31
Heritage/Culture / দুধরাজ
« on: July 14, 2017, 10:44:27 AM »
ছবির এই দুধসাদা পুরুষ পাখিটি বাসায় বসে ডিমে তা দিচ্ছে কী সুন্দর মোহনীয় ভঙ্গিতে! লেজের লম্বা ফিতাপালক দুখানা টানটান করে ছড়িয়ে দিয়েছে। আসলে পুরুষ পাখিরা ডিমে তা দেয় না, ডিমে তা দিতে দিতে ক্লান্ত বা ক্ষুধার্ত হলে মেয়েপাখিটি যখন বাসা ছেড়ে উড়াল দেয় ডানার আড়ষ্টতা কাটানোর জন্য বা খাবার খেতে, তখন পুরুষটি ডিমে বসে, তায়ে সুবিধার জন্য ঠোঁট দিয়ে ডিম উল্টেপাল্টে দেয়। দুঃসাহসী এই পুরুষ পাখিরা বাসার চারপাশ কড়া পাহারায় রাখে। বাসার ত্রিসীমানায় বেজি-বনবিড়াল, পোষা কুকুর-বিড়াল, গুইসাপ-বিষধর সাপসহ শিকারি পাখিরা এলেই বাতাসচেরা কর্কশ ধাতব ডাক ছেড়ে আক্রমণ করে। আক্রমণের গতি ও আকস্মিকতায় শত্রুরা ভড়কে যায়। এই সুবিধা নেওয়ার জন্য এই পাখিদের বাসার কাছাকাছি বাসা করে কমলা দোয়েল, হলদে বউ, চশমা পাখি, নাচুনে, ভ্যাদাটুনি, বুলবুলিসহ নিরীহ ও কিছুটা সাহসী পাখি।
অনেকটাই গেরিলা কৌশলে ওড়াউড়ি এদের। পছন্দ ছায়া ছায়া বনবাগান। সবচেয়ে বেশি পছন্দ বাঁশবন বা বাঁশমহাল। বাঁশের ঝুলন্ত কঞ্চিতে বাসা করতেও পছন্দ করে খুব। আম-কাঁঠালগাছ বেশি পছন্দ। তবে বাসা করবে কিছুটা ঝুলন্ত সরু ডালে। বছর বছর একই এলাকায় বা একই গাছের ভিন্ন ভিন্ন ডালে বাসা বাঁধার প্রবণতা এদের প্রবল। বাসা করে বসন্ত-বর্ষায়। বাসা বাঁধা শেষ করতে সময় লাগে চার থেকে সাত দিন। চারটি গোলাপি রঙের ডিম পেড়ে ১৫-২১ দিনের তায়ে ছানা ফোটায় এরা। মূল খাদ্য এদের উড়ন্ত কীটপতঙ্গ, লার্ভা ও ফুলের নির্যাস। সুযোগ পেলে তাল-খেজুরের রসও পান করে। পুরুষ ছানারা দু-তিন বছর পর্যন্ত লালচে বা লালচে-বাদামি থাকে, তারপরে একেবারে দুধসাদা রঙের হয়ে যায়। মেয়েটি সারা জীবনই লালচে-বাদামি পাখি থাকে, তার লেজে ফিতাপালক থাকে না। পুরুষটি বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর পাখি। সুদৃশ্য লম্বা লেজ দুটি এদের শরীরের তুলনায় চার–পাঁচ গুণ বড়। বাতাসে এই সুদৃশ্য লেজ-ফিতা যখন দোলে, তখন নান্দনিক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়।
সারা দেশেই আছে এরা; তবে চালচলনে লুকোছাপা থাকার কারণে মানুষের নজরে পড়ে না সহজে।
চতুর-সাহসী-বুদ্ধিমান ও তুখোড় প্রেমিক এই পাখিদের নাম দুধরাজ। মেয়েটি হলো দুধরানি। দুধরানির যেকোনো বিপদে দুধরাজ কী রকম আহাজারি আর ক্রন্দন যে করে! লেজঝোলা, সাদা সিপাহি, লাল সিপাহি ও সাহেব বুলবুলি নামেও পরিচিত এরা। ইংরেজি নাম Asian Paradise Flycatcher। বৈজ্ঞানিক নাম Terpsiphone paradise। লেজসহ দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার। ওজন ২০ গ্রাম।
(সূত্র: প্রথম আলো)
অনেকটাই গেরিলা কৌশলে ওড়াউড়ি এদের। পছন্দ ছায়া ছায়া বনবাগান। সবচেয়ে বেশি পছন্দ বাঁশবন বা বাঁশমহাল। বাঁশের ঝুলন্ত কঞ্চিতে বাসা করতেও পছন্দ করে খুব। আম-কাঁঠালগাছ বেশি পছন্দ। তবে বাসা করবে কিছুটা ঝুলন্ত সরু ডালে। বছর বছর একই এলাকায় বা একই গাছের ভিন্ন ভিন্ন ডালে বাসা বাঁধার প্রবণতা এদের প্রবল। বাসা করে বসন্ত-বর্ষায়। বাসা বাঁধা শেষ করতে সময় লাগে চার থেকে সাত দিন। চারটি গোলাপি রঙের ডিম পেড়ে ১৫-২১ দিনের তায়ে ছানা ফোটায় এরা। মূল খাদ্য এদের উড়ন্ত কীটপতঙ্গ, লার্ভা ও ফুলের নির্যাস। সুযোগ পেলে তাল-খেজুরের রসও পান করে। পুরুষ ছানারা দু-তিন বছর পর্যন্ত লালচে বা লালচে-বাদামি থাকে, তারপরে একেবারে দুধসাদা রঙের হয়ে যায়। মেয়েটি সারা জীবনই লালচে-বাদামি পাখি থাকে, তার লেজে ফিতাপালক থাকে না। পুরুষটি বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর পাখি। সুদৃশ্য লম্বা লেজ দুটি এদের শরীরের তুলনায় চার–পাঁচ গুণ বড়। বাতাসে এই সুদৃশ্য লেজ-ফিতা যখন দোলে, তখন নান্দনিক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়।
সারা দেশেই আছে এরা; তবে চালচলনে লুকোছাপা থাকার কারণে মানুষের নজরে পড়ে না সহজে।
চতুর-সাহসী-বুদ্ধিমান ও তুখোড় প্রেমিক এই পাখিদের নাম দুধরাজ। মেয়েটি হলো দুধরানি। দুধরানির যেকোনো বিপদে দুধরাজ কী রকম আহাজারি আর ক্রন্দন যে করে! লেজঝোলা, সাদা সিপাহি, লাল সিপাহি ও সাহেব বুলবুলি নামেও পরিচিত এরা। ইংরেজি নাম Asian Paradise Flycatcher। বৈজ্ঞানিক নাম Terpsiphone paradise। লেজসহ দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার। ওজন ২০ গ্রাম।
(সূত্র: প্রথম আলো)