Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - farahsharmin

Pages: 1 2 [3] 4 5
31
সুস্থ সুন্দর রোগমুক্ত জীবন আমরা সবাই চাই, আর সুস্থ থাকার সবচেয়ে প্রধান উপায় হল শরীরের কাম্য ওজন বজায় রাখা। ওজন বেড়ে গেলে যেকোনো রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় বাড়তি ওজন অনেককেই মানসিকভাবে অস্বস্তিতে রাখে। তাই মানসিক শান্তি ও রোগের প্রতিরোধে প্রত্যেককেই উচিৎ বয়স ও উচ্চতা অনুসারে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।

ওজন কমাতে অনেকেই অনেক সময় অনেক অস্বাস্থ্যকর পথ বেছে নেয় ফলে ওজন কিছুটা সাময়িকভাবে কমালেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা এখন অনেকেই ওজন কম রাখাকে একটি ফ্যাশন হিসেবে মনে করে থাকে। অথচ এর মূল উদ্দেশ্য হলো সুস্থ-সজীব, কর্মক্ষম থাকা এবং রোগের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা।
 
অল্প খাবার বারে বারে খাওয়া, কিছু ক্যালরিবহুল খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে দেয়া, নিয়মিত হাঁটা, সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ, ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো এবং চিন্তামুক্ত থাকার মাধ্যমে অনায়াসে ওজন কমানো সম্ভব।

ওজন কমাতে হলে আগে অবশ্যই জেনে নেয়া ভালো কি কারণে ওজন বেড়েছে। কেননা কারণ জানতে পারলে আমরা খুব সহজে ওজন কমাতে পারবো এবং তা দীর্ঘস্থায়ীও হবে।

বংশগত কারণ, অধিক খাদ্য গ্রহণ, শারিরীক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করা, হরমোনের সমস্যা, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, দুশ্চিন্তা, খাবারের সঠিক সময় মেনে না চলা। এছাড়াও নানা কারণে ওজন বাড়তে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু পরীক্ষা করে সঠিক ডায়েট মেনে চললে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব।

রক্তে টি এস এইচ, ব্লাড সুগার, লিপিড প্রোফাইল, ক্রিয়েটিনিন, হিমোগ্লোবিন ইত্যাদি পরীক্ষাগুলো করে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য একজন ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিলে এবং তা মেনে চললে আপনি ওজন খুব সহজেই কমাতে পারবেন। তবে ওজন ছাড়াও কারও যদি অন্যান্য রোগ থাকে যেমন ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি, তবে তাদের ক্ষেত্রে আরো কিছু বাড়তি পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।

জেনে রাখুন বন্ধুরা, একটি মাত্র ডায়েট কখনও আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে না। এক্ষেত্রে নিয়মিত ফলোআপ  অনেক জরুরি। সাধারণত প্রতি ২১ দিন থেকে ১ মাস অন্তর অন্তর করে প্রয়োজনীয় ক্যালরি চাট করে ডায়েট মেনে চলতে হয়। এতে আপনার শারীরিক ক্ষতি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা থাকবে না। যেমন চুল পড়া, স্কিন বা ত্বক কুচকে যাওয়া, দূর্বল লাগা, মাথা ঘুরানো ইত্যাদি। তাই ওজন কমানোর জন্য কখনই নিজে নিজের খাবার কমানো বা কোনো ওষুধ খাওয়া  ঠিক না।

 আরও যা মানতে হবে-
- ওজন কমাতে ভালো মতো সকালের নাস্তা খাওয়া খুবই জরুরি।
- খালিপেটে কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিলিয়ে পান করতে পারেন
- ১০.৩০ থেকে ১১টা অর্থাৎ মধ্য সকালে হালকা কোনো খাবার গ্রহণ করুন যেমন ফল/ লেবু দিয়ে রঙ চা/ ডাবের পানি/ শশা/ গ্রিন টি ইত্যাদি।

দুপুরে ১-১.৩০টার মধ্যে মধ্যাহ্ন ভোজ শেষ করুন, মেন্যুতে রাখুন অল্প ভাত বা রুটি/ সালাদ/ শাক/ সবজি/ মাছ।

বিকালে ৪-৫টার মধ্যে আরেকটি খাবার খাবেন, যা খুবই হালকা হবে, যেমন- বাদাম/ গ্রিন টি/ সুগার ছাড়া বিস্কুট/ ফল/ মাঠা ইত্যাদি।

রাতের খাবার অল্প পরিমাণে খাবেন ৮-৮.৩০টার মধ্যে। রুটি/ সবজি/ মুরগি বা মাছ খেতে পারেন।

শোবার আগে টকদই বা ফ্যাট ফ্রি দুধ পান করুন। 

এই খাবারগুলোর পরিমাণ নির্ভর করবে আমাদের ক্যালরি চাহিদার ওপর। সাধারণত ওজন কমাতে ক্যালরি চাহিদা বয়স/ওজন/শ্রম/রোগের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।

তাই ওজন কমাতে অবশ্যই খাওয়া কমানোর আগে জেনে নিন আপনার জন্য কী করণীয়।     

তামান্না চৌধুরী
 ডায়েটেশিয়ান
এ্যাপোলো হসপিটাল

32
Science Discussion Forum / The Surprising Way Coffee Helps You Learn!
« on: January 15, 2017, 01:52:24 PM »
Your daily java fix may be fixing more than you know—in fact, it’s mending broken strands of DNA that are essential to learning. Apparently, each time you learn something new, your brain cells break their DNA, creating damage that the neurons must immediately repair, according to Li-Huei Tsai, PhD, the Picower professor of neuroscience and director of the Picower Institute for Learning and Memory at MIT. But as you age sometimes these repairs don’t take place fast enough, possibly causing memory loss and other forms of cognitive damage like dementia.

“When we are young, our brains create DNA breaks as we learn new things, but our cells are absolutely on top of this and can quickly repair the damage to maintain the functionality of the system,” Dr. Tsai told MIT News. “But during aging, and particularly with some genetic conditions, the efficiency of the DNA repair system is compromised, leading to the accumulation of damage, and in our view this could be very detrimental.”

Turns out sipping a cup of joe may help repair the damage faster. In a March 2016 study in the journal Molecular Nutrition and Food Research, scientists showed that drinking coffee can reduce DNA breakage in as quickly as a two hours. In the study, a team from the University of Kaiserslautern in Germany gave 13 healthy males 200 milliliters of coffee four times over eight hours. Then blood samples were tested to judge their DNA integrity. The samples showed reduction in DNA breakage within two hours of coffee consumption. Within eight hours, there was up to 30 percent more damage reduction than baseline levels before the experiment.

Although the benefit of drinking coffee to protect and repair DNA strands needs further investigation, there are numerous studies that have already proven substantial health benefits from drinking coffee, including fighting type 2 diabetes, liver disease, and breast cancer.

If you like the idea of drinking coffee but it’s too tough on your tummy, there are new options out there, such cold brewed coffee, which has less acid but just as much caffeine. “Cold brewed coffee offers a smoother taste and is 65 percent less acidic than hot brewed coffee, making it a terrific option for both health and for taste,” says Josh Melzer of Epoca International Inc., maker of Primula coffee makers.

It’s still unclear how much coffee you need to drink to reap the memory-improving rewards, but in the meantime, it’s perfectly okay to indulge in several cups a day, as long as it’s not interfering with your sleep. Use these coffee-brewing secrets to make the perfect cuppa every time.

33
রাতের আকাশে যেভাবে মিটমিট করে তারা জ্বলতে থাকে ঠিক তেমনই পৃথিবীর বুকে মিটমিট করে জ্বলতে থাকা ছোট্ট পোকাটির নাম জোনাকি পোকা। শহরের আলোয় এই সুন্দর পোকাটি নজরে না পড়লেও গ্রামে রাতের বেলা অসংখ্য জোনাকি পোকা দেখা যায়। মনে হয় রাতের আকাশের তারা মাঠের ওপর নেমে এসেছে।

জোনাকি পোকা ইংরেজিতে যার নাম ‘ফায়ার ফ্লাই’ এদের জীবনকাল শুধুমাত্র ১ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ একটি জোনাকি পোকা খুব বেশি হলে মাত্র ৩ সপ্তাহ আলো জ্বেলে দিতে পারে পৃথিবীর বুকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই জোনাকি পোকার দেহে আলো জ্বলে কিভাবে? এতো ছোট্ট একটি প্রাণীর দেহে আলোর ব্যবস্থা হয় কিভাবে?

জোনাকি পোকার দেহ থেকে আলো বিচ্ছুরণের মূল মাধ্যম হলো লুসিফারিন (luciferin) নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ। জোনাকি পোকার দেহে এই কেমিক্যালটি উৎপাদন হয়, যা বাতাসের অক্সিজেনের সাথে মিশে আলো তৈরি করে। এর থেকেই আমাদের মনে হয় জোনাকি পোকা আলো বিচ্ছুরণ করে। আমাদের দেশে শুধুমাত্র সবুজ আলোর জোনাকি পোকা দেখা যায়। কিন্তু অন্যান্য অনেক দেশে লাল আলো বিচ্ছুরণকারী জোনাকি পোকারও দেখা মেলে।

34
প্রতিদিনের ধূলাবালি আর ময়লা থেকে নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে থাকি। কিন্তু না জেনেই এ সময়ে আমরা কিছু ভুল করে থাকি। আসুন জেনে নিই ভুলগুলো কী কী।

১. আমরা প্রথমত যে ভুলটি করে থাকি তা ফেসওয়াস ব্যবহারের ক্ষেত্রে নয় ভুল প্রোডাক্ট ক্রয় করে। আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ফেসওয়াসের প্রোডাক্টটি অবশ্যই কেনা উচিত। শুষ্ক ত্বকের জন্য তৈলাক্ত ত্বকে মাখার উপযোগী ফেসওয়াস কিনে লাভ নেই। এতে বরং ত্বকের ক্ষতিই হবে।

২. দ্বিতীয় যে ভুলটি করি তা হল বারবার ব্যবহার করে। আপনার ত্বকে ময়লা জমেছে ভালো কথা। তাই বলে ময়লা ওঠানোর জন্য একই সময়ে বারবার ফেসওয়াস ব্যবহার ত্বকের ময়লা ওঠায় ঠিকই কিন্তু তার চেয়ে বেশি ত্বকের ক্ষতিই করে। কেননা কেমিকেলের তৈরি এই প্রোডাক্টগুলো একই সময়ে একবারের বেশি মাখা একেবারেই উচিত না।

৩. ফেসওয়াস মুখে ব্যবহারের পরে সাধারণত হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা ভালো। এতে মুখের ময়লা দ্রুত পরিস্কার হয়। কিন্তু আমরা তা না করে ঠান্ডা পানি দিয়েই ধুয়ে ফেলি যা একেবারেই উচিত না।

৪. ফেসওয়াস ব্যবহার করার সময়ে যতবেশি ফেনা তোলা যাবে তত যে ভালো তা ঠিক না। বরং বেশি ফেনা তোলা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। কেননা এর ফলে ত্বকে বিভিন্ন র‌্যাশ ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৫. অনেক ফেসওয়াস আছে যেগুলো ত্বকে ঠান্ডাভাব বা জ্বালাপোড়ার ভাব তৈরি করে। এগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এই ধরনের ফেসওয়াশ ব্যবহার না করাই ভালো।

৬. আমরা প্রায়ই মুখ ধুয়ে অমসৃণ একটি তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে থাকি যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এই কাজটি একেবারেই করা উচিত না। মুখ মোছার জন্য হালকা পাতলা কোনো কাপড় ব্যবহার করা উচিত।

৭. মুখ ধোয়ার পরপরই শুষ্ক ক্রিম জাতীয় প্রসাধনী আমরা প্রায়ই মেখে থাকি। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। মুখ ধোয়ার পরপর লোশন জাতীয় কিছু মাখাটা ত্বকের জন্য উপকারী। এতে ত্বকের মসৃণতা নষ্ট হবেনা, ত্বক থাকবে উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত।

35
কম্পিউটার এবং ফোন আমাদের জীবন এতই সহজ করে দিয়েছে যে এসব প্রযুক্তি ছাড়া আমরা একটা দিনও চলতে পারি না। কিন্তু সব ভালো জিনিসেরই রয়েছে খারাপ একটি দিক। আর আপনার শখের গ্যাজেটটিও আপনাকে আহত করার ক্ষমতা রাখে। আপনার প্রিয় মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, কম্পিউটার ইত্যাদি হরেক রকম যন্ত্রগুলো হয়ে উঠতে পারে আপনার বিপদের কারণ। কিন্তু কীভাবে? আসুন, জেনে নিই।

১) বজ্রপাত

একজন মানুষের ওপরে যখন বজ্রপাত হয়, তখন সাধারণত সেই বিদ্যুৎপ্রবাহ শরীরের ওপর দিয়ে যায়, ভেতরে প্রবেশ করে না। একে বলা হয় “ফ্ল্যাশওভার”। কিন্তু হাতে মোবাইল জাতীয় কিছু ধরে থাকলে সেই বিদ্যুৎপ্রবাহ শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। এতে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গ।

২) প্লেস্টেশন র‍্যাশ

প্লেস্টেশনে গেমস খেলার ভক্ত অগণিত। কিন্তু অনেক বেশিক্ষণ ধরে প্লেস্টেশনে গেমস খেলার ফলে সুইজারল্যান্ডের ১২ বছর বয়সী এক মেয়ের হাতের তালুতে দেখা যায় যন্ত্রণাদায়ক ক্ষত। প্লেস্টেশনের নির্মাতারা বলেন যেহেতু মাত্র একজন মানুষের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটেছে তাই চিন্তিত হবার কিছু নেই। তবে যে কোনো কাজই এমন দীর্ঘ সময় ধরে করতে থাকলে তা থেকে তো আহত হবার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

৩) ফটোসেনসিটিভ সিজার

টেলিভিশন, কম্পিউটার বা ভিডিও গেমসের স্ক্রিনে বিশেষ ধরণের আলোর প্যাটার্ন মানুষের মাঝে তৈরি করতে পারে খিঁচুনি বা সিজার, এমনকি জ্ঞান হারানোটাও অস্বাভাবিক নয়।

৪) ব্ল্যাকবেরি থাম্ব এবং আইপ্যাড হ্যান্ড

ব্ল্যাকবেরি এবং আইপ্যাড ব্যবহারকারীরা একই ভঙ্গিমায় হাত নাড়াচাড়া করতে থাকেন বারবার। এর ফলে পেশি এবং স্নায়ুর ক্ষতি হতে হতে একসময়ে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। যেমন কার্পাল টানেল অথবা ট্রিগার ফিঙ্গার। এসব ক্ষেত্রে সার্জারি করে এসব সমস্যার সমাধান করতে হয়।

৫) কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম

দিনের বেলায় দুই ঘণ্টার বেশি কম্পিউটার ব্যবহার করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে বেশ কয়েক ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। মাথাব্যাথা, চোখে ব্যাথা, চোখে ঝাপসা দেখা এবং চোখ শুকিয়ে যাওয়া হলো কিছু সাধারণ উপসর্গ। অনেকের জন্যই এ ব্যাপারটি অস্থায়ী হলেও খুবই বিরক্তিকর হতে পারে।

৬) নকল চার্জার ব্যবহারে মৃত্যু

আমরা যতোই হেলাফেলা করি না কেন, একটি গ্যাজেটের ভেতরে অসম্ভব সূক্ষ্ম সব যন্ত্রপাতি থাকে যা একটু অসাবধানতায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমরা অনেক সময়েই না বুঝে নকল চার্জার ব্যবহার করে থাকি যা এই যন্ত্র নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে আপনার শক লাগতে পারে এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।

৭) টিনিটাস

অনেকটা সময় ধরে যারা মোবাইলে কথা বলতে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে কানে তালা লেগে যাওয়ার ঘটনা খুব বেশি ঘটতে পারে। একে বলা হয়ে থাকে টিনিটাস। তাদের কান ঝাঁ ঝাঁ করতে থাকে এমনিতেই এবং এমন সব শব্দ শুনতে থাকেন যার অস্তিত্ব নেই।

৮) নিঃশব্দ মৃত্যু

যারা নিয়মিত হেডফোন ব্যবহার করেন তাদের জন্য হুঁশিয়ারি। আপনার মৃত্যু হতে পারে যে কোনো সময়। কারণ অনেকেই রাস্তায় চলার সময়ে কানে হেডফোন দিয়ে এতো উঁচু শব্দে গান শুনতে থাকেন যে আশেপাশে দিয়ে চলা গাড়ির শব্দ শুনতে পান না। ফলে এক্সিডেন্ট করে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকটা।

৯) নিনটেন্ডো wii থেকে পাওয়া চোট

এই গ্যাজেটটি দিয়ে খেলার সময়ে স্বাভাবিক খেলার মতই ইনজুরি হতে পারে। বিশেষ করে মাথায় চোট পাওয়া, শোল্ডার ডিসলোকেশন অথবা হাড়গোড় ফ্র্যাকচার হয়ে যাবার মতো ঘটনা দেখতে পাওয়া গেছে।

36
মুসলিমের জন্য রোজা ফরয। রোজা সংযমের। আপনার এই ইবাদত যেন পূর্ণ হয়। সে জন্য কিছু বিষয় এড়িয়ে চলুন। 
১. রমজানকে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠান মনে করা

আমাদের অনেকের কাছে রামাদান তাঁর আধ্যাত্মিকতা হারিয়ে ইবাদাতের বদলে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠানের রূপ লাভ করেছে। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপোস থাকি শুধুমাত্র আমাদের আশেপাশের সবাই রোজা রাখে বলে। আমরা ভুলে যাই যে এই সময়টা আমাদের অন্তর ও আত্মাকে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য।
২. পানাহারের ব্যাপারে অতিমাত্রায় চাপে থাকা

আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে, রামাদান মাসের পুরোটাই খাবার ঘিরে আবর্তিত হয়। সালাত, কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া বদলে আমরা পুরোটা দিন কেবল পরিকল্পনা প্রণয়ন করি রান্নাবান্না, কেনাকাটা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ে চিন্তা করে কাটাই। আমাদের চিন্তা ভাবনার পুরোটা জুড়েই থাকে ‘খাওয়া-দাওয়া’। যার দরূন আমরা উপোস থাকার মাসকে ভোজের মাসে পরিণত করেছি। ইফতারের সময়ে আমাদের টেবিলের অবস্থা দেখার মত!  নানা রকম খাবার, মিষ্টান্ন এবং পানীয দিয়ে পরিপূর্ণ। পক্ষান্তরে, আমরা রামাদানের মুখ্য উদ্দেশ্য ভুলে যাচ্ছি, আর এভাবে আমাদের লোভ আর প্রবৃত্তির অনুসরণ বাড়তে থাকে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষালাভ করার বদলে। এটাও একধরনের অপচয় এবং সীমালঙ্ঘন।

    "তোমরা খাও এবং পান করো, এবং কোনো অবস্থাতেই অপচয় করো না, আল্লাহ্ তাআলা কখনোই অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না ।"

    (সূরা আ’রাফঃ৩১)

৩. সারা দিন রান্না করে কাটানো

 অনেকে প্রায় সারা দিন ও সারা রাত ধরে রান্নাবান্না করতে থাকেন, তার ফলে দিনের শেষে তারা এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েন যে এশার সালাত পড়তে পারেন না, তাহাজ্জুদ কিংবা কুরআন তিলাওয়াত তো দূরে থাক! এই মাস হল মাগফিরাত এবং মুক্তিপ্রাপ্তির মাস। সুতরাং, চলুন নিজেদের ঈমানের প্রতি মনযোগী হই।
৪. মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া

আমাদের কিছুসংখ্যক সেহরীর সময়ে নিজেদেরকে বিস্ফোরিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভরাক্রান্ত করে তুলি, কারণ আমরা মনে করি সারা দিন ক্ষুধার্ত অনুভব না করার এটাই একমাত্র পথ, আর কিছুসংখ্যক রয়েছেন যারা ইফতারের সময় এমনভাবে খান যাতে মনে হয় আগামীকাল বলে কিছুই নেই, সারাদিন না খাওয়ার অভাব একবারেই মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। যাহোক, এটা সম্পূর্ণরূপে সুন্নাহ্ বিরোধী কাজ।পরিমিতিবোধ সব কিছুর চাবিকাঠি।

    রাসূল (সাঃ) বলেছেন “আদম সন্তান তার উদর ব্যতীত আর কোনো পাত্রই এত খারাপভাবে পূর্ণ করে না, আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ সোজা রাখার জন্য এক মুঠো খাবারই যথেষ্ট। যদি তোমাদেরকে উদর পূর্ণ করতেই হয়, এক তৃতীয়াংশ খাবার দ্বারা, এক তৃতীয়াংশ পানি দ্বারা আর অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ বায়ু দ্বারা পূর্ণ করো।”(তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্, আলবানী কর্তৃক সহীহ্কৃত)

৫. সারা দিন ঘুমিয়ে কাটানো

রামাদান মাস হচ্ছে অত্যন্ত মূল্যবান সময়, এতটাই মূল্যবান যে মহান আল্লাহ্ পাক একে ‘আইয়্যামুম মাদুদাত’(একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক দিবস) হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমাদের অনুধাবন করার পূর্বেই এই মাগফিরাত ও মুক্তির মাস শেষ হয়ে যাবে। আমাদেরকে চেষ্টা করা উচিত এই পবিত্র মাসের প্রতিটি মূহুর্ত আল্লাহর ইবাদাতে কাটানোর। যাতে করে আমরা এই মাসের সর্বোচ্চ সওয়াব হাসিল করতে পারি।
৬. রোজা রাখা অথচ খারাপ কাজ বর্জন না করা

আমাদের কিছু সংখ্যক রোজা রাখে কিন্তু তারা মিথ্যাচার, মারামারি, গীবত ইত্যাদি বর্জন করে না এবং কিছুসংখ্যক রোজা রাখার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র পানাহার থেকে বিরত নয় বরং আল্লাহর প্রতি তাকওয়া(পরহেজগারী) অর্জন অনুধাবন না করে রোজা রাখে কিন্তু তারা প্রতারণা, চুরি, হারাম চুক্তি সম্পাদন, লটারির টিকেট ক্রয়, মদ বিক্রি, যিনা ইত্যাদিসহ যাবতীয় অননুমোদিত কর্মকান্ড বর্জন করে না।

    “হে মানুষ, তোমরা যারা ঈমান এনেছো! তোমাদের ওপর সাওম ফরজ করা হয়েছে যেমনটি করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্বপুরূষদের ওপর যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।”(সূরা বাকারাঃ১৮৩)
    রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও এর ওপর আমল করা বর্জন করে না ও মূর্খতা পরিহার করে না, তার পানাহার হতে বিরত থেকে উপবাস করা আল্লাহর নিকট প্রয়োজন নেই।”(বুখারী)। 

৭. ধূমপান

ধূমপান ইসলামে বর্জনীয় সেটা রামাদান মাসেই হোক বা এর বাইরে হোক, কারণ এটা “আল-খাবিছ্’(খারাপ কাজ) ।

    “তাদের জন্য যাবতীয় পাক জিনিসকে হালাল ও নাপাক জিনিসসমূহকে তাদের ওপর হারাম ঘোষণা করে”(সূরাআ’রাফঃ১৫৭)

    এটা শুধু যে ধূমপায়ী তার জন্য ক্ষতিকর- তা নয়, বরং তার আশেপাশে যারা রয়েছে তাদের জন্যও ক্ষতিকর। এটা কারো অর্থ অপচয়ের জন্য একটি মাধ্যমও বটে।


    রাসূল (সাঃ) বলেছেন “কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন করা যাবে না কিংবা ক্ষতিসাধন বিনিময়ও করা যাবে না।”

৮. ইচ্ছাকৃতভাবে সেহরী বাদ দেওয়া

    রাসূল (সাঃ) বলেছেন“সেহরী খাও, কারণ এটার মধ্যে বরকত রয়েছে।”(বুখারী, মুসলিম)

৯. ইমসাক এর সময় সেহরী খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া

কিছু লোক রয়েছে যারা ফজরের ওয়াক্তের ১০-১৫ মিনিট পূর্বে ইমসাক পালনের জন্য সেহরী খাওয়া বন্ধ করে দেয়।

    শেখ ইবনে উছাইমিন বলেছেন “এটা বিদ’আত ছাড়া আর কিছু নয় যার কোন ভিত্তি সুন্নাহে নেই। বরং সুন্নাহ হল তার উল্টোটা করা। আল্লাহ প্রত্যুষের আগ পর্যন্ত আমাদেরকে খেতে অনুমতি প্রদান করেছেনঃ “আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কালো রেখা থেকে স্পষ্ট হয়।”(সূরা বাকারাঃ১৮৭)

    রাসূল (সাঃ) বলেছেন“তোমরা আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না আযানের ধ্বনি শুনতে পাও, কারণ সে প্রত্যূষ না আসা পর্যন্ত আযান দেয় না।”

    এই ইমসাক হচ্ছে কিছু সংখ্যক লোকের দ্বারা পালনকৃত আল্লাহর আদেশের অতিরিক্ত কাজ, তাই এটা ভুয়া। এটা ধর্মের নামে এক ধরনের উগ্রপন্থী আচরণ।

    আর রাসূল (সাঃ) বলেছেন“যারা উগ্রপন্থা অবলম্বন করে তারা ধ্বংস হয়েছে, যারা উগ্রপন্থা অবলম্বন করে তারা ধ্বংস হয়েছে, যারা উগ্রপন্থা অবলম্বন করে তারা ধ্বংস হয়েছে।”(মুসলিম)। 

১০. সেহরী না খাওয়ায় সাওম পালন না করা

আমাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক রয়েছে যারা সাওম পালন করে না এই ভয়ে যে সেহরী খাওয়া হয় নি। যাহোক, এটা এক ধরনের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ভালোবাসা ও কাপুরূষতা। এ আর এমন কি ব্যাপার যে সামান্য কয়েক মুঠো খাবার খাওয়া বাদ হয়ে যায়? এমন না যে এর কারণে আমরা মারা যাব। আমাদের মনে রাখতে হবে যে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য সবকিছুকেই ছাপিয়ে যায়।
১১. ইফতার এবং সেহরির নিয়ত করা

ইফতার এবং সেহরির সময় নিয়ত এর উদ্দ্যেশ্যে মুখ দিয়ে দুয়া উচ্চারণ করা শরীয়ত সম্মত নয়। ইফতার এবং সেহরির যে সকল দুআ আমাদের দেশে প্রতি বছর ইসলামিক ক্যালেন্ডারগুলিতে প্রকাশিত হয় সেগুলো বিদআত। ইফতার অথবা সেহরির জন্য নির্দিষ্ট কোন দুআ সহিহ হাদিস এ নেই। এক্ষেত্রে শুধু মনে মনে নিয়ত করলেই ইনশাআল্লাহ হবে।
১২. রোজা ভাঙতে দেরি করা

আমাদের অনেকেই ইফতারের সময় মাগরিবের আযান শেষ হওয়া পর্যন্ত বসে থাকেন, আযান শেষ হলে রোযা ভাঙেন। সূর্য অস্ত যাবার পর আযান দেওয়ার সাথে সাথে রোযা ভাঙা সুন্নাহ সম্মত।

    আনাস(রাঃ) বলেন,“রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটাই করতেন।(মুসলিম)
১৩. ইফতার বেশি খেতে গিয়ে মাগরিবের নামায জামাআত ধরতে না পারা

আমরা অনেকেই ইফতারিতে এত বেশি খাবার নিয়ে বসি যে সেগুলো শেষ করতে গিয়ে মাগরিবের জামাআত ধরতে পারিনা। এটা একেবারেই অনুচিত। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েক টুকরা খেজুর মুখে দিয়ে ইফতার ভেঙে অতঃপর মাগরিবের নামাজ এর জন্য চলে যেতেন। নামাজ শেষ করে এসে আমরা ফিরে এসে ইচ্ছা করলে আরও কিছু খেতে পারি।
১৪. আমাদের দুআ কবুল হওয়ার সুযোগ ছেড়ে দেওয়া

সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির দুআ রোযা ভাঙার সময় আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে থাকে। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেন,“তিন ধরনের ব্যক্তির দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয়না- ১)একজন পিতার দুয়া, ২)রোজাদার ব্যক্তির দুয়া, ৩)মুসাফিরের নামাজ”।(বায়হাকি)আমরা এই সময়ে দুআ না করে বরং খাবার পরিবেশন,কথাবার্তা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমাদের চিন্তা করা উচিৎ কোনটা আমাদের দরকার- খাবার নাকি দুআ কবুল হওয়া ?
১৫. রোজা রাখা অথচ নামাজ না পরা

সিয়াম পালনকারী কোন ব্যক্তি নামাজ না পরলে তার সিয়াম কবুল হয়না।

     রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন,“সালাত(নামাজ) হচ্ছে ঈমান এবং কুফর এর পার্থক্যকারী”(মুসলিম)। আসলে শুধু সিয়াম নয়,সালাত(নামাজ) না পরলে কোন ইবাদতই কবুল হয়না।

১৬. রোজা রাখা অথচ হিজাব না পরা

মুসলিম নারীদের জন্য হিজাব না পরা কবীরা গুনাহ।

     “হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের বুকের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।”(আল-আহযাবঃ ৫৯)।

১৭. পরীক্ষা কিংবা কর্মব্যস্ততার জন্য রোজা না রাখা

পরীক্ষা কিংবা কর্মব্যস্ততার কারণে রোজা না রাখা শরীয়ত সম্মত নয়। সকালে পড়ালেখা করতে কষ্ট হলে রাতে করার সময় থাকে। আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার চেয়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। পড়ালেখা করার মধ্যে দিয়েও যদি আমরা সঠিকভাবে যদি আমরা রোযা রাখার মত ফরয কাজগুলো করার চেষ্টা করি, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের জন্য তা সহজ করে দিবেন এবং আমাদের সাহায্য করবেন।

    “আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।”(আত-তালাকঃ ২-৩)।

১৮. স্বাস্থ্য কমানোর উদ্দ্যেশ্যে রোজা রাখা

স্বাস্থ্য কমানোর জন্য রোযা রাখা উচিত নয়। এটি অন্যতম একটি বড় ভুল যা আমরা করে থাকি। সিয়াম পালন করার একমাত্র উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। যদি স্বাস্থ্য কমানোর উদ্দ্যেশ্যে কেউ রোযা রাখে তাহলে তা শিরকের আকার ধারন করতে পারে।
১৯. তারাবীর নামাযের রাকাআত সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ

তারাবীর নামাযের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যক রাকাআত নেই। আট এবং বিশ রাকাআত-এ দুটোই শরীয়ত সম্মত। শেখ ইবনে উথাইমিন বলেন,“এগারো কিংবা তেইশ রাকাআতের কোনটিকে নির্দিষ্ট করে অপরটি বাতিল করা অনুচিত।
২০. নির্দিষ্টভাবে শুধু ২৭ রমযানের রাতকে লাইলাতুল ক্বাদর মনে করে ইবাদত করা

আমরা অনেকেই কেবল ২৭ রমযান রাতে লাইলাতুল ক্বাদর পাওয়ার জন্য ইবাদত করে থাকি,কিন্তু অন্যান্য বিজোড় রাতগুলিকে প্রাধান্য দেইনা।

     রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন,“রমযানের শেষ দশ রাত্রির বিজোড় রাতগুলিতে লাইলাতুল ক্বাদর তালাশ কর।”(বুখারি ও মুসলিম)।

২১. ঈদের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে রমযানের শেষাংশ অবহেলায় পালন করা

আমরা অনেকেই ঈদের প্রস্তুতি(নতুন কাপড় কেনা,খাবারের আয়োজন করা,মার্কেটে ঘোরাঘুরি করা)নিতে গিয়ে রমযানের শেষ দশ দিন অবহেলায় পালন করি।

    আয়শা (রাঃ)হতে বর্ণিত,“যখন রমযানের শেষ দশক শুরু হত রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবাদতে ব্যস্ত থাকতেন,স্ত্রীদের সাথে অন্তরঙ্গ হওয়া থেকে বিরত থাকতেন),রাত্রি জাগরণ করতেন।”(বুখারী,মুসলিম)।

২২. ইফতার পার্টির আয়োজন করা

যদিও অপরকে ইফতারি করানোতে সওয়াব আছে এবং এ কাজে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে, তথাপি আমাদের অনেকেই মুখরোচক ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকেন, আগমন থেকে শুরু করে অশ্লীল নাচ-গান, নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশা,তারাবিহ এর নামাজ ছেঁড়ে দেওয়া- এ সবই হয়ে থাকে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে ইসলামে নিষিদ্ধ।

37
এই রোদ এই বৃষ্টি। সময়টাই যেন এমন। সঙ্গে রয়েছে ভাপসা গরম। আবহাওয়ার এমন আচরণে চলতি পথে পড়তে হয় বিপাকে। ধরুন, সকালে দেখলেন রোদের ঝিলিক, মাঝপথে বৃষ্টি। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই নিজেকে বাঁচানোর। শুধু পোশাক বাঁচালেই তো হবে না, সঙ্গে থাকা ব্যাগটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিদিনের দরকারি জিনিসপত্র। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কাগজও থাকে। তাই তো এ সময় নিজের থেকে ব্যাগ বাঁচানোই বেশি জরুরি হয়ে পড়ে। আর পোশাক বাছাইয়ের বেলাতেও সচেতনতা প্রয়োজন। বিশেষ করে তরুণদের। পথেঘাটে তারাই বেশি বিপত্তিতে পড়ে। রিকশায়, বাসে কিংবা হেঁটে চলাচল করতে হয়। রোদ-বৃষ্টি থেকে নিজেকে সব রকমে বাঁচাতে চাই পূর্বপ্রস্তুতি।
এ সময় পোশাক চিন্তাভাবনা করে পরা উচিত। কেননা বৃষ্টির পাশাপাশি গরমও থাকে। সে কারণে সুতির কাপড় পরা ভালো। তাতে করে গরম কম লাগবে। হালকা আকাশি, হালকা গোলাপি, হালকা হলুদ রঙের পোশাক পরতে পারেন। তবে পাজামা বা সালোয়ারটা গাঢ় রঙের হলে ভালো হয়। কাদা-পানি ছিটকে এলেও সহজে বোঝা যাবে না। মেয়েরা ফতুয়াও পরতে পারেন। কিন্তু জিনসের সঙ্গে না পরাই ভালো। জিনস ভিজলে ভারী হয়ে যায়। ফলে হাঁটাচলায় অসুবিধা হতে পারে। বেড়াতে যাওয়ার সময় ফতুয়া-ক্যাপ্রিও পরতে পারেন। তবে পোশাকটি যেন আরামদায়ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে স্কার্ট পরতে পছন্দ করেন। হাল ফ্যাশনের স্কার্টগুলো লম্বাই হয়। সে ক্ষেত্রে রাস্তাঘাটে কাদাপানিতে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের পোশাক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। বললেন নগরদোলার হেড অব অপারেশনস আলী আফজাল।
নিত্য উপহারের স্বত্বাধিকারী বাহার রহমান মনে করেন, টি-শার্ট, ফতুয়া এ সময় তরুণদের জন্য উপযুক্ত পোশাক। বৃষ্টির দিনে গাঢ় রংকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ভেজা শরীরের সঙ্গে পোশাক এঁটে থাকলেও খারাপ দেখাবে না। যে ধরনের প্যান্টে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তাই পরতে পারেন। তবে গ্যাবার্ডিন কাপড়ের প্যান্ট, ট্রাউজার পরা যেতে পারে। জিনস এড়িয়ে যাওয়াই ভালো, বৃষ্টির দিনে শুকানোর ঝামেলা থাকে। খেয়াল রাখবেন, পোশাকটির রং পাকা কি না। তা না হলে বৃষ্টির পানিতে পোশাকের রং মিশে একাকার হয়ে যাবে। টি-শার্ট, ফতুয়া হাতাকাটা শার্ট অবশ্যই যেন সুতির হয়। নিচটা আর কাদা থেকে বাঁচতে প্যান্টের নিচটা একটু গুটিয়ে পরা উচিত। আবহাওয়া যেমনই থাকুক, ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ব্যাগটি দেখে নিন।
‘এ সময়ের প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক জিনিস নিতে ভুলবেন না। ব্যাগে অবশ্যই ছাতা কিংবা বর্ষাতি, ছোট তোয়ালে, চিরুনি ও প্লাস্টিকের বাড়তি ব্যাগ রাখবেন।’ বললেন কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান। এ সময় পানিরোধক ব্যাগ ব্যবহার করাই ভালো। রেকসিন, ছাতার কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চামড়ার ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত নয়। এ সময়টাতে সাজসজ্জায়ও সচেতন হতে হবে। মেয়েরা চুল পনিটেইল, ফ্রেঞ্চ বেণি কিংবা খোঁপা করতে পারেন। চুলটা যেন খোলা না থাকে। বৃষ্টিতে চুল ভিজলে বাসায় ফিরে অবশ্যই ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। গরমও বেশ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজপড়ুয়াদের মেকআপ করার প্রয়োজন নেই। সকালে ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালে ব্রন ওঠার প্রবণতা দেখা যায় অনেকের মধ্যে। তারা মেডিকেটেড সানস্ক্রিন লোশন বা স্ক্রিম ব্যবহার করবেন। কাজল, আই লাইনার, মাশকারা অবশ্যই পানিরোধক হতে হবে। সানস্ক্রিন দেওয়ার ১৫ মিনিট পরে প্রেসড পাউডার ব্যবহার করতে হবে। আসল কথা, এ সময়টাতে হালকা সাজ তরুণীদের জন্য মানানসই। যখনই বের হোন না কেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আলাদা প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখে দিন। ক্যালকুলেটর কিংবা মোবাইল ফোন রাখার জন্য পানিরোধক মোড়ক আগেই কিনে রাখুন।
রাস্তায় অনেক সময় ছাতা নিয়ে চলাচলে অসুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে রেইনকোট কিনে নিতে পারেন। এতে করে পুরো শরীর এমনকি সঙ্গে থাকা ব্যাগটিও বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবে। কাদা ছিটকে এসে পোশাক নষ্ট হওয়ার ভয়ও থাকে না। নিউমার্কেটের রহিম জেনারেল স্টোরের আবদুর রহিম বলেন, পানিরোধক নানা মোড়ক পাওয়া যায়। এসব কিনলে বইখাতা, কাগজ, মোবাইল ফোন ও ক্যালকুলেটর পানি থেকে বাঁচানো যাবে। রেইনকোটের ক্ষেত্রে ছাতার কাপড়েরটা কেনা ভালো। কিন্তু পায়ে স্যান্ডেলটা কী পরবেন, তা নিয়েও তো কম ঝক্কি পোহাতে হয় না। এ বিষয়ে গ্যালারি অ্যাপেক্সের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ সময় প্লাস্টিক, পিভিসির পানিরোধক স্যান্ডেল পরা উচিত। একদম চটি না পরে হালকা উঁচু স্যান্ডেলই ভালো। এতে করে কাদা-ময়লা পানি পায়ের ভেতরে ঢুকবে না। চামড়া, রেকসিনের তৈরি স্যান্ডেল, জুতো এড়িয়ে যাওয়া ভালো। ছেলেরা প্লাস্টিকের জুতো পরতে পারেন। একটু খোলা স্যান্ডেল পরুন, যাতে বাতাস ঢুকতে পারে। ব্যস, আপনার প্রস্তুতি শেষ। এবার নির্ভাবনায়, নিশ্চিন্তে বেরিয়ে পড়ুন। তারুণ্যের চিরচেনা রূপে মাতিয়ে তুলুন চারপাশ।

38
Faculty Sections / তেলে তাজা
« on: July 06, 2014, 02:01:43 PM »
জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা—এ প্রবাদ তো সবারই জানা। এবার এর সঙ্গে যোগ করুন আপনার ত্বকও। শুধু চুল আর ত্বকই নয়, তেলে কিন্তু মনও থাকে তাজা। তেলের হরেক রকম ব্যবহার আর গুণাগুণ নিয়ে বলেছেন হারমনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
সুপ্রাচীনকাল থেকে এর বহুল ব্যবহার ছিল। সচেতন মানুষের শরীরের সুস্থতাও। প্রচলিত নারকেল তেল, সয়াবিন তেল, জলপাই তেল, সরিষার তেলের পাশাপাশি এখন যোগ হয়েছে সূর্যমুখীর তেল, তিলের তেল, নিম তেল, তিসির তেল, ভুট্টার তেল। এসব তেলের সঙ্গে আবার ফুল, লতাপাতার মূলের নির্যাস যোগ করে সুগন্ধিযুক্ত উপকারী তেলের ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে।

নারকেল তেল
সৌন্দর্যচর্চায় বিশেষ করে চুলের যত্নে যুগে যুগে সেরা হিসেবে খ্যাত নারকেল তেল। চুল পড়া বন্ধ করে, চুলের গোড়া শক্ত করে এই তেল। এ ছাড়া ত্বকে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়।

সরিষা তেল
সরিষার তেল ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে পারে। শীতে ফাটা ত্বকে এর মালিশ খুব উপকারী। শিশুর ত্বকেও খাঁটি সরিষার তেলের ম্যাসাজ অন্য রাসায়নিকযুক্ত তেলের তুলনায় নিরাপদ। ঠান্ডার সময় উষ্ণতাও দেয় এই তেল। ঠান্ডা, কফ, মাথাব্যথা—এসব কমাতে সরিষার তেলের ম্যাসাজ উপকারী।

তিলের তেল
ছোট ছোট সাদা ফুল থেকে হয় কালচে তিলের দানা। এ দানার গুণাগুণের শেষ নেই। এ থেকে হয় তিলের তেল। তিলের তেলের ব্যবহারে ত্বক হয় সজীব। যাঁদের ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে, তাঁদের ওই পোড়া দাগ দূর করতে পারেন এ তেল ম্যাসাজের মাধ্যমে। এই তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়। মাথাও ঠান্ডা থাকে। শীতের সময় রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য কর্পূর তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে উষ্ণতা পাওয়া যায়। তিলের তেল চুলের খুশকিও দূর করে। এ জন্য সপ্তাহে একবার নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন।

তিসির তেল
ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন তিসির তেল। এতে ত্বকের ভাঁজগুলো ধীরে ধীরে কমে যায়। তিসির তেল খেতেও পারেন। এতে মেধা বাড়ে। চোখের দৃষ্টির জন্যও ভালো।

জলপাই তেল
যাঁদের কোলস্টেরলের মাত্রাটা বেশি, তাঁদের জন্য জলপাই তেলের কোনো বিকল্প নেই। এ তেলের রান্না যেমন ভালো, ত্বকে এর ব্যবহারও উপকারী। যাঁদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নির্দ্বিধায় এ তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। শিশুর ত্বকেও নিরাপদ। জলপাই তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্যও উপকারী।

বাদাম তেল
পুষ্টি আর শক্তি—এ দুটো একসঙ্গে পেতে বেছে নিতে পারেন আমন্ড বাদাম তেল। চেহারায় লাবণ্য ছড়ায় এ তেল। মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে। চিনাবাদামের তেল খেতেও পারেন বিস্কিট বা কেকের সঙ্গে বেক করে।

সূর্যমুখী তেল
এই তেলের সুবিধা হলো, ত্বকে ব্যবহার করলে কোনো অস্বস্তিকর তেলতেলে অনুভূতি হয় না। বরং বেশ ভালো বোধ হয়। ত্বক সজীব ও লাবণ্যময় করতে সূর্যমুখীর তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।

নিম তেল
যাঁদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে দুই দিন। দু-এক ফোঁটা নিম তেল খেতেও পারেন প্রতিদিন।

এসেনশিয়াল অয়েল
তেলের ব্যবহার শুধু খাওয়া আর রূপচর্চায় সীমাবদ্ধ নেই। এখন মনকে প্রফুল্ল করতেও তেলের ব্যবহার দেখা যায়। রাহিমা সুলতানা বলেন, তেলের সঙ্গে বিভিন্ন গাছের ফুল, লতাপাতা, মূলের নির্যাস মিশিয়ে এখন তৈরি করা হচ্ছে এসেনশিয়াল অয়েল। সুগন্ধির পাশাপাশি বেশ উপকারীও এটি। আমরা তেলের সঙ্গে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান ও সুগন্ধি যোগ করে পেতে পারি সজীবতা ও সতেজতা। যেমন:
 লবঙ্গ, রোজমেরি, লেবু একসঙ্গে তেলে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে সতেজ হওয়া যায়।
 জায়ফল, কমলা, ভ্যানিলা একসঙ্গে তেলে মিশিয়ে ম্যাসাজ করে আপনার স্নায়ুবিক চাপ কমিয়ে ফেলতে পারেন।
 ক্যামোমাইল, ল্যাভেন্ডার, গোলাপের নির্যাস তেলে মিশিয়ে শরীরের আবর্জনা দূর করুন।
 ত্বকের উজ্জ্বলতা আনতে তেলে লেবুর নির্যাস ও জেসমিন যোগ করে ম্যাসাজ করতে পারেন।
নানারকম এসেনশিয়াল অয়েল পাবেন যেকোনো সুগন্ধির দোকানেই। এছাড়া নানা বিউটি পার্লারেও এসব তেল কিনতে পাওয়া যায়।

39
যে রাঁধতে জানে, সে নাকি চুলও ভালো বাঁধতে জানে। কিন্তু যাঁদের ঘর, অফিস দুটিই সামলাতে হয়, তাঁরা তাঁদের বেয়াড়া চুলগুলোকে কীভাবে সামলান বলুন তো?
সামিয়া আফরিন, টপ অব মাইন্ড অ্যাডভারটাইজিং ফার্মের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর। পাশাপাশি করেন উপস্থাপনা। ঘর সামলিয়ে সকালে ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছাতে রোজই কাঠখড় পোহাতে হয়। চুলের দিকে আলাদা করে নজর দেওয়ার সময় হয় না তাঁর। তাই চুলটাকে সুন্দর একটা কাট দিয়ে নেন কয়েক দিন পরপর। ছোট চুলে লেয়ার কাটে খোলাই রাখেন তিনি। খুব কম সময়ই চুল বাঁধেন।
আপনাকেও যদি রোজ কর্মক্ষেত্রে ছুটতে হয়, তবে খুব কম সময়ে চুল সাজানোর কিছু সহজ টিপস মাথায় রেখে দিতে পারেন। হোটেল ওয়েস্টিন ঢাকার স্পা ম্যানেজার নাজমুন নাহার বলেন, সকালে অফিসে যাওয়ার আগে চুলের জন্য কিন্তু খুব বেশি সময় দেওয়ার দরকার নেই। চুলটাকে আপনার চেহারার আকার ও ধরন অনুযায়ী সুন্দর একটা কাট দিয়ে নিলে আপনার ব্যস্ত সময়ের অনেকটাই বেঁচে যায়।
 প্রায় সবাইকে লেয়ার কাটে মানিয়ে যায়। আপনার পছন্দ অনুযায়ী বড়-ছোট কাট দিতে পারেন। এই কাট রেখে চুলকে ব্লোড্রাই করে নিচের দিকে হালকা কোঁকড়াভাব আনতে পারেন। ভলিউম কাটের সঙ্গেও এভাবে খোলা রাখতে পারেন চুল। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে বেশ ভালোই মানিয়ে যাবে আপনাকে।
 যাঁদের চুলে ব্যাংগস কাট, তাঁরা সামনের দিকে কয়েকটি চুল ছড়িয়ে দিন। পেছনের দিকের চুলটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে করে নিন একটা আলতো খোঁপা। কিছুটা চুল এর নিচে ছেড়ে রাখলেও ক্ষতি নেই।
 অফিসে ফতুয়া পরলে উঁচু করে পনিটেইল করে নিতে পারেন। তারপর পনিটেইল থেকে চুল নিয়ে দুটি বেণি করে কান বরাবর এনে ক্লিপে আটকে নিন।
 করপোরেট লুক আনতে চুলে করতে পারেন নিচু করে পনিটেইল। একপাশে সিঁথি করে পুরো চুলটাকে চ্যাপটা করে করে নিতে পারেন পনিটেইল, তার পেছনে সুন্দর একটা ঝুঁটি।
এ তো গেল সকালের চুলের সাজ। এবার বাইরে বের হওয়ার পালা। বাইরে বের হওয়ার আগে চুলে রোদ প্রতিরোধক স্প্রে বা জেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন কিউবেলার কর্ণধার ও রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান। ব্যাগে রেখে দিন একটি চিরুনি। চিরুনি যেন একটু মোটা ও কোমল দাঁতের হয়। ধুলাবালি, রোদ আর ঘামে চুল প্রতিদিনই নিষ্প্রাণ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোজ শ্যাম্পু করলেও ক্ষতি নেই। তবে বাজার থেকে শ্যাম্পু কেনার সময় রেগুলার শ্যাম্পুগুলো কিনে নেবেন খেয়াল করে। যাঁদের চুল বেশি শুষ্ক, তাঁরা রাতে তেল গরম করে মাথায় লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নিন ১০ মিনিট। সকালে শ্যাম্পু করে নিন। ছুটির দিনে একটু সময় বের করে নিন চুলের যত্নে। সপ্তাহে একদিন চুলে লাগিয়ে নিন একটা প্রোটিন প্যাক।
 টক দই ও ডিম একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে নিন।
 তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি খুশকি দূর করতেও কার্যকরী।
 যাঁদের চুল বেশি শুষ্ক, তাঁরা পাকা কলা পেস্ট করে চুলে লাগালে উপকার পাবেন।
 সম্ভব হলে প্রতি মাসে একবার পারলারে গিয়ে একটি হেয়ার স্পাও করিয়ে নিতে পারেন।

40
Faculty Sections / কাজ শেষে সাজ
« on: July 06, 2014, 01:59:54 PM »
সকালে অফিস। বিকেলে অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ। কাজের চাপে দিন শেষে চোখেমুখে ক্লান্তি। কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। তাই বলে কি নিমন্ত্রণে যাওয়া বাদ দিয়ে দেবেন? কিন্তু এমন চেহারা নিয়ে যাবেনই বা কী করে। এমন সমস্যার সমাধান দিয়েছেন হারমনি স্পার রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। তিনি বলেন, কর্মজীবীদের প্রায়ই এমন সমস্যায় পড়তে হয়। অফিসের কোনো অনুষ্ঠান বা পারিবারিক নিমন্ত্রণ লেগেই থাকে। পরিপাটি সাজ না থাকায় এমন অনুষ্ঠানে যেতে আপত্তিও থাকে কারও কারও। ক্যাজুয়ালভাবেও তো যাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে প্রথমে বুঝতে হবে, কী ধরনের অনুষ্ঠান। আর নিজের সম্পর্কে থাকতে হবে স্বচ্ছ ধারণা। কোন ধরনের পোশাক পরলে মানাবে, কোন ধরনের মেকআপ আপনার ত্বকের উপযোগী—সেটি বুঝে নিন। বিকেলে নিমন্ত্রণের জন্য তো সকালে সাজসজ্জা করে অফিসে যাওয়া যায় না। আবার পার্টিতে যাবার আগে সাজবেন বলে সারা দিন পরিপাটি থাকবেন না, সেটিও মেনে নেওয়া যায় না। সে জন্য সকাল থেকেই আপনাকে এক ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে খুব ভারী বা জমকালো মেকআপ হলে চেহারায় এক ধরনের কৃত্রিমতা চলে আসে। সকাল বা সন্ধ্যা সময়টা যখনই হোক না কেন, ন্যাচারাল মেকআপ সব পরিবেশে মানানসই।
আপনার প্রয়োজনীয় সাজের সামগ্রী যেমন—কাজল, আইলাইনার, মাশকারা, আইশ্যাডো, লিপস্টিক, লিপলাইনার, লিপগ্লস, কনসিলার, ব্লাশন, ব্রোঞ্জার ও ফাউন্ডেশন সঙ্গে রাখতে হবে। এসব রাখার জন্য আলাদা ব্যাগ বা পাউচ পাওয়া যায়। বড় ব্যাগের মধ্যে একটি সব সময় রেখে দেবেন। তাহলে আপনাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না। এ ছাড়া সুগন্ধি, আয়না ও চিরুনি রাখতে ভুলবেন না। এমন ধরনের পোশাক বেছে নিন, যা আরামদায়ক। কেননা সারা দিন অফিসে এই পোশাক পরেই কাটাতে হবে। যাঁরা সালোয়ার-কামিজ পরেন, কোনো অনুষ্ঠান থাকলে শাড়ি পরতে পারেন। জামদানি, শিফন অথবা মসলিন বেছে নিতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নিন। এতে আপনার শরীর ও মন দুই-ই সতেজ থাকবে। সারা শরীরে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন বা কনসিলার ভালোভাবে মুখে মাখিয়ে নিন। এরপর হালকা করে একটু প্রেসড পাউডার ব্যবহার করুন। চোখের ওপরে ধূসর বা বাদামি অর্থাৎ হালকা রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতে হবে। আর কাজল চোখের বাইরে না লাগিয়ে ভেতর দিয়ে লাগালে ছড়িয়ে পড়বে না। হালকা কোনো লিপগ্লস বা লিপস্টিক ব্যবহার করুন ঠোঁটে। যেহেতু এখন গরম পড়েছে, তাই ম্যাট ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার করা ভালো। এভাবে বেরিয়ে পড়ুন অফিসের উদ্দেশে।
কর্মব্যস্ত দিনের শেষে নিজেকে আবার একটু গুছিয়ে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার না করে ফেসিয়াল ওয়াইপস দিয়ে মুখ মুছে নিন। পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে সকালের পুরো মেকআপ তুলতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ। তাই ওয়েট টিস্যু বা ফেসিয়াল ওয়াইপস ব্যবহার করুন। এরপর নিজের ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কনসিলার বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে অথবা কালো ও নীল আইশ্যাডো মিশিয়ে স্মোকি করতে পারেন চোখের সাজটা। চোখের নিচের পাতার বাইরে দিয়ে গাঢ় করে কাজল আঁকতে হবে। ওপরের পাতায় আইলাইনার আর মাশকারা দিয়ে নিন। ঠোঁটে গাঢ় বা হালকা রঙের লিপস্টিকের ওপরে শাইনি লিপগ্লস ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট আগে এঁকে নিতে হবে। তাহলে লিপস্টিক ছড়িয়ে পড়বে না। রাতের অনুষ্ঠানের জন্য একটু গাঢ় রঙের ব্লাশন ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর সারা মুখে ও চিবুকে সামান্য পরিমাণে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করুন। এতে আপনার চেহারার ক্লান্তি ঢেকে উজ্জ্বলতা ফুটে উঠবে।
এবার আসা যাক চুলের সাজে। চুল ছেড়ে দিতে পারেন। এলোমেলো হয়ে থাকলে হালকা পানি দিয়ে চুলটাকে সেট করে নিন। খোঁপাও করতে পারেন। সবশেষে প্রিয় সুগন্ধির ছোঁয়া নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।

41
রেহানা পারভীনের ছেলের বয়স পাঁচ। ছেলেকে নিয়েই নিয়মিত বাজারে যেতে হয় তাকে। ছেলে মারুফের পছন্দের খাবার মাছ। কিš‘ রেহানা মাছ নিয়ে আতঙ্কে ভুগেন। কারণ ঢাকা শহরের মাছে ফরমালিন দেয়া। এ মাছ খেলে অসুখ নিশ্চিত। একই মত রাজধানীর শান্তিনগরে বাজার করতে আসা অন্যান্য গৃহিণীদের।

কেবল শান্তিনগর নয় হাতিরপুল, গুলশান, বনানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে ফরমালিন আতঙ্কের কথা জানা গেল। রাজধানীর ব্যস্ত কাঁচা বাজার হাতিরপুলে সন্ধ্যায় সবজি কিনছিলেন অফিস ফেরত আয়েশা খানম। তিনি বললেন, ‘সবজি বা ফল না যেন বিষ কিনছি। বেশ সন্দেহ নিয়ে এসব সবজি বা ফল কিনি। কী করবো ছেলে মেয়েরা খেতে চায়। ওদের শরীরের জন্যই দরকার। কিন্তু পুষ্টি নিশ্চিত করার নামে অসুখ দিচ্ছি না তো?

এখন এসব বাজারে কেনার আগে বা পরে বোঝার কোনো উপায় নেই ওই সবজি বা ফলে ফরমালিন আছে কিনা।’ একই কথা বলেন মাছ কিনতে আসা রেহানা পারভীন। তিনি বলেন, ‘কেবল যে বড় বড় মাছে ফরমালিন থাকে তা না ছোট মাছগুলোও ফরমালিন মুক্ত নয়। আরও আতঙ্কের কারণ হচ্ছে, সম্প্রতি কারওয়ান বাজারে ফরমালিন বিরোধী অভিযানের মাধ্যমে বড় ড্রাম ভর্তি ফরমালিন মেশানো পানি জব্দ করা হয়েছে। যেখানে কাচকি মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছিল।

বর্ণহীন ফরমালডিহাইড গ্যাসের দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ফরমালিন অতিমাত্রায় বিষাক্ত একটি জৈব যৌগ। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। জৈব পদার্থ সংরক্ষণে ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে দ্রুত পচন রোধে ফরমালিন ব্যবহার করা হয়।

সরকারের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর গবেষণায় দেখা গেছে বাজারে প্রাপ্ত মাছে ১% থেকে ৫% মাত্রায় ফরমালিন পাওয়া যায়। বাজারে প্রাপ্ত ফরমালিনের তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ কমাতে এ এ মাত্রায় ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। ১% ব্যবহার করলে মাছের পচন রোধ হয়না বললেই ৫% পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়।
সরকারের মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, ফরমালিন কেবল খেলেই নয় গন্ধেও মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট জনিত অসুখ হতে পারে। ফরমালিনজনিত শ্বাসকষ্টে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এটি একটি ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান। ফরমালিনযুক্ত মাছ খেলে পাকস্থলি, ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে ক্যানসার হতে পারে।

বাজারের ক্রেতাদের মূল সমস্যা হচ্ছে কোনো মাছ, ফল এবং সবজিতে ফরমালিন আছে তা বুঝতে পারছে না। মৎস্য মন্ত্রনালয় ‘ফরমালডিহাইড মনিটর’ নামের একটি যন্ত্র ব্যবহার করে সীমিত স্তরে ফরমালিন পরীক্ষা করছে। তবে তা দিয়ে অন্তত রাজধানীর সমস্ত বাজার ফরমালিনমুক্ত করা কঠিন। তবে এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে রাজধানীর সুপার শপগুলো।

সুপারশপেই এখন পাওয়া যাচ্ছে ‘ফরমালডিহাইড মনিটর’। দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন স্বপ্ন তাদের আউটলেটগুলোতে এ যন্ত্র ব্যবহার করছে। সারি সারি সাজানো মাছ, ফল এবং সবজি কেনার আগে ক্রেতা নিজেই যন্ত্রটি দিয়ে এসব পণ্যে ফরমালিন আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে পারছেন। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের বাড়তি কোনো খরচ করতে হচ্ছে না। যার ফলে নিজেরা ফিরে পাচ্ছেন আত্মবিশ্বাস।

এ ফরমালডিহাইড মনিটর মিটারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট মাছ, ফল বা সবজি পরীক্ষা করলে খুব সহজেই ফরমালিনের উপস্থিতি এবং মাত্রা সম্পর্কে জানা যাবে। খুবই সহজবোধ্য এ যন্ত্রটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফরমালিন সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছে। এ ব্যাপারে স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্বপ্ন সবসময়ই ফরমালিনের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
 
ফরমালিনমুক্ত পণ্য সরবরাহে আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা নিয়ে থাকি। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই নতুন সংযোজন ফরমালিন কিট দিয়ে মাছ, ফল এবং সবজি পরীক্ষা করা। যেন ক্রেতা পণ্য কিনে নিশ্চিত মনে তা খেতে পারেন।’   

42
Faculty Sections / অন্দরে ঈদ
« on: July 03, 2014, 01:42:06 PM »
ঈদ এলে অন্দরেও পড়ে যায় সাজ সাজ রব। অতিথি আপ্যায়নে ঘরের সাজের দিকেও থাকে কড়া নজর। তবে এ জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে ঈদের তিন-চার দিন আগ থেকেই।

অন্দরের বিন্যাস
‘ঈদ উৎসব উপলক্ষে মানুষ নতুনত্বের আয়োজনে ঘরের পুনর্বিন্যাস করে থাকে। যদি কেউ ঘরের পুনর্বিন্যাস করতে চায়, তাকে ভারসাম্য, ছন্দ, প্রাধান্য, মিল, অনুপাত—এই পাঁচটি বিষয়ের দিকে লক্ষ রেখেই ঘরের আসবাব পুনর্বিন্যাস করতে হবে। এমনভাবে আসবাব গুছিয়ে রাখতে হবে, যেন ঘরের চারপাশের সৌন্দর্য মানুষের দষ্টি আকর্ষণ করে।’ ঈদের অন্দর মহলের পরিচর্যা নিয়ে বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া।
 ঈদের সময় শুধু আসবাবের স্থান পরিবর্তন কিংবা পুনর্বিন্যাস করলেই চলবে না, পাশাপাশি ঘর পরিষ্কার করে রাখতে হবে, যেন ঈদের দিনে অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
 ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই সব ঘরের ঝুল ঝেড়ে ফেলতে হবে। ফ্যান, টিউব লাইট সুন্দর করে মুছে ফেলতে হবে।
 বসার ঘরের সোফাগুলো পরিষ্কার করে রাখতে হবে। যেসব সোফার কভার ধোয়া যায়, সেগুলো ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে হবে। আর যেসব সোফার ফোমের ওপর কাপড়ে পেরেক লাগানো থাকে, সেটা আলাদা করে ধোয়া যায় না। সে জন্য বাজারে কিছু পরিষ্কারক ফোমের স্প্রে পাওয়া যায়, তা স্প্রে করে কিছুক্ষণ পর ব্রাশ করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
 রট আয়রনের আসবাব হলে নরম কাপড়ের সাহায্যে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
 তিন-চার দিন অগেই বিছানার চাদর, কুশন কভার, বালিশের কভার ধুয়ে ফেলতে হবে।
 ডাইনিং টেবিল-সংলগ্ন চেয়ার নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
 ওয়্যারড্রোবের কাপড় ঝেড়ে গুছিয়ে রাখতে হবে। তবে কাপড়ে যেন পোকা কিংবা কীটপতঙ্গের আক্রমণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে ন্যাপথলিন, কালো জিরার গুঁড়া, কাপড়ের পোঁটলায় করে নিমপাতা রাখা যেতে পারে কাপড়ের ভাঁজে।
 কাঠের টেবিলের ওপর কখনোই ভেজা জিনিস কিংবা এমন কোনো জিনিস রাখা যাবে না, যাতে টেবিলে দাগ পড়ে যায়।
 ঘরের মেঝে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে টাইলসের মেঝেয় পানিতে স্যাভলন দিয়ে মুছে ডিটারজেন্ট কিংবা লিকুইড ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে।

ঘর সাজানো
‘দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে ঈদের সময় এখন শুধু মানুষ কাপড়চোপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকে না, নিত্যনতুন বিষয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘর সাজাতে নতুন বিছানার চাদর, পর্দা, কুশন কভারের ব্যবহার দেখা যায়। উৎসবে ঘর আনন্দময় করে তুলতে হলে ঘরের পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ঘর সাজানোতেও প্রাধান্য দিতে হবে। ঈদের আগের রাতে কেনা তাজা ফুল দিয়ে সাজানো যেতে পারে ঘরের কোণ। সম্ভব হলে পুরো বাড়িতে নতুন করে রং করে; আসবাবগুলো নতুন করে বার্নিশ করে; ফুলের টবগুলোতে রং করিয়ে অর্থাৎ পুরোনো জিনিসে নতুনের বৈচিত্র্য আনা যায় এই উৎসবমুখর ঈদে।’ বলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্র-পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা হক।

43
বর্ষাকালে আবহাওয়া হয়ে ওঠে স্যাঁতসেঁতে। এমন দিনে বৈদ্যুতিক বিভিন্ন যন্ত্রে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ট্রান্সকম ডিজিটালের প্রদর্শনী ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান জানান, এ রকম আবহাওয়ায় যত্নের অভাবে বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই এ সময়টিতে এসব যন্ত্রের বিশেষ যত্ন নিতে হয়।
নিত্যব্যবহার্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রের তালিকায় রয়েছে, রেফ্রিজারেটর, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), টেলিভিশন, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিক পাখা প্রভৃতি।
বর্ষাকালে সাধারণত রেফ্রিজারেটরের বাইরের আবরণ ঘেমে যায়। এই ঘাম শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। আর যেহেতু আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডাই থাকে, তাই ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে।
ফ্রিজের নিচের দিকে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যেতে পারে। এ জন্য এর নিচে শক্ত কোনো কাগজ, কাঠ কিংবা টুল-জাতীয় কিছু দেওয়া যেতে পারে, যাতে মেঝের স্যাঁতসেতে ভাবের কোনো প্রভাব এর ওপর না পড়ে।
দেয়াল ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে থাকার কারণে বর্ষাকালে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে পাওয়ার লাইন থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন, পুরো ঘরে বিদ্যুতায়িত হয়ে যেতে পারে। তাই বর্ষাকালের শুরুতে এটি পরীক্ষা করাতে হবে, সমস্যা থাকলে দ্রুত সারিয়ে নিতে হবে। বর্ষাকালে এসির ব্যবহার কিছুটা কমই থাকে। এর ফলে খোলা অবস্থায় থেকে এসিতে ধুলাবালি জমে যেতে পারে। তাই এ সময় এসিতে কাপড়ের তৈরি ঢাকনা ব্যবহার করা যেতে পারে ।
বর্ষাকালে টেলিভিশন ও কম্পিউটার ব্যবহারেও থাকতে হবে বিশেষ সচেতন। আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে এসব যন্ত্র বন্ধ রাখাই ভালো। আর ব্যবহারের পর, বিশেষ করে রাতে মেইন সুইচ বন্ধ করে রাখতে হবে। এতে কোনো বিপদের ঝুঁকি থাকে না।
বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াতে সব বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে সচেতনভাবে। খেয়াল রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন এগুলো পানির সংস্পর্শে না আসে।

44
Faculty Sections / ব্যায়ামের আগে পরে
« on: July 03, 2014, 01:39:46 PM »
শরীর সুস্থ রাখতে শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। এক সময়ে শুধু শেষ বয়সী মানুষরা ডায়াবেটিস কমাতে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করলেও এখন হাঁটাহাঁটি আর ব্যায়ামের অভ্যাসটা তারুণ্যের ক্রেজ কালচারে এসে ঠেকেছে। শহরের মধ্যে থেকে শুরু করে শহরতলীতেও তরুণ তরুণীরা এখন ব্যায়ামে অভ্যস্ত। হালে হিন্দী সিনেমার নায়কদের মাঝে যে বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তার ছাপ এসে পড়েছে আমাদের দেশের তরুণ সমাজের উপর। পাড়ার মোড়ের সেই হ্যাংলা ছেলেটাই হয়তো এখন ব্যায়ামের তাগাদে বেশ তাগড়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই ব্যায়ামের আছে বেশ কিছু নিয়ম। এসব নিয়মের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ব্যায়ামের আগে ও পরে খাবার রুটিন।

ব্যায়ামের আগে

ব্যায়াম শুরু করার আগে এমন কোনো ভারী খাবার গ্রহণ করা উচিৎ নয় যার কারণে শরীর দূর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু আবার খালি পেটেও ব্যায়াম শুরু করা ঠিক না। তাই এমন খাবার গ্রহণ করা উচিৎ যা আসলে শরীরকে শিথিল করার পরিবর্তে চাঙ্গা রাখবে ও শক্তি যোগাবে।

ব্যায়ামের আগে কখন খাবেন

ভরা পেটে কখনোই ব্যায়াম করা উচিৎ নয়, তাই এমন কিছু খাবার ব্যায়ামের আগে গ্রহণ করতে হবে যা দ্রুত হজম হয়ে যায়। খাবার হজম হতে সাধারণত ১ থেকে ৪ ঘন্টা সময় লাগে। এটা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়ে থাকে। তাই আপনার উচিৎ হবে একটা ক্যালেন্ডার তৈরি করে নিজের হজমশক্তির একটা তালিকা তৈরি করা। যারা খুব সকালে উঠে হাঁটতে বা দৌড়াতে যাবার অভ্যাসটি রপ্ত করে ফেলেছেন তারা সকালে উঠে একটু সময় নিয়ে ব্যায়ামের আগে কিছু হালকা খাবার খেয়ে নিন যেন খাওয়ার ২-৩ ঘন্টা পরে ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। যদি দেখেন এই রুটিনে খুব বেগ পেতে হচ্ছে তাহলে ব্যায়াম শুরুর করার একঘন্টা আগে যেকোনো তরল খাবার গ্রহণ করতে পারেন। তরল খাবার হজম হতে সময় অনেক কম লাগে।
কি খাবেন

যেহেতু ব্যায়ম করতে গেলে সবচেয়ে বেশী শক্তি অপচয় হয় তাই চেষ্টা করুন খাদ্য তালিকায় এমন কিছু রাখতে যেটা আপনাকে পর্যাপ্ত শক্তির যোগান দেবে। ব্যায়ামের আগের খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকতে হবে আর দ্রুত হজম হতে হবে। এমন খাবারগুলোর মধ্যে হতে পারে পাচ্চা, ফল, রুটি, এনার্জি বার এবং বিভিন্ন ধরনের পানীয়। যদি সারাদিন ধরে কোনো শরীরচর্চা কার্যক্রমে অংশ নিতে হয় তাহলে কিন্তু খাবার তালিকাটা আরো একটু শক্ত হতে হবে। ব্যায়াম শুরুর ৪ ঘন্টা আগে খাবার গ্রহণ করা উচিৎ এবং ২ থেকে ৩ ঘন্টা আগে কোনো এনার্জি ড্রিঙ্ক আর ১ ঘন্টা আগে যেকোনো একটা ফ্লুইড রিপেসমেন্ট (স্পোর্টস ড্রিঙ্ক)।

খাদ্য তালিকা

১ঘন্টা বা তারও কম সময় আগে

ফল বা সব্জি জুস যেমন: কমলা, টমেটো অথবা তাজা ফলের রস যেমন: আপেল, তরমুজ, পিচ, আঙ্‌গুর অথবা কোনো স্পোর্টস ড্রিঙ্ক ১/২ থেকে ১ গাস পরিমাণে।

২ থেকে ২ ঘন্টা আগে

তাজা ফল, ফল বা সব্জি জুস, রুটি, কম চর্বিযুক্ত ইয়োগার্ট, স্পোর্টস ড্রিঙ্ক

৩ থেকে ৪ ঘন্টা আগে

তাজা ফল, ফলের জুস, রুটি, পাচ্চা সাথে টমোটো সস, আলু সিদ্ধ, এনার্জি বার, কম চর্বিযুক্ত দুধের সাথে কর্নফ্লেক্স, কম চর্বিযুক্ত ইয়োগার্ট, রুটি কিংবা টোস্টের সাথে পিনাট বাটার, লো ফ্যাট চিজ।

ব্যায়ামের আগে কখনোই মাংস, কোনো ধরনের ভাজা পোড়া, চিপস, চকলেট এধরনের উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়। এধরনের খাবার অনেকক্ষণ পাকস্থলিতে স্থায়ী হয় বলে আপনার ব্যায়ামকে বিঘ্নিত করবে।
ব্যায়ামের পরের খাবার

যেকোনো ধরনের ব্যায়াম করার আগে খাবার রুটিনটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ব্যায়াম করার পরের রুটিনটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্যায়াম করার পারে আপনার শরীর থেকে প্রয়োজনীয় ক্যালরি এবং গ্লুকোজ কমে যায়। আর তাই ব্যায়াম করার পরে শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি বর্ধক কিছু খাবার দেয়া উচিৎ।

প্রথমেই শরীর থেকে ঘাম হয়ে ঝরে যাওয়া তরল ঘাটতি পূরণ করতে হবে। এর জন্য ব্যায়াম শেষ করে প্রচুর পানি খান। সাথে গ্লুকোজ মিশিয়ে নিতে পারলে আরো ভাল। ব্যায়াম শেষে করার ১৫ মিনিট পরে ফলের জুস খান। এটা আপনার শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি মেটাতে সহায়তা করবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে ব্যায়াম শেষ করার দুই ঘন্টার মধ্যে যেকোনো ধরনের তরল খাবার শরীরের মাংসপেশীতে অনেক দ্রুত শক্তি যোগায়। আর তাই ব্যায়াম শেষ করার ১৫ মিনিট পর থেকে টানা ২ ঘন্টা বিভিন্ন তরল পানীয় ও এনার্জি ড্রিঙ্ক গ্রহণ করুন। এরপর খাবার তালিকায় এমন কিছু কার্বোহাইড্রেড রাখুন যেগুলো আপনাকে শক্তির যোগান দেবে দ্রুত। মূলত ব্যায়াম করার ফলে আপনি যে শক্তি ক্ষয় করেছেন তা ফিরিয়ে আনতেই ব্যায়াম শেষে খাবার গ্রহণ করতে হবে। তবে চেষ্টা করুন ব্যায়াম শেষ করে প্রথম ২ঘন্টায় ফলের জুস, সব্জি জুস, বিভিন্ন ধরনের সালাদ খেতে। এরপর এমন কিছু খাবার গ্রহণ করুন যেগুলোতে শক্তি বৃদ্ধিকারী উপাদান বেশী। যেমন আলু সিদ্ধ, ইয়োগার্ট ইত্যাদি। তবে মনে রাখুন তরল খাবারগুলো আপনার শরীরের জন্য দ্রুত শক্তি যোগান দেবে। তার তুলনায় আপনি যদি বেশ পরিমাণে ভারি খাবার গ্রহণ করেন তা কিন্তু আপনার শরীরের জন্য উপকারী হতে সময় নেবে অনেকটা।

45
Faculty Sections / জেনে রাখা জরুরি
« on: July 03, 2014, 01:36:49 PM »

১৯ আষাঢ় ১৪২১, বৃহস্পতিবার জুলাই ০৩, ২০১৪ ১:২৯ পিএম
FaceBook twitter utube RSS Feed
English version
BanglaNews24.com Logo
লাইফস্টাইল
radio

    প্রচ্ছদ
    |
    জাতীয়
    |
    রাজনীতি
    |
    অর্থনীতি-ব্যবসা
    |
    আন্তর্জাতিক
    |
    খেলা
    |
    বিনোদন
    |
    তথ্যপ্রযুক্তি
    |
    ইচ্ছেঘুড়ি
    |
    ফিচার
    |
    শিল্প-সাহিত্য
    |
    লাইফস্টাইল
    |
    শেয়ার
    |
    মালয়েশিয়া

    এভিয়াট্যুর
    |
    চট্টগ্রাম প্রতিদিন
    |
    ইসলাম
    |
    মুক্তমত
    |
    নিউইয়র্ক
    |
    রাশিফল
    |
    ট্রাভেলার্স নোটবুক
    |
    নাগরিক মন্তব্য
    |
    বিদ্যুৎ ও জ্বালানি
    |
    জেলার খবর

প্রচ্ছদ  »  লাইফস্টাইল
২৪ জুন ২০১৪ ১৪:০৬:০০ পিএম মঙ্গলবার
1382
 
Print
জেনে রাখা জরুরি
লাইফস্টাইল ডেস্ক
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Decrease font    Enlarge font

কাজগুলো সব বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর এর মধ্যে কোনো অতিথি আসবে শুনলে যেন কান্না পায়

ঘরের কাজ করার সময় কম বেশি সবারই প্রতিনিয়ত টুকটাক ঝামেলা পোহাতে হয় । কিন্তু একটু বুদ্ধি খাঁটিয়ে চটজলদি উপায়ের মাধ্যমে এসব টুকটাক সমস্যা সমাধান করা যায় এক নিমিষেই।

•    ময়দার তৈরি খাবার তেলে ভাজার আগে তেলে এক চিমটি লবণ দিন। এতে তেল খরচ কমে যাবে।
•    সেদ্ধ আটার রুটি বানাতে পানিতে সামান্য তেল দিন। রুটি নরম হবে।
•    রুটি জাতীয় খাবার যেমন পাউরুটি, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি বেশি সময় নরম রাখতে পরিস্কার কাপড় দুধে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে মুড়ে রাখুন।
•    দুধ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমাতে জ্বাল দেওয়ার আগে গরম পানি দিয়ে পাত্রটিকে ধুয়ে ফেলুন।
•    মাংস সেদ্ধ হতে দেরি হলে কয়েক দানা মেথি অথবা কয়েক টুকরো কাঁচা পেঁপেও রান্না করা মাংসে দিয়ে দিতে পারেন।
•    মাঝে মধ্যে ফ্লাক্সের ভিতর দুর্গন্ধ হয়। এক চামচ চিনি ফ্লাক্সে রেখে দিন দুর্গন্ধ দূর হবে।
•    মোম যাতে বেশি সময় ধরে জ্বলে, তাই একে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন।
•    প্রেসার কুকারের মরিচা দূর করার জন্য লেবুর খোসা দিয়ে ভালো করে ঘষে এতে গরম পানি দিয়ে ঘণ্টা খানিক রাখুন। মরিচা দূর হয়ে যাবে।
•    আয়নাতে পানির দাগ শুকিয়ে বসে গিয়ে বাজে দেখায়। খবরের কাগজ ভিজিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
•    বাথরুমের দুর্গন্ধ দূর করতে বাথরুম ব্যবহার করার পর খানিকক্ষণ মোম জ্বালিয়ে রাখলে দুর্গন্ধ হবে না। এছাড়া মানিপ্লান্ট গাছ রাখলেও দুর্গন্ধ কম হয়।
•    ঘরের মেঝে অথবা টাইলস ময়লা হয়ে গেলে কলার খোসা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সেই পানি দিয়ে মেঝে বা টাইলস্ মুছে ফেলুন, মেঝে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এভাবে অল্পসময়ের মধ্যে চটজলদি উপায়ের মাধ্যমে আমরা গৃহস্থালি সমস্যার সহজ কিছু সমাধান করতে পারি।
বন্ধুরা এসব ছোট সমস্যার বাইরেও আমাদের সংসারের নানা কাজ থাকে। স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই কাজের প্রয়োজনে সারাদিন বাইরে থাকতে হয় আর বাসায় কাজের লোক থাকে না, সেদিন এমন এক কলেজ শিক্ষিকা বলছিলেন, “বাড়িতে ফিরতে ভয় লাগে। মনে হয় কাজগুলো সব বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর এর মধ্যে কোনো অতিথি আসবে শুনলে যেন কান্না পায়”।

আসলেই যারা এমন অবস্থায় পড়েননি, তারা বুঝবেন না এমন পরিস্থিতিতে কেমন হয়। কিন্তু কাজ দেখে ভয় পেলে আরও কাজ জমে যাবে তখন এগুলো পরিস্কার করতে বেশি কষ্ট হবে। আবার একসঙ্গে অনেক কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারি, তখন হয় আরেক বিপদ...

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে ধৈর্য নিয়ে, বুদ্ধি খাঁটিয়ে। প্রথমেই সাপ্তাহিক কাজের তালিকা একটি তালিকা করতে হবে। যা হতে পারে এমন:

শনিবার: শনিবার বিছানার চাদর এবং পোশাক ধোয়া, সেই কাপড় শুকিয়ে ভাঁজ করা

রবিবার: থালা-বাসন পরিষ্কার। জুতার তাক গোছানো।

সোমবার: ধুলা পরিষ্কার করে ঘর ঝাড়ু দিতে হবে। রেফ্রিজারেটরের ওপরে, টেলিভিশন, খাটসহ সব ফার্নিচার মুছতে হবে।

মঙ্গলবার: বাথরুম পরিষ্কার। ১ টি বাথরুম পরিস্কারে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। বেসিন, সিংকও এদিন পরিষ্কার করতে হবে।

বুধবার: রান্নাঘরে যেগুলো কাজে না লাগে সেগুলো ফেলে দিতে হবে। ফ্রিজের জমানো খাবার, মশলা সবজি সব ফেলতে হবে। রান্নাঘরের তাক, ফ্রিজ, মশলার পাত্র, হাড়ি-পাতিল, ফিল্টার, ওভেন পরিষ্কার করতে হবে।

বৃহস্পতিবার: মেঝে ও ফ্যান পরিষ্কার। পেঁয়াজ কাটা, মশলা ব্লেন্ড করা
শুক্রবার: বিশ্রাম

অফিসের কাজ সংসারের কাজ সবই করতে হয়। প্রতিদিনের কাজ জমিয়ে না রেখে যখন যেটা ব্যবহার করা হয় সঙ্গে সঙ্গে পরিস্কার করুন। তবে সব কাজ একা করতে যাবেন না দুজন মিলে কাজগুলো ভাগ করে নিন। বিরক্তি নিয়ে নয়, বরং দুজন গল্প করতে করতে কাজগুলো গুছিয়ে ফেলুন। দেখবেন ঘরও পরিষ্কার থাকবে। সঙ্গে মনও থাকবে ফুরফুরে... -

Pages: 1 2 [3] 4 5