Daffodil International University

Faculties and Departments => Business & Entrepreneurship => Real Estate => Topic started by: istiaq on August 23, 2010, 10:00:27 PM

Title: কৃষি জমি রক্ষায় ভূমি জোনিং আইন হচ্ছে
Post by: istiaq on August 23, 2010, 10:00:27 PM
অন্য কাজে কৃষি জমির ব্যবহার বন্ধে সরকার একটি আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে আসা দেশের কৃষি জমি রক্ষায় 'কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন' এর খসড়া তৈরি করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

এ আইনের আওতায় ভূমি জোনিং মানচিত্র অনুযায়ী কৃষি জমি অক্ষুন্ন রেখে জোনিং করা নির্ধারিত এলাকায় আবাসিক, শিল্প বা অন্য স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে।

রোববার ভূমি সচিব মো. আতাহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন প্রায় ২২০ হেক্টর কৃষি জমি শিল্প কারখানা, বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ অ-কৃষিকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের কৃষি জমি রক্ষা করে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যেই এ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে এ আইনের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আতাহারুল ইসলাম বলেন, "ল্যান্ড জোনিং আইন অনুযায়ী কৃষিজমিসহ ভূমির প্রতিটি শ্রেণী সুনির্দিষ্ট করা থাকবে। দেশের যে স্থানে কৃষি জমি রয়েছে, তা আইনের মাধ্যমে প্রণীত কমিটির অনুমোদন ছাড়া ব্যবহারভিত্তিক শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না।"

ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ভূমির বহুমাত্রিক ব্যবহার ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে কৃষি, মৎস্য, পশু-সম্পদ, বন, চিংড়ি চাষ, শিল্পাঞ্চল, পর্যটন ও প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র্য এলাকার ভূমি জোনিং করবে সরকার। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কৃষি জমি নষ্ট করে বসতবাটি, শিল্পকারখানা, ইটের ভাটা বা অন্য কোনো অকৃষি স্থাপনা নির্মাণ কর যাবে না।

আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কৃষি জমি শুধুমাত্র কৃষি কাজেই ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থায়ই কৃষি জমি কোনো অকৃষিজীবী বা কৃষক নয় এমন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা যাবে না। অকৃষিজীবী কোনো ব্যক্তি কৃষি জমি কিনতে পারবে না, বা ভোগ দখলে রাখতে পারবে না।

কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ আইন লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী বা সহায়তাকারীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখার প্রস্তাব করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

অবশ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য, বসতবাড়ি, শিল্প কারখানা বা অন্য কোনো স্থাপনা নির্মাণের প্রয়োজনে তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে কমিটি স্বল্প পরিমাণ কৃষি জমি ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবে।

স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমির ঊর্ধ্বমূখী ব্যবহারকে (ভার্টিক্যাল এক্সপানসন) গুরুত্ব দেওয়া হবে।

নতুন এ আইনে বলা হয়েছে, দেশের নদী, খাল, হাওর, বাওর, বিল; হাটবাজার, বালুমহাল, পাথরমহাল, বাগান মহাল; বনভূমি, টিলা-পাহাড়, সবার জন্য ব্যবহৃত ভূমির (খেলার মাঠ, সড়ক, জনপথ, রেল লাইন ও তার পার্শ্ববর্তী জমি ইত্যাদি) কোনো শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না।

তবে যাদের স্বল্প পরিমাণ (তিন থেকে পাঁচ শতক) কৃষি জমি আছে তাদের ক্ষেত্রে বসতবাটি নির্মাণের জন্য এ বিধান কিছুটা শিথিল করা হবে।

ভূমি জোনিং

ভূমি জোনিং মানচিত্রে কৃষি, আবাসন, নদী-সেচ-নিষ্কাশন নালা-পুকুর-জলমহাল-মৎস্য এলাকা, বনাঞ্চল, সড়ক ও জনপথ এবং রেলপথ, হাটবাজার-বাণিজ্য ও শিল্প এলাকা, চা-রাবার ও হর্টিকালচার এলাকা, উপকূলীয় অঞ্চল, পর্যটন এলাকা, চরাঞ্চল ও পরিবেশগত বিপন্ন এলাকা ও অন্যান্য এলাকা চিহ্নিত করা হবে।

বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভূমি জোনিং মানচিত্র পরিবীক্ষণ কমিটিতে বিভিন্ন পর্যায়ে সভাপতিত্ব করবেন। সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যানরা এই কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন।

ভূমি সচিব জানান, এ পর্যন্ত ভূমি জোনিংয়ের ৭৫-৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বর নাগাদ পুরো কাজ শেষ হবে। এরপরই আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।

আগামী বছরের জুন নাগাদ ভূমি জোনিং আইন সংসদে উত্থাপন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

COLLECTED FROM বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম