Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - shilpi1

Pages: 1 [2] 3 4 ... 8
16
চল্লিশের কোঠায় পা মানে আপনি জীবনের এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছেন। এই বয়সে পেশাজীবন, সংসার, সাফল্য তুঙ্গে। তারুণ্যের ছটফটানির দিন শেষ, আপনি স্থির হয়েছেন। গুছিয়ে এনেছেন সবকিছু। আর ঠিক এই সময়ই আকস্মিক হৃদ্রোগ, উচ্চরক্তচাপ বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) সবকিছু এলোমেলো করে দিতে পারে। বয়স ৪০ পেরোনোর পর থেকেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তাই এটা সাবধানতার সময়, নিজের দিকে আলাদা করে নজর দেওয়ার সময়। এ সময় তাই প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন।

১. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড, গরু-খাসির মাংস, কলিজা, মগজ, কেক-পেস্ট্রি, কোমল পানীয় ইত্যাদির পরিমাণ সীমিত রাখুন। তাজা শাকসবজি, ফলমূল, লাল চাল বা লাল আটার তৈরি খাবার, ভুট্টা-যব এবং সালাদ বেশি করে খান। লবণ খাওয়াও কমিয়ে দিন।
২. এত দিন সময় পাননি, এবার হাঁটতে শুরু করুন। বেশি না, প্রতিদিন ৩০ মিনিটই যথেষ্ট। অথবা সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট। হাঁটাহাঁটি ছাড়াও সাঁতার, সাইকেল চালনা, খেলাধুলা করতে পারেন। মোটকথা, এবার নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস করুন, তাহলেই সুস্থ-সচল থাকতে পারবেন।
৩. ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্তটা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। মনের জোর থাকলে নিশ্চয়ই পারবেন। পাশাপাশি তামাক, গুল, জর্দা ইত্যাদি সেবনের অভ্যাসও পুরোপুরি বাদ দিন।
৪. পরিবারে হৃদ্রোগের ইতিহাস সন্ধান করুন। বাবা-মা, ভাইবোন বা রক্ত-সম্পর্কের কারও মধ্যে ৫৫ বছরের কম বয়সী পুরুষ বা ৬৫ বছরের কম বয়সী নারীদের হৃদ্রোগ বা হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকলে সতর্ক হোন।
৫. নিজের ওজন সম্পর্কে সচেতন হোন। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বজায় রাখুন। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা জরুরি। রক্তে শর্করা ও চর্বির মাত্রা দেখে নিন। রক্তচাপ মাপুন। সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অবহেলা করবেন না।
৬. রাত জাগার অভ্যাস ছাড়ুন। হৃদ্রোগ এড়াতে সাত-আট ঘণ্টার নিশ্ছিদ্র ঘুম জরুরি। বিছানায় যাওয়ার আগে রাত জেগে মোবাইল, ফেসবুক, কম্পিউটার বা গেমস নিয়ে ব্যস্ত থাকা উচিত নয়। রাতের খাওয়া নয়টার মধ্যে সেরে নিন।
৭. মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা কমান। বন্ধুবান্ধব, পরিবার ও স্বজনের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটান। ভালো শখের পরিচর্যা করুন। মাঝেমধ্যে কাজে বিরতি নিয়ে বেড়িয়ে আসুন।

17
এ পার্থক্য চলে আসছে
সৃষ্টিগতভাবে নারী-পুরুষের দৈহিক সুস্পষ্ট কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। সৃষ্টিগত এ পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন কাজের বিষয়ে ইসলাম নারী-পুরুষের বিধানেও কিছু পার্থক্য রেখেছে।

যেহেতু দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করে নামাজ আদায় করতে হয় সেহেতু নারী-পুরুষের নামাজের বিধানেও রয়েছে বেশ কিছু পার্থক্য। আর সব পার্থক্যের ভিত্তি হচ্ছে পর্দা।

পুরুষ-মহিলাদের নামাজের এ পার্থক্য নতুন নয়। বরং নবী, সাহাবা ও তাবেয়িদের যুগ থেকেই এ পার্থক্য চলে আসছে। পরবর্তীতে চার ইমামের সবাই মহিলাদের নামাজের পার্থক্য মেনে নিয়েছেন। তাদের কেউই এ পার্থক্যকে অস্বীকার করেননি অথবা এ কথা দাবি করেননি যে, মহিলাদের নামাজে কোনো পার্থক্য নেই। তারা হুবহু পুরুষদের মতো নামাজ পড়বে।

মহিলাদের নামাজের প্রথম পার্থক্য হচ্ছে নামাজের স্থানে। পুরুষ মসজিদে নামাজ আদায় করলে নেকি বেশি পাবে। কিন্তু মহিলাদের জন্য মসজিদের জামাতে উপস্থিত হওয়ার চেয়ে নিজের বসবাসের কামরায় নামাজ আদায় করা বেশি ভালো।

মহিলাদের নামাজের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য নামাজের পোশাকে। হিজাব বা বড় ওড়না ছাড়া মহিলাদের নামাজ হবে না।

নামাজ আদায়ের পদ্ধতিতেও রয়েছে কয়েকটি পার্থক্য। যথা-
১. মহিলারা আজান-ইকামত ছাড়া নামাজ পড়বে।
২. শব্দ করে সূরা-তাকবির বলবে না, বরং নিঃশব্দে পড়বে।
৩. নামাজের শুরুতে হাত উঠানোর সময় মহিলারা দুই হাত ওড়নার বাইরে বের করবে না।

৪. হাত উঠানোর সময় কাঁধের ওপরে উঠাবে না।
৫. বুকের ওপর হাত বাঁধবে।
৬. ডান হাত দিয়ে বাম হাত জড়িয়ে ধরবে না বরং বাম হাতের পিঠের ওপর ডান হাত রেখে দেবে।

৭. রুকুতে সম্পূর্ণ নত হবে না। বরং সামান্য নত হবে, হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছবে।
৮. রুকুতে হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁক করে হাঁটু ধরবে না বরং আঙ্গুলগুলো পরস্পর মিলিতভাবে হাঁটুর ওপর রেখে দেবে।

৯. জড়োসড়ো হয়ে সিজদা করবে। কোমর উঁচু করে রেখে সিজদা করবে না।
১০. সিজদাতে পেট উরুর সঙ্গে লাগিয়ে রাখবে। কনুই মাটিতে বিছিয়ে রাখবে। বাহু শরীরের সঙ্গে লেগে থাকবে। হাঁটুর কাছাকাছি সিজদা করবে। দু’পা ডান দিকে বের করা থাকবে।

৭. বসার সময়ও দুই পা ডান দিকে বের করে দিবে এবং নিতম্বের ওপর বসবে।
নারী-পুরুষের নামাজের মধ্যকার এই পার্থক্যসমূহ হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস, সাহাবা ও তাবেয়িদের উক্তি এবং আমল দ্বারা প্রমাণিত।

প্রমাণসহ পার্থক্যগুলো পর্যালোচনা করতে গেলে কলেবর অনেক বড় হবে- বিধায় এখানে সংক্ষেপে শুধু বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো। নিকটতম সময়ের ইসলামি স্কলারদের অনেকেই মহিলাদের নামাজের পার্থক্যের ওপর প্রমাণসমৃদ্ধ গ্রন্থ সংকলন করেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য সেগুলো দেখা যেতে পারে।

18
Skin / চিকেন পক্স বা জলবসন্ত
« on: March 05, 2017, 12:14:52 PM »
বসন্ত এলে শিশুদের চিকেন পক্স বা জলবসন্ত রোগের প্রকোপ বাড়ে। এটা ভাইরাসজনিত রোগ এবং সংক্রামক। তাই স্কুল-বাড়ি-পাড়ায় এক শিশুর শরীর থেকে দ্রুত আরেক শিশুর মধ্যে ছড়ায়। প্রথম দু-এক দিন শরীরে সামান্য ব্যথা, জ্বর থাকে। তারপর সারা শরীরের ত্বকে গুটি গুটি দানা বেরোয়। সেগুলো প্রথমে লালচে থাকলেও আস্তে আস্তে পানিতে ভরে ওঠে এবং তাতে প্রচণ্ড চুলকায়।

জলবসন্ত এমনিতে সাধারণ অসুখ। এতে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু এ থেকে কিছু জটিলতা হতে পারে। যেমন ত্বকের সংক্রমণ। এ ছাড়া এ সময় পুষ্টির অভাব হতে পারে, রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা কমতে পারে। জলবসন্ত হলে শিশুর যত্ন, পথ্য ও চিকিৎসা নিয়ে এখনো অনেকের ভুল ধারণা আছে। জেনে নিন এ বিষয়ে কিছু তথ্য:

জলবসন্তে কী কী খাওয়া নিষেধ?

আসলে কোনো নিষেধ নেই, যদিও আমাদের দেশে অনেকেই এ সময় শিশুকে মাছ-মাংস খেতে দেন না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এ সময় শিশুর বেশি বেশি পুষ্টি প্রয়োজন হয়। তাই প্রোটিনসহ সব ধরনের খাবারই তাকে খেতে দিন। প্রচুর পানি ও তরল খাবার দিতে হবে।

গোসল নিষেধ?

অনেকেই জলবসন্তে আক্রান্ত শিশুর গায়ে পানি লাগাতে দেন না। কিন্তু প্রতিদিন গোসল করানো বরং ভালো। কারণ, পানিসহ গোটাগুলো ভাইরাসে পূর্ণ। একটা ফোসকা ফেটে গেলে সেই তরল যেখানে স্পর্শ করে সেখানেই আবার সংক্রমণ হয়। প্রতিদিন পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করালে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

বদ্ধ ঘরে কত দিন?

বাইরের বাতাস গায়ে লাগাতে বারণ নেই। ঘরের দরজা-জানালা খুলে দিন। হালকা করে পাখা ছাড়ুন। তবে এই অসুখ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই। কেননা অন্য শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে। তা ছাড়া রোগীর বিশ্রাম প্রয়োজন।

চুলকানিতে খোঁচাখুঁচি নয়

শিশুর নখ ছোট করে কেটে দিন, যাতে সে চুলকানি হলে নখ দিয়ে খুঁটতে না পারে। কেননা এতে ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।

অ্যান্টিবায়োটিক লাগবে?

ভাইরাসজনিত রোগে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। তবে জ্বর বাড়লে এবং গোটাগুলো হলুদ হয়ে গেলে বুঝতে হবে যে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়েছে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক দিন।

জলবসন্তের টিকা আছে

চিকেন পক্স বা জলবসন্তের প্রতিষেধক বা টিকা এখন সহজলভ্য। এখনো না হয়ে থাকলে শিশুকে এই টিকা দিয়ে দিতে পারেন।

অধ্যাপক তাহমীনা বেগম

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

19
মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও প্রতারণার ক্ষেত্রে ক্রোধ তথা রাগ হচ্ছে- অভিশপ্ত শয়তানের অস্ত্র। শয়তান মানুষকে ক্রোধের বশবর্তী করে বিচ্যুতির ফাঁদে ফেলে বিপথগামীতার দিকে নিয়ে যায়। রাগ বা ক্রোধ মানবজীবনে সবচেয়ে ভয়ানক শত্রু। মানুষ যখন রাগান্বিত হয় তখন তার মস্তিষ্ক স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কাজ করে না, তার স্বাভাবিক জ্ঞান লোপ পায়; ফলে সে যে কোনো অঘটনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতে পারে। রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার নিমিত্তে মনস্তাত্বিকবিদরা নানাবিধ উপায়ের কথা বলেছেন।

কিন্তু আজ আমরা পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে রাগ নিবারণের কার্যকর পন্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে রাগ নিবারণের উপায়ের পদ্ধতির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

এক. অন্যের ভুল-ভ্রান্তিকে মার্জনার দৃষ্টিতে দেখা। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ (তারা সফল মানুষ) যারা অন্যায় ও পাপকর্ম থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে এবং যখন ক্রোধান্বিত হয় তখন আত্মসংবরণ (তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়) করে।’ –সূরা আশ শুরা: ৩৭
 
দুই. তাকওয়া ও পরহেজগারিতা। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে তাদেরকে তাকওয়া ও পরহেজগারি হিসেবে অভিহিত করেছেন; যারা ক্রোধকে দমন করতে পারে। অন্যভাবে বলা যেতে পারে যে, ক্রোধ দমনের সক্ষমতাই তাকওয়া ও পরহেজগারিতার পরিচয়।

পবিত্র কোরআনের ভাষায়, ‘আর তোমাদের প্রতিপালকের মার্জনা ও বেহেশতের দিকে দ্রুত ধাবিত হও, যার বিস্তৃতি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সমান; যা তাকওয়াধারীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে, ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল। আর সৎকর্মশীলদের আল্লাহ ভালোবাসেন। -সূরা আল ইমরান : ১৩৩-১৩৪

আমরা প্রত্যক্ষ করি যে, মানুষ যখন জীবন চলার পথে কোনো বাধা কিংবা বিপত্তির শিকার হয়- তখন যদি সে ধৈর্য অবলম্বন না করে তাহলে ক্রোধের বশবর্তী হতে পারে।

তিন. ‘আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ (আমি অভিশপ্ত শয়তানের হাত থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি) বেশি বেশি পাঠ করা। নিশ্চয়ই অভিশপ্ত শয়তান মানুষের অন্তরে ক্রোধের আগুন প্রজ্বলিত করে। কাজেই ক্রোধের আগুন থেকে বাঁচার অন্যতম কার্যকর পন্থা হচ্ছে, আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা। যাতে শয়তানের প্ররোচনা হতে নিরাপদ থাকা যায়।

চার. ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম’ পাঠ করা। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম’- পাঠের মাধ্যমে ক্রোধ নির্বাপিত হয়।

পাঁচ. অধিক দরুদ শরিফ পাঠ করা। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি দরুদ শরিফ পাঠ মানুষের আত্মাকে প্রশান্ত এবং ক্রোধকে নিবারণ করে।

ছয়. সিজদা করা। রাগ ও ক্রোধ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে, মানুষ যখন রাগান্বিত হয়, তখন তার উচিত সিজদাবনত হওয়া। কেননা সিজদা ক্রোধের আগুনকে নির্বাপিত করে। এ সম্পর্কে ইসলামি স্কলাররা বলেন, ক্রোধ হচ্ছে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ন্যায়। যা মানুষের মন ও মানসিকতার ওপর (নেতিবাচক) প্রভাব ফেলে। এ অবস্থাতে দেখা যায়, ক্রোধান্বিত ব্যক্তির চোখ রক্তবর্ণ হয়ে যায়। কাজেই যদি কারও মধ্যে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়- তাহলে তার উচিত সেজদাবনত হওয়া। যে ক্রোধান্বিত অবস্থায় সেজদাবনত হবে, আল্লাহতায়ালা তাকে শয়তানের প্রজ্বলিত আগুন থেকে রক্ষা করবেন এবং তার অন্তরে প্রশান্তি সৃষ্টি হবে।

সাত. অবস্থার পরিবর্তন সাধন। বলা হয়, যদি কেউ বসা অবস্থায় ক্রোধান্বিত হয় তাহলে উঠে দাঁড়াবে। যদি দাঁড়ানো অবস্থায় ক্রোধের শিকার হয়- তাহলে বসে যাবে কিংবা নিজের স্থান পরিবর্তন করবে। এক্ষেত্রে কিছুটা হাটাহাটি করার কথাও বলা হয়েছে। অবস্থার এমন পরিবর্তনের মানুষের ক্রোধের আগুন প্রশমিত হয়।

আট. অজু কিংবা গোসল করা। ক্রোধের আগুন নিবারণের জন্য হাত-পা ধৌত করা অর্থাৎ অজুর আমল ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কাজেই অজু কিংবা গোসল এক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর প্রভাব ফেলে। এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ক্রোধান্বিত হও; তখন অজু কিংবা গোসল করবে। কেননা ক্রোধ হচ্ছে- অগ্নি। আর পানি অগ্নিকে নির্বাপিত করে দেওয়া।

20
বুকে ব্যথা হলে প্রথমে হৃদ্রোগের কথাই মনে পড়ে। এই ভয় অমূলক নয়। প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো ব্যক্তির বুকে ব্যথা হলে হৃদ্রোগ আছে কি না, নিশ্চিত হওয়া উচিত। তবে বিশ্বজুড়ে যত মানুষ হৃদ্রোগজনিত বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে আসেন, তার চার গুণ আসেন অন্যান্য কারণে বুকে ব্যথার চিকিৎসা নিতে। হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাতিল হয়ে যাওয়ার পর বুকে ব্যথার অন্যান্য কারণ নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে।
মাংসপেশি বা হাড়ের সমস্যার কারণে অনেক সময় বুকে ব্যথা হয়। ফুসফুস বা ফুসফুসের চারপাশের পর্দার সংক্রমণ বা নানা রোগেও বুকে ব্যথা হয়। খাদ্যনালির সমস্যা, পেপটিক আলসার বা পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরে উঠে আসার কারণে প্রায়ই বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। এ ধরনের ব্যথা সাধারণত পাঁজরের নিচে মধ্যখানে দেখা দেয়। খাবারের কারণেও অনেক সময় বুক জ্বালা করে। ভয় বা আতঙ্ক থেকেও বুক চেপে আসে বা ব্যথা করতে থাকে। এর পাশাপাশি ঘাম, বুক ধড়ফড় ও ঘন ঘন নিশ্বাস হতে পারে, যা হৃদ্রোগের মতোই লাগে। কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়ও বুকে ব্যথা হয়। খাবার গেলার সময় খাদ্যনালির মাংসপেশির সমন্বয়হীনতার কারণেও বুকে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
হৃদ্রোগ ছাড়া অন্য কোনো কারণে বুকে ব্যথা হলে তা বাম হাত, কাঁধ ইত্যাদি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে না। নন কার্ডিয়াক চেস্ট পেইন বা এ ধরনের ব্যথা সাধারণত বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। তবে যেকোনো রকমের বুকে ব্যথারই সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

ডা. মো. আজিজুর রহমান
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

21
Health Tips / ওজন কমাতে পাঁচ চা
« on: October 25, 2016, 10:19:41 AM »
চা পান করা ছাড়া এক দিনও চলে না এ রকম মানুষ চারপাশে বিরল নয়। এক কাপ ধূমায়িত চা আদর্শ হয়ে উঠতে পারে আপনার গলা ব্যথা সারানোর জন্য, শীতের রাতে উষ্ণতার অনুভূতি দেওয়ার জন্য। তবে সচরাচর আমরা যে ধরনের চা পান করি তার অভ্যাসটি একটু বদলে দিয়ে যদি কিছু ভিন্ন স্বাদের চা  খাই তবে আমেজের পাশাপাশি এটি আপনার ওজন হ্রাসেও সাহায্য করবে। এরকমই কিছু চায়ের সন্ধান দিয়েছে ইয়াহু হেলথ। এসব চা ক্ষুধা বৃদ্ধির হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের ক্যালোরি ঝড়াতে কাজ করবে। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে।

সবুজ চা বা গ্রিন টি

কাজে বের হওয়ার আগে এককাপ গ্রিন টি পান দেহের শক্তি জোগাতে কাজ করবে। সম্প্রতি ১২ সপ্তাহ ধরে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একেবারেই চা পান করেন না তাঁদের তুলনায় প্রতিদিন যাঁরা চার থেকে পাঁচ কাপ গ্রিন টি পান করেন তাঁরা ২ অথবা এর বেশি পাউন্ড ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন। এই চা দেহের চর্বি কোষ থেকে চর্বি ঝড়াতে সাহায্য করে এবং লিভারের অবস্থানকে ভালো রাখে।

ওলং চা

ওলং চা, যার চীনা নাম ব্ল্যাক ড্রাগন। এই চা হালকা স্বাদের। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি ধরে রেখে চর্বি কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত ওলং চা পান করেছেন তাঁরা ছয় সপ্তাহের মধ্যে ছয় পাউন্ড ওজন হ্রাস করতে পেরেছেন। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে এক পাউন্ড করে! তাই ওজন হ্রাসে নিয়মিত এই চা পানের অভ্যাসও করতে পারেন।

পুদিনার চা

নিজেকে আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী দেখতে পান করতে পারেন পুদিনা পাতার চা। গবেষণায় বলা হয়, যারা পুদিনা পাতার চা পানকে তাদের অভ্যাসে পরিণত করেছেন তাঁরা এক মাসে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজন হ্রাস করতে পারবেন।

সাদা চা

সাদা চা বা হোয়াইট টির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, এই চা চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে শরীরকে চাঙা রাখে। যদি সত্যিই কোনো ডায়েট টি খুঁজতে চান তবে সত্যিই এটির জুড়ি নেই।

রুইবস টি

মূলত লাল গুল্ম থেকে রুইবস চায়ের উৎপত্তি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপটাউন এলাকার কাছাকাছি কেডারবার্গ প্রদেশে এই চা উৎপন্ন হয়। এই চা শরীরের চর্বি ঝড়ানোর পাশাপাশি চাপ তৈরির হোরমোনকে (স্ট্রেস হরমোন) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হাইপার টেনশন, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিক রাখা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও এই চা বেশ কার্যকরী।

22
Health Tips / অসহ্য দিনগুলোর কথা
« on: October 18, 2016, 10:52:19 AM »
মেজাজ খিটখিটে, মন খারাপ ভাব, বিরক্তি। হঠাৎ খিদে পাওয়া, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা। পেটে অস্বস্তি। ডায়ারিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য। কখনো স্তনে সামান্য ব্যথা। মাসে বিশেষ কয়েকটি দিন কোনো কোনো নারীর এ রকম খারাপ যায়। আবার কয়েক দিন পরই ঠিকঠাক। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর আরেক নাম প্রি মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম বা মাসিক পূর্ববর্তী উপসর্গসমূহ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক ৮৫ শতাংশ নারীই এই সমস্যায় ভোগেন। অথচ প্রায়ই বিষয়টা তাঁরা খেয়াল করেন না।
মাসিক শুরু হওয়ার দিনটির ৫ থেকে ১০ দিন আগে থেকে শুরু হতে পারে এসব উপসর্গ। এর জন্য দায়ী করা হয় মাসিকের আগে-পরে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের ওঠানামা আর সেরোটোনিন নামের রাসায়নিকের নিঃসরণকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই হরমোনের ওঠানামা সাধারণ কিছু উপসর্গ তৈরি করা এবং কয়েকটা দিনকে অসহ্য মনে হওয়া ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না শরীর ও মনে। কিন্তু ২০ থেকে ৩২ শতাংশ নারীর উপসর্গের মাত্রা এত বেশি হতে পারে, যা তাঁকে শারীরিক-মানসিকভাবে পর্যুদস্ত করে ফেলে। ৩ থেকে ৮ শতাংশ নারীর হতে পারে প্রি মেনস্ট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিসঅর্ডার, যাতে তিনি বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রি মেনস্ট্রুয়াল উপসর্গগুলোকে পুরোপুরি বিদায় করা যায় না। তবে চাইলে এবং সচেতন থাকলে অনেকখানি কমানো যায়। সে জন্য কয়েকটি পরামর্শ:
* এ সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে। খেতে হবে অনেক ফলমূল। যথেষ্ট অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে তাজা ফলে, যা উপসর্গ কমায়। চা, কফি, অতিরিক্ত লবণ সমস্যা বাড়াবে, কেননা এগুলো সেরোটোনিন জাতীয় রাসায়নিকের নিঃসরণ আরও বাড়ায়।
* এ সময় ক্লান্তি বা অবসাদ ঠেকানোর জন্য দুধ ও ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে বেশি। ফলিক অ্যাসিড, বি ৬, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম খেতে বলা হয়। কয়েক দিনের জন্য ফলিক অ্যাসিড বড়িও খাওয়া যেতে পারে।
* স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা কমাতে হবে। রাতে ভালো করে ঘুমাতে হবে। রাত জাগলে উপসর্গ বাড়ে। বই পড়া বা গান শোনার মতো কাজ মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে। অন্তত ৩০ মিনিট অ্যারোবিক ব্যায়াম বা ইয়োগা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যয়ামও করা যায়।

23
আমরা সর্বাবস্থায় আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ করবো। কারণ তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা, জীবন ও মৃত্যুদাতা। তিনি আমাদেরকে আলো-বাতাস দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তার অনুগ্রহ ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও বেঁচে থাকতে পারবো না। শাকসবজি, ফলফলাদি, গাছপালা, পশুপাখি, নদী-সাগর, আকাশ-বাতাস, চাঁদ, সূর্য সব কিছুই তিনি আমাদের উপকারার্থে সৃষ্টি করেছেন।

আমাদের জন্য আল্লাহর রহমতের দরজা সবসময় খোলা আছে। আল্লাহ সর্বদা আমাদের সঙ্গে আছেন। যখন আমরা একা থাকি তখন তিনি আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয়, যখন আমাদের সঙ্গে আরেকজন থাকেন তখন আল্লাহ আমাদের মাঝে তৃতীয় সঙ্গী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন, যেখানেই তুমি থাক না কেন।’ -সূরা মুজাদালা: ০৭

তিনি প্রতি মুহূর্তে আমার প্রতিটি কথা শুনছেন, প্রতিটা কাজ দেখছেন। তিনি সদা-সর্বদা উপস্থিত এবং তার জ্ঞানের পরিধি সর্বব্যাপ্ত। এই কথাটি আমরা বার বার নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেবো এবং প্রত্যেক কাজের শুরুতে স্মরণ করবো।

সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণ- এমন এক শক্তি; যা  দুর্বলকে সবল করে এবং সব বিপদে সাহায্য করে। কারণ আল্লাহর স্মরণকারীর বিশ্বাস এই যে, সবকিছু আল্লাহর হুকুমেই হয় এবং আল্লাহর কোনো ফয়সালা বান্দার জন্য অশুভ নয়। আল্লাহর ফয়সালা মেনে নেওয়ার মাঝেই বান্দার সফলতা ও কল্যাণ।

কোরআনে কারিমে আল্লাহর স্মরণ বেশি বেশি করতে বলা হয়েছে। অন্য কোনো ইবাদত সম্পর্কে এমন কথা বলা হয়নি। বেশি বেশি আল্লাহর স্মরণ এমন এক বিষয়, যা মানুষকে সব ধরনের গোনাহ থেকে রক্ষা করে। তা এত সহজ যে, এর জন্য আলাদা করে বেশি সময় ব্যয় করার কিংবা অন্যান্য কাজ স্থগিত রাখার প্রয়োজন হয় না।

আল্লাহর স্মরণ হচ্ছে যাবতীয় ইবাদতের রূহ বা আত্মা। কোরআনে কারিমের ওয়াদা অনুযায়ী যখন কোনো বান্দা আল্লাহকে স্মরণ করে; তখন আল্লাহ তাকে স্মরণ করেন। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করবো এবং কৃতজ্ঞ হও অকৃতজ্ঞ হয়ো না।’ -সূরা বাকারা: ১৫২

সুতরাং আমরা যখন আল্লাহর স্মরণে নিজেদের মশগুল রাখি তখন এ কথা মনে করা কর্তব্য যে, স্বয়ং আল্লাহতায়ালাও আমাদের স্মরণ করছেন। দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা অর্জন করতে হলে, বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করা উচিত। পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করবে যাতে তোমরা সফলতা অর্জন করতে পারো।’ -সূরা আনফাল: ৪৫

আমরা যদি সবসময় আল্লাহকে ডাকি বা তার স্মরণ করি, তবে তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন। আমাদের ক্ষমা করে দেবেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতে মহাপুরস্কার দানে ধন্য করবেন। কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও স্মরণকারী নারী, তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।’ -সূরা আহজাব : ৩৫

অতএব, চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে সর্বাবস্থায় বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। বিপদে-আপদে একমাত্র তাকেই ডাকতে হবে। তবেই তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন এবং সাহায্য করবেন। আল্লাহ আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।

24
মানবজীবনের প্রতিটি বিষয়ে ইসলামের দিকনির্দেশনা রয়েছে। সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার কর্তব্যের ব্যাপারেও ইসলামের রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের যেমন কর্তব্য আছে; তেমনি সন্তানের প্রতিও পিতা-মাতার কর্তব্য রয়েছে।

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে আল্লাহর ইবাদত, তার সঙ্গে কাউকে অংশীদার না করার পাশাপাশি পিতা-মাতার প্রতি আনুগত্যের হুকুম করা হয়েছে। এতে বুঝা যায়, পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, তাদের সেবা করা, আনুগত্য প্রদর্শন করা, তাদের বিপদে সাহায্য করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব।

মানুষ স্বাভাবিক অভ্যাস হিসেবে সন্তানের আনুগত্য কামনা করেন। তারা চান, সন্তান যেন তাদেরকে সম্মান করে, সুন্দর আচরণ করে। এই চাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার ভাবা উচিত, তারা সন্তানের অধিকার কতটুকু আদায় করেছেন। সন্তানের যাবতীয় অধিকার যথাযথভাবে আদায় না করে সন্তানের কাছ থেকে ভালো কিছু চাওয়া বোকামি।

‍সন্তান প্রতিপালনে বর্তমানে অধিকাংশ বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে চরম উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়- যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পিতা-মাতা যদি সন্তানকে ভদ্রতা দেখান, তার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করেন, তাদের যথাযথ দেখাশোনা করেন, তবে সন্তানের কাছ থেকে পরবর্তীতে এসব আশা করতে পারেন; অন্যথায় নয়।

পিতা-মাতা হলেন সন্তানের প্রথম অভিভাবক, প্রথম শিক্ষক। আর পরিবার তার প্রথম বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে সে যা শিখবে, সেটার ওপর নির্ভর করবে তার ভবিষ্যত সুন্দর হওয়া না হওয়া। তাই এক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে। পিতা-মাতার অবহেলায় অধিকাংশ সন্তান অকালে ঝরে পড়ে। অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায় তাদের জীবনবৃক্ষ। সন্তানের সুন্দর জীবন গঠনে তাই মা-বাবার সচেতনতা ও আন্তরিকতার বিকল্প নেই।

সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার কর্তব্য ও দায়িত্বের ব্যাপারে কোরআন-হাদিসে অনেক নির্দেশনা এসেছে। সন্তানের প্রতি পিতার কয়েকটি মৌলিক দায়িত্ব রয়েছে। সেগুলো হলো-

১. সন্তানকে একজন দ্বীনদার, আদর্শ মা উপহার দেওয়া।
২. জন্মের সপ্তম দিনে তার মাথার চুল মুণ্ডিয়ে ফেলা।
৩. সপ্তম দিনে সন্তানের সুন্দর, অর্থবহ ইসলামি নাম রাখা।
৪. সন্তানকে ইসলাম ধর্মের মৌলিক জ্ঞান প্রদান করা।৫. বিয়ের বয়স হলে উপযুক্ত তার বিয়ের ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে অনেক পিতা-মাতার অসতর্কতা ও অবহেলা লক্ষ করা যায়। অনেকে সম্পত্তির লোভে নিজের সন্তানে অযোগ্য পাত্রে বিয়ে দেন। এতে করে সারাজীবন ওই সন্তানকে দুঃখের সাগরে ভাসতে হয়। সুখের সংসার জাহান্নামে পরিণত হয়। আবার অনেকে পরিণত বয়স হওয়ার পরেও সন্তানের বিয়ের প্রতি মনোযোগী হন না। যার কারণে সমাজে ইভটিজিং, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ব্যাপক হারে বাড়ছে। এক্ষেত্রে সবার সতর্কতা কাম্য।

এ ছাড়া সন্তানের আকিকার কথাও বলা হয়েছে। তবে সেটা মৌলিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। পিতার সামর্থ্য থাকলে সন্তানের আকিকা দেওয়া উত্তম। এতে সন্তান সুস্থ, নিরাপদ ও রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকে।

সন্তানের বয়স সাত বছর হলে তাকে নামাজের আদেশ করতে হবে। দশ বছর হওয়ার পরও নামাজ না পড়লে তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে। এটা আল্লাহ-রাসূলের নির্দেশ। সন্তানের উত্তম চরিত্র গঠনে নামাজের ভূমিকা অপরিসীম।

সন্তানকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা পিতা-মাতার অন্যতম কর্তব্য। তাকে আদর্শ নাগরিক গঠনে পিতা-মাতার সর্বাগ্রে এগিয়ে আসা উচিত। ইসলামের মৌলিক জ্ঞানটুকু সন্তানকে অবশ্যই শিক্ষা দিতে হবে। নিজেরা না পারলে অন্যের মাধ্যমে সন্তানের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, পিতা-মাতার অসচেতনতা ও দায়িত্বহীনতা সন্তানের জীবন ধ্বংস হয়। ইসলামি স্কলাররা বলেন, যে সন্তান পরিবার থেকে সুশিক্ষা পাবে, সে কখনও ধর্মবিরোধী ও দেশদ্রোহী হতে পারে না। সে মা-বাবাকে অবশ্যই সম্মান করবে। মা-বাবার অধিকার আদায়ে আগ্রহী হবে। কিন্তু সন্তানকে যথাযথ শিক্ষা না দিয়ে, তার অধিকার যথার্থভাবে আদায় করে তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা ভুল।

25
ক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যার, নিরাপদ জীবন তার। আমাদের হার্টে প্রতিনিয়ত পাম্পের মতো প্রতিটি কোষে রক্ত সরবরাহ করে থাকে। এই রক্ত প্রবাহমান ধারায় রক্তনালীর দেয়ালে যে বল প্রয়োগ করে তাই রক্তচাপ। এই প্রবাহে কোনো ধরনের বাঁধা বা স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হলে সে অবস্থাকে আমরা উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সব সময়ই নির্ভর করি ডাক্তার আর ওষুধের ওপর। কিন্তু আমরা চাইলে ঘরোয়া ভাবেও এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। কীভাবে, জেনে নিন:

মাছ, মাংস, সবজি
মাছ ও মুরগির মাংস খেলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু লাল মাংস বিশেষ করে গরুর মাংস খেলে রক্তচাপ আরও খারাপ অবস্থায় চলে যায়। সবজি এবং মাছ আমাদের শরীরের জন্য উপকারি। প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর সবজি এবং মাছ রাখুন। 

রসুন
বিশ্বজুড়ে অনেক ধরনের খাদ্য তৈরিতে একটি বিশেষ উপাদান হচ্ছে রসুন।মনে করে দেখুন, অামাদের দাদী, নানীরা ছোটবেলায় প্রতিদিন এক টুকরো রসুন খেতে বলতেন। আসলে ওনারাই সঠিক ছিলেন। এই প্রাকৃতিক ওষুধ রসুন আমাদের শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

পেঁয়াজ এবং মধু
উচ্চ রক্তচাপ দ্রুত কমিয়ে দেওয়ার জন্য একটি দারুণ টিপস্ হচ্ছে, একটি কাপে এক চা চামচ পেঁয়াজের রস এবং দুই চা চামচ মধু নিয়ে প্রতিদিন খান। 

গাজর
আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনে দুবার গাজরের জুস খান। নিয়মিত গাজর খেলে আমাদের ত্বকও ভালো থাকে।

বিট
বিটের জুসও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে টনিকের কাজ করে।

লবণ
সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিনের খাবার থেকে অবশ্যই কাঁচা লবণ বাদ দিতে হবে।

এতো গেল খাবারের কথা। নিয়মিত মেডিটেশন করুন, প্রতিদিন আধা ঘণ্টা হাঁটুন আর দুশ্চিন্তা দূরে রেখে প্রিয়জনের সঙ্গে হাসিখুশি থাকুন।

উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হয়ে দেখা দিতে পারে। এটি হার্ট এটাক, স্ট্রোক, হৃদরোগ এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করুন।

26
খারাপ মানুষ কারও গায়ে লেখা থাকে না। যা দেখে খারাপ মানুষকে চেনা যাবে। কিন্তু আচার-আচরণে মানুষের খারাপ স্বভাবগুলো ফুটে উঠে। তখন আমরা ওই ব্যক্তি কিংবা মানুষ সম্পর্কে বলে থাকি, এই লোকটি খারাপ, বিশ্রী তার ব্যবহার। পক্ষান্তরে ওই লোকটি ভালো, কতো নম্র তার আচরণ। ইসলামি স্কলাররা মানুষের এমন কিছু মন্দ স্বভাবের কথা বলেছেন, যেগুলো দেখলে বলা যায়- লোকটি মন্দ। তেমন কিছু স্বভাব বা মন্দ লক্ষণ হলো-

মাত্রাতিরিক্ত আত্মকেন্দ্রীক: যে কোনো মানুষের সঙ্গে মেলামেলা যেমন ভালো না; তেমনি অতি আত্মকেন্দ্রীক হওয়া উচিত না। এটা ভালো মানুষের লক্ষণ নয়। একজন মানুষ এতই আত্মকেন্দ্রীক যে পাশের রুমে একজন মানুষ হাত কেটে চিৎকার করছে; আর সে ওই মানুষটিকে দেখতেও গেলো না। এত আত্মকেন্দ্রীক হওয়া ভালো না। মনে রাখবেন, পাশের রুমে থাকার কারণে আপনার প্রতি তার কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। আপনি যদি তার বিপদে এগিয়ে না আসেন- তা হলে তার হককে না হক করলেন। যার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট জওয়াবদিহি করতে হবে।

অহংকার দেখানো: কথায় আছে অহংকার পতনের মূল। অহংকার সব সৎগুণ বিনষ্টকারী মন্দ স্বভাব। যে মানুষের অন্তরে অহংকার বাসা বাঁধে সে জীবনে উন্নতি করতে পারে না। অহংকার হলো- মহান আল্লাহতায়ালার গুণ। যে ব্যক্তি তার এ গুণ নিয়ে টানাটানি করে, আল্লাহ তাকে অপমান অপদস্ত করেন।

মিথ্যাকথা বলা: আরবিতে একটি প্রবাদ আছে, সত্য মুক্তি দেয়; মিথ্যা ধ্বংস করে। যে ব্যক্তি মিথ্যার ওপর অটল তার ভিত্তি এমন নড়বড়ে যে, তা যে কোনো সময় তার ওপর ভেঙ্গে পড়তে পারে। যে ব্যক্তি সত্যের ওপর অটল থাকবে; আল্লাহ তার মুক্তির পথ বের করে দেবেন। সত্যবাদীর সঙ্গে আল্লাহ থাকেন। আর মিথ্যাবাদীর সঙ্গে শয়তানও শেষ পর্যন্ত থাকে না। কারণ, শয়তান প্ররোচনা দিয়ে বিপদের সময় কেটে পড়ে। এটাই শয়তানের স্বভাব।

নেশাদার দ্রব্য পান করা: নেশাদার দ্রব্যপানকারী জান্নাতে যাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তওবা না করে তার এ পাপ ক্ষমা হবে না। এ ছাড়া নেশাদার দ্রব্য পান সেবন শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতি। জেনে বুঝে নিজের শরীরের ক্ষতি করাও পাপের কাজ।

ব্যভিচার করা: ব্যভিচার সমাজকে কুলষিত করে। ব্যভিচারের কারণে দুনিয়ায় আল্লাহর গজব নেমে আসে। ব্যভিচার হারাম ও জঘন্য অপরাধমূলক কাজ।

বেশি কথা বলা: বেশি কথায় বেশি বিপদ। কম কথায় কাজ আদায় হলে বেশি কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। অনেক লোক শুধু শুধু কথা বলে থাকেন। যা খারাপ স্বভাব বৈ কিছু নয়। কারণ, প্রত্যেকটি কথার একদিন জবাব দিতে হবে।

আয় বুঝে ব্যয় না করা: সর্বাবস্থায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে যে ব্যক্তি, সে কখনও অভাবের মুখোমুখি হয় না। জীবনাচারের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন- এটা ইসলামেরও শিক্ষা বিশেষ।

পরনিন্দা করা: পরনিন্দা একটি খারাপ স্বভাব। এটা খারাপ মানুষের লক্ষণ। কোনো মার্জিত ভদ্র মানুষ অপর মানুষের নিন্দা করতে পারে না। অপরের দোষ নিয়ে ঘাটাঘাটি না করে সংশোধনের উদ্দেশ্যে ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা ভালো মানুষের লক্ষণ।

খারাপ চিন্তা করা: খারাপ মানুষ সব সময় খারাপ চিন্তা করে থাকে। কথায় বলে, খারাপ মানুষ খারাপ মানুষকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে। কোনো ভালো মানুষ তার বন্ধু হয় না। ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’। খুবই পরিচিত বহুল শ্রুত একটি প্রবাদ। প্রবাদটি খুব সহজ এবং ছোট বাক্য হলেও এর বেশ গুরুত্ব প্রদান করেছে ইসলাম। সৎ বন্ধু, মুমিন ও ভালো সঙ্গী নির্বাচন করার ব্যাপারে সাহাবায়ে আজমাইনদের ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করতেন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)। আমাদেরও উচিৎ নবীর আদর্শমতে জীবন পরিচালনা করা।

গোয়েন্দাগিরি করা: কিছু মানুষের স্বভাবই এমন যে, অপর মানুষকে নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করেই তাদের সময় কাটে। মনে রাখবেন, যারা গোয়েন্দাগিরি করে কারও দোষ বের করার চেষ্টা করবে- আল্লাহতায়ালা তাদের দোষ প্রকাশ করে দেবেন। তাদেরকে অপমান অপদস্ত করবেন। যদিও সে আকাশে অবস্থান। পৃথিবীর যে স্থানেই সে থাকুক না কেন এমন স্বভাবের মানুষকে আল্লাহ তার রহমতের দৃষ্টি দিয়ে দেখবেন না।

আল্লাহতায়ালা সবাইকে এমন মন্দ স্বভাব থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

27
কাজের মেয়ে বা গৃহকর্মী নির্যাতন একটি অতি পুরনো নির্মম সত্য বিষয়। আবহমানকাল থেকে এ নির্যাতনের নির্মম সত্যকথন নীরবে-নিভৃতে কেঁদে ফিরছে। শুধু দৈহিক নির্যাতনই নয়, ইদানিং অহরহই ঘটছে ধর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনা। এ মহা অন্যায়-অবিচারের প্রতি মানবিক কারণেই আমাদের যেমন আছে ক্ষোভ, তেমনি সহমর্মিতা-সহানুভূতিরও অভাব নেই।

নামমাত্র বেতনে অথবা শুধু পেটে-ভাতে অসংখ্য শিশুশ্রমিক ও নারী বাসাবাড়িতে কাজ করে। পচা-বাসি খাবার খেয়ে আর দিনের পর দিন একচিলতে বদ্ধঘরে মশারিবিহীন (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে) অবস্থায় দিন-রাত কাটিয়ে এরা ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ নানাবিধ রোগে ভোগে। ক্ষেত্রবিশেষ অসৎ চরিত্রের গৃহকর্তা অথবা বাড়িতে আশ্রিত পুরুষ আত্মীয়স্বজনের দেহের ক্ষুধা মেটাতে এরা ধর্ষণের শিকার হয়।

এক দিকে চরমভাবে যৌন নির্যাতনে মৃতপ্রায় হয়, নানাবিধ ভয়াবহ অসুখে আক্রান্ত হয়; অন্য দিকে গৃহকর্ত্রীও তাদের ওপর অমানসিক নির্যাতন চালায়। কোথাও বা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয় এদের। মাথার চুল কেটে দেয়া তো সাধারণ ব্যাপার। পরিশেষে তাকেই দোষী সাব্যস্ত করে ভ্রষ্টা অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। লোকলজ্জার ভয়ে এরা নিজেরা বা এদের হতভাগ্য অভিভাবকেরা আইনের দরজা পর্যন্ত আসতে পারে না, সুবিচার তো বহু দূর।

কাজের মেয়ে আর বেত্রাঘাত, গরম খুন্তির ছেঁকা, গরম ইস্ত্রির ছেঁকা, গরম পানি ঢেলে দিয়ে গা ঝলসে দেওয়া এবং লাঠিপেটা ইত্যকার শাস্তি যেন সম্পূরক বিষয়। অথচ এমন কাজ আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধর্মের দৃষ্টিতেও মহা অন্যায়ের কাজ।

অনেক কাজের মেয়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে যায়। তাদের পরিণতি হয় আরও করুণ। কাউকে বা ভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে আশ্রয় নিতে হয় পতিতালয়ে। এ সমাজেরই কিছু দালাল ওঁৎ পেতে থাকে এমন আশ্রয়হারা ভাসমান মহিলা ও কিশোরীদের জন্য। তারা এদের অর্থের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে দেয়। এদের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়।

এক কথায় বলা চলে, গৃহকর্মীরা সুবিচার পায় না। অথচ আমাদের যা লাইফস্টাইল, যে রকম বাড়িঘর, যে রকম রান্নাবান্না, সে ধরনের শিশু পরিচর্যা, তাতে গৃহকর্মী ছাড়া জীবন চালানো কঠিন। শুধু কঠিনই নয়, ক্ষেত্রবিশেষে অসম্ভবও বটে। কাজেই এই বিপুলসংখ্যক গৃহকর্মীকে নিয়ে অবশ্যই ভাবার অবকাশ আছে।

আমরা জানি, মানবজীবনকে সমস্যামুক্ত করার জন্য এবং শান্তিময় কল্যাণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহ বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত শ্রেষ্ঠতম মানুষ হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন এতিমের বন্ধু, গরিবের বন্ধু, বিধবার বন্ধু ও নির্যাতিত মানুষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু।

আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো দাস-দাসী তোমাদের জন্য খাবার তৈরি করে এনে দেয় তখন নিজের সঙ্গে বসিয়ে তাকে খাওয়াবে। কেননা সে ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেছে। আর কোনো খাবার যদি পরিমাণে কম হয় তবে অন্তত দু-একমুঠো তার হাতে দেবে।’-সহিহ মুসলিম

সহিহ বোখরি শরিফের বর্ণনা মতে নবী করিম (সা.) মৃত্যু মুহূর্তে শেষ বাক্য হিসেবে বলে গেছেন- ‘নামাজ আর দাস-দাসীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করতে। নবী করিম (সা.) কথাগুলো বারবার বলেছেন’।

উল্লিখিত হাদিসের শিক্ষা হৃদয় ও প্রজ্ঞা দিয়ে অনুভব করে আমাদের চলা উচিত। বর্ণিত হাদিস থেকে আমরা যে দিকনির্দেশনা পেলাম তা অতি সুস্পষ্ট। এর ভিত্তিতে বলা চলে-

ক. গৃহকর্মীরা পরিবারের সদস্যতুল্য গণ্য হবে।
খ. পরিবারের সদস্যরা যা খাবে, তারাও তাই খাবে।
গ. পরিবারের সদস্যরা যা পরবে তাদেরও (সতর ঢাকা) সে ধরনের পোশাক দিতে হবে।
ঘ. সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ তাদের ওপর চাপানো যাবে না। যদি দেওয়া হয় তবে তাকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে ও সক্রিয় সহযোগিতা করতে হবে।
ঙ. সর্বোপরি আখেরাতের ভয়াবহ দিনের কথা স্মরণ রেখে অধীনদের প্রতি সুবিচার করতে হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ, ছোট-বড় প্রতিটি কর্মকাণ্ড একটি বিশেষ দিনে জবাবদিহি করতে হবে। এটা ভুলে গেলে চলবে না। প্রত্যেক মানুষই সেদিন তার অর্জিত পাপ-পুণ্য নিয়ে মহান স্রষ্টার হুকুমে তার সামনে কাঁপতে কাঁপতে হাজির হবে; সেদিন অত্যাচারিতের, নির্যাতিতের আর্তনাদে রাব্বুল-ইজ্জতের আরশ কেঁপে উঠবে। মহান আল্লাহ কৃতকর্মের জন্য কাউকে পুরস্কৃত করবেন, আবার কাউকে পাঠাবেন অনন্ত অগ্নিকুণ্ডে। সে দিনটিকে আমরা কেউ উপেক্ষা করতে পারব না। শাস্তির ভয়ে পালিয়ে যেতেও সক্ষম হবে না কোনো প্রাণী। পাপী মানুষেরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে অগ্নিপ্রাচীর ঘেরা গহ্বরে।

সুতরাং সেই ভয়াবহ আজাবের কথা চিন্তা করে আমাদের উচিত অধীনস্থ দাস-দাসীদের প্রাপ্য অধিকার কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক আদায় করে চলা। অবহেলিত হতদরিদ্র গৃহকর্মীদের একটি নিয়মের আওতায় আনা। তাদের কাজের সুনির্দিষ্ট পরিধি ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া। তৃপ্তিদায়ক খাবার দেওয়া। ঘুম, বিশ্রাম ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনীয় ছুটির সুযোগ দেওয়া।

মানছি গৃহকর্মীদের নিয়ে কিছু সমস্যা হয়। এমন হলে, তাকে অত্যাচার না করে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তার অপরাধ যদি আইনে শাস্তিযোগ্য হয়, তবে আইনে আওতায় আনা যেতে পারে। কিন্তু কোনোভোবেই নির্যাতন করা যাবে না।

28
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার কয়েকটি টিপস সহজভাবে জেনে নেই:

খেতে হবে
প্রচুর পানি পান করুন
প্রতিবার খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে একগ্লাস পানি পান করুন
উচ্চ শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য যেমন—চাল, আলু খেতে হবে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেতে হবে
কম ক্যালরিযুক্ত তাজা ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে পারেন
প্রতিদিন সকালে গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন
সাধারণ চা বা কফির পরিবর্তে সবুজ চা পান করুন
কারণ শসা ও ভিটামিন সি জাতীয় টক ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে
তিতা স্বাদযুক্ত সবজি বিশেষ করে করলা বাড়তি ওজন কমানোর জন্য খুবই কার্যকর
মসলাজাতীয় খাবার যেমন: আদা, দারচিনি, কালো মরিচ ওজন কমাতে সাহায্য করে।

খাওয়া যাবে না
খাওয়ার সময় অতিরিক্ত লবণ খেলে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে
উচ্চক্যালরি ও উচ্চ ফ্যাটযুক্ত ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
মিষ্টি শরবত, কোমল পানীয়, সব রকম মিষ্টি, তেলে ভাজা খাবার, চর্বিযুক্ত মাংস, তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, শুকনা ফল, ঘি, মাখন, পনির, দুধের সর এসব খাবার যত পছন্দেরই হোক বাদ দিতে হবে
রাতে খাবারের পর অনেকেই অতিরিক্ত কিছু খেতে পছন্দ করেন
অপ্রয়োজনীয় এ খাবারটুকু একদম বাড়তি ওজন যোগ করে আমাদের শরীরে
কোনো সফলতা সেলিব্রেট করার সময় পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে খাবার খাওয়ার প্লান বাদ দিয়ে বরং কোথাও ঘুরে আসুন

কায়িক শ্রম ব্যায়াম

একটি কথা মনে রাখা দরকার, শুধু খাদ্য নিয়ন্ত্রণই আমাদের ওজন কমাতে পারে না। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে যদি ৫০০ ক্যালোরি কমাতে পারি তাহলে ওজন কমে প্রতিসপ্তাহে আধা কেজি। কিন্তু আমরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে হাঁটি, সাইকেল চালাই অথবা সাঁতার কাটি তখন দেখবেন ওজন কমছে ২ গুণ। তবে যারা কায়িক শ্রম বেশি করেন তাদের ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। সময়ের অভাবে যারা আলাদা করে এক্সারসাইজ করতে পারেন না, তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসেই কিছু ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করে নিন। আর কাছাকাছি দূরত্বে কোথাও যেতে হলে হেঁটে যান, ওপরে উঠতে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়িতে চলুন। এক গ্লাস পানি বা প্রিন্ট দেওয়া কাগজ আনতে কাউকে না বলে নিজেই উঠে গিয়ে নিয়ে নিন।

শরীরের বাড়তি ওজন এক সপ্তাহে বাড়েনি, তাই খুব অল্প দিনে কমে যাবে এটা ভাবা ঠিক নয়, দীর্ঘ তিন মাসের পরিকল্পনা করুন, ধৈর্য ধরে চেষ্টা করুন স্বপ্নের সেই হারানো কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেয়ে যাবেন মাত্র তিন মাসে।

29
 হাই ব্লাডপ্রেসার বা উচ্চরক্তচাপের আরেক নাম হাইপারটেনশন। গুরুতর এ স্বাস্থ্য সমস্যাটি ডেকে আনতে পারে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও কিডনি ফেইলরের মতো মারাত্মক ঝুঁকি।

রক্তচাপ যদি ১৪০/৯০ বা এর ওপরে থাকে তবে তা উচ্চরক্তচাপ।

উচ্চরক্তচাপের সাধারণ কারণগুলো হচ্ছে- স্থূলতা, বংশগত, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, লবণ বেশি খাওয়া, ব্যায়াম না করা, স্ট্রেস, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ও ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, কিডনি অসুখ, অ্যাড্রিনালিন সমস্যা ইত্যাদি।

হাইপারটেনশনের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। তবে প্রাকৃতিক সহজলভ্য কিছু উপাদান দিয়েও এর প্রতিকার সম্ভব।তরমুজের বিচি
তরমুজের বিচিতে রয়েছে কিউকার্বোসিট্রিন নামক এক উপাদান যা রক্তের সূক্ষ্ম নালিগুলোকে বিস্তীর্ণ করে। পাশাপাশি এটি কিডনির কার্যপ্রণালী উন্নীত করে। ২০১০ সালের ফ্লোরিডা স্টেট পাইলট স্টাডিতে বলা হয়, ভ্যাসোডাইলেটরি ইফেক্ট রয়েছে বলে তরমুজের বিচি রক্তচাপ কমায়।
•     শুকনো তরমুজের বিচি ও পোস্তদানা সমপরিমাণে গুঁড়া করুন। একসঙ্গে মিশিয়ে এয়ার টাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় খালিপেটে এক চা চামচ করে খান।
•    এক কাপ গরম পানিতে দুই চা চামচ তরমুজের বিচির গুঁড়া দিয়ে একঘণ্টা রেখে দিন। ছেঁকে সারাদিনে অল্প অল্প করে কয়েকবারে পান করুন।
লেবু
লেবু রক্তনালি নমনীয় রাখে ও কাঠিন্য দূর করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর রস প্রতিদিন পান করে রোধ করা যেতে পারে হার্ট ফেইলর। ভিটামিন সি হচ্ছে এমন একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট যা ফ্রি রেডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব অপসারণ করতে সক্ষম। রোজ সকালে খালিপেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে পান করুন। চিনি বা লবণ ব্যবহার করবেন না। রসুন
রসুন কাঁচা বা রান্না করা দুটোই রক্তচাপ হ্রাস করে। এটি নাইট্রিক অক্সাইড ও হাইড্রোজেন সালফাইড উৎপাদনের মাধ্যমে রক্তনালিকে শিথিল করে।

•    প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খান। রসুনের হাইড্রোজেন সালফাইড রক্তপ্রবাহ ভালো রাখে, গ্যাস কমায় ও হৃৎপিণ্ডের চাপ হ্রাস করে। কাঁচা রসুন খেলে গলা বা মুখ জ্বালা করতে পারে। সেক্ষেত্রে গরম দুধে রসুন কুচি দিয়ে খান।

•    দিনে দু’বার চার চা-চামচ পানিতে পাঁচ/ছয় ফোঁটা রসুনের রস দিয়ে খান।

কলা
পটাশিয়ামে পরিপূর্ণ কলা সোডিয়ামের প্রভাব কমিয়ে দেয়। কলার সঙ্গে খেতে পারেন অ্যাপ্রিকট, কিশমিশ, কমলার রস, মিষ্টি আলু, ফুটি ইত্যাদি।নারকেলের পানি
যাদের হাইপারটেনশন রয়েছে তাদের প্রচুর পানি পান করা উচিত। দিনে অন্তত ১০ গ্লাস পানি তো অবশ্যই। নারকেলের পানি রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারি। ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেলের পানি পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ। এটি সিস্টোলিক ব্ল‍াড প্রেসার কমায়।

পেঁয়াজের রস
কোয়ার্সটিন নামক এন্টি-অক্সিডেন্ট ফ্লেভোনল রয়েছে তাই পেঁয়াজ রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন একটি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ খান। এছ‍াড়াও টানা এক সপ্তাহ দিনে দু’বার দুই টেবিল চামচ করে পেঁয়াজের রস ও মধু দিয়ে তৈরি মিশ্রণ খান।মেথি
মেথিতে রয়েছে হাই ফাইবার ও পটাশিয়াম।

•     দেড় কাপ পানিতে দুই চা চামচ মেথি দিয়ে ৩/৪ মিনিট সিদ্ধ করুন। ছেঁকে পান করুন।

•     মেথি গুঁড়া করে বোতলে সংরক্ষণ করুন। সকালে ও বিকেলে খালিপেটে এক চা চামচ মেথি পানিতে পেস্ট করে খান। রক্তচাপ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে টানা দুই/তিন মাস এভ‍াবে খেতে হবে।

30
সারাদিন আমরা খুব ব্যস্ত। অফিস করা, রান্না করা, শপিং করা, ঘর গোছানো, খাবার পরিবেশন করা আরও কতো কিছু...

বাড়িতে রান্না করতে একঘণ্টা, বই পড়তে সময় লাগে কম হলেও ১৫ মিনিট, যে কাজই করতে যাই, সময়ই যে বড় বাধা হয়ে যায়। আর সময় না পাওয়ার অজুহাতে আমরা অনেক সময়ই গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ করতে পারিনা। কিন্তু জানেন কি মাত্র ৬০ সেকেন্ড বা এক মিনিটের কম সময়ে এমন অনেক কাজ করা যায় যা আমাদের অনেক ভালো অনুভূতি এনে দিতে পারে?

জেনে নিন এক মিনিটের মধ্যেই করা যায় এমন কিছু কাজের তালিকা, যে কাজগুলো করলে আরও ভালো হবে আমাদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক আর পারিবারিক জীবন। তো প্রস্তুতি নিয়ে আর আজ থেকেই শুরু করুন:

•    প্রতিদিন যে পরিমাণ পানি পান করেন তার চেয়ে অতিরিক্ত এক গ্লাস পানি পান করুন
•    ১০ বার গভীরভাবে নিশ্বাস নিন
•    মানুষ হিসেবে এই পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান
•    একটি আপেল খান
•    বাবা মাকে ফোন করে খোঁজ নিন
•    রান্নার মাঝে এসে প্রিয়জনের সঙ্গে হাসি মুখে একটু কথা বলে নিন
•    দুই পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভারসাম্য রেখে দাঁড়ান
•    প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর আপনার দাঁত পরিস্কার রাখতে কুলকুচি করুন
•    শরীর সুস্থ রাখতে কয়েকটি কাজুবাদাম খান
•    একটি জোকস বলে সবাইকে আনন্দ দিতে পারেন
•    টানা কম্পিউটারে কাজ করার সময় কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখুন
•    একটি ভাল গান শুনুন
•    সহকর্মী, বন্ধু বা পরিবারের কারও কাজের প্রশংসা করুন
•    একটি টমেটো খান
•    বাজার থেকে আনতে হবে, ঘরের প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের তালিকা তৈরি করে নিন
•    এক কাপ চা বা কফি খেতে পারেন
•    আপনার পাঁচটি প্রিয় গানের তালিকা তৈরি করুন
•    মেডিটেশন করুন
•    পছন্দ করেন না এমন একটি সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন
•    কবিতা পড়ুন
•    টবের গাছটিতে পানি দিন
•    পাঁচটি প্রিয় সিনেমার তালিকা তৈরি করুন
•    জুতা খুলে খালি পায়ে সবুজ ঘাসে পায়চারি করুন
•    কিছু খাওয়ার আগে জীবণু নাশক সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন

এতোগুলো ভালো কাজ করলেন আর নিজেকে এর জন্য প্রশংসা করবেন না? পুরো ৬০ সেকেন্ডে ‍নিজের জন্যে একটি ধন্যবাদ মেসেজ লিখুন।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 8