Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Reza.

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 53
76
Permanent Campus of DIU / Teen age - best part of life.
« on: September 02, 2019, 12:07:35 AM »
১২ - ১৩ বছরের পঞ্চাশটি ছেলে। সবাই ভালো ছাত্র। এক সাথে তাদের রাখা হল কলেজে। এদের মধ্যে কেউ হয়তো আগে রাতে মাকে ছাড়া কখনো ঘুমায়নি। সে এখন জানালার পাশের বেডে একা ঘুমিয়ে থাকে। একাএকাই গভীর রাতে সেই লম্বা বারান্দার আরেক মাথায় বাথরুমে যায়। কেউ ছিল বাসায় কোনদিন মাছ খায়নি। সেও এখন ডাইনিঙয়ে কাঁটাচামচ দিয়ে বেছে বেছে ভাত দিয়ে মাছ খেয়ে চলে। এদের মাঝে কারো কারো মাথায় আসে যে ইস্‌ সে যদি আরেকটু খারাপ ছাত্র হত তাহলে আর বাসা ছেড়ে আসতে হত না। আবার কেউ খুব সিরিয়াস। ভোর সকালে উঠে পিটির জন্য রেডি হয়ে থাকে।
একেক জেলার পঞ্চাশটি পরিবারের পঞ্চাশটি সন্তান। পঞ্চাশ রকমের মনমানুশিকতা। এক সাথে থাকে। পড়াশুনা করে খেলা ধুলা করে আর হোস্টেলে ঘুমায়। সবাই তাদের বাসাকে আর পরিবারের সদস্যদেরকে মিস করে। কেউ গুনে চলে কবে প্যারেন্টস ডে? কেউ বা গুনে চলে কবে ছুটি শুরু হবে? কবে বাসায় যেতে পারবে। এক সাথে পানিশমেন্ট খায় আর দিন গুনে চলে।
বাড়ন্ত দেহ সাথে সকালের পিটি আর বিকালের গেমস। সারাক্ষণই তাদের ক্ষুধা আর ঘুম লাগে। তাদের সারাক্ষণই মনে হয় বাসার কথা। বাসার প্রিয়জনের কথা। তাদের সব থেকে বড় আশা হল সকালে পিটির সময় যেন বৃষ্টি হয়। আর তারা পিটির সময় যেন ঘুমাতে পারে। একসাথে গল্প করা আর পড়াশুনা করা। তাদের একটি অপেক্ষার ক্ষণ হল সেই বিখ্যাত বৃহস্পতিবার। যেই দিন তাদের রাতে স্পেশাল ডিনার হয়। আর টিভি দেখতে পারে।
এইভাবে কেটে গেল ছয়টি বছর। সেই ছয়টি বছর। যেটি আগে খুব স্লো ভাবে যাচ্ছে বলে মনে হত। তারা এখন সব উচ্ছল তরুণ যুবা।
কি আশ্চর্য!! এখন তাদের কাছে কলেজটি কত মহনীয় জায়গা মনে হয়। বাসার প্রিয়জনেরা যেমন আপন ঠিক তেমন আপন তাদের এই কলেজের বন্ধুরা। সব কিছুর থেকে এখন সেই সব বন্ধুদের সান্নিধ্য সব থেকে ভালো লাগে। ভালো লাগে বন্ধুদের সাথে সেই ছয়টি বছরের স্মৃতি রোমন্থন করতে।

77
Textile Engineering / Re: "I love listening to lies - if I know the truth."
« on: September 02, 2019, 12:01:02 AM »
Thank you for your comment.

78
Textile Engineering / Re: গিফট অফ টেকনোলজী।
« on: September 02, 2019, 12:00:14 AM »
Thank you.

79
Permanent Campus of DIU / Don't forget to remember.
« on: August 22, 2019, 09:57:05 PM »
তার জন্ম ব্রিটিশ পিরিয়ডে। ছোটবেলাতেই তার অন্য সব ভাই বোন মারা যায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। পড়ালেখা করে সরকারী চাকুরী শুরু করেছিলেন সেই ব্রিটিশ সময়েই। ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছেন। তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত যার যার সেক্টরে। রিটায়ারের পরে নিজের গ্রামে থাকা শুরু করেন। যমুনা নদীর ভাঙ্গনে গ্রামের পর গ্রাম উজার হয়ে যায়। তার পরও তার মাতৃভূমির প্রতি মায়া কমেনি। বাঁধের পাশে ঘর তুলে বাস করেছেন কিছুদিন। হয়তো তার গ্রামটি ভাংবে না। নদীর ভাঙ্গন হয়তো বন্ধ হবে। পরে তার গ্রাম ভেঙ্গে গেলে শহরের পাশে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করেন। কারো সাথে কখনো কোন শত্রুতা হয়নি। সবার ভাল চেয়েছেন - মঙ্গল চেয়েছেন। সবাইকে নামাজের কথা আর ইসলামের কথা মনে করে দিয়েছেন। তার কাছের মানুষেরা ভাবতো, তার একেবারে বৈষয়িক জ্ঞান নাই।
এক রাতে তার মৃত্যু হল। ঢাকা থেকে তার কাছের মানুষেরা সবাই এলো। বাড়ি ভর্তি সেই মফস্বল শহরের মানুষজন। বেশীর ভাগেরই দাড়ি টুপি আছে। এছাড়াও অন্য সব পোশাকের মানুষেরাও আছে। সেই শহরের কেউ বাদ পড়েনি। কাছের মানুষদের কাজ কিছুই করতে হল না। কি আশ্চর্য বিষয়। তাকে যখন জানাজার পর দাফনের জন্য নেয়া হচ্ছিল - মানুষের মিছিল যেন পিছনে চলেছে। হেটে রিক্সায় বা টিলারে করে। সেই শান্ত স্বভাবের সহজ সরল জীবনযাপনকারির এতো হিতকাঙ্খি - এতো আপনজন। মনে হল সেই তো কোটিপতি ব্যবসায়ী বা ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদদের থেকে বেশী ভাগ্যবান। অল্প অল্প করে কত সহস্র মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। আসলেই মানুষের মৃত্যুদিনেই বোঝা যায় কে কেমন ছিলেন। যার জন্য যত মানুষ মন থেকে দোয়া করে - সে তত বেশী ভাগ্যবান।

80
Textile Engineering / Don't forget to remember.
« on: August 22, 2019, 09:56:20 PM »
তার জন্ম ব্রিটিশ পিরিয়ডে। ছোটবেলাতেই তার অন্য সব ভাই বোন মারা যায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। পড়ালেখা করে সরকারী চাকুরী শুরু করেছিলেন সেই ব্রিটিশ সময়েই। ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছেন। তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত যার যার সেক্টরে। রিটায়ারের পরে নিজের গ্রামে থাকা শুরু করেন। যমুনা নদীর ভাঙ্গনে গ্রামের পর গ্রাম উজার হয়ে যায়। তার পরও তার মাতৃভূমির প্রতি মায়া কমেনি। বাঁধের পাশে ঘর তুলে বাস করেছেন কিছুদিন। হয়তো তার গ্রামটি ভাংবে না। নদীর ভাঙ্গন হয়তো বন্ধ হবে। পরে তার গ্রাম ভেঙ্গে গেলে শহরের পাশে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করেন। কারো সাথে কখনো কোন শত্রুতা হয়নি। সবার ভাল চেয়েছেন - মঙ্গল চেয়েছেন। সবাইকে নামাজের কথা আর ইসলামের কথা মনে করে দিয়েছেন। তার কাছের মানুষেরা ভাবতো, তার একেবারে বৈষয়িক জ্ঞান নাই।
এক রাতে তার মৃত্যু হল। ঢাকা থেকে তার কাছের মানুষেরা সবাই এলো। বাড়ি ভর্তি সেই মফস্বল শহরের মানুষজন। বেশীর ভাগেরই দাড়ি টুপি আছে। এছাড়াও অন্য সব পোশাকের মানুষেরাও আছে। সেই শহরের কেউ বাদ পড়েনি। কাছের মানুষদের কাজ কিছুই করতে হল না। কি আশ্চর্য বিষয়। তাকে যখন জানাজার পর দাফনের জন্য নেয়া হচ্ছিল - মানুষের মিছিল যেন পিছনে চলেছে। হেটে রিক্সায় বা টিলারে করে। সেই শান্ত স্বভাবের সহজ সরল জীবনযাপনকারির এতো হিতকাঙ্খি - এতো আপনজন। মনে হল সেই তো কোটিপতি ব্যবসায়ী বা ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদদের থেকে বেশী ভাগ্যবান। অল্প অল্প করে কত সহস্র মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। আসলেই মানুষের মৃত্যুদিনেই বোঝা যায় কে কেমন ছিলেন। যার জন্য যত মানুষ মন থেকে দোয়া করে - সে তত বেশী ভাগ্যবান।

81
Thank you.

82
Textile Engineering / Re: Taking apart a car to know how it works.
« on: August 20, 2019, 12:43:46 AM »
Thank you.

83
Thank you for your comments.

84
Textile Engineering / Re: Memory can reward or can punish.
« on: August 13, 2019, 12:40:34 AM »
Thank you.

85
Textile Engineering / Re: Expression of our thoughts.
« on: August 13, 2019, 12:39:58 AM »
Thank you.

86
Textile Engineering / Taking apart a car to know how it works.
« on: July 28, 2019, 02:19:34 AM »
স্টুডেন্ট লাইফ সহ জীবনের বড় একটা অংশ টেক্সটাইল পড়ে আর পড়িয়ে কাটলো। স্টুডেন্ট লাইফে অ্যাপারেল টেক্সটাইল, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল আর হোম ফারনিশিং এই তিন ক্যাটাগরীর টেক্সটাইলের প্রতি চোখ খুলে গেল। বর্তমানে পড়তেছি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছু সাবজেক্ট। মনে হচ্ছে - তাইতো কত কিছুই তো জানিনা।
ভেবে দেখলাম আমার পড়ার ও জানার অপেক্ষায় কিছু বসে থাকে না। আমি যা জানি তার বহু আগে থেকেই টেক্সটাইল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিঙয়ের প্রয়োগ হয়ে আসতেছে। আমি না জানলেও এর প্রয়োগ হত।
ভাবতেছি মানুষ কি শুধু কি হইতেছে এইটাই কি শুধু জানার চেষ্টা করে না? আমাদের হার্ট রক্ত পাম্প করে - এইটা মানুষ জানার আগে থেকেই হার্ট রক্ত পাম্প করে চলেছে। কেউ এখনও না জানলেও তার হার্ট রক্ত পাম্প করা বাদ দেয় না। আমাদের হার্ট, লিভার, ফুস্ফুস সারাজীবন কাজ করে চলে।
আর প্রায় সব ইঞ্জিনিয়ারিঙয়ে আমরা এই পৃথিবীর বিভিন্ন বস্তুর গুনগত ব্যাপারগুলো জেনে তার প্রয়োগ করি। লোহা বা আয়রনের শক্তি কত - তা আমরা পরীক্ষা করে জানি। আমরা নতুন কিছুই করতেছি না। যা আছে তাই কেবল জেনে নিতেছি। আর সেই জানাটাকেই বিভিন্ন ভাবে প্রয়োগ করতেছি।
চিকিৎসা বিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিঙয়ের সব শাখা, কেবল মাত্র যে বস্তুগুলো আছে - সেইগুলো নিয়েই জানার ব্যাপার।
কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে - আমরা জানি বা না জানি সব কিছুর বৈশিষ্ট্য ও গুণগত মান একই থাকতো। আমরা জানার আগে থেকেই আলোর গতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ মাইল। এই গতি আমরা আবিস্কার করে নির্ধারণ করি নাই।
আমরা ভাবি আমরা কত কিছু করতেছি। সব কাজ করে দুনিয়া উল্টায় ফেলতেছি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমাদের এই জানা জিনিসের ভ্রান্ত প্রয়োগই পৃথিবীর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে - এইটা কি আমরা ভাবি না?
মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন ও আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন।

87
Permanent Campus of DIU / Taking apart a car to know how it works.
« on: July 28, 2019, 02:13:56 AM »
স্টুডেন্ট লাইফ সহ জীবনের বড় একটা অংশ টেক্সটাইল পড়ে আর পড়িয়ে কাটলো। স্টুডেন্ট লাইফে অ্যাপারেল টেক্সটাইল, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল আর হোম ফারনিশিং এই তিন ক্যাটাগরীর টেক্সটাইলের প্রতি চোখ খুলে গেল। বর্তমানে পড়তেছি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছু সাবজেক্ট। মনে হচ্ছে - তাইতো কত কিছুই তো জানিনা।
ভেবে দেখলাম আমার পড়ার ও জানার অপেক্ষায় কিছু বসে থাকে না। আমি যা জানি তার বহু আগে থেকেই টেক্সটাইল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিঙয়ের প্রয়োগ হয়ে আসতেছে। আমি না জানলেও এর প্রয়োগ হত।
ভাবতেছি মানুষ কি শুধু কি হইতেছে এইটাই কি শুধু জানার চেষ্টা করে না? আমাদের হার্ট রক্ত পাম্প করে - এইটা মানুষ জানার আগে থেকেই হার্ট রক্ত পাম্প করে চলেছে। কেউ এখনও না জানলেও তার হার্ট রক্ত পাম্প করা বাদ দেয় না। আমাদের হার্ট, লিভার, ফুস্ফুস সারাজীবন কাজ করে চলে।
আর প্রায় সব ইঞ্জিনিয়ারিঙয়ে আমরা এই পৃথিবীর বিভিন্ন বস্তুর গুনগত ব্যাপারগুলো জেনে তার প্রয়োগ করি। লোহা বা আয়রনের শক্তি কত - তা আমরা পরীক্ষা করে জানি। আমরা নতুন কিছুই করতেছি না। যা আছে তাই কেবল জেনে নিতেছি। আর সেই জানাটাকেই বিভিন্ন ভাবে প্রয়োগ করতেছি।
চিকিৎসা বিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিঙয়ের সব শাখা, কেবল মাত্র যে বস্তুগুলো আছে - সেইগুলো নিয়েই জানার ব্যাপার।
কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে - আমরা জানি বা না জানি সব কিছুর বৈশিষ্ট্য ও গুণগত মান একই থাকতো। আমরা জানার আগে থেকেই আলোর গতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ মাইল। এই গতি আমরা আবিস্কার করে নির্ধারণ করি নাই।
আমরা ভাবি আমরা কত কিছু করতেছি। সব কাজ করে দুনিয়া উল্টায় ফেলতেছি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমাদের এই জানা জিনিসের ভ্রান্ত প্রয়োগই পৃথিবীর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে - এইটা কি আমরা ভাবি না?
মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন ও আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন।

88
স্তব্ধ সময়। যখন কাজ গুলো পড়ে থাকে একাএকা।
শূণ্য পানে কি এক হাহাকার। মনে হয় নিভে যাক প্রদীপ শিখা। অন্ধকারে ভরে যাক আলোকোজ্জ্বল ঘর। তার মাঝে খুঁজে ফিরি সেই সময়। আর সেই মানুষগুলোকে। কত আলো ছিল চারিদিকে। আর সেই নীল আকাশ। সবুজ ঘাসের ভীরে আর সেই ঘন জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া। তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে কি এক হাহাকার।
কোথায় সেই মানুষগুলো? একেক করে তারা হারিয়ে যায়। বলা হয়নি বিদায়ের কথা। বলা হয়নি কত ভালবাসি তোমায়।
চারিদিকে শুধু বিদায়ের সুর। মনে হয় থেমে যাক সময়। আলো নিভে যাক। শুনে চলি বাতাসের কান্না গুলো। ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে অনুভব হয় বলা হয়নি তাকে। বলা হয়নি কত অনুভব করি তোমায়।
আনন্দের গান আর শোনা হয়নি। ভেঙ্গে গেছে সুর। আলো নিভে গেছে। কোথায় হারিয়ে গেল আনন্দের সেই সময়?
সোনালি রোদে মাঠের ঘাসে স্ফটিকের মত জলের ধারা। তার মাঝে ছুটে চলে শিশুটি। কিংবা ঘুমিয়ে থাকে যখন শোনা যায় শ্বাসের শব্দ। অলস দুপুরে বারান্দায় একাকী ঘুরে বেড়ায়। মনে পড়ে তাকে। খেলা ফেলে ছুটে চলে ঊর্ধ্বশ্বাসে।
যে ছিল পাশে পাশে। ভোর সকালে স্কুলে যাওয়ার সময়। নিশ্চিন্তে থাকে। মাথার উপরে আছে বটবৃক্ষের ছায়া।
চলে গেছে তারা। একাকী। নাকি তাকে একা ফেলে চলে গেছে সবাই? এক দুই তিন ...। সংখ্যায় গননা করলে তারাই তো বেশী। বেড়ে চলে সংখ্যা। বেড়ে চলে শ্বাসের শব্দ। পাতা ঝরে চলে অজস্র।
ঘরে একাকী বসে থাকে। এটাই কি তার ঘর? নাকি অন্য কোথায়? সে জানে সে ঘরে চলেছে। কোথায় সে জানেনা। শুধু এইটুকুই নিশ্চিত জানে যেতে হবে ঘরে। যেখানে অপেক্ষায় তারা আছে।
সেই ছোট ঘর। মনে হয় বিশাল তার জানালা। দখিনা বাতাসে উড়ে যায় পাতা গুলো। উজ্জ্বল আলোতে ভরপুর। তারা অপেক্ষায় আছে কখন সে আসবে। কখন ছুটি হবে। কখন সূর্য ডুবে সন্ধ্যা হবে? কখন ভাংবে তার খেলা।
(দুঃসহ প্রতীক্ষার প্রহর।)

89
স্তব্ধ সময়। যখন কাজ গুলো পড়ে থাকে একাএকা।
শূণ্য পানে কি এক হাহাকার। মনে হয় নিভে যাক প্রদীপ শিখা। অন্ধকারে ভরে যাক আলোকোজ্জ্বল ঘর। তার মাঝে খুঁজে ফিরি সেই সময়। আর সেই মানুষগুলোকে। কত আলো ছিল চারিদিকে। আর সেই নীল আকাশ। সবুজ ঘাসের ভীরে আর সেই ঘন জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া। তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে কি এক হাহাকার।
কোথায় সেই মানুষগুলো? একেক করে তারা হারিয়ে যায়। বলা হয়নি বিদায়ের কথা। বলা হয়নি কত ভালবাসি তোমায়।
চারিদিকে শুধু বিদায়ের সুর। মনে হয় থেমে যাক সময়। আলো নিভে যাক। শুনে চলি বাতাসের কান্না গুলো। ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে অনুভব হয় বলা হয়নি তাকে। বলা হয়নি কত অনুভব করি তোমায়।
আনন্দের গান আর শোনা হয়নি। ভেঙ্গে গেছে সুর। আলো নিভে গেছে। কোথায় হারিয়ে গেল আনন্দের সেই সময়?
সোনালি রোদে মাঠের ঘাসে স্ফটিকের মত জলের ধারা। তার মাঝে ছুটে চলে শিশুটি। কিংবা ঘুমিয়ে থাকে যখন শোনা যায় শ্বাসের শব্দ। অলস দুপুরে বারান্দায় একাকী ঘুরে বেড়ায়। মনে পড়ে তাকে। খেলা ফেলে ছুটে চলে ঊর্ধ্বশ্বাসে।
যে ছিল পাশে পাশে। ভোর সকালে স্কুলে যাওয়ার সময়। নিশ্চিন্তে থাকে। মাথার উপরে আছে বটবৃক্ষের ছায়া।
চলে গেছে তারা। একাকী। নাকি তাকে একা ফেলে চলে গেছে সবাই? এক দুই তিন ...। সংখ্যায় গননা করলে তারাই তো বেশী। বেড়ে চলে সংখ্যা। বেড়ে চলে শ্বাসের শব্দ। পাতা ঝরে চলে অজস্র।
ঘরে একাকী বসে থাকে। এটাই কি তার ঘর? নাকি অন্য কোথায়? সে জানে সে ঘরে চলেছে। কোথায় সে জানেনা। শুধু এইটুকুই নিশ্চিত জানে যেতে হবে ঘরে। যেখানে অপেক্ষায় তারা আছে।
সেই ছোট ঘর। মনে হয় বিশাল তার জানালা। দখিনা বাতাসে উড়ে যায় পাতা গুলো। উজ্জ্বল আলোতে ভরপুর। তারা অপেক্ষায় আছে কখন সে আসবে। কখন ছুটি হবে। কখন সূর্য ডুবে সন্ধ্যা হবে? কখন ভাংবে তার খেলা।
(দুঃসহ প্রতীক্ষার প্রহর।)

90
আমাদের সহ আমার চারপাশের বাবা মায়েদের দেখি আর ভাবতেছি। একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো ও তাদের ভাল ভাবে যেন পড়াশোনা হয় তার জন্য় তাদের কত আপ্রান চেষ্টা। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরও কত অমানুষিক কষ্ট করতে হয় তাদের নিজেদের শিক্ষার জন্য।
যখন দেখি মায়েদের সারাদিনের অন্যতম কাজ হচ্ছে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া ও আনা। তাদের লেখাপড়ার খবর নেয়া। তাদের পড়ানো। এইটাই একজনের ফুল টাইম জবের সমান। সন্তানকে স্কুলে দিয়ে স্কুল ছুটি হওয়া পর্যন্ত স্কুলের বাইরে গার্জিয়ানরা বসে থাকে। কি ঝড় কি বৃষ্টি কি শৈত্যপ্রবাহ!! শুধু স্কুল হলে কথা ছিল। স্কুলের পরে কোচিঙয়ের জন্য ও রাত আটটা নয়টা পর্যন্ত তারা কোচিঙয়ের সামনের রাস্তায় অপেক্ষা করে চলে। ফুটপাথে বসে থাকে। সন্তানদেরও দিন শুরু হয় ভোর সকালে আর শেষ হয় রাত আটটা নয়টায়। তারা খেলার সময় পায় না। দুপুরের বিরতি তো কবেই শেষ হয়ে গেছে।
কাউকে কাউকে দেখি সন্তানকে অনেক দামি স্কুলে ভর্তি করিয়ে হিমশিম খান। কিন্তু সব কষ্টই স্বীকার করে যান শুধু সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চিন্তা করে।
আমাদের দেশে সন্তানের পরীক্ষার থেকে বাবা মায়ের পরীক্ষাই বেশী হয়।
আমাদের দেশের ঘরে ঘরে উকি দিলে এই একই চিত্র পাওয়া যাবে। তাদের সন্তানেরাও তাদের সাধ্য মত চেষ্টা করে যায় ভাল ফলাফল লাভের জন্য।
প্রতি বছর যে কোন পাবলিক পরীক্ষার ফল বের হলে পেপারে আসে কত পরিবারের কত হাসি কান্নার গল্প।
ভাবতেছি শিক্ষা মানে কি এই ধরনের কষ্ট? বাবা মা সহ পুরো পরিবার শিক্ষা লাভ করে চলা? এতে কি সহস্র কর্ম ঘন্টা নষ্ট হয় না? সামাজিক ব্যালেন্স নষ্ট হয় না?
আমরা জ্যামে বসে থাকি - কখন জ্যাম কাটবে? স্কুলে বসে থাকি কখন ছুটি হবে?
এই অস্বাভাবিক ঘটনা গুলোই আমাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা সময়ই পাই না এইগুলো নিয়ে ভাবার।
সন্তানের কথা বাবা মা ভাবে। কিন্তু বাবা মাদের ভোগান্তি নিয়ে কাদের ভাবার কথা? তবে এই ক্ষেত্রে সব বাবা মায়েরাই এতিম বলে মনে হয়।

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 53