Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Fatema Tuz - Zohora

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 7
32
Thanks for sharing

33
Thanks for sharing

34
Thanks for sharing

36
Faculty Sections / Re: I lost everything in my life. What should I do?
« on: December 09, 2018, 03:00:53 PM »
Thanks for sharing....

39
কল্পকাহিনি নয়, বাস্তবের দুনিয়ায় চলে আসছে উড়ুক্কু বাইক। এ বছর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রি শুরু হবে ব্যক্তিগত উড়ুক্কু যন্ত্রের। কিটি হক নামের একটি মার্কিন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে উড়ুক্কু মোটরসাইকেলসদৃশ এ যন্ত্র। নাম দেওয়া হয়েছে ফ্লায়ার। কিটি হককে সহায়তা করছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল। গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ বিনিয়োগ করেছেন এ উড়ুক্কু গাড়ির পেছনে। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের শেষের দিকে কিটি হকের তৈরি ফ্লায়ারের প্রোটোটাইপ পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান কিটি হকের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও উন্মুক্ত করা হয়। এরপরই উড়ুক্কু বাইক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে প্রযুক্তি বিশ্বে। গতকাল সোমবার প্রকাশ হওয়া ওই ভিডিওতে উড়ুক্কু বাইক দেখানো হয়। এ ছাড়া চলতি বছরেই উড়ুক্কু গাড়ি বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিটি হক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ব্যক্তিগত উড়ুক্কু গাড়ির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া তাদের লক্ষ্য। যখন সবার এ ধরনের গাড়ি চালানোর সুযোগ আসবে, তখন অমিত সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে।

কিটি হকের তৈরি উড়ুক্কু গাড়ির প্রোটোটাইপটিতে মাত্র একটি সিট রয়েছে। এতে দুটি পন্টুন ও মাকড়সার জালের মতো প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। পানির ওপরে ওই গাড়িটি উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য ভিডিওতে প্রচার করা হয়েছে। ওই এলাকার কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কিটি হক।

যানটিতে আটটি পাখা আছে। এটি হেলিকপ্টারের মতো মাটি থেকে উঠতে পারে। এর ওজন ১০০ কেজির মতো। ঘণ্টায় ২৫ মাইল গতিতে ১৫ ফুট ওপর দিয়ে এটি উড়তে পারে। কিটি হক বলছে, ফ্লায়ার নতুন ইলেকট্রিক যান। এটি নিরাপদ, পরীক্ষিত। যুক্তরাষ্ট্রের হালকা উড়ুক্কু যানের নিয়ম মেনে ঘনবসতিহীন এলাকায় এটি চালানো বৈধ। এতে চালকের জন্য কোনো লাইসেন্স লাগে না। মাত্র দুই ঘণ্টার প্রশিক্ষণ যথেষ্ট। অবশ্য কিটি হকের ওয়েবসাইটে এ বাইক সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

কিটি হকের প্রেসিডেন্ট সেবাসটিয়ান থ্রান এক টুইটে বলেছেন, ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভবিষ্যৎ বদলাতে যাচ্ছে। ওই গাড়ি কিনতে তিন বছরের সদস্যপদ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতে অপেক্ষমাণ তালিকায় নাম লেখাতে ১০০ মার্কিন ডলার করে নিচ্ছে। যাঁরা আগাম ফরমাশ দেবেন, তাঁদের জন্য ছাড় থাকবে। এ বছরের শেষ দিকে এ বাইকের দাম ঘোষণা করা হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক মেইলে কিটি হক জানিয়েছে, উড়ুক্কু গাড়ি তৈরিতে প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন অ্যারোভেলো নামের একটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ক্যামেরন রবার্টসন ও টড রেইচার্ট। বিক্রির সময় প্রোটোটাইপ নকশার চেয়ে মূল নকশা আলাদা হতে পারে।

ওই গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা করেছেন ক্যামেরন মরিসে নামের এক ব্যক্তি। তিনি এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, এটা অনেকটাই উড়ুক্কু মোটরসাইকেলের মতো। সিটে বসে সামনের দিকে ঝুঁকে চালাতে হয়।

কিটি হক ছাড়াও উড়ুক্কু যান তৈরিতে কাজ করছে ইউরোপের প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস। তথ্যসূত্র: এএফপি।

40
গবেষণাপত্রে নিজস্ব উপাত্তের নামে যা খুশি তা লিখে চালিয়ে দেওয়ার দিন শেষ। গবেষণাপত্রে উপস্থাপিত উপাত্তের ফাঁকফোকর পরীক্ষা ও গবেষকের অসততা ধরার পদ্ধতি চলে এসেছে। ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকাশিত গবেষণার ফাঁকফোকর পরীক্ষা করার উপযোগী কম্পিউটার অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন গবেষক। তাঁদের তৈরি এ অ্যালগরিদম সেট জার্নাল বা সাময়িকীর সম্পাদকদের জন্য সম্ভাব্য আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে।

ইকোনমিস্ট বলছে, অনেক সময় বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে যেসব উপাত্ত ব্যবহার করা হয়, তা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে না। তখন গবেষকেদের কাছে ওই উপাত্তের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু অনেক সময় তা পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অবশ্য এখন মানসিকতার কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। তারপরও অনেক গবেষক এখনো তাঁদের উপাত্ত উৎসের মালিকানা নিজের বলেই দাবি করে থাকেন। এসব উপাত্ত তাঁরা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে নিজেদের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে দাবি করে থাকেন এবং অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে বিনিময় করতে চান না।

গবেষকেদের এই মনোভাব ‘আত্মকেন্দ্রিক’ বলে মনে হলেও এর কারণ অজানা নয় এবং তা স্বাভাবিক বলেই মনে করা হয়। কিন্তু গবেষণার উপাত্ত নিজের বলে দাবি করার খারাপ দিকও থাকে। অনেক সময় এর মাধ্যমে গুপ্ত উদ্দেশ্য সাধন করা হতে পারে। কোনো গবেষণাপত্রে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়, তা নির্দিষ্ট ও আকাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনের জন্য কারসাজি করা হয়ে থাকতে পারে। অন্য অর্থে বলতে গেলে লেখক বা গবেষক প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারেন। তিনি যদি ওই উপাত্তের প্রকৃত উৎস উন্মুক্ত করে দেন, তবে তাঁর প্রতারণার বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং তিনি প্রতারক হিসেবে ধরা পড়ে যেতে পারেন। তাই তিনি চান, উৎস যেন যেন গোপন থাকে।

তবে সে সুযোগ ভবিষ্যতে আর নাও থাকতে পারে। কারণ, তথ্য গোপন করা কঠিন হবে। বিশেষ করে ডেটা সেটের ক্ষেত্রে পরিচিত সীমার মধ্যে পূর্ণ সংখ্যার কোনো ডেটা সেট হলে তা আরও কঠিন হবে। যেমন মানসিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক প্রশ্নের উত্তর। গবেষক যদি এ ধরনের ডেটা সেটের ক্ষেত্রে প্রতারণার আশ্রয় নেন, সহজেই ধরা পড়ে যাবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শন উইলনার ও তাঁর সহকর্মীরা মিলে বিষয়টির একটি সমাধান বের করেছেন। তাঁরা তৈরি করেছেন বিশেষ ধরনের একটি অ্যালগরিদম। ‘সাইয়্যিভিক প্রিপ্রিন্টস’ নামের একটি গবেষণা নিবন্ধে তাঁরা বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তাঁরা ফলাফল নির্ণায়ক যে অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন, তার নাম দিয়েছেন ‘কমপ্লিট রিকভারি অব ভ্যালুস ইন ডায়োফ্যান্টাইন সিস্টেম বা সংক্ষেপে করভিডস।

গবেষকেরা দাবি করেছেন, কোনো গবেষণার উপাত্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে করভিডস কাজে লাগানো যাবে। যদি কোনো ফল দেখানোর সময় করভিডসে বৈধ ডেটা সেট দেখাতে না পারে, তবে ওই ফলাফল সুস্পষ্টভাবেই সন্দেহজনক বলে ধরতে হবে। যদি তা সুসংগঠিত ডেটা সেট দেখাতে পারে, তবে এটি বিশ্বাসযোগ্য কি না, তা সহজেই বোঝা যাবে।

করভিডসের কৌশল হচ্ছে—এটি গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করে সংখ্যার সব সম্ভাব্য সমন্বয় খুঁজে দেখে। সম্ভাব্য অনিয়ম বের করতে করভিডস সম্ভাব্য ডেটা সেটগুলোকে হিস্টোগ্রামসে রূপান্তর করে এবং ত্রিমাত্রিক চার্ট তৈরি করে। এতে যেকোনো অস্বাভাবিক গঠন দৃশ্যমান হয়। এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহে কোনো পক্ষপাত থাকলে বা উপাত্তে জালিয়াতি থাকলে তা ধরা পড়ে।

যাঁরা একাডেমিক জার্নাল পর্যালোচনা করেন বা সম্পাদনা করেন, তাঁদের কাছে করভিডস আশীর্বাদ হয়ে আসতে পারে। তাঁদের কাছে জমা হওয়া গবেষণাপত্রের সমস্যা শুরুতেই ধরতে পারবেন। এরপর সে সমস্যার বিষয়টি লেখক বা গবেষককে জানিয়ে দিতে পারবেন। এতে প্রতিটি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত উপাত্ত আলাদা করে গ্রহণ করে পরিসংখ্যান বের করার প্রয়োজন হবে না। কোনো অসমাধানযোগ্য সমস্যা থাকলে পদ্ধতিগত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে।

করভিডসের কিছু দুর্বলতাও রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এটি চালানোর জন্য দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

অবশ্য করভিডসে যে ঘাটতি আছে, তা পূরণ করতে ‘স্যাম্পল প্যারামিটার রিকনস্ট্রাকশন ভায়া ইটারেটিভ টেকনিকস’ বা ‘স্প্রাইট’ নামের আরেকটি অ্যালগরিদম রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে নর্থ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস হিদারস ‘পিয়ারজ প্রিপ্রিন্টস’ সাময়িকীতে স্প্রাইট সম্পর্কে বর্ণনা দেন। তাঁর মতে, স্প্রাইট হচ্ছে ‘হিউরিস্টিক সার্চ অ্যালগরিদম’। এর অর্থ হচ্ছে, এ পদ্ধতিতে সব সম্ভাব্য ফলাফল দেখাতে পারে না। তবে এর গতি দ্রুত প্রাথমিক কাজ সারতে পারে। এতে যদি কোনো অদ্ভুত ডেটা পদ্ধতি প্রদর্শিত না হয়, তবে তা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে।

ইকোনমিস্ট বলছে, গবেষণা নিবন্ধের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের অনেক অপদ্ধতিগত প্রতিবেদন ছড়িয়ে পড়েছে। এখন অনেক সহজলভ্য সাজানো গবেষণা হচ্ছে। করভিডস ও স্প্রাইটের মতো অ্যালগরিদম আসার ফলে এ ধরনের ফাঁকিবাজি সহজে ধরা যাবে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা নিবন্ধ বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

41
আপনাকে মুখ ফুটে বলতে হবে না কিছুই। আপনার চিন্তা আরেকজনের মস্তিষ্কে ধরা পড়বে। মস্তিষ্কের সঙ্গে মস্তিষ্কের এ যোগাযোগ টেলিপ্যাথি বলে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকেরা বলছেন, কারও মনের কথা পড়ার বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য হতে পারে। তাঁরা এমন এক সিস্টেম বা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যাতে দুই মস্তিষ্কের ভেতর চিন্তাভাবনা বিনিময় করা যাবে। এ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে ব্রেইন নেট।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেটসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবেষকেরা অবশ্য অনেক দিন ধরেই ব্রেইন নেট উদ্ভাবনে কাজ করছেন। এর আগে ২০১৫ সালে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা একটি গিয়ার তৈরি করেছিলেন, যাকে ব্রেইন নেটের প্রাথমিক পর্যায় বলা যায়। ওই পদ্ধতিতে দুই ব্যক্তির মধ্যে ব্রেইন টু ব্রেইন ইন্টারফেসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব হতো। এ পদ্ধতির উন্নয়নের ফলে এখন ব্রেইন নেট ব্যবহার করে তিনজন ব্রেইন-টু-ব্রেইন নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারেন।

সম্প্রতি ব্রেইন নেট ব্যবহারকারীদের নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। এতে মস্তিষ্কের ভাবনা কাজে লাগিয়ে টেটরিসের মতো গেম খেলেছেন অংশগ্রহণকারীরা। এ নেটওয়ার্কে ইলেকট্রো এনসেফলোগ্রামের সমন্বয় করা হয়, যাতে ইলেকট্রিক্যাল কার্যক্রম রেকর্ড করা হয় এবং ট্রান্সক্রানিয়াল চুম্বকীয় উদ্দীপনার তথ্য পাঠায়।

তবে ব্রেইন নেটের সঙ্গে টেলিপ্যাথির পার্থক্য রয়েছে। টেলিপ্যাথিতে কোনো বাহ্যিক উপাদান লাগে না। কিন্তু ব্রেইন নেটের ক্ষেত্রে বাইরের হস্তক্ষেপ লাগে। এটি একবারে এক বিট তথ্য পাঠাতে হবে। তবে এর আরও উন্নতি করা গেলে একদল মানুষের মধ্যে জটিল ভাবনা পাঠানো যাবে।

এর আগে ২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা শিগগিরই তাঁদের চিন্তাভাবনা বন্ধুদের সঙ্গে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন বলেই মন্তব্য করেছিলেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। তিনি তখন বলেন, যদিও বিষয়টি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির ছবির মতো শোনায়, তবে তা বাস্তব হতে চলেছে।

জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, একদিন আমাদের সব চিন্তাভাবনা প্রযুক্তির সাহায্যে একে অন্যের কাছে সরাসরি স্থানান্তর করতে পারব। কেউ কোনো কিছু চিন্তা করে সেটি শেয়ার করতে চাইলে তাঁর বন্ধুরা সে চিন্তাটির তৎক্ষণাৎ অভিজ্ঞতা লাভ করবে। ভবিষ্যতের যোগাযোগ পদ্ধতি এ রকমই হবে।’

44
Thanks

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 7