Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - nmoon

Pages: 1 [2] 3 4 ... 16
16
রযুক্তি জীবন কে সহজ করে দিলেও অনেক সময় ক্ষতির কারন হয়। যেমন আধুনিক সামগ্রী মাইক্রোওয়েভ ওভেন যার সাথে আমরা পরিচিত হলেও মাইক্রোওয়েভ কী তা আমরা অনেকেই জানি না। মাইক্রোওয়েভ হচ্ছে এক প্রকার চৌম্বক তাড়িত বিকিরণ বা রেডিয়েশন এটার বৈদ্যুতিক ও চৌম্বকীয় তরঙ্গ মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতরে চলাচল করে।

মাইক্রোওয়েভ ওভেন আমাদের আধুনিক জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এটি ছাড়া আমরা রান্নার অনেক কিছুই তৈরি করতে পারিনা। খাবার গরম করা থেকে শুরু করে রান্না করা, কেক বানানো পর্যন্ত এটা আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় একটি জিনিস হয়ে উঠেছে।

কিন্তু তারপরও আমরা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে পারিনা। অনেকেরই হয়তো জানা নেই এর ব্যবহারে অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। এটা খাবার পুষ্টিগুনকে নষ্ট করে দেয় এবং এর উচ্চ তাপমাত্রা খাবারকে ক্যান্সার তৈরি করার বস্তুতে পরিনত করে।

তাই এখানে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না করার কিছু ক্ষতিকর দিক তুলে ধরছি...

খাদ্যের ভিটামিন নষ্ট করে
যেসব খাবারে ভিটামিন বি১২ আছে যেমন মাছ,কলিজা ইত্যাদি যখন মাইক্রোওয়েভ অভেনে রান্না করা হয় তখন তা নষ্ট করে ফেলে।এছাড়া খাদ্যের ভিটামিন সি ও উচ্চ তাপে নষ্ট হয়ে যায়। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উচ্চতাপে ভিটামিন নষ্ট হয়ে ভিটামিন শূন্য একটি খাবার আমাদের হাতে আসে। এটা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের একটি বেশ বড় খারাপ দিক।
খাদ্যের সামগ্রিক পুষ্টি বিনাশ
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উচ্চ তাপ বিকিরনের ফলে খাদ্যের সব ধরনের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এটা খাবারের প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ নষ্ট করে দেয়।

খাদ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারক উপাদান তৈরি করে
যখন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে প্লাস্টিকের বাটিতে খাবার গরম ও রান্না করা হয় তখন সেই প্লাস্টিক বাটি থেকে বিষাক্ত ক্যান্সার সৃষ্টিকারক উপাদান ছড়িয়ে খাবারে প্রবেশ করে।

রক্তের উপাদানের মাত্রায় পরিবর্তন
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উচ্চ তাপে গরম করা দুধ ও সবজি রক্তের লোহিত কণিকার(RBC)মাত্রা কমায় এবং শ্বেত কণিকার(WBC) মাত্রা বাড়ায়। এছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রাও বৃদ্ধি করে।

হৃদস্পন্দনের পরিবর্তন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন থেকে রেডিয়েশন নির্গত হয়। যাদের অনিয়মিত হৃদস্পদন ও বুকের ব্যাথা রয়েছে তাদের মাইক্রোওয়েভ ওভেনে তৈরি খাবার খাওয়া উচিত নয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়
মাইক্রোওয়েভ অভেনে তৈরি করা পুষ্টিবিহীন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট বিহীন খাবার নিয়মিত ভাবে খাওয়ার ফলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে।

তাই মাইক্রোওয়েভ অভেন ব্যবহার না করাই উত্তম তবে যদি ব্যবহার করতেই হয় তবে কম তাপমাত্রা ব্যবহার করা উচিত। কোন ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত ও ব্যবহৃত ওভেন ব্যবহার করা কোনোভাবেই উচিত নয়।

17
গরমের এই সময়ে অনেক বাবা-মা তাদের আদরের সন্তানের হাতে তুলে দেন এক গ্লাস ঠাণ্ডা জুস। খাওয়ার অভ্যাস থাকায় রসনাতৃপ্তির জন্য বাচ্চাদেরও যখনতখন বায়না থাকে। জুসকে মনে করা হয় ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগানদাতা।

অথচ শিশুর জন্য বাজারে পাওয়া এসব প্যাকেটজাত জুস বাকোমল পানীয় কতটুকু স্বাস্থ্যকর?

সম্প্রতি ব্রিটেনে অ্যাকশন অন সুগার নামে একটি প্রচার অভিযান পরিচালিত হয়। এ অভিযান চলাকালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় ২৫০ মিলিলিটার পরিমাণ জুসে ৬ চা-চামচ পরিমাণ চিনি থাকে। এই মাত্রায় চিনি খাওয়া শিশুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

অ্যাকশন অন সুগারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গ্রাহাম ম্যাকগ্রেগর বলেন, শিশু ও রোগীদের জন্য প্যাকেটজাত যে জুস স্বাস্থ্যকর বলে বাজারজাত করা হচ্ছে তার পুরোটাই অপপ্রচার। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিৎ।

আমাদের শিশুদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অসীম মালহোত্রা বলেছেন, নিয়মিত অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করলে দন্তক্ষয় ছাড়াও টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কৃত্রিম জুস কখনও স্বাস্থ্যকর সুষম খাদ্যের অংশ হতে পারে না।

18
এসিডিটিকমায়:
রক্তে অধিক মাত্রায় এসিডিটি (অম্লতা) বা টক্সিসিটি (বিষ উপাদান) থাকলে, তাকে বলা হয়, এসিডোসিস।

এসিডোসিসের (রক্তে অম্লাধিক্য) কারণে বাত, চর্মরোগ, হৃদরোগ ও ক্যান্সার হতে পারে। কিশমিশ রক্তের এসিডিটি কমায়।

ক্যান্সারঝুঁকিকমায়:
খাবারে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকলে কোলোরেক্টারাল ক্যান্সার ঝুঁকি কমে যায়। এক টেবিল চামচ কিশমিশ ১ গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে।

চোখেরজন্যউপকারি:
আপনি কি জানেন, প্রতিদিন কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়? কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণ, এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।

এন্টিকোলেস্ট্রোরেলউপাদান:
কিশমিশে কোন কোলেস্ট্রোরেল নাই–এটাই বড় কথা না। বরং কিশমিশে আছে এন্টি-কোলোস্ট্রোরেল উপাদান যা রক্তের খারাপ কোলোস্ট্রোরেলকেহ্রাস করতে সাহায্য করে।

কিশমিশের দ্রবণীয় আশ, লিভার থেকে কোলোস্ট্রোরেল দূর করতে সাহায্য করে। এক কাপ কিশমিশে আছে ৪ গ্রাম পরিমাণ দ্রবণীয় আঁশ।পলিফেনল নামক এন্টি-অক্সিডেন্টও কোলোস্ট্রোরেল শোষণকারী এনজাইমকে নিয়ন্ত্রণ করে।

মস্তিষ্কেরখাদ্য:
কিশমিশের মধ্যে থাকা বোরন খনিজ পদার্থটি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।

বোরন মস্তিষ্কের কি উপকার করে? এটা মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে, হাত ও চোখের মধ্যে সমন্বয়কে বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

রক্তচাপনিয়ন্ত্রণেরাখে:
কিশমিশ শুধুমাত্র রক্তের মধ্যে থাকা বিষোপাদান কমায় তাই না, বরং রক্তচাপও কমায়। কিশমিশের প্রধান উপাদান, পটাশযি়াম, রক্তরে চাপ কমাতে সাহায্য কর।

শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিশমিশ শরীররে সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

19
হাড়েরসুরক্ষা:
কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মযবূত করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কিশমিশে আরো রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।

প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা থেকে দূরে রাখবে। বর্তমানে সময়ে অনেক রুগী অস্টিওপরোসিস (হাড়ের একধরনের রোগ) আক্রান্ত হচ্ছেন। বোরন নামক খনিজ পদার্থের অভাবে এই রোগ হয়। কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণ বোরন, যা অস্টিওপরোসিস রোগের প্রতিরোধক।

ইনফেকশনেরসম্ভাবনাদূরীকরণ:
কিশমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফেমেটরী উপাদান, যা কাঁটা-ছেড়া বা ক্ষত হ’তে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দূরে রাখে।

ক্যান্সারপ্রতিরোধ:
কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাধা প্রদান করে।

কিশমিশে আরো রয়েছে ক্যাটেচিন, যা পলিফেনলিক অ্যাসিড। এটি ক্যান্সার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যদূরীকরণ:
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হ’তে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

রক্তশূন্যতাদূরকরে:
রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যতে পারে; এমনকি, বিষণ্ণতাও দেখা দিতে পারে। কিশমিশে আছে, প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

20
কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিসমিস সর্বজন পরিচিত। যেকোন মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পোলাও, কোরমা এবং অন্যান্য অনেক খাবারে কিসমিস ব্যবহার কর হয়।
রান্নার কাজে ব্যবহার করা হ’লেও কিশমিশ সাধারণ ভাবে খাওয়া হয় না। অনেকে এটাকে ক্ষতিকর মনে করেন।

অথচ পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম।

কিশমিশের গুন অনেক! তাই পরিবারের সব সদস্যের প্রয়োজনে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিশমিশ রাখা উচিত। নিম্নে কিশমিশের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ

দেহেশক্তিসরবরাহকরে:

দুর্বলতা দূরীকরণে কিসমিসের জুড়ি মেলা ভার। কিশমিশে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, যা তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে। তাই দুর্বলতার ক্ষেত্রে কিসমিস খুবই উপকারী।

দাঁতএবংমাড়িরসুরক্ষা:
বাচ্চারা ক্যান্ডি ও চকলেট খেয়ে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু এগুলির পরিবর্তে বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করালে দাঁতের সুরক্ষা হবে। আবার একই স্বাদ পাওয়ার সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ উপকারও পাবে। চিনি থাকার পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয়।

21
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেকেই কাশি, জ্বর এবং বিভিন্ন ফ্লুয়ের কারণে ভুগে থাকেন। ডাক্তার এর জন্য বিভিন্ন ঔষধ দিয়ে থাকেন। কিন্তু, এখানে একটি উপকরণ রয়েছে, যা আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারে। মৌসুমি রোগের সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক প্রতিকার হল কাঁচা রসুন। কাঁচা রসুন খাবারের নিয়ম নিচে বর্ণনা করা হল-

১. প্রতিদিন সকালে নাস্তার পরে এক টুকরো রসুন খেয়ে নিন। তবে অবশ্যই রসুনটি চর্বণ করবেন না। অর্থাৎ, চিবিয়ে খাবেন না। মুখে দিয়েই গিলে ফেলুন। এর ফলে আপনার অনাক্রম্যতার উন্নতি হবে এবং আপনার মৌসুমি রোগও দূর হবে।

২. কিছু রসুন গুঁড়া করে নিন। এটি ঘিতে ভালভাবে ভেঁজে নিন। তারপর যে কোন খাবার রান্না করার সময় এটি ব্যবহার করতে পারেন। যার ফলে আপনার খাবারের স্বাদ আরও মজাদার হবে।

৩. তেল গরম করে নিন। তেলে ধোঁয়া ওঠা পর্যন্ত গরম করে এর মধ্যে রসুনের টুকরা ছেড়ে দিন। তারপর তেল ঠাণ্ডা করে কুসুম গরম থাকা অবস্থায় বুকে ও গলায় মালিস করুন। এটি যাদুকরীভাবে ঠাণ্ডা দূর করে।

৪. রসুনের একটি কোষ নিয়ে তা ব্লেন্ড করে মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। ঘুমানোর আগে এক চামচ পরিমাণ সেবন করুন।

এই কয়েকটি উপায়ে রসুন ব্যবহার করলে ঠাণ্ডা দূর হবে।–সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।

22
আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ইলেকট্রনিকস নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন উদ্ভাবক গর্ডন মুর। ১১ মে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গর্ডন মুরের দেওয়া ‘মুর’স ল’ নামের এই সূত্রের পঞ্চাশ বছর পালন করল ইনটেল।
মুর’স ল এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চিপ নির্মাতা ইনটেল এই সূত্রের প্রভাব সম্পর্কে জানিয়েছে। এ ছাড়াও ওই সূত্রের উদ্ভাবক গর্ডন মুর আগামী পাঁচ দশকে ইলেকট্রনিকস কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সে সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
গর্ডন মুরের মতে, একটি নির্দিষ্ট চিপের মধ্যে ট্রানজিস্টরের সংখ্যা প্রতি দুই বছরে দ্বিগুণ হবে, তবে এর আকার বাড়বে না। মুর এ তত্ত্ব দেন ১৯৬৫ সালে, যা কি না মুর’স ল নামে পরিচিত। মুরের এ তত্ত্ব শুধু আকারের জন্য ব্যবহৃত হয় না। এ তত্ত্ব মাইক্রোচিপ বা প্রসেসরের উপাত্ত প্রক্রিয়া করার গতি ও মেমোরি এমনকি ডিজিটাল ক্যামেরার পিক্সেলের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত। তাঁর এ তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে মাইক্রোচিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মাইক্রোচিপ ভিত্তিক গবেষণার লক্ষ্য স্থির করে। ইলেকট্রনিকসের জগতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমান সময়ের ডেস্কটপ কম্পিউটারের আকার ছোট হওয়ার অন্যতম কারণ মুরের এই তত্ত্ব।

পঞ্চাশ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে মুর তাঁর সূত্র আর কতদিন টিকে থাকবে তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। মুর বলেন, আর বড়জোর ১০ বছর টিকবে মুর’স ল। গত ৫০ বছর ধরে যে মুর’স ল টিকে ছিল সেটাই সত্যিই আনন্দের। কিন্তু কোনো সূত্র চিরস্থায়ী নয় বলেও তিনি মনে করেন।
যেকোনো ডিজিটাল যন্ত্রের প্রাণ হচ্ছে মাইক্রোচিপ। মাইক্রোচিপ না হলে এত ছোট কম্পিউটার আদৌও তৈরি করা যেত না। আর এটি সম্ভব হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ইনটেল করপোরেশন (ইনটিগ্রেটেড ইলেকট্রনিকস করপোরেশন) নামের জনপ্রিয় মাইক্রোচিপ ও মাইক্রোপ্রসেসর তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানের কারণে। আর এ প্রতিষ্ঠান যাঁরা তৈরি করছেন, তাঁদের অন্যতম গর্ডন আরলে মুর; যিনি সবার কাছে মুর হিসেবে বেশি পরিচিত। গর্ডন মুর ১৯২৯ সালের জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানফ্রানসিসকো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি নেন। এরপর তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক) থেকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। মুর তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ট্রানজিস্টরের জনক উইলিয়াম শকলের সঙ্গে বেকম্যান ইন্সট্রুমেন্টস প্রতিষ্ঠানে। ১৯৬৮ সালে গর্ডন মুর রবার্ট নায়েসের সঙ্গে ইনটেল করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ৮৬ বছর বয়সী মুর বর্তমানে ইনটেলের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস হিসেবে রয়েছেন।
৫০ পূর্তিতে ইনটেল জানিয়েছে, মুরের সূত্র কম্পিউটিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করতে সাহায্য করেছে এবং অভূতপূর্ব আর্থিক সুবিধা ও সামাজিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএসের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে ও উৎপাদনশীলতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুর’স ল ভূমিকা রেখে চলেছে। উৎপাদনশীলতা যত বেড়েছে তত খরচ কমেছে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তত নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। মুর’স ল গত দুই দশকে জিডিপিতে ১১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ভূমিকা রেখেছে।
আইএইচএসের সেমিকন্ডাক্টার ও কম্পোনেন্টস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেল ফোর্ড বলেন, মুর’স ল অধিক কার্যকরী ধারণাদায়ক টুল হিসেবে গত অর্ধ শতাব্দী ধরে প্রমাণিত হয়েছে যা উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে। (সিআইও টুডে, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল)

23
আবরণটি নিজে নিজেই পরিচ্ছন্ন থাকতে পারবে। সহাবস্থান করবে তেলের মতো পদার্থের সঙ্গে। সিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষলেও এটির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হবে না। কচুরপাতার পানিরোধী বৈশিষ্ট্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশেষ ধরনের এই আবরণ তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) গবেষক ইয়াও লু এবং তাঁর তত্ত্বাবধায়ক ও একই প্রতিষ্ঠানের অজৈব রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ক্লেয়ার কারমল্ট।
এই রঙের আবরণ দেওয়া যাবে কাপড়চোপড়, কাগজ, কাচ এবং ইস্পাতের ওপর। এমনকি আঠালো অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে দিলেও রংটি নিজেকে পৃথক বা পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে। এই আবরণ তৈরির কাজে গবেষকেরা টাইটানিয়াম ডাই-অক্সাইডের অতি ক্ষুদ্র কণা বা ন্যানোপার্টিকেল ব্যবহার করেছেন। প্রচলিত বিভিন্ন আবরণ সাধারণত পানি বা তেলের সংস্পর্শে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু নতুন রঙের আবরণটি পানিতে ডুবিয়ে রাখলেও নষ্ট হবে না বলে দাবি করছেন গবেষকেরা।
পদ্ম বা কচুগাছের পাতা পানিতে কোনোভাবেই ভেজে না। উদ্ভিদের এই বৈশিষ্ট্য ইয়াওকে বিস্মিত করে। তিনি রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে এসব পাতার উপরিতলের মতো আবরণ তৈরির চেষ্টা শুরু করেন। ইয়াও এবং কারমল্ট বলেন, তাঁদের তৈরি নতুন আবরণটি স্থায়ী এবং ক্ষয়ের বিরুদ্ধে একধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। কাপড়চোপড় ও মোটরগাড়িসহ দৈনন্দিন জীবনে অনেক ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে। সম্পূর্ণ পানিরোধী আবরণে পানির ফোঁটাগুলো গড়িয়ে যায়। তখন সেই পানির সঙ্গে সঙ্গে ময়লা, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াও পরিষ্কার হয়ে যায়। ব্যাপারটা অনেকটা ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের কাজের মতো।
এ গবেষণা প্রতিবেদন সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। কারমল্ট বলেন, উপরিতলে পড়ার পর পানি প্রায় বর্তুলাকার বল তৈরি করে। সেটা গড়িয়ে যাওয়ার সময় ময়লা ও জীবাণুগুলো শুষে নেয়। কাচ ও ধাতুর মতো শক্ত জিনিসের ওপরে নতুন ওই আবরণ দিতে পারলে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। পাশাপাশি সাধারণ আঠালো পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে সুতা বা কাগজের উপরেও এই আবরণ দেওয়া যেতে পারে।
আবরণটি তৈরির জন্য গবেষকেরা দুই ধরনের টাইটানিয়াম ডাই-অক্সাইড ন্যানোপার্টিকেলের সঙ্গে ফ্লুরোসিলেনের তৈরি মোমজাতীয় পদার্থ ব্যবহার করেন। কারমল্ট বলেন, নিজে নিজে পরিচ্ছন্ন থাকার উপযোগী এই আবরণ ব্যাপকভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা হতে পারে তা হলো প্রতিদিনের ক্ষয় রোধ করা। তবে প্রচলিত অন্যান্য আবরণের চেয়ে তাঁদের তৈরি নতুন আবরণটি অনেক বেশি টেকসই। আশা করা যায়, ইউসিএলের গবেষকেরা এটিকে আরও উন্নত রূপ দিতে সমর্থ হবেন।
ইয়াও লু এবং কারমল্টের গবেষণায় সহায়তা করেন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং চীনের দালিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করেন, নতুন আবরণটির তুলনায় প্রচলিত অন্য আবরণগুলোর রাসায়নিক গঠন দুর্বল। কারণ, সেগুলো ভাঁজ করলে বা সিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষলে সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু নতুন আবরণটি এসব বাধা মোকাবিলা করতে পারে। মোটরগাড়ির আবরণ তৈরি করা এবং অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। আবার হাসপাতাল থেকে সংক্রামিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও এই আবরণ সহায়ক হতে পারে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বা উপকরণে জীবাণুরোধী আবরণ দেওয়ার জন্য টাইটানিয়াম ডাই-অক্সাইডের ন্যানোপার্টিকেল বিশেষ কার্যকর হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স ও সায়েন্স ডেইলি

24
অপরাধীর গতিবিধি অণুজীবের মাধ্যমে জানা যাবে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, কোনো অপরাধ সংঘটনের সময় ডিএনএর পাশাপাশি বিভিন্ন অণুজীবের সাহায্যেও তাদের গতিবিধি জানা যাবে। মাইক্রোবায়োম সাময়িকীতে বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের জুতা এবং ফোনে একধরনের ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে। সেগুলো ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তির অতীত গতিবিধি নির্ণয় করা যেতে পারে। আর এই প্রক্রিয়া কোনো অপরাধীকে শনাক্ত করার কাজে বিশেষ সহায়ক হতে পারে।
ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও খালি চোখে দেখা যায় না—এমন অনেক অণুজীব বা জীবসত্তা এই পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে। এগুলো আমাদের ত্বক থেকে শুরু করে শরীরের ভেতরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গজুড়ে বসবাস করছে। যখন কোনো ব্যক্তি অন্য লোকজন, পোষা প্রাণী, বাতাস, ভূপৃষ্ঠসহ বিভিন্ন তলের মাধ্যমে এসব অণুজীবের সংস্পর্শে আসেন, সেগুলো তাঁর ব্যক্তিগত পারিপার্শ্বিক ক্রিয়ায় যুক্ত হয়। বিষয়টি ওই ব্যক্তির মাইক্রোবায়োম নামে পরিচিত।
এ রকম অণুজীবের সঙ্গে বসবাসের ব্যাপারটা দ্বিমুখী রাস্তার মতো। যখন আপনি বাড়ির দিকে যাবেন, বিভিন্ন জিনিস আপনাকে স্পর্শ করে যেতে হবে। আর সেগুলোতে আপনার শরীরে বসবাসকারী কোনো কোনো অণুজীব থেকে যাবে। সাম্প্রতিক গবেষণায় কোনো কোনো ব্যক্তির নিজস্ব অণুজীবের বৈশিষ্ট্য বা ‘মাইক্রোবায়াল স্বাক্ষর’ শনাক্ত করা হয়েছে তাঁর স্পর্শ করা জিনিসপত্র থেকে, যেমন: কম্পিউটারের কিবোর্ড।
গবেষক দলটির প্রধান সাইমন ল্যাক্স বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরের অণুজীবগুলোর বৈশিষ্ট্য বদলে যায় কি না—সেটা এখন তাঁরা দেখতে আগ্রহী।
মানুষ নিকট অতীতে কোন কোন এলাকায় চলাফেরা করেছে, তা চিহ্নিত করার ব্যাপারে অণুজীবগুলো কতটা সহায়ক হতে পারে—সেটা নির্ণয়ের জন্য ল্যাক্স ও তাঁর সহযোগীরা দুই ব্যক্তির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁদের মুঠোফোন, জুতা এবং হেঁটে যাওয়া রাস্তা ও মেঝেগুলো দুই দিন ধরে ঘণ্টায় ঘণ্টায় যাচাই করে দেখা হয়। গবেষণাটি তুলনামূলক সীমিত পরিসরের হলেও বিজ্ঞানীরা প্রতিটি স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করতে সমর্থ হন। ওই দুই ব্যক্তির জুতা এবং রাস্তা বা মেঝে থেকে সংগৃহীত অণুজীবের বৈশিষ্ট্যে অনেক মিল পাওয়া যায়। জুতা এবং মেঝের মধ্যে দ্রুত সংস্পর্শের কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। ল্যাক্স বলেন, একজন মানুষ যখন নিজের ঘর থেকে তাঁর বন্ধুর কক্ষে যান, তখন তাঁর ব্যক্তিগত জিনিসপত্রে অণুজীবগুলোর অবস্থান ও গঠনগত পরিবর্তন শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞানী লরা ওয়েরিচ বলেন, ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে চলাফেরা করার কারণে মানুষের জুতার অণুজীবগুলো দ্রুত পরিবর্তিত হলে দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্যক্তির গতিবিধি নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই কোনো অপরাধ সংঘটনের কয়েক সপ্তাহ পর নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় কারও উপস্থিতি চিহ্নিত করতে এই পদ্ধতির সাফল্য কমে যেতে পারে।
আবার মুঠোফোনে লেগে থাকা বিভিন্ন অণুজীবের সাহায্যে কোনো ব্যক্তির গতিবিধি নির্ণয় করাটা আরও বেশি কঠিন। কারণ হিসেবে গবেষকেরা জানিয়েছেন, মুঠোফোনে বসবাসকারী অণুজীবগুলোর বৈশিষ্ট্য তুলনামূলক দ্রুত পাল্টে যায়। কানাডার ভ্যাঙ্কুভার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনটি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ৮৯ ব্যক্তির জুতা ও মুঠোফোনের অণুজীবগুলোর নমুনা পরীক্ষা করেন গবেষকেরা। তবে একই পরিবেশের অণুজীবগুলোর মধ্যে মিল থাকার সম্ভাবনা বেশি হওয়ায় ওই গবেষণা নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ। তবে মার্কিন গবেষকেরা মনে করেন, শহুরে পরিবেশে সুনির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে মাইক্রোবায়োমনির্ভর পদ্ধতি অপরাধ কর্মকাণ্ডের তদন্তে ভবিষ্যতে বিশেষ সহায়ক হতে পারে।
সূত্র: সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।

25
বর্তমান সময়ে মসুর ডাল সারা পৃথিবী জুড়েই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। সাধারণভাবে মসুর ডাল রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি এটা দিয়ে তৈরি করা হয় নানা রকমের পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার। যেমন - ডালের চচ্চড়ি, ডালনা, নিরামিষ, পিঁয়াজু, ডালপুরি, ডালের স্যুপ, আম ডাল, পুঁই ডাল ইত্যাদি। মসুর ডাল প্রোটিনের আধার বলে একে মাংসের বিকল্প হিসেবেও ধরা হয়। আর তাই নিরামিষ ভোজীদের কাছে এটি অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার।
মসুর ডালের পুষ্টিগুণ:
মসুর ডাল শুধু সুস্বাদুই নয় এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন, খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১। কলেস্টেরল কমায়:
মসুর ডালে উচ্চ মাত্রার এটা দ্রবণীয় ফাইবার থকে যা রক্তের কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটা আপনার শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দিয়ে আপনার ধমনীকে পরিষ্কার রাখে।
২। হার্ট ভালো রাখে:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নিয়োমিত মসুর ডালের মতো উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে হার্টের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাছাড়া মসুর ডাল ফলেট (folate) এবং ম্যাগনেসিয়াম এর একটা বিরাট উত্স, যা হার্টকে আরও বেশি তারুন্য পেটে সহায়তা করে। ম্যাগনেসিয়াম শরীরের সর্বত্র রক্ত, অক্সিজেন এবং পুষ্টি প্রবাহ করতে সাহায্য করে।
৩। হজমে সহায়তা করে:
মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে। ফলে এটি হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার।
৪। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কমায়:
মসুর ডালের ফাইবারে আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীর চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, তাছাড়া এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫। গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী:
ডালে একসঙ্গে আয়রন ও ফলেট দুটিই পাওয়া যায়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই দুটি উপাদান বেশ প্রয়োজনীয়। সেই সঙ্গে আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
যাঁরা শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে চান তাঁরা ভাতের পরিমাণ কমিয়ে তার বদলে নিয়মিত ডাল খেতে পারেন। এতে ক্ষুধা হ্রাস পাওয়াসহ ভরাপেটের অনুভূতি থাকবে দীর্ঘক্ষণ। এছাড়াও মসুর ডাল খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে বাড়িয়ে দেয় ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ।

26
৬. লবঙ্গ
লবঙ্গ পাকস্থলীর অ্যাসিডিটি ও গ্যাস দূর করতে পারে এর বায়ু নিরোধক ক্ষমতার জন্য। ২/৩ টি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষলে বা সমপরিমান এলাচ ও লবঙ্গ গুঁড়ো খেলে অ্যাসিডিটির জ্বালা এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
৭. জিরা
এটি হজমক্রিয়ায় চমৎকার কাজ করে। দেড়কাপ জলে এক চা চামচ করে জিরা, ধনে ও মৌরী গুঁড়া এবং সামান্য চিনি মিশিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস জলে সামান্য জিরার গুঁড়া মিশিয়ে বা ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে প্রতিবেলা খাবার পর খেতে পারেন।
৮. আদা
আদার রস পাকস্থলীর অ্যাসিডিটির প্রশমিত করতে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটির সময় এক টুকরো আদা মুখে নিয়ে চুষলে বা এক কাপ জলে কয়েক টুকরো আদা দিয়ে কিছুক্ষন ফুটিয়ে রেখে খেতে পারেন কিংবা শুধু এক চা চামচ করে আদার রস দিনে ২/৩ বার খেলে অ্যাসিডিটির থেকে মুক্তি পেটে পারেন।
৯. তালের গুড়
তালের গুড় খাবারকে হজমে সাহায্য করে এবং হজমক্রিয়াকে ক্ষারধর্মী করে অ্যাসিডিটি কমায়। প্রতিবেলা খাবার পর ছোট এক টুকরো গুড় মুখে নিয়ে চুষতে থাকবেন যতক্ষন না অ্যাসিডিটির জ্বালা কমে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য নয়।
১০. মৌরী
পুদিনা পাতার মতো মৌরীরও রয়েছে বায়ু নিরোধক ক্ষমতা যার ফলে খাবার হজম করতে এবং পেটের গ্যাস দূর করতে এটা বেশ কার্যকরী। ভারী ও ঝাল খাবারের পর কিছু মৌরী মুখে দিয়ে চুষতে পারেন। আবার এক বা দুই চা চামচ মৌরী এক কাপ গরম পানিতে দিয়ে কিছুক্ষন রেখে ছেঁকে নিয়ে দিনে কয়েকবার খেতে পারেন।
১১. ঠাণ্ডা দুধ
পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় দুধ। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরিতে বাধা দেয়। শুধুমাত্র এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করেই অ্যাসিডিটির সমস্যা প্রতিরোধ বা উপশম করা সম্ভব।
সাবধানতা
যখনই আপনি অ্যাসিডিটির সমস্যায় পরবেন তখন এই পদ্ধতিগুলোর সাহায্য নিয়ে দেখতে পারেন কিন্তু যদি দেখেন ২/৩ দিন পরও আপনার সমস্যা থেকেই যাচ্ছে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

27
অ্যাসিডিটির সমস্যায় কম বেশি আমাদের সবাইকেই ভুগতে হয়। আমাদের পাকস্থলিতে অতিরিক্ত বা ভারসাম্যহীন অ্যাসিড উৎপন্ন হওয়ার ফলে পেট ব্যথা, গ্যাস, বমিবমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধ বা অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সাধারণত বেশি ঝাল খাবার খাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, দুঃচিন্তা, ব্যায়াম না করা বা অতিরিক্ত মদ্য পানের ফলে অ্যাসিডিটি হতে পারে।এই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই অনেক ওষুধ খান৷কিন্তু ওষুধ ছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধটিতেও এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির ১১টি অসাধারণ কৌশল।
১. গরম পানি
সাধারণত কুসুম গরম পানি রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২. দারচিনি
হজমের জন্য খুবই ভাল, এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা পেটের গ্যাস দূর করে। এক কাপ জলে আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে দিনে ২/৩ বার এটা খেতে পারেন। এছাড়া চাইলে সুপ/সালাদে দিয়েও খেতে পারেন।

৩. পুদিনা পাতা
এর বায়ুনিরোধক ও প্রশান্তিদায়ক গুণ নিমিষেই বুক ও পেট জ্বালাপোড়া করা, পেট ফাঁপা ও বমি ভাব উপশম করে। তাই অ্যাসিডিটির লক্ষণ দেখা দিলেই কয়েকটি পুদিনা পাতা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে বা খেতে পারেন চা বানিয়ে। এক কাপ জলে ৪/৫ টি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খেতে পারেন বা চাইলে তাতে একটু মধুও যোগ করতে পারেন।
৪. মাঠা
সারাদিনে কয়েকবার শুধু মাঠা খেলে বা সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়ো অথবা এক চা চামচ ধনেপাতার রস মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায় অথবা আধা থেকে এক চা চামচ মেথি সামান্য জলে পেস্ট করে এক গ্লাস মাঠার সাথে মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটির পেট ব্যথা দূর হয়।
৫. আপেল সাইডার ভিনেগার
এর ক্ষারধর্মী প্রভাব পাকস্থলীর অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ১-২ চা চামচ অশোধিত ভিনেগার এক কাপ জলে মিশিয়ে খাবার আগে বা দিনে এক বা দুবার খেতে পারেন।

28
খাবার খাওয়ার পর মানব দেহ শক্তিশালী হয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক সময় মানব দেহ ক্লান্ত হয়ে যেমন রাতে গভীর ঘুমালেও সকাল থেকেই দেহে আলস্য ভর করে ? দুপুরের দিকে আবারো চোখে ঘুম জড়িয়ে আসে?
আর এসব কারণগুলোকেই লক্ষ্য করে খাদ্য বিশেষজ্ঞ ডন ন্যাপোলি বলেছেন, সম্ভবত আপনার খাদ্য তালিকায় সমস্যা হয়েছে। কারণ এমন খাবার আছে যা দেহ ক্লান্ত করে দেয়।
তাই আজ জেনে নিন ক্লান্ত হয়ে পরার এমনই ৬টি খাবারের কথা..
কলা
নানা পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ কলা দারুণ উপকারী হলেও তা আপনার মাঝে ক্লান্তিভাব আনবে। কলার মতো অতিমাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে এমন সব খাবারই ক্লান্তি ভাব আনে। এর কারণ হলো, এ খনিজ উপাদানটি পেশি শিথিল করে দেয়। তাই জিরিয়ে নিতে চাইলে কলা খান।
সাদা রুটি-ভাত
যদি উচ্চমাত্রার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর খাদ্য (সাদা ভাত, রুটি ইত্যাদি) বেশি বেশি খান তাহলে ক্লান্ত বোধ করবেন। এগুলোতে ফাইবার কম থাকে। তাই খুব দ্রুত ভেঙে যায় এবং আপনার এনার্জিকে ধীরে ধীরে বাড়ায়। অন্যদিকে বাদামি রুটি বা ভাতে আপনার ক্লান্তিভাব আসবে না।
লাল মাংস
বেশি লাল মাংস খেলে অবসন্ন বোধ হতে পারে। একে ভাঙতেই অতিমাত্রায় শক্তি ক্ষয় করতে হয় দেহকে। তাই একবার এসব মাংস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা দেহ একে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে দেহ হয়ে পড়ে ক্লান্ত। এ সময় ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড দেহ চাঙ্গা করে দেবে।
চেরি ফল
গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন, চেরি ফল এবং চেরির জুস প্রাকৃতিকভাবেই ঘুমের ওষুধের কাজ করে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন থাকে। তাই যে খাবারের সঙ্গেই চেরি খাবেন, আপনার ক্লান্তিবোধ হবেই।
মিষ্টি
উচ্চমাত্রার চিনি সমৃদ্ধ খাবার দেহ ক্লান্ত করে দেবে। এ খাবারকে রীতিমতো ‘ফুড কোমা’ বলে। তাই ডেজার্ট বা অন্য মিষ্টি খাবার কম খেতে হবে, চাঙ্গা থাকতে হলে।
কফি
অবাক হবেন, কফিও দেহ অলস করে দিতে পারে। যদিও আজীবন ধরে জেনে এসেছেন যে চাঙ্গা হতেই কফি লাগে। কফি খাওয়ার পর প্রথম এক বা ২ ঘণ্টা আপনি চাঙ্গা হয়ে থাকবেন। প্রতিদিন ২শ-৩শ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন খেলে চাঙ্গা বোধ করবেন। কিন্তু এর প্রভাব শেষ হয়ে গেলেই আপনি আবার ক্লান্ত হয়ে যাবেন।

29
গবেষণায় দেখা গেছে ভোর বেলা হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এ কথা অনেকেই জানে। কিন্তু নতুন কথা হচ্ছে, খুব সকালে হার্ট এ্যাটাক এবং স্ট্রোকের এর কারণ কি, সাম্প্রতি এক গবেষণায় গবেষকরা সে বিষয়টিও আবিষ্কার করেছেন।
সকাল বেলা রক্ত জমাট বেঁধে থাকে, ফলে মস্তিষ্কে ও হার্টে প্রোটিন পৌছাতে সময় লাগে। এ সময়ের মধ্যে হার্ট এটাক হয়ে যায়। বস্টনের ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেন্স হসপিটাল অ্যান্ড ওরগ্যান হেল্থ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনির্ভাসিটির একটি সমীক্ষা দাবি করেছে এমনটাই। গবেষকরা বলছেন, প্রোটিন, প্লাসমিনোজেন অ্যাকটিভিটের ইনহিবিটর-1 (PAI-1), কারণে সকালবেলা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। গবেষক ফ্রাঙ্ক শিয়র জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ শরীরে PAI-1 সবথেকে বেশি মাত্রায় থাকে।
অন্য গবেষক স্টিভেন শি-র মতে, সকালবেলা মানুষের সার্কাডিয়ান সিস্টেমে PAI-1 সবথেকে বেশি মাত্রায় সঞ্চালিত হয়। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হলে সেই সঞ্চালনের মাত্রা কম হয়। স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনকারী ধমনী বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে প্রয়োজনীয় রক্ত মস্তিষ্কে পৌছতে পারে না। যে কোনও ধরণের স্ট্রোক পুরুষদের থেকে মহিলাদের জন্য বেশি ক্ষতিকারক বলেও মন্তব্য করেছেন গবেষকরা।-সূত্র: এক্সপ্রেস।

30
ব্যায়ামই ওজন কমানোর একমাত্র চাবিকাঠি নয়। অনেকেই মনে করেন ব্যায়াম হল ওজন কমানোর চাবিকাঠি কিন্তু গবেষনায় দেখা গেছে, এর চেয়ে বরং অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাবার এবং শারীরিক সক্রিয়তার সম্মিলনেই একটা সুস্থ ও স্বাভাবিকজীবনযাপন করা সম্ভব।
গবেষণা সাময়িকীটির সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ব্যায়াম বা নানা ধরনের শারীরিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকাটা ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ ও স্মৃতিভ্রমের মতো নানা অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্ত থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও মুটিয়ে যাওয়া রোধে এর প্রভাব খুবই কম। কিন্তু নানা খাবারদাবার থেকে অতিরিক্ত শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট কমাতে পারাটা মুটিয়ে যাওয়া কমাতে অনেক বেশি কার্যকর। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
লন্ডনের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্ট অসীম মালহোত্রাসহ এই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খাদ্যশিল্প সংশ্লিষ্টরা প্রচার করতে চান যে, ব্যায়াম অস্বাস্থ্যকর খাবারদাবারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সহায়তা করতে পারে। খাদ্যশিল্পের প্রচারণার এই কৌশলের তীব্র সমালোচনা করেন এই চিকিৎসক-গবেষকেরা।
খাদ্যশিল্পের এই প্রচার কৌশলের সঙ্গে বড় বড় তামাক কোম্পানির প্রচার কৌশলের 'অভাবনীয় মিল' রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন এই গবেষকেরা। অবিলম্বে তারকাদের দিয়ে 'সুগারি ড্রিঙ্ক' পানে উৎসাহিত করা এবং খেলাধুলার সঙ্গে জাঙ্ক ফুড'-কে অনিবার্যভাবে সম্পর্কিত করা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে 'ল্যানসেট গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ' কর্মসূচির গবেষণা ফলও তুলে ধরেছেন এই গবেষকেরা। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে তারা জানায় শারীরিক সক্রিয়তা না থাকা, ধূমপান করা বা অ্যালকোহলে আসক্তি থাকাটা সম্মিলিতভাবে স্বাস্থ্যের যতটা অবনতি ঘটাতে পারে কেবল অস্বাস্থ্যকর খাবারদাবার খাওয়াটাই তারচেয়ে বেশি অবনতি ঘটাতে সক্ষম।

জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনের সম্পাদকীয়তে প্রকাশিত এই মতের সঙ্গে দ্বিমত করেছেন খাদ্য ও পানীয় শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। ব্যায়াম বা শারীরিক কর্মকাণ্ডের সুবিধা প্রচারে খাদ্যশিল্পে এমন কোনো ষড়যন্ত্র' বা 'কৌশল' নেই বলে দাবি করেন যুক্তরাজ্যের একটি ফুড অ্যান্ড ড্রিঙ্ক ফেডারেশনের এক মুখপাত্র।
এদিকে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স-এর অধ্যাপক মার্ক বেকার বলেছেন, ব্যায়াম করার উপকারিতাকে 'বাতিল করে দেওয়াটা খুবই বোকামি হয়ে যাবে।' তিনি আরও বলেন, 'সুষম খাবার এবং শারীরিক সক্রিয়তার সম্মিলনেই একটা সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব।'

Pages: 1 [2] 3 4 ... 16