Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - moonmoon

Pages: [1] 2 3 ... 14
1
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা
চিকিৎসকের কাছে অনেকে নিজের সমস্যার কথা গুছিয়ে বলতে পারেন না, কথা বলতে বলতে খেই হারিয়ে ফেলেন। অনেকে রোগের ইতিহাস বা ওষুধের নাম-বৃত্তান্ত বলতে পারেন না। ফলে অনেক অপেক্ষার পর সিরিয়াল নিয়ে যখন চিকিৎসকের দেখা পান, তখন অল্প সময়ে তালগোল পাকিয়ে আসল কথাটাই অনেক সময় বলা হয় না। তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেও প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দরকার। এতে আপনার এবং চিকিৎসক—দুজনেরই সুবিধা হবে।

এক. আপনি মূলত যে সমস্যার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন, তা সঠিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করুন। অপ্রধান ও আনুষঙ্গিক সমস্যাগুলো পরে বলবেন। কত দিন ধরে ভুগছেন তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করুন। এ সমস্যার জন্য চিকিৎসা নিয়েছেন কি না জানান।

দুই. আপনার যদি এর সঙ্গে অন্য কোনো রোগ থেকে থাকে (যেমন: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদি) তাও মেয়াদ উল্লেখসহ জানান। সেগুলোর জন্য নিয়মিত কী কী ওষুধ কত মাত্রায় গ্রহণ করছেন, তা উল্লেখ করুন। মনে না থাকলে লিখে আনুন বা ওষুধের পাতা সঙ্গে রাখুন। কোনো বিশেষ ওষুধে ইতিপূর্বে কোনো সমস্যা হলে তা জানাবেন। নিকট অতীতে কোনো অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে তা জানান।

তিন. চিকিৎসকের প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে ও সংক্ষেপে দিন। হঠাৎ করে প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন না। তাতে চিকিৎসকও তাঁর জিজ্ঞাসা থেকে দূরে সরে যেতে পারেন। অপ্রাসঙ্গিক ও অকারণ তথ্য দেওয়ার দরকার নেই। এতে দুজনেরই সময় নষ্ট।

চার. রোগীর সমস্যার কথা তাঁকেই আগে বলতে দিন। তিনি কিছু ভুলে গেলে সঙ্গী ধরিয়ে দিতে পারেন। আগেই সঙ্গে থাকা ব্যক্তির কথা বলা উচিত নয়। চিকিৎসকের কাছে কোনো কিছু লুকানো উচিত নয়, আবার কোনো কিছু বাড়িয়ে বলারও দরকার নেই। রোগীর সঙ্গে অবশ্যই এমন কারও আসা প্রয়োজন, যিনি রোগীর রোগ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন।

পাঁচ. চিকিৎসা পদ্ধতি, রোগের বিবরণ এবং ওষুধের মাত্রা-মেয়াদ চিকিৎসকের কক্ষ ত্যাগ করার আগেই তাঁর কাছ থেকে ঠিকভাবে বুঝে নিন।

ছয়. একই চিকিৎসকের কাছে আবার এলে আগের প্রেসক্রিপশন অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লেখা থাকে। আগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজপত্র গুছিয়ে সঙ্গে রাখুন। অন্য কারও প্রেসক্রিপশন থাকলেও তা আনুন।

সাত. আর্থিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসককে জানিয়ে রাখুন। তিনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অল্প কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারবেন। প্রয়োজনে কম খরচে সরকারি হাসপাতালে বা কোথায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়, তাও জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন।

আট. চিকিৎসকের কক্ষের বাইরে অপেক্ষা করার সময় অসহিষ্ণু আচরণ করবেন না। দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল। কক্ষে আপনার মতোই আরেকজন রোগী সেবা নিচ্ছেন। মনে রাখবেন, প্রত্যেকেই নিজের কষ্ট নিয়ে এসেছেন। জরুরি রোগী, গর্ভবতী নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের আগে যাওয়ার সুযোগ দিতে চেষ্টা করুন।

নয়. অনেকে চিকিৎসকের সামনে গিয়ে ঘাবড়ে যান, রক্তচাপ বেড়ে যায়। ঠিকমতো বলতে পারেন না। দুশ্চিন্তা করবেন না। চিকিৎসকের প্রতি আস্থা রাখুন। আপনার অনাস্থা, অসহযোগিতা, ভুল তথ্য প্রদান আপনারই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ডা. শামীম আহমেদ
সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
সোর্স – প্রথম আলো।

Tags: দুশ্চিন্তা

2
Psoriasis – ত্বকের একটি সাধারণ রোগ – কি করবেন জেনে নিন
সোরিয়াসিস ত্বকের একটি প্রদাহজনিত রোগ যা সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল চর্মরোগ যা কখনোই সম্পূর্ণ সারে না। তবে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই রোগ একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক বোঝা।

আমাদের দেশে ঠিক কত জন এই সোরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত তার কোনো হিসাব বা সঠিক পরিসংখ্যান নেই। যে কোনো বয়সের নারী ও পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ৩০ বছর বয়সের পরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

Psoriasis – ত্বকের একটি সাধারণ রোগ – কি করবেন জেনে নিন। সোরিয়াসিস ত্বকের একটি প্রদাহজনিত রোগ যা সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল চর্মরোগ যা কখনোই সম্পূর্ণ সারে না। তবে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই রোগ একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক বোঝা।

আমাদের দেশে ঠিক কত জন এই সোরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত তার কোনো হিসাব বা সঠিক পরিসংখ্যান নেই। যে কোনো বয়সের নারী ও পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ৩০ বছর বয়সের পরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

সাধারণত, মানুষের ত্বকের কোষ প্রতিনিয়ত মারা যায় এবং নতুন করে কোষ তৈরি হয়। সোরিয়াসিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই মারা যাওয়া কোষের সংখ্যা ও বিস্তারের মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে উঠে। ত্বকের সবচেয়ে গভীর স্তর থেকে মৃত কেরাটিনোমাইটস উপরের স্তরে চলে আসতে সাধারণত ২৮ দিন সময় লাগে। কিন্তু সোরিয়াসিস এর ক্ষেত্রে এই সময় লাগে ৫ থেকে ৭ দিন।
এই রোগ সম্পর্কে এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। তকে কিছু কারণ যেমন: ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল ইনফেকশন, ত্বকে আঘাত, আবহাওয়া, কিছু ওষুধ সেবন, অতিরিক্ত লাল মাংস গ্রহণ এবং হতাশা ইত্যাদি কারণে সোরিয়াসিস হতে পারে।

এই রোগে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট অংশের চামড়া পুরু হয়ে যায়। ত্বক আক্রান্ত স্থানে রুপালি-সাদা চামড়া দ্বারা আবৃত থাকে। ত্বক চুলকাতে পারে। সাধারণত কনুই, হাঁটু, নাভি, মাথার ত্বক, নখ ইত্যাদি স্থান প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত হয়। রোগ দীর্ঘমেয়াদি হলে সম্পূর্ণ শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে। এ ছাড়া দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর এই রোগের প্রভাব পড়ে। যেমন: যকৃতের রোগ, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ ও রক্তে কোলেস্টেরলের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সোরিয়াসিসে আক্রান্ত ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে। তাই ময়েশ্চারাইজার হিসেবে বিভিন্ন ধরনের তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি, লোশন ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্টেরয়েড প্রিপারেশন ত্বকে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া আলট্রাভায়োলেট থেরাপি ও বায়োলজিক্যাল বিভিন্ন ওষুধ সোরিয়াসিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
https://healthbangla.com/archives/2005

3
Helpful post

5
thanks

7
3rd July BBC News
মেক্সিকো সিটির একটি এলাকায় প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এমন একটি উঁচু ভবনের খোঁজ পেয়েছেন যেটি মানুষের মাথার খুলি দিয়ে নির্মিত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ওই ভবনটিতে অন্তত সাড়ে ছয়শো মাথার খুলির সন্ধান পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে খনন যত এগুবে খুলির সংখ্যা আরো বাড়বে।

ভবনের ওপরের দিকে বসানো খুলিগুলো নারী ও শিশুদের।

এই আবিষ্কার দেখে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এটি প্রাচী আজটেক সাম্রাজ্যের নরবলীর সংস্কৃতির অংশ এবং ওই আমলের সভ্যতা-সংস্কৃতি নিয়ে নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলছে।খুলি-নির্মিত ভবনটির ভাঙা ভাঙা অংশ দেখে মনে হয়, এটি নলাকৃতির ছিল। এখন যেখানে মেক্সিকোর রাজধানীর অবস্থান সেখানেই একসময় আজটেকের রাজধানী 'টেনোকটিটলান' ছিল, আর রাজধানীর প্রধান মন্দির ছিল 'টেম্পলো মায়োর'।

স্পেনীয় দখলদার যোদ্ধারা এই মন্দির কাছাকাছি আরেকটি জায়গায় একসঙ্গে বিন্যস্ত এ রকম অনেক খুলি দেখে ভয় পেয়েছিলেন। কারণ সেগুলো প্রাক-ঔপনিবেশিক যুগের মেসোআমেরিকান সংস্কৃতির চিহ্ন বহন করে।

ইতিহাসবিদরা সে নিয়েও ভাবছিলেন।

কিন্তু ২০১৫ সালে প্রত্নগবেষকেরা মেক্সিকো সিটির পুরনো অংশে যে খননকাজ শুরু করেছিলেন তা এখনো শেষ হয়নি।দলের জৈব নৃবিজ্ঞানী রদ্রিগো বোলানোস বলছেন "মাথার খুলি দেখে প্রথমে আমরা ভাবছিলাম কোনো তরুণ যোদ্ধার দেহাবশেষ। কিন্তু পরবর্তীতে যখন আমরা নারী ও শিশুদের মাথার খুলি পাই তখন বুঝলাম এরা যুদ্ধে যেতে পারে না।এটা সম্পূর্ণ নতুন। আমাদের কাছে এর কোনো রেকর্ডও নেই"।

কিন্তু সেখানে নারী ও শিশুর অনেক খুলি দেখে মানুষকে বলি দেয়া বা উৎসর্গ করার সংস্কৃতির ইঙ্গিত মেলে।

আজটেক ও অন্যান্য মেসোআমেরিকান সংস্কৃতির মধ্যে সূর্যের উদ্দেশ্যে নরবলি দেয়ার রীতি ছিল।

নৃবিজ্ঞানী রাউল বারেরা বলছেন, খুলিগুলো ভবনে বসানোর আগে সেগুলো দেখার জন্য হয়তো জনসম্মুখে রাখা হয়েছিল।

8
ব্রিটেনে পুরুষ মাছের লিঙ্গ বদলে যাচ্ছে?

৩ জুলাই ২০১৭ BBC News

লিঙ্গ বদলে ফেলার জন্য মানুষকে কত চেষ্টা চরিত্রই না করতে হয়। কিন্তু অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ পরিবর্তন, বিশেষ করে মাছেদের বেলায় সেটা কেমন?

আগে এমন কথা শোনা না গেলেও, এখন জানা যাচ্ছে ব্রিটেনে মিষ্টি পানির পুরুষ মাছেদের অন্তত কুড়ি শতাংশের লিঙ্গ আপনা থেকেই বদলে যাচ্ছে।

তারা ক্রমশ নারী লিঙ্গের মাছের মত আচরণ করতে শুরু করেছে। এমনকি কিছুকিছু পুরুষ মাছ ডিমও দিচ্ছে।

আবার অনেক পুরুষ মাছের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

এর কারণ আর কিছুই না। বলা হচ্ছে, রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার কারণে বদলে যাচ্ছে পুরুষ মাছের লিঙ্গ।

আরো পড়ুন:'মার্কিন নারীরা বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে একা খেতে চান না'

কাতারকে নতুন করে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এজন্য যে দুশোটির বেশি রাসায়নিক দায়ী, এর মধ্যে আছে মানুষের ব্যবহৃত জন্ম নিরোধক ওষুধপত্রও।

ব্রিটেনে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা দেখা গেছে, পয়-নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের শরীর থেকে যেসব রাসায়নিক বের হয়ে যাচ্ছে, তা প্রবাহিত হয়ে মিষ্টি পানির মাছেদের মধ্যে গিয়ে তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বদলে দিচ্ছে।

13
Faculty Sections / Re: সপ্তাহে ছয়টি ডিম
« on: March 20, 2017, 04:22:36 PM »
 :)

14
Faculty Sections / Re: ফুলকপির অনেক গুণ
« on: March 20, 2017, 04:22:14 PM »
welcome  :)

15
Faculty Sections / সপ্তাহে ছয়টি ডিম
« on: March 19, 2017, 07:44:21 PM »
সপ্তাহে ছয়টি ডিম

ওজনাধিক্য, রক্তে চর্বির আধিক্য এবং হূদেরাগ আছে এমন রোগীদের ডিম খেতে মানা—এমনটাই ধারণা প্রচলিত। কিন্তু সম্প্রতি চিকিৎসকেরা বলছেন, ডিমে প্রচুর আমিষ, ভিটামিন ডি সহ প্রায় ১১ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। একটা ডিমে আছে ৫ গ্রাম চর্বি, প্রায় পুরোটাই রয়েছে শুধু কুসুমে। এর মধ্যে সম্পৃক্ত বা ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ দেড় গ্রাম। অপর দিকে ডিম একটি চমৎকার পুষ্টির উৎস, এর আমিষ সহজপাচ্য ও উপকারী, তা ছাড়া ডিম ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডিম খাওয়া বাদ না দিয়ে বরং না বলুন উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারগুলোকে, যেমন কেক, পেস্ট্রি, চকলেট, ভাজা খাবার বা কোমল পানীয়। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা সুষম খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত, তাঁদের সপ্তাহে ছয়টি ডিম খেতে কোনো ক্ষতি নেই।

সূত্র: এবিসি হেলথ।


Pages: [1] 2 3 ... 14