16
Public Health / প্রতিরোধই সর্দি-কাশিমুক্ত থাকার প্রধান উপায়
« on: December 15, 2014, 06:27:32 PM »
প্রতিরোধই সর্দি-কাশিমুক্ত থাকার প্রধান উপায়
ঋতু পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় সাধারণভাবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগটির নাম সর্দি-কাশি। এ সময় আমাদের দেশে সর্দি-কাশি দেখা দিতে পারে। শীতকাল আসার আগে বা শীত থেকে বসন্তকালে ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি দেখা দিতে পারে। আমাদের দেশে এমন সময়ে এ সর্দি-কাশি সমস্যায় আক্রান্ত লোকের সংখ্যাও প্রচুর দেখা যায়। সর্দি-কাশির কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এজন্য প্রতিরোধই সর্দি-কাশি থেকে মুক্ত থাকার প্রধান উপায়।
সর্দি-কাশি কি ?
সাধারণত সর্দি-কাশি একটি ভাইরাসজনিত প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগ, যা আমাদের শ্বসনতন্ত্রে বিশেষত গলায়, নাকে এবং সাইনাসে প্রদাহ সৃষ্টি করে। বাতাসের ড্রপলেট ইনফেকশন বা এরোসল ইনফেকশনের মাধ্যমে এ সর্দি-কাশির ভাইরাসটি ছড়িয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাক থেকে নির্গত ফ্লুইড, ব্যবহৃত রুমাল, টিস্যু পেপার, হাত, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় এ রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে।
সাধারণত ২০০ ধরনের ভাইরাস দিয়ে এ সর্দি-কাশি হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাইনো ভাইরাস (৩০-৮০ শতাংশ), করোনা ভাইরাস (১০-১৫ শতাংশ) এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস, এডেনো ভাইরাস, এন্টারো ভাইরাস, মেটা নিউমোনিয়া ভাইরাস উল্লেখযোগ্য। সাধারণত একাধিক ভাইরাস দিয়ে এ সর্দি-কাশি তৈরি হয়।
সর্দি-কাশির উপসর্গ:
এর প্রধান উপসর্গগুলো হচ্ছে
খুশখুশে কাশি
গলাব্যথা বা ঢোঁক গিলতে কষ্ট
নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া
জ্বর,
সারা শরীর ব্যথা
গা ম্যাজম্যাজ করা
অরুচি, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি।
প্রতিরোধের উপায়:
একটু সতর্কতা অবলম্বন করে সাধারণ সর্দি ঠাণ্ডা কাশি থেকে খুব সহজেই মুক্ত থাকা সম্ভব। সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দি (Common Colds) এড়াতে পরামর্শঃ-
হাত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। অপরিচ্ছন্ন হাত দিয়ে এর বিস্তৃতি ঘটতে পারে। সঠিকভাবে নিয়মিত সাবান ও এন্টিসেপটিক দিয়ে হাত ধোয়া প্রধান প্রতিরোধের হাতিয়ার।
সর্দি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির বা কাশি বা হাঁচি থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে অবস্থান করুন। সর্দি-কাশির জীবাণু খুব সহজেই আপনার চোখ অথবা নাকের ভেতর দিয়ে সংক্রমিত হতে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করুন। যথেষ্ট পরিমাণে (কমপক্ষে দৈনিক আট গস্নাস) পানি গ্রহণ শরীরের বিশুদ্ধতা দূর করে এবং দেহ থেকে জীবণু নির্গমনে সাহায্য করে।
আঙ্গুল দিয়ে ঘন ঘন নাক অথবা চোখ খুটবেন না।
বিছানায় পড়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি মৃদু ব্যায়াম করুন।
কম চর্বিযুক্ত খাদ্য খান।
মাস্ক পরে বাইরে চলাফেরা করুন।
ফলের রস, ভিটামিন-সি গ্রহণ/ লেবর রস, তাজা ফলমূল গ্রহণের অভ্যাস করুন। কাচামরিচ (ভিটামিন সি তে পূর্ণ), রসুন-এতে থাকা alliin সর্দিবদ্ধতা কাটাতে সহায়তা করে।
রাত্রে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমান। অনিদ্রা দেহের রোগজীবণু ধ্বংসকারী কোষের সংখ্যা হ্রাস করতে পারে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
শেষকথা
“রোগ নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ-ই উত্তম”। বন্ধুরা, আশা করি সর্দি-কাশি প্রতিরোধের উপায় জানতে পেরেছেন। একটু সচেতনতার মাধ্যমে সর্দি-কাশি থেকে নিজেকে বাঁচানো যেতে পারে। নিজে সচেতন শছে, পরিবারের সকলকে সচেতন করুন, সমাজকে সচেতন করুন, এক্তি সুস্থ জাতি গঠনে এগিয়ে আসুন। ,
ঋতু পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় সাধারণভাবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগটির নাম সর্দি-কাশি। এ সময় আমাদের দেশে সর্দি-কাশি দেখা দিতে পারে। শীতকাল আসার আগে বা শীত থেকে বসন্তকালে ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি দেখা দিতে পারে। আমাদের দেশে এমন সময়ে এ সর্দি-কাশি সমস্যায় আক্রান্ত লোকের সংখ্যাও প্রচুর দেখা যায়। সর্দি-কাশির কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এজন্য প্রতিরোধই সর্দি-কাশি থেকে মুক্ত থাকার প্রধান উপায়।
সর্দি-কাশি কি ?
সাধারণত সর্দি-কাশি একটি ভাইরাসজনিত প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগ, যা আমাদের শ্বসনতন্ত্রে বিশেষত গলায়, নাকে এবং সাইনাসে প্রদাহ সৃষ্টি করে। বাতাসের ড্রপলেট ইনফেকশন বা এরোসল ইনফেকশনের মাধ্যমে এ সর্দি-কাশির ভাইরাসটি ছড়িয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাক থেকে নির্গত ফ্লুইড, ব্যবহৃত রুমাল, টিস্যু পেপার, হাত, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় এ রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে।
সাধারণত ২০০ ধরনের ভাইরাস দিয়ে এ সর্দি-কাশি হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাইনো ভাইরাস (৩০-৮০ শতাংশ), করোনা ভাইরাস (১০-১৫ শতাংশ) এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস, এডেনো ভাইরাস, এন্টারো ভাইরাস, মেটা নিউমোনিয়া ভাইরাস উল্লেখযোগ্য। সাধারণত একাধিক ভাইরাস দিয়ে এ সর্দি-কাশি তৈরি হয়।
সর্দি-কাশির উপসর্গ:
এর প্রধান উপসর্গগুলো হচ্ছে
খুশখুশে কাশি
গলাব্যথা বা ঢোঁক গিলতে কষ্ট
নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া
জ্বর,
সারা শরীর ব্যথা
গা ম্যাজম্যাজ করা
অরুচি, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি।
প্রতিরোধের উপায়:
একটু সতর্কতা অবলম্বন করে সাধারণ সর্দি ঠাণ্ডা কাশি থেকে খুব সহজেই মুক্ত থাকা সম্ভব। সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দি (Common Colds) এড়াতে পরামর্শঃ-
হাত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। অপরিচ্ছন্ন হাত দিয়ে এর বিস্তৃতি ঘটতে পারে। সঠিকভাবে নিয়মিত সাবান ও এন্টিসেপটিক দিয়ে হাত ধোয়া প্রধান প্রতিরোধের হাতিয়ার।
সর্দি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির বা কাশি বা হাঁচি থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে অবস্থান করুন। সর্দি-কাশির জীবাণু খুব সহজেই আপনার চোখ অথবা নাকের ভেতর দিয়ে সংক্রমিত হতে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করুন। যথেষ্ট পরিমাণে (কমপক্ষে দৈনিক আট গস্নাস) পানি গ্রহণ শরীরের বিশুদ্ধতা দূর করে এবং দেহ থেকে জীবণু নির্গমনে সাহায্য করে।
আঙ্গুল দিয়ে ঘন ঘন নাক অথবা চোখ খুটবেন না।
বিছানায় পড়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি মৃদু ব্যায়াম করুন।
কম চর্বিযুক্ত খাদ্য খান।
মাস্ক পরে বাইরে চলাফেরা করুন।
ফলের রস, ভিটামিন-সি গ্রহণ/ লেবর রস, তাজা ফলমূল গ্রহণের অভ্যাস করুন। কাচামরিচ (ভিটামিন সি তে পূর্ণ), রসুন-এতে থাকা alliin সর্দিবদ্ধতা কাটাতে সহায়তা করে।
রাত্রে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমান। অনিদ্রা দেহের রোগজীবণু ধ্বংসকারী কোষের সংখ্যা হ্রাস করতে পারে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
শেষকথা
“রোগ নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ-ই উত্তম”। বন্ধুরা, আশা করি সর্দি-কাশি প্রতিরোধের উপায় জানতে পেরেছেন। একটু সচেতনতার মাধ্যমে সর্দি-কাশি থেকে নিজেকে বাঁচানো যেতে পারে। নিজে সচেতন শছে, পরিবারের সকলকে সচেতন করুন, সমাজকে সচেতন করুন, এক্তি সুস্থ জাতি গঠনে এগিয়ে আসুন। ,