Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - nmoon

Pages: [1] 2 3 ... 16
1
চাকরিজীবী মানুষের পক্ষে ওজন কমানো কঠিন একটা কাজের মধ্যেই পড়ে। বাড়ি এবং অফিসের নানা কাজ, তাছাড়া কাজের ফলে সৃষ্ট শারীরিক এবং মানসিক চাপ যেকোন মানুষের জন্যই অসহনীয়। ওজন কমানোর পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে চাইলে চাকরিজীবী মানুষের জন্য সঠিক খাবার বেছে নেওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই কাজের চাপে খাবারের দিকে নজরই দিতে পারেন না। তাদের জন্যই সহজ একটি খাদ্যতালিকা তুলে ধরা হলো-

১. সকালের নাস্তা

সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। বেশিরভাগ খাদ্যবিশেষজ্ঞ সকালের নাস্তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, কারণ আট ঘণ্টা আমরা ঘুমের মধ্যে অতিবাহিত করি সেইসময়ের খাদ্যের অভাব সকালের নাস্তা পূরণ করে থাকে। ঘুম থেকে ওঠার পর সকালের সময়টাতে আমাদের শরীর বিভিন্নরকম পুষ্টি উপাদান গ্রহণের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী থাকে। উল্লেখ্য, সকালে না খেয়ে থাকা ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। সকালের নাস্তায় আমিষ, স্নেহজাতীয় খাবার, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থযুক্ত খাবারের আদর্শ মিশ্রণ থাকা প্রয়োজন। সকালে ডিমের অমলেট বা সেদ্ধ ডিম, বিভিন্নরকম ফল বা ফলের রস, দুধ, লাল আটার রুটি ইত্যাদি নাস্তা হিসেবে গ্রহণ করা খুবই স্বাস্থ্যকর। ওজন কমাতে চাইলে সকালে ময়দাযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।

২. বেলা ১১টার খাবার

এই সময়টাতে বেশিরভাগ মানুষেরই খিদে পায়। দুপুর হতে হতে সকালে খাওয়া নাস্তা পুরোপুরি হজম হয়ে যায়। কিন্তু দুপুর হওয়ার ১-২ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ মধ্যাহ্নভোজের পূর্বের ক্ষুধা নিবারণের জন্য কিছু হালকা খাবার না হলেই যেন নয়। এসময় একবাটি ফল অথবা একমুঠো বাদাম বেশ পুষ্টিকর। তাছাড়া কাঁচা খাওয়া যায় এমন সবজি, ফল, স্মুদি বা ফলের রস বেশ স্বাস্থ্যকর খাবার।

৩. মধ্যাহ্নভোজ

দুপুরের খাবার আমাদের সারাদিনের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে থাকে। এই সময়টাতে আমাদের দেহের শক্তি ফুরিয়ে আসে। তাই এসময়ে যথাযথ খাবার খাওয়া প্রয়োজন যাতে তন্দ্রা এবং অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা এড়িয়ে চলা যায়। দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত, ডাল, রুটি, সবজি, সালাদ খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর।

৪. বিকেলের নাস্তা

বিকাল চারটা থেকে ছয়টা দিনের কঠিনতম সময়। এসময়ে দুপুরের খাবার পুরোপুরি হজম হয়ে যায় এবং সারাদিন অফিসের কাজের চাপে শরীরের শক্তি শেষ হয়ে আসে। তাছাড়া রাতের খাবার খাওয়ার সময় বেশ দূরে থাকায় ক্ষুধায় মন আনচান করতে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সময়ে আমরা নানান অপুষ্টিকর এবং মেদযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি। প্রায় সকলেই এসময় অফিস ক্যান্টিন বা রাস্তার ধারে পাওয়া স্যান্ডউইচ, বার্গার, সিঙ্গারা, সমুচা ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকেন। এসময় আমাদের হজমশক্তি বেশ নেতিয়ে পড়ে এবং এসকল খাবার খাওয়ার ফলে ওজন ও মেদ বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ওজন এবং মেদ দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এসময় সালাদ, শুকনো ফল বা একবাটি দই খেতে পারেন।

৫. নৈশভোজ

ওজন নিয়ে যাদের মাথাব্যথা বেশি তাদের জন্য রাতের খাবার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চাকরিজীবী মানুষজন সাধারণত রাত ৮-৯ টার মধ্যে বাড়ি ফিরে থাকেন। এ কারণে সারাদিনের ব্যস্ত সময় শেষে এ সময় সবার নজর থাকে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে। বাড়ি ফেরার আগে খিদে পেলে হালকা খাবার হিসেবে একটি রুটির সাথে সামান্য সবজি এবং ফল খেয়ে নেওয়া বেশ উপকারী। এর ফলে প্রচণ্ড ক্ষুধায় জর্জরিত হয়ে রাতের খাবারের উপর ঝাপিয়ে পড়ার মতো কাণ্ড ঘটার সম্ভাবনা কম থাকে। রাতের খাবার হিসেবে ভাত, ডাল, সবজি, মুরগীর মাংস, মাছ, সালাদ, সামান্য আলু পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত।

2
সারা জীবনে একজন মানুষের বিমান দুর্ঘটনায় পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এরপরেও অনেকেই বিমানে ভ্রমণ করা নিয়ে প্রচণ্ড ভীতির মাঝে থাকেন। বিমান দুর্ঘটনায় যদি দুর্ভাগ্যক্রমে পড়েই যান, তাহলে কী করবেন? মাটি বা পানিতে বিমান আছড়ে পড়ার আগে নিজেকে প্রস্তুত করাটা জরুরি। এ ব্যাপারে একজন বিমান চালক দিয়েছেন কিছু টিপস।

৯ মে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের বিমানের এক পাইলট, ডেভ ইঞ্চের কিছু পরামর্শ। বিমান দুর্ঘটনা হলে নিজেকে বাঁচাতে কী করা যায়, সে বিষয়েই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

১) পকেট থেকে ধারালো জিনিস বের করে ফেলুন। বেল্ট আলগা করুন, টাই বা স্কার্ফ খুলে ফেলুন। হাই হিল জুতা পরা থাকলে তা খুলে ফেলুন।

২) চশমা খুলে হাতের কাছে রাখুন, যাতে বিমান থেকে বের হবার সময়ে তা ব্যবহার করতে পারেন।

৩) বিমান থেকে বের হবার রাস্তাটি আপনার কতটা কাছে, তা মনে রাখুন। ধোঁয়ায় কেবিন ঢেকে গেলেও যেন রাস্তাটি খুঁজে পান এমন কোন চিহ্ন আছে কিনা খেয়াল করুন।

৪) দুর্ঘটনার আগে কেবিনে সবাই চিৎকার চেঁচামেচি করতে পারে। এ সময়েও ধৈর্য ধরে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের কথা শোনার চেষ্টা করুন। তার দেওয়া পরামর্শ আপনার জীবন বাঁচাতে পারে।

৫) ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা বা ভিডিও করার চেষ্টা করবেন না। মনোযোগ হারালেই আপনি বিপদে পড়তে পারেন।

৬) বিমান ক্র্যাশ ল্যান্ড করার পর হুড়োহুড়ি করে বিমান থেকে বের হবার চেষ্টা করবেন না। ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করুন।

৭) এক টুকরো কাপড় সঙ্গে রাখুন। সম্ভব হলে তা ভিজিয়ে নিন। ধোঁয়ার মাঝে নিঃশ্বাস নিতে তা সাহায্য করবে।

৮) বিমান যদি পানিতে পড়ে যায়, তাহলে লাইফ ভেস্ট আগেই ফুলিয়ে নেবেন না। তাহলে বিমানের ভেতরে আটকা পড়ে যাবেন।

প্রিয় লাইফ/গোরা

3
Faculty Sections / Re: A new technology - Teleportation
« on: April 30, 2018, 09:27:35 PM »
Thanks for sharing this new technology.

4
Faculty Sections / Re: ব্রকলির নানা পদ
« on: April 22, 2018, 02:23:04 PM »
Thanks for this informative post.

5
Faculty Sections / Re: সসেজ নাকি নাগেটস
« on: April 22, 2018, 02:19:53 PM »
Thanks for the valuable post.

6
Thanks for this informative post.

7

বিশাল বড় এক ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে পৃথিবীতে, ঘটতে পারে তিনশ’ বছর আগের পুনরাবৃত্তি। কিন্তু কী হয়েছিল ৩শ’ বছর আগে? আর আশংকা সত্য হলেই বা পরিণতি কী হবে?

প্রায় ৩শ' বছর আগে 'বড়' এক ভূমিকম্পের কারণে কীভাবে সারা বিশ্ব প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, তার একটি প্রতিরূপ দেখিয়েছে মহাসাগর ও আবহাওয়া বিষয়ক মার্কিন রাষ্ট্রীয় দপ্তর।

১৭৭০ সালের ২৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে ৯.২ মাত্রার একটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। এটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এর ফলে সুনামি সৃষ্টি হয়। ওই সুনামি গিয়ে আঘাত হানে জাপান উপকূলে।

প্রায় প্রতি ৪শ’ থেকে ৬শ’ বছরের মধ্যে এমন একটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। আর যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে এমন আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা- জানিয়েছে স্কাই নিউজ। আর যদি তাই হয়, এর ফলে মারা যেতে পারে সহস্রাধিক মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)-এর তৈরি প্রতিরূপে দেখানো হয়, সুনামির বিস্তার ক্যাসক্যাডিয়া সাবডাকশন জোন উপকেন্দ্র থেকে হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে তটরেখার কিছু অংশ লাল রঙ ধারণ করে, যার মানে হচ্ছে এখানে ঢেউগুলো তিন মিটার উচুঁ।

পনের ঘন্টা পর জাপানের পূর্ব তটরেখা, ফিলিপাইন্স, পাপুয়া নিউ গিনি আর ইন্দোনেশিয়ায় একই উচ্চতার ঢেউ দেখা যায়।  ভিডিওতে দেখা যায়, এই সুনামির আঘাত প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল।

ওই ভূমিকম্পের সমমাত্রার একটি ভূমিকম্প আবার আঘাত হানলে, জনবহুল অঞ্চলগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও হবে ব্যাপক।

কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায়, এর ফলে ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে, আর বাস্তুচ্যুত হতে পারেন প্রায় দশ লাখ মানুষ।

সে সময় ডুবে যাওয়া গাছ আর জমে থাকা কাঁদা দেখে, ভূমিকম্পটির ধরন আর তারিখ শনাক্ত করা হয়। আর জাপানের ঐতিহাসিক রেকর্ডগুলো থেকে কোথায় কোথায় বিশাল ঢেউগুলো আঘাত হানে তা বের করা হয়।

ইতোমধ্যে সম্ভাব্য ‘বড়’ এই ভূমিকম্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ।

8

সাগরের পানির ক্রমবর্ধমান উচ্চতা বৃদ্ধি ঠেকানোর একটি উপায় হিসেবে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে সমুদ্রের পানি পাম্পিং-এর কার্যকারিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন জার্মানীর গবেষকেরা। তবে, এ প্রক্রিয়ার সম্ভাব্যতা ও ঝুঁকির বিচারে এ ধারণা বর্জন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

সমুদ্রের পানি পাম্প করে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে পরিবহন করা হলে এ পানি জমে বরফে পরিণত হবে, যার ফলে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তা সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। তবে এ প্রক্রিয়ায় অ্যান্টার্কটিকার কমপক্ষে ৪৩০ মাইল (৬৯০ কিমি) ভেতরে পানি পরিবহনের প্রয়োজন হবে, যাতে বিশ্বের বর্তমান বার্ষিক উৎপাদিত শক্তির শতকরা দশ শতাংশের বেশি ব্যয় হবে। এ ছাড়াও অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের কাছে পানি পাম্প করা হলে তা অবশিষ্ট বরফকে বাইরের দিকে ঠেলে দেবে, যা স্বাভাবিক বরফ হ্রাসের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এর ফলে অ্যান্টার্কটিক-এর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

এ বিষয়ে আর্থ সিস্টেম ডায়নামিকস জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনের প্রধান লেখক কাটজা ফ্রিলার জানান, এ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সবক্ষেত্রে সম্ভব না। এছাড়াও তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিস্থিতি অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল হতে পারে- যার ফলে নিউ ইয়র্ক হয়তো বেঁচে যেতে পারে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশকে বাঁচানো যাবেনা, আর তা স্পষ্টভাবেই ন্যায্যতার প্রশ্ন তোলে।”

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পটসড্যাম ইনস্টিটিউট-এর অ্যান্ডার্স লিভারম্যান বলেন, “সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ব্যাপারটির ব্যাপকতা এতো বেশি, কোনো কল্পনাযোগ্য প্রকৌশলগত প্রক্রিয়ায় তা হ্রাস করা যাবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম।”

যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বর্তমান হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে, তবে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৩০ সেমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করেন কয়েকজন বিজ্ঞানী।

9

সাগরের পানির ক্রমবর্ধমান উচ্চতা বৃদ্ধি ঠেকানোর একটি উপায় হিসেবে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে সমুদ্রের পানি পাম্পিং-এর কার্যকারিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন জার্মানীর গবেষকেরা। তবে, এ প্রক্রিয়ার সম্ভাব্যতা ও ঝুঁকির বিচারে এ ধারণা বর্জন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

সমুদ্রের পানি পাম্প করে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে পরিবহন করা হলে এ পানি জমে বরফে পরিণত হবে, যার ফলে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তা সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। তবে এ প্রক্রিয়ায় অ্যান্টার্কটিকার কমপক্ষে ৪৩০ মাইল (৬৯০ কিমি) ভেতরে পানি পরিবহনের প্রয়োজন হবে, যাতে বিশ্বের বর্তমান বার্ষিক উৎপাদিত শক্তির শতকরা দশ শতাংশের বেশি ব্যয় হবে। এ ছাড়াও অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের কাছে পানি পাম্প করা হলে তা অবশিষ্ট বরফকে বাইরের দিকে ঠেলে দেবে, যা স্বাভাবিক বরফ হ্রাসের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এর ফলে অ্যান্টার্কটিক-এর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

এ বিষয়ে আর্থ সিস্টেম ডায়নামিকস জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনের প্রধান লেখক কাটজা ফ্রিলার জানান, এ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সবক্ষেত্রে সম্ভব না। এছাড়াও তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিস্থিতি অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল হতে পারে- যার ফলে নিউ ইয়র্ক হয়তো বেঁচে যেতে পারে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশকে বাঁচানো যাবেনা, আর তা স্পষ্টভাবেই ন্যায্যতার প্রশ্ন তোলে।”

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পটসড্যাম ইনস্টিটিউট-এর অ্যান্ডার্স লিভারম্যান বলেন, “সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ব্যাপারটির ব্যাপকতা এতো বেশি, কোনো কল্পনাযোগ্য প্রকৌশলগত প্রক্রিয়ায় তা হ্রাস করা যাবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম।”

যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বর্তমান হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে, তবে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৩০ সেমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করেন কয়েকজন বিজ্ঞানী।

10
পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য নতুন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বানিয়েছে ভারতের একটি গবেষক দল। ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে এই বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া তৈরি করেছে দেশটির আসাম প্রদেশের গুয়াহাটির আইএএসএসটি -এর দলটি।


ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, কার্বন ন্যানোপার্টিকেলের মূল ভিত্তি চিতোসানের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বায়োপলিমার দ্বারা পানি বিশুদ্ধ করা যায়। চলতি বছরের ৩০ মার্চ এক প্রতিবেদনে এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক  দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “এই প্রযুক্তিতে বায়োপলিমারে ন্যানোপার্টিকেলই কার্যকরী অংশ। সাধারণ পানিবিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মতই এটি আয়ন বিনিময়ের মাধ্যমে পানি থেকে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম নিঃসরণ করে।" তিনি আরও বলেন, ~আমরা বলছি, এই পদার্থই পানি বিশুদ্ধকরণের ক্ষেত্রে প্রথম নিরাপদ  এবং জীবাণুবিয়োজ্য (বায়োডিগ্রেবল) পদার্থ।”  এখানে বায়োডিগ্রেবল বলতে বোঝানো হয়েছে যে পদার্থ খুব সহজে ভেঙ্গে যেতে পারে এবং জীবানু নিঃসরণ করে।

ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, অন্যান্য পানিবিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় যেখানে সিনথেটিক রেজিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেখানে এই প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে জীবাণুবিয়োজ্য।  নতুন এই প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই পুকুরের পানিতে সফলভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। আর এটি নাগরের পানির প্ল্যান্টে ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

11
ইবোলা এখন আর ‘স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ হুমকি নয়’ এবং এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও এখন কম বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


এর অর্থ পশ্চিম আফ্রিকার যে দেশগুলোতে ইবোলা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল সেগুলো ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের গণস্বাস্থ্যের জন্য ভাইরাসটি এখন মারাত্মক হুমকি নয়।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া ও গিনিতে ইবোলা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল।

১৩ মার্চ পর্যন্ত ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে ১১ হাজার ৩১৬ জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে গিনিতে ১২ জন ইবোলা আক্রান্ত রোগী আছে। তাদের মধ্যে ১৭ মার্চ সর্বশেষ ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

তবে গত কয়েকমাসে সিয়েরা  লিওন ও লাইবেরিয়ায় একজনও ইবোলায় আক্রান্ত হয়নি। যদিও  তিন দেশকেই ইবোলার বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডব্লিউএইচও-র পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে গেলেও ইবোলার টিকা আবিষ্কারের কাজ অবশ্যই অব্যাহত থাকবে। এছাড়া, সুস্থ হয়ে উঠলেও যাদের শরীরে এখনও ইবোলার ভাইরাস সুপ্ত অবস্থায় রয়ে গেছে তাদেরও নজরদারিতে রাখতে হবে।

তবে গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনে ভ্রমণ ও বাণিজ্য বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া উচিত এবং এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

12
Very Informative post. We should care about it.

14
কঠিন তাপমাত্রায় ভিটামিন সি’র একটি ডোজ আপনাকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে এবং আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম গঠনে সাহায্য করবে। ভিটামিন সি-র মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় একই সঙ্গে কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বককে করে উজ্জ্বলতর।

কমলালেবু:
আমরা সবাই জানি একটি কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ্য ফল। দৈনিক আমাদের যতটুকু ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই ১টি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে। কমলাতে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেল ড্যামেজ করে ফলে ত্বকে সজীবতা বজায় থাকে। এতে উপস্থিত এন্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। কমলাতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, যা দাঁত ও হাঁড়ের গঠনে সাহায্য করে।

মরিচ:
সর্বোচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকার প্রথমেই রয়েছে আমাদের অতি চেনা কাঁচা মরিচ। আমরা স্যুপ, সালাদ, ভর্তার সাথে বা এমনিতেই কাঁচা মরিচ খেয়ে থাকি। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচে রয়েছে ২৪২.৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এর পরেই রয়েছে লাল মরিচের স্থান। প্রতি ১০০ গ্রাম লাল মরিচে রয়েছে ১৪৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

স্ট্রবেরি:
স্ট্রবেরি সারা বিশ্বের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি ফল। অত্যন্ত সুস্বাদু, মজাদার ও রসালো এই ফলটি স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে। স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পুষ্টি রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। চোখ ভালো রাখতেও ক্যান্সার প্রতিরোধ এর গুনাগুণ অনন্য।

পেঁপে:
পেঁপে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। এটা বর্ষা ঋতুতে খুব সহজেই পাওয়া যায়। আপনার ভিটামিনের ঘাটতি হলে প্রতিদিন একটুকরো পাকা অথবা কাঁচা পেঁপে খান – আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর ঘাটতি কমে যাবে। -সূত্র :টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

15
ক্যান্সারের মতো মারাত্মক মরণব্যধির কথা আমাদের কারোরই অজানা নেই। আজ পর্যন্ত প্রতিষেধক তৈরি না হওয়া এই মরণব্যধি তাই নির্মূলের চাইতে প্রতিরোধ সহজ। পুরো বিশ্বের অনেক গবেষণা অনুযায়ী বলা হয় ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে হলে ২ ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমত, ডায়েট ও দ্বিতীয়ত, ব্যায়াম।

গবেষণায় দেখা যায় কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুন রয়েছে। এবং এই ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব কিছু মসলার মাধ্যমেও। এগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব।

আসুন দেখে নিই প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় যে উপকারী মসলাগুলো যোগ করলে ক্যান্সারের হাত থেকে আপনি নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন।

হলুদ
মসলার রাজা হলুদ, কারণ আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি খাবারেই এই জিনিসটির ব্যবহার রয়েছে। সেই সাথে অনেক রোগের ঔষধও এই হলুদ। হলুদে রয়েছে পলিফেনল কারকিউমিন যা মূত্রনালির ক্যান্সার, মেলানোমা, স্তন ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, প্যানক্রিয়েট ক্যান্সার ও লিউকোমিয়া প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর।

জিরা
ফোটো নিউট্রিয়েন্টস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর জিরা দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি ক্যান্সার বৃদ্ধিকারি এনজাইমগুলোকে প্রতিহত করে থাকে।

জাফরান
জাফরানে রয়েছে প্রাকৃতিক স্যারোটেনয়েড ডাইকার্বোক্সি এসিড যা ক্রোসেটিন নামে পরিচিত। এই ক্রোসেটিন প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার নির্মূলে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। যদিও এটি বিশ্বের সবচাইতে দামি মসলাগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু খুবই সামান্য পরিমাণে এই জাফরানের ব্যবহার আপনার দেহকে রাখবে ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্ত।

দারুচিনি
প্রতিদিন মাত্র আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্ত রাখবে সারাজীবন। আয়রন, ক্যালসিয়ামে ভরপুর এই মসলাটি দেহে টিউমার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং ক্যান্সার দূরে রাখে। সকালে ১ কাপ দারুচিনির চা এবং রান্নায় সামান্য দারুচিনি গুঁড়ো যোগ করেই আপনি থাকতে পারেন নিশ্চিন্তে।

অরেগেনো
পিৎজা ও পাস্তার ওপরে টপিং হিসেবে অরেগেনো অনেকেরই পছন্দের। এর পাশাপাশি এই মসলাটি আপনাকে রাখবে ক্যান্সারের ঝুকিমুক্ত। অরেগেনোর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমূহ দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে।

আদা
সাধারণ নানা ছোটোখাটো রোগের থেকে মুক্তি দেয় এই আদা। কিন্তু অনেকেই জানেন না এটি আমাদের মুক্তি দিতে পারে মরনব্যধি ক্যান্সার থেকেও। আদা আমাদের দেহের কলেস্টোরলের মাত্রা কমায়, হজমে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সহায়তা করে। রান্নায় আদার ব্যবহার বাড়িয়ে পরিবারকে রাখুন ক্যান্সার মুক্ত।

অন্যান্য
লবঙ্গ, রসুন, মেথি, সরিষা, পুদিনা, রোজমেরি, তাজা লেবু, ভিনেগার ইত্যাদি মসলাগুলোর মধ্যেও রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুনাগুন।

Pages: [1] 2 3 ... 16