Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - nmoon

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 16
31
আমাদের শরীরের সবচেয়ে কার্যকরী অঙ্গসমূহ মেরুদণ্ডের বিপরীতে অবস্থিত। কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কারন, সাধারণত আমাদের শরীরের রক্ত ফিল্টার করার কাজ কিডনি করে থাকে। তাই, আমাদের সকলেরই কিডনির প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি কিডনির কোন প্রকার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে নিম্নলিখিত খাদ্যসমূহ আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
১. লাল মরিচ:
লাল মরিচ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ এর একটি চমৎকার উৎস। লাল মরিচে পটাসিয়ামের পরিমাণ কম। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬, ফলিক এসিড এবং ফাইবার রয়েছে। লাল মরিচে লিকোফেন রয়েছে, একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সালাদ বা বিভিন্ন পানি জাতীয় খাবারের সাথে বা রুটি বা স্ন্যাক এর সাথে পরিবেশন করুন।
২. আপেল:
আপেল শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ, কোলেস্টেরল কমাতে ও হৃদরোগের ঝুঁকি হতে রক্ষা করে। আপেল ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে। আপেলে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে এবং প্রদাহজনিত সমস্যা দূরীকরণের যৌগ রয়েছে। যার ফলে শরীরের প্রদাহের সমস্যা হ্রাস পায়।
৩. বাঁধাকপি:
বাঁধাকপি ভিটামিন বি-৬ এবং ফলিক এসিড এ সমৃদ্ধ। এছাড়াও এতে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি এবং ফাইবার রয়েছে। এটি ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা প্রদান করে এবং সেই সাথে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। বাঁধাকপির সালাদ তৈরি করে খেতে পারেন। খাদ্য তালিকায় বাঁধাকপিকে সাইড ডিশ হিসেবে রাখতে পারেন।
৪. রসুন:
রসুন দাঁতের প্লেক প্রতিরোধে সাহায্য করে। শরীরের প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। রসুনের গন্ধটাও অনেক চমৎকার। ডায়ালাইসিস ডায়েট এর জন্য রসুনের গুঁড়া অত্যন্ত উপকারী।
৫. পেঁয়াজ:
পেঁয়াজ ফ্ল্যাভোনয়েড এ সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে এতে কুয়ারসেটিন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজ এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পেয়াজে অল্প পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে এবং এটি ক্রোমিয়াম এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। ক্রোমিয়াম একটি কার্বো-হাইড্রেড খনিজ যা চর্বি ও প্রোটিন এর বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
এই খাদ্যগুলো দৈনিক খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে চর্বি বা কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা নেই। বরং আপনার কিডনিকে সুরক্ষা প্রদান করবে।–সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।

32
সাধারণত অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এর কারণে হজমের সমস্যার সৃষ্টি হয়। যাদের বাহিরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, তাদের হজমের সমস্যা প্রকট আকারে দেখা যায়। এতে পেটে প্রচুর পরিমাণে ব্যাথা অনুভূত হয়। যখন প্রতিনিয়ত এই ব্যথার সম্মুখীন হতে হয়, তখন আরও নতুন নতুন রোগের উপসর্গ শরীরে বাসা বাঁধে।
হজমের সমস্যার ফলে যে দুইটি সমস্যা বেশি হয়ে থাকে তা নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করব-
১. অম্বল বা বুকে জ্বালাপোড়া করা:
গলা থাকে বুক পর্যন্ত শরীরের ডান পাশে এই সমস্যা অনুভূত হয়। অম্বলের একটি প্রধান কারন হল এসিড রিফ্লাক্স। অগ্ন্যাশয় এর জ্বালা থেকে এ এসিডের সৃষ্টি হয়।
# অম্বলকে প্রতিরোধ করার টিপস
প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিটি খাবার অল্প অল্প করে এবং কিছু সময় পর পর খাবার অভ্যাস করুন। খাবার ভালভাবে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন, এতে খাবার হজম হতে সুবিধা হবে।
রান্না করার পদ্ধতি সমূহ স্বাস্থ্যসম্মত করুন। বেকিং, ফ্রাইং, গ্রিলিং ইত্যাদি সমস্ত পদ্ধতির রান্না যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। খাবার বেশি ভাজা ভাজা করলে আপনার জন্য অস্বস্তির কারন হতে পারে।
অম্বল যদি আপনার জন্য একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে অত্যন্ত মশলাযুক্ত খাবার, টক ও বেশি ঝালযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। সকল প্রকারের খাবার একটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।
কোমল পানীয় অম্বলের একটি প্রধান কারন। তাই, কোমল পানীয় পান না করাই ভাল। কারন, এর ফলে শরীরে চর্বি ও কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। শরীরকে সবসময় হাইড্রেড রাখার চেষ্টা করুন।
২. অন্ত্রে সিন্ড্রোম:
অন্ত্রে সিন্ড্রোমের কারনে পেটে প্রচুর ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় ডায়রিয়াও হতে পারে।
# অন্ত্রে সিন্ড্রোম প্রতিরোধ করার উপায়
যে সকল খাবার অন্ত্রে সিন্ড্রোম করে সে সকল খাবার অবশ্যই পরিহার করতে হবে। যেমন- বাঁধাকপি, দুধ, গম, যব, শিম ইত্যাদি খাবার সমূহ যাদের অন্ত্রে সিন্ড্রোম এর সমস্যা রয়েছে তাদের খাওয়া যাবে না। ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পান করা যাবে না। এসকল খাদ্যের ফলে হজম শক্তিতে সমস্যা হয় এবং অন্ত্রে সিন্ড্রোম এর সমস্যা প্রকট হয়।
আপনার খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমাণে ফাইবার যুক্ত করুন। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।এছাড়াও বিভিন্ন স্বাস্থ্য গবেষণায় পাওয়া গেছে, মানসিক চাপের কারনে শরীরে বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই, অবশ্যই সর্বপ্রথম মানসিক চাপ কমাতে হবে।–সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।

33
ব্যাথা একটি বিরক্তিকর অসুখ। বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ঠাণ্ডা থেকে, বিছানায় ভুল ভাবে ঘুমানোর জন্য, এবং হঠাৎ কোনো শারীরিক পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে, এ ধরণের ব্যাথা হয়ে থাকে। এ সকল ধরনের ব্যাথার কারণে অনেকেই ওষুধের উপরই অনেক বেশি নির্ভরশীল যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর, কারণ এতে থাকে অনেক ধরনের ক্যামিক্যাল। কিন্তু ওষুধের বদলে বেশ কিছু খাবার খেয়েও শরীরের ব্যাথা উপশম করা যায়।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমারা যদি আমাদের খাদ্য তালিকায় ওই,সকল ফল, শস্য বা খাবার সামগ্রী রাখি তাহলে দাঁত ব্যথা, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা ইত্যাদি অনেক ধরনের ব্যাথার উপশম হবে। কারণ এই সকল সামগ্রীতে বিরোধী প্রদাহজনক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চলুন জেনে নেই এমন কিছু খাবারের নাম ও বৈশিষ্ট্য যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা হতে মুক্তি দান করে।
কফি:
গবেষণায় বেড়িয়ে এসেছে, কফি পান করলে ব্যায়াম জনিত ব্যাথা, মাসলের আঘাত ও মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় কফি মানসিক যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি প্রদান করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এক কাপ কফিতে ১০০ থেকে ১৩০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন পাওয়া যায় যা ব্যাথা হতে মুক্তি দেয়।
আদা:
আদা পাকস্থলীর জন্য ভালো কারন এটি হজমে সহযোগিতা করে। আদা শরীরের ব্যথা কমানোর জন্যে অনেক উপকারী ওষুধ। স্পোর্টসম্যানদের অনেকেই ব্যাথা উপশমের জন্য খেয়ে থাকে। আবার বাতের ব্যাথায় আদা কেটে মধু মিশিয়ে রোগীকে খেতে দিলেও উপকার পাওয়া যায়। আদাকে তিলের তেলে গরম করে ঐ তেল গাঁটে বা জোড়ে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়।
স্যালমন:
স্যালমন শুধু স্বাস্থ্যকর ও মজাদারই না, এটি ব্যাথা উপশমেও অনেক কাজ করে। স্যালমন মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ রয়েছে, যা স্বাস্থ্য ও মস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া ওমেগা-৩ শরীরের ব্যথা কমায়। বেশী করে স্যামন মাছ খেলে শরীরের ফোলা অংশগুলোও কমে যায়।
চেরি:
অ্যাসপিরিন শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য একটি জনপ্রিয় ওষুধ। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, চেরি অ্যাসপিরিনের চেয়েও আরো বেশী কার্যকরী ওষুধ। এই ফলের মধ্যে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে, যা শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতায় মেনথল নামে একটি উপাদান আছে যা ধনুষ্টংকার রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এর তেল পায়ের কজ্বি ও গোড়ালীতে মালিশে ব্যথা উপশম হয়। এমনকি মাথা ব্যথায় পুদিনা পাতা কপালে ঘষলেও ব্যথা উপশম হয়।
কমলালেবু:
কমলালেবুর ভিটামিন সি কাশি ও শ্বাস জনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কমলা এবং অন্যান্য ফলমূল ও শাকসবজিতে পাওয়া যায় beta-cryptoxanthin, যা একটি প্রদাহ বিরোধী উপাদান। এটি শরীরের আরও অনেক উপকার করে অরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রতিদিন কমপক্ষে একটি কমলা খান। সূত্র: গ্রেটিস্ট।

34
গরমে অস্থির সবাই হয়। কিন্তু বড়রা নিজেদের কে সামলে নিতে সক্ষম। সবচে বেশি দুর্বল হয়ে যায় শিশুরা, তাই তাদের দিকে একটু যত্নবান হতে হবে। সুতরাং তাদের দিকে খেয়াল একটু বেশিই রাখতে হয়। বেশির ভাগ স্কুলেই এই সময় পরীক্ষা চলে। ফলে পড়াশোনার চাপ, স্কুল, খেলাধুলো সবকিছু বজায় রাখতে শিশুরা গরমে নাজেহাল হয়ে পড়ে।
তাই গরমে শিশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু টিপস-
শিশুকে সবসময় সঙ্গে পানির বোতল দিন-গরমে সকলেরই সারাদিন প্রচুর পানি খাওয়া উচিত্‍। বাচ্চারা খেলাধুলো করার কারণে ঘাম বেশি হয় ফলে ওদের পানির প্রয়োজনও হয় বেশি। পানি বেশি খেলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা কমে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক থাকে। আবার পরিশোধিত পানি না খেলে এই জল থেকেই রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে সবথেকে বেশি। তাই বাচ্চাদের যখনই বাড়ির বাইরে পাঠাবেন সবসময় সঙ্গে পানির বোতল দিন।
টাটকা ফল ও লেবুর রস-বাচ্চাদের টাটকা ফলের রস, ডাবের পানি, বাটারমিল্ক বা লেবুর রস রিফ্রেশমেন্ট হিসেবে খেতে দিন। এতে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় থেকে শিশুদের ক্লান্তি দূর হবে।
হালকা রঙের জামাকাপড় পরান-গরমে বাচ্চাকে সবসময় হালকা রঙের জামাকাপড় পরানোর চেষ্টা করুন। হালকা রঙ গরম তাড়াতাড়ি শুষে নিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
সানস্ক্রিন-বাচ্চাদের ত্বক নরম ও সংবেদনশীল হওয়ায় গরম কালে র‌্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাইরে খেলতে পাঠানোর সময় চেষ্টা করুন ভাল সানস্ক্রিন লাগিয়ে রোদে পাঠাতে। ভাল এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন শিশুদের ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির থেকে রক্ষা করবে।
ফাস্ট ফুড থেকে দূরে রাখুন-পিজা, পাস্তা, বার্গার থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। তার বদলে তরমুজ, শশা জাতীয় ফল, বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খেতে দিন শিশুকে।
ইনসেক্ট রিপেল্যান্ট -গরম কালে পোকামাকড়ের কামড়, লালা থেকে অনেক সময় ইনফেকশন হয়। ঘামে বাড়তে পারে সেই ইনফেকশন। তাই বাচ্চাকে বাইরে পাঠানোর সময়, বিশেষ করে সন্ধেবেলা ইনসেক্ট রিপেল্যান্ট লাগিয়ে পাঠান।
রাতে সবসময় মশারি টাঙিয়ে শোওয়ান। গরমে মশারি টাঙাতে না ইচ্ছা না করলে অবশ্যই মসকিটো রিপেল্যান্ট লাগিয়ে দিন বাচ্চাকে।
দুপুরে বাচ্চাকে বাড়ির বাইরে বের করবেন না-দুপুর বেলা, মূলত ১২-৪টের মধ্যে শিশুকে বাড়িতে রাখার চেষ্টা করুন। বিকেল বেলা খেলতে পার্কে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু দুপুরের রোদে বাচ্চাকে বাইরে না বের করাই ভাল।

35
অনেকেই রাতে ঘুমানর সময় হাত-পায়ের প্রচণ্ড জ্বলন অনুভব করে থাকেন। শুধু রাতেই না, এই জ্বলন আপনি যে কোনো সময় অনুভব করতে পারেন। এটা খুব অসস্থিকর এবং কষ্ট দায়ক। চর্মরোগবিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণত এটি পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্তের কারনে হয়ে থাকে। আপনি গর্ভবতী হন তাহলে এটা কোলেস্টাসিসের কারণেও হতে পারে। এর ফলে হাত পা ফেটে যেতে পারেভ ও হাত ও পায়ের তলায় ঘা সহ বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে। এই জ্বলন থেকে পরিত্রাণ পেতে ঔষধ এর উপর নির্ভর না করে, আত্মনির্ভর ও সচেতন হয়ে এবং প্রাকৃতিক বিভিন্ন বস্তু ব্যাবহার করেও মুক্তি পেতে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক হাত ও পায়ের জ্বালা-পোড়া থেকে মুক্তির কয়েকটি পদ্ধতি:
রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করুণ কিন্তু গরম পানি পরিহার করুণ:
রাতে হাত-পা জ্বলা পোড়া থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে গোসল করুণ। গোসলের সময় মনে রাখবেন।
১। পানি যেনো কিছুতেই গরম না হয়। গরম পানি আপনার শরীর থেকে প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে দিতে পারে ফলে আপনার স্কিন ড্রাই হয়ে যেতে পারে।
২।দীর্ঘ সময় গোসল না করে স্বল্প সময় গোসল করেন, বেশি সময় গোসল করলেও ত্বক ড্রাই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থকে। ফলে জ্বলন আরও বেড়ে যেতে পারে।
ময়শ্চারাইজার ব্যাবহার করুণ:
জ্বলন এবং চুলকানি প্রশমিত করতে ওয়েল বেজ লোশন লাগাতে পারেন, এতে করে আপনার ত্বক সফট হবে ও এতে স্কিনের সেলস গুলোকে রক্ষা করবে। বর্তমানে ওষুধের দোকান গুলোতে এমন অনেক লোশন পাওয়া যায়। এতে করে আপনার হাত ও পায়ের তলার জ্বলন ও চুলকানি প্রশমিত হতে পারে। রাতে খুমানোর আগে ও গোসলের পর ভেজা শরীরে লোশন ব্যাবহার করুণ।
ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
যারা ডায়াবেটিসের রোগী তারা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন, ডায়াবেটিসের কারনে নিউরোপ্যাথি হয়ে থাকে কারণ রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে গেলেও হাত পাতে জ্বালা পোড়া হতে পারে। তাই হাত-পায়ের যত্ন নিতে শিখুন। বিশেষ করে পায়ের যত্ন অনেক বেশি সচেতন হন।
প্রচুর পানি পান করুণ:
শরীরে পানি শূন্যতা হতেও জ্বলন হতে পায়ে। সাধারণত যারা পানি কম পান করেন তাদের উচিত বেশি পরিমাণে পানি পান করা এবং মিনারেল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া। এতে করে হাত-পা ও শরীর জ্বালা-পোড়া অনেক অংশে কমে যাবে।
টক ফল খান:
প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও যে কোনো টক ফল পানি মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পরপর খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রথমে শরীরকে অ্যাসিডমুক্ত রাখুন। এটি খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন। চাইলে হালকা খাবার খেতে পারেন। প্রতিদিন ৫০ গ্রাম আঙুর খেলেও জ্বালা কমকে। এছাড়া পায়ের ফাটা ভাব কমলেও হাতের কোমল ভাব বজায় থাকবে।
মেহেদি ও তেলাকুজ পাতা:
টাটকা মেহেদি পাতার রস হাত ও পায়ের তালুতে লাগালে জ্বালা-পোড়া কমে যায়। তাছাড়া তেলাকুজের পাতা পানিতে চটকে তাতে হাত পা ভিজিয়ে রাখলেও জ্বলন কমে যায়।
মানসিক চাপ কমান:
অনেক সময় মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকেও হাত পায়ে জ্বালা পোড়া হতে পারে। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমান। প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন। নিউরোপ্যাথি আছে প্রমাণিত হলে স্নায়ুর যন্ত্রণা লাঘব করে এমন কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, চিকিৎসকের পরামর্শে সেগুলো নিয়মিত খেতে পারেন৷ সূত্র: উইকিহাও।

36
ডায়াবেটিক এমন একটি রোগ যা প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরী। বিশেষ করে ডায়াবেটিক প্রতিরোধ করার জন্য রক্তের শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখা জরুরী। তাই, অনেকেই রক্তের শর্করার পরিমাণ বারবার চেক করেন। রক্তের শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে ও সুস্থভাবে জীবন-যাপনের জন্য ডায়াবেটিক অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এখানে, ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় আলোচনা করা হল-
১. ডায়েট করা:
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে সহজ উপায় হল খাদ্যাভ্যাস এ পরিবর্তন করা। এছাড়াও এই অভ্যাস ডায়াবেটিক সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যেসব মানুষের টাইপ ২ ধরণের ডায়াবেটিক রয়েছে তাদের কার্বো-হাইড্রেড ও চর্বির প্রতি খুব সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখা উচিৎ। মোট প্রোটিন এর পরিমাণ নিরীক্ষণ করা ও ক্যালোরি হ্রাসের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিৎ।
পথ্যব্যবস্থাবিদ্যাবিৎ দ্বারা একটি খাদ্য তালিকা করে নেয়া সবচেয়ে বেশি উপকারী। খাদ্য তালিকাটি এমন হতে হবে যাতে নিম্ন বিষয়গুলো রয়েছে-
# ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
# রক্তে শর্করার মাত্রা কন্ট্রোল করে।
# রক্তে লিপিডের মাত্রা কন্ট্রোল করে।
# অতিরিক্ত ঔষধ সেবনের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
২. ব্যায়াম:
একজন ডায়াবেটিক রোগীর দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। একজন ডায়াবেটিক রোগীর শক্তি প্রশিক্ষণ বা হাঁটা মত মধ্যপন্থী ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ব্যায়ামের ফলে শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা উন্নত হয়, রক্তের শর্করার পরিমাণ কমে যায় এবং শরীরের শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। তাই, ডায়াবেটিক রোগীদের অবশ্যই প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করা উচিৎ।
৩. স্ট্রেস কমানো:
স্ট্রেস সকলের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য স্ট্রেস মারাত্মক ক্ষতি করে। কারন, এর ফলে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেটে পারে। তাই, বিভিন্ন ধরণের মানসিক থেকে দূরে থাকার জন্য ডায়াবেটিক রোগীর ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, ধ্যান ও কল্পনার মত কৌশল গ্রহণ করা উচিৎ।
৪. ঔষধ:
ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাস এ পরিবর্তনের পরেও যদি ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে একজন ভাল ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মৌখিক ঔষধ সেবন করা উচিৎ। কিছু ঔষধ রয়েছে, যা শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে অগ্ন্যাশয় উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। কিন্তু, এসকল ঔষধের কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এসব ঔষধ সেবনের ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে, ঔষধ তখনি সেবন করুন যখন ডাক্তার এতে সম্মতি প্রকাশ করে।
৫. ইনসুলিন:
অনেক ডাক্তার ইনসুলিন নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। টাইপ ২ ডায়াবেটিক রোগীদের অবশ্যই ইনসুলিন নেয়ার কথা বলা হয়। কারন, উচ্চ রক্তচাপের ফলে অগ্ন্যাশয় কোষে ইনসুলিন কম পরিমাণে উৎপন্ন হয়। তাই, ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন শরীরে প্রবেশ করানো হয়। ইনসুলিন ডায়াবেটিক রোগীদের প্রাত্যাহিক জীবনের একটি বিশেষ অংশ হয়ে যায়।–সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।

37
ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই কম-বেশি জানি। ডিমের ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক বেশি উপকার হয়। কিন্তু, যাদের ডিমের কারনে শরীরে এলার্জির সৃষ্টি হয়, তাদের ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। কারন, ডিম এর ফলে যে এলার্জি হয় তা মারাত্মক ও প্রাণঘাতী।
আসুন জেনে নেয়া যাক, ডিমের এলার্জির লক্ষণসমূহ-
১. ত্বকের প্রদাহ বা আমবাত- সবচেয়ে সাধারণ ডিম এলার্জির প্রতিক্রিয়া।
২. অনুনাসিক কনজেশন, সর্দি এবং হাঁচি- এলার্জিক রাইনাইটিস।
৩. জারক উপসর্গ। যেমন- বমি বমি ভাব, মাথা ঘুরানো ইত্যাদি।
৪. হাঁপানির লক্ষণ এবং উপসর্গ। যেমন- কাশি, বুকে টান, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
# অ্যানাফিল্যাক্সিস
বিভিন্ন ধরণের এলার্জির তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় অ্যানাফিল্যাক্সিস হতে পারে। অ্যানাফিল্যাক্সিস খুবই মারাত্মক রোগ। এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে। অ্যানাফিল্যাক্সিস এর লক্ষণ ও উপসর্গ হল-
১. গলা বা শ্বাস ফুলে যাওয়া-
এটি অত্যন্ত কঠিন একটি রোগ। এর ফলে গলায় প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয়। গলার আওয়াজ কমে যায়। সলায় সংকোচ এর সৃষ্টি হয়।
২. পেটে প্রচুর ব্যথা।
৩. নাড়ি স্পন্দনের গতি বৃদ্ধি পায়।
৪. রক্তচাপের পরিবর্তন হতে থাকে। যার ফলে মাথা ঘোরা বা চেতনা হ্রাস এর অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
এরকম কোন প্রতিক্রিয়া আপনার বা আপনার সন্তানের মাঝে দেখতে পেলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করুন। অনেক সময় ডিমের এলার্জির মাত্র এক প্রকার প্রতিক্রিয়া অনেকের মাঝে দেখা যায়। ডিমের এলার্জির তীব্রতা তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যায় না। যদি হালকা কোন প্রতিক্রিয়া পূর্বে থেকে থাকে তাহলে পরবর্তীতে তা আরও গুরুতর রুপ ধারণ করতে পারে।
আপনার ডাক্তার যদি বলেন, আপনি বা আপনার সন্তানেরা ডিমের এলার্জির ঝুঁকিতে রয়েছে তাহলে তাদের এপিনেফ্রিন এর ডোজ দেয়া হবে অ্যানাফিল্যাক্সিস থেকে মুক্তি পাবার জন্য। এই ডোজগুলো একটি ডিভাইসের মাধ্যমে দেয়া হয়।
# কখন যাবেন ডাক্তারের নিকট-
যখন দেখবেন আপনার সন্তানের ডিম খাবার পরে বা ডিম দিয়ে তৈরি কোন খাবার খাওয়ার ফলে উপরে উল্লেখিত কোন উপসর্গের একটি দেখা যাচ্ছে, তখন ডাক্তারের নিকট যাবেন। এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখতে পেয়ে ডাক্তারের নিকট গেলে আরও ভাল। কারন, তখন তখন এই রোগ নির্ণয় করা তাদের জন্য সহজ হবে।
আপনার বা আপনার সন্তাদের অ্যানাফিল্যাক্সিস এর লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে জরুরীভাবে চিকিৎসা নিন। কারন, এই রোগে মারাত্মক ক্ষতি হবার আশঙ্কা রয়েছে।–সূত্র: মায়ো ক্লিনিক।

38
আমারা প্রতিদিন এমন অনেক কাজ করে থাকি যা আমাদের কাছে অতি সাধারণ মনে হয়। কিন্তু এই স্বাভাবিক ও নির্দোষ কাজ গুলোর কারণে নিজের অজান্তেই আমরা আমাদের অনেক ক্ষতি করে ফেলি। এই 'নির্দোষ' অভ্যাস এবং রুটিন, আমাদের আসলে কত খানি ক্ষতি করছে তা জানলে আপনি বিস্মিত হবেন। চলুন জেনে নেই আমাদের সেই নির্দোস বদ অভ্যাসগুলো।
বিছানায় যাওয়ার আগে মোবাইল ব্যবহার করা:
এটা কেন খারাপ: মোবাইল থেকে বিকিরণ হয়ে অনিদ্রা এবং মাথাব্যথা হতে পারে। সুইডিশ বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন, ‘ঘুম cell rejuvenation (পুনরুজ্জীবন) এর জন্য একান্ত জরুরি। যে সকল ব্যাক্তি ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যাবহার করে গভীর ঘুমে পোঁছে যায় এবং সেল পুনরুজ্জীবীত হয়না’।
সহজ সমাধান: এডিনবরা স্লিপ সেন্টারের পরিচালক advises Dr Chris Idzikowski, উপদেশ দিয়েছেন যে, ‘শয়নকাল কলে আপনার ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করুন এবং আপনার বিছানার পাশের টেবিলে মোবাইল রাখবেন না’।
খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ:
এটা খারাপ কেনঃ প্রতিদিন দিনে দুইবার দুই মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করা উচিৎ। খাওয়ার আগে কখনোই দাঁত ব্রাশ করা উচিৎ না। ব্রিটিশ ডেন্টাল স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী, ড. নিগেল কার্টার বলেন, খাবারের সুগার প্লেক এর সঙ্গে মিশে অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের এনামেল গলিয়ে দিতে পারে, ফলে দাঁতের ক্ষয় রোগ সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়ার সাথে সাথে দাঁত ব্রাশ করা খাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর।
সহজ সমাধান: ড. কার্টার উপদেশ দিয়েছেন, খাওয়ার পরে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন এবং দাঁত ব্রাশ করুণ। আপনি ব্রেকফাস্ট এর আগে এই ফ্লোরাইড এর সঙ্গে দাঁতের আবরণ মিলিত হয়ে তার দ্বারা দাঁতের ক্ষয় রোধ হবে। খাওয়ার পড় নিঃশ্বাসকে ফ্রেশ রাখতে সুগার ফ্রি গাম চিবোতে পারেন।
নিজের ওজন নিয়ে চিন্তা:
ওজন সবসময় একটি স্বভাবিক পর্যায়ে রাখা ভালো। কিন্তু অনেকে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়, আবার অনেকে সঠিক পুষ্টিকর খাবার খায় না ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের জটিল রোগ। তাই ওজন নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খান ও আপানার বয়স ও হাইড অনুযায়ী ওজন ধরে রাখতে চেষ্টা করুণ।
ভারি হাতব্যাগ বহন:
ভারি হাতব্যাগ বহন, বা অনেক মালপত্র এক সাথে বহন করা স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর ফলে আপনার শরীরে ব্যাক পেন, হার ক্ষয় সহ নানা ধরনের জটিল রোগ হতে পারে। তাই সব সময় কম ওজনের ব্যাগ বহন করুণ, পারলে চাকা ওয়ালা ব্যাগ ব্যাবহার করুণ। একসাথে অনেক মাল বহন না করে অল্প অল্প করে বহন করুণ।
গরম জল ও লেবুর সঙ্গে দিন শুরু:
ডেন্টিস্ট এটাকে কখনোই দাঁতের জন্য সমর্থন করে না। The London Centre for Cosmetic Surgery ড মারভিন ড্রুইয়ান বলেন, ‘গরম জল ও লেবুর আপনার দাঁত ক্ষয় করে’। তিনি আরও বলেন, ‘দাঁতের এনামেল জোরদার করতে মেন্থল যুক্ত চা পান করতে পারেন’। -সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

39
স্কিনে কোনো না কোনো সমস্যা সবারই থাকে, কিন্তু গ্রীষ্ম কালে এ সমস্যা যেনো একেবারেই বেড়ে যায়। অতিরিক্ত রোদ, ঘাম ও গরমে ত্বক হয়ে যায় তৈলাক্ত। অথবা অতিরিক্ত গরমে ত্বক আর্দ্রতা হারায় এবং শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের র‌্যাশ, ব্রণ ও স্কিন সমস্যা। এখানে ঘরে বসেই চামড়ার বিভিন্ন ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় তুলে ধরা হল:
এ সময় অতিরিক্ত গরমে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের ফুস্কুরি, তাছাড়া মেয়েদের ব্রেস্টের নিচেও হতে পারে র্যা শ। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন যায়গায় ছত্রাক জমে হতে পারে সংক্রমণ, এলার্জি সমস্যাও হতে পারে। গরমে ত্বকের সমস্যা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদেরই বেশি হয়ে থাকে কারণ, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ত্বক অনেক বেশি নাজুক হয়। চলুন জেনে নেই গরমে শরীরের ত্বকের যত্ন নিয়ে কিছু টিপস:
# লাল লাল ফুসকুড়ি পরিত্রাণ পেতে, আপনি একটি কোল্ড কম্প্রেস ব্যাবহার করুণ। আক্রান্ত স্থানে ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে রাখুন। দেখবেন অনেকটাই কমে গেছে।
# শরীরের র‌্যাশি ও ছত্রাক সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে শরীরের অভ্যন্তরীণ পোশাকগুলো আধা বালতি গরম পানিতে আধা কাপ সাদা ভিনেগার মিশ্রিত করে তাতে ধুয়ে ফেলুন।
# আপনার ত্বকে যদি ব্রণ সমস্যা থাকে তাহলে কাচা হলুদ এবং নিম পাতা পেস্ট করে ঘুমানোর আগে মেখে ১৫ মিনিট পড় ধুয়ে ফেলু। এতে যেমন সুস্থ্য ত্বক পাবেন তেমনি পরিষ্কার ত্বকও পাবেন।
# মধু একটি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং এতে রয়েছে এন্টিব্যাক্টিরিয়াল বৈশিষ্ট্য। মধু, দুধ এবং গ্রাম ময়দা মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং মুখের ওপর মাখুন। ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য এনে দিবে।
# মুলতানি মাটি, চন্দনের গুঁড়া, কাগজিলেবুর রস এবং সর তোলা দুধ বা টকদই একত্রে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন ১০-১৫ মিনিট। এতে ত্বকের বাড়তি তেল ও ময়লা বেরিয়ে যাবে।
গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে পানি, টাটকা শাকসবজি, মৌসুমি ফল খান। ত্বকের যেকোনো সমস্যায় নখ দিয়ে চুলকাবেন না। পাতলা কাপড় বা তুলা দিয়ে চুলকাতে পারেন। সঠিক সময়ে ঘুম এবং খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আর গরমে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া সঙ্গে সানগ্লাস ও ছাতা নিতে ভুলবেন না। -সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

40
৫.সবুজ শাক :
সবুজ শাকে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন অন্যান্য খাবারে থাকা রাসায়নিক পদার্থ এবং কীটনাশকের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করে থাকে যা লিভারের জন্য বেশ উপকারি।
৬. আভাকাডো :
আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় আভাকাডোর পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে তা আপনার দেহে গ্লুটাথায়ন নামক এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তৈরি করে যা লিভারকে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে।
৭. ব্রোকলি :
ব্রোকলি দেহে গ্লুকোসিনোলেট উপাদানের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যেটি হজমে সহায়ক এনজাইম তৈরি করে।
৮. লেবু :
এই বিষয়ে আমরা সবাই নিশ্চয়ই জানি যে সাইট্রাস জাতীয় ফল লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারি। কিন্তু এছাড়াও লেবু দেহের বিভিন্ন টক্সিন নির্মূল এবং হজমে সহায়তা করে থাকে।
৯. হলুদ :
মসলা হিসেবে হলুদ খেলে তা আমাদের শরীরে হজমে এবং পিত্তথলী পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি লিভারের প্রাকৃতিক ডেটক্স হিসেবে কাজ করে। মূল্যবান অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর হলুদ লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে হেপাটাইটিস বি এবং সি এর ভাইরাস নির্মূলেও এই হলুদ অত্যন্ত সহায়ক।
১০. আখরোট :
আখরোটে গ্লুটাথায়ন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা লিভার পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে।
১১. আমলকি :
আমলকির অনেক গুণাগুণ রয়েছে। আমলকি লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং হজমে সহায়তা করে।

41
ত্বকের পরে লিভার মানবদেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ যার ওজন প্রায় ৩ পাউন্ডের মত। হজমক্রিয়া পরিচালনা, বিপাকক্রিয়া, অনাক্রম্যতা এবং দেহে বিভিন্ন পুষ্টির সঞ্চয় ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে এই লিভার। বিশেষ এই অঙ্গটি দেহের কোষে প্রয়োজনীয় শক্তি এবং পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে যেগুলো মানবদেহের কোষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
এটি রক্তনালী থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয় এবং খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে বলে জানান মিসিসাউগা থেকে হোলিস্টিক পুষ্টিবিজ্ঞানী হারমিট সিউড়ি। লিভারের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে সচল রাখতে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে যে খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন।
১. রসুন :
রসুন লিভারকে এনজাইম তৈরিতে সহায়তা করে যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়া রসুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যালিসিন এবং সেলেনিয়াম নামক দুটি প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা লিভার পরিপাকে সহায়তা করে।
২. গ্রিন টি :
গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটচিন নামক এক ধরনের উদ্ভিজ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লিভারের সামগ্রিক কাজ পরিচালনাকে সহায়তা করে থাকে। তাই এই গ্রিন টি খাওয়া লিভারের জন্য বেশ উপকারি।
৩. জাম্বুরা :
জাম্বুরা ফলটি সরাসরি বা জুস করে খেলে তা ক্যান্সার উৎপাদক উপাদান এবং টক্সিন নির্মূলে লিভারকে সহায়তা করে থাকে। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
৪. শালগম :
শালগমে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা লিভারের সার্বিক কাজে সহায়তা করে থাকে।

42
কিছুদিন আগেই মার্কিম গবেষণাকারীরা দাবি করেছিলেন, তারা এমন একটি অ্যাপ আনতে চলেছেন যার সাহায্যে খুব সহজেই জটিল রোগ নির্ণয় করা যাবে৷গবেষণাকারীদের ঘোষণা মতোই আনা হল সেই রোগ নির্ণয়কারী অ্যাপটি৷ নয়া এই অ্যাপটি স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে ক্যান্সার নির্ণয় করা যাবে বলে গবেষনাকারীদের তরফে জানানো হয়েছে৷
নয়া এই অ্যাপটিপ নাম নাম ডি৩৷গবেষণাকারাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই অ্যাপটি কিনতে গ্রাহককে খরচ করতে হবে ১.৮ ডলার৷তবে আপাতত চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই এই অ্যাপটি আপাতত ব্যবহার করতে পারবেন৷জানা গিয়েছে, নয়া এই অ্যাপটি রক্তের সেলের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে৷বলার অপেক্ষা রাখে না নয়া এই অ্যাপ চিকিৎসা বিজ্ঞানকে এগিয়ে দেবে বেশ কয়েকগুন৷

43
শিশুদের মস্তিষ্ক বড়দের থেকে বেশি অনুভব করে। আগে মনে করা হত শিশুদের অনুভব ক্ষমতা কম। কিন্তু সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের এ গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যথা দেওয়ার মতো চাপ বা খোঁচা দেওয়া হলে শিশুর মস্তিষ্কও বড়দের মস্তিষ্কের মতোই একইভাবে 'জ্বলে ওঠে'। অর্থাৎ শিশুরাও এমন ব্যথা অনুভব করে। অনেক ক্ষেত্রে এ ব্যথার অনুভূতি হয়তো আরও তীব্র হয়। ইলাইফ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয় এই গবেষণা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমআরআই বা ম্যাগনেটিক রিসোনেন্স ইমেজিং এর মাধ্যমে ব্যথার অনুভূতিতে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনাকরেন। এতে দেখা যায়, ব্যথা পেলে প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কের ২০টির মধ্যে ১৮টি এলাকা যেভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে শিশুদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ঘটে।
মস্তিষ্কের এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, ঘুমন্ত শিশুদের পায়ের তলায় একটা বিশেষ রড দিয়ে 'পেনসিল দিয়ে খোঁচা দেওয়ার মতো' করে খোঁচা দিলে শিশুদের মস্তিষ্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়।
এই গবেষণায় এক থেকে ছয়দিন বয়সী ১০টি স্বাস্থ্যবান শিশুর মস্তিষ্কে এমআরআই স্ক্যানের মাধ্যমে ব্যথার অনুভূতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। অভিভাবক ও চিকিৎসকের উপস্থিতিতে এমআরআই যন্ত্রে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা চালানোর সময় শিশুরা ঘুমিয়ে পড়ে। পরে ২৩ থেকে ৩৬ বছর বয়সী স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্কের ওপর চালানো একইরকম পরীক্ষার সঙ্গে শিশুদের পরীক্ষার ফল তুলনা করা হয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিকস বিভাগের চিকিৎসক রেবেকা স্টেলার বলেন, 'নিশ্চিতভাবেই শিশুরা আমাদের মতো ব্যথা পাওয়ার কথা বলতে পারে না। আর ওদের দেখে হয়তো আমরা ওদের ব্যথার অভিজ্ঞতা বুঝতে পারি না। তিনি আরও বলেন, 'অনেকে যুক্তি দেখান, শিশুদের মস্তিষ্ক বিকশিত নয় বলে শিশুরা হয়তো বড়দের মতো
অত তীব্র ব্যথা অনুভব করে না। কিন্তু আমাদের এ গবেষণায় জোরালোভাবেই এটা উঠে এসেছে যে, ঘটনাটা তা নয়।'
রেবেকা আরও বলেন, 'আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা কেবল ব্যথাই পায় না, ওরা হয়তো ব্যথার ক্ষেত্রে বড়দের চেয়েও বেশি স্পর্শকাতর। আমরা যে কারণে একটু বেড়ে উঠতে থাকা শিশুদের ব্যথানাশক দিয়ে থাকি সে কারণে আমাদের সদ্যোজাত শিশুদের ব্যথা দূর করা নিয়েও ভাবা উচিত।'
গত বছর আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে সদ্যোজাত শিশুদের ব্যথা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, আইসিইউতে শিশুরা দিনে গড়ে ১১ ধরনের ব্যথাযুক্ত চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলেও ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই তাদেরকে কোনো ধরনের ব্যথানাশক দেওয়া হয় না।

44
দীর্ঘ এক গবেষণায় জানা গেছে আমাদের রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রমের ভিন্নতা ঘটে।

বিভিন্ন ধরণের রক্তের গ্রুপ মস্তিষ্কের কার্যপ্রণালীর উপর প্রভাব ফেলে। যেমন: মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ যাদের AB গ্রুপের রক্ত রয়েছে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের বিভিন্ন মানসিক সমস্যা দেখা যায়।

ইউনিভার্সিটি অফ ভারমন্টের হেমাটোলোজিস্ট ম্যারি কুশম্যান এবং তার সহকর্মীরা একটি গবেষণার মাধ্যমে কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।

২০০৭ সাল থেকে এ গবেষণায় ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ৩০ হাজার ২৩৯ জন আফ্রিকান-আমেরিকান এবং ককেশিয়ান ব্যক্তির ওপর গবেষণা করা হয়।

তবে কুশম্যানের দল এর আগে দু’বার টেলিফোনের মাধ্যমে এ জরিপ চালিয়েছেন। তারা এ জরিপ চালিয়েছেন মানুষের মস্তিষ্কের কয়েকটি দক্ষতার ওপর। যেমন শেখার সক্ষমতা, শর্ট-টার্ম মেমোরি আর এক্সিকিউটিভ ফাংশন।

দুই বা তিনবার ফোন করার মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে এদের ৪৯৫ জনের মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তবে ৫৮৭ জনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে তাদের মস্তিষ্ক খুব শক্তিশালী।

যাদের রক্তের গ্রুপ 'O' নয় তাদের হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে যেগুলো মানুষের ভাসকুলার বা সংবহনতন্ত্রের সাথে জড়িত। এ রোগগুলো মানুষের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।
'O' গ্রুপের ক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই। নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম, ডায়েট এবং সচেতনতা এসব সমস্যা থেকে তাদের দূরে রাখতে পারে।

রক্তের গ্রুপের কারণে বিভিন্ন রকম মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অন্যান্য আরো অনেক কিছুই এতে জড়িত বলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না, এই রক্তের গ্রুপই একমাত্র মানসকি সমস্যার জন্য দায়ী।

বিজ্ঞানীরা এখনো আশাবাদী যে একদিন তারা রক্তের মলিক্যুল এবং মস্তিষ্কের সমস্যার মধ্যে সম্পর্ক বের করতে পারবেন এবং সেসব সমস্যার সমাধানও বের করতে পারবেন।

'O' গ্রুপের রক্ত যাদের তাদের তুলনামূলক বিষণ্ণতা বেশি থাকে এবং প্রচুর দুশ্চিন্তা হয়। এই গ্রুপের বাচ্চারা কোন কিছুতে সহজে মনোযোগ দিতে পারে না।

'A' গ্রুপের রক্তের অধিকারীরা বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে। এই রক্তের গ্রুপের বাচ্চারা কোন কিছুতে সহজে মনোযোগ দিতে পারে না।

'B' ব্লাড গ্রুপের বাচ্চাদের অমনোযোগী হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম থাকে।

45
প্রিয়জনকে মেসেজ পাঠাতে গিয়ে তা ভুল করে পাঠিয়ে দিয়েছেন অন্য কাউকে। আর তার জেরে চিন্তায় ঘুম চলে যাওয়ার উপক্রম। ভাবছেন সব জেনে গেল। এই রকম ঘটনা অনেকের ক্ষেত্রেই মাঝে মাঝে ঘটে থাকে। এই ভুলের ফলে অনেক সমস্যারও সন্মুখীন হয়েছেন অনেকে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার দিন এসে গিয়েছে৷ এবার ভুল করে অন্যকে মেসেজ বা বার্তা পাঠালেও তা আপনি ডিলিট করতে পারবেন আপনার মোবাইল থেকে। এমনই নয়া অ্যাপ বাজারে আসল। নয়া এই অ্যাপের নাম 'রাকিম'। এই অ্যাপের সাহায্য নিজের ফোন থেকেই ডিলিট করে ফেলতে পারবেন অন্যকে পাঠানো কোনও অপ্রয়োজনীয় SMS।
ডিলিট করা মাত্রই আপনার সেন্ডবক্স ও অন্য ব্যক্তির ইনবক্স থেকে মুছে যাবে আপনার ভুল করে পাঠানো SMS টি।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 16