Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - silmi

Pages: 1 2 [3] 4 5
31
ইদানিং সবার মাঝে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় খাবার দোসা। এই দোসা অনেকে বাড়িতেও তৈরি করছেন শখ করে। আজ দেখে নিন একদমই অন্যরকম এক দোসা। বেশ কয়েক রকমের ডাল দিয়ে তৈরি করা হয় এই দোসা, ফলে স্বাদটা হবে সাধারণ দোসার চাইতে একেবারেই অন্যরকম। জেনে নিন রেসিপিটি, সাথে রইলো ভিডিও।
উপকরণ

    -   এক কাপ চাল
    -   সিকি কাপ খোসা ছাড়ানো মাসকলাইয়ের ডাল
    -   সিকি কাপ চানা ডাল
    -   সিকি কাপ অড়হরের ডাল
    -   সিকি কাপ খোসা ছাড়ানো সবুজ মুগ ডাল
    -   ৬/৮টা শুকনো মরিচ
    -   সিকি চা চামচ হিং
    -   কয়েকটা কারি পাতা
    -   আধা চা চামচ জিরা
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   তেল দরকারমতো

প্রণালী

১) একটা বোলে চাল এবং সবগুলো ডাল নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন দুইবার।

২) এরপর শুকনো মরিচ, কারি পাতা, জিরা এবং হিং দিয়ে ওপরে আড়াই কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন কমপক্ষে ২-৩ ঘন্টা।

৩) ভিজিয়ে রাখার পর একে ব্লেন্ড করে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। একটা বোলে এই পেস্ট নিয়ে লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন।

৪) একটা তাওয়া গরম করে নিন। এর ওপরে মাখিয়ে নিন কিছুটা তেল। অতিরিক্ত তেল থাকলে সেটা কাপড় বা টিস্যু দিয়ে উঠিয়ে নিন। চামচ দিয়ে ওপরে ঢেলে দিন দোসার কিছুটা ব্যাটার। সাধারণ দোসার থেকে একটু মোটা করে ছড়িয়ে নিন।

৫) মাঝারি আঁচে রান্না করবেন। ওপরটা একটু শুকিয়ে এলে পাশে দিয়ে তেল দিয়ে দিন এবং সাইডগুলো বাদামি হয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন। একটা খুন্তি দিয়ে এটাকে প্যান থেকে উঠিয়ে নিন। পরিবেশন করতে পারেন চাটনি অথবা ঝোল তরকারির সাথে।

32
ইদানিং সবার মাঝে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় খাবার দোসা। এই দোসা অনেকে বাড়িতেও তৈরি করছেন শখ করে। আজ দেখে নিন একদমই অন্যরকম এক দোসা। বেশ কয়েক রকমের ডাল দিয়ে তৈরি করা হয় এই দোসা, ফলে স্বাদটা হবে সাধারণ দোসার চাইতে একেবারেই অন্যরকম। জেনে নিন রেসিপিটি, সাথে রইলো ভিডিও।
উপকরণ

    -   এক কাপ চাল
    -   সিকি কাপ খোসা ছাড়ানো মাসকলাইয়ের ডাল
    -   সিকি কাপ চানা ডাল
    -   সিকি কাপ অড়হরের ডাল
    -   সিকি কাপ খোসা ছাড়ানো সবুজ মুগ ডাল
    -   ৬/৮টা শুকনো মরিচ
    -   সিকি চা চামচ হিং
    -   কয়েকটা কারি পাতা
    -   আধা চা চামচ জিরা
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   তেল দরকারমতো

প্রণালী

১) একটা বোলে চাল এবং সবগুলো ডাল নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন দুইবার।

২) এরপর শুকনো মরিচ, কারি পাতা, জিরা এবং হিং দিয়ে ওপরে আড়াই কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন কমপক্ষে ২-৩ ঘন্টা।

৩) ভিজিয়ে রাখার পর একে ব্লেন্ড করে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। একটা বোলে এই পেস্ট নিয়ে লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন।

৪) একটা তাওয়া গরম করে নিন। এর ওপরে মাখিয়ে নিন কিছুটা তেল। অতিরিক্ত তেল থাকলে সেটা কাপড় বা টিস্যু দিয়ে উঠিয়ে নিন। চামচ দিয়ে ওপরে ঢেলে দিন দোসার কিছুটা ব্যাটার। সাধারণ দোসার থেকে একটু মোটা করে ছড়িয়ে নিন।

৫) মাঝারি আঁচে রান্না করবেন। ওপরটা একটু শুকিয়ে এলে পাশে দিয়ে তেল দিয়ে দিন এবং সাইডগুলো বাদামি হয়ে আসা পর্যন্ত রান্না করুন। একটা খুন্তি দিয়ে এটাকে প্যান থেকে উঠিয়ে নিন। পরিবেশন করতে পারেন চাটনি অথবা ঝোল তরকারির সাথে।

33
 তন্দুরি চিকেনের বিরিয়ানির রেসিপি অনেকেরই জানা। চলুণ, আজ জেনে নিই এই তন্দুরি চিকেনের সাথে সবজির বাহারে তৈরি আরেকটি বিরিয়ানির রেসিপি। আর রেসিপিটি নিয়ে এসেছেন শৌখিন রাঁধুনি আতিয়া আমজাদ।

উপকরণ-
বাসমতী চাল ৭৫০ গ্রাম
চিকেস পিস  ১২ টি (১.৫ কেজি)
শীতকালিন সব্জি (গাজর, মিস্টি কুমরা,আলু,কাঁচা পেঁপে,শালগম,পেয়াজ কলি, ফুলকপি ইত্যাদি ছোট কিউব করে কাটা) আধা কাপ করে বা ইচ্ছামত
সিরকা ৬ টে চামচ
টেলে নেয়া বেসন ১/৪ কাপ
লাল মরিচের গুঁড়ো ১.৫ টে চামচ
গরম মসলা পাউডার ১.৫ টে চামচ
কমলা ফুড কালার ১ চা চামচ (ইচ্ছা)
লবণ ২ চা চামচ বা স্বাদ মতো
তেল ১/৩ কাপ
টক দ্ই ১.৫ কাপ
টমেটো ৩ টি কুচি করে নেয়া
হলুদ ১/২ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ
পিঁয়াজ কুচি ১ কাপ (বেরেস্তার জন্য)
আদা ও রসুন বাটা ১.৫ চা চামচ
সরিষা বাটা ১ টে চামচ
গোল মরিচের গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
জায়ফল পেস্ট ১/২ চা চামচ
লবঙ্গ পেস্ট ১/২ চা চামচ
এলাচ বাটা ১/২ চা চামচ
তেজপাতা ৩ টি
দারচিনি ৩/৪ টুকরা
কাঁচা মরিচ ৭/৮ টি
পুদিনা পাতা কুচি ১/২ কাপ
কয়লা ২ টুকরা
ঘী ৩ টে চামচ

প্রনালী-

    -কয়লা, ঘী, কাঁচা মরিচ ,টমেটো , সব্জি ও আস্ত গরম মসলা, তেজপাতা ছারা বাকি সব উপকরণ মাংসে মাখিয়ে ৬/৭ ঘন্টা মেরিনেট করুন।
    -পানিতে তেজপাতা ও আস্ত গরম মসলা দিয়ে ফুটিয়ে নিন ও চাল দিয়ে ৭০% ফুটানো হলে পানি ঝরিয়ে ফ্যান এর নিচে ট্রে তে করে ছরিয়ে দিন।
    -সব্জি গুলো আধা সেদ্ধ করে নিন এবং ভেজে নিন অল্প তেলে সামান্য লবন দিয়ে।
    -প্যানে তেল দিয়ে মেরিনেটের মশলা থেকে চিকেন তুলে উভয় পাশে ৭/৮ মিনিট করে ভেজে নিন এবং তারপর মেরিনেটের মশলা টা দিয়ে দিন। কষতে দিন ২ মিনিট এবার টমেটো কুচি দিয়ে আরো ৫ মিনিট ভাজুন।ভাজা আলু দিয়ে দিন।
    -এবার দমে বাকিটা সময় রান্না করুন ৩০ মিনিট।
    -ননস্টিক প্যান এ ১ টে চামচ ঘী দিন তার ওপর অর্ধেকটা ভাত ছড়িয়ে দিন, তার ওপর সব্জি ছড়িয়ে দিন এবং সব শেষে তন্দুর চিকেনটা  গ্রেভি সহ তার ওপরে ছরিয়ে দিন , এবার বাকি অর্ধেকটা ভাত দিয়ে তার ওপরে ঢেকে দিন ।
    -এবার ভাতের ওপরে আরো ১ টে চামচ ঘী, কাঁচা মরিচ ,বাকি বেরেস্তা ও পুদিনা পাতা কুচি  ছরিয়ে ৩০ মিনিট দমে রাখুন।
    -ফয়েল পেপারে বা ছোট বাটিতে গরম কয়লা নিয়ে বিরিয়ানীর মধ্যে রাখুন। এবার কয়লায় ১ টে চামচ তরল ঘী ঢেলে দিন । দেখবেন যে ধোওয়া বের হচ্ছে। ঢাকনা এঁটে দিন যেন ধোয়াটা হাঁড়ির ভিতরেই থাকে। ১০ মিনিট পর সরিয়ে ফেলুন। এটা স্মোকি ফ্লেভার দেবে।
    -সাবধানে ভাতের সাথে তান্দুরি চিকেন ও সব্জি গুলো ওলোট পালট করে মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
    -চাইলে চুলার পরিবর্তে ওভেনেও তান্দুরি চিকেন টা তৈরী করে নিতে পারেন। বাকি সব এক রকম হবে।


34
রেস্তরাঁর চিকেন বন খেতে খুব ভালোবাসেন? তাহলে আয়েশা সিদ্দিকার রেসিপিতে শিখে নিন বাড়িতেই সুস্বাদু এই খাবারটি তৈরি করার কৌশল। কেবল ওভেনেই নয়, গ্যাসে চুলাতেও তৈরি করতে পারবেন মজাদার এই খাবারটি।

উপকরণ-১
চিকেন কিমা ১ কাপ
আদা-রসুন বাটা ১ টে চামচ
পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ
সয়া সস ১ টে চামচ
মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ
তেল ২ টে চামচ
লবণ স্বাদ মত

যা করবেন-

    -প্যানে তেল গরম করে আদা-রসুন আর মরিচ গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে চিকেন ও সয়া সস দিয়ে দিন। আঁচ মাঝারি রাখবেন।
    -কিমা আধা সেদ্ধ হয়ে এলে পেঁয়াজ দিন। নাড়তে থাকুন যতক্ষন না পেঁয়াজ ভুনা ভুনা হয়। ততক্ষনে কিমা ও সেদ্ধ হয়ে যাবে।
    -চাইলে কাপ্সিকাম কুচি মিশিয়ে নিয়ে পারেন।

উপকরণ-২
ময়দা ১ কাপ
ইস্ট ১ চা চামচ
তেল ২ টে চামচ
চিনি ২ টে চামচ
লবণ স্বাদমত
দুধ ১/৪ কাপ
ডিম(ফেটানো) ১ টি
সাদা তিল সামান্য (যদি থাকে)
পানি পরিমাণ মত

প্রনালি

    -কুসুম গরম দুধে ইস্ট ও চিনি ভিজিয়ে রাখুন ২/৩ মিনিট। ফুলে উঠলে লবন মেশানো ময়দায় মিশিয়ে পরিমান মত পানি দিয়ে মোটামুটি নরম খামির তৈরি করুন।
    -তারপর তেল দিয়ে ভাল করে মেখে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে গরম কোন জায়গায় রেখে দিন ১৫ মিনিট। ততক্ষনে খামির ফুলে দিগুন হয়ে যাবে।
    -১৫ মিনিট পর খামির বের করে আবার একটু ছেনে নিতে হবে। ভেতরে পুর ঢুকিয়ে বান তৈরি করুন। তারপর পছন্দ মত শেপ দিয়ে আবার ঢেকে রেখে দিন।
    -২০ মিনিট পর ডিম ওপরে ব্রাশ করে তিল ছড়িয়ে ১৮০ ডিগ্রী সে. প্রি- হিটেড ওভেনে বেক করুন ৩০ মিনিট। ওভেন থেকে বের করে ভেজা কাপড় দিয়ে উপরি ভাগ টা মুছে দিন। এতে করে উপরের অংশ শক্ত হবে না। চাইলে বাটার ব্রাশ করতে পারেন।
    -চুলায় করতে চাইলে অল্প আঁচে তাওয়ার বসিয়ে ঢেকে রেখে দিন যতক্ষণ না বান তৈরি হয়। সাধারণত ৪০-৪৫ মিনিট লাগে। চাইলে ডুবো তেলে অল্প আঁচে ভেজেও নিতে পারেন।

35
কেক-বিস্কুট তৈরি করা ভীষণ হাঙ্গামা, বিশেষ করে যারা একেবারে খাস বাঙালি রাঁধুনি তাদের জন্য। বিস্কুট বানাতেও দরকার ময়দা, মাখন এসেন্স ইত্যাদি। এগুলো বাড়িতে না থাকলে কি তবে বেকিং হবে না? হবে বটে! জেনে নিন আটা আর ঘি দিয়েই তৈরি করা যায় এমন এক বিস্কুটের রেসিপি! আর এর জন্য ওভেনও লাগবে না, তৈরি করতে পারবেন আপনার প্রেশার কুকারটাতেই।
উপকরণ

    -   আধা কাপ আটা (এছাড়াও বেলার সময় ওপরে ছড়িয়ে দিতে অল্প কিছুটা লাগতে পারে)
    -   আধা চা চামচ বেকিং পাউডার
    -   এক চিমটি লবণ
    -   সিকি কাপ চিনি
    -   সিকি কাপ ঘি (ফ্রিজারে ১৫ মিনিট রেখে শক্ত করে নেওয়া)
    -   দুই টেবিল চামচ দুধ
    -   দুই কাপ লবণ (বেকিং এর জন্য)

প্রণালী

১) একটা বোলে মিশিয়ে নিন আটা, বেকিং পাউডার, এক চিমটি লবণ, এবং চিনি। ফ্রিজারে রাখা ঘিটুকু হাত দিয়ে ভেঙ্গে নিন এবং এটাকে মিশিয়ে নিন বাকি উপকরণের সাথে। এর মাঝে দুধটুকু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে খামির করে নিন। এরপর খামিরটাকে ফ্রিজে রেখে দিন ১০ মিনিটের জন্য।

২) বড় একটা প্রেশার কুকারের ভেতর লবণ দিয়ে দিন দুই কাপ লবণ। এর ওপরে দিয়ে দিন একটি তারের র‍্যাক এবং পারফোরেটেড প্লেট। ঢাকনা থেকে হুইসল খুলে রাখুন। এবার ঢাকনা চাপা দিয়ে মাঝারি আঁচে প্রি-হিট হতে দিন।

৩) খামির ঠাণ্ডা হয়ে এলে বের করে নিন। একটা রুটি বেলার পিঁড়ায় নিয়ে খামির আরও কিছুটা ছেনে নিন। রুটি বেলে নিন মোটা করে। এরপর এটাকে কেটে বিস্কুটের আকার দিন।

৪) একটা প্লেট বা কেক টিন নিয়ে ওপরে ঘি মাখিয়ে নিন, এর ওপরে দিন বিস্কুটগুলো। প্রেশার কুকারের ভেতরে রেখে মাঝারি-কম আঁচে বেক হতে দিন ১০ মিনিটের মতো। ৭-৮ মিনিট পর চেক করুন কারণ খুব সহজেই বিস্কুট পুড়ে যেতে পারে। বেক করা হয়ে গেলে বের করে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার পরিবেশন করে ফেলুন চা-কফির সাথে অথবা বাচ্চাকে দুধের সাথেও খেতে দিতে পারেন।

36
শীতকাল সবজির সময়। এই সময় নানা রকমের মজাদার সবজি পাওয়া যায়। বড়রা তাও কম বেশি সবাই সবজি খেয়ে থাকে। কিন্তু যত সমস্যা বাচ্চাদের নিয়ে। বাচ্চারা কিছুতেই সবজি খেতে চায় না। আর এই বাচ্চাদের সবজি খাওয়ানোর জন্য মায়েদের করতে হয় কত না ঝামেলা। স্যুপ প্রায় সব বাচ্চারাই পছন্দ করে। বাচ্চাদেরকে সবজি স্যুপ করে খাওয়াতে পারেন। সবজি দিয়ে তৈরি করা হলেও এটি খেতে দারুন। আসুন জেনে নিই সবজি স্যুপ তৈরির মজাদার রেসিপিটি।
উপকরণ:

    ২ কাপ টমেটো কুচি
    ৪ কাপ পানি
    ১/২ কাপ বাঁধা কপি কুচি
    ১/২ কাপ গাজর কুচি
    ১টি তেজপাতা
    ২টি লং
    ১টি দারচিনি
    ১ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
    ৪ টেবিল চামচ বিনস
    লবণ
    ১/২ কাপ চিজ ( সাজানোর জন্য)

প্রণালী:

১। প্রথমে টমেটো কুচিকে সিদ্ধ করে নিতে হবে। পানিতে টমেটো কুচি  দিয়ে উচ্চ তাপে সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না টমেটো নরম হয়ছে। নরম হয়ে গেলে টমেটোগুলো পানির সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

২। একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন।

৩। তেল গরম হয়ে আসলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।

৪। পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে এতে দারচিনি, লং, গোল মরিচ, তেজপাতা দিয়ে দিন।

৫। তারপর এতে বাঁধাকপি কুচি, গাজর কুচি দিয়ে ৩ থেকে ৪ মিনিট ভাজুন।

৬। এরপর এতে টমেটো সিদ্ধ পানিটি দিয়ে দিন।

৭। এবার আস্তে আস্তে স্যুপে কর্ণ ফ্লাওয়ার দিয়ে দিন।

৮। শেষে বিনসগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৯। চুলা থেকে নামিয়ে পনির কুচি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ভেজিটেবল স্যুপ।

37
শীতকালে নানা রকমের সবজি পাওয়া যায়। আর এই সবজিগুলো দিয়ে তৈরি করা যায় মজাদার পরোটা। এবং মূলা হচ্ছে তেমনই একটি সবজি! মূলা দিয়ে তো অনেক রকমের রান্না করলেন। পরোটা কি তৈরি করেছেন কখনো? মূলার পরোটা ভারতীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি আইটেম। আসুন, জেনে নিই সঞ্জীব কাপুরের রেসিপিতে মূলার পরোটা তৈরির কলাকৌশল।

উপকরণ:

২টি মুলার কুচি

১/২ কাপ ময়দা

২ চা চামচ তেল

১ চা চামচ কাঁচা মরিচ কুচি

১ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি

১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো

১ চা চামচ জিরা

ঘি

লবণ

 

প্রণালী:

১। প্রথমে মুলার কুচিতে লবণ দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

২। ১৫ মিনিট পর মুলার কুচি চিপে পানি নিংড়ে নিন।

৩। পানি চিপে মূলাগুলো  অন্য একটি পাত্রে রেখে দিন।

৪। এবার ময়দা, লবণ, তেল এবং মূলা নিঙড়ানো পানি দিয়ে ডো তৈরি করে নিন। প্রয়োজন হলে সামান্য পানি দিতে পারেন।

৫। ডো-টি পাতলা সুতির কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে  ১৫ মিনিট রাখুন।

৬। এবার মূলার কুচির সাথে জিরা, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনে পাতা কুচি, মরিচ গুঁড়ো, লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিন।

৭। এবার ডোটি দিয়ে ছোট রুটি তৈরি করে এর ভিতরে মূলার কুচি দিয়ে ডো-টির মুখ বন্ধ করে পাতলা করে বেলে নিন। খুব বেশি পাতলা করে বেলবেন না, এতে মুলার কুচি বের হয়ে যেতে পারে।

৮। এরপর এটি মাঝারি আঁচে অল্প ঘি দিয়ে ভেজে নিন।

৯। ভাঁজার সময় এক পিঠ হয়ে গেলে এর পরের পিঠ উল্টে দিন।

১০। পরোটা ভাজার সময় ঘি বা তেল পরোটার উপরে লাগিয়ে দিন।

১১। বাদামি রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।

38
একদম সহজে বেকারির মত পারফেক্ট কেক তৈরি করতে চান? জেনে নিন সাদিয়া খান চৌধুরীর একটি অনবদ্য রেসিপি।
 
ব্ল্যাক ফরেস্ট কেকের উপকরণ
ডিম - ৩ টি
চিনি - ৬ টেবল চামচ (একটু ব্লেন্ড করে নিন)
ময়দা - ১/২ কাপ
বেকিং পাউডার - ১ চা চামচ
কোকো পাউডার - ২ টেবল চামচ
চেরী সিরাপ - ১/২ কাপ (ব্রাশ করার জন্য)

প্রণালী

    -ময়দা, বেকিং পাউডার ও কোকো পাউডার একসাথে চেলে পাশে রাখুন।
    -এবার একটি বোলে ডিমের সাদা ভালোভাবে বিট করে ফোম করুন। ফোম হলে অল্প অল্প করে চিনি মেশান। সব চিনি মেশানো হলে ডিমের কুসুম একটি একটি করে মেশান।
    -এবার বিটার বাদ দিয়ে রাবারের চামচ দিয়ে ময়দার মিশ্রণ এক টেবল চামচ করে করে হালকা হাতে মেশান।
    -এখন এক পাউন্ডের কেকের প্যান মাখন বা তেল ব্রাশ করে উপরে ময়দা বা কোকো পাউডার ছিটিয়ে ১৫০ ডিগ্রী প্রিহিট ওভেনে ৪০ মিনিট বেক করুন, কেকের ভেতর কাঠি ঢুকিয়ে দেখে নিন কাঠিটি পরিষ্কার বের হয়ে আসে কি না।
     -কেক হয়ে গেলে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখুন চার -পাঁচ ঘন্টা. এরপর বের করে ধারালো ছুরি দিয়ে মাঝ বরাবর অথবা আড়াআড়ি তিন ভাগ করে কেটে নিন।
    -আলাদা আলাদা প্লেটে রেখে চেরী সিরাপ দিয়ে ব্রাশ করে প্রতি লেয়ারে হুইপড ক্রিম অথবা বাটারক্রিম লাগিয়ে (ব্ল্যাক ফরেস্টে সাধারণত হুইপ ক্রিম লাগায়) একটির উপর একটি বসিয়ে দিন. এবার কেকের উপর চকলেট মিরর গ্লেজ ঢেলে পাশ থেকে চকলেট কুচি লাগিয়ে পরিবেশন করুন।

চকলেট মিরর গ্লেজ তৈরির উপকরণ
জিলেটিন - ১০ গ্রাম
চিনি - ৩/৪ কাপ ও এক টেবল চামচ
পানি - আধা কাপের সামান্য কম
কোকো পাউডার - উঁচু উঁচু আধা কাপ
হেভি ক্রিম - ৬৫ গ্রাম
ডার্ক চকলেট - ৫০ গ্রাম

প্রণালী

    -একটি ছোট পাত্রে ১/৪ কাপ পানিতে জিলেটিন দশ মিনিট বা ব্যবহার করার আগ পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখুন।
    -পানি ও চিনি একসাথে মিলিয়ে জ্বাল দিন। এক থেকে দুই বলক উঠলে নামিয়ে দিন।
    -এবার চকলেট (কুচি কুচি করে কেটে রাখুন প্রথমেই)  গরম শিরার মধ্যে দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। গলে গেলে থামুন।
    -এখন কোকো পাউডার ও ক্রিম দিয়ে নাড়তে থাকুন।
    -এবার ভেজানো জিলেটিন দিয়ে নেড়ে ভালোভাবে মেশান।
    -হ্যান্ড কফি ব্লেন্ডার বা সাধরণ ব্লেন্ডার দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পরিষ্কার ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে আবার ব্লেন্ড করে আবার ছেঁকে নিন।
    -এটা রুম টেম্পারেচারে এনে কেকের উপরে ঢেলে দিয়ে ফ্রিজে সারারাত রাখুন, পরিবেশনের আগ পর্যন্ত।

টিপস :
বাজারে যে হুইপ ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলো প্যাকেটের নির্দেশ অনুযায়ী একবারে সব দুধ মেশাবেন না, অল্প অল্প করে মেশাবেন।

39
বিভিন্ন স্বাদের স্প্রিং রোল তৈরি করতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু ওপরের স্প্রিং রোল র‍্যাপার তৈরি করার ঝামেলায় যেতে চান না কেউই। জেনে নিন বাড়িতেই একদম ঝামেলামুক্ত উপায়ে স্প্রিং রোল র‍্যাপার তৈরির রেসিপিটি। এখন আর নিজের ইচ্ছেমত স্প্রিং রোল খেতে বাধা থাকবে না।
উপকরণ

    -   এক কাপ ময়দা
    -   আধা কাপ কর্ন ফ্লাওয়ার
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   পানি দরকারমত

প্রণালী

১) একটি বোলে প্রথম ময়দা, কর্ন ফ্লাওয়ার এবং লবণ একসাথে মিশিয়ে নিন। এরপর পানি দিয়ে আঠালো একটি ডো তৈরি করে ফেলুন (ভিডিওর মতো)। এরপর ১৫-২০ মিনিট ডো’টিকে ঢেকে রাখে দিন।

২) এরপর ডো এর ওপরে আরেকটু ময়দা ছিটিয়ে মেখে নিন। এর থেকে ছোট ছোট গোল্লা বের করে রুটির মতো করেই বেলে নিন। পিজ্জা কাটার বা ছুরি দিয়ে ইচ্ছে করলে চৌকো করে কেটে নিতে পারেন অথবা রুটির মতো গোল আকৃতিও রাখতে পারেন।

৩) তাওয়া গরম করে নিন। গরম হয়ে গেলে এর ওপরে একটা এমন রুটি দিন। এর থেকে আর্দ্রতা বের হয় একটু রঙ পরিবর্তন হলে সাথে সাথে উল্টে দিন। এদিকের থেকেও আর্দ্রতা বের হয় গেলে উঠিয়ে ফেলুন। তৈরি হয়ে গেলো আপনার স্প্রিং রোল র‍্যাপার। এটাকে নামিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন নয়তো বেশি শুকিয়ে যাবে।

এবার এর ভেতরে পুর ভরে তৈরি করে ফেলুন পছন্দমত স্বাদের স্প্রিং রোল। ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপিটি।

40
শীত চলে এসেছে আর পিঠা খাওয়া হবে না, সে কি হয়? আর তাই তো আজ বীথি জগলুল নিয়ে এসেছেন ঐতিহ্যবাহী একটি পিঠার রেসিপি। ঝিনুক পিঠা বলুন বা খেজুর পিঠা, মজাদার এই পিঠা তৈরি করা খুব সহজ যদি জানা থাকে সঠিক রেসিপি। চলুন, জেনে নিই।

ডো-এর জন্যে লাগবে

চালের গুঁড়া- ১ কাপ
ময়দা- ১ কাপ
দুধ- দেড় কাপ
কোড়ানো নারকেল- ১ কাপ
লবণ- সামান্য

সিরার জন্যে লাগবে

চিনি- ২ কাপ
পানি- ৩ কাপ
এলাচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ

এছাড়াও লাগবে

নতুন চিরুনী-২টি
তেল- ভাজার জন্যে
ড্রাই ফ্রুটস- পরিবেশনের জন্যে

যেভাবে করবেন

    -লবণ,ময়দা ও চালের গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে দুধ ফুটিয়ে তাতে প্রথমে নারকেল দিন। ফুটিয়ে এরপর চালের গুঁড়ার মিশ্রণ দিয়ে রুটির মতো ডো করে নিন। একটু ঠান্ডা করে ভালোভাবে ময়ান দিয়ে নিন।
    -পাতলা পাতলা লেচি কেটে সেখান থেকে ছোটো ছোটো করে কেটে ডিম্বাকৃতির বল বানিয়ে নিন। এবার একটি বলকে একটি চিরুনির উপর রেখে আর একটি চিরুনি দিয়ে চেপে ঝিনুকের আকৃতিতে মুড়িয়ে নিন।
    -এইভাবে সবগুলো বানানো হলে ডুবো তেলে গোল্ডেন করে ভেজে নিন।
    -চিনি, পানি ও এলাচ গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে জ্বাল করে সিরা তৈরি করে নিন। সিরা বেশী ঘন হবেনা। চুলা থেকে সসপ্যান নামিয়ে পিঠাগুলো গরম সিরায় ছেড়ে দিন।
    -ঠান্ডা করে ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ঝিনুক পিঠা আর বাঁচিয়ে রাখুন দেশীয় ঐতিহ্য।


41
পনির দিয়ে করা রান্নাগুলোয় অন্যরকম এক মজা পাওয়া যায়। মাংস রান্নার ঝক্কি কম, আবার ভেজিটেরিয়ানদের জন্যেও পোয়াবারো। নভেম্বরের এই হালকা হালকা শীতের আমেজে একটু ঝাল আর একটু স্মোকি ফ্লেভারের স্বাদ নিতে তৈরি করে ফেলতে পারেন পনির টিক্কা মাসালা। বাড়িতেই পাবেন একদম রেস্টুরেন্টের মতো চমক।
উপকরণ

টিক্কার জন্য

    -   ২৫০ গ্রাম পনির, দুই ইঞ্চি লম্বা করে ও ২ সেন্টিমিটার পুরু করে টুকরো করা
    -   এক কাপ পিঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম চৌকো করে কাটা
    -   দুই টেবিল চামচ বেসন
    -   সিকি কাপ টক দই
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   আধা চা চামচ চাট মশলা
    -   এক চা চামচ লেবুর রস
    -   দেড় চা চামচ গরম মশলা
    -   দেড় চা চামচ আদা কুচি
    -   দেড় চা চামচ রসুন কুচি
    -   দেড় চা চামচ জিরা গুঁড়ো
    -   দুই চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
    -   আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
    -   চার টেবিল চামচ তেল

মশলার জন্য

    -   ৫টা টমেটো সেদ্ধ করে পেস্ট করা
    -   ৩টা পিঁয়াজ হালকা সাঁতলে পেস্ট করা
    -   ৫ টেবিল চামচ তেল
    -   আধা কাপ ধনেপাতা কুচি
    -   তিনটা কাঁচামরিচ মাঝখান থেকে ফাঁড়া
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   এক চা চামচ লেবুর রস
    -   এক চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার (এক টেবিল চামচ পানিতে গুলে নেওয়া)
    -   চারটা এলাচ, থেঁতো করা
    -   এক চা চামচ ধনে গুঁড়ো
    -   সিকি চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
    -   দেড় চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
    -   আধা চা চামচ করে আদা ও রসুন বাটা
    -   এক চা চামচ ফ্রেশ ক্রিম
    -   লাল ফুড কালার (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)
    -   সিকি চা চামচ চিনি (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)

অন্যান্য

    -   দুই কাপ কয়লা
    -   কাঠের শিক ৫টা, আধা ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা (শাসলিকের কাঠি বা লম্বা টুথপিক ব্যবহার করতে পারেন)

প্রণালী

১) একটি বোলে মিশিয়ে নিন টিক্কার জন্য সব শুকনো মশলা এবং বেসন। এতে অল্প অল্প করে টক দই মিশিয়ে নিন যাতে ঘন একটা পেস্ট হয়।

২) এতে মিশিয়ে নিন আদা, রসুন, লেবুর রস। একটা কড়াইতে দিন দুই টেবিল চামচ তেল। তেলটা থেকে ধোঁয়া ওঠা শুরু করলে চুলা নিভিয়ে দিন। এই স্মোকি গন্ধওয়ালা তেলটা ম্যারিনেটে মিশিয়ে নিন।

৩) ম্যারিনেটে দিয়ে দিন পিঁয়াজ, ক্যাপসিকাম এবং পনির। হাত দিয়ে ভালো করে ম্যারিনেট মাখিয়ে নিন সবকিছুতে। এরপর এর ওপরে প্লাস্টিক র‍্যাপার/ক্লিং ফিল্ম দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট।

৪) স্টিলের গ্যাস তন্দুর/বটি মেকার (ভিডিওতে দেখুন) এর ভেতরে কয়লা নিন। এর ওপরে গ্রিল র‍্যাক দিয়ে গরম করে নিন ১৫ মিনিট।

৫) ম্যারিনেট হওয়া পনির, পিঁয়াজ এবং ক্যাপসিকাম কাঠের শিকে লাগিয়ে এগুলোকে গ্রিল র‍্যাকের ওপরে রাখুন। ঢাকনা দিয়ে ২-৩ মিনিট গ্রিল হতে দিন।

৬) ম্যারিনেট যেটুকু বাকি থাকবে, তাতে ২ টেবিল চামচ তেল মিশিয়ে এগুলোকে পনিরের ওপরে একটু ব্রাশ করে দিতে পারেন। এরপর আরও ৩-৪ মিনিট গ্রিল করুন।

৭) এগুলোকে উল্টে দিতে পারেন সাবধানে। এরপর ঢাকনা খুলে রেখে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করুন। এরপর এগুলোকে বের করে শিক থেকে খুলে প্লেটে রেখে দিন।

৮) এবার গ্রেভি তৈরি করার পালা। কড়াইতে তেল দিয়ে দিন। গরম হয়ে গেলে এতে এলাচ দিন। এরপর আদা-রসুন বাটা দিয়ে মশলাটা কষে নিন। এতে পিঁয়াজ বাটা দিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করে নিন। স্বাদমতো লবণ দিয়ে নিন এবং টমেটো পেস্ট যোগ করুন।

৯) তেল ওপরে ওঠা পর্যন্ত রান্না করুন। এরপর কাশ্মিরি মরিচের গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন। মিনিট দুয়েক রান্না হতে দিন।

১০) এরপর দিতে পারেন ফুড কালারটুকু। ম্যারিনেটের মশলা বাদ থাকলে সেটুকুই দিয়ে দিন। চিনিটুকুও দিতে পারেন। এরপর ভালো করে মিশিয়ে কর্ন ফ্লাওয়ারের অর্ধেকটা দিয়ে মিশিয়ে নিন। এতে মিশ্রণটি মসৃণ হয়ে আসবে। আরও সুন্দর গ্রেভি চাইলে পুরো কর্ন ফ্লাওয়ারটা দিতে পারেন। এটাকে ভালো করে নেড়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না হতে দিন।

১১) এক চা চামচ ফ্রেশ ক্রিম, ধনেপাতা কুচি, কাঁচামরিচ এবং লেবুর রস দিয়ে নেড়ে নিন। এতে টিক্কাগুলো দিয়ে দিন এবং আলতো হাতে নাড়ুন। বেশি ঘন গ্রেভি হয়ে থাকলে সিকি কাপ পানি দিন। ঢাকনা দিয়ে দুই মিনিট রান্না করুন। ব্যাস, কাজ শেষ!

42
 কেএফসি বা অন্য যেকোন রেস্টুরেন্টে গেলে চিকেনের একটি খাবার কিন্তু প্রায়ই অর্ডার করা হয়। আর তা হল ‘চিকেন পপকর্ণ’। চিকেন পপকর্ণ তৈরির রেসিপিটি আমরা জানি। কিন্তু চিংড়ি মাছ দিয়ে তৈরি চিংড়ি পপকর্ণের রেসিপিটি কি জানা  আছে? বাসায় প্রায়ই ছোট মাঝারি আকৃতির চিংড়ি মাছ আনা হয়ে থাকে শাক বা ভাজি খাওয়ার জন্য। এই ছোট মাঝারি আকৃতির চিংড়ি মাছ দিয়ে তৈরি করা যায় মজাদার চিংড়ি পপকর্ণ।

উপকরণ:           

১ কাপ মাঝারি চিংড়ি

তেল

৮-৯ টি রসুনের কোয়া

১ ইঞ্চি আদা কুচি

১টি ডিম

১ চা চামচ লাল শুকনো মরিচ গুঁড়ো

১ চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো

১ চা চামচ সয়া সস

১/২ চা চামচ ভিনেগার

১/২ লেবুর রস

লবণ

২-৩ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার

১টি পেঁয়াজ কলি কুচি

 

প্রণালী:

১। প্রথমে চিংড়ি মাছগুলো খোসা ছাড়িয়ে নিন।

২। এবার চিংড়ি মাছ, আদা কুচি, রসুনের কোয়া, ডিমের সাদা অংশ, গোল মরিচ গুঁড়ো, ভিনেগার, লেবুর রস, লাল শুকনো মরিচের গুঁড়ো দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

৩। এরপর চিংড়ির পেস্টের সাথে পেঁয়াজ পাতা কুচি, কর্ণ ফ্লাওয়ার দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন।

৪। চুলায় তেল গরম করতে দিন।

৫। তেল গরম হয়ে এলে এতে চামচ দিয়ে চিংড়ির পেস্তটি দিয়ে দিন।

৬। বাদামি রং হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

৭। সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিংড়ি পপকর্ণ। 

43
 মিষ্টির দোকানে গেলে হলুদ-লাল রঙের ছোট ছোট মিষ্টির মত দেখা যায়, যাকে বুন্দিয়া বলে। অনেকের কাছে বুন্দিয়া বেশ পছন্দের একটি খাবার। বেসনের তৈরি এই বুন্দিয়া দিয়ে বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে । কিন্তু এই বুন্দিয়া দিয়ে  তৈরি করা যায় মজাদার রায়তা তা কি আপনি জানেন? টক, মিষ্টি, ঝাল এই খাবারটি খেতে বেশ মজাদার। বুন্দিয়ার রায়তা। আপনি সাইড ডিশ হিসেবে পরিবেশন করতে পারেন আবার পরিবেশন করতে পারেন বিকেলের নাস্তা হিসেবেও।

উপকরণ

১/৪ কাপ বুন্দিয়া

২ কাপ টক দই

১ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি

১ চা চামচ আদা কুচি

১ চা চামচ পুদিনা পাতা কুচি

১/৪ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১ চিমটি গোল মরিচ গুঁড়ো

১/৪ চা চামচ জিরা গুঁড়ো

১/২ চা চামচ মধু বা চিনি

১ টেবিল চামচ তেল

১ চা চামচ জিরা গুড়

১/২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো

লবণ

 

প্রনালী:

১। প্রথমে টক দই খুব ভাল করে ফেটে নিন।

২। এরপর এতে ধনে পাতা কুচি, আদা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৩। এবার এতে বুন্দিয়াগুলো দিয়ে দিন।

৪। টক দইয়ের সাথে বুন্দিয়া ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৫। তারপর এতে মধু বা চিনি মিশিয়ে দিন। আপনি চাইলে এভাবে পরিবেশন করতে পারেন। 

৬। একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন।

৭। এরপর এতে জিরা, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভাজুন।

৮। হালকা ভাঁজা হয়ে গেলে এটি বুন্দিয়া রাইতার ওপর ঢেলে দিন।

৯। তারপর ভাল করে মিশিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বুন্দিয়ার রায়তা।

 

টিপস:

-আপনি যদি ঝাল পছন্দ করেন তবে এতে লাল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন।

-মিষ্টি বুন্দিয়া দিতে না চাইলে বুন্দিয়া পানিতে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তারপর বুন্দিয়া থেকে পানি বের করে টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন।

44
 হিম হিম শীতের বিকেলে দারুণ জমবে এই খাবারটি। চলুন, জেনে নিই সাইদুল ইসলাম সাঈদের একটু অসাধারণ রেসিপি।

উপকরণ
মুরগি - ১টি (৪ টুকরো করে কাটা)
হলুদ- ১/২ চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো- ১ চা চামচ
লবণ- ১/২ চা চামচ (পরিমাণমত)
ময়দা- ২ টেবিল চামচ
ফুড কালার (রেড অরেঞ্জ)- খুব সামান্য, এক চিমটি থেকেও কম
লেবুর রস - ২ টেবিল চামচ
তেল-ভাজা করার জন্য

প্রণালি

    -মুরগি ৪ টুকরা কেটে পরিষ্কার করে নিন।
    -ছুরি দিয়ে একটু কেটে দিন বা কাঁটা চামচ দিয়ে ছিদ্র করে দিন যেন রক্ত বের হয়ে যায়।
    -একটি পাত্রে চিকেন, হলুদ, মরিচ, লবণ লেবুর রস মিক্স করুন প্রথমে।
    -ফুড কালার একটু পানিতে মিক্স করে তারপর চিকেনে মিক্স করুন।
    -শেষে ময়দা দিয়ে ভালো করে মিক্স করে নিন, একটু পানি লাগলে দিতে পারেন।
    -১০ /২০ মিনিট এর জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।
    -ডুবো তেলে ভাজা করুন মাঝারি আঁচে।
    -রঙ বেশী হলে পরে চিকেন লাল হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি, কিন্তু ভেতরে রান্না হবে না। তাই রঙ দেবেন একেবারেই সামান্য।


45
অনেক সময় রান্না করা নুডুলস খাওয়া হয় না, রয়ে যায় ফ্রিজে। তখন ওই বাড়তি নুডুলস নিয়ে পড়তে হয় ঝামেলায়। বাসি নুডুলস যখন কেউ খেতে চায় না, তখন ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে  না। এই নুডুলস দিয়ে যদি মাফিন তৈরি করা যায় তবে কেমন হয় বলুন তো?  খুব অবাক হচ্ছেন, মাফিন তাও আবার নুডুলস দিয়ে? এ কি করে সম্ভব! হ্যাঁ নুডুলস দিয়ে তৈরি করা যায় মজাদার নুডুলস এবং এগ মাফিন।

উপকরণ:           

১/৪ কাপ সিদ্ধ নুডুলস

৪টি ডিম

২ টেবিল চামচ পারমেসন চিজ পাউডার

গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমত

১-২ টি পেঁয়াজ কলি কুচি

২-৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি

১ চা চামচ লাল শুকনা মরিচ গুঁড়ো

২ টেবিল চামচ ক্রিম

লবণ স্বাদমত

প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রীতে প্রি হিট করে রাখুন।

২। তারপর সিদ্ধ নুডুলসগুলো কুচি করে কেটে নিন। 

৩। এবার কাটা নুডুলসের সাথে ডিম, গোল মরিচ গুঁড়ো, লবণ, চিজ পাউডার, পেঁয়াজ কলি কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লাল শুকনো মরিচ গুঁড়ো এবং ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৪। এবার মিশ্রণটি মাফিনের ছাঁচে ঢালুন।

৫। মাফিনের ছাঁচটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্রেক করতে দিন।

৬। ব্যস হয়ে গেল মজাদার নুডুলস এগ মাফিন।

টিপস:

নুডুলস সিদ্ধ করে ফ্রিজের রেখে দিতে পারেন। পরে এই নুডুলস দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন নুডুলস এগ মাফিন।

আপনি আপনার পছন্দমত সবজি এতে মিশিয়ে নিতে পারেন।

Pages: 1 2 [3] 4 5