106
Law of Bangladesh / বিশেষ ক্ষমতা আইন অপরাধের আগেই আটক
« on: June 06, 2013, 01:05:54 PM »
রাষ্ট্র ও সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই আইন। অপরাধীকে শাস্তি ও নিরাপরাধকে মুক্তি ও ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যই অনেক ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে ভবিষ্যতে কোনো ক্ষতিকর কাজ করা থেকে নিবৃত্ত করার জন্য আটকাদেশ দেওয়া হয়। জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই এ বিধান।
অতীতে যদি কেউ কোনো ক্ষতিকরা কাজ করে অর্থাৎ ক্ষতিকর কাজ যদি ইতোমধ্যেই করা হয়ে থাকে এবং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি না হওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে সেক্ষেত্রে আটকাদেশ প্রদান করা হলে এটি আইনের দ্বারা সমর্থন করা যায় না।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) মতে, সরকার যদি কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় যে, কোনো ক্ষতিকর কাজ থেকে তাকে নিবৃত্ত করা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে সরকার তাকে আটক রাখার নির্দেশ দিতে পারে।
দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, কোনো বন্দী যদি ইতোমধ্যেই ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় অর্থাৎ বিষয়টি অতীত হয়েছে এবং একই বিষয়ে ভবিষ্যতে কোনো ক্ষতিকর কাজ করার সুযোগ নাই। সেক্ষেত্রে আটকাদেশ দেওয়ার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই।
এ ক্ষেত্রেই আর একথা বলার সুযোগ নাই যে, ভবিষ্যতে ক্ষতিকর কোনো কাজ করা থেকে বিরত রাখার জন্যই আটকাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
শুধু জননিরাপত্তার জন্যই সরকার বন্দীকে আটক রাখিবার নির্দেশ দিতে পারেন। তাই যার মাধ্যমে আর কোনো ক্ষতিকর কাজ হওয়ার সম্ভাবনা নাই তাকে এ আইনের মাধ্যমে আটক রাখার কোনো কারণ নাই। তাই এ জাতীয় আটকাদেশ অবৈধ ক্ষমতা বর্হিভূত।
অপরাধ করা হয়ে গেলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিধানমতে আটকাদেশের যথেষ্ট কারণ থাকে না। বন্দীকে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হয়েছে শুধু এই কারণে আটকাদেশ দেওয়া যাবে না যদি না তার আটকাদেশ বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিধানের আওতায় পড়ে।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যই অনেক ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে ভবিষ্যতে কোনো ক্ষতিকর কাজ করা থেকে নিবৃত্ত করার জন্য আটকাদেশ দেওয়া হয়। জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই এ বিধান।
অতীতে যদি কেউ কোনো ক্ষতিকরা কাজ করে অর্থাৎ ক্ষতিকর কাজ যদি ইতোমধ্যেই করা হয়ে থাকে এবং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি না হওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে সেক্ষেত্রে আটকাদেশ প্রদান করা হলে এটি আইনের দ্বারা সমর্থন করা যায় না।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) মতে, সরকার যদি কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় যে, কোনো ক্ষতিকর কাজ থেকে তাকে নিবৃত্ত করা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে সরকার তাকে আটক রাখার নির্দেশ দিতে পারে।
দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, কোনো বন্দী যদি ইতোমধ্যেই ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় অর্থাৎ বিষয়টি অতীত হয়েছে এবং একই বিষয়ে ভবিষ্যতে কোনো ক্ষতিকর কাজ করার সুযোগ নাই। সেক্ষেত্রে আটকাদেশ দেওয়ার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই।
এ ক্ষেত্রেই আর একথা বলার সুযোগ নাই যে, ভবিষ্যতে ক্ষতিকর কোনো কাজ করা থেকে বিরত রাখার জন্যই আটকাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
শুধু জননিরাপত্তার জন্যই সরকার বন্দীকে আটক রাখিবার নির্দেশ দিতে পারেন। তাই যার মাধ্যমে আর কোনো ক্ষতিকর কাজ হওয়ার সম্ভাবনা নাই তাকে এ আইনের মাধ্যমে আটক রাখার কোনো কারণ নাই। তাই এ জাতীয় আটকাদেশ অবৈধ ক্ষমতা বর্হিভূত।
অপরাধ করা হয়ে গেলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিধানমতে আটকাদেশের যথেষ্ট কারণ থাকে না। বন্দীকে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হয়েছে শুধু এই কারণে আটকাদেশ দেওয়া যাবে না যদি না তার আটকাদেশ বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিধানের আওতায় পড়ে।