Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mousumi Rahaman

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 15
31
Faculty Sections / ডেঙ্গু হলে কী খাবেন?
« on: September 13, 2018, 02:19:30 PM »
শিশু, বয়স্ক—সবারই হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। ডেঙ্গু হলে খাবার-দাবার ও পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বিশেষ করে শিশুদের জ্বর হলে তারা খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দেয়। এ থেকে হতে পারে পানিশূন্যতাসহ নানা জটিলতা। বাড়িতে কারও ডেঙ্গু জ্বর হলে তাই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।

■ সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হলে চিকিৎসকেরা সারা দিনে অন্তত আড়াই লিটার থেকে তিন লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন। জ্বর হলে পানি পান করতে অনেকেরই ইচ্ছে হয় না। তাই পানির চাহিদা পূরণ করতে পানির সঙ্গে ফলের রস (কেনা জুস নয়, বাড়িতে করা রস), ডাবের পানি যোগ করুন। ফলের রসে ভিটামিন সি আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মাল্টা, কমলা, লেবু, পেয়ারা, কিউই, স্ট্রবেরি, পেঁপে, আনার বা ডালিম ইত্যাদি খেতে হবে। এসব ফলে জলীয় অংশ অনেক। তা ছাড়া রুচি বাড়াতেও সাহায্য করবে। ডাবের পানিতে খনিজ বা ইলেট্রোলাইটস আছে, যা ডেঙ্গু জ্বরে খুবই দরকারি।

■ বিভিন্ন ধরনের সবজি থেঁতো করে জুস করে খেলে খুবই উপকার হবে। গাজর, টমেটো, শসা ইত্যাদি সবজি বেশি করে খেতে দিন। কেননা এতে জলীয় অংশ বেশি। ব্রকোলি ভিটামিন কে এর উৎস, যা ডেঙ্গুতে রক্তপাতের ঝুঁকি কমায়। খেতে হবে নানা ধরনের শাকও।

■ ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন নানা ধরনের স্যুপ, যেমন সবজির স্যুপ, টমেটোর স্যুপ, চিকেন স্যুপ বা কর্ন স্যুপ দিন। এতে পানির চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি পুষ্টিও নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া নরম সেদ্ধ করা খাবার, জাউ, পরিজ ইত্যাদি খেতে পারেন।

■ ইদানীং ডেঙ্গুতে অনেকেরই পেটে হজমের সমস্যা, বমি, পেট ব্যথা হচ্ছে। যকৃতেও অস্বাভাবিকতা হয় ডেঙ্গুতে, এসজিপিটি বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত মসলা ও চর্বি তেলযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে খাদ্যতালিকায় আমিষ থাকতে হবে যথেষ্ট। দুধ, ডিম ও এগুলোর তৈরি নানা খাবার, মাছ ও মুরগি খেতে হবে।

■ নানা ধরনের ভেষজ খাবারের উপকারিতা আছে। যেমন পেঁপে পাতা অণুচক্রিকা বাড়াতে সাহায্য করে বলে ডেঙ্গুতে উপকারী। দুটি তাজা পেঁপে পাতা চূর্ণ করে বেটে রস করে এক চামচ করে দুবেলা পান করতে পারেন।

জেনিফার বিনতে হক: পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল

32


দিন যায়...ধুলো জমে। রোজ সকালে জানালাটা খুলে দেওয়ার সময় মনে হয় এই বইটা হাতে নিয়ে একটা-দুটো পাতা পড়ি। কিন্তু সময়টা যে তখন বের হওয়ার, অফিস যাওয়ার। যখন ফিরে আসব তখন এই স্নিগ্ধ প্রাণবন্ত আলোটুকু আর থাকে না।

খুব ছোটবেলায় কার্টুন ছবিতে একটা লাইব্রেরি দেখে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। এক বিশাল জানালা দিয়ে সকালের রোদ এল আর হাজার হাজার বই আলোকিত হয়ে উঠল। দৃশ্যটা এখনো মনের চোখে দেখতে পাই আর ভাবতে থাকি হয়তো একদিন, হয়তো একদিন...।

এখন যখন পেছনে তাকাই বুঝতে পারি অনেক সময় চলে গেছে। এর মধ্যে অনেক বইয়ের সঙ্গেই পরিচয় হলো, নতুন বইয়ের খোঁজ পেলাম। এ দীর্ঘ যাত্রায় যেগুলোর সঙ্গে পরিচয় হলো, এক এক করে অল্প আয়োজনে গুছিয়ে রাখারই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন মনে হয়, সেই বিশাল পাগলাটে লাইব্রেরির স্বপ্নের চেয়ে সংগ্রহে থাকা বইগুলো যেন সব সময় ভালো সে ব্যবস্থা করাই বেশি দরকার।

আমাদের মতোই আলো প্রয়োজন বইপত্র রাখার জন্য। আলোই জীবন, স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার ঘরে প্রাণ নেই। তাই পড়ার ঘরে আমার অনেক আয়োজন না থাকলেও আছে একটা জানালা। সেখান দিয়ে আলো আসে। এখনকার ব্যস্ত জীবনে হয়তো বিকেলে আমার জানালার পাশে আয়েশ করে বসে বই পড়তে পারি না ঠিকই; তবে রোজ সকালে পড়ার ঘরে জানালা খুলে দিতে ভুলি না। স্কুল-কলেজের দিনগুলোয় প্রতিদিন বই-কমিকস সবকিছু এলোমেলো পড়ে থাকত চারদিকে। এখন ছোট্ট করে একটা সেলফ বানিয়ে বই গুছিয়ে রেখেছি ঠিকই, কিন্তু কমবেশি ধুলো জমেছে সেসবের ওপর। ভাবি, প্রতিদিন যদি হাতের ছোঁয়া পেত বইগুলো, তবে পড়ত না এতটুকু ধুলো।

বটে; কিন্তু দেখি যে সপ্তাহ ঘুরে বইগুলোর ওপর ধুলো জমে। অপেক্ষায় থাকি ছুটির দিনে সব কটা বই ধরে ধরে পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করব আর পরিবর্তন করে দেব কর্পূরের দানা, যাতে পোকায় না ধরে। তারপর বিকেলে একটা বই নিয়ে সময়টা পার করে দেব।

আসলে পড়ার ঘর মনমতো সাজানো হওয়া চাই, দেয়ালে থাকুক প্রিয় ছবির একটা পোস্টার, টেবিলের ওপর একটা-দুটো জিনিস আর জানালার পাশে একটা গাছ। ব্যস, ছিমছাম হোক পড়ার ঘর, সঙ্গে নিশ্বাস নিক তাকে সাজানো বইগুলো।

এত কিছু করি, শুধু পড়ে থাকে বিকেলের রোদ আর বইগুলো, জানালার পাশের আমার ছোট্ট সেলফ। ওই যে বললাম দিন যায়, ধুলো জমে।

লেখক: স্থপতি

মনে রাখুন

১. পড়ার ঘর শব্দ, গোলযোগ থেকে আলাদা রাখা ভালো।

২. পড়ার ঘরে টিভি রাখা অনুচিত, বারবার মনোযোগ নষ্ট হতে পারে।

৩. আলো–বাতাস আছে এমন জায়গায় বইগুলো রাখতে হবে। না হলে বই নষ্ট হয়ে যায়।

৪. আপনার বাসা যতটুকুই হোক, নিরিবিলি জায়গায় বানাতে পারেন পড়ার ঘর।

৫. বেশি বই হলে পুরো দেয়াল হতে পারে বইয়ের সেলফ।

৬. দিনে থাকুক আলো, রাতে জ্বলুক টেবিল ল্যাম্প।

33
Faculty Sections / খিচুড়িবিলাস
« on: September 13, 2018, 02:14:46 PM »
এক থেকে দশের মধ্যে একটি সংখ্যা বলতে বললে বেশির ভাগ মানুষই বলবে ৭।

তেমনি তুমুল বা ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে কোনো কিছু খাওয়ার কথা মনে হলে বেশির ভাগ মানুষের মনেই ভেসে উঠবে খিচুড়ির কথা। খিচুড়ির সঙ্গে বর্ষার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। চাল-ডালের মিশেলে এ এক দারুণ উপাদেয় খাবার। যুগের পর যুগ ধরে এ এলাকার মানুষের রসনাবিলাসের সঙ্গী এই খিচুড়ি।

রাশিয়ায় যখন পড়তে গেলাম, তখন ক্যানটিনের খাবার খুব বিস্বাদ লাগত। হোস্টেলের বড় ভাইয়েরা অনায়াসে শিখিয়ে দিলেন খিচুড়ি রান্না। কোনো ঝামেলা নেই। চাল আর ডাল সমান পরিমাণে নিয়ে, পেঁয়াজ কেটে, হলুদ-লবণ আর কিছু মসলা দিয়ে চুলোয় চড়িয়ে দিলেই কেল্লা ফতে! চুপি চুপি বলি, হাঁড়ির তলায় খুব করে লেগে না গেলে খিচুড়ি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই। রান্নায় অনভিজ্ঞ অবস্থায় খিচুড়িতে পানি একটু বেশি হলে বড় গলায় বলতে পারবেন, ‘নরম খিচুড়ি রেঁধেছি।’ পানি ঠিক হলে বলবেন, ‘ঝরঝরে করে রেঁধেছি।’ রাঁধতে রাঁধতে রান্নায় হাত এসে গেলে নিজের ইচ্ছেমতো নরম-ঝরঝরে যা চান, সে রকম খিচুড়িই রান্না করতে পারবেন। রুশ দেশে রান্নাবান্না ঠিকমতো শিখে ফেলার আগে খিচুড়িই ছিল আমাদের প্রধান খাবার।

মসুরির ডালের খিচুড়িতে ডাল ভেজে নিতে হয় না। আচার, পেঁয়াজ, সরষের তেল, চাইলে এক কোয়া রসুন, দুটো কাঁচা মরিচের সঙ্গে খিঁচুড়ি মাখানো হলে সে খিচুড়ির স্বাদ পাল্লা দিতে পারবে পৃথিবীর তাবৎ সুস্বাদু খাবারকে। এবার ভেবে দেখুন, ডিমভাজি বা ডিম ভুনা যদি থাকে পাশে, তাহলে এই খাবারকে লাগবে অমৃতের মতো!

মুগডালের খিচুড়ির আবার খানিকটা আভিজাত্য আছে। ডালটা ভেজে নিতে হয় আগে। হলুদ না দিলেও খেতে ভালো লাগে। এ খিচুড়ির সঙ্গে ভুনা গরুর মাংস, ইলিশ ভাজার তুলনা নেই। যেকোনো ধরনের খিচুড়িই বেগুনভাজার সঙ্গ পেলে অতুলনীয় হয়ে ওঠে।

শুধু কি মসুর আর মুগ? সব ধরনের ডাল দিয়েই খিচুড়ি হয়। তবে ওই দুটির প্রচলনই সাধারণ্যে বেশি।

আর একটা কথা। সবাই তো রাজা-বাদশা নন, তাই ঘি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করাটা একটু বাড়াবাড়ি মনে হয়। তাই তেলেই রান্না করে রান্নার একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে এক বা দুই টেবিল চামচ ঘি ছিটিয়ে দেয়ে পুরো খিচুড়ির সঙ্গে মিলিয়ে দিলে মনে হবে ঘিয়ে রান্না খিচুড়িই তো খাচ্ছি!

সব ধরনের খিচুড়িতেই কাঁচা মরিচ অন্য রকম স্বাদ এনে দেয়। ভাপে পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে যাওয়া মরিচ প্লেটে খিচুড়ির সঙ্গে একটু ডলে নিয়ে লোকমা বানিয়ে মুখে পুরে ফেলুন। কী? কেমন লাগছে? সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘রসগোল্লা’ গল্পটিতে রসগোল্লা খেয়ে সেই পুলিশের বড়কর্তার যে চেহারা হয়েছিল, আয়নার তাকিয়ে দেখলে নিজেকেও আপনার তেমন লাগবে।

প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ধান এসেছিল এ অঞ্চলে। এশিয়ার অনেক জায়গায়ই ধান হয় শুকনো মাটিতে। ভারতবর্ষেই প্রথম পানিতে ছেয়ে যাওয়া জমিতে ধানের চাষ হয়। বাংলা নামের অঞ্চলটি তো এ ধরনের চাষের জন্য খুবই উপযোগী, তাই খাদ্যাভ্যাসে চাল ঢুকে যাওয়া ছিল শুধু সময়ের ব্যাপার। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ, সেখানেও চালের উল্লেখ আছে। ‘টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী হাড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশী’—পঙ্‌ক্তিটার কথা অনেকেরই মনে পড়ে যাবে।

খাবার থেকে যে ক্যালরি নেওয়ার দরকার হয়, তার বেশির ভাগটাই বাঙালি চাল থেকে নিয়ে অভ্যস্ত। বিশেষ করে গরিব মানুষ আধা কেজি চালের মধ্যে একটি মরিচ আর লবণ নিয়ে মহা উৎসাহে ভাত খেয়ে নিতে পারে। চর্যাপদ-এ কিন্তু ডালের উল্লেখ নেই। ডাল আসত উত্তর ভারত থেকে। মঙ্গলকাব্যের যুগ থেকে ডালের উল্লেখ পাওয়া যায় সাহিত্যে। এই চাল আর ডাল কবে কখন মিলেমিশে খিচুড়ি হয়ে গেল, সে তথ্য পাওয়া যায় না। তবে কোথাও কোথাও বলা হয়েছে, খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ১২০০ শতকেও চালে-ডালে খিচুড়ি খাওয়ার প্রচলন ছিল। মোগল আমলেও সম্রাটদের প্রিয় খাদ্যের তালিকায় ছিল খিচুড়ি। বাদশাহ আকবর, জাহাঙ্গীর আর আওরঙ্গজেবের হেঁশেলে খিচুড়ি রান্না হতো। সাধারণ মানুষের ঘরেও এ খাবার তখনো ছিল জনপ্রিয়, এখন যেমন।

কোনো কোনো বাড়িতে ছুটির দিনে খিচুড়ি অবধারিত। আর বৃষ্টি পড়লে যেকোনো দিনই বদলে যেতে পারে মেন্যু। তখন চাল আর ডালের মিশেল হয়ে উঠতে পারে আপনার সবচেয়ে প্রিয় খাবার। এই তো দেখতে পাচ্ছি, ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ির পাত্র, কিছু বেগুনভাজা, গোল করে কাটা পেঁয়াজ, সদ্য ভাজা ইলিশ কিংবা ভুনা গরু বা মুরগির মাংস। নাহ! আর ভাবতে পারছি না। প্লেটটা টেনে নিতে হবে এবার!  :)

34
Faculty Sections / রোস্টের রকমফের
« on: September 13, 2018, 02:12:38 PM »
রোস্টেড বিফ উইথ গ্রেভি সস

উপকরণ
ম্যারিনেটের জন্য হাড় ছাড়া গরুর মাংস ১ কেজি (এক টুকরা), আদাগুঁড়া আধা চা-চামচ, রসুনগুঁড়া আধা চা-চামচ, পাপড়িকা আধা চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ৩ টেবিল চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, রোজমেরি ২ টেবিল চামচ, ব্রাউন সুগার ১ টেবিল চামচ, জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো ও মিট টেন্ডারাইজার ১ চা-চামচ।

সসের জন্য- জলপাই তেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ রিং কাট আধা কাপ, গাজর গোল কাট আধা কাপ, স্টার অ্যানিস ১টা, তেজপাতা ২টা, এলাচি ৩টা, দারুচিনি ২ টুকরা, রোজমেরি ১ চা-চামচ, অরিগ্যানো ১ চা-চামচ ও ভেজিটেবল স্টক ১ কাপ।

প্রণালি
গরুর মাংসের টুকরো ধুয়ে ভালো করে মুছে নিতে হবে। মাংসে মেরিনেটের সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মেখে ৭-৮ ঘন্টা ম্যারিনেট করুন।  এবার ওভেন ২০০ ডিগ্রি তাপে প্রি-হিট কের নিন। বেকিং প্যানে ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল দিয়ে মাংসের টুকরা দিয়ে সবদিক ঘুরিয়ে ভেজে নিন। এবার সসের সব উপাদান দিয়ে একটু ভেজে মেরিনেশনের সস ও ভেজিটেবল স্টক দিন। সস ফুটে উঠলে বেকিং ডিশ ১ ঘণ্টার জন্য ওভেনে বেক করুন। এর মধ্যে একবার উল্টে দিন। ১ ঘণ্টা পর মাংসটা তুলে রাখুন। মাংসের স্টকটুকু ছেঁকে ১ টেবিল চামচ ময়দা গুলিয়ে চুলায় দিয়ে বারবার নাড়ুন। ঘন হয়ে এলে মাংসের টুকরা স্লাইস করে কেটে সস ঢেলে পরিবেশন করুন।

35
Faculty Sections / বিফ ভিন্দালু
« on: September 12, 2018, 12:26:02 PM »
উপকরণ
হাড় ছাড়া গরুর মাংস ১ কেজি (২০ টুকরা), পেঁয়াজ ২৫০ গ্রাম, রসুনবাটা ১৫০ গ্রাম, আদাবাটা ১৫০ গ্রাম, লাল মরিচের গুঁড়া ৫০ গ্রাম, হলুদগুঁড়া ৩০ গ্রাম, সিরকা ৩০০ মিলিলিটার, চিনি ১০০ গ্রাম, গরমমসলা (লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচি) ৫০ গ্রাম, তেজপাতা ৫টি, তেল ২৫০ মিলিলিটার, লবণ স্বাদমতো ও জিরাগুঁড়া ৫০ গ্রাম।

প্রণালি
শুকনা মরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচি, ধনিয়া, হলুদ ও লবণ একসঙ্গে নিয়ে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করুন অথবা পেস্ট তৈরি করুন। একটি বড় পাত্রে এই মসলা, মাংস ও সিরকা ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঢেকে দুই ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন।
এবার বড় একটি পাত্রে তেল গরম করুন। তেজপাতা ও কিছু আস্ত জিরা ছেড়ে দিন। এরপর মাংস ছেড়ে রান্না করুন বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত। যে পাত্রে মাংস মাখানো হয়েছিল, সেখান থেকে সব মসলা কেচে রান্নার পাত্রে ঢেলে দিন। মাংস ঢেকে যায় এতটুকু পানি দিন। ফুটে উঠলে মাঝে মাঝে ঢেকে দিয়ে এবং মাঝে মাঝে নেড়ে দিয়ে রান্না করুন। ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে মাংস সেদ্ধ হতে। এক ঘণ্টা পরে দেখুন সেদ্ধ হয়েছে কি না। যদি না হয় এবং পানি শুকিয়ে যায়, তাহলে আরও এক কাপ পানি দিন। আধা ঘণ্টা আরও রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। মাংস সেদ্ধ হলেই চিনি দিয়ে নাড়ুন। নামানোর আগে জিরাগুঁড়া ছড়িয়ে দিন। পোলাও অথবা ভাত ও সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

36
Faculty Sections / মাটন রোগান জোস
« on: September 12, 2018, 12:25:20 PM »
উপকরণ
খাসির মাংস ১ কেজি, তেল ৫ টেবিল চামচ, দই ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ২টি, আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, কাশ্মীরির লাল মরিচগুঁড়া দেড় চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদাগুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, হলুদ আধা চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, কালো গোলমরিচ ১ চা-চামচ, লবঙ্গ ১২টি, সবুজ এলাচি ৮টি, দারুচিনি ৫টি, সাদা ক্রিম ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো ও ধনেপাতার কুচি পরিমাণমতো।

প্রণালি
একটি পাত্রে দই ও অল্প লবণ দিয়ে মাংস মাখিয়ে আলাদা রাখুন। আরেকটি পাত্রে তেল গরম করে আস্ত গরমমসলা ছেড়ে দিন। সেগুলো ফুটতে শুরু করলে পেঁয়াজকুচি দিন। সোনালি বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। আদা-রসুন বাটা দিন। আরও দুই মিনিট ভাজুন। এরপর সব গুঁড়া মসলা দিয়ে দিন। তেল ওপরে উঠে আসা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। এবার ম্যারিনেট করে রাখা মাংস ছেড়ে দিন। কড়া আঁচে দুই মিনিট রান্না করুন। পানি ও স্বাদ বুঝে লবণ দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। মাংস সেদ্ধ ও ঝোল মোটামুটি ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে। এখন ক্রিম দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। তিন মিনিট পর্যন্ত রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে নিন। ভাত, পোলাও অথবা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।


37
Faculty Sections / মাটন রেজালা
« on: September 12, 2018, 12:24:34 PM »
 
হান্নান সরদার
হান্নান সরদার

রেসিপি দিয়েছেন ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পার্টি শেফ (বেঙ্গলি কিচেন) হান্নান সরদার

একই গরুর মাংসের রান্না, একেক হাতে একেক রকম স্বাদ। তেল, মসলা এক হলেই তো হবে না। রান্নায় থাকে বিশেষ কিছু কৌশল। একই সঙ্গে খাবার পরিবেশনার উপস্থাপনের কারণেও বিশেষভাবে খেতে ইচ্ছে করে। পাঁচ তারকা হোটেলে খাবারের এসব নিয়ম নিয়ন্ত্রণ করা হয় যত্নভরে। তবে রোজ রোজ না হোক, বিশেষ দিনে তো বাড়িতে এমন রান্না হতেই পারে।

ঈদের দিন পাঁচ তারকা হোটেলের রান্না নিজের হেঁশেলেই রেঁধে ফেলতে পারবেন। তবে সেসব খাবার রাঁধতে সবার আগে দরকার আত্মবিশ্বাস। ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পার্টি শেফ (বেঙ্গলি কিচেন) হান্নান সরদার রান্না করলেন ঈদের পাঁচটি বিশেষ খাবার। সেসব খাবার বাসায় তৈরির জন্য রেসিপি ছাড়াও কিছু পরমর্শ দিলেন পাঠকদের। হান্নান সরদার জানালেন, ঈদের দিন মসলাযুক্ত খাবার সুস্বাদু করতে চাইলে অবশ্যই মসলা ভালো করে কষাতে হবে। আর খাবার ঠিকমতো রান্নার পর পরিবেশন করতে হবে উপযুক্তভাবে। অনেক সময় ভালো রান্না করেও পরিবেশন খারাপ হলে খাবারে অরুচি তৈরি হতে পারে।

পাঁচতারা হোটেলের এই শেফ মনে করেন, গরুর মাংস দিয়ে যখন কাবাব তৈরি করবেন তার সঙ্গে কী সস দেবেন তা গুরুত্বপূর্ণ। বাসায় কাবাব বানাতে শক্ত ও মোটা ফ্রাইপ্যান ব্যবহার করে কম তাপে ভাজতে হবে। এতে কাবার ভাজা হবে তবে পুড়বে না। কাবাব ভেজে একটা কাঠিতে হালকা ভাজা চাকা চাকা পেঁয়াজ, শসা ইত্যাদি গেঁথে লম্বা প্লেটে পরিবেশন করুন। প্লেটটি টেবিলে রেখে ওপর থেকে একদিকে ঢেলে দিন রায়তা সস। দেখলেই খেতে ইচ্ছে করবে।

তেহারি-মসলা কষানো হলে তারপর মাংস রান্না করতে হবে। গোলাকার সসপ্যানে তেহারি রান্না করলে ভালো হবে। কারণ, ঠিকমতো নাড়তে না পারলে খাবারের স্বাদ বদলে যাবে। তেহারির চালের সঙ্গে যখন মাংস মেশানো হবে তখন বেশি ঘাঁটলে ভাত ভেঙে যাবে, তাই আলতো করে মিশিয়ে নিতে হবে।

পাঁচ তারা হোটেলের খাবার বাসায় রান্না করে চমকে দিতে পারেন অতিথিকে। কৃতজ্ঞতা: প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, ঢাকা, ছবি: খালেদ সরকার
পাঁচ তারা হোটেলের খাবার বাসায় রান্না করে চমকে দিতে পারেন অতিথিকে। কৃতজ্ঞতা: প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, ঢাকা, ছবি: খালেদ সরকার

একইভাবে মাটন রোগান জোস রান্না করতে চাইলে মাংসের আকারটা কেমন হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক শেপে মাংস কেটে নিতে হবে। শুধু মাংস নিলে রোগান জোস হবে না। হাড়সহ কাটতে হবে। নিয়মিত হাড়সহ মাংস কাটার অভ্যাস না থাকলে নিজে কাটা যাবে না। ভালো হয়, বাজার থেকে মাংস সঠিক শেপে কেটে আনলে। মাংস ধোয়ার জন্য গরম পানিতে ছেড়ে কয়েক মিনিট রাখলেই এর থেকে রক্ত আলাদা হয়ে যাবে। পরে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।

বিফ ভিন্দালু রান্না করার সময় সরাসরি কাঁচা আলু ব্যবহার না করা ভালো। এতে নাড়াচাড়ার কারণে আলুর কোনা ভেঙে যায়। দেখতে ভালো লাগে না। তাই আলু আগে সেদ্ধ করে রেখে নামানোর আগে মিশিয়ে নিতে হবে।

পরিবেশনে বিশেষ নজর

রান্নার পর কোন খাবার কোন পাত্রে পরিবেশন করবেন সেটা আগেই ঠিক করে নিন।

কাবাব জাতীয় খাবার হলে চার কোনা পাত্রে রাখতে পারেন। পাশে লেটুসপাতা, গাজর, শসা, টমেটো ইত্যাদি প্রয়োজনমতো দিয়ে সাজাতে পারেন।

গোলাকার বাটিতে খাবার বাড়লে তার নিচে একটা বড় গোল প্লেট রাখতে পারেন।

খাবার পাত্রে ঢালার পর সস বা অন্য কিছু দিলে সেটা একটু শৈল্পিকভাবে রাখুন।

খাবার টেবিলের ওপর একটি পরিষ্কার কাপড় বিছিয়ে তারপর একে একে খাবারগুলো সাজান।

মাটন তেহারি
মাটন তেহারি

মাটন তেহারি

উপকরণ
খাসির মাংস ১ কেজি, পোলাওয়ের চাল ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, মাখন পৌনে এক কাপ, আদা ১ টেবিল চামচ, রসুন ১ টেবিল চামচ, মরিচ ৫০ গ্রাম, টক দই আধা কাপ, দুধ ১ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, জিরার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, দারুচিনি ৪ টুকরা (গুঁড়া), এলাচি ৪টা (গুঁড়া), কালো গোলমরিচ ৬টা (গুঁড়া) ও জায়ফল ১টা ফলের সিকি ভাগ (গুঁড়া)।

প্রণালি
প্রতি টুকরা মাংস ২ সেন্টিমিটার মাপে কাটুন। ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। পোলাওয়ের চাল ধুয়ে পানি ঝরান। একটি পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ভাজুন হালকা বাদামি করে। আদা, রসুন, মাংস, দই, লবণ, কাঁচা মরিচ এবং অর্ধেক করে গুঁড়া মসলাগুলো দিয়ে দিন। নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিয়ে রান্না করুন। তেল মসলার ওপরে ভেসে ওঠা পর্যন্ত রান্না করতে থাকুন। একটি সসপ্যানে মাংসের ওই তরকারি থেকে তেল ও ঝোল নিন। সেটায় আড়াই কাপ পানি যোগ করে ফুটিয়ে নিন। এরপর দুধ, চাল, চিনি ও লবণ দিয়ে নাড়ুন। ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ ও বাকি গুঁড়া মসলা দিয়ে দিন। জ্বাল কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। ২০ মিনিটের মতো রান্না করুন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর চালের ওপর মাংসগুলো ছড়িয়ে দিন। ঢেকে রাখুন আরও ২০ মিনিট। পরিবেশন করার আগে চালের সঙ্গে ভালোভাবে মাংস মিশিয়ে নিন। সালাদ ও বোরহানির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

বিফ টিক্কা কাবাব
বিফ টিক্কা কাবাব

বিফ টিক্কা কাবাব

উপকরণ
গরুর মাংস ৫০০ গ্রাম (দেড় ইঞ্চি আকারে টুকরা করা), আস্ত ধনিয়া ২ চা-চামচ, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, দই ৩ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ ১টি, মরিচ ৮টি, লবঙ্গ ৪টি ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি
মাংসের টুকরাগুলোতে আদা-রসুন বাটা, ফেটানো দই ও পেঁয়াজ বাটা মাখিয়ে নিন। হালকা করে ভেজে নিন। এরপর মাংসের সঙ্গে আস্ত ধনিয়া ও জিরা, লবঙ্গ, মরিচ ও লবণ ভালো করে মাখিয়ে মেরিনেট করে রাখুন ৬-৮ ঘণ্টা। এবার শিকে মাংস গেঁথে, তেল লাগিয়ে কয়লার ওপর ভাজুন। অনিয়ন রিংয়ের সঙ্গে গরম বিফ টিক্কা কাবাব পরিবেশন করুন।

মাটন রেজালা
মাটন রেজালা

মাটন রেজালা

উপকরণ
খাসির মাংস ২ কেজি, মিহি পেঁয়াজকুচি ২০০ গ্রাম, আদাবাটা ৫০ গ্রাম, রসুনবাটা ৫০ গ্রাম, এলাচি ৫টি, দারুচিনি ৩ টুকরো, টক দই ৫০ মিলিলিটার, লবণ ১ টেবিল চামচ, ঘি বা মাখন ৫০ গ্রাম, তেল ১০০ মিলিলিটার, কাঁচা মরিচ ২০টি, কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ, রাইসিন ৫০ গ্রাম, কাঠবাদামের কুচি ৫০ গ্রাম, মাওয়া ৫০ গ্রাম, লাল মরিচের গুঁড়া ১০ গ্রাম ও আস্ত জিরা ৫ গ্রাম।

প্রণালি
খাসির মাংস কেটে ১৮-২০ টুকরা করে নিন। একটি পাত্রে মাংস, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, দারুচিনি, এলাচি, দই, লবণ আর ঘি নিয়ে ভালো করে মাখুন। ঢেকে দিয়ে অল্প আঁচে প্রায় ২৫ মিনিট রান্না করুন। ঝোল ঘন হয়ে এলে কেওড়া জল ও চিনি দিয়ে অল্প আঁচে ৪৫ মিনিটের মতো রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। কাঁচা মরিচ, রাইসিন দিয়ে মৃদু আঁচে ঘণ্টাখানেক রান্না করুন। ওপরে কাঠবাদামের কুচি দিয়ে দিন। সাদা পোলাও, ভাত, চাপাতি কিংবা পরোটার সঙ্গে এই রেজালা পরিবেশন করুন।

38
Faculty Sections / বিফ টিক্কা কাবাব
« on: September 12, 2018, 12:23:46 PM »
উপকরণ
গরুর মাংস ৫০০ গ্রাম (দেড় ইঞ্চি আকারে টুকরা করা), আস্ত ধনিয়া ২ চা-চামচ, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, দই ৩ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ ১টি, মরিচ ৮টি, লবঙ্গ ৪টি ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি
মাংসের টুকরাগুলোতে আদা-রসুন বাটা, ফেটানো দই ও পেঁয়াজ বাটা মাখিয়ে নিন। হালকা করে ভেজে নিন। এরপর মাংসের সঙ্গে আস্ত ধনিয়া ও জিরা, লবঙ্গ, মরিচ ও লবণ ভালো করে মাখিয়ে মেরিনেট করে রাখুন ৬-৮ ঘণ্টা। এবার শিকে মাংস গেঁথে, তেল লাগিয়ে কয়লার ওপর ভাজুন। অনিয়ন রিংয়ের সঙ্গে গরম বিফ টিক্কা কাবাব পরিবেশন করুন।


39
Faculty Sections / মাটন তেহারি
« on: September 12, 2018, 12:23:00 PM »
উপকরণ
খাসির মাংস ১ কেজি, পোলাওয়ের চাল ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, মাখন পৌনে এক কাপ, আদা ১ টেবিল চামচ, রসুন ১ টেবিল চামচ, মরিচ ৫০ গ্রাম, টক দই আধা কাপ, দুধ ১ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, জিরার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, দারুচিনি ৪ টুকরা (গুঁড়া), এলাচি ৪টা (গুঁড়া), কালো গোলমরিচ ৬টা (গুঁড়া) ও জায়ফল ১টা ফলের সিকি ভাগ (গুঁড়া)।

প্রণালি
প্রতি টুকরা মাংস ২ সেন্টিমিটার মাপে কাটুন। ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। পোলাওয়ের চাল ধুয়ে পানি ঝরান। একটি পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ভাজুন হালকা বাদামি করে। আদা, রসুন, মাংস, দই, লবণ, কাঁচা মরিচ এবং অর্ধেক করে গুঁড়া মসলাগুলো দিয়ে দিন। নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিয়ে রান্না করুন। তেল মসলার ওপরে ভেসে ওঠা পর্যন্ত রান্না করতে থাকুন। একটি সসপ্যানে মাংসের ওই তরকারি থেকে তেল ও ঝোল নিন। সেটায় আড়াই কাপ পানি যোগ করে ফুটিয়ে নিন। এরপর দুধ, চাল, চিনি ও লবণ দিয়ে নাড়ুন। ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ ও বাকি গুঁড়া মসলা দিয়ে দিন। জ্বাল কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। ২০ মিনিটের মতো রান্না করুন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর চালের ওপর মাংসগুলো ছড়িয়ে দিন। ঢেকে রাখুন আরও ২০ মিনিট। পরিবেশন করার আগে চালের সঙ্গে ভালোভাবে মাংস মিশিয়ে নিন। সালাদ ও বোরহানির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

40
Faculty Sections / পুরভরা বেগুন ভাজা
« on: September 12, 2018, 12:21:00 PM »
উপকরণ: বেগুন ১টা, সেদ্ধ করা মাংসের কিমা ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, আদা-রসুনবাটা ১ চা-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো ও ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।

ব্যাটারের জন্য—বেসন আধা কাপ, চালের গুঁড়া আধা কাপ, মরিচগুঁড়া ও হলুদগুঁড়া সামান্য পরিমাণ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, কালিজিরা ১ চিমটি, চাট মসলা ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো। এই উপকরণগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করে নিতে হবে।

প্রণালি: বেগুন পাতলা করে কেটে লবণ মেখে নিন। মাংসের কিমা অল্প তেল দিয়ে ভেজে নিন। এবার বেগুনের দুটো স্লাইসের মাঝখানে মাংসের পুর করে দুই পাশ চেপে ব্যাটারে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন।

41
Faculty Sections / বাইট রোল
« on: September 12, 2018, 12:19:38 PM »
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, ডিম ১টি, তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য ও চিনি ১ চা-চামচ। এই উপকরণগুলো কুসুম গরম পানি দিয়ে মেখে ডো তৈরি করে নিতে হবে।

পুরের জন্য—মুরগির মাংসের কিমা ১ কাপ, গাজর ও শসাকুচি আধা কাপ (পছন্দমতো সবজি), পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদাকুচি ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচকুচি ১ চা-চামচ, ধনেপাতাকুচি ১ চা-চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো। সব উপকরণ মেখে পুর করে নিন। এ ছাড়া ফেটানো ডিম ১টি ও ব্রেড ক্র্যাম্ব ১ কাপ।

প্রণালি: ডো থেকে ময়দা নিয়ে রুটি বেলে তাতে পুর দিয়ে ফেটানো ডিমে চুবিয়ে ব্রেড ক্র্যাম্বে মেখে নিন। এবার ডুবো তেলে ভেজে পরিবেশন করুন।

42
Faculty Sections / মমো
« on: September 12, 2018, 12:18:41 PM »
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, তেল ২ টেবিল চামচ ও লবণ সামান্য।

পুরের জন্য—মুরগির মাংসের কিমা আধা কাপ, চিংড়ি মাছের কিমা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, মিহি কাঁচা মরিচকুচি ১ চা-চামচ, ধনেপাতাকুচি ১ চা-চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: ময়দার সঙ্গে তেল, লবণ ও পানি দিয়ে ডো তৈরি করে নিন। বাকি উপকরণ মেখে কিমা বানিয়ে নিন। ডো থেকে ময়দা নিয়ে পাতলা পাতলা পুরির আকারে বেলে নিন। এবার মাঝখানে পুর দিয়ে পছন্দমতো আকারে মমো তৈরি করে ভাপে সেদ্ধ করে নিন। সস দিয়ে গরম পরিবেশন করুন।

43
Faculty Sections / কিমা বান
« on: September 12, 2018, 12:15:55 PM »
কিমা বান

উপকরণ: পুরের জন্য—সেদ্ধ কিমা (গরু, খাসি বা মুরগি) আধা কাপ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, রসুনকুচি ১ চা-চামচ, আদাবাটা সামান্য, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো ও তেল ২ টেবিল চামচ।

ডো তৈরির জন্য—ময়দা ২ কাপ, লবণ ১ চিমটি, ইস্ট ১ চা-চামচ (কুসুম গরম পানিতে ভেজানো), গুঁড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ ও ঘি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: পুরের সব উপকরণ ভেজে নিতে হবে। ডো তৈরির জন্য সব উপকরণ কুসুম গরম পানিতে মেখে এক ঘণ্টা গরম জায়গায় রেখে দিতে হবে। এবার ডো দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে পুরির মতো বেলে মাঝখানে পুর দিয়ে পছন্দমতো আকারে বান তৈরি করে নিন। এবার ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপে প্রিহিট ওভেনে ২০ থেকে ২৫ মিনিট বেক করতে হবে। ওভেন ছাড়া ডুবো তেলে ভেজে নিলেও চলবে।



 

44
Faculty Sections / পুরভরা রিসোল
« on: September 12, 2018, 12:13:29 PM »
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, মাখন ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ডিম ১টি, ব্রেড ক্র্যাম্ব ১ কাপ ও ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।

পুরের জন্য—চিংড়ির কিমা ১ কাপ, গাজরকুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচকুচি ১ চা-চামচ, আদাকুচি ১ চা-চামচ, সয়া সস ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো ও তেল ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: পুরের উপকরণ ভেজে ঠান্ডা করে নিতে হবে। পরিমাণমতো পানিতে মাখন ও লবণ দিয়ে তাতে ২ কাপ ময়দা সেদ্ধ করে ভালো করে মেখে নিতে হবে। ছোট ছোট কুলচা তৈরি করে মাঝখানে পুর দিয়ে পছন্দমতো ছাঁচে দিয়ে ফেটানো ডিমে চুবিয়ে এরপর ব্রেড ক্র্যাম্বে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভেজে পরিবেশন করুন।


45
বর্ষা শেষে এসেছে শরৎ। তবে প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে। কেউ দারুণ উপভোগ করেন এই সময়টা, কেউ আবার কাদা-পানি মাড়িয়ে ছোটেন জীবনের প্রয়োজনে। ঘরের প্রতিটি জিনিস যিনি গুছিয়ে রাখেন, যত্নে রাখেন—তাঁর চিন্তা কাঠের আসবাব নিয়ে। বৃষ্টির সময় যে সহজেই নষ্ট হয়ে যায় কাঠের সামগ্রী। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় কাঠের জিনিস ফুলে উঠে বেঁকে যেতে পারে, আকৃতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় সাদাটে ছোপ পড়তে দেখা যায়। তবে কিছু বিষয়ে যত্নশীল হলে এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া বলেন, ‘এখনও আবহাওয়া একটু স্যাঁতসেঁতে অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা কাঠের তৈরি আসবাব বা কাঠের অন্য যেকোনো জিনিসের জন্য খারাপ। এর কারণ হলো কাঠের জলীয় বাষ্প শোষণ করার ক্ষমতা।’

নিয়মিত বার্নিশ

নিয়মিত বার্নিশ করালে কাঠের জিনিসের ওপর স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়ে না। তাই প্রতিবছরই কাঠের সামগ্রী বার্নিশ করিয়ে নিন।

যদি বার্নিশ করানোর কাজটি ঝামেলার মনে হয়, তাহলে বাজার থেকে ‘ল্যাকার বার্নিশ’ কিনে নিজেই কাঠের সামগ্রী বার্নিশ করতে পারেন। এটি স্প্রে। এর প্রয়োগে বাড়তি দক্ষতার প্রয়োজন নেই, তাই মিস্ত্রি না ডাকলেও চলবে। মাসে বা দুই মাসে একবার এই স্প্রে ব্যবহার করা ভালো। এমনকি বৃষ্টির সময়ও এই বার্নিশ ব্যবহার করা যায়। এমনটাই জানালেন অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া।

খোলামেলা পরিচ্ছন্ন

এ সময়ে ঘরের দেয়াল একটু ভিজে উঠতে পারে। তাই দেয়াল ঘেঁষে আসবাব রাখা ঠিক নয়। সারা বছরই আসবাব রাখতে হবে দেয়াল থেকে একটু দূরে, যেন বাতাস চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে। আসবাবগুলোর বিন্যাসও এমন হতে হবে, যেন সেগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে গায়ে গায়ে লেগে না থাকে। এই ফাঁকা অংশে বাতাস চলাচল করলে আসবাব শুষ্ক থাকে এবং আসবাবের পেছনের ও আশপাশের ময়লা পরিষ্কার করাও সহজ হয়।

ঘরটাই আর্দ্র?

কাঠের আসবাব আর্দ্রতা আর ভেজা জিনিস থেকে দূরে রাখতে হবে। জানালা থেকে দূরে বা জানালার এক পাশে এমনভাবে আসবাব সাজানো উচিত, যাতে বৃষ্টির ছাঁট সহজেই ছিটে না আসে। এমনিতেই বৃষ্টির সময় কিংবা ভেজা বাতাসের সময় প্রয়োজন না থাকলে জানালা-দরজা আটকে রাখুন, এতে ঘরের সব কাঠের সামগ্রী ভালো থাকবে। এ রকম সময়ে সব দরজা-জানালা বন্ধ করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র চালিয়ে দিতে পারেন, ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র ব্যবহার করতে না চাইলে ভেজা বাতাসের সময় বা বৃষ্টির সময় যে ঘরটিতে অবস্থান করছেন, শুধু সেই ঘরের জানালা খোলা রাখুন, তাহলে গুমোট লাগবে না।

আসবাবে আর্দ্রতা এড়াতে

আর্দ্র বাতাসের কারণে ওয়ার্ডরোব বা আলমারিতে রাখা কাপড়ে সোঁদা গন্ধ হতে পারে, মাড় দেওয়া কাপড় নরম হয়ে যেতে পারে। তাই ন্যাপথলিন বা কর্পূর রাখা ভালো। এগুলো আর্দ্রতা শোষণ করে নেয়, ফলে কাপড় ও আসবাব দুই-ই ভালো থাকে।

অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া জানালেন, নিমপাতাও একই কাজ করে। নিমপাতা রোদে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়া করে একটি নরম কাপড়ে পুরে ছোট পুঁটলি বানিয়ে নিতে পারেন। পুঁটলির মুখ বেঁধে ড্রয়ার, ওয়ার্ডরোব বা আলমারির তাকের এক কোণে রেখে দিন। নিমের গুঁড়ার ঝরঝরে ভাবটা কমে এলে বুঝতে হবে তা পাল্টে নেওয়ার সময় হয়ে গেছে। ভেজা কাপড়, তোয়ালে প্রভৃতি কোনো অবস্থাতেই কাঠের আলনা বা দরজাতে ঝোলানো যাবে না। এ ছাড়া কাঠের সামগ্রী পরিষ্কার করতে কখনোই ভেজা কাপড় ব্যবহার করা উচিত নয়; এগুলো পরিষ্কার করতে শুকনো ও নরম কাপড় বেছে নিন।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 15