Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Saujanna Jafreen

Pages: [1] 2 3 ... 7
1
তরকারি যত ভালো করেই রান্না করা হোক না কেন, নুন ছাড়া বিস্বাদ। নুন আবার বেশি হয়ে গেলেও সে তরকারি মুখে তোলা যায় না। এমন পরিস্থিতি হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়, তা জেনে নিন:

১. কাঁচা আলুর টুকরা: তরকারিতে নুন বেশি মনে হলে কয়েক টুকরা কাঁচা আলু যোগ করুন। তরকারি থেকে অতিরিক্ত লবণ শোষণ করবে আলুর টুকরাগুলো। তরকারিতে ২০ মিনিট পর্যন্ত রাখতে হবে আলু। আলু দেওয়ার আগে খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

২. ময়দার বল: নুন বেশি হলে তরকারির পরিমাণের ওপর নির্ভর করে ময়দার বল তৈরি করে তরকারির মধ্য ছেড়ে দিতে পারেন। সাধারণত দু-তিনটি বল দিলেই কাজ হয়। ময়দা সেদ্ধ করে বা কাঁচা ময়দার বল তৈরি করেও তরকারিতে দিতে পারেন। অবশ্য খাবার পরিবেশনের সময় ওই বল সরিয়ে ফেলতে হবে।

৩. ক্রিম: তরকারিতে নুনের পরিমাণ কমাতে তাতে ক্রিম যুক্ত করতে পারেন। এতে তরকারিতে ক্রিমভাব আসবে এবং অতিরিক্ত লবণাক্ততা দূর হবে।

৪. সেদ্ধ আলু: তরকারিতে নুন বেশি হলে আলু সেদ্ধ করে তার মধ্যে দিতে পারেন। এতে ওই আলু তরকারি হয়ে যাবে। পুরোনো তরকারিতে নতুন স্বাদ আসবে।

৫. দই: তরকারিতে যদি নুন একটু বেশি মনে হয়, তবে এক টেবিল চামচ দই যুক্ত করতে পারেন। এতে লবণাক্ততা কমবে এবং স্বাদ বাড়বে।

৬. দুধ: দইয়ের মতোই কাজ করে দুধ। এটিও তরকারিতে লবণাক্ততা দূর করে পুরো স্বাদে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।

৭. পেঁয়াজ: কাঁচা বা ভাজা দুই রকম পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন। যদি কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহার করেন, তবে দুই টুকরা করে কিছুক্ষণ তরকারিতে রেখে সরিয়ে ফেলুন। এতে অতিরিক্ত লবণ দূর হবে। আর ভাজা পেঁয়াজ ব্যবহার করলে তরকারিতে লবণ দূর হওয়ার পাশাপাশি স্বাদ বাড়বে।

৮. ভিনেগার ও চিনি: তরকারিতে স্বাদ ঠিক রাখতে এক টেবিল চামচ ভিনেগার ও এক টেবিল চামচ চিনি যোগ করতে পারেন। টক ভিনেগার ও মিষ্টি চিনি তরকারিতে যোগ করার ফলে স্বাদে ভারসাম্য আসবে।

2
Fashion / কোন রসুন খাবেন?
« on: March 08, 2017, 12:42:34 PM »
রসুন খাওয়া হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য ভালো। কিন্তু কোন রসুন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চারা গজানো রসুনগুলোয় বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই অঙ্কুরোদ্‌গম হওয়া এই রসুন ফেলে দেওয়া ঠিক নয়। একেবারে নতুন রসুনের চেয়ে যেসব রসুনে হালকা সবুজ চারা দেখা দেয়, সেগুলোয় হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী উপাদান থাকে।

হাজার বছর ধরে চিকিৎসাকাজে রসুন ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জং-স্যাং কিম বলেন, এখনকার মানুষ রসুনের স্বাস্থ্যকর দিকটা সম্পর্কে জানেন। রসুন খেলে প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।

রসুনের গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকে জানলেও অঙ্কুরোদ্‌গমের বিষয়ে মানুষ কম জানে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যখন বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্‌গম ঘটে, তখন নানা যৌগ তৈরি হয়। এর মধ্য থাকে নতুন চারাকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষাকারী নানা উপাদান। রসুনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে বলে মনে করেন গবেষকেরা।

গবেষকেরা বলেন, নতুন রসুনের চেয়ে পাঁচ দিনের চারা গজানো রসুনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, রসুনের নির্যাস কোষের নির্দিষ্ট ক্ষতি ঠেকাতে সক্ষম।

‘এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি’ শীর্ষক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।

গবেষক কিম বলেছেন, রসুনে বাড়তি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগ করতে হলে অঙ্কুরোদ্‌গম করিয়ে নেওয়া ভালো।

3
Fashion / হাতের যত্ন
« on: March 08, 2017, 12:40:57 PM »
বেসন ২ চা-চামচ + টকদই ২ চা-চামচ + চিনি ১ চা-চামচ + পাতিলেবুর রস আধা চা-চামচ। মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
* পাকা কলা একটির সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
* পেস্তাবাটা ২ চা-চামচ + গুঁড়া দুধ ১ চা-চামচ + মধু ২ চা-চামচ + গোলাপজল ২ চা-চামচ। মিশিয়ে ২ হাতে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
* পাকা কলার সঙ্গে তেঁতুলের ক্বাথ মিশিয়ে কনুইয়ে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
* চালের গুঁড়া ২ চা-চামচ + টকদই ২ চা-চামচ + মুলতানি মাটি ২ চা-চামচ + কমলার খোসা গুঁড়া ১ চা-চামচ+ জলপাই তেল ১ চা-চামচ। মিশিয়ে হাতে লাগানোর পর ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
* বেসন ২ চা-চামচ + সামান্য কাঁচা দুধ ও অ্যাপ্রিকট স্ক্রাবার ২ চা-চামচ মিশিয়ে সম্পূর্ণ হাতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

4
Fashion / পায়ের যত্ন
« on: March 08, 2017, 12:40:20 PM »
মুলতানি মাটি ২ চা-চামচ + মধু ২ চা-চামচ + তরমুজের রস ২ চা-চামচ +ডাবের পানি ২ চা-চামচ নিন। সব মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* শসার রস ২ চা-চামচ + আলুর রস ২ চা-চামচ + মধু ১ চা-চামচ পায়ে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। টকদই ২ চা-চামচ + জলপাই তেল ১ চা-চামচ + চিনি ১ চা-চামচ +লবণ আধা চা-চামচ একত্রে মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে আলতোভাবে ঘষে তুলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* কুসুম গরম পানি ১ বোল + লবণ ১ চিমটি + ১ চা-চামচ শ্যাম্পু + ১ চা-চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে ওই পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রেখে পরে ঝামা দিয়ে ভালো করে পায়ের গোড়ালি ঘষতে হবে। এতে মরা কোষ উঠে যাবে।
* নারকেল তেল ২ চা-চামচ + পাতিলেবুর রস আধা চা-চামচ + বাঁধাকপির রস ২ চা-চামচ মিশিয়ে পায়ে ভালো করে মালিশ করতে হবে।
* গাজরের রস ২ চা-চামচ + তিলের তেল ১ চা-চামচ + শসার রস ২ চা-চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে ভালো করে লাগান। এরপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

5
Fashion / চুলের যত্ন
« on: March 08, 2017, 12:39:55 PM »
* পরিমাণমতো লেবুর রস + ঘৃতকুমারীর (অ্যালোভেরা) রস + ইক্যাপ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে।
* লেবুর রসের সঙ্গে ত্রিফলা চূর্ণ মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল বাড়ে।
* লেবুর রসের সঙ্গে টকদই ব্যবহার করলে খুশকি দুর হয়।
* লেবুর রসের সঙ্গে চায়ের লিকার মিশিয়ে শ্যাম্পু শেষে ব্যবহার করলে চুল ঝলমলে ও সুন্দর হয়।
* নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মালিশ করলে খুশকি দূর হবে।
রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন বলেন, সাধারণ সমস্যার জন্য প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। এ ছাড়া শ্যাম্পুর পর চুলের ধরন বুঝে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে মাথার ত্বকে না লাগে। মাসে অন্তত একবার চুলের ধরন বুঝে একটা ট্রিটমেন্ট নিতে হবে সৌন্দর্যসেবাকেন্দ্রে গিয়ে।

 

6
সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমন্বয়ের অভাবে বিচ্ছিন্নভাবে নেওয়া এসব উদ্যোগ থেকে কার্যকর ফল আসছে না। সাইবার নিরাপত্তায় সাফল্য পেতে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সবার আগে সমন্বয় নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার শুরু হওয়া এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে এমন মতামত উঠে এসেছে। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে শুরু হওয়া ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: সাইবার অপরাধ, নিরাপদ ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজনে সহায়তা করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল সকালে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহসান হাবীব খান।
দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার প্রথম দিনের আয়োজনে ছিল সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক পাঁচটি অধিবেশন। ‘সেফটি অন ইন্টারনেট’ শীর্ষক প্রথম অধিবেশনে অংশ নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দেশে নেই। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো করে কাজ করছে। আমাদের একে অপরের সঙ্গে কথা বলে সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’
প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করে বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সমন্বিত কর্মকৌশলে কাজ করতে হবে।
সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অর্থ খরচকে ব্যয় হিসেবে না দেখে বিনিয়োগ হিসেবে দেখার কথা বলেন সিটিওর মহাসচিব শোলা টেইলর। তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা এখন বৈশ্বিক সমস্যা, এই সমস্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে একত্রে কাজ করতে হবে।
ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা: অনুষ্ঠানে চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরুর তথ্য সাংবাদিকদের জানান প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, বর্তমানে কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে বা কোনো কনটেন্ট নিয়ে আপত্তি তুললে উত্তর দিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় নেয় ফেসবুক। সংকটকালে এটি খুবই দীর্ঘ সময়। তাদের বোঝানো হবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেসবুকের নিয়মকানুন ও নীতিমালা ভিন্ন। এ জন্য বাংলাদেশের আইনকানুন ও নীতির সঙ্গে সংগতি রেখে আলাদা ডেস্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেসবুকের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন সরকারের তিন মন্ত্রী। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে ফেসবুকের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে আরেকটি বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

7
Life Style / ভাইরাস জ্বর: কী করবেন
« on: March 08, 2017, 12:32:35 PM »
আবহাওয়া এখন না খুব ঠান্ডা, না খুব গরম। এটা নিঃসন্দেহে চমৎকার। তবে তাপমাত্রার ওঠা-নামার এই সময়ে ফ্লুর প্রকোপ বেড়ে যায়। ইতিমধ্যে অনেকে হালকা জ্বর, কাশি, নাকবন্ধ, গলা বসা, স্বর ভাঙা সমস্যায় আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। এই ফ্লু মৌসুম মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত চলে। এটি ভাইরাসজনিত রোগ। তাই দ্রুত একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়। এতে তেমন কোনো জটিলতা না হলেও বেশ ভোগান্তি হয়। আসুন, এ রকম সমস্যায় করণীয় জেনে নিই:
জ্বর থাকবে সাত দিন
ভাইরাসজনিত জ্বর ওষুধ খেলে সাত দিনে সারে, না খেলে সারে এক সপ্তাহে—এমন একটা প্রবচন আছে। কথাটা ঠিক। ফ্লুর জ্বর তিন থেকে পাঁচ দিন, বড়জোর সাত দিন থাকবে। তাই ধৈর্য ধরুন। এই সময়ে জ্বরের পাশাপাশি যদি নাক বন্ধ থাকে, নাক দিয়ে পানি পড়ে, গলা খুসখুস করে এবং কাশি হয়—ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই অকারণে অস্থিরতা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধপথ্যের দরকার নেই। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল খেতে পারেন।
অ্যান্টিবায়োটিক দরকার নেই
ভাইরাস জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজে আসে না। এই জ্বরের মূল চিকিৎসা উপসর্গ কমানো। যেমন: জ্বর হলে প্যারাসিটামল, নাক বন্ধের জন্য নাসাল স্প্রে, গলা খুসখুসের জন্য গরম লবণ-পানি দিয়ে গড়গড়া করা কাজে লাগে। সঙ্গে চাই প্রচুর পানি ও তরল খাবার এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
অ্যান্টি-হিস্টামিন না খাওয়াই ভালো
ভাইরাসজনিত জ্বর-কাশিতে অ্যান্টি-হিস্টামিনজাতীয় ওষুধও না খাওয়াই ভালো। এটি কাজ দেয় অ্যালার্জিজনিত কাশি-সর্দিতে। বরং গরম স্যুপ, হালকা গরম পানি, লেবু-চা খেলে স্বস্তি পাবেন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
খুব বেশি জ্বর হলে, প্যারাসিটামলেও জ্বর না কমলে, কানব্যথা বা কান দিয়ে পুঁজ বেরোলে, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, অসংলগ্নতা, ত্বকে ফুসকুড়ি বা র্যাশ দেখা দিলে সেটা ফ্লু নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি বা গলায় অস্বস্তি কিছুই না থাকলেও, তা-ও ফ্লু না হয়ে থাকতে পারে।

8
যাঁদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট আছে, তাঁরা কি ব্যায়াম বা কোনো ধরনের শরীরচর্চা করতে পারবেন? নাকি এ ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করলে তাঁদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাবে? এ প্রশ্ন অনেকেরই আছে। আসুন জেনে নিই এ সম্পর্কে কিছু কথা—

* হাঁপানির রোগীদের ব্যায়াম করতে নিষেধ নেই। হালকা জগিং, হাঁটার মতো ব্যায়াম তাঁরা অবশ্যই করতে পারবেন। তবে তার সীমা জানতে হবে। যে পর্যায়ে ব্যায়ামের পর আপনি আর কুলোতে পারেন না, তার আগেই থামবেন।
*অনেক সময় হৃদ্রোগের কারণেও শ্বাসকষ্ট হয়। সে ক্ষেত্রে ব্যায়াম করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
* মনে রাখবেন, হঠাৎ বেড়ে যাওয়া হাঁপানি বা সিভিয়ার অ্যাকিউট অ্যাজমার সময় ব্যায়াম করা যাবে না।
*যাঁদের হাঁপানি আছে, তাঁরা ব্যায়াম করতে যাওয়ার আগে দুই পাফ সালবিউটামল ও ইপরাট্রোমিয়াম-সমৃদ্ধ ইনহেলার টেনে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। এটা শ্বাসনালি প্রসারক হিসেবে কাজ করে। এতে পরবর্তী দুই থেকে চার ঘণ্টা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্ত থাকা যায়।

হঠাৎ বেড়ে যাওয়া হাঁপানি বা সিভিয়ার অ্যাকিউট অ্যাজমার সময় ব্যায়াম করা যাবে না

9
একটা গল্প দিয়ে শুরু করি। গল্প হিসেবেই বলছি, তবে ঘটনাটি নির্মম সত্য। আমার এক চিকিৎসক বান্ধবীর বাস্তব অভিজ্ঞতা।

এক নারী সন্তান প্রসব করেছেন কিছুক্ষণ আগে। নবজাতক ছেলে ও মায়ের অবস্থা বেশ খারাপ। আমার চিকিৎসক বান্ধবী ওই নারীর স্বামীকে কিছু ওষুধ আনতে দেন। কিছু ওষুধ বাচ্চার জন্য আর কিছু ওষুধ ওই নারীর জন্য। কিছুক্ষণ পর স্বামী ওষুধ নিয়ে ফিরে আসেন, তবে শুধু শিশুটির প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো নিয়ে। চিকিৎসক যখন জানতে চান, মায়ের ওষুধগুলো কোথায়? তখন ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ওর (স্ত্রীর) ওষুধ লাগবে না। ও এমনিতেই সেরে যাবে। বাচ্চাকে আগে দেখেন।’ আমার বান্ধবী বিষয়টি ধরতে পারলেন। তাঁকে বোঝালেন, সব ওষুধ বাচ্চার জন্যই ছিল। স্ত্রী ওই ওষুধগুলো খেলে তা বাচ্চার কাছেই যাবে। বাচ্চা মায়ের দুধ খাবে। বাচ্চার সমস্যা দূর হবে। সুস্থ হবে। এই ওষুধের এই সিস্টেম। তখন ওই ব্যক্তি অবাক হয়ে বললেন, ‘আগে বলবেন না বাচ্চার ওষুধ। তাহলে তো দেরি করতাম না।’

গল্পটা ছোট। হয়তো রসিকতা হিসেবে নেওয়া হতে পারে। কিন্তু আসলেই কি তাই? আমাদের দেশে সন্তান পালনের ক্ষেত্রে মা-বাবারা একটা মন্তব্য প্রায়ই করেন, তা হলো, তোমাদের মানুষ করতে ছেলেমেয়ের তফাত করিনি। এই বাক্যটিই বলে দেয় তফাত কী? সন্তান সন্তানই, কেন মনে হবে তফাত করা যায়, কেন মাথায় আসবে এখানে একটা তফাতের বিষয় থাকতে পারে।

আজকে চরম বিষয়গুলো বলছি না। বলছি না ভ্রূণহত্যার মতো নির্মম কিছু নিয়ে। সামান্য কিছু বিষয়, যা হয়তো আপনার মেয়েশিশুটির মনে দাগ কেটে আছে। সময় যায়, কিন্তু মেয়েটির মন থেকে বিষয়টি মোছে না। মিলিয়ে দেখতে পারেন, এমনটি কি ঘটে না?

অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনো একটি বিষয় পছন্দ করে নিতে হয় শিক্ষার্থীদের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মেয়েটি মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও তাকে বলা হয় মানবিক বিভাগে পড়তে। কারণ, এই বিভাগে অপেক্ষাকৃত কম খরচ হয়। এ ছাড়া মনে করা হয় সহজ বিষয়, সহজে পাস করে যাবে। এভাবে অনেক মেয়েকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে দেওয়া হয় না। আমি বলব না সব সময় এমনটাই ঘটছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কি এই ঘটনা ঘটে না?

মিনা কার্টুনের গল্পগুলো কিন্তু বাস্তব থেকেই নেওয়া। ঘরের কাজগুলো করে মিনা। আর পড়াশোনা করে তার ভাই রাজু। কাজ মিলাতে গেলেই লেগে যায় হুলুস্থুল। খাবারের ভালো ও বড় অংশ পায় বাড়ির ছেলে। নিশ্চয় ভাবছেন, এ বাবা, আবার এখন মিনা কার্টুন তুলে আনল। এখন কি আর সেই অবস্থা আছে?

হুম্‌, হয়তো সীমিত কিছু পরিবারে এই বিষয়গুলো দেখা যায় না। কিন্তু মেয়েশিশুটিকে তো আমরা ছোট ছোট শখ থেকে বঞ্চিত করিই, যা এই জীবনে পূরণ হয় না। যেমন ধরুন, একটু বড় হলেই বন্ধ হয়ে যায় বাড়ির সামনের মাঠে খেলতে যাওয়া, বিকেল হলেই যাওয়া যাবে না ঘরের বাইরে, হয়তো বান্ধবীদের সঙ্গে এক রাত গল্প করে কাটানোর শখ আপনার মেয়েটির কোনো দিনও পূরণ হয় না, যা বাড়ির ছেলেশিশুটির জন্য প্রযোজ্য হয় না। বিদ্যালয়ের পিকনিক, মেয়েটিকে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে যেতে দেওয়া হয় না। অথচ ছেলেটিকে ঠিকই যেতে দেওয়া হয়। যে পরিবারে ছেলেমেয়ে দুজনই আছে, এমন পরিবারে বিষয়টি মেয়েশিশুটির মনে বেশি প্রভাব ফেলে। ছেলেটি শেখে, আমার বোনকে নিরাপত্তার জন্য যেতে দেওয়া হয়নি। আমার মতে, দুজনকে যেত দেওয়া উচিত। ছেলেকে বোঝানো উচিত, তুমি যাও আর তোমার সহপাঠীদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখো। এভাবে পরিবার থেকে শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করা যায়। তথাকথিত নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কত কিছু থেকে যে মেয়েশিশুটিকে বঞ্চিত করা হয়। এরপর বাবার বাড়িতে চরম নিরাপত্তায় রেখে হঠাৎ করেই হয়তোবা একদম অজানা কারও সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটিকে। মেয়েটি শ্বশুরবাড়ি যায় আরেকজনের আমানত হয়ে। মেয়েটির নিরাপত্তা পুরোপুরি নির্ভর করে স্বামী মানুষটি কেমন হবে, তার ওপর। আর মেয়েটির একসময়ের চরম নিরাপদ স্থান বাবার বাড়ি হয়ে যায় অতিথিশালা। নিজস্ব গণ্ডি, নিজস্ব ঘরটি ছেড়ে দিতে হয়। ঠিক আছে, বাস্তব প্রেক্ষাপটে বলতে হয়, এমনটিই তো হওয়ার কথা...হয়ে আসছে। এ নিয়ে কথা বলা বাড়াবাড়ি।

কিন্তু শ্বশুরবাড়ি...মেয়েটির কি নিজের কিছু? ধরুন, মেয়টি বাপের বাড়িতে প্যান্ট-শার্ট পরত...শ্বশুরবাড়িতে তা তাঁকে বাদ দিতে হয়, মেয়েটি গান শুনতে ভালোবাসত, এখন বুঝতে হয় শ্বশুর কী ভাবছেন গান শুনলে। রান্না করতে গেলে বুঝে নিতে হয় শাশুড়ির বিষয়টি কেমন লাগছে। কারণ, হেঁশেলটি যে শাশুড়ির বড় আপন। এমন কত কিছু।

আরেকটা গল্প বলি। আমার পরিচিত একটি মেয়ে, যে ভালো চাকরি করত, নিজের চাহিদা নিজেই মেটাতে পারত। বিয়ে হলো...আমি ‘বিয়ে করল’ বললাম না, কারণ পরিবার থেকে তাঁকে বিয়ে দেওয়া হলো। বিয়ের পর চাকরি ছাড়ল। খুবই সাধারণ বিষয়। এমনটাই হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। তবে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল ওই দিন, যেদিন ও বলল, ‘যখন বাথরুমে যাই, শ্বশুর আশপাশে ঘোরাফেরা করেন। পানি কতটুকু খরচ করছি, তা বোঝার চেষ্টা করেন। বেশি পানি খরচ হলে উনি রাগ করেন, বলেন....লাট সাহেবের বেটি।’

এভাবেই চলছে। সবাই এগুলোকে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছে। তবে সব ক্ষেত্রেই যে এমন ঘটছে, তা নয়।

নারী দিবস, বছরে বছরে আসে, দিনটিতে সবাই সোচ্চার হন। কোথাও কোথাও সভা হয়। হয় কিছু ফুল বিনিময়। শ্রদ্ধার কথা আসে মুখে মুখে। এক সময় দিনটা শেষ হয়ে যায়। পরের দিন ফুলগুলো শুকিয়ে যায়। উদ্‌যাপনকারীরা ভাবেন, বেশ ভালোই কাটল এবারের দিবসটি। পরিবর্তন হয় না তেমন কিছু। হলেও বড়ই কষ্টকরভাবে, ধীরে।

10
বাবা কী করেন? ভাই নেই? বোনের স্বামীরা কী করেন?

স্কুলজীবন থেকে আজ অবধি অজস্রবার এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমি নারীপ্রধান পরিবারে বেড়ে উঠেছি। আমার জীবনের অভিজ্ঞতা বলে, একটা পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব নেওয়া থেকে শুরু করে হেন কোনো কাজ নেই, যেটা একজন নারীর পক্ষে করা সম্ভব না। তবু অধিকাংশ মানুষ আমার পরিচয় জানতে চান পরিবারের পুরুষ সদস্যদের যোগ্যতা দিয়ে। পরিবারের নারী সদস্যরা কী করেন, তা জানতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা গুটি কয়েক। এটি ধরেই নেওয়া হয় যে নারীর কাজ গৃহস্থালি আর পুরুষের কাজ পরিবারে অর্থের জোগান দেওয়া।

তথ্য-উপাত্ত বলে, বর্তমানে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে পরিবারের প্রধান হিসেবে নারীকে স্বীকৃতি দেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়নি।

একজন নারী একটি পরিবারের হাল ধরেছেন—এটি গৌরবের, লজ্জার নয়।

শারমীন জামান তাঁর দুই সন্তানকে মানুষ করেছেন একাই। যে বয়সে কিশোরী শারমীন জামানের বেণি দুলিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সে তাঁর সম্মতি ছাড়াই পরিবার তাঁকে বিয়ে দিয়ে দেয় দ্বিগুণ বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে। স্বামীর কাছ থেকে কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য পাননি বললেই চলে। কঠোর সংগ্রাম করে নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। এখন তিনি আর তাঁর মেয়ে, দুজন নারী মিলেই তাঁদের পরিবারের হাল ধরেছেন।


তবে আজ অবধি তাঁদের যে কথাটি সব থেকে বেশি শুনতে হয়, তা হলো, ‘আপনাদের কষ্ট বুঝি। ব্যাটা মানুষের কাজ করা তো সহজ না।’

শারমীন জামানের মেয়ে জেসিকা বলছিলেন, ‘মানুষ ধরেই নেয় আমরা দুজন মেয়ে সংসার চালাই বলে আমরা অসুখী পরিবার।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আয়েশা বানুর মতে, মানুষের ভেতরে বস্তুগত পরিবর্তন যত দ্রুত হয়, মনন কাঠামোগত পরিবর্তন তত দ্রুত আসে না। গত তিন দশকে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা বেড়েছে অনেক। তবে একজন নারী একটি পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস এবং পরিবারের সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী—এটা মেনে নিতে পারেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম।

সমাজে ‘ভালো মেয়ের’ একটি বাঁধাধরা সংজ্ঞা থেকে বেরিয়ে আসতে চান না অনেক মেয়েও। ভালো মেয়ে মানেই ধরে নেওয়া হয়, সমাজের প্রচলিত নারীর ভূমিকার বাইরে তিনি যাবেন না। অনেক পুরুষও ভাবেন, মেয়েরা সংসার চালানো মানে সমাজে তাঁদের জায়গা মেয়েরা নিয়ে নিচ্ছেন।

অধ্যাপক আয়েশা বানু জোর দিলেন লিঙ্গসমতাভিত্তিক প্রশিক্ষণের ওপর। তবে নারী-পুরুষের সমতার শিক্ষা কেবল পরিবার আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিতে পারে—এ ধারণা ঠিক নয়। একজন শিশু তার পরিবার থেকে লিঙ্গসমতার শিক্ষা পেলেও টেলিভিশন, সিনেমা, উপন্যাস থেকে লিঙ্গবৈষম্যের ধারণা পেতে পারে।

লেখক ভার্জিনিয়া উলফ বলেছিলেন, নারীদের সাহিত্যচর্চার জন্য প্রয়োজন নিজস্ব একটা ঘর। ঘর এখানে রূপক অর্থে ব্যবহৃত। আসলে প্রতিটি নারীরই নিজস্ব একটা ঘর প্রয়োজন। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের পরিচয় ছাপিয়ে নিজের একটা পরিচয় প্রয়োজন।

কিছুদিন আগে এক ভদ্রলোক পরিচিত হতে এসে প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার বাবা কী করেন?’

আমি তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বললাম, ‘বাবা নেই, আমার মা পরিবারের প্রধান। উনি এত বছর আমাদের সংসার চালিয়েছেন। আমাদের তিন বোনের পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন। এখন আমাদের পরিবারের চারজন নারীই উপার্জন করেন এবং নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।’

ভদ্রলোক কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, ‘আপনার মা তো তাহলে একজন সফল নারী।’

11
সংসার সামলে অনেক নারীই বাড়ির বাইরে গিয়ে চাকরি করেন। আবার ইচ্ছা থাকলেও অনেক নারী পারিবারিক বাধার কারণে তা পারেন না। তবে পরিবারের নারী সদস্যরা চাইলে চাকরি করবেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ মানুষেরই সম্মতি আছে। লিঙ্গভেদে হিসাব করলে ৪২ শতাংশ পুরুষ ও ৫৬ শতাংশ নারীই এমনটি চান।
বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় ৫০ শতাংশ মানুষের সম্মতির বিষয়টি অনেকের কাছে সন্তোষজনক মনে হলেও হতে পারে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও নেপাল থেকে বেশ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। নারীর চাকরির বিষয়ে নেপালের ৮১ শতাংশ ও ভারতের ৭০ শতাংশ মানুষের মনোভাব ইতিবাচক।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘নারী ও তার কাজের জন্য ভালো ভবিষ্যৎ গড়ার দিকে: নারী ও পুরুষের কণ্ঠ’ শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
নারীর চাকরির বিষয়ে বিশ্বের ৬৮ শতাংশ মানুষের সম্মতি আছে। এ বিষয়ে ৭০ শতাংশ নারী ও ৬৬ শতাংশ পুরুেষর মনোভাব ইতিবাচক। এ ক্ষেত্রে অঞ্চল ভিত্তিতে এগিয়ে উত্তর আমেরিকা ও পিছিয়ে আরব দেশগুলো। উত্তর আমেরিকার ৭৯ শতাংশ নারী ও ৫৯ শতাংশ পুরুষের মনোভাব ইতিবাচক। আরব দেশগুলোর ৬২ শতাংশ নারী ও ৫২ শতাংশ পুরুষের নারীর চাকরিতে সম্মতি আছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ৫৯ শতাংশ পুরুষ ও ৫২ শতাংশ নারীর মনোভাব এ িবষয়ে ইতিবাচক।
আইএলও জানিয়েছে, গত বছর ১৪২টি দেশের প্রায় ১ লাখ ৪৯ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছেন বাংলাদেশের এক হাজার মানুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীর চাকরির বিষয়ে বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ মানুষের সম্মতি আছে। বয়সভেদে হিসাব করলে ১৫-২৯ বছর বয়সী ৫২ শতাংশ ও ৩০ বছর বয়সী ৫০ শতাংশ মানুষ চান নারীরা চাকরি করবেন। আবার মাধ্যমিক পাস করা ৫৭ শতাংশ ও প্রাথমিক পাস করা ৪৩ শতাংশ মানুষ এমনটি চান। অন্যদিকে নারীর চাকরিতে সম্মতি নেই ৪৬ শতাংশ মানুষের। লিঙ্গভেদে হিসাব করলে ৫৭ শতাংশ পুরুষ ও ৩৫ শতাংশ নারী এই কাতারে আছেন।
নারীর চাকরির বিষয়ে বাংলাদেশি নারী ও পুরুষের নিজেদের মনোভাব পৃথকভাবে তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। মাত্র ১১ শতাংশ নারী চাকরিকে অগ্রাধিকার দেন। ৪৬ শতাংশ নারীর কাছে চাকরির বদলে বাড়িতে থাকাই পছন্দের। তবে ৩৯ শতাংশ নারী দুটোই করতে চান। ৪ শতাংশ নারী এসব বিষয়ে কোনো মতামত দেননি। অন্যদিকে মাত্র ১০ শতাংশ পুরুষ নারীর চাকরিকে অগ্রাধিকার দেন। নারীর বাড়িতে থাকাটা ৫৭ শতাংশ পুরুষের পছন্দ। তবে দুটোতেই সায় আছে ৩২ শতাংশ পুরুষের।
পরিবারের সদস্যদের সম্মতি ও অসম্মতির বাইরে সংসার ও অফিসের কাজের মধ্যে সমন্বয়, সন্তানের লালনপালন, পুরুষকর্মীদের অশোভন আচরণ ও হয়রানি, কাজের সময় নমনীয়তা নেই, ভালো বেতনের চাকরির অভাব, একই কাজ করে পুরুষের চেয়ে কম বেতন, নিরাপদ যাতায়াত ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় নারীদের। চ্যালেঞ্জগুলো সব দেশের নারীদের জন্যই কমবেশি প্রযোজ্য বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন (ভিএডব্লিউ) সার্ভে ২০১১’ শীর্ষক এক জরিপে এর ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ওই জরিপে উল্লেখ ছিল বাংলাদেশে মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ নারী পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আর স্ত্রীকে অল্পসংখ্যক স্বামীই উপার্জনের স্বাধীনতা দেন। তবে যাঁরা দেন, সেসব স্বামীর ৯৩ দশমিক ১৯ শতাংশই স্ত্রীর উপার্জন করার বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেন না।
জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘নারীর চাকরির বিষয়ে ৫০ শতাংশ মানুষের সম্মতি কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। আমরা উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। আমরা উন্নত দেশ হতে চাইছি। কিংবা আমরা যে হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চাই, সে জন্য আরও বেশিসংখ্যক নারীকে কর্মক্ষেত্রে আসতে হবে।’ তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীরা যেসব সমস্যায় পড়েন, সেসব যথাযথভাবে সমাধান করা গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

12
ঢাকায় বাস-মিনিবাসে শুধু নেই আর নেই। বাইরে সারা গায়ে দগদগে ক্ষত। ভেতরে বাড়তি আসনের কারণে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নষ্ট। গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। চলাচলের উপযুক্ততার (ফিটনেস) সনদ, বিমা, চালকের লাইসেন্সসহ নেই কিছুই। গণপরিবহনের এই দশা বেরিয়ে এসেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দীর্ঘদিন ধরে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। বিআরটিএর এই চলমান অভিযানের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর সহায়তায় গত রোববার থেকে আদালত পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান ২০ কর্মদিবস চলার কথা। এর আগে ঢাকা জেলা প্রশাসনও আদালত পরিচালনা করেছে। নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে এসব আদালতে সহায়তা দিচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ছয়টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব আদালতের সামনে যেসব বাস-মিনিবাস থামানো হয়, এর ৯০ শতাংশই মোটরযান আইনের কোনো না কোনো ধারা ভেঙে চলেছে। অধিকাংশ চালকের লাইসেন্স নেই। রংচটা বাস-মিনিবাসের বেশির ভাগেরই নেই ফিটনেস সনদ। চলাচলের অনুমতিপত্র, বিমার দলিল, আয়করের কাগজ পাওয়া যায়নি অনেক বাসে। নির্ধারিত আসনের চেয়ে ১০টি পর্যন্ত বাড়তি আসন বসানো হয়েছে। জানালা ভাঙা, শরীরের অসংখ্য জায়গা তুবড়ে গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেক চালক পুলিশের সংকেত না মেনে গাড়ি নিয়ে পালিয়েছেন।
গতকাল বিআরটিএর তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০৬টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় পরিবহনমালিককে জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আটজন চালককে। গত রোববার আদালত পরিচালনা করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ২০ জন চালককে কারাদণ্ড দেয়। এ সময় ফিটনেসবিহীন ১২টি বাস জব্দ করা হয়। জরিমানা আদায় করা হয় ৩ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা। মোটরযান আইনে বাসের চালকের কাছে নিবন্ধন, ফিটনেস, বিমাসহ ছয় ধরনের দলিল থাকা বাধ্যতামূলক।
বিআরটিএর হিসাবে, ঢাকায় প্রায় ছয় হাজার বাস-মিনিবাস চলে। আর জাইকার প্রতিবেদন বলছে, ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে সোয়া দুই কোটি মানুষের যাতায়াত হয় বাসে। যান্ত্রিক যানের মধ্যে বাস-মিনিবাসের ব্যবহারকারীই অর্ধেকের বেশি।
টিকাটুলী: মিনিবাসে অতিরিক্ত ১০ আসন
সকাল সাড়ে ১০টা, টিকাটুলীর অভিসার সিনেমা হলের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া জায়গির। একপর্যায়ে গ্রিন বাংলা পরিবহনের একটি মিনিবাস থামান পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। আদালত যাচাই করে দেখতে পান, এই বাসের চলাচলের অনুমতি (রুট পারমিট), হালনাগাদ ট্যাক্সের কাগজ ও বিমার দলিল নেই। চালকেরও নেই লাইসেন্স। ৩০ আসনের মিনিবাসে অতিরিক্ত ১০ আসন যুক্ত করা হয়েছে। ফলে যাত্রীদের ঠিকমতো বসার উপায় নেই। বাসের ভেতর-বাইরে রং চটে গেছে। সব মিলিয়ে চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
একই সময় আসিয়ান পরিবহনের একটি বড় বাস পুলিশ দাঁড় করালে এক ফাঁকে চালক পালিয়ে যান। চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশ। আদালত দেখতে পান, ওই বাসের একেকটি আসনের উচ্চতা একেক রকম। দুই পাশের জানালার কাচ ভাঙা। পেছনের কাচ ভেঙে পড়ে গেছে। সামনের কাচটি চৌচির। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। আদালত আট হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বাসের যাত্রী মোতালেব মিয়া বলেন, বাসের আসন ছোট হওয়ায় পা বাঁকা করে বসতে হয়। এ ছাড়া যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা এবং দাঁড়িয়ে লোক নেওয়া হয়। এর মধ্যে স্বচ্ছন্দে চলাচল করা যায় না। বেলা দেড়টার দিকে রংধনু পরিবহনের একটি বাস থামালে আদালত দেখতে পান, ভেতরে কয়েক স্তর ধুলাবালু জমে আছে। অন্তত ১০টি আসনের কোনো না কোনো অংশ ভাঙা। দুই পাশে জানালার অধিকাংশ কাচও ভাঙা। চালকের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় অনেক দলিলই নেই। বাসটিকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত পরিচালনাকালে এই পথে বাস চলাচল কমে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কথা শুনে অনেক চালক দ্রুত বাস চালিয়ে সটকে পড়েন। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা শিকড়, শিখর, গ্রিন বাংলা পরিবহন ও গাবতলী-যাত্রাবাড়ী পথে চলাচলকারী (পুরোনো ৮ নম্বর রুট) অনেক বাস চেষ্টা করেও থামাতে ব্যর্থ হন।

অধিকাংশ চালকের লাইসেন্স নেই। রংচটা বাস-মিনিবাসের বেশির ভাগের নেই ফিটনেস সনদ। চলাচলের অনুমতিপত্র, বিমার দলিল, আয়করের কাগজ পাওয়া যায়নি অনেক বাসে
এ ছাড়া আদালত খাজা বাবা পরিবহনসহ কয়েকটি কোম্পানির বাস যাচাই করে প্রয়োজনীয় দলিলাদি পাননি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও বাড়তি আসন বসানোর অভিযোগে জরিমানা করেন আদালত। হেলমেট ছাড়া চালানোর দায়ে কয়েকজন মোটরসাইকেলচালকেরও জরিমানা হয়।
মতিঝিল: বাস ফেলে পালালেন চালক
একই সময় মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন সরদার। দুপুরের দিকে পুলিশ নিউ ভিশন পরিবহনের একটি মিনিবাসের চালককে থামার সংকেত দিলে বাস রেখে পালিয়ে যান চালক। এই বাসের সহকারী ফিটনেস সনদ দেখাতে পারেননি আদালতকে। এ ছাড়া বাসে বাড়তি ১০টি আসন বসানো হয়েছে। পরে চার হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে কোম্পানির এক ব্যক্তি বাসটি ছাড়িয়ে নেন।
প্রায় একই সময় ঢাকা মেট্রো জ ১১-৮২২৩ নিবন্ধন নম্বরের বাসে ফিটনেস সনদ পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে নির্বাহী হাকিম মামুন সরদার প্রথম আলোকে বলেন, আদালত চলাকালীন ওই পথে চলাচলকারী যত বাস-মিনিবাস থামানো হয়, এর ৯০ শতাংশেরই কাগজপত্র ঠিক পাওয়া যায়নি। সব কটিতেই আসন বাড়ানো হয়েছে, যা যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নষ্ট করছে।

13
Science and Information / Yahoo delays sale of core business
« on: February 01, 2017, 01:49:13 PM »
Yahoo said Monday its $4.8 billion deal to sell its core internet assets to US telecom titan Verizon has been delayed several months.

The closing originally set for this quarter has been pushed into next quarter due to “work required to meet closing conditions,” the California online pioneer said in a statement, adding that it was “working expeditiously to close the transaction as soon as practicable.”
The news came in an earnings release showing Yahoo swung to a profit of $162 million in the final three months of last year.
The deal with Verizon, which would end Yahoo’s run of more than 20 years as an independent company, has been thrown into doubt following disclosures of two huge data breaches.
Yahoo said it is ramping up security as it grapples with the aftermath of epic hacks.
“Our top priority continues to be enhancing security for our users,” Yahoo chief executive Marissa Mayer said.
She added that “approximately 90 percent of our daily active users have already taken or do not need to take remedial action to protect their accounts, and we’re aggressively continuing to drive this number up.”
Yahoo boasted having more than a billion users monthly in 2016, with more than 650 million of those people connecting from mobile devices.
Hack aftershocks
The US Securities and Exchange Commission has opened an investigation into whether Yahoo should have informed investors sooner about two major data breaches, The Wall Street Journal reported Sunday, citing people familiar with the matter.
US law requires companies that fall victim to such hacks to disclose them as soon as they are deemed to affect stock prices.
Yahoo announced in September that hackers in 2014 stole personal data from more than 500 million of its user accounts. It admitted another cyber attack in December, this one dating from 2013, affecting more than a billion users.
The SEC’s investigation is focusing on why it took Yahoo several years to reveal the 2013 and 2014 attacks.
The data breaches have been a major embarrassment for a former internet leader that has failed to keep up with Google, Facebook and other rising stars.
The cyber attacks, and how notifying users was handled, has also raised concerns by investors that Verizon may seek to pay a lower price for Yahoo or even back out of the deal.
When companies are in the process of being acquired, earnings that hit or surpass targets typically don’t knock matters off course.
“The bigger things are the breaches; those have Verizon reconsidering the deal,” analyst Rob Enderle of Enderle Group told AFP.
“I think the merger is at risk; the delay would point to that as still a possibility.”
Courting Mavens
The earnings report showed Yahoo swung to profit a year after a massive $4.4 billion loss in the same period a year earlier, resulting from a large writedown on the value of its holdings.
Revenue in the fourth quarter rose to $1.47 billion from $1.27 billion a year earlier.
Yahoo reported a loss of $214 million for the full year on revenue that inched up to $5.2 billion from $5 billion in 2015, according to the earnings report.
Mayer has been driving a shift to mobile, video, social and native advertising offerings at Yahoo, and revenue in those areas-which she dubbed “Mavens,” continued to climb.
Mavens revenue for last year slightly topped $2 billion as compared to $1.7 billion in 2015.
“I’m very pleased with our Q4 results and incredibly proud of the team’s execution on our 2016 strategic plan, particularly given the uniquely eventful past year for Yahoo,” Mayer said.
Yahoo shares were up a little more than one percent to $42.88 in after-market trades that followed release of the earnings figures, which topped Wall Street expectations.
Mayer will quit the company’s board after its merger with Verizon, according to an SEC filing, though she is expected to remain with the core Yahoo business.
Yahoo is selling its main operating business as a way to separate that from its more valuable stake in Chinese internet giant Alibaba.
The share-tending entity, to be renamed Altaba, Inc., will act as an investment company.

14
Science and Information / Gmail users can't email Javascript files
« on: February 01, 2017, 01:47:13 PM »
To protect users from potential viruses, tech giant Google has announced to restrict Gmail users from sending Javascript files from 13 February.

"Gmail currently restricts certain file attachments (e.g. .exe, .msc, and .bat) for security reasons and similar to other restricted file attachments, you will not be able to attach a .js file and an in-product warning will appear, explaining the reason why," the company said in an official blog.

If you try to send a Javascript attachment after 13 February, you will get a response saying the message is blocked for security reasons.

If you still need to send .js files for legitimate reasons, you can use Google Drive, Google Cloud Storage, or other storage solutions to share or send your files, the blog post added

15
Science and Information / Space travel may cause genetic changes: NASA
« on: February 01, 2017, 01:46:10 PM »
NASA scientists in an unprecedented study have found that space travel may alter gene expression.

The study involved astronaut Scott Kelly, who spent a year in space and his identical twin Mark who stayed on Earth.

From the lengths of the twins' chromosomes to the microbiomes in their guts, "almost everyone is reporting that we see differences", Christopher Mason, a geneticist at Weill Cornell Medical College in New York City, was quoted as saying to scientificamerican.com.

The changes that are likely attributable to Scott's time in orbit include alterations to gene expression, DNA methylation -- the reversible addition of a chemical marker that can affect gene expression -- and other biological markers.

DNA methylation decreased in Scott during flight and increased in Mark over the same period.

Levels for both men returned close to pre-flight levels after Scott came back to Earth, according to the preliminary results published in the journal Nature.

"What this means isn't yet clear," said Andrew Feinberg, a geneticist at Johns Hopkins University in Maryland, US.

The researchers also reported changes in gene-expression signatures between the twins. Such changes happen in earthbound people all the time, associated with environmental shifts such as changes in diet and sleep habits.

However, the changes in Scott seemed to be larger than normal - perhaps due to the stress of eating frozen food and trying to sleep while floating in space, Mason said.

But, because the Kelly twins are just two people, the results may not be generalized, the study said.

Scott spent 340 days in space during 2015-2016, giving him a lifetime total of 520 days, while Mark, also an astronaut, had previously flown in space for a total of 54 days over four space-shuttle missions between 2001 and 2011.


Pages: [1] 2 3 ... 7