Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Smahmud

Pages: [1]
1
গ্ল্যামার জগতের বদৌলতে তরুণদের ফ্যাশনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে কন্ট্যাক্ট লেন্স। শূন্য পাওয়ারের নানা রংয়ের এ লেন্সগুলো খুব সহজেই চেহারায় পরিবর্তন আনে। তাই মডেল, রক বা ফিল্মস্টারদের অনুকরণে পোশাক ও মেকাপের সঙ্গে মানিয়ে লেন্স পরে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া লেন্স ব্যবহারে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। লেন্স থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে চোখের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এমনকি জীবাণুর আক্রমণে কর্নিয়ায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে একেবারে অন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানান তারা। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া লেন্স ব্যবহার ও বিক্রি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। লেন্স বিক্রির ক্ষেত্রে বিক্রেতাদের আইন মানার আহ্বান জানান তারা। ইতোমধ্যে আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মটি কড়াকড়িভাবে মেনে চলা হচ্ছে বলে জানালেন বিভিন্ন অপটিক্যাল কাউন্সিলের সদস্যরা।

2
Science Discussion Forum / পত্র বোমা রহস্য!
« on: June 25, 2012, 11:32:34 AM »
প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে সৃষ্টিশীল জিনিসপত্রের পাশাপাশি অস্ত্রের ক্ষেত্রেও আধুনিকায়ন ঘটেছে। এরকমই একটি সংযোজন_ 'লেটার বোম' বা পত্রবোমা। একজন মানুষ আরেকজনকে হত্যা করার জন্য চিঠির মাধ্যমে যে বোমা পাঠায়, তাকেই বলা হয় পত্রবোমা। তবে পত্রবোমা কিন্তু এত ছোট জিনিস নয়। পত্রবোমার আকার খানিকটা বড়। আমরা যেমন কোনো জিনিস পার্সেল আকারে পাঠাই, পত্রবোমাও ঠিক তাই। সেটি পার্সেল আকারেই আসে প্রাণ কেড়ে নিতে। আর এই পার্সেল তৈরি করা হয় বিশেষ কায়দায়। পার্সেল না খোলা পর্যন্ত এই বোমা বিস্ফোরিত হয় না। যে এটি খুলতে যাবে সে-ই মারা পড়বে, মারা পড়বে তার আশপাশের মানুষ অথবা আহত হবে মারাত্দকভাবে। আমাদের দেশে লেটার বোমের আক্রমণ বিরল হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঝেমধ্যেই লেটার বোম বিস্ফোরণে মারা যায় মানুষ। এ ধরনের বোমার ইতিহাস খুব প্রাচীন নয়। প্রথম পত্রবোমার ঘটনা ঘটে ১৮ শতকে। ড্যানিশ ঐতিহাসিক বোল উইলিয়াম লাঙ্ডরফ ১৯ জানুয়ারি ১৭৬৪ সালে তার ডায়েরিতে উল্লেখ করে গেছেন সে ঘটনা। ১৯০৪ সালের ২০ আগস্ট মার্টিন কেনবার্গ নামে এক সুইডিশ স্টকহোমের কার্ল ফ্রেডরিক লুনডিনকে উদ্দেশ করে একটি পত্রবোমা পাঠায়। বোমাটি তৈরি করা হয়েছিল বুলেট এবং বিস্ফোরক পদার্থ দিয়ে। তবে সে বোমায় কেউ নিহত হয়েছিল কিনা কিংবা মার্টিন পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল কিনা সে তথ্য জানা যায়নি। এর পরের পত্রবোমার ঘটনাগুলো ঘটে ১৯৭০ থেকে ৯০ দশকের মধ্যে। থিয়োডোর নামে এক পত্রবোমারু ওই সময় সিরিজ পত্রবোমার মাধ্যমে হত্যা করে তিনজনকে। আহত হয় ২৩ জন। সিরিজ পত্রবোমার এ ঘটনাটি ঘটেছিল আমেরিকায়। নব্বইয়ের দশকে অস্ট্রেলিয়ায়ও ঘটেছিল পত্রবোমার ঘটনা। ব্রিটিশ গায়ক জরককে হত্যা করার জন্য রিকার্ডো লোপেজ নামে তার এক ভক্ত পাঠিয়েছিল পত্রবোমা। কিন্তু জরকের সৌভাগ্য, তা তার কাছে পেঁৗছার আগেই লন্ডন পুলিশের হাতে চলে যায়। সাধারণ পত্রবোমার বাইরে আরেক ধরনের পত্রবোমা আছে, যার আকার ছোট। বিস্ফোরিত হয় না কিন্তু সৃষ্টি করতে পারে মহামারী। এটি জীবাণু বোমা। ছোট্ট খামে করেও মারাত্দক রোগের কয়েক মিলিয়ন জীবাণু ছড়িয়ে দেওয়া যায়। পৃথিবীর সব ধরনের মারণাস্ত্রের সরকারি সনদ থাকলেও পত্রবোমার কোনো সরকারি সনদ নেই, নথিবদ্ধ নেই এর আবিষ্কারকের নামও। কারণ এটি শুধু ব্যক্তি আক্রমণের ক্ষেত্রেই ব্যবহারযোগ্য। আর এর নেপথ্য ঘাতককে চিহ্নিত করা খুবই কঠিন।

3
Science Discussion Forum / Interesting news.
« on: June 25, 2012, 11:28:09 AM »
হিটলারের হিটলিস্ট

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সংঘটিত হিটলারের অনেক কুকীর্তির একটি ইহুদি হত্যাযজ্ঞ। তার শ্যেনদৃষ্টি থেকে রেহাই পাননি আলবার্ট আইনস্টাইনের মতো অনেক বিখ্যাত ইহুদিও। হিটলারের নিধন তালিকা বা হিটলিস্টে ছিল বরেণ্য চলচ্চিত্রকার চার্লি চ্যাপলিনের নামও। এ রকম হিটলিস্টের একটি বই নিলামে উঠছে খুব শীঘ্রই।

ত্রিশের দশকে বার্লিনে জুদেন সেহেন ডিশ আন (দি জ্যুস আর ওয়াচিং ইউ) নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। ৯৫ পৃষ্ঠার বইয়ে ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ ইহুদিদের একটি দীর্ঘ তালিকা ছিল।



চকোলেট খেয়ে...

মালয়েশিয়ার গহিন জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া এক তরুণী শুধু চকোলেট খেয়ে ১৮ দিন বেঁচেছিলেন। ক্যাম্পিং করতে গিয়ে মেয়েটি হারিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নূর মাইসারা সামেউন নামে ২১ বছর বয়সী মেয়েটি দুর্ঘটনাবশত তার দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। দলটি মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উঁচু এলাকায় ক্যাম্পিং করতে গিয়েছিল। উঁচু ওই জায়গা থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে মেয়েটি মারাত্দক আহত হয়। একটু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে তার পাঁচদিন লেগে যায়। সৌভাগ্যবশত ওই অঞ্চলে দুই রুশ পর্যটক বেড়াতে এলে তাদের লক্ষ্য করে সে সাহায্যের জন্য চিৎকার দেয়। তারা এসে তাকে উদ্ধার করে।



১৫২৪ পাউন্ড ওজনের কুমড়া

আমেরিকার অরিগনের হাপ মুন বে-তে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ৩৪তম কুমড়া প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় ১৫২৪ পাউন্ড ওজনের কুমড়া নিয়ে জয়ী হলেন প্লেজেন্ট হিলের এক অখ্যাত কৃষক থার্ডস্টার। এর আগে এ প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ৩০০ পাউন্ড ওজনের কুমড়া উঠেছিল। থার্ডস্টার দু'বছর ধরে কুমড়ার চাষ করছেন।



কঙ্কালের হাতে খুন

মানুষের হাতে মানুষ খুন হতে পারে। কিন্তু কঙ্কালের হাতে জীবন্ত মানুষ খুন হয়েছে এমন ঘটনা কেউ কখনো শোনেনি। সত্যি সত্যিই পর্তুগালে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। পর্তুগালের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পিটার পেউ মেটেইন নিহত হয়েছিলেন কঙ্কালের হাতে ১৯৬২ সালে। শিল্পীর ঘরে একটি নরকঙ্কাল ছিল। তিনি সে ঘরে বসেই ছবি অাঁকতেন। একদিন রাতে তিনি সবিস্ময়ে দেখলেন হাত দু'য়েক দূরে ঝোলানো কঙ্কালটি হঠাৎ ভীষণ শব্দে নড়ে উঠল। তারপর রশির বাঁধন ছিঁড়ে এসে হিংস্রভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ল তার ওপর। এতেই তিনি ভীষণ ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তবে আসল ঘটনাটি একটু অন্যরকম। সে সময় প্রচণ্ড ভূমিকম্প শুরু হয়। ঘর দুলতে শুরু করে আর তাতেই কঙ্কালটি দুলে উঠে এবং অনেক দিনের পুরনো রশি ছিঁড়ে ওটা হুমড়ি খেয়ে শিল্পীর গায়ের ওপর পড়ে। এতে শিল্পী ভেবেছিলেন কঙ্কালটি হয়তো তাকে খুন করতে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এতেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

4
মুদ্রা বা টাকা-পয়সা ছাড়া বর্তমান সময়ে এক পা-ও চলা যায় না। জন্মের সময় টাকার দরকার। বেঁচে থাকার জন্য টাকার দরকার। এমনকি মারা যাওয়ার পরও মৃতদেহের সৎকার করার জন্য চাই টাকা। এক কথায় বলতে গেলে টাকা ছাড়া জগৎ সংসারের সবকিছুই ফাঁকা। টাকার দরকার নেই এমন একজন মানুষও হয়তো খুঁজে পাওয়া ভার। অনেকেই হয়তো আশ্চর্য হবেন মানব সভ্যতার প্রথমদিকেও মুদ্রা বা টাকা-পয়সার কোনো বালাই ছিল না। ছিল না কোনো চিন্তা-ভাবনা। প্রশ্ন উঠতে পারে যে, মুদ্রা বা টাকা-পয়সা ছাড়া একদম চলা যায় না, আগেকার মানুষ তাহলে কিভাবে চলত? দরকারি জিনিসপত্র জোগাড় করত কিভাবে? আজকের দিনে মানুষ যতসব পণ্যসমাগ্রী ব্যবহার করে থাকে আদিমকালে এতকিছু ছিল না। তাই এসবের জন্য কোনো হা-হুতাশেরও অবকাশ ছিল না। টাকা-পয়সা বা মুদ্রার কল্পনা ছিল একেবারেই চিন্তার বাইরে। তখনকার সময় প্রয়োজনীয়সব পণ্যসামগ্রীই যে সবাই উৎপাদন করত তা কিন্তু নয়। কেউ চাল উৎপাদন করলে অন্য কেউ হয়তো গমের চাষ করত। কেউবা এর কোনোটিই না করে ঘরে বসে বুনতো কাপড়। কেউবা অন্য কিছু। তারপর এক অভিনব পন্থায় যার যার দরকার অনুযায়ী একে অপরের মধ্যে পণ্য বিনিময় করত। যাকে আজকের আধুনিক অর্থশাস্ত্রে অভিহিত করা হয় বিনিময় প্রথা বা বাট্টার সিস্টেম বলে। কিন্তু এ বিনিময় প্রথায়ও ছিল নানা অসুবিধা। ধরা যাক, একই গ্রামে ধান-চাল ও কাপড় উৎপাদন করে তিন কৃষক। ধানওয়ালা কৃষকের দরকার মুরগি। চাল ও কাপড়ওয়ালার দরকার যথাক্রমে কুড়াল ও কাস্তে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ধারেকাছে কোনো কুড়াল কাস্তেওয়ালা পাওয়া গেল না। যদিও বা পাওয়া গেল পাশর্্ববর্তী অন্য গ্রামে; কিন্তু সেখানেও দেখা গেল আরেক সমস্যা। কুড়ালওয়ালা চায় গরু। আর কাস্তেওয়ালার চাই মাছ। অর্থাৎ একেকজনের চাহিদা একেকরকম। তাই স্বাভাবিক বিনিময়-প্রথায় পণ্য বিনিময়ে দেখা দিল বড় ধরনের সমস্যা। অনেক ভেবে-চিন্তে মোটামুটি একটা পথ বের করা হলো। সোনা-রুপার বাট বা অংশের বদলে বিনিময় হতে লাগল নানা পণ্যসামগ্রী। তাতেও সমস্যার ঘোর কাটাল না। সোনা-রুপা সবসময় দরকার পড়ে না। সোনা-রুপার মাধ্যমে পণ্য বিনিময় করত তারাই যাদের অন্য কোনো পণ্যের দরকার হত না। তাই এমন পণ্য মালিকের সংখ্যা ছিল নিতান্তই কম। সোনা-রুপার নির্ভেজালত্ব নিয়েও ছিল সংশয়।

ফলে চিন্তা-ভাবনা চলল নতুন উপায় বের করার জন্য। সে চিন্তা থেকেই আনুমানিক ৫৫০ থেকে ৬০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে অর্থাৎ আজকের তুরস্কে রাজা গাইজেস সর্বপ্রথম 'ইরেকটাম' নামে এক ধরনের মুদ্রা চালু করেন। সেখান থেকেই শুরু হয় সর্বপ্রথম মুদ্রা প্রচলন। কালের বিবর্তনে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই মুদ্রাই আধুনিক রূপে আমাদের হাতে পেঁৗছেছে।

5

বিভিন্ন কারণেই স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে। কারণ যাই হোক, স্মৃতিভ্রংশ ঘটলে তার ফলাফল সব ক্ষেত্রেই এক রকম। মাথার মধ্যে নিউরন (neuron) হলো সব ধরনের স্মৃতির এক হিসেবে ভাঁড়ার ঘর। যেভাবেই হোক, এই নিউরনরা যদি আক্রান্ত হয় তাহলে স্মৃতি লোপ পায়। মাথার মধ্যে এ নিউরনের কাজ হলো বিভিন্ন সময় যা কিছু ঘটে তার হিসাব রাখা। তাই যদি কখনো নিউরনরা কোনো ঝামেলায় পড়ে তাহলে তাদের জমার হিসাব ভণ্ডুল হয়ে স্মৃতিভ্রংশ ঘটায়। স্মৃতি লোপ পেলে ঘটনাটি ঘটার আগে বা পরের সবকিছুই একদম মুছে যায়। এরকম অবস্থা, এক-আধ সপ্তাহ, মাস বা বছর ধরে থাকতে পারে, আবার কখনো বা সারা জীবন। মজার কথা হলো পুরনো স্মৃতি যদি ফিরে আসে, তাহলে আবার স্মৃতিভ্রংশ অবস্থায় যা যা ঘটেছে তা আর কিছুই মনে পড়বে না। তবে এটাও ঠিক, স্মৃতিভ্রংশ একবার ঘটলে কিছু কিছু ফল থেকেই যায়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এ রকম স্মৃতিভ্রংশ অবস্থা যদি কখনো ঘটে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো উচিত। বুড়ো হলে অবশ্য স্মৃতিশক্তি একটু লোপ পায়। তবুও পেটে ঘা, হাই ব্লাডপ্রেসার, হাঁপানি, এরকম রোগের কারণেও গোলমাল দেখা দিতে পারে।

6
রাজা-রানীদের প্রসঙ্গ উঠলেই সবার আগে মনে পড়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের কথা। কারণ একটা সময় তাদেরই আধিপত্য ছিল সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ফ্রান্স, রাশিয়া ও ইটালিতেও রয়েছে রাজপরিবারের দীর্ঘ ইতিহাস। অনেক রানী-মহারানী আজও ইতিহাসের পাতায় স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করে রেখেছেন। কেউ বিলাসিতার কারণে কেউ বা আবার অল্পবয়সে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে।

রানী মেরি

মেরি স্টুয়ার্ড স্কটল্যান্ডের রানী হন মাত্র ছয়দিন বয়সে। ১৫৪২ সালে আট ডিসেম্বর যখন তার জন্ম হয় তখন তার পিতা পঞ্চম জেমস মৃত্যুশয্যায়। আর নয় মাস বয়সে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টার্লিং প্রাসাদে তার অভিষেক হয় যখন মেরির পক্ষে শপথবাক্য উচ্চারণ বা মাথায় মুকুট ধারণ কোনোটাই সম্ভব ছিল না। ১৪২২ সালে একই বয়সে ইংল্যান্ডের পঞ্চম হেনরিরও অভিষিক্ত হয়েছিলেন রাজা হিসেবে। রানী মেরির যখন ফ্রান্সের ফ্রান্সিস ডুফিনের সঙ্গে বিয়ে হয় তখন বিয়ের অনুষ্ঠানে সাদা গাউন পরিহিতা মেরিকে দেখে সবাই বিস্মিত হয়ে গিয়েছিল। কারণ ওই সময় সাদা রং ছিল ফ্রান্সের রানীর শোকের প্রতীক। মাত্র দুই বছরের মাথায় ফ্রান্সিস মৃত্যুবরণ করলে অনেকেই বিয়ের সাদা পোশাককে এই দুর্ঘটনার অবচেতন পূর্বাভাস বলে অভিহিত করে। মেরি অবশ্য নিজের প্রিয় রং হিসেবেই সাদা পোশাক পরেছিল।



রাশিয়ার প্রথম এলিজাবেথ

অগণিত পোশাক সংগ্রহ করে ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছেন রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী প্রথম এলিজাবেথ। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৭৬২ সালে। মৃত্যুর পর তার ১৫ হাজার সেট পোশাক পাওয়া গিয়েছিল। প্রতি সন্ধ্যায় তিনি নাকি দুই থেকে তিনবার করে পোশাক পাল্টাতেন।



ক্যাথরিন দ্য গ্রেট

ক্যাথরিন দ্য গ্রেট বেহিসাবি খরচের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি ছিলেন আয়েশী প্রকৃতির মানুষ। ক্যাথরিনের অভিষেক অনুষ্ঠানে সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে মস্কো পর্যন্ত যে শোভাযাত্রা হয়েছিল, তাতে সম্রাজ্ঞীর দরবার ও পরিষদ ১৪টি বড় ভাগে ও ২০০টি ছোট ভাগে ভাগ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরকম একটি বড় ভাগে ছিল মিনিয়েচার প্রাসাদ। এর মধ্যে ছিল সেলুন, লাইব্রেরি ও শয়নকক্ষ। রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী ক্যাথরিন দ্য গ্রেট ১৭৮৭ সালে একবার রাশিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার জন্য বের হন। যাত্রাপথে তিনি বিভিন্ন স্থানে সমৃদ্ধ গ্রাম ও হাসি-খুশি জনগণকে দেখে ধরে নেন তার শাসনামলে দেশের মানুষ বেশ সুখে-শান্তিতেই আছে। অথচ ক্যাথরিন জানতেই পারেননি, এগুলো ছিল তার একচোখা প্রধানমন্ত্রী জর্জ পোটেমকিনের কীর্তি। পোটেমকিন সম্রাজ্ঞীর যাত্রাপথের দুই পাশে সাময়িক কিছু গ্রাম তৈরি করান। তারপর টাকা-পয়সা দিয়ে সেখানকার লোকজনকে রাস্তাঘাট পরিষ্কার রেখে, ঘরদোর রং করে ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরে হাসিমুখে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। ফলে ক্যাথরিন কখনোই জানতে পারেননি দেশের আপামর জনসাধারণ কী রকম কষ্টে আছে।



মহারানী ভিক্টোরিয়া

ভিক্টোরিয়া জন্মগ্রহণ করেন ১৮১৯ সালে। তার পিতামহ ও ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় জর্জের সাত ছেলে ও পাঁচ মেয়ের কারোরই কোনো সন্তান ছিল না। তাই রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এদিকে ভিক্টোরিয়া ছিলেন রাজা জর্জের চতুর্থ সন্তান এডওয়ার্ডের কন্যা। চাচা চতুর্থ উইলিয়াম মারা যাওয়ার পর ১৮৩৭ সালে ভিক্টোরিয়া ইংল্যান্ডের রানী হন।

মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের রানী হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার প্রথম কাজ ছিল মায়ের কক্ষ থেকে নিজের বিছানা সরিয়ে আনা। মহারানী ভিক্টোরিয়ার মাতৃভাষা কিন্তু ইংরেজি ছিল না। তার মা ছিলেন একজন জার্মান ডিউকের কন্যা। যিনি ঘরে সবসময় জার্মান ভাষায় কথা বলতেন। যদিও ভিক্টোরিয়া ৬৪ বছর ইংল্যান্ড শাসন করেছেন। তিনি খুব ভালোভাবে ইংরেজি বলতে পারতেন না। প্রিন্স কনসর্ট মারা যাওয়ার পর ৪০ বছর ধরে মহারানী ভিক্টোরিয়ার একটি নির্দেশ প্রতিপালিত হয়েছে। ভিক্টোরিয়ার নির্দেশ ছিল, প্রতি সন্ধ্যায় উইন্ডসর ক্যাসেলে রাজপুত্রের বিছানায় তার পোশাক নতুনভাবে রাখতে হবে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিজের আভিজাত্য ও রাজকীয় রীতিনীতি মেনে চলেছেন এই মহারানী।



ইলেনর অব একুইটেনর

পারিবারিক কলহের জন্য বিখ্যাত ছিলেন ইলেনর অব একুইটেনর। তার ১০ সন্তানের মধ্যে দুই সন্তান ইংল্যান্ডের রাজা হয়েছিলেন। হেনরি মারা যাওয়ার পর তিনি তার অন্যতম সন্তান প্রথম জনকে সিংহাসনে বসান। ইলেনরের আরেক সন্তান ক্রুসেডে যোগদান করে। সে ছিল রাজা রিচার্ড। ইলেনর নিজেও ক্রুসেডে গিয়েছিলেন। তিনি তার নাতনির বিয়েরও আয়োজন করেছিলেন। সেই নাতনির জমকালো বিয়ের কাহিনী আজও রয়ে গেছে ইতিহাসের পাতায়।

7
Science Discussion Forum / The pathetic history of Bangladesh Police.
« on: June 25, 2012, 11:20:25 AM »
আমাগো কেউ মানুষ বলে মনে করে না। কোনো সরকারই আমাগো কষ্ট বুঝতে চায় না। শুধু খাটায়া নেয়। সারা দিন খাটনির পর রাতে ব্যারাকে ফিরাও দেখি পানি নাই, বিদ্যুৎ নাই। খাবারও নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় বাধ্য হয়ে নোংরা পোশাকেই আবার ডিউটিতে বাইর হওয়া লাগে। কোথায় যাব কন? আমরা কি আসলেই মানুষ!' আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বললেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ব্যারাকের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক।

নীলক্ষেত মোড়ে দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক কনস্টেবল বলেন, আমাদের থাকার মতো কোনো বাসস্থানের ব্যবস্থা নাই। কাঠফাটা রোদে কমপক্ষে আট ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। মাসে আমাকে ট্রাফিক অ্যালাউন্স বাবদ দেওয়া হয় মাত্র ২৩ টাকা। এই গরমে একটি ডাব খেতেও ৫০ টাকা লাগে। আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে সত্যতা মেলে তাদের এই 'অন্য জীবনের'।

রমনা বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, 'আসলে ওদের কষ্টগুলো আমরা বুঝি। কিন্তু কী করব বলুন। আমরাও তো সমস্যার বাইরে নই। হরতালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং বিভিন্ন ধরনের দৈব দুর্বিপাকে পুলিশকেই বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়। এর পরও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি নিচের স্তরের পুলিশ সদস্যদের সমস্যার সমাধান করতে।'

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূরুল হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে বাহিনীটি জনগণসহ সব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত, তাকে নিয়েই দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। পুলিশ বিভাগের জন্য খরচকে 'বিনিয়োগ' মনে করতে হবে। সরকারের উচিত বাজেটের উন্নয়ন খাতে এই খরচকে অন্তর্ভুক্ত করা। তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত গাড়ি বরাদ্দ না পেয়ে পুলিশ বিভাগ বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্পন্সরশিপ হিসেবে গাড়ি নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে স্পন্সররাও অনেক সময় তাদের সংকীর্ণ স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করছে। এ বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ব্রিটিশদের তৈরি দাসত্বমূলক আইনের বেড়াজালে বন্দী পুলিশ। নূ্যনতম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করে পুলিশের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রত্যাশা অনেকটা দিবাস্বপ্নের মতো। বাংলাদেশে পুলিশ ও জনগণের অনুপাত ১:১২০০, ভারতে ১:৭২৮, পাকিস্তানে ১:৪৭৭, নেপালে ১:৩৬৭। ভারতে পুলিশের বাজেট তাদের জিডিপির ১%, পাকিস্তানে ২.১৫%, নেপালে ৬.৮২%। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জিডিপির মাত্র ০.৫৮%, যা সত্যি হতাশাজনক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় আট হাজার পুলিশ সদস্যের আবাসস্থল রাজারবাগ পুলিশ লাইনস। তবে সেখানে কোনো পুলিশ সদস্যের নির্দিষ্ট কোনো বিছানা নেই। পালা করে একাধিক পুলিশ সদস্য থাকছেন একেকটি বিছানায়। ছারপোকার কামড় তাদের নিত্যসঙ্গী। ব্যারাকে ঘুমানোর মতো নির্দিষ্ট কোনো আসন বরাদ্দ নেই এমন পুলিশ সদস্যের হার কমপক্ষে শতকরা ২৫ ভাগ। শুধু থাকার কষ্টই নয়, পুলিশ সদস্যদের খাবারের সমস্যা আরও প্রকট। রাজারবাগ লাইনসে খাবার খেলে কিংবা না খেলেও মেস ম্যানেজার পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দকৃত রেশনসামগ্রী তুলে নিচ্ছেন। না খেয়েও খাওয়ার খরচ গুনতে হচ্ছে ছুটি ভোগকারী পুলিশ সদস্যদের। আগের রাতের রান্না করা সবজি পরিবেশন করা হচ্ছে পরের দিনের তিন বেলা। কেবল রাজারবাগ পুলিশ লাইনস নয়, একই চিত্র দেশের প্রায় প্রতিটি পুলিশ লাইনসের পুলিশ সদস্যদের।

আবাসন সংকট : চরম আবাসন সংকটে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ডিএমপির সম্পত্তি শাখা সূত্র জানায়, মাত্র ৬১৮ জন পুলিশ আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন। আবাসন সুবিধার দাবিদার ৭৫০ জন সাব-ইন্সপেক্টরের মধ্যে ৩৫৯ জন এবং ১৮ হাজার কনস্টেবলের মধ্যে মাত্র ১৮৬ জন এ সুবিধা পাচ্ছেন। ৭৪ জন সহকারী কমিশনারের (এসি) মধ্যে ৩৪ জন, ১৫ জন অতিরিক্ত কমিশনারের মধ্যে ১০ জন এবং উপকমিশনার (ডিসি) থেকে তদূধর্্ব পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা সবাই আবাসন সুবিধা পেয়েছেন।

ছুটি চাইলে বিড়ম্বনা : পাওনা ছুটি চাইতে গেলেও নিম্নস্তরের পুলিশ সদস্যদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। টাকা ছাড়া ছুটি মেলে না তাদের। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এক কনস্টেবল বলেন, 'ছুটি চাইলেই স্যারেরা খেপে যান। ফরম পূরণ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠতে হয় আমাদের। প্রথমে এলসি (লার্নড কনস্টেবল), পরে সিএইচএম (কোম্পানি হাবিলদার মেজর), সবশেষে সিসির (কোম্পানি কমান্ডার) অনুমতি নিতে হয়। তবে দিনপ্রতি ছুটির জন্য এলসিকে ১০০ টাকা না দিলে ছুটি কল্পনাও করা যায় না।'

চিকিৎসা : বাহিনী হওয়ার পরও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় হাসপাতালসহ দেশের অন্য সাতটি বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে স্থায়ী কোনো জনবল নেই। পুলিশ হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনস্থ চিকিৎসক, টেকনিশিয়ানের ওপর নির্ভর করেই চলছে এর কার্যক্রম। বিভাগীয় শহর ছাড়া জেলার অবস্থা আরও করুণ। অভিযোগ রয়েছে, সেবার বদলে জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার টার্গেট নিয়েই পুলিশ হাসপাতালে পোস্টিং নেন মেডিকেল কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকেরা বেশ কয়েকবার জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার সুযোগ করে নিয়েছেন।

পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল ও উপ-পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গেলে অনেক সময়ই সেবার বদলে যাতনা নিয়ে ফিরতে হয়। বেশির ভাগ অসুখের ক্ষেত্রেই তাদের প্যারাসিটামল প্রেসক্রাইব করেন চিকিৎসকরা। তবে বিপরীত চিত্র প্রথম শ্রেণীর পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে।

যানবাহন সমস্যা : পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা দামি বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করলেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ভুগছেন যানবাহন সংকটে। অপরাধীরা যেখানে উন্নত মানের যানবাহন ব্যবহার করে দ্রুত অপরাধস্থল ত্যাগ করে, সেখানে চাহিদার তুলনায় পুলিশের যানবাহনের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য, অতি পুরনো ও জরাজীর্ণ। মহানগরীসহ অধিকাংশ এলাকায় যানবাহন অধিগ্রহণ (রিকুইজেশন) করে কাজ সম্পাদনের ফলে জনগণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে বিরূপ ধারণা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ : পুলিশ ছাড়া সরকারের অন্য সব বাহিনীতে বেতন ছাড়াও আলাদা ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। সাড়ে তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পুলিশ-ভাতার প্রতিশ্রুতিরও কোনো বাস্তবায়ন নেই। এ ছাড়া যেখানে নিম্নপদের পুলিশ সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন অপারেশনে যান, সেখানে কেবল পরিদর্শক থেকে তদূধর্্ব পদের জন্য ঝুঁকিভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও তা নামে মাত্র।

কর্মঘণ্টা : সরকারের সব বিভাগে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা আছে। অন্য সব বাহিনীতে। এ সুবিধা থেকে বরাবরই বঞ্চিত শুধু পুলিশ। কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন সময় পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি তুলে ধরলেও রহস্যজনক কারণে এটি সুনির্দিষ্ট করার কার্যক্রম থেমে যাচ্ছে। কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করে ওভারটাইমের ব্যবস্থা করা হলে পুলিশ সদস্যরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতেন।

মিশন নিয়ে হতাশা : জাতিসংঘ মিশনে যাওয়ার প্রক্রিয়াগত জটিলতা নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) কর্মরত এক সহকারী উপ-পরিদর্শক বলেন, 'তিন বছর আগে তিনি মিশনে যাওয়ার জন্য পরীক্ষায় পাস করেন। মন্ত্রী কিংবা ঊধর্্বতন প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের তদবির না থাকায় তিনি মিশনে যেতে পারেননি। আর মাত্র তিন মাস পর তিনি অবসরে যাবেন। তবে পাস না করেও লোকজন থাকায় অনেকেই জাতিসংঘ মিশনে যাচ্ছেন।'

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুলিশের সমস্যার বিষয়টি সম্পর্কে সরকার অবগত। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। ধীরে ধীরে সব সমস্যার সমাধান হবে।

8
Science Discussion Forum / An highly talked poem
« on: June 18, 2012, 10:00:23 AM »
A new poem by Günter Grass, the prominent German author and 1999 recipient of the Nobel Prize in Literature, has stirred controversy for its portrayal of Israel as threatening world peace with its plots against Iran.

Published in the magazine Süddeutsche Zeitung, the poem entitled "What must be said" expressed frustration with the "Western hypocrisy" that challenges Iran's nuclear program when Israel's own secretive nuclear program has never been officially acknowledged.

Grass writes: "Why do I say only now, aged and with my last drop of ink, that the nuclear power Israel endangers an already fragile world peace? Because that must be said which may already be too late to say tomorrow." .........


What must be said

Why I am silent, silent for too much time,
how much is clear and we made it
in war games, where, as survivors,
we are just the footnotes.

That is the claimed right to the formal preventive aggression
which could erase the Iranian people
dominated by a bouncer and moved to an organized jubilation,
because in the area of his competence there is
the construction of the atomic bomb.

And then why do I avoid myself
to call the other country with its name,
where since years - even if secretly covered -
there is an increasing nuclear power,
without control, because unreachable
by every inspection?

I feel the everybody silence on this state of affairs,
which my silence is slave to,
as an oppressive lie and an inhibition that presents punishment
we don’t pay attention to;
the verdict “anti-Semitism” is common.

Now, since my country,
from time to time touched by unique and exclusive crimes,
obliged to justify itself,
again for pure business aims - even if
with fast tongue we call it “reparation” -
should deliver another submarine to Israel,
with the specialty of addressing
annihilating warheads where the
existence of one atomic bomb is not proved
but it wants evidence as a scarecrow,
I say what must be said.

Why did I stay silent until now?
Because the thought about my origin,
burdened by an unclearing stain,
had avoiding to wait this fact
like a truth declared by the State of Israel
that I want to be connected to.

Why did I say it only now,
old and with the last ink:
the nuclear power of Israel
threat the world peace?
Because it must be said
what tomorrow will be too late;
Because - as Germans and with
enough faults on the back -
we might also become deliverers of a predictable
crime, and no excuse would erase our complicity.

And I admit: I won’t be silent
because I had enough of the Western hypocrisy;
Because I wish that many will want
to get rid of the silence,
exhorting the cause of a recognizable
risk to the abdication, asking that a free and permanent control
of the Israel atomic power
and the Iran nuclear bases
will be made by both the governments
with an international supervision.

Only in this way, Israelis, Palestinians, and everybody,
all people living hostile face to face in that
country occupied by the craziness,
will have a way out,
so us too.


9
Dr. Md. Shahidur Rahman
44 Madda paikpara
Ansar camp,
Mirpore, Dhaka.
Mob : +880-01718082515
Consulting Hours 9-00 AM to 12-00 AM
Friday closed



Dr. Md. Yeakub Ali
D.H.M.S., M. Sc. (Biochemistry),
D.U. (first class first)
15/C North Dhanmondi (Kalabagan)
(Near lake circus girl's school)
Dhaka.
phone : +880-9142660
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday closed


Dr. S. M. Jahangir Alam
D.H.M.S.(Dhaka), B.Sc.(hon), M. Sc. (Geography),
D.U. (first class), M.B.A.
chamber : Aafa homoeo centre
761/A Khilgao
Road no.- 23
Dhaka-1219
Bangladesh
Mob : +880-01819449960
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday closed


Dr. Bashir Mahmud Ellias
Author, Design specialist, Homeo consultant
chamber : Mizan homeo pharmacy
9/D Toyenabi circular road,
Kamalapore, Dhaka,
Bangladesh.
Mob : +880-01916038527
E-mail : Bashirmahmudellias@hotmail.com
Website : http://bashirmahmudellias.blogspot.com/
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday closed


Dr. Md. Mosharraf Hossain
Homeo consultant
consulting hours : 05 pm- 08 pm
NATIONAL HOMOEO HALL
29/A Kamalapur Bazar Road,
Dhaka-1217
Tel : 9333409, 7218525
Mobile: 01191146629-30
E-mail : alm@bdcom.com



Dr. Fariduddin Ahmad
Dr. Golam Rasul
Dr. Amjad Hossin
Dr. Shukla Das
Dr. A. K. Mirza
Dr. Feroza Khan
Green Homeo Hall
3 Shantinagar, Dhaka-1217
Ph: 933448, 9347637, 01711-233496
e-mail : greenhomeo@dhaka.net
Consulting Hours 9-00 AM to 9-00 PM
Friday closed




Dr. Ali Ahmed
chamber : Younan homeopathic pharmacy
B-411 Khilgaon chowdurypara
(near matir masjid)
Dhaka,
Bangladesh.
pho : +880-7217485
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Saturday closed




Dr. M. Ahmed
Macks Homeo Hall & Online Homeo Clinic
183-184 Krishi Market Shopping Complex
(Near Maxi Stand & Opposite to JGC),
Ring Road, Mohammadpur
Dhaka-1207
Bangladesh
Consulting Days Sunday to Thursday
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday 9-OOAM to 12-00 Noon
Saturday Closed
880-2-8124602 (Chamber)0189251262 (Mobile)
E-mail: drmahmed@doctorsofbangladesh.com



Dr. Ataul Hoque Shahin
D.H.M.S.
New Life Pharmacy
281-283 Dhaka New Market
Dhaka-1205
Mobile: 01916-762668
Phone : 9672805
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday closed




Dr. Mohammed Helal Uddin
D.H.M.S.
(ex. Executive engineer, PDB)
Rokeya Homeo Hall
111/3/A North Mugdapara
(opposite WAPDA colony gate)
Dhaka-1214
Mobile: 01817-100270
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday closed



Dr. S. A. Malek
B. Sc., M.B.B.S.
Homeo consultant
87 Bashiruddin road
kalabagan, Dhaka.
ph-9128211 (chamber)
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday closed





Dr. Feroz Ahmed
D.H.M.S.
Shuvo Homeo Hall
176 Dhaka New Market
Dhaka-1205
Mobile: 01818-269899
Phone : 9673477
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday closed




Dr. Shamsul Alam Talukder
Consulting Hours : 4-30 to 8-30 p.m.
M.Sc.(Biochem) M.B.B.S(Dhaka) Thursday & Friday Closed
Ph. D(Pharmacology) U.K. Sahera Circle(2nd Floor)
Professor & Former Head 218 New Elephant Road, Dhaka.
Department of Pharmacy Phone : 8625280 (Chamber)
University of Dhaka.




Dr. Md. Delwar Hossain
D.H.M.S.
Delwar & company (Homeo)
312 Dhaka New Market
Dhaka-1205
Mobile: 01552-456638
Phone : 8624309
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday closed



Dr. Md. G. M. Faruk
D.H.M.S.
New Golden Life Homeo Hall
311 Dhaka New Market
Dhaka-1205
Mobile: 01819-827369
Phone : 8631697
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday closed




Dr. Safinaz Ferdusi Talukder
M.B.B.S(Dhaka)
Consulting Hours : 4-30 to 8-30 p.m
Thursday & Friday Closed
Sahera Circle(2nd Floor)
218 New Elephant Road, Dhaka.
Phone : 8625280 (Chamber)
Consulting Hours 6-00 PM to 9-30 PM
Friday closed


10
Science Discussion Forum / The requrement of image varifivation
« on: June 18, 2012, 09:25:04 AM »
What is Image Verification ( Captcha )?

A security test to determine whether or not the user is human. This will ensure that only human visitors will actually submit the form, and not spamming bots that are browsing the web from site to site and submit spam where they can. It is well known that programmers can do programs for many jobs, including visiting a large amount of sites on the Internet by following links from page to page and collect emails listed on websites, submit contact forms, or even trying to break passwords by trying to login over and over again with computer generated passwords.
Fortunately, it is impossible for a non-human ( ex. computer program ) to extract a word or a combination of letters and numbers from an image, if the letters and numbers are not all of the same size and of similar font. This is why, the Image Verification security method ensures that only people actually can submit a form.


11
 
সেরা ৭ দুর্লভ রত্নপাথরপৃথিবীতে সবচেয়ে দামি রত্নপাথর বলতে আমরা শুধু হীরা বা ডায়মন্ডকেই বলে থাকি। কিন্তু বাস্তবে পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ ও মহামূল্যবান রত্নপাথরগুলোর মধ্যে হীরা কেবল একটি। বাকি সবই দুর্লভ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বিভিন্ন রত্নপাথর। সেগুলোর কোনো কোনোটি আবার অমূল্য বলে বিবেচিত। কারণ সেসব পাথর টাকা দিয়ে কেনা বা মালিকানা নেওয়া সম্ভব নয়। কোনোটির সমতুল্য দ্বিতীয় কোনো পাথর আজ অবধি পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর সেরা সাতটি দুর্লভ ও মহামূল্যবান রত্নপাথর নিয়ে লিখেছেন - তানভীর আহমেদ
০১. জাডেইট
পৃথিবীতে যত মহামূল্যবান রত্নপাথর রয়েছে তার মধ্যে জাডেইট সবচেয়ে দুর্লভ। মূল্য দিয়ে এটিকে বিচার করা যায় না বলেই একে অমূল্য রত্নপাথর বলে ধরা হয়ে থাকে। পৃথিবীর নিচে মাটির স্তর থেকে প্রাথমিকভাবে এটি খনিজ হিসেবে তুলে আনা হয়। এটি প্রথম তুলে আনা হয় ক্যালিফোর্নিয়ার গুয়ানতেমালা এলাকা থেকে। ১৯৯৭ এর নভেম্বর হংকংয়ে ক্রিস্টি নামক একটি জুয়েলারি কোম্পানি মোট ২৭ টুকরা (০.৫ মি.মি) জাডেইট খাঁজ কেটে বসানো একটি গলার হার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশি টাকায় ৬০ কোটি ৪৫ লাখ টাকায়।

০২. গ্রেনডিডেরিট
মাদাগাস্কার এলাকায় খুবই ছোট আকৃতির নীলচে-সবুজ বর্ণের একটি গ্রেনডিডেরিট সর্বপ্রথম পাওয়া যায়। আলফ্রেড গ্রেনডিডেরিট নামক এক ব্যক্তি এটি ক্রয় করেছিলেন বলে এটির নাম রাখা হয় গ্রেনডিডেরিট। তবে তিনি এটি কত টাকায় কিনেছিলেন সেটা গোপন রাখা হয়েছিল। এর সমতুল্য কোনো গ্রেনডিডেরিট আজও পাওয়া যায়নি। খনি থেকে গ্রেনডিডেরিট আলাদা করতে বছরের পর বছর কেটে যায়।

০৩. টাফেইট
১৯৪৫ সালে শ্রীলঙ্কায় এডওয়ার্ড টাফেইট নামক এক ব্যক্তি এই দুর্লভ রত্নপাথরটি খুঁজে পেয়েছিলেন। এটি বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে- উজ্জ্বল বেগুনি, টকটকে লাল এবং স্বচ্ছ। বেশিরভাগ স্বচ্ছ টাফেইট সামনের দিকে ও পেছনের দিকে একই সঙ্গে দ্বি-প্রতিবিম্ব ফেলতে পারে। দুর্লভ বলে এটিও অমূল্য।

০৪. পেইন্ট
১৯৫০ সালে অর্থার সিডি পেইন এটি মিয়ানমারে খুঁজে পেয়েছিলেন। তিনি জানতেন না এটি পৃথিবীর অন্যতম বিরল খনিজ এবং অমূল্য রত্নপাথর। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে মাত্র তিনটি রত্নপাথর_ পেইন্ট পাওয়া গেছে। প্রধানত লালচে ও খয়েরি বর্ণের এই রত্নপাথরটি দুর্লভ বলে এটি বিক্রি করা হয় না। অর্থাৎ এটিও অমূল্য।

০৫. রেড ডায়মন্ড বা লাল হীরা
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেড ডায়মন্ড ৫.১১ ক্যারেটের। রত্ন সংগ্রহকারীদের সবচেয়ে আগ্রহের রত্নপাথর এটি। অনেকেই এটি কিনতে চেয়েছেন কিন্তু রেড ডায়মন্ড এতটাই দুর্লভ যে, তার সমতুল্য কোনো রেড ডায়মন্ডের কথা আজ অবধি না কেউ দেখেছে না কেউ শুনেছে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, এটি নিলামে তোলা সম্ভব হলে এটিই হতো পৃথিবীর সবচেয়ে দামি রত্ন।

০৬. জারমজেভিট
এটিও খুবই দুর্লভ এবং অমূল্য রত্নপাথর। নাম্বিয়ার সমুদ্রতীরে ১৯৭৩ সালে এটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। অন্য কোথাও জারমজেভিট পাওয়া গেছে এমনটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। স্বচ্ছ জারমজেভিট সাধারণ আলোতেই অসম্ভবরকম উজ্জ্বল এবং চোখ ধাঁধানো।

০৭. ব্লু গারনেট
ব্লু গারনেট বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ এবং মহামূল্যবান রত্নপাথর। খুব নগণ্য পরিমাণ ব্লু গারনেটের মালিক নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সেরা ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় থাকবেন। ২০০৩ সালে ৪.২ ক্যারেট ব্লু গারনেট বিক্রি হয়েছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৪ কোটি ২০ লাখ টাকায়। এটি দিনের আলোয় নীলচে সবুজ ও রাতের আলোয় গোলাপি বর্ণ ধারণ করে। এমন ব্যতিক্রমী বর্ণচোরা রত্নপাথর দ্বিতীয়টি আর নেই বললেই চলে।
সম্পাদক : নঈম নিজাম, ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পক্ষে মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন কর্তৃক প্লট নং-৩৭১/এ, ব্লক-ডি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বারিধারা, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং প্লট নং-সি/৫২, ব্লক-কে, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, বাড্ডা, ঢাকা-১২২৯ থেকে মুদ্রিত। ফোন : পিএবিক্স-৮৪০২৩৬১-৩, ফ্যাক্স : বার্তা-৮৪০২৩৬৪, বিজ্ঞাপন-৮৪০২৩৬৫।
E-mail : bdpratidin@gmail.com, bd_mofossal@bangladesh-pratidin.com


12
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) দুই শিক্ষার্থীর আবিষ্কার ‘ম্যাকি ম্যাকি’ তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। এই ডিভাইসটি ব্যবহার করে সাধারণ একটি ফল থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত বিদ্যুত পরিবাহী যে কোনো বস্তুকে টাচ প্যাড বা কিবোর্ডে রূপান্তর করা যাবে। ইতোমধ্যে ম্যাকি ম্যাকি ব্যবহার করে কলা দিয়ে পিয়ানো বাজিয়ে তার প্রমাণও দিয়েছেন তারা। খবর বিবিসির।

ম্যাকি ম্যাকির আবিষ্কারক জে সিলভার এবং এরিক রোসেনবাম দু’জনই এমআইটির শিক্ষার্থী। তাদের তৈরি ম্যাকি ম্যাকি ডিভাইসটির ব্যবহার এতোটাই সহজ যে শিশু থেকে বৃদ্ধ, যে কেউ এটি ব্যবহার করে বিদ্যুত পরিবাহী যে কোনো বস্তুকে টাচ প্যাড বা কিবোর্ড হিসেবে কাজে লাগাতে পারবে।

ম্যাকি ম্যাকি ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কেবল একটি ইউএসবি কেবল, বেসপোক সার্কিট বোর্ড এবং একটি অ্যালিগেটর ক্লিপ। ইউএসবি কেবল ব্যবহার করে এটিকে পিসি বা ল্যাপটপের সঙ্গে কানেকশন দিয়ে অ্যালিগেটর ক্লিপটি লাগাতে হবে বিদ্যুত পরিবাহী যে কোনো বস্তুর সঙ্গে। আর সার্কিট বোর্ডটিকে এমনভাবে প্রোগাম করা হয়েছে, যার ফলে আর দশটি সাধারণ কিবোর্ডের মতোই ব্যবহার করা যাবে এই ডিভাইসটি দিয়ে। আর এটির অভিনব ব্যবহারের একাধিক প্রমাণও দিয়েছেন আবিষ্কারক।

এর মধ্যে সবচেয়ে মজার কাজটি তারা করেছেন ম্যাকি ম্যাকি ব্যবহার করে কলা দিয়ে পিয়ানো বাজিয়ে। এছাড়াও একটি বিচ বলকে ম্যাকি ম্যাকির বদৌলতে গেম কন্ট্রোলার বানিয়ে নিয়েছেন তারা। রক্ষা পায়নি এই দুই আবিষ্কারকের বন্ধুমহল। দুই বন্ধুর শরীরে ম্যাকি ম্যাকি কানেক্ট করে তাদের ব্যবহার করেছেন সাউন্ড মেশিন হিসেবে। শুধু তাই নয় পোষা কুকুর বেড়ালের ওপরও ব্যবহার করা যাবে ম্যাকি ম্যাকি।

এ ব্যপারে রোসেনবাম বিবিসিকে বলেন, ‘এই ডিভইিসটির পেছনের মূল চিন্তাটাই এমন যে, আমারদের চারপাশের সবকিছুকেই কনস্ট্রাকশন কিট-এ রুপান্তরিত করা।’ ম্যাকি ম্যাকি সাধারণ মানুষের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন শক্তি বাড়াবে বলে আশা করছেন আবিষ্কারক।

ডিভাইসটির আরেক আবিষ্কারক জে সিলভার জানান, একাধিক ব্যক্তি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সাধারণ কিবোর্ড ব্যবহার করতে অক্ষম মানুষদের জন্য ম্যাকি ম্যাকি ডিভাইসটিকে কাস্টোমাইজ করে দিতে। সিলভার এটাও জানান যে, সেরিব্রাল প্যালসিতে ভুগতে থাকা এক সন্তানের জন্য এই ডিভাইসটিকে একটি কম্পিউটার ইন্টারফেস হিসেবে রূপ দিতে কাজ করছেন এক বাবা।

আর এই ডিভাইসটি যেহেতু বিদ্যুৎ পরিবাহী বস্তুর ওপর নির্ভর করে কাজ করে, তাই এর ব্যবহার সাধারণ মানুষের জন্যটা কতোটা নিরাপদ -এমন প্রশ্নের উত্তরে এটির ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে নিশ্চিত করেন রোসেনবাম। তিনি জানান, ডিভাইসটি খুবই অল্প বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যা সম্পূর্ন নিরাপদ এবং এর পরিমাণ এতোই কম যে, মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর শরীরে সংযোগ দেয়া হলে বিদ্যুৎ শনাক্তই করা যায় না।


13
খেলার বল ছেড়ে আইপ্যাড-এর পেট-ফ্রেন্ডলি অ্যাপি­কেশনের গেইম খেলতেই বেশী পছন্দ বিড়ালটির! অদ্ভূত এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। খবর অরেঞ্জ নিউজের।

টাইগার লিলি নামের বিড়ালটির মালিক অ্যানি ড্রুইস জানান, গত চার পাঁচ মাস ধরেই চলছে টাইগার লিলির এই অ্যাইপ্যাড আসক্তি। বিড়ালটির নখ থেকে নিজের সাধের আইপ্যাডটিকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত একটি প­স্টিক স্ক্রিন প্রোটেক্টরও ব্যবহার শুর“ করেছেন তিনি।

অ্যানি ড্রুইস আরও জানান, অ্যাইপ্যাড এ গেইম খেলা নিয়ে প্রায়ই বেশ ব্যাস্ত হয়ে যায় তার আদরের টাইগার লিলি। আর এই গেইমগুলো খেলায় বেশ পারদর্শীও হয়ে উঠেছে বিড়ালটি।

অ্যানি এ ব্যপারে বলেন, ‘টাইগার গেইমগুলো খেলে সত্যিই খুব মজা পায়। গেইমগুলোর শব্দ আর ছবিগুলো ওকে খুবই উত্তেজিত করে।’

মজার ব্যপার হচ্ছে, শুধু সিডনির টাইগার লিলিই নয়, পুরো পৃথিবীতেই কুকুর বিড়ালের গোত্রীয় পোষা প্রাণীদের মধ্যে অ্যাইপ্যাড এবং অ্যাইফোন এর পেট-ফ্রেন্ডলি অ্যাপি­কেশনগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের একটি চিড়িয়াখানায় ওরাংওটাং অ্যাইপ্যাডের এই পেট-ফ্রেন্ডলি অ্যাপি­কেশনের ব্যবহার শিখে গেছে পুরোদমে।

14
Science Discussion Forum / Warning for textile field in Bangladesh.
« on: June 17, 2012, 05:31:22 PM »
বেতন বাড়ানোর দাবিতে টানা শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে আশুলিয়া এলাকার সব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে পোশাক শিল্প মালিকরা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ'র এক সভায় এ সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সারাদেশের পোশাক কারখানা বন্ধের হুমকিও দিয়েছে তারা।

Pages: [1]