand the time evolution of the structure formation of the Universe," Prof Hughes told BBC News.

Continue reading the main story

Start Quote

Every great advance in our understanding of the physical universe is a direct result of understanding how things change with time”

William Dawson
University of California Davis
Twice as big as its contemporaries at similar distances, El Gordo represents a galaxy cluster in the middle of a lifetime.

Two rather smaller galaxy clusters were also unveiled that will help lay out this timeline.

A team including Michele Trenti of the University of Colorado used the Hubble telescope to pinpoint a handful of bright galaxies making up the most distant known "protocluster".

The light we see from it now was given off nearly 13 billion years ago, when the Universe was only about 650 million years old, and the team estimates the protocluster itself was just 300 million years old.

"This discovery is remarkable because we are witnessing the infancy of a future galaxy cluster," he told the meeting.

At the other end of the cluster evolution spectrum, William Dawson of the University of California Davis and his colleagues used the Hubble and Chandra space telescopes to spot a cluster in the latest stages of colliding that has ever been seen.

The sparse, widely separated galaxies from two clusters have passed through each other and carried on travelling, but much of the loose, thin gas making up the clusters has remained in the middle of the crash scene.

Mr Dawson said that these snapshots in the lifetimes of the Universe's largest structures were a gateway into learning much more.

"Every great advance in our understanding of the physical universe is a direct result of understanding how things change with time," he told the meeting.

That in turn should shed more light on the relative proportions of dark energy and dark matter, as well as help shore up theoretical models of just how big El Gordo will get.


Pages: 1 [2] 3 4 ... 82