Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - sanjida.dhaka

Pages: 1 ... 9 10 [11] 12 13 ... 15
151


সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর ক্যানসারের থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় কিডনির সমস্যায়। কিডনি সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ কিডনি স্টোন। পানি কম খাচ্ছেন, ওজন বাড়ছে অথবা প্রচণ্ড পেট ব্যথায় ছটফট করছেন? তাহলে সাবধান! আপনার অজান্তেই হয়তো কিডনিতে জমছে পাথর। বিনা অপারেশনে হতে পারে এই সমস্যার সমাধান।

যে কারণে কিডনিতে জমতে থাকে পাথর:
অতিরিক্ত মাংস খেলেই বিপদ। পানি আর সবজি কম খেলেও বিপদ। বেশি লবন খাওয়া ক্ষতিকর। বংশগত কারণেও কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাঝে মাঝে ডিহাইড্রেশন হলেও কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। ইউরিন ইনফেকশন হলেও কিডনিতে পাথর জমতে পারে। মাইগ্রেনের জন্য ব্যবহৃত টপিরামেট জাতীয় ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

ওজন বাড়লেও মারাত্মক বিপদ। কিডনির ভেতরের এই পাথরগুলি মূত্রনালির মাধ্যমে মূত্রথলিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। পাথর যখন সংকীর্ণ নালির মধ্যে দিয়ে যায়, তখন প্রচণ্ড ব্যথা হয়। কখনও কখনও নালিটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় অপারেশন ছাড়া পথ থাকে না। কিন্তু ইউনিভার্সিটি অফ হাউস্টনের গবেষকরা বলছেন, লেবুর রসে হতে পারে মুশকিল আসান। লেবুর রসে হাইড্রক্সিসিট্রেট থাকে। এটা আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল গলিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টালের কারণেই প্রধানত কিডনিতে পাথর হয়।

গবেষকরা বলছেন, দিনে দু’বার ৪ আউন্স পাতিলেবুর রস খেতে হবে। ৩২ আউন্স টাটকা লেমোনেডও খাওয়া যেতে পারে। ২ আউন্স লেবুর রসের সঙ্গে ৬ আউন্স পানি মিশিয়ে নিতে হবে। সকালে ব্রেকফাস্টের আগে এবং রাতে শোওয়ার আগে লেবুর রস খেয়ে নিতে হবে।

শুধু কিডনির স্টোনই নয়, লেবুর রসে রয়েছে আরও গুণ। লেবুর রস শক্তি বাড়ায়, লিভার পরিষ্কার রাখে, ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ত্বক পরিষ্কার রাখে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করে, চোখ ভাল রাখে, দাঁতব্যথা কমায়, গর্ভবতী নারী ও গর্ভের শিশুর জন্য ভীষণ উপকারি, স্তন ক্যানসারে লেবুর রসের জুড়ি মেলা ভার।

অতএব নীরোগ থাকতে হলে দিনে হাফ কাপ লেবুর রস খাবেন।

152
যদি আপনার মাথাব্যথা, পেট ফাঁপা, জয়েন্টের ব্যথা, র‍্যাশ, ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, অ্যালার্জি, অ্যাজমা অথবা মুডের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার ইনফ্লামেশন বা প্রদাহের সমস্যা আছে। কখনো কখনো ইনফ্লামেশন নীরবে আসে এবং একে চিহ্নিত করাও কঠিন হয়। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যান্সারের মত অসুখের মূল কারণ হচ্ছে ইনফ্লামেশন। ইনফ্লামেশন কমানোর অত্যন্ত সহায়ক কিছু উপায়ের কথাই জেনে নিব আজ।

১। সুপারফুড খান

আপনার শরীরের প্রদাহজনক অবস্থা কমাতে পারে কিছু খাবার। অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল যুক্ত খাবার ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে, যা ইনফ্লামেশনকে শান্ত করতে পারে। গ্রিনটি, ক্রুসিফেরি পরিবারের সবজি যেমন- ব্রোকলি, ফুলকপি ইত্যাদি খাবার ইনফ্লামেশনকে শান্ত করতে পারে। এছাড়াও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বাদাম, বীজ ও তেল ইনফ্লামেশন কমতে সাহায্য করে। তাছাড়া আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ এবং ব্লুবেরিও প্রদাহ কমতে সাহায্য করে।

২। ফ্রুক্টোজ, সাদা চিনি ও ময়দা বাদ দিন

সাদা চিনি ও পরিশোধিত শর্করা গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে বাঁধা দেয়ার মাধ্যমে ইনফ্লামেশনের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। যার ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি হয়। ইনসুলিন রেজিস্টেন্স হওয়ার কারণে ইনফ্লামেশন বৃদ্ধি পায়।

৩। সক্রিয় হোন

কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ইনফ্লামেশন কমানোর একটি সহজ উপায় হচ্ছে ব্যায়াম করা। তবে ভারী ব্যায়াম করার পরে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে।

৪। ধূমপান বাদ দিন

ধূমপান রক্তনালীকে শক্ত করে এবং ইনফ্লামেশন বৃদ্ধি করে। ধূমপান বাদ দিতে পারলে আপনার ডায়েটের উপর ও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে যাতে অস্বাস্থ্যকর জাংক ফুডের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে না পড়েন।

৫। কোমরের মাপ স্বাভাবিক রাখুন

নারীদের কোমরের মাপ ৩৫ ইঞ্চির বেশি এবং পুরুষের কোমরের মাপ ৪০ ইঞ্চির বেশি হলে উচ্চ মাত্রার ইনফ্লামেশনে ভোগার সম্ভাবনা আছে। তাই তাদের ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

৬। নেতিবাচক আবেগ দূর করতে হবে

উচ্চমাত্রার স্ট্রেস হরমোন অতিরিক্ত প্রদাহজনক রাসায়নিক নিঃসৃত করে। তাই মেডিটেশন, প্রার্থনা ইত্যাদির মাধ্যমে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন।

৭। পর্যাপ্ত ঘুম

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীর ইনফেকশন প্রবন হয়, যেখানে পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে শরীরে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি প্রভাব দেখা যায়। আটলান্টার ইমোরি ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন এর করা এক গবেষণায় দেখা যায় যে, সংক্ষিপ্ত ঘুম এবং ঘুমের মান খারাপ হওয়ার সাথে ইনফ্লামেশনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই বলা যায় যে পর্যাপ্ত ও পরিপূর্ণ ঘুম ইনফ্লামেশন কমাতে সাহায্য করে।


153


ফেসবুকে নকল প্রোফাইল খুলে নিজেদের নাম পরিচয় বদলে নানা ধরনের প্রতারণা বা অপরাধ করছেন অনেকেই। এই ফাঁদে পা দেওয়ার সংখ্যাও কম নয়। অথচ ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে ব্যক্তিগত তথ্য ছাড়াও থাকে তার ও প্রিয়জনদের ছবি। বন্ধুর ছদ্মবেশে কেউ সেই প্রোফাইলে ঢুকে পড়ে সেই তথ্য ও ছবি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তিকে হেনস্থার মুখে ফেলে দিতেই পারে। ফলে নিজের জীবনে অনেকেই আসতে পারে বিপর্যয়। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কীভাবে শনাক্ত করা যাবে ফেসবুকের প্রোফাইল আসল না কি ফেক।

ফেসবুকের ভুয়া প্রোফাইল শনাক্ত করার কিছু সহজ উপায় আছে। আসুন জেনে নেয়া যাক ফেসবুকে ভুয়া প্রোফাইল শনাক্ত করার সহজ কিছু উপায় :

* সাধারণভাবে ফেক প্রোফাইলে ব্যবহার করা হয় কোনো সেলেব্রিটি কিংবা নানা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি। সাধারণভাবে বলা যেতে পারে, যে সমস্ত প্রোফাইলের প্রোফাইল পিকচার অ্যালবামে একটি নিজস্ব ছবি থাকে না, সেগুলোকে সন্দেহের চোখে দেখা যেতেই পারে।

* ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসলে লক্ষ্য রাখুন প্রোফাইল মালিকের স্কুল, কলেজ কিংবা অফিসের নামের দিকে। ফেক প্রোফাইলের মালিকরা সাধারণত এই সমস্ত তথ্যগুলো এড়িয়ে যায়। খেয়াল করুন, সন্দেহভাজন প্রোফাইলের মালিকের সঙ্গে তার সহপাঠী বা সহকর্মীদের কোনো ছবি আছে কি না।

* টাইমলাইনে গিয়ে পোস্টগুলো খেয়াল করুন। তাতে কারা কমেন্ট করছেন, সেটাও লক্ষ্য রাখুন। তাদের প্রোফাইল কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেটাও যাচাই করে নিন। তাঁদের সঙ্গে প্রোফাইলের মালিকের কেমন সম্পর্ক বা তারা কী সুবাদে একে অপরকে চেনেন, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।

* সন্দেহজনক মনে হলেই, ওই ‌প্রোফাইলের মালিকের সঙ্গে যারা ‘‌মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’‌ আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রশ্ন করুন কেউ এই প্রোফাইলের মালিককে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন কি না। না চিনলে গন্ধটা সত্যিই সন্দেহজনক।

* যদি সন্দেহভাজন প্রোফাইলটির প্রোফাইল পিকচার কোনো তারকার না হয়ে অন্য কোনো সাধারণ ব্যক্তির হলে SPAMfighter Facebook page-‌এর শরণাপণ্ন হওয়া উচিত। সেখানে গিয়ে প্রোফাইলটির ব্যাপারে  রিপোর্ট করুন।

* এছাড়া গুগল ইমেজ সার্চেরও সাহায্য নেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সন্দেহভাজন প্রোফাইলের প্রোফাইল পিকচারটি ডাউনলোড করে গুগল সার্চ করতে হবে। যদি অন্য কারও সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট বাতিল করে দিতে হবে।



154


উন্নয়নে নারী আজ যথেষ্ট এগিয়ে। বিশেষ করে কর্মজীবী নারীদের ঘর এবং কর্মক্ষেত্র দুই জায়গাতে থাকতে হয় সমান ব্যস্ত। তাদের কাজের দক্ষতা দেখাতে মানসিক ও শারীরিক উভয় দিকেই নজর দেয়া উচিৎ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মানুষকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি কাজের দক্ষতা বাড়াতে, তাকে সজীব সক্রিয় ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। কর্মক্ষেত্রে ডায়েটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে উদ্যোমি রাখা।তাহলে আর ঘরে-বাইরে কাজ করেও হাঁপিয়ে উঠবে না। কর্মজীবী নারীরা তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি আদর্শ খাদ্য তালিকা অনুসরণ করতে পারেন। যেন সে সুস্থভাবে কাজ করতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস কাজের পরিমাণ বাড়াতে কর্মজীবী নারীকে দারুণভাবে সাহায্য করে।

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা বলেন, “ব্যক্তির বয়স, কাজের ধরন ও শারীরিক গঠনভেদে পুষ্টি চাহিদা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে না দেখে তার জন্য সঠিক ডায়েট দেওয়া যায় না, তবে সম্ভাব্য ডায়েট দেওয়া যায়। নারীর পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য নিয়মিত সঠিক পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা ও বিশ্রাম নেওয়া উচিত।”

মাঝারি কাজ যেমন চাকুরি করেন যারা বা ঘরের যাবতীয় কাজ নিজেরাই করেন তাদের জন্য দৈনিক ২,২০০ ক্যালরি প্রয়োজন হয়।
তিনি জানান, মোট ক্যালরির ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ আসে নানা রকমের কার্বোহাইড্রেইট থেকে। এরমধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ স্নেহ ও বাকিটুকু প্রোটিন থেকে গ্রহণ করা উচিত।

নারী দেহের প্রায়শই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। এ ঘাটতি পূরণের জন্য নিয়মিত ডিম ও দুধ খাওয়া প্রয়োজন। মাঝারি শ্রম করেন এমন নারীদের জন্য দৈনিক ৪০০ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম দরকার হয়।

প্রোটিনের চাহিদা প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১ গ্রাম ধার্য করা হয়। উন্নতমানের প্রোটিন হলে প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম যথেষ্ট।

সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দেহের কলা ও পেশির প্রোটিনের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ ও দেহে নাইট্রোজেনের সমতা রক্ষা করা প্রোটিনের কাজ। তাই সুস্থ কর্মক্ষম নারীর দৈনিক ৫০ গ্রাম প্রোটিন ও ২৮ মি.গ্রাম লৌহ প্রয়োজন। মাঝারি কাজ করেন এমন নারীদের জন্য দৈনিক ৬০০ মাইক্রো গ্রাম রেটিনল গ্রহণ করা দরকার।

এছাড়াও সার্বিকভাবে সুস্থসবল থাকার জন্য ভিটামিন বি-১, বি-২ ও ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়। কলিজা, শিমের বীজ, দুধ ডিম ও শস্যজাতীয় খাবার থেকে ভিটামিন বি-১ এবং পালংশাক, ডিম, পনির ইত্যাদি থেকে ভিটামিন বি-২ পাওয়া যায়।

চাকুরিজীবী নারীদের জন্য ১.০ মি.গ্রা ভিটামিন বি-১, ১.৩ মি.গ্রা ভিটামিন বি-২ এবং ৮০ মি.গ্রা ভিটামিন ‘সি’ দরকার। এছাড়াও দৈনিক নায়াসিন ১৪ মি.গ্রা ও ফলিক এসিড ১০০ মাইক্রো গ্রাম প্রয়োজন।

সার্বিক বিষয় বিবেচনায় একজন কর্মজীবী নারীর দৈনিক সম্ভাব্য ডায়েট নিম্নরূপ-

চাল ও আটা  ৪০০-৪৫০ গ্রাম। ডাল ৫০-৬০ গ্রাম। ছোট মাছ ও মাংস ৭০-১০০ গ্রাম। ডিম ১টি। শাক ১০০ গ্রাম। সবজি ১০০ গ্রাম। আলু ৮০ গ্রাম। ফলমূল ১৫০-২০০ গ্রাম। তেল ৪০ গ্রাম। চিনি/ মিষ্টি ৩০ গ্রাম।

যদিও মানুষের দৈনিক পুষ্টি চাহিদা নির্ভর করে তার বয়স, উচ্চতা ও কাজের ধরনের উপর। আর খাদ্যতালিকা অনুসরণ করার পাশাপাশি নিয়মত বিশ্রাম ও দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। এতে শরীর ও মন ভালো থাকবে। তাছাড়া রাতে ভালো ঘুম হলে পরের দিনও সুন্দরভাবে শুরু করা সম্ভব


155


খাবার হিসেবে :

১. শিমের বিচি খুব সহজে চূর্ণ করতে চাইলে সহায়ক হবে বেকিং সোডা।  শুকনো বিচি বেকিং সোডায় ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তা সেদ্ধ করুন।

২. একটি পাত্রে পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে হ্যাজেল নাট সেদ্ধ করুন। এর খোসা ছাড়ানো সহজ হয়ে যাবে।

৩. তরকারিতে ভিনেগারের সঙ্গে বেকিং সোডা দিলে দারুণ সেদ্ধ হয় বেগুন।

৪. স্বাভাবিক তাপমাত্রার এক গামলা পানিতে কয়েক টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এতে ফল ও সবজি মিনিট পাঁচেক চুবিয়ে রাখুন। এতে সব ময়লা দূর হয়ে যাবে।

৫. বেকিং সোডার ব্রেডে ছত্রাক গজানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

পরিষ্কারের কাজে :

১. টাইলস, বাথরুমের সিংক, পাথরের কাউন্টার টপ ইত্যাদি পরিষ্কারে তরল সাবানে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এতে যোগ করুন উষ্ণ পানি।

২. ব্লেন্ডার, মসলার গ্রিন্ডার ইত্যাদির আনাচে-কানাচে পরিষ্কার করা বেশ কঠিন। পানির সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে তা ভেতরে নিয়ে ঝাঁকান। ময়লা বের হয়ে আসবে।

৩. বাড়িতে ভাজাভাজির গন্ধ দূর করতে একটি গামলায় বেকিং সোডা নিয়ে রান্নাঘরে রেখে দিলে সব গন্ধ দূর হবে।

৪. বাসন পরিষ্কারে সাবানের শক্তি বৃদ্ধিতে একটু বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। দেখুন আগের চেয়ে বেশি পরিষ্কার হবে।

৫. বেকিং সোডা মেশানো পানিতে স্পঞ্জ ভিজিয়ে রাখুন। এর আয়ু বৃদ্ধি পাবে।

৬. রাবার গ্লাভসের ভেতরে একটু সোডা ছিটিয়ে দিন। ভেতরটা শুষ্ক ও কটূ গন্ধহীন থাকবে।

৭. কাঠ বা টাইলসের ওপর থেকে হলুদের দাগ দূর করতে দারুণ কাজের এটি।


 http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2016/09/08/403327#sthash.iE7MxreP.dpuf

156


চিকিৎসকরা সবসময়ই প্রাকৃতিক ভাবে রঙিন খাবার খেতে বলেন। তারা বলেন, সে সব খাবারে যে রঞ্জক পদার্থ থাকে, তা আমাদের শরীরের পক্ষে ভালো। তবে তার মধ্যে বেগুনি রঙের খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভেনয়েডস। যা আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ সাহায্য করে।

- বেগুনি খাবারে থাকে রেসভারেট্রোল, যা আমাদের দেহে ক্যানসার কোষ নষ্ট করতে সাহায্য করে।

- কোরিয়া ইউনিভার্সিটির কলেজ অব লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, ব্ল্যাকবেরিতে এক ধরনের অ্যান্থোসায়ানিন থাকে যা আলসার ঠেকাতে সাহায্য করে।

- লিভার ভাল রাখতেও সাহায্য করে বেগুনি রঙের খাবার। বিশেষত যাঁরা খুব বেশি অ্যালকোহল পান করেন তাঁদের অবশ্যই এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। বেগুনি খাবারের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভারের কোষগুলোকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।

- জাম, বিট, বেগুনি আঙুর, ব্ল্যাকবেরির মতো জিনিস দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রটিন অর্থাৎ ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ফলে সুস্থ থাকে হৃত্পিণ্ড।

- বেগুনি বাঁধাকপি, বেগুনি গাজর, বেগুনি পেঁয়াজ, বেগুনি ফুলকপির মতো সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে, যা ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন আটকাতে সাহায্য করে।

- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি-র‌্যাডিক্যাল কমাতে সাহায্য করে। ফলে তা আমাদের দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বাইরে বের করে দেয়। এতে ত্বক সুস্থ, সতেজ ও প্রাণবন্ত দেখায়। ত্বকে বলিরেখাও পড়ে না।

- এই ধরনের খাবার খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালনের হারও বাড়ে। ফলে ইনসমনিয়া, মাইগ্রেইন, অবসাদের মতো সমস্যা কমার সম্ভাবনা থাকে।

- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এই ধরনের খাবারে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। পেশীর ক্ষয় রোধ করে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে বেগুনি রঙের খাবার।

http://www.bd-pratidin.com/life/2016/09/07/168452#sthash.V4rpzkEW.dpuf

157


আজকাল লোকে স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের ব্যাপারে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। এ কারণে সারাদিনই এখন খাবার গ্রহণের ব্যাপারে সকলেই সাবধান থাকেন। এখানে রইল খাদ্য সম্পর্কিত এমন ৭টি বিষয় যা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে বহুল চর্চিত হলেও মাত্র অতি সম্প্রতি বিজ্ঞানের অনুমোদন লাভ করেছে:

১. অল্প পরিমাণ চর্বি খাওয়া ভালো
চর্বিতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিড যা একদিকে রক্তে “খারাপ” এলডিএল (কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন) কোলোস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। অন্যদিকে, ভালো এইচডিএল কোলোস্টেরল বাড়াতে সহায়তা করে।
খাবারে ভালো চর্বি যুক্ত করার একটি উপায় হলো, রান্নায় ক্যানোলা তেল ব্যবহার করা। এই তেলে অন্য যে কোনো তেলের তুলনায় সবচেয়ে কম পরিমাণ চর্বি থাকে।

২. ভোজ্য বীজ পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ
এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ খেলে দৈনিক যে পরিমাণ আঁশ গ্রহণের দরকার তার ১৯% পূরণ হয়। এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রণ, মৌলিক ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদাও পূরণ হবে।
শণবীজ ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি ওয়ান, বি টু, বি সিক্স ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এসব খাবার দেহের শক্তি বাড়ায়, স্নায়ু ও রোগ প্রতিরোধ পদ্ধতির উন্নতি ঘটায় এবং রক্ত ভালো রাখে।
কুমড়ো বীজ ভেজে খেলে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক, কপার ও সেলেনিয়াম পাওয়া যায়। দু্ই টেবিল চামচ কুমড়ো বীজ খেলে প্রয়োজনীয় ম্যাগনেশিয়াম ও খনিজের ২৫% চাহিদা পূরণ হয়।

৩. প্রোটিন
মানবদেহের প্রতিটি কোষের গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রোটিন। প্রোটিন দেহকোষের গঠন এবং মেরামতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এ কারণে প্রতিদিনের ক্যালোরি চাহিদার ১০ থেকে ৩৫ শতাংশ প্রোটিনেই পূরণ করা উচিৎ। গড়ে ৬০ কেজি ওজনের প্রতিটি পুরুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৬০ গ্রাম প্রোটিন দরকার। আর গড়ে ৫৫ কেজি ওজনের প্রতিটি নারীর প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা ৫৫ গ্রাম। ডিম, চর্বিহীন মাংস, শীম, দুগ্ধজাত পণ্য, বাদাম এবং ডাল প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস।

৪. প্রতিদিন পাঁচটি সবজি এবং ফল খান
প্রতিদিন পাঁচটি সবজি এবং ফলের সমন্বয়ে খাদ্য গ্রহণ করুন। প্রতিদিন অন্তত ৪০০ গ্রাম সবজি খান। কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম থেকে শুরু করে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সবজি ও ফলমূল কার্যকর ভুমিকা পালন করে।

৫. বাদাম স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং শক্তি সরবরাহ করে
বাদামে রয়েছে অপরিপৃক্ত ভালো চর্বি। এর পাশাপাশি আখরোট, চিনাবাদাম এবং কাজুবাদাম আঁশসমৃদ্ধ। যা হজমপ্রক্রিয়ায় সহায়ক। আখরোটে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাট। আর একটি কথা মনে রাখবেন বাদামে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকার ফলে তা বেশি না খাওয়াই ভালো। হালকা জলখাবারের জন্য এক মুঠো বাদামই যথেষ্ট। এক আউন্স বা একমুঠো বাদামে প্রায় ১৬০ ক্যালোরি এবং ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ৩ গ্রাম আঁশ থাকে।

৬. শস্যজাতীয় খাবার
বাদামি চাল, গম এবং বিভিন্ন ধরনের শস্য থেকে তৈরি রুটি প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। শস্যজাতীয় খাদ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় আঁশ যা অন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়ক। আঁশজাতীয় খাদ্য উপাদান ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং ওজন কমাতেও সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

৭. তৃষ্ণা মানেই ক্ষুধা নয়
দেহে যখন পানির চাহিদা দেখা দেয় তখন কেউ হয়তো ভাবতে পারেন তিনি বুঝি ক্ষুধার্ত। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করলে শরীরের পানি চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ হয়। তবে গ্রীষ্মকালে এর চেয়েও বেশি পানি পান করার দরকার হতে পারে। আপনি যদি মাঝেমধ্যেই একটু ব্যতিক্রমী পানীয়ের স্বাদ পেতে চান তাহলে পানির সঙ্গে একফালি লেবু বা এক গ্লাস মাঠা, ফলের চা, চা বা মিষ্টি ফলের জুস খেতে পারেন।




158


শিশুকে অনেক রকম খেলনাই তো কিনে দিচ্ছেন। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন, খেলনাগুলো তার বয়স-উপযোগী কি না? সঠিক মানসিক বিকাশে সহায়তা করছে তো? শিশু বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে উত্তর খুঁজেছেন পিন্টু রঞ্জন অর্ক -

শিশুর মানসিক বিকাশ, ধ্যান-ধারণা সব কিছুরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার খেলাধুলা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদানের মাধ্যমে। শিশুরা খেলনা বলতে পাগল। অনেক শিশু আছে, যারা খেলনা ছাড়া ঘুমায় না, খায় না, এমনকি পড়তেও বসে না। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের (আইইআর) অধ্যাপক মু. নাজমুল হক বললেন, ‘একটি শিশুর পাঁচ রকমের বিকাশ হয়—মানসিক, জ্ঞানীয়, সামাজিক, আবেগিক ও ভাষার বিকাশ। খেলা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর এ ধরনের বিকাশ পরিপূর্ণতা পায়। এই মিথস্ক্রিয়া আবার দুই ধরনের। প্রথমত, ব্যক্তির সঙ্গে, দ্বিতীয়ত, বস্তুর সঙ্গে। ফলে খেলা ও খেলনা দুটিই শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য অপরিহার্য।’ তিনি আরো বলেন, ‘মা-বাবার উচিত শিশুর হাতে এমন খেলনা তুলে দেওয়া, যেগুলো তাকে নতুন কিছু ভাবতে শেখায় এবং তার চারপাশ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়তা করে।’ -



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজির শিক্ষক নাজিফা ফেরদৌসী বললেন, ‘শিশুদের হাতে বয়স-উপযোগী খেলনা তুলে দেওয়া জরুরি। বিদেশে খেলনার প্যাকেটে বা লেবেলে লেখা থাকে কোন বয়সী শিশুর জন্য উপযোগী। আমাদের দেশে এখনো সে চল হয়নি। তাই অভিভাবকদেরই এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। দেখতে হবে, যে খেলনাটা তুলে দিচ্ছেন সেটাতে শিশুর ডেভেলপমেন্টটা ঠিকমতো হচ্ছে কি না।’ তিনি আরো বলেন, নিছক খেলাই নয়, শিশুর হাতে খেলনা তুলে দেওয়ার অনেক উদ্দেশ্য আছে। এর মধ্যে তার ঠিকমতো দেখা, শোনা, বলা ও বুঝতে পারার বিষয়টি জড়িত। অনেক অভিভাবকই অনেক পরে বুঝতে পারেন, তাঁদের শিশু ঠিকমতো তাকাচ্ছে না, কথা বলছে না কিংবা শুনছে না। ফলে শুধু খেলনা তুলে দিলেই হলো না। এটা দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে হবে। বুঝতে হবে খেলনার শব্দ সে ঠিকমতো শুনছে কি না। শুনলে রেসপন্স করবে। খেলনা নিয়ে সে নাড়াচাড়া করছে কি না। তার আই মুভমেন্ট খেয়াল করতে হবে, সে ঠিকমতো তাকাচ্ছে কি না। -


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সালাউদ্দিন কাউসার বিপ্লব বললেন, ‘বিকাশ মানে হলো প্রত্যেকের রিয়েল ক্যাপাসিটি। একটা শিশু তার সামর্থ্যের সব কিছু ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারছে কি না সেটাই আসলে দেখার বিষয়। এ ক্ষেত্রে সামাজিকায়নের ওপর জোর দিতে হবে। ধরুন, একটি শিশু একা একা খেলছে। তাহলে তো তার সামাজিক ইন্টারেকশনটা হলো না। কিন্তু অনেকের সঙ্গে খেললে বিকাশটা যথাযথ হয়।’ বকশীবাজারের অগ্রগামী শিশু নিকেতনের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে রাতুল হাসান। ‘কোন খেলা তোমার ভালো লাগে?’—এমন প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেয় ছোট্ট রাতুল—‘ক্রিকেট খেলতে ইচ্ছা করে। বলও আছে, ব্যাটও আছে। কিন্তু খেলব কই?’ তার বাবা আমিরুল ইসলাম অভিযোগের সুরে বললেন, ‘আমরা তো কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করি। ছেলেটাকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু সেখানেও মাঠ বলতে কিছুই নেই।’ এ প্রসঙ্গে নাজিফা ফেরদৌসী বললেন, ‘মুভমেন্টের জন্য বাচ্চাকে নিয়ে খোলা মাঠ আছে—এমন জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন। আর বাড়ি কিংবা স্কুলে বাচ্চার মুভমেন্টের সুযোগ না থাকলে তাকে ফুটবল, ক্রিকেট, সাঁতার কিংবা কারাতে শেখা যায়—এমন ক্লাব বা একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দিতে পারেন।’ -


বয়স অনুযায়ী খেলনা   শূন্য থেকে দুই বছর একেবারে ছোট শিশুদের জন্য নরম, রঙিন, শব্দযুক্ত খেলনার কোনো বিকল্প নেই। কারণ ধারালো কিংবা শক্ত খেলনায় সে আঘাত পেতে পারে। অধ্যাপক নাজমুল হক বললেন, ‘একেবারেই ছোট শিশুরা মিক্সড কালার পছন্দ করে না। এদের জন্য লাল, নীল, হলুদসহ একরঙা খেলনা দিতে পারেন। এ বয়সের শিশুদের কখনোই সুতা বা তার জড়ানো বা পলিথিনে মোড়ানো খেলনা দেওয়া উচিত নয়। কেননা খেলার সময় অসাবধানতাবশত হাত-পায়ে বা গলায় জড়িয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট তানজীর আহম্মদ তুষার বললেন, ‘জন্মের প্রথম মাস থেকেই শিশুদের ঝুলিয়ে রাখা যায়, শব্দ হয় এবং রংচঙে—এমন খেলনা দেওয়া যেতে পারে। বয়স ৮ থেকে ৯ মাস হলে হাতে ধরতে পারে—এমন খেলনা দিতে পারেন। আরেকটু বড় হলে একটু দূরে যায়—এমন খেলনা দিতে পারেন। এতে শিশুও খেলনার পিছু নেবে, তার শারীরিক বিকাশটা হবে।’ সোনামণি যখন দুইয়ে পা দেবে, তখন রঙিন ও একটু শক্ত ধরনের বই, ফোম বা প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা দেওয়া যেতে পারে। তবে খেলনার আকার এমন হওয়া উচিত না, যা শিশুরা গিলে ফেলতে পারে। কারণ এ সময় শিশুরা যা পায় তা মুখে দিতে চায়। খেলনা যেন অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে।




তিন থেকে আট বয়স তিনের কোঠায় পৌঁছলে ড্রয়িং খাতা ও বড় পেনসিল দেবেন আঁকাআঁকির জন্য। সেই সঙ্গে টেনে নেওয়া যায়—এমন খেলনা গাড়িও দিতে পারেন। তানজির আহম্মদ জানালেন, এ সময় বাচ্চাকে প্লাস্টিকের বল, বেলুন, ফুটবল ইত্যাদি দিয়ে পা দিয়ে লাথি মারা, হাত দিয়ে ছুড়ে মারা শেখাতে পারেন।’ চার থেকে পাঁচে পা দিলে তার জন্য বিল্ডিং বক্স ও ক্লে মডেলিং কিট জাতীয় খেলনা উত্তম। এতে সৃজনশীল চিন্তার প্রসার ঘটবে। ছয় থেকে আট বছর হলে তাকে সৃজনশীল খেলনা কিনে দিন। বাজারে নানা রঙের লেগো সেট পাওয়া যায়। টুকরা টুকরা লেগো জোড়া লাগিয়ে বাড়ি, গাড়ি ও নানা জিনিস তৈরি করা যায় এসব সেট দিয়ে। মজার এই খেলনাটি কিনে দিতে পারেন তাকে। সেই সঙ্গে বোর্ড গেম, পাজল দিলেও তার সময় কাটবে বেশ। এ ছাড়া সংখ্যা গোনার বেশকিছু খেলনা পাওয়া যায়। আবার কিছু খেলনা পাওয়া যায়, যেগুলো বর্ণমালা সংযুক্ত করে শব্দ বানানো যায়। এ ধরনের খেলনা শিশুর মেধা বিকাশে সহায়ক।




আট বা তার বেশি সোনামণির বয়স আটের বেশি হলে তাকে মাথা খাটিয়ে খেলতে হয়—এমন কিছু খেলনা দিন। এ ক্ষেত্রে দাবা খেলা, লুডু খেলা শিখিয়ে দিতে পারেন। বুদ্ধি খাটিয়ে এগোতে হয় বলে এ ধরনের খেলা বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া সুডোকু বা ক্রস ওয়ার্ডও আপনার সন্তানের বুদ্ধির বিকাশের জন্য উপযুক্ত খেলা। পাশাপাশি এই খেলাগুলো শিশুর শব্দ ও সংখ্যার জ্ঞান বৃদ্ধি করে। এ সময় তাকে সাইকেল কিনে দিতে পারেন। এসব সাইকেলে শিশুর বুদ্ধি বিকাশের পাশাপাশি তার শারীরিক সক্ষমতা তৈরিতে সহায়ক। বয়স ১০ থেকে ১২ হলে, তাকে তার শখসংক্রান্ত জিনিসপত্র দিতে পারেন, যা নিয়ে সে অবসর কাটাতে পারে। দিতে পারেন বাইনোকুলারসহ তার পছন্দের নানা খেলনা। অ্যাডভেঞ্চার জাতীয় বইও দিতে পারেন অনায়াসে। এতে তার মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে। তবে অধ্যাপক নাজমুল হক বলেন, ‘আগে মা-বাবা নিজেরা পড়ে শিশুর সামনে নানা গল্প করতেন। মা-বাবা না পড়লে শিশুকে পড়াশোনায় মোটিভেট করা যাবে না।’ -





ছেলেমেয়ে বিভেদ নয় বাচ্চার হাতে কোন ধরনের খেলনা তুলে দিচ্ছেন এটাও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক অভিভাবক তাঁর ছেলে গাড়ি আর মেয়েকে কিচেন সেট বা হাঁড়ি-পাতিল কিনে দেন। অধ্যাপক নাজমুল হকের ভাষ্য হলো, ‘এতে করে ছোটবেলা থেকেই শিশুর মধ্যে লিঙ্গবৈষম্যের প্রবণতা তৈরি হয়। ফলে খেলনা বাছাইয়ে জেন্ডার ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি। বাচ্চা ছেলে যদি বার্বি সেট বা কিচেন সেট নিয়ে খেলে বা মেয়ে যদি গাড়ি বা হেলিকপ্টার নিয়ে মজে থাকে—ক্ষতি কী!’   ধ্বংসাত্মক কোনো কিছু নয় অনেকেই বাচ্চার হাতে রেসিং কার, পিস্তল বা বন্দুক, ছুরি জাতীয় খেলনা তুলে দেন। নাজিফা ফেরদৌসীর পরামর্শ হলো—বাচ্চাদের এ ধরনের ধ্বংসাত্মক খেলনা না দেওয়া ভালো। কারণ এগুলো শিশুর মনে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিতে পারে। তানজীর আহম্মদ তুষার বললেন, এ ধরনের খেলনা শিশু মনে এক ধরনের আগ্রাসী মনোভাব তৈরি করতে পারে। ফলে এসবের পরিবর্তে খেলনা মোবাইল, হেলিকপ্টার, ডক্টর সেট ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে। -


খেলনা বাছাই করবেন যেভাবে শিশুর জন্য অটোমেটেড খেলনা পরিহার করাই ভালো। কারণ এ ধরনের খেলনা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করে বলে এতে বাচ্চার কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটে না। শিশুর জন্য এমন খেলনা কিনুন যেটাতে তার নিজের কিছু করার সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে লেগো সেট, আর্কিটেকচার সেট, বিভিন্ন রকমের পাজল, বার্বি সেট, কিচেন সেট, মেকিং টয়, ডলস হাউস হতে পারে ভালো বিকল্প। অনেক শিশুকেই দেখা যায় ভিডিও গেমসে আসক্ত। অধ্যাপক নাজমুল হক বলেন, এ ধরনের খেলাগুলোকে বলা হয় আসক্তিমূলক খেলা। কারণ এগুলো ক্রমান্বয়ে শিশুদের আসক্তি সৃষ্টি করে। গেমসের নির্মাতারা এর মাধ্যমে বিলিয়ন ডলার আয় করে। এগুলো পরিহার করাই উত্তম। তানজীর আহম্মদের পরামর্শ হলো ‘দুই থেকে চার বছরের বাচ্চাদের কোনো মতে কম্পিউটার বা ট্যাবের মতো স্ক্রিন গেমে অভ্যস্ত করা যাবে না।’ সহজে অগ্নিকাণ্ড ঘটাতে পারে এমন খেলনা বাদ দিন। ব্যাটারিচালিত খেলনা পরিহার করা ভালো। কারণ এ ধরনের খেলনা থেকে তৈরি হওয়া শব্দ শিশুর মস্তিষ্কে গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমন খেলনা বাছাই করুন, যা শিশু ইচ্ছামতো মজা করে খেলতে পারে। যেমন—ভবন নির্মাণসামগ্রীর আদলে বানানো খেলনা, ব্লক ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে খেলার সঙ্গে শিশু যে বিষয়টি শেখে তা বহু দিন শিশুর মস্তিষ্ককে পরিচালনা করে। খুব বেশি নড়াচড়া করে এমন খেলনাও দিতে পারেন। তাতে বাচ্চার শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস তৈরি হবে। অতিরিক্ত খেলনা কিনে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। বহু খেলনা থাকলে শিশু সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, যা তাকে এক রকম বিব্রত করে। -


খেয়াল রাখুন ♦    দেখতে ভালো লাগছে বলেই কিনে ফেলবেন না। আগে প্যাকেটের লেবেলটি ভালোভাবে পড়ে নিন। খেলনাটি কত বছরের শিশুর খেলার উপযুক্ত এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হবে—এসব নানা তথ্য লেবেল থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন। ♦    শিশুরা কিছু পেলেই সেটা মুখে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাই খেলনা বা খেলনার অংশ যেন শিশুর হাঁ-মুখের চেয়ে ছোট না হয়, ব্যাপারটি বিবেচনায় রাখুন। কেননা ছোট হলে মুখে দেওয়ার পর গলায় আটকে যেতে পারে। ♦    উচ্চ স্বরে শব্দ হয়—এমন কোনো খেলনা না কেনাই ভালো। এটা শিশুর শ্রবণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ♦    শূন্যে ছুড়ে দেওয়া যায়—এমন খেলনা শিশুর হাতে দেওয়া ঠিক না। কারণ চোখে আঘাত লেগে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। ♦    কাপড়ের পুতুল বা এ জাতীয় খেলনা কেনার আগে দেখে নিন ময়লা হলে সেটি সহজেই ধোয়া যাবে কি না, সেলাই ঠিকঠাক আছে কি না। ♦    প্লাস্টিকের খেলনা কেনার আগে দেখে নিন কোনো অংশ ভাঙা আছে কি না। এর রং শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর কি না। - See more at: http://www.kalerkantho.com/feature/a2z/2015/12/28/306595#sthash.KJ9bKcTn.dpuf

159


রাতে বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করেই ভোর হয়ে যায়! দু'চোখের পাতা আর এক করতে পারেন না? সারাটা দিন ঘুম-ঘুম ঘোরে ক্লান্তির বড় হাই তোলেন। অফিসে কাজের টেবিলে বসে ঢুলে পড়েন? আবার, রাতে বাড়ি ফিরে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, ঘুম ফুড়ুত্‍! হতে পারে আপনি অনিদ্রার শিকার। বিভিন্ন শিফটে কাজ করার দরুনও আপনার রাতের ঘুম এভাবে চৌপাট হতে পারে। মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে। একটা সময় বাধ্য হয়েই ভরসা করতে হয় ঘুমের ওষুধে। যদি রাতের ঘুম নিয়ে সত্যি এমন সমস্যায় ভোগেন, গাদাগুচ্ছের ঘুমের ওষুধ না-কিনে সেই টাকায় বাড়িতে ফ্রেশ কলা কিনে আনুন। তাতেই কাজ দেবে। তবে, শুধু কলা খেলে কাজ হবে না। একটু কষ্ট করে বানিয়ে নিতে হবে 'ব্যানানা টি।' যেভাবে কাজ করে- কলায় বিশেষত কলার খোসাতেও থাকে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম ঘুমের ব্যাঘাত দূর করে। এর সঙ্গে পটাসিয়াম যোগ হলে, আপনাকে রিল্যাক্স রাখে। শর্ত আছে- যে কোনো কলা কিনলেই হবে না। চেষ্টা করুন ১০০ শতাংশ জৈব চাষের কলা কিনতে। অজৈব কলায় প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক থাকে। একটু খুঁজলে বাজারে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা কলা দুর্লভ নয়। কৃত্রিম ভাবে অর্থাত্‍‌ কার্বাইডে পাকানো কলাও এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষত ব্যানানা চা বানাতে যাঁরা কলার সঙ্গে আরও ভালো কাজের জন্য কলার খোসাও দিতে চান, তাঁদের অর্গানিক অর্থাত্‍‌ জৈব কলাই কিনে আনতে হবে। কীভাবে বানাবেন - চা বানানো কষ্টকর কিছু নয়। যে কেউ-ই বানাতে পারবেন। এ জন্য যে যে উপকরণ লাগবে, তা আপনি আপনার কিচেনেই পেয়ে যাবেন। সবকিছু হাতের কাছে থাকলে ১০ মিনিটে তৈরি হবে এই চা। শুতে যাওয়ার আগে আপনাকে চায়ের মতোই পান করতে হবে। উপকরণ: একটা পাত্রে কিছুটা পানীয় জল, একটা অর্গানিক কলা, এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়ো কলার দু'প্রান্তের কিছুটা কেটে ফেলে দিন। এবার কলা টুকরো টুকরো করে কেটে পাত্রে রাখা পানি দিয়ে ১০ মিনিট ধরে ফোটান। কিছুক্ষণ রেখে জলটা ছেকে নিন। চায়ের কাপে নিয়ে এর মধ্যে এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়ো মিশেয়ে গরম গরম খেয়ে বিছানায় শুতে যান। সেদ্ধকরা কলার টুকরো না-ফেলে সেটিও দারুচিনি গুঁড়ো মিশেয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এতে কাজ আরও ভালো হবে। অকারণ অপচয় না-করাই ভালো। শোবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফল টের পাবেন। সূত্র: এই সময় - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2016/07/20/383107#sthash.EIVWO4ng.dpuf
[/size][/color][/font][/size][/b][/color][/size]

160

সমুদ্রে বেড়াতে যেতে ভালবাসেন? বালির চড়ে বসে সামনে বিশাল নীল সমুদ্র দেখতে দেখতে মন যেমন প্রশান্ত হয়, তেমনই সমুদ্রের পানিতে গোসল করে শরীরও যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। কেন বলুন তো? কারণ, লবণ পানিতে রয়েছে বিশেষ কিছু গুণ। যা আপনার ব্যথা সারিয়ে, ক্লান্তি কাটিয়ে ভিতর থেকে তরতাজা করে তোলে আপনাকে। তবে চাইলে সমুদ্র গোসলের অনুভূতিআপনি বাড়িতেই পেতে পারেন। গরমে রোজ লবণ পানিতে গোসল করে দেখুন। তফাতটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

১. রিল্যাক্সেশনঃ-
লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, পেশী শিথিল হয়।
ফলে আপনাকে রিল্যাক্সড রাখে।

২. ত্বকঃ-
লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে রোমকূপের মধ্যে দিয়ে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ত্বকে প্রবেশ করে। ফলে ত্বক স্বাস্থ্যজ্জ্বল দেখায়।

৩. ডিটক্সঃ-
লবণ পানিতে গোসল শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিন সম্পূর্ণ দূর করে আপনাকে ঝরঝরে রাখে নুন জলে স্নান।

৪. বয়সঃ-
নিয়মিত লবণ পানিতে গোসল করলে ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপও দেরিতে পড়ে। আর্দ্রতা বজায় থাকায় চেহারায় গ্লো আসে। ফলে বয়স দেখতে অনেক কম।

৫. আর্থারাইটিসঃ-
লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিছুটা মেটে। নিয়মিত এটা করলে বাতের ব্যথা কমে যায়।

৬. ইনফেকশনঃ-
লবণ পানিতে হিলিং গুণ রয়েছে। নিয়মিত লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে ইনফেকশন, ত্বকের সমস্যা অনেকটাই দূরে রাখতে পারবেন।

৭. স্ট্রেসঃ-
শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পেশী শিথিল করে। ফলে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। গরম কালে রোজ বাড়ি ফিরে লবণ পানিতে গোসল করলে অনেক হালকা লাগবে নিজেকে।

৮. ইনসমনিয়াঃ-
বাড়ি ফিরে লবণ পানিতে গোসল করলে স্ট্রেস কমে, শরীর, মন হালকা লাগে। ফলে রাতে ঘুম ভাল হয়। অনিদ্রা দূরে থাকে।

৯. এনার্জিঃ-
রাতে লবণ পানিতে গোসল করলে যেমন ইনসমনিয়া দূরে থাকে, সকালে লবণ পানিতে গোসল করলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হওয়ার ফলে কাজের এনার্জিও বাড়ে।

১০. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:-
প্রতি দিন লবণ পানিতে গোসল শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা বেড়ে যায়।

 

162

কলার খোসা আমরা অধিকাংশ সময়ই ফেলে দিই ডাস্টবিনে৷ কিন্তু অনেকেই জানি না কলার খোসার কত গুণ৷ শুনতে অবাক লাগলেও একথা সত্যি৷ কলা অধিক পটাশিয়ামযুক্ত বলে রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। এর পাশাপাশি কলার খোসাতেও রয়েছে অনেক উপকার৷ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন আপনি এই খোসাকে৷ জেনে নিন পাকা এবং কাঁচা কলার খোসার অভিনব কিছু ব্যবহার

১. ব্রণ দুর করতে: ব্রণকে দ্রুত দুর করতে সাহায্য করে কলার খোসা। কলার খোসার ভিতরের অংশটি দিয়ে ব্রণের উপর ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ব্রণ মিলিয়ে গিয়েছে!

২.মশা বা পোকামাকড়ের কামড়: মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে এক ধরনে জ্বালা বা চুলকানি হয়। এই জ্বালা বা চুলকানি থেকে তাৎক্ষণিক রক্ষা পেতে চাইলে কলার খোসার ভিতরের দিক ওই স্থানে ঘষুণ। দেখবেন জ্বালা বা চুলকানি একদমই কমে গেছে।

৩. দাঁত সাদা করতে: যতই ব্রাশ করছেন না কেন দাঁত ঝকঝকে হচ্ছে না? এই সমস্যার সমাধান করতে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের দিকটা দাঁতে ঘষুণ দু’মিনিট ধরে। তারপর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর আপনার নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন। মাত্র সাত দিনেই দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।

৪. খাবার হিসেবে: কাঁচা কলা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে। এর ফেলে দেয়া খোসাও খাওয়া যায়। কাঁচা কলার খোসার উপরের আঁশ ফেলে দিয়ে কুচি করে নিন। এরপর এটা ভাঁপিয়ে নিন। এর সাথে শুকনো মরিচ ভাজা, পেঁয়াজ, রসুন ও সরিষার তেল দিয়ে বেটে নিন। হয়ে গেল চমৎকার ভর্তা। চাইলে এর সাথে গুড়া চিংড়িও ভেজে যোগ করতে পারেন।


৫. জুতো চকচকে করে তুলতে: হাতের কাছে শু পলিশ নেই অথচ চকচকে করে তুলতে হবে জুতো? শু পলিশের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রথমে জুতায় ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। এবার পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে জুতোর উপরে ঘষুণ অন্তত ৫ মিনিট। নিজেই দেখবেন যে চকচকে হয়ে উঠতে শুরু করেছে জুতো। এবার একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জুতা জোড়া ভালো করে মুছে নিন।

৬. আঁচিল দুর করতে: অনেকেই শরীরে অতিরিক্ত আঁচিল নিয়ে অনেক বিব্রত থাকেন। কলার খোসা এই আঁচিল দুর করতেও সাহায্য করে। কলার খোসার ভিতরের অংশ আঁচিলের ওপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে। তবে সাত দিনের মধ্যে এ পদ্ধতিতে আঁচিল পড়ে না গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৭. সিডি বা ডিভিডির স্ক্র্যাচ দুর করতে: সিডি বা ডিভিডিতে কিছুদিনের মধ্যেই স্ক্র্যাচ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে সিডি চলতে চায় না, ডিভিডির ভিডিও আটকে আটকে যায়। এ সমস্যা সমাধান করতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার ভিতরের অংশটি দিয়ে সিডি বা ডিভিডিটি ভালো করে ঘষে নিন। দেখবেন স্ক্র্যাচ একেবারেই চলে গিয়েছে। এবার সিডি বা ডিভিডিও চলছে আগের



163
               

আমরা অনেকেই ডিমের খোসা ফেলে দেই। কিন্তু ডিমের খোসার রয়েছে অসাধারণ কিছু ব্যবহার? মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করার সাথে সাথে ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা যেতে পারে ডিমের খোসা। কি, অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। জেনে নিন ডিমের খোসার ভিন্ন কিছু ব্যবহার।

#মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি

ডিমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং মিনারেল রয়েছে যা আপনার বাগানের উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। ডিমের খোসা গুঁড়ো করে নিন এবার এটি মাটিতে ব্যবহার করুন।

# দ্রুত জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে

একটি পাত্রে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এবং একটি ডিমের খোসা ভেঙ্গে গুঁড়ো করে নিন। এবার এটি রেখে দিন যতদিন পর্যন্ত না ডিমের খোসাগুলো ভিনেগারের সাথে মিশে না যায়। মোটামুটি ২ দিন রেখে দিলে ডিমের খোসাগুলো ভিনেগারের সাথে মিশে যাবে। ডিমের খোসায় কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড থাকে যা ভিনেগারের সাথে মিশে ব্যথা উপশম করে দেয়। ব্যথার স্থানে এই মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে লাগান।

#বাসন-পত্র পরিষ্কার করতে

অনেকসময় খাবার রান্না করতে গিয়ে হাঁড়ি পাতিলের নিচে লেগে যায়। এই পোড়া দাগ দূর করতে ডিমের খোসা সাহায্য করবে। ডিশ ওয়াশারের সাথে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি হাঁড়ি পাতিল পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করুন, দেখবেন পোড়া দাগ খুব সহজে দূর হয়ে গেছে।

# কফি মিষ্টি করতে

কফির তেতো স্বাদের কারণে অনেকেই এটি খেতে চান না। এই তেতো স্বাদ দূর করার জন্য কিছু পরিমাণে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে কফির সাথে মিশিয়ে দিন। ডিমের খোসা কফির নিচে পড়ে থাকবে আর কফির তেতো স্বাদ দূর করে দিবে।

#পোকামাকড় এবং বালাই দূরে রাখতে

আপনার প্রিয় বাগানকে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে ডিমের খোসা! বাগানে চারপাশে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। এমনকি গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে দিয়ে রাখতে পারেন। এতে আপনার গাছ পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

# ময়লা জমে যাওয়া ড্রেন পরিস্কার করতে

অনেকসময় রান্নাঘরের সিঙ্ক এ ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যা করে সমাধান করে দিবে ডিমের খোসা। ডিমের খোসা মিহি গুঁড়ো করে জমা ড্রেনের মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর বেশি করে পানি ঢেলে দিন। দেখবেন ড্রেন পরিষ্কার হয়ে গেছে।

#ত্বক পরিষ্কার করতে

১টি ডিমের সাদা অংশ, এবং এক বা দুটি ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর দেখুন ত্বক কেমন নরম কোমল হয়ে গেছে।




164
   


সব সম ঘুম ঘুম লাগে? ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না? মাথাটা ঝিম ঝিম করে বলে মনে হয়? সম্ভবত আপনি কোনো ক্রনিক রোগে ভুগছেন যা ধরা পড়েনি। আমেরিকায় এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ হাইপোথায়রোডিজমে ভুগছেন। যেখানে বিপাক্রিয়ায় অংশ নেওয়া থায়রয়েড গ্রন্থি ঝিমিয়ে কাজ করে।

আপনার গলার নিচেই প্রজাপতির মতো এক গ্রন্থি থায়রয়েড। এটি দেহের দুটো গুরুত্বপূর্ণ হরমোন উৎপন্ন করে যা দেহের কয়েকটি জরুরি কাজে অংশ নেয়। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, শক্তি উৎপাদন এবং খাবার হজমের কাজ করে। আবার হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক, কিডনি এবং ত্বকের নানা প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বছরের জানুয়ারি আমেরিকার জাতীয় থায়রয়েড সচেতনতা দিবস হিসাবে পালিত হয়। চিন্তার বিষয় হলো, অধিকাংশ মানুষ তার থায়রয়েডের সমস্যা শনাক্ত করতে পারেন না। এর বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। এগুলো জেনে নিন।

১. সব সময় ক্লান্ত আপনি : জেগে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে। সারাক্ষণ ক্লান্তি লাগে। এক ধরনের অবসাদ ভর করে। এগুলো বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যগত অবস্থার লক্ষণ হলেও হাইপোথায়রোডিজমের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কম থায়রয়েড যখন নিঃসৃত হয় তখন রক্ত এবং কোষ সারাদেহে প্রবাহের নির্দেশ সঠিকভাবে পায় না। এতে ঘুম ঘুম বোধ হয়।

২. কম খেয়েও স্থুল হচ্ছেন : এ সমস্যায় আক্রান্তদের বিপাকক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। বাসাল মেটাবলিক রেট বা বিএমআর কমে আসে। বিপাক্রিয়ার হার কমে এলে অনেকেই মোটা হতে থাকেন। একই খাবার খেয়ে অন্যদের কিছু না হলেও থায়রয়েড সমস্যায় আক্রান্তরা স্থুলকায় হতে থাকেন।

৩. ভুলে যান : আজ কিছু করার ছিল। কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছেন না। এর কারণ ঘুমের অভাব, হতাশা এবং বয়স বৃদ্ধি হতে পারে। কিন্তু থায়রয়েড সমস্যার কারণেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। হরমোন গ্রন্থির সুষ্ঠু কাজের অভাবে নিউরনের কর্মপ্রক্রিয়ায় ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এতে মাথায় রাখা তথ্য সহসা মনে করা যায় না।

৪. কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধি : স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় হয়তো দেহে কোলেস্টরেলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ধরা পড়েছে। কিন্তু থায়রয়েড গ্রন্থির স্বাস্থ্য দেখা হয়নি। কোলেস্টরেলের উপাদান বের হয়ে যেতে বাধা প্রদান করে হাইপোথায়রোডিজম। ফলে দেহে ক্ষতিকর এলডিএল এবং ট্রিগ্লাইসিরাইডস-এর পরিমাণ বেড় যায়।

৫. বিষণ্নতায় ভোগা : এটা প্রাথমিক লক্ষণ না হলেও, হাইপোথায়রোডিজমের কারণে বিষণ্ন হয়ে পড়ে মন। যেহেতু থায়রয়েড দেহের চঞ্চলতা ধরে রাখে, তাই এর অভাবে আপনিও যে বিষণ্ন হয়ে পড়বেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

৬. শুষ্ক ত্বক : ময়েশ্চারাইজেশনের যাবতীয় ব্যবস্থা রাখার পরও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের চেহারা এবং সৌন্দর্য মলিন হয়ে যায় থায়রয়েডের অভাবে। এতে ত্বকে রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ভাগের এক ভাগ কমে যেতে পারে। ফলে ত্বকের মসৃণতা নষ্ট হয় এবং শুষ্ক হয়ে যায়।

৭. কোষ্ঠকাঠিন্য : খুবই অস্বস্তিকর এক অবস্থা। এমনকি চিকিৎসকের সঙ্গেও আলোচনা করতে অনেকে লজ্জাবোধ করেন। বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে না চললে হজমে গোলযোগ দেখা দেয়। এ ছাড়া অন্ত্রনালীর মাধ্যমে মল দ্রুত এগোতে পারে না। হজমের এই ধীরগতির কারণ হতে পারে যথেষ্ট থায়রয়েডের ঘাটতি। এ সময় কলা বা ফাইবারসমৃদ্ধ ফল মল সহজে বের হতে সহায়তা করতে পারে।

৮. পেশীতে কালসিটে : উষ্ণ পানিতে গোসল করে বা হাজারো ম্যাসাজ করেও পেশী শিঁথিল করা যায় না। বিপাকক্রিয়ার মাধ্যমে দেহ শক্তি উৎপন্ন করে। কিন্তু থায়রয়েডের অভাবে বিপাক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এতে দেহ যে প্রক্রিয়ায় শক্তি পোড়ায় তাতে বিশৃঙ্খলতা লেগে যায়। আর এতে দেহের পেশীর অনুভূতি ভিন্নতর হয়ে যায়। পেশী শক্ত হয়ে যায়। মনে হয়, জমাট বেঁধে গেছে। পরিত্রাণ পেতে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।

৯. বেশি বেশি শীত লাগে : এমনকি গরমের সময়ও শীত অনুভূত হয়। থায়রয়েড দেহে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হাইডোথায়রোডিজম দেহে সামান্য পরিমাণ থায়রয়েড উৎপন্ন করে। এ কারণে কম পরিমাণ শক্তি ক্ষয় হয়। এতে তাপ উৎপন্ন হয় না। ফলে দারুণ শীত লাগতে পারে।


165


দাঁত পরিষ্কার ছাড়াও টুথপেস্টের রয়েছে আরও ব্যবহার। দৈনন্দিন নানা কাজেও এটি ব্যবহার করা যায়। তবে দাঁত ব্রাশ ছাড়া অন্য কোনো কাজে টুথপেস্ট ব্যবহার করলে শুধু সাদা টুথপেস্ট ব্যবহার করা উত্তম।

চলুন জেনে নিই টুথপেস্টের নানাবিধ ব্যবহার-

আইভরি- হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি যেকোনো জিনিস পরিষ্কার করতে টুথপেস্ট ব্যবহার করা যায়। ব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে ঘষা দিন। এরপর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। এভাবে হারমনিয়াম ও পিয়ানোর কি-ও পরিষ্কার করতে পারেন।



নখ- পুরোনো ব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে নখ ঘষুন। ঝকঝকে হয়ে উঠবে।

কাপড়ে মরিচা দাগ- কাপড়ের মরিচার দাগ তুলতে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে এলে পানিতে ভিজিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। মরিচার দাগ দূর হয়ে যাবে।

স্নিকার্স- স্নিকার্সের নিচের রাবারের অংশ পরিষ্কার করতে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
 
ডায়ামন্ড - ভেজা কাপড়ে টুথপেস্ট লাগিয়ে ডায়ামন্ডের আংটি পরিষ্কার করুন।

জার পরিষ্কারে - অনেক দিন সংরক্ষণ করার ফলে মসলা, দুধ ও অন্য খাবারের জার গন্ধ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে টুথপেস্ট ও ব্রাশের সাহায্যে জার পরিষ্কার করতে পারেন। একই উপায়ে শিশুদের ফিডারও পরিষ্কার করতে পারেন।





আয়না- বাথরুমের আয়নায় পানির দাগ থাকে। পানির দাগ দূর করতে টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
 
সিলভার ও স্টিল- সিলভার ও স্টিলের আসবাব বা বাসনের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে টুথপেস্ট ও স্ক্রাবার ব্যবহার করুন।
 
মার্বেল ও টাইলস- মার্বেল পাথর ও টাইলসের মেঝেতে মরিচার দাগ বা চুইংগামের দাগ দূর করতে টুথপেস্ট ভালো কাজ করে।
 
সিঙ্ক ও বেসিন - রান্নাঘরের সিঙ্ক ও বেসিন পরিষ্কারে স্ক্রাবার ও টুথপেস্ট ব্যবহারে চকচকে ভাব আসবে, সঙ্গে দূর হবে জীবাণুও।

দেয়ালের দাগ - দেয়ালে ক্রেয়নের দাগ তুলতে টুথপেস্ট খুব ভালো কাজ করে।



লিপস্টিকের দাগ - কাপড়ের লিপস্টিকের দাগ তুলতে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও কাপড়ে কালির দাগ তুলতে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে এলে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। কালির দাগ উধাও হয়ে যাবে।

কাঠের আসবাব- কাঠের আসবাবের ওপর পানি বা কোল্ড ড্রিঙ্কসের দাগ তুলতে কাপড়ে টুথপেস্ট লাগিয়ে দাগের ওপর ধীরে ধীরে ঘষুন। দ্বিতীয় ধাপে পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।

ব্রণ - ইদানীং অনেকেই এ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। ব্রণের ‍উপর টুথপেস্ট লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণ আকারে ছোট হয়ে যাবে। টুথপেস্ট ব্রণে জমা তেল শোষণ করে দ্রুত সারিয়ে তোলে।

হাত ও পায়ের দুর্গন্ধ এড়াতে - পেয়াজ-রসুন কাটার ফলে হাতে দুর্গন্ধ হয় আবার মোজা পরার ফলে পায়েও দুর্গন্ধ হতে পারে। এক্ষেত্রে হাত ও পায়ে টুথপেস্ট ব্রাশ করে ধুয়ে ফেলুন।



http://www.banglanews24.com/fullnews/bn/456770.html

Pages: 1 ... 9 10 [11] 12 13 ... 15