Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sajol

Pages: [1] 2
1
Common Forum / মাগো, ওরা বলে
« on: February 21, 2012, 06:34:34 PM »
মাগো, ওরা বলে

------কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

‘কুমড়ো ফুলে ফুলে
নুয়ে পড়েছে লতাটা,
সজনে ডাঁটায়
ভরে গেছে গাছটা,
আর, আমি ডালের বড়ি
শুকিয়ে রেখেছি—
খোকা তুই কবে আসবি!
কবে ছুটি?’

চিঠিটা তার পকেটে ছিল,
ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা।
‘মাগো, ওরা বলে,
সবার কথা কেড়ে নেবে
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না।
বলো, মা, তাই কি হয়?

তাইতো আমার দেরী হচ্ছে।
তোমার জন্য কথার ঝুড়ি নিয়ে
তবেই না বাড়ী ফিরবো।
লক্ষ্মী মা রাগ ক’রো না,
মাত্রতো আর কটা দিন।’

‘পাগল ছেলে’
মা পড়ে আর হাসে,
‘তোর ওপরে রাগ করতে পারি!’

নারকেলের চিঁড়ে কোটে,
উড়কি ধানের মুড়কি ভাজে
এটা সেটা আরো কত কি!
তার খোকা যে বাড়ী ফিরবে!
ক্লান্ত খোকা!

কুমড়ো ফুল
শুকিয়ে গেছে,
ঝ’রে প’ড়েছে ডাঁটা;
পুঁইলতাটা নেতানো,—
‘খোকা এলি?’
ঝাপসা চোখে মা তাকায়
উঠোনে, উঠোনে
যেখানে খোকার শব
শকুনিরা ব্যবচ্ছেদ করে।

এখন,
মা’র চোখে চৈত্রের রোদ
পুড়িয়ে দেয় শকুনিদের।
তারপর,
দাওয়ায় ব’সে
মা আবার ধান ভানে,
বিন্নি ধানের খই ভাজে,
খোকা তার
কখন আসে! কখন আসে!

এখন,
মা’র চোখে শিশির ভোর,
স্নেহের রোদে
ভিটে ভরেছে।

বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী ভাষা শহীদদের চরণে...



2
আব্রাহাম লিংকন আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট(১৮৬১-১৮৬৫)। অত্যন্ত গরীব পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেও স্বীয় প্রচেষ্টায় আমেরিকার অধিপতি হতে পেরেছিলেন।

প্রত্যেক অভিভাবকই তার সন্তানকে ভালবাসেন। তবে আজকাল অভিভাবকগন তার সন্তানদের শিক্ষকের সাথে ব্যবহার শিক্ষায় তেমন সচেতন থাকেন না। আমেরিকার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জর্জ আব্রাহাম লিংকন তার পুত্রের শিক্ষকের কাছে  তার পুত্রকে কি রূপে গড়ে তুলতে হবে সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিয়ে একটি পত্র প্রেরণ করেন। তার এই পত্র দ্বারা বুঝা যায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে কতটা ন্যায় পরায়ন, সচেতন এবং উত্তম চরিত্রের মানুষ ছিলেন। আব্রাহাম লিংকনের চিঠির ভাষ্যগুলি সকল অভিভাবকের তার সন্তানের জন্য কাম্য হওয়া উচিত।  তার চিঠিটির বাংলা ভাষ্যগুলি ছিল এরকম-

মাননীয় মহাশয়,
আমার পুত্রকে জ্ঞান অর্জনের জন্য আপনার কাছে প্রেরণ করলাম। তাকে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবেন এটাই আপনার কাছে আমার বিশেষ দাবী। আমার পুত্রকে অবশ্যই শেখাবেন- সকল মানুষই ন্যায়পরায়ন নয়, সকল মানুষই সত্যনিষ্ঠ নয়। তাকে এও শেখাবেন প্রত্যেক  বদমায়েশের মাঝেও একজন বীর থাকে। প্রত্যেক স্বার্থপর রাজনীতিকের মাঝেও একজন নির্মোহ নেতা থাকে। তাকে শেখাবেন প্রত্যেক শত্রুর মাঝে একজন বন্ধু থাকে। আমি জানি এটি শিখতে তার সময় লাগবে, তবুও যদি পারেন তাকে শেখাবেন, পাঁচটি ডলার কুড়িয়ে পাওয়ার চেয়ে একটি উপার্জিত ডলার অধিক মূল্যবান। এও তাকে শেখাবেন, কিভাবে পরাজয়কে মেনে নিতে হয় এবং কিভাবে বিজয়োল্লাস উপভোগ করতে হয়। হিংসা থেকে দূরে থাকার শিক্ষাও তাকে দেবেন। যদি পারেন নীরব হাসির গোপন সৌন্দর্য তাকে শেখাবেন। সে যেন আগে ভাগেই বুঝতে শেখে, যারা পীড়নকারী তাদেরকে সহজে কাবু করা যায়। বইয়ের মাঝে কি রহস্য লুকিয়ে আছে তাও তাকে বুঝতে শেখাবেন।

আমার পুত্রকে শেখাবেন, বিদ্যালয়ে নকল করার চেয়ে অকৃতকার্য হওয়া অনেক বেশী সম্মানজনক। নিজের উপর যেন তার সুমহান আস্থা থাকে। এমনকি সবাই যদি সেটাকে ভুলও মনে করে। তাকে শেখাবেন, ভদ্রলোকের প্রতি ভদ্র আচরণ করতে, কঠোরদের প্রতি কঠোর হতে। আমার পুত্র যেন সে শক্তি পায়, হুজুগে মাতাল জনতার পদাংক অনুসরণ না করার। সে যেনো সবার কথা শোনে এবং সত্যের পর্দায় ঢেকে ভালোটাই শুধু গ্রহণ করে- এ শিক্ষাও তাকে দেবেন। দুঃখের মাঝে কিভাবে হাসতে হয় এবং কান্নার মাঝে যে লজ্জা নেই একথা তাকে বুঝতে শেখাবেন। যারা নির্দয়, নির্মম তাদেরকে সে যেন ঘৃণা করতে শেখে। আর অতিরিক্ত আরাম আয়েশ থেকে সাবধান থাকে। আমার পুত্রের প্রতি সদয় আচরন করবেন কিন্তু সোহাগ করবেন না। কেননা আগুনে পুড়েই ইস্পাত খাঁটি হয়। আমার সন্তানের যেন অধৈর্য্য হওয়ার সাহস না থাকে, থাকে যেন তার সাহসী হওয়ার ধৈর্য্য। তাকে এ শিক্ষাও দেবেন- নিজের প্রতি যেন তার সুমহান আস্থা থাকে, আর তখনই তার সুমহান আস্থা থাকবে মানব জাতির প্রতি। 


ইতি
আপনার বিশ্বস্ত
আব্রাহাম লিংকন

3
কেমন হয় বলুন তো, যদি আপনার গাড়িটি এমনি রেখে দিলেন আর তা নিজে নিজে গড় গড় করে বিনা বাধায় ২০০ গজ মতো উপরে উঠে গেল! কী হতে পারে, যাদু না রহস্য? কি বিশ্বাস হচ্ছে না? পুরো ব্যাপারটা নিয়ে চ্যালেজ্ঞ ছুড়ে দেওয়া যেতে পারে আপনার কাছে। কারণ, ঘটনা কিন্তু পুরোপুরি সত্য। আমরা কথা বলছি মনকটন শহরের উত্তরে অবস্থিত চুম্বক পাহাড় বা ম্যাগনেটিক হিলকে নিয়ে। পাহাড়টি কানাডার নিউ বার্নসউইক প্রদেশে অবস্থিত। এই পাহাড়ের নিচে কোন গাড়ি রাখলে তা নিজে নিজে উপরে উঠে যায়।


রহস্যের শুরু ১৮৮০ সালে। যখন ছোটখাট ওয়াগনগুলো এমনি ওপরে উঠে যেত। ১৯৩৩ সালে খবরটি প্রথম ছাপা হলো স্থানীয় সিন্ট জন টেলিগ্রাফ জার্নালে। রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামলেন বিশেষজ্ঞরা। মনকটন শহরের প্রতিটি পাহাড়ে চললো অনুসন্ধান। পেরিয়ে গেল পাঁচ পাঁচটি ঘন্টা কিন্তু কোন ফলাফল নেই। শেষমেশ একেবারে বাড়ী যাওয়ার পথে দেখা গেল  বিস্ময়কর কান্ড। নির্দিষ্ট একটি জায়গায় তাদের গাড়িটা বিনা বাধায় পাহাড়ের উচ্চভাগের দিকে উঠে গেল। চোখ পড়ল রাস্তার পাশের পানির উৎসটার দিকে। মাধ্যকার্ষণ নীতি অমান্য করে সেটাও বয়ে চলেছে ওপরের দিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকার চুম্বক পাহাড়কে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রুপান্তরিত করলেন। আজকাল অবশ্য এর আশপাশে গলফ কোর্স, চিড়িয়াখানা, রেলওয়েসহ অনেই কিছুই গড়ে উঠেছে। ২০০২ সালে ম্যাগনেটিক হিল পার্ক জিতে নেয় কানাডার সেরা আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থানের পুরস্কার। এখন এই পাহাড়ের রহস্য উপভোগ করতে আপানাকে কিছু খরচ করতে হবে। তারপর আপনার গাড়িটাকে ওই স্থানটাতে রেখে দিন এবং দেখুন কি হয়! আপনার গাড়িটি পাহাড়ের নিচ থেকে নিজে নিজে উঠে যাবে পাহাড়ের উপরে। রাস্তার পাশের ড্রেনের পানির দিকে নজর দিতে ভুলবেন না কিন্তু। দেখবেন পানিও বয়ে চলেছে উপরের দিকে।


এই রকম আরেকটি পাহাড় হলো ফ্লোরিডার লেক ওয়ালসের স্পুক হিল। বিশ-ত্রিশ লাখ বছর আগে এটি ছিল একটি দ্বীপ। আর আজ স্পুক হিল দুনিয়ার অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক এসে ভিড় করেন এখানে। এখানে এলে প্রথমেই আপনার চোখ পড়বে পথের ধারের সাইনবোর্ডটির দিকে। এতে লেখা আছে এক অদ্ভূত উপকথা। লেক ওয়ালস একটি ইন্ডিয়ান গ্রাম। বহু বছর আগে এই গ্রামে প্রচন্ড উপদ্রব ছিল গ্যাটার দস্যূদের। গ্রামের প্রধান ছিলেন একজন যোদ্ধা। যুদ্ধে দস্যুদের মেরে ফেললেন তিনি। যা থেকে জন্ম নিল একটি ছোট্ট লেক। লেকের উত্তর পাশে দাফন করা হয়েছিল সেই মহান যোদ্ধার মৃতদেহ। তখনকার দিনে চিঠি-পত্র আনা-নেওয়া করার পথে রানারদের নজরে পড়লো প্রথম এই ব্যাপারটি। তাদের ঘোড়াগুলোকে উপর থেকে নিচে নামার পথে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হচ্ছে। কী যেন ঘোড়াগুলোকে উপরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সেই থেকে জায়গাটির নাম হয়ে গেল স্পুক হিল। যার বাংলা অর্থ ভুতুড়ে পাহাড়। অনেকে বলে আজও সেই দস্যুরা প্রতিশোধ নেয়ার রাস্তা খুঁজছে এবং সেই যোদ্ধা এখনও লড়াই করে চলেছে।

SOURCE

4
সবুজ-শ্যামল মানুষের বসবাস উপযোগী আমাদের এই গ্রহ পৃথিবী। পৃথিবীতে যে কত ধরনের বিস্ময়কর বিষয় আছে তা জানলে পৃথিবীকেই মনে হবে একটি বিস্ময়। পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল, সাগর-মরুভূমি সহ পৃথিবীর আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে হাজারো বিস্ময়। এই সকল বিস্ময়কর বিষয়ের মাঝে ডেড সি বা মৃত সাগর একটি অন্যতম বিস্ময়। ডেড সি বা মৃত সাগরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই সাগরের পানিতে কেউ ডুবে না। এমন কি কেউ ডুবতে গেলেও ডুবতে পারে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবীর সকল খাল, বিল, পুকুর, নদী, সাগরের পানিতে মানুষ সহ যেকোনো জিনিস সহজেই ডুবে যায় কিন্তু ডেড সির পানিতে ডুবে না কেন? কি রহস্য আছে এই পানিতে? ডেড সিতে কি কোনও প্রাকৃতিক শক্তি আছে? আসুন আমরা এই সকল প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করি।
ডেড সি একটি অতি লবণাক্ত পানি সমৃদ্ধ সাগর। এটি জর্ডানে অবস্থিত। ডেড সি’র পশ্চিমে পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েল, পূর্বে জর্ডান অবস্থিত। জিবুতির আসাল হ্রদের পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লবণাক্ত পানির প্রাকৃতিক আধার। মৃত সাগর সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৪২০ মিটার বা ১,৩৭৮ ফুট নিচে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর ৩১.২০ অক্ষাংশ ও ৩৫.২০ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এন্ডোরেয়িক হাইপার-স্যালাইন ধরনের এই সাগরের পানির প্রধান উৎস জর্ডান নদী। এই সাগরের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৬৭ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮ কিলোমিটার। সমুদ্রের পৃষ্ঠতলীয় ক্ষেত্রফল ৮১০ বর্গ কিলোমিটার। সাগরের গড় গভীরতা ১২০ মিটার বা ৩৯৪ ফুট যার মধ্যে সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৩০ মিটার বা ১০৮৩ ফুট। এই স্থানটি পৃথিবীর সবচেয়ে নিম্নতম স্থান বা স্থলভূমি । এই সাগরের পানির লবণাক্ততা শতকরা ৩০ ভাগ যা অন্যান্য সমুদ্রের পানির চাইতে ৮.৬ গুণ বেশি লবণাক্ত ।

ডেড সি’র ইতিহাস:
প্রায় তিন মিলিয়ন বছর পূর্বে বর্তমান জর্ডান নদী, মৃত সাগর এবং ওয়াদি আরাবাহ অঞ্চল লোহিত সাগরের পানিতে বারবার প্লাবিত হত। এর ফলে একটি সরু উপসাগরের সৃষ্টি হয়। উপসাগরটি জেজরিল উপত্যকায় একটি সরু সংযোগের মাধ্যমে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত ছিল। প্রাকৃতিক তত্ত্ব অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছর পূর্বে উপত্যকা এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী স্থলভাগ যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করে । ফলে মহাসাগরের প্লাবনে এই অঞ্চলে সৃষ্ট উপসাগরটি পরিবেষ্টিত হয়ে হ্রদে পরিণত হয়। ৭০,০০০ বছর পূর্ব থেকে ১২,০০০ বছর পূর্ব পর্যন্ত ডেড সি'র পানির উচ্চতা বর্তমান উচ্চতার চাইতে ১০০ থেকে ২৫০ মিটার বেশি ছিল । ২৬,০০০ বছর পূর্বে এটির পানি সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে যায়। প্রায় ১০,০০০ বছর পূর্বে এর পৃষ্ঠ উচ্চতা নাটকীয় ভাবে হ্রাস পেতে শুরু করে , যা সম্ভবত বর্তমান পৃষ্ঠ উচ্চতার চাইতেও কম ছিল । গত কয়েক হাজার বছর ধরে এর পানির পৃষ্ঠ উচ্চতা মোটামুটি ৪০০ মিটারের আশেপাশে অবস্থান করছে।
মৃত সাগরে কিছু ডুবে না কেন:
বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মহাসাগরের পানির সাথে ডেড সির পানিতে মিশে থাকা খনিজ উপাদানগুলোর যথেষ্ট পার্থক্য আছে। মৃত সাগরের পানিতে মিশে থাকা লবণে ১৪% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড এবং ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে। এর লবণাক্ততা শতকরা ৩০%। ফলে পানির ঘনত্ব ১.২৪ কেজি/লিটার। এই সকল উপাদানের কারণে ডেড সি’র পানির প্লবতা শক্তি পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের পানির চেয়ে অনেক বেশী। আর এই উচ্চ প্লবতা শক্তির কারণে এই সাগরে কোনও কিছু ডুবে না। যে কেউ মৃত সাগরের পানিতে ভেসে থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ তে অবস্থিত গ্রেট সল্ট লেকেও অনুরূপ ভাবে ভেসে থাকা যায়।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডেড সি:
বর্তমানে মৃত সাগর অঞ্চলটি চিকিৎসা শাস্ত্রের গবেষণাস্থল হয়ে উঠেছে। এর মূল কারণ হিসেবে রয়েছে হ্রদের পানিতে খনিজ দ্রব্যাদির বিপুল উপস্থিতি। আবার এখানের বাতাসে এলার্জি উৎপাদক দ্রব্য, পরাগ রেণুর স্বল্পতা, উচ্চ ভূ-মণ্ডলীয় চাপ, সৌর বিকিরণে অতি বেগুনি উপাদানের কম উপস্থিতি রয়েছে। উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ থাকার কারণে এই স্থানটি শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। চর্মরোগ সোরিয়াসিস এর জন্য দীর্ঘসময় সূর্যস্নান বেশ উপকারী। এ অঞ্চলে অতি বেগুনি রশ্মির স্বল্পতা থাকায় সূর্যস্নানের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে এখানে।

মৃত সাগরের জীব বৈচিত্র্য:
ডেড সি’তে কোনও মাছ নেই, কারণ এই সাগরের পানিতে কোনও মাছ বাস করতে পারে না। তেমনিভাবে এর পাশে জর্ডান নদীতেও কোনও মাছ নেই। এই সাগরের পানিতে কোন উদ্ভিদ বা মাছ বাচতে পারে না বলেই মূলত এই সাগরকে ডেড সি বা মৃত সাগর বলা হয়ে থাকে। এই সাগরের পানিতে শুধুমাত্র সামান্য কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক অণুজীবের সন্ধান পাওয়া যায়। ডেড সি তীরবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে উট, খরগোশ, খেঁকশিয়াল এমনকি চিতাবাঘ দেখতে পাওয়া যায়। অতীতে জর্ডান নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে প্যাপিরাস এবং পাম গাছে সমৃদ্ধ বনভূমি ছিল । রোমান এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সময় ইক্ষু, সিকামোর এবং হেনা এ অঞ্চলের উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধি এনে দিয়েছিল। জেরিকোতে বালসাম গাছের রস থেকে প্রস্তুত করা হত উন্নত মানের পারফিউম এবং সুগন্ধি । ১৯ শতকের মধ্যে জেরিকোর উর্বরতা হ্রাস পেয়ে শূন্য হয়ে পড়ে।

এই সাগরে কেউ ডুবে না এবং এই জায়গাটি দেখলে মনে হয় এটি একটি অভিশপ্ত স্থান। প্রাকৃতিক উপাদান বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে আমরা জানলাম কেন এই সাগরকে মৃত সাগর বা ডেড সি বলা হয়ে থাকে। কিন্তু মানব সভ্যতার ইতিহাসে এই স্থানটি কী অভিশপ্ত? যার কারণে এটি মৃত স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে! আসুন আমরা এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করি।
মানব সভ্যতার ইতিহাসে মৃত সাগর:
মানব সভ্যতার ইতিহাসে ডেড সি’র রয়েছে বৈচিত্র্যময় ইতিহাস। বিভিন্ন ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থে এই স্থানটির কথা বর্ণনা করা হয়েছে। ডেড সি বা মৃত সাগর যে স্বাভাবিক কারণে সৃষ্টি হয় নি সেটা এই ইতিহাসগুলো দ্বারা সহজেই অনুধাবন করা যায়। এই সকল ইতিহাস গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে,

ইসলাম ধর্মে:
ডেড সি বা মৃত সাগরের কথা ইসলাম ধর্মে বেশী বলা হয়েছে। এই স্থানটি এরূপ হওয়ার কারণ হিসেবে আল কুরআনের তথ্য গুলো সবচেয়ে বেশী সত্য, সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য। ইসলাম ধর্মে এ অঞ্চলকে হযরত লূত (আঃ) এর অনুসারীদের আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । লূত (আঃ) এর উম্মতগণ এই এলাকায় বসবাস করতো। তখন এই স্থানটি ছিল স্বাভাবিক এবং মানুষ বসবাসের জন্য খুবই উপযোগী। তৎকালীন সময়ে লূত (আঃ) এর অনুসারীরা চরম পাপে লিপ্ত হয়েছিল। তারা সমকামিতার মতো নির্লজ্জ পাপে মশগুল হয়ে পড়েছিল। সমকামের এই কঠিন পাপাচারের কারণে এই জাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। লূত (আঃ) তার অনুসারীদের বারবার পাপ কাজ হতে বিরত থাকার আদেশ প্রদান করে ব্যর্থ হলে এই জাতির পাপের প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ তার ফেরেশতাদের প্রেরণ করেন তাদের কঠিন শাস্তি প্রদান করার জন্য। আল্লাহর আদেশে ফেরেশতারা এসে এই জাতিকে ধ্বংস করার জন্য এই স্থানের ভূমিকে উল্টে দেন, ফলে পাপিষ্ঠ জাতিটি মাটি চাপা পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। মাটি উল্টে দেওয়ার কারণে এখানের ভূমি নিচে নিমে যায়। বর্তমান বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধান করে প্রমাণ পেয়েছেন যে, বর্তমানে এই স্থানটি পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু স্থান। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের সূরা রুম এ লূত (আঃ) এর জাতির এই পাপিষ্ঠ ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

খ্রিস্ট ধর্মে:
ডেড সি বা মৃত সাগরের দুর্গম এ অঞ্চল বাইজেন্টাইন শাসকদের আমল থেকে গ্রিক অর্থোডক্স সন্ন্যাসীদের আকৃষ্ট করতে শুরু করেছিল। ওয়াদি কেল্টে অবস্থিত সেইন্ট জর্জ গির্জা এবং জুদাই মরুভূমিতে মারসাবা মন্দির খ্রিস্টানদের তীর্থস্থান। এই সকল স্থানে খ্রিস্টানদের যাতায়াত ছিল বহু বছর ধরে।

ইহুদী ধর্মে:
মৃত সাগরের উত্তর তীরবর্তী "জেরিকো" শহরের নামটি ইহুদী ধর্মগ্রন্থগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে। বুক অব জেনেসিস এ উল্লেখিত নবী আব্রাহামের সময়কালে ধ্বংসপ্রাপ্ত সোডম এবং গোমোরা শহর এবং তিনটি "সমতল ভূমির শহর" আদমাহ, জেবোইম এবং জোয়ার শহরের অবস্থান সম্ভবত মৃত সাগরের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে বলে ধারনা করা হয়।

মৃত সাগর সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী:
পবিত্র বাইবেলে মৃত সাগরের লবণাক্ততা বিলুপ্ত হওয়া সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। এজেকেইল এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে "মৃত সাগরের পানি স্বাদু হয়ে যাবে, এমনকি মাছের বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠবে"। জেকরিয়াহ’তে উল্লেখ আছে "জেরুজালেমের পানি দু'ভাগে ভাগ হয়ে যাবে, একভাগ জমা হবে পূর্ব সাগর বা মৃত সাগরে এবং অন্য ভাগ জমা হবে পশ্চিম সাগর বা ভূমধ্যসাগরে।

বর্তমান সময়ে ডেড সি:
মৃত সাগর বা ডেড সি’র পাশ দিয়ে চলে গেছে বিশ্বের সবচেয়ে নিচু হাইওয়ে "হাইওয়ে ৯০"। সমুদ্র সমতল থেকে ৩৯৩ মিটার নিচে অবস্থিত এ হাইওয়েটি ইসরাইল এবং পশ্চিম তীরের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। ব্রিটিশরা উত্তর উপকূলে গড়ে তুলেছিল "সোডম এবং গোমোরাহ" নামের একটি গলফ কোর্স। ইসরায়েলের আরাদ এর নিকটবর্তী অঞ্চলে প্রধান হোটেলগুলোর নির্মাণ শুরু হয় বিশ শতকের ৬০ এর দশক থেকে। সমসাময়িক কাল থেকে অদ্যাবধি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের ফলে জর্ডান উপকূল ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে । ডেড সি বর্তমানে প্রাকৃতিক সম্পদের আধার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই সাগর থেকে মূল্যবান সম্পদ সংগ্রহ করে থাকে। ২০০১ সালে মৃত সাগর থেকে প্রাপ্ত ব্রাইন থেকে ইসরায়েল ১.৭৭ মিলিয়ন টন পটাশ, ৪৪,৯০০ টন কস্টিক সোডা, ২০৬,০০০ টন ব্রোমিন এবং ২৫,০০০ টন ম্যাগনেসিয়াম ধাতু এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড উৎপাদন করেছিল। জর্ডান প্রান্তে ১৯৫৬ সালে স্থাপিত হয় আরব পটাশ বা এপিসি । যেটি বাৎসরিক ২ মিলিয়ন টন পটাশ উৎপাদন করে ।

পর্যটকদের জন্য ডেড সি:
ডেড সি বর্তমানে একটি পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শত শত পর্যটক ডেড সি দর্শন করতে আসে। তারা ডেড সি’র পানিতে নেমে সাতার কাটে, ডুবে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে। অনেকে আবার এই সাগরের পানিতে শুয়ে শুয়ে পত্রিকা পড়ে সময় কাটায়। অনেকের মাঝে বিশ্বাস আছে যে, এই সাগরের মাটিতে রোগ নিরাময়ের উপাদান আছে, সেজন্য অনেকে এখানে এসে সাগরের মাটি সমগ্র শরীরে লাগায়।

সবশেষে বলা যায়, ডেড সি’র পানিতে কিছু ডুবে যায় না এটা মানুষের কাছে একটি অতি বিস্ময়কর বিষয়। মানুষ এটা দেখে অবাক হয় আবার হয় আশ্চর্যান্বিত। তবে এই ডেড সি থেকে মানুষের শিক্ষা নেওয়ারও দরকার রয়েছে। কারণ, এখানকার অধিবাসীদের পাপাচারের কারণে ডেড সি’র সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ যদি এরকম পাপাচার অব্যাহত রাখে তবে সেই পাপাচারের কারণে আবার কোনও মৃত সাগরের যে সৃষ্টি হবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।


SOURCE


5
Very useful Bangla Islamic Library for muslim.

CLICK HERE
   

6
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কোন সদস্যকে দেখেই বুঝে নিন তার পদবি কিঃ
আমরা অনেক সময়  বিমান বাহিনীর কোন সদস্যকে  দেখে বুঝতে পারি না তার র‌্যাংক কি। অথচ তার র‌্যাংক কিন্তু তার শরীরেই ঝুলানো আছে। সেই র‌্যাংক দেখে বিমান বাহিনীর কোন  সদস্যদের চেনার উপায় জেনে নিন।

Rank
............................................

In descending order
Officer ranks


Air Chief Marshal

Air Marshal

Air Vice-Marshal

Air Commodore 

Group Captain

Wing Commander

Squadron Leader

Flight Lieutenant

Flying Officer

Pilot Officer   



Junior Commissioned Officer and Non Commissioned Officer ranks


Master Warrant Officer 

   Senior Warrant Officer 

Warrant Officer 

Sergeant   

Corporal   

Leading Aircraftman 

Aircraftman   

7
Islam & Science / Download Islami Books
« on: January 29, 2012, 08:24:34 PM »
More than 100 Islami books.

Free download.No need to sign-up!

CLICK HERE

8
Career Jokes / Not jokes !
« on: January 27, 2012, 02:52:53 PM »

শিক্ষক :- আচ্ছা বলতো, তাজমহল কোথায় অবস্থিত?
ছাত্র :- জানি না স্যার।
শিক্ষক :- তাহলে বেঞ্চের উপর দাড়া।
ছাত্র :- বেঞ্চের উপর দাড়ালে কি তাজমহল দেখতে পাবো স্যার।


ইন্টারভিউ কক্ষে এক অল্প শিক্ষিত ব্যাক্তি ইন্টারভিউ দিচ্ছে।
প্র: কর্তা :- তুমি ইংরেজী গ্রামারের কোন অংশ ভালো পার?
স্যার ট্রান্সলেশন ভালো পারি।
প্র: কর্তা :- তাহলে বলতো ’সে গেলো তো গেলো এমনভাবে গেলো আর ফিরে এল না’ এর ইংরেজী কি হবে?
চটপট্ স্যার হি ওয়েন্ট টু ওয়েন্ট এমনভাবে ওয়েন্ট আর ডিড নট কাম।


শিক্ষকঃ বলতো আলম, আম বা যে কোন ফল উপরের দিকে না গিয়ে নিচে পড়ে কেন?
ছাত্রঃ উপরে খাওয়ার লোক নেই তাই।


শিক্ষকঃ ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন করো-"সে ডুব দিল, কিন্তু উঠল না।"
ছাত্রঃ হি হ্যাজ ডাইড!
শিক্ষকঃ কীভাবে?
ছাত্রঃ সে তো আর ওঠেনি। তাহলে নিশ্চয় মারা গেছে!


শিক্ষক ক্লাসের সবাইকে একটি ক্রিকেট ম্যাচের উপর রচনা লিখতে বললেন।
 জাহিদ ছাড়া সবাই রচনা লিখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
জাহিদ শুধু লিখলঃ "বৃষ্টির কারণে ক্রিকেট ম্যাচটি পণ্ড হয়ে গেছে!!

(Voice Change) পরীক্ষার হলে একজন পরীক্ষার্থী হটাৎ জোরে চিৎকার দিয়ে উঠল।
শিক্ষক :- তুমি এত জোরে চিৎকার দিলে কেন?
ছাত্র :- স্যার, প্রশ্নে লেখা আছে ভয়েস্ চেঞ্জ
কর।

শিক্ষক ছাত্রকে পড়া জিজ্ঞেস করলে বলতে পারল না ।
শিক্ষক রাগ করে বললেন, তুমি কি বাসায় পড়?
ছাত্র :- না স্যার !
শিক্ষক :- কেন পড় না ?
চাত্র :- স্যার পরলে ব্যাথা পাই তাই।


শিক্ষক ক্লাশে বাংলা গ্রামারের পদ পড়াচ্ছেন----
শিক্ষক :- ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে - বলতো একটি ছেলে গাছ থেকে মাটিতে পড়ে গেল এটি কোন পদ?
এক ছাত্র :- স্যার এটা বিপদ।


দুই ছাত্র মারামারি করার পর শিক্ষক তাদের শাস্তি হিসেবে তাদের নিজের নাম ১০০ বার করে লিখতে বললেন।
১ম ছাত্র :- স্যার আপনি রহিমের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
শিক্ষক :- কেন ! আমি তো দু’জনকেই সমানভাবে ১০০ বার নাম লিখতে দিয়েছি!!
১ম ছাত্র :- স্যার ওর নাম হচ্ছে আ: রহিম আর আমার নাম হচ্ছে ওমর ইবনে আব্দুল গাইয়্যুম।


ব্যকরণ শিক্ষক :- বলতো টুটুল ধ্বনি কহাকে বলে ?
টুটুল :- স্যার এটাতো একদম সহজ প্রশ্ন এ জগতে যার ধন সম্পদ, প্রভাব প্রতিপত্তি বেশি তাকে ধ্বনি বলে।

ছাত্র :- জুন আই কাম ইন স্যার।
শিক্ষক :- এই নতুন ইংরেজী কবে আমদানী করলে?
ছাত্র :- গত মাসে আপনিইতে ক্লাশে ঢোকার সময় বলেছিলেন।
শিক্ষক :- আমি তো বলেছিলাম "মে আই কাম ইন"।
ছাত্র :- কিন্তু স্যার মে মাস তো শেষ এখন জুন মাস চলছে।


9
Giethoorn নেদারল্যাণ্ডসে একটি সুপরিচিত পর্যটক গ্রাম, যাকে বলা হয় " উত্তরের ভেনিস "। Giethoorn কে বলা হয় রাস্তা ছারা গ্রাম।কারন এ গ্রামে কোন মোটর চালিত গাড়ি জাবার কোন বাবস্থা নাই । এখানকার লোকজন সবাই অনেক intersecting খালের উপর দিয়ে বিভিন্ন জলযানের সাহায্যে যাতাওত করে।এখানকার গ্রামবাসীরা  ছোট ছোট  electric motor  চালিত নেৌকা ব্যবহার করে, যেগুলোকে whisper boats বলে।

১৯৫৮ সালে ওলন্দাজ চলচ্চিত্র প্রস্তুত কারক Bert Haanstra তার বিখ্যাত কৌতুক মুভি " Fanfare " তৈরি করার পর Giethoorn গ্রাম বিখ্যাত হয়েছিল।


নেদারল্যাণ্ডস এর অবিশ্বাস্য  রাস্তা ছারা গ্রামের কিছু ছবি দেখেনেন এক নজরে…..









ভাল লাগলে comments দিয়েন।

10
Magdeburg জল সেতু is a  passable চ্যানেল যেটা জার্মানিতে অবস্থিত । এটা Elbe-Havel ও Mittelland খাল সংযোগ করে, এবং এটা Elbe River এর উপর দিয়া জাহাজ জেতে দেয় । এটি বিশ্বের দীর্ঘতম navigable aqueduct  জল সেতু, এটা ৯১৮ মিটার  লম্বা।
এটার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৩০ সালে। ২০০৩ সালে সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল।

জার্মানিতে অবিশ্বাস্য Magdeburg জল সেতুর  কিছু ছবি দেখেনেন এক নজরে…..









11
১৯৭১ এ মক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত অস্ত্রের ছবি ও বিবরন।

থ্রীনট থ্রী রাইফেল

যশোর পতন, এপ্রীল ১৯৭১। EPR বাহিনী, থ্রীনট থ্রী হাতে প্রথমবার পাকিদের হটিয়ে শহরটি দখল করার পর।

থ্রী নট থ্রী .303 রাইফেল।
ব্রীটিষ Lee enfield co ডিজাইন এবং ব্রীটেন ও কানাডায় নির্মিত, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে বহুল ব্যবহৃত রাইফেল। ম্যাগাজিন ৬ রাউন্ড।
মুক্তিযুদ্ধকালে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত যুদ্ধাস্ত্র। ২৫মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশলাইনে আক্রমনকারি পাকি বাহিনি কে প্রথম প্রতিহত করা হয় এই থ্রী নট থ্রী রাইফেল দিয়েই। খুবই টেকশই, বিকল হয় না বললেই চলে। ১৮৯০সালের ডিজাইনে তৈরি শত বছরের পুরনো অস্ত্রগুলো এখনো চলছে। পুলিশ-আনসারদের হাতে এখনো দেখা যায়।


M2 স্টেনগান.

ব্রীটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় নির্মিত, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে বহুল ব্যবহৃত কার্বাইন। ২০ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন।
M2 9MM স্টেনগান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রীয় অস্ত্র।
পুর্বাঞ্চলে জাপানি আগ্রাসন ঠেকাতে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শেষদিকে ব্রীটিষ-ভারতীয় বাহি্নীর হাতে বিপুল পরিমান স্টেনগান মজুদ হয়। দেশ ভাগের পর অস্ত্রগুলো থেকে যায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আসে শিমান্তরক্ষী EPR বাহিনীর সাথে। পর্বরতিতে খন্ডযুদ্ধে আর কিছু স্টেনগান মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আসে।


গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে স্টারলিং সাব মেশিনগান, ছবিটি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকু চৌধুরীর নিজস্য এলবাম থেকে নেয়া।



Sterling -sub machine gun
ব্রীটিশ নির্মিত, ভারতে সংযোজিত স্টারলিং সাব মেশিনগান । অনেকে এটাকে ভুল করে স্টেনগান বলে, আসলে দেখতে প্রায় একই রকম বলে এই ভুল টা করে।স্টক ভাজ করা যায়। সর্ট রেঞ্জে খুবই কার্যকর ছোট সাব মেশিনগান। ম্যাগাজিন ৩০ রাউন্ড।
ঢাকা ভিত্তিক গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় সবার হাতেই এই অস্ত্র টি দেখাগেছে।

এসএলআর

যুদ্ধক্ষেত্রে SLR নিয়ে আক্রমন প্রস্তুতি মুক্তিযোদ্ধাদের।

SLR কাঁধে মিত্র ভারতিয় বাহিনী।

L1A1 SLR কম্ব্যাট রাইফেল।
'এসএলআর' নামে বহুল পরিচিত। ১৯৫৩ সালের বেলজিয়ান FN ডিজাইনে ব্রীটিষ নির্মিত L1A1 SLR সেলফ লোডিং কম্ব্যাট রাইফেল। সেমি-অটমেটিক।
বুলেটকার্টিজ 7.62 MM, ম্যাগাজিন ২০ রাউন্ড।
মুক্তিযুদ্ধকালিন নিয়মিত বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের এবং মিত্র ভারতীয় পদাতিক বাহিনীর প্রধান কম্ব্যাট রাইফেল।
যুদ্ধে এই 'এস এল আর' ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়।

কালাসনিকভ AK47
বিখ্যাত রুশ কালাসনিকভ এর ডিজাইনে চিনে নকল করে তৈরি করা AK47 এস্যল্ট রাইফেল। কাজ করে অটোমেটিক, মেসিনগানের মত। বাঁকানো ম্যাগাজিনে গুলি ৪০ রাউন্ড।
দখলদার পাকিস্তানি পদাতিক বাহিনীর খুবই কার্যকর অটোমেটিক রাইফেল। পাকিস্তানি আর্মির কমান্ডারের হাতে দেখা যেত।
মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আসে মুলত বিদ্রহি বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের মাধ্যমে। ২৫শে মার্চেই ব্যারাকে পাকি সৈন্যদের পরাস্ত করে অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করা হয়।পরবর্তিতে খন্ডযুদ্ধে আর কিছু চাইনিজ AK47 মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আসে।
বাংলাদেশ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বর্তমানে লাইসেন্স নিয়ে এগুলো এ দেশেই তৈরি করছে। নিয়মিত বাহিনী গুলো এবং বিজিবি, RAB, আর্মড পুলিশ, কোষ্টগার্ড এরা সবাই এই অস্ত্র ব্যবহার করছে।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ পরবর্তি ৫০এর দশকে সোভিয়েট ইউনিয়নে এই অস্ত্রটির প্রচলন শুরু হয়ে এর জনপ্রীয়তা অপরিবর্তিত আছে এর উচ্চমান নির্মানশৈলির কারনে।
চিন অস্ত্রটি হুবুহু নকল করে বিভিন্ন দেশে বিক্রয় করছে।
কাদের বাহিনী একটি অপারেশনে, Bren LMG দেখা যাচ্ছে, পাসে বীরউত্তম কাদের সিদ্দিকি।


এল এম জি Bren MK-lll Light machine gun.
চেকস্লভাকিয়ার ডিজাইনকৃত, ব্রীটেনে নির্মিত। ব্রেনগান, LMG নামে বহুল পরিচিত খুবই কার্যকর একটি দু পা ওয়ালা লাইট মেশিনগান । এর বুলেটকার্টিজ থ্রী নটথ্রী রাইফেলের অনুরুপ। ম্যাগাজিন ৩০ রাউন্ড
মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আসে শিমান্তরক্ষী EPR বাহিনির সাথে। পরবর্তিতে ভারতীয় বাহিনীর কাছথেকে বেশকিছু এল এম জি ব্রেনগান সংগ্রহ করা হয়। যুদ্ধে এই অস্ত্র সকল ফ্রন্টে ব্যাপকভাবে ব্যাবহৃত হয়।


ডেগট্রায়ভ RPD Type 56 LMG LMG-RPD-44


রাশিয়ার Vasily Degtyaryov এর ডিজাইনকৃত, পর্বরতিতে চিনে নকল করে তৈরি করা রাউন্ড ম্যাগাজিন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন LMG
পাকি নিয়মিত বাহিনীর প্রধান ‘এল এম জি’। Type 56 এবং Type 44 দুটি মডেল, কিন্তু দেখতে হুবুহু এক।
এর বেশ কয়েকটি মেশিনগান মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আসে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের মাধ্যমে। ২৫শে মার্চেই ব্যারাকে পাকি সৈন্যদের পরাস্ত করে অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করা হয়। ড্রাম টাইপ ম্যাগাজিন, ভেতরে চেইনলোডেড ১০০ রাউন্ড গুলি আটে। দক্ষ সেনা মুক্তিযোদ্ধারাই এগুলো ব্যবহার করতো।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখনো এগুলো ব্যাবহার করছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের হেভি মেশিনগান চালানোর ট্রেনিং চলছে


এইচ এম জি Browning M2

ব্রাউনিং কম্পানির ডিজাইনকৃত যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শেষদিকে ব্রীটিষ-ভারতীয় বাহিনীর বহুল ব্যবহৃত হেভি মেশিনগান। এর 30mm বুলেট ট্যাঙ্ক বডি ভেদ করতে পারে। চেইনলোডেড কার্তুজ ফিড।
মুক্তিযুদ্ধকালিন নিয়মিত সেনা মুক্তিযোদ্ধাদের এবং মিত্র ভারতীয় সাজোঁয়া বাহিনী এবং শত্রু পাকিবাহিনী সবাই কাছেই এই ভারি মেশিনগান ছিল।
কিছু HMG গানবোটেও ফিট করা হয়েছিল। এটি বিমান বিধ্বংসি অস্ত্র হিসাবেও ব্যবহৃত হত।
ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানে এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে। খুবই ধ্বংস ক্ষমতা সম্পন্ন হেভি মেসিনগান।

১৬ই ডিসেম্বর আত্নসমর্পন অনুষ্ঠানে জেনারেল অরোরা, জেনারেল নিয়াজি টেবিলের দিকে হেটে যাচ্ছেন। SLR হাতে কর্ডন করে নিয়ে যাচ্ছে মিত্র বাহিনীর জওয়ানরা। বাঁ পাসে অস্পষ্ট সেক্টর কমান্ডার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার। ২নং সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন এ টি এম হায়দার (বীর উত্তম) কে দেখা যাচ্ছে (সর্ব ডানে নিয়াজির পাসে) ক্যাপ্টেন হায়দারের কাঁধে সোভা পাচ্ছে চাইনিজ AK47. পেছনে বিমর্ষ ক্যাপ্টেন সিদ্দিক সালিক (পাকিস্তানি) কে দেখা যাচ্ছে। তার পেছনে টুপি ছাড়া জ্যাকেট পরিহিত ঢাকা অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খসরু ভাই।
ছবিটি তুলেছিলেন হিন্দুস্তান টাইমসের ফটো সাংবাদিক কিশোর পারেখ।

SOURCE


12
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোন সদস্যকে দেখেই বুঝে নিন তার পদবি কি:
আমরা অনেক সময় কোন সেনা সদস্যকে দেখে বুঝতে পারি না তার র‌্যাংক কি। অথচ তার র‌্যাংক কিন্তু তার শরীরেই ঝুলানো আছে। সেই র‌্যাংক দেখে সেনা সদস্যদের চেনার উপায় জেনে নিন।
অফিসার


জেনারেল

ল্যাঃ জেনারেল

মেজর জেনারেল

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল

কর্ণেল

ল্যাঃ কর্ণেল

মেজর

ক্যাপটেন

লেফটেন্যান্ট

সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট


জুনিয়র কমিশন অফিসার (জেসিও)


মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার

সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার

ওয়ারেন্ট অফিসার



নন কমিশন অফিসার (এনসিও)


সার্জেন্ট

কর্পোরাল

ল্যান্স কর্পোরাল

13

নোকিয়ার ফোনের মেইন স্ক্রিনে গিয়ে লেখুন-

*#06#
- এতে নোকিয়ার IMEI (International Mobile Equipment Identity) চেক করতে পারবেন।
*#7780#
- ফেক্টরি সেটিংস রিসেট হয়ে চলে আসবে।
*#67705646#
- এতে LCD ডিসপ্লে হতে অপারেটরের লোগো গায়েব হয়ে যাবে।
*#0000#
- মোবাইলের সফটওয়ার ভার্সন দেখা যাবে।
*#2820#
- ব্লটুথ যন্ত্রের এড্রেস জানা যাবে।
*#746025625#
- সীম ক্লকের অবস্থা জানা যাবে।
#pw+1234567890+1#
- সীমের কোনো প্রকার রেসট্রিকসান আছে কিনা তা জানা যাবে।
*#92702689#
- এতে মোবাইলের গোপন মেনুতে চলে যাবেন। যেখানে জানতে পারবেন,
১। মোবাইলের সিরিয়াল নম্বর
২। মোবাইল তৈরীর মাস ও বছর
৩। মোবাইল কেনার দিনক্ষণ (যদি থাকে)
৪। মোবাইলের শেষ মেরামতের দিনক্ষণ (যদি থাকে)
৫। মোবাইলটি কতক্ষণ হতে এখনো পর্যন্ত চালু রয়েছে

*#3370#
- EFR মানে, মাবাইলের নেটওর্য়াক সিগনাল আরো জরদার করতে। এর মাধ্যমে, সহজে কল করা ও রিসিভ করতে পারবেন যা সাধারণত করা দুস্কর। এতে, আপনি আপনার GPRS সার্ভিসের স্পিডে (যদি সার্ভিসটি চালু থাকে) অভাবনীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন, যদি GPRS সার্ভিসটির নেটওর্য়াকটি তেমন ভালো না অথবা ধীর গতির হয়ে থাকে। ব্যাটারি কিন্তু জলদি জলদি যাবে।

*#3370*
- পূর্বের সার্ভিসটি বন্ধ করতে।

*#7328748263373738#
- এটি দিলেই মোবাইলের সিকিউরিটি কোড ডিফল্টে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। ডোফল্ট কোড হল 12345।

মোবাইলমাবাইল আনলক করতে জিএসএম লিবার্টিhttp://www.gsmliberty.net/shop/nokia_unlock.php ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। এটি ফ্রি সার্ভিস দেয় বলে তো লেখা র‌য়েছে। গিয়ে বিস্তারিত দেখতে পারেন।

Please Note:
This is an ethical approach to learn some lessons. The writer shall not be liable for any of the consequences regarding to his writings.

14
সূর্যঘড়ি : এটি প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি। আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যাবিলনে এর উৎপত্তি। বহাল তবিয়তে এখনও টিকে আছে। সেকেন্ড ও মিনিটের বালাই নেই, নেই কোনো টিকটিক শব্দ। তবে সময় দেয় একদম নিখুঁত। গোলাকার চাকতিতে একটি নির্দেশক কাঁটা ও দাগ কাটা সময়ের ঘর; এ নিয়েই সূর্যঘড়ি। জেনে রাখা ভালো, মাত্র ৭০০ বছর আগে লাতিন শব্দ ‘ক্লক্কা’ থেকে এসেছে ক্লক। ক্লক্কা মানে ঘণ্টি।

পানিঘড়ি :এর কাজের ধরন বালিঘড়ির মতো। খ্রিষ্টপূর্ব ষোড়শ শতকে মিসরে এর উৎপত্তি। তখন এর নাম রাখা হয় ক্লেপসাড্রা। একটি বড় পাত্র থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় একটি ছোট পাত্রে পানি পড়ার মাধ্যমেই এগিয়ে চলে সময়ের কাঁটা। নিচের ছোট পাত্রের সঙ্গে জুড়ে থাকে একটি খাঁজযুক্ত দণ্ড। ওটাই একটু একটু করে ঘোরাতে থাকে সময়ের গিয়ার। পানিঘড়ির হাত ধরেই আসে দিন, মাস ও ঘণ্টার ধারণা। গ্রিকরাই প্রথম বছরকে ১২ ভাগে ভাগ করে। এরপর উপবৃত্তাকার কক্ষপথকে ৩৬০ ডিগ্রি ধরে তাকে ১২ দিয়ে ভাগ করেই পাওয়া গেল মাসের ৩০ দিন। মিসরীয় ও ব্যাবিলনীয়রা সূর্যের উদয়-অস্ত নিয়ে দিনকে দুটো সমান ভাগে ভাগ করল। এভাবে এলো ১২+১২=২৪ ঘণ্টা। সে সময় তাদের সংখ্যা গণনার ভিত্তি ছিল সেক্সাজেসিমাল তথা ৬০ = এখন যেমন ১০। এ কারণেই ঘণ্টা ও মিনিট ভাগ হলো সমান ৬০টি ভাগে।

পেন্ডুলাম :জার্মানির পিটার হেনলেইন ১৫১০ সালে প্রথম স্প্রিং চালিত ঘড়ি আবিষ্কার করেন। তবে ওটা নিখুঁত সময় দিতে পারত না। এর নির্দেশকের গতিও ছিল বিক্ষিপ্ত। আরেক জার্মান গবেষক জোস্ট বার্জিও তৈরি করেন আরেকটি যান্ত্রিক ঘড়ি। তবে তাতেও সমস্যা ছিল ঢের। বার্জি মূলত জ্যোতির্বিজ্ঞানকে মাথায় রেখেই এটা তৈরি করেছিলেন। তা ছাড়া মিনিটের কাঁটা ছাড়া আর কোনো নির্দেশক ছিল না তাতে। ১৬৫৬ সালে পেন্ডুলাম চালিত প্রথম কার্যকর ঘড়ি আবিষ্কার করেন নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান হাইজেন। ডানে-বাঁয়ে হেলে-দুলে বেশ ভালোভাবেই ঘুরিয়ে দিত মিনিট ও ঘণ্টার খাঁজকাটা চাকতিগুলো। তবে প্রথম দিকে পেন্ডুলামের দুলুনির মাত্রা ছিল অনেক। প্রায় ৫০ ডিগ্রি। পরে তা ১০-১৫ ডিগ্রিতে নেমে আসে। ১৯০৬ সালে পেন্ডুলাম ক্লকের পেছনে প্রথমবারের মতো জুড়ে দেয়া হয় ব্যাটারি।
কোয়ার্টজ ক্রিস্টাল ক্লক : বিদ্যুৎ কিংবা চাপ প্রয়োগে একটি নির্দিষ্ট ছন্দে কাঁপতে পারে কোয়ার্টজ ক্রিস্টাল ধাতু। এ ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ১৯২০ সালে আসে প্রথম কোয়ার্টজ ক্রিস্টাল ঘড়ি। এরই ধারাবাহিকতায় আসতে থাকে একের পর এক আধুনিক ও দামি ঘড়ি।
অ্যাটমিক ঘড়ি :সময়কে কেটেকুটে একদম অদেখার জগতে নিয়ে গেছেন বিংশ শতকের বিজ্ঞানীরা। সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগ বুঝতেই যেখানে গলদঘর্ম হতে হয়, সেখানে একশ কোটি ভাগের এক ভাগ তো কল্পনার বাইরে। ভাবতে ভাবতেই না জানি কত লাখ কোটি ন্যানো সেকেন্ড পেরিয়ে গেল। পরমাণুর কম্পনকে কাজে লাগিয়ে যে সময়যন্ত্র হতে পারে, এমনটি ১৮৭৯ সালে ভেবেছিলেন লর্ড কেলভিন (তাপ মাপার একক কেলভিনের জনক)। এর কার্যকর রূপটির আরেক নাম হচ্ছে ম্যাগনেটিক রিজোনেন। ১৯৩০ সালে যার সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন মার্কিন বিজ্ঞানী ইসিদর আইজাক রাবি। তার আবিষ্কারের ওপর ভিত্তি করেই ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যান্ডার্ডস প্রথম অ্যাটমিক ঘড়ি তৈরি করে। তবে তখন তা প্রচলিত কোয়ার্টজ

ক্লকের চেয়ে নিখুঁত সময় দিতে পারত না। সেই সমস্যা কাটাতে এলো সিজিয়াম-১৩৩ পরমাণু। ১৯৫৫ সালে ব্রিটিশ গবেষক লুই এসেন ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে বসে বানিয়ে ফেললেন প্রথম সিজিয়ামভিত্তিক অ্যাটমিক ঘড়ি। যে সিজিয়াম পরমাণুর ৯,১৯২,৬৩১,৭৭০টি কম্পনকে আমরা বলি ১ সেকেন্ড।
প্রথম বাণিজ্যিক অ্যাটমিক ঘড়িটির নাম অ্যাটোমাইক্রন। ১৯৫৬-৬০-এর মধ্যে যা বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫০টি। তবে ’৯০-এর পর ঘড়ির জগতে তৈরি হতে থাকে একের পর এক মাইলফলক। ২০০৮ সালে পারদ ও অ্যালুমিনিয়ামের আয়নকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি তৈরি করে সভ্যতার সেরা অ্যাটমিক ঘড়ি। কোটি বছর পরও যে ঘড়ির সময়ে এক সেকেন্ড হেরফের ঘটবে না।
বিশ্বের একেক দেশের ঘড়িতে এখন একেক সময়। তবে মহাকালের ঘড়িতে কিন্তু সময় একটিই। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ওই ঘড়িটা টিক টিক করে উঠেছিল বিগ ব্যাংয়ের পর থেকেই। তার আগে সময় ছিল ঘুমিয়ে। বিজ্ঞানের তত্ত্ব বলছে, আবার একদিন বন্ধ হয়ে যাবে মহাকালের ঘড়ি।

15
                                         

গ্রীষ্ম এলেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি, বহুতল ভবন, শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়িতে ঘটে থাকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আগুনে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ। কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। আমাদের দেশে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। দেখা গেছে, দূরে কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর আগুনে পুড়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সংগঠন বিজিএমইএ’র দাবি।
বাংলাদেশের এ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সুদূর মালয়েশিয়ায় বসে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর গ্রামের রুহুল আমিন তৈরি করেছেন অটোমেটিক অগ্নিনির্বাপণ সিস্টেম। রুহুল আমিনের দাবি, তার এ সিস্টেম ব্যবহার করে মালয়েশিয়ার বড় বড় ৮টি কোম্পানি সফলতা পেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে দেশে চাকরি না পেয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে প্রায় ১৮ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে প্রথমে একটি কোম্পানিতে চাকরির পাশাপাশি মেকানিক্যাল ডিপ্লোমা কোর্স করেন। এরপর ’৯৩ সালে মালয়েশিয়ার ওয়াইটেল নামে বিখ্যাত একটি কোম্পানিতে প্রজেক্ট ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন। সেখানেই তিনি ১৫ বছরের গবেষণা শেষে তৈরি করেন আগুন নেভানো এ স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম ব্যবস্থা।

তথ্যর উৎসঃ
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/04/27/29327

Pages: [1] 2