Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Zahir_ETE

Pages: 1 ... 6 7 [8]
106
১৯৪৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রফেসর জন ভন নিউম্যান কমপিউটার ভাইরাসের ধারণা প্রকাশ করেন। তিনি দেখিয়েছিলেন কিভাবে একটি প্রোগ্রাম স্বয়ংμিয়ভাবে বাড়ে ও ছড়িয়ে পড়ার কাজ করে। নিউম্যান প্রথমবারের মতো এমন একটি কমপিউটার প্রোগ্রামের নকশা করেছিলেন, যা নিজ থেকে তৈরি হতে পারে। আর সে কারণেই তাকে কমপিউটার ভাইরাসের জনক বলা হয়। পরে নিউম্যানের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ১৯৭২ সালে ভেইথ রিসাক তার গবেষণার ফল প্রকাশ করেন। সিমেন্স ৪০০৪/৩৫ কমপিউটারের জন্য অ্যাসেম্বলার ল্যাঙ্গুয়েজে একটি পূর্ণাঙ্গ কমপিউটার ভাইরাসের কথা সেখানে লেখা ছিল। ১৯৮০ সালে জারগেন μস তার গবেষণাপত্রে স্বয়ংμিয়ভাবে তৈরি ও ছড়িয়ে পড়া কমপিউটার ভাইরাসের কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা মানুষের শরীরের ভাইরাসের মতো আচরণ করে। যা হোক, এসবই ছিল তত্ত্ব ও গবেষণার ফল। যেখানে কোথাও ‘ভাইরাস’ শব্দটির উল্লেখ ছিল না। উপরোল্লিখিত সবাই এ ধরনের কমপিউটার প্রোগ্রামকে ‘অটোম্যাটা’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং কেউ এর ধ্বংসাত্মক দিকে প্রাধান্য দেননি। স্বয়ংμিয় এমন কমপিউটার প্রোগ্রামকে প্রথমবারের মতো ভাইরাস নামে অভিহিত করা হয় ১৯৬৯ সালে গ্যালাক্সি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ডেভিড গ্যারল্ডের ছোট গল্পে। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত তার উপন্যাস হোয়েন হারলি ওয়াজ ওয়ানেও তিনি এমন প্রোগ্রামকে ভাইরাস বলে উল্লেখ করেন। প্রথম কর্মক্ষম ভাইরাস তৈরি করা হয় ১৯৭১ সালে। বিবিএন টেকনোলজিসের বব থমাস পরীক্ষামূলকভাবে ‘μিপার’ নামে একটি ভাইরাস তৈরি করেন, যা শুধু টেনেক্স অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিইসি পিডিপি-১০ কমপিউটারকে আμান্ত করে। ভাইরাসটি এআরপিএনেটের মাধ্যমে বিভিনড়ব টার্মিনালে ছড়িয়ে পড়ে একটি বার্তা প্রদর্শন করতÑ আই অ্যাম দ্য μিপার, ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান! μিপার ভাইরাসকে মুছে ফেলতে ‘রিপার’ নামে একটি প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছিল। তবে μিপার তৈরি করা হয়েছিল গবেষণাগারে, উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষা করে দেখা। তবে এমন পেশাজীবী গবেষকের দিয়ে বা গবেষণাগারের বাইরে তৈরি
প্রথম কমপিউটার ভাইরাস ‘এলক ক্লোনার’। হাই স্কুলে পড়ার সময় রিচার্ড ¯েঙঊনটা শুধু মজা করার জন্য ১৯৮১ সালে এলক ক্লোনার তৈরি করেন, যা ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে অ্যাপল ডস ৩.৩ অপারেটিং সিস্টেমকে আμান্ত করত। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ফ্রেড কোহেন তার গবেষণাপত্রে ১৯৮৪ সালে এমন ধ্বংসাত্মক কমপিউটার প্রোগ্রামকে ভাইরাস বলে উল্লেখ করেন।

107
আমরা আগেই জেনেছি ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সরকারি সংস্থা তাদের নিজস্ব কমপিউটারগুলোর মাঝে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি নেটওয়ার্ক বা এআরপিএনেট। অল্প পরিসরের সেই কমপিউটার নেটওয়ার্কের প্রতিটি কমপিউটার আলাদাভাবে শনাক্ত করা এমন কোনো কঠিন কাজ ছিল না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যখন নেটওয়ার্ক বড় হতে শুরু করল, বেশি কমপিউটার নেটওয়ার্কের অন্তর্গত করা হলে প্রতিটি কমপিউটারকে আলাদা এবং অনন্য নাম্বার দিয়ে শনাক্ত করার ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল। ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইনফরমেশন সিস্টেম এজেন্সি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত প্রতিটি কমপিউটারকে শনাক্তকারী নাম্বার দেয়ার জন্য ইন্টারনেট অ্যাসাইনড নাম্বার অথরিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এরই সূত্র ধরে ১৯৭৩ সালে শনাক্তকারী নাম্বার হিসেবে ইন্টারনেট প্রটোকল বা
আইপি অ্যাড্রেস সর্বজন গ্রাহ্য মান হিসেবে গৃহীত হয়। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কমপিউটারের সংখ্যা বাড়ে, নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত হলো, সব মিলিয়ে কমপিউটার
প্রযুক্তির তখন রমরমা অবস্থা। জটিল ও মনে রাখা কঠিন এমন আইপি অ্যাড্রেস নিয়ে মানুষ অভিযোগ করতে শুরু করেছিল। এদিকে গবেষকেরাও থেমে ছিলেন না। অবশেষে জন পোস্টেলের অনুরোধে ১৯৮৩ সালে পল মোকাপেট্রিস ডোমেইন নেম সিস্টেম এবং ১৯৮৪ সালে উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ও প্রযুক্তিবিদ নেম সার্ভার আবিষ্কার করেন। নেম সার্ভার হলো ডোমেইন নেমকে আইপি অ্যাড্রেসের সাথে যুক্ত করার পদ্ধতি। এর প্রায় বছরখানেক পর ১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চে বিশ্বের সর্বপ্রথম ডট কম
ডোমেইন নেম হিসেবে ংুসনড়ষরপং.পড়স নিবন্ধিত হয়। সে সময় ডোমেইন নেম নিবন্ধন করতে পকেটের স্বাস্থ্যের কোনো পরিবর্তন হতো না। কিন্তু প্রচুর চাহিদা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহের জন্য ১৯৯৫ সালে প্রতি দুই বছরের জন্য নিবন্ধন মূল্য হিসেবে একশ’ আমেরিকান ডলার নির্ধারিত হয়েছিল। ছোট পরিসরের সেই কমপিউটার নেটওয়ার্ক বর্তমানে ইন্টারনেটে পরিণত হয়েছে। এর সাথে হাত ধরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে ডোমেইন নেম। এই দীর্ঘ পথপরিμমায় অনেক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল
ডোমেইন নেম নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য। বর্তমানে এই কাজটি করে চলেছে ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নাম্বারস বা আইসিএএনএন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইন্টারনেট, ওয়েব এবং ডোমেইনের ব্যবহার কী হারে বেড়েছে তা আমাদের অজানা নেই। এ বছরের জানুয়ারিতে ডট কম ডোমেইন দশ কোটির মাইলফলক ছুঁয়েছে।

108
ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর দূরপ্রান্তের কমপিউটারের মাঝে সংযোগ স্থাপন করার সমস্যা তো দূর হলো, কিন্তু তা কতটুকু কাজের ছিল? আইবিএমের পিসি, অ্যাপলের ম্যাকিনটোশ ও সে সময়ের অন্যান্য মাইμোকমপিউটার বাজারে আসার পর কমপিউটার ব্যক্তি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। সাধারণ ব্যবহারকারীর হাতের নাগালে কমপিউটার থাকলেও
কমপিউটার নেটওয়ার্কের দখল ছিল সরকারি দফতর, সামরিক বিভাগ ও গবেষকদের হাতে। এই সমস্যার কথা অনেকে ভাবে লও ইউরোপীয় গবেষণা সংস্থা সার্নের তৎকালীন
সফটওয়্যার প্রকৌশলী টিম বারনার্স লি’র মাথায় হয়তো বেশি করে কাজ করেছিল। পৃথিবীব্যাপী লাখ লাখ ক ম ি প উ ট া র ব্যবহারকারীকে এক সুতায় বেঁধে নতুন
সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করতে চেয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে তিনি তার পরিকল্পনা লিখিত আকারে জমা দিয়েছিলেন সার্নে। যেখানে কিছু প্রযুক্তির কথা উল্লেখ ছিল, যা ইন্টারনেটকে সব ব্যবহারকারীর কাছে ব্যবহারযোগ্য করে তুলবে। কিন্তু সার্নে তার প্রকল্প প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা না পেলেও সহযোগী রবার্ট ক্যালিও’র সহযোগিতায় পরের বছরের অক্টোবরে তিনি সেই প্রকল্পে কাজ শুরু করেন। এবার তিনি তিনটি মৌলিক প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করেন। প্রথমটি ছিল হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ বা এইচটিএমএল, যা ওয়েব পেজকে উপস্থাপন করবে। দ্বিতীয়টি ছিল ইউনিফর্ম রিসোর্স আইডেন্টিফায়ার বা ইউআরআই, যা অনেকটা ঠিকানার মতো যে ঠিকানার মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি খুঁজে পাওয়া যাবে। শেষটি ছিল হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল বা এইচটিটিপি, যা ইউআরআইর মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি প্রদর্শন করতে সাহায্য
করবে। এটা নিশ্চয় আপনাদের বলে দিতে হবে না যে আজও তার সেই প্রযুক্তিতেই ইন্টারনেট চালিত হচ্ছে। টিম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে বিশ্বের প্রথম ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করেন, যা দিয়ে একই সাথে ওয়েব পেজ সম্পাদনার কাজও করা যেত। তিনি এইচটিটিপিডি নামে একটি ওয়েব সার্ভারও তৈরি করেন। ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে সার্নের পক্ষ থেকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবকে রয়্যালটি ফ্রি ঘোষণার পর যে বিপ্লব ঘটে গেছে, তা আপনাদের চোখের সামনেই। ইন্টারনেটকে জনসাধারণের কাজে লাগানোর প্রবাদ পুরুষ এই ব্রিটিশ কমপিউটার বিজ্ঞানী বর্তমানে ডব্লিউ থ্রি কনসোর্টিয়ামের ডিরেক্টরসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মান অক্ষুণড়ব রাখতে এবং নিয়মিত উনড়বয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য ১৯৯৪ সালে ডব্লিউ থ্রি কনসোর্টিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়।

109
IT Forum / িগগািবট ওয়াইফাই
« on: May 29, 2013, 08:35:58 PM »
আমরা অনেকেই আমরা অনেকেই ওয়াইফাই শব্দটির সাথে পরিচিত। কিন্তু অনেকেই এর অর্থ জানেন না। ওয়াইফাই হচ্ছে ওয়্যারলেস ফিডেলিটির সংক্ষিপ্ত রূপ। তারবিহীন এ জনপ্রিয় দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক কানেকশনের গতি আরো বাড়িয়ে তাকে নতুনরূপে তুলে ধরা হচ্ছে নতুন বছরে। ওয়াইফাই টার্মটিকে ট্রেডমার্ক করা হচ্ছে আইইইই ৮০২.১১এক্স হিসেবে। এক্সের জায়গায় ছোট হাতের এ, বি, সি দিয়ে এর ভার্সন ও ক্ষমতা প্রকাশ করা হয়। আইইইই-ও বড় রূপ হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স। আরো উনড়বত ও দ্রুতগতির
এ নতুন ওয়্যারলেস কানেকশনের নাম দেয়া হয়েছে গিগাবিট ওয়াইফাই, যার স্ট্যান্ডার্ড নাম হচ্ছে আইইইই ৮০২.১১এসি। আগের তুলনায় এটি
তিনগুণ বেশি গতিতে কাজ করতে পারবে। সিঙ্গেল স্ট্রিমে ১৫০ এমবিপিএসের জায়গায় এটি পাবে ৪৫০ এমবিপিএস। একইভাবে ডুয়াল
ও ট্রিপল স্ট্রিমে পাবে যথাμমে ৯০০ এমবিপিএস ও ১.৩ গিগাহার্টজ। এটি ২.৪ গিগাহার্টজের আগের ওয়াইফাই ব্যান্ডের চেয়ে ৮এক্স বেশি চ্যানেল দিতে পারবে, যা ভিডিও স্ট্রিমিং ও গেমিংয়ের জন্য বেশ সুফল বয়ে আনবে। নতুন ওয়াইফাইটির ব্যান্ড হচ্ছে ৫ গিগাহার্টজ। এটি কাজ করবে বিম টেকনোলজিতে, যার ফলে ডেড স্পট পড়বে কম এবং অনেকদূর পর্যন্ত কানেকশন ছড়িয়ে দিতে পারবে।

110
Telecom Forum / Re: Radio over Fiber Technology
« on: February 23, 2013, 05:11:45 PM »
Very informative.

111
Telecom Forum / Re: Future Wireless Vision – Convergence, WISDOM
« on: February 23, 2013, 04:54:19 PM »
Its a very resourceful topic for research.

Pages: 1 ... 6 7 [8]