Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - shafayet

Pages: [1] 2 3 ... 64
1
BBA Discussion Forum / Country likely to see record tea output again
« on: April 15, 2019, 07:46:06 PM »
BTRI has formally begun tea production for 2019 at its black tea factory
 
The country's tea production is likely to increase by a record margin in 2019 due to favourable weather conditions, said tea industry insiders.

Md Zahirul Islam, general manager of privately-owned M Rahman Tea Land Company in Sreemangal, said: "This time we are hopeful that we will see a much better yield than last year as the weather has been very good since the beginning this year's tea season."

"If everything persists on the current path, the country might witness another tea bumper crop. Plus, if we can get the price as good as last year, we might be able to secure a hefty profit margin," he added.

Regarding the annual extension of tea plantations, he said: "the Bangladesh Tea Board has made a 2.5% annual extension mandatory. We try to extend plantations even further after fulfilling the requirement."

Golam Shibli, chairman of Finley tea company's Sylhet branch, said: "We got time-befitting rainfall this year and if the trend continues, we are about to set another record in tea production. There is a demand of about 85-90 million kilograms of tea in the country. We are very hopeful that we will meet it this year."

Regarding price, Shibli said: "We got good value last year and hope for more this time around."

Regarding tea imports, he said: "Low-quality tea, imported from India, has damaged the good name of our tea in the market place. However, it is not too late for quality control if the government pays heed to this matter."

Kanu Lal and Sunita Baroi, workers of the MR Khan tea garden and Bharaura tea gardens, respectively, said by this time in any other years, it would have been difficult to pick 2kg of tea leaves from the garden. However, they have already collected around 5kg tea this year due to timely rain.

Number of tea gardens and average production

•    There are 166 tea gardens in the country. Of them, 93 are in Moulvibazar district.

•    Around 8.21 crore kilograms of tea were yielded from all the tea plantations last year, according to Bangladesh Tea Board sources.

•    The yield was 7.89 crore kilograms in 2017 and 8.50 crore kilograms in 2016.

•    Average tea production stands at 8.20 crore kilograms in the last three years.   

In the beginning of the 2018 tea season—February to March—people in the tea sector were concerned about production due to a lack of rain. 

Though the production target was set at 7.23 crore kilograms for 2018, around 6.67 crore kilograms tea were produced—in nine months—till September. In the end, tea production crossed the target limit by around 89 lakh kilograms.

According to sources at the Project Development Unit (PDU) of the Sreemangal Tea Board, the scope of tea cultivation was gradually extended as part of a development strategy adopted in 2009.

Tea gardening was initiated in Ruma upazila of Bandarban. The Bangladesh Tea Research Institute (BTRI) has been training the locals extensively about the cultivation process and precautionary measures. Cutting-edge technology is also being used in the farming process. Tea production was bumped up, despite adverse weather conditions.     

Meanwhile, BTRI formally began tea production for 2019, at its black tea factory, on April 8.

BTRI Director Mohammad Ali, former Director Md Mainuddin Ahmed, Chief Scientific Officer Ismail Hossain were present at the inaugural program, among others.


2
BTRI has formally begun tea production for 2019 at its black tea factory
 
The country's tea production is likely to increase by a record margin in 2019 due to favourable weather conditions, said tea industry insiders.

Md Zahirul Islam, general manager of privately-owned M Rahman Tea Land Company in Sreemangal, said: "This time we are hopeful that we will see a much better yield than last year as the weather has been very good since the beginning this year's tea season."

"If everything persists on the current path, the country might witness another tea bumper crop. Plus, if we can get the price as good as last year, we might be able to secure a hefty profit margin," he added.

Regarding the annual extension of tea plantations, he said: "the Bangladesh Tea Board has made a 2.5% annual extension mandatory. We try to extend plantations even further after fulfilling the requirement."

Golam Shibli, chairman of Finley tea company's Sylhet branch, said: "We got time-befitting rainfall this year and if the trend continues, we are about to set another record in tea production. There is a demand of about 85-90 million kilograms of tea in the country. We are very hopeful that we will meet it this year."

Regarding price, Shibli said: "We got good value last year and hope for more this time around."

Regarding tea imports, he said: "Low-quality tea, imported from India, has damaged the good name of our tea in the market place. However, it is not too late for quality control if the government pays heed to this matter."

Kanu Lal and Sunita Baroi, workers of the MR Khan tea garden and Bharaura tea gardens, respectively, said by this time in any other years, it would have been difficult to pick 2kg of tea leaves from the garden. However, they have already collected around 5kg tea this year due to timely rain.

Number of tea gardens and average production

•    There are 166 tea gardens in the country. Of them, 93 are in Moulvibazar district.

•    Around 8.21 crore kilograms of tea were yielded from all the tea plantations last year, according to Bangladesh Tea Board sources.

•    The yield was 7.89 crore kilograms in 2017 and 8.50 crore kilograms in 2016.

•    Average tea production stands at 8.20 crore kilograms in the last three years.   

In the beginning of the 2018 tea season—February to March—people in the tea sector were concerned about production due to a lack of rain. 

Though the production target was set at 7.23 crore kilograms for 2018, around 6.67 crore kilograms tea were produced—in nine months—till September. In the end, tea production crossed the target limit by around 89 lakh kilograms.

According to sources at the Project Development Unit (PDU) of the Sreemangal Tea Board, the scope of tea cultivation was gradually extended as part of a development strategy adopted in 2009.

Tea gardening was initiated in Ruma upazila of Bandarban. The Bangladesh Tea Research Institute (BTRI) has been training the locals extensively about the cultivation process and precautionary measures. Cutting-edge technology is also being used in the farming process. Tea production was bumped up, despite adverse weather conditions.     

Meanwhile, BTRI formally began tea production for 2019, at its black tea factory, on April 8.

BTRI Director Mohammad Ali, former Director Md Mainuddin Ahmed, Chief Scientific Officer Ismail Hossain were present at the inaugural program, among others.


3
নতুন বিলিয়নার তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে চীন। দেশটিতে প্রতি দুইদিনে একজন করে বিলিয়নার তৈরি হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং কোম্পানি ‘ইউবিএস’র বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার ‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কোম্পানি ‘ক্রেডিট সুইস’র রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’ অনুসারে, সারাবিশ্বে দেশীয় সম্পদের বিকাশে প্রাপ্তবয়স্কদের গড় অবদানের ভিত্তিতে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময় দেশটির সম্পদের বিকাশে প্রাপ্তবয়স্কদের অবদান ৫.৫ শতাংশ হারে বেড়ে তিন লাখ ৯১ হাজার ৬৯০ ডলার হয়।

এদিকে ৬.৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার মাধ্যমে বৈশ্বিক সম্পদ বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন মিলিয়নার তৈরির ক্ষেত্রেও শীর্ষে অবস্থান করছে দেশটি।

রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ বছর ধরে দেশীয় সম্পদের বিকাশে শীর্ষে আছে। কিন্তু দ্রুতই তার কাছাকাছি চলে আসবে চীন। আগামী পাঁচ বছরে সারাবিশ্বে মিলিয়নারদের সংখ্যার তালিকায় শীর্ষ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের তিনগুণ বেশি মিলিয়নার তৈরি করবে চীন।

এতে বলা হয়, এই শতকে চীনের মোট সম্পদ বেড়েছে এক হাজার ৩০০ শতাংশ হারে, যার পরিমাণ ৫১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্য যেকোনও দেশের তুলনায় এটি দ্বিগুণ। এই শতকে চীনের অর্থনীতি এত দ্রুত এগিয়েছে যে আগামী প্রজন্মের মধ্যেই দেশটির সম্পদের বৈষম্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

ক্রেডিট সুইস’র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’র নবম সংস্করণ এটি। সংগঠনটির নিজস্ব গবেষকরা দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ধারা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ‘ক্রেডিট’ সঙ্কট বিষয়ক এই রিপোর্ট তৈরি করে।

সারাবিশ্বের ২০০ দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে সংগ্রহ করা উপাত্তের ভিত্তিতে সংগঠনটির সবশেষ গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। দেশগুলোর ধনী ও গরিবের সম্পদ পরিবর্তনের কারণ তুলে ধরা হয়েছে এতে।

4
নতুন বিলিয়নার তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে চীন। দেশটিতে প্রতি দুইদিনে একজন করে বিলিয়নার তৈরি হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং কোম্পানি ‘ইউবিএস’র বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার ‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কোম্পানি ‘ক্রেডিট সুইস’র রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’ অনুসারে, সারাবিশ্বে দেশীয় সম্পদের বিকাশে প্রাপ্তবয়স্কদের গড় অবদানের ভিত্তিতে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময় দেশটির সম্পদের বিকাশে প্রাপ্তবয়স্কদের অবদান ৫.৫ শতাংশ হারে বেড়ে তিন লাখ ৯১ হাজার ৬৯০ ডলার হয়।

এদিকে ৬.৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার মাধ্যমে বৈশ্বিক সম্পদ বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন মিলিয়নার তৈরির ক্ষেত্রেও শীর্ষে অবস্থান করছে দেশটি।

রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ বছর ধরে দেশীয় সম্পদের বিকাশে শীর্ষে আছে। কিন্তু দ্রুতই তার কাছাকাছি চলে আসবে চীন। আগামী পাঁচ বছরে সারাবিশ্বে মিলিয়নারদের সংখ্যার তালিকায় শীর্ষ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের তিনগুণ বেশি মিলিয়নার তৈরি করবে চীন।

এতে বলা হয়, এই শতকে চীনের মোট সম্পদ বেড়েছে এক হাজার ৩০০ শতাংশ হারে, যার পরিমাণ ৫১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্য যেকোনও দেশের তুলনায় এটি দ্বিগুণ। এই শতকে চীনের অর্থনীতি এত দ্রুত এগিয়েছে যে আগামী প্রজন্মের মধ্যেই দেশটির সম্পদের বৈষম্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

ক্রেডিট সুইস’র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’র নবম সংস্করণ এটি। সংগঠনটির নিজস্ব গবেষকরা দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ধারা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ‘ক্রেডিট’ সঙ্কট বিষয়ক এই রিপোর্ট তৈরি করে।

সারাবিশ্বের ২০০ দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে সংগ্রহ করা উপাত্তের ভিত্তিতে সংগঠনটির সবশেষ গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। দেশগুলোর ধনী ও গরিবের সম্পদ পরিবর্তনের কারণ তুলে ধরা হয়েছে এতে।

5
পানি কি কখনো চিবিয়ে খাওয়া যায় এ ধরণের ধারণা আমাদের কখনোই ছিল না। কিন্তু প্রথমবারের মত বাংলাদেশের পানীয় বাজারে প্রাণ নিয়ে এলো নাটা ডি কোকো সমৃদ্ধ এক সুস্বাদু ফ্লেভারড ড্রিঙ্ক ‘ড্রিংকো’ যা শুধু পান করাই যায় না, চিবিয়ে খাওয়াও সম্ভব।

স্ট্রবেরি, পাইনআপেল,ম্যাংগো এবং লিচি- এই চারটি ফ্লেভারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ভিন্ন স্বাদের ড্রিঙ্ক ‘ড্রিংকো ফ্লোট’। এটি প্লাস্টিকের বোতলে বাজারজাত করা হচ্ছে; যার  মধ্যে থাকছে উল্লেখ্য চারটি ফ্লেভার অনুযায়ী সুস্বাদু নাটা।

এই নাটা সম্পূরণরূপে অরগানিক এবং নারিকেলের পানি দিয়ে তৈরি। এই নাটাভর্তি ড্রিংকো খেতে হবে চিবিয়ে। পুরো বোতল ভর্তি এই নাটা পানীয় বাজারে এক নতুন সংযোজন; যা এই গরমে মাতিয়ে রাখবে পানীয় প্রেমিদের।

6
লেখাপড়া রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এইচএসসি শেষ করার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর। তারপর ২০১১ সালে ঢাকা ব্যাংকে চাকরি। মাঝখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ। ঢাকা ব্যাংকে ৬ বছর থাকার পর ছেড়েছেন চাকরি। এর মধ্যে টুকটাক ব্যবসা করার কাজে মনোযোগ থেকে বিগ অনলাইন শপিং মল ইভ্যালির উদ্যোক্তা। বলছিলাম ডায়াপার ব্যবসা থেকে যাত্রা করে বড় স্বপ্ন পূরণের পথে হেঁটে চলা মোহাম্মদ রাসেলের কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আরটিভি অনলাইনের প্রতিবেদক শাহীনুর রহমান।

শুরুটা বলুন।

মো. রাসেল:  প্রথম বিজনেসটা শুরু হয় ডায়াপার বিজনেস দিয়ে। এরপর থেকে আস্তে আস্তে শুরু। ২০১৬ থেকে মূলত আমার ব্যবসাটা শুরু হয়। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে ধারণা আসে বড় একটি প্লাটফর্মের কথা। সেখান থেকে ইভ্যালির যাত্রা। 

চাকরি ছেড়ে কেন উদ্যোক্তা হতে চাইলেন?

মোহাম্মদ রাসেল: বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই আমি উদ্যোক্তা হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পড়ালেখা শেষ করেই তার সাহস পাচ্ছিলাম না। এজন্য আমার দরকার ছিল বিজনেস প্ল্যান, বিজনেস সাপোর্ট, ট্রেডিং, ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, ব্যান্ডিং ইত্যাদি বিষয়ে অভিজ্ঞতা। সে কারণে ঢাকা ব্যাংকে ৬ বছর চাকরিতে ছিলাম। ব্যাংক থেকেই আমি সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। মূলত উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন থেকে কয়েক বছর চাকরি করেছি। সেখানে আমার স্থায়ী হওয়ার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। তাই চাকরি ছেড়ে দিই।

কিন্তু অন্যভাবেও তো উদ্যোক্তা হতে পারতেন, ই-কমার্সে কেন?

মো. রাসেল: অনেক ব্যবসা আছে। যেগুলোর কোনও একটি ধরে করতে পারতাম। কিন্তু আমি বড় কিছু করার চিন্তা থেকে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করেছি। যার উদ্দেশ্যটাও অনেক বড়। ইভ্যালি কোনও বিশেষ পণ্যের বাজার না। এখানে সব ধরনের পণ্য পাবেন গ্রাহকরা। তাছাড়া আমি এখনও মনে করি- বৈশ্বিকভাবে অনলাইন কেনাকাটার ধারণা এখনও নতুন। আমেরিকাতে এর জনপ্রিয়তা এখনও ৫ শতাংশের নিচে। বাংলাদেশে তো ১ শতাংশ হয়েছে বলে মনে হয় না।

আমি মনে করি, বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসাকে বৈশ্বিক রূপ দিতে পারলে বা এ খাতের ব্যবসায় কিছু সমস্যা দূর করতে পারলে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত এই সম্ভাবনা থেকেই ইভ্যালির যাত্রা করেছি।

ইভ্যালি নামের রহস্য বলবেন

মো. রাসেল: আসলে রহস্য বলতে গেলে উদ্দেশ্যের কথাই আসে। আমরা চাচ্ছিলাম এশিয়া ভিত্তিক বা গ্লোবালি চিন্তা থেকে নামটা হোক। যেটা হবে একেবারেই ইউনিক। আমার সহধর্মিনী এক্ষেত্রে আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছে। যেমন আমাদের প্লানের মধ্যে আরও কয়েকটি ছিল ই-গ্যালাক্সি, ই-ওশেন, ই-স্কাই। মূলত ভ্যালি বা একটা জায়গা থেকে ইভ্যালি নাম।

বাংলাদেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা কতটুকু?

মো. রাসেল: গত কয়েক বছরে ই-কমার্সের গ্রোথ যে খুব বেশি সন্তোষজনক, তা নয়। তবে বিশ্বাস করি, এ খাতে বিশ্বে শীর্ষ ১১ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ থাকবে। এ দেশের জন্য ই-কমার্স খুব সম্ভাবনাময়ী।

বাজারে অনেক ই-কমার্স কোম্পানি আছে, সেক্ষেত্রে ইভ্যালি কীভাবে ব্যতিক্রমী?

মো. রাসেল: দেখুন, বিশ্বে ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবা, অ্যামাজন, ই-বে সবাই ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসায়িক মডেল অনুসরণ করে চলে। ইভ্যালিতে এই তিন কোম্পানির বিজনেস মডেল দাঁড় করানো হয়েছে। এখানে ছোটোখাটো জিনিস থেকে সব ধরনের জিনিসই গ্রাহকরা পাবেন। তারা যতদ্রুত সম্ভব আমাদের চ্যানেলের মাধ্যমে সঠিক পণ্যের ডেলিভারি পাবেন। তাছাড়া ইভ্যালি কানেক্ট নামে আমাদের একটা অপশন আছে; যার মাধ্যমে গ্রাহকরা ফেসবুকে চ্যাট করার মতো সেলারদের সঙ্গে পণ্য নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। যাতে গ্রাহকের আস্থা আরও বাড়বে।

আমাদের ব্যবসাটা মূলত রিটেইলার ভিত্তিক আবার কাস্টমার ভিত্তিক। রিটেইলাররা এই প্ল্যাটফর্মে তাদের অনলাইন স্টোর খুলে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। গ্রাহকরা সাধারণত যে সাইট থেকে পণ্য কিনে থাকে। সাধারণত সেই সাইটের সঙ্গেই যোগাযোগ করে থাকেন। আমাদের প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকরা চাইলে সেলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই পণ্য কিনতে পারবেন। অর্থাৎ তারা এখানে দোকানগুলোর খোঁজও পাবেন।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কেউ যদি বেঙ্গলের পণ্য বা লিনেক্সের স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে ওই কোম্পানির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন আবার ইভ্যালির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ওই কোম্পানিকে ইভ্যালিতে নিবন্ধনকৃত হতে হবে।

ইভ্যালিকে কোথায় দেখতে চান?

মো. রাসেল: বড় স্বপ্ন, বড় লক্ষ্য নিয়ে বিজয়ের মাসেই ইভ্যালির যাত্রা হয়েছে। বিশ্বাস করি, ইভ্যালির বিজয় নিশ্চিত। আগামী কয়েক বছরে ইভ্যালিকে অ্যামাজন, আলিবাবার কাতারে নিয়ে যেতে চাই। আমি মনে করি, সেটা সম্ভব। আমাদের কোম্পানি এক সময় বিশ্বের শীর্ষ ১০ ই-কমার্স কোম্পানির মধ্যে থাকবে।

বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটার অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, কিন্তু অনেকেই তো ঝরে যাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন

মো. রাসেল: হ্যাঁ, এটা সত্য। অনেকেই, বলতে গেলে প্রতিদিনই এই খাতটিতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা, নির্দেশনা, ব্র্যান্ডিং, পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে ব্যবসা শুরুর কিছুদিন পরই ঝরে যাচ্ছেন। তাদের জন্য আমি বলবো হতাশ হবেন না। আপনারা ব্যবসা শুরু করে যেখানে থেমে গিয়েছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করুন। ইভ্যালি আপনাদের নতুন প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মে আপনাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা অন্তর্ভূক্ত করে আবার চাঙ্গা করুন। দেখবেন একদিন সফল হবেন।

7
লেখাপড়া রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এইচএসসি শেষ করার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর। তারপর ২০১১ সালে ঢাকা ব্যাংকে চাকরি। মাঝখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ। ঢাকা ব্যাংকে ৬ বছর থাকার পর ছেড়েছেন চাকরি। এর মধ্যে টুকটাক ব্যবসা করার কাজে মনোযোগ থেকে বিগ অনলাইন শপিং মল ইভ্যালির উদ্যোক্তা। বলছিলাম ডায়াপার ব্যবসা থেকে যাত্রা করে বড় স্বপ্ন পূরণের পথে হেঁটে চলা মোহাম্মদ রাসেলের কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আরটিভি অনলাইনের প্রতিবেদক শাহীনুর রহমান।

শুরুটা বলুন।

মো. রাসেল:  প্রথম বিজনেসটা শুরু হয় ডায়াপার বিজনেস দিয়ে। এরপর থেকে আস্তে আস্তে শুরু। ২০১৬ থেকে মূলত আমার ব্যবসাটা শুরু হয়। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে ধারণা আসে বড় একটি প্লাটফর্মের কথা। সেখান থেকে ইভ্যালির যাত্রা। 

চাকরি ছেড়ে কেন উদ্যোক্তা হতে চাইলেন?

মোহাম্মদ রাসেল: বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই আমি উদ্যোক্তা হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পড়ালেখা শেষ করেই তার সাহস পাচ্ছিলাম না। এজন্য আমার দরকার ছিল বিজনেস প্ল্যান, বিজনেস সাপোর্ট, ট্রেডিং, ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, ব্যান্ডিং ইত্যাদি বিষয়ে অভিজ্ঞতা। সে কারণে ঢাকা ব্যাংকে ৬ বছর চাকরিতে ছিলাম। ব্যাংক থেকেই আমি সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। মূলত উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন থেকে কয়েক বছর চাকরি করেছি। সেখানে আমার স্থায়ী হওয়ার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। তাই চাকরি ছেড়ে দিই।

কিন্তু অন্যভাবেও তো উদ্যোক্তা হতে পারতেন, ই-কমার্সে কেন?

মো. রাসেল: অনেক ব্যবসা আছে। যেগুলোর কোনও একটি ধরে করতে পারতাম। কিন্তু আমি বড় কিছু করার চিন্তা থেকে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করেছি। যার উদ্দেশ্যটাও অনেক বড়। ইভ্যালি কোনও বিশেষ পণ্যের বাজার না। এখানে সব ধরনের পণ্য পাবেন গ্রাহকরা। তাছাড়া আমি এখনও মনে করি- বৈশ্বিকভাবে অনলাইন কেনাকাটার ধারণা এখনও নতুন। আমেরিকাতে এর জনপ্রিয়তা এখনও ৫ শতাংশের নিচে। বাংলাদেশে তো ১ শতাংশ হয়েছে বলে মনে হয় না।

আমি মনে করি, বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসাকে বৈশ্বিক রূপ দিতে পারলে বা এ খাতের ব্যবসায় কিছু সমস্যা দূর করতে পারলে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত এই সম্ভাবনা থেকেই ইভ্যালির যাত্রা করেছি।

ইভ্যালি নামের রহস্য বলবেন

মো. রাসেল: আসলে রহস্য বলতে গেলে উদ্দেশ্যের কথাই আসে। আমরা চাচ্ছিলাম এশিয়া ভিত্তিক বা গ্লোবালি চিন্তা থেকে নামটা হোক। যেটা হবে একেবারেই ইউনিক। আমার সহধর্মিনী এক্ষেত্রে আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছে। যেমন আমাদের প্লানের মধ্যে আরও কয়েকটি ছিল ই-গ্যালাক্সি, ই-ওশেন, ই-স্কাই। মূলত ভ্যালি বা একটা জায়গা থেকে ইভ্যালি নাম।

বাংলাদেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা কতটুকু?

মো. রাসেল: গত কয়েক বছরে ই-কমার্সের গ্রোথ যে খুব বেশি সন্তোষজনক, তা নয়। তবে বিশ্বাস করি, এ খাতে বিশ্বে শীর্ষ ১১ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ থাকবে। এ দেশের জন্য ই-কমার্স খুব সম্ভাবনাময়ী।

বাজারে অনেক ই-কমার্স কোম্পানি আছে, সেক্ষেত্রে ইভ্যালি কীভাবে ব্যতিক্রমী?

মো. রাসেল: দেখুন, বিশ্বে ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবা, অ্যামাজন, ই-বে সবাই ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসায়িক মডেল অনুসরণ করে চলে। ইভ্যালিতে এই তিন কোম্পানির বিজনেস মডেল দাঁড় করানো হয়েছে। এখানে ছোটোখাটো জিনিস থেকে সব ধরনের জিনিসই গ্রাহকরা পাবেন। তারা যতদ্রুত সম্ভব আমাদের চ্যানেলের মাধ্যমে সঠিক পণ্যের ডেলিভারি পাবেন। তাছাড়া ইভ্যালি কানেক্ট নামে আমাদের একটা অপশন আছে; যার মাধ্যমে গ্রাহকরা ফেসবুকে চ্যাট করার মতো সেলারদের সঙ্গে পণ্য নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। যাতে গ্রাহকের আস্থা আরও বাড়বে।

আমাদের ব্যবসাটা মূলত রিটেইলার ভিত্তিক আবার কাস্টমার ভিত্তিক। রিটেইলাররা এই প্ল্যাটফর্মে তাদের অনলাইন স্টোর খুলে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। গ্রাহকরা সাধারণত যে সাইট থেকে পণ্য কিনে থাকে। সাধারণত সেই সাইটের সঙ্গেই যোগাযোগ করে থাকেন। আমাদের প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকরা চাইলে সেলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই পণ্য কিনতে পারবেন। অর্থাৎ তারা এখানে দোকানগুলোর খোঁজও পাবেন।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কেউ যদি বেঙ্গলের পণ্য বা লিনেক্সের স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে ওই কোম্পানির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন আবার ইভ্যালির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ওই কোম্পানিকে ইভ্যালিতে নিবন্ধনকৃত হতে হবে।

ইভ্যালিকে কোথায় দেখতে চান?

মো. রাসেল: বড় স্বপ্ন, বড় লক্ষ্য নিয়ে বিজয়ের মাসেই ইভ্যালির যাত্রা হয়েছে। বিশ্বাস করি, ইভ্যালির বিজয় নিশ্চিত। আগামী কয়েক বছরে ইভ্যালিকে অ্যামাজন, আলিবাবার কাতারে নিয়ে যেতে চাই। আমি মনে করি, সেটা সম্ভব। আমাদের কোম্পানি এক সময় বিশ্বের শীর্ষ ১০ ই-কমার্স কোম্পানির মধ্যে থাকবে।

বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটার অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, কিন্তু অনেকেই তো ঝরে যাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন

মো. রাসেল: হ্যাঁ, এটা সত্য। অনেকেই, বলতে গেলে প্রতিদিনই এই খাতটিতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা, নির্দেশনা, ব্র্যান্ডিং, পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে ব্যবসা শুরুর কিছুদিন পরই ঝরে যাচ্ছেন। তাদের জন্য আমি বলবো হতাশ হবেন না। আপনারা ব্যবসা শুরু করে যেখানে থেমে গিয়েছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করুন। ইভ্যালি আপনাদের নতুন প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মে আপনাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা অন্তর্ভূক্ত করে আবার চাঙ্গা করুন। দেখবেন একদিন সফল হবেন।

8
ভালো ঋণগ্রহীতাদের জন্য আরেকটু সহজে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিচ্ছে সরকার। তাদের সুদহার কমিয়ে দেয়া হবে। যারা ঋণ শোধ করতে না পারার ‘যৌক্তিক’ কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবেন, তাদেরকে মোট ঋণের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৭ শতাংশ সুদে ১২ বছরে ওই টাকা পরিশোধের সুযোগ দেয়া হবে। বললেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (২৫ মার্চ) শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, ব্যাংক ও  আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, অর্থসচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান ও বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ব্যাংক খাতের ‘সমস্যা দূর করতে’ যে কমিটি করে দিয়েছিলেন, সেই কমিটির সুপারিশেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ঋণ গ্রহীতাদের জন্য এক্সিটের কোনো ব্যবস্থা নেই। পৃথিবীর সব দেশে এটা আছে। ব্যবসা করতে গেলে সারাজীবন লাভ পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে লোকসানের মুখেও আসতে হতে পারে।

মুস্তফা কামাল বলেন,ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে কেউ ভালো ঋণগ্রহীতা এবং কেউ অসাধু ঋণগ্রহীতা। যারা ভালো ঋণগ্রহীতা তাদের সুযোগ দেব আর অসাধু ঋণগ্রহীতাদের এই সুবিধা দেয়া হবে না। আমরা বহু আগে থেকেই বলে আসছিলাম, আমাদের সুদের হার সিঙ্গেল (এক) ডিজিটের হবে, এটা এতদিন আমরা করতে পারিনি। এখন আমরা সিঙ্গেল ডিজিট নিজেরাই করে দিচ্ছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন,লাভবান হলে সবাই খুশি। কিন্তু লোকসান হলে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সেরকম কিছু দিতে পারি না। লোকসান হলেও আমরা তাদের ওপর সুদ বলবৎ রাখি। এই যে ত্রুটি-বিচ্ছুতিগুলো ছিল, এগুলো দূর করার জন্য সাবেক অর্থমন্ত্রী কাজ করছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের কারণে তিনি সেই কাজ শেষ করে যেতে পারেন নাই। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকে বসেছিলাম।

9
বিশ্বে দিন দিন ধনী-গরিবের ব্যবধান ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এমন কিছু আন্তর্জাতিক কোম্পানি আছে যাদের বার্ষিক আয় পিলে চমকে ওঠার মতো। অ্যাপল, মাইক্রোসফট ও ওয়ালমার্টের মতো প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয় এতো বেশি যে, তা নতুন এক মাত্রায় পৌঁছে গেছে।

এর ফলে দেখা যায়, অনেকক্ষেত্রে একটি ছোট দেশের অর্থনীতির চেয়ে বেশি আয় করছে অ্যাপল, মাইক্রোসফট ও ওয়ালমার্টের মতো প্রতিষ্ঠান। এই যেমন ২০১৭ সালে ওয়ালমার্টের মোট বার্ষিক আয় বেলজিয়ামের মোট আয়ের চেয়ে বেশি ছিল।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ’র তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির সঙ্গে বড় প্রতিষ্ঠানের আয়ের তুলনা করে একটি প্রতিবেদন ছেপেছে বিজনেস ইনসাইডার। নিচের সেই তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো:

২০১৬ সালে আফ্রিকার দেশ মৌরতানিয়ার জিডিপি ছিল চার হাজার ৭৫৫ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে ২০১৭ সালে সুইডেনভিত্তিক মিউজিক স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম স্পটিফাইয়ের আয় ছিল চার হাজার ৭৯৪ মিলিয়ন ডলার। যদি স্পটিফাই একটি দেশ হতো তাহলে এটি বিশ্বের ১৫১তম সম্পদশালী দেশ হতো।

ইউরোপের দ্বীপপুঞ্জ রাষ্ট্র মাল্টার জিডিপি ২০১৬ সালে ১১ হাজার ২৭৮ মিলিয়ন ডলার ছিল। অন্যদিকে ২০১৭ সালে ম্যুভি ও টেলিভিশন শো’র অনলাইন বা স্ট্রিমিং ভিত্তিক প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সের আয় ছিল ১১ হাজার ৬৯৩ মিলিয়ন ডলার। নেটফ্লিক্স যদি একটি দেশ হতো তাহলে, এটি বিশ্বের ১২৬তম সম্পদশালী জিডিপির দেশ হতো।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক অটোমোটিভ ও এনার্জি প্রতিষ্ঠান টেসলা ২০১৭ সালে আয় করেছে ১২ হাজার মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে ইউরোপের দেশ আলবেনিয়ার ২০১৬ সালের জিডিপি ছিল ১১ হাজার ৮৬৫ মিলিয়ন ডলার। স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা যদি একটি দেশ হতো, তাহলে এটি বিশ্বের ১২৫তম সম্পদশালী রাষ্ট্র হতো।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালে যত আয় করেছে তা ইউরোপের দেশ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার জিডিপির চেয়ে বেশি। ২০১৭ সালে ভিসার আয় ছিল ১৮ হাজার ৩৫৮ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে ২০১৬ সালে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার জিডিপি ছিল ১৬ হাজার ৯১৭ মিলিয়ন ডলার। ক্যালিফোর্নিয়া কেন্দ্রিক এই প্রতিষ্ঠানটি একটি দেশ হলে, তা বিশ্বের ১১৫তম অর্থনীতির দেশ হতো।

লিবিয়ার জিডিপির সমান আয় এল কর্তে ইনলেজের

বিশ্বের চতুর্থ ও ইউরোপের বৃহত্তম ডিপার্টমেন্ট গ্রুপ এল কর্তে ইনলেজ ২০১৭ সালে আয় করেছে ১৮ হাজার ৫০৩ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে ২০১৬ সালে আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ছিল ১৮ হাজার ৫৩৯ মিলিয়ন ডলার। স্পেনভিত্তিক এল কর্তে ইনলেজ যদি দেশ হতো তাহলে তা বিশ্বের ১১৪তম সম্পদশালী দেশ হতো।

স্টারবাকসের আয় ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর জিডিপির চেয়ে বেশি

মার্কিন কফি কোম্পানি ও কফি হাউস চেইন স্টারবাকস ২০১৭ সালে আয় করেছে ২২ হাজার ৩৮৬ মিলিয়ন ডলার বিপরীত ২০১৬ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর জিডিপি ছিল ২২ হাজার ২৯৬ মিলিয়ন ডলার। স্টারবাকস একটি দেশ হলে, তারা বিশ্বের ১০৪তম জিডিপির দেশ হতো।

২০১৬ সালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনির জিডিপি ছিল ২২ হাজার ৫৬৮ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত ফাস্টফুডের চেইনশপ ম্যাকডোনাল্ড ২০১৭ সালে আয় করে ২২ হাজার ৮২০ মিলিয়ন ডলার। জিডিপির ভিত্তিতে ম্যাকডোনাল্ড একটি দেশ হলে, এটি বিশ্বের ১০৩তম সম্পদশালী দেশ হতো।

মেরকাদোনা আয় নেপালের চেয়ে বেশি

স্প্যানিশ সুপারমার্কেট চেইন মেরকাদোনার আয় এশিয়ার দেশ নেপালের চেয়ে বেশি। ২০১৭ সালে মেরকাদোনার আয় ছিল ২৫ হাজার ৬১ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে ২০১৬ সালে নেপালের জিডিপির পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ১৩২ মিলিয়ন ডলার। মেরকাদোনা দেশ হলে, তা বিশ্বের ১০২তম জিডিপির দেশ হতো।

এস্তোনিয়ার জিডিপির চেয়ে বেশি আয় বিবিভিএ’র

স্প্যানিশ ব্যাংক ‘ব্যানকো বিলবাও ভিজকায়া আরজেনতারিয়া বা বিবিভিএ’ ২০১৭ সালে যে আয় করেছে তা ইউরোপের আরেক দেশ এস্তোনিয়ায় মোট জিডিপির চেয়ে বেশি। ২০১৭ সালে বিবিভিএ’র আয় ছিল ৩০ হাজার ২২৯ মিলিয়ন ডলার। অপরদিকে ২০১৬ সালে এস্তোনিয়ার আয় ছিল ২৩ হাজার ৩৪৮ মিলিয়ন ডলার। বিবিভিএ একটি দেশ হলে, তারা বিশ্বের ৯৯তম জিডিপির দেশ হতো।

ইন্ডিটেক্সের আয় প্যারাগুয়ের চেয়ে বেশি

২০১৬ সালে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ের জিডিপি ছিল ২৭ হাজার ৪২৪ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্ডাস্ট্রিয়া দে দিসেনো টেক্সটাইল বা ইন্ডিটেক্সের ২০১৭ সালে আয় হয় ৩০ হাজার ৩৩৫ মিলিয়ন ডলার। সম্পদের ভিত্তিতে দেশ হলে প্যারাগুয়ে ৯৮তম জিডিপির দেশ হতো।

সিনেমা দেখেন আর ওয়াল্ট ডিজনির নাম শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ২০১৭ সালে মার্কিন এই কোম্পানির আয় হয়েছে ৫৫ হাজার ১৩৭ মিলিয়ন ডলার। যেখানে ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়ার জিডিপি ২০১৬ সালে ছিল ৫৩ হাজার ২৩৬ মিলিয়ন। ডিজনি দেশ হলে, তার বিশ্বের ৭৮তম অর্থনীতির দেশ হতো।

বানকো স্যানতানদেরের বার্ষিক আয় পানামার চেয়ে বেশি

স্প্যানিশ বাণিজ্যিক ব্যাংক বানকো স্যানতানদের ২০১৭ সালে যত টাকা আয় করেছে তা পানামার চেয়ে বেশি ছিল। ২০১৭ সালের এই ব্যাংকটির আয় ছিল ৫৮ হাজার ৮৯ মিলিয়ন। আর ২০১৬ সালে পানামার আয় ছিল ৫৭ হাজার ৮২১ মিলিয়ন ডলার। স্যানতানদের ব্যাংক একটি দেশ হলে, তা বিশ্বের ৭৫তম সম্পদশালী দেশ হতো।

টেলেফোনিকার আয় লুক্সেমবার্গকে ছাড়িয়ে

স্প্যানিশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি টেলেফোনিকা ২০১৭ সালে আয় করেছে ৬২ হাজার ৩৪১ মিলিয়ন ডলার। আর বিপরীতে লুক্সেমবার্গ ২০১৬ সালে আয় করেছে ৫৮ হাজার ৬৫৫। টেলেফোনিকা দেশ হলে, তা বিশ্বের ৭৪তম জিডিপির দেশ হতো।

জনসন অ্যান্ড জনসনের আয় ইথিওপিয়ার চেয়ে বেশি

যুক্তরাষ্ট্রের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের নাম শোনেননি এমন মানুষ বোধহয় তাবত দুনিয়াতে নেই। শিশু পণ্য, কসমেটিকস ও মেডিকেল পণ্য উৎপাদনকারী বিখ্যাত এই প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালে আয় করেছে ৭৬ হাজার ৪৫০ মিলিয়ন ডলার, যা আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার চেয়ে বেশি। ২০১৬ সালে ইথিওপিয়ার জিডিপি ছিল ৭৩ হাজার ১৫১ মিলিয়ন ডলার। জনসন অ্যান্ড জনসন কোনও দেশ হলে, এটি বিশ্বের ৬৭তম জিডিপির দেশ হতো।

২০১৬ সালে স্লোভাকিয়ার জিডিপি ছিল ৮৯ হাজার ৮০৬ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী বিল গেটসের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ২০১৭ সালে আয় করে ৮৯ করে ৯৫০ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট দেশ হলে তা হতো বিশ্বের ৬৫তম সম্পদশালী দেশ।

নাইকির মুনাফা ক্যামেরুনের চেয়ে বেশি

বিশ্ব বিখ্যাত স্পোর্টস পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকি ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার ৪০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। অন্যদিকে আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন ২০১৬ সালে ৩২ হাজার ২৩০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। তাই মুনাফার ভিত্তিতে হিসাব করলে নাইকি বিশ্বের ৯৬তম অর্থনীতির দেশ হতো।

বিশ্বজোড়া খ্যাতিসম্পন্ন কোমল পানীয় কোকাকোলা ২০১৭ সালে ৩৫ হাজার ৪১০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। বিপরীতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়ার জিডিপি ২০১৬ সালে ছিল ৩৪ হাজার ৫৩ মিলিয়ন ডলার। কোকাকোলা একটি দেশ হলে, তা ৯৫তম জিডিপির দেশ হতো।

ইবেরদ্রোলার আয় আইভরি কোস্টের চেয়ে বেশি

স্পেনের বহুজাতিক ইলেকট্রিক ইউটিলিটি কোম্পানি  ইবেরদ্রোলার ২০১৭ সালের বার্ষিক আয় আইভরি কোস্টের চেয়ে বেশি। ২০১৭ সালে স্প্যানিশ এই কোম্পানিটি আয় হয়েছিল ৩৭ হাজার ২৯৯ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে ২০১৬ সালে আইভরি কোস্টের আয় হয় ৩৬ হাজার ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার। দেশ হিসেবে বিবেচনায় নিলে ইবেরদ্রোলা বিশ্বের ৯১তম সম্পদশালী দেশ হতো।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ২০১৭ সালে যে পরিমাণ অর্থ আয় করেছে তা ইউরোপের দেশ সার্বিয়ার জিডিপির চেয়েও এক হাজার মিলিয়ন ডলার বেশি। ওই বছর ফেসবুকের আয় হয়েছিল ৩৯ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ২০১৬ সালে সার্বিয়ার জিডিপির পরিমাণ ছিল ৩৮ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ডলার। যদি ফেসবুক একটি দেশ হতো, তাহলে তা বিশ্বের ৯০তম জিডিপির দেশ হতো।

রেপসলের জিডিপি লেবাননের চেয়ে বেশি

স্পেনের জ্বালানি প্রতিষ্ঠান রেপসলের ২০১৭ সালের আয় লেবাননের জিডিপির চেয়ে বেশি। ২০১৭ সালে রেপসলের আয় ৪৯ হাজার ৭৪৭ মিলিয়ন ডলার ছিল। একই সময় ২০১৬ সালে লেবাননের আয় হয়েছিল ৪৯ হাজার ৬১১ মিলিয়ন ডলার। রেপসল কোনও দেশের অর্থনীতির প্রতিনিধিত্ব করলে তা হতো বিশ্বের ৮১তম সম্পদশালী দেশ।

সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যাফাবেট ২০১৭ সালে যা আয় করেছে তা পুয়ের্তো রিকোর চেয়ে বেশি। ২০১৭ সালে অ্যালফাবেটের মোট আয় হয়েছিল এক লাখ ১০ হাজার ৯০০ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে ২০১৬ সালে পুয়ের্তো রিকোর আয় হয়েছিল এক লাখ পাঁচ হাজার ৩৫ মিলিয়ন ডলার। গুগল একটি দেশ হলে, তা বিশ্বের ৫৯তম জিডিপির দেশ হতো।

আয়ে কুয়েতের চেয়ে এগিয়ে অ্যামাজন

ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন ২০১৭ সালে এক লাখ ১৭ হাজার ৯০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। বিপরীতে ২০১৬ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের জিডিপি ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ মিলিয়ন ডলার। দেশ হলে ৫৮তম অর্থনীতির দেশ হতো অ্যামাজন।

বিশ্ব বিখ্যাত আইফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ২০১৭ সালে পর্তুগালের চেয়ে বেশি আয় করেছে। ওই বছর তাদের আয় ছিল দুই লাখ ২৯ হাজার ২৩৪ মিলিয়ন ডলার। আর ২০১৬ সালে পর্তুগালের আয় হয়েছিল দুই লাখ পাঁচ হাজার ২৬৯ মিলিয়ন ডলার। যদি অ্যাপল একটি দেশ হতো, তাহলে এটি বিশ্বের ৪৭তম জিডিপির দেশ হতো।

জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়েগন ২০১৭ সালে আয় করেছে দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৬৪ মিলিয়ন ডলার। যেখানে ২০১৬ সালে চিলির আয় হয়েছিল দুই লাখ ৫০ হাজার ৮ মিলিয়ন ডলার। কোনও একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করলে ভক্সওয়েগন বিশ্বের ৪৩তম অর্থনীতির দেশ হতো।

যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক রিটেইল করপোরেশন ওয়ালমার্ট ২০১৭ সালে যা আয় করেছে তা বেলজিয়ামের জিডিপির চেয়ে বেশি। ২০১৭ সালে ওয়ালমার্টের আয় হয়েছিল চার লাখ ৮৫ হাজার ৮৭৩ মিলিয়ন ডলার। আর ২০১৬ সালে বেলজিয়ামের জিডিপি ছিল চার ৬৮ হাজার ১৪৮ মিলিয়ন ডলার। ওয়ালমার্ট দেশ হলে এটি বিশ্বের ২৪তম জিডিপির দেশ হতো।

10
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কালি প্রস্তুতকারী জাপানের প্রতিষ্ঠান সাকাতা ইনক্স বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। সেখানে একটি কালি উৎপাদনের কারখানা করা হবে। এর ফলে বাংলাদেশেই তৈরি হবে প্রিন্টিংয়ের কালি।

সাকাতা শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগ হিসেবে শুরুতে এক কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৪ কোটি টাকার সমান। এতে এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। অবশ্য পরে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে।

এই বিনিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাকাতা ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনের মধ্যে সম্প্রতি জমি ইজারা চুক্তি সই হয়।

মেঘনা গ্রুপের পক্ষে পরিচালক তানভীর আহমেদ মোস্তফা ও সাকাতা ইনক্স (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ভি কে শেঠ চুক্তিতে সই করেন।

এ সময় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

পবন চৌধুরী বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়তে থাকা জাপানি কোম্পানির ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন হবে সাকাতা ইনক্স। বাংলাদেশে ২ হাজার কোটি টাকার কালির বাজারে সিংহভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তবে সাকাতার এই বিনিয়োগের ফলে বিদেশি মুদ্রা যেমন সাশ্রয় হবে, তেমনি রপ্তানিরও সুযোগ তৈরি হবে।

সাকাতার বিনিয়োগ অন্য জাপানি কোম্পানিগুলোকেও বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, অর্থনৈতিক জোন বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। যেকোন দেশে বিদেশি বিনিয়োগ রেমিটেন্স আহরণের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উত্তম পন্থা। তিনি জানান, বাংলাদেশে ৩ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় বিনিয়োগ পাইপলাইনে রয়েছে। এছাড়া ভারত ভেড়ামারা, মোংলা ও মীরেরসরাইয়ে তিনটি বিশেষায়িত অথনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করছে।

সাকাতা ইঙ্কসের চেয়ারম্যান ভি কে শেঠ বলেন, মেঘনা জোনে দেড় বছরের মধ্যে কালি উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। জাপানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কালি তৈরী করা হবে যা দেশের প্যাকেজিং শিল্পে গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে প্রায় ১১০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে। কারখানা করার জন্য সাকাতা ইনক্স সেখানে পাঁচ একর জমি নিচ্ছে। এটি হবে এই জোনে তৃতীয় কারখানা।

11
গ্রামে খামারীদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ, এরপর প্রক্রিয়াজাতকরণ, সেখান থেকে কারখানায় এনে কীভাবে প্যাকেটজাত দুধ উৎপাদিত হয় তা দেখে তারকা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রাণ দুধ খাওয়ার উপযোগী। শুধু ব্যবসায়িক চিন্তা করে নয়, খামারিদের জীবনমান উন্নয়নেও কাজ করছে প্রাণ ডেইরি।

সম্প্রতি প্রাণ মিল্ক জার্নিতে অংশ নেয়া তারকা ও সমাজের নানা শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।

প্যাকেটজাত দুধ কিভাবে উৎপাদিত হয়, তা অনেকের মনেই প্রশ্ন। আর এ প্রশ্নের উত্তর জানাতেই “PRAN Milk Journey” এর আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষ দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ ডেইরি।

এ জার্নিতে ঘুরে আসতে প্রতিষ্ঠানটি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে আহবান জানান। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে Journey-তে অংশ নেয়ায় এ সুযোগ করে দেয়া হয়।

নির্বাচিত ভাগ্যবানদের প্রাণ ডেইরি তাদের অফিস থেকে সকালে এসি বাসে করে দর্শনার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয় PRAN Milk Journey-তে। এসময় ছিল ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের লাঞ্চ। পোঁছানোর পর প্রাণ ডেইরির বিভিন্ন প্রসেস দেখার পাশাপাশি খামারিদের সাথে করা হয় আলোচনা সভা। পরে সন্ধ্যায় নিয়ে যাওয়া হয় বিলাসবহুল রিসোর্টে। সেখানে আয়োজন করা হয় গান, আড্ডা, নানা ধরনের গেইম আর বার বি কিউ পার্টি।

পরদিন সকালে আবার রওনা করা হয় ডেইরি হাবের উদ্দেশ্যে। ব্রেকফাস্ট করে সেখান থেকে ভিলেজ মিল্ক কালেকশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। মূলত পাবনার চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ি এবং রংপুরে প্রাণের হাব রয়েছে। এসব হাবের অধীনে থাকা দুগ্ধখামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়।

পরে হাব থেকে দর্শনার্থীদের প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রাণ ডেইরির মূল কর্মযজ্ঞ দেখানো হয়। নানা প্রক্রিয়াকরণের পর সেখানে কোনও প্রকার হাতের স্পর্শ ছাড়াই প্রস্তুত হয় প্যাকেটে মোড়ানো ইউএইচটি (আলট্রা হিট ট্রিটমেন্ট) ও পাস্তুরিত তরল দুধ তা দেখতে পারেন দর্শনার্থীরা। এসময় প্যাকেটজাত দুধের উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন তারা। প্রাণ ডেইরি কর্তৃপক্ষ তাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

জার্নিতে ছিল ৬০ জন ভোক্তার পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিউটের কর্মকর্তারা, খামারি ও এনজিওকর্মীরা। এছাড়া অভিনেত্রী বাঁধন, স্বাগতা ও অভিনেতা ইমন ‘প্রাণ মিল্ক জার্নি’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রাণ ডেইরির দুগ্ধ সংগ্রহ প্রক্রিয়া দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এ জার্নিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রাণ ডেইরি কমপ্লেক্সে ‘প্রাণ ডেইরি হাব ও সম্ভাবনাময় দুগ্ধ শিল্প’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন ড. মাহবুব-ই-এলাহী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাদিরা সুলতানা, প্রাণ ডেইরি’র নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশরঞ্জন ভৌমিক বলেন, দেশের দুগ্ধশিল্প খাতের প্রসার হচ্ছে। ২০০৫ সালে দুধের উৎপাদন ছিল ১২ লাখ মেট্রিকটন। ২০১৮ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৪ লাখ মেট্রিকটনে দাঁড়িয়েছে। দুধের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো উচিত। উৎপাদন খরচ কমাতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে কৃষকরা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার বলেন, দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে খামারি পর্যায়ে নজর দিতে হবে এবং তারা যাতে লাভ করতে পারে সেজন্য দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ কমাতে হবে।

প্রাণ ডেইরি’র নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাণ ডেইরি সবসময় খামারিদেরকে দুগ্ধ উৎপাদনে উৎসাহ দিয়ে আসছে। শুধু ব্যবসায়িক চিন্তা করে নয়, খামারিদের জীবনমান উন্নয়নেও প্রাণ ডেইরি কাজ করছে।

তিনি বলেন, প্রাণ দুধ সংগ্রহের সময় এর গুণাগুণ, গন্ধ, রঙ ও ঘনত্ব জানতে বিভিন্ন টেস্ট করে। দুধে ফরেন পার্টিকেল, ময়লা রয়েছে কিনা বা দুধের স্বাদ ও গন্ধ অক্ষুণ্ন রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া দুধের ফ্যাট, সিএলআর, সিওবি, সোডা, অ্যালকোহলিক ও ফরমালিন টেস্ট করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে খামারিদের কাছে থেকে দুধ গ্রহণ করা হয়।

এদিকে প্রাণ ডেইরি বেকার ও অস্বচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে নানান মূখী কর্মকান্ড করছে। প্রশিক্ষক দিয়ে প্রশিক্ষণসহ আর্থিক সহায়তার জন্য ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

12
গ্রামে খামারীদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ, এরপর প্রক্রিয়াজাতকরণ, সেখান থেকে কারখানায় এনে কীভাবে প্যাকেটজাত দুধ উৎপাদিত হয় তা দেখে তারকা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রাণ দুধ খাওয়ার উপযোগী। শুধু ব্যবসায়িক চিন্তা করে নয়, খামারিদের জীবনমান উন্নয়নেও কাজ করছে প্রাণ ডেইরি।

সম্প্রতি প্রাণ মিল্ক জার্নিতে অংশ নেয়া তারকা ও সমাজের নানা শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।

প্যাকেটজাত দুধ কিভাবে উৎপাদিত হয়, তা অনেকের মনেই প্রশ্ন। আর এ প্রশ্নের উত্তর জানাতেই “PRAN Milk Journey” এর আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষ দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ ডেইরি।

এ জার্নিতে ঘুরে আসতে প্রতিষ্ঠানটি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে আহবান জানান। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে Journey-তে অংশ নেয়ায় এ সুযোগ করে দেয়া হয়।

নির্বাচিত ভাগ্যবানদের প্রাণ ডেইরি তাদের অফিস থেকে সকালে এসি বাসে করে দর্শনার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয় PRAN Milk Journey-তে। এসময় ছিল ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের লাঞ্চ। পোঁছানোর পর প্রাণ ডেইরির বিভিন্ন প্রসেস দেখার পাশাপাশি খামারিদের সাথে করা হয় আলোচনা সভা। পরে সন্ধ্যায় নিয়ে যাওয়া হয় বিলাসবহুল রিসোর্টে। সেখানে আয়োজন করা হয় গান, আড্ডা, নানা ধরনের গেইম আর বার বি কিউ পার্টি।

পরদিন সকালে আবার রওনা করা হয় ডেইরি হাবের উদ্দেশ্যে। ব্রেকফাস্ট করে সেখান থেকে ভিলেজ মিল্ক কালেকশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। মূলত পাবনার চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ি এবং রংপুরে প্রাণের হাব রয়েছে। এসব হাবের অধীনে থাকা দুগ্ধখামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়।

পরে হাব থেকে দর্শনার্থীদের প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রাণ ডেইরির মূল কর্মযজ্ঞ দেখানো হয়। নানা প্রক্রিয়াকরণের পর সেখানে কোনও প্রকার হাতের স্পর্শ ছাড়াই প্রস্তুত হয় প্যাকেটে মোড়ানো ইউএইচটি (আলট্রা হিট ট্রিটমেন্ট) ও পাস্তুরিত তরল দুধ তা দেখতে পারেন দর্শনার্থীরা। এসময় প্যাকেটজাত দুধের উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন তারা। প্রাণ ডেইরি কর্তৃপক্ষ তাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

জার্নিতে ছিল ৬০ জন ভোক্তার পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিউটের কর্মকর্তারা, খামারি ও এনজিওকর্মীরা। এছাড়া অভিনেত্রী বাঁধন, স্বাগতা ও অভিনেতা ইমন ‘প্রাণ মিল্ক জার্নি’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রাণ ডেইরির দুগ্ধ সংগ্রহ প্রক্রিয়া দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এ জার্নিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রাণ ডেইরি কমপ্লেক্সে ‘প্রাণ ডেইরি হাব ও সম্ভাবনাময় দুগ্ধ শিল্প’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন ড. মাহবুব-ই-এলাহী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাদিরা সুলতানা, প্রাণ ডেইরি’র নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশরঞ্জন ভৌমিক বলেন, দেশের দুগ্ধশিল্প খাতের প্রসার হচ্ছে। ২০০৫ সালে দুধের উৎপাদন ছিল ১২ লাখ মেট্রিকটন। ২০১৮ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৪ লাখ মেট্রিকটনে দাঁড়িয়েছে। দুধের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো উচিত। উৎপাদন খরচ কমাতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে কৃষকরা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার বলেন, দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে খামারি পর্যায়ে নজর দিতে হবে এবং তারা যাতে লাভ করতে পারে সেজন্য দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ কমাতে হবে।

প্রাণ ডেইরি’র নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাণ ডেইরি সবসময় খামারিদেরকে দুগ্ধ উৎপাদনে উৎসাহ দিয়ে আসছে। শুধু ব্যবসায়িক চিন্তা করে নয়, খামারিদের জীবনমান উন্নয়নেও প্রাণ ডেইরি কাজ করছে।

তিনি বলেন, প্রাণ দুধ সংগ্রহের সময় এর গুণাগুণ, গন্ধ, রঙ ও ঘনত্ব জানতে বিভিন্ন টেস্ট করে। দুধে ফরেন পার্টিকেল, ময়লা রয়েছে কিনা বা দুধের স্বাদ ও গন্ধ অক্ষুণ্ন রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া দুধের ফ্যাট, সিএলআর, সিওবি, সোডা, অ্যালকোহলিক ও ফরমালিন টেস্ট করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে খামারিদের কাছে থেকে দুধ গ্রহণ করা হয়।

এদিকে প্রাণ ডেইরি বেকার ও অস্বচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে নানান মূখী কর্মকান্ড করছে। প্রশিক্ষক দিয়ে প্রশিক্ষণসহ আর্থিক সহায়তার জন্য ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

13
Kraft Heinz is feeling the squeeze as the brand falls behind food consumption trends and faces other mounting struggles, Wolfe Research analyst Scott Mushkin told CNBC on Friday.

Management is catching heat from its connection to cost-cutting private-equity giant 3G Capital, but the food and beverage giant’s revamp of products such as Oscar Mayer is just falling short, he said.

“I think the challenge for Kraft Heinz goes well beyond just a one-company situation. It goes to what’s going on with food producers here in the U.S., and we think the environment is just awful,” he said on “Closing Bell.”

The company needs to find a new recipe as population and healthy eating trends noticeably alter consumption habits, he said, pointing out declining birth rates and increasingly popular “pure food” campaigns such as Meatless Monday.

“So [there are] just a lot, a lot, of challenges, not to mention private label, so the company faces enormous challenges,” Mushkin said. “They have reinvested in their brands, but it’s just not working and it’s maybe even worse because it’s not working than if they were just cutting costs and not reinvesting.”

Jeff Robards, the global head of consumer food at Alantra who also appeared in the “Closing Bell” segment, said large food companies could address those trends with the right growth strategy. But the problem for Kraft Heinz, he said, is that throwing marketing dollars won’t find the pulse of consumers quite like innovation.

That has instead allowed entrepreneurs and smaller companies to grow, he said.

“It’s not the big food companies [growing], because they just aren’t close enough to the consumer to figure these things out,” Robards said. “And you see efforts by all of these companies to try to do that, but I think the problem is they can’t effectively get out of their historical way of doing business in order to kind of tap in to all those trends and all that growth.”

Mushkin said it’s time for Kraft Heinz to acquire a smaller company. His firm still has an outperform rating for the stock and a $62 price target, which is more than 77 percent higher than its Friday closing price.

“Could we please get some M&A in this space,” he said. “And man, do we need consolidation, but the family structures actually prevent some of it, but you know let’s hope we get some because we need it in this space.”

Kraft Heinz tanked more than 27 percent Friday, its worst daily performance ever. The stock had two negative sessions in a row after it slashed its dividend, wrote down some of its key brands, and revealed it’s being investigated by the SEC.

14
Kraft Heinz is feeling the squeeze as the brand falls behind food consumption trends and faces other mounting struggles, Wolfe Research analyst Scott Mushkin told CNBC on Friday.

Management is catching heat from its connection to cost-cutting private-equity giant 3G Capital, but the food and beverage giant’s revamp of products such as Oscar Mayer is just falling short, he said.

“I think the challenge for Kraft Heinz goes well beyond just a one-company situation. It goes to what’s going on with food producers here in the U.S., and we think the environment is just awful,” he said on “Closing Bell.”

The company needs to find a new recipe as population and healthy eating trends noticeably alter consumption habits, he said, pointing out declining birth rates and increasingly popular “pure food” campaigns such as Meatless Monday.

“So [there are] just a lot, a lot, of challenges, not to mention private label, so the company faces enormous challenges,” Mushkin said. “They have reinvested in their brands, but it’s just not working and it’s maybe even worse because it’s not working than if they were just cutting costs and not reinvesting.”

Jeff Robards, the global head of consumer food at Alantra who also appeared in the “Closing Bell” segment, said large food companies could address those trends with the right growth strategy. But the problem for Kraft Heinz, he said, is that throwing marketing dollars won’t find the pulse of consumers quite like innovation.

That has instead allowed entrepreneurs and smaller companies to grow, he said.

“It’s not the big food companies [growing], because they just aren’t close enough to the consumer to figure these things out,” Robards said. “And you see efforts by all of these companies to try to do that, but I think the problem is they can’t effectively get out of their historical way of doing business in order to kind of tap in to all those trends and all that growth.”

Mushkin said it’s time for Kraft Heinz to acquire a smaller company. His firm still has an outperform rating for the stock and a $62 price target, which is more than 77 percent higher than its Friday closing price.

“Could we please get some M&A in this space,” he said. “And man, do we need consolidation, but the family structures actually prevent some of it, but you know let’s hope we get some because we need it in this space.”

Kraft Heinz tanked more than 27 percent Friday, its worst daily performance ever. The stock had two negative sessions in a row after it slashed its dividend, wrote down some of its key brands, and revealed it’s being investigated by the SEC.

15
Kraft Heinz is feeling the squeeze as the brand falls behind food consumption trends and faces other mounting struggles, Wolfe Research analyst Scott Mushkin told CNBC on Friday.

Management is catching heat from its connection to cost-cutting private-equity giant 3G Capital, but the food and beverage giant’s revamp of products such as Oscar Mayer is just falling short, he said.

“I think the challenge for Kraft Heinz goes well beyond just a one-company situation. It goes to what’s going on with food producers here in the U.S., and we think the environment is just awful,” he said on “Closing Bell.”

The company needs to find a new recipe as population and healthy eating trends noticeably alter consumption habits, he said, pointing out declining birth rates and increasingly popular “pure food” campaigns such as Meatless Monday.

“So [there are] just a lot, a lot, of challenges, not to mention private label, so the company faces enormous challenges,” Mushkin said. “They have reinvested in their brands, but it’s just not working and it’s maybe even worse because it’s not working than if they were just cutting costs and not reinvesting.”

Jeff Robards, the global head of consumer food at Alantra who also appeared in the “Closing Bell” segment, said large food companies could address those trends with the right growth strategy. But the problem for Kraft Heinz, he said, is that throwing marketing dollars won’t find the pulse of consumers quite like innovation.

That has instead allowed entrepreneurs and smaller companies to grow, he said.

“It’s not the big food companies [growing], because they just aren’t close enough to the consumer to figure these things out,” Robards said. “And you see efforts by all of these companies to try to do that, but I think the problem is they can’t effectively get out of their historical way of doing business in order to kind of tap in to all those trends and all that growth.”

Mushkin said it’s time for Kraft Heinz to acquire a smaller company. His firm still has an outperform rating for the stock and a $62 price target, which is more than 77 percent higher than its Friday closing price.

“Could we please get some M&A in this space,” he said. “And man, do we need consolidation, but the family structures actually prevent some of it, but you know let’s hope we get some because we need it in this space.”

Kraft Heinz tanked more than 27 percent Friday, its worst daily performance ever. The stock had two negative sessions in a row after it slashed its dividend, wrote down some of its key brands, and revealed it’s being investigated by the SEC.

Pages: [1] 2 3 ... 64