Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - moonmoon

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 14
33
জেরিয়াট্রিক নিউট্রিশন
২৪ নভেম্বর, ২০১৫ ইং, দৈনিক ইত্তেফাক, কড়চা
মুনমুন হক

সাধারণত ষাটোর্ধ্ব যেকোনো ব্যক্তিকেই প্রবীণ বা বয়োজ্যেষ্ঠ লোক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ বয়সে দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্রিয়াকলাপে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসে। যেমন—হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত হওয়া, দাঁত ক্ষয় কিংবা পড়ে যাওয়া, দাঁতের মাড়িতে ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি। এ সময়ে খাবার গ্রহণের রুচিতেও আসে পরিবর্তন, যার ফলে খাদ্য গ্রহণে আসে অনীহা। প্রকৃতপক্ষে এ সময় হার্ট, কিডনি, ফুসফুস, পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে। এছাড়াও রয়েছে শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া, হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা। এ বয়সে অবসর গ্রহণের কারণে প্রবীণদের কায়িক শ্রমও কমে আসে, ফলে দৈনন্দিন ক্যালোরির চাহিদা হ্রাস পায়। তাই এ বয়সে মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা যেমন থাকে; তেমনি ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়। এ সময় শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত পুষ্টি।

৭০ বছরের যেকোনো পুরুষের দৈনিক প্রয়োজন হয় গড়ে ২০০০ কিলোক্যালরি। তেমনি এ বয়সের একজন নারীর গড়ে ১৬০০ কিলোক্যালরি দৈনিক প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট ৫০-৫৫%, প্রোটিন ১৫-২০%, ফ্যাট ১০-১৫% কিলোক্যালরি গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও শাকসবজি-ফলমূল থেকে ভিটামিন ও মিনারেলস ছাড়াও কিছু খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়।

প্রবীণদের খাবারের মেন্যু তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিবেচ্য বিষয় :

l ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের গুরুত্ব দিতে হবে।

l যেহেতু তাদের খাবার চিবিয়ে খেতে কষ্ট হয়, সেহেতু একটু নরম করে খাবার তৈরি করে দিতে হবে।

l দৈনিক ৪-৫ বেলা খাবার পরিবেশন করতে হবে। খাবারে লবণের আধিক্য রাখা যাবে না।

l ভিটামিন এ, ডি, সি এবং আয়রন, ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখতে হবে।

l দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি খেতে হবে। সেই সাথে কৌষ্ঠকাঠিন্য ও কোলেস্টেরল কমানোর জন্য ফাইবার বা খাদ্য-আঁশ খেতে হবে। যা শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পাওয়া যাবে।

পরিবারের প্রবীণ (৭০-৮০ বছর) সদস্যের জন্য ১৮০০ কিলোক্যালরির একটি স্যাম্পল মেন্যু :

ব্রেকফাস্ট

আটার তৈরি রুটি :২টি

সবজি ভাজি :১ কাপ

টক দৈ :২ কাপ

চা :১ কাপ চিনি ছাড়া

মিড মর্নিং

ফ্রুট জুস :১ গ্লাস

ভেজিটেবল সমুচা :১টি মাঝারি

লাঞ্চ

ভাত :২ কাপ/১ প্লেট

শাক :১ কাপ

মাছ/মাংস :১ টুকরো

ডাল :১ কাপ

আফটারনুন স্ন্যাক্স

ভিটামিনসমৃদ্ধ ফল :১ টি

মুড়ি :১ কাপ

ডিনার

ভাত :২ কাপ/১ প্লেট

সবজি :১ কাপ মিক্সড

মাছ/মাংস :১ টুকরো

ডাল :আধা কাপ

এছাড়াও ক্যালরিমূল্য ঠিক রেখে সুবিধামতো খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করা যাবে। তবে নিয়মমতো খাবার খেলে এবং হাঁটাচলা করলে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিটিও সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।

 




34
Faculty Sections / নবজাতক শিশুর পুষ্টি
« on: November 22, 2015, 03:20:44 PM »
নবজাতক শিশুর পুষ্টি
নবজাতক শিশুর সুস্থ্য ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি অত্যন্ত প্রয়োজন। একটি শিশু জন্মের পর থেকে পূর্ণ দুই বছর পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ পান করতে পারে। কিন্তু প্রথম ছয় মাস শিশুর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় কেননা এ সময়ের মধ্যে শিশুর বর্ধন দ্রুত হয়। শিশু জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস যে পুষ্টির দরকার হয় তার সব উপাদান মায়ের বুকের দুধেই বিদ্যমান। তাই শিশুর পরিপূর্ণ বর্ধন, বিকাশ এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস শিশুকে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ এর মতে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং এর পূর্ব শর্ত হলো-
   জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে হবে।
   শিশুকে তার চাহিদা অনুযায়ী পূর্ণ ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে; অন্য কোনও খাবার কিংবা পানীয় দেয়া যাবেনা; 
   শিশুর মুখে ফিডার কিংবা চুষনি দেয়া যাবেনা;
   আর এই ছয় মাস শিশুকে পানিও পান করানো যাবেনা।
অনেকেই না বুঝে শিশুর জন্ম হওয়ার সাথে সাথে শিশুকে মধু খাওয়ান। এতে করে নাকি শিশুটির কণ্ঠ সুমিষ্ট হবে! কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এটি ভুল ধারণা। শিশু জন্মের পর ওই মধু হজম করার সামর্থ্যই অর্জন করেনা। ফলে দেখা দেয় ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রিসহ নানা প্রকার হজমের গন্ডগোল। এ কারণে কখনো কখনো সারাজীবন এই হজমের গন্ডগোল থেকেই যায়। আরও একটি ভুল অনেকেই করে থাকে যা হলো শিশু জন্মের পর থেকে প্রথম সাত দিন মায়ের বুকের যে শাল দুধ(কোলোস্ট্রাম)নিঃসৃত হয়, তা শিশুকে পান না করিয়ে ফেলে দেন; কিন্তু এতে করে শিশুটি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্মুখীন হয়। শিশু জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে তাকে মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। এবং শাল দুধ ফেলে দেয়া যাবেনা। কেননা এই শাল দুধে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলস যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব শিশুরা ছোটবেলায় মাতৃদুগ্ধ পান করেছে; তারা বড় হয়ে বিভিন্ন রোগবালাইয়ে (যেমন-ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ ইত্যাদি) কম ভুগেছে। কেউ কেউ আবার ভালো মনে করেই শিশুকে ইচ্ছে করেই বাজারের কৃত্রিম ফর্মুলা/ গুড়াদুধ খেতে দিয়ে থাকেন; যা কোনও অবস্থাতেই মায়ের দুধের বিকল্প হতে পারেনা। মা যদি জীবিত থাকেন, আর কোনো ধরণের শারীরিক অসুস্থতায় না ভোগেন তবে অবশ্যই মাতৃদুগ্ধ পান করানো উচিত। এতে করে শিশুও যেমন প্রাকৃতিক নিয়মে নিরাপদ ও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে তেমনি মায়েরও কিছু উপকার হবে। যেমন-
   শিশু যতদিন বুকের দুধ খাবে ততদিন মায়ের পুনরায় গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকেনা।
   গর্ভকালীন সময়ে মায়ের দৈহিক ওজন বেড়ে যায়, শিশুকে বুকের দুধ পান করালে সেই অতিরিক্ত ওজন কমে যায় ।
   মা ও শিশুর আত্মিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়।
   গুঁড়া দুধ কিনে মায়ের অতিরিক্ত অর্থ খরচ করারও প্রয়োজন হয়না।
কোনও কোনও মা মনে করেন মাতৃদুগ্ধ পান করালে দৈহিক কাঠামো নষ্ট হয়ে যাবে। আর তাই জন্মের পর থেকেই শিশুকে ফিডারে করে দুধ পান করান। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা ঘটে উল্টো; বরং ব্রেস্ট ফিডিং করালেই বডি ফ্রেম আবারও আগের মত হবে।
মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে; তাহলে কর্মজীবী মায়েরা কি করবেন?কর্মজীবী মহিলাদের জন্য পরামর্শ হল; তারা অফিসে যাওয়ার আগে ব্রেস্ট পাম্পারের সাহায্যে দুধ বের করে রেখে যেতে পারেন; সাধারণ তাপমাত্রায় ছয়-আট ঘন্টা পর্যন্ত তা ভালো থাকে। সেক্ষেত্রে ফিডার ব্যবহার না করে বাটি ও চামচ দিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। আর যদি এ পদ্ধতি একান্তই ঝামেলা মনে হয় তবে ফিডার ব্যবহার করা যেতে পারে; কিন্তু তা অবশ্যই ভালো ভাবে ধুয়ে দশ মিনিট ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। তানাহলে শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
আমাদের দেশে নবজাতক শিশুকে সুজি খাওয়ানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, যার প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। শিশুর জন্ম থেকে ছয় মাস শুধু মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। এই সময় শিশুর যে পুষ্টি ও শক্তি দরকার হয় তা মাতৃদুগ্ধে যথেষ্টই বিদ্যমান। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা আর শিশু পুস্টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা। তাই শিশুকে সঠিক নিয়মে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর মাধ্যমে শিশুর সুস্থ্য, সুন্দর এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন। 

মুনমুন হক



39
খাদ্য সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা বা কুসংস্কার

সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরী। কিন্তু আমাদের মাঝে খাবার সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত মনগড়া কিছু ধারনা/বিশ্বাস প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলন দেখা যায়; যেগুলোর বেশীরভাগই মহিলা ও শিশুদের উপলক্ষ করেই সৃষ্ট। শুধু গ্রামে নয় শহরের শিক্ষিত মানুষের মাঝেও অপ্রয়োজনীয় এসব প্রথার প্রচলন আছে। কখনও কখনও তারা নিজেরাও জানেন যে; এসব হয়ত সত্যি না, তারপরও তারা ঐসব গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। ফলে তারা নিজেরা যেমন বঞ্চিত হন তেমনি তাদের আত্মিয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন। খাবার নিয়ে এসব ধ্যান-ধারণা বা কুসংস্কার এতটাই প্রবল আর প্রকট আকার ধারণ করে যে, তা মানুষের অপুষ্টির কারণ তো বটেই, কখনও কখনও মৃত্যু ঝুঁকিও সৃষ্টি করতে পারে। যেমন:-
•   পাকা কলা খেলে ঠাণ্ডা লাগবে; সর্দি হবে- তাই শীতকালে অনেকেই কলা খেতে চাননা। এটি নিতান্তই ভুল ধারণা। ব্যাক্তি বিশেষে কলায় কারও কারও এলার্জি থাকতে পারে। তবে কলায় এমন কোনও উপাদান নেই যার কারণে সর্দি হতে পারে। বরং এতে রয়েছে শর্করা, আয়রন, ক্যলসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-সি, বি কমপ্লেক্স প্রভৃতি পুষ্টিকর উপাদান। আমাদের দেশে অনেকেই জোড় কলা খান না; এর কারণ তাদের ধারণা জোড় কলা খেলে যমজ সন্তান হবে। এটি নিতান্তই হাস্যকর এবং যুক্তিহীন একটি  ধারণা। সন্তান একটি হবে নাকি যমজ হবে তা সম্পুর্নই একটি দৈব ঘটনা। এর সাথে জোড় কলা খাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
•   আরও একটি ব্যাপক প্রচলিত কুসংস্কার হলো, কোনও ব্যাক্তির শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে কিংবা অপারেশন করার পর টক জাতীয় ফল খাওয়া যাবেনা। অথচ প্রকৃত ঘটনা সম্পুর্ন বিপরীত। শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে কিংবা অপারেশন করার পর টক জাতীয় ফল খেলে ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে উঠে। কারণ ওইসব ফলে রয়েছে, ভিটামিন-সি যা ঘা শুকাতে সাহায্য করে। এ কারণে এমন অবস্থায় ভিটামিন-সি জাতীয় ফল যেমন- লেবু, কমলা, আনারস, জাম্বুরা, আমড়া, মাল্টা ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
•   আমাদের দেশে গর্ভবতী মহিলাদের বিভিন্ন কুসংস্কারে আবদ্ধ করে রাখা হয় ফলশ্রুতিতে তারা মাতৃত্বকালীন অপুষ্টিতে ভোগেন। যেমন- গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে গর্ভপাত হয়। একারনে অনেক গর্ভবতী মহিলা আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো আনারসে এমন কোনও উপাদান নেই যা গর্ভপাত ঘটাতে পারে। আনারস ভিটামিন-সি এর খুব ভালো উৎস। গর্ভাবস্থায় আনারস খুবই উপকারি একটি ফল।
•   অত্যন্ত হাস্যকর আরও একটি কুসংস্কার হলো কেউ কেউ মনে করেন গর্ভাবস্থায় বোয়াল মাছ খেলে শিশুর ঠোঁট বোয়াল মাছের মত হবে। প্রকৃত সত্য হলো এই; সৃষ্টিকর্তা যেভাবে চাইবেন সন্তান সেভাবেই জন্ম গ্রহণ করবে। মাছ খাওয়ার সাথে মাছের মত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। একই ভাবে মৃগেল মাছ নিয়েও রয়েছে ভুল ধারণা। এ মাছ খেলে নাকি মৃগী রোগ হয়! এক্ষেত্রেও একই কথা; এই মাছ খেলে মৃগী রোগ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এসব প্রাচীন কুপ্রথার কারণে আমাদের দেশের গর্ভবতী মায়েরা পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার কিনে খেতে পারেন না, ফলে প্রোটিনের অভাবে ভোগেন, সেই সাথে অনাগত শিশুটিও অপুষ্টি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
•   তেমনি ভাবে মাংস নিয়েও রয়েছে অবান্তর ধারণা। গরুর মাংসে এলার্জি থাকায় কেউ কেউ খাসীর মাংসের উপর নির্ভর করে থাকে। কারও কারও ধারণা গর্ভবতী মা খাসীর মাংস খেলে নাকি শিশুর শরীরে ঘন লোম গজাবে। এটিও কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। ফলে দেখা যায় গর্ভবতী মা যেকোন ধরণের মাংস খাওয়া থেকেই বিরত থাকেন; তিনি নিজে তো বটেই শিশুটিও অপুষ্টির শিকার হয়।  আবার কেউ কেউ বলে মাংস অপেক্ষা ঝোল ভালো। কিন্তু ঝোলে থাকে শুধু তেল, চর্বি, মসলা আর পানি। কাজেই ঝোল থেকে প্রোটিন পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
•   আরও প্রচলিত আছে গর্ভবতী মা বেশী খেলে নাকি শিশু আকারে বড় হবে আর জন্মদানের সময় মায়ের ও সন্তানের ক্ষতি হবে। বাস্তবে গর্ভাবস্থায় পুষ্টি চাহিদা একজন সাধারন মহিলার চেয়ে বেড়ে যায়। আর সেই বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য তাকে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে হবে। তানাহলে মা ও শিশু উভয়েরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কখনও কখনও মৃত্যুও হতে পারে। একই ভাবে সন্তান প্রসবের পরও মায়ের উপর নানা রকমের নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। যেমন- সদ্যপ্রসুতি মাকে স্বাভাবিক খাবার কিংবা রসালো খাবার দেয়া যাবেনা, তাকে শুকনো খাবার যেমন- মুড়ি, ভর্তা দিয়ে ভাত ইত্যাদি দিতে হবে তাহলে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকাবে। এসব ভুলের কারনে তখনও মা সঠিক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হন আর নানা রকম রোগে আক্রান্ত হন। ফলে সন্তানের দেখা-শোনাও ঠিকমত করতে পারেন না। এসব ভ্রান্ত ধারণা যদি দূর করা না যায় তবে মা ও শিশুর অপুষ্টি দূর করা যাবেনা।
•   তাই গর্ভবতী ও প্রসূতি মাকে তার চাহিদা, সামর্থ্য এবং রুচি অনুযায়ী খাবার খেতে দিতে হবে। খাবার সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। আমাদের দেশে প্রচুর পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং সস্তা খাদ্যদ্রব্য রয়েছে; যা খেয়ে ধনী-দরিদ্র, অসহায় এবং বঞ্চিত জনগোষ্ঠীও তাদের পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হবে।  তাই আসুন দৃষ্টিভঙ্গি বদলে, কুসংস্কার ভুলে, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করি, সুস্থ জাতি গঠনে সহায়তা করি।

মুনমুন হক

44
Mr. Mahmudul, Thanks for your feedback. I had to prepare this topic within 400 words. That's why I couldn't mention much more names.

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 14