Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - snlatif

Pages: [1] 2 3 ... 12
1
কেন এবং কাদের বেশি হয়?

মাইগ্রেন কেন হয় তা পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে এটি বংশগত বা অজ্ঞাত কোনো কারণে হতে পারে। এটি সাধারণত পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি হয়। নারীদের ঋতুস্রাবের সময় মাথাব্যথা বাড়ে। চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম, অনিদ্রা, অনেকক্ষণ টিভি দেখা, দীর্ঘসময় কম্পিউটারে কাজ করা, মোবাইলে কথা বলা ইত্যাদির কারণে এ রোগ হতে পারে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অতি উজ্জ্বল আলো এই রোগকে বাড়িয়ে দেয়।

লক্ষণ

মাথাব্যথা শুরু হলে তা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাথাব্যথা, বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তিবোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। শব্দ ও আলো ভালো লাগে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।

যেসব খাবার মাইগ্রেনে প্রতিরোধ করে
ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার। যেমন ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, আলু ও বার্লি মাইগ্রেন প্রতিরোধক। বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর ইত্যাদিও ব্যথা উপশম করে। সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। আদার টুকরো বা রস দিনে দুবার জিঞ্চার পাউডার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

এড়িয়ে চলুন

১. চা, কফি ও কোমলপানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, দই, দুধ, মাখন, টমেটো ও টক জাতীয় ফল খাবেন না

২. গম জাতীয় খাবার, যেমন রুটি, পাস্তা, ব্রেড ইত্যাদি

৩. আপেল, কলা ও চিনাবাদাম

৪. পেঁয়াজ

তবে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় একটা ডায়েরি রাখা। যাতে আপনি নোট করে রাখতে পারেন কোন কোন খাবার ও কোন কোন পারিপার্শ্বিক ঘটনায় ব্যথা বাড়ছে বা কমছে। এ রকম এক সপ্তাহ নোট করলে আপনি নিজেই নিজের সমাধান পেয়ে যাবেন। তবে ব্যথা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঠিক ভাবে চিকিৎসা করলে আর নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভালো হয়। যে কারণ গুলোতে মাইগ্রেন এর ব্যথা বাড়ে সেই কারণগুলো বুঝে চললেই আপনি ভালো থাকবেন।


মাইগ্রেন থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায়:

১. মাইগ্রেন চিকিৎসায় তাৎক্ষণিক এবং প্রতিরোধক ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।

২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত।

৩. অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা।

৪. কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা পরিহার করতে হবে।

৫. উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা।

৬. বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা।

৭. মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা (বিশেষ করে বমি হয়ে থাকলে), বিশ্রাম করা, ঠান্ডা কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখা উচিত।

(ডা. মো. শরিফুল ইসলাম)

[Collected]

2
মুদি দোকান, কাঁচাবাজার, স্টেশনারি দোকানে আমাদের সকলের নিত্যনৈমিত্তিক যাওয়া হয়েই থাকে। বোধ করি, এই ঘটনাটি সবারই কম বেশি হয়েছে যে একটি সুনির্দিষ্ট জিনিস কেনার উদ্দেশ্যে দোকানে গিয়েও একাধিক জিনিস কিনে বাড়ি ফিরেছেন এমনকি বাড়তি কেনা পণ্যটি হয়তো সেই অর্থে ততটা আবশ্যক ছিল না। বাজার ব্যবস্থার আরেকটু স্মার্ট ঘরানায় যাওয়া যাক। অর্থাৎ হাল আমলের সুপার শপ। রিটেইল চেইন শপগুলোতে পণ্য সাজানোর বিষয়টা কখনও খেয়াল করে দেখেছেন কি পাঠক? একই শ্রেণীর পণ্য, দামের বিন্যাসে সাজানোর একটি কুখ্যাত পন্থা পুরো পৃথিবী জুড়ে স্বীকৃত, যাকে বলা হয় ডিকয় ইফেক্ট। অসংখ্য কগনিটিভ বায়াসের অন্যতম এই ডিকয় ইফেক্ট ক্রেতাদেরকে অবশ্যম্ভাবীভাবে বেশি খরচ করতে উৎসাহী করে তোলে।

ধরা যাক, আপনি একটি কফি শপে গেলেন। আপনার সামনে তিনটি ভিন্ন সার্ভিং অপশন। স্মল, মিডিয়াম ও লার্জ। তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মিডিয়াম ও লার্জ সার্ভিং এর পার্থক্য মোটেও উল্লেখযোগ্য নয়। দামের সামান্য বৃদ্ধি হলেও আপনার লার্জ সার্ভিংটিই নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটিই ডিকয় ইফেক্ট। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজিস্ট লিন্ডা চ্যাং এর মতে,

একটি সুনির্দিষ্ট ধারায় পণ্য বা সেবাসমূহকে বিন্যস্ত করলে, আপনি প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভোক্তাদেরকে উচ্চ মূল্যের পণ্যটি কিনতে উৎসাহী করতে পারেন।

১৯৮২ সালে ডিকয় ইফেক্ট সর্বপ্রথম আলোচনার টেবিলে উঠে আসে। প্রথমবারের মতো যখন ডিকয় ইফেক্ট নিয়ে গবেষণা শুরু হয় তখন গবেষকরা এটিকে শুধু পণ্য বিপণনের একটি পন্থা হিসেবেই অভিহিত করেন। তবে কালের পরিক্রমায় এটি এখন একটি পরীক্ষিত সত্য হিসেবে স্বাস্থ্যখাত, রাজনীতি, নিয়োগ, বাণিজ্যসহ আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি আমাদেরকে এটিই প্রমাণ করে দেয় যে তথ্যসমূহের উপস্থাপনের বিশেষ ভঙ্গিমা আমাদের অন্তর্নিহিত সচেতন সিদ্ধান্তকে কীভাবে একনিমিষে বরবাদ করে দেয়- এমনকি বিকল্প সিদ্ধান্তটির কোনো অর্থবহ ভূমিকা না থাকলেও।

ইউনিভার্সিটি অভ ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে পরিচালিত এক গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে, হীরার ব্যবসায়ীদের লাভের পরিমাণ ২১.৪% পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব যদি সেখানে সুনির্দিষ্টভাবে ডিকয় ইফেক্ট আরোপ করা যায়। ডিকয় ইফেক্ট যে শুধু ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই প্রমাণিত সত্য না কিন্তু নয়। ড্যান অ্যারিলির মতে, একজন ব্যক্তি কোন অবস্থায় বিরাজ করছেন তার উপরও তার পছন্দ বা সিদ্ধান্ত অনেকাংশেই নির্ভর করে।

[Collected]

3
২০০২ সালে চীনে যখন সার্স ভাইরাস ছড়ায় তখন টি-শার্ট ও স্নিকার্সের মতো কম মূল্যের পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় পথে বসেছিল। এর ১৭ বছর পর আবারো চীনে আরেকটি ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। এবং এবারও এই ভাইরাসটি চীনের উৎপাদন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করেছে। তবে সার্স ভাইরাসের সময়কার চীন ও বর্তমান চীনের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো তাদের অর্থনীতি। তখন চীনের জিডিপি ছিল ১.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে দেশটির জিডিপি ১৩.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি।
এত বিশাল অর্থনীতির দেশে এক সপ্তাহের বেশি সময় স্থবির হয়ে থাকার প্রভাব বেশ সুদূরপ্রসারী। করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর চীনের আর্থিক প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে ৫.৬ শতাংশে। যা গত বছর ছিল ৬.১ শতাংশ। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ০.২ শতাংশ কমে গিয়ে ২.৩ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। যা সর্বশেষ বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার পর সবচেয়ে কম।

লুনার নিউ ইয়ার চীনের পর্যটন ও সেবা খাতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌসুম। কিন্তু এ বছর হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলো প্রায় জনশূন্য ছিল। অধিকাংশ কনসার্ট ও স্পোর্টিং ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। একাধিক সিনেমা মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। যা শুধুমাত্র বছরের প্রথম কোয়ার্টারের আনুমানিক হিসাব।
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনে বেকারত্বের হারও বৃদ্ধি পেতে পারে। চলতি বছর চীনের চাকরির বাজার এমনিতেই চাপে ছিল। চীনের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রযুক্তি খাতে কাজের সুযোগ আগের চেয়ে কমেছে। এর মধ্যে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে।

এছাড়া প্রতিবছর চীনের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ গ্রাম থেকে শহরে কাজের সন্ধানে আসেন। তারা খুবই কম মূল্যে নির্মাণ ও উৎপাদন খাতে কাজ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর অনেক কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে তাদের কাজ পাওয়া বেশ কঠিন হবে। বিশেষ করে হুবেই প্রদেশের ১০ লাখ কর্মজীবী মানুষকে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হবে। কারণ সেখানেই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি। এর মধ্যে ভোগ্যপণ্যে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তা নাগালের বাইরে চলে যায়, তাহলে চীনের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে এ বছর জীবনের সাথে সংগ্রাম করতে হবে।

আরেকটি বিষয় হলো যেসব বিদেশী কোম্পানি চীনের উপর নির্ভরশীল তারা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। যদি এরপরও তারা যদি তাদের চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ চীন থেকে না পায়, তাহলে তারা বিকল্প চিন্তাভাবনা করবে। এক্ষেত্রে অবশ্য বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনা রয়েছে। যেসব ইউরোপিয়ান কোম্পানি চীন থেকে তৈরি পোশাক কিনে থাকেন, তারা বাংলাদেশ কিংবা ভিয়েতনামের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে।

[Collected]

4
১. বাহামাস
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘বাহামাস’ নামক ক্ষুদ্র দেশটির অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী। এমন ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির পেছনে বড় একটি শক্তি হিসেবে কাজ করছে দেশটির পর্যটন শিল্প। সুন্দর সব সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অনেক পর্যটক আসেন এখানে। সাজানো-গোছানো দেশটিতে থাকতে গেলে খুব একটা কাঠ-খড় পোড়াতে হয় না। পকেটে অল্প কিছু পয়সা থাকলে সহজেই এখানে নিজের একটি ঠিকানা তৈরি করতে পারেন।

তবে সম্প্রতি বাহামাস সরকার তাদের বিদেশী নাগরিকদের জন্য নতুন একটি আইন তৈরি করেছে। ফলে কেউ এখন থেকে বাহামাসে থাকতে গেলে বিনিয়োগ করতে হবে সেখানে। কিংবা প্রতি বছর আপনাকে ১,০০০ ডলার দিয়ে নিজের অবস্থান নবায়ন করতে হবে। আর যদি স্থায়ী আবাস গড়তে চান, তবে ২,৫০,০০০ ডলারের সম্পত্তি কিনতে হবে। তাই সেই দেশের কর্তৃপক্ষকে  যদি খুশি রাখতে চান, অভিবাসী হিসেবে বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে আপনাকে। যদিও বাহামাসে কোনো আয়কর নেই, তবে সেখানকার নাগরিক ব্যয় অনেক বেশি।

২. আরব আমিরাত
অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচক অনুসারে, মুক্ত বাণিজ্য আর স্বল্প করের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত পৃথিবীতে দশম স্থান দখল করে আছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো তারাও প্রচুর তেল উত্তোলন করে থাকে। তেল বিক্রির অর্থ থেকেই নিজেদের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে তারা। পাশাপাশি সেই দেশে অবস্থানকারী নাগরিকদেরও আয়কর বাবদ গুণতে হয় না কোনো অর্থ।

উপসাগরীয় দেশগুলোর মাঝে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিদেশী বিনিয়োগকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত করে থাকে। এখানেই রয়েছে দুনিয়ার কাছে পরিচিত এক শহর ‘দুবাই’। কেবলমাত্র দুবাইকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে বিলিয়ন ডলারের সব মেগা প্রজেক্ট। বিনিয়োগের ব্যাপারগুলোতে তাদের উদারতার জন্যই এটি বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দনীয় একটি গন্তব্য।

৩. ওমান
আমাদের তালিকায় থাকা আরব আমিরাতের মতো ওমানও তেল আর গ্যাসের কল্যাণে ধনী একটি রাষ্ট্র। তবে নিজেদের তেল আর গ্যাসের উপর পুরোপুরি নির্ভর না করে তারা বরং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে আগ্রহী। যার কারণে ওমান বিদেশী বিনিয়োগকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। যদিও তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো উঠে-পড়ে লাগেনি। এর একটি কারণ হতে পারে, তারা এখনো নিজেদের অবকাঠামো বিদেশী বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে পারেনি।

৪. কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ

কেইম্যান হলো পশ্চিম ক্যারিবিয়ান সাগরের স্বায়ত্ত্বশাসিত তিনটি দ্বীপের সমষ্টি। অন্যান্য আয়করহীন রাষ্ট্রের মতো কেইম্যানেও থাকতে গেলে কোনো কর দিতে হয় না। এখানকার বাসিন্দাদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ আনুসাঙ্গিক যাবতীয় খরচ আসে তাদের বন্দর আর পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে প্রাপ্ত আয় থেকে। প্রতিনিয়ত বিদেশী জাহাজে করে আসা পণ্য, আর সমুদ্র সৈকতে বিলাসীদের আনাগোনা এখানকার অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে।

অন্যান্য ক্যারিবিয়ান দেশের মতো আপনি যত বেশি বিনিয়োগ করবেন এখানে, ততই নাগরিকত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।  তবে বিনিয়োগ করলেই হবে না, এখানে অন্তত ৮ বছর অবস্থান করলে তবেই মিলবে স্থায়ী নাগরিকত্ব।

৫. মোনাকো    

পশ্চিম ইউরোপের বিলাসবহুল একটি দেশ মোনাকো। আয়কর মুক্ত দেশগুলোর ভেতর মোনাকোতে নাগরিকত্ব পাওয়া তুলনামূলক সহজসাধ্য। তবে সেজন্য আপনাকে একজন ধনকুবের হিসেবে সেখানে হাজির হতে হবে!প্রতি বছর ইউরোপসহ বিশ্বের তাবৎ ধনীরা এখানে অবকাশ যাপন করতে আসেন। ফলে পর্যটন থেকে দেশটি প্রচুর অর্থ পেয়ে থাকে। যার ফলে বাসিন্দাদের আয়করের ঝামেলায় পড়তে হয় না।

৬. মালদ্বীপ

নিচে স্বচ্ছ পানি, তার উপর সাজানো সব কটেজ! চাইলেই পানিতে ঝাঁপ দিয়ে শরীরটা চাঙ্গা করে নেওয়া যায়। সাঁতরে এসে দেখবেন আপনার সামনে বাহারি সব খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে! এমন দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যায় ভারত মহাসাগরের বুকে জেগে উঠা ছোট একটি দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে।

[Collected]

5
কম্পিউটার, ল্যাপটপ হোক কিংবা স্মার্টফোন হোক; এসব ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে কাজ করার সময় কাট-কপি-পেস্ট করা তো লাগেই। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা না গেলে আপনি একটি ম্যাসেজ আপনার ১০জন বন্ধুকেও পাঠাতে পারতেন না, আবার বিভিন্ন সোর্সে পাওয়া প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোও একত্রিত করে রাখতে পারতেন না। তুচ্ছ কোনো কাজ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রেই আপনাকে এই কপি পেস্টের কৌশল ব্যবহার করতে হয়। কখনো কি চিন্তা করেছেন আপনার কাজ সহজ করে দেওয়ার মতো এই প্রক্রিয়াটি প্রবর্তনের পেছনে কার অবদান রয়েছে? উনি হলেন- কম্পিউটার বিজ্ঞানী ল্যারি টেসলার। আইফোনের পূর্বসূরি হিসেবেও পরিচিত এই টেসলার। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এই বিজ্ঞানী। এই সময় তার বয়স ছিল ৭৪ বছর।
শুধুমাত্র কাট-কপি-পেস্টের উদ্ভাবনের মধ্যেই তার কৃতিত্ব সীমাবদ্ধ নয়। তিনি ‘মোডলেস কম্পিউটিং’-এর মতো ইউজার ইন্টারফেস (ইউআই) ডিজাইন নিয়েও অনেক কাজ করেছিলেন। এই প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে একজন ইউজারকে তার কাজের উপর ভিত্তি করে বারবার ‘মোড’ পরিবর্তন করতে হয় না। যেই মোডই অন থাকুক না কেনো, সেই মোডই বিভিন্ন ধরনের ইনপুট নিয়ে কাজ করা সম্ভব এই মোডলেস কম্পিউটিংয়ের সুবাদে। তার নিজস্ব ওয়েবসাইট ‘নোমোডস.কম’-এ তার উদ্ভাবিত এরকম মোডলেস ফাংশনগুলোর বর্ণনা দেওয়া ছিল। একসময় কম্পিউটার প্রোগ্রাম থেকে মোড বাদ দেওয়ার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে টেসলারের নামডাক ছিল।

তার হাত ধরেই নতুন দিশা পায় কম্পিউটার সায়েন্স। এমনকি ‘ব্রাউজার’-এর প্রচলনের জন্যও কাজ করেন ল্যারি। অর্থাৎ অ্যাপলের কিছু হার্ডওয়্যার ও কাট-কপি-পেস্টের জন্য টেসলারের নাম বারবার সামনে আসলেও তার অবদানের ভাণ্ডার এই দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ল্যারি টেসলার ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও এভারনোটের কনসালটেন্ট ছিলেন। ডেস্কটপ ও মোবাইল কীভাবে আরো উন্নত করা যায় তা নিয়েই টেসলার কাজ করেছিল। হাতেগোনা যে কয়েকজন বিজ্ঞানীর অবদানে পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহার এত সহজ হয়েছে, তাদের মধ্যে ল্যারি টেসলার অন্যতম।

[Collected]

6
লক্ষণ
মূলত পোরফেরিয়া দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে দেহের ত্বকের সাথে সম্পর্কিত, যাকে বলা হয় Cutaneous Porphyria বা ত্বকযুক্ত পোরফেরিয়া। আরেকটি হচ্ছে নার্ভ সিস্টেমের সাথে সম্পর্কিত, যাকে বলা হয় Acute Porphyria বা তীব্র পোরফেরিয়া। 

ত্বকযুক্ত পোরফেরিয়াকে ‘ভ্যাম্পায়ার সিনড্রোম’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর অন্যতম কারণ এই সিনড্রোমের বৈশিষ্ট্য।

এই রোগে আক্রান্তরা ভ্যাম্পায়ারের মতোই আচরণ করেন।
সূর্যের আলো সহ্য না হওয়া বা দাঁত ক্রমশ বাদামি হয়ে যাওয়া এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।
সূর্যের আলোতে গেলে এদের দেহের মুখ, হাত, গলা ও কানসহ বেশিরভাগ অংশই ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
সূর্যের আলোতে গেলে এদের ত্বকে ফোস্কা দেখা যায়।
শুধু সূর্যের আলো নয় মাঝে মাঝে কৃত্রিম আলোতেও এদের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
ত্বকের রঙ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
ত্বক পাতলা হয়ে যাবে এবং ফেটে যাবে।
আক্রান্ত স্থানে লোম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে।
পরে এরা মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন।

[Collected]

7
চীনের উহান শহরে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থামছেই না। ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ হাজারেরও বেশি। চীনে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৪২৫। চীনের বাইরেও এই ভাইরাসের কারণে দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই বলা যায়, চীনে এই রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসকে করোনা ভাইরাস বলা হলেও এর দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট ভাইরাসের নাম বোঝায় না। করোনা ভাইরাস দিয়ে একগুচ্ছ ভাইরাসকে বোঝানো হয়, যাদের মাঝে ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপের নিচে  করোনা বা মুকুটের মতো স্পাইক দেখা যায়। এজন্য এদের করোনা ভাইরাস বলা হয়।

করোনা ভাইরাস সাধারণত প্রাণীদেহে সংক্রমণ করে। কিন্তু সাত ধরনের করোনা ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমণ করে। এদের মাঝে আছে ২০০২ সালে চীনেই আক্রমণ করা সিভিয়ার একিউট রেস্পিরেটরী সিনড্রম বা সার্স করোনা ভাইরাস, ২০১২ সালে সৌদি আরবে আক্রমণ করা মিডল ইস্ট রেস্পিরেটরী সিনড্রম বা মার্স করোনা ভাইরাস এবং উহান শহর থেকে বিস্তার লাভ করা নতুন করোনা ভাইরাস। 

নতুন করোনা ভাইরাসের সার্স বা মার্সের মতো কোনো নাম দেয়া হয়নি এখনো। ল্যানসেট এবং দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এই ভাইরাসকে নভেল করোনা ভাইরাস ২০১৯ বা ‘2019-nCoV’ নামে পরিচয় করানো হয়েছে। নভেল দিয়ে নতুন করোনা ভাইরাস বোঝানো হয়েছে। কিন্তু এই নাম আদর্শ কোনো নাম নয়। কারণ এটি সাধারণ মানুষের জন্য সহজে উচ্চারণযোগ্য নয়। তাছাড়া এটি সবসময় নতুন থাকবে না। কারণ, ভবিষ্যতে আরো করোনা ভাইরাস আবিষ্কৃত হতে পারে। আবার এর নামে ২০১৯ থাকলেও এর সংক্রমণের সংখ্যা ২০২০ সালেই ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে।

[Collected]

8
কানাডার ক্যারলেটন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম পাইকাইল, যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুশিয়া সাইরয়েস এই দু'জন মনোবিজ্ঞানীর যৌথ প্রচেষ্টায় চালিত গবেষণা বলছে, যে কাজটি আমাদের করতে হবে, সেটি কোনো না কোনোভাবে আমাদের খারাপ অনুভব করার জন্য দায়ী। হয়তো কাজটি একঘেয়ে, কিংবা কাজটিতে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানসিক এই খারাপ লাগা থেকে মুক্তির জন্য আমরা এক ধরনের আশ্রয় খুঁজি। এই খারাপ লাগা থেকে মুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা অন্য কিছু করতে উদ্যত হই এবং এর ফলে সাময়িক তৃপ্তি লাভ হয়। আমাদের মস্তিষ্ক আরামদায়ক অবস্থায় পৌঁছে যায়। এই বিষয়ে পাইকাইলের ভাষ্য,

যেকোনো ধরনের আত্ম পরিবর্তন চিরকালই কষ্টসাধ্য। কাজে গড়িমসির অভ্যাস বদলানোটাও সে দিক থেকে যথেষ্টই সাধনার বিষয়। বিষয়টি আয়ত্ত করাটা অনেকটা এক পা এগোলে দু' পা পেছানোর মতো বিরক্তিকর।

ওহায়োর কেইস ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘসূত্রতার আবেগীয় প্রেক্ষাপট বা ইমোশোনাল ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের প্রথমেই একটি দুঃখের গল্প পড়তে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মানসিক অবস্থাকে নেতিবাচক দিকে চালনা করা হয়। এরপর তাদের আসন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হলে দেখা যায়, তারা ভিডিও গেম বা পাজল মেলানোর মাধ্যমে তারা মূল বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

কালক্ষেপণের এই দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কাজকে ক্ষুদ্রতম অংশে ভাগ করে নিতে হবে। একটি বৃহৎ কলেবরের কাজের সর্বনিম্ন যে অংশটুকু এক দফায় করা সম্ভব, সেটুকুই করতে হবে। এছাড়াও কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য অতীত-ভবিষ্যতের প্রতি দৃষ্টি না রেখে বর্তমান, ঠিক এই মুহূর্তের বহমানতায় ডুবে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ধ্যান একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ পদক্ষেপ হতে পারে!

[Collected]

9
কার্বোহাইড্রেট বা কার্ব বা শর্করা হচ্ছে ফলফলাদি, সবজি, শস্যদানা এবং দুধ জাতীয় খাদ্য থেকে পাওয়া সুগার, স্টার্চ এবং ফাইবার। যদিও হাল-ফ্যাশনের ডায়েটগুলোতে কার্বোহাইড্রেটকে ক্ষতিকর উপাদান হিসেবে দেখানো হয়। বলা হয়ে থাকে, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির মূলে রয়েছে কার্ব। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

আমাদের শরীর ঠিকঠাক কাজ করার জন্য তিন ধরনের উপাদান খুব বেশি পরিমাণে প্রয়োজন। উপাদানগুলো যথাক্রমে ফ্যাট, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট। এদেরকে একত্রে ম্যাক্রো-নিউট্রিয়েন্ট ডাকা হয়। আমাদের শরীর নিজে ম্যাক্রো-নিউট্রিয়েন্ট উৎপাদন করতে পারে না, তাই এদেরকে খাবারের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করাতে হয়। অন্যান্য ম্যাক্রো-নিউট্রিয়েন্টের মতো কার্বোহাইড্রেটও শরীরের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। একে কার্বোহাইড্রেট বলা হয়, কেননা রাসায়নিক স্তরে এরা কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের সংমিশ্রণ।


কার্বোহাইড্রেট স্বাস্থ্যকর ডায়েটের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান; ডায়েটিশিয়ান সিয়ান পোর্টার কার্বোহাইড্রেট বিষয়ক বিতর্ক এবং আমাদের কার্বোহাইড্রেট ভীতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন,

“কার্বোহাইড্রেট নিয়ে আলোচনার জায়গাটি বেশ বড়। প্রত্যেকের জানা উচিত, সব কার্ব খারাপ না। আমরা কী ধরনের কার্ব গ্রহণ করছি, সেগুলোর ধরন, গুণমান এবং পরিমাণ হচ্ছে কার্ব খারাপ, না ভালো বিষয়ক আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”

আজ এই লেখায় কার্ব বিষয়ক বিতর্কে না জড়িয়ে কার্বোহাইড্রেটের প্রকার, প্রয়োজনীয়তা, এটি শরীরে কীভাবে কাজ করে, সুস্বাস্থ্যের জন্য কী ধরনের কার্ব গ্রহণ এবং বর্জন করা জরুরি এবং কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি শরীরের জন্য কী ধরনের সমস্যা বয়ে আনতে পারে, সেগুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানব।

কার্বোহাইড্রেটের কাজ
কার্বোহাইড্রেট কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রদান জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি শরীরের যে সমস্ত মাংসপেশি নিয়মিত কোনো না কোন কাজে নিয়োজিত, সেগুলোর জন্য শক্তি যোগায়। তাছাড়া কার্বোহাইড্রেট প্রোটিনকে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহারে বাধা প্রদান করে এবং ফ্যাট মেটাবলিজম চালু করে; অর্থাৎ, পাকস্থলীতে থাকা ফ্যাট বা চর্বিগুলোকে ভেঙে ফ্যাটি এসিড এবং গ্লিসারিনে রূপান্তর করে। যেগুলো সহজেই দেহকোষগুলোকে শক্তি যোগাতে পারে।

অন্যদিকে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতেও কার্বোহাইড্রেটের বেশ বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে মেজাজ, স্মৃতি এবং মস্তিষ্কের কাজগুলো ঠিকঠাক বজায় রাখতে দ্রুত শক্তির যোগান আসে কার্বোহাইড্রেট থেকে। এমনকি প্রত্যেকদিন আনুমানিক কী পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ভিত্তিক পুষ্টির প্রয়োজন, তা নির্ভর করে আমাদের মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করার জন্য কী পরিমাণ পুষ্টি দাবি করে।

সাধারণ বনাম জটিল কার্বোহাইড্রেট
রাসায়নিক গঠন এবং কার্বোহাইড্রেটে থাকা সুগার কত দ্রুত জারিত ও শোষিত হয়, তার উপর ভিত্তি করে কার্বোহাইড্রেটকে দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে; সাধারণ ও জটিল কার্বোহাইড্রেট। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অভ হেলথের মতে, সাধারণ কার্বগুলো জটিল কার্ব থেকে খুব দ্রুত এবং সহজে জারিত ও শোষিত হয়।

সাধারণ কার্বোহাইড্রেটে একটি, অথবা দুটি সুগার রয়েছে। যেমন: ফ্রুকটোজ, যা ফলফলাদিতে পাওয়া যায় এবং গ্যালাকটোজ, যা দুধজাতীয় খাবারে পাওয়া যায়। এগুলোকে মনোস্যাকারাইড ডাকা হয়, কেননা এরা একটি সুগারে তৈরী। অন্যদিকে সাধারণ চিনিতে পাওয়া সুক্রোজ, দুগ্ধজাত পণ্যে পাওয়া ল্যাকটোজ এবং বিয়ার ও কিছু শাকসবজিতে পাওয়া ম্যালটোজ দুটি সুগারে গঠিত বিধায় এদের ডিস্যাকারাইড ডাকা হয়।

ক্যান্ডি, সোডা এবং সিরাপ জাতীয় খাবারগুলোও সাধারণ কার্বোহাইড্রেটের অংশ। কিন্তু এগুলো প্রক্রিয়াজাতকৃত এবং পরিশোধিত চিনিতে তৈরি হওয়ায় ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার জাতীয় উপাদান নেই বললেই চলে। যে কারণে খুব সহজেই এধরনের মুখরোচক খাবার স্থূলতা বৃদ্ধির কারণ হয়ে উঠতে পারে।

ক্যান্ডি, সোডা এবং সিরাপ জাতীয় মুখরোচক খাবারগুলো স্থূলতা বৃদ্ধির কারণ হয়ে উঠতে পারে;অন্যদিকে তিনটি বা তার বেশি সুগার নিয়ে তৈরি হয় জটিল কার্বোহাইড্রেট, যা পলিস্যাকারাইড হিসেবে পরিচিত। সাধারণত মটরশুঁটি, ডাল, ভুট্টা, বাদাম, আলু, সিরিয়াল, গম এবং গাজর জাতীয় খাবারে এদেরকে দেখা যায়।

উথাহ ভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান পাইগ স্মেথার্সের মতে, যেহেতু সাধারণ কার্বোহাইড্রেটগুলো জটিল কার্বোহাইড্রেটগুলো থেকে বেশি দ্রুত জারিত হয়, সেহেতু সাধারণ কার্বগুলো গ্রহণের ফলে হঠাৎ করেই দেহে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। যে কারণে হৃদরোগ সহ টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে আমাদের খাবারের তালিকায় জটিল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারগুলোই বেশি থাকলে ভালো হয়।

কার্বোহাইড্রেটের নানান রূপ
শরীরে নানান রূপে কার্বোহাইড্রেটের উপস্থিতি থাকলেও তিন ধরনের কার্বোহাইড্রেট সবচাইতে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। যথাক্রমে এরা সুগার, স্টার্চ এবং ফাইবার নামে পরিচিত।

সুগার

উপরে আমরা জেনেছি, কার্বোহাইড্রেট ভেঙে কয়েক ধরনের সুগার বা চিনিতে পরিণত হয়। আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্র সেগুলোকে রক্তে প্রবাহের মাধ্যমে লিভারে পৌঁছে দেয়। লিভার সুগারগুলোকে গ্লুকোজে পরিবর্তন করে ইনসুলিনের সাহায্যে দেহকোষে জমা রাখে এবং প্রয়োজনে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য শক্তি উৎপাদন করে।

তাৎক্ষণিকভাবে যদি শক্তি উৎপাদনে গ্লুকোজের প্রয়োজন না হয়, তাহলে আমাদের শরীর সর্বোচ্চ ২০০০ ক্যালোরি গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন রূপে লিভার এবং কঙ্কাল পেশিতে জমা রাখতে পারে। কিন্তু গ্লাইকোজেনের পরিমাণ তার চাইতে বেশি হয়ে গেলে কার্বোহাইড্রেটগুলো চর্বি আকারে শরীরে জমা হয়। এই চর্বি নানান ধরনের রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণ হয়ে উঠতে পারে।

কিন্তু যদি শরীরে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট জমা না থাকে, তাহলে আমাদের শরীর প্রোটিনকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, দেহকোষ তৈরি এবং পুনরুদ্ধারের জন্য প্রোটিন প্রয়োজন। তাছাড়া জ্বালানি হিসেবে কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে প্রোটিন ব্যবহারের ফলে কিডনিতে চাপ বাড়ে।

স্টার্চ

স্টার্চ বা শ্বেতসার হচ্ছে উপরে আলোচিত দুইয়ের অধিক সুগারের জটিল কার্বোহাইড্রেটগুলো। ডাল, ভুট্টা, আলু, মটরশুঁটি, ওটমিল, শিম, পাস্তা এবং ভাতে এদের উপস্থিতি দেখা যায়। আলুর মতো খাবার গ্লাইসেমিক সূচকে উপরের দিকে থাকার কারণে খুব দ্রুত রক্তে সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি করলেও, এটি পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। অর্থাৎ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আলু বেশ কাজের।

আলু খুব দ্রুত রক্তে সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধির করলেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কাজের; অন্যদিকে, শিম জাতীয় খাবারে ফাইবার, উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের পরিমাণ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উৎপাদন করে শরীরের ক্ষতিকর জারক এজেন্টদের সরিয়ে ফেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এমনকি ওটমিল জাতীয় শস্যদানাগুলো কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।   

ফাইবার

অন্যদিকে, ফাইবার পরিপাকে সাহায্য করে। সুগার এবং শ্বেতসারের মতো ক্ষুদ্রান্ত্র বদলে এরা প্রায় অক্ষত অবস্থায় বৃহদান্ত্র দ্বারা শোষিত হয়। এমনকি এরা গ্লুকোজে পরিবর্তন না হয়ে হাইড্রোজেন, কার্বনডাই অক্সাইড এবং ফ্যাটি এসিডে পরিবর্তিত হয়।

ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি সহ আমাদের শরীরের অন্ত্রগুলোর সুস্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি আমাদেরকে ভরপুর পাকস্থলীর অনুভূতি জাগায়। এর ফলে আমাদের বেশি খাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়া দুরারোগ্য করোনারি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাসে এই কার্বোহাইড্রেটটি সাহায্য করে। সাধারণত শস্যদানা এবং চামড়া সহ সবজিতে ফাইবারের উপস্থিতি রয়েছে। বিশেষ করে শিম জাতীয় খাদ্যে এদের বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।

খারাপ বনাম ভালো কার্ব
পেস্টি, সোডা, কর্ণ সিরাপ, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার, ভাত, ময়দাজাত খাবারগুলোতে থাকা সাধারণ কার্বোহাইড্রেটগুলোকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একে তো এরা দ্রুত জারিত হয়ে শরীরের দ্রুত সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, দ্বিতীয়ত, এদের মাঝে পুষ্টি উপাদান থাকে না বললেই চলে। ক্যালোরির মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ, কম ফাইবার, অতিরিক্ত সোডিয়াম, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ এদের মাঝে বেশি থাকে।

অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারগুলোতে থাকা সাধারণ কার্বোহাইড্রেটগুলোকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়;অন্যদিকে, দানাজাতীয় শস্য, ফলফলাদি, শাকসবজি, মটরশুঁটি এবং শিম জাতীয় খাবারের মতো জটিল কার্বোহাইড্রেটগুলোকে ভালো কার্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরা ধীরে ধীরে জারিত হয়। ফলে লম্বা সময় ধরে শরীর এদের কাজে লাগানো সুযোগ পায়। এদের মাঝে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, সোডিয়াম, কোলেস্টেরল এবং ক্যালোরির পরিমাণ কম হয়, কিন্তু পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে।

তবে সম্প্রতি পুষ্টিবিদেরা দাবি করেছেন, কার্বোহাইড্রেটের ধরন নয়, বরং কার্বোহাইড্রেটের গ্লাইসেমিক সূচকের উপর ভিত্তি করে কোন কার্ব খারাপ নাকি ভালো, তা বিবেচনা করা হয়।

বিভিন্ন খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক; সাধারণত কী পরিমাণ কার্ব কত দ্রুত রক্তে সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, তা গ্লাইসেমিক সূচকের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। যে ধরনের খাবার গ্লাইসেমিক সূচকের উপরের দিকে থাকে, সেগুলো দ্রুত রক্তে সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হৃদরোগ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট
বেশিরভাগ সময়ই কার্বোহাইড্রেটকে ওজন বৃদ্ধির প্রদান কারণ হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু সঠিক ধরনের কার্বোহাইড্রেট স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। ওপরে আমরা জেনেছি, ফাইবার আমাদেরকে ভরপুর পাকস্থলীর অনুভূতি দেয়। ফলে, আমরা কম খাবার গ্রহণ করি। আর বেশি পরিমাণে ফাইবারের উপস্থিতি থাকে হাই-কার্ব জাতীয় খাবারগুলোতে।

নানান ধরনের স্বাস্থ্যকর কার্ব জাতীয় খাবার; জার্নাল অভ নিউট্রিশন সহ আরো কয়েকটি গবেষণায় অতিরিক্ত ফাইবার গ্রহণের ফলে যে ওজন হ্রাস পায়, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। গবেষণাগুলোতে এ-ও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, লো-ফ্যাট ডায়েটের পাশাপাশি লো-কার্ব ডায়েটের মাধ্যমে অল্প সময়ে অতিরিক্ত ওজন কমানো গেলেও, দীর্ঘমেয়াদী সফলতা পাওয়া যায় না। বছর খানেকের মধ্যে শরীর আগের অবস্থানেই ফিরে আসে, যেখানে হাই-কার্ব জাতীয় খাবারে থাকা ফাইবার দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজনীয়তা
গ্লুকোজের উৎপাদন ঘটে কার্বোহাইড্রেট থেকে, যা প্রয়োজনে শরীরের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কিন্তু শরীরের গ্লুকোজের পরিমাণ অপর্যাপ্ত হলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ফলে মাথা ঘোরা সহ শারীরিক এবং মানসিক দুর্বলতা দেখা দেয়।

অন্যদিকে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইবার রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সাধারণত হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বাইল এসিডের প্রয়োজন, যেটি কোলেস্টেরলের মাধ্যমে তৈরি হয়। হজম বৃদ্ধির সাথে সাথে বাইল এসিড তৈরির জন্য আমাদের যকৃৎ রক্ত থেকে কোলেস্টেরল ওঠানো শুরু করে, ফলে কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন (LDL); অর্থাৎ, খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস পায়।

ফাইবার রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে; এমনকি কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা এবং রাগ বৃদ্ধির কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের উৎপাদনের সাথে কার্বোহাইড্রেটের সংযোগ রয়েছে বিধায় এমনটা ঘটে। এছাড়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও কার্বোহাইড্রেটের ভূমিকা থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ২০০৯ সালে টুফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক, মাত্রাতিরিক্ত ওজনের কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে এক সপ্তাহ পুরোপুরি কার্ব বিহীন খাবার গ্রহণ করতে বলে। এক সপ্তাহ পর গবেষক দল তাদের জ্ঞানীয় দক্ষতা, মনোযোগ এবং দূরত্ব-সংক্রান্ত স্মৃতি পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট ঘাটতি স্মৃতিশক্তিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

কার্বোহাইড্রেট ভালো কি খারাপ, তা নির্ভর করে আমরা কোন ধরনের কার্ব কী পরিমাণ গ্রহণ করছি, তার ওপর। স্বল্প কার্বযুক্ত খাবার খেলে হয়তো স্থূলতা, মাত্রাতিরিক্ত ওজন থেকে অল্প সময়য়ের জন্য রক্ষা পাওয়া যাবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী সুস্বাস্থ্যের জন্য কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কার্বোহাইড্রেটের অপর্যাপ্ততা যেমন শরীরের জন্য নানান সমস্যা বয়ে আনতে পারে, তেমনি নিয়মিত খাবার তালিকায় থাকা কার্বোহাইড্রেট ভিত্তিক উপাদানগুলোর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হয়ে গ্রহণের ফলেও আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারি।

[Collected]

10
কেউই আত্মহনন থেকে নিরাপদ নয়। আমরা যদি ভাবি সফলতা আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে, তাহলে হয়তো আমরা ভুল। সফল এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের আত্মহত্যা আমাদেরকে সেই সত্যের কথাই মনে করিয়ে দেয়। অর্থাভাব কিংবা স্বাধীনতার তো কোনো কমতি তাদের ছিল না।

বরং যাদের দিকে সারাক্ষণ মানুষের চোখ পড়ে থাকে, তারা আরো বেশি ডিপ্রেশনে ভুগে থাকেন। তারা হয় আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন কিংবা নিজেরাই নিজেদের দক্ষতার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন কখনো কখনো। এসব সেলিব্রেটি বা বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের দিকে গণমাধ্যমের চোখ হরহামেশাই থাকে; মানুষ তাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করতে পছন্দ করে। তারাও নিজেদের নিয়ে অধিক সচেতন থাকতে পছন্দ করেন। কোথাও কোনো ভুল হয়ে গেল কি না! যদি হয়, তাহলে তো ভারি বিপদ! এসবের জন্য তারা সবসময় হতে চান একদম নিখুঁত। যেকোনো ভুলভ্রান্তির প্রতি তাদের থাকে একধরনের বিতৃষ্ণা। আত্মসমালোচনায় থাকেন মুখর।
এজন্য আর দশটা সাধারণ মানুষের চেয়ে তারা বেশি চাপে থাকেন। এই মানসিক চাপ খুব সহজেই ডিপ্রেশনে রূপ নেয়। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়েও কেউ কেউ অবিরত অন্যের সাথে নিজের তুলনা করতে থাকেন। অন্যের মতামত তাদের কাছে এতটাই জরুরি হয়ে পড়ে যে তা থেকে মুক্তি পেতে তাদের চিকিৎসকেরও শরণাপন্ন হতে হয় মাঝে মাঝে।

ক্যান্ডিস লাম একজন মনোবিজ্ঞানী যিনি দীর্ঘ সময় ধরে হংকং আর চীনে শক্তিশালী, বিখ্যাত আর সফল লোকদের কাছ থেকে দেখছেন, তাদের ডিপ্রেশনের চিকিৎসা করছেন। তার অর্ধেক রোগীই সিইও, সেলিব্রেটি কিংবা শক্তিশালী রাজনীতিবিদ। এরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে ভোগেন, যেমন- প্যানিক অ্যাটাক, মাদকাসক্তি, ইনসমনিয়া, মুড সুইং, আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিদের সন্তানদেরও আত্মহত্যার প্রবণতা থাকে। তারা মাঝেমাঝে এই স্পটলাইটটা পেতে চান না। আলাদা একধরনের হতাশাও থাকে তাদের। তারা ভাবেন, এই যশ-খ্যাতি সবই তাদের পারিবারিক সম্পর্কের কারণে। এটা তো তাদের নিজস্ব কোনো অর্জন নয়। এভাবে তারা ডিপ্রেশনের দিকে ঝুঁকে পড়েন।

ব্যাংকিং কিংবা কর্পোরেট বিজনেসের অনেকেই যারা সফল হয়েছেন, তারা তাদের পেছনে অনেক কিছু ফেলে সামনে এগিয়ে গেছেন। এ পথে এগোতে গিয়ে পারিবারিক বা প্রেমের সম্পর্ককেও তারা জলাঞ্জলি দিয়েছেন। এজন্যই আর দশটা সাধারণ মানুষের থেকে তাদের সাপোর্ট সিস্টেম অনেক বেশি দুর্বল। কাজের চাপ, টাকা-পয়সা আর সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে প্রায়ই তারা বন্ধু, পরিবার এবং সন্তানাদিকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না। সম্পর্ক খুব দুর্বল হয়ে যায় বা ভেঙে যায়। তারা এত মানুষের ভীড়েও বিশ্বাসযোগ্য কোনো সাহায্যের হাত খুঁজে পান না। মানুষ তাদের কোন চোখে দেখবে তার পরোয়া তারা খুব বেশি করেন। তাই সবসময়ই একটা মিথ্যা মুখশ্রী ধরে রাখার চেষ্টা করেন। অন্যদের থেকেও তারা বাড়তি চাপের মুখোমুখি হন। আরো আরো পাওয়ার চাপ তাদেরকে হতাশার দিকে ঠেলে দেয়।

সফল ব্যক্তি ব্যর্থ হলে তার শূন্যস্থান পূরণ করতে বেশি সময় লাগবে না। কারণ পেছনে আরো অনেকেই এই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে তার জায়গাটি নেওয়ার জন্য। দুঃখজনকভাবে প্রায় সময়ই ব্যক্তিকে এসবের মধ্য দিয়ে একাই যেতে হয়। এসব ভাগাভাগি করার মতো মানুষ তিনি খুঁজে পান না।

আত্মহত্যা প্রায়ই আবেগতাড়িত। সেই আবেগটা কেটে গেলে, মানুষ সুন্দর জীবনযাপনে ফিরে আসে। উল্লেখ্য, সবসময় এটি আবেগতাড়িত না। মাঝে মধ্যে এটি পূর্বপরিকল্পিত। যা-ই হোক, হাতের নাগালে আত্মহত্যা করার সরঞ্জাম না থাকলে তা অনেকটা আত্মহত্যার হার কমাতে পারে। যেমন: গোল্ডেন গেট ব্রিজে বেড়ি দেওয়ার পর সেখানে আত্মহত্যা সন্তোষজনকভাবে কমে এসেছে। অস্ট্রেলিয়াতেও আগ্নেয়াস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তা হয়েছে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে তো আলাদা কোনো ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়নি। তবে আমরা যদি আরেকটু সদয় আর সচেতন হই, তাহলে এটি অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব। আমাদের আরেকটা ভুল ধারণা যে আত্মহত্যা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির সাথে কথা বললে তার প্রবণতা বাড়ে। আসলে আমরা যদি সহানুভূতি নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া সেই মানুষটির দিকে এগোই, সাহায্যের হাতটা বাড়িয়ে মন দিয়ে মানুষটির কথা শুনি, তবে হয়তো এটি প্রতিরোধ করতে পারবো।

[Collected]

11
ওয়াশিংটন ডি সি-তে অবস্থিত ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলোজিস্ট র‍্যান্ডাল প্যাকারের মতে,

"মাত্রাতিরিক্ত উত্তপ্ত পরিবেশে একজন বয়স্ক ব্যাক্তির দেহ থেকে ঘণ্টায় ১ থেকে ১.৫ লিটার [২.১-৩.২ পিন্টস] ঘাম  নির্গত হয় এবং কোনো শিশুকে উত্তপ্ত গাড়িতে রেখে দিলে কিংবা একজন অ্যাথলেট যদি রৌদ্রোত্তপ্ত পরিবেশে কঠোর অনুশীলন করে, তবে এদের দেহ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই অতি মাত্রায় উত্তপ্ত এবং পানিশূন্য হয়ে  মারা যেতে পারে।"

সাধারণত দেখা যায়, যখন কোনো ব্যাক্তি অতিমাত্রায় তপ্ত আবহাওয়ায় পানিশূন্য হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এর প্রকৃত অর্থ হলো ব্যক্তির দেহের ভেতরের তাপমাত্রা তখন উচ্চ থাকে।

কিন্তু একটু ভিন্নমত পোষণ করেছেন অ্যারিজোনায় অবস্থিত ব্যানার থান্ডারবার্ড মেডিক্যাল সেন্টারে মেডিসিন বিভাগে কর্মরত ডাক্তার কার্ট ডিকসন। তার বক্তব্য, সবসময় এরূপ পরিস্থিতি হবে এটা ঠিক নয়, এর কিছু ভিন্নতাও রয়েছে নির্দিষ্ট সমষ্টির ব্যক্তিদের মাঝে। যেমন- খুব ছোট বাচ্চা এবং বয়োবৃদ্ধ যারা কি না স্মৃতিভ্রংশ রোগে ভোগেন, তারা না পারে পানি পান করার সময়টি স্মরণ রাখতে কিংবা না পারে কারো সাহায্য ছাড়া পানি পান করতে।           

সুতরাং, একজন ব্যক্তির দেহ থেকে কী পরিমাণ পানি নিঃসরণ হলে ডিহাইড্রেশান শুরু হবে? এর যথার্থ জবাব এসেছে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হওয়া এক সরকারি জরিপে, যা কি না পরিচিত ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস গাইডলাইনস ২০০৯' হিসেবে। সেখানে বলা হয়েছে,

"কোনো ব্যক্তির দেহ থেকে তার মোট ওজনের ১০% পানি নিঃসরিত হলে মারাত্মক ডিহাইড্রেশনের আশংকা রয়েছে। যদিও সেই নির্দিষ্ট পরিমাপটি বাস্তবিকভাবে করা অসম্ভব। তবে প্রচলিত অভিমত রয়েছে যে, রৌদ্রোত্তপ্ত আবহাওয়ায় যদি ব্যক্তির দেহ থেকে ১.৫ লিটার পর্যন্ত পানি নিঃসরিত হয়ে যায়, তবে সেক্ষেত্রে তার ডিহাইড্রেশন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।"

অন্যদিকে দ্য ইউনিভার্সিটি অভ রচেস্টার মেডিক্যাল সেন্টার থেকে বলা হয়েছে,

"ব্যক্তির দেহ থেকে যখন পানির পরিমাণ নির্দিষ্ট মাত্রা থেকে কমে আসে, সেই মুহূর্তে আচরণের প্রকৃতিগত কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- তৃষ্ণার্ত হওয়া, শুষ্ক ত্বক, ক্লান্তিবোধ হওয়া, হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বিভ্রম হওয়া, শুষ্ক মুখ, দ্রুত নাড়ি এবং শ্বাসপ্রশ্বাস সঞ্চালন হওয়া।

যেসব শিশু পানিশূন্যতায় ভোগে, এরা যখন কান্না করে, তখন এদের চোখ থেকে পানি পড়ে না। এদের চোখ কোটরাগত হয়, গাল এবং পেট প্রায় ভেতরে ঢুকে যায়। এমনকি এদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি স্তিমিত হয়ে থাকে, আর যখন ত্বকে আলতো করে চাপ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন ত্বকের ভাব অসমতল থেকে যায়।"

থান্ডারবার্ড মেডিক্যাল সেন্টারের ডাক্তার কার্ট ডিকসন’ও এক্ষেত্রে লাইভ সায়েন্সকে তার মত দিয়েছেন, জরুরি বিভাগে আগত রোগীদের মধ্যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যেমন- অবসাদ, ক্লান্তি; যখন দাঁড়াতে যায় তখন প্রচুর ক্লান্তিভাব আচ্ছন্ন করে থাকে, এরূপ সময়ে কদাচিৎ বমিও করতে দেখা যায়। উপরন্তু, এরা এতটাই অসুস্থ থাকে যে, এদের রোগের পেছনে যে ডিহাইড্রেশনই দায়ী, তা শুনেও মুখে আলাদা ভীতির কোনো ছাপ দেখা যায় না।

[Collected]

12
Faculty Sections / কোটি টাকার এক শিল্প
« on: February 26, 2020, 03:12:27 PM »
ই-স্পোর্টস কী?
ইলেক্ট্রনিক স্পোর্টস বা সংক্ষেপে ই-স্পোর্টস দিয়ে বোঝায় হয় একটি সুন্দর গুছানো টুর্নামেন্টকে, যেখানে বাস্তব খেলার প্রতিযোগিতার বদলে হয় অনলাইন গেমগুলোর প্রতিযোগিতা। অনেকটা টেনিস বা গলফের মতোই, শুধু এখানে অনেক জনপ্রিয় গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেরা প্লেয়ারদের নিয়ে নিজস্ব একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। পুরস্কার হিসেবে থাকে আকর্ষণীয় প্রাইজমানি আর জনপ্রিয়তা। ছোট স্থানীয় টুর্নামেন্ট থেকে হতে পারে তা স্টেডিয়াম ভর্তি মানুষের সামনে। জনপ্রিয় গেমিং টাইটলগুলোর মধ্যে রয়েছে League of Legends, Fortnite, CS:GO, Overwatch, Call of duty, Madden NFL, FIFA ইত্যাদি। এই গেমগুলোর যেমন রয়েছে লাখ লাখ ফ্যানবেজ, তেমনি স্ট্রিমিং এর কল্যাণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর পরিসর।

ইতিহাস এবং জনপ্রিয়তার কারণ
যদিও এটি আধুনিক যুগের একটি সৃষ্টি এবং সাম্প্রতিক সময়ে এসে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, কিন্তু শুরুটা হয়েছিল অনেক আগেই। ৭০ দশক থেকে এর শুরু বলে ধারণা করা হয়। ১৯৭২ সালে স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্পেস ওয়ার  গেমের একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। যার পুরস্কার হিসেবে থাকে এক বছরের রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন এর সাবস্ক্রিপশন।

সফলভাবে ভিডিও গেমের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় আশির দশকে। দশ হাজার অংশগ্রহণকারী নিয়ে আয়োজন করা হয় স্পেস ইনভেডার চ্যাম্পিয়নশিপ। একে অপরকে পরাজিত করে জনপ্রিয়তার শেকড় তৈরি এখানে থেকেই।

ই-স্পোর্টসে ক্যারিয়ার
আমাদের দেশে এটি সম্পূর্ণভাবে নতুন হলেও বিভিন্ন দেশে ই-স্পোর্টসকে অনেকেই পেশা হিসেবে তৈরি করে নিয়েছেন। অনলাইন গেমিং-এ যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে, যার ফলে প্রতিযোগীর সংখ্যা হয় বিশাল মাপের। এখানে ভালো করতে হলে প্রয়োজন প্রচুর সময় এবং প্রত্যয়। আর ভালো একটি গেমিং ডিভাইস কিনতে বা তৈরি করতে ভালো অর্থেরও প্রয়োজন। যদি আপনার অর্থ এবং সময় থেকে থাকে তাহলে টুইচ স্ট্রিম দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার যাত্রা। বিভিন্ন লোকাল গেমিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করে হতে পারেন বিশ্বমানের একজন গেমার।
কেমন অর্থ উপার্জন হবে এটা নির্ভর করে গেম এবং টুর্নামেন্টের উপর। এছাড়া সাধারণত ইউটিউব থেকে স্ট্রিমিং এর মাধ্যমেও গ্রহণযোগ্য অর্থ উপার্জন সম্ভব।

[collected]

13
‘বাংলার খেলা, বাংলায় খেলা’ এই স্লোগান নিয়ে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘প্যাভিলিয়ন’ ওয়েবসাইটের। দেখতে দেখতে কেটে গেছে অনেকটা সময়, ১ ফেব্রুয়ারি সাত বছরে পা দিয়েছে প্যাভিলিয়ন। খেলা ও প্রযুক্তি—এই দুইয়ের মেলবন্ধনে ‘প্যাভিলিয়ন’ একটু একটু করে এগিয়ে চলছে সামনের দিকে।

বাংলাদেশে বিশেষায়িত খেলার ওয়েবসাইট দরকার—এই চিন্তা থেকেই প্যাভিলিয়নের পথচলার শুরু। প্রিয়ম মজুমদার, মোসতাকিম হোসেন, ফুয়াদ নাসের ও মোহাম্মদ রাশেদ আলম—বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এই চারজনের উদ্যোগেই প্যাভিলিয়নের যাত্রা শুরু। দেশের মানুষকে আরও বেশি ক্রীড়ামনস্ক করে গড়ে তোলা কিংবা এমন একটা সংস্কৃতি তৈরি করা, যেখানে মানুষ খেলাটা ভালোবাসার পাশাপাশি খেলা নিয়ে যৌক্তিক বিশ্লেষণও করবে, শুরুর দিকের ভাবনা ছিল এমনই। বৈশ্বিক এই যুগে খেলার সংবাদের সঙ্গে পাঠকদের সার্বক্ষণিকভাবে সাইটে ধরে রাখার ব্যাপারটিও গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্দেশ্য থেকে প্যাভিলিয়ন চেষ্টা করেছে ওয়েবসাইটে নতুনত্ব আনার।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নিজেদের ক্রিকেট লাইভ স্কোর ইঞ্জিন চালু করেছে প্যাভিলিয়ন (ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজসহ যে ইঞ্জিন আরও বেশ কিছু ওয়েবসাইটের আছে)। এত দিন এই সুবিধার জন্য বাংলাদেশি ওয়েবসাইটগুলো বিদেশি উৎসের ওপর নির্ভর করতে হতো। প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সব স্তরের লাইভ স্কোর পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। সামনে টুর্নামেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের তৃণমূল পর্যায়েও ক্রিকেট ম্যাচে লাইভ স্কোর সেবা দেওয়ার জন্য প্যাভিলিয়ন কাজ করে যাচ্ছে। এতে তৃণমূল পর্যায়ের সব অপেশাদার, আধা পেশাদার ও পেশাদার ক্রিকেটারদের সব তথ্য অনলাইনে লিপিবদ্ধ করা সম্ভব। শুধু ক্রিকেট নয়, অন্য খেলাধুলায়ও এই ডেটাবেইস তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে প্যাভিলিয়নের। দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে যা বড় অবদান রাখতে পারে।

প্যাভিলিয়নের চার সহপ্রতিষ্ঠাতা মোসতাকিম হোসেন (বাঁ থেকে), প্রিয়ম মজুমদার, মোহাম্মদ রাশেদ আলম ও ফুয়াদ বিন নাসের।
প্যাভিলিয়নের চার সহপ্রতিষ্ঠাতা মোসতাকিম হোসেন (বাঁ থেকে), প্রিয়ম মজুমদার, মোহাম্মদ রাশেদ আলম ও ফুয়াদ বিন নাসের।
‘বাংলার খেলা, বাংলায় খেলা’ এই স্লোগান নিয়ে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘প্যাভিলিয়ন’ ওয়েবসাইটের। দেখতে দেখতে কেটে গেছে অনেকটা সময়, ১ ফেব্রুয়ারি সাত বছরে পা দিয়েছে প্যাভিলিয়ন। খেলা ও প্রযুক্তি—এই দুইয়ের মেলবন্ধনে ‘প্যাভিলিয়ন’ একটু একটু করে এগিয়ে চলছে সামনের দিকে।

বাংলাদেশে বিশেষায়িত খেলার ওয়েবসাইট দরকার—এই চিন্তা থেকেই প্যাভিলিয়নের পথচলার শুরু। প্রিয়ম মজুমদার, মোসতাকিম হোসেন, ফুয়াদ নাসের ও মোহাম্মদ রাশেদ আলম—বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এই চারজনের উদ্যোগেই প্যাভিলিয়নের যাত্রা শুরু। দেশের মানুষকে আরও বেশি ক্রীড়ামনস্ক করে গড়ে তোলা কিংবা এমন একটা সংস্কৃতি তৈরি করা, যেখানে মানুষ খেলাটা ভালোবাসার পাশাপাশি খেলা নিয়ে যৌক্তিক বিশ্লেষণও করবে, শুরুর দিকের ভাবনা ছিল এমনই। বৈশ্বিক এই যুগে খেলার সংবাদের সঙ্গে পাঠকদের সার্বক্ষণিকভাবে সাইটে ধরে রাখার ব্যাপারটিও গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্দেশ্য থেকে প্যাভিলিয়ন চেষ্টা করেছে ওয়েবসাইটে নতুনত্ব আনার।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নিজেদের ক্রিকেট লাইভ স্কোর ইঞ্জিন চালু করেছে প্যাভিলিয়ন (ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজসহ যে ইঞ্জিন আরও বেশ কিছু ওয়েবসাইটের আছে)। এত দিন এই সুবিধার জন্য বাংলাদেশি ওয়েবসাইটগুলো বিদেশি উৎসের ওপর নির্ভর করতে হতো। প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সব স্তরের লাইভ স্কোর পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। সামনে টুর্নামেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের তৃণমূল পর্যায়েও ক্রিকেট ম্যাচে লাইভ স্কোর সেবা দেওয়ার জন্য প্যাভিলিয়ন কাজ করে যাচ্ছে। এতে তৃণমূল পর্যায়ের সব অপেশাদার, আধা পেশাদার ও পেশাদার ক্রিকেটারদের সব তথ্য অনলাইনে লিপিবদ্ধ করা সম্ভব। শুধু ক্রিকেট নয়, অন্য খেলাধুলায়ও এই ডেটাবেইস তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে প্যাভিলিয়নের। দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে যা বড় অবদান রাখতে পারে।

প্যাভিলিয়নের বিশেষ প্রিভিলেজ কার্ড উদ্বোধন করছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
প্যাভিলিয়নের বিশেষ প্রিভিলেজ কার্ড উদ্বোধন করছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
নিজেদের পছন্দমতো একাদশ বানিয়ে ‘ফ্যান্টাসি ক্রিকেট বা ফুটবল’ এখনকার যুগের তরুণদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। প্রথম খেলাধুলার পোর্টাল হিসেবে ‘সুপার ইলেভেন’-এর মাধ্যমে প্যাভিলিয়ন শুরু করেছে ক্রিকেট ফ্যান্টাসিও।

ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে প্যাভিলিয়ন উদ্যোগ নিয়েছে প্যাভিলিয়নের পাঠক-ফিচার লেখক-শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও জোরালো করার। সে জন্য একটি বিশেষ ‘প্রিভিলেজ কার্ড’ চালু করেছে, যেটির মাধ্যমে প্যাভিলিয়নের পক্ষ থেকে কিছু বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার এই কার্ডের উদ্বোধন করেছেন।

প্যাভিলিয়নের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পাঠকেরা নিমেষেই জানতে পারবেন সর্বশেষ সংবাদ। প্যাভিলিয়ন খুব শিগগির ইংরেজি ভাষাতেও খবর সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে, এতে করে দেশের পাশাপাশি বিদেশি পাঠকেরাও যুক্ত থাকতে পারবেন। ভবিষ্যতে পাঠকেরা প্যাভিলিয়নে নিজেদের প্রোফাইল খুলে ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী খেলোয়াড়, ক্লাব কিংবা প্রিয় খেলা নিয়ে প্রোফাইল সাজাতে পারবেন।

(প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত)

14
Faculty Sections / ব্রেইন ডেড
« on: May 13, 2018, 02:15:03 PM »
নাড়ির স্পন্দন বা হৃৎস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাস-প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া মানেই মৃত্যু—প্রচলিত এই ধারণায় ১৯৫০ ও ১৯৬০ দশকে পরিবর্তন আসে। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার কারণে প্রচলিত ওই ভাবনায় পরিবর্তন আসে। প্রথমবারের মতো যন্ত্রের মাধ্যমে একজন মানুষের ধমনি ও শিরায় রক্তপ্রবাহ সচল রাখা সম্ভব হয়। অকেজো ফুসফুসকেও সচল রাখা হয়। একই সময়ে প্রতিটি অঙ্গের কার্যকারিতা থেমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবে মৃত্যুর প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করা গিয়েছিল।

১৯৬৮ সালে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের এক কমিটি মস্তিষ্কের মৃত্যুকে মৃত্যুর সঠিক সংজ্ঞা হিসেবে উল্লেখ করে এবং এটা পরিমাপে কিছু মানদণ্ড নির্ধারণ করে।
১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির মৃত্যু নির্ণয়সংক্রান্ত আইনে কমিটির সুপারিশ সংযুক্ত করে। এতে মস্তিষ্কের মৃত্যুকে মৃত্যুর সংজ্ঞা হিসেবে নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি হয় হৃৎস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাস-প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা পুরো মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হওয়াকে মৃত্যুর সংজ্ঞা হিসেবে এতে উল্লেখ করা হয়। পশ্চিম বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ এটাই অনুসরণ করে।

তিনটি কারণে নীতিনির্ধারক ও চিকিৎসকেরা মস্তিষ্কের ওপর এত মনোনিবেশ করেছেন। এর একটি হলো পশ্চিমা দর্শনে মন ও দেহকে স্বতন্ত্র হিসেবে দেখা হয়। যেখানে অন্য সংস্কৃতিতে হৃৎপিণ্ডকে মানবদেহের কেন্দ্রীয় অঙ্গ বলে ধরা হয়। পশ্চিমা বিজ্ঞান মনের ওপর বেশি জোর দেয়, যেখানে মস্তিষ্ককে মনের পরিবর্তিত অবস্থা রূপে দেখা হয়। বায়োএথিসিস্টদের মতে, মস্তিষ্কের মৃত্যুই মানুষের মৃত্যুর সঠিক সংজ্ঞা।

দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, লাইফ সাপোর্টে কাউকে রাখার ক্ষেত্রে ব্যয়। সংকুচিত স্বাস্থ্যসেবার কারণে এ খাতে দেশগুলো এত ব্যয় করতে চায় না। আদালত শালমকে লাইফ সাপোর্টে রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর তাঁর জন্য হাসপাতালে চার লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা) ব্যয় করতে হয়েছে।

তৃতীয় কারণ হচ্ছে, অঙ্গ প্রতিস্থাপন। ব্রিটেনে ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৩২ জন মানুষ মারা গেছে অঙ্গদাতার অভাবে। যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা সাত হাজারের বেশি। অনেক অঙ্গ মৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।

কিছু দেশ অঙ্গ প্রতিস্থাপনে উদাসীন। তারা আশঙ্কা করে, প্রতিস্থাপনের জন্য যকৃৎ, কিডনি ও হৃৎপিণ্ড পাওয়ার জন্য মৃত ঘোষণায় উৎসাহ থাকবে বেশি। তাড়াহুড়ো করে মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে মৃত ঘোষণা করা হবে। আর এ কারণে জাপান মৃত ঘোষণার ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ড ও শ্বাসতন্ত্রের ওপর নির্ভর করে। জাপানের সাপ্পোরোতে ১৯৬৮ সালে প্রথমবারের মতো কোনো ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে হৃৎপিণ্ডদাতাকে নিয়ে ওই অস্ত্রোপচার এখন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ওই অস্ত্রোপচারকে ওই সময় সাধুবাদ জানানো হয়েছিল। তবে হৃৎপিণ্ড পাওয়ার জন্য হৃৎপিণ্ডদাতাকে আগেভাগেই মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল বলে প্রশ্ন ওঠে পরবর্তী সময়ে।

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসে কোল হার্টম্যান নামের এক মার্কিন শিশুর মৃত্যুর পর অঙ্গদানের ঘটনা। আট বছর বয়সী শিশুটি ছিল প্রতিবন্ধী। ২০১৩ সালে বাড়িতে ওয়াশিং মেশিন চালু থাকা অবস্থায় মাথা ঢুকিয়ে দেয় কোল। পানিতে মাথা ডুবে থাকা অবস্থায় তাঁর বাবা জেরেমি হার্টম্যান তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে চিকিৎসক কোলের পরিবারকে জানায়, শিশুটির মস্তিষ্কের মৃত্যু না হলেও তার মস্তিষ্ক আর কাজ করবে না, সে কখনো জেগে উঠবে না। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, তার শরীর থেকে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। এর ২৩ মিনিট পর কোলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কোলের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দান করে দিয়েছিল তার পরিবার। কোলকে মৃত ঘোষণার সময় সেখানে অপেক্ষায় ছিল অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারের দল। এ ঘটনার চার বছর পর ২০১৭ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ কোলের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশের ধারণা, অঙ্গ নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল কোলকে। তার মৃত্যু ত্বরান্বিত করার জন্য মাত্রাতিরিক্ত ফেন্টানিল (ব্যথা কমানো ও অচেতন করার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ) প্রয়োগ করেছিলেন চিকিৎসক।

জাপান ১৯৯৭ সালে এক আইন কার্যকর করে যে যাঁরা অঙ্গ দানের সম্মতি দিয়ে গেছেন, তাঁদের মস্তিষ্কের মৃত্যুর পর তা নেওয়া যাবে। ভারতের অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন ১৯৯৪ অনুসারে, ব্রেইন স্টেমের মৃত্যুকে মৃত্যু হিসেবে ধরা হবে। তবে অঙ্গ দান করতে চান না—এমন ব্যক্তিদের মৃত্যুর সংজ্ঞা সেখানে স্পষ্ট করা নেই।

অনেক উন্নয়নশীল দেশে হৃৎপিণ্ড-শ্বাসতন্ত্রের প্রক্রিয়া থেমে যাওয়াকে মৃত্যুর সংজ্ঞা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। আফ্রিকায় প্রচলিত ধারণা, যেকোনোভাবেই হোক দীর্ঘজীবী হতে হবে। অনেক আফ্রিকান মনে করেন, জীবন তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে না গেলে তাঁরা আধ্যাত্মিক জগতে পূজনীয় হতে পারবেন।

কেনিয়ার চিকিৎসক ডাফনে নুগুনজিরি বলেন, বিষয়টি শুধু ধর্মীয় নয়। অনেক দেশে একজন মস্তিষ্ক মৃত মানুষকে মেডিকেল যন্ত্রপাতি দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখার মতো যন্ত্রপাতি তাদের নেই। তাই তারা হৃৎপিণ্ড-শ্বাসতন্ত্রের প্রক্রিয়া থেমে যাওয়াকে মৃত্যু হিসেবে ধরে নেয়।

সূত্র: প্রথম আলো, ইকোনমিস্ট, সিএনএন ও লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস

15
Latest Technology / CSR Unveils the World's Thinnest Keyboard
« on: November 23, 2013, 02:13:55 PM »
Engineers at British company Cambridge Silicon Radio unveiled the world's slimmest keyboard. With a thickness of just 0.49 mm, the keyboard offers not just a compact 79-key QWERTY keyboard and a multi-touch track-pad, but can also turn itself completely into a touch surface (such as a graphics tablet).



The keyboard isn't 0.49 mm throughout, but features a thick portion with its battery, electronics, and a Bluetooth low-energy transceiver, which supports Bluetooth Smart, and which lets you pair it with any Bluetooth-enabled smartphone, tablet, or PC. CSR deployed its newest CSR1010 SoC to run the keyboard, which offers latencies as low as 12 ms. Although unveiled to crowds at IFA Berlin 2013, the company didn't announce retail plans.


Source: techpowerup.com

Pages: [1] 2 3 ... 12