Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - afrin.ns

Pages: 1 2 [3]
31
বেড়াতে গিয়ে সারা দিনই ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত থাকা হয়। ফলে ত্বক ও চুলের খুব বেশি যত্নআত্তির দিকে নজরও দেওয়া যায় না। তাই ফেরার পরে বারোটা বাজে ত্বক ও চুলের। হারমনি স্পার আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বললেন, বাইরে ঘুরতে গেলে অনেক সময় ধুলাবালুতে ত্বকটা অনেক মলিন হয়ে পড়ে। রোদে ধুলায় অনেকের র‌্যাশ দেখা দেয়। আবার কারও বা ত্বক বার্ন হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। সে জন্য ট্যুরে গেলে অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন, ডে নাইট ক্রিম। ট্যুরটা বেশি লম্বা হলে একটা স্ক্রাবারও সঙ্গে নিতে হবে। তবে সপ্তাহে একদিনের বেশি স্ক্রাবার ব্যবহারের দরকার নেই। খেয়াল রাখবেন, ঘুরতে গেলে রোদটা যেন ত্বকে সরাসরি না পড়ে। সে ক্ষেত্রে ছাতা বা হ্যাট রাখতে পারেন। সারা দিন ঘুরে এসে রাতে মুখ পরিষ্কার করে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। পাশাপাশি ভ্রমণের সময় অনেক পানি, ডাবের পানি, ফল, ফলের সালাদ—এসব খেতে হবে।

ত্বকের পাশাপাশি নজর দিতে হবে চুলের দিকেও। রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন জানালেন চুলের পরিচর্যার কথা। বললেন, আবহাওয়া আর পানির পরিবর্তনের কারণে ভ্রমণে গেলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ। ব্যস্ততার কারণে সে সময় চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়াও সম্ভব হয় না। সমাধান আনতে ভ্রমণে সঙ্গে করে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার আর তেল নিয়ে যান। চুলে তেল দিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেললেই হবে। শ্যাম্পু শেষে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। ব্যস, তাতেই হবে।

তবে শুধু মলিনতা বা শুষ্কতাই নয়, রোদে কারও কারও ত্বক পুড়ে যায় বা ধুলায় র‌্যাশ বের হয়। সেগুলোর সমাধান জানালেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম। তিনি বললেন, বাইরে গেলে সমস্যাগুলো তৈরি হয় বাতাস, ধুলা আর রোদ থেকে। চেষ্টা করতে হবে, এসব যেন সরাসরি ত্বকে না লাগে। সে জন্য শরীরঢাকা পোশাক পরতে হবে। ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। পানির কাছে গেলে অবশ্যই সানস্ক্রিন নিতে হবে। পানিতে রোদের প্রভাব দ্বিগুণ হয়। শীত ও গরমকালের সানস্ক্রিন আলাদা হয় এবং এর কার্যক্ষমতা তিন ঘণ্টার বেশি থাকে না। অন্তত ৩৫ প্লাস পাওয়ারের সানস্ক্রিন রোদে যাওয়ার দশ মিনিট আগে লাগান। ধুলাবালু ও সরাসরি বাতাস থেকে বাঁচতে শরীরের খোলা জায়গায় ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগাতে হবে। বেড়াতে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। এদিকে ত্বকে সান বার্ন বেশি হলে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগানোর পরামর্শ দিলেন এই বিশেষজ্ঞ। বেশি জ্বালাপোড়া করলে ত্বকে পানি দিয়ে তারপর ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম দিতে হবে। সানবার্ন হলে মাইল্ড স্টেরয়েড ক্রিমও দিতে পারেন। দিনে দুবার করে দুই-তিন দিন ব্যবহার করলেই এই সমস্যা চলে যাবে। তবে যদি ত্বকে ফোসকা পড়ে যায় তখন অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ছোট ছোট সমস্যার সমাধান তো হলো। এখন আর বেরিয়ে পড়তে বাঁধা কোথায়? বেরিয়ে পড়ুন সেখানে যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।

32
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, খাদ্যতালিকায় অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপস্থিতি যত বেশি, ক্যানসারের ঝুঁকিও তত বেশি।

ফ্রান্সের সরবোন প্যারিস সিটি ইউনিভার্সিটির গবেষক দলটি মানুষের খাদ্যাভ্যাসের ওপর ওই জরিপটি চালায়। গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে গত বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।

অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কোনগুলো
এ তালিকায় সবার আগে রয়েছে ব্যাপক হারে প্রস্তুত ও বাজারজাত করা পাউরুটি ও বান। রয়েছে চকলেট বার ও মিষ্টান্ন। মিষ্টি অথবা মসলাদার স্ন্যাক্স, সোডা ও মিষ্টি পানীয়, মিটবল, হাঁস-মুরগি ও মাছের নাগেট, ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও স্যুপ, হিমায়িত অথবা দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষিত প্রস্তুতকৃত খাবার এবং চিনি, তেল ও চর্বি দিয়ে তৈরি খাবারও রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়েছে, প্রক্রিয়াজাত মাংস কিছুটা হলেও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া ধূমপানের পর স্থূলতাকে ক্যানসারের সবচেয়ে বড় প্রতিরোধযোগ্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে পরিমিত খাদ্যাভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ উপায়।

33
ভাষা মানুষের মৌলিক অনুষঙ্গ। ভাষাকে কেন্দ্র করেই পৃথিবীতে বেড়ে উঠেছে অসংখ্য জনপদ ও মানবপল্লী। নদীর স্রোত যেমন সদা বহমান, ভাষার গতিও তেমনই অনিঃশেষ ধাবমান। কালের পরিক্রমায় ভাষার গতি কখনো ব্যাহত হয় না। হয়তো মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। উন্নতির শিখরে নয়তো পরিবর্তনের গহ্বরে। পৃথিবীর প্রতিটি ভাষায় রয়েছে নিজস্ব মাধুর্য ও দ্যোতনা। ছন্দের মহিমা ও শব্দবৈভবের কারিশমা। নির্মাণশৈলী ও বর্ণনায়নের রূপময়তা। যে বর্ণনাভঙ্গি ও নির্মাণশৈলী হৃদয়াঙ্গনে সৃষ্টি করে নিসর্গের ব্যঞ্জনা। স্রোতস্বিনীর কল্লোলতা। এবং আরো যা কিছু ভাষাকে দেয় শ্রুতির মধুরতা ও পাঠের মনোহর সুখ। সেটিকে আমরা সাহিত্য বলতে পারি। ভাষা ও সাহিত্য একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অঙ্গাঙ্গিভাবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে জীবনযাত্রায় ভাষা ও সাহিত্যের আবেদন অত্যন্ত ব্যাপক ও বহুধাবিস্তৃত এক অনস্বীকার্য বাস্তবতা।

কবি-সাহিত্যিকরা হলেন ভাষার সেবক। তাঁরা ভাষা-সাহিত্যের সেবা করে যান তাঁদের রচনাসম্ভার ও ভাষাশৈলী উপহার দিয়ে। ভাষার বসনে তাঁরা পরিয়ে দেন সৌকর্যের মণিহার ও অলংকার। তাঁদের অবদান পুঁজি করে এগিয়ে চলে নিজ নিজ জাতির বহুমাত্রিক ও সুদীর্ঘ অভিযাত্রা।

সাহিত্যের রয়েছে রকমফের ও বহু প্রকারভেদ। ইসলামী সাহিত্য ও অনৈসলামী সাহিত্যকে প্রধানতম হিসেবে ধরা যায় এবং আলোচনার অবকাঠামো দাঁড় করানো যায়।

ইসলামী সাহিত্যের রয়েছে আদিগন্ত বিস্তীর্ণ কথকতা। যা নাতিদীর্ঘ ও বিশদ আলোচনার দাবি রাখে। তবে আমরা এ প্রবন্ধে শুধু ইসলামী সাহিত্যের সূচনাপর্বে সাহাবায়ে কেরামের আলোচনা-সমালোচনা কেমন ছিল, সে সম্পর্কে অতিসংক্ষেপে আলোচনার প্রয়াস পাব।

রাসুল (সা.)-এর সাহাবিদের প্রত্যেকেই ছিলেন নিজস্ব ভাষা (আরবিতে) অত্যন্ত পারদর্শী ও সাহিত্যপ্রতিভার অধিকারী। কবিতার ক্ষেত্রে রাসুলের সাহাবিখ্যাত ‘ত্রয়ী’ হাসসান ইবনে সাবিত, আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা ও কাব ইবনে মালিক (রা.)-এর পারঙ্গমতা সাহিত্যমহলে সুবিদিত। প্রধান চার খলিফার তিনজনই সাহিত্যাকাশে চৌদ্দশির মতো আলো ঝলমলে। ইতিহাসের বিভিন্ন বর্ণনানুযায়ী তাঁদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা প্রচুর কবিতা রয়েছে। প্রসিদ্ধ কিছুসংখ্যক সাহাবির শের বা কবিতা নিয়ে বৃহৎ কলেবরে অনেক বইও বের হয়েছে। বাংলাদেশের মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ সাহেবের সংকলনে এমন একটি কিতাব ‘রাওয়ায়ে মিন আশআরিস সাহাবা’ নামে মিসর থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

হজরত আলী (রা.)-এর অসাধারণ পাণ্ডিত্যপূর্ণ বক্তব্য সংকলন ‘নাহজুল বালাগা’র মৌলিক ও অনূদিত কপি বিশ্বের উচ্চশ্রেণির সাহিত্যপ্রতিষ্ঠান ও পাঠকদের কাছে বেশ আদৃত।

34
কোরআন আল্লাহর কিতাব। সৃষ্টি রচিত বই নয়। আল্লাহর পাঠানো গ্রন্থ। আল্লাহ মানুষ ও জিন জাতির পথনির্দেশ হিসেবে এ মহান কিতাব অবতরণ করেছেন। কোরআন আমার জন্য এসেছে। কোরআন আপনার জন্য এসেছে। কোরআন মুসলিমের জন্য এসেছে। কোরআন অমুসলিমের জন্য এসেছে। পণ্ডিত ও মূর্খ উভয়ের জন্য কোরআন এসেছে। দ্বিনদার ও অদ্বিনদার দুজনের জন্য এসেছে কোরআন মজিদ। আলেম, গরআলেম ও জাহেল—সবার জন্য এসেছে কোরআন।

এটাই রবের শেষ চিঠি। এরপর আর কোনো বার্তা নিয়ে আসমানি গ্রন্থ আসবে না। পৃথিবীর মৃত্যু পর্যন্ত এ মহান পুস্তক একমাত্র বার্তাবাহক।

পৃথিবীর অন্য বই পড়ুন, না পড়ুন—এই ঐশী বাণী আপনার পড়া উচিত। এই বই পড়া কর্তব্য। কারণ এই বই আপনার, আমার ও সবার জন্য মেসেজ নিয়ে এসেছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর ভরা এই কিতাব পড়া জরুরি নয় কি? আপনি দ্বিনদার হলে আপনার জন্য কোরআন। দ্বিনদার না হলে কোরআন আরো বেশি জরুরি। কেউ (আস্তাগফিরুল্লাহ) সংশয়ী বা অবিশ্বাসী হলে তার জন্য কোরআন তো পানির মতো জরুরি। কেউ কুফরে থাকলে তার জন্য এই বই বাতাসের মতো অনিবার্য। কেউ সুখ চাইলে তা আছে কোরআনে। কেউ জান্নাত চাইলে তা-ও আছে কোরআনে। জাগতিক সাফল্য চান? কোরআন পড়ুন। আখেরাতে সার্থকতা চান? কোরআনে আছে। উভয় ক্ষেত্রে কামিয়াবি চান? কোরআন পড়ুন, বুঝুন ও আমল করুন।

আল-কোরআন প্রয়োজনীয় সব আয়োজনের কথা বলে। কোরআন পড়লে বুঝবেন, কোরআন আপনার কথা বলছে। আপনার সুখ-দুঃখের গল্প করবে কোরআন আপনার সঙ্গে।

পৃথিবীতে হাজার হাজার ভাষা। বাংলাদেশেও অনেক ভাষা। পাহাড়ে গেলে বুঝবেন, ভাষার তরবেতর ও শব্দের বৈচিত্র্যময় বহুলতা। আমরা কেউ সব ভাষা জানি না, জানা সম্ভবও না। আসল কথা হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নিজের ভাষাটাও জানে না। আমরা তো নিজের বাংলা ভাষাও জানি না। আমাদের ধর্মীয় ভাষা আরবি। সেটি তো একেবারেই অজানা। মরুভূমির মতো আমার কাছে আরবি রহস্যময় ও অনালোচিত-অনালোকিত।

35
Life Style / মহানবী (সা.)-এর রসবোধ
« on: December 09, 2017, 12:10:48 PM »


    হোম আজকের পত্রিকাইসলামী জীবন মহানবী (সা.)-এর রসবোধ



মহানবী (সা.)-এর রসবোধ
মুফতি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০
শেয়ার
মন্তব্য()
প্রিন্ট


মহানবী (সা.)-এর রসবোধ

অ- অ অ+

বিশ্বপ্রভু তাঁর প্রিয় হাবিবকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ও সর্বগুণে গুণান্বিত করে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর শারীরিক গঠন, কথা-বার্তা, কাজ-কর্ম ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে কারো তুলনা নেই।
বরং তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। আল্লাহ তাআলা তাঁর গুণাবলি বর্ণনা করে বলেছেন, ‘অবশ্যই তুমি নীতি-নৈতিকতা ও উত্তম চরিত্রের সর্বোচ্চ শিখরে প্রতিষ্ঠিত। ’ তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোত্কৃষ্ট আদর্শ। ’ এ হিসেবে মহানবী (সা.)-এর সব কথাবার্তা ও কাজ-কর্ম মুমিনের জন্য আদর্শ ও অনুকরণীয় বিষয় (গড়ফবষ)। তিনি রুক্ষ ও  কর্কশ মেজাজের ছিলেন না, কখনো অশ্লীল ও মন্দ কথা বলতেন না। রাজা-বাদশাহ ও নেতাদের মতো গম্ভীর হয়ে বসে থাকতেন না। বরং হাস্যরসের কথায় হাসতেন ও কৌতুক করতেন। কারণ হাস্যরস ও কৌতুক অন্তরের কূটিলতা ও দুশ্চিন্তা দূরীভূত করে দেয়। মহানবী (সা.)-এর কৌতুক একটি নেয়ামত এবং উম্মতের জন্য উত্তম পাথেয়। কৌতুক করা শরিয়তসম্মত ও বিশ্বনবী (সা.)-এর সুন্নত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবায়ে কেরাম মহানবী (সা.)-কে রসিকতা করতে দেখে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি আমাদের সঙ্গে হাসি-তামাশার কথাও বলেন! তিনি বলেন, তবে হ্যাঁ, আমি কোনো অসত্য ও প্রকৃত ঘটনার বিপরীত কিছু বলি না। (তিরমিজি, মিশকাত, পৃষ্ঠা ৪১৬) হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) খোলামেলাভাবে আমাদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। এমনকি তিনি আমার ছোট ভাই, যার নাম ছিল উমাইর, তার সঙ্গে কৌতুক করে বলেন, হে উমাইর! তোমার নুগাইর কোথায়? উমাইরের একটি ছোট নুগাইর তথা পাখি ছিল। উমাইরের সেই পাখিটি মারা গিয়েছিল। সে এই পাখিটি নিয়ে খেলা করত। (বুখারি ও মুসলিম) পাখিটির মৃত্যুতে উমাইর চিন্তিত ছিলেন বলে মহানবী (সা.) এ কথা বলে তাঁর সঙ্গে রসিকতা করেছেন।

মহানবী (সা.) একদা স্নেহের কন্যা হজরত ফাতেমা (রা.)-এর বাড়িতে গিয়ে জামাতা হজরত আলী (রা.)-কে রাড়িতে না দেখে কন্যাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে বাগিবতণ্ডা করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছেন। মহানবী (সা.) মসজিদে নববীতে গিয়ে সেখানে দেখেন, হজরত আলী (রা.) একটি চাদর ঘায়ে জড়িয়ে এমনভাবে শুয়ে আছেন যে তাঁর অর্ধেক দেহ মসজিদে আর অর্ধেক মাটিতে। তখন তিনি কৌতুক করে বলেন, উঠো! হে আবু তোরাব (মাটির পিতা)! এর পর থেকে হজরত আলী (রা.)-এর উপনাম হয়ে যায় আবু তোরাব। (বুখারি) মহানবী (সা.) একদা হজরত আবদুর রহমান (রা.)-এর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান যে তাঁর কোলে বিড়ালের বাচ্চা, তখন তিনি রসিকতা করে বলেন—হে আবু হুরায়রা (বিড়ালছানার পিতা)! এর পর থেকে হজরত আবদুর রহমান (রা.) এই উপনামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। জাহের ইবনে হারাম (রা.) নামে এক গ্রাম্য সাহাবি রাসুল (সা.)-কে গ্রামের জিনিস উপহার দিতেন। তিনিও তাঁকে শহরের জিনিস উপহার দিতেন। রাসুল (সা.) উপহাসের ছলে রসিকতা করে বলতেন, জাহের আমার গ্রাম্য বন্ধু আর আমি তার শহুরে বন্ধু। মহানবী (সা.) তাঁকে ভালোবাসতেন। জাহের ছিলেন কৃষ্ণকায় ব্যক্তি। একদিন তিনি মদিনায় প্রামের জিনিসপত্র বিক্রি করতেছিলেন, তখন মহানবী (সা.) পেছন দিক দিয়ে এসে তাঁকে জাপটে ধরেন। জাহের রাসুল (সা.)-কে দেখতে না পেয়ে বললেন—তুমি কে? আমাকে ছেড়ে দাও। জাহের চেহারা ফিরিয়ে প্রিয় নবী (সা.)-কে দেখতে পেয়ে নিজ দেহ প্রিয়নবী (সা.)-এর দেহ মুবারকের সঙ্গে লাগানোর চেষ্টা করেন। রাসুল (সা.) বলতে লাগলেন, এ গোলামকে কে কিনবে? আমি একে বিক্রি করব। জাহের বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে সস্তায় বিক্রি করতে হবে। কারণ আমি কালো কুিসত। রাসুল (সা.) বললেন, তুমি সস্তা নও, আল্লাহর কাছে অনেক দামি। তা ছিল রাসুল (সা.)-এর রসিকতা। কারণ জাহের গোলাম ছিলেন না। (তিরমিজি, মিশকাত, পৃষ্ঠা ৪১৬)

রাসুলুল্লাহ (সা.) হাসতেন, তবে তা ছিল মুচকি হাসি। একজন দরিদ্র ও বৃদ্ধ সাহাবি স্বীয় স্ত্রীর সঙ্গে জেহার করেন। জেহার হলো—যাদের বিবাহ করা হারাম, তাদের কোনো পূর্ণ অঙ্গের সঙ্গে স্ত্রীর কোনো অঙ্গের তুলনা করা। এরূপ তুলনা করলে কাফ্ফারা দিতে হয়। সাহাবি যখন জেহার করেছেন বলে দাবি করেছেন, তখন রাসুল (সা.) তাঁকে বললেন, তুমি একাধারে ষাটটি রোজা রাখো। সাহাবি বললেন, আমার রোজা রাখার শক্তি নাই। তখন রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে তুমি ষাটজন মিসকিনকে আহার করাও। সাহাবি বললেন, আমার এই সামর্থ্যও নেই। রাসুল (সা.) বললেন, তাহলে একজন গোলাম আজাদ করে দাও। সাহাবি বললেন, আমার কাছে গোলাম ক্রয়ের অর্থ নেই। মহানবী (সা.) বললেন, তাহলে একটু অপেক্ষা করো। একটু পরে একজন সাহাবি একটি পাত্রে করে খেজুর নিয়ে এলেন। রাসুল (সা.) তাঁকে বললেন, এ খেজুরগুলো নিয়ে যাও এবং তোমার আশপাশের দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করে দাও। সাহাবি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার আশপাশে আমার চেয়ে দরিদ্র আর কেউ নেই। তখন রাসুল (সা.) হাসেন এবং বলেন, তুমি তা খেয়ে ফেলো। এটাই তোমার কাফ্ফারা।

হজরত আনাস (রা.) ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একান্ত খাদেম। তিনি অল্প বয়স থেকে তাঁর খেদমত শুরু করেন। মহানবী (সা.) একদা তাঁকে একটি কাজের জন্য প্রেরণ করেন, কিন্তু বালক আনাস (রা.) মহানবী (সা.)-এর নির্দেশের কথা ভুলে গিয়ে অন্য বালকদের সঙ্গে খেলায় মত্ত হয়ে যান। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.) আনাস (রা.)-এর খোঁজে বের হন। অতঃপর গিয়ে দেখেন, বাজারে আনাস (রা.) অন্য ছেলেদের সঙ্গে খেলা করছেন। রাহমাতুল্লিল আলামিন (সা.) হজরত আনাস (রা.)-এর দিকে তাকিয়ে কিছু না বলে হাসতে থাকেন। হঠাৎ করে আনাস (রা.)-এর নজর রাসুল (সা.)-এর দিকে পড়লে তিনি হতবাক হয়ে যান। রাসুল (সা.) জিজ্ঞেস করেন,  আনাস তুমি কি কাজটি করেছ? আনাস (রা.) বলেন—যাচ্ছি হে আল্লাহর রাসুল! (মুসলিম, মিশকাত, পৃষ্ঠা ৫১৮) হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, বিশ্বনবী (সা.) একদিন কোনো এক জরুরি কাজে যাচ্ছিলেন, তাঁর গায়ে ছিল নাজরানি চাদর। তখন একজন বেদুইন রাসুল (সা.)-কে দেখে তাঁর চাদর ধরে জোরে টান দিয়ে বলল, আমাকে আপনার মাল থেকে দেওয়ার নির্দেশ দিন। হাদিস বর্ণনাকারী আনাস (রা.) চাদরের দাগ রাসুল (সা.)-এর গলা মুবারকে প্রত্যক্ষ করছিলেন। কিন্তু বিশ্বনবী কিছু না বলে প্রচণ্ড ব্যথা সহ্য করে বেদুইনের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকেন এবং তাকে মাল প্রদানের নির্দেশ দেন। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত, পৃষ্ঠা ৫১৮)

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বাসুল (সা.) তাঁকে রসিকতা করে বলেছেন, হে দুই কানওয়ালা! তাঁর কর্ণদ্বয় তুলনামূলক বড় ছিল অথবা তিনি কানে অধিক শুনতেন বলে এ উপাধিতে ভূষিত করেন। (তিরমিজি) হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর খেদমতে হাজির হয়ে একটি বাহনের আবেদন করল। মহানবী (সা.) তাঁকে বললেন, আমি তোমাকে একটি উষ্ট্রছানা দেব। লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! উষ্ট্রছানা দিয়ে আমি কী করব? আমার তো এমন উটের প্রয়োজন, যার ওপর আমি আরোহণ করতে পারি। রাসুল (সা.) বললেন, ওহে শোনো! প্রত্যেক উটই তো কোনো না কোনো উষ্ট্রীর ছানা। (তিরমিজি)

হজরত হাসান বসরি (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.)-এর খেদমতে এক বৃদ্ধা এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার জন্য দোয়া করুন যেন আল্লাহ আমাকে জান্নাত দান করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, জান্নাতে কোনো বৃদ্ধা প্রবেশ করতে পারবে না। মহানবী (সা.)-এর কাছে এ কথা শুনে বৃদ্ধা কেঁদে কেঁদে নিরাশ হয়ে ফিরে চললেন। মহানবী (সা.) তখন উপস্থিত সাহাবিদের বললেন, তাকে বলে দাও, সে বৃদ্ধা অবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আল্লাহ তাআলা সব জান্নাতি মহিলাকে চিরকুমারী হিসেবে সৃষ্টি করবেন। যেমন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি ওই সব নারীকে এক বিশেষ অবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছি। অর্থাৎ তাদের কুমারী বানিয়েছি। সহবাসের পর পুনরায় তাদের কুমারীত্ব ফিরে আসবে। ’ (তিরমিজি)

একদিন জামাই-শ্বশুর—মানে নবী (সা.) ও আলী (রা.) একসঙ্গে বসে খেজুর খাচ্ছিলেন। নবী (সা.) খেজুর খেয়ে আঁটিগুলো আলী (রা.) যেখানে আঁটি রাখছিলেন সেখানে রাখছেন। একপর্যায়ে রসিকতা করে নবী (সা.) বললেন, আলী, তোমার দেখছি খুব খিদে পেয়েছে! তোমার পাশে দেখছ তো অনেক খেজুরের আঁটি! জামাইও ছাড়ার পাত্র নন। নবী (সা.)-কে লক্ষ্য করে আলী (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার চেয়ে দেখছি আপনার অনেক বেশি খিদে পেয়েছে! কারণ আমি তো আঁটি ফেলে দিচ্ছি, কিন্তু আপনি তো আঁটিসমেত খেজুর খেয়ে ফেলছেন। এ কথার পর জামাই-শ্বশুর সমস্বরে হো হো করে হেসে উঠলেন।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হাদিসে হাস্যরস করতে নিষেধ করা হয়েছে। ইমাম নববী (রহ.) উভয় প্রকার হাদিসের মাঝে সামঞ্জস্য বিধান করে বলেন, যে কৌতুক ও হাস্যরস অন্তরে কাঠিন্য সৃষ্টি করে অথবা আল্লাহর জিকির ও স্মরণ থেকে গাফিল রাখে কিংবা কোনো মুসলমানের কষ্টের কারণ হয় বা গাম্ভীর্য দূর করে দেয়, এরূপ হাস্যরস ও কৌতুক বৈধ নয়। অন্যথায় মনকে প্রফুল্ল করার উদ্দেশ্যে হাস্যরস ও কৌতুক করা শুধু জায়েজ নয়, বরং মুস্তাহাব।

36
প্রযুক্তির ঢেউ অপ্রতিরোধ্য গতিতে আছড়ে পড়ছে সবার দোরগোড়ায়। একে কাটিয়ে সামনে এগোনো প্রায় অসম্ভব।
তাইতো আজকাল ছোট ছোট বাচ্চার হাতে শোভা পায় স্মার্টফোন। বাসায় টিভি থাকা মামুলি ব্যাপার। প্রযুক্তির অন্যান্য আইটেমের সঙ্গেও আমাদের সন্তানদের দারুণ সখ্য।

প্রযুক্তি গলায় লাগানোর ফল কিন্তু ভালো আসেনি। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের সন্তানরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, আট থেকে ১৪ বছর বয়সের শিশুদের চোখের সমস্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গেম খেলা ও টিভি দেখার কারণে শিশুদের চোখের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর এক জরিপ অনুযায়ী, ঢাকায় স্কুলগামী শিশুদের ৭৭ শতাংশ পর্নোগ্রাফি দেখে! মাঠে খেলাধুলার পরিবর্তে শিশুরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকে স্মার্টফোনের ভিডিও গেমসে, যে গেমগুলোর বেশির ভাগজুড়েই থাকে হিংস্রতা, মারামারি, যুদ্ধ, দখল ইত্যাদি। এমন ভিডিও গেমস শিশুদের ওপর মানসিক প্রভাব ফেলে।
তারা সহিংসতার দিকে ঝুঁকে পড়ে। পরিবার ও সমাজের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। তারা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। ইন্টারনেটের কল্যাণে অশ্লীলতার দুনিয়া থাকে হাতের মুঠোয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাই কেউ কেউ কচি বয়সেই অনৈতিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে অপরাধ। দেখা দিচ্ছে মূল্যবোধের সংকট।

প্রিয় অভিভাবক! আপনার শিশুর প্রতিপালন প্রশ্নে আপনার দায়িত্ব ও জবাবদিহি আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদাররা! তোমরা নিজেদের ও তোমাদের পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো। ’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৬)

প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, আর সবাই তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে। ইমাম একজন দায়িত্বশীল। তিনি তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ দায়িত্বশীল তার পরিবারের। সে জিজ্ঞাসিত হবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। নারী দায়িত্বশীল তঁর স্বামীর গৃহের (তার সম্পদ ও সন্তানের)। সে জিজ্ঞাসিত হবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। ভৃত্যও একজন দায়িত্বশীল, সে জিজ্ঞাসিত হবে তার মুনিবের সম্পদ সম্পর্কে। এককথায় তোমরা সবাই দায়িত্বশীল, আর সবাই জিজ্ঞাসিত হবে সে দায়িত্ব সম্পর্কে। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৩৮; তিরমিজি, হাদিস : ১৭০৫)

তাহলে ভাবুন! আল্লাহ ও শেষ নবীকে স্বীকারকারী আপনার নিষ্পাপ শিশু—যাকে ইসলামের বিধিবিধান জানানো উচিত, যাকে ইসলামের নীতি-আদর্শের ওপর আমল করার শিক্ষা দেওয়া উচিত, তাকে আপনি কী শেখাচ্ছেন? কিভাবে তাকে গড়ে তুলছেন?

তাকে কখনো কাছে ডেকে বুঝিয়েছেন যে চাকচিক্যময় এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। সুতরাং কিছুদিনের নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা যাবে না। ওই মাহবুবের অন্তরে আঘাত করা যাবে না, যিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের কথাই ভাবতেন।

প্রযুক্তিতে ভর করে সন্তান যেন পাপের পথে পা বাড়াতে না পারে, সে জন্য আপনি এই পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন—

এক. তার অনলাইন গতিবিধি নজরে রাখুন। বাসায় কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন খোলামেলা জায়গায় রাখুন। যেন আপনার অগোচরে অনলাইনে উত্তেজক বা বেআইনি বিষয়বস্তু খোঁজার সুযোগ না পায়।

দুই. সে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে কি না খেয়াল রাখুন। দরজা বন্ধ একটা রুম স্থায়িভাবে বরাদ্দ দেবেন না। বলে রাখুন, কোনো প্রয়োজনে বা বাসায় মেহমান এলে তাকে রুম ছেড়ে দিতে হবে।

তিন.  বাসার বাইরে সে কাদের সঙ্গে মেশে, তা খেয়াল করুন।

চার. তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন। তাকে নিয়ে বেড়াতে যান। বন্ধুর মতো আচরণ করুন।

পাঁচ. পড়ালেখার তদারকি করুন। পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হলে অন্য অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের প্রতি মনোযোগ কমতে বাধ্য।

ছয়. আখলাক-চরিত্র গঠনে সহায়ক ও জ্ঞান-বিজ্ঞান সংবলিত বই পড়তে উৎসাহিত করুন।

তবে শুধু এসবই যথেষ্ট নয়, সন্তানকে সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সবার আগে তার অন্তরে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা জাগ্রত করুন। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশনা বোঝান। তাকে কোরআন শেখান। অজু করা ও নামাজ আদায় করা শেখান। কালিমা শেখান। আল্লাহর কাছে দোয়া করতে শেখান। নরম স্বরে কথা বলা শেখান। মা-বাবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা শেখান। কথায় ও কাজে সত্যবাদী হওয়া শেখান। অন্যথায় প্রযুক্তির দুনিয়ায় আপনার সন্তান পথ হারাতে পারে। এই পথবিচ্যুতি তার ইহকাল ও পরকালে অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। হুঁশিয়ার!

37
Fashion / 12 TIPS TO KEEP SKIN SOFT AND GLOWING IN WINTER
« on: December 09, 2017, 11:54:52 AM »
Winter weather is not fun for skin. Cold weather and low humidity levels result in dry air, which then steals moisture away from the skin every second of every day. Without immediate care, dry skin can lead to cracking and bleeding, and harsh winter wind makes the problem worse. Indoor heat further robs the air of moisture, as do hot showers or baths and harsh cleansers.

Additional moisture helps, but you need to do more to actually counteract these effects and keep skin looking youthful and smooth. To reduce chapping, redness, itching, and keep skin more healthy and comfortable this season, try these tips.

1. WASH IN LUKEWARM WATER
Hot showers and baths always feel good in the winter, but when you can, particularly when just washing your face or hands, choose lukewarm water to avoid stripping as many oils away from the skin.

2. MOISTURIZE IMMEDIATELY AFTERWARDS
Your skin not only needs more moisture, but moisture right after you wash. Applying moisture to damp skin helps seal that dampness into the skin. Keep a bottle near the bathtub, shower stall, and at every sink and use liberally every time you wash.

3. CHOOSE MOISTURIZER CAREFULLY
Some over-the-counter moisturizers have petroleum-based ingredients that can actually further dry your skin in the winter months. Be sure to choose a smart formula that has natural, nourishing ingredients. Go for an oil-based rather than a water-based solution, as it’s more likely to help your skin retain moisture in the winter. Try Indie Lee’s natural moisturizing oils, as they’re made with natural, hydrating ingredients like lavender, chamomile, jojoba, and more, which help soothe dry, itchy skin.

4. PROTECT
Get used to wearing gloves and scarves to protect skin from cold winds, rain, and snow. Also, don’t forget the sunscreen. Winter sun can be just as damaging as summer sun, so apply a safe option like zinc oxide or titanium dioxide to any exposed areas.

5. HUMIDIFY
Heating systems dry out the air, so consider installing a humidifier in your home, particularly in your bedroom, to put moisture back into the air and help prevent your skin from drying out.

6. DRINK
We tend to drink less water in the winter because we turn to hot drinks like cocoa and tea, but don’t forget that your skin needs hydration from the inside, out. A little warm water with lemon can be very refreshing and hydrating at the same time.

7. OVERNIGHT MOISTURIZE
Dryer areas like hands, feet, elbows, and knees have thin skin and tend to lose moisture faster than other areas on the body. Consider slathering on a deep moisturizing balm Skin Food by Weleda at night, then wear cotton gloves and socks to seal in the moisture until morning.

8. EXFOLIATE
We often forget to help the skin slough off dead cells in the winter, particularly on our hands. Yet moisture can’t get in if the dead cells are too plentiful. Find an exfoliating mask and use it on your face and your hands, as well as gently on your lips, then follow immediately with moisture to truly see a smoother difference. Exfoliating body washes are also helpful in the winter months.

9. AVOID TOXINS, SPECIFICALLY ALLERGENS AND IRRITANTS
Particularly if you have eczema, dermatitis, or psoriasis, you have to avoid allergens and irritants that may trigger a flare up. Winter skin is more fragile, so avoid irritating fabrics (like wool) and chemical-laden detergents, and use mild cleansers and moisturizers designed for sensitive skin. In addition, glutathione is considered the “master anti-oxidant” and helps your body detox.

10. HYDRATE FROM THE INSIDE OUT
Eating foods high in water content can help hydrate your skin from the inside out. Try watermelon, cantaloupe, apples, oranges, kiwi, and watery veggies like celery, tomatoes, cucumbers, zucchini, and carrots. Make sure you’re getting enough vitamin C and zinc to support the healthy production of collagen and elastin. Also consider Be Well’s omega-3 supplement, or consume more fatty fish and flaxseed to give your skin the building blocks it needs to appear supple and smooth.

11. CHANGE YOUR CLEANSER
Cleansers can be extremely drying to the skin. If you’re used to using options that contain glycolic or salicylic acid, rotate with a more hydrating version that contains moisturizing ingredients. Try like Suki Naturals Moisture-Rich Cleansing Lotion, or for really dry skin, try a cleansing balm like Ren No. 1 Purity Cleansing Balm. After cleansing, don’t leave the skin naked for more than 30 seconds, as this can dehydrate it, leading to increased dryness. Apply a hydrating toner and moisturizer to seal in moisture.

12. USE DIY MASKS
Homemade hydrating masks can provide needed moisture in the winter months. Use natural moisturizing ingredients like honey, avocado, yogurt, olive and jojoba oils, almond oil, bananas, and aloe. Mix what you like together to create a cream or paste, and leave on skin for 10-30 minutes for lasting hydration.

38
Fashion / 6 Ways to Immediately Improve Your English Communication Skills
« on: December 09, 2017, 11:49:45 AM »

6 Ways to Immediately Improve Your English Communication Skill


1. Slow Down Your Speaking Speed

You might be an eloquent speaker when it comes to your mother tongue, but expecting the same standards from yourself when speaking in a foreign language may not be very realistic.

Especially, if you’re at the early stages of learning. Learners are often told not to worry about the mistakes they’re making, however, it is easy to understand why you would like to make a good impression on your audience.
To overcome this difficulty, you may try slowing down your speaking speed.

Nobody will hold it against you if you speak more slowly and clearly. Great speakers do the same to get their message across. Selecting your words carefully may also be seen as a sign of respect towards your audience. It shows that you want to give them the best possible answer.

2. Give Yourself Time to Think
You may be worried that the people you’re talking to are impatient and would like you to say what you want as quickly as possible.

First of all, it may not be true – people often prefer a well-thought-out answer to a rushed one.
So just relax.

Another practical thing you can do is equipping yourself with fixed phrases you can use when remaining silent doesn’t seem to be an option. Here’s an example:

Why is there so much violence on TV? That’s a good question. Let me think for a moment, I haven’t really thought about it before. Well, I suppose…
Here the speaker gains considerable amount of time to reflect just by repeating the question and adding a few sentences. If you do the same, you’ll sound more fluent and won’t feel the pressure of having to say something before you’re ready.

Fixed or set phrases are phrases whose words are usually fixed in a certain order. They can be verb patterns, idioms, collocations – basically anything we always say in one particular way.

3. Learn Sentences, Not Only Words

There might come a time when you can use one particular sentence with little, or no alteration at all. Unfortunately, many people learn words by heart, but have no idea how to use them in a sentence.

It will be such a relief not having to worry about whether the sentence is correct grammatically or not. Let’s look at an example:

to appreciate = to recognize the value of something/somebody

I think it’s necessary to feel appreciated in a relationship/ at work.
I appreciate all your hard work.
Isn’t it much more useful to memorize ’appreciate’ this way?

4. Learn to Listen

When speaking in a foreign language, you might be so focused on what you are saying and whether it’s correct or not, that you forget to listen to what others are saying.

This is a big mistake as they might be using the exact words or grammar you’ll be needing later on. So pay attention to what’s being said around you, it’s your most important resource at the time of speaking to someone.

5. Practise Your Interrogatives
We also need to keep in mind the fact that communication is a two-way process. Not only does it make you seem uninterested – even rude – if you don’t ask questions, you might also end up being the one who has to do all the talking. So, when you’ve run out of ideas about what to say next, remember: others might have something to add.

What are your views on that?
How about you? What do you think?
Why do you think there’s so much violence on TV?
Questions like this will keep the conversation going and will show your interest in other people’s opinion. They will also give you time to relax a little and start enjoying yourself.

Produce, Produce, Produce
As I said at the beginning of this article, you might know a lot about the language, but this is passive knowledge that must be activated somehow. Your aim is to be able to produce correct English; practice is undeniably the best way to learn and improve.

Writing is one way of producing language; it may help you get used to and reflect on the ways English operates, which, in turn, might prove to be useful when speaking.



39
Resolution: Lose Weight

Losing weight is the No. 1 resolution in 2014. Given that 69 percent of Americans over the age of 19 are either overweight or obese, that shouldn't be a shocker. What may come as a surprise, though, is that red meat — beef, pork and lamb — may be a key culprit making us fat.

A June 2005 study in the American Journal of Clinical Nutrition, for example, followed some 55,000 healthy, middle-aged Swedish women. The researchers found that vegans, vegetarians who ate dairy products, and study participants who ate poultry but avoided red meat had a lower risk of being overweight or obese than their more carnivorous counterparts. "The take-home message," lead study author P.K. Newby, a scientist at Tufts University, told the Washington Post, "is that individuals who have the lowest risk of being overweight or obese are consuming a mostly plant-based diet."

The American Journal of Clinical Nutrition published an even bigger study in June 2010 involving roughly 100,000 men and 270,000 women between the ages of 25 and 70 in 10 European countries. The study, which analyzed the connection between weight gain and total meat, red meat, poultry and processed meat consumption, found that a subject increasing his or her meat intake by 9 ounces a day — the equivalent of one steak at 450 calories — would lead to a weight gain of nearly 4 and a half pounds over a five-year period.

So if you want to shed some pounds, you should cut back on beef, as well as pork and lamb.

Resolution: Spend Less, Save More

Eating less meat — especially the more expensive grades of beef — will fatten your wallet. The most recent available government data peg the average cost of a pound of ground beef at $3.88, roast beef at $4.88, and steak at $6.33. If you want to splurge, the top of the line sirloin — USDA Choice boneless — will set you back $6.80 a pound. Meanwhile, ham — excluding canned and luncheon slices — costs only $2.80 a pound, and a whole chicken, $1.52 a pound. Even boneless chicken breasts are only $3.45 a pound, still less than ground beef.

Eating pasta or beans at least once a week instead of meat would stretch your dollars further. For example, if a family of four substituted a meatless spaghetti dinner ($1.29 a pound) for roast beef ($7.32 for one and a half pounds), they would save around $6. That's an annual savings of $312.

Resolution: Stay Fit and Healthy

If you want to stay fit, exercise regularly. If you want to stay healthy and live longer, eat less red meat, which has been linked to cancers, cardiovascular disease and diabetes.

In March 2009, a 10-year National Cancer Institute review of studies that followed half a million Americans found that those who ate 4 ounces of red meat or more daily increased their overall risk of premature death 30 percent compared with those who consumed less. Sausage, luncheon meats and other processed meats also increased the risk. Those who ate mostly poultry or fish had a lower risk of premature death.

A March 2012 Harvard School of Public Health review, meanwhile, looked at studies that collectively followed 120,000 Americans' eating habits over a 28-year period. It found that people who ate a serving of beef, pork or lamb every day had a 13 percent increased risk of premature death compared with those who ate little or no red meat. Daily helpings of processed meat, such as two slices of bacon or one hot dog, increased the risk of premature death 20 percent.

The Harvard review also found that replacing one serving of red meat with fish, poultry, nuts, legumes, low-fat diary or grains was associated with a 7 percent to 19 percent lower mortality risk. The researchers estimated that 9.3 percent of male deaths and 7.6 percent of female deaths could have been prevented if study participants had consumed less than half a serving of red meat per day.

"This study provides clear evidence that regular consumption of red meat, especially processed meat, contributes substantially to premature death," said review co-author Dr. Frank Hu in a press release issued by the Harvard School of Public Health. "On the other hand, choosing more healthful sources of protein in place of red meat can confer significant health benefits by reducing chronic disease morbidity and mortality."

Pages: 1 2 [3]