Daffodil International University

Outsourcing => Freelancing => Topic started by: chhanda on September 25, 2013, 04:28:16 PM

Title: অনলাইনে কাজ পেতে হলে
Post by: chhanda on September 25, 2013, 04:28:16 PM
ইচ্ছা, ধৈর্য আর পরিশ্রম করলে অনলাইনে অভিজ্ঞতা ছাড়া ঘরে বসেই আয় করা সম্ভব। এ বিষয়ে যারা নতুন ও আগ্রহী, তাঁদের জন্য অনলাইনে আয় বিষয়ক এই পরামর্শ দিয়েছেন ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান।
মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা নেওয়া
নতুন অবস্থায় একজন ফ্রিল্যান্সারের মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা একেবারে না থাকতে পারে। তবে সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে এ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকা প্রয়োজন। বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সারই এ ধারণা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের গ্রুপে প্রশ্ন করে থাকেন। অথচ, প্রতিটি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে তাঁদের হেল্প সেন্টার থাকে, যেখানে অনেক সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। একজন ফ্রিল্যান্সারের নিয়মিত এই পোস্টগুলো দেখা উচিত। ভালোভাবে জানার পরেই মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বিড করা বা কাজ করা উচিত।
বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা
আমরা যেমন একটি কম্পিউটার কিনতে গেলে শুধু একটি কম্পিউটারের কেসিং বা বক্স কিনি না, এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও কিনি। তেমনি, যখন কোন ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে কাজে নিয়োগ দেন তাঁর কাছ থেকে কাজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ও দক্ষ পেশাদারিত্বই আশা করেন। এক্ষেত্রে একটি প্রোফাইল তৈরি করাই যথেষ্ট নয়, একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে কাজটি করার জন্য তাঁর কি যোগ্যতা আছে। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে এবং যোগ্যতা প্রমাণ করতে একজন ফ্রিল্যান্সার দুটি কাজ করতে পারেন-

দক্ষতার পরীক্ষা

একজন ফ্রিল্যান্সারের স্কিল টেস্টের মাধ্যমে তিনি কি কাজ করতে পারেন সে সম্পর্কে জানতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্কিল টেস্টের ব্যবস্থা আছে, যেখান থেকে স্কিল টেস্ট দিয়ে আপনার দক্ষতা যাচাই করা খুবই সহজ। এই টেস্টগুলো বিনামূল্যে  দেওয়া যায় এবং কেউ যদি টেস্টে খারাপ করেন তাহলে ফলটি লুকিয়ে রাখতেও পারবেন এবং আবার  ১৪ দিন পরে পরীক্ষা দিতে পারবেন। যদি ফ্রিল্যান্সার তাঁর প্রোফাইলে ভালো স্কোর দেখাতে পারেন, তাহলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

পোর্টফোলিও তৈরি

স্কিল টেস্ট প্রমাণ করে বৈষয়িক জ্ঞান, আর পোর্টফোলিও প্রমাণ করে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা এবং হাতে কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার এর উচিত যত বেশি পোর্টফোলিও সংযোগ করা। ওয়েব ডেভেলপার তাঁর ডেভেলপ করা সাইটের স্ক্রিন-শট নিয়ে আপলোড করতে পারেন, এবং গ্রাফিকস ডিজাইনার তাঁর ডিজাইন তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করে দেখাতে পারেন। বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজগুলো সংযুক্ত করতে পারেন স্কিল হিসেবে। সার্ভিস হোল্ডাররা তাদের সার্টিফিকেট দিয়ে দিতে পারেন অভিজ্ঞতা হিসেবে। সর্বোপরি কোন প্রোফাইলের পোর্টফোলিও একজন ফ্রিল্যান্সার যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে তার পরিপূর্ণ দক্ষতা আছে সেটা প্রমাণ করে।

নিজের প্রচারণা চালানো

নিজের ঢোল নিজে পেটানো কথাটি খারাপ শোনালেও একজন ফ্রিল্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে যেহেতু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করতে হবে তাই আপনার পরিচিতি থাকা আবশ্যক। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের অবস্থান তৈরি করতে আপনার ত্রুটিমুক্ত প্রোফাইল এর পাশাপাশি নিজেকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরতে হবে। তাই সম্ভব হলে নিজের একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করা ভালো। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটের প্রোফাইল ও পেজের মাধ্যমে আপনার এবং আপনার বিভিন্ন সেবা তুলে ধরতে পারেন। অবশ্যই প্রফেশনাল ছবি ও তথ্য শেয়ার করা উচিত। সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আপনার পার্সোনালটি নষ্ট হয় এমন কোন কিছু করা উচিত নয়।  অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন।  এতে তাদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

collected