Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - SIDDIK142563

Pages: [1]
1
করোনাভাইরাস সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের মানুষকেও উৎকণ্ঠায় ফেলেছে। মানুষ প্রতিরোধের পথ খুঁজছে। সংক্রমণ এড়াতে চাইছে সবাই। হাত পরিষ্কার রাখা সংক্রমণ থেকে দূরে থাকার একটি প্রধান উপায়। বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনাভাইরাস দমনে সাবানই যথেষ্ট।

বিতর্ক বা আলোচনা শুরু হয়েছে, হঠাৎ করে বাজার থেকে হাত পরিষ্কার করার দ্রবণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার উধাও হয়ে যাওয়া এবং দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। ৮ মার্চ সরকার ঘোষণা করে, দেশে কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত হয়েছে। তখন থেকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতে তোড়জোড় শুরু করে লোকজন। সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বাধ্য হয়ে এর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। বলেছে, বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না।

সাধারণ মানুষের কাছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার খুব বেশি পরিচিত জিনিস নয়। এই দ্রবণে অন্যান্য রাসায়নিকের সঙ্গে অ্যালকোহলও থাকে। তালুতে ঢেলে ঘষলেই কিছুক্ষণ পর তা শুকিয়ে যায়। হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য মূলত চিকিৎসকেরাই এটা নিয়মিত ব্যবহার করেন। নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীও তা ব্যবহার করেন। যাঁরা পরীক্ষাগারে কাজ করেন, তাঁরাও এটা নিয়মিত ব্যবহার করেন। তাঁদের বাইরে আরও অনেকে ব্যবহার করছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, হাতে নোংরা দৃশ্যমান হলে সাবান-পানি দিয়ে ধুতে হবে। হাতের নোংরা দৃশ্যমান না হলে অ্যালকোহলসমৃদ্ধ হ্যান্ড রাব (হ্যান্ড স্যানিটাইজার) অথবা সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। যাঁরা কোনো দিন ব্যবহার করেননি, তাঁরাও ব্যবহার করতে চাইছেন। অনেকে ভাবছেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছাড়া দুহাত করোনাভাইরাসমুক্ত করা যাবে না।

করোনাভাইরাস–বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাবান–পানি দিয়ে হাত ধোয়াই যথেষ্ট। সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধুলে ভাইরাস মারা যায়।’ তিনি বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পেছনে দৌড়াদৌড়ি না করে মানুষ নিশ্চিন্তে সাবান ব্যবহার করতে পারে।

এ বিষয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোশতাক আহমেদ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটি দিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাসের ওপরের আবরণ চর্বি (লিপিড) দিয়ে তৈরি। সাবানে আছে ক্ষার। চর্বি যখন ক্ষারের সংস্পর্শে আসে, তখন চর্বি ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যায়। সাবানের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাসের ওপরের আবরণ নষ্ট হয়ে যায়, ভাইরাস মরে যায়। সাবানে ক্ষার যত বেশি থাকে, ভাইরাস তত দ্রুত মরে। সে জন্য কাপড় কাচা সাবানই এ ক্ষেত্রে শ্রেয়। তিনি আরও বলেন, ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জন্য হাপিত্যেশ করার দরকার নেই। সাবানই যথেষ্ট। সাশ্রয়ী, দেশের সব জায়গায় পাওয়া যায়।’

একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ–বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, কিছু জীবাণু মারতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চেয়ে সাবান–পানি বেশি কার্যকর। হ্যান্ড স্যানিটাইজার জীবাণুর পরিমাণ হয়তো কমিয়ে আনতে পারে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ মেরে ফেলতে পারে না।

Source : https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1644358/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B

2
আগামী বছর নাগাদ দেশের ১০০ স্টার্টআপ বা উদ্যোগকে বড় আকারে কার্যক্রম শুরু করতে ফান্ডিং বা তহবিল দেবে সরকার। দেশের স্টার্টআপ সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেছেন, আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ‘হান্ড্রেড প্লাস’ নামের একটি কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। এর আওতায় বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ স্টার্টআপকে তহবিল প্রদানের বিষয়টি।

আজ শুক্রবার কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে (জনতা টাওয়ার) ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জুনাইদ আহমেদ এ কথা বলেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেছিলেন, ২০২১ সালের মধ্যে এক হাজার স্টার্টআপ তৈরি করতে অর্থসহায়তা করবে সরকার। তরুণ উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে সরকার ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি’ গঠন করছে।

তরুণদের মধ্যে সব ধরনের ব্যবসায় উদ্যোগ (স্টার্টআপ) সৃষ্টির জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

Source: Prothom-Alo
https://www.prothomalo.com/technology/article/1614072/১০০-স্টার্টআপকে-ফান্ড-দেবে-সরকার

3
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে কিছুদিন আগে হুয়াওয়ের অ্যানড্রয়েড ও গুগল সেবা ব্যবহার করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। পরে অবশ্য সেটিও স্থগিত হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে হুয়াওয়ে যে আবার এ ধরনের সমস্যায় পড়বে না, এ কথা কে বলতে পারে!  সে কথা মাথায় রেখেই হুয়াওয়ে ঘোষণা করেছে তাদের ব্যাকআপ পরিকল্পনা, নিজস্ব এক অপারেটিং সিস্টেম—যার নাম চীনা ভাষায় হংমেং আর ইংরেজিতে ‘হারমনিওএস’।

অ্যানড্রয়েডও হারমনিওএস
গত মাসে হয়ে যাওয়া হুয়াওয়ে ডেভেলপার সম্মেলনের হারমনিওএস কেমন হবে, তার পুরোটাই তুলে ধরা হয়। অনেকেই ধারণা করেছিল, হুয়াওয়ে সম্ভবত অ্যানড্রয়েডের কোড নিয়ে সেটিকে পরিবর্তন করে অ্যানড্রয়েডেরই আরেকটি সংস্করণ তৈরি করবে, যেমনটি শাওমি বা অপো করেছে। অ্যানড্রয়েড যেহেতু সম্পূর্ণ মুক্ত সফটওয়্যার বা ওপেন সোর্স আর তার কোড জিএনইউ লাইসেন্সের মাধ্যমে প্রকাশিত, তাই যুক্তরাষ্ট্র সরকার চাইলেও সেটি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে না। তবে গুগলের সেবাগুলো, যেমন—গুগল প্লেস্টোর, ইউটিউব বা গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের কোনো উপায় তাতে রাখা যাবে না। হুয়াওয়ে ফোনগুলোর চীনা বাজারের সংস্করণে এমনটা বহু আগে থেকেই চলে আসছে।

অথচ হারমনিওএস পুরোটাই সম্পূর্ণ নতুন। অ্যানড্রয়েডের সঙ্গে এটির কোনো মিল নেই, অ্যানড্রয়েডের অ্যাপগুলো তাতে চলার কথাও নয়। এতে নেই লিনাক্স কার্নেলের কোনো ছোঁয়া। তবে অ্যানড্রয়েডের মতোই হারমনিওএসের সোর্সকোড হবে উন্মুক্ত।

আপাতত সিস্টেমটি স্মার্টফোনে ব্যবহারের ব্যাপারেও হুয়াওয়ে কিছু বলা থেকে বিরত থেকেছে, ফলে ধরে নেওয়া যেতে পারে, খুব দ্রুতই হারমনিওএসসমৃদ্ধ ফোন বাজারে আসছে না।

যেমন হবে হারমনিওএস
অ্যানড্রয়েড বা আইওএসের গঠনশৈলী বলা হয় ‘মনোলিথিক’। একটি মূল কার্নেলের ওপর প্রসেসরের আর্কিটেকচার অনুযায়ী সার্ভিস ও অ্যাপের বুননে তৈরি হয় একটি ওএস। নানাবিধ ডিভাইসে সেগুলো ব্যবহার করা হলেও মূল কার্নেল এবং সার্ভিসগুলো থাকে এক। সে জন্য অ্যানড্রয়েড, অ্যানড্রয়েড ফর থিংস, ওয়্যার ওএস এবং ক্রোম ওএসের বেশির ভাগ অংশ এবং চালচলন একই। অ্যাপলের ক্ষেত্রেও মাক কার্নেলের ওপরই ম্যাক, ওয়াচ, আই এবং আইপ্যাডওএস তৈরি করা হয়েছে।

হারমনিওএস আলাদা। এখানে ব্যবহার করা হবে একটি ক্ষুদ্র মাইক্রোকার্নেল, যার সঙ্গে প্রতিটি ডিভাইসের জন্য আলাদাভাবে সার্ভিস এবং হার্ডওয়্যারের বা সফটওয়্যারের সংযোগ তৈরি করা হবে। ফলাফল—একই কার্নেল অনেক ডিভাইসে ব্যবহার হলেও তাতে অপ্রয়োজনীয় কোড একেবারেই থাকবে না। ডিভাইসের হার্ডওয়্যারের সঙ্গে কার্নেল ও সার্ভিসগুলোর সম্পর্ক হবে আরো অনেক গভীর।

নিরাপত্তাও হবে আরো অনেক বেশি, কারণ মাইক্রোকার্নেলের সঙ্গে মূল সিস্টেমের কোনো সরাসরি যোগাযোগের প্রয়োজনই হবে না, রুট অ্যাকসেস পাওয়ার কোনো উপায় রাখা হবে না।

যেসব ডিভাইসে চলবে
হারমনিওএস শুধু ফোন নয়, স্মার্টওয়াচ, স্পিকার, টিভি, এমনকি ল্যাপটপেও ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে হুয়াওয়ে। মাইক্রোকার্নেলের ওপর তৈরি হওয়ায়, খুব সহজেই সব ধরনের ডিভাইস ও প্রসেসরের জন্য এটি প্রস্তুত করা যাবে। সেটি হতে পারে টাচস্ক্রিন, হতে পারে কি-বোর্ড-মাউস, আবার হতে পারে কোনো ধরনের ডিসপ্লে ও ইনপুট ছাড়া আইওটি ডিভাইস। সব ধরনের আর্কিটেকচার ও কাজে ব্যবহার করার সুবিধা থাকায় একই অ্যাপ ও সেবা সব ডিভাইসেই চালানো যাবে, গড়ে উঠবে একটি সংগতিসম্পন্ন ডিভাইস ইকোসিস্টেম।

পারফরম্যান্স
মাইক্রোকার্নেল হওয়ার অন্যতম সুবিধা, যে ডিভাইসে ওএস চলবে, তার শক্তি সুন্দরভাবে কাজে লাগানো যাবে। লিনাক্স ও মাক কার্নেল যেখানে প্রসেসর কোর আর থ্রেড গুনে সে অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দিত, সেখানে হারমনিওএস ব্যবহার করবে ‘ডিটারমিনিস্টিক লেটেন্সি ইঞ্জিন’, যা প্রসেসরের কোরের ধরন, ব্যাটারির চার্জের অবস্থা, অন্যান্য অ্যাপের রিসোর্স ব্যবহার ও অ্যাপের ধরন—সব কিছু আমলে নিয়ে সে অনুয়ায়ী প্রসেসিং ক্ষমতা ভাগ করে দেবে। ফলে অ্যাপে ল্যাগ বহুগুণ কমে যাবে।

অপারেটিং সিস্টেমগুলোর সার্ভিসগুচ্ছের মধ্যকার যোগাযোগের ল্যাগও পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ার মূল কারণ। হারমনিওএসে সমস্যা কাটিয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে হুয়াওয়ে। মাইক্রোকার্নেলের সঙ্গে অন্যান্য হার্ডওয়্যার ড্রাইভার, ফাইল সিস্টেম, নেটওয়ার্ক এবং সিস্টেম সার্ভিসের মধ্যকার যোগাযোগব্যবস্থা সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।

আর্ক কম্পাইলার
অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে বাজারে আনলেই হয় না, অ্যাপ তৈরির জন্য নির্মাতাদের উৎসাহিত করতে না পারলে সেটি সফলতা পায় না। তার বড় প্রমাণ ব্ল্যাকবেরি ১০ ওএস, উইন্ডোজ ফোন বা আরটি, স্যামসাং টাইজেন বা সেইলফিশওএস। সে সমস্যা সমাধান করতে হুয়াওয়ে তৈরি করেছে ‘আর্ক কম্পাইলার’। তাদের দাবি, অ্যানড্রয়েড অ্যাপের সোর্সকোড সরাসরি হুয়াওয়ে আর্কের মাধ্যমে কম্পাইল করে হারমনিওএসে চালানো যাবে। এর পরও কিছু প্রশ্ন রয়েই যায়, যেমন অ্যানড্রয়েড অ্যাপগুলোর সঙ্গে গুগল অ্যাকাউন্ট ও সেবা গভীরভাবে জড়িত। সেগুলো ছাড়া অ্যাপগুলো ঠিকমতো চলবে কি না, ব্যবহারকারী পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা পাবে কি না। যদি তা না হয়, আর অ্যাপগুলো যদি বেশ পরিবর্তন করা লাগে, তাহলেও নির্মাতারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারে।

হুয়াওয়ের অ্যানড্রয়েড ফোনগুলোতে এর মধ্যেই নিজস্ব অ্যাপ স্টোর আছে। হারমনিওএসও এ সেবাই অ্যাপ প্রকাশ ও পৌঁছে দিতে ব্যবহার করবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য লাগবে হুয়াওয়ে অ্যাকাউন্ট,যা কিনা গুগল বা অ্যাপল অ্যাকাউন্টের হুয়াওয়ে সংস্করণও বলা যেতে পারে।

শুরুটা যেভাবে হবে
আপাতত স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে হারমনিওএস ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা নেই হুয়াওয়ের। কেননা হারমনিওএস নিজেদের মনমতো হয়নি এখনো। হারমনিওএস ১.০ সংস্করণে এখনো হারমনিওএস মাইক্রোকার্নেলের পাশাপাশি আছে লিনাক্স কার্নেল এবং হুয়াওয়ের পুরনো প্রজেক্ট লাইটওএস কার্নেল। তবে দ্রুতই হারমনিওএস ২.০ সংস্করণ প্রকাশ করা হবে, সেখানে এগুলো আর থাকবে না। ২০১৭ সাল থেকে হারমনিওএস নিয়ে কাজ শুরু করেছে হুয়াওয়ে। মাত্র দুই বছরে একটি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে পুরোপুরি দাঁড়িয়ে যাবে, সে আশাও করা যায় না। তবে এ বছর থেকেই হুয়াওয়ের টিভি, স্পিকার, স্মার্টওয়াচের মতো পণ্যে হারমনিওএস দেখা যেতে পারে।

হারমনিওএসকে বারবার ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল’ সিস্টেম হিসেবে অবহিত করেছে হুয়াওয়ে। এতে বোঝা যাচ্ছে, সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি ডিভাইসের পাশাপাশি কারখানা এবং অন্যান্য প্রকৌশল কাজেই শুরুতে ব্যবহার করা হবে এটি। ডিসপ্লে ও ইনপুটহীন ইন্টারনেট অব থিংস ডিভাইস, যেমন স্মার্ট লাইট, সিকিউরিটি সিস্টেমেও হারমনিওএস ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। স্মার্টহোম ডিভাইসগুলোতেও দেখা যেতে পারে হারমনিওএস।

ভবিষ্যৎ
মাইক্রোকার্নেল এবং সব ডিভাইসের জন্য তৈরি ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম যে ভবিষ্যৎ, তা হুয়াওয়েরও আগে বুঝতে পেরেছে গুগল। তাদের সম্পূর্ণ নতুন ফিউশা অপারেটিং সিস্টেমও মাইক্রোকার্নেলের ওপরই তৈরি। ফিউশাও এখনো ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত নয়, গুগল কবে নাগাদ কোন ধরনের ডিভাইসে এটি ব্যবহার শুরু করবে, তা নিয়েও কোনো পরিষ্কার বক্তব্য তাদের নেই। তবে ভবিষ্যতে হারমনিওএস এবং ফিউশার মধ্যে লড়াই হবে, তা স্পষ্ট। এখন পর্যন্ত যেসব অপারেটিং সিস্টেম সাধারণ ব্যবহারের জন্য বাজারে আছে, যেমন—লিনাক্সের ডিস্ট্রিবিউশন, ম্যাক বা আইওএস, উইন্ডোজ, অ্যানড্রয়েড—সবই বলা যেতে পারে মনোলিথিক, একটি মূল কার্নেলের সঙ্গে সার্ভিসগুচ্ছ জুড়ে তৈরি। একাধিক আর্কিটেকচার বা নানাবিধ ডিভাইসে এগুলো সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। সেখানে গুগলের ফিউশা, হুয়াওয়ের হারমনি এবং আরো কিছু মাইক্রোকার্নেল অপারেটিং সিস্টেম, যেমন কিউএনএক্স ভবিষ্যতে সব ধরনের ডিভাইসের একক অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে নিজের স্থান করে নেবে—এমনটাই বোঝা যাচ্ছে।

Source: Kalerkantha
https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2019/09/14/814467

4
ফেসবুকের কাছে আপনার সব তথ্যই আছে। ফলে তারা আপনার সবকিছুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারছে। এখন তাদের দরকার আপনার পকেটের তথ্য। সে ব্যবস্থাও পাকা হওয়ার পথে। ফেসবুক ‘লিবরা’ নামে একধরনের ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা (ক্রিপটোকারেন্সি) ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকের এ মুদ্রা যদি মূলধারার লেনদেন পদ্ধতি হিসেবে ঢুকে পড়ে, তবে গ্রাহকদের জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরি হবে। অনেকের বাজে খরচের অভ্যাস গড়ে উঠবে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আইনপ্রণেতা এ মুদ্রা আনার বিপক্ষে। সমালোচকেরাও এ নিয়ে মুখ খুলেছেন।

কনসোর্টিয়াম সহযোগী, পেমেন্ট সেবাদাতা, ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি ও গ্রাহক কোম্পানিদের সঙ্গে নিয়ে নতুন মুদ্রা আনতে বেশ আটঘাট বেঁধে নেমেছে ফেসবুক। ২০২০ সালের প্রথমার্ধে এ মুদ্রা আনার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। ফেসবুকের লিবরা সবাইকে একটি ইলেকট্রনিক ওয়ালেটের সুবিধা দেবে। ফেসবুক বলছে, আন্তর্জাতিক সব মুদ্রার মূল্যমানের সঙ্গে সংগতি রেখে এই মুদ্রার মূল্যমান ধরা হবে। প্রচলিত মুদ্রা দিয়ে লিবরা কেনা যাবে।

ফেসবুকের এক শ্বেতপত্রে বলা হয়, লিবরার সঙ্গে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্যের যোগসূত্র থাকবে না বলে তাদের লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হবে না। তবে ফেসবুকের পক্ষ থেকে লিবরা পেমেন্টের সঙ্গে ফেসবুকের বিভিন্ন পণ্য যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। ফেসবুকের এসব পণ্য কয়েক শ কোটি ব্যবহারকারী নিয়মিত ব্যবহার করছেন। এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি আর্থিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ক্রেডিট কাউন্সেলিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রুস ম্যাকলেরি বলেন, অনেক ব্যবহারকারীর জন্য খুব সহজে ফেসবুকের টুল ব্যবহার করে কেনাকাটা করার অভ্যাস বিপজ্জনক হবে। যাঁরা বাজেট নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন, তাঁদের জন্য এটি ভয়ানক বিপদ ডেকে আনবে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সাম্প্রতিক এক জরিপের ফল বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশের মত হচ্ছে, তাঁরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের অভিজ্ঞতা থেকে প্রভাবিত হয়ে অর্থ খরচ করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে চার্লস সোয়াব এক হাজার ব্যক্তির মধ্যে এ জরিপ চালায়। জরিপে অর্থ ব্যবস্থাপনায় প্রভাব রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বাজে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম।

নিউ জার্সির উডব্রিজ নামের বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ টাইরন রস বলেন, লিবরা চালু হলে অতিরিক্ত খরচ শুরু হবে। কারণ, এতে সহজে সবাই ঢুকতে পারবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে। যেহেতু মানুষের অভ্যাস তাদের জানা থাকবে, তাই তাদের জন্য যেকোনো কিছু করা সহজ হবে। এটাই করতে চাইছে তারা।

বিটকয়েনের মতো ক্রিপটোকারেন্সির সঙ্গে এর পার্থক্য হবে সহজলভ্য ও সহজে ব্যবহার করার সুবিধা। বিটকয়েন ব্যবহার করে বিভিন্ন বিল দেওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও সেবার দাম দেওয়া যাবে।

বিশেষজ্ঞ রস বলেন, লিবরা মূলত কোনো কিছু বিনিময়ের মুদ্রা বা কারেন্সি হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। এটি বিটকয়েনের মতো কোনো বিনিয়োগ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। একে স্থিতিশীল ডিজিটাল ক্রিপটোকারেন্সি হিসেবে বর্ণনা করেছে ফেসবুক। এর পেছনে বাস্তব সম্পদের সম্পূর্ণ বিনিয়োগ থাকবে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোসেফ ই স্টিগলিৎসের ভাষ্য, বিকল্প মুদ্রার প্রচলন করার উদ্যোগের সময়টিও বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। বিগত দিনে প্রচলিত মুদ্রা সম্পর্কে প্রধান অভিযোগ ছিল অস্থিতিশীলতা; অর্থাৎ হুট করেই মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেওয়া। ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অতর্কিত স্ফীতির কারণে এই প্রচলিত মুদ্রার ওপর মানুষের আস্থা কমছে। কিন্তু ডলার, ইউরো, ইয়েন এবং রেনমিনবি দীর্ঘদিন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। আজকের দিনে এসব মুদ্রার স্ফীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই, দুশ্চিন্তার কিছু যদি থেকেই থাকে তবে তা মুদ্রাস্ফীতি অস্বাভাবিক হ্রাস নিয়ে থাকতে পারে।

ফেসবুক বলছে, ভার্চ্যুয়াল মুদ্রায় ব্যাংক ডিপোজিট, স্বল্পমেয়াদি সরকারি নিরাপত্তার মতো বিষয় যুক্ত থাকবে। এতে অন্যান্য ক্রিপটোকারেন্সির মতো মুদ্রাস্ফীতি হবে না।

বিনিময়ের উদ্দেশ্যে বিটকয়েনের মুদ্রা তৈরি হয়নি। এ ছাড়া এর ব্যবহার নিয়েও স্বচ্ছতা নেই। এ মুদ্রা ব্যবহারের জন্য কারিগরি জ্ঞান লাগে।

নিউইয়র্কের স্ট্যাস ওয়েলথের প্রতিষ্ঠাতা সহযোগী প্রিয়া মালানি বলেন, ডিজিটাল অর্থ বা গেমিফাই করার ফলে বাছবিচার না করে কেনাকাটা করবে অনেকে। ফলে ব্যয় বাড়বে।

লিবরার উন্নয়নকারী ফেসবুকের ক্যালিব্রা বিভাগের প্রধান ডেভিড মার্কাস বলেন, ভবিষ্যতে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রায় তাঁরা নানা আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে ঋণদানের মতো বিষয়ও রয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তাঁর অ্যাকাউন্টে যে লিবরা জমা রাখবেন, তার বিপরীতে ফেসবুক তাঁকে কোনো সুদ দেবে না। কিন্তু ফেসবুক গ্রাহকের জমা রাখা সেই লিবরা বিনিয়োগ করে তা দিয়ে আয় করা যাবে। কোটি কোটি গ্রাহকের জমা রাখা কোটি কোটি লিবরা লগ্নি করে ফেসবুক আয় করবে, কিন্তু সেই আয়ের কোনো অংশ গ্রাহক পাবেন না।

মালানি বলেন, কারও যদি বেহিসেবি জীবনযাপন হয়, তবে ফেসবুকের একবারের কেনাকাটা তাঁকে ঋণী করে রাখবে। সারা বছর তাঁকে উচ্চ হারে সুদ দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে গ্রাহকের দেনার পরিমাণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন গ্রাহক দেনার পরিমাণ ৪ ট্রিলিয়ন ডলার।

জোসেফ ই স্টিগলিৎসের ভাষ্য, ফেসবুক নানা কারণে ইতিমধ্যে অনাস্থার কারণ হয়েছে। সে কারণে ব্যাংকিং খাতে তার এই আবির্ভাবকে সহজভাবে আস্থার সঙ্গে নেওয়া কঠিন। ২৪০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত এ মুহূর্তে ফেসবুকের হাতে। অর্থ জালিয়াতিতে এই উপাত্ত ব্যবহৃত হবে না, ফেসবুক সে নিশ্চয়তা দিতে পারবে কি? এখন পর্যন্ত লিবরা প্রচলন করার বিষয়ে ফেসবুক যেসব তৎপরতা চালিয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বিশদভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক খাত যেসব নীতিমালার আওতায় কাজ করে, ফেসবুককে একই নীতিমালার অধীনে আসতে হবে। ফেসবুক তার গ্রাহকদের জমা রাখা লিবরাকে প্রচলিত মুদ্রায় ভাঙিয়ে তা লগ্নি করবে না, সেই প্রতিশ্রুতি তাকে দিতে হবে।

[Source: Prothom Alo]
[Link: https://www.prothomalo.com/technology/article/1602984/যেভাবে-আপনার-পকেট-খালি-করবে-ফেসবুক]

5
ISTQB / Re: ISTQB On-line Exam Sample Questions
« on: May 08, 2018, 07:50:00 PM »
Nice dump....

6
ISTQB / Re: ISTQB On-line Exam Policies
« on: May 08, 2018, 07:49:13 PM »
Very helpful Post...

7
রাজধানীর ধানমণ্ডির ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তন ৭১-এ শুরু হচ্ছে সিটিও টেক সামিট। দেশে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ আয়োজন। সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের আয়োজনে শুক্রবার শুরু হবে সামিট, চলবে শনিবার পর্যন্ত। দেশের সব প্রযুক্তি কর্মকর্তা, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা টেক সামিটটিতে অংশ নেবেন। এ উপলক্ষে শনিবার ঢাকার ধানমণ্ডি ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. ইজাজুল হক, সহ-সভাপতি দেবদুলাল রায়, যুগ্ম সম্পাদক আরফি এলাহি মানিক, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, নির্বাহী সদস্য আজিম ইউ হক, নির্বাহী সদস্য মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার, ফেলো মেম্বার গোপাল চন্দ্র গুহ রায় ও ‘সিটিও টেকসামিট-২০১৮’ এর সমন্বয়ক তাহের আহমেদ চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের সিটিওরা আরও কীভাবে একে অন্যের সহায়তায় তথ্যপ্রযুক্তিতে সক্ষমতা অর্জনসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হবে এবারের আয়োজনে। দেশের সিটিওদের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করাও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়াও সরকারের রূপকল্প- ২০২১ বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত প্রতিবন্ধকতা ও সমাধানের উপায়গুলো সামিটে তুলে ধরা হবে। আয়োজন সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন- বর্তমানে যে ইমার্জিং টেকনোলজি নিয়ে আমরা কথা বলছি সে প্রযুক্তির সফল ব্যবহার কীভাবে করা যায়, তা গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের আয়োজন এ বিষয়গুলোর উন্নয়নে কার্যকরী বলে আমরা মনে করি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিটিও টেকসামিটে সাইবার হুমকি, সাইবার নিরাপত্তা, ব্লকচেইন, বিটকয়েন, ইকর্মাস ও ডিজিটাল পেমেন্ট ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এবারের আয়োজনে ৮টি সেমিনার হবে এবং প্রায় ৪০ জন স্পিকার অংশগ্রহণ করবেন।

Courtesy
-আইটি ডেস্ক
-যুগান্তর

8
যুক্তরাজ্যের ইনফরমেরশন কমিশন’স অফিস ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার মূল প্রতিষ্ঠান এসসিএলের কাছে মার্কিন এক অধ্যাপকের যত ব্যক্তিগত তথ্য আছে সব হস্তান্তরের আদেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ডেটা প্রাইভেসি পর্যবেক্ষক। এ নিয়ে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। এতে মার্কিন অধ্যাপক ডেভিড ক্যারোল-এর যত তথ্য রয়েছে সব সরবরাহ করতে বলা হয়। এটি করতে ব্যর্থ হওয়ার কথা বললে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হবে আর এজন্য ‘সীমাহীন জরিমানা’র মুখে পড়তে হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে। ডেটা প্রাইভেসি প্রচারণাকর্মীরা বলছেন, এটি এমন নজির সৃষ্টি করবে যার মাধ্যমে লাখ লাখ মার্কিন ভোটার ডেটা সংগ্রাহক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তাদের ডেটা চাইতে পারবেন। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করেছিল মার্কিন ডেটা বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। ২০১৪ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলেকজান্ডার কোগান-এর বানানো এক অ্যাপ থেকে সংগ্রহ করা ডেটা চলে গিয়েছিল ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে।


Courtesy
-আইটি ডেস্ক
-যুগান্তর

9
পড়াশোনা শেষ করেছেন, চারদিকে হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছেন। এই অফিস থেকে ওই অফিস মামা-চাচা-খালু কাউকে বাদ দেননি; তবে আপনার জন্য চাকরি খুঁজতে গুগল নিয়ে এসেছে একটি টুল।


 
নতুন চাকরি প্রার্থীদের জন্য গুগল নিয়ে এলো নতুন এই টুল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে উন্মোচিত ‘গুগল ফর জবস’-এর ওপর ভিত্তি করে নতুন এই টুল নিয়ে এসেছে গুগল। এই টুলসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারেন নিজের পছন্দের চাকরি।

ডেকসটপ ভার্সনে গুগল সার্চ আর মোবাইল ভার্সনে গুগল অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারবে এই নতুন টুল। টুলটি ইতিমধ্যে ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশে চালু করেছে গুগুল। শিগগিরই বাংলাদেশে আসবে বলেও জানা গেছে।

গুগলের নতুন এই ফিচারটির সুবিধা পাওয়ার জন্য গুগল গিয়ে লিখতে হবে ‘জবস ফর ফ্রেশার্স’ অথবা ‘জবস নিয়ার মি’ সার্চ করলেই চলে আসবে জবস পোর্টাল ওবসাইটের লিস্ট এবং পছন্দমতো ফিল্টার ব্যবহার করেই পেতে পারেন পছন্দের চাকরি।

এছাড়াও এই টুলটির মাধ্যমে আপনি আপনার চাকরির পছন্দের লিস্টগুলো বুকমার্ক করে রাখতে পারবেন। গুগলের এই টুলের আরেকটি অসাধারণ ফিচার রয়েছে যেটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী জব প্রোফাইল, টাইটেল, লোকেশন, কোম্পানি টাইপ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

এই ফিলটারগুলোকে ব্যবহার করে পছন্দের চাকরির আবেদন করে রাখতে পারবেন, যখন চাকরিটি প্রযোজ্য হবে সঙ্গে সঙ্গে অবগত করা হবে। যদিও গুগলের মাধ্যমে সরাসরি কোনো চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই করা যাবে না। গুগল সার্চ অপশন থেকে এর ব্যবহারকারীকে সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হবে নির্দিষ্ট জব ওয়েবসাইটে।

চাকরিপ্রার্থীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে বারবার সার্চ করার চেয়ে গুগলের নতুন এই সার্চ টুল নিশ্চয়ই কাজে আসবে নতুন কাজের সন্ধানে থাকা ব্যক্তিদের। এছাড়া গুগল সার্চের মাধ্যমে খুব শিগগিরই সরকারি চাকরির খবরও পাওয়া যাবে।

এমনকি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেয়া প্রতিষ্ঠানের রেটিংও জানিয়ে দেবে গুগল। এ রেটিং সংগ্রহ করা হবে প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের কাছ থেকে। শুধু তাই নয়, চাকরিপ্রার্থীর এলাকা থেকে জব লোকেশনের দূরত্বও দেখাবে গুগল।

চাকরির সন্ধানদাতা প্রতিষ্ঠান যেমন লিঙ্কড ইন, মনস্টার, ওয়ে আপ, ডাইরেক্ট এমপ্লয়ার্স, ক্যারিয়ার বিল্ডার, গ্লাসডোর ও ফেসবুকের সঙ্গে গুগল চুক্তি করায় গুগলে চাকরি খোঁজার প্রক্রিয়াটি সহজ হয়েছে।

গুগলের এ সার্চ ফর জব টুলটি যথেষ্ট কাজে আসবে অন্তত আমাদের দেশের বেকার চাকরিপ্রার্থীদের এ ধারণা করা হচ্ছে।

Pages: [1]