Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - saima rhemu

Pages: 1 ... 12 13 [14] 15 16
196
চোখ আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। তাছাড়া  একজন মানুষের চাহনী দিয়েই কিন্তু অন্যদের মন সহজেই জয় করে নেয়া যায়। তাই চোখ সাজাতে আমরা অনেক বেশিই আগ্রহী।  মেকাপের পাশাপাশি অনেকে একটু পুতুল পুতুল লুক আনার জন্যে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করে থাকে। অনেকে আবার চোখের সমস্যার কারণেও লেন্স পরিধান করে থাকে। তো যে কারণেই লেন্স পরা হোক না কেন, কন্টাক্ট লেন্স পরলে মেকাপের ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বণ করতেই হবে। না হলে আমাদের এই অতিমুল্যবান অঙ্গটি অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

(১) সবসময় মেকাপ শুরুর আগে কন্টাক্ট লেন্স পরে নিবেন। প্রথমে মুখ এবং হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। এরপর পরিষ্কার শুকনো টাওয়ালের সাহায্যে হাত এবং মুখ ড্রাই করে নিবেন। এরপর লেন্স পরে নিবেন। মেকাপের আগে কন্টাক্ট লেন্স পরে নিলে মেকাপের দ্বারা কন্টাক্ট লেন্স ড্যামেজ হওয়ার চান্স কম থাকে, এছাড়া যে কোনো আই ইনফেকশন এড়ানো যায়।

(২) যে মেকাপ ব্রাশ/ স্পঞ্জ আপনি ব্যবহার করবেন যেন পরিষ্কার হয়। ডার্টি মেকাপ ব্রাশে জীবাণুর সংক্রামণ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। কন্টাক্ট লেন্স পরা অবস্থায় ডার্টি মেকাপ ব্রাশ দিয়ে মেকাপ করতে গেলে নানা রকমের ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই ব্রাশ/স্পঞ্জ ক্লিন করে নিবেন। এতে আপনার ব্রাশ রুটিন মাফিক ক্লিন করার অভ্যাসও তৈরী হবে।

(৩) কন্টাক্ট লেন্স পরা অবস্থায় মেকাপ করার সময় কখনোই অতিরিক্ত প্রেশার দিয়ে মেকাপ করবেন না। খুবই জেন্টলি সবকিছু ব্লেন্ড করে নিবেন।

(৪) চোখের জন্যে ভালো কোয়ালিটির মেকাপ প্রোডাক্টস ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। ভালো কোয়ালিটি বলতে আমি হাই এন্ড ব্র্যান্ড/ হাই প্রাইসের কথা বলিনি। অনেক চিপ প্রাইজেও ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট রয়েছে। সেখান থেকে বেছে নিতে পারেন। চেষ্টা করবেন অয়েল ফ্রি প্রোডাক্টগুলো বাছতে।

(৫) কন্টাক্ট লেন্স পরলে ওয়াটার লাইনে কাজল না দেয়াই ভালো। যখন আমরা ওয়াটার লাইনে কাজল ব্যবহার করতে যাই, তখন চোখে একটা প্রেশার ক্রিয়েট হয়। আর ওয়াটার লাইনের কাজল কন্টাক্ট লেন্স এর সংস্পর্শে আসার চান্স কিন্তু অনেক থাকে। তাই যতোটা পারা যায় ওয়াটার লাইনে কাজল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

(৬) গর্জিয়াস লুক পেতে আমরা আইল্যাশ ব্যবহার করেই থাকি।  আইল্যাশের গ্লু কিন্তু কন্টাক্ট লেন্সের জন্যে খুব একটা ভালো না। এজন্য আমি আইল্যাশ পরা বাদ দিতে বলছি না। কিন্তু খেয়াল রাখবেন আইল্যাশ গ্লু-টা যেন ভালো কোয়ালিটির হয়।

(৭) কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে  যেকোন লুজ পিগমেন্ট অথবা লুজ গ্লিটারকে একদমই না বলুন। কারণ এগুলো অসাবধানতায় চোখে চলে যেতে পারে। এতে আই ইরিটেশন হতে পারে। তাই সবথেকে ভালো ক্রিম আইশ্যাডোগুলো ব্যবহার করা।

(৮) দিনশেষে মেকাপ তোলার আগে অবশ্যই কন্টাক্ট লেন্স খুলে নিন। কারণে মেকাপ রিমুভ করার সময় অনেক বেশি প্রেশার দেয়া হয়, যেটা লেন্স এবং চোখের জন্যে খুবই খারাপ। এছাড়া মেকাপ এবং অয়েলি প্রোডাক্টস লেন্সের সংস্পর্শে আসতে পারে।

(৯) লেন্স খুলে ফেলার পর ইমেডিয়েটলি সেগুলো লেন্স সল্যুশন এর সাহায্যে ওয়াশ করে নতুন সল্যুশনে ডুবিয়ে রাখুন। কারণ লেন্স এ মেকাপ লেগে থাকতেই পারে। তাই লেন্সগুলো ভালো রাখতে প্রতিবার ওয়াশ করে রাখা তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্যে এটুকু তো মেনে চলাই যায়। তাছাড়াও কিন্তু চোখ মূল্যবান। তাই খেয়াল রাখাটাও জরুরী।

197
এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে আমেরিকায় মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া। আমাদের দেশেও এই হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়া এবং অধিক মাত্রায় অস্বাস্থ্যকর খাবার (junk-food) গ্রহণ এর প্রধান কারণ।

জীবনযাত্রার মান স্বাস্থ্যসম্মত করার মাধ্যমে এর প্রতিকার করা অনেকাংশে সম্ভব। তাছাড়া কিছু লক্ষণ আছে যা দেখে ধারণা করা সম্ভব এক মাসের মধ্যে হার্ট-অ্যাটাক হতে পারে, এই সব লক্ষণ গুলোকে অবশ্যই সতর্কতার লাল চিহ্নিত তালিকায় দিতে হবে।

অধিকমাত্রায় অবসাদঃ

যখন হৃৎপিণ্ডের ধমনীগুলো সরু হয়ে যায় তখন হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম রক্ত পায়, তাই একে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গুণ বেশি কাজ করতে হয়। আর এই কারণে শরীর অত্যাধিক বেশি ক্লান্ত হয়ে পরে।

শ্বাসপ্রশ্বাসে বাঁধাঃ

যখন হৃৎপিণ্ড প্রয়োজনের তুলনায় কম রক্ত পায় তখন ফুসফুসও পরিমিত অক্সিজেন পায় না, এই দুই তন্ত্র একে অন্যের উপর ওতপ্রত ভাবে জড়িত। একে ছাড়া অন্যটি একেবাড়েই কাজ করতে পারে না। তাই শ্বাসপ্রশ্বাসে প্রচন্ড রকম বাঁধার সৃষ্টি হয়, এটি হার্ট অ্যাটাক হবার নিকটতম লক্ষন হতে পারে তাই অতি দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

দুর্বলতাঃ

যখন শরীর হঠাৎ করে অত্যাধিক দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন এটার কারণ  ধমনী অধিক মাত্রায় সরু হয়ে যাওয়ায় রক্ত-সঞ্চালন ঠিকমত হচ্ছে না, তাই  মাংসপেশীতে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। তাই হঠাৎ হওয়া এমন দুর্বলতাকে কখনই তুচ্ছজ্ঞান করা যাবে না, এমতাবস্থায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

মাথা ঘোরানো ও শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়াঃ

রক্ত-সঞ্চালন কমে গেলে মাথার স্নায়ুকেন্দ্রেও এর প্রবাহ ব্যহত হয়। মাথা আমাদের পুরো শরীরের নিয়ন্ত্রক তাই এটা খুবই মারাত্নক, এর ফলে মাথা ঘোরায় এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। এটি কখনই অবহেলা করা ঠিক নয়।

বুকে ব্যথা অথবা চাপ অনুভূত হওয়া

অন্যান্য উপসর্গের সাথে যদি বুকে কোন প্রকার অস্বস্তিদায়ক চাপ অথবা ব্যথা অনুভূত হয় এবং যদি এটা কম পরিমাণেও হয় তাতেও এটি সমস্যার কারণ হতে পারে। এই চাপ হার্ট অ্যাটাক হবার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ক্রমান্ময়ে বাড়তে পারে।

সর্দি উপসর্গঃ

ঠান্ডা-সর্দি অথবা ভাইরাস জনিত ফ্লু হতে পারে হার্ট অ্যাটাক সমস্যার পূর্ব লক্ষণ, বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে হৃদক্রিয়ায় সমস্যা জনিত রোগীরা এতে আক্রান্ত হবার কিছুদিন আগে ঠান্ডা-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে।

 উপরোক্ত লক্ষনসমূহ থাকলে কী করতে হবেঃ

যদি আপনি অথবা আপনার পরিচিত কেউ হয়ে থাকেন উপরোক্ত লক্ষণ সমূহের ভুক্তভোগী, তাহলে আর দেরী না করে অবিলম্বে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। হার্ট অ্যাটাক অথবা হৃদক্রিয়া বন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে পূর্বলক্ষণসমূহ পর্যবেক্ষণের পর ডাক্তারের পরামর্শমত চলা।
আর সতর্ক হবার সাথে সাথে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে হবে। যেই সব কারণ এত ভয়াভহ পর্যায়ের দিকে নিয়ে যায়, সেইসব কারণ ত্যাগ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

198
মাথা ব্যথা খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। এই সমস্যায় ভুগেননি এমন মানুষ মনে হয় না আছে। কেউ মাইগ্রেনের ব্যথায় ভোগেন, কেউ বা সাইনাসের ব্যথায়, কারো মাথা ব্যথা হয় অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে। মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা সহ্যের বাইরে চলে যায়। এইসব মাথা ব্যথার জন্য কত রকম পেইন কিলারই তো আমরা অনবরত খেয়ে থাকি। এইসব পেইন কিলার কিডনির জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই চিকিৎসকরাও  সহজে পেইন কিলার প্রেসক্রাইব করেন  না। তাই মাঝে মধ্যে মনে হয় না  যে, মেডিসিনের উপর পুরোপুরি নির্ভর না করে যদি ঘরয়া কন টোটকা জানা থাকতো! তাই ভাবছি কীভাবে মেডিকেশন কম নিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে মাথা ব্যথা সমস্যার সমাধান করা যায় তাই নিয়ে লিখব।

আচ্ছা। জানেন তো যুগ যুগ ধরে রূপচর্চার কাজে এসেনশিয়াল অয়েল এর ব্যবহার হয়ে আসছে। আর এই  এসেনশিয়াল অয়েল  যদি ওষুধের পরিবর্তে কয়েকটি এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করে দুর করতে পারে তাহলে কেমন হয়?

তার আগে জেনে নিই, এসেনশিয়াল অয়েল কি? এসেনশিয়াল অয়েল গাছের নির্যাস থেকে নেয়া এক ধরণের তেলকে বুঝায়। গাছের বিভিন্ন অংশ যেমন গোলাপের পাপড়ি, ইউক্যালিপ্টাসের পাতা, চন্দন কাঠ, ল্যাভেন্ডার ফুল ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায় এই তেল। এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহারও অনেক। রূপচর্চায়, রান্নায় সুগন্ধীর জন্য, চুলের যত্নে, এরোমা থেরাপিতে এর ব্যবহার প্রচুর। কোন কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসায় যেমন ঠান্ডা লাগা, মাথা ব্যথা ও অন্যান্য ব্যথা বেদনা নিরাময়ে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার হয়।

মাথা ব্যথায় কি কখনো এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করে দেখেছেন? অনেকে যারা করেছেন তারা নিশ্চয় জানেন প্রচন্ড মাথা ব্যথা দুর করতে এই তেলগুলো কতটা কার্যকরি। যারা এখন ও জানেন না তাদেরকে আজ কিছু এসেনশিয়াল অয়েলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যেগুলোর কয়েক ফোঁটা মিশ্রণ আপনাকে মাথা ব্যথার কষ্ট থেকে নিমিষেই মুক্তি দিবে।

(১) রোজ এসেনশিয়াল অয়েল

রোজ অয়েল ভ্যাসোডায়ালেটর হিসেবে কাজ করে। এর মানে হলো ব্লাড ভেসেলগুলোকে প্রশস্ত করে রক্ত চলাচল সচল রাখে। তাই রোজ অয়েল মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য খুব উপকারী কারণ মাইগ্রেনের ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ ব্লাড ভেসেলের সংকোচন। এই তেল ব্লাড ভেসেলে অক্সিজেন সরবরাহ করে মাইগ্রেন ব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেয়।

(২) রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল

মাথা ব্যথার প্রাচীন চিকিৎসায় অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহার হতো রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল। এর রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ। যা ব্রেইনে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে। তাই এই তেল মাইগ্রেনের ব্যথা, ওষুধের কারণে মাথাব্যথা ও রক্তে সুগার কমে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট মাথাব্যথা দুর করতে রোজমেরি অয়েল অতুলনীয়।

মাইগ্রেনের সমস্যা হলে এক ফোঁটা রোজমেরি অয়েল চা, পানি বা স্যুপের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। আর অন্য যেকোন মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে দুই ফোঁটা রোজমেরি অয়েল, দুই ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল ও এক চা চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে গলায়, ঘাড়ের পিছনে, কপালে ম্যাসাজ করুন।

(৩) বেসিল/তুলশী এসেনশিয়াল অয়েল

বেসিল অয়েল পেশী রিল্যাক্সেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই তেল টেনশনের কারণে যে মাথা ব্যথা হয় তা দুর করতে খুব উপকারী। এটি লাগিয়ে ম্যাসাজ করলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে, তাই এটি মাইগ্রেনের ব্যথায় ও কার্যকরী। তাছাড়া এর রয়েছে ঠান্ডা ও শান্তিদায়ক অনুভুতি যা আপনি ম্যাসাজের পর ই অনুভব করতে পারবেন। আপনার মাথা ব্যথার সাথে সাথে সকল স্ট্রেস ও দুর করবে এই তেলের কয়েকটি ফোঁটা।

(৪) ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল

ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ডিপ্রেশন ও উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে। এই তেল শরীরের লিম্বিক সিস্টেমে কাজ করে, তাই স্ট্রেস ও উত্তেজনার কারণে যে মাথা ব্যথা হয় তা দুর করে খুব সহজেই। তাছাড়া এর রয়েছে সিডেটিভ গুণ যা আপনাকে ঘুমোতে সাহায্য করে। মাথা ব্যথার কারণে যারা ঘুমোতে পারেন না তারা রুমে হালকা ল্যাভেন্ডার অয়েল ছিটিয়ে দিন অথবা গোসলের আগে হালকা গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিন। দেখবেন এর মৃদু সুবাসে আপনার স্ট্রেস দুর হয়ে ঘুমোতে সাহায্য করবে সাথে মাথা ব্যথা থেকেও মুক্তি পাবেন।

(৫) পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল

টেনশনের কারণে আমাদের যে মাথা ব্যথা হয় তা দুর করতে পেপারমিন্ট অয়েল সবচেয়ে বেশি কার্যকরি। পেপারমিন্টে থাকে কুলিং ইফেক্ট যা পেশির সংকোচন রোধ করে এর সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। ৩ ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে কাঁধ, ঘাড়ের পিছন দিকে ও কপালে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন মাথা ব্যথা কমে যাবে।

(৬) ইউক্যালিপ্টাস এসেনশিয়াল অয়েল

ইউক্যালিপ্টাস অয়েল এক্সপেক্টোরেন্ট হিসেবে কাজ করে যা নাক পরিষ্কার রাখে, সাইনাসের প্রেসার কমায়। তাই সাইনাসের কারণে যে মাথাব্যথা হয় তা দুর করতে ইউক্যালিপ্টাস অয়েল অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া এই তেল স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। তাই টেনশেনের জন্য যে মাথাব্যথা হয় সেটিও কমে যায় এই তেল ব্যবহারে।

২-৪ ফোঁটা ইউক্যালিপ্টাস অয়েল যেকোন তেলের সাথে মিশিয়ে বুকে, ঘাড়ে, নাকে ও কপালে লাগিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। অনুনাসিক গহ্বর পরিষ্কার হবে ও সাইনাসের সমস্যার কারণে যে মাথাব্যথা হয় তা কমে যাবে। মাইগ্রেনের ব্যথাও নিয়ন্ত্রণ করবে এই ম্যাসাজ।

(৭) মেলিসা এসেনশিয়াল অয়েল

মেলিসা এসেনশিয়াল অয়েল একপ্রকার এক্সপেক্টোরেন্ট। এটি সাইনাসের ব্লক দুর করে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং মাথা ব্যথার প্রেসার কমায়। গলা ও ঘাড়ের পেশি টানটান হয়ে যাওয়া মাথা ব্যথার আরেকটি অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত উত্তেজনা ও স্ট্রেসে এমনটি হয়। এই এসেনশিয়াল অয়েল অত্যন্ত রিল্যাক্সিং,তাই এটি গলা ঘাড়ে ম্যাসাজ করলে পেশি রিল্যাক্স হয় ও ব্যথা কমায়।

(৮) রোমান এসেনশিয়াল ক্যামোমিল অয়েল

ক্যামোমিল অয়েল সবচেয়ে ঠান্ডা ও আরামদায়ক তেল। তাই স্ট্রেসের কারণে সৃষ্ট মাথাব্যথা সহজেই দুর করতে পারে এই তেল। যাদের ইন্সমনিয়ার কারণে মাথা ব্যথা হয় তাদের ঘুমোতে সাহায্য করে এবং মাথাব্যথা কমায়। শরীরের টক্সিন দুর করতে ক্যামোমিল অয়েল কার্যকরী। তাই অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তাও নিরাময় হয় এই তেল ব্যবহারে। ২ ফোঁটা রোমান ক্যামোমিল অয়েল চায়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

(৯) মারজোরাম এসেনশিয়াল অয়েল

মারজোরাম এসেনশিয়াল অয়েল অ্যান্টিডিপ্রেশন, অ্যান্টি-এংজাইটি ও সিডেটিভ হিসেবে কাজ করে। যা আপনার ডিপ্রেশন ও উদ্বেগ কমায় এবং ঘুমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মারজোরাম ব্রেইন টিস্যুকে সুস্থ রাখে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। তাই যে কোনরকম মাথা ব্যথা তা টেনশনের কারণে হোক বা স্ট্রেসের জন্য, সবগুলোর জন্য মারজোরাম এসেনশিয়াল অয়েল খুবই কার্যকরি।

মাথা ব্যথার জন্য এসেনশিয়াল অয়েলের তুলনা হয় না। আমরা অনেকেই এসেনশিয়াল অয়েলের গুণাগুণ জানি না দেখে এর সঠিক ব্যবহার করতে পারি না। তবে মেডিকেল ট্রিটমেন্টে এসেনশিয়েল অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ১০০% বিশুদ্ধ তেল ব্যবহার করবেন। তা না হলে আপনি পুরোপুরি ফল নাও পেতে পারেন, কারণ এতে কেমিক্যাল মেশানো থাকে। এছাড়া এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারের সময় অবশ্যই তেলটি অন্য যেকোন তেলের সাথে মিশিয়ে নিবেন। আর যাদের সেনসিটিভ ত্বক তারা অবশ্যই কপালে ও নাকে লাগানোর আগে টেস্ট করে নিবেন।

199
কিছুদিন ধরে স্কিন এর ডাল লাইফলেস ভাবটা একটু বেশি চোখে বাঁধছে? আগের মতো শাইন গ্লো কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না? রাতে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না, সারাদিন টায়ার্ড লাগছে? অথবা যেকোনো সিজনাল চেঞ্জের সময়ই জ্বর ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়ছেন?

তো এখন কি করবেন? রাজ্যের ক্রিম কিনে এনে মুখে মাখবেন? নাকি ডাক্তারের কাছে দৌড়াবেন? একটু ডিপলি চিন্তা করলে দেখতে পাবেন এই সব সমস্যাগুলোই আপনার স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। হেলথ প্রব্লেম থাকলে আপনি যত চেষ্টাই করুন না কেন, স্মুথ ইয়ুথফুল বাউন্সি স্কিন, শাইনি সিল্কি চুল কিছুই পাবেন না। এটাই সত্যি। সো চলুন, দেখি স্কিনের হারানো লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে হাজার হাজার টাকার ক্রিম না কিনে অন্য কোন উপায় খুঁজে। যা আপনার রূপ লাবণ্য ফিরিয়ে আনবে, আর ভেতর থেকে আপনাকে ফিরিয়ে দেবে আপনার সুস্বাস্থ্য।

“গোল্ডেন মিল্ক”- কি এটা?

একেবারেই আমাদের ঘরের জিনিস। প্রাচিন আয়ুর্বেদে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় হলদি দুধের উপকারিতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, ‘হলদি দুধ’ অর্থাৎ ‘হলুদ মেশানো’ দুধই হচ্ছে ‘গোল্ডেন মিল্ক” । এর মূল উপাদান? হলুদ আর দুধ। কিন্তু কেন এটা খাবেন এবং খেয়ে কি কি বেনিফিট পাবেন, কখন খেলে বেস্ট জানতে চাইলে পড়তে থাকুন।

গোল্ডেন মিল্কের রেসিপি

উপাদান

হলুদ পাউডার (হাফ কাপ)
সবসময় চেষ্টা করবেন হলুদ আস্ত কিনে নিজে ভাঙ্গিয়ে নিতে। বাজারে ভেজাল বিহীন পণ্য খুব কম। আর ভেজাল গোল্ডেন মিল্ক খাওয়া বা না খাওয়া একই কথা।

গোল মরিচের গুঁড়া (দেড় চা চামচ)
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান! ১৯৯২ সালের একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, হলুদের সবচেয়ে দরকারি উপাদান হচ্ছে “কুকুরমিন’ (এটার জন্যই গোল্ডেন মিল্কের এত জয়জয়কার)। কিন্তু মানবদেহ কুকুরমিন ডাইজেস্ট করতে এবং ইউজ করতে অতটা সক্ষম নয়। কিন্তু  অল্প একটু গোলমরিচ যদি হলুদের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয় সেটা কুকুরমিন দেহে অ্যাবজর্বেশন ২০০০% বাড়িয়ে দেয়। মানে? আপনি হলুদের পুরো গুণাগুণ এবং বেনিফিট তাই পাচ্ছেন!!
৫ টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অরগানিক নারিকেল তেল
প্রতিদিন অল্প একটু নারিকেল খাওয়া স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য খুবি ভালো। কিন্তু ভার্জিন নারিকেল তেল কোনভাবেই চুলায় গরম করা যাবে না। এতে এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই এভাবে খেলে একি ঢিলে ২ পাখি মারতে পারছেন। আমি নিজের বানান নারিকেল তেল ব্যবহার করি। এ ধরনের খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা নারিকেল তেল সংগ্রহ করতে পারলে সেটাই ইউজ করবেন । আর যদি নারিকেল তেল না পান, তবে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল একই পরিমাণে ব্যবহার করবেন। যেকোনো সুপারশপে পাবেন। এবং একই রুল মনে রাখবেন, এক্সট্রা ভার্জিন কোন তেল চুলায় দিয়ে রান্না করবেন না। এতে তেলের সব গুণাগুণই নষ্ট হয়।

প্রণালী-

হলুদ গুঁড়া ১ কাপ পানির সাথে মিক্স করে অল্প আঁচে ৬-৮ মিনিট চুলায় জ্বাল দিন। বেশ ঘন পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
হলুদ পেস্ট ঠাণ্ডা করে তাতে গোলমরিচের গুঁড়া আর তেল খুব ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন।
ব্যাস হয়ে গেল, এই পেস্ট একটা এয়ারটাইট জারে ফ্রিজে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত রাখতে পারবেন। এতে আলসেমি করে গোল্ডেন মিল্ক খাওয়াও বন্ধ হবে না, আর রোজকার ঝক্কিও পোহাতে হবে না।
কখন? কীভাবে?

রোজ রাতে খুব হালকা উষ্ণ এক কাপ খাঁটি দুধের সাথে জার থেকে জাস্ট ১ চা চামচ পেস্ট নিয়ে মিক্স করে ফেলুন। তারপর খেয়ে নিন দুধটা। আর খেতে বেশি তিতা লাগলে দুধে ১ চা চামচ খাঁটি মধু মিক্স করবেন। স্বাদ আরও বাড়বে!

খাঁটি দুধ না পেলে গুড়ো দুধ ২ চা চামচ হালকা উষ্ণ পানিতে মিক্স করে তাতে পেস্ট মিশিয়ে নিতে পারেন।
কেন রাতে খাবেন?

ঘুমানোর আগে উষ্ণ দুধ খেলে ঘুম খুবি ভালো হয়। চেষ্টা করবেন রাত ৮ টার মধ্যে ডিনার শেষ করে রাত ১০ টার আগেই এক কাপ গোল্ডেন মিল্ক খেয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে। এতে রোজকার টায়ার্ডনেসটাও দূর হবে।

কেন খাবেন রোজ গোল্ডেন মিল্ক?

হেলথ বেনিফিটস-

ডেইলি এককাপ গোল্ডেন মিল্ক আপনার মেটাবলিসম রেট বাড়াবে। সো যারা অনেকদিন ধরে ওজন কমানোর চেষ্টা করেও কোন ফল পাচ্ছেন না তাদের জন্য এটা মাস্ট হ্যাভ
ভবিষ্যৎ অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন বৃদ্ধির হার কনট্রোলে রাখবে।
হলুদ ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রামাণিত। সো এই কারণে হলেও আমাদের সবার ডেইলি এক কাপ প্রপার গোল্ডেন মিল্ক খাবার অভ্যাস তৈরি করা উচিৎ। এবং আপনার ছোট বাচ্চাকেও রোজ গোল্ডেন মিল্ক খাওয়াবেন, একই কারণে।
গোল্ডেন মিল্ক দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সিজনাল ফ্লু/ জ্বরের সমস্যায় এটা খুবি ভালো ফল দেবে।
নারিকেল তেল হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ডায়াবেটিসে হেল্প করে, ইনসুলিন লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু যাদের কোলেস্টেরল প্রবলেম আছে তারা নারিকেল তেলের বদলে অলিভ অয়েলটাই ব্যবহার করবেন।
যাদের পিরিয়ডের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয় তারা রোজ রাতে গোল্ডেন মিল্ক খেলে অনেক উপকার পাবেন। অজথা নিজে নিজে পেইনকিলার খাবার কোন দরকার হবে না।
হলুদ এবং দুধের ক্যালসিয়াম নারী এবং বৃদ্ধদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এরা হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা এবং ক্যালসিয়াম ডেফিসিয়েন্সিতে ভোগে।
স্কিন বেনিফিট-

হলুদ ন্যাচারালি অত্যন্ত হাই অ্যান্টি অক্সিডান্ট সমৃদ্ধ। এটা ত্বকের ফ্রি র‍্যাডিক্যাল ধ্বংস করে। ফ্রি র‍্যাডিকালের কারণেই আমাদের ত্বক বয়সের সাথে সাথে জৌলুস হারায় এবং রিঙ্কেল ফাইন লাইন এর ফাঁদে পড়ে যায়। ডেইলি সঠিক পরিমাণে হলুদ খেলে অর্থাৎ গোল্ডেন মিল্ক খেলে এই সমস্যাগুলো অনেক অনেক কমে যায়। আর ছোটবেলা থেকেই রোজ গোল্ডেন মিল্ক খাওয়ার হ্যাবিট থাকলে ত্বকে রিঙ্কেল পড়তে সময় ও নেবে প্রচুর। কেনা চায় সময়ের ঘড়িকে থামিয়ে দিতে?
সান ড্যামেজ এবং পলিউশনের কারণে ত্বকে দেখা যায় মেছতা, হাইপারপিগ্মেনটেশন। গোল্ডেন মিল্কের সবগুলো উপাদান সান ড্যামেজের হার কমাতে সাহায্য করে। রেগুলার প্রপার সানস্ক্রিন এবং গোল্ডেন মিল্ক আপনার ত্বকের হঠাৎ ডালনেস দেখা দেয়া, লাবণ্য হারিয়ে যাওয়ার সমস্যা একেবারেই থামিয়ে দিতে সক্ষম।
গোল্ডেন মিল্ক দেহের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এতে দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।
গোল্ডেন মিল্ক হরমনাল ব্রণ প্রব্লেমে হেল্প করে। এটা একই সাথে ব্রণ ওঠার হার কমায়, এক্সিসটিং ব্রণ দ্রুত সারিয়ে তোলে। এবং যেহেতু বডির সেলফ হিলিং সিস্টেম বেড়ে যায় গোল্ডেন মিল্কের কারণে এটা ব্রণ/ কাঁটা ছেঁড়ার দাগও পড়তে দেয় না।
“রেগুলার ডেইলি মিল্ক খাবার অভ্যাস করলে সাথে প্রপার সানস্ক্রিন এবং মিনিমাল একটা স্কিন কেয়ার রুটিন থাকলে ত্বকের স্বাভাবিক স্কিন টোন বজায় রাখাটা কোন ব্যাপারই না। সো যারা দিন দিন কালো হচ্ছেন, ত্বক কুঁচকে যাচ্ছে তাদের জন্য এগুলো মাস্ট।

তো? আর দেরি কেন? আজই বানিয়ে ফেলুন হলুদের পেস্ট আর রাত থেকেই পরিবারের সবাইকে বানিয়ে দিন উষ্ণ কমফোর্টিং এক কাপ গোল্ডেন মিল্ক.

200
Public Health / ফিট থাকতে সাইক্লিং
« on: February 22, 2018, 04:18:15 PM »
শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুষ্ঠ ও ফিট থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই শারীরিকভাবে সচল থাকতে হবে। নিয়মিত শারীরিক বিভিন্ন কর্মকান্ড আপনাকে কয়েকটি মারাত্নক রোগ যেমন স্থুলতা, হৃদরোগ, ক্যান্সার, মানসিক সমস্যা, ডায়াবেটিস, বাতরোগ প্রভৃতি রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। নিয়মিত সাইক্লিং আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি আপনার শরীর ও মনকে করবে প্রাণবন্ত ও সজীব। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে সাইক্লিং আমাদেরকে সুস্বাস্থের অধিকারী করতে সাহায্য করে।

স্থুলতা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাইক্লিং

ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাইক্লিং একটি উত্তম পন্থা। এটি আমাদের বিপাকক্রিয়ার হার বাড়িয়ে দেয়, মাংস পেশীর গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরের চর্বি কমিয়ে দেয়। আপনি যদি ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন তাহলে সাইক্লিংকে অবশ্যই আপনার পরিকল্পনা মধ্যে সংযুক্ত করতে হবে। কারণ সাইক্লিং হচ্ছে শারীরিক ব্যায়ামের একটি আরামদায়ক মাধ্যম। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন মানুষের সপ্তাহে ব্যায়ামের মাধ্যমে কমপক্ষে ২০০০ ক্যালরি কমানো উচিৎ, যেখানে ১ ঘন্টা সাইক্লিং করে প্রায় ৩০০ ক্যালরি কমানো সম্ভব।

হৃদরোগ ও সাইক্লিং

হৃদরোগগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট এট্যাক। নিয়মিত সাইক্লিং আপনার হৃদযন্ত্র, ফুসফুস ও রক্ত চলাচল সচল রাখতে এবং এদের উন্নয়নে সহায়তা করে। যা আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সাইক্লিং আপনার হৃদযন্ত্রের পেশীকে শক্তিশালী করে, নাড়ির স্পন্দনের হার কমিয়ে দেয় এবং রক্তে চর্বীর মাত্রা কমিয়ে দেয়। ডেনমার্কের একটি গবেষণা যা ১৪ বছর ধরে পরিচালনা করা হয় ৩০ হাজার মানুষের ওপর যাদের বয়স ২০ থেকে ৯৩ বছরের মধ্যে সেখানে পাওয়া যায়, নিয়মিত সাইক্লিং মানুষকে হৃদরোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

ডায়াবেটিস ও সাইক্লিং

ডায়াবেটিস মানুষের জন্য একটি মারাত্নক ব্যাধি এবং এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রোগের প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে শারীরিক পরিশ্রম বা সচলতার অভাব। সাধারণত যেসব কাজে কায়িক পরিশ্রমের অভাব রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। সাইক্লিং মানুষের শারীরিক সচলতা আনায়ন, স্থুলতা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ ও রক্ত চলাচল সচল রাখতে সহায়তা করে যার ফলে মানুষ ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকে।

বাতরোগ ও সাইক্লিং

বাতরোগ এর ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে সাইক্লিং খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। সাইক্লিং মানুষের হাটুর জোড়ায় গতিশীলতা আনায়ন করে এবং পায়ের পেশীকে আরো শক্তিশালী করে। বাতরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক বিশেষজ্ঞ সাইক্লিং করার পরামর্শ দেন।

মানসিক সমস্যা ও সাইক্লিং

মানুষের বিভিন্ন মানসিক সমস্যা যেমন দুশ্চিন্তা, চাপ ও হতাশা দূরীকরণেও সাইক্লিং খুবই কার্যকরী। সাইক্লিং মানুষের শরীর ও মনকে সতেজ ও চাঙা করে দেয়। যা মানুষের আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানুষ সকল প্রকার দুশ্চিন্তা, চাপ ও হতাশা থেকে মুক্ত থাকে।

ক্যানসার ও সাইক্লিং

ক্যানসার ও সাইক্লিং এর মধ্যে সম্পর্কের বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া যায় যে, নিয়মিত সাইক্লিং মানুষের ক্যান্সার বিশেষ করে কোলন ও ব্রেস্ট ক্যানসার এর ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সাইক্লিং মানুষের স্থুলতা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ, মানসিক সমস্যা ও ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করে যা ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ, ফলে সেই সাথে মানুষের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়।

201
ওজন যখন খুব বেশি, তখন ওজন কমাতে কে না চায়? ওজন কমানোর ধারাবাহিকতায় অনেক ধরনের খাবারের কথা মানুষ শুনে এসেছে। বহুকাল ধরেই অনেক ধরনের ফেড ডায়েট এর খাবারগুলো আসছে আবার চলেও যাচ্ছে। কিছু খাবার ওজন অনেক দ্রুত কমালেও, সেই অভ্যাস ছেড়ে দিলে আবার বেড়েও যায়। কিন্তু অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খুব সহজেই ওজন কমানোর কাজে সাহায্য করে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়ায়। এটি ওজন কমানোর পর ছেড়ে দিলে, ওজন দ্রুত বাড়ায় না।

নাম থেকেই বোঝা যায়, এটি আপেল এর রস এবং ভিনেগার এর তৈরি। সাধারণত আপেল ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সাথে ভিনেগার ও একই কাজে মাহির। তাই এদের মিশ্রণটা যে ওজন কমানোর কাজে লাগবে তা বলাই বাহুল্য। আজকাল অনেক সুপরিচিত হলেও অনেকেই জানেন না যে, কীভাবে এটি পান করতে হবে।

কীভাবে খাবেন:

১ থেকে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার  এর সাথে ১ গ্লাস হাল্কা গরম পানি মিশিয়ে নিন।এই মিশ্রণ ৩ বার খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে পান করুন। তারপর নিয়ম মাফিক খাবার গ্রহণ করুন। তবে কেউ চাইলে এই মিশ্রন এ লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

তবে খুব বেশি পরিমাণ এ গ্রহণ না করাই ভালো। কারণ সকল ভিনেগারে অ্যাসিটিক এসিড থাকে যা অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে গলায় ক্ষতি করতে পারে।

এবার জেনে নিই, এটি আসলে কীভাবে কাজ করে-

(১) এটি ক্ষুদা কমায়ঃ ACV খুব তাড়াতাড়ি খাবারের তৃপ্তি এনে দেয়। ফলে বেশি খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যায়।

(২) ACV রক্ত শর্করাকে কন্ট্রোল করেঃ শরীর এর রক্ত শর্করা যখন স্থির থাকে তখন শুধুমাত্র যখন দরকার তখনই ক্ষুদা অনুভব হয়। অন্যান্য সময় খাবার গ্রহণ এড়িয়ে চলা যায়।

(৩) ACV চর্বি জমাট বাধাকে প্রতিরোধ করেঃযারা প্রতিদিন  অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পান করে তাদের বিপাক ক্রিয়া বেড়েযায় এবং খুব দ্রুত চর্বি বার্ন করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমান এ অরগানিক এসিড এবং এনজাইম রয়েছে যা বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে এবং যা চর্বি গলাতেও সাহায্য করে থাকে।

(৪) ইন্সুলিন-এর ক্রিয়াঃ ইনসুলিন চর্বি সঞ্চয়কে প্রভাবিত করে। এই হরমোনটি ব্লাড গ্লুকজ-এর সাথে সম্পর্কিত। এই হরমনের ঘাটতির কারনেই ডায়বেটিস দেখা দেয়। তাই যারা ডায়বেটিস রোগী বিশেষকরে টাইপ  ২ ডায়বেটিস রয়েছে যাদের, তাদের জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার  সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।

(৫) শরীরকে রোগ মুক্ত  করতেঃ এই পানীয় টি হজমে সাহায্য করে, সেই সাথে বিপাক হার বাড়িয়ে শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীর সুস্থ্য ও রোগ মুক্ত থাকে।

শুধুমাত্র ওজন কমানো ছাড়াও আ্যপেল সাইডার ভিনেগার  গায়ের চামড়া সুন্দর রাখতে, খসখসে ভাব দূর করতে এবং চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। তাই গ্রীন টি’র মত এই পানীয়টি করে তুলতে পারে আপনাকে আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয়।

202
নারীর জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় হচ্ছে সন্তান জন্ম দেয়া। সেই সব কষ্ট দূর হয়ে যায় নবজাতককে কোলে নেয়ার সাথে সাথে। কিন্তু গর্ভধারণের পরবর্তী ওজন এত সহজে কমে না। বিশেষ করে সিজারিয়ান হলে পেটের মেদ কমিয়ে পূর্বের অবস্থায় যেতে অনেক সময় লাগে। বেশির ভাগ নারী তাদের এই  বাড়তি ওজন নিয়ে জীবন কাটিয়ে দেন। তারা ভাবেন মা হলেই বুঝি ওজন চলে যাবে বাড়তির দিকে। আর লোকমুখেও প্রচলিত রয়েছে, সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হলে নাকি মায়েরা মুটিয়ে যান। তবে এমন ধারণার আসলে কোনো ভিত্তি নেই।  বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তান জন্মের পর মা আবার তার আগের ওজন ফিরে পেতে পারেন, যদি কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখা হয়। শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য মাকে বেশি করে খেতে হবে এটি যেমন ঠিক, তেমনি আবার খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত খাওয়া না হয়।
আবার মাকে স্বাভাবিক কাজকর্মও করতে হবে। আর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুর জন্ম হলে মা অতিরিক্ত মুটিয়ে যান, এ কথা একেবারেই ঠিক নয়।  যদি আপনি সিজারিয়ান পরবর্তী কিছু নিয়ম পালন করেন তাহলে আপনার পেট আবার পূর্বাবস্থায় ফিরতে পারে। সত্যি ব্যাপার হলো পেটের মেদ কমানো খুব সহজ নয় এবং সিজারিয়ান করলে অবস্থাটা আরো বেশি কঠিন হয়ে যায়।   আসুন এবার জেনে নিই, সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে।

(১) সি-সেকশনের পরে ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো। বাচ্চাকে ৬ মাস শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এর সাহায্যে আপনার পেটের অনেক অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে।

(২) শিশুর জন্মের ছয় সপ্তাহ পর থেকে ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। ছয় সপ্তাহের আগে পেটের ব্যায়ামগুলো কোনো অবস্থাতেই করা যাবে না। শিশুর জন্ম সিজারিয়ানের মাধ্যমেই হোক আর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়ই হোক, মায়ের পক্ষে যখনই স্বাভাবিক কাজকর্ম করা সম্ভব হবে, তখন থেকেই সেসব কাজ শুরু করতে হবে।

(৩) ডেলিভারির পরে প্রথম ছয় মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে ভারী ব্যায়াম করা যায় না। তবে সাধারণ ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। যেমন- হাঁটা। শিশুর জন্মের তিন মাস পর থেকে দিনে ৪৫ মিনিট করে হাঁটাহাঁটি করা ভালো। চাইলে কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামও করতে পারেন।

(৪) ছয় মাস পর থেকে অন্যান্য ব্যায়াম শুরু করা ভালো। তবে হালকা ব্যায়াম দিয়েই শুরু করা উচিত। পেটের ব্যায়ামগুলো আট-নয় মাস পর শুরু করা ভালো। ইয়োগা পেটের মেদ কমানোর ভালো উপায়। যেমন- প্রাণায়াম। এতে পেটের মাংসপেশি দৃঢ় হয়।

(৫) খাওয়া, ঘুমানো ও গোসল ছাড়া সবসময় পেটে বেল্ট পরে থাকুন। এটা অনেক বিরক্তিকর হলেও আপনি অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।

(৬) শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স রক্ষা করে পানি। শুনে অবাক হবেন যে, পানি দেহ থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন, এতে ক্ষুধা কম লাগবে ও পেট ভরা থাকবে।

(৭) ভাত, মিষ্টিসহ শর্করাজাতীয় অন্যান্য খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে যাঁরা গর্ভধারণের আগে থেকেই একটু মুটিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের এ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

নতুন মায়েদের স্বাস্থ্যকর খাওয়ার ব্যাপারে কিছু টিপস-

• খাবারের তালিকায় ফল ও সবজি রাখুন।

• স্বাস্থ্যকর খাবার খান তাহলে আপনার খাবারের জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা কমে যাবে। প্রেগন্যান্সির সময় যেভাবে যা ইচ্ছা হয়েছে তাই খেয়েছেন সেভাবে খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

• না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না। এতে আপনার ও আপনার শিশুর ক্ষতি হতে পারে।

আপনি সিজারিয়ান অপারেশনের পরে কিছু দিন ভারী ব্যায়াম করতে পারবেন না বলে আপনি আপনার পূর্বের আকার ফিরে পাবেন না এমন ভেবে হতাশ হবেননা। ধৈর্য ধারণ করুন এবং নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাহলেই আপনি ফিরে পাবেন মেদবিহীন আকর্ষনীয় দেহ।

203
আচ্ছা আপনি কি জানেন গ্রিন টি কখন খাওয়া উচিত আর কখন উচিত নয়? গ্রিন টি এমন একটি চা যেটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এবং সাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। যারা স্বাস্থ্য সচেতন ডিটক্স হিসেবে নিঃসন্দেহে তাদের প্রথম পছন্দ গ্রিন টি। গ্রিন টি খেতে অনেক বেশি ভালো তা নয় বরং এই চা এর স্বাদ ভালো না বললেই চলে তারপরও যারা অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন এবং ওজন কমাতে চায় এমন মানুষের কাছে গ্রিন টি অনেক বেশিই গুরুত্বপূর্ন। এমন কি এই চা এর স্বাদ ভালো না হলেও আমার নিজেরও শুধুমাত্র একারণেই পছন্দ কারণ আমি আমার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুবই সচেতন। আর কিছু পেতে হলে তো কিছু হারাতে হবেই। তাই সাস্থ্যের কথা ভেবে আমি স্বাদের দিকটা এতটা চিন্তা করি না।

সবই তো ঠিক আছে! গ্রিন টি খাচ্ছেন ঠিকই স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কিন্তু কখন খাবেন তার ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানেন তো আপনি? যদি গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময়ই না জানলেন তবে খেয়ে তো আপনার তেমন উপকার হবেই না বরং ক্ষতির সম্মুখীনই হবেন আপনি।
গ্রিন টি পান করার সঠিক সময় –

নাস্তা করার পর

সকালে উঠে অবশ্যই নাস্তায় এমন খাবার খাওয়া উচিত যাতে করে সারাদিন আপনার শরীর অনেক ভাল থাকে। তাই সকালে আপনি অবশ্যই চা খাবেন না খালি পেটে। এতে দেখা যাবে আপনার ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা হবে। আর তাছাড়া খালি পেটে গ্রিন টি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিংবা আলসারও হতে পারে। সুতরাং সকালের নাস্তায় হেলদি কোন খাবার খান এবং এরপর গ্রিন টি খান।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে


আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি খান তবে তার জন্য সঠিক সময় হল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক ২ ঘন্টা আগে। রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে গ্রিন টি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে আর এটা অনেক বেশি কাজ করবে ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষণ না আপনি অন্যকিছু খাবেন। রাতে তো আর আপনি অন্যকিছু খান না তাই ভালো করে কাজ করতে পারে গ্রিন টি। অনেক সময় চা আপনার ঘুম নষ্ট করে এজন্যে চা পান করার সাথে সাথে ঘুমাতে না গিয়ে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগেই পান করুন।

ব্যায়াম করার পূর্বে

ব্যায়াম করার আধাগন্টা আগে গ্রিন টি পান করুন। যদি আপনি আধাঘন্টা আগে পান করেন তবে এতে করে আপনার কর্মক্ষমতা বাড়বে। এমন কি এটা আপনার ওজন এবং মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে অথবা পরে

অনেকেই খাবার খাওয়ার পরপরই চা পান করেন। খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই গ্রিন টি পান করা উচিত নয়। খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পরে অথবা আগে গ্রিনটি পান করুন।

জানলেন তো কোন সময়গুলো সঠিক গ্রিন টি পান করার জন্য? এবার আমি শেয়ার করব কোন সময়ে গ্রিন টি পান করবেন না-

সকালে খালি পেটে কখনোই গ্রিন টি পান করবেন না।
খাওয়ার সময়গুলোতে গ্রিন টি পান করবেন না। যেমন রাতের খাবার অথবা দুপুরের খাবারের সময়।
একদিনে ২-৩ কাপের বেশি পান করবেন না।
গ্রিন টি এর সাথে গুঁড়া দুধ কিংবা চিনি মেশাবেন না।
ঘুমের সমস্যাজনিত কারণ এড়িয়ে যেতে গভীর রাতে গ্রিন টি পান করবেন না।
সুতরাং জেনে নিন গ্রিন টি পান করার সঠিক সময় এবং নিজেকে করে তুলুন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।

204
পরিবেশ, খাবারে ভেজাল, বিভিন্ন রকম শারীরিক অসুবিধার কারণে ডায়বেটিক এখন আর শুধু বয়স্কদের অসুখ নয়। সদ্যজাত শিশু থেকে শুরু করে, তরুণ, বৃদ্ধ সবারই ডায়বেটিস হতে পারে। ডায়বেটিস এ খাবার, বিশ্রাম, ব্যায়াম এর ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলতে হয়। না হলে অসুস্থতা জেঁকে বসতে পারে। সম্পূর্ণ ওষুধ নির্ভর হয়ে বেঁচে থাকার চাইতে কিছু নিয়ম মেনে সুস্থ থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। ডায়বেটিস এ সঠিক ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হয়। একেবারে অনেক কিছু না খেয়ে বারে বারে অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। অনেকেই এই সঠিক ডায়েট এর নিয়মটা জানেন না। বুঝতে পারেন না কখন কী খাওয়া উচিত, কী উচিত না। তাই তাদের সুবিধার্থে আজকে ডায়েট চার্টটি সাজানো হয়েছে।

সকালের নাস্তায় যা যা খেতে পারেন

ফল

সকালের নাস্তায় ফল থাকাটা খুব জরুরী। ফল শরীর ও মন দুটোকেই সতেজ রাখে এবং শরীরে ক্যালরির অভাব পূরণ করে কোন ক্ষতি ছাড়াই। কলা, আপেল, কমলা, মাল্টা, স্ট্রবেরি এসব ফল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি।

টকদই

নাস্তায় টকদই অথবা চিনি ছাড়া ফ্যাট ফ্রি ঘরে পাতা দই যোগ করতে পারেন। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরে ক্যালসিয়াম এর অভাব পূরণ করে।

ডিম এবং ইংলিশ মাফিন

টমেটো, পেঁয়াজ দিয়ে একটি ডিম অলিভ অয়েল এ ভেজে নিন। সাথে নিতে পারেন ফ্যাট ফ্রি চিজ এবং সুগার ফ্রি ব্রেড অথবা ইংলিশ মাফিন।

মিক্সড ব্রেকফাস্ট

ফ্যাট ফ্রি টক দই, মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস, বাদাম, ওয়াল নাটস, কর্ণফ্লেক্স মিক্সড করে খেয়ে নিতে পারে। এটা পুষ্টিকর এবং উপকারী।

ওটসমিল

রান্না করা ওটসমিল, বাদাম, সিনামন আর মিষ্টির জন্য চিনির বদলে অন্য কিছু মিলিয়ে মিক্সচার তৈরি করে নিন। এরপর লো ফ্যাট দুধের সাথে এটি খেয়ে নিতে পারেন।

কর্ণফ্লেক্স এবং ক্রিম চিজ

খুব তাড়াহুড়ো থাকলে কর্ণফ্লেক্স এর সাথে লাইট ক্রিম চিজ মিলিয়ে দুধের সাথে খেয়ে নিতে পারেন। চটপট নাস্তাও হয়ে যাবে সাথে ডায়বেটিস ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

দুপুরের খাবারে যা যা খেতে পারেন

সালাদ

বিভিন্ন ধরণের সবজি যেমন শসা, টমেটো, লেটুস পাতা, পার্সলে পাতা, গাজর সবমিলিয়ে একটি সালাদ অবশ্যই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে।

মাছ বা মাংস

এক টুকরো মাছ অথবা মাংস খাবার তালিকায় রাখবেন। কিন্তু রেড মিট এভোয়েড করতে হবে। মুরগির এক বা দুই পিস এবং যেকোন মাছ থাকতে পারে। যথাসম্ভব ভাত এভোয়েড করা উচিত। আর খেলেও মেপে এক কাপ এর বেশি না।

ফল

হালকা কিছু ফল খাবার পর খেতে পারেন। এতে শরীর সতেজ থাকবে।

শাক-সবজি ও ডাল

খাবার তালিকায় বিভিন্ন রকমের ডাল এবং সবজি রাখতে হবে। তবে খুব বেশি ঝাল মশলা দিয়ে না। দুপুরের খাবারে লাল শাক, পালং শাক,পুঁই শাক ইত্যাদি নানা ধরণের শাক থাকতে পারে।

বিকেলের  নাস্তায় যা যা খেতে পারেন

ডায়বেটিস রোগীদের কিছুক্ষণ পর পরই হালকা কিছু নাস্তা করা উচিত। যেমন, চিনি ছাড়া বিস্কিট, ব্রেড,মুড়ি ইত্যাদি। বিকেলের নাস্তায় তাই হালকা কিছু খাবার রাখা যেতে পারে।

চা

গ্রিন টি অথবা মশলা চা চিনি ছাড়া খেতে পারেন। সাথে বিস্কিট, মুড়ি বা টোস্ট।

হালুয়া

ক্যাল ফ্রি দিয়ে গাজর বা সুজির হালুয়া খেতে পারেন। বুটের হালুয়াও বেশ স্বাস্থ্যকর।

শরবত

বাজারের আরটিফিশিয়াল শরবত না কিনে ঘরে বিভিন্ন ফলের শরবত চিনি ছাড়া বানিয়ে নিন।

রাতের খাবারে যা যা খেতে পারেন

চালের অথবা আটার রুটি

রাতে ভাত খাওয়াটা ডায়বেটিক রোগীদের জন্য একেবারেই উচিত না। তাই চাল, গম অথবা আটার পাতলা ২টি থেকে ৩টি রুটিই রাতের জন্য উত্তম।

সবজি

রাতে রুটির সাথে হালকা সবজী খাওয়া যেতে পারে। এসিডিটির সমস্যা হলে ফল খাওয়ার দরকার নেই।

মাছ

রাতে মাংস না খাওয়াই ভালো। এক পিস মাছ খাওয়া যেতে পারে।

নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে, প্রতিদিন হাঁটতে যেতে হবে। কিছু হালকা ব্যায়াম মন ও শরীর প্রফুল্ল রাখবে।ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। পরিমিত ঘুম এবং পরিশ্রম আপনাকে ডায়বেটিস এর অনেক অসুবিধা থেকে দূরে রাখবে।

205
বর্তমানে ব্রোকলি ( Broccoli) আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি সবজির নাম। পূর্বে আমাদের দেশে রান্না-বান্নায় এর তেমন ব্যবহার না হয়ে থাকলেও এখন রান্নাসহ অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বেড়েছে। তবে অনেকের কাছেই এর অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ এখনও অজানা।

ইংরেজী ‘Broccoli’ নামটি এসেছে ইতালিয়ান শব্দ Brocco এবং ল্যাটিন শব্দ brachium থেকে, যার মানে ডাল, শাখা অথবা অঙ্কুর। এর ডাট এবং ফুল সাধারণত সিদ্ধ করে এবং বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া হয়ে থাকে। অনেকে কাঁচাও খেয়ে থাকেন। স্রষ্টার সৃষ্টি হরেক রকমের সবজির মধ্যে ব্রোকলি অন্যতম। এটি এমন একটি সবজি যাতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম কিন্তু ব্রোকলি ভিটামিন, মিনারেল আর ফাইবার এ পরিপূর্ণ। প্রত্যেকদিন খাবারে ব্রোকলি রাখলে তা আপনার সুস্বাস্থ্যের কারণ হতে পারে।

আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কেন ব্রোকলি গুরুত্বপূর্ণ, এখানে তেমন কিছু কারণ আলোচনা করা হল-

(১) ব্রোকলিতে রয়েছে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম, যা স্নায়ুতন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ করে একে সুস্থ আর রোগমুক্ত রাখে। তাছাড়া আমাদের পেশির নিয়মিত বর্ধণকে ত্বরান্বিত করে। অপটিমাল ব্রেইন ফাংশন রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকাও অপরিসীম।

(২) এতে ম্যাগনেশিয়াম আর ক্যালশিয়ামও রয়েছে, যা সুন্দরভাবে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে।

(৩) ব্রোকলিতে এতো উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন কে এবং ক্যালশিয়াম থাকে, যা osteoporosis কে প্রতিরোধ করে হাড়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। জেনে রাখা ভালো, osteoporosis এমন একটি অবস্থা যা সাধারণত ক্যালশিয়াম আর ভিটামিনের অভাবে হয়। এতে হাড়ের ক্ষয় হয়ে হাড় ভঙ্গুর ও নাজুক হয়ে পড়ে।

(৪) ব্রোকলিতে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার আমাদের পরিপাকে কল্যাণকর ভূমিকা পালন করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাছাড়া নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

(৫) এটি ভিটামিন এ –এর ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। দৃষ্টিশক্তি বর্ধণে ভিটামিন এ অতি জরুরী।

(৬) এতে প্রাপ্ত ভিটামিন বি৬ Atherosclerosis,  হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমায়।

(৭) প্রতিদিন ব্রোকলি খেলে তা রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধণ করতে সহায়তা করবে।

(৮) এক কাপ ব্রোকলিতে যে পরিমাণে ভিটামিন সি এর RDA নামক এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে, তা ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম। শরীরের কাটা অংশ আর ক্ষত নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

(৯) ইনডোল-৩-কার্বিনোল নামে একটি অতি শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে এই ব্রোকলিতে, যা সার্ভিকল ও অগ্রগ্রন্থ্রির ক্যান্সার এবং লিভার ফাংশন এর উন্নতি সাধণ করে।

(১০) এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ব্রোকলি ন্যাচারাল ফরমে খেলে, অকালে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রোদ আর দূষণের কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হতে পারে, ব্রোকলি তা থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। তাছাড়া রিংকেল জনিত সমস্যা দূর করে ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে কোনো ধরনের ক্ষতি ছাড়াই।

মূলত এক কাপ রান্না করা ব্রোকলিতে একটি কমলা লেবুর সমপরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। তাছাড়া এটি বিটা ক্যারটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে। এতে আরও রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক।

তাই সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন ব্রোকলি।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

অধিক নাজুক ত্বকে ব্রোকলি ব্যবহারে অ্যালার্জি জনিত কারণে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। তাই ব্রোকলিতে অ্যালার্জি থাকলে ত্বকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

206
শিশুদের ওজন নিয়ে বাবা-মায়ের চিন্তার কমতি নেই। শিশু খাবার খেতে চায় না, দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে – শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায় সব মায়েদের। কিছু খাবার আছে যা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারগুলো শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক।

(১) দুধ

শিশুদের ওজন বৃদ্ধিতে দুধ একটি আর্দশ খাবার। এক বছর থেকে শুরু করে বড় বাচ্চাদের গরুর দুধ দিতে পারেন। প্রাকৃতিক প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটস এর উৎস দুধ। প্রতিদিন দুই গ্লাস দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এছাড়া দুধের সর, ক্রিম ইত্যাদি বিভিন্ন খাবারে যুক্ত করে খাওয়াতে পারেন।

(২) ডিম

প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিমের কথা আমরা সবাই জানি। প্রতি ১০০ গ্রাম ডিমে প্রায় ১৪ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। আর শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে প্রোটিনের ভুমিকা অপরিসীম। প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখুন। একটি ডিম প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, সবকিছুর চাহিদা পূরণ করে থাকে যা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।

(৩) মাখন

মাখন স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের অন্যতম উৎস। বড়দের মাখন খাওয়ায় কিছুটা সাবধান থাকতে হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। ওজন বৃদ্ধির জন্য শিশুর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাখন রাখুন। তা হতে পারে মাখন রুটি বা অন্যকিছু। এটি দ্রুত শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

(৪) মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু শিশুকে ছয় মাস বয়সের পর থেকে দিতে পারেন। পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিনের সমৃদ্ধ এই খাবারটি দ্রুত শিশুর ওজন বৃদ্ধি করে।

(৫)কলা

ছয় মাস বয়সের পর থেকে শিশুকে কলা দেওয়া যেতে পারে। কলায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ রয়েছে। যা শিশুর শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

(৬) মুরগির মাংস

প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎস হলো মুরগির মাংস। এটি পেশী মজবুত করে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করে। তবে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় মুরগির মাংস না রেখে মাছের পাশাপাশি সপ্তাহে এক দুই দিন মুরগির মাংস রাখুন।

(৭) অ্যাভোকাডো

ওজন বৃদ্ধির জন্য এই ফলটি বেশ কার্যকর। এতে ফ্যাট, ক্যালোরি সবকিছু একসাথে পাওয়া যায়। এর পুষ্টি উপাদান ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দ্রুত ফল পেতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অ্যাভোকাডো রাখুন। স্বাদবিহীন বলে বাচ্চারা খেতে চাবে না।  কিন্তু একটু টেস্টি করে তৈরি করলে আগ্রহ ভরে খেতে চাইবে।

207
Public Health / টানা বসে কাজ নয়
« on: February 13, 2018, 04:27:13 PM »
একটানা বসে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। অফিসে বা বাড়িতে বসে কাজ করাটাই হয়তো আপনার জীবনপদ্ধতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবুও এর মাঝে একটু হাঁটাচলা করা প্রয়োজন।

একটানা বসে থাকার ফলে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আবার একটানা একই ভঙ্গিতে বসে থাকার ফলে ঘাড় বা পিঠে ব্যথাও হতে পারে। অথচ আজকের শিশুরাও আধুনিক প্রযুক্তিপণ্য হাতে নিয়ে বসে বসেই পার করে দিচ্ছে শৈশব।

গবেষণায় দেখা গেছে, যিনি প্রতিদিন একটানা বসে থাকেন, নিয়মিত ব্যায়াম করলেও তিনি বসে থাকার ফলে সৃষ্টি হওয়া সমস্যাগুলোর ঝুঁকি এড়াতে পারেন না। তাই ছুটির দিনগুলোতে শিশুকে বাইরে নিয়ে যান। দৌড়ঝাঁপ করে খেলুন ওর সঙ্গে। শিশুর স্কুলে খেলার সুযোগ রয়েছে কি না, খোঁজ নিন। বাইরে খেলতে উৎসাহ দিন।

অফিসে কাজের পরিবেশ ও নিয়মকানুন হয়তো বদলে ফেলতে পারবেন না। পরিবর্তন আনুন নিজের মাঝে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু সময়ের জন্য হলেও চেয়ার ছেড়ে উঠুন। হাত ও পায়ের বিভিন্ন জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধি নাড়ান।

অফিসে ডেস্কে কাজের মাঝে দুই মিনিট সময় পেলে হয়তো ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন আপনি কিংবা মুঠোফোনটা হাতে নিয়ে থাকেন। এটা না করে বরং দুই মিনিটের এই খুদে বিরতিতেই চেয়ার ছেড়ে একটু হেঁটে আসুন। সহকর্মীর ডেস্কে গিয়ে কুশল বিনিময় করে আসুন। কিংবা জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ান। বসে হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন।

বাড়িতেও একই নিয়ম মেনে চলুন। কম্পিউটারে বা টেবিলে বসে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে সামান্য বিরতি নিয়ে হাঁটাচলা করুন। টেলিভিশন দেখার অভ্যাস কমিয়ে আনুন। কম্পিউটার, মুঠোফোনসহ সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীলতা কমান। বাড়ির বারান্দা কিংবা ছাদে একটু সময় কাটান।


সোর্স –ডা. রাফিয়া আলম, স্কয়ার হাসপাতাল

208
মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকের কোনো কোনো দিনকে অসহ্য করে তোলে। মাথার কোনো এক পাশে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি ভাব বা বমি, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি সমস্যা এ সময় মানুষকে প্রায় শয্যাশায়ী করে ফেলে। মাইগ্রেনের ব্যথার আকস্মিক আক্রমণের জন্য কিছু বিষয় কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু খাবারদাবার, যা এই ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয়।

অপর্যাপ্ত পানি পানের কারণে সৃষ্ট ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা এবং দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে রক্তে শর্করা কমে যাওয়া মাইগ্রেনের ব্যথাকে আমন্ত্রণ জানায়। এ ছাড়া নিয়াসিন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব ঘটলে এবং রক্তস্বল্পতার কারণেও মাথাব্যথা বাড়ে।

ব্যথার তীব্রতা কমাতে ট্রিপটোফেন-জাতীয় খাবার বেশ সুফল বয়ে আনে। লাল চাল, খেজুর, কিশমিশ, দুধ, দই, ডিম, শিম, বাদাম, ডুমুর, সবুজ ও কমলা রঙের সবজি, কলাসহ নানা ধরনের ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত তাঁদের। ভেষজ চা, বিশেষ করে আদা-চা ও পুদিনা-চা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

কিছু খাবার মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য পরিত্যাজ্য। যেমন: চকলেট, পাউরুটি, কেক পেস্ট্রি, রং দেওয়া খাবার, সংরক্ষিত খাবার, আচার বা সস ও ময়দা-চিনির খাবার। মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা টেস্টিং সল্ট ব্যথা বাড়ায়।

সূত্র –আখতারুন নাহার, পুষ্টিবিদ



Saima Amin
Assistant Coordination Officer
Department of Architecture

209
অ্যাসিডিটি এমন একটি সমস্যা যা একটু অসাবধানতায় যেকোনো সময় যেকোনো স্থানেই শুরু হয়ে যেতে পারে। অ্যাসিডিটির সমস্যায় প্রচণ্ড বুক ও পেট জ্বালাপোড়া করতে থাকে যা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক।
বাজারে আজকাল এই অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে অনেক ধরণের ঔষধ ও কেমিক্যাল জাতীয় ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাওয়া যায়। কিন্তু এইসকল দ্রব্যের রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যতোটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করাই ভালো। তাহলে আজকে জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে মাত্র ৫ মিনিটে কিভাবে দূর করবেন অ্যাসিডিটির যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা।

তুলসি চা
তুলসি পাতার ব্যবহার অ্যাসিডিটি নিরাময়ে অনেক জনপ্রিয়। যখনই অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেবে তখন চট করে বানিয়ে নিন তুলসি চা। ২ কাপ পানিতে ৫/৬ টি তুলসি পাতা ফুটতে দিন। পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণ হয়ে এলে তা নামিয়ে গরম গরম পান করুন যন্ত্রণার উপশম হবে। চাইলে তুলসি পাতা চিবিয়েও খেয়ে নিতে পারেন, এতেও ফল পাবেন।

রসুন
কাঁচা রসুন খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা খুব দ্রুত এবং সহজে দূর হয়ে যায়।

কলা
কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা পাকস্থলীর গা থেকে মিউকাস নিঃসরণ করতে সহায়তা করে। এই মিউকাস অ্যাসিডিটির সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করতে বেশ কার্যকরী।

ঠাণ্ডা দুধ
অ্যাসিডিটির সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করতে ঠাণ্ডা দুধের জুড়ি নেই। দুধের ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে পৌঁছে বাড়তি অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটি তৈরি করে তা শোষণ করে নেয়। এবং বুক ও পেটের যন্ত্রণাদায়ক জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়।

পুদিনা
পুদিনা পাতা পাকস্থলীর বাড়তি অ্যাসিডের সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি দিতে পারে এবং পরিপাকে সহায়তা করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। তুলসি পাতার মতোই পুদিনা পাতার চা তৈরি করে কিংবা পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলেও অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাওয়া যায়।

আদা
হজমে সমস্যা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে আদা অনেক প্রাচীনআমল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা পাকস্থলীর গায়ে একধরণের প্রতিরক্ষা পর্দা তৈরি করে যার ফলে বাড়তি অ্যাসিডের কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা দ্রুত দূর হয়ে যায়।

Pages: 1 ... 12 13 [14] 15 16