Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - sisyphus

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 28
31
Jokes / কচি কচুরিপানা
« on: February 19, 2020, 12:12:52 PM »

32
২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস। সদ্য ঢাবি থেকে মাস্টার্স পাস করে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছি। শিক্ষক হতে পারার স্বপ্নপূরণে আমি আনন্দে আটখানা। সে আনন্দের জোয়ারে ভাটা হয়ে আসলো জানুয়ারী থেকে মার্চ- তিনমাসের লাগাতার অবরোধ। আমরা শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শুক্রবার বাদে সপ্তাহের অন্য দিনগুলায় ক্লাস নেয়া থেকে বিরত থাকলাম। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের বিরতীর সময়টুকু বাদে সকাল-সন্ধা একটানা পাঁচটা করে ক্লাস নিতে শুরু করলাম। তবু সপ্তাহের ছয়ঘন্টার ক্লাস কি আর দুইঘন্টায় নেয়া সম্ভব? বিকল্প একটা কিছু খোঁজা শুরু করলাম- খোঁজ দ্য সার্চ!

সিএসই বিভাগীয় প্রধান আখতার স্যারের থেকে প্রথম শুনলাম গুগল ক্লাসরুম নামের এক ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের কথা। অতঃপর ফুয়াদ স্যার ( Md Fouad Hossain Sarker ) থেকে গুগল ক্লাসরুম ব্যবহারের হাতেখড়ি। পরের সপ্তাহ থেকে শুরু হলো আমার অনলাইন দুনিয়ার প্রথম ভার্চুয়াল/লাইভ ক্লাস নেয়া। একসাথে তিন সেকশনের শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে মিশন ইম্পসিবল। লাইভ কথোপোকথনে প্রতি দেড়ঘন্টার ক্লাসে কীবোর্ডে রীতিমত ঊঁড়ে বেরিয়েছি আমি আর আমার ছাত্রছাত্রীরা। ফলাফল? - প্রতিক্লাসে গড়ে ৩০০টির বেশী কমেন্ট; যার প্রায় ৮০ শতাংশই আমার আর আমার ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন-উত্তরের খেলা। নতুন উপায়ে, নতুন কিছু জানতে চাওয়া ও জানানোর আকুতি। ক্লাসের বাইরে ক্লাস। সে এক বিরল, বিচিত্র অভিজ্ঞতা!

জানুয়ারি ২০১৯-এ খেলাচ্ছলে কুইজ নেয়ার জন্য  Kahoot টুলটার খোঁজ প্রথম পাই সহকর্মী ও বড়বোন সুবহেনূর আপুর (Subhenur Latif) কাছ থেকে। কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল অসুবিধা হতে পারে ভেবে কাহুট ব্যবহারের সাহস পাচ্ছিলাম না। তবু একদিন উত্তরা ক্যাম্পাসের বিবিএ প্রোগ্রামের ছাত্রছাত্রীদের কাহুটে একটা ডেমো কুইজ নিই। ব্যাস, এরপর থেকে  ওদের কাহুট চাই-ই চাই। ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দেখে আমার নিজের উৎসাহ বেড়ে গেল। পরের সেমিস্টার থেকে নিজের বিভাগ ডেভোলপমেন্ট স্ট্যাডিজ মাস্টার্স প্রোগ্রামে নিয়মিত কাহুট ব্যবহার শুরু করি। ল্যাপটপে আমার কাহুটে কুইজ বানানো দেখে ফুয়াদ স্যারও টুলটার ব্যবহার শুরু করলেন অন্য আরেক ডিপার্টমেন্টে। গত তিন সেমিস্টার ধরে চলছে এ চর্চা। শিক্ষার্থীদের কাছে পরীক্ষা নামক বিভীষিকাময় ব্যাপারটা এত আনন্দময় হয়ে উঠতে পারে সেটা কে জানত!
আমাকে নিয়ে আমার ছাত্রছাত্রীদের সত্য অনুভূতিগুলো বরাবরই জানার ইচ্ছা ছিল। Padlet টুলের মাধ্যমে তাদের ফিডব্যাক নেয়ার আইডিয়াটা সহকর্মী সাইফুল ইসলাম (Saiful Islam) থেকে ধার করলাম। শিক্ষক হিসেবে আমাকে নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আনন্দ-বেদনা/ অভিযোগ-অনুযোগ/ সন্তোষ-অসন্তোষ/ মূল্যায়ন/উপদেশ ইত্যাদি লিখে বেনামী চিরকুট/খোলাচিঠি পাঠাতে একটা Padlet খুলে দিলাম। চমৎকার এই খোলা দেয়ালটি হয়ে উঠলো মনের কথা জোরে বলার যেন এক বিশাল ক্যানভাস। ওখানটায় গত দুইবছর ধরে আমার ছাত্রছাত্রীরা তাদের সব না বলা কথাগুলো লিখে যাচ্ছে। নিজ ডিপার্টমেন্টের কয়েক সহকর্মীর সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করেছিলাম। তাদের কেউ কেউ ইতিমধ্যে আগ্রহী হয়ে খুলে ফেলেছেন তাদের নিজস্ব প্যাডলেট। এই করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর দূরত্ব-নৈকট্য আর সম্পর্কের অনন্য রসায়ন আরও  রসময়, আরও অসাধারণ হয়ে উঠছে কি?

ইউটিউবে লাইভ ক্লাস নেয়া শুরু করেছি গত দুই সেমিস্টার হল। যতটা না প্রয়োজনের তাগিদে তারচাইতে বেশী নতুন কোনভাবে শিক্ষকতার তাড়না থেকে। আমার ছাত্রছাত্রীরা বরাবরের মতই উৎসাহী ও উত্তেজিত। তবে মুশকিল হচ্ছে ইতিমধ্যে আমার জীবিত থেকে বিবাহিত জীবনে অবনতি ঘটেছে। বাসায় বসে “অফিসের কাজ” করছি বলে সবচেয়ে বড় আপত্তি যার কাছ থেকে আসার কথা (আমার বউ) সেই উলটো ওয়েবক্যাম সেটাপ, স্ক্রিন শেয়ারিং-এর মত খুটিনাটি কারিগরি বিষয়ে আমাকে সহায়তা করেছে। স্পষ্ট শব্দের জন্য আলাদা মাইক্রোফোন কেনা থেকে শুরু করে স্ট্রিমিং-বাফারিং, কমেন্ট টেস্টিং-এর মত হুলুস্থুল ব্যাপারে তার ধৈর্য ও আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ অনুপ্রেরণা তুলনাহীন। এ ব্যাপারে আমি অবশ্য বরাবরই সৌভাগ্যবান। শিক্ষকতায় আমার প্রয়াত বাবা, মমতাময়ী মা ও অসাধারণ বড়বোনদের অনুপ্ররণার ঘাটতি কোনকালেই ছিল না।  তাঁদের মাঝেমধ্যে  বলতে ইচ্ছা করে তোমাদের এ ভালবাসার যোগ্য আমি নই, আমি খুবই সামান্য একজন।  কিন্তু খুব নাটুকে শোনাবে বলে আর বলা হয়ে ওঠেনা।।
 8)

33
Faculty Sections / শিক্ষকতা ও ইমেইল
« on: February 19, 2020, 12:05:57 PM »
শিক্ষকতা জীবনের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতাগুলোর একটা হচ্ছে নামে/বেনামে নানান কিসিমের ইমেইল পাওয়া। এর মাঝে গুটিকয়েক ইমেইল গোলকধাঁধাঁর মত মাথায় কুটকুট করে। এই যেমন গতকালের এই মেইলটা। কাব্যিক ভাষায় লেখক সুগভীর তিনটি ধাঁধাঁর অবতারণা করেছেন...




প্রশ্ন এক - তিনি নিজেকে “নিচু লেভেল” এর ছাত্র বলে দাবী করেছেন। ডিটিফাইভ লেভেল এইটে ক্লাস হবার পরেও তিনি নিজেকে উঁচু লেভেলের মনে করতে পারছেন না কেন?! নাকি তিনি আমার মত বাইট্টা টাইপ?

প্রশ্ন দুই - তিনি সম্মানজনক মার্কস বলতে কি বুঝিয়েছেন? মার্কস = সম্মান?!!

প্রশ্ন তিন - আমার মন নরম করার কথা বললেও সেটা করার পদ্ধতিটা কি হবে সেটা বলেন নাই। বিস্কুটের মত চায়ে ভিজালে চলবে? মন দ্রবীভূত করার সম্পৃক্ত মিশ্রণের ফর্মূলা চাই।


ভন্ডামি বাদ দিয়ে আসল কথায় (আঁতলামি) আসি। আমি ভীষন লজ্জিত, অনেকটা আহত ও কিঞ্চিৎ বিচলিত। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্টে ভালো গ্রেড পেলে ম্যানেজারের চাকুরী নিশ্চিত ব্যাপারটা অবশ্যই তা নয়। অন্যের করূণা প্রত্যাশায় নিজে নতজানু হলে আত্মসম্মান কিছু বাকি থাকে কি? শতবছর আগে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পরেও কেন আমাদের এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ঘাড় থেকে মানসিক দাসত্বের প্রেতাত্মা নামছে না, সেটা একটা রহস্য।

ভালোবাসা আর করূণা - দুইটা দুই জিনিষ; এই দুইটাকে গুলিয়ে ফেললে তো বিপদ! কাউকে ভালোবেসে কিছু দেয়া আর ভিক্ষুককে করূণার দান ভিক্ষায় তফাৎ আছে আলবত! শিক্ষক-শিক্ষার্থীর রসায়নের বিশাল জায়গা জুড়ে থাকে ভালোবাসা । কিন্তু সেই আবেগের সুযোগ নিয়ে প্রাপ্যের চাইতে বেশী কিছুর আবদার করাটা নিজেদের ব্যক্তিত্ব ও আত্মসম্মানের সাথে প্রতারণা নয় কি? একটি জাতির শিক্ষাব্যবস্থায় প্রতারণা ঢুকে যাওয়ার মত ভয়ংকর আর কিছু হতে পারেনা! এই অতি সাধারণ সহজ ব্যাপারটা কেন এই প্রজন্মের কিছু বুদ্ধিমান ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারবেনা সেটাও একটা রহস্য!

আমাদের ছেলেমেয়েদের ব্যক্তিত্ববান, আত্মসম্মানের সাথে বড় করার দায়িত্ব আমাদের শিক্ষকদেরই। সমস্ত সম্মান মার্ক্সের মধ্যেই এই জাতীয় সংকীর্ণতা থেকে ছেলেমেয়েদের বের করে আনতে ব্যর্থ হলে বৃথা এই শিক্ষকজীবন! যদিও অবশ্য ইমেইল লেখক থেকে ভবিষ্যতে কোম্পানির চাকুরিতে ভালো করার সার্টিফিকেট পেয়ে গেছি। যাক বাবা, বাঁচা গেল! সাইসাই করে উপরে ওঠার দেরী নাই আর! মুহাহাহা...

জয়তু শিক্ষকতা!


34
Departments / বাঘা, ছাগা ও যাগা
« on: February 19, 2020, 12:02:52 PM »
অনার্স ও মাস্টার্স - নিজের উচ্চশিক্ষার দীর্ঘ পাঁচবছরের প্রায় সবগুলো ক্লাস কাটিয়েছি ক্লাসের সবশেষ বেঞ্ছটিতে বসে। ছাত্রজীবনে ব্যাকবেঞ্ছার হওয়ার অনেকগুলো সুবিধার একটি হচ্ছে সহপাঠিদের কে কী করছে সেটা খুব চমৎকারভাবে দেখা যায়। বিপুল আগ্রহে বারো রকমের মানুষ দেখেদেখে তের রকমের জিনিষপাতি শেখা যায়। যে কখনো পেছনের বেঞ্ছে বসেনি তাকে সে আনন্দ ঠিক বোঝানো সম্ভব না। দায়িত্ব নিয়ে জোর গলায় বলিঃ ক্লাসে বসে উচ্চমার্গীয় দর্শন (বা সস্তা ফিলোসফি কপচানোর) সুযোগ ফ্রন্টবেঞ্ছারদের চাইতে অতি অবশ্যই ব্যাকবেঞ্ছারদের বেশী। সে সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহারের জলজ্যান্ত প্রমাণ আমি নিজে। গতকাল পুরাতন বই ঘাটতে গিয়ে অনার্স থার্ড ইয়ারের আমার এক ক্লাসখাতার ছেড়া পাতা পেলাম। নিজে ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্রত্বের প্রকারভেদ নিয়ে একটা লেখা। “ছোটবেলার” (!) সেই হাস্যকর, কিঞ্ছিৎ সস্তা, চটকদার ফিলোসফি জনসম্মুক্ষে প্রচার করার লোভ সামলানো গেলোনা!

 ::)
_______

ভালো ছাত্র, খারাপ ছাত্র বলে আদৌ কি কিছু আছে? এ প্রশ্নের সবচাইতে ডিপ্লোম্যাটিক উত্তর হতে পারে “না, সব ছাত্রই সমান”। আসলেই কি তাই? নাকি দিনশেষে জর্জ অর্লওয়েলর সার্কাজমই সত্য- "All animals are equal but some animals are more equal than others"। প্রতিটা মানুষই আলাদা- এ যুক্তিতে হাজার শিক্ষার্থী হবে হাজার রকমের। তবু জানা-অজানার অযৌক্তিক- ছেলেমানুষী শ্রেণীভাগে একজন শিক্ষার্থী হতে পারে তিন কিসিমেরঃ

১. যাগাঃ যে জানেনা যে সে জানেনা -  অনেকটা দিকভ্রান্ত, গন্তব্যহীণ পথের পথিক। অস্থিরতা ও বিভ্রান্তির কারণে এরা নিজেরাই জানেনা যে এরা জীবনে কী চায়। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ও জানার আগ্রহ প্রায় শূণ্যের কোঠায় । তবে সেটা নিয়ে তারা মোটেও বিচলিত নয় বরং এদের কেউ কেউ নিজের অজ্ঞতা নিয়ে গর্বিত।



এনারা মাছভাজা খেতে আগ্রহী তবে মাছ কীভাবে ধরতে হয় সেটা শেখার ব্যাপারে আগ্রহ নেই। তবে মাঝেমধ্যে, বিশেষ করে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এদের ছাত্রের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায়। পরীক্ষার আগের রাতে সিলেবাস জেনে প্রথম পড়তে বসা এদের নিত্য অভ্যাস। সাহসী এ মানুষগুলোর কাছে পাস-ফেল নিয়ে টানাটানি রীতিমত ডালভাত। ভয়শূণ্য চিত্তে, বীরবেশে এদেরকে ছাত্রজীবন পার করতে দেখে অন্যগোত্রীয় অনেককে এদের নিয়ে কিঞ্ছিৎ ঈর্ষান্বিত হতেও দেখা যায়। শিক্ষকদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং গোষ্ঠি কারণ এরা আদরেও পোষ মানেনা, ধমকেও পোষ মানেনা। পড়াশুনায় এদের আগ্রহী করে তোলা হিমালয় পর্বত জয়ের সামিল। এদের যে শিক্ষক সামলাতে পারে, তাঁকে লাল সালাম!


২. ছাগাঃ যে জানেনা যে সে জানে - খুব সম্ভবত ছাত্রজগতের সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠি। এদের জ্ঞানপিপাসা মধ্যমপন্থি। সমাজ নিয়ে, নিজেকে নিয়ে কিছুটা হতাশা থাকলেও আত্মোউন্নয়নের ইচ্ছেটুকু এদের মধ্যে আছে। স্বভাবচরিত্রে  নীরহ-গোবেচারা, দুধভাত শ্রেণীর। সিলেবাসের বাইরের জগৎ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা নেই। পড়াশুনা শুধু পরীক্ষার জন্য এই সরল নীতিতে বিশ্বাসী। বেশী পড়াশুনা > ভালো রেজাল্ট > ভালো চাকুরী > ভালো বিয়ে > জীবনের সার্থকতা – এই হচ্ছে তাদের জীবনের সহজ সমীকরণ। ফলস্বরূপ এদের বেশীরভাগের দৌড় প্রথাগত সমাজের ভারবাহী গাধা হওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ। অবশ্য কদাচিৎ এদের কেউ কেউ প্রথাবিরোধী পথে হাঁটার আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা যায়। তবে এই বিদ্রোহী গোত্রের বেশীরভাগেরই শেষমেষ প্রচলিত ধারার বাইরে যাওয়ার সাহসে কুলায় না। পড়াশুনা করে কম, টেনশন করে বেশী।



হালকা ফাঁকিবাজির কারণে রেজাল্ট মনঃপূত না হওয়ায় প্রতি সেমিস্টার শেষে এরা ঠিক করে “পরের সেমিস্টারে দেখায় দিব”। কিন্তু দিনশেষে দেখানো হয়না কিছুই, শুধু দেখে-দেখেই ডিগ্রি পার! আফসোস!! আমার মতে শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশী কাজ করা উচিত এই ছাগাদের নিয়ে। কারণ এরাই সমাজের বড় অংশ, এরাই দেশ চালাবে, এরাই দেশের ভবিষ্যৎ।

৩. বাঘাঃ যে জানে যে সে জানে/ যে জানে যে সে জানেনা- উচ্চ সিজিপিএধারী, পড়ুয়া, সামনের সিটে বসা টিপিক্যাল ভালো ছাত্র। এদের জ্ঞানপিপাসা অসীম। শিক্ষক যেমনই হোক, সিলেবাসে থাকুক আর নাইবা থাকুক, আগ্রহের বশে নিজের তাগিদে যে কোন কিছু শিখে ফেলতে পারে।



বদঅভ্যাস বলতে নিজেকে “আঁতেল” ট্যাগ খাওয়া থেকে বাঁচাতে এদের কাউকে কাউকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে দেখা যায়। সিলেবাস ভাজা ভাজা করে পড়া শেষ তবু পরীক্ষার আগে বলতে শোনা যায় “দোস্ত, কিস্যু পড়িনাই! রিটেক খামু” কিংবা দূর্দান্ত পরীক্ষা দেয়ার পরও দীর্ঘশ্বাস ফেলে হতাশ ভংগিতে বলে “পরীক্ষা ভালো হয় নাই, বাঁশ খাইছি”। তবে গুটিকয়েকের ভিতর আবার নিজের পান্ডিত্য জাহির করার প্রবণতা আছে। বিশেষ করে পরীক্ষার আগের দিনগুলায় ও পরীক্ষার আগের রাতে বন্ধুমহলে এদের কদর আকাশচুম্বি। পুরো সেমিস্টারে স্যার/ম্যাডাম যা বুঝাতে পারেন নাই, সেটা মিনিট দশেকের ভিতর জলবৎ-তরলং, সহজিয়া ভংগিতে বুঝানোর দূর্দান্ত প্রতিভা বাঘাদের আছে। প্রথা ভেঙ্গে সমাজ পরিবর্তনের সক্ষমতা এদের থাকলেও দিনশেষে মোটাদাগে সমাজ এদের থেকে তেমন কিছুই পায়না। কারণ তেনাদের সিংহভাগই দেশে থাকেনা; জিরআরই/আইএলটিএস দিয়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। শ্রেণীকক্ষে বেশীরভাগ শিক্ষকরা এদের নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত থাকার কারণে অন্য গোত্রীর শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও বঞ্চিত বোধ করে। আমার বিচারে এই বঞ্ছনাবোধ যৌক্তিক। স্বশিক্ষিত শিক্ষার্থীকে নতুন করে শিক্ষিত করার তো কিছু নেই?! বরং স্বল্প শিক্ষিত, অশিক্ষিত শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষিত করার মাঝেই ত শিক্ষকতার আনন্দ!

শেষকথাঃ
আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি বাঘাদের জন্য শিক্ষক খুব একটা দরকারী না বরং এদের ভালো শিক্ষক পাওয়াটা অনেকটা বোনাসের মত। মালি যতই যোগ্য কিংবা অযোগ্য হোক, গোলাপ গাছে গোলাপই ফুটবে, ধুতুরা ফুল না। আমার কোর্সে যে বাঘারা ভালো করেছে নিশ্চিতভাবে তারা আমার যায়গায় অন্য যে কোন শিক্ষককে পেলেও ভালোই করতো। কাজেই শিক্ষকতার শুরু থেকে আমি খুব সচেতনভাবে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি ছাগা আর যাগাদের। আমার প্রয়োজন এদেরই সবচেয়ে বেশীচ এদেরকেই আমার সবচেয়ে বেশী দরকার।
গত সোয়া তিনবছরের শিক্ষকতা জীবনে শুধুমাত্র দুইজন যাগা ও ছাগার চিন্তাতে যদি পরিবর্তন এনে থাকি, যদি মাত্র দুইজনের হৃদয়ও স্পর্শ করতে পারি তবে সার্থক এই শিক্ষকজীবন।
জয়তু শিক্ষকতা!

35
Departments / Re: Generally there are 3 types of student in a class.
« on: February 19, 2020, 11:59:54 AM »
interesting observations

36
Departments / Re: Short Poems by Shamsi
« on: February 19, 2020, 11:59:03 AM »
Great going madam. Keep them coming...

37
excellent post

38
The gender-diverse population of Bangladesh has been facing a wide range of stigma and violence, including sexual assault and rape by members of the mainstream community, forced marriages, abuse from family, denial of inheritance and much more, a study has revealed.

Some 98 percent of the population faces harassment, stigma, and discrimination, while 97 percent face police entrapment and harassment in public places, said the study, titled "Political Economy Analysis for Gender Diverse Communities in Bangladesh".

Bandhu Social Welfare Society, a non-government organisation working for the rights of the sexual minority,  organised a programme to disseminate findings of the report at The Daily Star Centre.

The study was conducted among 346 respondents in five districts -- Chattogram,  Dhaka/Gazipur, Mymensingh, Narayananj and Rajshahi between January and April last year. Aged  from 15-65, they included sex workers, dancers,  activists, students, service holders, entrepreneurs and others.

Details can be found here: https://www.thedailystar.net/city/news/gender-diverse-population-98pc-face-stigma-harassment-report-1869622

39
Bangladesh has been ranked the top country among its South Asian neighbours by performing the best in bringing down gender gap, World Economic Forum said in its latest report.

Bangladesh closed 72.6% of its overall gender gap and obtained 50th position out of 153 countries globally, the WEF said in its report titled 'Global Gender Gap Report 2020'.

Source: https://www.thedailystar.net/bangladesh/global-gender-gap-report-2020-bangladesh-top-gender-neutral-country-1841482

42
Students' Activities / Re: Benefits of joining in group study
« on: April 02, 2019, 10:44:59 AM »
nice post

43
Bangladesh's economy has grown 8.13 per cent this fiscal year, the highest in its history, Finance Minister AHM Mustafa Kamal said while releasing a provisional estimate. The minister disclosed the latest figure of the gross domestic product (GDP) for 2018-19 fiscal year, which will end this July.

Source: The Daily Star

https://www.thedailystar.net/business/economy/bangladesh-gdp-growth-rate-2018-19-8.13-per-cent-1717291

44
Bangladesh Studies / Per capita income hits $1,909
« on: April 02, 2019, 10:34:24 AM »
Bangladesh's per capita gross national income (GNI) jumped more than 9 percent to $1,909 last fiscal year from $1,751 a year ago, showed provisional official figures released yesterday.

The GNI per capita is highly associated with the quality of life of citizens. The GNI means all income of a country's residents and businesses including residents abroad while gross domestic product (GDP) takes into account domestic production only. Provisional data showed that the per capita GDP also rose at the same pace to $1,827 in 2018-19 from $1,675 the previous year.

The per capita GNI was $120 in 1972 and it took a decade to double to $240 in 1982. It added only $80 to $320 in the next decade till 1992. The per capita GNI has been rising constantly alongside the country's economic growth since the new millennium. The per capita GNI rose by 124 percent to $940 in the decade to 2012 and more than double to $1,909 in the next seven years.

Source: The Daily Star

45
সত্যি কথা

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 28