31
Faculty Sections / ওজন কমাতে কাঁচামরিচ খাচ্ছেন তো?
« on: September 01, 2018, 11:15:49 AM »অনলাইন ডেস্ক
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
প্রতীকী ছবি
মরিচ ঝাল হয় এর মধ্যে থাকা ক্যাপসিসিন নামক উপাদানের কারণে। আর এই একই উপাদান শরীরের মেটাবলিজমের গতি বাড়িয়ে সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সম্প্রতি বাল্টিমোরে বায়োফিজিক্যাল সোসাইটির ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রকাশিত এক গবেষণায় ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে দেখা গেছে, অতিরিক্ত মাত্রায় চর্বিজাতীয় খাবার-দাবার খাওয়ানোর পরেও ক্যাপসিসিন খাওয়ার ফলে ইঁদুরের ওজন তেমন বাড়ে না।
ইয়াওমিং ইউনিভার্সিটির একদল গবেষকদের মতে, মোটাসোটা মানুষের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাপসিসিন খুবই কার্যকর হতে পারে। এ ছাড়া ক্যাপসিসিনের প্রভাবে শরীরের শক্তি (ক্যালোরি) ক্ষয় হয় এবং তাপ উত্পন্ন হয়। এর ফলে সাদা চর্বি রূপান্তরিত হয় বাদামি চর্বিতে।
শরীরে সাদা চর্বি শক্তি সঞ্চয় করে রাখে আর বাদামি চর্বি তাপ সৃষ্টি করে। খুব বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকার ফলে মেটাবলিজমের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং ওবেসিটি (স্থূলতা) দেখা দেয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ক্যাপসিসিন-এর এই গুণ।
এ পরিস্থিতিতে মরিচ ঝাল খাওয়াটা উপকারী হলেও এ বিষয়ে খুব সাবধান থাকতে হবে। তবে নাস্তায় একটা টোস্ট বা ওমলেটের সঙ্গে অনেকগুলো মরিচ খেয়ে নিলেই কাজ হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। এরও একটা নির্দিষ্ট মাপ রয়েছে।
সাইনাস ও বন্ধ নাকের সমস্যায় আমরা হামেশাই ঝাল খেয়ে থাকি। গবেষকেরা জানান, ব্যথা কমাতেও ক্যাপসিসিন খুবই উপকারী। কেউ কেউ মোটেই ঝাল সহ্য করতে পারেন না, আবার কারও কারও মরিচ ছাড়া খাওয়াই চলে না। গবেষণায় দেখা গেছে, ঝাল খাওয়া অভ্যাস যাদের রয়েছে, একাধিক শারীরিক সমস্যা তাদের ধারেকাছে ঘেঁষে না।
Published in the online version of The Amader Shomoy on 1st Sept. 2018