Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Sadat

Pages: 1 [2]
16


বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ ‘সেন্ট মার্টিন’ এর অবস্থান বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায়। টেকনাফের সর্ব শেষ অংশ অর্থাৎ শাহ্‌পরীর দ্বীপ হতে প্রায় ১৩ কিলোমিটার ও টেকনাফ হতে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এর বুকে এই দ্বীপ এর অবস্থান। মাত্র ৩ বর্গ কিলোমিটারের (পরিধি হিসেবে ১৪ কিলোমিটার এবং ছেঁড়াদ্বীপ সহ ১৮ কিলোমিটার) কিছু বেশি আয়তনের এই দ্বীপটির জনসংখ্যা প্রায় ৮০০০ হাজার। ১৮৯০-১৯০০ সালের দিকে মাত্র ১৩ টি পরিবারের ৫০ জন সদস্য প্রথম এই দ্বীপে বসতি গড়েন। স্থানীয় প্রায় সবাই তাদেরই বংশধর।সেন্ট মার্টিন মূলত দু’টি নামে পরিচিত। নারিকেল জিঞ্জিরা আর সেন্ট মার্টিন । জিঞ্জিরা মূলত আরবি শব্দ জীন-জাজিরা থেকে এসেছে। জীন মানে জীন বা পরী আর জাজিরা মানে দ্বীপ। কথিত আছে সেই কালে জীন পরীরা চলাচলের সময় এই দ্বীপে বিশ্রাম নিত। সেখান থেকেই এই দ্বীপের নাম হয়েছে জিন-জাজিরা বা জিঞ্জিরা। পরবর্তীতে নারিকেল শব্দটি যুক্ত হয়ে হয়েছে নারিকেল জিঞ্জিরা। এদিকে সেন্ট মার্টিন ছিলেন একজন ব্রিটিশ ধর্ম যাজক। তিনি এই দ্বীপে কিছুকাল অবস্থান করেন। এদিকে ব্রিটিশ সরকারের এক আর্মি অফিসার মিস্টার কক্স (যার নামে কক্সবাজার) ছিলেন সেন্ট মার্টিনের ভক্ত। মিস্টার কক্স তার প্রিয় ধর্ম যাজকের নাম স্মরণীয় রাখতে এই দ্বীপের নাম রাখেন সেন্ট মার্টিন । কেন যাবেন সেন্ট মার্টিনঃ আপনার উত্তর যদি হয় সমুদ্র দেখতে তাহলে বলবো “সমুদ্র দেখার জন্য সেন্ট মার্টিন যাওয়ার প্রয়োজন নেই”। সমুদ্র আপনি কক্সবাজার, টেকনাফ, কুয়াকাটাতেও তো দেখতে পারেন। সেন্ট মারটিন মূলত যাওয়া উচিৎ রহস্যের সন্ধানে। নির্জনতার রহস্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রহস্য আর সাগর তলের বিস্ময়কর রহস্য। সৃষ্টিকর্তা এখানকার প্রকৃতিকে দু’হাত ভরে দান করেছেন। চতুর্দিকের নীল- সাদা আকাশের নিচে যেদিকেই তাকান শুধু পানি আর পানি। নীল পানিতে আকাশটা যেন হঠাৎই ঝুঁকে পড়েছে ওল্টানো বাটির মতো। অদ্ভুত এক ভালোলাগা কাজ করে এখানে। কি দেখবেনঃ সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিবো কোথা? সেন্ট মার্টিনে কি দেখবেন তা আলাদা করে বলতে গেলে একটু বিপদেই পড়তে হবে। ৭ টি পাড়া নিয়ে গঠিত এই দ্বীপটির প্রতিটি অংশই রূপের ডালা সাজিয়ে রেখেছে। সতন্ত্র তাদের প্রত্যেকের রূপ কিন্তু এক সূতায় গাথা। ঠিক মুক্ত মালার মত। তবে প্রকৃতি একেক সময় একেক ভাবে সুন্দর। বিকেল বেলাটা এক কাপ চায়ের সাথে দ্বীপের পশ্চিম পাড়ের বীচ থেকে আপনি হয়তো দেখতে পাবেন আপনার জীবনের সেরা সূর্যাস্ত। সকালটা কাটিয়ে দিন পূর্ব বীচে। মায়ানমারের পাহাড় ডিঙ্গিয়ে সূর্যের প্রথন কিরণ যখন আপনার চোখে ধরা দেবে তখন পূর্ব বীচ মায়াবী রূপ ধারন করে। দ্বীপের সর্ব দক্ষিনে বেশ কিছু অংশ নিয়ে কোরালের উপর ভর করে তৈরি হয়েছে ছেঁড়া দ্বীপ। বর্ষা মৌসুমে মূল দ্বীপ থেকে ছিঁড়ে যায় বা আলাদা হয়ে যায় বলেই এর নাম ছেঁড়াদ্বীপ। হেঁটে বা বোটে করে যেতে পারেন এই দ্বীপে। মূল দ্বীপ থেকে সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রলার, স্পীড বোট যায় এই দ্বীপে। চাইলে তাঁবুতে এক রাত থেকে যেতে পারেন এখানে। তবে নিরাপত্তারা বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখবেন।

কেমন হওয়া উচিৎ ট্যুর প্লান ?

** যারা কক্সবাজার থেকে প্যাকেজ নিয়ে সেন্ট মার্টিনে আসেন তাদের জন্য সমবেদনা। আমি অন্তত ১০০ মানুষকে চিনি যারা ডে লং প্যাকেজ নিয়ে সেন্ট মার্টিনে গিয়ে ফিরে এসে সেন্ট মার্টিনে যাওয়া নিয়ে আফসোস করেছে। তারপরও যারা সময়ের অভাবে ডে লং ট্রিপে সেন্ট মার্টিন যাবেন তারা শিপ থেকে নেমেই ভ্যান নিয়ে চলে যাবেন পশ্চিম বীচে। সেন্ট মার্টিনে পানিতে নামার জন্য পশ্চিম বীচের বিকল্প নেই। যদিও পশ্চিম বীচ পর্যন্ত হেঁটে যেতে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে তবুও আমি ভ্যান নিতে বলবো। এইটুকু যেতে ভ্যান ভাড়া গুণতে হবে ১৫০-২০০ টাকা। পশ্চিম বীচে গিয়েই নেমে পড়ুন স্বচ্ছ পানিতে। মনে রাখবেন যখনই পানিতে নামুন না কেন ২ টার আগেই পানি থেকে উঠে পড়ুন। মনে রাখবেন আপনার ফেরার শিপ কিন্তু ৩ টায়। তাই ২ টার আগে না উঠে পড়লে আপনি খাওয়ার সময়টুকুও পাবেন না। এই টাইপ ট্রিপ আসলে good for nothing টাইপ ট্রিপ। মানে আসলাম, খেলাম, ফিরে গেলাম আর কি !
** ১ দিনের প্ল্যানঃ যারা এক দিনের জন্য সেন্ট মার্টিনে যাবেন তাদের জন্য প্রথম পরামসস হল শিপ থেকে নামতে তাড়াহুড়া করবেন না। আসতে ধীরে শিপ থেকে নেমে হোটেলে উঠে পড়ুন। ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিয়ে চলে যান ছেঁড়াদ্বীপ। চেষ্টা করবেন ৪ টার দিকে রওনা দিতে। তাতে রোদ যেমন কিছুটা পরে যাবে তেমনি ছেঁড়া দ্বীপে সূর্যাস্ত দেখে ফিরতে পারবেন। মনে রাখবেন ছেঁড়া দ্বীপের সূর্যাস্ত অসাধারণ। তবে সূর্যাস্তের পরে বেশি দেরি করবেন না। মূল দ্বীপে ফিরে এসে আড্ডা দেয়ার ভালো জায়গা হল বাজারের জেটি অথবা পশ্চিম বীচের যে কোন জায়গা। বীচের যেখানেই থাকুন না কেন নিরাপত্তা নিয়ে তেমন কোন সমস্যা নেই। রাতে চাইলে বার-বি-কিউ করতে পারেন। বার-বি-কিউ করার ক্ষেত্রে পরামসস হল স্থানীয় হোটেল গুলোতে না করে কোন রিসোর্টে করা। রিসোর্ট গুলোতে দাম ৫০-১০০ টাকা বেশি নিলেও মাছ ফ্রেশ পাবেন। যত রাত পর্যন্তই জেগে থাকুন না কেন ঘুম থেকে উঠে পড়ুন ৫-৫.৩০ এর মধ্যে। পূর্ব দিক থেকে হাঁটা শুরু করুন। উদ্দেশ্য পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখা। পুরো দ্বীপ চক্কর দিতে আপনার সময় লাগবে ৩.৩০-৪ ঘণ্টা। মনে রাখবেন সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণ পশ্চিম অংশ আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। ১০ টা নাগাদ ফিরে আসুন হোটেলে। মুখে কিছু দিয়ে নেমে পড়ুন সমুদ্রে। ১২ টা নাগাদ ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে খেয়ে নিন। ২.৩০ এর দিকে উঠে পড়ুন আপনার নির্ধারিত শিপ। মনে রাখবেন ২.৩০ এর পরে শিপ উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়।

** ২ দিনের প্ল্যানঃ এক দিনের জন্য সেন্ট মার্টিনে যাবেন তাদের মত ২ দিনের ভ্রমণকারীদের জন্যও পরামসস হল শিপ থেকে নামতে তাড়াহুড়া করবেন না। আসতে ধীরে শিপ থেকে নেমে হোটেলে উঠে পড়ুন। একটু পরে নেমে পড়ুন সমুদ্রে। ঘণ্টা খানেক দাপাদাপি করে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিন । ৫ টা নাগাদ চলে যান বীচের পারে। অবশ্যই পশ্চিম বীচে। আয়েশ করে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে কাটিয়ে দিন প্রথম দিনের সন্ধ্যা। সন্ধ্যার পর চলে যেতে পারেন বাজারের জেটিতে। ঝিরি ঝিরি বাতাসে জেটিতে বেশ আমুদে একটা ভাব এসে যায়। অনেক রিসোর্টে রাতে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় গান পরিবেশ করা হয়। রাতে চেষ্টা করুন একটু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে। সারা দিনের ধকল তো আর কম যায়নি ! পরদিন সকাল ৮ টার মধ্যে নাস্তা শেষ করে চলে যান ছেঁড়াদ্বীপ। ছেঁড়াদ্বীপে গোসলও করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ছেঁড়া দ্বীপের শেষ মাথায় গিয়ে পানিতে নামাই ভালো। এখানে কোরাল তুলনামুলক কম আর ঢেউ গুলো চমৎকার। দুপুর নাগাদ ফিরে আসুন মূল দ্বীপে। দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিন। আগের দিনের মত বিকেলে পশ্চিম বীচে সূর্যাস্ত দেখে বীচ ধরে উত্তর দিকে হাঁটতে হাঁটতে জেটি পর্যন্ত চলে যান। অসাধারণ ভিউ আর ছবি পাবেন। এই রাতে বার-বি-কিউ করতে পারেন। বার-বি-কিউ করার ক্ষেত্রে পরামসস হল স্থানীয় হোটেল গুলোতে না করে কোন রিসোর্টে করা। রিসোর্ট গুলোতে দাম ৫০-১০০ টাকা বেশি নিলেও মাছ ফ্রেশ পাবেন। যত রাত পর্যন্তই জেগে থাকুন না কেন ঘুম থেকে উঠে পড়ুন ৫-৫.৩০ এর মধ্যে। পূর্ব দিক থেকে হাঁটা শুরু করুন। উদ্দেশ্য পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখা। পুরো দ্বীপ চক্কর দিতে আপনার সময় লাগবে ৩.৩০-৪ ঘণ্টা। মনে রাখবেন সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণ পশ্চিম অংশ আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। ১০ টা নাগাদ ফিরে আসুন হোটেলে। মুখে কিছু দিয়ে নেমে পড়ুন সমুদ্রে। ১২ টা নাগাদ ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে খেয়ে নিন। ২.৩০ এর দিকে উঠে পড়ুন আপনার নির্ধারিত শিপ। মনে রাখবেন ২.৩০ এর পরে শিপ উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়।

কি খাবেনঃ

এই দ্বীপের সবচেয়ে বিখ্যাত জিনিস হল ডাব। এই দ্বীপের নাম নারিকেল জিঞ্জিরা এমনি এমনি হয়নি। এখানকার ডাবের পানি যেমন মিষ্টি তেমনি সুস্বাদু। সেন্ট মারটিনে গেলে ডাবের পানি মিস করা ঠিক হবে না।
যারা মাছ খান না আমার মতে তাদের সেন্ট মার্টিন যাওয়ার অধিকারই নেই। কারন কোরাল, সুন্দরী পোয়া, ইলিশ, রূপচাঁদা, লবস্টার, কালাচাঁদার স্বাদ এক কথায় অসাধারণ। আর একটা জিনিস অবশ্য খেয়ে দেখতে পারেন। সেটা হল কুরা (স্থানীয় ভাসায় দেশী মুরগিকে বলা হয় কুরা)। শুঁটকি মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে লইট্টা, ছুড়ি, রূপচাঁদা, কাচকি ট্রাই করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন বেশির ভাগ শুঁটকি কিন্তু আসে কক্সবাজার ও চট্ট্রগ্রাম থেকে। যারা ইলিশ খুব বেশি পছন্দ করেন তারা জেনে রাখুন সমুদ্রের ইলিশ নদীর ইলিশের মত টেস্টি নয়।
যারা জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারীতে সেন্ট মারটিন যাবেন তারা অবশ্যই তরমুজ মিস করবেন না। দেখতে খুব একটা লাল না হলেও খেতে কিন্তু বেশ।

যা কখনই করবেন নাঃ

** মনে রাখবেন পাথুরে সৈকত, প্রবাল ও নীল সমুদ্র আমাদের দেশে শুধুমাত্র এখানেই আছে। এই দ্বীপটি ২০০৫ সালে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষিত। তাই সৃতি হিসেবে এখান থেকে প্রবাল, শৈবাল, সামুক-ঝিনুক, কেয়া গাছের ফল নিয়ে আসবেন না। এটা শুধু অনুচিতই নয় বরং দণ্ডনীয় অপরাধও বটে।
** সব মিলিয়ে এখানে মোট ১১ টি বিপদজনক স্থান/ বা ডেঞ্জার জোন আছে। এই জোনে পানিতে না নামাই ভালো। কয়েকটি জায়গাতে লাল পতাকা দেয়া আছে তবে সবগুলো পয়েন্টে নেই। ** পানিতে নেমে প্রবালে পা কেটে ফেলেন অনেকে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী।
** এ অঞ্চলের মানুষ ধর্মীয় বিষয়গুলোতে বেশ সেন্সিটিভ। তাই ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
** সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এই দ্বীপের প্রবালগুলোকে আমরা নিজ হাতে অতি যত্ন সহকারে মেরে ফেলছি। আমাদের ফেলে আসা পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল সাগরের তলার পরিবেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। তাই অনুরোধ এইসব তো ফেলবেনই না বরং আসার সময় সম্ভব হলে একটি বা দু’টি বোতল বা পলিথিন কুড়িয়ে নিয়ে আসুন। আপনার বা আমার একটি দু’টি বোতল হয়তো পরিবেশের বিপর্যয় রোধ করতে পারবে না। কিন্তু জানেন তো বিন্দু বিন্দু বালু কনা …… ।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে সরাসরি শ্যামলী, হানিফ, রিলেক্স, তুবা লাইন(নন এসি) এবং সেন্ট মার্টিন সার্ভিস, বাগদাদ এক্সপ্রেস, গ্রীন লাইন (এসি) সহ বেশ কিছু বাস টেকনাফ যায়। নন এসি বাসের ভাড়া ৯০০ টাকা আর বেশিরভাগ এসি বাসের ভাড়া ১৫৫০ টাকা। দমদমিয়া ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি শিপ ছাড়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে সকাল ৯ঃ৩০ মিনিটে। যা দ্বীপে পৌছায় ১২ টার মধ্যে। এগুলো ফিরে আসে বিকেল ৩ টার দিকে সেন্ট মার্টিন থেকে। শিপ ও ক্লাস ভেদে এগুলোর ভাড়া ৫৫০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। তবে অফ সিজনে (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) শিপগুলো চলে না, এই সময়টাতে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার একমাত্র উপায় হল ট্রলার।
কক্সবাজার থেকে গেলে প্যাকেজ নিয়ে যাওয়াই ভালো। কক্সবাজারে যে হোটেলে থাকবেন, তাদের কাছে বললে তারা ব্যবস্থা করে দিবে। তবে তাদের কাছে শুধু ট্রান্সপোর্ট এর সুবিধা ও আলাদা করে নেয়া যায়। এর সুবিধা হল খুব ভোরে উঠে টেকনাফ যাওয়ার জন্য বা শিপের টিকেটের জন্য আলাদা করে দৌড় ঝাঁপ করতে হবে না। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ, শিপের রিটার্ন টিকেট(সেন্ট মার্টিন যাওয়া এবং আসা) এবং আবার টেকনাফ থেকে কক্সবাজার নিয়ে আসা সব মিলিয়ে খরচ হয় ১০০০-২০০০ টাকা (শিপের ক্লাস ভেদে খরচ বাড়ে-কমে)।

কিভাবে নিবেন যাওয়ার প্রস্তুতিঃ

নতুন কোন জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি কথা সবসময় মাথায় রাখবেন, ইনফরমেশন হল আপনার প্রধান অস্ত্র। আপনার কাছে যত বেশি ইনফো থাকবে আপনার ভ্রমণ ততো স্বাচ্ছন্দময় হবে। সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কানেক্টিং ফ্যাক্টর কাজ করে। এর প্রথম পর্যায়ে আপনাকে বাসের টিকেট কনফার্ম করতে হবে। সম্ভব হলে যাওয়া আসা দুটোরই। এর পরের কাজ হল শিপের টিকেট কনফার্ম করা এবং সর্বোপরি সেন্ট মার্টিনে কোন হোটেল বা রিসোর্ট বুক করা। এই তিনটি ধাপ কনফার্ম হলেই আপনি সেন্ট মার্টিন যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।

কিভাবে বুকিং করবেনঃ

বাসঃ নন এসি বা এসি যাই হোক না কেন সবগুলো বাস মোটামুটি ফকিরাপুল থেকে যাত্রা শুরু করে। তাই টিকেট কাটার জন্য ফকিরাপুল যাওয়াই ভালো। তবে সায়দাবাদ বা যাত্রাবাড়ী থেকেও উপরে উল্লেখিত বাস কাউন্টার থেকে আপনি আপনার টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন। একটা কোথা মাথায় রাখুন, আগে বাস কোম্পানিগুলো ফোনে বুকিং নিলেও এখন আর নেয় না। তাই ফোন করে বুক দেয়ার চেষ্টা না করে একটু কষ্ট করে হলেও কাউন্টারে গিয়ে টিকেট করে ফেলুন।
শিপ বুকিং এর ক্ষেত্রে চলে যেতে পারেন শিপ কোম্পানিগুলোর টিকেট সেলিং সেন্টারে। কেয়ারী সিন্দাবাদ এবং কেয়ারী ক্রুজের অফিস ধানমন্ডিতে। ফোন নাম্বার ০১৮১৭১৪৮৭৩৫। এল সি টি কুতুব্দিয়ার অফিস পল্টনে। ফোন নাম্বার ০১৭১৪৬৩৪৭৬২। ** নাম্বারগুলো নিশ্চিত হয়ে নিয়েন। এ ছাড়াও এম ভি ফারহান, কাজল, বে-ক্রুজ, গ্রীন লাইনের (০২৯৩৩৯৬২৩, ০২৯৩৬২৫৮০) শিপও রয়েছে।

সেন্ট মার্টিনে হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং এর ক্ষেত্রে একটু সাবধানী সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরী। মেইন ল্যান্ডের মত সুযোগ সুবিধা দেয় এমন একটিও হোটেল/ রিসোর্ট এখানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এর মূল কারন হল বিদ্যুৎ। ১৯৯১ এর আগে সেন্ট মার্টিনে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকলেও ১৯৯১ এর প্রলয়ংকারি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সব লন্ড ভন্ড হয়ে যায়। এর পরে সেন্ট মার্টিন আর সরকারী ব্যবস্থায় বিদ্যুতের মুখ দেখেনি। তাই হোটেল/ রিসোর্ট গুলো নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থেকে। এর ফলে বিদ্যুৎ রিলেটেড সুবিধাগুলো (ফ্রিজ, রুমে এসি, ২৪ ঘণ্টা ফ্যান)এখানে পর্যাপ্ত নয়। * হোটেল/ রিসোর্ট বুকিং এর ক্ষেত্রে কে কতটুকু সুযোগ সুবিধা দেবে তা নিশ্চিত হয়ে নিন। * সেন্ট মার্টিন উপভোগ করতে চাইলে পশ্চিম বীচের বিকল্প নেই। তাই পশ্চিম পাড়ের রিসোর্টগুলোকে টার্গেট করতে পারেন। তবে যারা হইহুল্লর পছন্দ করেন তারা বাজারের কাছাকাছি হোটেলগুলোতে থাকুন। হোটেল/ রিসোর্ট বুকিং এর ক্ষেত্রে আপনারা চাইলে সেখানে গিয়েও খুঁজে নিতে পারেন। এতে সুবিধা অসুবিধা দুটোই আছে। হোটেল খুঁজতে খুঁজতে আপনার যেটুকু সময় নষ্ট হবে আর যে ধকল যাবে তাতে তাতে দরদাম করে হোটেল ভাড়া কিছুটা কমাতে পারলেও রুম পেতে পেতে আপনার প্রায় ২-৩ টা বেজে যাবে। আর একটি বিষয় হল বিশেষ ছুটির দিন (১৬ ডিসেম্বর,২৫ ডিসেম্বর,৩১ ডিসেম্বর,২১ ফেব্রুয়ারী,২৬ মার্চ সহ অন্য তিন দিনের টানা বন্ধ) গুলোতে কোন প্রকার হোটেল / রিসোর্ট পাওয়াই কষ্টকর হয়ে যায়। তাই এসময়গুলোতে আগে থেকেই হোটেল / রিসোর্ট বুক করে নিশ্চিত করে রাখবেন। যেহেতু শিপ সেন্ট মার্টিনে পৌছায় ১২ টার মধ্যে, তাই ট্যুরিষ্টদের রিসোর্ট বা হোটেলে পৌছতে ১২.৩০-১ টা বাজে। আবার অন্য দিকে শিপ সেইন্ট মারটিন থেকে ছেড়ে যায় ৩ টায়, তাই এই ৩-৩.৩০ ঘন্টার একটা ঝামেলায় পড়তে হয় রিসোর্ট/হোটেল মালিকদের, আগেরদিনের ট্যুরিষ্টদের, নতুন ট্যুরিষ্টদের প্রায় সবারই। এখানে সবার মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছাড়া এই সমস্যার সমাধান নেই। প্রথমত প্রায় প্রতিটি হোটেল/রিসোর্টে চেক আওট টাইম ১১-১১.৩০ হলেও কেও ঠিক সময়ে রুম ছাড়তে চান না, অথচ আগের দিন রুম এ ঢুকতে দেরি হওয়াতে তিনি নিজেই মন খারাপ করেছিলেন !আসলে দিনের একটি টাইমেই শিপ আসে আর এক টি টাইমেই সব শিপ ছেড়ে যায়, তাই মাঝের এই ৩-৩.৩০ ঘন্টা সময় নিয়ে ঝামেলা থেকেই যায়।আপনারা যা করতে পারেন, যদি ফিরে আসার দিন সকালে ছেড়াদ্বিপ যাবার প্ল্যান থাকে, তাহলে ভোরে চলে যাবেন, আর যাবার আগে ব্যাগ গুছিয়ে হোটেল এর লবি/ মালিকের কাছে দিয়ে যাবেন। এতে করে নতুনদের জন্য রুম পরিষ্কার করার সময় পাওয়া যায়। তখন আপনারা ফিরে এসে এক্সট্রা ওয়াশরুম এ ফ্রেশ হয়ে খেয়ে সহজেই বের হয়ে যেতে পারবেন।

কিছু হোটেল ও রিসোর্টঃ

আবাসিক হোটেলগুলো মূলত বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। মানসম্মত হোটেল গুলোর মধ্যে ব্লু মেরিন (০১৮১৫৬৩২০৩৭, ০১৭১৩৩৩৯৯০০১), সেন্ড শোর (০১৮১৫৬৪৮৭৩১), হোটেল সি ইন বেশ ভালো। এগুলোর ভাড়া রুম ভেদে ১৫০০-৪০০০ এর মত। *** আরও কিছু হোটেলের নাম ধীরে ধীরে যুক্ত করা হবে *** রিসোর্টগুলো মূলত পূর্ব ও পশ্চিম বীচের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। সুযোগ সুবিধার দিক থেকে রিসোর্টগুলো হোটেলের চেয়ে অনেক ভালো। বেশিরভাগ রিসোর্টের রয়েছে নিজস্ব রেস্তোরাঁ। আছে বার-বি-কিউ করার ব্যবস্থা। আর বীচের পারে হওয়াতে এগুলো থেকে বেশ ভালো ভাবে সমুদ্র উপভোগ করা যায়। এগুলোর অসুবিধা একটাই। সেটা হল বাজার থেকে কিছুটা দূরে। মানসম্মত কিছু রিসোর্ট-
সায়রী ইকো রিসোর্টঃ পরিবেশের কথা মাথায় রেখে যথা সম্ভব স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে রিসোর্টটি। এটি জায়গার দিক দিয়ে সেন্ট মার্টিনের সবচেয়ে বড় রিসোর্ট। এদের সেন্ট্রাল সোলার সিস্টেম থাকায় ২৪ ঘণ্টা লাইট এর সুবিধা পাওয়া যায়। ফ্যানগুলো অবশ্য জেনারেটরের সাহায্যে রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে। নিজস্ব রেস্তোরাঁ, কফি জোন, দোকান থাকায় এই রিসোর্টের গেস্টদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পরে না। প্রাইভেট বীচ, বীচ চেয়ার, হেমক, বোতলের তৈরি বোট গেস্টদের জন্য ফ্রী। এটি বীচ থেকে এতো কাছে যে পূর্ণিমার দিনগুলোতে সমুদ্রের পানি রিসোর্টের বীচ পাড়ের দরজা ছুই ছুই করে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সূর্যাস্ত দেখা হতে পারে আপনার বাড়তি পাওনা। এখান থেকে ছেঁড়া দ্বীপ যাওয়া বা স্কুবা করতে চাইলে ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এই রিসোর্টের বড় একটি সমস্যা হল এটি বাজার থেকে বেশ কিছুটা দূরে। ভাড়া রুম ভেদে ১৫০০-৩৫০০ টাকা।

যোগাযোগঃ ০১৭১১ ২৩২৯১৭ ও ০১৯১৯ ১১১২১১ (https://web.facebook.com/ShayariEcoResort/)
নীল দিগন্তেঃ সমুদ্র পাড়ের রিসোর্টগুলোর মধ্যে নিলদিগন্ত অন্যতম। বেশ গুছানো ও পরিপাটি। এই রিসোর্টটির ওয়াচ টাওয়ার থেকে সমুদ্র দর্শন বেশ উপভোগ্য। নিজস্ব রেস্তোরাঁ, বার-বি-কিউ, মিউজিক সব মিলিয়ে নীল দিগন্তে বেশ জমজমাট। তবে সায়রী ইকো রিসোর্টের মতই এটাও বাজার থেকে বেশ কিছুটা দূরে। এদের রুম ভেদে ভাড়া ২৫০০-৩৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০১৭৩০০৫১০০৪

ব্লু লেগুন রিসোর্টঃ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিম বীচে অবস্থিত। হোটেল অবকাশ থেকে হেঁটে যেতে হয় ৫ মিনিট। রিসোর্ট থেকে আপনি সূর্যাস্ত এবং রাতের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে পাবেন। রিসোর্টে রয়েছে খাবার শু-ব্যবস্থা। রুম ভাড়াঃ কাপল(১৫০০-২০০০); ডাবল (১৪০০-২৫০০)। যোগাযোগঃ ০১৭২৩৫৮৬৮৭৭; ০১৬৭৩১১১২৩৭
(https://www.facebook.com/BlueLagoon…)

কোরাল ভিউ রিসোর্টঃ পূর্ব বীচে যতগুলো রিসোর্ট আছে কোরাল ভিউ তাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিপাটি। হ্যমক, বসার জায়গা, রেস্তোরাঁ সব মিলিয়ে বেশ ভালো। বাজার থেকে খুব বেশি দুরেও নয়। কিন্তু এটিরও সমস্যা আছে। সেটি হল পূর্ব অংশে সমুদ্রে ঢেউ নেই। রিসোর্টে বসে আপনি সাগরের নয় বরং নদীর ঢেউ পাবেন। রুম ভেদে ভাড়া ৩০০০-৬৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০১৯৮০০০৪৭৭৮ (https://web.facebook.com/CoralViewR…)

এক নজরেঃ

দ্বীপের নামঃ সেন্ট মার্টিন আয়তনঃ ৩ বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি। জনসংখাঃ ৮০০০ (প্রায়)

যা করতে পারেনঃ পুরা দ্বীপ ঘুরতে পারেন, ছেঁড়া দ্বীপ যেতে পারেন, স্কুবা করতে পারেন, সমুদ্র স্নান।
যাতায়াত(ঢাকা থেকে) ঃ বাসঃ হানিফ, শ্যামলী, রিলাক্স, তুবা লাইন, গ্রীন লাইন, বাগদাদ, সেন্টমার্টিন সার্ভিস। শিপঃ কেয়ারী সিন্দাবাদ, কেয়ারী ক্রুজ, এল সি টি কুতুবদিয়া, এম ভি কাজল, ফারহান, বে-ক্রুজ, গ্রীন লাইন। হোটেল / রিসোর্টঃ ১। সায়রী ইকো রিসোর্ট (০১৭১১২৩২৯১৭; ০১৯১৯১১১২১১) ২। নীল দিগন্তে (০১৭৩০০৫১০০৪) ৩। সিমানা পেড়িয়ে(০১৮১৯০১৮০২৭) ৪। কোরাল ভিউ (০১৯৮০০০৪৭৭৮) ৫। ব্লু লেগুন (০১৭২৩৫৮৬৮৭৭, ০১৮১৮৭৪৭৯৪৬) ৬। সমুদ্র কুটির ৭। প্রাসাদ প্যারাডাইস(০১৭৯৬৮৮০২০৭) ৮।, লাবিবা বিলাস(০১৭১৪৬৩৪৭৬২), ৯। পান্না রিসোর্ট (০১৮১৬১৭২৬১৫), ১০। ড্রিম নাইট (০১৭১০৩৯০২৫১) ১১। ব্লু মেরিন (০১৮১৫৬৩২০৩৭, ০১৭১৩৩৩৯৯০০১) ১২। সেন্ড শোর (০১৮১৫৬৪৮৭৩১) ১৩। হোটেল সি ইন ১৪। সমুদ্র বিলাস (০১৮৩৭১৯৬৪৫৪) ১৫। টিসিবি রিসোর্ট। ১৬। সমুদ্র কানন। ১৭। মিউজিক ইকো রিসোর্ট এ ছাড়াও প্রায় আরও প্রায় ৪০-৫০ টি হোটেল/ রিসোর্ট রয়েছে। পর্যায় ক্রমে এগুলোর নাম দেয়ার চেষ্টা করবো। নোটঃ তথ্যে কোন ভুল ভ্রান্তি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। বানান ভুল থাকে নিজ যোগ্যতায় ঠিক করে নিবেন অথবা আমাকে দয়া করে জানাবেন। কারো কাছে নতুন কোন তথ্য থাকলে কমেন্টে জানালে অ্যাড করে দিতে বাধিত থাকবো। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

17
রক্তদানের উপকারিতাঃ-
১. রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে এই ঘাটতি পূরণ করে। আর বছরে ৩ বার রক্তদানকারীর শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়।
২. রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার স্পৃহা জন্মে।
৩. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।
৪.সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী জটিল বা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে প্রায়ই মুক্ত থাকেন।
৫. নিয়মিত রক্তদানকারীর হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম ।
৬. মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান করে আপনি পাচ্ছেন মানসিক তৃপ্তি। কারণ, এত বড় দান যা আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
৭. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।’

রক্তদানের যোগ্যতাঃ-
১. ১৮-৬০ বছর বয়সী সব সুস্থ মানুষ রক্তদান করতে পারেন।
২. ৪৫ কেজির বেশি ওজনের সব মানুষই রক্তদান করতে পারেন।
৩. যিনি গত ৩ মাসের মধ্যে রক্তদান করেননি তিনি রক্তদান করতে পারেন।

যখন রক্তদান করা যায়ঃ-
১. রক্তদান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো সময় করা যায়।
২. ভরাপেটে খাওয়ার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পরে রক্ত দেয়া ভালো।
৩. খালি পেটে না দিয়ে হালকা খাবার খেয়ে রক্ত দেয়া ভালো।

রক্ত দান সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও
উত্তরঃ-

১. রক্ত দানের জন্য সর্বনিম্ন বয়স?
--> আপনি ইচ্ছে করলে ১৮ বছর বয়সের পর থেকেই
রক্ত দান করতে পারেন।
২. রক্ত দান কি নিরাপদ ?
--> রক্ত দান করা সম্পূর্ন নিরাপদ।
৩. রক্ত দানের কি কোন সাইড এফেক্ট আছে ?
--> না রক্ত দানের কোন সাইড এফেক্ট নাই।
৪. রক্ত দানে কতটুকু রক্ত নেওয়া হয় ?
--> আপনার শরীর থেকে প্রায় ৩৮০-৪০০ মি.লি রক্ত
নেওয়া হয়।
৫. কতদিন পর পর রক্ত দান করা যায় ?
-৩ মাস পর পর আপনি রক্ত দান করতে পারেন।
৬. রক্ত দান করতে কত সময় লাগে ?
-->সর্বোচ্ 15 মিনিট সময় লাগে। বিশ্রাম
এবং অন্যান্য সময় ধরলে সর্বমোট ১
ঘন্টা লাগতে পারে।
৭. রক্ত দান করতে ব্যাথা লাগে কি ?
--> জ্বী না। রক্ত দানের সময় আপনি ব্যাথা পাবেন
না।
৮. রক্ত দানের ফলে আমার কি অঙ্গান
হয়ে পড়তে পারি ?
-->না, রক্ত-দান করার পর অবশ্যই বিশ্রাম নিবেন।
৯. কিভাবে রক্ত নেওয়া হয় ?
--> প্রথমে আপনার বাম হাত থেকে আধা সিরিজ
রক্ত নেওয়া হয়, ক্রস মেসিং ও অন্যান্য
পরীক্ষা করার জন্য। তারপর আপনার ডান হাতের
বাহুতে একটি সিরিন্জ দিয়ে রক্তটানার
ব্যাবস্থা করা হয়। নিডিলটি ঢোকানোর সময় সামান্য
ব্যাথা লাগে। তারপর আর ব্যাথা লাগবে না।
আপনার রক্ত একটি নলের মাধ্যমে স্যালাইনের মত
একটি ব্যাগে সহজেই জমা হয়ে যায়।
১০. রক্ত দানের জন্য সর্বনিম্ন ওজন কতটুকু ?
--> রক্ত দান করতে চাইলে আপনার ওজন 47
কেজির বেশী হতে হবে।
১১. রক্ত দানের পর আমার হাত ফুলে বা রক্ত জমাট
বেধে বা ইনফেক্সন হতে পারে কি ?
--> হাতের যেখান থেকে রক্ত
নেয়া হয়েছে সেখানে ম্যসেজ করবেন না।
ফুলে যাওয়া , জমাট বাধা বা ইনফেক্সনের
সম্ভবনা নেই বললেই চলে।
১২. এলকোহল ( মদ) খাবার পর রক্ত দান করা যায়
কি ?
--> না । রক্ত দেবার ২৪ ঘন্টা পূর্বে এলকোহল পান
করলে রক্ত দান করা যাবে না। পান করার ২৪
ঘন্টা পর রক্ত দিতে পারেন।
১৩. এন্টিবায়টিক ওষুধ খাওয়া অবস্থায় রক্ত দান
করা যাবে কি ?
--> না। এন্টিবায়োটিক খাবার অন্তত ৭ দিন পর,
সম্পূর্ন সুস্থ হলে তারপর রক্ত দান করা যাবে।
১৪. ব্লাড প্রেশারের রোগী রক্ত দান করতে পারবেন
কি ?
--> হ্যা। যদি আপনার রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রনে থাকে আপনি রক্ত দান করতে পারেন।
১৫. শিশু বুকের দুধ খায় এ অবস্থায় রক্ত দান
করা যাবে ?
--> না। যখন শিশু শুধুমাত্র বুকের দুধ পান করে তখন
রক্ত দান করা যাবে না।
১৬. শিশুর জন্মের কতদিন পর মা রক্ত-দান
করতে পারেন ?
--> শিশুর জন্মের ১৫ মাস পর মা রক্তদান
করতে পারেন।
১৭. সর্দি লাগা/ জ্বর থাকা অবস্থায় রক্ত দান
করা যাবে ?
--> ঠান্ডা বা সর্দি লাগা অবস্থায় যেহেতু
একটি জীবানু সংক্রামন থাকে সেহেতু রক্ত দান
করা যাবে না।
১৮. জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল খাবার সময় রক্ত দান
করা যাবে কি ?
--> হ্যা। জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল খাবার সময় রক্ত দান
করা যাবে।
১৯. ডায়বেটিক রোগী রক্ত দান করতে পারেন ?
--> না। যে সমস্ত ডায়াবেটিক রোগী ইনসুলিন গ্রহন
করেন তাদের
রক্ত দান না করাই ভালো। তবে বিশেষ
প্রয়োজনে তারা রক্ত দান
করতে পারেন।
২০. রোগের ভ্যাকসিন নেবার পর রক্ত দান
  করা যাবে ?
--> না। ভ্যাকসিন নেবার অন্তত ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত
রক্ত দান করা যাবে না।
২১. রক্ত দানের আগে আমার কি করা উচিত ?
--> আগের রাতে ভাল ভাবে ঘুমান। সকালে ভাল
নাস্তা করুন। ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় ( চা , কফি)
খাবেন না। বেশী চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
২২. রক্ত দানের সময় কি করা উচিত ?
--> হাফ হাতা পোষাক পরুন। রিল্যাক্স থাকুন।
রক্তদান শেষে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
২৩. রক্ত দানের পর কি করা উচিত ?
--> রক্ত দানের পর পর্যাপ্ত তরল পান করুন
অন্তত ৪ গ্লাস( স্যালাইন, ফলের রস)। ৫
ঘন্টা পর্যন্ত ভারী কাজ করবেন না।
মাথা ঘুরলে শুয়ে পড়ুন, এবং পা মাথার
চেয়ে উচুতে রাখুন( পায়ের নীচে একটি বালিশ দিন)।
দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন। ধুমপান করবেন না ৫ ঘন্টা।

18
Common Forum/Request/Suggestions / Quantum computer
« on: April 20, 2017, 12:36:24 PM »

A quantum computer is a device for computation that makes direct use of quantum mechanical phenomena, such as superposition and entanglement, to perform operations on data. The basic principle behind quantum computation is that quantum properties can be used to represent data and perform operations on these data.

Although quantum computing is still in its infancy, experiments have been carried out in which quantum computational operations were executed on a very small number of qubits (quantum binary digits). Both practical and theoretical research continues with interest, and many national government and military funding agencies support quantum computing research to develop quantum computers for both civilian and national security purposes, such as cryptanalysis.

If large-scale quantum computers can be built, they will be able to solve certain problems much faster than any of our current classical computers (for example Shor's algorithm). Quantum computers are different from other computers such as DNA computers and traditional computers based on transistors. Some computing architectures such as optical computers may use classical superposition of electromagnetic waves. Without some specifically quantum mechanical resources such as entanglement, it is conjectured that an exponential advantage over classical computers is not possible.

19
When he was in his mid-50s Philip Larkin had a conversation with his friend and secretary, Betty Mackereth, in which she asked why he woke every morning thinking of death. “My father died when he was 63,” Larkin replied, “and I expect I shall die when I’m 63.” “Yes, you will,” Mackereth said. “Because you are programming yourself to die at 63.”

Larkin’s side of this exchange turned out to have been prescient. He died a few months after his 63rd birthday. But what are we to make of Mackereth’s contention that in leaving the world in this way Larkin was succumbing to a wish, latent or otherwise, to orchestrate his own ending?

This question lies close to the heart of Paul Farley and Michael Symmons Roberts’s new book, Deaths of the Poets. Farley and Roberts – both in their 50s, both poets themselves – want to understand what they regard as the pronounced and perhaps unique “association between poets and mortality”. Why have so many killed themselves? Why have so many, by leading rackety lives of alcoholism, drug addiction and destructive affairs, lived in such a way as to cultivate and hasten their own demise? Are such antic ways of being the price of great poetry?

Farley and Roberts pursue these questions by making a series of journeys to the places at which about 30 poets lived out their final days, and by digging in archives in search of written, sonic and photographic traces – dinner-party menus, shopping lists, first drafts, discarded verse fragments, final readings, portentous portraits – of lives that were once unhappy works in progress.

They begin, understandably, with Thomas Chatterton, who died alone in a shabby garret at the age of 17 (possibly of a deliberate overdose, possibly by miscalculating quantities of prescribed medication), and whose image as the impoverished and melancholic poète maudit was mythologised by Henry Wallis’s oil painting The Death of Chatterton and rapidly adopted, reified and perpetuated by the great Romantics: Keats, Wordsworth, Coleridge.

Farley and Roberts follow William Hazlitt (another great Romantic) in arguing that Chatterton’s work became displaced by the authenticating allure of thwartedness, misery and the most absolute form of oblivion. They go on to suggest that these qualities have since become enshrined as guarantors, even prerequisites, of poetic genius.

One can, in a way, see why. The authors feel they have lived and worked under the shadow of a handful of American poets – Anne Sexton, John Berryman, Sylvia Plath – who killed themselves, and with whom they feel a generational kinship. And there are plenty of other post-Romantic figures to lend weight to the suggestion that those who work in verse are uniquely attracted to fatal self-destruction: we visit the death grounds of Larkin, Dylan Thomas, Thom Gunn, Robert Frost, John Clare, WH Auden.

But such an argument is vulnerable to the example of all those since Chatterton who, without racing determinedly to the grave, have produced work to equal that of any of the cast of Farley and Roberts’s narrative. Larkin gave the examples of Wordsworth and Hardy, remarking that “it’s the big, sane boys who get the medals. The object of writing is to show life as it is, and if you don’t see it like that, you’re in trouble, not life.”

Pages: 1 [2]