Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - moonmoon

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 14
61
Faculty Sections / সাঁতারে এত উপকার!
« on: April 20, 2015, 08:04:34 PM »
সাঁতারে এত উপকার!

নিয়মিত সাঁতার কাটলে ফুসফুস ও হূদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন সাঁতারুর অকালমৃত্যুর আশঙ্কা কর্মহীন ব্যক্তির অর্ধেক। সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টাও যদি কেউ নিয়মিত সাঁতার কাটেন তবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হূদেরাগ ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি অসংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।বর্তমানে শহরে সাঁতার জানা মানুষই এখন কম। কিন্তু সাঁতারের আছে নানা স্বাস্থ্যসুফল।সাঁতার কাটতে গেলে শরীরের প্রায় সব কটি সন্ধি ও মাংসপেশির সুষম ব্যবহার হয়। এটি পেশির দক্ষতা ও শক্তি বাড়ায়, সন্ধি ও লিগামেন্টের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। আর্থ্রাইটিস ও স্পনডালাইটিসের রোগীদের জন্য সাঁতার একটি কার্যকর ব্যায়াম। বিশেষ করে অ্যাংকাইলোজিং স্পনডাইলাইটিস নামের মেরুদণ্ডের সমস্যা উত্তরণে সাঁতার রীতিমতো উল্লেখযোগ্য চিকিৎসাব্যবস্থা। যারা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না, তাঁদের জন্য সাঁতার একটি বিকল্প ব্যবস্থা। সাঁতার ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বা শক্তি বাড়ায়। এটি প্রমাণিত যে ছয় সপ্তাহ নিয়মিত সাঁতার কাটলে যে কারও ফুসফুসের আয়তন ও বাতাস ধরা-ছাড়ার দক্ষতা দুটোই বাড়ে। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস রোগীদের জন্য এটি সুখবর। ছয় সপ্তাহ নিয়মিত সাঁতার ক্লাসের পর শিশুদের হাঁপানির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়, মুখে শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা ও ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার অভ্যাসও যায় কমে। l

১. দৈনিক ২০-৩০ মিনিট সাঁতার আপনার ভবিষ্যৎ হূদেরাগের ঝুঁকি ৩০-৪০ শতাংশ কমিয়ে দেবে। কমাবে উচ্চ রক্তচাপও। একই সঙ্গে কমাবে ক্ষতিকর চর্বি ও কোলেস্টেরল, কিন্তু বাড়াবে উপকারী চর্বি। সপ্তাহে তিন দিন ৩০ মিনিট করে ব্রেস্ট স্ট্রোক সাঁতারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ শতাংশ কমবে।

২. সাঁতারে ওজন কমে। প্রতি ১০ মিনিট ব্রেস্ট স্ট্রোক-৬০ ক্যালরি, ব্যাক স্ট্রোক-৮০ ক্যালরি, ফ্রিস্টাইল ১০০ ক্যালরি ও বাটারফ্লাই স্ট্রোক খরচ করে ১৫০ ক্যালরি।

৩. মস্তিষ্কের হিপোক্যামপাস এলাকার স্নায়ু উজ্জীবিত হয়। ফলে মানসিক চাপ কমে। মন-মেজাজ ভালো হয়, বিষণ্নতা কমে।
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/4780#sthash.17TVcCTm.dpuf

62
অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন

একেতো বৃষ্টি-বাদলা, তারপর টানা ঈদের ছুটি। সব মিলে হাঁটাহাঁটির অভ্যাসটা অনেকের অনিয়মিত হয়ে গেছে। তাই আবার শুরু করুন। হাঁটতে তো আর যন্ত্রপাতি লাগে না। লাগে কেবল একটু ইচ্ছাশক্তি। আপনার বয়স যদি ৩৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে, তবে দৈনিক ২০ মিনিট হেঁটে উচ্চ রক্তচাপ ১২ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে পারবেন। এর বেশি সময় হাঁটলে কমাতে পারবেন ৩০ শতাংশ। একই সঙ্গে কমবে ওজন, চর্বির আধিক্য ও ডায়াবেটিস।
তবে এসব উপকার পেতে হলে অনিয়মিত ও বিশৃঙ্খলভাবে হাঁটলে চলবে না। সপ্তাহে অন্তত তিন-চার দিন হাঁটবেন, অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট টানা। কখনো টানা দুই দিনের বেশি বিরতি দেওয়া ঠিক নয়। হাঁটতে হবে যথেষ্ট দ্রুত, যেন হূদস্পন্দন বেড়ে যায়, শরীর ঘেমে যায়।
হাঁটার শুরুর দিকে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট জগিং করে বা হালকা ব্যায়াম করে শরীরটা চাঙা করুন। শেষে আবার পাঁচ থেকে ১০ মিনিট বিশ্রাম।
খাবার পরপরই হাঁটবেন না, অন্তত এক ঘণ্টা বিরতি দিন। হাঁটা শেষ করে পানি পান করুন। আবার হেঁটে ফিরে এসে সঙ্গে সঙ্গেই না খেয়ে এক-দুই ঘণ্টা বিরতি দিন। দুপুরের রোদ বাদ দিয়ে সকালে বা বিকেলের মনোরোম আবহাওয়ায় হাঁটুন। যদি কষ্ট হয়, তবে প্রথমে সপ্তাহে দুই দিন, তারপর তিন দিন, তারপর চার দিন করে হাঁটুন। এভাবে অভ্যাসটি প্রতিদিনের জন্য গড়ে তুলুন।
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/4736#sthash.bgkUTVhq.dpuf

63
যখন-তখন ব্যথার ওষুধ নয়

ব্যথার জন্য দোকান থেকে ডাইক্লোফেন, ন্যাপরোক্সেন বা আইবুপ্রোফেন-জাতীয় শক্তিশালী ব্যথানাশক বড়ি দু-একটা খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। বিশেষ করে বাত, আথ্রাইটিস বা মাইগ্রেনের রোগীরা এ ধরনের অভ্যাসে আক্রান্ত।কিন্তু আপনি কি জানেন, না জেনে, না বুঝে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক বড়ি খেলে কিডনি বিকলের মতো মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে যখন-তখন? দীর্ঘদিনের ব্যথার রোগী, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী, ধূমপায়ী, যারা ঘুমের বড়ি খেয়ে অভ্যস্ত ও বয়স্ক রোগীদের মধ্যে এই ঝুঁকি আরও বেশি।বাজারে প্রচলিত ব্যথানাশক বড়িকে চিকিৎসকেরা এনএসএআইডি বা নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ বলে থাকেন। এর সব কটিই কিডনির রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দিয়ে ক্ষতি করতে পারে। দীর্ঘদিন এসব ওষুধ খেলে প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ ও রক্ত বের হওয়াসহ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া কিডনির কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে, যা বোঝা যাবে রক্তশূন্যতা, পায়ে-মুখে পানি আসা বা প্রস্রাব কমে যাওয়ার লক্ষণের মাধ্যমে। অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে মাত্র কয়েকটি বড়ি খেলেই কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার মতো বিপদ হতে পারে। এসব সমস্যাকে অ্যানালজেসিক নেফ্রোপ্যাথি বা ব্যথানাশক বড়িজনিত কিডনি সমস্যা বলে চিহ্নিত করা হয়। তাই কথায় কথায় বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কখনো ব্যথার ওষুধ সেবন করবেন না। ব্যথা সারাতে রোগের কারণ চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিন। দিনের পর দিন ব্যথার ওষুধ কোনো সমাধান হতে পারে না।
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/4794#sthash.OnnA4agA.dpuf

64
গ্যাসের ব্যথা কী করি

পেটে খুব গ্যাস হয়। ৮০ শতাংশ মানুষ এমন অভিযোগ করে থাকে অনেক সময়। অধিকাংশ লোকই জানে না এর মানে কী আর কেনই বা এমন হয়।

অনেকের শাক-সবজি বেশি খেলে পেটে গ্যাস হয়। অন্ত্রের মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও রাসায়নিক পদার্থ আছে, যা বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের সঙ্গে বিক্রিয়া করে নানা ধরনের গ্যাস উৎপন্ন করে। যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন ইত্যাদি। আবার কিছু গ্যাস দেহের রক্ত থেকে উৎপাদিত হয়ে পেটে আসে। ল্যাকটুলোজ-জাতীয় খাবার ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পেটের রাসায়নিক বা অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বেশি গ্যাস তৈরি করে থাকে।

স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরে সাধারণত ২০০ মিলিলিটার বা গড়ে ৪৭৬ মিলিলিটার থেকে ৬০০ মিলিলিটার পর্যন্ত গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে, যা ঊর্ধ্বগামী বা নিম্নগামী হয়ে ১৮ থেকে ২০ বার পর্যন্ত শরীর থেকে বের হতে পারে।

যাদের পেটে বেশি গ্যাস সৃষ্টি হয়, তাদের কিছু নিয়ম পালন করা দরকার।

খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করে না খেয়ে ধীরস্থিরভাবে খাবার চিবিয়ে খেতে হবে, যাতে খাবারটা ভালোভাবে পরিপাকরসের সঙ্গে মেশে এবং হজম হয়। ধূমপান বর্জন করুন। কেন ও কোন খাবারে গ্যাস হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন ও তা থেকে বিরত থাকুন। বারবার ঢেকুর তুলবেন না। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে দূরে থাকুন। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি চিন্তা না করে নিজের কাজে বেশি করে মনোনিবেশ করুন।
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/4927#sthash.qqPQM0AX.dpuf

65
গেঁটেবাতের ব্যথা? – খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন জরুরি

হঠাৎ পায়ের বুড়ো আঙুলে তীব্র ব্যথায় মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেল। দেখলেন, আঙুলের গোড়া ফুলে লাল, প্রচণ্ড গরম। আঘাত পাননি বা সংক্রমণ হওয়ার মতো কিছু ঘটেছে বলেও মনে করতে পারছেন না। তাহলে আপনি সম্ভবত গাউট বা ইউরেট ক্রিস্টাল প্রদাহজনিত গেঁটেবাতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে লিখেছেন ডা. নাজমুল কবীর কোরেশী।
যাঁদের সমস্যা হতে পারে
পারিবারিক ইতিহাস, বয়স, ওজনাধিক্য, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা, মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল ও উচ্চ পিউরিনযুক্ত খাবার, কিছু ওষুধ যেমন থায়াজাইড, অ্যাসপিরিন এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
কারণ
খাদ্যের পিউরিন শরীরে বিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়, যা রক্তে মিশে অবশেষে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। কিন্তু এই ইউরিক অ্যাসিড অতিরিক্ত তৈরি হলে বা কিডনির অকার্যকারিতায় বের হতে না পারলে তা রক্তে জমা হতে পারে। এর ফলে সন্ধির ভেতর ইউরেট ক্রিস্টাল তৈরি হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে ও বাত হয়।
চিকিৎসা
তীব্র ব্যথার সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন।
খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনে কিছু পরিবর্তন এনেও আপনি নিজের ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
 দিনে ২-৪ লিটার তরল পান করুন, যার বেশির ভাগ পানি।
 অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
 মধ্যম মাত্রায় আমিষ গ্রহণ করুন। চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
 ওজনাধিক্য থাকলে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনুন। দ্রুত ওজনহ্রাস ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
 উচ্চমাত্রার পিউরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। যেমন: মুরগির চামড়া, মগজ, গিলা, কলিজা, চর্বিযুক্ত গরু-খাসির মাংস, মগজ, হাঁস, কবুতর, মাংসের স্যুপ, পায়া। মাছের মাথা, মাছের ডিম, সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, শুঁটকি মাছ, ইলিশ, কই মাছ, মসুর ডাল, অরহর ডাল, মটর, ছোলা। নারকেল, নারকেলের দুধ, টিনজাত খাবার, টমেটো সস।
 স্বল্পমাত্রার পিউরিনযুক্ত খাবার খেতে পারেন। যেমন: নদী/মিঠা পানির তৈলাক্ত মাছ, মুরগির মাংস, কুসুম ছাড়া ডিমের সাদা অংশ, ননীবিহীন দুধ, কাঁকরল, পটোল, শসা, চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, ঝিঙে, অলিভ, সানফ্লাওয়ার, কর্ন তেল, চা-কফি সীমিত, প্রচুর পানি, আলু, মিষ্টি আলু, মুলা, লাউ, কাঁচা পেঁপে, সবুজ বাঁধাকপি।

- See more at: http://www.ebanglahealth.com/4861#sthash.0GxIcMFe.dpuf

66
কর্মক্ষেত্রে প্রতিদিনের ব্যায়াম

বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের দাপ্তরিক বা অফিসের কাজে নিয়োজিত থাকেন। এর মধ্যে ৪০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষই জীবনে কোনো না কোনো সময় হাড়, সন্ধি, পেশির সমস্যায় আক্রান্ত হন যা তাঁদের দাপ্তরিক কাজের সঙ্গে জড়িত। স্বাস্থ্যকর উপায়ে কী করে দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করা যায়, তা নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিশেষ শাখা রয়েছে। একে বলা হয় অকুপেশনাল থেরাপি। একজন মানুষ তাঁর কর্মক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যার কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন এবং কীভাবে তাঁর শারীরিক গড়ন অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রকে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে উপযোগী করা যায়, সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

যাঁরা দীর্ঘক্ষণ অফিসে চেয়ারে বসে বা কম্পিউটারে এবং বিভিন্ন ধরনের কাউন্টারে কাজ করেন, তাঁরা কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন

১. আপনার অফিসের চেয়ার-টেবিল ও কম্পিউটারের অবস্থান এমন হওয়া চাই যেন ঘাড় ৯০ ডিগ্রির বেশি এবং কোমর ৪৫ ডিগ্রির বেশি না ঝুঁকে থাকে।

২. টেবিলে কাজ করার সময় কোমর, হাঁটু, পায়ের গোড়ালি মেঝের সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকবে। কবজি সোজা অবস্থায় টেবিলের ওপর থাকবে এবং ঘাড় শিথিল থাকবে।

৩. প্রতি এক ঘণ্টা কাজ করার পর চার-পাঁচ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিন এবং বিভিন্ন অংশ স্ট্রেচিং করুন। ঘাড় সামনে-পেছনে স্ট্রেচ করুন ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত, দুই দিকে ২৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। কোমর পেছনে ২৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। দুই কাঁধ, গোড়ালি ও কবজিরও স্ট্রেচিং করতে পারেন।

প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর চোখ স্ক্রিন থেকে দূরে সরিয়ে নিন, ১০-১৫ সেকেন্ডের জন্য হাতের তালু দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন।
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/5051#sthash.HsGMPYXA.dpuf

67
Faculty Sections / বয়স যখন ষাটোর্ধ্ব
« on: April 20, 2015, 07:55:43 PM »
বার্ধক্যে পুষ্টিবার্ধক্যে কায়িক শ্রম কমে যায়, কমে যায় খাবারে দৈনিক ক্যালরি চাহিদাও। কিন্তু সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের প্রয়োজনীয়তা বজায় থাকে। আবার খাবারে রুচি কমে যাওয়া বা নানা ওষুধের প্রতিক্রিয়া অনেক সময়ই বৃদ্ধ ব্যক্তিদের দুর্বলতা, অবসাদ বা ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় তাঁরা নিজের প্রয়োজন বা চাহিদার কথা ভালো করে বুঝিয়ে বলতেও পারেন না। গবেষণা বলছে, বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রয়োজনের তুলনায় ৪০ শতাংশ খাবার কম খেয়ে থাকেন। তাই বাড়ির ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিটির পুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাসের দিকে সবারই বিশেষ নজর দেওয়া দরকার।

 বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হূদেরাগ, কিডনি জটিলতাসহ নানা সমস্যা। সে অনুযায়ী গড়ে তুলতে হবে খাদ্যাভ্যাস। যেমন: পাতে লবণ ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয়গুলোকে নতুন করে হলেও রপ্ত করতে হবে। দীর্ঘদিনের পুরোনো অভ্যাস যেমন জর্দা-পানকে হঠাৎ করে বিদায় দিতে হয়তো চাইবেন না তাঁরা, কিন্তু বিষয়টির গুরুত্ব বুঝিয়ে বলতে হবে।

 দাঁত পড়ে যাওয়া বা নড়বড়ে হওয়ার কারণে শক্ত খাবার চিবিয়ে খাওয়া সম্ভব হয় না অনেকের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, শুধু তরল বা আধা শক্ত খাবারে যেন সুষম খাদ্যের সবটুকু উপাদানই বজায় থাকে।

 বয়স বাড়ার সঙ্গে হজমশক্তিও হ্রাস পায়, পরিপাকে বিঘ্ন ঘটে। তাই এ সময় সহজপাচ্য খাবারই বেছে নেওয়া ভালো। গুরুপাক, বেশি তেল ও মসলাযুক্ত খাবার, কেনা ও ভাজাপোড়া খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। আলু, মাছ, ডিম ইত্যাদি সহজপাচ্য খাদ্য। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যও একটি সাধারণ সমস্যা। এটি এড়াতে আঁশযুক্ত খাবার, পর্যাপ্ত পানি ও রোজ ইসবগুলের ভুসির শরবত দেওয়া যায়।

 বয়স্ক ব্যক্তিদের একাকিত্ববোধ, হতাশা, বিষণ্নতা ইত্যাদি মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বেশি। এসব কারণে প্রায়ই দেখা দেয় খাবারে অনীহা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এসব মানসিক সমস্যার সমাধান করতে হবে।

 প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী দশমিক ৯ গ্রাম আমিষ দরকার হয়। মাছ-মাংস বেশি খেতে না পারলে এই আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য মুরগির স্যুপ, ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত। কাঁচা শাকসবজি বা ফলমূল হজম না হলে সবজির স্যুপ ও ফলের রস করে দেওয়া যায়। ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে দুধ বা দই প্রতিদিনের তালিকায় রাখা উচিত।

 বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী কিছু খাবার হলো নরম খিচুড়ি, দুধ বা দই দিয়ে চিড়া, স্যুপ, দুধ-রুটি বা দুধ-সাগু ইত্যাদি। নাশতা হিসেবে ফলের রস, পুডিং, সবজির যেমন: গাজরের হালুয়া, ফলমিশ্রিত কাস্টার্ড ইত্যাদি। একই খাবারে বিরক্তি বোধ করলে খাবারে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/5268#sthash.RoP72cNi.dpuf

68
Faculty Sections / পিত্তথলিতে পাথর?
« on: April 20, 2015, 07:53:57 PM »
পিত্তথলিতে পাথর হওয়া খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। চারপাশের অনেকেরই কাছ থেকে এই অভিজ্ঞতা শোনা যায়। এই পাথর কি সত্যি সত্যি পথের কুড়িয়ে পাওয়া নুড়ি পাথরের মতো, নাকি অন্য কিছু? আর কীভাবেই বা সন্দেহ হবে যে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে আপনার?

পাথর আসলে কী?
পিত্তথলির পাথর আসলে ছোট ছোট বালুর দানার মতো থেকে শুরু করে মটরের দানা বা তার চেয়েও বড় শক্ত দানাদার বস্তু, যা বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। এটা নির্ভর করে কী পদার্থ দিয়ে পাথরটা তৈরি তার ওপর। কোলেস্টেরল, বিলিরুবিন বা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি এই পাথরগুলো পিত্তরসের সঙ্গে মেশানো অবস্থায় থাকে এবং হালকা বাদামি, ময়লাটে সাদা বা কুচকুচে কালো রঙেরও হতে পারে। পেটের ডানদিকে যকৃতের পেছনে ও তলার দিকে থাকে পিত্তথলি। পিত্তরস তৈরি করাই এর কাজ। খাবার হজমে, বিশেষ করে চর্বিজাতীয় খাবার হজম করতে পিত্তরস দরকার হয়। নানা কারণে এই পিত্তথলিতে বিভিন্ন পদার্থ অতিরিক্ত জমে গিয়ে পাথরের সৃষ্টি করে।

কাদের হয় বেশি?
স্থূল ও ওজনাধিক্য ব্যক্তিদের পিত্তথলিতে পাথর বেশি হতে দেখা যায়। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া চল্লিশোর্ধ্ব বয়স, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাবার অভ্যাস, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

কীভাবে বুঝবেন?
পিত্তথলির অবস্থানটা পেটের কোথায় তা আগেই বলা হয়েছে। পিত্তথলিতে পাথর হলে এতে প্রদাহ হয়, যাকে কোলেসিস্টাইটিস বলা হয়। তখন ওপর পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। মিনিট খানেক হতে ঘণ্টা খানেক স্থায়ী হতে পারে এই ব্যথা। পেটের পেছন দিকে, কাঁধে, পেটের মাঝ বরাবর এমনকি বুকের ভেতরও ছড়িয়ে পড়তে পারে ধীরে ধীরে। সেই সঙ্গে বমি ভাব বা বমি, হালকা জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় পাথর পিত্তথলি থেকে বোরোতে গিয়ে পিত্তনালিতে আটকে যায় এবং তখন বিলিরুবিনের বিপাক ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার দরুন জন্ডিসও হতে পারে। রোগ নির্ণয়ের জন্য এই উপসর্গের পাশাপাশি পেটের আলট্রাসনোগ্রামই যথেষ্ট। পাথরের অবস্থান জানতে বা প্রয়োজনে বের করতে ইআরসিপি জাতীয় পরীক্ষা করা যেতে পারে। তবে পেটের আলসার, যকৃতের কোনো সমস্যা বা এমনকি হূদেরাগেও কাছাকাছি ধরনের ব্যথা হতে পারে বলে সেগুলোর অবস্থাও নির্ণয় করে নেওয়া দরকার হয়।

চিকিৎসা কী?
প্রদাহ ও তীব্র ব্যথার সময় কোনো অস্ত্রোপচার করা হয় না। সাধারণত কয়েক দিনের জন্য মুখে খাদ্য গ্রহণ বন্ধ করে দিয়ে স্যালাইন, অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে প্রাথমিক উপশমের চেষ্টা করা হয়। পরে পিত্তথলি ফেলে দেওয়ার অস্ত্রোপচারটি সপ্তাহ দুয়েক পর বা দু-তিন মাস পর করলেও ক্ষতি নেই। পেট কেটে বা ফুটো করে—দুভাবেই এই অস্ত্রোপচার করা যায়। তবে পিত্তনালিতে পাথর আটকে গিয়ে থাকলে ইআরসিপি যন্ত্রের সাহায্যে সেটি বের করে আনা হয়।
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/5265#sthash.uZdwVnEA.dpuf

69
বাড়তি ওজনের জন্য অনেকেই শর্করাজাতীয় খাবারকে দায়ী করেন। ভাবেন, ‘নো কার্ব’ বা শর্করা বর্জন ওজন কমানোর চাবিকাঠি। আসলে তা নয় এবং সেটা সম্ভবও নয়। কারণ, শকর্রাবর্জিত খাবার দিনের পর দিন খেতে থাকলে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। হয়তো দু-চার দিন এ ধরনের খাবার গ্রহণ করা যায়, দিনের পর দিন নয়। যেমন—মাছ, মাংস, ডিম, তেল, ঘি, মাখন এগুলো একেবারেই শর্করাবর্জিত খাবার। ভাবুন তো, এসব খাবার খেয়ে কি জীবন কাটাতে পারবেন? আসলে সবই খেতে হবে, তবে তা হওয়া উচিত পরিমিত।

শর্করাজাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া যাবে বা যাবে না সে ব্যাপারে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান আখতারুন নাহার বলেন, শর্করা শক্তির অন্যতম উৎস। পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে, মানুষের প্রতিদিনের খাবারে মোট ক্যালরির ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা থাকা উচিত। তবে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে শর্করার অংশটি ভাত-রুটি ইত্যাদি মিলে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ হলেই ভালো হয়।

আখতারুন নাহারের মতে, শিশুদের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে তাদের খাবারে অবশ্যই শরীর গঠনকারী উপাদান বা দুধ থাকতেই হবে। যদিও দুধে আছে পর্যাপ্ত শর্করা। খাবারের মধ্যে শর্করা থাকে বিভিন্ন রূপে। যেমন—গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্যালাক্টোজ, সুক্রোজ, মল্টোজ। আমাদের দেহের কার্যপ্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ প্রয়োজনীয় উপাদান। ফ্রুক্টোজ হলো ফলের চিনি। সুক্রোজ প্রায় সব উদ্ভিদেই কমবেশি থাকে। তবে আখ ও বিটে থাকে উচ্চমাত্রায়। এ জন্য এই দুটো দিয়ে সহজেই চিনি তৈরি করা যায়। ল্যাক্টোজ হলো দুধের চিনি। অঙ্কুরিত শস্যের মধ্যে মল্টোজ থাকে। গ্লুকোজ একাই স্নায়ুতন্ত্রের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এ কারণে শর্করাজাতীয় খাবারের অভাবে শরীরে দহন ক্রিয়া থেমে যায়। এর ফলে কিটোন বডি নামে শরীরে ক্ষতিকর পদার্থ উৎপন্ন হয়। শর্করা বাদ দেওয়া যেমন খারাপ, তেমনি অতিরিক্ত শর্করা খাওয়াও ক্ষতিকর। কেননা অতিরিক্ত শর্করা শরীরে চর্বি তৈরি করে। ফলে ওজন বেড়ে যায় ও অন্ত্রকে উত্তেজিত করে। এ জন্য শর্করা খেতে হবে সীমিত পরিমাণে, তবে একেবারে বর্জন নয়।

শিশু, কিশোর ও বয়স্কদের বেলায় একইভাবে জাঙ্ক ফুড অর্থাৎ পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, কোমলপানীয় বন্ধ করে সুষম খাবার গ্রহণ করা উচিত। কারণ, জাঙ্ক ফুডে ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। সুষম খাবার গ্রহণ করতে গেলে খাবারের সব কয়টি উপাদান যেমন—আমিষ, শর্করা, চর্বি যার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খেতে হবে।
মোদ্দা কথা হলো, কোনোটাই বাদ দেওয়া যাবে না আবার কোনোটাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/5262#sthash.IoFlFnSM.dpuf

70
Faculty Sections / Re: পেঁপের অনেক গুণ
« on: April 20, 2015, 07:49:53 PM »
thanks

71
শিশুর শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক প্রশান্তির জন্য তার মুখগহ্বরের সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। জন্মের পর থেকে শিশুর এই যত্ন শুরু করা চাই। আর শিশুর বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের যত্ন পুরোদমে নিতে হবে।

শিশুর ডেন্টাল কেরিজ বা ক্ষয়রোগে দাঁতের অবস্থা, ব্যাকটেরিয়া জীবাণুর উপস্থিতি ও শর্করাযুক্ত খাবার গ্রহণ—এ তিনের ভূমিকা প্রধান। স্টেপটোককসাই মিউটেনম নামের মুখগহ্বরের ব্যাকটেরিয়া দাঁতের এনামেল নষ্ট করে প্রধানত ক্ষয়রোগের সুযোগ সৃষ্টি করে। পরে তার সঙ্গে যোগ হয় অন্য জীবাণু।

যখন মা-বাবা শিশুকে জুসভর্তি ফিডার বা বোতল মুখে পুরে দিয়ে ঘুমানোর কাজ সারেন—তা নিঃসন্দেহে দাঁত ক্ষয়ের পথ সুগম করে দেয়। দাঁতের ক্ষয়রোগ উৎপাদনে মুখের ভেতর বেশিক্ষণ ধরে পুরে রাখা শর্করাযুক্ত খাবার অনেকাংশে দায়ী। এ ক্ষেত্রে চুইংগাম বিভিন্ন কোমল পানীয়র শর্করার তুলনায় বেশি ক্ষতিকর।

সাধারণভাবে মোলার দাঁতের (ভেতরের দাঁত) প্রান্ত থেকে ক্ষয় বা পোকায় খাওয়া শুরু হয়। এই পর্বে তা থামানোর ব্যবস্থা না করা হলে দাঁতের আরও গভীরে ঢোকে। পালপাইটিস হয়, মাড়িতে ও দাঁতের চারপাশে পুঁজ, প্রদাহ হয়। আরও ছড়িয়ে তা পাশের দাঁত নষ্ট করে, চোয়ালের অস্থিও ছুঁতে পারে বা মুখ ও মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে যায়।

নষ্ট হওয়া দাঁত চিহ্নিত করতে হবে আগে। ব্যথা-বেদনার জন্য ওষুধ দিতে হবে। সংক্রমণ কতটুকু ছড়িয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে খাওয়ানোর

কিংবা ইনজেকশনের সাহায্যে অ্যান্টিবায়োটিকস দেওয়া যেতে পারে।

প্রতিরোধটাই আসল। শিশুর প্রতি রাতে ও সকালে দুবার ব্রাশ করা, নিয়মিত মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য-পরিচর্যা মানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরও জরুরি শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাসে বোতল ফিডার ব্যবহার না করা।
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/5252#sthash.LZvCa6Wz.dpuf

72
এক নজরে দেখে নিই কি গুন আছে আদায়ঃ

» আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের
জন্য উপকারী।

» কাশি এবং হাঁপানির জন্য আদার রসের
সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করলে বেশ উপশম
হয়।

» ঠান্ডায় আদা ভীষণ উপকারী।
এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল
এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস
করে। জ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যথা ও
মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

» বমি বমি ভাব দূর করতে এর
ভূমিকা অপরিহার্য। তাই বমি বমি ভাব
হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন।
এতে মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায়।

» অসটিও আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড
আর্থ্রাইটিস-এই অসুখগুলোয় সারা শরীরের
প্রায় প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে প্রচুর
ব্যথা হয়। এই ব্যথা দূর করে আদা।
তবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদার
পুষ্টিগুণ বেশি।

» মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিসজনিত
কিডনির জটিলতা দূর করে আদা।
গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ
করে গর্ভধারণের প্রথম
দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগে।
কাঁচা আদা দূর করবে এ সমস্যা।

» দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের
মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের
ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।

73
সুস্থ থাকার জন্য শারীরিক অনুশীলন বা ব্যায়াম করার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এমন কিছু পরিস্থিতি আছে, যখন এ কাজটিও করা যায় না। এ লেখায় থাকছে তেমনই চারটি পরিস্থিতি।

১. যখন আপনি অসুস্থ:
শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলে অনুশীলন করা যাবে না। এমনকি ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ বোধ করলেও তা বাদ দিতে হবে। অসুস্থতার সময় আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। এ ছাড়া সে সময় উদ্যম কমে যাওয়ায় অনুশীলনে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।

২. অনিচ্ছা:
আপনি যখন জিমে যেতে বা ব্যায়াম না করতে মানসিকভাবে চাপ অনুভব করেন, তখন তা না করাই ভালো। এ সময় আপনার দেহ হয় তো বলছে, শারীরিক অনুশীলন আজকে না করতে। আর দেহের এমন কথা মেনে চলাই ভালো।

৩. অতিরিক্ত ক্লান্তি:
অনেক রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকলে পরদিন অতিরিক্ত ক্লান্তি লাগতেই পারে। আর এ অবস্থায় শরীরের পানির মাত্রা স্বাভাবিক না-ও থাকতে পারে। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত খাবার ও পানি পান করে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শারীরিক অনুশীলন করা যাবে না।

৪. আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায়:
কোনো আঘাতই হেলাফেলা করা উচিত নয়। শরীরের যেকোনো আঘাতই আপনার শারীরিক অনুশীলনের আগে বিবেচনা করতে হবে। অন্যথায় শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে এ আঘাতই বেড়ে গিয়ে দেহের বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। আর যদি এ অবস্থায় অনুশীলন করতেই হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

74
অবাক করার মত একটা পোস্ট কারন ঔষধ এর
কাজ করবে কলার খোসা এটা আবার কেমন
কথা। অনেকেই বিশ্বাস ই করবে না কলার
খোসা আবার ঔষধ এর কাজ করে।

বিপুল জনপ্রিয় কলা খেতে যেমন ভালো,
তেমনি ভালো এর পুষ্টি গুন। আরে শুধু পুষ্টি গুন
নয়, কলার খোসাও ব্যবহার করা যায় ঔষধ
হিসাবে তবে চলুন
দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কলার
খোসার কার্যকারিতা সম্পর্কে।

ঝকঝকে সাদা দাঁতের জন্যঃ
প্রাকৃতিক উপায়ে সাদা ঝকঝকে দাঁতের জন্য
কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই
দাঁত থেকে হলদে ভাবটা কিছুতেই
ওঠাতে পারেন না। কলার খোসার ভেতরের
দিকটা দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁত মাজুন।
দাঁতে ব্যথা কমাতেও কলার খোসা ভালো কাজ করে । দাঁতে পাকা কলার খোসা প্রতিদিন
ঘষে টানা এক সপ্তাহ ব্যবহার
করলে তা ভালো কাজে দেবে।

দাদের ওষুধঃ
কলার খোসা দাদের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে।
চুলকালে সেই অংশে কলার
খোসা ঘষে দিলে চুলকানি বন্ধ হবে এবং দ্রুত
দাদ সেরে যাবে।

খোসপাঁচড়া দূর করেঃ
ত্বকে কোথাও পাঁচড়া-জাতীয় কিছু হলে সেই
জায়গায় কলার খোসা মেখে রাখুন,
অথবা কলার খোসা পানির মধ্যে সেদ্ধ
করে সেই পানি দিয়ে সংক্রমিত জায়গা কয়েক
দিন ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।

পোকা-মাকড় কামড়ানোর মহৌষধঃ
যদি কোনো পোকা-মাকড় হঠাত্ কামড়
দিয়ে বসে এবং চুলকাতে থাকে এর জন্য কলার
খোসা কাজে লাগাতে পারেন। দ্রুত ব্যথা ও
চুলকানি সেরে যাবে।

শরীরের অবসাদ কাটায়ঃ
ময়লা হিসেবে কলার খোসা ফেলে দেওয়ার
চেয়ে তা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।
এতে অবসাদ দূর হয়। কলার খোসায় মুড-
নিয়ন্ত্রণ রাসায়নিক সেরোটোনিন
থাকে প্রচুর পরিমাণে। সেই সেরোটোনিন
শরীরের অবসাদ দূর করে।

75
ফর্সা হবেন যেভাবে।।।

ত্বকের রঙ আরও একটু
ফর্সা কমবেশি আমরা সকলেই
করতে চাই। কিন্তুকীভাবে?
ফর্সা তো দূরে থাক, রোজ রোজ
রোদে পুড়ে আরওযেন
কালো হয়ে যায় গায়ের রঙ।
তবে বেশী চিন্তা করতে হবে না,
ত্বকের রঙফর্সা করতে চাইলে রোজ
সকালে ছোট্ট একটি রুটিনমেনে চলুন।
মাত্র ৭ দিনে লক্ষ্য করতে পারবেন
পার্থক্য,
ত্বকেররঙটা হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও
প্রাণবন্ত। ১
মাসটানা মেনে চললে দারুণ উজ্জ্বল
আর ফর্সা হয়ে উঠবে আপনার রঙ।- ঘুম
থেকে উঠেই এক গ্লাস উষ্ণ
পানি খাবেন খালি পেটে।
চাইলে সামান্য মধু মিশিয়েও
খেতে পারেন। এক গ্লাস
উষ্ণপানি কেবল ত্বক নয়, আপনার
বাকি দেহকেও সতেজ করে তুলবে।
এবং আপনার পরবর্তী রূপচর্চার জন্য
ত্বককে প্রস্তুত করবে।-মুখে ভাপ নিন।
একটি হাঁড়িতে গরম পানি নিয়ে সেই
বাষ্পমুখে লাগান কয়েক মিনিট। খুব
বেশী কাছ থেকে বাষ্পলাগাবেন না।
খুব বেশী উত্তাপও যেন না লাগে।
মুখে ভাপদেয়া হলে পরিষ্কার
তুলো দিয়ে মুখ মুছে নিন।-এবার
আসে ফেস মাস্কের পালা।
একটি টমেটো নিন।
মাঝথেকে কেটে দুভাগ
করে ভেতরের পাল্প সবটুকু বের
করে নিন।এর সাথে দিন আধা চামচ
লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ
কাঁচা দুধ,সামান্য মধু। সম্ভব হলে ১
টেবিল চামচ শসার রসও দিন। লেবু
ওটমেটো ন্যাচারাল ব্লিচ
হিসাবে কাজ করবে,
দুধযোগাবে ময়েশ্চার, মধু দূর
করবে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ
আরশসা কমাবে অতিরিক্ত তেল। এই
ফেস মাস্কটি মুখে ও গলায়-
হাতে কিংবা অন্যান্য জায়গায় মাখুন।
২০ থেকে ৩০ মিনিটরাখুন।
রেখে ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে।
মুখমুছে হালকা ময়েশ্চারাইজার
লাগিয়ে নিন।বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন
থাকলে অবশসই সানস্ক্রিন ক্রিম মাখুন।-
ত্বকের রঙ ফর্সা করতে রোজ
সকালে এক গ্লাস গাজরের
জুসখাওয়া অভ্যাস করুন।.....
মিস্টি আলু। বাদাম। কম্লার জুস অনেক
উপকারি।।।

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 14