Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Fahmi Hasan

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 9
76
Health Tips / রোজায় শ্বাসকষ্ট
« on: May 16, 2018, 12:46:54 PM »
রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। রোজা কোনোভাবেই হাঁপানি রোগ বাড়িয়ে দেয় না।
ইনহেলার শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য এমন এক চিকিৎসাপদ্ধতি যা রোগী শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে টেনে নেয় এবং ওষুধ শ্বাসনালিতে পৌঁছায়। অনেকেই মনে করেন, ইনহেলার হাঁপানির সর্বশেষ চিকিৎসা। ইনহেলার একবার ব্যবহার করলে পরে শ্বাসকষ্টের পরিমাণ কমানোর জন্য আর অন্য কোনো ওষুধ কাজে আসে না। তাঁদের জেনে রাখা ভালো, শ্বাসকষ্টের প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে ইনহেলার।

এখন অবশ্য অনেক ডিভাইস পাওয়া যায়। তা ব্যবহারের মাধ্যমে হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগী রোজা রাখতে পারেন। সালবিউটামল ইনহেলার ইফতারের সময় দুই পাফ নেওয়া যায়। সাহ্‌রির সময় দুই পাফ নেওয়া যায়। তাহলে লম্বা সময় ধরে ভালো থাকা যায়।

আর বলা হচ্ছে, রোজা রাখা অবস্থায় যদি কেউ ইনহেলার নেয়, তবে রোজা ভাঙবে না। কারণ ইনহেলার তো খাদ্যের পরিপূরক নয়।
ধূমপান করলে রোজা ভেঙে যাবে। ধূমপান তো নেশা। কিন্তু ইনহেলার তো নেশা নয়, এটা নিতে হয় রোগীকে সুস্থ রাখার জন্য। রোজা রেখে এটা সহজেই নেওয়া যাবে। তারপরও যদি কেউ না নিতে চান তবে সাহ্‌রি ও ইফতারের সময় দুই পাফ করে নিতে হবে।

আর এখন বিভিন্ন জেনথিন দলের আছে, ইউনিকনটেন আছে, কনটেন আছে—একটা ২০০ মিলিগ্রামের বড়ি, ইফতারের পর একটা খেয়ে নিলেন, সাহ্‌রির পর একটা খেয়ে নিলেন। তাহলে পুরো সময়টাই শ্বাসকষ্টমুক্ত থাকা সম্ভব। আর রাতে শোয়ার সময় একটি মন্টিলুকাস ১০ মিলিগ্রাম ওষুধ খেয়ে নিলে খুব সহজেই রোজা রাখা যায়।

আর কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খুব অ্যালার্জিতে ভরা। যেমন, গরুর মাংসের অনেক পদ, অনেক হাঁপানি রোগীই আছে যাদের এই মাংসে অ্যালার্জি আছে। চিংড়ি মাছের বিভিন্ন পদ, বেগুনি—এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে, যদি তাদের এসব খাদ্যে সংবেদনশীলতা থাকে। ইফতারি ওইভাবে সাজিয়ে নেবেন। একজন শ্বাসকষ্টের রোগী যদি খুব পেট ভরে খায়, তবে দম নিতে সমস্যা হয়। আসলে সুস্থভাবে রোজা রাখার জন্য কিছু নিয়মকানুন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সবকিছুর মধ্যে ভারসাম্য করে চলতে হবে, পরিমিতিবোধ থাকতে হবে।

ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, লেখক: বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ

77
কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং কিছু মসলা ওজন দ্রুত কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন মসলা ও ভেষজ উপাদান নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে এমন কিছু মসলার কথা জানানো হল যা ওজন কমানো আরও দ্রুত করবে।

দারুচিনি: দারুচিনি ক্ষুধা কমাতে সাহায্য। রক্তের শর্করার মাত্রা কমায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। চাইলে ওটমিলে দারুচিনি যোগ করতে পারেন। টক দইয়ে বা চায়ে মেশাতে পারেন দারুচিনি। মুরগির মাংসে এটা ভিন্ন স্বাদ যুক্ত করে।

লাল মরিচ: ঝাল শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। ফলে বিপাকও বাড়ে। বিপাক যত বেশি ক্যালরি তত বেশি খরচ হবে। খাবারে মরিচ বা ঝাল যোগ করুন। এটা প্রতিবেলার খাবারে ১শ’ ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করবে। বাদাম, সুপ, ডিম ইত্যাদি খাবারের উপরে হালকা লাল-মরিচ ছিটিয়ে খেতে পারেন।

জিরা: খাবারে এক টেবিল-চামচ জিরা যোগ করুন। এটা তিনগুন বেশি চর্বি কমাতে সাহায্য করে। সম্প্রতি স্থূলকায় নারীদের উপর পরিচালিত গবেষণা থেকে এমনটাই জানা গেছে। তাছাড়া জিরা খাবারে স্বাদও বাড়ায়। চাইলে প্রতিদিনকার খাবার যেমন- সুপ, সবজি, ডাল, রুটি ও অন্যান্য যে কোনো খাবার পরিবেশনে জিরা ব্যবহার করতে পারেন।

আদা: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এই মসলা। অর্থাৎ মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে আদা। হলুদ, লাল-মরিচও তাই। এগুলোতেও আছে চর্বি পোড়ানোর উপাদান, ‘থার্মোজেনিক’। চা, সালাদ, মাছ, ফলসহ অন্যান্য যে কোনো খাবারে এটা যোগ করতে পারেন।

রোজমেরি: রোজমেরি বিপাক বৃদ্ধি করে। এটা হজম বাড়াতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানিতে রোজমেরি ভিজিয়ে পান করতে পারেন। তবে সেটা যেন খালি পেটে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এলাচ: ভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত এলাচ বেশ পরিচিত। এর তাপ উৎপাদন ক্ষমতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেটে গ্যাস উৎপন্ন হওয়া কমিয়ে ফোলাভাব ও অস্বস্তি দূর করে। দ্রুত ওজন কমাতে খাবারে এক চিমটি বা দুইটা এলাচ যোগ করুন।

গোল মরিচ: কালো গোল মরিচ পিপারিন সমৃদ্ধ যা খাবারে ভিন্ন স্বাদ এনে দেয়। এই উপাদান চর্বির কোষ গঠনে বাধা দেয়। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পরবর্তি সময়েও ওজন বাড়তে দেয় না। ভালো ফলাফলের জন্য লাল মরিচ ও গোল মরিচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

78
Food / দই ঢেঁড়স
« on: May 16, 2018, 12:21:21 PM »
রেসিপি দিয়েছেন প্যারিস প্রবাসী রন্ধনশিল্পী ডা. ফারহানা ইফতেখার।



উপকরণ: কচি ঢেঁড়স ২৫০ গ্রাম। পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ। মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ। জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। আদা ও রসুন বাটা ১ চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৪,৫টি। দই ২ টেবিল-চামচ। তেল পরিমাণ মতো। কালি জিরা ১ চা-চামচ। টমেটো-কুচি ১টি। লবণ পরিমাণ মতো।
পদ্ধতি: ঢেঁড়স ধুয়ে দুই টুকরা করে কেটে নিন।

এবারে ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে ঢেঁড়সগুলো হালকা ভেজে উঠিয়ে নিন। ওই তেলেই কালি জিরা দুই মিনিট ভেজে তারপর সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর দই দিয়ে আরেকটু কষিয়ে ভাজা ঢেঁড়সগুলো দিয়ে কষান। প্রয়োজনে অল্প পানি দিতে পারেন।

খেয়াল রাখতে হবে, ঢেঁড়সের সবুজ রং যেন ঠিক থাকে। তাহলে দেখতে ও খেতে ভালো লাগবে।

কিছুক্ষন পর ঢেঁড়স সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে মাখা-মাখা হলে ঝাল, লবণ পরিক্ষা করে নামিয়ে নিন।

79
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে মোবাইল ডেটা বা ওয়াই-ফাই অন করলেই গোটা জগৎটা আমাদের মাথার ভেতরে ঢুকে পড়ে। মাথাটাই এখন বিশ্ব। ফেসবুক নিয়ে ভালো-মন্দ যত কথাই হোক, আর সেটাকে ‘অলীক’ জগৎ বলে যতই এর অস্তিত্বকে তাচ্ছিল্য করা হোক না কেন, বাস্তবতা হলো এই যে পৃথিবীর মানুষদের একটা বড় সংখ্যা এখন ফেসবুকে প্রতিদিন দিনের একটা বড় অংশ কাটায়। সেখানে বন্ধুত্ব, ভাব, ভালোবাসা, সম্পর্ক, বিবাহ, বিচ্ছেদ, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ভালো-মন্দ, বিপদ-আশীর্বাদ—সবই আছে। ফেসবুক নিয়ে তাই নিন্দা, দ্বিধা যা-ই থাকুক না কেন, মানতে হবে যে এটা আমাদের বাস্তবতার বাইরের কিছু এখন আর নয়। আমরা যদিও নিন্দায় ভাসি যে ফেসবুক একটা ‘লোক দ্যাখানোর’ কেবল ঝলমলে রঙিন ছবির মিথ্যা মেকি জগৎ, কিন্তু এই জগতের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধগুলো কিন্তু মেকি নয়। যে জগতেই মানুষের পা পড়ে, সেখানেই অপরাধ ঘটবে। এত দিন আমরা রক্তমাংসের জগতের একধরনের বিপদ দেখেছি। সেখানে আমাদের বন্ধুত্ব হয়েছে, সম্পর্ক হয়েছে, বিপদ-আপদ হয়েছে। সেসব বিপদের রূপ আমাদের অনেক দিনের পরিচিত।

কিন্তু ফেসবুকের এই নতুন জগতের বিপদগুলো সম্পর্কে আমরা ইদানীং জানতে পারছি। ধীরে ধীরে একের পর এক খুন, ধর্ষণ, প্রতারণার মতো ঘটনার খবর আমাদের কানে আসছে, যার অনেকগুলোরই শুরু এই ফেসবুকের পটভূমি থেকে। এই জগৎকে যদি আমরা আমাদের বাস্তবতার অংশ হয়েছে স্বীকৃতি দিয়ে থাকি, তবে প্রশ্ন হলো, এখানে টিকে থাকার জন্যও কি যথার্থ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে? আমরা কি এই জগতের বিপদগুলো সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন? এখানেও টিকে থাকার সূত্র আসলেই সেই একটাই—সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট। সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে নিরাপদে বসবাস করে এর আনন্দ নিতে হলে আমাদের এই জগতের শক্তি, দুর্বলতা ও ফাঁদগুলোর চরিত্র সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা দরকার। তাহলেই ধীরে ধীরে ‘ফেসবুক ফিটনেস’ তৈরি হবে এবং এই মাধ্যমের নেতিবাচক দিকগুলো থেকে আমরা আমাদের বাঁচিয়ে চলতে পারব।

সর্বশেষ ঘটনাটির সূত্র ধরেই শুরু করি। মাত্র কদিন আগে ফেসবুকে পরিচয়ের পর বন্ধু বা প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ঘরে ফেরেনি চট্টগ্রামের একটি কিশোরী মেয়ে। এক দিন বাদে তার লাশ পাওয়া যায়। দায়ী সেই প্রেমিক যুবক কি না, নাকি অন্য কেউ? সেই প্রমাণ মিললেও কি মেয়েটিকে আর পাওয়া যাবে? এই ক্ষতির দায় কি ফেসবুকের, নাকি আমাদের অসাবধানতার? মাথাব্যথার দায় কি মাথার?

সাবধানতার প্রথম পাঠ হিসেবে আমাদের একটা কথা মনে রাখা দরকার যে ফেসবুক কোনো রূপকথার জগৎ নয়। টেলিভিশন সিরিজ নয়। চরিত্রগুলো প্রকৃত মানুষ, যারা সত্যিকারের জগতে অপরাধ ঘটাতে সক্ষম। সিনেমার ভিলেন যত খারাপ মানুষই হোক, সে টেলিভিশন থেকে বের হয়ে এসে আমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু ফেসবুকের অনেক চরিত্র থাকতে পারে, যারা আপাতদৃষ্টিতে নায়কসুলভ হলেও সেই প্রক্ষেপিত নায়ক চরিত্রের অন্তরালে তাদের স্বরূপ আসলে হতে পারে কোনো হঠকারী মানুষের। আমি যদি তার নায়ক রূপে আকৃষ্ট হয়ে একটা মাত্রার বাইরে তার দিকে এগিয়ে যাই, তাহলে তার খলনায়ক রূপটি আমার বোকামি, দুর্বলতা, অসাবধানতা, অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে আমার ভয়াবহ কোনো ক্ষতি করে দিতে পারে, যা কিনা অপূরণীয়। খেয়াল রাখা দরকার যে ফেসবুকে আমরা তা-ই দেখি, যা আমরা দেখাতে চাই। আমরা এখানে যেমন আমাদের মুখচ্ছবির সবচেয়ে নিখুঁত রূপায়ণে মনোযোগী, তেমনি আমাদের চরিত্রের ছবি আঁকার ক্ষেত্রেও আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রচারে অতি আগ্রহী ও পারদর্শী। এই মানসিকতা তবু সরল বলে ভাবা যায়, যদি সেখানে মিথ্যাচার প্রবেশ না করে।

কিন্তু স্মরণ রাখা দরকার, যার বা যাদের মন অপরাধপ্রবণ, মিথ্যাপ্রবণ, তেমন অনেক মানুষও ফেসবুকে আমাদের আশপাশেই আছে। তারা যদি নিজের চরিত্রের কোনো অসত্য চিত্রায়ণ করতে চায়, তো ফেসবুকে তার পূর্ণ সুযোগ রয়েছে। এই জগতে তাই আমরা যখন মন দেওয়া-নেওয়ার খেলায় জড়িয়ে যাই, কারোর প্রতি আকৃষ্ট হই, তখন বারবার মনে রাখা প্রয়োজন যে যে চরিত্রে আমি আকৃষ্ট, সে যদি খাঁটিও হয়ে থাকে, তবু প্রথমত ফেসবুকে তার ‘আংশিক’ প্রকাশ ঘটেছে, যা সব সময়ই আমার আপন নিরাপত্তার খাতিরেই আগাপাছতলা যাচাই-বাছাইয়ের দাবি রাখে। অর্থাৎ ফেসবুকে যা দেখছি, সেটা একটা মানুষের পরীক্ষিত প্রকৃত পূর্ণাঙ্গ রূপ না-ও হতে পারে। নিজেকে নিরাপদ সীমানায় রেখে রক্তমাংসের বাস্তব জগতের পর্যবেক্ষণ ছাড়া শুধু ফেসবুকের পরিচয় আর বন্ধুত্বের ভিত্তিকে চিরন্তন ভরসার ধরে নিয়ে সম্পর্কের আরও গভীরে মানসিকভাবে প্রবেশ করাও তাই নিরেট নির্বুদ্ধিতা।

দ্বিতীয়ত, ফেসবুকের সূত্রপাত থেকে সংঘটিত অপরাধগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে সম্পর্ককেন্দ্রিক, তাই এই জায়গাটাকে ঘিরেই সর্বাধিক এবং সর্বোচ্চ মাত্রার সাবধানতার প্রয়োজন থাকলেও সব ধরনের আদান-প্রদানের এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ফেসবুককে শুধু একটা পরিচয়ের উৎসস্থল হয়েছে দেখাটাই উত্তম। লেনদেন, আলাপ-আলোচনা সবই যত বেশি ভার্চ্যুয়াল জগৎ থেকে আস্তে আস্তে বাস্তব জগতে নিয়ে আসা যায়, ততই আমাদের নিজস্ব বিচারক্ষমতার প্রয়োগের এবং পর্যবেক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি পায় আর বিপদের আশঙ্কা সংকুচিত হয়।

সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ফেসবুকের পরিচয়ের সূত্র ধরে কোনো অপরিচিত মানুষের (তার সঙ্গে আমরা যত দিনই কথাবার্তা বলে থাকি না কেন) সঙ্গে কোনো অরক্ষিত জায়গায় একলা চলে যাওয়াটা একটা অত্যন্ত বিপজ্জনক কাজ, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য। এই সব ক্ষেত্রে বড় কোনো বন্ধুদলের মধ্যে ধীরে ধীরে সেই মানুষটার সঙ্গে আরও সময় নিয়ে মেশা, তার পরিবারকে জানা, তার সমাজকে জানা, এভাবে ধাপে ধাপে এগোনোটাই সঠিক ও নিরাপদ পথ। মোদ্দাকথা, ফেসবুক থেকে সরাসরি বাস্তবের জগতে প্রবেশের আগে কিছুতেই মনের ভেতরেও সেই অচেনা বা অল্প চেনা মানুষটিকে নিয়ে বেশি দূর এগোনো ঠিক নয়। কেননা, তখনো জানার প্রক্রিয়াটি পর্যাপ্ত রূপ নেয়নি। দ্বিতীয়ত, এই সময়টাতেও একলা জড়িত না হয়ে ধাপে ধাপে বড় কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে ধীরে ধীরে মানুষটিকে আরও কাছে থেকে জানতে চাওয়াটাই বেশি নিরাপদ, যৌক্তিক এবং উভয়ের জন্যই সম্মানজনক। সম্পর্কের মতো জীবনের এত জটিল একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সময় নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

একটা যুগে ভাবা হতো ছেলেমেয়েরা বিপদগ্রস্ত হবে ঘরের বাইরে গিয়ে। এখন বাইরের গোটা জগৎটাই ঘরের ভেতরে ঢুকে গেছে ইন্টারনেটের ফাঁক গলে। এই নতুন যুগের নতুন সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রায় সাবধানতার প্রয়োজন আছে। প্রতিটি পরিবারের ছেলেমেয়েদের সেই বিষয়ে বাড়তি সচেতনতা এখন অত্যন্ত জরুরি। ছেলেবেলায় আমাদের বাবা-মায়েরা বলতেন, বাইরে গেলে অপরিচিত কারোর হাত থেকে প্রলোভিত হয়ে কিছু না খেতে, কোথাও না যেতে। কেননা, জগতে দুষ্ট লোকের, ‘ছেলেধরাদের’ অভাব নেই।

আজকের যুগের ফেসবুকের ‘ছেলেধরা’ দুষ্ট লোকেদের চোখে দেখা যায় না, আর সেই জগতেও প্রলোভনের প্রতারণার অভাব নেই। মানুষ যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ সেখানে অত্যন্ত সীমিত। তাই পরিমিত মেলামেশার এখানে কোনো বিকল্প নেই। অসাবধানী মানুষ এখানে বিপদে পড়বেই যদি সে কোনো অসাধু লোকের খপ্পরে পড়ে। তাই সাবধানতার মাত্রা বাড়ানো ছাড়া এর আর কোনো প্রতিকার নেই। আপাতদৃষ্টিতে অত্যন্ত নিরাপদ-আনন্দময় এই জগৎটিতে যে পদে পদে বিপদ ছড়ানো আছে, এই কথাটাই আমাদের ছেলেমেয়েদের বারবার করে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। হয়তো তাতে বাবা-মায়েরা খানিকটা অপ্রিয় হবেন, তবু।
বাবা-মায়েরা সারাক্ষণই ছেলেমেয়েদের এটা-সেটা নিষেধ করে থাকেন। ‘এটা কোরো না, ওটা খেয়ো না, এখানে যেয়ো না, এর সঙ্গে মিশো না’! এই বিধিনিষেধের বাড়াবাড়ির জন্যই বাবা-মায়েদের অনেক বদনাম সন্তানকুলে। যেন বাধা দেওয়াটাই তাঁদের প্রধান কাজ। কিন্তু চট্টগ্রামের কিশোরী তাসফিয়ার ঘটনাটির পর সন্তানদের কাছে খোলামেলা অনুরোধই করতে চাই একেবারেই মিনতির সুরে। বাবারা দয়া করো একটু! সন্তানের কোনো রকম ক্ষতি পিতা-মাতার পক্ষে অসহনীয়। সেই আশঙ্কার জায়গা থেকে অন্তত ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যে কথাগুলো বাবা-মায়েরা বারবার বলেন, সেগুলোকে আমলে নেওয়াটা অত্যন্ত দরকার। পরিবারের ভেতরের বলয়ে যদি আমরা সচেতনতার শক্ত ভিত তৈরি করতে পারি সমাজের সব স্তরে, তাহলেই শুধু অপরাধী চেতনা ধীরে ধীরে কোণঠাসা হবে, সেটা ফেসবুকে হোক আর যেখানেই হোক!

লেখক: ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সংগীতশিল্পী ও মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী

80
"This Ability” is the winning team of the leadership program titled 'Agragami 2017', jointly organized by Metropolitan Chamber of Commerce and Industry, Dhaka (MCCI, Dhaka), and Common Purpose, UK. The Grand Finale of this program held on 13 May 2018 at International Convention City, Bashundhara (Gulnaksha), Dhaka. Two students of Daffodil International University,  Azmir Hasan (Department of Architecture) and Mohashinur Rahman (Department of  Business Administration) were the team members of the winning team.  Zaman Wahid (Software Engineering Department) was also the team member of the Runner up team named “Meena’s 3rd wish”.



Sir Fazle Hasan Abed, KCMG, the founder and Chairman of BRAC was present as the chief guest while Mrs. Laila Rahman Kabir, Managing Director, Kedarpur Tea Co. Ltd, Dr. Mohammed Farash Uddin, Chairperson of the Board of Trustees, East West University, Mr. M Anis Ud Dowla, the Chairman of ACI Limited were present as the special guests. Ms. Nihad Kabir, President of MCCI, Dhaka presided over the session. Professor Dr. Yousuf Mahbubul Islam, Vice Chancellor, Daffodil International University also attended the grand finale with 86 representative students and officials from Daffodil International University.



“Agragami”- Frontrunner was an intensive four-day leadership program to develop students’ leadership skills and confidence. The aim of the program was to give students access to leaders and organizations in their city, helping them to understand their context and unlock the key leadership skills needed for today’s workplace. 13 students from different departments of Daffodil International University joined the leadership program.


81
ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করলে মেজাজ থাকবে খিটখিটে। তাই কর্মক্ষেত্র যেন আনন্দদায়ক হয় সেই প্রচেষ্টা করতে হবে নিজেকেই।

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আর অফিস যেতে ইচ্ছে করে না। অথচ মাস শেষে বেতনটাও দরকার। এমন দোটানায় থাকা চাকরিজীবীদের জন্য মানসিক চা তৈরি করে।

এই পরিস্থিতি যদি আপনার সঙ্গে মিলে যায় তবে লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে কয়েকটি উপায় দেওয়া হল। যেগুলো হয়ত কর্মক্ষেত্র আনন্দদায়ক করে তুলতে সহায়তা করবে।

আত্নতৃপ্তি: যখনই অফিসের উপর বিতৃষ্ণা আসবে, তখনই একটা লম্বা দম নিয়ে আপনার চারপাশের সেই মানুষগুলো কথা ভাবুন, যারা নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা শেষ করে এখনও একটা চাকরির সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিংবা ভাবতে পারেন সেই মানুষগুলোর কথা, যারা ভাগ্য দোষে যোগ্যতা থাকার পরেও নিম্নমানের কাজে যোগ দিয়ে অমানবিক পরিবেশে কাজ করছে অল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে। সংগ্রাম সবার জীবনেই আছে। তাই আপনার যা আছে তাকে মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ কারও হয়ত ততটুকুও নেই।

নিজেকে গোছান: প্রতিদিনের কাজ শুরু করার আগে সেগুলোকে সুপরিকল্পনার মাধ্যমে ছকে সাজিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করতে পারলে মানসিক চাপ কমে যাবে অনেকাংশে। কোন কাজগুলো করা বেশি জরুরি, কোনটা শেষ করার সময় নিকটবর্তী্ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে কাজগুলোকে সাজিয়ে নিতে পারেন। আবার খেয়াল রাখতে হবে সময়ের সদ্ব্যবহারের দিকেও।

কাজ শুধু কাজের সময়েই: অফিসের কাজ যদি ঘর পর্যন্ত টেনে আনেন তবে নিজের কর্মজীবন আর ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য নিজেই নষ্ট করছেন। কাজের সময় মনযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে, আর ওই সময়ের পর কাজকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলার অভ্যাস করতে হবে। ঘরে ফিরে অফিসের মেইল না পড়া, কাজবিষয়ক সবধরনের আলাপ এড়িয়ে চলা কিংবা কাজ সংক্রান্ত ফোনালাপ থেকে বিরত থাকার অভ্যাস গড়ে তোলা এক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। তবে জরুরি অবস্থার কথাও মাথায় রাখতে হবে।

বিশ্রাম বিরতি: ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা কাজ করতে থাকলে একসময় পারদর্শীতা কমে যাবে, কমবে কাজ করার আগ্রহ। তাই কাজের ফাঁকে চা-কফি পান কিংবা একটু হাঁটাহাঁটির বিরতি নেওয়া জরুরি। তবে খেয়াল রাখতে হবে বিরতিটা যেন অতিদীর্ঘ না হয়।

চোখের সামনে অনুপ্রেরণা: কর্মস্থলের আশপাশে অনুপ্রেরণামূলক বাণী রাখতে পারেন। কিংবা ভবিষ্যত লক্ষ্য এবং তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা চোখের সামনে রাখতে পারেন। প্রিয় মানুষগুলোর ছবিও অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। কঠিন সময়গুলোতে এগুলোই আপনাকে নতুন উদ্যোমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগাবে।

82


The National Final of Get in the Ring - a Global Startup Competition where promising start-ups of different public and private universities of Bangladesh fight to fly to Global Meet Up , was held on May 08, 2018 at 71 Milonayoton of Daffodil International University in the capital . Nusrat Jahan Rysa of Arced Foundation won the championship of National Final of Get in the Ring-2018, Bangladesh beating 11 other competitors.

Mr. Md. Mosharraf Hossain Bhuyan, Chairman, National Board of Revenue graced the occasion as the chief guest. Dr. Md. Sabur Khan, Chairman, Board of Trustees of Daffodil International Universitywas present as the National Host of Get In The Ring Dhaka 2018. The Judges Panel comprised with Mr. Md. Shafiqul Islam, Managing Director, SME Foundation, Ms. Tina Jabeen, Investment Advisor, Startup Bangladesh, ICT Division, Mr. Wali-ul-Maroof Matin, Founder & Managing Director, Maslin Capital, Mr. Quazi M. Ahmed, Lead Consultant & CEO of Future Leaders, Mr. Golam Monowar Kamal, Managing Director, Bangladesh Venture Capital Ltd.

The finalist teams are from Jahangirnagar University (JU), Khulna University of Engineering & Technology (KUET), Bangladesh University of Professionals (BUP), BRAC University (BRACU), North South University (NSU), United International University (UIU), Ahsanullah University of Science & Technology (AUST), University of Development Alternative (UODA), The Technical University of Applied Science, Germany and Daffodil International University (DIU).

Daffodil International University is the national host of this international competition known as the Olympic for start-ups. This is for the second time Get in the Ring competition organized by Daffodil International University. Earlier in 2015, Daffodil International University organized this competition for the first time in the country
Addressing as the chief guest NBR Chairman Mr. Md. Mosharrof Hossain Bhuyan said, Bangladesh is a country of immense opportunity and prospect. The young generation of this country is too much innovative. Get in the Ring competition will find out those meritorious guys which are discriminately stayed around the country. He also said that ‘Get in the Ring’ competition is a new concept in Bangladesh. In the mean time he thanked Daffodil International University for introducing this new concept in the country.
Chairman of National Board of Revenue Mr. Md. Mosharraf Hossen Bhuyan also said that half of our total population is young who can play a potential role in economic development of the country and they have already begun to contribute to change the economy of Bangladesh through different kinds of SME’s. They will make our country as developed country within a very short time, if they can get proper guideline and proper nursing. he added . He urged the young entrepreneurs to run their enterprise by following proper rules and regulations to attain success in their business quickly.


83
When we place too much focus on one goal, our path can seem narrow and full of closed doors. But if we can learn to let go and truly open ourselves to the unexpected, we may find possibilities we didn’t know existed.

We miss so much when we live closed off to the world. Think of your fist – when you shut it tight you can carry a handful of sand for a distance. But if you spread your hands wide, the entire desert can pass through your fingers.

Being open means you are receptive to the universe and changing circumstances that can affect your daily experiences. You are not abandoning your goals, or desire for success; you are simply creating more room for improvisation if the first path does not work out.

How open do you view yourself? Is your life a series of narrow passes that you must squeeze through, exhausted when you reach the other side? Or do you feel that each new challenge is a wide archway that you walk beneath comfortably?

Visual imagery can be a great tool for meditation, inspiring you to look at your thoughts in new ways. Here are some more ways to visualize openness, which may inspire you to create and contemplate your own imagery:

A satellite dish: open to all the signals of the universe
A sapling: stretching to reach the sun and rain
A whale: huge mouth open, swimming through the krill
A magnet: attracting that which is opposite to you
The child version of yourself: knowing that everything is possible

Being open is hard when we spend life rushing from one serious task to the next. Breathe, slow down just a little bit, and don’t forget to smile.  :)

Source: Mind Fuel Daily

84
Club or Society of DIU / Re: Updated List of DIU Clubs
« on: May 13, 2018, 11:12:21 AM »
Thanks for sharing. It is updated accordingly.

85
Thanks for sharing these useful tips with us. It will change our entire life style, if we practice sincerely.

86
Daffodil International University Debating Club (DIU DC) has been awarded by “Education Watch”, a education based monthly magazine for its outstanding performance in debate culture grooming up young generation. The award was declared at the 10th founding anniversary of ‘Education Watch’ and national seminar on “Development in the developing countries: Discussion on education development, challenge and planning” held on April 16, 2018 at Kabi Sufia Kamal Auditorium of National Museum in the capital where Professor Dr. Md. Akteruzzaman, Vice Chancellor, University of Dhaka was the chief guest and Prof. Dr. A N M Meskat Uddin, Vice Chancellor of South East University. Mr. Nizam Chowdhury, Chairman, NRB Global Bank Ltd. and Senate Member of University of Dhaka, Ms. Shobnom Shehenaj Chowdhury Deepa, Vice President, Ivance Group were present as the special guest. Mr. Khalilur Rahman, Editor, Education Watch conducted the program.





Professor Dr. Farhana Helal Mehtab, Moderator, DIU Debating Club received this award from Prof. Professor Dr. Md. Akteruzzaman, Vice Chancellor, University of Dhaka.

87
Students' Activities / E-Newsletter -April 2018
« on: May 12, 2018, 04:43:46 PM »

88
The National Final of Get in the Ring - a Global Startup Competition where promising start-ups of different public and private universities of Bangladesh fight to fly to Global Meet Up , was held on May 08, 2018 at 71 Milonayoton of Daffodil International University in the capital . Nusrat Jahan Rysa of Arced Foundation won the championship of National Final of Get in the Ring-2018, Bangladesh beating 11 other competitors.



More News: http://news.daffodilvarsity.edu.bd/1348-nusrat-jahan-rysa-won-the-national-final-of-get-in-the-ring-2018-in-bangladesh.html

89
Students' Activities / Art of Living Parents' Day, Spring 2018
« on: May 10, 2018, 09:44:39 AM »
To strengthen the triangular relationship and strong bonding of parents–students and teachers, Daffodil International University (DIU) is going to organize "Art of Living Parents’ Day" under the course of ‘Art of Living’ on April 06, 2018 at the picturesque permanent campus of DIU at Ashulia. 



More photos: https://www.facebook.com/pg/artofliving.social/photos/?tab=album&album_id=1346933005407398

90
http://www.the-prominent.com/news-others-article-6221/

ঢাকায় সাবধানতা অবলম্বনে মেনে চলুন কিছু নিয়মঃ

১. ঢাকায় বাসযাত্রার সময় কখনো জানালার পাশে বসে মুঠোফোন ব্যবহার করবেন না। যেকোনো সময় ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে পারেন। শুধু বাস নয়—কার, উবার, রিকশা কিছুই নিরাপদ নয় এ শহরে। সিএনজি চালিত অটোরিকশার ছাদ কেটেও মুঠোফোন নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। অতএব যাত্রাপথে মুঠোফোন পকেটে কিংবা ব্যাগের ভেতর রাখুন। যেসব নারী নাকে বা কানে সোনার গহনা  পড়েন, তারা আরও সাবধানতা অবলম্বন করুন। কারণ যাত্রাপথে এসব মূল্যবান গহনা ছিনতাইয়ের ঘটনাও অহরহ ঘটছে।

২. রিকশায় চলাচলের সময় কোলের ওপর ব্যাগ রাখবেন না। পাশ থেকে মটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে করে ছিনতাইকারীরা এসে হ্যাঁচকা টান দিয়ে নিয়ে যাবে। শক্ত করে ব্যাগ ধরে রাখলেও বিপদ! ছিনতাইকারীরা ব্যাগ টান দিলে আপনি রাস্তায় গিয়ে পড়বেন এবং আপনাকে রাস্তায় ছেঁচড়িয়ে অনেক দূর টেনে নিয়ে যাবে। তাতে মাথার এবং মেরুদণ্ডের মারাত্মক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকবে। ব্যাকপ্যাক ব্যাবহার করুন তবে সেটা পিঠে না ঝোলানোই ভালো। ব্যাগ দুই পায়ের ফাঁকে রেখে পা দুটো দিয়ে আড়াল করে রাখুন।

৩. রাস্তায় কিছু খাবেন না। দূরপাল্লার যাত্রা হলে বাড়ি থেকে খাবার সঙ্গে ‍নিন অথবা প্যাকেটজাত কিছু খান। পাশের যাত্রীর দেওয়া খাবার পরিহার করুন, পাশাপাশি রাস্তার পাশের দোকান থেকে ডাব কিংবা অন্য কিছু খাওয়া থেকেও বিরত থাকুন। কারণ আপনি যে পানি বা ডাব কিনলেন অথবা অন্যকিছু, তাতেই থাকতে পারে ওষুধ মেশানো। প্রতারকরা এখন অনেক চালাক। তাই কোনো রকম খোলা খাবার খাবেন না।

৪. ট্রেন যাত্রার সময় দরজার পাশে কিংবা দুই কামরার পাশে দাঁড়াবেন না। দরজায় দাঁড়িয়ে ধুমপান করবেন না। ট্রেনের ছাদে চলাচল যতোই রোমান্টিক লাগুক না কেন, তা থেকে বিরত থাকুন। কারণ যে অপরাধীচক্র ছিনতাই করে, তারা খুবই নির্দয় এবং বেপরোয়া। এদের শিকার হওয়া অনেক যাত্রীর লাশ পাওয়া যায় সারাদেশের ট্রেন লাইনের আশেপাশে। বেশিরভাগই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে ফেলা হয়।

৫. অনেক সাবধান থাকার পরেও কখনো কখনো ছিনতাইয়ের কবলে পড়তে পারেন। দেখা যাচ্ছে, ছিনতাইকারী বেশ কয়েকজন। আপনি একা, চারপাশে কেউ নেই। আপনাকে ঘেরাও করে রেখেছে। আপনার পকেটে দামী ফোন।  কী করবেন তখন? এসবক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হচ্ছে, ফোনের মায়া ত্যাগ করা। কারণ যারা ছিনতাইকারী তাদের বেশিরভাগই নেশাগ্রস্থ। এরা খুব একটা চিন্তা করেনা কিছু একটা করে বসার আগে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব বেশি সাহসী প্রমাণ না করাই ভালো। বেঘোরে প্রাণটা যাবে। আপনার জীবনের মূল্য পৃথিবীর যেকোনো দামী ফোনের চেয়েও অনেক বেশি।

৬. বান্ধবী বা মেয়ে বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্ট বা পার্কে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখবেন আপনার চারপাশে একদল ছেলের আবির্ভাব। এরা একটা চক্র। দেখবেন তারা আপনাদের নিয়ে নানা রকম আজে বাজে কথা বলছে, বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে ওরা চাইছেই আপনাকে উত্তেজিত করে একটা ঝামেলায় বাঁধাতে। এতে ওদের লাভ। সেটা কিরকম? ধরা যাক আপনি মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ালেন। ওরা আপনাকে অপমান করেছে বলে আপনি পাল্টা কিছু বললেন বা করলেন। এই পেয়ে গেলো সুযোগ। ওরা তখন বাইরে থেকে নেতা গোছের কাউকে ধরে আনবে। যিনি এসেই আপনাকে আপনার বান্ধবীর সামনেই নানান রকমভাবে জেরা করবে। তারপর বিচারে আপনাকেই দোষী বানিয়ে দেবে। তারপর মিটমাট করার নাম করে আপনার কাছ থেকে জরিমানা বাবদ টাকা পয়সা কিংবা দামী ঘড়ি, ফোন অথবা ল্যাপটপট রেখে দেবে। তাই এসব জায়গায় কথা বাড়ানো মানেই ঝামেলা ডেকে আনা। আর নির্জন জায়গা হলে এদের দেখা মাত্রই সরে পড়ুন।

৭. ভোররাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সাহস দেখিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে যাবেন না। বাসস্টপে বা ট্রেন স্টেশনেই অপেক্ষা করুন। সকালে যখন রাস্তায় যথেষ্ঠ মানুষ থাকবে তখন বের হন।

৮. ট্রেন স্টেশনে বা সদরঘাটে নিজে নিজে বয়ে নিয়ে যেতে পারেন না এমন বোঝা নিয়ে এসেছেন তো বিপদে পড়েছেন! মাথায় করে পৌঁছে দেয়ার নামে আপনার কাছ থেকে চাদার মতো ৪০০-৫০০ টাকা খসিয়ে ছাড়বে কুলিরা। তাই সাবধানে থাকুন, দরদাম করে তারপর কুলি ঠিক করুন।
যতই ভালো লাগুক, ট্রেনের ছাদে বা বাসের ছাদে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।

৯. নিউমার্কেট বা নীলক্ষেতের মত জায়গায় কেনাকাটা করতে গেলে খুবই সাবধান। কৌতুহলের বশে কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলেও এখানে আপনাকে পাল্টা দাম বলার জন্য জোরাজুরি করবে। মনে রাখবেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে লাভ নাই, এখানকার দোকানীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করে। তাছাড়া সাথে কোনো নারী থাকলে তো আরো বেশি ঝামেলা করবে। এসব পরিস্থিতিতে জোরাজুরি করলে যা হয় একটা দাম বলুন। দরকার হলে অকল্পনীয় রকম কম দাম বলুন। আপনার সামর্থ্য এবং জিনিসপত্রের মূল্যজ্ঞান নিয়ে ওরা অপমান করবে। যতোই অপমানিত লাগুক আপনি সরে যান। এসব জায়গায় কোনো ক্রেতা ঝামেলা করে মার না খেয়ে বাড়ি ফেরেনা সাধারণত।

১০. বাসে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে ওয়ালেট বা সামনের পকেটে মোবাইল রাখা নিরাপদ না। সামনের পকেটে এসব জিনিস রাখুন। অথবা সাথে ব্যাগ থাকলে ব্যাগের ভেতর ফোন আর মানিব্যাগ রেখে চেইন ভালো করে লাগিয়ে দিন। ব্যাগের দিকে নজর রাখুন।

১১. বাণিজ্যমেলা, চিড়িয়াখানা, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা শিশুপার্কে গিয়ে দাম না জেনে কোনো খাবার খাবেন না। দেখা যাবে একটা সিংগাড়া কিংবা আধা প্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে ৪০০-৫০০টাকার বিল ধরিয়ে দেবে আপনাকে। শিশু পার্ক বা চন্দ্রিমা উদ্যানে দাম জিজ্ঞাসা না করে ফুচকা খাবেন না। কেননা খেয়ে ফেলার পর ফুচকার দাম ১০০/১৫০ বললে কিছু করার থাকে না। খাবার আগে দাম জিজ্ঞাসা করুন।

১২. রাতে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। কারণ রাতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বেশি। এমনকি পুলিশ ধরলেও বিপদ। যতই নির্দোষ হন, পুলিশ যদি বুঝতে না চায় আর আপনাকে আটকে রাখার নিয়ত যদি থাকে, তাহলে আপনার কিছুই করার থাকবে না। তাই ভালো হয় খুব জরুরি দরকার না হলে রাতে রাস্তায় না বের হওয়া। আর নিতান্তই যদি বের হতে হয় তাহলে বাড়ির লোকজনকে জানিয়ে রাখুন কোথায় যাচ্ছেন। বিপদে পড়লে কাকে কাকে ফোন করতে হবে সেটাও জেনে নিন।

১৩. বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন, হঠাৎ একটা মাইক্রোবাস এসে থামলো আপনার সামনে। সেটা প্রাইভেট গাড়িও হতে পারে। আপনাকে চালক বলবে সে গ্যারেজে ফেরার পথে বাড়তি কিছু ‘ট্রিপ’ নিচ্ছে। খুব অল্প ভাড়ায় আপনাকে পৌছে দেবার কথা বলবে। আপনি উঠবেন না। নারী হলে তো আরো আরো বেশি সাবধান হোন। যতোই আরামের ভ্রমনের নিশ্চয়তা দিক, আর আশেপাশের সিটের যাত্রীদের যতই নির্ভার নিশ্চিন্ত লাগুক। উঠবেন না। কেননা এরকম একটা প্রস্তাবে রাজি হলে আপনিই হতে পারেন ছিনতাই, ধর্ষণ বা কিডন্যাপিংয়ের শিকার। রাতের বেলা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যাবহার করুন যেটায় লোকজন আগে থেকেই উঠে আছে। আপনার গন্তব্য যদি শেষ স্টপেজে হয় তাহলে আশেপাশের যাত্রীদেরকে জিজ্ঞাসা করুন তারা কেউ অতদূর যাচ্ছে কিনা। গেলে তাদের সাথে একসাথে নামুন।

১৪. রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ ভদ্রবেশি কেউ এসে, সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে বা বয়ষ্ক পুরুষ কিংবা মহিলা, আপনার ফোন চাইলো। বললো, উনার কোন একটা সমস্যার কথা, এক্ষুনি একটা ফোন দিতে হবে কাউকে। আপনি বিশ্বাস করে ফোনটা দিলেন, দেখবেন পরক্ষণেই হুট করে বাইকে উঠে হাওয়া।

১৫. সাথে সবসময় আইডি কার্ড রাখুন। বিপদে পড়লে খুব কাজে দেয়। হয়তো কোনো দূর্ঘটনা ঘটেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, তখন যারা আপনাকে উদ্ধার করতে আসবে তারা আপনার পরিবার পরিজনকে জানাতে পারবে।

১৬. বড় অংকের নগদ টাকা কখনোই একসাথে নিয়ে চলাফেরা করবেন না। চেষ্টা করুন নগদ লেনদেন আপনার ব্যাংকের কোনো একটি শাখায় সারতে যাতে করে লেনদেন হয়ে গেলেই টাকাটা আপনার একাউন্টে জমা দিয়ে দিতে পারেন।

১৭. নতুন বিবাহিত হলে এবং স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এলে কাবিননামার ছবি মোবাইলে তুলে রাখুন। কখন কোন কাজে লেগে যাবে বুঝতেও পারবেন না।

সবচেয়ে বড় কথা, সবসময় সতর্ক থাকুন, চোখ কান খোলা রাখুন। মনে রাখবেন আপনার নিরাপত্তা আপনারই হাতে।

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 9